নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইস্তান্বুলের অলি-গলিতে কয়েকটা দিন - পন্চম পর্ব
আজ মনটা বেশ খারাপ। আগামীকাল ঘোরাঘুরি করে পরশু ভোরে ইস্তান্বুলকে বিদায় জানাবো। সকাল ৮:৩০ এ ফ্লাইট, ভোর ৪:৩০ এ হোটেল থেকে বের হতে হবে। কাজেই এক অর্থে আগামীকালই শেষ দিন! দেখলাম, এইমেনের মনটাও কিন্চিত খারাপ। আসলে এই কয়টা দিন ওর সাথে এতো আড্ডা হয়েছে যে, মনে হয়েছে আমরা দীর্ঘদিনের পরিচিত। রাতে ওকে দুঃখ করে বললাম, 'তোমাদের ব্লু মস্কের ভিতরটা দেখতে পারলাম না। এই দুঃখ নিয়েই ফেরত যেতে হচ্ছে!' তখন ও আমাকে যে ইনফরমেশানটা দিল তাতে মনের ভিতর থেকে একটা অপ্রাপ্তি দূর হয়ে গেলো। ও জানালো যে, ভিতরটা পর্যটকদের জন্য বন্ধ, কিন্ত নামায পড়ার জন্য ঢোকা যায়। ঠিক করলাম, আগামীকাল মাগরিবের নামায ওখানেই পড়বো।
আরেকটা বিষয় নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। কাক-ডাকা ভোরে নিশ্চিতভাবেই রাস্তা-ঘাট ফাকা থাকবে। আসার সময় ভিড়ের মধ্যেই ড্রাইভার যে ভেল্কিবাজী আমাকে দেখিয়েছিল, ফাকা রাস্তায় না জানি কি করবে। এইমেনকে বললাম,
- ভাই, আমার এই শেষ উপকারটুকু করো, তোমাদের ঐ ড্রাইভার সাহেব যেন আমাকে নিতে না আসে!
- ও কিন্তু খুবই ভালো ড্রাইভার। এখন পর্যন্ত কোন দুর্ঘটনা ঘটায় নাই। এইমেন হাসতে হাসতে বললো।
- আমাকে দিয়েই যে শুরু করবে না, তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে! আমি ওড়ার আগেই উড়তে চাই না, তুমি ভাই প্লিজ ওকে বদলাও!
ওদের নিয়ম হচ্ছে, যে পিক আপ করে, সেই ড্রপ আউটও করে। যাইহোক, এইমেন আশ্বাস দিল ওকে বদলে দেবার, আর আমিও জানে পানি পেলাম!
শেষদিন সকালে যথারীতি তৈরী হয়ে নাস্তা করে বের হলাম। আমার প্রথম গন্তব্য দোলমাবাহচে প্রাসাদ। দ্বিতীয় পর্বে এর সম্পর্কে একটু বলেছিলাম। তাই আর রিপিট করলাম না। শুধু বলি, বসফোরাসের একেবারে তীর ঘেষে অবস্থিত এই প্রাসাদ আয়তনে বলেন আর সৌন্দর্য্য এবং জাকজমকে বলেন টপক্যাপির থেকে কয়েকধাপ উপরে। শুধু এটুকুই বলি যে, এর সিলিং এর স্বর্ণালী কারুকাজের জন্যই ব্যবহার করা হয়েছিল ১৪ টন সোনা!
এটা ছিল সর্বশেষ ছয়জন সুলতানের বাসভবন। পরবর্তীতে কামাল আতাতুর্ক এটাকে প্রেসিডেন্ট এর গ্রীষ্মকালীন বাসভবন হিসাবে ব্যবহার করেন এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার পর শেষের বছরগুলো এখানেই অতিবাহিত করেন। সবশেষে উনি মারাও যান এই প্রাসাদেই। উনার মৃত্যুসময় ছিল সকাল ৯:০৫, তাই যেই রুমে উনি মারা যান সেখানের ঘড়িগুলোকে ৯:০৫ -এই বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
আরেকটা বিষয় আপনাদের জানিয়ে রাখি, প্রাসাদের ভিতরে ক্যামেরার ব্যবহার পুরাপুরি নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ মানে নিষিদ্ধ, প্রচুর পাহারা আর কোন ঢিলামীও নাই। তারপরেও কি আর চোরা পর্যটকদের থামিয়ে রাখা যায়? রক্ষীরা একদিকে তেড়ে গেলে অন্যদিকে ক্যামেরা চালু হয়ে যায়! আমিও সেভাবেই তুলেছি, তাই ছবি অনেক কম তুলতে পেরেছি। আর কিসের ছবি তুলছি তা মনে রাখার জন্য আমি সবসময় সাথে সাথে ইনফরমেশান বোর্ডের ছবিও তুলি, যেটা স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে করতে পারি নাই। যা তুলেছি, তাই দিয়ে দিলাম। সংখ্যার স্বল্পতার জন্য বাছাবাছি করার কোন সুযোগ নাই আর কোন ছবি কোন রুমের তাও মনে নাই!
প্রথমেই মূল প্রাসাদের বাইরের কিছু ছবি,
প্রাসাদের ভিতরের বিলাসিতা,
এই ছবিটা বেশ মজার এক ঘটনার। ছবির ঐ বড় সাইজের মাছটা যেদিকে যাচ্ছিল, ত্যাদড় হাসটাও কেন জানি ওকে অনুসরন করছিল (ঠিক যেন ইয়াবা ব্যবসায়ীর পিছনে র্যাব)। বেশ কিছুক্ষন এদিক-ওদিক চেষ্টা করেও মাছটা যখন ওকে খসাতে পারে নাই, তখন ত্যাক্ত-বিরক্ত হয়ে এই নাছোড়-বান্দা হাসের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। মুহুর্তেই হাসের বিকট প্যাক প্যাক রবে বাচাও বাচাও চিৎকারে পাড়ের সবগুলো হাস ভাইকে (কিংবা বোন!?) বাচাতে একযোগে পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে। সে এক দেখার মতো দৃশ্য!
প্রাসাদের ভিতরে একটা ছোটখাটো চিড়িয়াখানা মতো আছে। এর মধ্যে ময়ুরগুলোই আকর্ষনীয়,
এটা প্রাসাদের ক্লক মিউজিয়াম। ভিতরে তুলতে পারি নাই, তাই বাইরের একটা ছবি দিলাম। ঘড়িটা কিন্তু চলছে,
প্রাসাদের আর্ট গ্যালারী। বিভিন্ন বিখ্যাত চিত্রকরের আকা ২০২ খানা চিত্র এখানে স্থান পেয়েছে। প্রথমটা সুলতান সুলেয়মান, তার যুদ্ধযাত্রা, পরের ছবিখানা কার তাতো সুপ্রিয় ব্লগারদের আর বলে দিতে হবে না, আর শেষেরটা আর্ট গ্যালারীর সিলিং এর কারুকাজ!
অবশেষে শেষ হলো আমার দীর্ঘসময় ধরে চলা দোলমাবাহচে প্রাসাদ ভ্রমন। এতোক্ষন প্রাসাদের চাকচিক্য দেখতে দেখতে চোখ ধাধিয়ে গিয়েছিল। ধাধানো চোখকে আবার স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য প্রাসাদের ঘাস আর গাছপালায় ঘেরা বাগানে বেশ কিছুটা সময় কাটালাম। সবুজের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে যখন বুঝলাম সবকিছু স্বাভাবিক, তখন বেরিয়ে এলাম পরবর্তী গন্তব্য, গ্র্যান্ড বাজারের উদ্দেশ্যে।
১৪৬১ সালে চালু হওয়া গ্র্যান্ড বাজারকে পৃথিবীর প্রথম শপিং মলগুলোর অন্যতম ধরা হয়। ৬১টা কাভার্ড স্ট্রীট আর ৪,০০০ এর উপরে দোকান নিয়ে গড়া এই বাজার পৃথিবীর প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম পাকা ছাউনি দেয়া বাজার। কি নেই সেখানে! একজন ভোজন রসিক হিসাবে আমার নজর অবশ্য শুধুমাত্র খাবারের দোকানগুলোর দিকেই ছিল। আমি ঘন্টাখানেক ছিলাম ওখানে, তবে মেয়েরা গেলে ওখান থেকে আর বেরুতে চাইবে না বলেই আমার ধারনা! তাছাড়া প্রচুর দামাদামি করতে হয়, এটাও মেয়েদের খুবই পছন্দের বিষয়।
গ্র্যান্ড বাজারের একটা প্রবেশদ্বার, একটা প্রধান স্ট্রীট আর পার্শ্ববর্তী একটা মসজিদের ভিতরের ছবি,
আমার ধারনা ছিল আমার হোটেল থেকে মর্মর সাগর বেশ খানিকটা দুরে, হেটে যাওয়া সম্ভব না। কিন্তু এইমেন গতরাতে একটা শর্টকাট রাস্তা বাৎলে দিয়েছিল যেটা ধরে গেলে ১০ মিনিটেই হেটে সাগরপাড়ে যাওয়া যায়। শেষ বিকালটা সাগরপাড়ে বসে আর হাটাহাটি করেই কাটিয়ে দিলাম।
সন্ধ্যার আগে আগে হোটেলে ফিরে তৈরী হলাম ব্লু মস্কে মাগরিবের নামায আদায় করার জন্য। কয়েকটা ছবি দিলাম, তবে বেশীরভাগ জায়গাই সংস্কার কাজের জন্য ঢাকা থাকায় ছবিগুলো যুৎসই হয় নাই।
এরপর অবশ্য আপনাদেরকে বলার মতো তেমন কোন কিছু নাই। ডিনার, গোছগাছ, এইমেনের সাথে একটা সংক্ষিপ্ত আড্ডা, ঘুম এবং ভোরে উঠে এয়ারপোর্ট যাওয়া। সকালে এইমেন থাকবে না। তাই রাতেই ওর কাছ থেকে বিদায় নিলাম। বিদায়কালে জড়িয়ে ধরে বললো, ব্রাদার, তোমার সাথে হয়তো আর দেখা হবে না, তবে তোমার কথা আমার আজীবন মনে থাকবে। আমি বললাম, হয়তো দেখা হবেনা। তবে যেখানেই থাকো যেভাবেই থাকো, ভালো থেকো।
আর কোন রকমের ঘটনা ছাড়াই সকালে ইস্তান্বুলকে বিদায় জানিয়ে উড়াল দিলাম লন্ডনের উদ্দেশ্যে। আর হ্যা, একটা কথা না বললেই না। ইস্তান্বুলের ৩০ ডিগ্রির গরম থেকে হিথ্রোতে এসে যখন নামলাম তখন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি, সেইসাথে প্রচন্ড বাতাস। ঠান্ডায় কাপতে কাপতে কোন রকমে বাসায় ফিরলাম।
শেষ হলো আমার স্বপ্নপূরনের আরেকটা পর্যায়, আর শুরু পরবর্তী পর্যায়ের জন্য অপেক্ষার!
ছবিঃ আমার ক্যামেরা ও ফোন থেকে।
তথ্যঃ বিবিধ।
প্রথম পর্বের লিংকঃ ইস্তান্বুলের অলি-গলিতে কয়েকটা দিন - প্রথম পর্ব
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই পোষ্ট ভালো লাগানোর জন্য।
সময় করে বাকী পর্বগুলোও পড়ে ফেলুন। আর হ্যা, কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না যেন!
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বর্ণনার সাথে সাথে ছবিগুলোও ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই ভুয়া মফিজ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হেনাভাই। ভালো থাকবেন।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এবারের পর্বও অনেক ভাল লাগল।
লেখা ও ছবিতে মন ভরেছে ভাইয়া।+++
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক, শেষ পর্যন্ত আপনার মন ভরাতে পেরেছি।
সবগুলো পর্বেই সাথে ছিলেন, সেজন্যে আপনাকে একটা স্পেশাল থ্যাংকু!!!
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার এবারের পোস্ট ও ছবিগুলো ১০০ তে ১০০। ইস্তাম্বুলে এখন যেভাবে উন্নয়ন হচ্চে একসময় ইউরোপের অন্যতম পর্যটন সিটিতে পরিণত হবে এই ২০০০ বছরের পুরাতন শহর।
অসম্ভব ভালোলাগা পোস্টে। প্রিয়তেও নিয়ে রাখলাম।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার তো মনে হয়, যারা ইতিহাসে আগ্রহী তাদের জন্য অলরেডী এটা অন্যতম প্রধান আকর্ষন। প্রচুর ঐতিহাসিক আর প্রাচীন স্থাপনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর আনাচে কানাচে! দেখে শেষ করা যায় না। সব ভালোভাবে দেখতে মাস খানেক সময় দরকার।
প্রিয়তে নেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আপনার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে- আমারটার জন্য দোয়া করবেন। আগামী তে নতুন কোন গন্তব্যে ঘুরবো আপনার ব্লগের সাথে ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এক জীবনে সব স্বপ্ন কি আর পূরণ হয়? ঘুরি, যতোটুকু সময় আর সামর্থ্যে কুলায়।
শুধু আমার ব্লগের সাথে কেন....দোয়া করি আপনি নিজেও ঘুরবেন আর সেই সাথে আমাদেরও ঘোরাবেন।
৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সম্রাট সুলতানদের বিলাসিতা ভাবদেও অবাক লাগে!!!!
দারুন রোমাঞ্চকর ভ্রমন আর তার সাবলীল সূখপাট্য বর্ণনায় আমাদের সঙগী করায় ধন্যবাদ
অনেক অনেক ভাললাগা আর
+++++
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সম্রাট সুলতানদের বিলাসিতা দেখে আমার এক অর্থে রাগই হতো। এরা ইসলামের মূল নীতি থেকে সরে গিয়েছিল। নয়তো আজ এরাই পৃথিবীর অন্যতম পরাশক্তি হতো।
ছবিতে আর কতোটুকু বিলাসিতা দেখাতে পারলাম! নিজের চোখ দেখলে বুঝতেন বিলাসিতা কাহাকে বলে!
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কিছু দিন ব্লগে ছিলাম না তাই একটা পর্ব বাদ গেছে।পরে পড়ব পড়ব করে আর পড়া হয়নি তবে মনে আছে পড়তে হবে।
পড়ে নেব সময় করে।মন দিয়ে না পড়লে কোন লেখায় ভাল লাগে না।
আর ভ্রমন নিয়ে লেখা তো আমার খুবই প্রিয়।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলেই....ঠিকই বলেছেন। মন দিয়ে না পড়লে কোন লেখায় মজা পাওয়া যায় না।
কেমন লাগলো জানাতে আপনার ভুল হবে না জানি, তারপরও মনে করিয়ে দিলাম।
৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার ভ্রমনে নিত্য সহজ সব কথায় আপনি আমাদের ও আপনার সাথে নিচ্ছেন;
চমৎকার !! আমার এই সব প্রাসাদ ক্যাসেল কল্পনার জগত মনে হয় সব সময়। আপনার ছবি দেখে সে ধারনা আরও বাড়ল।অপূর্ব সব কারুকাজ !! দুবাইতে গ্লোবাল ভিলেজে'র টার্কিশ প্যাভিলিয়নে আমি সবচাইতে বেশি সময় দেই, মনে হচ্ছে গ্র্যান্ড বাজার ও আমার অনেক সময় নিয়ে নেবে।
চমৎকার এক ভ্রমন গল্পের জন্য শুভেচ্ছা নিন ভাইয়া।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার এই সব প্রাসাদ ক্যাসেল কল্পনার জগত মনে হয় সব সময়। খুবই সত্যি কথা বলেছেন। দেখি আর ভাবি মানুষ এই কল্পনার জগতে বাস করতো কিভাবে? গ্র্যান্ড বাজার আপনার একদিন নিবে, কমপক্ষে!
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩
একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: পড়েছি তুর্কিরা পর্যটকবান্ধব নয়, বেশ কয়েক মাস আগে একটা বিডিও দেখেছিলাম যাতে এক টুরিস্ট প্লেসে এক পর্যটকে স্থানীয় ব্যবসায়িরা নিষ্ঠুর ভাবে মারছিল।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘটনা কি জানিনা, তবে ওটা ব্যতিক্রম; অন্ততঃ আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে। ব্যতিক্রম কখনও উদাহরন হয় না।
১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
আচ্ছা, বালি বেশি উপভোগ্য না ইস্তাম্বুল?
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বলা মুস্কিল। এটা নির্ভর করে যার যার পছন্দ আর দৃষ্টিভঙ্গির উপর। তবে আপনার দু'জায়গাতেই যাওয়া উচিত।
১১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮
লাবণ্য ২ বলেছেন: ভালো লাগল।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
জুন বলেছেন: অসাধারণ বর্ননা ভুয়া মফিজ । শেষ পর্বটি অত্যন্ত মনোগ্রাহী হয়েছে । বিশেষ করে দোলমাবাহাচে প্রাসাদের বর্ননা আর ছবিগুলো দেখে মনটা কেমন করে উঠলো । ইস্তান্বুলের আনাচে কানাচে ঘুরে আসলাম আমিও কল্পনায় ।
+
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একজন প্রকৃত পর্যটক হিসাবে আপনার মন্তব্য সবসময়ই আমার জন্য প্রেরনাদায়ক। আপনার ভালো লাগাতে আমি খুবই খুশী। অশেষ ধন্যবাদ।
১৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মফিজ ভাই,
এক কথায় অপূর্ব!!! মনছুঁয়ে গেলো ।
অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।
১৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আবারও মুগ্ধ করলেন।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬
সামিয়া বলেছেন: চমৎকার লাগলো আপনার ইস্তান্বুলের অলি-গলিতে কয়েকটা দিনের ভ্রমন বর্ণনা এবং ছবি য়ার লেখা বেশ উপভোগ্য ছিল।। +++++++
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১১
রাকু হাসান বলেছেন: ভাল ছবি তুলতে পারেন বলে মনে হলো । +++
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: না রে ভাই। আমি এ্যামেচার, বলতে পারেন একেবারে নবীশ এই ব্যাপারে। তবু আপনার ভালো লাগাতে আমি যারপরনাই খুশী।
১৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩
সিগন্যাস বলেছেন: আহা এতো সুন্দর একটা সিরিজ শেষ হয়ে গেলো
এইবারের ছবিগুলো আরো বেশি সুন্দর মনে হলো
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সব কিছুই একদিন শেষ হয়ে যায়! একটা দার্শনিক স্টেটমেন্ট দিলাম।
জায়গাটাই খুব সুন্দর, তাই ছবিও সুন্দর। ধন্যবাদ আর অনেক ভালো থাকুন।
১৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬
সনেট কবি বলেছেন: ভালো লাগল।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সময় করে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬
যাযাবর চখা বলেছেন: যাহ, শেষ? আর কয়টা পর্ব হলে ভালো হইতো। যাক, ভালোই ঘুরলাম ইস্তাম্বুল।
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এর চেয়ে বেশী তো ঘুরি নাই। ঘুরলে আরো পর্ব দেয়া যেতো! তাই, ইস্তান্বুলের জন্য এটুকুই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮
তারেক ফাহিম বলেছেন: অনেক সুন্দর।
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্ট লেখা শুরু করেছেন মন খারাপ বলে, আমিও মন খারাপ করে পোস্ট পড়া শুরু করলাম- এই চমৎকার ভ্রমণটা শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে!! ক'দিন বেশ ইস্তাম্বুল ঘোরাঘুরি হলো, ভার্চুয়ালি। আগাগোড়া ভ্রমণ পোস্ট চমৎকার হয়েছে, ছবি এবং বর্ণনা দুই-ই।আজকের পোস্টের প্রথম ছবিটি কিসের বুঝতে পারিনি অবশ্য।
একটা কথা জানতে চাচ্ছিলাম, ইস্তাম্বুল একটা মেয়ের একাকী ভ্রমণের জন্য কতটুকু নিরাপদ? কোন মেয়ে যদি ট্রানজিটে একদিনের জন্য ইস্তাম্বুল ভ্রমণ করতে চায় একাকী, সেটা কতটা নিরাপদ হবে?
ধন্যবাদ, ইস্তাম্বুল ঘুরিয়ে আনার জন্য!
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম ছবিটা দোলমাবাহচে প্রাসাদের পেছন দিক। পেছনে এরকম ৩/৪টা গেইট আছে। বসফোরাস থেকে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। ২য় পর্বে ছবি দিয়েছিলাম, আপনার জন্য জুম করে একটা দিলাম।
আমি যতোটুকু দেখেছি, নিরাপদ। অনেক মেয়েই একা একা ঘুরছে। তবে এরা সাদা বা কালো মেয়ে, আমাদের দেশী কাউকে দেখি নাই। জানেনই তো এরা অনেক বেশী ফাস্ট, এদের ভয় ডর কম, তুলনায় আমাদের বাংলাদেশের মেয়েরা যতো যাই বলেন, একটু দুর্বল-ই! তাছাড়া দুর্ঘটনা ঘটতে কতোক্ষন?
সুলতান আহমেত স্কোয়ারে (যেখানে বেশীরভাগ দর্শনীয় স্থাপনা রয়েছে) একেবারেই সমস্যা নাই। রাত ১০টায়ও প্রচুর পর্যটক থাকে। সিকিউরিটিও খুব ভালো। কাছাকাছি প্রচুর হোটেলও আছে। সমস্যা হতে পারে এয়ারপোর্ট-হোটেল-এয়ারপোর্ট যাতায়াতে। যেমন, আমি ভোরে একেবারে অন্ধকার থাকতে বের হয়েছি এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে। আমাদের কোন মেয়ে একা একা এটা পারবে না, উচিতও না।
আমার মতে, হোটেল বা এয়ারপোর্টে যদি এটলিস্ট সন্ধ্যা নাগাদ ঢুকে পরা সম্ভব হয় (ফ্লাইটের সময় যদি সেটা এলাউ করে), তাহলে যাওয়া যেতে পারে। সাবধানতার কোন বিকল্প নাই, কি বলেন?
যতোটুকু বললাম, ঠিক মতো বোঝাতে পারলাম কিনা জানিনা। যে কোনও প্রশ্ন মনে আসলে করবেন, প্লিজ।
জাস্ট ফিল ফ্রি টু আস্ক.....এনিথিং!
সবশেষে বলবো, সবকিছু কায়দা মতো হলে ঘুরে আসেন, ভালো লাগবে।
২২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ ,
ছবি আর বর্ণনায় মর্মর সাগরের মর্মর ধ্বনির মতোই বেজে গেলো পুরো লেখাটা ।
প্রাসাদের সিলিং এর কারুকাজ করতে যে ১৪টন সোনা ব্যবহৃত হয়েছিলো , আজো কি তা আছে ?
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ।
আসলে সোনা তো এক জায়গায় নাই, কারো নেয়ার মতো অবস্থায়ও নাই। বিশাল প্রাসাদের কারুকাজের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাছাড়া, এর কঠোর নিরাপত্তা, রক্ষনাবেক্ষনের কারনে সম্ভব যদি বা হতোও তবু কেউ নিতে পারতো না।
২৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৩
মাহের ইসলাম বলেছেন: তুরস্কের মানুষ আর ইস্তাম্বুলের মানুষের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য অনেকেই হয়ত করতে পারবেন না।
তবে, সার্বিকভাবে তুরস্কের মানুষ অত্যন্ত অমায়িক, অতিথিপরায়ন, ভদ্র, এবং পরোপকারী।
ঐতিহ্য আর ইতিহাস নিয়ে গর্ব করার মত যথেষ্ট উপাদান এই জাতির রয়েছে।
আপনার ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইস্তান্বুলের মানুষরা তো তুরস্কেরই মানুষ।
সার্বিকভাবে তুরস্কের মানুষ অত্যন্ত অমায়িক, অতিথিপরায়ন, ভদ্র, এবং পরোপকারী।
ঐতিহ্য আর ইতিহাস নিয়ে গর্ব করার মত যথেষ্ট উপাদান এই জাতির রয়েছে। এটাতে পুরাপুরি একমত, অন্ততঃ আমার ছোট্ট অভিজ্ঞতা তাই বলে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
২৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪১
নীলপরি বলেছেন: ছবি ও লেখা দুটোই ভালো লাগলো ।
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো লাগানোর চেষ্টার কোন ত্রুটি করি নাই।
মনে হচ্ছে চেষ্টা মোটামুটি সার্থক। ভালো থাকুন, সবসময়।
২৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫
শিখা রহমান বলেছেন: মফিজ আগের দুটো পর্ব পড়া হয়নি। পড়ে নেবো। এই পর্ব আর আগের যেগুলো পড়েছি সব গুলোই অনেক ভালো লেগেছে। দারুন সুন্দর ছবি আর উপস্থাপনা।
আপনার সাথে ইস্তাম্বুলের অলিগলিতে ঘুরে বেড়াতে বেশ লাগলো।
শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আশা করি, না পড়া পর্ব দু'টোও ভালো লাগবে। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভ কামনা।
২৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বলা মুস্কিল। এটা নির্ভর করে যার যার পছন্দ আর দৃষ্টিভঙ্গির উপর। তবে আপনার দু'জায়গাতেই যাওয়া উচিত।
অবশ্যই যাবো।
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই অবশ্যই যাবেন।
২৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: চোক গুজাল ।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইটা কি??? খায় না পিন্দে?
২৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫
তারেক সিফাত বলেছেন: পড়ে বেশ ভালো লাগলো। যেতে চাই। নতুন যারা যাবে তাদের জন্য কিছু টিপস (জানলে ভালো না জানলেও সমস্যা নাই- এমন টাইপ) কি দেয়া যায়?
লিখার ৬ টা পর্ব পড়েছি, নোট নিয়েছি। ভ্রমণে ইতিহাস,লোকাল খাবার-দাবার, লোকাল মানুষদের সাথে মেশা এসব খুব ভালো লাগে। আমার মনে হয় ইতিহাস ছাড়া ভ্রমণ লিখা জমে না যেটা আপনার লিখার পরতে পরতে পেলাম। আর খাবার- দাবারের ক্ষেত্রে শুধু খাবারই নয় বরং কিভাবে খাওয়া হয় সেটা জানা আর নতুন একটা সংস্কৃতি শেখা- এই ব্যাপারটা খুব উপভোগ করি।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: টিপস তো অনেকই দেয়া যায়, অনেক লম্বা হয়ে যাবে। বরং আপনি যদি নির্দিষ্ট করে বলেন, তাহলে দিতে সুবিধা। শুধু শুধু একগাদা দিলাম যার অনেকগুলোই হয়তো আপনার দরকার নাই, কোন মানে হয়?
একটা দেই, এয়ারপোর্টে টাকা (আপনার কারেন্সি) ভাংগাবেন না, হাতে একেবারেই লীরা না থাকলে অল্প ভাংগান। কারন, রেট শহরের মতোই, কিন্তু ওখানে একটা ফী বা ভ্যাট জাতীয় কিছু একটা দিতে হয়, যেটা শহরের মানি চেন্জারগুলোতে (বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে) দিতে হয় না। আর ভাংগানোর আগে রেট দেখে হিসাব করে তারপর জিজ্ঞেস করে নিবেন যে, সেই এমাউন্টটাই দিবে কিনা। যদি কম বলে তাহলে বুঝবেন ওই ব্যাপারটা আছে। তখন অন্য দোকানে যাবেন।
আর টাকা দেয়ার সময় দেখিয়ে গুনে দিবেন, কতো দিচ্ছেন। অনেকসময় ভিড় হলে তারা বলতে পারে যে আপনি কম দিয়েছেন। এমনটা আমার সাথে হয়নি, তবে আমার পাশেই অন্য এক ট্যুরিষ্ট এর সাথে হয়েছে। এখন কে মিথ্যা বলছে আমি বুঝি নাই। একেবারে হাতাহাতির অবস্থা। আমি আর শেষ দেখি নাই। ট্যুরিষ্টটাও বাটপার হতে পারে!
দেখলেন, এক টিপসেই কতো কথা বলতে হলো!!!
সেজন্যেই আপনি নির্দিষ্ট করে বললে ভালো হয়। ধন্যবাদ।
২৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০০
তারেক সিফাত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ডলার থেকে লিরা চেঞ্জের ব্যাপারটা বলার জন্য। ট্যাক্সি ক্যাব ড্রাইভারের কাহিনী তো লিখলে্নই। আমি মেট্রো, বাস, ট্রাম, ফেরি, ফানিকুলার এসব ব্যবহার করব বলে প্ল্যান করেছি। ইস্তাম্বুল পাস কিনে নিলে ভালো হবে অনেক ট্রাভেলারের ব্লগে দেখলাম এই ব্যাপারে। আর আরেকটা হচ্ছে মিউজিয়াম পাস কেনা। আয়া সোফিয়া, তোপকাপি, টার্কিশ এন্ড ইসলামিক আর্ট মিউজিয়াম আর টার্কিশ আর্কিওলোজি মিউ্জিয়াম দেখার প্ল্যান আছে।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বেড়ানোর জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টই বেস্ট।
সবগুলো দেখলেই শুধুমাত্র মিউজিয়াম পাশ কেনা ভালো, নয়তো লস। আমিও কিনেছিলাম, কিন্তু বেশীরভাগই দেখি নাই / দেখার সময় পাই নাই। ব্যাসিলিকা সিস্টার্ন, দোলমাবাহচে প্রাসাদসহ বেশকিছু দর্শনীয় স্থান এই পাসের বাইরে। আলাদা টিকেট করা লাগে। আপনার হাতে যদি যথেষ্ট সময় থাকে, তাহলে অবশ্য কাটতে পারেন।
বেড়িয়ে এসে পোষ্টাইতে ভুইলেন না কিন্তু। অল দ্য বেষ্ট।
৩০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০১
তারেক সিফাত বলেছেন: একটু সময় করে ঘুরার প্ল্যান করেছি। ২ সপ্তাহ হবে, ই্তাম্বুল ছাড়া কাপাডোকিয়া যাওয়ার প্ল্যান আছে।
হুম ভাইয়া, ঘুরে এসে লিখে ফেলবো। আশা করছি ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সাজেশনের জন্য। ভালো থাকবেন ।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভবিষ্যতে কাপাডোসিয়া যাওয়ার প্ল্যান আমারও আছে। ঘুরে আসেন, খুব সুন্দর জায়গা।
৩১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০১
তারেক সিফাত বলেছেন: ইস্তাম্বুল*
৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইস্তাম্বুল না, হবে ইস্তান্বুল। ইস-তান-বুল (Istanbul)।
বললাম দেখে আবার মনে কিছু নিয়েন না।
৩২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮
তারেক সিফাত বলেছেন: হাহাহাহা, ভাইয়া লিখতে ভুল করসি। ইংরেজি থেকে বাংলা নাম লিখতে গিয়ে ভুল হয়ে গেসে।
আরেহ না, কি বলেন! কিছু মনে করার কি আছে? কিছু মনে করি নাই।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওকে। ভালো থাকবেন।
আপনার ভ্রমন কাহিনীর অপেক্ষায় থাকলাম।
৩৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫২
কালীদাস বলেছেন: দোলমাবাহচে দেখলাম ইউরোপিয়ান ইনফ্লুয়েন্স প্রবল; আর্কিটেকচার এবং ডেকোরেশনে। খালি ১৪ টন সোনা দিয়ে কোণাকানি মোড়ানোর ব্যাপারটা এশিয়ান কারিশমা ২১ নাম্বার কমেন্টের রিপ্লাইয়ের ছবিটা বেশ লাগল!
বুঝলাম আমরা পোলা, তাই বৈলা গ্রান্ড বাজারের ছবি এত কম দিবেন? এইডা বিচার হৈল একটা?
যথারীতি পুরোটা সিরিজই উপভোগ্য ছিল। থ্যাংকস, ব্লগে শেয়ারের জন্য
পরের ডেস্টিনিশন কোনদিকে?
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইস্তান্বুল সবসময়েই ইওরোপ-এশিয়ার সংমিশ্রন। সেই অটোমান আমল থেকেই।
যতোই বিখ্যাত হোক, এন্ড অফ দ্য ডে গ্রান্ড বাজার তো একটা বাজারই। আরো ছবি দিলেও একই রকমের লাগতো। বাজারের ছবি দিয়া পোলা গো কাম কি?
পরের ডেস্টিনিশন হবে ইউরোপ-আফ্রিকার একটা সংমিশ্রণ। প্ল্যান এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে, দেখা যাক কতোদূর কি হয়। এপ্রিলের শেষে বা মে'র প্রথমদিকে হতে পারে। আপনি তো আবার ডুব দিবেন। মে-জুনের দিকে পারলে উকিঝুকি দিয়েন আমার বাসায়, যদি সম্ভব হয়।
অনেক কষ্ট করে সবগুলো পর্ব দেখলেন, কমেন্টাইলেন। প্রচুর উৎসাহ পেলাম। আল্লাহ বাচিয়ে রাখলে আরেকটা ভ্রমন ব্লগ দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
ততোদিন ভালো থাকুন।
৩৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: আরেকবার আপনার পোষ্টে এসে ছবি গুলো দেখে গেলাম।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরেকবার দেখে কেমন লাগলো? আগেরবারের চেয়ে ভালো নাকি খারাপ?
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২১
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অপূর্ব! বর্ণনা আর ছবিগুলো দারুণ সুন্দর! আপনার সাবলীল লেখা আর ইন্টারেস্টিং ভ্রমণ কাহিনী খুবই ভালো লাগল! আগের পর্বগুলো সব পড়া হয়নি। পড়ার ইচ্ছে আছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা!