নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন তিমি হত্যা করেছে! কল্পনা করা যায়; এমন দুর্দান্ত বৃহত্তম ও বুদ্ধিমান ৩০ লক্ষ প্রাণীকে মানুষ উত্তর আর দক্ষিন গোলার্ধ তন্ন তন্ন করে খুঁজে আটলান্টিক আর প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শুরু করে পৃথিবীর সব সাগর উপসাগরের গভীরে হানা দিয়ে নিঃশ্বংসভাবে হত্যা করেছে। এর জন্য দায়ী কারা? ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, জাপান থেকে শুরু করে বিশের সবচেয়ে শান্তির পক্ষে কথা বলা অন্যতম সভ্য দেশগুলো!!
আজকের সংবাদে প্রকাশ, জাপান ICJ ও সারাবিশ্বের সব পরিবেশবাদী সংগঠনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ফের ঘোষনা করল তারা ঐতিহ্য রক্ষার্থে ফের তিমি শিকার করার অনুমতি দিচ্ছে। তবে এই তিমিদের মূলত; গবেষণার জন্য হত্যা করা হলেও গবেষণা শেষে তাদের মাংস বাজারে বিক্রি করা হবে!!
আসুন তবে দেখে আসি জাপানের তিমি মাছ গবেষণার রূপ কেমন?
জাপান, যদিও প্রাথমিকভাবে স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করেছিল এবং তাদের সম্পূর্ণ নৌবহর সরিয়ে নিয়েছিল। পরে ICJ এর কাছ থেকে শুধুমাত্র গবেষণার জন্য কিছু তিমি হত্যার অনুমতি নিয়ে ২০০৫ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে, জাপানি নৌবহর প্রায় ৪০০০ মিঙ্ক তিমি এবং ১৮ ফিন তিমি (যা বিপন্ন) হত্যা করেছিল। (আপনি ভাবতে পারেন জাপানের মত দেশ এমন করতে পারে???)
"গবেষণার" যুক্তি অনেকের কাছে ফাকা-বুলি বলে মনে হয়েছিল। বাকি বিশ্বের তিমি বিজ্ঞানীরা প্রাণঘাতী পদ্ধতি ছাড়াই তিমি গণনা বা তিমি বিষয়ক গবেষণা খুব ভালভাবেই করছেন।১৯৮২ সাল থেকে গবেষণার উদ্দেশ্যে হত্যা করা ১৪৪১০ তিমির মধ্যে ৯৫ শতাংশের জন্য জাপান দায়ী। উপরন্তু, জাপান এর মধ্যে খুব বেশি মূল্যবান বৈজ্ঞানিক তথ্য তৈরিও করে নি: ২০০৫ সাল থেকে, দেশটি তিমি গবেষণার জন্য জন্য শুধুমাত্র দুই পিয়ার-পর্যালোচিত কাগজ রয়েছে।
~ জাপানের গবেষণার আড়ালে তিমি শিকারের জাহাজ!!!
জাপান পরিবেশবাদী ও ICJ-এর চাপে পরের মরসুমের জন্য এই প্রোগ্রামটি বাতিল করে, কিন্তু এরপর ফের শুরু করে যুক্তি দেয় যে তিমি শিকারের উপর ICJ-এর এখতিয়ার নেই। দেশটি তখন থেকে একটি নতুন গবেষণা পরিকল্পনা তৈরি করেছে; সেখানে বলা হয়েছে তাদের গবেষনার জন্য পরিচালিত তিমি শিকারের জাহাজগুলিকে পরবর্তী ১২ বছরে প্রায় ৪০০০ মিঙ্ক তিমি মারার অনুমতি দেবে।
ভাবা যায় এই সভ্য পৃথিবীতে এখন আমরা আজ কোথায় আছি???
~ মিঙ্ক তিমি
~ ফিন তিমি
***
২০১০ সালে ব্রিটেনের সানডে টাইমসের সাংবাদিকদের গোপন তদন্তে দেখা গেছে যে, অনেক উন্নয়নশীল দেশের কর্মকর্তারা সিবিআইকে তাদের সমর্থনের জন্য জাপানের কাছ থেকে আর্থিক অনুদান বা উৎকোচ গ্রহণ করেছে। লক্ষ লক্ষ বিদেশী উন্নয়ন সহায়তা ছাড়াও, সদস্যতা ফি, বিমান ভাড়া, হোটেলে থাকার খরচের অর্থ সবই সিবিআই-এর প্রতিনিধিদের সমর্থন পেতে জাপান সরবরাহ করেছিল। কিছু ক্ষেত্রে, নগদ অর্থও জাপানি কর্মকর্তাদের দ্বারা খামে উপস্থাপন করা হয়েছিল। তদন্তের রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও, প্রতিবেদনের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা ভোটের বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
~ গবেষণার নামে 'আই সি আর ডাব্লিউ' এর ব্যানারে জাপানের তিমি হত্যা।
সংরক্ষণবাদীদের হয়রানির কথা উল্লেখ করে জাপান অকালেই ২০১০ থেকে ২০১১ পর্যন্ত তার অ্যান্টার্কটিক শিকার শেষ করে। যাইহোক, ২০১১ সালের অক্টোবরে ঘোষণা করা হয়েছিল যে ২০১১-২০১২ তিমি শিকার পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে থাকবে।
***
জাপান সরকারের প্রতিক্রিয়া হল যে তিমি শিকার জাপানী সংস্কৃতির একটি প্রাচীন অংশ, যে জেলেরা বহু শতাব্দী ধরে তিমি শিকার করে আসছে, এবং জাপান কখনই বিদেশীদের তাদের লোকেদের বলতে দেবে না যে তারা কী খেতে পারে এবং কী খেতে পারে না৷
... অথচ গবেষণায় উঠে এসেছে যে , জাপানে তিমির মাংস কখনোই জনপ্রিয় ছিল না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, যুদ্ধের কারণে দেশটি বিধ্বস্ত হয়েছিল এবং মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল, মার্কিন জেনারেল ডগলাস ম্যাকআর্থার জাপানকে খাদ্যের জন্য বৃহৎ আকারের তিমি শিকার পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানান। যুদ্ধোত্তর যুগে তিমির মাংস স্কুলের মধ্যাহ্নভোজের প্রধান উপাদান হয়ে উঠেছিল এবং তিমি শিকার শিল্পটি উপকূলীয় বিভিন্ন সম্প্রদায়কে তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সহায়তা করেছিল।
কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই। বেশিরভাগ মানুষ এখন গরুর মাংস এবং শুয়োরের মাংস পছন্দ করে এবং তিমির মাংসের চাহিদা কমে গেছে। জাপান সরকারকে এখন শিল্পটিকে বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলারে ভর্তুকি দিতে হবে।
~ জাপানের টোকিওতে সুকিজি মাছের বাজারে তিমির মাংস বিক্রি হচ্ছে।
২০০৯ সালে, জাপানের ১.২ মিলিয়ন টন সামুদ্রিক খাবারের মধ্যে প্রায় ৫০০০ টন তিমির মাংস অন্তর্ভুক্ত ছিল। খোলা বাজারে তিমির মাংস আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় ২০০৫ সালে, জাপান সরকার দেশের মজুদ কমানোর একটি উদ্যোগের অংশ হিসেবে পাবলিক স্কুলকে স্কুলের খাবারে তিমির মাংস পরিবেশন করতে উৎসাহিত করা শুরু করে। একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ১৮ শতাংশ সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যাহ্নভোজ প্রদান করে। ২০০৯/২০১০ আর্থিক বছরে অন্তত একবার তিমি মাংস পরিবেশন করার আদেশ প্রদান করে।।
তিমির মাংসে মিথাইলমারকিউরির বিষাক্ত মাত্রার অভিযোগের কারণে স্কুলছাত্রীদের তিমি মাংস পরিবেশন করার সমালোচনা হয়েছে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লাল তিমির মাংসে পারদের মাত্রা খাদ্যের জন্য মার্কিন এফডিএ-এর সীমার চেয়ে ছয় গুণ বেশি। তিমির মাংস পলিক্লোরিনযুক্ত বাইফেনাইল দ্বারাও দূষিত হতে পারে। সমালোচকরা বলছেন যে দূষণের কারণে এটি স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করে। শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের তাই তিমির মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
***
আপনি জেনে আশ্চর্য হবেন, একটা বিড়ালের মৃত্যুতে যেই জাতি শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে অথচ তাদেরই সিংহভাগ মানুষ তিমি হত্যার প্রতি সায় দেয়। একটা জরিপে দেখা গেছে জাপানের ৫৪ ভাগ মানুষ তিমি হত্যার পক্ষে!
~ মিঙ্ক তিমি হত্যা।
***
জাপানের রয়েছে পেলাজিক তিমি শিকারের জাহাজ বহর, যা প্রতি বছর দক্ষিণ মহাসাগরে বড় তিমি শিকার করে। এই বহরে বেশ কয়েকটি জাহাজ রয়েছে যা তিমি শিকারের শিকার এবং প্রক্রিয়াকরণের পাশাপাশি প্রতিবাদের বিরুদ্ধে শিকারকে সুরক্ষিত করে। ২০০৯-২০১০ মৌসুমে, জাপানি বহরে একটি জাহাজে প্রক্রিয়াকরন কারখানা, চারটি তিমি শিকারী জাহাজ এবং দুটি নিরাপত্তা টহল নৌকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কোন আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে জাপানি স্ব-আরোপিত কোটায় ৯৩৫টি মিঙ্ক তিমি, ৫০ ফিন তিমি, এবং ৫০টি হাম্পব্যাক তিমি প্রতি মৌসুমে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
~ পেলজিক বহরের এক জাহাজে মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের অপেক্ষায় মৃত তিমির দল।
যখন একটি তিমি বা তিমির ঝাক দেখা যায়, তখন তিমি শিকারীরা তাড়া করে। গ্রেনেড-টিপড হারপুন দিয়ে সজ্জিত একটি হারপুন বন্দুক তিমিকে লক্ষ্য করে ট্রিগার করা হয়। হারপুনে একটা দড়ি জোড়া থাকে যাতে তিমিটি হারিয়ে না যায়। যদি বিস্ফোরক-টিপড হারপুন দ্বারা তিমিটিকে আঘাত করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে সেটা মারা না যায়, তবে একটি দ্বিতীয় হারপুন ব্যবহার করা হয় হয় এবং তিমিটি মারা না যাওয়া পর্যন্ত রাইফেল দিয়ে গুলি করা হয়। (তিমিকে ইলেক্ট্রোকিউট করার জন্য দ্বিতীয় হারপুন ব্যবহার করা একটি পুরানো পদ্ধতি এখন IWC দ্বারা নিষিদ্ধ।) পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলি রিপোর্ট করেছে যে, হারপুন দিয়ে আঘাত করে তিমিগুলিকে পিছনের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় ও চুবিয়ে দম বন্ধ করে মারা হয়।
~ হারপুন দিয়ে এভাবে তিমিকে পেছন দিকে টেনে চুবিয়ে দম বন্ধ করে মারা হয়। তিমি দীর্ঘক্ষন শ্বাস না নিয়ে থাকতে পারে। সূদীর্ঘ সময়ে জন্য দুঃসহ আঘাতের শারিরিক যন্ত্রনা ও নিশ্বাস না নিতে পারার কষ্ট - এর ভয়াবহতার অনুভুতি মানুষের বোঝার ক্ষমতা নেই।
জাপান কখনো কখনো প্রয়োজনের তুলনায় এত বেশী তিমি হত্যা করেছে যে, বাধ্য হয়ে তিমির মাংস জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করতে হয়েছে।
কিছু জাপানীয় উপকুলবাসীরা স্থানীয় শিশুদেরকে মৌসুমের প্রথম হত্যা দেখতে উৎসাহিত করে, তারপরে প্রথম তিমি হত্যা উপলক্ষ্যে একটা অনুষ্ঠানে সবাইকে তিমির মাংস পরিবেশন করা হয়। জাপান শুধু তিমি নয়, প্রতি মৌসুমে প্রায় বিশ হাজার (২০০০০) ডলফিন হত্যা করে।
ব্রিটিশ অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ এনভায়রনমেন্টাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি রাকুতেনকে "তিমি পণ্যের বৃহত্তম অনলাইন বিক্রেতা" বলে অভিযুক্ত করেছে।
~ যদিও রাকুতেন বেশ কিছুদিন হল পরিবেশবাদীদের চাপে অনলাইনে তিমির মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে কিন্তু এখনো আইভরি সহ বেশ কিছু জাপানিজ কোম্পানী দেদারসে অনলাইনে তিমির মাংস বিক্রি করছে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে জাপানের উচ্চ পদস্থ একজন সরকারী আমলা বলেন,
"আমি আপনার সাথে একমত," "অ্যান্টার্কটিক তিমি জাপানের সংস্কৃতির অংশ নয়। এটি আমাদের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির জন্য ভয়ানক এবং এই মাংসের তেমন কোন বাণিজ্যিক চাহিদা নেই। আমি মনে করি দশ বছরে জাপানের গভীর সাগরে আর কোন তিমি থাকবে না।"
"তাহলে আমরা এখন থামছি না কেন?" আরেক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করলেন।
"এখানে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কারণ রয়েছে- যেগুলি এখন বন্ধ করা কঠিন।"
তিনি আর কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চলে গেলেন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
***
~ তিমি এখনো পর্যন্ত মানুষের জ্ঞানের সীমার মধ্যে সুবিশাল মহাবিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রানী!!এমন বৃহৎ, চমৎকার, সুন্দরতম, বুদ্ধিমান, বন্ধুপ্রতিম একটা প্রাণীকে পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক সভ্যতম জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষায়-সংস্কৃতিতে বহুপথ এগিয়ে থাকা মানবাতার দীক্ষা দেয়া মানুষেরা কিভাবে হত্যা করে কেটে-কুটে খেয়ে ফেলে তা আমার মত অসভ্য জ্ঞান-গম্যিতে বহুদুর পিছিয়ে থাকা মানুষ ভাবতেই পারে না???
তথ্যসুত্রঃ
https://www.vox.com/
দ্যা গার্ডিয়ান
বিবিসি সহ অন্যান্য অনলাইন সুত্র
১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: ' আমার মনে হচ্ছে মানবজাতি 'মহাবিশ্বের উইপোকা' প্রথমে পৃথিবীকে কুরে কুরে খাবে পরে সৌরজগতকে তারপরে হানা দেবে বেই ছায়াপথের দিকে। প্রকৃতি বিরাট বেকায়দায় পড়েছে হোমোসেপিয়েন্সের এই জাত সৃষ্টি করে।
২| ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জাপানীরা ভদ্র আচরণের জন্য এখন বিশ্বব্যাপি সুপরিচিত। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দখলীকৃত দেশগুলোর নাগরিকরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল এরা কতোটা ভদ্র!!
পশ্চিমা দেশগুলো তাদের উন্নয়ন, শিষ্টাচার আর জ্ঞানের জন্য সুপরিচিত। তবে তথাকথিত অনুন্নত, আনকালচার্ড বিশ্বে এদের কুকীর্তি আর নিষ্ঠুরতা প্রমান দিয়েছে, আসলে তারা কি!!!
আম্রিকা বিশ্বে গনতন্ত্র আর মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার। বিশ্ব বাদ, এবার তাদের দেশের লোকজনরাই বুঝতে পেরেছে তাদের সরকার আসলে কি নিয়ে সোচ্চার।
ভারত দাবী করে তারা বিশ্বের সর্ববৃহৎ গনতন্ত্র লালনকারী দেশ। মোদী তার শাসনকালে প্রমান করে দিয়েছে ভারত আসলে কি লালনকারী দেশ!!!
মোদ্দাকথা, উন্নত-অনুন্নত বিশ্ব, সভ্য-অসভ্য জাতি বলে কোন কথা নাই। হিপোক্রেসী সবখানেই দেখা যায়। কেউ বাদ নাই। শুধু ঝোপ বুঝে কোপ মারার সুযোগের অপেক্ষা। বাকীটা থাকবে ইতিহাসের পাতায়।
এইবারের লেখাটা বেশ গোছানো হয়েছে। অভিনন্দন!!!
১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২১
শেরজা তপন বলেছেন: যাক তাও ভাল এবার অন্তত প্রশংসা করলেন খানিকটা। এইসব বিষয় নিয়ে এত বেশী নিবিষ্ট হয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সময় দিতে হয় যা এই যান্ত্রিক যাপিত জীবনে একেবারেই অসম্ভব! মাথায় সবসময় হাজারো আউলা ঝাউলা চিন্তা ভাবনা!
তিমি হত্যার এর থেকেও ভয়াবহ রোমহর্ষক নিবন্ধ নিয়ে আসার ইচ্ছে আছে সামনের পর্বে।
আপনার কথার সাথে সহমত না হয়ে উপায় কি। ওদের একদম কাছে থেকে নিয়মিত দেখছেন আপনি।
জাপানিজদের কখনোই আমার সভ্য জাতি মনে হয় নি। ওরা সবচেয়ে হিপোক্রেট ও স্বার্থপর জাতি।
৩| ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫
লেখার খাতা বলেছেন: বস পোস্ট মনে হয় হালকা এডিটের দরকার আছে। প্রথম পৃষ্ঠায় বাকি টুকু পড়ুন লিংক আকারে দেখাচ্ছে।
১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: পোস্ট দিয়ে বাইরে গিয়েছিলাম- ভাল করে দেখার সুযোগ পাইনি। ধন্যবাদ আপনাকে- এখন ঠিক করে দিয়েছি।
ভালবাসা নিরন্তর!
৪| ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৭
লেখার খাতা বলেছেন:
১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: আহা বেশ কষ্ট করেছেন- এত ভালবাসার প্রতিদান দিই কিভাবে!!
৫| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় নিয়ে শ্রমসাধ্য লেখা।
তিমি শিকারের মত আরো সব পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ উন্নত বিশ্বের লোকেরাই বেশি করে। ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার যেমন এই দেশগুলোতে বেশি, তেমনি পারমাণবিক বর্জ্য থেকে শুরু করে অতীতে এবং বর্তমানে প্রাণ-প্রক্বতি তারাই বেশি নস্ট করেছে। বর্তমান সময়ে এই কাজগুলো বেশি হচ্ছে তেল বা অন্য কোন মিনারেল নিষ্কাশন করতে গিয়ে।
সভ্যতার ভিতরে যেখানে প্রবল লোভ এবং ভোগবাসনা আছে সেখানে আমাদের নিজেদের ধ্বংস করার বীজও লুকানো আছে। লোভের পিছনে ছুটতে দুটতে আমরা নিজের অজান্তেই নরখাদক (Cannibalism) হয়ে উঠেছি।
১৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের মত চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলে মনুষ্য প্রজাতিরসভ্য অসভ্য শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে সবাই কম-বেশী খুনী নিশ্বংস বা হন্তারক ! আমরা কেউ এই দায় থেকে মুক্ত নই। জেনে বুঝে না জেনে না বুঝে প্রতি মূহুর্তেই আমরা প্রাণ হত্যা করে যাচ্ছি। এরপরেও চোখে পড়ার মত কিছু বিষয় থাকে -অপ্রয়োজনীয় কিছু হত্যা। যে প্রাণিগুলো বিশ্বে বিরল বা যেসকল জীব বৈচিত্র হুমকির সম্মুখীন তাঁর কিছু হয়তো টড়াইবাল জনগোষ্ঠী না বুঝে জীবন বাচানোর তাগিদে হত্যা করছে সেটা মেনে নেয়া যায় কিন্তু যখন সারা বিশ্বের পরিবেশ বিজ্ঞানী অনুরোধ সতর্কতা ও আইনের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও গবেষণার নামে একটা সভ্য দেশ এভাবে নির্বিচারে হত্যা করবে সেটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এটা মানুষ হত্যার থেকেও ভয়ঙ্কর হত্যার সামিল বলে আমি মনে করি।
ইকো সিস্টেমের ভারসাম্যের জন্য এসব প্রাণীর যে কত প্রয়োজন সেটা ব্যাখ্যাতীত!
এই কিছুদিন আগে গবেষনায় প্রকাশিত হয়েছে; তেলাপোকা আর মশা না থকলে প্রকৃতি পরিবেশ কিছু প্রাণী কি মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হত তাই নিয়ে। ভাবা যায়/ আর আমরা এই পতঙ্গদ্বয়কে সমুলে ধ্বংস করার জন্য কত লক্ষ কিসিমের মরন ফাঁদই না আবিস্কার করেছি আজ অবধি।
৬| ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:০২
কামাল১৮ বলেছেন: মানব প্রজাতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য নর্ডিক দেশগুলির অবদান সবথেকে বেশি।যেখানে আমাদের দুই পয়সার অবদান নাই।কিন্তু কথা বলি অনেক বড় বড়।
১৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমারতো মনে হয় মানবকুলের পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য মৌমাছির যতটুকু অবদান আছে তাঁর হাজার ভাগের একভাগ মানুষের নিজেদের নেই।
আপনি যদি নর্ডিকদের অবদানের কথা দু'য়েকটা টিকা দিয়ে বলে দিতেন তাহলে আলোচনা করতে সুবিধা হোত?
৭| ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৫:২৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভুয়া মফিজ সঠিক বলেছে। জাপানিরা কতটুকু ভদ্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দখলীকৃত দেশগুলোর নাগরিকরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল!
জাপানিরা এখনো ভদ্র নয়। দেশের সিস্টেম তাদেরকে ভদ্র হতে বাধ্য করেছে।
তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে তিনি শিকার খুব একটা খারাপ মনে করি না। যদি সীমিত পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের ভিতরে তিমি শিকার করা হয়।
১৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: সুমুদ্রে বৃহৎ আকারের অন্য মাছ যদি শিকার করা যায় তো তিমি শিকার করতে দোষ কি?
এটা একটা যৌক্তিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন- যেটা জাপানসহ তিমি শিকারি সবগুলো দেশ করে। এটা জানতে হলে তিমি সন্মন্ধে আপনাকে ডিটেইল অধ্যায়ন করতে হবে। তিমি শুধু সাধারণ বৃহৎ আকারের মাছ বা বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যামেলস নয় এর বাইরেও অনেক কিছু। সাধারণের চোখে ধোঁকা দেবার জন্য অন্য সব সামুদ্রিক প্রাণীর সাথে একে গুলিয়ে ফেলে হত্যা করার জন্য হালাল করার চেষ্টা করা হয়।
সুযোগ পেলে তিমি নিয়ে সুদীর্ঘ আলোচনা করব; আশা করি তখন আপনার মনে হবে, তিমি হত্যা বড় অন্যায় কাজ!
৮| ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৯
ধুলো মেঘ বলেছেন: জাপানী সৈন্যদের ভদ্রতা খুব ভালো ভাবে টের পেয়েছে কোরিয়ান নারীরা। যুদ্ধবন্দী কোরিয়ান নারীদেরকে ধর্ষণের সময় তারা একই সাথে ধর্ষিতার অঙ্গচ্ছেদ করতো, যাতে একই নারীকে দ্বিতীয় কেউ ধর্ষণের সুযোগ না পায়। অঙ্গচ্ছেদের সময় ধর্ষিতার চিৎকার তাদের আনন্দ বহুগূণ বাড়িয়ে দিত। এহেন বিকৃতকামী জাতি তিমি কেন, সুযোগ পেলে মানুষ শিকারের মধ্যেও ঐতিহ্য খুঁজবে।
২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: পৃথিবীর সব সভ্য জাতিতের অতীত ঘেটে দেখলে ভয়ঙ্কর সব নিশ্বংসতার তথ্য বেড়িয়ে আসবে! আজো অব্দি তারা বাইরের মুখোশটা পরে আছে মাত্র- অবশ্য সব সমাজ বা জাতিতে কিছু মানুষ আছে নিশ্চিতভাবে মহান মানবিক ও হৃদয়বান, সেটা জাপানিজ জাতি কিংবা আফ্রিকান জুলু জাতিতেও বর্তমান। অপ্রয়োজনে বন্যপ্রাণী হত্যায় আমরাও পিছিয়ে নই।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৯| ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭
বিষাদ সময় বলেছেন: জাপানী জাতির সভ্যতা সম্পর্কে উপরে অনেকেই অলোকপাত করেছেন তাই এ বিষয়ে আমার তেমন কিছু বলার নাই। যে জাতির মধ্যে harakiri নামক একটি প্রথা দীর্ঘদিন চালু থাকতে পারে তারা কতটা নিষ্ঠুর এ থেকেই বোঝা যায়। যারা নিজের ব্যাপারে এতো নিষ্ঠুর তারা অন্য কিছুর ব্যপারে আর কতটা হৃদয়বান হবে।
আসলে প্রথাগত অভ্যাস মানুষের জিনের ভিতর মিশে যায়। তাই যার যার প্রথা তার কাছে নিষ্ঠুর লাগেনা। আমরা বিভিন্ন লেকে বড়শি দিয়ে মাছে ধরে কত নির্মল আনন্দ পাই অথচ বড়শি গেলার পর যখন হইল ছিপ দিয়ে টান দেয়া হয় তখন মাছের কি অবস্থা হয় আমরা উপলব্ধি করি কি? করিনা কারন আমাদের প্রথায় ওটা আনন্দের খোরাক জোগায়।
ক'দিন পর কুরবানী, রাস্তায়, অলিতে-গলিতে পশু জবাই করে রক্তের শ্রোত বইয়ে দেব। ক'জনার কাছে অমানবিক মনে হবে। সৌদিতে পশু কুরবানী দিয়ে সেগুলো সরিয়ে কোথাও ফেলার জন্য বিভিন্ন যন্ত্রদানব নিরলস প্রচেষ্টা চালাবে। ক`জনার কাছে এটা অপ্রয়োজনীয় মনে হবে।
উপরের পোষাকে, মুখোশে আমরা সভ্য খুলে ফেললেই সবার ভিতরেই আদিম শিকারী পূর্ব পুরুষের মন, মানসিকতা, অবয়ব। ধন্যবাদ।
২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: গেইসা, সামুরাইদের মাঝে হারিকুরি ভয়ঙ্কর সব প্রথা বিদ্যমান ছিল জাপানে।
পুরো মানব জাতিতে হত্যা নিশ্বংসতায় কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নেই- সবাই সুযোগ ও সুবিধার অপেক্ষায় থাকে।
প্রয়োজনে সবকিছুকে হালাল করে জাতিপ্রথা ও সাংস্কৃতির অঙ্গ বানিয়ে যে কোন ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডকে মানুষ উৎসব বানিয়ে ফেলে। সেটা কখনো কখনো মানুষ হত্যাও হতে পারে। মহাজগতে এর থেকে বড় নিষ্ঠুর হত্যাকারী আর কোন মনস্টার আসেনি।
১০| ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৫
করুণাধারা বলেছেন: সুলিখিত প্রবন্ধ। অনেক কিছু জানলাম। তিমি যে এতো নামে আছে সেটাও আগে জানতাম না!!
জাপানিরা নিষ্ঠুর এটা সবাই জানে। গবেষণার নামে তাই নির্বিচারে তিমি হত্যা করা তাদের জন্য খুব স্বাভাবিক। কিন্তু তারা কী গবেষণার নামে এভাবে হত্যা করছে? এটা কি তিমির উপরেই গবেষণা, যেমন বুদ্ধিমান প্রাণী ডলফিনের উপর গবেষণা করা হয় নাকি তিমির অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কিভাবে বানিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যায় সেই গবেষণা?
২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। তিমিতো আরো বহু পদের আছে। আমাদের চিরপরিচিত বিশালাকার নীলতিমির কথাতো লিখিনি। এছাড়া কিলার হোয়েল আর কিউট বেলুগা তিমিতো আছেই।
অবশ্য আমিও একসময় জানতাম না তিমির এত পদ
কিন্তু তারা কী গবেষণার নামে এভাবে হত্যা করছে?
~ এইটাই তো খোলসা করেনি তারা আসলে কি গবেষণার নামে এইভাবে তিমি হত্যা করছে। এখন তারা তিমির মাংস আমদানীও করছে। জানতেপেলাম, চাহিদার তুলনায় অনেক বেশী আমদানী করে তারা বিপদে পড়েছে। সেই মাংস নিয়ে কি করবে এখন ভেবে পাচ্ছে না!! ভু- রাজনৈতিক অভ্যান্তরিন কিছু একটা ব্যাপার আছে- যা আমরা জানি না- জানবাও না কোনদিন।
১১| ১৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
প্রামানিক বলেছেন: পরিবেশ বিপর্যয় হওয়ার নমুনা
২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: ওটা হতে আর বাদ আছে কিছু ভাই- প্রকৃতি বিপর্যয়ের জন্য যে বাঁশ দেয়ার তা দেয়া হয়ে গেছে!!
১২| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২
কামাল১৮ বলেছেন: আমরা যে আজকে পলিও,ডিপথেরিয়ার ও বসন্তের টিকা দেই সেটা ঐ দেশগুলি বিনা পয়সায় সাপ্লাই করে।পলিও টিকা না দিলে দেশের অর্ধেক লোক পঙ্গু হয়ে যেতো।বসন্তে দেশের অর্ধেক লোক শেষ হয়ে যেতো।বিনা পয়সায় পাই বলে আমরা তার মর্ম বুঝি না।
২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: কি এক চরম ভুল ধারনা নিয়ে আছেন ভাই। ঠিক আছে পরে সময় করে কথা হবে।
১৩| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৩
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: জাপান বিশ্বের বর্তমানে ভদ্র শুশীল দেশ ।
...................................................................
এই জাপান আমি ভিজিট করি ২০১২ সালে ।
আমাদের গাইড তখন আমাকে বলেছিলো এই তোমরা যদি ১৯৬০
সালের আগে এদেশে আসতে তাহলে পলকের মধ্যেই তোমাদের শিরচ্ছেদ করা হতো ।
এটা বলা হয়ে ছিলো তাদের পূর্বের আচার, আচরন বোঝানোর জন্য ।
এখন তারা আমাদেরকে সবচেয়ে কম সুদে টাকা ধার দেয় ।ভালো ভালো প্রজেক্ট করে ।
তাদের অতীত থেকে বেড়িয়ে আসতে চায় ।
তাই বলে তাদের সকল ম্বভাব এত দ্রুত চলে যাবে আশা করা বৃথা ।
২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের গাইড তখন আমাকে বলেছিলো এই তোমরা যদি ১৯৬০
সালের আগে এদেশে আসতে তাহলে পলকের মধ্যেই তোমাদের শিরচ্ছেদ করা হতো । ~ আসলেই কি এত খারাপ ছিল? কিন্তু সুভাষ বোসের সাথে তো জাপানিজদের দারুণ সখ্যতা ছিল। রবি ঠাকুর আর বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল এর জন্যতো ওরা আমাদের আলাদা খাতির করত বলে জানি ...
জাপানিজদের সাথে ৩০ বছরের অধিককাল আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক আছে- তাই ওদের বেশ ভাল করে চিনি জানি।
১৪| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:১৯
রাফখাতা- অপু তানভীর বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ার সময় আমার এভাটার দ্য ওয়ে অব ওয়াটার মুভির কথা মনে পড়ল। এই মুভিতেও মানুষের নিষ্ঠুর হত্যার প্রক্রিয়া দেখানো হয় ।
সবই দেশই আসলে সভ্য আর মানবতার মুখোশ পরে থাকে । তাদের আসল চেহারা জানে কেবল ভুক্তভোগীরাই।
২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: এর থেকেও ভয়াবহ তিমি হন্তাকারি আছে আরো এক সভ্য দেশ- তাদের তিমি হত্যা ছিল লাগামছড়া। ওদের নিয়ে লিখব আর এক পর্বে।
দারুণ কথা বলেছেন। সভ্যতার মুখোশ খুলে পড়ে অভাব আর যুদ্ধে।
১৫| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- মানবজাতী পৃথিবীর জন্য হুমকির কারণ আদিতে ছিলো, এখনো আছে, আগামিতেও থাকবে।
২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনিতো পৃথিবীকে নিয়ে ভাবছেনার আমিতো পুরো সৌরজগত মায় মিল্কিওয়ে নামক ছায়াপথ নিয়েই শঙ্কিত!
একটা সিস্টেম এলোমেলো করে দিলেই কাম খতম
১৬| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মানুষের আগ্রাসন থেকে কোন কিছুই রেহাই পাচ্ছে না, সমস্ত প্রাণী ধ্বংস করার পর একসময় মানুষ নিজেই নিজেদের মারতে শুরু করবে।
২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: মানুষতো নিজেদের সেই আদিকাল থেকেই মারছে। নিজেদের হত্যা করার জন্য যত অত্যাধুনিক মারনাস্ত্র তৈরি করেছে সে তুলনায় মানব সেবার জন্য উন্নয়নের জন্য একাংশও করেনি। পরিবেশ-প্রাণিকুল ধ্বংস করলে মানুষ এমনি্তেই সাফ হয়ে যাবে!
১৭| ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
জাপানীদের তিমি শিকাড় বিশ্বজুরেই নিন্দা কুড়াচ্ছে
যেমনটি কুড়িয়েছে আমিরিকা জাপানে এটম বোমা ফেলে।
International Whaling Commission (IWC) থেকে
বের হয়ে তারা হয়তবা তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে
তিমি শিকাড়ে । তদের হুয়েলিং সিটির রমরমা অবস্থার
পতনের মত তাদের কথিত সংস্কৃতিরো হয়তোবা আরো
অনেক বেশী পতন হবে যদি তারা তাই সামনে রেখে
তিমি শিকাড়ে বেশী করে মত্য হয় ।
যাহোক, এই সভ্য জাতিটির বোধোদয় ঘটুক আর
বিপন্ন তিমিকুল রক্ষা পাক এ কামনাই করি ।
তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
শুভেচ্ছা রইল
২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:০০
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যে আসার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
হোয়েলিং এর সাথে আরো বড় রাঘব বোয়ালেরা জড়িত- তাদের কথা আসছি পরে, ওদের টার্গেট অযথাই বিশ্বকে তিমি শুন্য করা!
শুভকামনা রইল ভাল থাকবেন।
১৮| ২৩ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে জাপানের উচ্চ পদস্থ একজন সরকারী আমলা বলেন,
"আমি আপনার সাথে একমত," "অ্যান্টার্কটিক তিমি জাপানের সংস্কৃতির অংশ নয়। এটি আমাদের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির জন্য ভয়ানক এবং এই মাংসের তেমন কোন বাণিজ্যিক চাহিদা নেই। আমি মনে করি দশ বছরে জাপানের গভীর সাগরে আর কোন তিমি থাকবে না।"
"তাহলে আমরা এখন থামছি না কেন?" আরেক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করলেন।
"এখানে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কারণ রয়েছে- যেগুলি এখন বন্ধ করা কঠিন।"
মূল গল্প তো এইখানেই নিশ্চুপ হয়ে আছে, যা আমরা কোনদিন ও জানতে পারবো না। এমন অন্যায় নিষ্ঠুরতা বর্বর কাহিনী গুলো কবে যে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে।
২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: হোমোসেপিয়েন্সের এই জাতুটি যতদিন পৃথিবীতে থাকবে ততদিন এই বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলতেই থাকবে। এরপরও কিছু মানুষ আছে প্রকৃতি ও পৃথিবীকে ভালবেসে বুকে জড়িয়ে রাখে , প্রয়োজনে নিজের জীবন বিলিয়ে দেয় অকাতরে- কি যে এক এলোমেলো ক্যামোফ্লেজ সৃষ্টি করেছেন ঈশ্বর!
১৯| ১৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: জাপানিদের বর্বরতা সম্বন্ধে কেবলমাত্র চৈনিক, কোরিয়ানদের মত ভুক্তভোগীরাই ভালো জানে। সমষ্টিগত পাপের বোঝা জাপানি জাতি তাই এখনও বয়ে চলেছে।
নির্বিচারে হত্যার মাধ্যমে যেকোন প্রাণী প্রজাতিকে পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে বিলুপ্ত করে দেয়া একটা মহাপাপ।
জাপানিদের জীবন যান্ত্রিক জীবন, রবোটিক জীবন। এমন জীবন কোন স্বাভাবিক মানুষের জীবন হতে পারে না। এ নিয়ে মনিরা সুলতানাও একটা পোস্ট লিখেছিলেন।
"সভ্যতার ভিতরে যেখানে প্রবল লোভ এবং ভোগবাসনা আছে সেখানে আমাদের নিজেদের ধ্বংস করার বীজও লুকানো আছে। লোভের পিছনে ছুটতে দুটতে আমরা নিজের অজান্তেই নরখাদক (Cannibalism) হয়ে উঠেছি" - শ্রাবণধারা'র এ চমৎকার মন্তব্যটি ভালো লেগেছে। তবে ব্রাকেট এর কথাটা cannibalism না লিখে cannibalistic লিখলে যথোপযুক্ত হতো।
'করুণাধারা'র মন্তব্যটা একটু তির্যক, কিন্তু কৌতুহল জাগানিয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৪
রানার ব্লগ বলেছেন: এর সুফল একদিন মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাবে কিন্তু তখন সুধরানোর সময় থাকবে না ।