|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 
 
শিল্পীর চোখে ভিসুভিয়াসের অগ্নুৎপাত। পিয়ার জ্যাগ ভুলেইর (১৭৭০) পেইন্টিং।
  
 
সমস্ত আগ্নেয়গিরি জীবনে অন্ততঃ ৫০ বার অগ্নুৎপাত করেছে ভিসুভিয়াস।  শেষবার (আপাততঃ) করে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৪ এর মার্চে।
  
 
বাস থামার স্থান আর চুড়ায় উঠার ট্রেইল।
স্বপ্নযাত্রা: ইটালী - ৩
ভিসুভিয়াস। নামটার মধ্যেই কেমন যেন একটা ভীষন ভয়ানক আর অশুভ ভাব আছে। আজ ইওরোপের একমাত্র জীবন্ত এবং পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর এই আগ্নেয়গিরি দেখতে যাওয়ার কথা। 
জীবনে কোনদিন সামনাসামনি কোন আগ্নেয়গিরি দেখিনি, তাও আবার জীবন্ত এবং যার ইতিহাস এতটা ভয়াবহ। সেজন্যে খুবই উত্তেজিত! পম্পেই থেকেই ভিসুভিয়াসের প্যাকেজ ট্যুরের বাস যাতায়াত করে। কিন্তু আমার প্ল্যান একটু ভিন্ন। আগেই জানা ছিলো পম্পেই এর সাথে সাথে ভিসুভিয়াস আরেকটা শহরও ধ্বংস করে, যার নাম হারকিউলেনিয়াম। এটি ভিসুভিয়াসের কাছেই অবস্থিত। ভিসুভিয়াস থেকে পম্পেই এর দুরত্ব ১৩.৫ নটিক্যাল মাইল আর হারকিউলেনিয়ামের দুরত্ব প্রায় ৪ নটিক্যাল মাইল। পম্পেই দুরে হওয়াতে লাভাস্রোত এই নগরী পর্যন্ত আসতে পারেনি, চাপা পড়েছিল বাতাসে ভেসে আসা ছাই আর পিউমিসের নীচে। কিন্তু হারকিউলেনিয়াম লাভার নীচে চাপা পড়েছিলো। পম্পেই ছিল একটা নগরী এবং সেসময়ের বিখ্যাত জনপদ, আর হারকিউলেনিয়াম ছিল একটা ছোট শহর, তাই এটি ততটা প্রচার পায়নি। 
রিসেপশানে আলাপ করে জানলাম এরকোলানো শহর (যেখানে হারকিউলেনিয়ামের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে) থেকেও ভিসুভিয়াসের প্যাকেজ ট্যুরের বাস যাতায়াত করে। তাই ঠিক করলাম প্রথমে এরকোলানো যাবো, সেখানে হারকিউলেনিয়ামের ধ্বংসাবশেষ দেখে ভিসুভিয়াস অভিযান শেষ করে আবার পম্পেই ফিরবো কারন এখান থেকেই আমাকে বিকেলে রোমের বাস ধরতে হবে।
দুপুর ১২ টা হচ্ছে হোটেলের চেকআউটের শেষ সময়, আমার সব ঘুরে ফিরতে ফিরতে প্রায় বিকাল হয়ে যাবে তাই সকালেই চেকআউট করে ব্যাগ রিসেপশানে রেখে ট্রেনে চেপে বসলাম। এরকোলানো ট্রেন স্টেশানের সাথেই ভিসুভিয়াস ট্যুরের অফিস, সেখান থেকেই বাস ছাড়ে আবার সেখানেই নামিয়ে দেয়। ট্রেন থেকে নেমে আগে ভিসুভিয়াসের টিকেট করে রওয়ানা দিলাম হারকিউলেনিয়ামের দিকে। খুব কাছেই, ট্রেন স্টেশান থেকে ৭/৮ মিনিটের হাটাপথ। হারকিউলেনিয়াম দেখে একটু হতাশই হলাম। আসলে এটাও দেখার মতো তবে খুব একটা বড় না। আমার মনে হলো যেন পোলাও খেয়ে পান্তা খেলাম! বুঝতে পারলাম, হারকিউলেনিয়াম দেখা উচিত পম্পেই এর আগে!  
     
   
  
   
হারকিউলেনিয়াম, প্রবেশপথ
   
 
  
 
হারকিউলেনিয়ামের ২টা ছবি
১১ টার সময় আমাদের বাস যাত্রা শুরু করলো ভিসুভিয়াসের উদ্দেশ্যে। এই পর্বতটার উচ্চতা পম্পেই ধ্বংসের আগে ছিলো প্রায় ৯,০০০ ফিট। পম্পেই অগ্নুৎপাতের সময় প্রচন্ড বিস্ফোরনে এর চুড়া উড়ে যায় আর একটা বড় অংশ ধ্বসে পড়ে। পরবর্তীতে এটি আরও কিছুটা উচ্চতা হারায়। বর্তমানে এর উচ্চতা ৪,২০০ ফিট। এর জ্বালামুখের গভীরতা ২,৩০০ ফিটের মতো। পম্পেই এর পরে আরও অনেকবার এটি অগ্নি উদগীরন করেছে, শেষবার ১৯৪৪ সালে। এর উদগীরনের ট্রেন্ড বিশ্লেষন করে বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে, এর পরবর্তী উদগীরন হবে ভয়াবহ কারন এটি ইতোমধ্যে প্রচুর শক্তি সন্চয় করে ফেলেছে! আমি অবশ্য আল্লাহর নাম নিচ্ছিলাম যেন আমি থাকতে থাকতে এটি আবার শুরু না করে দেয়, তাহলে সামুতে আর এর দর্শনের পোষ্ট দেয়া সম্ভব হবে না!!!      
সাপের মতো প্যাচানো রাস্তা দিয়ে বাস যতো উপরে উঠতে লাগলো, ততোই দৃশ্যপট পাল্টে যেতে থাকলো। একপর্যায়ে এমন এক গা ছমছম করা পরিবেশে চলে এলাম যা পৃথিবীর সাধারন পরিবেশ থেকে আলাদা। চারিদিকের মাটি পাথর সব কেমন কালো কালো। গাছের গোড়াগুলিও যেন কেমন! আস্তে আস্তে গাছের পরিমানও কমে গেলো। আশেপাশের পর্বতের ঢালগুলোও যেনো পোড়া। অবশেষে প্রায় ১,৬০০ ফিট উচ্চতায় এসে বাস থামলো। 
  
 
  
 
চলন্ত বাস থেকে তোলা, ছবিতে যেমনই দেখা যাক, বাস্তবে আসলেই গা ছমছম করে!
 
বাকী ২,৬০০ ফিট হেটে উঠতে হবে। বাসের ড্রাইভার জানিয়ে দিল, এই মূহুর্ত থেকে আমাদের হাতে সময় আছে ১ঘন্টা ৫০ মিনিট। তারপরে আর কারো জন্য দাড়াবে না, ফিরতি পথে রওয়ানা দিবে (এই জন্যই আমার প্যাকেজ অপছন্দ)। পাহাড়ে উঠার একটা সাধারন নিয়ম আছে। তাড়াহুড়া করা যাবে না, আর থামা যাবেনা। তবুও ২/৩ জায়গায় থামলাম ছবি তোলার জন্য। শেষপর্যন্ত প্রায় বিশ হাজার বছরের পুরানো পর্বতের চুড়ায় যখন উঠলাম তখন শুয়ে পরতে ইচ্ছা করছিলো! মনে হচ্ছিল একটু বড় করে হা করলে বোধহয় হৃদপিন্ডটা লাফিয়ে মুখ দিয়ে বের হয়ে আসবে!
  
 
চুড়ায় উঠার ট্রেইল
  
 
জ্বালামুখ
   
 
জ্বালামুখের এখান-সেখান দিয়ে সবসময়ই এমন সালফার মিশ্রিত ধোয়া বের হয়। বেশি কাছে যাওয়া নিষেধ।
   
 
নীচে মেঘ, আর দুরে ঝাপসা দেখা যায় নেপলস নগরী আর বে অফ নেপলস। মেঘ না থাকলে পরিস্কার দেখা যায়।
  
 
নীচের মেঘ উঠে এসে জ্বালামুখের ভিতরে প্রবেশ করেছে।
  
 
লাভা পাথর। এটাই অগ্নুৎপাতের সময় গলিত আকারে বের হয়ে আসে, পরে জমাট বেধে পাথর হয়। এই ৪টা ভিসুভিয়াসের জ্বালামুখ থেকে নিয়ে এসেছিলাম স্মৃতি হিসাবে।
নামার সময়ও বেশ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় কারন পায়ের নীচে কোন ঘাস নেই, আছে অতি ক্ষুদ্রকায় নুড়ি পাথর। একটু অসাবধান হলেই পিছলে পড়ার সম্ভাবনা।
  
 
ফেরার পথে বাসের জানালা দিয়ে শেষ বারের মতো দেখলাম ভিসুভিয়াসকে। মনে মনে বললাম, মানুষকে যথেষ্ট জ্বালাতন করেছো। এবার অন্ততঃ তোমার রিটায়ারমেন্টে যাওয়া উচিত!   
জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা, একরাশ মুগ্ধতা আর বিপদে না পরার স্বস্তি নিয়ে পম্পেই ফিরে এলাম। হোটেল থেকে ব্যাগ নিয়ে রওয়ানা দিলাম বাস স্ট্যান্ডের দিকে। এর পরের এবং ইটালীর শেষ গন্তব্য রোমের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হবে এবার। 
তথ্য কিছু গুগলের, কিছু ওখানকার পরিচিতিমূলক পুস্তিকা এবং বোর্ডের, প্রথম ছবি তিনটা নেট থেকে, বাকিগুলো আমার ক্যামেরা এবং ফোনের।        
চলবে.........
স্বপ্নযাত্রা: ইটালী - ৫
 ৪৮ টি
    	৪৮ টি    	 +১৬/-০
    	+১৬/-০  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১:১১
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২|  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১:৩৭
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১:৩৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন কাহিনী। ভালো লাগলো সেই সংগে পরবর্তী কিস্তির অপেক্ষাতে রইলাম।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১:৪৭
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনুপ্রেরনা দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩|  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:১৯
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:১৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: 
ভিসুভিয়াস আসলেই ভয়ংকর!  ছবি ব্লগে আমাদের এমন ভ্রমন ব্লগে সমৃদ্ধ করলেন! ধন্যবাদ!
  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:২৬
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভিসুভিয়াস আসলেই ভয়ংকর! আসলেই, এর ইতিহাস তাই বলে! অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৪|  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:২১
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:২১
আখেনাটেন বলেছেন: আমি অবশ্য আল্লাহর নাম নিচ্ছিলাম যেন আমি থাকতে থাকতে এটি আবার শুরু না করে দেয়, তাহলে সামুতে আর এর দর্শনের পোষ্ট দেয়া সম্ভব হবে না!!!  -- হা হা।  তখনকার অাপনার অনুভূতিটুকু কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি। 
চমৎকার পোস্ট।  ইটালী কোনদিন গেলে এই জায়গা আমার ফেবারিটের তালিকায় রয়েছে।
  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:৩৩
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলেই ভয় লাগছিল, কারন বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এখন একটা অগ্নুৎপাত ডিউ। যে কোনো সময়ই হতে পারে! 
অবশ্যই যাবেন। ইটালী গেলেন; আর পম্পেই, ভিসুভিয়াস দেখলেন না। কোনো মানে হয়?
৫|  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:২৭
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:২৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক ভাল লাগল।আরও ছবি দিতে পারতেন।
পোষ্টে +++
  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:৪০
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছবি তো প্রচুর আছে কিন্তু ধৈর্য থাকে না। একেকটা ছবি আপলোড হতে ভালো সময় নেয়। তারপর রিভিউতে দেখি কিছু ছবি উল্টা এসেছে। সেটাকে এডিট করে আবার আপলোড!!! কতো আর ভালো লাগে বলেন!!!!
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়।
৬|  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:৫০
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:৫০
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: চমৎকার একটা ভ্রমণবিষয়ক পোস্ট দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ছবিগুলোতে আলো কম হওয়ায় একটু ম্লান হয়েছে। তবে বর্ণনা ছিল সাবলীল। শুভেচ্ছা।
  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:৫৯
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেদিন আসলে মেঘলা ছিলো। যতো সময় গিয়েছে, মেঘ ততো ঘন হয়েছে। আর আমি যখন ভ্রমন শেষ করে বাস থেকে নামলাম তখন তো তুমুল বৃষ্টি! আমার কপাল খুবই ভালো ছিল কারন আমাদের ট্রিপটাই ছিল সেদিনের শেষ ট্রিপ। বাকী সব খারাপ আবহাওয়ার জন্য বাতিল হয়েছিল। 
একেই বলে কপাল, কি বলেন!!!
৭|  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  বিকাল ৩:৪৪
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  বিকাল ৩:৪৪
নিয়াজ সুমন বলেছেন: বাহ! চমৎকার ছবি ও বণৃনা। 
চলছে, চলুক অভিরাম, পাশে আছি চলার সাথী …
  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  বিকাল ৪:২৮
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  বিকাল ৪:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। পাশে থাকুন আর ভালো থাকুন।
৮|  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  বিকাল ৪:৪৬
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  বিকাল ৪:৪৬
হাসান রাজু বলেছেন: ভালো ভালো অনেক ভালো লাগলো । 
"শেষপর্যন্ত প্রায় বিশ হাজার বছরের পুরানো পর্বতের চুড়ায় যখন উঠলাম তখন শুয়ে পরতে ইচ্ছা করছিলো! মনে হচ্ছিল একটু বড় করে হা করলে বোধহয় হৃদপিন্ডটা লাফিয়ে মুখ দিয়ে বের হয়ে আসবে!" - আসলে, আমরা বাঙ্গালিরা হাঁটি কম তাই অল্পতে হাঁপিয়ে যাই (জানিনা আপনি ঐ দলে পড়েন কি না ।)  আমি দেখেছি ইউরোপিয়ান বয়স্করা অনেক ভালো হাঁটতে পারে আমাদের আম যুবকদের তুলনায় ।
  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  বিকাল ৫:০৬
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  বিকাল ৫:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইউরোপিয়ান বয়স্করা অনেক ভালো হাঁটতে পারে আমাদের আম যুবকদের তুলনায় খুবই সত্যি কথা। ভিসুভিয়াসের চুড়ায় প্রচুর বয়স্ক নারী-পুরুষ দেখেছি। জানি এরা অনেক ফিট, তারপরও এতো উপরে.....কিভাবে পারে? আরেকটা উদাহরন দেই। গত বছর প্যারিসে এক অস্ট্রেলিয়ান মহিলার সাথে পরিচয় হয়েছিলো। ৬৪ বছর বয়স। একা ২ মাসের জন্য ইওরোপ ভ্রমনে এসেছে। আমরা একসাথে প্রায় ৩/৪ ঘন্টা ঘুরেছি, হেটে! তার নাকি হাটতেই ভালো লাগে!!! চিন্তা করতে পারেন?
৯|  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  বিকাল ৫:৫৮
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  বিকাল ৫:৫৮
নাঈম ০০৯ বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। লেখার জন্য ধন্যবাদ।
  ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  সকাল ১১:৩৭
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  সকাল ১১:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, কষ্ট করে পড়ার জন্য।
১০|  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:৪১
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:৪১
সামিয়া বলেছেন: তথ্যবহুল ভ্রমন পোস্ট। ২৬০০ মাইল পায়ে হেটে ওঠা হয়নি নিশ্চই ? উঠতে কত সময় লাগতো?? শেষের চিত্র গুলো ভুটানের পাহাড় গুলোর মত। সব দেশের পাহাড় গুলো কি দেখতে একরকম?? ভ্রমন সব থেকে আনন্দময় বিদ্যা জানেন কি?
  ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  সকাল ১১:৫২
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  সকাল ১১:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ২৬০০ মাইল পৃথিবীতে তো এই সাইজের পর্বত নাই, মঙ্গলে থাকলেও থাকতে পারে..........  । স্যরি, মজা করলাম। টাইপো বুঝতে পারছি!
। স্যরি, মজা করলাম। টাইপো বুঝতে পারছি!
২,৬০০ ফিট হেটেই উঠতে হবে, অন্য কোন উপায় নাই। প্রায় ৪০ মিনিট লেগেছে উঠতে। আগ্নেয়গিরিদের চেহারা একটু ভিন্ন, বাকীরা মোটামুটি একই। ভ্রমন আমার খুবই প্রিয়। জীবনটা যদি অনেক লম্বা হতো আর প্রচুর টাকা থাকতো তাহলে আমি শুধু ভ্রমনই করতাম আর সামুতে পোষ্ট দিতাম!!!
১১|  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  রাত ৮:৪৫
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  রাত ৮:৪৫
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: 
ছবিগুলো দেখে মনে হলো, বাস্তবে দুঃস্বপ্নযাত্রা ! 
তথ্য সমৃদ্ধ ভ্রমণ লেখা । বেশ ভাল লেগেছে ।
  ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:২৯
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ২:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বলতে পারেন আনন্দময় দুঃস্বপ্নযাত্রা! আসলেই খুব ভালো লেগেছে। আমার ব্লগে সুস্বাগতম। ভালো থাকবেন।
১২|  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  রাত ১১:১৬
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  রাত ১১:১৬
কালীদাস বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর। জীবনে ভূপৃষ্ঠের অতল দুইটা জায়গায় যতটুকু সম্ভব কাছে যাওয়ার ইচ্ছা আছে: ভিসুভিয়াস আর গ্রান্ড ক্যানিয়ন। আপনি অনেকটা আইডিয়া দিলেন, ইউরোপ ছাড়ার আগে অবশ্যই ট্রাই করব।
ইটালির ১ ঘন্টা ৫০ মিনিট মানে বাস্তবে দুই ঘন্টার কয়েক মিনিট বেশি হওয়ার কথা 
  ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:০৫
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইটালির ১ ঘন্টা ৫০ মিনিট মানে বাস্তবে দুই ঘন্টার কয়েক মিনিট বেশি হওয়ার কথা মন্তব্য মাথার উপর দিয়ে গেল, বুঝি নাই.....  ।
।
গ্রান্ড ক্যানিয়নে যাবার খুব শখ আমারও। বেচে থাকলে ২/৩ বছরের মধ্যেই যাবো, ইনশাআল্লাহ!!! পম্পেই আর ভিসুভিয়াস না দেখে ইউরোপ ছাড়লে পরে পস্তাবেন!! গরীবের এই কথাটা মাথায় রাইখেন...  ।
।
১৩|  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  রাত ১১:২২
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  রাত ১১:২২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বিকেলে আপনার পোস্ট পড়েছিলাম। নেট এত স্লো, কমেন্ট করতে পারিনি।
পম্পেই যাওয়া হয়নি ভেনিস, ব্রেসিয়া, বেরগামো এই কয়টা প্রোভিন্স ছাড়া। 
ভ্রমণ ব্লগ ভালো লেগেছে।
  ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:১১
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যেখানে যেখানে গেছেন সেখানে তো আবার আমি যাই নাই, কাজেই কাটাকাটি....  । আপনাদের ভালো লাগছে দেখেই তো পোষ্ট দেয়ার সাহস পাচ্ছি, নয়তো কবেই..........।
। আপনাদের ভালো লাগছে দেখেই তো পোষ্ট দেয়ার সাহস পাচ্ছি, নয়তো কবেই..........।
১৪|  ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  সকাল ১০:০০
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  সকাল ১০:০০
নীলপরি বলেছেন: ছবি ও বর্ণনা দুটোই ভালো লাগলো । ++++++
  ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:১২
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
১৫|  ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  সকাল ১১:১১
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  সকাল ১১:১১
ফয়সাল রকি বলেছেন: আমার তো আগ্নেয়গিরির ধারের কাছে যাবারও সাহস হতো না! কারণ আমি জানি, আমার কপাল এতো খারাপ যে, আমি ওখানে যাওয়া মানেই অগ্নুৎপাত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯%!!!   
 
চমৎকার পোষ্টে ++++++
  ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:১৮
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার সামনাসামনি অগ্নুৎপাত দেখারও খুব শখ ছিলো। আপনি রাজি থাকলে চলেন যাই। আপনি উপরে উঠবেন আর আমি নীচে থাকবো....  । রাজি??
। রাজি??
১৬|  ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:১৩
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:১৩
সামিয়া বলেছেন: গতকাল অফিস থেকে ফিরে বিছানায় শুয়ে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ক্লান্ত দেহ মন নিয়ে পোস্ট পড়ে  কমেন্টে ফিট রে মাইল লিখে ফেলছি গো ভাইয়া।।  
  ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:২১
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোন ব্যাপার না। জানেন তো ম্যান ইজ মর্টাল, অর্থাৎ মানুষ মাত্রই ভূল করে....  ।
।
১৭|  ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭  বিকাল ৩:৫৩
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭  বিকাল ৩:৫৩
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ভিসুভিয়াসের কাছাকাছি গেছেন। জেনেই গা ছমছম করছে।
  ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:৩৪
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কাছাকাছি না, চুড়ায় উঠে জ্বালামুখ থেকে পাথর নিয়ে এসেছি! উঠার সময় অবশ্য আমার গা ছমছমই করছিল...  । ধন্যবাদ, আর ভালো থাকবেন।
। ধন্যবাদ, আর ভালো থাকবেন।
১৮|  ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:৫৮
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:৫৮
জুন বলেছেন: আমরা আর ভিসুভিয়াসের জ্বালামুখের কাছে যাইনি ভুয়া মফিজ । আমরা পম্পে দেখে সেখান থেকে সোরেন্টো চলে গিয়েছিলাম । 
আপনার লেখায় দেখলাম । ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য ।
+
  ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:১৩
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গেলেই পারতেন আপা, এককথায় দারুন! তবে উপরে উঠাটা আসলেই বেশ কষ্টকর। লেখাটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৯|  ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:৩১
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:৩১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার লেখাটা খুবই ভালো লাগলো | আপনার লেখাটায় মন্তব্য করতে দেরি হয়ে গেলো | পড়েছিলাম কিন্তু পোস্ট দেবার প্রায় পরপরই | চমৎকার বর্ণনা আর ফটোগুলো একসাথে লেখাটাকে খুবই সুন্দর করেছে | আমি একটা ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম পম্পেইয়ের উপর | শেষ দিনে পম্পেই-এ কি ঘটেছিলো সেটা নিয়েই ছিল থ্রি ডি ভিডিও দিয়ে করা ডকুমেন্টারিটা | হিস্টোরিক আর আর্কিওলজিকাল রুইনগুলোর উপর ভিত্তিতে করেই পুরোই একটা সাইন্টিফিক এনালিসিস ছিল সেই ডকুমেন্টারিটা পম্পেইয়ের | খুব বেশি চান্স পায়নি আসলে পম্পেই সেদিন ধ্বংস হয়ে যাবার আগে | দেখতে খুবই ভয় লাগছিলো | আপনার লেখাটা পরে সেই ভয়টা আবার যেন ফিরে এলো ! আমরা যে কত অসহায় এরকম ন্যাচারাল ডিজাস্টারের সামনে এখনো এতো হাজার বছর পর বিজ্ঞানের এতো উন্নতি করার পরও ! ভালো থাকবেন |
  ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:১৮
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রাকৃতিক দূর্যোগকে নিয়ন্ত্রন করা আসলেই কঠিন, বিজ্ঞান যতোই উন্নতি করুক না কেন! বড়জোর ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায়। বিজ্ঞানকে এক্ষেত্রে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। ডকুমেন্টারিটার কোন লিংক কি দিতে পারেন, যদি সম্ভব হয়? না দেখে থাকলে The Last Days of Pompeii মুভিটা দেখেন, ইউটিউবে আছে; ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ।
২০|  ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭  রাত ৩:২৮
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭  রাত ৩:২৮
কালীদাস বলেছেন: ইটালিয়ান এবং ফ্রেঞ্চরা শিডিউল টাইমের ব্যাপারে জার্মান বা ডাচদের মত অত প্রিসাইজ না। ২/৫ মিনিট দেরি হওয়া খুবই কমন এদের।
  ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:২৪
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১২:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: খুবই সত্যি, আমাদের বাস শিডিউল টাইমের ১২ মিনিট পর রওয়ানা দিয়েছিল।
২১|  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭  রাত ৮:২২
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭  রাত ৮:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ  , 
ইতালীতে স্বপ্নযাত্রার পথে ভিসুভিয়াসের নামখানা দেখে উঁকি দিলুম । ছোটবেলায় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি
হিসেবে ভিসুভিয়াসের নাম মুখস্ত করেছিলুম । আর সেক্সপিয়রের গল্পে / নাটকে পম্পেই এর নাম । 
ভালো যে, ভুয়া কিছু দেখে ভিসুভিয়াস রাগে ফেঁটে পড়েনি । বড় বাঁচা বেঁচেছেন , নইলে .................
সুন্দর ভ্রমন কাহিনী । 
  ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭  দুপুর ২:১৮
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭  দুপুর ২:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাই, নামে ভুয়া থাকলেও আমি আসলে ভুয়া না.....আগ্নেয়গিরিও মানুষ চিনে। প্রমান তো হাতে-নাতে পাচ্ছেন, নইলে......আপনার মন্তব্যের প্রতি-মন্তব্য দিচ্ছি কেমনে!!!
২২|  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭  রাত ৮:৫১
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭  রাত ৮:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন রসবোধ সম্প্ন্ন অনুভব লেখায় আনন্দ বােড়িয়েছে অনেক
প্রকৃতরি কাছে মানুষেএখনো সত্যিই অসহায়!!!!!!!
ছবি আর বর্ণণায় মুগ্ধ 
+++++++++++
  ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭  দুপুর ২:২২
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭  দুপুর ২:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কাঠখোট্টা আগ্নেয়গিরির বর্ণনা কি আর ভালো লাগে.....তাই একটু রস-সিন্চনের চেস্টা!! আপনার ভালো লাগায় আমারও ভালো লাগা......... 
২৩|  ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮  দুপুর ১২:১০
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮  দুপুর ১২:১০
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: অসাধারণ!
  ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮  দুপুর ১:৩৮
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮  দুপুর ১:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২৪|  ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:০৪
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:০৪
আরোগ্য বলেছেন: আজকেই পড়া শেষ করলাম। খুবই ভাগ্যবান আপনি এতো কিছু স্বচক্ষে দেখেছেন। জানিনা কখনো সুযোগ পাবো কিনা। সময় করে আপনার লেখার মাধ্যমে রোমও ঘুরার চেষ্টা করবো।
  ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯  দুপুর ১:৫৫
০২ রা এপ্রিল, ২০১৯  দুপুর ১:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মহান আল্লাহ কিছু দেখার তৌফিক দিয়েছেন, তাই দেখলাম। কার কখন কিভাবে সুযোগ আসবে বলা মুশকিল। দোয়া করি, সুযোগ আপনারও যেন আসে। 
সময় করে আপনার লেখার মাধ্যমে রোমও ঘুরার চেষ্টা করবো। অবশ্যই। সব জায়গায় তো আমিও যেতে পারি না। অন্যের লেখার মাধ্যমেই ঘুরি! আশাকরি আপনার ভালো লাগবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১:০৫
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭  দুপুর ১:০৫
আবু তালেব শেখ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ