নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাতি লেখক হলেও মূলত পাঠক, শিখছি ; কোরার পর এখানেই নিয়মিত লিখবো
সীমু পার্ট -১
মেসে শুয়ে আছি । আজকে থেকে শীতের শুরু হয়েছে বোধকরি । শীত শীত লাগতেছে। মেসে কোনো ধরনের বাংলা বা ইংরেজি কেলেন্ডার নেই। থাকলে বাংলা তারিখটা বলা যেতো। তবে একেবারেই নেই বললে ভুল হবে। পুরনো দিনের একটা কাটা ছেড়া কেলেন্ডার আছে। তবে সেটা বছর তিনেক পুরনো। পুরোনো হলেও রাখার একমাত্র কারণ হলো সেখানে থাকা ছবিটা। একটি সুদর্শন ছেলে নদীর পাড়ে গাছের নিচে বাঁশি বাজাছে। আর দূর থেকে পানি ভর্তি কলস হাতে খোলা ভেজা চুলে দাঁড়িয়ে আছে একটি কিশোরী। হয়তো মেয়েটির বাঁশির মধুর সুর শুনতে ভালো লাগে। হয়তোবা তার বাড়িতে অনেক কাজ পরে আছে। তবুও তার সেই বাঁশির সুর শুনতে মন চায়। আরও কিছু সময় এবং আরো কিছু সময় সে ভেজা শাড়িতে দাঁড়িয়ে বাঁশির সুর শুনতে চায়। তবে আমার ভালো লাগার কারণ মোটেও এটা না। কারণটা হলো যুক্তিবিদ্যার। মেয়েটির যদি বাঁশির সুর শুনতে এতোই ভালোলাগে তবে সে ছেলেটির কাছে কেনো গেলো না। তার পাশে বসে ঘারে ভেজা কালো রেশমী চুল এলিয়ে দিয়েও তো বাঁশির সুর শুনতে পারতো । চিত্র শিল্পী কি কারণে তাদের আলাদা করে রেখেছেন। যদি কোনদিন ঐ চিত্রকরের সাথে দেখা হয় এটা তাকে জিজ্ঞেসা করার জন্যই আধছেড়া লিপিয়ার সালের ক্যালেন্ডারটি রেখেছি। আজকাল লোকে বলে আমার মনভোলা রোগ হয়েছে । অনেক কিছুই ভুলে যাই। এই যেমন সীমুর দেওয়া চিঠিটার কথাই ধরুন না !! আচ্ছা সেঘটনা পরে বলছি । এই প্রশ্নের কথাও যাতে ভুলে না যাই সেজন্যই রাখা । যাইহোক নতুন কেলেন্ডার থাকলে হয়ত তারিখটা বলতে পারতাম। তবে এখন যে সকাল ১০ বাজে এটা আমি নিশ্চিত। কারণ মেস মালিকের বাড়ির ওয়াল ঘড়ির ঢং ঢং আওয়াজ। প্রতিদিন ঠিক ১০ ঘটিকায় বেডা বাজে। কিছুখুন আগেও বেজেছে। ঘুমটা ভেঙেছে কার যেনো ডাকে। ছোটো ছেলেমেয়েরা যেমন মারের ভয়ে পাগলের মতো পড়া মুখস্ত করে ঠিক সেরকমই ডাকাডাকি। গলাটা একটা মেয়ের। কিন্তু কার সেটাই ভাবছি। হঠাৎ মনে হলো এটা তো সীমুরগলা। ভালো নামএকটা ছিল মনে হয় এখনো জানা হয় নি। হাই তুলতে তুলতে দড়জা খুল্লাম। সীমু খুব রেগেছিল বোঝাই যাচ্ছে । মেয়েরা ভালোবাসলে উপর থেকে বোঝাা যায় না তবে মেয়েরা রেগেগেলে খুব সহজেই বোঝা যায়।
"কি খবর সীমু, কেমন আছ?"
"ভালো, তুমি কেমন আছো ? আর আমার দেওয়া চিঠিটা পড়েছো।"
" এইতো বেঁচে আছি ,খাচ্ছিদাচ্ছি । ওহ তোমার ঐ চিঠিটা তো ; না মানে এখনও পড়া হয় নি। তাছাড়া। "
এবার মনে হয় রাগটা আরও অনেক বেড়ে গেলো।এই প্রথম কোনো মেয়েকে দেখছি যাকে রাগলে খুবই আশ্চর্যরকম সুন্দর লাগে। রাগে তার ঠোঁট জোড়া কাঁপতেছে।
"তাছাড়া কি হা, তাছাড়া কি??"
"চিঠি যতো দেরিতে পড়া হবে তত ক্ষণ মজা থাকবে । পড়লেই তো সব মজা, সব এক্সাইটেড শেষ। "
"আছা , তুমি অদ্ভুত কেনো হা। "
" কই না , আমি তো সাধারণ । অতি সাধারণ বলেই হয়তো আমাকে তোমার অদ্ভুত মনে হয়। "
"আছা ঠিক আছে। চিঠিটা তাড়াতাড়ি পড়ে রেজাল্ট জানিও ; তাড়াতাড়ি।"
"তুমি তো কোনো চাকরির জন্য এপ্লিকেশন করো নি যে রেজাল্ট চাইবে। তাছাড়া চিঠিতে কি আছে তা তো মুখেও বলা যায় । "
"না, মুখে বলা যায় না। "
"ওহ আছা,"
"কি আছা, তাড়াতাড়ি যেন রেজাল্টটা পাই। এখন বাড়ি যাব। পরে দেখা হবে। "
"কিছু খেয়ে যাও , অবশ্য টিনের বাক্স একটা কসমস বিস্কুট ছাড়া তেমন কিছু নেই , চা আছে খাবে সে।"
"তাও তো আমাকে বানিয়ে খেতে হবে , আর তোমার বিস্কুট তো ডাইনোসরের আমলের। তাছাড়া আজ আমার সময়ও নেই , অনেক কেনাকাটা করার আছে , বিকেলে দেখা করিও তো তোমার জন্যও কেনার আছে ।
"আমার তো লাগবেই না কিছু"
" কথা বাড়াইও না , লাগবে মানে লাগবেই "
" আছা ঠিক আছে।" রাগের রণচণ্ডী মুখ দেখে আর কিছু বলার সাহস হলো না।
সে চলে গেল।
মুখটা ধোয়া দরকার।
মুখটা ধুয়ে সীমুর চিঠিটা বুকের ডান পাশের পকেটে রেখে বেড়িয়ে পরলাম । একটা কথা মনে হলো পকেট সবসময় বুকের ডানপাশেই কেনো থাকে। বাঁ পাশে থাকলে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হতো। আমার এক বন্ধু টেইলর তাকে জিজ্ঞেসা করা যেতে পারে।
আমার লেখা গল্প। বিশেষ দ্রষ্টব্য:আমি হিমু সাহিত্য ভালোবাসি। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা।যদিও হিমুর হলুদ পাঞ্জাবীতে কোনো পকেট ছিলো না কিন্তু আমার হলুদ পাঞ্জাবীতে পকেট আছে । বুকের বাঁ পাশে , যেখানে টাকাকড়ির পরিবর্তে সীমু নামের কোনো একটি রাগী সুন্দরী মেয়ের হাতে লেখা চিঠি রাখা যায় । { তিন বছর পুরনো এই গল্পের ২য় পার্ট এখনো লেখা হয়ে উঠে নি } পাঠকগণকে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। © ভাস্কর রায় ( সৌরভ রাজধন) ছবি : ফেসবুক
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৪
ভাস্কর রায় ( সৌরভ রাজধন ) বলেছেন: কিজানি, হয়তো এখন দ্রুতগতিতেই পদোন্নতি হচ্ছে। ব্লগে দ্রুত গতির মেট্রোরেলর ছোঁয়া লাগলো কি না !!
হিমুদের দেখতে পারলে ভালোই লাগে; ওহে আপনার মূল্যায়নের জন্যে ধন্যি
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৬
ভাস্কর রায় ( সৌরভ রাজধন ) বলেছেন: এই যা রিয়েক্ট মারতে গিয়ে এংরি মেরে দিয়েছি; ভুলখানা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পকেট সবসময় বুকের বা পাশেই থাকে ডানে নয়, আর কোন পাঞ্জাবীতে আমি কখনো পকেট দেখিনি।
গল্প ভালো হয়েছে, ব্লগে স্বাগতম।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৯
ভাস্কর রায় ( সৌরভ রাজধন ) বলেছেন: পকেটের ব্যাপারটা অবগত সাথে পাঞ্জাবীতে না থাকা বিষয়টাও নিতান্তই গল্প বলে লেখা ।
গল্প মূল্যায়নের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জ্যাক স্মিথ
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো হয়নি। এর চেয়ে সুন্দর আমি লিখতে পারি।
তবুও আপনাকে অভিনন্দন। ভালো থাকুন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:১৩
ভাস্কর রায় ( সৌরভ রাজধন ) বলেছেন: মূল্যায়নের জন্য ধন্যবাদ; ভবিষ্যতে গল্প লেখার ক্ষেত্রে আপনার কথা মনে থাকবে। আপনার লেখা গল্প পড়ারও অভিপ্রায় রয়েছে যদি কিছু শিখতে পারি । আপনার লেখা প্রিয় কোন গল্প থাকলে সাজেস্টেড করতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: একদিনেই প্রথম পাতায় !!
বেশ চমকপ্রদ তো , আমার অবশ্য ঠাঁই পেতে প্রায় এক মাস লেগেছে । সে যাকগে , আপনার লিখাটা দারুণ হয়েছে । নিজের পুরনো অনেক কথা মনে পড়ে গেল । একসময় আমিও হিমু ছিলাম , ভুল বললাম এখনও আছি !!