নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রায়োরিটি সেটিংঃ স্যাটেলাইট, নাকি সবার জন্য প্রকৃত শিক্ষা

১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫




হুজুগে জাতি হিসাবে আমাদের একটা বদনাম আছে। কেউ একটা কিছু করে সাফল্য পেলে বা আনন্দ পেলে আমরা পুরো জাতি কেন জানি সেটাতে ঝাপিয়ে পরি, যেন সেটাই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। গার্মেন্টেসে যখন প্রথমদিকে সাফল্য এলো, তখন দেখতাম, মানুষ ব্যবসা বলতে প্রধানতঃ গার্মেন্টসই বুঝতো। যেন এই সেক্টর ছাড়া দুনিয়াতে আর কোন ব্যবসা নেই। পড়ালেখাতেও একসময়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান আর ব্যবসা প্রশাসনের যুগ গিয়েছে। তখন কারো কারো ভাবভঙ্গি দেখে মনে হতো এই দুই বিষয়ের বাইরে পড়ালেখা করলে বাকী জীবন ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। দুনিয়াতে যে আরো হাজারটা বিষয় আছে; সেগুলোতে পড়ালেখা করলেও যে জীবনে সাফল্য লাভ করা যায়, এটা তাদের কে বোঝাবে তখন? ছাত্র-অভিভাবক সবাই একই দিকে ধাবিত। কার মগজ কতোটুকু ধারন করতে পারবে কিংবা কার মেধা কোনদিকে বেশী; সেসব যাচাই-বাছাইয়ের কোনও বালাই নেই। এখন দেখি ছেলে কিংবা মেয়ে কোন ব্যাপার না, ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি করে দাও। সন্তান দুবলা, পাতলা কিংবা অশক্ত? কোন ব্যাপারই না। কমপ্লান খাইয়ে মাঠে পাঠিয়ে দাও.......মাশরাফি হয়ে ফিরে আসবে!

এসব হচ্ছে নাদান এবং সাধারন মানুষের কথা। এরা হুজুগে; তবে কি আর করা, চরিত্রটাই যে এমন! কিন্তু আমাদের নেতা-নেত্রী, যারা দেশকে পরিচালিত করছে তারা যদি হুজুগে হয়ে যায় তাহলে কিভাবে কি? গতকাল একটা খবর পড়ে একেবারে বাক্যহারা হয়ে গেলাম। খবর হলো, মহাকাশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে সরকার view this link। ভাবে মনে হচ্ছে, আমরা স্যাটেলাইট হুজুগের যুগে পদার্পন করছি। আমাদের জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম মহাকাশে একবার পাঠিয়ে আমরা ক্ষ্যান্ত দিবো না, বার বার পাঠাবো। মহাশুন্যের আনাচে-কানাচে আমাদের জাতীর পিতার নাম ছড়িয়ে দিবো। জানিনা, এটা আমাদের জাতীর পিতার স্বপ্ন ছিল কিনা!

বুঝতে পারছি, এটুকু পড়ার পর আওয়ামী লীগের সমর্থক যারা আছে তারা ঝাপিয়ে পড়বে। কিন্তু তবুও আমি এসব কথা আর না বলে পারছি না। আপনারা আমাকে আজ 'দাবায়ে' রাখতে পারবেন না। আমার একটা বিশ্বাস আছে; ব্লগাররা যে পন্থিই হোন না কেন, সবাই উচ্চ শিক্ষিত এবং সবাই দেশের ভালোটাই চান। প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি, আমি ব্যক্তিগতভাবে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি বুঝি না। আমি দেশ বুঝি, দেশের উন্নতি বুঝি; সেটা যার হাত ধরেই আসুক না কেন! তিনি এমনকি একজন ডিক্টেটর হলেও আমার আপত্তি নেই। তাই আওয়ামীপন্থি ব্লগারদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ থাকবে, উনারা যেন আমার এই পোষ্ট পুরোটা পড়েন এবং পোষ্টের বক্তব্য অনুধাবনের চেষ্টা করেন।

আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যেটা বুঝি........তা হলো একটা সংসার, একটা ব্যবসা এবং একটা রাষ্ট্র; এই তিনটাতেই পরিচালনাগত তফাৎ খুব একটা নেই। মূল তফাৎ শুধুমাত্র আকৃতিগত। সুতরাং আমি যদি সার্বিকভাবে বাংলাদেশের কথা না বলে একটা পরিবারের কথা বলি, মনে হয় ব্যাপারটা সবদিক দিয়েই একটু সহনীয় হবে।

জীবনের সব ক্ষেত্রে, সব পর্যায়ে প্রয়োরিটি সেটিং বলে একটা কথা আছে। সেটা রাষ্ট্র, ব্যবসা কিংবা পরিবারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। উদাহরন দেই। একবার একটা পরিবারের কর্তা পড়েছেন মহা সমস্যায়। রাজধানীর সার্বিক যানবাহন পরিস্থিতি বিবেচনায় পুরো পরিবারের কষ্ট লাঘবের জন্য উনার একটা গাড়ী কেনা খুবই জরুরী। ভালো একটা গাড়ী কেনার টাকাও উনি অনেক কষ্টে যোগাড় করেছেন। এরই মধ্যে ছেলে একটা ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। বেশ ভালো এমাউন্ট দরকার সেটার জন্য। গাড়ী না কিনলে উনি এই এমাউন্ট দিতে পারেন। এখন উনার করনীয় কি? একেবারে গাধা না হলে যে কেউ বলবে, আরে ভাই, এতোদিন কষ্ট করেছেন, আরো কিছুদিন না হয় করলেন! ছেলের ভবিষ্যত আগে নাকি অন্য কিছু? গাড়ী বাদ দিয়ে ছেলের ভবিষ্যত ঠিক করেন আগে। গাড়ী পরেও কিনতে পারবেন, কিন্তু ছেলের ভবিষ্যত এখনই যদি ঠিক না করেন, তাহলে আর পারবেন না। আপনাদের কি মনে হয়? ভদ্রলোকের কি করা উচিত? বুুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট, নয়কি?

কিছু কিছু সমস্যা আছে যেগুলোর সমাধান হলে অন্য অনেক সমস্যার অটোম্যাটিক-সমাধান হয়ে যায়। অশিক্ষা-কুশিক্ষার সমস্যা তেমনি একটা সমস্যা। কোন কালে, কোন যুগেই শিক্ষার কোন বিকল্প ছিল না, এখনও নেই। আমাদের দেশের শিক্ষার সামগ্রিক চিত্রটা কেমন? এক কথায় বললে, ভয়াবহ! দেশের দন্ডমুন্ডের কর্তারাও তা বিলক্ষণ জানে। তাদের সন্তানরা তাই বিদেশে যায় উচ্চশিক্ষার জন্য। আর এরা দেশের মানুষকে অশিক্ষিত রেখে স্যাটেলাইট উড়ায় কোন এক অজানা এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য! আমি অবশ্যই মানছি; হ্যা, আমাদের স্যাটেলাইট, পারমানবিক বোমা, স্টিলথ জঙ্গী বিমান, বিমানবাহী জাহাজ, সাবমেরিন, ঘরে ঘরে বিএমডাব্লিউ গাড়ি সবই দরকার। এর প্রতিটার জন্য আমি মোক্ষমসব যুক্তি দিতে পারি। কিন্তু তার আগে কি দরকার? প্রয়োরিটি সেটিং কি বলে? জনগনের মৌলিক চাহিদা পূরণের দিকে নজর না দিয়ে এসবের পিছনে টাকা খরচের আদৌ কোন যুক্তি আছে কি? যে শিশুটি পড়ালেখা বাদ দিয়ে টাকা উপার্জনের জন্য শিশুশ্রমিক হতে বাধ্য হয় কিংবা যে মেধাবী ছাত্রটি ভালো রেজাল্ট করার পরও টাকার অভাবে উচ্চশিক্ষা না নিতে পেরে রিকসাচালক বনে যায়, তার কাছে স্যাটেলাইট কি আশীর্বাদ? নাকি অভিশাপ?

আমার এক বন্ধুর কাছে শোনা; তার দাবী অনুযায়ী এটা একটা সত্যি ঘটনা। এক দুতাবাস কর্মকর্তা বিদেশে কোন এক রাতের পার্টিতে এক ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হাউ ইজ ইয়োর বডি টুনাইট? বলাই বাহুল্য, উনি বলতে চেয়েছিলেন, আপনার শরীর কেমন আছে কিংবা আপনি কেমন আছেন? ট্রানশ্লেসান করতে গিয়েই না এই বিপত্তি! আমরা জানি, বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে লিষ্টের একেবারে উপরের দিকের ক্যান্ডিডেটরাই যায়। তাদেরই যদি এই অবস্থা হয়, লিষ্টের নীচের দিকের লোকজনের অবস্থা কি? বলতে পারেন, এটা গল্প, বাস্তবে এমনটা ঘটে নাই। আমি বলবো, হতে পারে, আবার নাও হতে পারে! তবে এর চেয়ে ভয়াবহ ইংরেজি-বলুয়া রাষ্ট্রদূতের প্রমান আমি দিতে পারি!

শিক্ষা খাতে আমরা জাতীয় বাজেটের কতোভাগ খরচ করি? কিংবা যতোটুকুই করি তার কতোটুকু প্রকৃত শিক্ষার জন্য ব্যয় করি? আমি কোন উন্নত কিংবা প্রতিবেশী দেশের সাথে তুলনামূলক পরিসংখ্যানে যাবো না। আপনারা চাইলেই ওসব দেখতে পারেন। তাছাড়া, কে কি করছে তা আমার কাছে যতোটা বিবেচ্য বিষয়; তার চেয়েও অধিকতর বিবেচ্য বিষয় হলো, আমাদের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থায় প্রকৃত শিক্ষার অভাব কতোটুকু প্রলয় সৃষ্টি করছে সেটা অনুধাবন করা। আমার প্রতিবেশী প্রতিদিন পোলাও খায় সেটা দেখে আমার কি লাভ? বরন্চ আমি প্রতিদিন ঠিকমতো ভাত খেতে পারি কিনা, সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত!

সবশেষে একজন বিখ্যাত কবির কবিতার দু'টো লাইন আপনাদের সামনে পেশ করলাম। এর মর্মার্থ আপনারা নিজগুনে বুঝে নিবেন।
বুঝবি না এখন, বুঝবি কাল
চুলকাবি মাথা, ছিড়বি বাল!


ছবি: গুগল থেকে।

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৩

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: এখনই সেফুদা আসবেন, আপনার পোস্টে পায়খানা মন্তব্য করবেন। রেডি থাকেন। B-))

১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি না......মেথর রেডি আছে। :P

২| ১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমিও আম্লিগ না বিম্পি না

আমি দেশ বুঝি, দেশের মানুষ বুঝি, দেশের উন্নয়ন বুঝি..... কিন্তু এরারে ইতা বুঝাইবো কেডায়

হুজুগে মাতামাতি আর দেশের টেকা পানি করণের কারবার আর কিছু না

আজাইরা

সুন্দর পোস্ট। এটা নিয়া ভাবতেছিলাম কয়দিন

১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমিও আম্লিগ না বিম্পি না

আমি দেশ বুঝি, দেশের মানুষ বুঝি, দেশের উন্নয়ন বুঝি.....
গেয়ানী মানুষদের চিন্তা-ভাবনায় মিল আছে! :P

হুজুগের বাংলাদেশে তো ইতাই হইবো, অন্য আর কি আশা করেন? :)

৩| ১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আরে এটাতো এমন
আইজ বুঝবি না, বুঝবি কাইল
পাছা থাপড়াইয়া মরবি কাইল

১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমারটা একজন বিখ্যাত কবির, আপনেরটা কার জানি না! =p~

৪| ১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:২৩

জুন বলেছেন: দুতাবাস কর্মকর্তার মতই ইংরেজী আমাদের সর্বত্র ভুয়া :P


আপনার পোষ্টে সহমত ১০০% । এবার একদম মাথায় ;)

১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে......আপনেরে অবশেষে বুঝাইতে পারলাম তেইলে! :P
আপনার পোষ্টে সহমত ১০০% বুকে অনেক বল পাইলাম।

ছবিটা সেরাম হইছে! =p~

৫| ১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #হাহাহাহা জুনাপু ইয়েলো অন দা বডি

ঝাতি কত আগায় গেছে হাহাহাহাহাহ

ছেলের বিয়াত এমন প্ল্যাকার্ড লাগাইমু।

#মফিজ ভাইয়া..... আমি দাদীত্থন আনছি । ছোডোবেলা বহুত হুনছি

১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি দাদীত্থন আনছি । ছোডোবেলা বহুত হুনছি আমি কি না করছি? খালি কইলাম, আমারটা একজন বিখ্যাত কবির। ;)

৬| ১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩০

জুন বলেছেন: এইরকম ছবিই কি আপ্নের গায়ে হলুদে লটকাইছিলেন্নাকি ভুয়া =p~

১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আফায় যে কি কয়......আমার তো গায়ে-হলুদই হয় নাই! :P

৭| ১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: মফিজ ভাই বলে: আফায় যে কি কয়......আমার তো গায়ে-হলুদই হয় নাই!
কয় কি ভাই! ভাইয়ের ছবিতে তো দেখি কালো রং এর ডোরাকাটা বাদ দিয়ে সবই হলুদ। চশমা নিতে হবে নাকি আমার?

নিন উপরের ছবিটা আপনার সব কিছুর শানে নযুল বলে দিয়েছে।
ধন্যবাদ।

১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছবিতে তো দেখি কালো রং এর ডোরাকাটা বাদ দিয়ে সবই হলুদ এই হলুদ রং উত্তরাধীকার সূত্রে প্রাপ্ত। এটা টারমারিকের হলুদ না!!! :P

আপনার ছবিটা চরম হয়েছে.......আজকাল কথা না বলে এসব ছবি দিলেই অনেক কিছু বলা হয়ে যায়। :)

৮| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১০

আখেনাটেন বলেছেন: যে কোনো পুপুলিস্ট (লোকরঞ্জনবাদী) সরকারের কাজই হচ্ছে বৃহৎ বৃহৎ পরিকল্পনার দ্বারা সাধারণের মৌলিক চাহিদাগুলোকে দমিয়ে রাখা। অশিক্ষিত-কুশিক্ষিত জনগণ স্যাটেলাইট কিংবা অদ্ভুতুড়ে ট্রাফিক কন্টোলসমৃদ্ধ নন-সাসটেইনেবল ফ্লাইওভারে যতটা পুলকিত হয়, ততটা নিজের ছেলের হাইস্কুল পাশের সার্টিফিকেটে আনন্দিত হয় না। আর এটাই দেশে দেশে ঐ লোকরঞ্জনবাদী সরকারগুলোর কিস্তিমাত করা চাল। এর ফলাফল অব্যর্থ।

শিক্ষা-স্বাস্থ্য-খাদ্য ইত্যাদিতে উন্নতি করলে কি ক্ষমতার নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে? কয়দিন আগে রিপোর্টে দেখলাম রংপুর বিভাগে দেশের মোট উন্নয়ন বরাদ্দের ২ শতাংশের কম বরাদ্দ। ফলাফলগুলোও হাতে নাতে। দরিদ্রতার হার কমার বদলে দিন দিন বাড়ছে জেলাগুলোতে। মৌলিক চাহিদাগুলোর তথৈচব অবস্থা।

অথচ অথোরিটারিয়ান হয়েও যে দেশের খোলনোলচে পাল্টে ফেলা যায় সেটা কি উনারা জানেন না? একমাত্র শিক্ষা, কেবলমাত্র শিক্ষায় পারে দেশের সাসটেইনেবল উন্নতি ত্বরান্বিত করতে স্যাটেলাইট কিংবা উজবুক ফ্লাইওভার নয়। শিক্ষার উন্নতির সাথে ওগুলো এমনিতেই জাতির কপালে জুটবে। এর জন্য ঢাকঢোলও পিটাতে হবে না।

১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার বিস্তারিত মন্তব্যে দ্বি-মত পোষণ করার কোনই সুযোগ নাই। আমাদের দেশের সব সরকারই হচ্ছে ক্ষমতা লোভী সরকার। এদেরকে বোকা না, বরং কাউয়া-চালাক বলা উচিত। আরেকটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছেন। সেটা হলো, একেকটা প্রকল্প যতো বড় হবে, হালুয়া-রুটিও সেই অনুযায়ী পাওয়া যাবে। এসব গরীব জনগনের জন্য শিক্ষাখাতে ব্যয় করলে তো কোন আর্থিক লাভ নাই। বরং পকেটে টাকা থাকলে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা করার জন্য বিদেশ আছে। চিকিৎসাতেও একই কথা প্রযোজ্য। যাইহোক, এসব লেখি, আর দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলি।

তারচেয়ে বরং বলেন, আপনার মিশর-ভ্রমনের বাকী অংশ কোথায়? :)

৯| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: কোবতেটা এইরকম জানতাম, "আজ বুঝবি না, বুঝবি কাইল/ মাথা থাপরাবি, পারবি গাইল।" যাই হোক, পোস্টের মর্মার্থ বুঝছি। সেইটাই আসল।

১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে এই কবি বিখ্যাত হইলেও প্রচার-বিমুখ। তাই এইটা শুনেন নাই। আপনেরটাও ঠিক আছে।
পোস্টের মর্মার্থ বুঝছেন, তাতেই আমি খুশী। :)

১০| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


পদ্মাসেতুর কথা উঠেছিলো ১৯৭২ সালে, টাকার অভাবে করা হয়নি; ১৯৭২ সালে যদি সবাইকে স্কুলে নেয়া হতো, আজকে ৪টি পদ্মাসেতু করা কোন সমস্যাই হতো না। প্রতিটি নাগরিককে শিক্ষিত করে তোলাই আজকের সরকারের প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত।

১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ১৯৭২ সালে যদি সবাইকে স্কুলে নেয়া হতো, আজকে ৪টি পদ্মাসেতু করা কোন সমস্যাই হতো না। এটা একটা খুবই দামী কথা বলেছেন। স্বাধীনতার পর থেকেই যদি শিক্ষাকে এক নাম্বার প্রায়োরিটি দেয়া হতো, তাহলে সমূহ সম্ভাবনা ছিল যে, আমরা আজ উন্নত বিশ্বের অংশ হতাম।

তবুও, এখনও দেরী হয়ে যায়নি। এখনও শুরু করা যায়। তবে সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে তো কোন কিছুই সম্ভব না গাজীভাই।

১১| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

যাযাবর চখা বলেছেন: সরকার চাইলেই সবার জন্য শিক্ষার ব্যাবস্থা করতে পারে। কিন্তু সরকারের নজর অন্যদিকে। খুব ভালো লিখেছেন।

১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেটাই.....সরকার চাইলেই পারে। কিন্তু সমস্যা হলো, চায় না। জাতী শিক্ষিত হলে অনেক রকমের অসুবিধা আছে। :)

১২| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মফিজ ভাই,

আপনার পোস্ট দেখে গল্প পড়তে চলে এলাম। আপনি আদ্যোপান্ত একজন রসিক মানুষ। কি করে যে মাঝে মাঝে এমন সিরিয়াস হয়ে যান, ভেবে পাই না। যাক আপনার কল্পনাশক্তি, আপনার মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা জানাই। আর পোস্ট সম্পর্কে নৈব নৈব চ।


শুভকামনা জানবেন।

১৩ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্যরি.....আপনাকে আশাহত করার জন্য। আজ আর গল্প পোষ্ট করি নাই।
আমার পরিচিতজনেরা আমাকে রসিক মানুষ হিসাবেই জানে। কারন, আমি জীবনকে কখনও খুব সিরিয়াসলি নেই না। হাল্কা মুডে থাকার চেষ্টা করি। যখন যা ইচ্ছা করে, খুব একটা চিন্তা-ভাবনা না করেই করে ফেলি। তবে, দেশের কোন ব্যাপারে আশাহত হওয়া আমার চরম অপছন্দ। একেবারেই ইগনোর করতে পারি না। তাই দুঃখে মাঝে মধ্যে একটু সিরিয়াস হয়ে যাই।

তবে, সুখের বিষয় হলো, সিরিয়াসনেস বেশীক্ষন ধরে রাখতে পারি না। :)

১৩| ১৩ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দুর্নীতি, দুর্নীতি, দুর্নীতি।

১৩ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই তিন সমস্যাই দেশটারে খাইলো!!! :(

১৪| ১৩ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সামরিক শাসনের কুফল ভোগ করছি আমরা। শ্রীলংকায় প্রায় শতভাগ লোক শিক্ষিত কিন্তু তারা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী না। শিক্ষার পাশাপাশি টেকনোলজি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।

১৩ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সামরিক শাসন খারাপ না, শাসক যদি দেশপ্রেমিক হয়।
শ্রীলংকায় প্রায় শতভাগ লোক শিক্ষিত কিন্তু তারা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী না। ওদের ব্যাপারটা ভিন্ন। প্রায় তিন যুগ ধরে চলা গৃহযুদ্ধ না হলে এই অন্চলের কেউ ওদের ধারে-কাছে থাকতো না আজকে।

১৫| ১৩ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

লাল মাহমুদ বলেছেন: শিক্ষার কথা বলছেন তো!! এই সরকার তো শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে অনেক আগেই। পরীক্ষা দিলেই যেমন পাশ করা যায় আবার পরীক্ষা না দিয়ে পাশ করার রেকর্ডও আছে। ২০১১ সালে আমার এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে বলেছিলাম, 'স্যার এখন যেভাবে ছাত্র ছাত্রীরা পরীক্ষা দিলেই পাশ করতেছে, তাতে ভবিষ্যতে তো সরকার কিছু শিক্ষিত সন্ত্রাসী বানাবে।' শিক্ষিত সন্ত্রাসী না হলেও দেশে যে ধান কাটার কামলার অভাব পড়েছে তা বুঝা যায়। টাংগাইলের কালিহাতিতে এক কৃষক ধান কাটা কামলার অভাবে এবং ধানের দাম কম থাকায়, ধান খেতেই আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন।
এই হলো পরিস্থি।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুধু এই সরকার না, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে কোন সরকারই কোন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছিল বলে আমার জানা নাই। ধ্বংস কিংবা উন্নতি একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া......এর জন্য কোন একক সরকার না, সব সরকারই দায়ী। যে কোনও উন্নতির জন্য একটা গোল সেটিংএর দরকার হয় এবং সে অনুযায়ী একটা কৌশলগত কর্ম-পরিকল্পনার প্রয়োজন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমাদের নেতাদের গোল সেটিং এর মাত্রাটা ভিন্ন রকমের!

১৬| ১৩ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

রাকু হাসান বলেছেন:


হুজুগে অভ্যাসটা আমাদের জাতিগত ও ঐতিহ্যগত । এই গোলকধাঁধায় প্রায় সবাই।বিসিএস ক্যাডার হওয়া এখন সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হচ্ছে বলতে গেলে। নির্দিষ্ট বৃত্তের বাইরেও যে কিছু আছে সেটা বুঝা বা অনুধাবন করার ক্ষমতটা টুকুও নেই। এসব থেকে বের না হতে পারলে অযোগ্য লোক দ্বারাই শাসিত হতে থাকবো।আমাদের মন্ত্রীরা রঙ্গ মঞ্চে থাকতে পছন্দ করেন । আমজনতাও খায় এসব । দেশ উন্নয়নের জোয়ারে একদম প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে । কিন্তু সেই আমার তৃণমূল যে অবহেলিত সেই সবের দিকে ক'জন ভাবছে।দ্বিতীয় স্যাটেলাইট হয়তো দরকার। কিন্তু প্রথম স্যাটেলাইটের সুফলটা কি ! আমরা সাধারণ মানুষ কতটা জানতে পেরেছি? লাভ বা লস টা কি ? সুবিধা বা অসুবিধাই বা কি ? এসব বুঝাতে পারেনি নীতি নির্ধারকরা। বুঝানো দরকার আম জনতা কে । বুঝিয়েই উপলদ্ধি করাতে হবে যে আমাদের আরেকটি স্যাটেলাইট দরকার । তারপর ডায়ালগ মারতে পারতেন।দ্বিতীয় স্যাটেলাইট পাঠানোর থেকে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট আমাদের দেশে হওয়া সম্ভব এবং অতীব জরুরি।সরকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বরাত দিয়ে জানাতে পারতো সাইক্লোন ফণী ব্যাপারে। এতে আমাদের বিশ্বাস স্থাপন হতো।
মফিজ ভাই এসব নিয়ে ভাবলে মাথাটা টিক থাকে না আমার । দোয়া রাখবেন । খুব ভালো লিখেছেন।

লাল মাহমুদ ভাই--আমরা প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষিত সন্ত্রাস তৈরি করছি রাষ্ট্রীয় মদদে। ফলাফলও ভোগ করছি । আরও অনেক দিন নিশ্চয় করতে পারবো।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবকিছুই মন্ত্রীরা আপনাকে বোঝাবে কেন? আপনার নিজস্ব শিক্ষা-দীক্ষা এপ্লাই করে আপনাকে বুঝতে হবে আমাদের একাধিক স্যাটেলাইটের প্রয়োজনীয়তা। আপনি না বুঝলেও সারা দুনিয়ার মন্ত্রীরা আমাদের মন্ত্রীদের কদর বোঝে। খবর পড়েন নাই!! সারাবিশ্বের মন্ত্রীরা এখন আমাদের মন্ত্রীদের কাছে পরামর্শ চায়!!!! :P

আপনারা তৃণমূল তৃণমূল করেই মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন, আমাদের মন্ত্রীরা মূলে কিংবা গোড়ায় বিশ্বাসী না। ইনারা আগায় বিশ্বাসী। =p~

আবার মনে কিছু নিয়েন না.....একটু মজা করলাম। আপনার বক্তব্যের সাথে আমি কিন্তু সহমত পোষণ করছি। :)

১৭| ১৩ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বলেছেন: মফিজ ভাই,
এই পোস্টে মৌলিক অনেক বিষয় তুলে ধরেছেন,
ক) হুজুগে বাঙালির দূর্ভাগ্য কতটুকু হতে পারে।
খ) জন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আগে নাকি জনসভা আগে ।
গ) শিক্ষার দৈন্যতা রেজাল্ট রেকর্ড নাকি সমস্যার রেকটিফিকেশনস।


সমৃদ্ধ পোস্টে ++++

১৪ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'হুজুগ' জিনিসটা বেশীরভাগ সময় দুর্ভাগ্যই বয়ে নিয়ে আসে।
পয়েন্ট আকারে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলো তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো।

এত্তোগুলো '+'! আরো আরো লিখতে অনুপ্রেরণা যোগাবে নিঃসন্দেহে। :)

১৮| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




এই পোস্ট আর মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হলো আর কোনও মন্তব্য নয়, আপনার কবিতাটি তুলে দেয়াই প্রায়োরিটি ---
বুঝবি না এখন, বুঝবি কাল
চুলকাবি মাথা, ছিড়বি বাল...

১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার প্রায়োরিটি দেখে চমৎকৃত হলুম জী এস ভাই। পোস্ট আর মন্তব্য দু'টাই পড়েছেন, এ জন্যে আপনাকে ডাবল ধন্যবাদ। :)

১৯| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: বহুদিন পর আপনার একটা ভালো পোষ্ট পড়লাম।

১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তার মানে আপনি বলতে চাইছেন....বহুদিন ধরে আমি কোন ভালো পোষ্ট দেই না! আচ্ছা, শেষ কবে ভালো পোষ্ট দিয়েছি বলেন দেখি? তাহলে দেখা যাচ্ছে, গত বহুদিন ধরে যা কিছু দিয়েছি সব অখাদ্য; আর লোকজন খাদ্য মনে করে সেগুলো খেয়েছে!!!!

আপনেরে দেখতে যতোটা সহজ-সরল মনে হয়, আপনি তো তা না দেখছি! :P

২০| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শেষের কবিতার লাইনই সব বলে দিয়েছে.......

১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আগেই জানিয়ে দিই......এটা কিন্তু রবিঠাকুরের শেষের কবিতার লাইন না। কেউ আবার কনফিউজড যেন না হয় আপনার মন্তব্যে! :P

২১| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:২২

ওমেরা বলেছেন: শিক্ষা ছারা উন্নয়নে কোন বিকল্প নেই সেটা ব্যাক্তি বলেন আর জাতি । তাই বলে প্রশ্ন ফাঁস শিক্ষিত হয়ে লাভ নেই না দেশের না নিজের ।

ভুয়া মফিজ ভাইয়া সেদিন কার যেন একটা পোষ্ট দেখেছিলাম স্যাটেলাইটের পক্ষে।

আমি ছোট মানুষ বুঝি কম তবু অপেক্ষায় থাকলাম থাপরা থাপরি দেখার ।

ধন্যবাদ ।

১৪ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্যাটেলাইটের পক্ষে কেউ থাকতেই পারে, আমিও পক্ষেই। এমনকি আমি বিমানবাহী জাহাজেরও পক্ষে! =p~
তবে খাওয়া মূল মেন্যু দিয়ে শুরু করবে নাকি স্টার্টার দিয়ে.....এটা যার যার অভিরুচি। আমাদের কর্তাদের বুঝতে হবে, আগে কোনটা; নয়তো সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই!

আমি ছোট মানুষ বুঝি কম তবু অপেক্ষায় থাকলাম থাপরা থাপরি দেখার । ছোট হলেও আপনার মতি-গতি তো দেখছি সুবিধার না। লোকজনকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছেন? :P

২২| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

জ্ঞানী মানুষ হয়ে ফালতু একটা পোষ্ট দিলেন।

স্যাটেলাইট নাকি সবার জন্য শিক্ষা?

সম্পুর্ন অবান্তর প্রশ্ন।
শিক্ষা যেমন দরকার, সার্বজনিন মেকানাইজেশন , ডিজিটালাইজেশনও একই ভাবে দরকার।
২য় স্যাটেলাইট কেন দরকার?

একটি স্যাটেলাইট অর্ডার দিয়ে আকাশে ছাড়তে ১১ বছর লেগে যায়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মেয়াদ ১৫ বছর। হাতে দু তিন বছর রেখে নিরবিচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি বজায় রাখতে ২য় স্যাটেলাইট অর্ডার দেয়ার জন্য ফান্ড জোগার করে প্রয়োজনিয় অর্ডার ব্যাবস্থা নেয়ার সময় এখুনি।


দেশের সবগুলো (৩৪টি) টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ১১ মে ২০১৯ থেকে সমপ্রচার কার্যক্রম শুরু করেছে। টিভি চ্যানেলগুলো আগে যে দামে ব্যান্ডউইথ কিনত এখন সেই দামই দেবে। প্রতি মেগাহার্ডজ দুই হাজার ডলার করেই পরিশোধ করবে তারা। প্রতিটি টিভি চ্যানেলের ৪ থেকে ৬ মেগাহার্ডজ লাগে। এতে বছরে ২০ মিলিয়ন ডলার পাবে সরকার। এছাড়া রাষ্ট্রের সেভ হবে আরো ২০ মিলিয়ন ডলার। প্রকৃত সেইভ ৪০ মিলিয়ন ডলার যেটা প্রতি বছর দেশের বাইরে চলে যেত।
এছাড়া সরকার বেসরকারি ব্যাংকের সবগুলো এটিএম বুথ আর অনলাইনে অর্থ লেনদেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর আওতায় আনা হয়েছে। বেকআপ হিসেবে আগের কেবল সংযোগও থাকবে।

স্যাটেলাইটও থাকবে, এর মেয়াদ শেষের আগেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ২ এসে যাবে। ২টি সাবমেরিন কেবলও থাকবে, ভারত দিয়ে ২টি ল্যান্ড কেবলও থাকবে।

শিক্ষা, ব্যাবসা, ইন্ডাষ্টিয়ালাইজেশন .. রাষ্টের টিকে থাকা সবকিছুর জন্যই দরকার সার্বজনিন মেকানাইজেশন ও ডিজিটালাইজেশন। কানেক্টিভিটি হচ্ছে এসবের অন্যতম মুল উপাদান।
কানেক্টিভিটি বাদ দিয়ে শিক্ষাদান কিভাবে হবে?

১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্যের প্রথমেই দুইটা ভুল করেছেন,
১। আমি জ্ঞানী মানুষ না
২। আমি কোন অবান্তর কথা বলি নাই। সবার জন্য প্রকৃত শিক্ষা নিশ্চিত করার প্রায়োরিটি যে স্যাটেলাইটের আগে সেটাই যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

বাকী যা যা আপনি বলেছেন.......সবই এক্সপেক্টেড, এ ধরনের কথাই আপনার কাছ থেকে আশা করেছিলাম। আশাহত করেন নাই দেখে ভালো লাগছে! ;)

২৩| ১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ধুর X(( রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতার লাইন হবে কেন.......

১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তাইলে ঠিক আছে..... B-)

২৪| ১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১২

আখেনাটেন বলেছেন: তারচেয়ে বরং বলেন, আপনার মিশর-ভ্রমনের বাকী অংশ কোথায়? -- :)

পরের পর্ব লিখেছি। কিন্তু এই ভিপিএন-টিপিএন ব্যবহার করে ছবি আপলোড করে পোস্ট দিতে বিরক্ত লাগছে। :(


দেখি সামনের কোন এক দিন হুট করে দিয়ে দিব। :D

*উপরে এক গোয়েবলস দেখছি লিখেছে এক স্যাটেলাইট অর্ডার দিয়ে আকাশে উড়াতে ১১ বছর লেগে যায়। তাহলে কি বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট হাওয়া ভবন থেকে মিঃ খাম্বা অর্ডার করেছিল যা ১১ বছর পরে আকাশে উড়ল। ;)

এরা পারেও বটে মাইরি! জয় বাবা ভোলানাথ! :-P

১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনি বলতেও পারেন বটে মাইরি!!! জয় বাবা ভোলানাথ!!!!!! =p~

২৫| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: স্যাটেলাইট অর্ডার দিয়ে আকাশে ছাড়তে ১১ বছর লেগে যায়।

তাহলে কি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বিম্পি সরকার অর্ডার করেছিল? আমার মাথায় তো প্যাঁচ লাইগা গেল তারা জিয়া স্যাটেলাইট নাম না দিয়ে বঙ্গবন্ধু দিল কেন? :D :> :>

১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের মতো কিছু রহস্য না হয় অমিমাংসিতই থাকুক.....ক্ষতি কি? :P

২৬| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩

করুণাধারা বলেছেন: প্রায়োরিটি সেটিং- অবশ্যই প্রকৃত শিক্ষা! কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কি দেয়া হচ্ছে? আজকাল শিক্ষা কি জ্ঞান আহরণের জন্য করা হচ্ছে নাকি জিপিএ ফাইভ তোলার জন্য? আমরা কত খুশি মনে পড়াশোনা করতাম, আজকাল ছোট ছোট বাচ্চাদের দেখি ক্লান্ত বিধ্বস্ত হয়ে কোচিং থেকে ফিরছে...

ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানো খুবই দরকার, তবে আমার ধারণা ইচ্ছা করেই এটা করা হচ্ছে না। ইংরেজি ভাষা জানার ভিত্তিতে দুই শ্রেণীর মানুষ তৈরি হচ্ছে, ইংরেজি জানা অর্থাৎ ইংরেজি মাধ্যমে পড়া মানুষ সর্বক্ষেত্রে খবরদারি করে বেড়াবে ইংরেজি কম জানা মানুষের ওপর।

স্যাটেলাইট নিয়ে আমি অত চিন্তিত না, কত দিকে কত চুরিই তো হচ্ছে... কিন্তু দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা শুনে চিন্তিত হয়েছি।

১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের সরকার তো যা করা দরকার তা করে না। তবে, এটা ভালো বলেছেন যে, ক্ষমতাসীনরা বিভাজনটা ইচ্ছা করেই তৈরী করে তাদের অকামের সুবিধার জন্যে। আসলে অতি চালাকদের তো ছলের অভাব হয় না। এজন্যেই আমাদের একজন সৎ, ভিশনারী নেতা দরকার।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আমি আসলেই খুব টেনশানে আছি। এটা নিয়ে আপনি কিছু লিখেন।

২৭| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

মা.হাসান বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাই , আপনি আসলেই ভুয়া। প্রায়োরিটি অনেক আগেই ঠিক হয়েছে একজনের স্বপ্নের উপর নির্ভর করে। উঁনি যেই অর্ডারে স্বপ্ন দেখেছেন সেই অর্ডারেই উন্নয়ন করতে হবে।

আপনার জানা নাই যে আমাদের দেশের স্যাটেলাইটের সব ক্যাপাসিটি ২০৪১ সাল পর্যন্ত বুকিং দেয়া হয়ে গিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইট করার জন্য আমাদের স্যাটেলাইটের ক্যাপাসিটি ব্যবহার করতে চেয়েছিল, পায় নাই। যেই দেশ গুলো সমুদ্রের পাশে অবস্থিত তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচার জন্য স্যাটেলাইটের ক্যাপাসিটি ব্যবহার করতে চাচ্ছে কিন্তু পাচ্ছে না। সুইফট নেটওয়ার্ক আর ফোর্ট নক্সও চাচ্ছে এই স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইডথ নিতে, কিন্তু খালি নাই।

হাসান কালবৈশাখি ভাইয়ের সঙ্গে এই বিষয়ে একমত যে ১০০% লোকের শিক্ষা নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত অন্য সব উন্নয়ন বন্ধ রাখা বোকামি হবে ( আপনার পোস্টেও মনে হয় এরকম কিছু করার কথা আপনি বলেন নি), তবে উনি যে টাকার হিসাব দিলেন তা আমার পুরাতন আমলের নন ডিজিটাল ক্যালকুলেটরে আসলো না। ৩৪টি টিভি চ্যানেল, প্রত্যেকে মাসে ৬ মেগা হার্টজ ব্যানডউইডথ ব্যবহার করবে, প্রতি মেগা হার্টজ ২০০০ ডলার এই হিসাবে মাসে হয় ৩৪*৬*২০০০ ডলার= চার লক্ষ আট হাজার ডলার, বছরে ৪০৮০০০*১২= প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ডলার। পনেরো বছরে ৭৫ মিলিয়ন ডলার। এক ডলার ৮৫ টাকা হিসাবে প্রায় ৬৪০ কোটি টাকা । উনি সম্ভবত বলতে চেয়েছেন দেশের ৩০০ এমপির প্রত্যেকের টিভি চ্যানেল থাকবে। সেক্ষেত্রে কিন্তু ১৫ বছরে টাকা উশুল হয়ে আরেকটা স্যাটেলাইট হয়ে যাবে।

১৫ বছর আগে থেকে স্যাটেলাইটের অর্ডার করার কথা খুবই সত্য, আপনাদের বুঝতে হবে। গুগুল তাদের সার্চ ইঞ্জিন যে বিশিষ্ট তথ্য বাবার কাছ থেকে চুরি করেছে সেই তথ্য বাবা প্রায় ২০ বছর আগে বিগ ডাটা অ্যানালাইসিস করে বুঝতে পেরেছিলেন ২০১৮ সালে আমাদের স্যাটেলাইট লাগবে। এজন্য তিনি ২০০১ সালেই ফরাসি কোম্পানিটির কাছে স্যাটেলাইটের ফরমায়েস দিয়েছিলেন। ফরাসি কোম্পানিটির কয়েকশত বিজ্ঞানি ২ বছর ওনার অ্যানালাইসিস করা ডাটার উপর রিসার্চ করে তার সত্যতা খুঁজে পায় এবং ২০০৩ সালে কাজ শুরু করে। আপনাদের আরো বুঝতে হবে যে এটা স্পেশাল স্যাটেলাইট, এটা হরফুনমওলা, এমন কাজ নেই যা এটা দিয়ে করা যায় না। কাজেই অন্য স্যাটেলাইটের মতো এটা অল্প সময়ে তৈরি করা যায় না।
ভুয়ামি ছাড়েন, বক্ষে চেতনা ধারণ করেন। অনেক শুভেচ্ছা।

১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্য পড়ে 'ভুয়া মফিজ' থেকে একেবারে 'বাক্যহারা মফিজ' হয়ে গিয়েছি। বলার মতো কিছু আসলেই খুজে পাচ্ছি না। :P
আপনার উপদেশ মতো ভুয়ামী না হয় ছাড়লাম.....কিন্তু চেতনা ধারন করার মতো এতোবড় বক্ষ তো আমার নাই! :((

২৮| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০২

অপু তানভীর বলেছেন: এসব কথা বলা ঠিক নহে । উন্নয়নের পথে অন্য কোন প্রশ্ন করে সরকারকে বিব্রত করা ঠিক না ! =p~ =p~

১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৭:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। উন্নয়নের মহসড়কে সরকার এখন বাস চালাচ্ছে। আর বাসে সবসময় লেখা থাকে, ''গাড়ী চলন্ত অবস্থায় চালকের সহিত কথা বলিবেন না''।

থ্যাংস ফর দ্য রিমাইন্ডার!!! :P

২৯| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




প্রতিমন্তব্যে ধন্যবাদ।

আমি কোনও পোস্ট পড়লে তার মন্তব্যগুলোও পড়ি। সেই অভ্যেস থেকে আপনার পোস্টের মন্তব্যগুলোও পড়েছি।

১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্য পড়া খুবই চমৎকার একটা অভ্যাস। আমিও যে কোনও পোষ্টের সাথে সাথে মন্তব্যও পড়ার চেষ্টা করি। :)

৩০| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: লেখাটা অত্যান্ত যুগপোযোগী।

১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। :)

৩১| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কিছু লিখতে বলেছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের খবর পড়ে তো আমার মাথা ঘুরছে... কি আর লিখব! বালিশ, বিছানার চাদরের এমন দাম হলে, আর এগুলো বাড়িতে তুলতে এত টাকা খরচ হলে, নতুন স্যাটেলাইট কিনতে আর আকাশে তুলতে না জানি কত টাকা লাগবে!! যদি হিসাব করতে পারেন, দয়া করে জানাবেন।

আমি বালিশ ইত্যাদি দাম সংক্রান্ত পোষ্টের লিংক দিচ্ছি:

১)

২)

১৯ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বর্তমানের লেটেস্ট হুজুগ তাহলে বালিশ!!!

বাদ দেন, আপনার আর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে লেখার দরকার নাই। বরং বালিশ নিয়ে কিছু লিখেন! =p~

৩২| ২১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:২৮

অজানা তীর্থ বলেছেন: শুধু নিশ্চুপে পড়েছি, আর ভাবছি এই দেশের নামটা যে কখন পরিবর্তন হবে!!!

২১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি 'দেশের নাম' পরিবর্তনের কথা ভাবছেন? লোকজন তো আপনার 'চেতনা' নিয়ে টান দিবে!!! B-)

৩৩| ২১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৪৪

অজানা তীর্থ বলেছেন: আমি একজনে টেনে কি হবে দাদা...নামে পরিচয় নহে, কর্মে পরিচিতি পায় এমনই শুনেছি। আমাদের পৃথিবী থেকে দুই একটি রকেট মহাকাশে গেলে পৃথিবীর সিস্টেমের কোনো পরিবর্তন হয়না। আমার এজনের চেতনাতে এই দেশের কিছুই পরিবর্তন হবেনা।

২১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নামে পরিচয় নহে, কর্মে পরিচিতি পায় এটা পুরানো মতবাদ। এখন কর্ম (যথা, চুরি, ডাকাতি, দূর্ণীতি ইত্যাদি) যাই হোক, পরিচয় নামেই হবে। বর্তমানে চোরকে আপনি চোর বলতে পারবেন না। :P

সিস্টেমের পরিবর্তন হোক বা না হোক, প্রতিটা মানুষই ইউনিক। তাই প্রত্যেকের চিন্তাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

৩৪| ২১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৫:৫৮

এমজেডএফ বলেছেন: "হুজুগে জাতি হিসাবে আমাদের একটা বদনাম আছে।"
আপনার পোস্টের প্রথম লাইনটার জীবন্ত প্রতিফলন আপনার পোস্টের বিভিন্ন কমেন্টগুলো :) ! আমার দৃষ্টিতে এখানে বেশিরভাগ কমেন্টও হুজুগে।
আমাদের দেশের সবচেয়ে পরিচিত হুজুগ হলো নতুন কিছু সহজে মানুষ গ্রহণ করে না। নতুন যাই হোক প্রযুক্তি, উদ্যোগ, পরিবর্তন - এগুলোর উদ্দেশ্য ভালো হোক আর খারাপ হোক বিরোধিতা করতেই হবে। এটাও এক ধরনের হুজুগ। যেমন: আশির দশকে জিয়াউর রহমান যখন সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে শিশু পার্ক করার উদ্যোগ নিলেন। এর বিরুদ্ধে জাসদ, বামপন্থিরা এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা কোমড় বেঁধে মাঠে নামলেন। এদের যুক্তিও ছিল ঠিক আপনার মতই। যে দেশের মানুষ ঠিকমত দুবেলা খেতে পারে না, শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না - সেখানে শিশু পার্ক বিলাসিতা ইত্যাদি ইত্যাদি। এর সাথে হুজুগে তাল মিলালো অনেকে। কিন্তু এদের কেউ বুঝতে চেষ্টা করে নি যে এই শিশু পার্কটি না করে সে টাকা যদি শিক্ষা খাতে ব্যয় করে তাহলে কি বাংলাদেশের সব শিশু শিক্ষিত হয়ে যাবে? যাই-হোক, এরা শিশু পার্ক ঠেকাতে পারে নি। জিয়াউর রহমান পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে-দমিয়ে শিশু পার্কটি করেছে। পরবর্তীতে বাস্তবতা দেখা গেল অন্যরকম। এত বড় ঢাকা শহরে তখন শিশু-কিশোরদের জন্য এটাই ছিল একমাত্র বিনোদন। এমনকি শিশু পার্কটি সপ্তাহে একদিন পথশিশুদের জন্যও বিনামূল্যে খোলা রাখা হলো। অর্থাৎ ধনী-দরিদ্র সবাই খুশি। এমনকি যারা বিরোধীতা করেছিল তারাও নিজেদের ছেলেমেয়ে নিয়ে পার্কে এসে ভিতের ভিতরে খুশি, তবে চেহারায় না। কারণ ভুলতো স্বীকার করবে না। আগের গোয়ার্তুমিটা ধরে রাখতে হবে না!

স্যাটেলাইট নিয়েও এধরনের গুজুগে আলাপ পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক হয়েছে। তাই সেইসব ফাও প্যাচালে গিয়ে লাভ নেই। সংক্ষেপে শুধু এটুকু বলতে চাই: যারা বলেছিলেন এই স্যাটেলাইট দিয়ে আমাদের কী হবে? উত্তর: বাজে তর্ক না করে, অপেক্ষা করুন, সময় হলেই দেখতে পাবেন। যেমন শহরে অলিতেগলিতে এখন কেবল টিভির ঝুলন্ত তারের জন্য হাঁটা যাচ্ছে না। অলিতেগলিতে ঝুলন্ত তার আর থাকবে না। কিছুদিনের মধ্যেই স্যাটেলাইট থেকে ভিডিও সিগন্যাল তার ছাড়াই সরাসরি টিভি এন্টিনাতে পৌঁছে যাবে।

"জনগনের মৌলিক চাহিদা পূরণের দিকে নজর না দিয়ে এসবের পিছনে টাকা খরচের আদৌ কোন যুক্তি আছে কি? যে শিশুটি পড়ালেখা বাদ দিয়ে টাকা উপার্জনের জন্য শিশুশ্রমিক হতে বাধ্য হয় কিংবা যে মেধাবী ছাত্রটি ভালো রেজাল্ট করার পরও টাকার অভাবে উচ্চশিক্ষা না নিতে পেরে রিকসাচালক বনে যায়, তার কাছে স্যাটেলাইট কি আশীর্বাদ? নাকি অভিশাপ?"
আমার প্রশ্ন: স্যাটেলাইট না পাঠালে সে টাকা দিয়ে কী আপনার উল্লেখিত সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যাবে? মোটেই না। উচ্চশিক্ষাকে সবার নাগালে পৌঁছার জন্য অলিতেগলিতে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। গ্রামে ছাত্রাভাবে স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারপরেও হুজুগে মাতামাতি সব শিশুর জন্য লেখপড়ার ব্যবস্থা করা হোক! বাংলাদেশের দুতাবাসের কর্মকর্তার ইংরেজি দুর্বল - এর জন্য মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানো দায়ী! হাস্যকর কথাবার্তা।

২য় স্যাটেলাইট কেন?
সব স্যাটেলাইটের একটা কারিগরি মেয়াদ থকে। বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইটের মেয়াদ সম্ভবত ১০ বছর। অর্থাৎ ১০ বছর মেয়াদ পুরাবার আগেই আমাদেরকে আরেকটা স্যাটেলাইট স্ট্যান্ডবাই রাখতে হবে। একটি স্যাটেলাইটের পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ প্রক্রিয়া, উৎক্ষপণ ইত্যাদি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। সুতরাং আমাদের স্যাটেলাইট ক্ষমতাকে ধারাবাহিকভাবে ধরে রাখতে হলে এখন থেকেই ২য় স্যাটেলাইটের পরিকল্পনা করতে হবে।

২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ৮:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিশাল মন্তব্য করেছেন। :)

তবে, দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে.....আপনার মন্তব্যের উত্তর পোষ্টেই আছে। ভালো করে পড়লেই বুঝতে পারবেন।
আলোচনা স্যাটেলাইটের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে না, আলোচনা হলো, প্রায়োরিটি নিয়ে। বিশেষ করে, পারিবারিক উদাহরনটা ভালো করে পড়ুন।

প্রকৃত শিক্ষার অভাবে জাতী কতোটা সমস্যার মধ্যে আছে এটা নিয়ে এই ব্লগেই বহু পোষ্ট আছে। সেই সমস্যাগুলো এ'মুহুর্তে আমাদের স্যাটেলাইট না থাকার সমস্যার চাইতে বহুগুনে বেশী।'বেসিক নিড' বলে একটা কথা আছে। সেগুলোর সমাধান না করে অন্য যে কোন কিছু, যেটা এ'মুহুর্তে না করলেও চলে, করাটাই স্ট্র্যাটেজিক থিংকিং এর বিপক্ষে। স্যাটেলাইট বিষয়টা অনেকটা 'ঘর নাই, দুয়ার দিয়ে শোয়া' এর মতো একটা ব্যাপার!

ধন্যবাদ।

৩৫| ২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ছড়াটি অসাধারণ হয়েছে!
অনেক দিন এমন ছড়া পড়িনি।

২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অতি বিখ্যাত কবি'র একটা রচনা এটি! :)

৩৬| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:২৭

অজানা তীর্থ বলেছেন: "বর্তমানে চোরকে আপনি চোর বলতে পারবেন না।" ভাই একদম খাঁটি কথা বললেন :P

২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুঝতে পারার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আজকাল অনেক কথা সহজ করে বললেও অনেকে বুঝতে পারে না। :)

৩৭| ২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বুঝবি না এখন, বুঝবি কাল
চুলকাবি মাথা, ছিড়বি বাল!

কবে যে বুঝবো :( বহুদিন থেকেই তো এ পথে এগুচ্ছি। পাতার পর পাতা এমন হিসাব দেয়া যায়। আপনার মত আমার ও হালকা বিশ্বাস ছিল মনে ব্লগার রা তো উচ্চ শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর আওতায়, এরা অন্তত সত্যি টা মেনে নেবেন, প্রতিবাদ করবেন। কিন্তু দলকানা র উৎকৃষ্ট উপমা ব্লগেই সব চাইতে বেশি।

২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ৮:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পাতার পর পাতা এমন হিসাব দেয়া যায়। ঠিক.....লিখতে থাকলে লেখার কোন তল পাওয়া যাবে না। মাঝে মাঝে ভাবি, এসব লিখে কি লাভ? পরে আবার ভাবি, আমরা সবাই যদি চুপ থাকি তাহলেই বা হবে কিভাবে? :(

ব্লগাররা সবাই উচ্চশিক্ষিত সন্দেহ নাই। তারপরেও অনেকে সংকীর্ণতা থেকে বের হতে পারে না, এটাই সমস্যা। আমাদের উন্নতির জন্য এটাও একটা অন্যতম বড় বাধা নিঃসন্দেহে!!

৩৮| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: তৃতীয়, ৪র্থ, ৫ম ---------১০০তম সব স্যাটেলাইট একত্রে পাঠিয়ে দেয়া হোক মহাশূন্যে, কোনো কোণা ছাড় দেয়া যাবে না। স্পেসে কেবল থাকবে আমাদের একচ্ছত্র আধিপত্য।

২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ৮:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে......আপনার এই সময়োপযোগী অত্যন্ত মুল্যবান প্রস্তাব যথাস্থানে পাঠিয়ে দেয়া হবে। তবে তার আগে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের মহাশুন্যের কোণা আবিস্কার করতে হবে! :P

আর মহাশুন্যে আমাদের একচ্ছত্র আধিপত্যের ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া যাবে না। তাছাড়া, শুধুমাত্র 'মহাশুন্য' শব্দটাও আমার কাছে এখন আর সঠিক মনে হচ্ছে না। নামের পরিবর্তন বা সংযোজন দরকার। আপনার কোন প্রস্তাবনা থাকলে দয়া করে সেটা্ও জানাবেন। =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.