নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

টুকরো টুকরো চ্যাট-হাউ ইজ দ্যাট

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

এটি কোনো নিয়মিত লেখা নয়। ফেসবুকে আমার বন্ধুদের নিয়ে বানানো একটা গ্রুপ আছে। গ্রুপটার চ্যাটরুমে মাঝেমধ্যেই স্বল্পমেয়াদী কখনো দীর্ঘমেয়াদী ডিসকাশন হয়। কখনো স্রেফ ফান কখনো সিরিয়াস বিষয়ে। একদিনের চ্যাটের কিছু সিলেক্টেড বক্তব্য তুলে এনে এই টুকরো পোষ্টটা বানিয়েছি। এটাকে ঠিক গোছানো লেখা বা কনস্ট্রাকটিভ কিছু ভাবা ভুল হবে। এটা স্রেফ চ্যাটমেসেজের সমষ্টি। চ্যাটপোষ্টও বলতে পারেন। শুধু কথাগুলোকে জোড়া দেয়া আর চ্যাটরুমেও যে গঠনমুলক ডিসকাশন হতে পারে সেটা বোঝানোটাও লক্ষ্য। আমি শুধু উল্লেখযোগ্য মেসেজগুলো টুকরো টুকরো করে জোড়া দিয়েছি বিধায় সিকোয়েন্স ধরাটা একটু টাফ হতে পারে। আর কী প্রসঙ্গে কী বলা হচ্ছিল সেটুকু আশা করি পাঠক বুঝবেন অন্তত ব্লগ পড়েন বা করেন এমন কেউতো অবশ্যই। বা দু’য়ে দু’য়ে চার মিলিয়ে নেবেন। ভাষাটা খুব একটা এডিট করিনি। যেমন ছিল তেমনই প্রায় আছে ”চ্যাটপোষ্ট”এর আবহ ধরে রাখতে।

১. অনেক সময়ই কৈশোর বা কলেজের বন্ধুত্ব পূর্ন বয়সে এসে আর আগের রং পায় না। আমার একটা নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে এর কারনের। সেটা হল-স্কুল কলেজের উঠতি বয়সের আবেগ আর তরল মনে করা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ম্যাচিওরড বয়সে এসে যদি পাতলা হয়ে যায় সেটাই স্বাভাবিক। আর এখন এত এত কর্পোরেট ফ্রেন্ড, সোসাইটির ভীড়ে পুরানো বন্ধুত্ব এত পাত্তা না পাওয়ারই কথা।

২. বউ, পুলাপাইন আর ক্যারিয়ার-এই তিনের পরে ল্যাংটা কালের বন্ধুত্ব’র জন্য টাইম কই? বড়জোর ঈদে কোরবানীতে জড়াজড়ি, সেলফী, আহা উহু। আর ছোটকালের আবেগী বন্ধুত্ব নিয়ে ভাবলে এখন বরং শরম করে। “তোদের কখনো ভুলবনা” এইরকম ডায়লগ দিয়েছি এখন কবুল করতেও শরম লাগে।

৩. অনেক সময় দেখাতে দেখাতে দেখানোটাই মূখ্য হয়ে পড়ে বিধায় আসলে কী দেখাচ্ছে সেদিকে নজর কমে যায়। ফলে যা দেখাচ্ছে বলে মনে হয় দেখাচ্ছে বাস্তবে অন্যটা।

৪. ভুল বুঝবেন না। আমি অবশ্যই বলি বউ/পার্টনারকে ভালবাসতে। কারন মরা পর্যন্ত সেই সাথে থাকার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু উহাকে ভালবাসাটাকে অন্যের প্রতি ভালবাসা প্রদর্শনে বাধা হয়ে দাড়াতে দেয়া ঠিক না। অন্যের প্রাপ্য ভালবাসায় কাটছাট করে তাকে দেয়া ঠিক না।

৫. বিয়ে করা পার্টনারকে বউ বলে। বিয়ে না করা বউকে পার্টনার বলে। ওইযে ছোট ছোট গরুকে বাছুর বলে আর বড় বড় বাছুরকে গরু বলে।

৬. লাইফ পার্টনার সে বিয়ে করা বা না করা-উভয়ই বউ। কে স্বামী আর কে বউ-সেটা জেন্ডার দ্বারা নির্ধারিত হওয়াটা প্রিমিটিভ যুগে ছিল না। মিডিয়া নিয়ন্ত্রিত সমাজব্যবস্থা যেদিন আসছে সেদিন হতে স্বামী ও স্ত্রীর আলাদা জেন্ডারবেসড সংজ্ঞা আসছে।

৭. বাই দ্যা রাস্তা। একটা অফটপিক বলি। আমাদের জানাশোনা জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি, মতামতের একটা বড় অংশ নির্ধারিত, সংজ্ঞায়িত আর নিয়ন্ত্রিত হয় খুব বায়াজড পদ্ধতি দ্বারা এবং বিভিন্ন মাধ্যমের সুবিধা অনুযায়ী। তাই আমাদের ভাবনা ও মতামতের প্রকৃতি খুব বায়াজড হয়ে থাকে। এই যে থার্ড জেন্ডারের মানুষকে হিজড়া উপাধি দিয়ে দেয়া-এটাকে একটা গালি হিসেবে দেখা হয়।

৮. কিন্তু এই তকমাটা তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া। তারাও আমাদের মতোই মানুষ। রক্তমাংসের হৃদয় বিশিষ্ট মানুষ। তারাও মহান সৃষ্টিকর্তারই অন্যতম বিশেষ সৃষ্টি। আমরা সিঙ্গেল জন্মের তুলনায় জমজ সন্তান হলে ডাবল খুশি হই। অথচ সিঙ্গেল জেন্ডার না হয়ে ডুয়েল জেন্ডার হলে তাকে নিয়ে হাসি। যারা ধর্ম নিয়ে ফিলিংস রাখে অন্তত তারা কি স্বীকার করবে, স্রস্টার সৃষ্টি নিয়ে হাসা মানে স্রষ্টাকে নিয়েই হাসা।

৯. সব্যসাচী-Ambidexter-দুহাত সমানভাবে ব্যবহারে পারদর্শী, অপূর্ব কুশলী।এটা হল আভিধানিক ব্যখ্যা। আমার ছোটবেলার স্মৃতি যতটা মাথায় আছে তাতে মনে পড়ে-সাহিত্যের সব শাখায় আত্মচেষ্টায় নিজে থেকেই বুৎপত্তি অর্জন করে যে লেখক তাকে সব্যসাচী বলে-এমনটাই হয়তো শিখেছিলাম। মুল কথা হল, এটা জাস্ট একটা গিভেন টাইটেল যা সৈয়দ হককে দেয়া হয়। ঠিক যেমন রবীন্দ্রনাথকে বলা হয় বিশ্বকবি। এখন কেউ যদি প্রশ্ন করে বিশ্বকবি কী-তাহলে তো মুশকীল।

১০. (স্যরি বাংলা করার সময় পাইনি) No, there's no authority to impose title on any writer or poet. Usually, in the history, the followers/fans or organizers or patronizers imposed titles on the cultural legends. Literature is such a phenomena which have no grammar of itself. None can bound a writer/poet within any boundary.I know, many of us do not like Sayed Haque due to his writings. But remember, literature is such a thing which is not possible and necessary to be understood by all. From the beginning of the human civilization legends and great writers were always criticized for their writings which were always advanced than the society and people used to criticize those due to their ignorance. It's not the problem of the writers rather of the readers.

১১. (প্রশ্ন: how a writer can be expert in all wings of literature?) সেটা যে সম্ভব তাতো রবীন্দ্রনাথ দেখিয়ে দিয়েছেন। নজরুল কোন ধরণের লেখা লেখেন নি। আর আমিতো বললাম, আভিধানিক অর্থ দেখলে সমস্যা। এটা শুধুই ভক্তদের দেয়া একটা টাইটেল। এটা কোনো ডিগ্রি না যে তাকে সত্যি সত্যিই পরীক্ষা দিয়ে সেটা নিতে হবে।ফজলুল হকের উপাধি শের এ বাঙলা। এখন তুমি যদি জিগাও শের এ বাঙলা কী জিনিস আর উনি কি সত্যিই বাঘ ছিলেন?

১২. কালীদাস যাকে আজ মহাকবি বলা হয় তার অনেক লেখা (তথাকথিত শ্লীলতার বিচারে) চরম মাত্রার অশ্লীল। তবু কিন্তু তার লেখা নিয়ে ইউনিভার্সিটিতে কোর্স আছে। লেখকের লেখা দেখে তাকে বিচার না করে তার লেখা বুঝবার চেষ্টা করলে অনেক কনফিউশন কমে যায়।

১৩. (প্রশ্ন: অশ্লীল কিছু না লিখলে কোনো উপাধি পাওয়া যায়না, যেমনটি কালিদাস, সদ্য প্রয়াত আমাদের সব্যসাচী, আরো অনেকে আছেন ...)
উত্তর: ভুল। কোনো অশ্লীল কিছু না লিখেও রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি এবং নোবেল বিজয়ী। আবার চরম অশ্লীল (তথাকথিত) লিখেও তাসলিমা কোনো টাইটেল পাননি।লেখকের/কবির সবচেয়ে বড় বিচারক তার পাঠক। পাঠক কী চান সেটাই মুখ্য।আর কবির অশ্লীল লেখায় অন্যদের সমস্যা কী? তিনি তো পলিটিশিয়ান নন যে তার অশ্লীল সাহিত্য লোকজনকে জোর করে গেলাচ্ছেন। তিনি যা লেখেন তা না পড়লেইতো লেঠা চুকে যায়। পাবলিক না পড়লেইতো তার লেখা বন্ধ হয়ে যাবে।

১৪. (প্রশ্ন: চোটির পাঠক ও কিন্তু কম না, ওই শ্রেণির পাঠক চায় চটি আরো শানিত হউক নতুন নতুন ধারা উন্মোচিত হোক, তুমি কি বলো বা ভাবো চোটির প্রসার নিয়ে?)
উত্তর: চটির অস্তিত্ব যুগ যুগ ধরেই পৃৃথিবীতে ছিল। পাঠক না পড়লেই চটির লেখকের ভাত কমে যেত। পাঠক পড়ে কেন? কেনে কেন?আর সাহিত্যের ভাল ও মন্দ বিচারের কোনো বৈজ্ঞানিক মিটার নেই। সাহিত্যের ভাল ও মন্দ সবসময়ই আপেক্ষিক।পৃথিবীতে শ্লীল সিনেমা যত বানানো হয় তার একশো গুন অশ্লীল মুভি (এক্স রেটেড) বানানো হয়। সেটার আলাদা দর্শক ও বাজার আছে। তাই বলে এক্স মুভির নির্মাতাদের কেউ ফাঁসি দিচ্ছে? দুনিয়াতে বেশ্যালয়ও থাকবে আর উপাসনালয়ও থাকবে। যার যেটা পছন্দ সেটা বেছে নিলেই যথেষ্ট। আর ভাল ও মন্দ’র মধ্যে পার্থক্য করতে পারার জন্যইতো শুধু মানুষকে বিবেক নামক একটা বস্তু দেয়া হয়েছিল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.