নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চতুর্থ পর্বঃ view this link
সকালে চোখের উপর রোদ পরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল মাশুকের। ঘড়িতে দেখলো সাতটা বাজে। সজীব বিছানায় নেই, এটাচড বাথরুম থেকে পানির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। উঠে বারান্দায় এসে দাড়ালো ও। সামনের বড় বড় গাছগুলোতে প্রচুর পাখী। ডাকাডাকি, লাফালাফি চলছে সমানতালে। নিজের মনেই হাসলো মাশুক। কাল রাতে সম্ভবতঃ মেয়েটা আসেনি, কিংবা এলেও ওদের ঘুম দেখে আর ডিস্টার্ব করেনি। হাজার হলেও বৃটিশ ভুত, ভদ্রতাজ্ঞান প্রখর হওয়াটাই যুক্তিসঙ্গতঃ! কিংবা এটাও হতে পারে যে, ওদের আসার খবরই পায়নি এখনও!
বাথরুম থেকে বের হয়ে মাশুককে একা একা হাসতে দেখে সজীব বললো,
- কি ব্যাপার, খুব খুশী মনে হচ্ছে?
- দুঃখের কিছু যেহেতু ঘটেনি, খুশীই তো হওয়ার কথা! তবে ভুতটা না আসাতে মনটা একটু খারাপ।
- আমি তো তোকে অনেকবারই বলেছি, ভুত-প্রেত বলে কিছু নাই। বনের বাঘে খায় না, খায় মনের বাঘে! যাই হোক, ধীরে-সুস্থে তৈরী হয়ে নে। বের হই। আমাদের এখানকার প্রোগ্রাম কি?
- প্রোগ্রাম তো জানিসই। মাশুক বললো। যতোক্ষন খুশী স্টোনহেইন্জে আর এর আশেপাশে সময় কাটাবো। শহরে ঘোরাঘুরি করবো। আগামীকাল এখানে-ওখানে অলস সময় কাটাবো। তারপর রাতে রক্তিম চাদের ব্যাকগ্রাউন্ডে স্টোনহেইন্জকে উপভোগ করে পরদিন সকালে ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন!
পরিকল্পনা মতোই সারাদিন কাটালো ওরা। স্টোনহেইন্জ এর আশেপাশে আর শহরে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে। দিনটা খারাপ কাটলো না একেবারে। রাতে 'সো কল্ড বিখ্যাত' ইংলিশ ফিস এন্ড চিপস খেয়ে হোটেলে ফিরলো। বারান্দায় দু’জনে বসে আড্ডা দিল কিছুক্ষন। তবে সারাদিনের ঘোরাঘুরির ক্লান্তিতে বেশীক্ষন পারলো না, ঘুমিয়ে পরলো যার যার বিছানায়।
বজ্রপাতের প্রচন্ড শব্দে রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল মাশুকের। পাশে তাকিয়ে দেখলো সজীব ঘুমাচ্ছে মরার মতো। বাইরে বাতাসের প্রচন্ড শব্দ। মাশুক একটু আশ্চর্যই হলো, বজ্রপাতের এতো বিকট শব্দেও সজীবের ঘুম ভাংলো না দেখে! হঠাৎ বারান্দায় চোখ গেল ওর আর সঙ্গে সঙ্গে ঘাড়ের চুল সব দাড়িয়ে গেল সড়সড় করে! মাশুক অনুভব করলো গায়ের প্রতিটা পশমও যেন দাড়িয়ে যাচ্ছে ওর, সেইসঙ্গে কেমন একটা শীত শীত অনুভূতি। নিশিতে পাওয়া মানুষের মতো বারান্দার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ও, নড়াচড়া করার একবিন্দু শক্তিও নাই যেন ওর শরীরে!
বারান্দায় সাদা একটা অবয়ব দাড়িয়ে, নাকি ভেসে আছে বোঝা যাচ্ছে না ঠিক! পেছনটা দেখা যাচ্ছে। প্রচন্ড বাতাসে সাদা কাপড় উড়ছে অনেকটা শাড়ীর আচলের মতো করে। মাশুক জ্ঞান হারায়নি, চিন্তা শক্তিও ঠিক আছে; তবে ভয়ে নাকি অন্য কোন কারনে জানেনা, নড়াচড়া করতে পারছে না ও। সজীবকে ডাকতে গিয়ে বুঝতে পারলো গলা থেকে কোন শব্দও বের হচ্ছে না। দেখলো, আস্তে আস্তে ওর দিকে ঘুরে যাচ্ছে অবয়বটা!
যা ভেবেছিল, একটা মেয়ে। বাইরে আবছা আলো, কিন্তু মেয়েটাকে পরিস্কার দেখতে পাচ্ছে ও। নতুন করে আর কি হবে, বাকরুদ্ধ তো হয়েই ছিল। মেয়েটার অপার্থিব সৌন্দর্য্য দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেল মাশুক। মেয়েটার চেহারায় এক অন্যরকমের বিষাদ। হঠাৎ মাশুকের মনে হলো মাথার ভিতরে কে যেন বললো,
- ভয় পেয়ো না। আমি তোমার কোন ক্ষতি করতে আসিনি।
মেয়েটার ঠোট বিন্দুমাত্রও নড়তে দেখেনি। বিদ্যুৎ চমকের মতো ওর মাথায় এলো, টেলিপ্যাথি! মেয়েটা টেলিপ্যাথির মাধ্যমে কথা বলছে ওর সাথে! মাশুক মনে মনে বললো,
- তাহলে কেন এসেছ?
- আবারও বলছি, ভয় পেয়ো না। তোমার সাহায্য দরকার আমার। তুমিই প্রথম ব্যাক্তি, যে আমাকে দেখে জ্ঞান হারায়নি! তুমিই পারবে আমাকে এই যন্ত্রনাদায়ক জীবন থেকে মুক্তি দিতে। যাতে ভয় না পাও, তা নিশ্চিত করতে আমি তোমার কাছেও আসবো না, এখান থেকেই কথা বলবো। ভয় পাচ্ছো না তো?
- পেয়েছিলাম, আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ানক ভয় পেয়েছিলাম। এখন আর ততোটা পাচ্ছি না। তবে এটাও বুঝতে পারছি না যে আমি কিভাবে সাহায্য করবো তোমাকে?
- বলছি, যতোটা সংক্ষেপে পারা যায়। তোমাকে সম্পূর্ণটা জানতে হবে আগে।
আমার নাম লিয়ানা। হাজার হাজার বছর আগে এখানে একটা গোত্র বাস করতো। আমার বাবা ছিল সেই গোত্রের প্রধান। আমরা চন্দ্র দেবতাদের পুজা করতাম। প্রধান দেবতার নির্দেশে আমাদের লোকেরা একটা চন্দ্র মন্দির তৈরী করে, যেটাকে তোমরা স্টোনহেইন্জ নামে চেনো এখন।
আমার একজন ভালোবাসার মানুষ ছিল, মিরিল নাম। আমরা দু’জন দু’জনকে ভালোবাসতাম পাগলের মতো। সব যুগেই, সব ভালোবাসারই কিছু শত্রু থাকে। আমাদের ভালোবাসারও তেমনই দু’জন শত্রু ছিল, আমার বাবা, আর প্রধান পুরোহিত।
তবে দু’জনের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। বাবা চাইতো না, গোত্র প্রধানের মেয়ের সাথে একটা সাধারন ছেলের সম্পর্ক থাকুক। আর পুরোহিতের গোপন ইচ্ছা ছিল আমাকে ভোগ করার, যেটা মিরিলের জন্য সম্ভব হচ্ছিল না। দুজনের উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও লক্ষ্য ছিল অভিন্ন। তাই দু’জনে মিলে ষড়যন্ত্র করে, মিরিলকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার। পুরোহিতের ইচ্ছা অবশ্য বাবার জানা ছিল না। মিরিল পুরো গোত্রে খুবই জনপ্রিয় ছিল। সবার আশা ছিল যে, বাবার পর ওই হবে গোত্র প্রধান। তাই ওকে সরানোটা খুব সহজসাধ্য ছিল না।
নিয়ম ছিল, মন্দির তৈরীর পর দেবতার সন্তুষ্টির জন্য মন্দিরে প্রথম প্রার্থনার দিন একটা প্রান উৎসর্গ করতে হবে, অর্থাৎ নরবলি দিতে হবে। সেটাকে কাজে লাগিয়ে পুরোহিত প্রচার করে যে, বলিকে হতে হবে একজন সুপুরুষ, যুবক; আর সে হবে পুরো গোত্রের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়, তবেই দেবতারা সন্তুষ্ট হবে। ফলে মিরিলকে উৎসর্গ করার ব্যাপারটা সবাইকে বোঝাতে কোন সমস্যা হয়নি। ও ছিল প্রচন্ড সাহসী আর গোত্রের প্রতি নিবেদিত প্রান। দেবতারা অসন্তুষ্ট হলে গোত্র ধ্বংস হয়ে যাবে এটা চিন্তা করে ও নিজেও রাজী হয়ে যায় নিজেকে উৎসর্গ করতে। আমাকে বোঝায়, দেবতাদের ইচ্ছার বাইরে যাওয়ার কোন উপায় নেই, আর তাদের আশির্বাদেই আমরা মৃত্যুর পর আবার মিলিত হবো অনন্তকালের জন্য।
আমার আর কিছুই করার ছিল না। দেবতাদের নির্দেশ ছিল, রক্তিম চাদের রাতেই এই ধর্মীয় কাজ অর্থাৎ বলী সম্পাদন করতে হবে। সেই ভয়াবহ রাতে আমি এখানেই বসে ছিলাম। এটা তখন ছিল একটা পাহাড়-চুড়া, আর পিছনেই ছিল গভীর খাদ। পুরোহিত ধর্মীয় কাজ শেষ করে এসে আমাকে জানায় যে, মিরিল এখন আর বেচে নেই, কাজেই ওর কাছে আত্মসমর্পন করা ছাড়া আমার আর কোন গতি নেই। ও যখন আমাকে ধরতে আসে, তখন আমি ওই খাদে লাফিয়ে পরি।
তখন পর্যন্ত সব ঠিক মতোই এগুচ্ছিল। আমি মিরিলের অনন্ত সঙ্গলাভের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তখনই দেবতাদের অভিশাপ আমার উপর নেমে এলো। আমি জানলাম, রক্তিম চাদের পবিত্র রাতে আত্মহত্যা মহাপাপ। এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত তখনই শেষ হবে যখন মিরিলের বয়সী এক যুবক, কোন এক রক্তিম চাদের রাতে একটা নির্দিষ্ট কাজ করার মাধ্যমে আমাকে সাহায্য করতে স্ব-ইচ্ছায় রাজী হবে। তুমি জানো, এই চাদের রাত বহু বছর পর পর আসে। আর যখন আসে, তখন বাকী সব শর্ত পূরণ করে যদিও বা কাউকে পাই, তাকে কিছু বলার আগেই সে ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়!
- বুঝলাম, মাশুক মনে মনে বললো। আরো বিভিন্ন জায়গায় তো এতোকাল চেষ্টা করতে পারতে। ঠিক এখানেই কেন তোমাকে সাহায্যকারী খুজতে হবে?
- এখানেই আমি আত্মহত্যা করি। তাই দেবতাদের নির্দেশে আমার আত্মা এখানেই আবদ্ধ। সবই তোমাকে বললাম। এখন করবে আমাকে সাহায্য? তোমার করুণা পেলেই কেবল আমার আত্মার মুক্তিলাভ সম্ভব। আর তাহলেই আমি মিরিলের সাথে মিলিত হতে পারি। সমাপ্তি হতে পারে আমাদের দু’জনের অনন্তকাল অপেক্ষার পালা। এই অন্তঃহীন বিরহ আমি সহ্য করতে পারছি না আর; দয়া করো আমাকে, একটু দয়া করো!
মাশুক দেখলো, লিয়ানার দু’গাল বেয়ে অশ্রুর ধারা নেমে এসেছে। ভুত জীবনে কোনদিন দেখেনি, ভুতের কান্না দেখার তো প্রশ্নই আসে না। ওর খুব ইচ্ছা করছিল, লিয়ানার সাথে একটা সেলফি তোলে! কিন্ত লিয়ানার এই অবস্থায়, এমন প্রস্তাব দিতে ওর বিবেকে বাধলো। বললো, আমি সাহায্য করলে যদি তোমার আত্মা মুক্তি পায়, তাহলে অবশ্যই করবো। বলো কি করতে হবে আমাকে? তাছাড়া, সাথে আমার বন্ধুও আছে। ওর কিছু করার থাকলে সেটাও আমাকে বলতে পারো।
- না। সমস্ত কাজ তোমাকে একাই করতে হবে বন্ধু। কেউ যেন কিছু না জানে, এমনকি তোমার বন্ধুও না। মূল কাজটা করতে হবে ঠিক মধ্যরাতে। সেই হিসাবে রাতে যথাসময়ে তুমি বেরিয়ে পড়বে। তার আগেই তোমার বন্ধুকে আমি ঘুম পাড়িয়ে দিব। চন্দ্র মন্দিরে গিয়ে বৃত্তের ভিতরের যে কোনও জায়গায় আধহাত পরিমান একটা গর্ত খুড়বে। তারপর ঠিক মধ্যরাতে, আকাশে রক্তিম আভা যখন পরিপূর্ন রুপ ধারন করবে, তখন এই বাক্সটা সেই গর্তে রেখে পুড়িয়ে দিবে। শেষে, গর্তটাকে আবার মাটি দিয়ে ভরাট করে দিবে। ব্যাস, তাহলেই আমার প্রায়শ্চিত্ত শেষ হবে। লিয়ানা ছোট্ট একটা বাক্স বের করলো। বললো, বাক্সটা খুলবে না দয়া করে। তাহলে কিন্তু সব নষ্ট হয়ে যাবে, আমিও আর কোনদিন মুক্তি পাবো না। সকালে বাক্সটা তোমার বেডসাইড টেবিলের ড্রয়ারে পাবে। আমি আর মিরিল তোমার উপকারের কথা কোনদিনও ভুলবো না। বিদায় বন্ধু। ভালো থেকো।
মাশুকের চোখের সামনে লিয়ানা আস্তে আস্তে মিলিয়ে গেল, সঙ্গে সঙ্গে ঝোড়ো বাতাসও থেমে গেল; চারদিক সুনসান, নিস্তব্ধ। ঘুমে দু’চোখ জড়িয়ে এলো মাশুকের।
সকালে সজীবের বিরাট হৈ চৈ আর চেচামেচিতে ঘুম ভাংলো মাশুকের। সে নাকি অনেকক্ষন ধরে ডাকাডাকি করছে, কিন্তু মাশুকের ঘুম ভাঙ্গাতে পারছে না। যাই হোক, মাশুককে উঠতে দেখে শান্ত হলো ও। মাশুক জানিয়ে দিল, আজ আর কোথাও বের হবে না, শরীরটা ভালো ঠেকছে না। সারাদিন বিশ্রাম নিবে। অনেক জোরাজুরি করেও না পেরে শেষে সজীব একাই বেরিয়ে গেল। আসলে মাশুক চাচ্ছিল একটু একা থাকতে। সজীব বেরিয়ে যেতেই বাক্সটা বের করলো ও। ছোট্ট একটা কালো রং এর কাঠের বাক্স। সারা শরীরেই অদ্ভুদ সব আকি-বুকি, যার মর্ম উদ্ধার করা ওর পক্ষে অসম্ভব। খুব ইচ্ছা করছিল খুলে দেখে, কিন্তু লিয়ানার দুঃখী চেহারা মনে ভেসে উঠায় আর খুললো না। সারাটা দিন শুয়ে, বসে আর ঝিমিয়েই কাটিয়ে দিল ও।
সন্ধ্যার পরপরই ফিরে এলো সজীব। সারাদিন কি কি করলো তার সবিস্তার বর্ণনা দিল। হু হা ছাড়া তেমন কিছুই বললো না মাশুক। বারান্দায় বসে রইলো একভাবে। শেষে রাত ১০ টার দিকে সজীব জানালো, ও আর চোখ খোলা রাখতে পারছে না। টান টান হয়ে শুয়ে পড়লো বিছানায়। এগারোটার দিকে উঠলো মাশুক। সবকিছু আগেই রেডি করে রেখেছিল। হোটেল থেকে স্টোনহেইন্জ প্রায় তিরিশ মিনিটের হাটা-দুরত্ব, এতো রাতে ট্যাক্সি ডাকার ঝুকি নিল না ও। হেটেই চলে গেল।
কোন রকমের ঘটনা বা সমস্যা ছাড়াই কাজগুলো লিয়ানার কথামতো সারলো ও। মাশুকের মনে হলো, লিয়ানা প্রতিটা মুহুর্তেই ওকে দেখছে, ওর সঙ্গেই আছে। যখনই একটু জোরে বাতাস দিয়েছে, ওর মনে হয়েছে এই বাতাসের মধ্যে লিয়ানার প্রাচীন দীর্ঘ-নিঃশ্বাসও মিশে আছে!
ঠিক বারোটার সময় সব কাজ শেষে আকাশে, রক্তিম চাদটার দিকে তাকালো মাশুক। দেখলো, সাদা একটা কুয়াশার মতো মেঘ চাদের দিকে ভাসতে ভাসতে গিয়ে এক সময় মিলিয়ে গেল। হয়তো লিয়ানার আত্মার মুক্তি ঘটলো চিরতরে। চাদের দিকে তাকিয়ে আপনমনে মাশুক বললো, ভালো থেকো লিয়ানা, তোমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। মিরিলের সাথে তোমার বহু প্রতীক্ষিত মিলন মধুর হোক। প্রার্থনা করি, দুঃখ যেন তোমাকে আর কোনদিন ছুতে না পারে! কখনও না, এক মুহুর্তের জন্যও না। তোমাদের দু'জনের জন্য অনন্ত শুভ কামনা!!!
ফটো ক্রেডিটঃ গুগল।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওকে, কবিভাই।
এবার কিন্তু আপনার টিপিক্যাল মন্তব্যে হবে না। ক্রিটিকের দৃষ্টিতে আপনার অনেস্ট ওপিনিয়ন চাই, যা আমাকে ভবিষ্যতে আরো ভালো লিখতে সাহায্য করবে।
ধন্যবাদ।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাপ রে কলিজায় চিপ ধরে ছিল !!
কি লিখছেন এইটা !!! ওহ ......
অসাধারণ লাগলো।
ভালো করছেন স্বপ্ন পূরণ / ইচ্ছা পূরণ নাম দিয়া ; যদি নুর ভাইয়ের মত সাবধান বানী থাকত , তাইলে এই দুর্বল হার্ট নিয়ে আমি জীবনে ও সাহস করতাম না।
রাতে আগের পর্ব পড়ে ও মন্তব্য করা হয় নি , আর শেষ পর্ব তো জমিয়ে লিখেছেন। চমৎকার একটা সিরিজ উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কলিজায় চিপ ধরানোর মতো তো কিছু লিখি নাই!
আপনাকে ভয় দেখাবো বলেছিলাম না! একটা স্যাম্পল দিলাম। কাথা মুড়ি দেয়ার ব্যাবস্থা ভবিষ্যতে হবে।
মন্তব্যে ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
মিথী_মারজান বলেছেন: ওয়াও!
কি দারুণ একটা সুপার ন্যাচারাল থ্রিলার।
একদম আচ্ছন্ন হয়ে একটানে পড়লাম।
আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি জন্য আফসোস লাগছে।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি জন্য আফসোস লাগছে। জীবনে কোন আফসোস রাখতে নেই, সবগুলো পর্ব পড়ে ফেলুন।
আপনাদেরকে আচ্ছন্ন করার চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখিনি। মনে হচ্ছে কিছুটা সফল হয়েছি এবার!
দারুন মন্তব্যে খুশি খুশি লাগছে। অনেক ধন্যবাদ।
৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪
জুন বলেছেন: ঘটনাটা কি হাচাই নাকি কল্পিত ভুভুভুয়া মমজিজ
বাপ্রে আপনের সাহস দেখে আমি স্তম্ভিত
যাই হোক শেষ পর্যন্ত একটি মধুরেণ সমাপন দেখে ভালোলাগলো ।
+
কিন্ত আমার কৌতুহলের বিষয় স্টোনহেঞ্জ নিয়েতো কিছু বললেন না
আশা করছি সামনে একে নিয়ে এক পর্ব হলেও কিছু লিখবেন । এখানে যাবার খুব শখ
প্রথম পর্বে একটি মন্তব্য আছে দেখেছেন কি !
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সত্যি নাকি মিথ্যা, এটা না হয় রহস্যই থাকুক আপা!
স্টোনহেঞ্জ গিয়েছিলাম ২০০৯ সালে একবার। আমি ছবি টবি কোন সময়ই খুব একটা তুলতাম না। যাও কিছু তুলেছিলাম, হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করে সব ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ছবি তো মনোযোগ দিয়ে তোলা শুরু করলাম সামুতে ব্লগিং শুরু করার পর!
দেখি, এটা নিয়ে ভবিষ্যতে হয়তো লিখবো। ভাবছি, আবার ওখানে যাবো বেড়াতে।
এখানে যাবার খুব শখ / চলে আসেন, কোন শখ ফেলে রাখা ঠিক না।
ভালো থাকবেন।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম পর্বে একটি মন্তব্য আছে দেখেছেন কি ! স্যরি, এই কথাটা খেয়াল করিনি। আপনার মন্তব্য দেখেছি, উত্তরও দিয়েছি।
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো ওস্তাদ লোক।
চমৎকার লেখা।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওস্তাদদের কাছ থেকে এমন কমপ্লিমেন্ট পাইলে ভালোই লাগে!
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওহো, আপনার বর্তমান ট্রেন্ড ফলো করে, দার্শনিক মন্তব্য না করে, এমন একটা প্রেরনাদায়ক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ দিতে ভুলে গিয়েছিলাম।
আমার আন্তরিক ধন্যবাদ নিন!
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮
জুন বলেছেন: মফিজ এর ফ বাদ পরেছে
ওটা একটু যোগ করে নিবেন কাইন্ডলি
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'ফ' যোগ করেই পড়েছি.....চিন্তা করবেন না।
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: গল্পটার শেষ যেমন হবে বলে অনুমান করেছিলাম, তা হয়নি অতএব লেখক হিসেবে আপনি সার্থক বলা যেতে পারে। তবে শেষ অবধি পড়ে একটু নিরাশ হয়েছি। আমার ধারণা ছিল স্টোনহেঞ্জে কোন ঘটনা ঘটবে, সেই সুবাদে স্টোনহেঞ্জ এর কিছু বর্ণনাও থাকবে। বহুবার বহু জায়গায় স্টোনহেঞ্জ নিয়ে পড়েছি, কিন্তু বারবার পড়লেও আরো পড়তে ইচ্ছা করে, কারণ দেখার কোন সুযোগ পাইনি। আপনি নিশ্চয়ই স্টোনহেঞ্জ দেখেছেন, কিছু বর্ণনা দিতে পারতেন! মাশুক সজিবকে এ সম্পর্কে জ্ঞান দিতে পারত, ফেলুদার গল্পে দেখেননি, যে কোন নতুন জায়গায় গেলে ফেলুদা সেই জায়গা সম্পর্কে তোপসেকে জ্ঞান দেয়, আর আমাদেরও কত কিছু জানা হয়ে যায়!! এরপর আশা করি নতুন জায়গা সম্পর্কে জ্ঞান দান করবেন, যেহেতু সেগুলো আপনার দেখা আছে কিন্তু আমাদের দেখা নেই- তাই।
গল্পে প্লাস।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে আশাহত করার জন্য দুঃখিত।
গল্পতে স্টোনহেঞ্জ এসেছে জাস্ট গল্পের খাতিরে। আমি তো আর সত্যাজিত রায় না, গল্পে জ্ঞান দান আবার অনেকের পছন্দ না। কই যাই?
ইংল্যান্ডে থেকে আমি স্টোনহেঞ্জ দেখবো না, তা কি করে হয়? যান, স্টোনহেঞ্জ নিয়ে আলাদা একটা পোষ্ট দিব, যতো দ্রুত সম্ভব। দুঃখ হলো ওখানে আমার তোলা ছবিগুলো একটাও নাই।
আপনার মন্তব্য আর প্লাসে ভীষনভাবে অনুপ্রাণীত। থ্যংক য়্যু।
৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০১
যাযাবর চখা বলেছেন: দারুন, অসাধারন। গল্পে একেবারে মোহাবিস্ট হয়ে গেছিলাম। প্রতিটা পর্বই চমৎকার। আশাকরি আরো দারন সব গল্প পাবো।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চেষ্টা থাকবে অবশ্যই।
অসংখ্য ধন্যবাদ আর ভালো থাকবেন।
৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১৫
আরোগ্য বলেছেন: আজকের পর্বটা অসাধারণ। দারুণ লেগেছে। আশাকরি এখানেই শেষ না।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটাই শেষ পর্ব, কাজেই এই গল্পের এখানেই সমাপ্তি। সবগুলো পর্ব পড়েছেন....মতামত দিয়েছেন, সেজন্যে কৃতজ্ঞতা।
আমার ভবিষ্যতের লেখায় আপনাকে আবার পাবো, এই কামনা তো করতেই পারি; কি বলেন?
১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
শিখা রহমান বলেছেন: শেষ পর্যন্ত পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখতে পেরেছেন সেটা আপনার সিরিজের সার্থকতা ও লেখনীর গুণ।
তবে কেন যেন মনে হচ্ছে শেষটা ভয়ঙ্কর হলে বেশী ভালো লাগতো। অবশ্য সেটা আমার পাঠ্যরুচি। ভয়ের গল্প বা রহস্যময় গল্পের শেষে কিছু রহস্য, কিছুটা গা ছম ছম থেকে গেলে আমার ভালো লাগে।
সুন্দর সিরিজটা উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা প্রিয় লেখক।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি শেষটা আরো ভয়ংকর চাচ্ছেন, আর কারো কারো তো এতেই কলিজায় চিপ ধরছে! আমার তো সবার কথাই ভাবতে হবে, তাই না!
আপনার প্রশংসায় ইচ্ছা করছে, আমিও লিয়ানার মতো আকাশে ভাসতে থাকি!
ধন্যবাদ আর আপনার জন্যও শুভকামনা।
১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন:
শিখা রহমানবলেছেন:
শেষ পর্যন্ত পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখতে পেরেছেন সেটা আপনার সিরিজের সার্থকতা ও লেখনীর গুণ।তবে কেন যেন মনে হচ্ছে শেষটা ভয়ঙ্কর হলে বেশী ভালো লাগতো। অবশ্য সেটা আমার পাঠ্যরুচি। ভয়ের গল্প বা রহস্যময় গল্পের শেষে কিছু রহস্য, কিছুটা গা ছম ছম থেকে গেলে আমার ভালো লাগে।
সুন্দর সিরিজটা উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা প্রিয় লেখক।
আমারও এই মত।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি শেষটা আরো ভয়ংকর চাচ্ছেন, আর কারো কারো তো এতেই কলিজায় চিপ ধরছে! আমার তো সবার কথাই ভাবতে হবে, তাই না!
আপনার প্রশংসায় ইচ্ছা করছে, আমিও লিয়ানার মতো আকাশে ভাসতে থাকি!
ধন্যবাদ আর আপনার জন্যও শুভকামনা।
আমারও এই উত্তর!
১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭
আরোগ্য বলেছেন: ইনশাআল্লাহ, পাশে পাবেন। আমার ব্লগে উকি ঝুঁকি মারলেও খুব খুশী হব।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ব্লগে অবশ্যই উকি-ঝুকি মারবো, সময় করে।
আবার আসার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার এই ইচ্ছা পুরুণের গল্পগুলো তো পড়া হয় নি। ইতোমধ্যে পাঁচ পর্ব দিয়ে শেষও করে দিয়েছেন।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গরীবের দিকে ক'জনই বা নজর দেয়?
প্রথম পর্ব থেকে পড়া শুরু করেন। তারপর বলেন কেমন হয়েছে।
১৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন:
মিরিল আর লিরিল স্পেলিং এর গন্ডগোল হয়েছে প্রথম দিকে।
শেষটা ভালো হয়েছে। সকল অাত্মারাই শান্তি পাক।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওহ, ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ঠিক করে দিয়েছি।
ভুলের ব্যাপারে আমি অনেক সাবধান থাকি, তারপরও হয়ে যায়। জানেনই তো, ম্যান ইজ মর্টাল!
১৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২২
ওমেরা বলেছেন: অসাধারন একটা গল্পের সফল সমাপ্তি হল। অনেক ধন্যবাদ ।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অামার গল্পের এতো প্রশংসা করলেন.....ধন্যবাদ তো আমি আপনাকে দেবো, তাই না!
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন! অসাধারন! অনন্য!
জাষ্ট ওয়া্ও!
জম্পেস কাহিনী। টানটান উত্তেজনা। সেকি আইডিয়া- যশ চোপড়া ফেল
হা হা হা
দারুন একটা সিরিজের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
শেষ ভাল যার সব ভাল তার
+++++++++
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার প্রশংসায় তো ভেসে যাওয়ার অবস্থা আমার!
তবে, যশ চোপড়ার সাথে আমার তুলনা! ঠিক হলো ব্যাপারটা!! আমি ওর থেকে কতো বেশী ট্যালেন্টেড!!!
আপনার এই মন্তব্যে তো ইচ্ছা করছে আবার কি বোর্ডে ঝড় তুলি....আরেকটা গল্প লিখতে!
অসংখ্য ধন্যবাদ সবগুলো পর্ব পড়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্যে।
১৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৩
ওমেরা বলেছেন: আপনি কত চিন্তা করে সময় ব্যায় করে আমাদের জন্য লিখেছেন ধন্যবাদ অবশ্যই আপনারও পাওনা।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওহ, ঠিক আছে। আবার আসার জন্য আবারও অনেক ধন্যবাদ।
১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
দারুন একটি সিরিজ আপনার কাছ থেকে পেলাম। প্রতিটা পর্বই ছিল প্রাণবন্ত।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর ভালো থাকবেন।
১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২৭
রাকু হাসান বলেছেন: আগের পর্ব পড়েনি বলে এটাও পড়িনি । তবে ১ম থেকে শুরু করবো । সরি ।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোন ব্যাপার না....এটাই বরং ভালো। প্রথম থেকে পড়লে গল্পের স্বাদ আস্বাদনও পরিপূর্ণ হয়। তবে পড়ার পর জানাতে ভুলবেন না যেন!
অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গল্পের প্রথমে আমি মনে করেছিলাম এটি হয়তো কোন জীবন ঘনিষ্ঠ গল্প হবে।
পরে আমার ধারনা ভুল প্রমানিত হল।
শেষের পর্বও অনেক ভাল লেগেছে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধারনা ভুল প্রমানিত হওয়া খারাপ না।
লেখার আগেই পাঠক যদি গল্পের ইনস এন্ড আউটস বুঝে ফেলে, তাহলে লেখকের ভালো লাগে না। কাজেই এমন ভুল সবসময় করবেন।
শেষের পর্ব ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। সব ভালো তার, শেষ ভালো যার!!
অনেক, অনেক এবং অনেক ধন্যবাদ।
২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ ,
সব পর্বই পড়লুম । মনে হলো অহেতুক টেনে টেনে লস্বা করা হয়েছে । যে ইচ্ছে পুরনের কাহিনী বলতে চেয়েছেন গল্পে তা আছে মাত্র এই শেষের পর্বে । বাকী পর্বগুলো ছোট করে শেষের পর্বটাকে আরও টানটান করা যেত ।
তবুও বলি - খারাপ লাগেনি । ছন্দপতন ঘটেনি পুরো পর্বে ।
সামনে আরো কন্ক্রীট গল্প পাবো এই বিশ্বাস রাখছি ।
শুভেচ্ছান্তে ।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মনে হলো অহেতুক টেনে টেনে লস্বা করা হয়েছে লিখেছি বড়গল্প; একটু বর্ননামুলক হয়, তাই টানাটানি বেশী মনে হয়েছে। এখন যদি মনে করেন ছোট গল্প লিখতাম, মাশুককে সরাসরি ইংল্যান্ডে নিয়ে আসতাম। অনুগল্প লিখলে সরাসরি স্টোনহেইন্জে। আর যদি এই প্লটে উপন্যাস লিখতাম......এমন টানাটানি করতাম যে গল্পের ইলাস্টিসিটিই নষ্ট হয়ে যেত!!
কিছু মনে করবেন না, একটু মজা করলাম আরকি! নেক্সট গল্পে আপনার অবজার্ভেশান অবশ্যই মাথায় থাকবে।
মন্তব্যের জন্য ভালোলাগা রইলো।
২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১২
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: বাহ!
চমৎকার!!
শেষটায় যেন আরেকটু বেশি কিছু প্রত্যাশা ছিল............
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রত্যাশা পূরণে অপারগতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার লিমিটেশান গুলোও তা চিন্তা করতে হবে, নাকি ভুল বললাম!
২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৯
অচেনা হৃদি বলেছেন: হুম্ম, এই তাহলে ঘটনা!
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হয় ম্যাডাম, এইডাই হইলো গিয়া গটোনা!
২৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পটা খারাপ লাগেনি। আপনার লেখার হাত ভাল, পাচ পর্ব একসাথে পড়লাম। ঢাকা থেকে দোহা হয়ে লন্ডন যাত্রা, লেস্টার থেকে স্টোনহেইঞ্জ-পড়ে মনে হল বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন। তবে ব্লগার আহমেদ জী এস এর সাথে একমত। মূল গল্পটা পেয়েছি শেষ পর্বে এসে। আগের পর্বগুলো আরেকটু সংক্ষিপ্ত করে এই পর্বটা আরেকটু বিস্তারিত, আরো টানটান করা যেত।
তবে শেষে এসে একটু হতাশ হয়েছি।এত সহজে লিয়ানার আশা পূরণ না হয়ে টুইস্ট থাকতে পারত।দেখা গেল পুরোহিত ব্যাটার ভূত এসে মাশুককে আক্রমন করল, কিংবা লিয়ানা আসলে একজন ডাইনী।মাশুককে ধোকা দিয়ে নিজের অসত উদ্দেশ্য পূরণ করে নিচ্ছে।
হ্যাপী ব্লগিং
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে ইচ্ছা হচ্ছিল একটা বড় গল্প লিখার, তাই বর্ণনা বেশী হয়েছে, সাইজ-ও বড়।
আগে এতোবড় কিছু লিখি নাই তো, একটা এক্সপেরিমেন্ট করলাম আরকি। পরেরবার আপনাদের মন্তব্যগুলো মাথায় থাকবে।
লিয়ানার আশা এতো সহজে পূরণ করতে আমিও চাই নাই, তবে শেষে এসে আর ধৈর্য ছিল না। তাছাড়া গল্প আরো বড় হতো। তবে, আপনার কথা শুনে এখন মনে হচ্ছে, আরেকটু টুইস্ট রাখার চেষ্টা করলেও পারতাম।
আপনার সাজেশান মাথায় থাকবে।
অনেক ধন্যবাদ, আর মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
২৫| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ সকাল ৮:০৪
ইসিয়াক বলেছেন: লিয়ানার(ভূত) সাথে সেলফি!
এই অবস্থায় সেলফির চিন্তা মাথায় আসে কি করে হা হা হা...... গল্পটা চুইংগামের মত লম্বা হলেও শেষটা ভালো হয়েছে।
এই গল্পটা অবশ্য অনেকভাবে শেষ করা যায়।
২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখন সেলফির যুগ। সুযোগ পাইলে ভুত কি দোষ করলো?
চুইংগাম চাবাইতে কেমন লাগে, সেইটা হলো ইম্পর্টেন্ট। একেকজনের টেস্ট একেক রকমের। কথায় আছে, শেষ ভালো যার, সব ভালো তার।
এই গল্পটা অবশ্য অনেকভাবে শেষ করা যায়। ( অবশ্যই অনেকভাবে শেষ করা যায়। একেকজনের মাথায় একেক রকমের ভাব খেলা করে। কাজেই শেষও একেকজন একেকভাবেই করবে। আমার মাথায় এইটাই খেলা করছে, অসুবিধা কি? এতে চেইতা যাওয়ার কিছু নাই।
২৬| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ৭:০৮
ইসিয়াক বলেছেন: চেইত্যা যাইবার ইমু দিতে চাই না। অন্য ইমু দিবার চাইছিলাম। কোন হান কি হইলো কেমনে কি! যাউগ্গা।
হারাইয়া যাইতাছেন ক্যাঁ?
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৭
সনেট কবি বলেছেন: এখন দেখলাম। পড়ে পরে মন্তব্য করব।