নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল ইউটিউবে দু’জন খাদ্যরসিক ট্রাভেলারের ভ্লগ দেখছিলাম। একজন বৃটিশ, নাম জ্যাসন বিলাম; অন্যজন ক্যানাডিয়ান, নাম ট্রেভর জেমস। এদের দু’জনেরটা বিশেষভাবে দেখছিলাম এই কারনে যে, দুজনেই সম্প্রতি বাংলাদেশ........তথা ঢাকা থেকে ঘুরে এসেছে এবং সেখানে তাদের স্ট্রীট ফুডের অভিজ্ঞতার ভিডিও আপলোড করেছে। এমন আরো অনেক ইউটিউব সেলেব্রিটি আছে যারা বিভিন্ন দেশ ঘুরে ঘুরে সেদেশের খাবার, বিশেষ করে স্ট্রীট ফুড এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে। যেমন, মার্ক ওয়েইন। ইউটিউবে এদের লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার। এরা একটা ভিডিও আপলোড করলে তার ভিউ কিছুদিনেই কয়েক মিলিয়ন হয়ে যায়। এই সেলেবগন খাবারের সাথে সাথে সেই দেশের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান, সামাজিক অবস্থা এবং সমকালীন চিত্র একেবারে গ্রাসরুট লেভেল থেকে তুলে দর্শকদের দেখায়। এর ফলে সে’দেশের পরিচিতি বাড়ে। বিভিন্ন দেশের ব্যাকপ্যাকাররা সেই দেশে আসতে আগ্রহী হয়।
বর্তমানে যে কোনও দেশের পর্যটনে ''ব্যাকপ্যাকার ট্রাভেলার'' একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এরা সস্তা হোটেলে থাকতে চায়, সস্তা খাবার খায় আর প্রচুর ঘোরাঘুরি করে। তবে এরা গুরুত্বপূর্ণ এই কারনে যে, একবার কোনও দেশের রেটিং ভালো দেখলে এরা আসে ঝাকে ঝাকে। আবার এরা একটা দেশ ঘুরে তাদের দেশে বা কমিউনিটিতে ফিরে গিয়ে সেই দেশ সম্পর্কে লেখালেখি করে। ফলে যদি ভালো রিভিউ দেয়া হয় তাহলে একজনকে দেখে দশজন সেই দেশে আসে। তাই বর্তমানে একজন ধনী, নাকউচু পর্যটকের (যে কিনা তারকাচিহ্নিত হোটেলে থাকবে, ট্যাক্সিতে ঘুরবে, নামী দামী রেস্টুরেন্টে খাবে আর শপিং করবে) চেয়ে এরা যে কোনও দেশের পর্যটন পলিসিতে অধিকতর গুরুত্ব পায়।
ব্যাকপ্যাকারদের গুরুত্ব বোঝাতে একটা ছোট্ট উদাহরন দেই, তাহলে ব্যাপারটা আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে। ট্রেভর জেমস যখন পুরানো ঢাকায় রিকশায় বসে বলে, Wow! Look at the crowd guys!! কিংবা পুরানো ঢাকার গলিতে হাটতে হাটতে বলে, You can feel the energy here, it's soooo magical!! অথবা রাস্তার পাশের হোটেলে গিয়ে নতুন শেখা বাংলায় বলে, কেমন আচো মামা!! তখন তার ফলোয়ারদের অনেকেই উত্তেজিত হয়ে তার কমিউনিটি আলাপ করবে, চলো, নেক্সট ট্রিপটা বাংলাদেশেই দিয়ে আসি। আর একজন নাকউচু পর্যটক চিন্তা করবে.........বাংলাদেশ? এমন ভিড়, অস্বাস্থ্যকর খাবার, নোংরা, ধুলাবালি? কক্ষোনও না!!! পার্থক্যটা এখানেই।
এই পার্থক্যটা বুঝতে পারে বলেই অনেক দেশের পর্যটন বিভাগ এদেরকে নিজেদের দেশে ঘোরার আমন্ত্রণ জানায়। রাস্তাঘাটের খাবার খাওয়ায়, আবার ভালো রেস্টুরেন্টেও নেয়। সরকারী খরচে আদর-যত্ন করার কোন কমতি রাখে না। লক্ষ্য একটাই, নিজের দেশের ব্র্যান্ডিং। ব্যাকপ্যাকার ট্রাভেলারদের প্রলুদ্ধ করা। আর ফাকতালে ধনী পর্যটক দু’একটা এসব দেখে যদি এসেই পরে.......সেটাতো বোনাস! উদাহরন হিসাবে বলা যায়, কয়েক মাস আগে উজবেকিস্থান মিনিস্ট্রি অফ ট্যুরিজমের আমন্ত্রণে মার্ক ওয়েনের সেদেশে ভ্রমন এবং ভিডিও।
আচ্ছা, বাংলাদেশেও তো এমন একটা মন্ত্রণালয় আছে তাই না! কি যেন নাম? ও মনে পড়েছে........মিনিস্ট্রি অফ সিভিল এভিয়েশান এন্ড ট্যুরিজম। নামের কিন্তু ওজন আছে (পুরান ঢাকার ভাষায় বললে, নামের ে*াদন আছে)! অত্যন্ত গালভরা নাম। এরা কি জানে ট্যুরিজমের এই লেটেস্ট ট্রেন্ড সম্পর্কে? এমন ক’জনকে এরা দেশটা দেখার, এদেশের বিভিন্ন খাবার চেখে দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে? ওকে......মেনে নিচ্ছি মন্ত্রণালয়ের অনেক কাজ, কর্তারা দম ফেলার সময় পায় না! তাছাড়া এদেরকে আবার বিমান এবং বিমানবন্দরের দেখাশুনাও তো করতে হয় (কি দেখাশুনা করে তাতে একটু পরেই আসছি)! বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশান না কি যেন আছে না একটা? এদের কি কাজ? প্রতি বৎসর পর্যটন সপ্তাহ কিংবা মাস উদযাপন আর মন্ত্রীকে দিয়ে ফিতা কাটানো? এরা কি কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে? এই অফিসের কর্তাব্যক্তিদের স্যুটেড-বুটেড হয়ে অফিসে আসা যাওয়া আর জনগনের পয়সা নষ্ট করতে লজ্জা করে না?
এবার আসি বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষনের কথায়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বাংলাদেশে প্রবেশের প্রধানতম প্রবেশদ্বার। প্রত্যেকবার আমি যখন দেশে ঢুকি আর দেশ থেকে বের হই; এখানের মশকবাহিনীর তৎপরতায় মুগ্ধ হই। আমাদের জাদীদভাই এদের কাছ থেকে ট্রেনিং নিতে পারেন, কারন এরা ২৪ ঘন্টাই তৎপর থাকে। এদের ভালো দিক হলো যে, এরা বর্ণবাদী না। সব রং বা শ্রেণীর মানুষকেই এরা সমানভাবে হুল ফোটায়। এদের কল্যানে সাদা চামড়ার কাউকে যখন নিজের শরীরে চড়-থাপ্পড় দিতে দেখি, বিমলানন্দ ভোগ করি। যারা ভুক্তভোগী তারা এদের সাইজ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন কি না জানিনা, তবে আমি হয়েছি! ঢাকার ভিতরে সচরাচর এই সাইজের মশা দেখা যায় না। আমার মনে হয় এরা মন্ত্রণালয়ের পোষা, না হলে এদের কেউ কিছু বলে না কেন? আর এদের শরীর-স্বাস্থ্যই বা এতো ভালো কেন?
বিমানবন্দরের মশা নিয়ে এতো কথা বলার কারণ হলো, দু’দিন আগে মহামান্য হাইকোর্ট বিমানবন্দরের মশা তাড়ানোর জন্য রুল জারি করেছেন!!! কি বিচিত্র আমাদের সোনার দেশ!!!!
আমাদের দেশের মন্ত্রী, সচীবসহ অন্যান্য যেসব বিভিন্ন গালভরা নামের রক্ষক (কিংবা অন্য কথায়, ভক্ষক) আছে এদের লজ্জা-শরম কি কোনও দিনই হবে না? একটা দেশে কিছুদিন থাকলে আর চোখ-কান খোলা রাখলে সেদেশের প্রশাসন সম্পর্কে আপনি কিছুটা হলেও ধারণা পাবেন। আল্লাহর রহমতে আর আপনাদের দোয়ায় আমি পৃথিবীর অনেক দেশ ঘুরেছি, অনেক বিমানবন্দর দেখেছি। বলতে আমার লজ্জাই করছে........এমন জঘন্য প্রশাসন, এতো জঘন্য বিমানবন্দর আমি খুব কমই দেখেছি।
দেশের ভক্ষকদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক!!!
ট্রেভর জেমস এর একটা ভিডিও-র লিংক দিলাম। আগ্রহীরা দেখতে পারেন view this link
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হোক......আশা করতে তো কোন দোষ নাই!
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:২২
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: যখনই মন খারাপ হবে স্মরণ করবেন আপনার দেশ বাংলাদেশ।
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন ভালো থাকলেও করি........সবসময়ই করি। তাতে তো কোন ইতর-ভেদ হয় না।
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
তবে যেদিন এয়ারপোর্ট ঘুরে বলতে পারবো, Excellent! সেদিন আসল শান্তি!!!
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১
তারেক ফাহিম বলেছেন: মন্ত্রনালয়ের পোষা মশা
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ্যা.....বিশাল বিশাল সাইজ একেকটার!
৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমারও ঘুরতে খুব ভালো লাগে
ইউটিউবে এদের ব্লগ ভিডিও দেখেছি, এটা দেখি নাই (ধন্যবাদ)। একজন পর্ণলেখক হিসেবে সরকার সম্পর্কে কিছু বলার দুঃসাহস করি না
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সরকার তো আমাদেরকে পর্ণো লেখক হিসাবেই দেখতে চায়.....তাই সই!
একটা কথা আছে না, ''যার মনে যা, ফাল দিয়া ওঠে তা''। আর কি আশা করবেন?
একজন নতুন ধরনের পর্ণো লেখকের দায়িত্বই না হয় পালন করলাম।
৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন !
মাত্র ৫ মিনিট দেখেই শিহরিত হরো মন! বা-ক-র খানি, ওয়াও, ডিলিসিয়াস - প্রাণ খোরা হাসির সাথে দেশকে পজিটিভলি রিপ্রেজেন্ট করা - - অসাম
এগুলোর মানে যদি বুঝতে , তবে আপনার প্রস্তাবিত পথেই হাটতো!
হায় টাই পরা বলদের দল। সরকারী রাজস্বের অপচয়কারীমাত্র। না আচে সেল্প ইনোভেশন না আছে ভালকে অনুসরন করার সমসাময়িক জ্ঞান, তথ্য বা মানসিকতা!
বেসরকারী উদ্যোক্তাদেরই এখন এ পথে হাটতে হবে। জোয়ার এনে দিতে পারলে হয়তো তাদের টনক নড়বে!
যাই বাকী টুকু দেখে বিমলানন্দ লাভ করি
+++++++++++++
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: টাই পরা বলদের দল। দারুন! আপনার মন্তব্যে তো আমিও শিহরিত হলুম, ভৃগুদা!!
এরা হলো ''অতি জ্ঞানী'' লোকজন। নিজেরা যা বুঝবে, তাই। ভালো কিছু ধারন করার ক্ষমতা এদের কি আছে? টনক এদের নড়বে না, তখন বলবে পর্যটনের উন্নতি তো আমাদের হাত ধরেই আসলো।
গাধা পিটিয়ে মানুষ করা খুবই কঠিন কাজ। বিশেষ করে কোট-টাই পরা গাধা!
৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরি ভায়া কি দিলেন!!!
পুরাটা দেখতে দেখতে কয়বার যে ঢোক গিললাম হা হা হা
এত মজা করে উপস্থাপন করেছৈ, জিভে জল চলেই আসে!
আহা লাচ্ছি, ভর্তা, হাজী বিরিয়ানী , বোরহানি, চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, নান্নার কাচ্চি!
সবশেষে বিশ্বের সেরা খাবার!
মনটাই ভাল হয়ে গেল!
নিজেকেও নিজে আবিস্কারে বুঝী অপার আনন্দ আছে!
আমাদের খাবারকেও কি আমরা এভাবে ভেবেছি?
জয়তু বাংলার খানা!
John Andersen
1 month ago
Nobody on the travel channels on tv go to Bangladesh. Nobody on YouTube ever goes to Bangladesh. I'm so happy to see you have the spirit to venture into Bangladesh and try their food. Bangladeshi food is the best in the world in my opinion. They have so much variety besides just fish and rice. This video makes me respect and appreciate you exponentially more.
এমন হাজার হাজার মন্তব্যে মাথা উচু হয়ে আসে।
আবারো ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নিজেকেও নিজে আবিস্কারে বুঝী অপার আনন্দ আছে! আবারও চমৎকৃত হলুম!!
আমি নিজেও পুরান ঢাকায় বড় হওয়া একজন। ভিডিওটা দেখতে দেখতে যে কতোবার ঢোক গিলেছি! মনে হয়েছে, এখনই উড়ে গিয়ে খেয়ে আসি।
আর বিভিন্ন ভিনদেশীদের মন্তব্য পড়তে পড়তে এতোটাই মগ্ন ছিলাম যে কখন ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে খেয়ালই করিনি। একেকজনের মন্তব্য পড়ি, আর বুকটা এক ইন্চি করে বাড়ে!!
৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
হ্যাঁ আছে, পর্যটন মন্ত্রনালয় বলে কিছু একটা আছে; যাদের কাজ হলো জনগণের টাকায় নিজেদেরকে দেশে বিদেশে পর্যটন করে ঘুরিয়ে নিয়ে আসা। পর্যটনের জন্যে এরা বিশ্বকে দাওয়াৎ দেয় না, এরা নিজেরাই দাওয়াৎ নিয়ে বিশ্ব পর্যটনে চলে যায়।
হায়!............................. পাশের দেশটিকে কি এরা দেখেনা যে, সেখানে প্রতিটি রাজ্যে তাদের এক একটি চোস্ত পর্যটন বিভাগ আছে, আছে সে রাজ্যের ক্যালিডোস্কোপিক ছবি সহকারে সস্তায় ঘুরে আসার উদার আহ্বান!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন জী এস ভাই। পাবলিকের টাকাকে আসলে এরা নিজের টাকাই মনে করে।
আর এরা এতোটাই আত্মকেন্দ্রিক যে, পাশের দেশ তো বহু দুরের কথা; পাশের মানুষের থেকেই ভালো কিছু শেখে না।
৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি আর যাই করি কোনদিন বিদেশিদের বাংলাদেশ ভ্রমনে যেতে উৎসাহ দেই না। হাইজ্যকার, চিট বাটপার কিংবা জঙ্গী ফঙ্গীর হাতে প্রান যে খোয়াবে না তার কি গ্যরা্নটি।
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: না, আমি যেতে উৎসাহ দেই। তবে কিছু উপদেশ দিয়ে বলি, এগুলো যদি মেনে চলতে পারো, তাহলে যাও।
তারপরেও বিপদ হতে পারে, তবে সেটা যে কোনও দেশেই হতে পারে।
১০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে আনন্দ নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায় না। নানান সমস্যায় জর্জরিত চারপাশ।
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কথা ঠিক। তবে এর মধ্যেই ঘুরতে হবে। সমস্যার কথা চিন্তা করে নন্দলালের মতো ঘরে বসে থাকলে লাভ কি?
১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:১০
নতুন বলেছেন: পয`টনে অনেক আয় করা সম্ভব.... আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দয` অনেক দেশের মানুষকেই বেড়াতে নিয়ে আশা যায়।
তার জন্য চাই পরিকল্পনা.. নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি.... বিদেশিরা যাতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে তেমন পরিবেশ।
হসপিটালিটি ইন্ড্রাস্টিতে ১২ বছর কাটাচ্ছি... আমাদের দেশের কথা চিন্তা করলে খারাপই লাগে... বিলিওন ডলার আয় সম্ভব আমাদের দদেশের এই ইন্ডাস্টি থেকে।
২০ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সঠিক বলেছেন। তবে সেটাতো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাছাড়া এ দুই খাতে উন্নতি কবে হবে, কেউ জানেনা। কিন্তু এই সেলেবদের আমন্ত্রণ করাটা যে কোনও সময়ই তো হতে পারে, তাই না? এর জন্য তো বিরাট কোন পরিকল্পনার দরকার নাই। শুধু দরকার একটু সদিচ্ছার! সেটাই নাই.....ওসব তো অনেক দুরের কথা!
তাছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আল্লাহর দয়ায় সব দেশেই আছে, কিন্তু এমন বৈচিত্রপূর্ণ খাবার কয়টা দেশে আছে? আমাদের হর্তা-কর্তাদের আরো ডায়নামিক হতে হবে।
১২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি। পুরানো ঢাকার খাবারের আভিজাত্যের কথা আগে শুনেছি। আপনি ইউটিউবে লিঙ্কটা দেওয়ার জন্য আবার স্বচক্ষে দেখলাম । কখনো ঢাকায় গেলে অবশ্যই পুরনো ঢাকাতে খেতে যাব ।
আর বিমান বন্দর সম্পর্কে কিছু বলার নেই। তবে মশক বাহিনীর দৌরাত্ম্য সব দেশেই আছে । ব্যক্তিগতভাবে আমাকেও দিনের বেলা ও মাঝে মাঝে মশারি টাঙ্গাতে হয় । হাইকোর্টকে সাধুবাদ জানাচ্ছি যে বিষয়টি নিয়ে তাদেরকে ভাবতে হয়েছে । সরকার এবার যদি একটু নড়েচড়ে বসে ।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
২০ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ঢাকার খাবার চেখে দেখার আমন্ত্রণ রইলো।
আমি নিজেই দেশে থাকি না, নয়তো আপনি এলে আপনাকে নিয়ে ঘুরতে পারতাম।
মশক বাহিনীর দৌরাত্ম্য সব দেশেই আছে সেটা নিয়ে কোন কথা নেই। কিন্তু একটা দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এই অবস্থা মেনে নেয়া যায় না। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, হাইকোর্টকে এসব ব্যাপারেও হস্তক্ষেপ করতে হয়। তাহলে কোট-টাই পরা গাধাগুলো কি করে?
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহা! এমন যদি হতো
বিদেশীরা প্রতিদিনই আসতো
খেত মোদের ফুটপাতের খাবার
মজা পেয়ে আসতো আবার
বাংলাদেশের নাম ছড়াত
কতই না ভাল হতো।
+++++
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনিতো দেখি টেকনিক্যালী আমাকে কবিতা পড়াচ্ছেন!
যাইহোক, কবিতা ভালো হয়েছে.....সহজ, সরল। কোন প্যাচ-ঘোচ নাই।
আমাদের দেশ, দেশের মানুষ এবং এর কর্তারা এখনও পর্যটক-বান্ধব হয়ে উঠতে পারেনি। হলে অবশ্যই বিদেশীরা ঝাকে ঝাকে আসবে।
১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:০১
জুন বলেছেন: ট্রেভর জেমসের ভিডিওটা আমিও দেখেছি ভুয়া মফিজ। তার অসাধারণ উপস্থাপনার গুনে আমাদের ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার খাবারগুলোও অসাধারণ হয়ে ঊঠলো যেন। পর্যটন এর লোকজন শুধু নিজেদের পর্যটন নিয়ে বিজি, তাদের সময় কই এসব ভাবার ।
ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
+
২৫ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এধরনের যে কয়জন দেশে দেশে ঘুরে ফুড রিভিউ করে, তার মধ্যে ট্রেভর জেমসের উপস্থাপনা আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়।
কোট-টাই পরা বলদগুলোর কথা আর কি বলবেন, এদের কানে তুলো, পিঠে কুলো। কোন কিছুতেই এরা ঠিক হবে না। তবু লিখলে মনের দুঃখ-কষ্ট একটু কমে।
মন্তব্য করতে ভুলে গিয়েছিলেন বোধ হয়, তবে শেষ পর্যন্ত করলেন। সেজন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮
জুন বলেছেন: ভুলি নি ভুয়া আসলে এই ভিপিএনেও শান্তি নেই। এই দেখলাম লগ ইন তখন মন্তব্য লিখে ক্লিক করতেই নোটিশ আপনাকে লগ ইন করতে হবে তখন কেমন লাগে বলেন? নিজের পোস্টে কতগুলো মন্তব্য পরে আছে। আজ যেমন করেই হোক উত্তর দেবই।
ভালো থাকবেন সবসময়।
২৫ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কমেন্ট লিখে পোষ্ট করতে না পারলে মেজাজ খুবই খারাপ হয়। পরে আবার লিখলেও মনমতো হয় না। আমি তাই একটু বড় কমেন্ট করলে কপি করে রাখি, যাতে এমন ঝামেলা হলে আবার না লিখতে হয়। একটু কষ্ট হলেও এটা কাজে দেয়।
আবারও ধন্যবাদ।
১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬
করুণাধারা বলেছেন: কেন বলি....... ধরা যাক এই ভিডিও দেখে মজাদার নান্না বিরিয়ানি, বোরহানি, মোরগ পোলাও, শিক কাবাব আরো আরো যতসব ভালো খাবার আছে সে সবচেয়ে চাখতে প্রথমে দশ জন বিদেশি এলেন। তারা খেলেন, আমরা যেমন দামে খাই; এই ধরেন দেড়শ দুইশ টাকায় এক প্লেট। এই সব খাবার খেয়ে দেশে ফিরে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তাঁরা। এবার তাদের কথা শুনে এলেন ১০০ জন। আপনার কি মনে হয় এবারও একই অবস্থা থাকবে? আমার মনে হয়, এবার দোকানদাররা ভাববে, "আরে, আমাদের খাবার তো দারুন। প্লেন ভাড়া করে চলে আসে এই খেতে! ৫০০ টাকা প্লেট হলেও খাবে।" দিল দাম বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করে! সাথে সাথে অনেকেই অন্য ব্যবসা ছেড়ে খাবারের ব্যবসায় নেমে পড়বে। যেখানে একটা বিরিয়ানির দোকান ছিল, সেখানে দশটা হবে। নিউমার্কেটে যেমন এখন ফুচকার দোকানের সামনে দিয়ে গেলে প্রায় টেনে এনে দোকানে বসায়, তখন বিদেশিদের নিয়ে ওইভাবে টানাটানি করে বসাবে। এইবার বিদেশীরা হিসাব করবে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে খাওয়া খরচ কেমন আর আমাদের দেশে খরচ কেমন। তাতে দেখা যাবে আমাদের দেশের খাবার মজাদার ঠিকই, কিন্তু দাম কিছুটা বেশি। আর এই সময়ে আমাদের ছেলেগুলো শুকনা মুখে ঘুরে বেড়াবে, ৫০০ টাকা প্লেট বিরিয়ানি খাবার সাধ্য রেস্ত কজনের পকেটে থাকে?
আমার কথা বিশ্বাস না করেন যদি, তবে কক্সবাজারে গিয়ে দেখুন, পর্যটক পেয়ে সেখানে কিভাবে খাবারের দাম নিয়ে গলা কাটে!
আসলে আমাদের দেশে শুধু পর্যটক আনলেই চলবে না, পর্যটক দেখলেই খাদ্য ব্যবসায়ীরা যেভাবে খাবারের দাম কয়েকগুন বাড়িয়ে দেন, সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। না হলে কিছুদিন পরে আর কোন পর্যটক আসবে না।
তবে আপনার আইডিয়াটা ভালো। যেসব সংস্থাগুলোর নাম নাম উল্লেখ করলেন তাদের কর্তারা যদি এই আইডিয়াটা কাজে লাগান সদিচ্ছা নিয়ে তবে ফলাফল খুবই ভালো হবে, তাই অবশেষে লাইক দিলাম।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার অবজার্ভেশান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো তো ঘটতেই পারে। সেজন্যেই বলি, আমাদের দেশের ইন্ফ্রাস্ট্রাকচার, দেশের মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের মন-মানসিকতা এখনও পর্যটন বান্ধব হয়ে উঠে নি। কিন্তু আপা, চেষ্টা তো করতে হবে, তাই না! চোখের সামনে যে সুযোগগুলো আছে, যেগুলোকে অন্য দেশগুলো কাজে লাগায়....সেগুলো আমরা অবহেলা করি কি করে?
এভাবে শুরু করলে সবার মানসিকতায় পরিবর্তন আসতে বাধ্য। তাই শুরু করাটা জরুরী।
আর ব্যবসায়ীদের প্রধান কাষ্টমার তো দেশের মানুষ। দাম নাগালের বাইরে নিয়ে গেলে তাদের ব্যবসা করাও মুশকিল হবে। কাজেই তারা যে খুব সুবিধা করতে পারবে, তাও কিন্তু না।
আমাদের দেশকে পর্যটন-বান্ধব করতে এখনও অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকী। কিন্তু যাত্রা শুরু না করলে শেষ হবেই বা কিভাবে?
অনেক ধন্যবাদ....পুরানো পোষ্টে আসার জন্যে।
১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: নিজের মন্তব্য দেখে চমকে গেলাম! মন্তব্যের প্রথম আধ খানা গায়েব!!!!
মন্তব্য লিখে দেখি লগ আউট হয়ে গেছি! তখন পুরো মন্তব্যটা কপি করে আবার লগইন করে, পেস্ট করে 'প্রকাশ করুন' বাটন টিপলাম। একবারও মনে হয়নি, তাকিয়ে দেখি কপি পুরোটা হয়েছিল কিনা। এখন দেখছি কপি অর্ধেক হয়েছিল.........
কেন এতদিন পরে মন্তব্য করলাম, সেই কথাটাই জানতে পারলাম না। যাগ্গে কি আর কথা করা। এখন আর নতুন করে লিখতে ইচ্ছা করছে না।
ভালো থাকুন সব সময়।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কেন বলি....... পড়েই একটু খটকা লেগেছিল। মনে হয়েছিল মন্তব্যটা সম্ভবতঃ পূর্নাঙ্গ মন্তব্য না।
তবে তবে আপনার আইডিয়াটা ভালো। যেসব সংস্থাগুলোর নাম নাম উল্লেখ করলেন তাদের কর্তারা যদি এই আইডিয়াটা কাজে লাগান সদিচ্ছা নিয়ে তবে ফলাফল খুবই ভালো হবে, তাই অবশেষে লাইক দিলাম। এটুকু পর্যন্ত পড়ে ভাবলাম, ঠিক আছে।
কি আর করা, মনের কথা ঠিকমতো বলতে না পারলে রাগই লাগে!
১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯
অন্তরা রহমান বলেছেন: ভালো একটা আইডিয়া দিয়েছেন। জিনিসটা নিয়ে আরো বেশি লেখালেখি দরকার। আর বিমানবন্দরের মশা - কাইন্দালসি!
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখালেখি করে খুব একটা লাভ হয় কিনা জানিনা। মনের দুঃখে লিখি আর কি!
রাগ হলে গালি দিলে যেমন রাগ কমে......অনেকটা সেরকম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হোক তাঁদের শুভ বুদ্ধির উদয়...