নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা আমার মা

০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫




হুমায়ুন আহমেদের ’নক্ষত্রের রাত’ বইটা নিশ্চয়ই অনেকেই পড়েছেন। গল্পে বাংলাদেশের এক মেয়ে, রেবেকা একটা কোর্স করতে আমেরিকায় যায়। সেখানে ক্লাসে বাংলাদেশ নিয়ে হাসাহাসির একটা ঘটনায় মেয়েটা কেদে-কেটে একাকার অবস্থা করে। সেই ক্লাসের শিক্ষক ছিলেন ডঃ রেলিং। ঘটনার পর ক্লাশের শেষে ডঃ রেলিংএর সাথে রেবেকার কথোপকথনের একটা অংশ তুলে দিচ্ছি।

ডঃ রেলিংঃ আজ তুমি কিছুটা অপমানিত বোধ করেছ বলে আমার ধারনা। আমি তার একটি প্রধান কারন। তার জন্য তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কাউকে অপদস্থ করা আমার পেশা নয়। তবে রেবেকা, কোন ব্যাপারেই এত সেনসিটিভ হওয়া ঠিক না। বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত দরিদ্র দেশ - এটা তুমি নিজেও খুব ভালো করে জানো। আমরা সবাই জানি। জানা সত্বেও দেশকে দরিদ্র বললে তুমি একটা শিশুর মতো আচরন করবে এটা ঠিক না।
এই ইউনিভার্সিটিতে অনেক আগে একটি বাংলাদেশী আন্ডার গ্রাজুয়েট ছাত্র তোমার মতোই শিশুসুলভ আচরন করেছিল। তার দেশ সম্পর্কে কে যেন কি বলেছে, সে ঘুষি মেরে তার দুটি দাত ভেঙ্গে ফেলেছে।
আমি স্বীকার করলাম তোমরা তোমাদের দেশকে দারুন ভালোবাসো। অথচ আমি যতোদুর জানি, তোমাদের দেশে সামরিক শাসন চালু আছে। যে দেশের মানুষ তাদের দেশকে এতো ভালোবাসে তারা কি করে সামরিক শাসন চুপচাপ মেনে নেয়? এবং আমি শুনেছি, যে ব্যাক্তিটি তোমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল নায়ক, তাকে সপরিবারে মেরে ফেলা হয়েছে এবং কেউ একটি কথাও বলেনি। আমি যা বলছি, তা কি সত্যি?

রেবেকাঃ হ্যা সত্যি।

ডঃ রেলিংঃ তোমাদের দেশের প্রতি যে ভালোবাসা, তা কেমন ভালোবাসা বলতো রেবেকা?

রেবেকা চুপ করে রইলো।

চুপ করে থাকা ছাড়া রেবেকার আর কোন উপায়ও ছিল না। গত সপ্তাহে অনেকটা এমনই একটা ঘটনার মুখোমুখি আমি হয়েছিলাম এবং চুপ করে থাকা ছাড়া আমারও আর কোন উপায় ছিল না। হুমায়ুন আহমেদের বইটা লেখার সময়ে দেশের যে প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে, তার খুব একটা পরিবর্তন কি হয়েছে? ডঃ রেলিংএর মতো আমারও প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা, তা কেমন ভালোবাসা?

দেশ আমাদের মা। একজন মা যেভাবে অনেক কষ্ট করে সন্তান ধারন করেন, জন্ম দেন, বড় করেন, দেশও তাই করে। তাই দেশকে আমরা মায়ের মর্যাদা দেই। কিন্তু বড় হয়ে আমরা যখন মায়ের বুক প্রতিনিয়ত ক্ষত-বিক্ষত করি, বিশ্ব-দরবারে মায়ের মাথা নীচু করি, মায়ের সঠিক পরিচর্যা, সেবা-শুস্রষা না করে তাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর পর্যায়ে নিয়ে যাই - তখন সন্তান হিসাবে আমাদের অবস্থান কোথায় থাকে? এমন কুলাঙ্গার সন্তান কি কোন মা কামনা করেন?

কবি-সাহিত্যিকদের ভাষায়, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা সোনার দেশ - বাংলাদেশ। একসময় হয়তোবা ছিল, নিশ্চয়ই ছিল। কিন্তু আমরা সেই দেশ ক’জন দেখেছি? পাহাড় কেটে সমান করে, নদী-নালা খাল-বিল ভরাট করে, গাছ-পালা উজাড় করে, বন-জঙ্গল ধ্বংস করে আমরা বাংলা মায়ের বুক ক্ষত-বিক্ষত করেছি, এখনও প্রতি-নিয়তই করছি। আমরা থামছি না, থামার কোন লক্ষণও নেই। ভবিষ্যত প্রজন্মের সামনে আমরা কি দেশ রেখে যাচ্ছি? কি দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত তুলে ধরছি যা দেখে তারা দেশপ্রেমে আপ্লুত হবে? মায়ের বুকে কুড়াল কিংবা কোদাল মারা এমন সর্বনাশা সন্তান পৃথিবীর আর কোন দেশমাতা দেখেছে? মনে হয় না!

দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সালে, আর এটা ২০১৮। দেখতে দেখতে ৪৭টা বছর পার হয়েছে। দেশ শিশুকাল পার হয়ে এসেছে কিন্তু এখনও কি সত্যিকার অর্থে নিজের পায়ে শক্ত করে দাড়াতে শিখেছে? উন্নত দেশের কথা বাদ। শুধু চিন্তা করেন তো ১৯৭১ সালে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিন কোরিয়া কোথায় ছিল? এমন কি ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো? বাংলা মায়ের বেদনার্ত মুখ কি আমাদের চোখে পড়ে না? বিশ্ব-সমাজে মায়ের এই অবনমিত দৃষ্টি কি আমাদেরকে একটুও কষ্ট দেয় না? দুঃখের সাথে বলতে হয়, না দেয় না। দিলে হুমায়ুন আহমেদকে, আমাকে কিংবা আমাদেরকে এই কথাগুলো বলতে হতো না। বিশ্ব-বেহায়া আমাদের দেশে একটা না - অনেক, অসংখ্য!

বিদেশে দেখেছি, এরা নারী-পুরুষের অন্তর্বাস, জুতা-স্যান্ডেল থেকে শুরু করে সবকিছুতেই দেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করে প্রচুর পরিমানে। আমরা তা স্বপ্নেও চিন্তা করি না। সর্বনাশ, এতে দেশের অসন্মান হবে না! এরা দেশের প্রতি ভালোবাসা ধারন করে বুকে। আমরা করি মুখে। একবারের জন্যও চিন্তা করি না আমাদের এই লোকদেখানো ভালোবাসা আমাদের এই মাতৃভূমিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে!

দেশের প্রশ্নে আমরা শতধা বিভক্ত, আর ওরা এক। একটা ছোট্ট ঘটনা বলি। সেদিন আমার এদেশী এক সহকর্মী আরেক পোলিশ সহকর্মীর কাছে শুনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর চরম প্রশংসা করছে। আমি হতবাক। ও হচ্ছে লেবার পার্টির কট্টর সমর্থক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে সকালে একবার, বিকালে একবার গালাগালি করে! জিজ্ঞেস করাতে বললো, ও বাইরের লোক! ওর কাছে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দূর্ণাম কেন করবো? এই হলো দেশপ্রেম। আর আমাদের দেশপ্রেম হলো ভিন্ন দেশের স্বার্থে নিজের দেশকে, মাকে ক্ষত-বিক্ষত করা - রামপালের মতো!

বড় না, একটা ছোট্ট উদাহরন দেই। প্রতি শীতে আমি দেশে আসি। শীতে মানুষের সর্দি-কাশি বেশী হয়। প্রতিবারই রাস্তায়, ফুটপাতে আমি প্রচুর সবুজ-হলুদ-সাদা-কালো কফ দেখি। যত্রতত্র, যেখানে-সেখানে। পাবলিক প্লেস কি কফ-থুতু ফেলার জায়গা? আমরা ক’জন আমাদের ঘরে যত্রতত্র কফ-থুতু ফেলি? ওহ, ওটাতো আমার বাড়ী, কিন্তু রাস্তাটা তো আমার না! আমরা উচু বিল্ডিং থেকে নীচে ময়লা ফেলি। চিপস, বাদাম, সিগারেট খেয়ে প্যাকেট, খোসা, বাড রাস্তায় ফেলি। রাস্তা হলো আমাদের ময়লার ডাম্পিং স্টেশান। দেশের প্রতি ন্যূনতম কমিটমেন্ট-সম্পন্ন সুস্থ মানুষ এগুলো করে না। পৃথিবীর অনেক দেশ আমি ঘুরেছি, এমন মহামারী আকারে এসব আমি কোথাও দেখিনি। একজন দূর্বল মা সুস্থ্য-সবল সন্তান জন্ম দিতে পারেন না। আমাদের চারিদিকে আজ অসুস্থ, দূর্বল, বিকলাঙ্গ সন্তানের ছড়াছড়ি! তাই আমাদের মা-ও ভালো নেই। এই দুঃখ, এই কষ্ট আমি কোথায় রাখি?

আমাদের নেতা-নেত্রীরা বিদেশে আসেন ঘুরতে, কিছু শিখতে না। শেখার ইচ্ছাও নেই, শিখতে চানও না। শিখলে লাভ কি? দিনের শেষে ব্যাংক ব্যালেন্সটাই যে শেষ কথা! দেশের সেবা করলে নিজের সেবার কি হবে! অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছা করে, বলতে ইচ্ছা করে কিন্তু কি লাভ? সবই অরন্যে রোদন! মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হয়, খুবই। রাগে-দুঃখে, ক্ষোভে চোখে পানি চলে আসে। ইচ্ছা করে চিৎকার করে কাদি।

আমরা এমন কেন???


পুনশ্চঃ কৃতজ্ঞতা সেইসব নিভৃতে, দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলা মায়ের সন্তানদের প্রতি। যারা না থাকলে হয়তো বা এই দেশ থাকতো না, যাদের কারনে এই দেশটা এখনও টিকে আছে। যারা আড়ালে থেকেও দেশের মঙ্গলে সদা নিয়োজিত। সংখ্যালঘু হলেও এরাই দেশের প্রকৃত সন্তান, নাম পরিচয়হীন জারজ নয়।

ফটো ক্রেডিটঃ গুগল।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

সমুদ্রচারী বলেছেন: ইত্যাদিতে একবার নানা নাতির পর্বে নাতি বলছিলো "আমাদের দেশপ্রেম এখন মুরগিতে এসে নেমেছে "।মানে শুধু মুরগি কেনার সময় আমরা দেশি খুঁজি।নাহলে বাকি সব কিছুতেই আমরা বিদেশি জিনিস খুঁজে বেড়াই ।স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা দেখার জন্য শরিরে পতাকা জড়িয়ে নাচাকুদা করে আর বিদেশি প্লেয়ারদেরকে দুটো গালি দেয়া দেশপ্রেম নয় বরং খেলা দেখার সময় যদি আমি নিয়ম মেনে চলি,বাদামের খোসা,প্যাকেট যেখানে সেখানে না ফেলে ঠিক জায়গায় ফেলি।সেটাই আমার দেশপ্রেম।দেশপ্রেমের সংজ্ঞাই এখন বদলে গেছে ।

০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অত্যন্ত সত্যি কথা বলেছেন।
দেশপ্রেমের সংজ্ঞা জানাটাই এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে জরুরী। আমাদের সবার প্রকৃত দেশপ্রেম জাগ্রত হোক, এটাই কামনা। আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন ভাইয়া।
কিন্তু সত্যি তো এসব লিখে কি হবে।যাদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তাদের মধ্যেই তো দেশ প্রেম নেই।
এটাই হয়তো সত্যি দিন শেষে এদেশের মানুষদের ব্যাংক ব্যালেন্সটাই সব কিছু।

০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের আসলে এখন গনতন্ত্র টনতন্ত্রের দরকার নাই। দরকার হচ্ছে একজন দেশপ্রেমিক ডিক্টেটরের। শুধুমাত্র তাহলেই দেশের হয়তো কিছু হবে। গনতন্ত্র তো অনেক দেখলাম। সবাই রাজনীতির নামে এখন ব্যবসা করে! উপলব্ধির জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪২

প্রামানিক বলেছেন: আমাদের নেতা-নেত্রীরা বিদেশে আসেন ঘুরতে, কিছু শিখতে না। শেখার ইচ্ছাও নেই, শিখতে চানও না।

বাস্তব কথাই বলেছেন। ধন্যবাদ

০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যে দেশে ধান্দাবাজরা সবকিছু নিয়ন্ত্রন করে, সে দেশ ভালো থাকবে কিভাবে বলেন? দেশকে দেয়ার কোন নাম নেয়না, নেয়ার ব্যাপারে ষোল আনা!
সবই আমাদের কপাল!!!

৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

*** হিমুরাইজ *** বলেছেন: মূখের দেশ প্রেম আর দেখতে চাইনা।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমিও। মূখের দেশ প্রেম কোন কাজের জিনিস না। অনেক ধন্যবাদ।

৫| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: মাগো তোর ছেলেরা তোকে লুটে পুটে খায় চুপিসারে তলে তলে
সে শয়তানই বক্তৃতা করে তোর পতাকার তলে, মাগো তোর পতাকার তলে।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। এই উপলব্ধিটা খুবই জরুরী। ধন্যবাদ।

৬| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাংলা আমার মা। বাংলা আমার ভালোবাসা ।মানলাম কিন্তু দেশ যে নষ্টের দখলে।সামান্য ভোটাধিকারে নিশ্চয়তা পর্যন্ত আমাদের দেশে নেই।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমরা নিজেরা যদি ঠিক হই তাহলে দেশ আবার জনগনের দখলে আসবে, তখন সবই হবে। ধন্যবাদ।

৭| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: দেশ কে আমরা মা বলি, কিন্তু মা এর মত করে দেশকে ভালবাসিনা কিংবা মা কে যেমন ভুলে যাই দেশকে ও তেমন ভুলে যাই।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খুবই সত্যি কথা। সবার মাঝেই দেশমাতার প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত হোক, এই কামনা করা ছাড়া আমরা আর কিই বা করতে পারি!

৮| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

করুণাধারা বলেছেন: সত্যি কথা, কিন্তু পড়তে পড়তে মন খারাপ হয়ে গেল। সত্যি, আমাদের জাতীয় চরিত্র এমনই। আজ সকালেই আমি মন খারাপ করে ভাবছিলাম, কদিন পরেই রোজার মাস শুরু হবে আর শুরু হবে রাস্তাঘাটে থুতু উৎসব। আমি আরবদেশে থেকেছি, যেখানে সকলেই রোজা রাখে কিন্তু তারা তো রাস্তায় থুতু ফেলে না!! আমাদের দেশের রোজাদারদের মুখেই এভাবে থুতু জমে শুধু!! আর জাতীয় পতাকা! কিছুদিন আগে তুলকালাম কাণ্ড হয়ে গেল জাতীয় পতাকার উপর নামাজ পড়া নিয়ে। জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করা হয়েছে নাকি।

পোস্টে ভালোলাগা।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের জাতীয় চরিত্র ঠিক না হলে আসলে কিছুই ঠিক হবে না। জাতী হিসাবে যে আমরা নোংরা মানসিকতার, তার প্রমান আমরা পদে পদে দিয়ে যাচ্ছি। আমরা দেশের সন্মান-অসন্মানই ঠিকমতো বুঝি না, জাতীয় পতাকা তো পরের কথা। কিছু আতেল আর মিডিয়া আছে, যারা কাজের কাজ কিছুই করে না, শুধু অ-কাজে ব্যস্ত থাকে। এদের কাজ-কারবার দেখলে এখন ঘেন্না হয় আমার।

অনেক ভালো থাকুন। রমজানুল মোবারকের অগ্রীম শুভেচ্ছা।

৯| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: নক্ষত্রের রাত বইটা পড়েছি।
খুব সুন্দর বই।

খুব ভালো লিখেছেন।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের সবগুলো বই-ই সুন্দর, তবে এই বইটা আমার অন্যরকম ভালোলাগা বইগুলোর মধ্যে অন্যতম। ধন্যবাদ।

১০| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

কলাবাগান১ বলেছেন: "দেশ এখন নস্টের অধিকারে" !!!!!! তাই উনারা যেখানে সেখানে ময়লা ফেলেন ....আবার যখন স্বাধীনতার স্হপতি কে মারা লোকজন ক্ষমতায় আসবে তখন উনারা দেশকে 'ভালোবাসবেন'

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রকৃত দেশপ্রেম হওয়া উচিত শর্তহীন। যেই ক্ষমতায় আসুক, প্রকৃত দেশপ্রেমিক হলে তো সমস্যা নাই। তাছাড়া, শুধুমাত্র সরকারকে দোষ দিয়েও তো কোন লাভ নেই, আমাদের, সাধারন জনগনের চরিত্রের সংশোধনও খুবই জরুরী। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১১| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ২:১৭

যাযাবর চখা বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। আমাদের মুল সমস্যাই হলো, আমরা বলি বেসি। যতটুকু বলি, ততটুকু করি না। আর যতটুকু করি, তা না বুঝেই করি। মাঝে মাঝে অনেকে আবার বেসি বুঝেন। সবার অন্তর পরিস্কার হউক।

০৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবার অন্তরে সত্যিকারের দেশপ্রেম জাগ্রত হোক।
অনেক অনেক ধন্যবাদ অাপনাকে। ভালো থাকুন।

১২| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:১১

অক্পটে বলেছেন: "যে দেশে ধান্দাবাজরা সবকিছু নিয়ন্ত্রন করে, সে দেশ ভালো থাকবে কিভাবে" এই একটি কথাই যথেষ্ঠ আমার দেশকে এক্সপ্লেইনড করার জন্য। কবে যে মুক্তি পাব হায়!
খুব দারুণ লিখেছেন।

০৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মুক্তি একদিন হবেই হবে, তবে সেদিন দেখে যেতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে!! ধন্যবাদ অাপনাকে।

১৩| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের সবগুলো বই-ই সুন্দর, তবে এই বইটা আমার অন্যরকম ভালোলাগা বইগুলোর মধ্যে অন্যতম। ধন্যবাদ।


আপনার পোষ্ট টি পড়ার পর গতকাল রাতে বইটি আরেকবার পড়লাম।
আবার ভালো লাগায় বিমোহত হলাম।

০৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আশ্চর্য তো!! গতরাতে বইটা আমিও আবার পড়েছি। দারুন কাকতালীয় ব্যাপার!!!
আসলে হুমায়ুন আহমেদের বই কখনও পুরানো হবে না, কি বলেন?

১৪| ০৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লেখা ভাইয়া !!!
মন ও মগজে একসাথে ভালোবাসা না থেকে বুলি সর্বস্ব ই রয়ে গেলো।

দারুন লেখায় ভালোলাগা।

০৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের ভালোবাসা এখন পর্যন্ত বুলি সর্বস্বই। অতি সত্যি কথা বলেছেন। আশায় বুক বাধি, কোন একদিন হয়তো এই বুলি মন থেকে মগজে ঠাই নিবে! তারপরেই ভা্বি, ততোদিন বাচবো তো?

আপনার ভালোলাগায় আমারও ভালোলাগা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.