নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কালচার শকের বাংলা প্রতিশব্দ খোজার চেষ্টা করলাম, কিন্তু কোন যুৎসই কিছু খুজে পেলাম না। কি হতে পারে? সংস্কৃতির ধাক্কা কিংবা আঘাত? শুনতে খুব একটা ভালো বা পারফেক্ট শোনায় না। তাছাড়া, আমার মনে হয় এগুলোতে কালচার শকের আসল অর্থের প্রতিফলন তেমন একটা ঘটে না, তাই আমার এই লেখায় কালচার শক-ই বলছি। আরেকটা শব্দ হলো 'বিলাত'। আমরা যাকে সাধারনভাবে ইংল্যান্ড বলি, তার বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে এমনিতেই অনেকগুলো নাম। যেমন, যুক্তরাজ্য, গ্রেট ব্রিটেইন (বা শুধুই ব্রিটেইন), দ্য ইউনাইটেড কিংডম (সংক্ষেপে ইউকে), এবং সর্বোপরি ইংল্যান্ড, যেটা আগেই বলেছি। আরেকটা নাম হলো 'বিলাত', এটা কিভাবে বা কোথা থেকে এলো, জানিনা। যাই হোক, বাংলাতে আমার দখল এবং জ্ঞান অত্যন্ত সাধারন মানের; ব্লগে শব্দ নিয়ে যারা খেলা করে, তারা ভালো বলতে পারবে।
কালচার শক বিষয়টা আসলে কি? সংক্ষেপে বলতে গেলে, একজন মানুষ যখন তার চিরচেনা পরিবেশ ছেড়ে অন্য একটা সম্পূর্ণ অচেনা, ভিন্ন পরিবেশে আসে তখন মনোজগতে যে ধাক্কাটা লাগে, সেটা। এটা কোথাও বেড়াতে গেলে ততোটা বোঝা যায় না। দেশে থাকতে বিদেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারনে যেতে হয়েছে। তাছাড়া, বেড়ানো যেহেতু আমার অন্যতম প্রধান শখ, এ'উদ্দেশ্যেও অনেকবার দেশের বাইরে গিয়েছি। এসব ধাক্কা টাক্কা খুব একটা অনুভব করিনি কখনও। ঘুরেছি, ফিরেছি, খাওয়া-দাওয়া করেছি, ব্যস......ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন। দেশের সবকিছু গুটিয়ে তল্পী-তল্পা, বদনা-বাটি নিয়ে যখন এই সূদুঢ় বিলাতে এসে ছিটকে পড়লাম, তখন বুঝলাম, ধাক্কা কাকে বলে এবং ইহা কতো প্রকার ও কি কি!
বিরক্ত হবেন না, একটু একাডেমিক-টাইপ কথাবার্তা বলি। কালচার শকের বলতে পারেন চারটা পর্যায় বা পর্ব আছে, যার প্রথমটা হানিমুন পর্ব। এটা আসলে, সহজ কথায় ঘোরের পর্ব। এই পর্বে আমরা যা দেখি, খাই কিংবা যেসব লোকজনের সাথে মিশি....বেশীরভাগই ভালো লাগে। আমরা যখন কোথাও বেড়াতে যাই, তখন এই পর্বেই থাকি। আর এটা শেষ হবার আগেই দেশে ফিরে যাই। এর পরেরটা আপোষ পর্ব যেখানে প্রাথমিক উত্তেজনা কাটার পর আমরা বিভিন্ন বিষয়ে আপোষ করা শুরু করি। তৃতীয়টা সমন্বয়সাধন পর্ব। এখানে আমাদের দীর্ঘদিনের মজ্জাগত অভ্যাস বা পরিবেশের সাথে নতুন অভ্যাস বা পরিবেশের সমন্বয়সাধন করি। আর সবশেষ পর্বে আমরা পুরানো এবং নতুন কালচারের মধ্যে বিবাদ-বিসম্বাদের পর একটা স্থিতাবস্থায় আসি।
যাইহোক ভূমিকা অনেক হলো, যা বলছিলাম বরং সেটাতে ফিরে আসি।
ইংল্যান্ডে প্রথম শকঃ
ইংল্যান্ডে আমি যেই শহরে থাকবো সেখানে পরিচিত একজন একটা রুম আমার জন্য ঠিক করে রেখেছিল। সাবলেট বলতে পারেন। বাসাটায় বাবা (বিল) আর তার সাত বছরের ছেলে (ব্রায়ান) থাকে। মা ছেলেকে ফেলে রেখে আরেক লোকের সাথে ভেগে গিয়েছে। তিন বেডরুমের বাসায় একটা রুম তারা গেস্টরুম হিসাবে ব্যবহার করতো। সেটাই আমার রুম। কোন এক শীতকালে রাত সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ীটাতে ঢুকলাম। প্রথম পরিচয়েই চা খেতে খেতে বিল যেভাবে তার বউয়ের ভেগে যাওয়ার বিস্তারিত কাহিনী বয়ান করছিল, আমার শুনতেই লজ্জা লাগছিল.....যদিও ওর মধ্যে কোন বিকার দেখিনি। নিজের দুর্দশার কাহিনী কিংবা ঘরের কথা পরকে, অর্থাৎ একজন স্বল্পপরিচিত মানুষের কাছে কেউ এভাবে অবলীলায় বলতে পারে, আমার জানা ছিল না। আর ব্রায়ানের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিল এভাবে: ব্রায়ান, এ হচ্ছে মফিজ, ফ্রম বাংলাদেশ। এখন থেকে আমাদের সাথেই থাকবে। আশা করছি তুমি এনাকে বিরক্ত করবে না, এবং ভালোভাবে মিলেমিশে থাকবে।
ত্যাদোড় ছেলেটা সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে টিভি দেখছিল। আমার দিকে একবার তাকিয়ে 'ওকে' বলে আবার টিভির দিকে মন দিল।
বিল বললো, ব্রায়ান, বি নাইস! তুমি কিন্তু হাই বলোনি!
ব্রায়ান আমার দিকে তাকিয়ে বললো, হাই মফিজ। তারপর হাই তুলতে তুলতে হাই-এ অর্থাৎ উপরে ঘুমাতে চলে গেল।
পিচ্চি একটা ছেলে। এ তো দেখি বিরাট বেয়াদপ, নাম ধরে বললো! মফিজ আংকেল বা নিদেনপক্ষে মফিজভাই তো বলতে পারতো! আর বাপটাই বা কেমন? ছেলেকে কিছুই বললো না। কিন্চিৎ মন খারাপ করেই আমার রুমে চলে গেলাম। সকালে টেবিলে একসাথে বসেছি নাস্তা করতে। নাস্তার সাথে সাথে বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই ব্রায়ান আমাকে বললো, মফিজ, দুধের বাটিটা এদিকে পাস করবে.....প্লিজ!
রাগে আমার পিত্তিসুদ্ধা জ্বলে গেল। আড়চোখে বিলকে দেখলাম। নির্বিকারভাবে খেয়ে চলেছে, ছেলেকে শাসনের কোন নামগন্ধই নেই। বুঝলাম, সুবিচার প্রাপ্তির কোন আশা এখানে দুরাশা মাত্র। আস্তে আস্তে জানলাম, এখানে বড়-ছোট কোন ব্যাপার না, সবাই সবাইকে নাম ধরেই ডাকে। এ পর্যায়ে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ইংলিশ ব্রেকফাস্টের মতো জঘন্য ব্রেকফাস্ট আমাদের এই দুনিয়াতে খুব কমই আছে।
শকের পরে শকঃ
চাকুরীতে জয়েন করেছি। স্যরি, প্লিজ, থ্যাঙ্ক ইউ, এক্সকিউজ মি ইত্যকার শব্দগুলো বলতে বলতে জীবন মোটামুটি ওষ্ঠাগত। দেশে কে আর এগুলো ব্যবহার করে? অথচ এখানে খুব খেয়াল করে এবং মনে করে এ’গুলো ব্যবহার করতে হয়। না করলে এরা আবার মাইন্ডও করে। উঠতে বসতে প্রতি মুহুর্তে এ’গুলো বলতে বলতে কেমন যেন হাপ ধরে যায়। তারপরও একদিন শেষরক্ষা হলো না।
তখনও গাড়ী কিনি নাই। আমার এক কলীগ একদিন আমাকে বাসায় ড্রপ করলো। জায়গামতো এসে আমি গাড়ী থেকে নেমে হাত নেড়ে বিদায় দিয়ে বাসায় ঢুকে গেলাম। পরদিন সে আমাকে ধরলো,
- মফিজ, কাল তোমাকে ড্রপ করলাম। তুমিতো একটা থ্যাঙ্কস-ও দিলে না। আমি খেয়াল করেছি স্যরি, প্লিজ, থ্যাঙ্ক ইউ, এক্সকিউজ মি ইত্যাদি শব্দগুলো তুমি খুবই কম ব্যবহার করো। তোমাদের দেশে এমন শব্দ তোমরা ব্যবহার করো না?
- করি, অবশ্যই করি। তবে তোমাদের মতো এতো করি না। তাছাড়া, আমরা মুখে বলার চেয়ে এক্সপ্রেশানে বেশী বিশ্বাসী। যেমন, তুমি খেয়াল করে দেখবে, আমাকে কিছু দিলে আমি মুখে থ্যাঙ্ক ইউ না বলে অনেক সময় একটা হাসি দেই। ওটাই কিন্তু আমাদের 'থ্যাঙ্ক ইউ'! এটুকু বলে একটা মধুর হাসি দিলাম।
- না, সেটা ঠিক আছে। তবে এখানে এগুলো না বললে লোকজন তোমাকে রুড ভাববে। ও গম্ভীর হয়ে বললো।
- বুঝতে পারছি। সবজান্তার মতো মাথা দোলাতে দোলাতে বললাম। বুঝতেই পারছো, নতুন দেশ, নতুন কালচার; এডাপ্ট করতে একটু সময় তো লাগবে, তাইনা! আর মনে মনে বললাম, তোদের এসব লোকদেখানো ভদ্রতা করতে করতে তো আমার অবস্থা ডাঙ্গায় তোলা মাছের মতো। অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করছি!!
দীর্ঘদিন ধরে এমন আর্টিফিশিয়াল ভদ্রতার মুখোশ পরে থাকতে থাকতে কি অবস্থা হয় তার একটা উদাহরন আপনাদেরকে দেই। বোধহয় বছর দু’এক আগে এক বন্ধুকে নিয়ে দেশে পাড়ার টং দোকানে চা খেতে গিয়েছি। চা বানিয়ে দোকানদার বললো, মামা চা নেন। আমি বন্ধুর সাথে কথা বলতে বলতে চা নিয়ে দোকানদারকে বললাম, থ্যাঙ্ক ইউ মামা! দেখি আমার বন্ধু আর দোকানদার দু’জনেই আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে আছে যেন এইমাত্র ফ্লাইং সসার থেকে একটা এলিয়েন নেমে তাদের সামনে এসে দাড়িয়েছে!
আমি মনে মনে বললাম, শালার কি লাইফ! ওখানে থ্যাঙ্ক ইউ না দিলে মাইন্ড করে, আর এখানে আশ্চর্য হয়! কই যাই?
এদেশে এসেছিলাম শীতকালে। দেখতে দেখতে সামার এসে গেল। এদেশে প্রথম সামার। আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, গরম যতো বাড়তে থাকলো, মেয়েদের শরীর থেকে কাপড় চোপড় তার চেয়েও দ্রুতগতিতে কমতে থাকলো। বুঝতে পারলাম, এ'দেশে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের গরম লাগে বেশী। একই সঙ্গে শংকিত হলাম, এই গতি অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে কি হবে চিন্তা করে! যাইহোক, সময় সবকিছুই ঠিক করে দেয়। এক পর্যায়ে এসবও চোখে সয়ে গেল। তবে, এতোকিছুর পরও, এই এখনও, এখানে কিছু মেয়ের নির্লজ্জতা দেখে আসলেই অবাক হই। অবাক হয়ে ভাবি, আমি একজন পুরুষ হয়ে যেখানে লজ্জা পাচ্ছি, এদের সেখানে এটা কোন ব্যাপারই মনে হচ্ছে না। সখেদে ভাবি, ও মনু.......কেমুন দ্যাশে আইলাম!!
আসলে এই কালচার শক নিয়ে অনেকদিন ধরেই কিছু লিখবো ভাবছিলাম। এ’ধরনের শক থেরাপীর মধ্য দিয়ে আমাকে বিভিন্ন সময়ে যেতে হয়েছে। অনেককিছু বলতে ইচ্ছা করে। আপনাদেরকে মাত্র তিনটা বিষয় বললাম। আপনাদের ভালো লাগলে আবার কোন একসময় হয়তো দ্বিতীয়পর্ব লিখতেও পারি। আর যদি ভালো না লাগে......জাস্ট ফরগেট ইট!!!
ছবিঃ গুগল।
২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ।
প্রথম মন্তব্যকারী হিসাবে (রোযা না রাখলে) আপনাকে চা দিতে পারি। দিবো?
২| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দ্বিতীয় কিস্তির জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ হেনাভাই। উৎসাহ পাচ্ছি।
৩| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৮
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বিলাত বা বিলেত বা হিন্দি ভিলেত শব্দটা মূলত ইংরেজি blighty শব্দ থেকে এসেছে বলে আমি মনে করি। নিচে এই শব্দটার অর্থ গুগল থেকে দিলামঃ
An informal and typically affectionate term for Britain or England, chiefly as used by soldiers of World War I and World War II.
view this link
আবার আরবি শব্দ থেকেও এটা এসেছে বলে অনেকে মনে করেন। view this link
স্বনামে ডাকাটা অনেক জাতিই ভালো মনে করে না। ইংরেজিতে দেখুন সবাই "ইউ"। কেউ "ভি" নয়
মেয়েদের ব্যাপারটা এনজয়েবল
২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কষ্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিলাত বা বিলেত বা হিন্দি ভিলেত শব্দটা মূলত ইংরেজি blighty শব্দ থেকে এসেছে বলে আমি মনে করি। আমিও আপনার সাথে একমত।
ইংরেজিতে দেখুন সবাই "ইউ"। কেউ "ভি" নয় আপনার এই কথা মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে।
মেয়েদের ব্যাপারটা এনজয়েবল খুবই এক্সপেক্টেড.....এনজয় করারই কথা।
৪| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:২১
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দ্বিতীয় লিংকটায় যেয়ে দেখি কেনো লেখা নাই। তার জন্য এক বালতি সরি
২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ......লিঙ্কে গিয়া দেখলাম। কিছুই নাই!!
এক বালতি বেশী হয়ে যায়, এতো স্যরি নষ্ট করা ঠিক না। এক মগ হলেই চলতো!
৫| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:২৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হা্ই মফিজ.....সরি
থ্যাংকু হাহাহাহা ......
আমাদের দেশের কালচার শক আমার চোখেই লাগে .... মেয়েরা দেখি দিন দিন কাপড় চোপড় ছোট করতাছে । এরারে নিয়া যান গা না ক্যারে আপনার দেশে যত্ত ইচ্ছা কাপড় ছোট্ট করুক আমার চউখ আরাম পাইতো ..... মামা ওহ সরি ভাইয়া
২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইহানে আয়া সামারে কিছুদিন বেড়ায়া যান। তারপরে দ্যাশে গিয়া দেখবেন আমাগো দ্যাশের মেয়েরা কতো ভদ্র!
আনতে তো মন চায়.....কিন্তু কয়ডারে আনমু! এতো ট্যাকা পামু কই???
মজার মন্তব্যের জন্য ধইন্যবাদ।
৬| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ইউ আর ভি রহস্যের সারকথা হলো সবাইকে তুমি বলা হয়, কোনো আপনি, তুমি, আপনার, তোমার নেই
যতো সময় যাবে ওদিকটা কমতেই থাকবে
২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইবার বুঝতে পারলাম। মাঝেমধ্যে মাথা কেমন ফাকা ফাকা লাগে....কিছু মাথায় ঢুকে না। ঘটনা কি, বুঝি না।
৭| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার কালচার থেরাপি। বরাবরের মতই ব্যাপক মজা পেয়েছি। তবে চায়ের দোকানদারকে থ্যাংক ইউ বলার পরিণতিটি ঠিক বুঝতে পারলাম না।
পোস্টে তৃতীয় লাইক।
শুভকামনা জানবেন।
২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের দেশে ছোট্ট চায়ের দোকান, রিকশাওয়ালা, মুচি ইত্যাদি লোকজনকে কেউ থ্যাঙ্ক ইউ, স্যরি বলে না সাধারনতঃ। তাই হঠাৎ কেউ বললে আশ্চর্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। এটাই বুঝিয়েছি। এটা আমার বন্ধু আর চা-ওয়ালা, দুজনের জন্যই ছিল একধরনের কালচার শক।
লাইক, মন্তব্য সবকিছুর জন্যই কৃতজ্ঞতা।
৮| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কিরে মফিজজ্যা, কি খবর?
আচ্ছা? ওখানে কি ললনাদের সাথে ইচ্ছেমত ডেটিং করা যায়??
ধূর! কি এসব ভাবি! আমি তো রোজা!!!
২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে! মন্ডইল্যা দেহি!
রোযা রাইখা এইসব কি কথা!! নাউজুবিল্লাহ। এই মাসে এইসব আকথা-কুকথার উত্তর দিমু না।
৯| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:১৪
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: রাইতে উত্তর দিয়েন। পিলিজ।
(রোজা রাইখা সি বিচে যাইয়েন না)
এবার স্টেডিয়ামে গিয়ে দু-একটা ম্যাচ(ক্রিকেট) দেখবেন নাকি?
২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওকে, রাইতে উত্তর দিমুনে। স্টে টিউনড।
রোজা রাইখা সি বিচে যাইয়েন না সি বীচে আমি এমনেই যাই না। সমুদ্র আমার পছন্দের জিনিস না।
খেলা স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখলে মজা পাইনা, বাসায় বসে টিভিতে মজা বেশী। কমেন্ট্রি, এনালাইসিস, স্লো মোশানসহ অনেক কিছু দেখা যায়। খেলা দেখার সাথে সাথে ঘরের অন্যান্য কাজও করা যায়। তাছাড়া, আগে বাংলাদেশের অনেক খেলাই স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখেছি। তাই, এবার কোন প্ল্যান নাই।
১০| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কালচারাল শক রে কে কে ও বলা যায়
মানে কালচারাল কিক
২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কালচারাল কিক ভালো বলেছেন। গুড অবজার্ভেশান।
দুবাই এর যাপিত জীবন নিয়ে আর লিখবেন না?
১১| ২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কালচারাল শক পড়ে ভালো লাগলো ।
২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১২| ২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার তো রাজ কপাল।
বিদেশে প্রথম কেউ গেলে প্রথম প্রথম হোম সিকনেসে ভগে।
যদি পুরো পৃথিবীটাকেই নিজের দেশ ভাবা যায় তাহলে বিষন্নতা বুকে চেপে বসতে পারে না।
২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার কপাল রাজ কপাল? এইটা কি কইলেন?
আমি এখনও হোম সিকনেসে ভুগি। পুরো পৃথিবীকে নিজের দেশ ভাবা আসলে কথার কথা। এটা বাস্তবে সম্ভব না। পুরো পৃথিবী তো বহুদুরের কথা, এখনও ইংল্যান্ডকেই ঠিকমতো নিজের দেশ ভাবতে পারলাম না!
১৩| ২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে ভীষণ শক হলাম মানে আনন্দিত হলাম। খুবই চমৎকার একটি লেখা।
২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আপনার দেশে বিদেশে সিরিজের (!) প্রথম কিস্তিঃ বিলেতে প্রথম কিস্তি পড়ে ভালো লাগলো।
প্রথম পর্বের পরে নেগোশিয়েশন, এডাপটেশন, এডজাস্টমেন্ট এগুলোও পাবো আশা করছি।
নাম ধরে ডাকতে আমারও ভালো লাগে। কিন্তু লোকজন মাইন্ড করবে ভেবে ডাকি না। নাম ধরে ডাকার মধ্যে একধরণের অনুভুতি আছে যা সর্বনাম দিয়ে বোঝানো যায় না।
শুভেচ্ছা রইলো, মিঃ ভুয়া মফিজ।
ওহ, ত্যাদড় ছেলে ব্রায়ান আপনাকে যে 'মফিজ' ধরেই ডাকলো! এই যে সে পুরো নাম (ভুয়া মফিজ) ধরে ডাকলো না এটাও কিন্তু ওদের সংস্কৃতি স্যারনেম ধরে ডাকা। এতে করে আপনার পদবীটা হয়ে গেল "মফিজ" আর নামটা হয়ে গেল "ভুয়া"। হা হা হা
২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশ-বিদেশ না, এটা শুধুই বিলাতের উপর, যেহেতু এখানে আমি থাকি। আরো কিস্তি লিখবো কিনা এখনও জানিনা। দেখা যাক। আপাততঃ শুধুই শক, বাকীগুলো (নেগোশিয়েশন, এডাপটেশন, এডজাস্টমেন্ট) তো এমনিতেই হয়ে যায় সময়ের সাথে সাথে।
ওদের সারনেইম ধরে ডাকার সংস্কৃতি, এই তথ্য কোথায় পেলেন জানিনা। আমার প্রায় দেড়যুগের অভিজ্ঞতা কিন্তু তা বলে না। ওরা ফার্স্ট নেইম ধরেই ডাকে। কখনও ফর্মালী কাউকে ডাকলে সারনেইম ধরে ডাকে, তবে তখন 'মিস্টার সারনেইম' বলবে।
১৫| ২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩
ওমেরা বলেছেন: “শক” কে “শাক” বানিয়ে নুডুলসের সাথে খেয়ে ফেলেছি সেই ছোট বেলায় !! এখন ভালো কিছু দেখলেই কিরাম কিরাম যেন লাগে।
ধন্যবাদ ভুয়া মানুষ ।
২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বোঝাই যাচ্ছে নুডুলস আপনার খুব প্রিয়.....যে কোনও কিছুই নুডুলসের সাথে মিশিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন!
১৬| ২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
কিছু দরকারী কালচারেল অভিজ্ঞতা
২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
১৭| ২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:২১
নীলপরি বলেছেন: যেখানে যেমন অভ্যেস । এখানকার অতি প্রগতিশীলরা আবার পশ্চিমী অভ্যেসেই অভ্যস্ত বেশী ।
শুভকামনা
২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এরা নামে প্রগতিশীল, আসলে চরম ভন্ড। পশ্চিমাদের সবকিছুই অন্ধভাবে অনুকরন করতে হবে কেন? কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ এই বোধটাই যদি না থাকে তাহলে এদেরকে 'অত্যাধুনিক ছাগল' বলাই যুক্তিযুক্ত।
আপনাকেও শুভকামনা।
১৮| ২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭
নাসির ইয়ামান বলেছেন: যেখানেই থাকুক না কেন, বনী আদম মানুষ হয়ে থাকলেই কেবল ভালো!
২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কিছু বনী আদমকে দেখতে মানুষের মতোই লাগে......কিন্তু আসলে অমানুষ। বাইরেরটা শুধু খোলস মাত্র!
১৯| ২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:১৮
মা.হাসান বলেছেন: আশির দশকের শুরুতে আমাদের বাসায় একজন তরুণী জর্জেটের শাড়ি পরে বেড়াতে এসেছিলেন। বাড়ির সামনে মহল্লার ছেলে বুড়োদের লাইন পড়ে গিয়েছিল, কখন উনি বের হবেন, কখন এক নজর চোখের দেখা হবে। মহিলাদের অনেকে এই বিষয়গুলো উপভোগ করেন। বিলাতে ঘুরে দেখার লোকের সংখ্যা কম, যার কারনে মহিলাদের স্বল্পবসনা বাধ্য হয়ে হতে হয়। ' যেখানে যেমন ' বইয়ের শংকর এরকম একটা কালচারাল শক এর কথা বলেছিলেন। একজন বিলেতি ভদ্রমহিলা ভারতবর্ষে টুরিস্ট হিসাবে বেড়াতে আসার পর ভ্রমণ সংক্ষেপ করে ফিরে যাওয়ার সময় তার কাছে কারন জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন ভারতবর্ষের সবই ভালো তবে ছেলে ছেলে হাত ধরাধরি করে ঘুরে বেড়ায় এটা তার কাছে ভালো লাগে নি ( এটা ৪০-৫০ বছর আগে লেখা। তখনও রামধনু আন্দোলন এর কথা তেমন শোনা যেত না) । বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলে বা বড় সময়ের জন্য গেলে শক এবজরবার গুলো পাল্টে নেওয়াই ভালো। ওখানকার সবচেয়ে ভালো জিনিস সম্ভবত এই যে মানুষ মানুষের প্রাইভেসিতে হাত দেয় না।
২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জর্জেটের শাড়ি পরা তরুণী....আগে জানলে তো আমিও লাইন ধরতাম।
প্রত্যেকটা মানুষই তার কমফোর্ট জোনের বাইরে গেলে শক খাবে। এটা মোটামুটি অবধারিত। পশ্চিমা বিশ্বের এ'টা আমার খুবই ভালো লাগে যে, কেউ কারো প্রাইভেসিতে নাক গলায় না, যতোক্ষন পর্যন্ত না আপনি কোন অসুবিধা বা ঝামেলা সৃষ্টি না করছেন। আর এদের আমাদের মতো এতো রং-ঢংও নাই। যে কোনও পোষাকেই তারা অলমোস্ট যে কোনও জায়গায় যেতে পারে এবং যায়।
আপনি সম্ভবতঃ দেশে থাকেন না। কোন দেশে থাকেন? অবশ্যই..........বলতে যদি অসুবিধা না থাকে।
২০| ২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৩৩
ল বলেছেন:
কালচার শকড ---দামী লেখা
দ্বিতীয় কিস্তির অপেক্ষা................
৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দামী লেখা আনুমানিক কত হতে পারে??
নেভার মাইন্ড, মজা করলাম!!
২১| ২৯ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার লেখাগুলো পড়ে মনে হয় আমি নিজেই লন্ডনের কোন গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
আপনি লন্ডনের কোন গ্রামে থাকেন?
( হুমায়ূন আহমেদ এর নাটক থেকে ডায়ালগ নেয়া। আসল ডায়ালগটি এরকমঃ আপনি লন্ডনে থাকেন? লন্ডনের কোন গ্রাম?)
৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ১:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের নাটকের ডায়ালগ পছন্দ হয়েছে।
২২| ২৯ শে মে, ২০১৯ সকাল ৮:০৫
জুন বলেছেন: এইরকম সাংস্কৃতিক ঝাকুনির অভিজ্ঞতা আমারো আছে কিছু ভুয়া
আগে প্রবল ঝাকুনি খেতাম এখন শক প্রুফ
তবে আত্নীয় স্বজনের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা ছাড়াও প্রফেসর আবদুল হাই এর "বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন " আর শংকরের "এপার বাংলা ওপার বাংলা " পড়ে বিলাত সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান লাভ করেছিলাম বৈকি যাকে বলে খাটি বিলৈতি জ্ঞ্যান
মজা পাইলাম ভুয়া। থ্যাংকু।
৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ২:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইরকম সাংস্কৃতিক ঝাকুনির অভিজ্ঞতা আমারো আছে কিছু ভুয়া লিখে ফেলেন। আমরাও পড়ে একটু-আধটু ঝাকুনি খাই!
আপনাকে মজা দিতে পেরে ধন্য হইলাম।
২৩| ২৯ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:১০
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভদ্রতা সভ্যতার শিক্ষা যে আমরা আসলে তেমন একটা যে পাইনি তা বিদেশে আসলে বোঝা যায়।'' ম্যনার'' শব্দটার সাথে আসলে বাঙ্গালীর পরিচয়ই নাই। কে স্বল্প পোষাক পড়বে,কে ভারি পোষাক পরবে, এটা যে একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যপার সেটা আমরা জানিই না। কোন মেয়ের দিকে হাভাতের মত তাকিয়ে তার পোষাক নিয়ে মন্তব্য করা যে কতটা অভদ্রতা তাতো আমাদের কখনও শেখানোই হয়নি।
পোস্ট ভাল হয়েছে।
৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না.......দুঃখিত।
পোস্ট ভাল হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৪| ২৯ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
জীবনের ধাপে ধাপে আমরা কত রকমের শকড্ হই কিছু ব্যাপারে। আপনার শেয়ারিং এর ব্যাপারটা ভালো লাগলো।
আরো লিখুন পড়তে মন্দ লাগছে না। শুভকামনা জানবেন।
৩১ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ভালো লাগছে জেনে উৎসাহ পেলাম।
দেখি.....সময় করে আরো ২/১ পর্ব লেখা যায় কিনা।
২৫| ২৯ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭
মা.হাসান বলেছেন: ''আপনি সম্ভবতঃ দেশে থাকেন না। কোন দেশে থাকেন? অবশ্যই..........বলতে যদি অসুবিধা না থাকে। ''
বলতে কোন সমস্যা নাই , তবে আমি আপাতত শকের মধ্যে আছি, বুঝে উঠতে পারছি না ঠিক কোথায় থাকি। উপর থেকে জায়গাটাকে সানফ্রানসিসকো মনে হয়। কখনো মনে হয় ভেনিস। আশে পাশের লোক জন প্যারিসের নাম ও উল্লেখ করে। কিন্তু এয়ারপোর্টে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে ঢোকার সময় ভিসা লাগে না।
২০২১ সাল নাগাদ শক কেটে যাবে আশা করি, এর পর বলতে সমস্যা হবে না।
আমার প্রিয় একটা পোস্ট দেখে নেন: https://www.somewhereinblog.net/blog/biblofil/30274027
বিঃদ্রঃ দেশে যখন ছুটিতে বেড়াতে আসবেন তখন শক উপশমকারি ওষুধ সাথে নিয়ে আসবেন, না হলে উন্নতি দেখে এবং এদেশে গরমে মহিলাদের কষ্ট দেখে সমস্যায় পড়বেন।
৩১ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার শকের কথা বিস্তারিত জানলাম। সমবেদনার ভাষা খুজে পাচ্ছি না। দোয়া করি, ২০২১ সাল নাগাদ যেন সত্যি সত্যি শক কেটে যায়।
আপনার লিঙ্ক দেয়া প্রিয় পোষ্টটা পড়ে আরো বিস্তারিত জানলাম।
২৬| ৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ২:০৭
চাঙ্কু বলেছেন: যা কইছেন সবইতো সাধারণ ভদ্রতা - দেশের পোলাপাইনও এখন এডি ম্যানটেইন করে!! আপনি কি কুটি কুটি বছর আগে বিদেশ গেছেন??
৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ......ডায়নোসর যুগে। এর লাইগাই দেশের পোলাপাইনও যে এখন এডি ম্যানটেইন করে, এই বিষয়ডা ঝানি না!
২৭| ০৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬
আরোগ্য বলেছেন:
০৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা নিন।
আশাকরি সবাইকে নিয়ে একটা আনন্দময় দিন পার করেছেন।
ঈদ মোবারক।
২৮| ০৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: ঈদ মোবারক!
ভিন দেশী সংস্কৃতির আঘাত নিয়ে আরো লিখতে থাকুন, এই পোস্টটি দারুন হয়েছে!
লাইক।
০৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথমেই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা নিন।
আপনার মন্তব্যে দারুনভাবে অনুপ্রাণীত হলুম! এ'বিষয়ে আরো লেখার উৎসাহ পাচ্ছি।
ঈদ মোবারক।
২৯| ০৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
০৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকেও পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা আলী ভাই।
আপনার কবিতাটা সবার জন্যই সত্য হয়ে উঠুক।
ঈদ মোবারক।
৩০| ০৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮
দিকশূন্যপুরের অভিযাত্রী বলেছেন: আমারও এরকম কিছু অভিজ্ঞতা আছে।
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
আপনার অভিজ্ঞতাগুলো জানতে পারলে ভালো লাগতো। লিখে ফেলুন সময় করে!
৩১| ১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫০
টারজান০০০০৭ বলেছেন: কি কন , দ্যাশেই প্রতিদিন কত শক খাই, বিদ্যাশ তো কথাই নাই ! আপনি যদি ভুতের গলির বাসিন্দা হন , গুলশানে গেলে শক খাইবেন , যদি বনানীর বাসিন্দা হন , পুরান ঢাকায় গেলে শক খাইবেন ! বিলাতে তো খাইবেনই , এ আর নতুন কি ?
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাচা কথাই কইছেন। শকের কোন শ্যাষ নাই। আমি বিলাতের শকের কথা কইলাম.....বাকীগুলি আপনে কন....শুনি!
৩২| ১২ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮
শায়মা বলেছেন: হা হা হা ভাইয়া!!!!!
ওদের সবকটা ছেলেমেয়েকে ধরে আমার কাছে পাঠায় দিও আমি তাদেরকে ছেলে বুড়ো নির্বিশেষে ভাইয়া আর আপুনি ডাকতে শিখায় দেবো তবে আপনি তুমি ধার ধারবে না তারা !
১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তুমি যে শিখাইতে পারবা তাতে কোন সন্দেহ নাই। তবে ওগুলারে পাঠানোই তো মুশকিল। একেকটা বদের হাড্ডি! কতোটা বদ তা পরের পর্বে লেখার ইচ্ছা আছে।
৩৩| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:০৯
শায়মা বলেছেন: হা হা আমার গুলাও কি কম বদ!!!!!!
একটা পেয়েছিলাম এ বছরে এমনই এ্যংগার ম্যানেজমেন্টের প্রবলেম তার আমাকে বলে পিংক কালার পেনটা দিয়ে লেখো আমি বললাম না এটা করা যাবেনা ব্লুটাই লাগবে এখন । সেই রাগে ইয়া করে পট্টাস করে পেনসিল ভেঙ্গে ফেললো!
আমার এসিসট্যান্ড রাগে লাল হয়ে বলে দেখছেন মিসস কেমন বেয়াদ্দপ হা হা হা
আমার এমন হাসি পেয়েছে সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম!
সে আমার বুকের মাঝে বিশাল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
সে এই কাজটা করে ফেলেই বুঝেছিলো আবহাওয়া প্রতিকূল.......
সব্বাই তার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি বুকে টেনে নিতেই সে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো।
আমি তারপর বুঝিয়ে বললাম সে স্যরি বললো ...... হা হা হা
১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাচ্চাদেরকে আদর দিয়ে বোঝালে ওরা সবই বোঝে। ওদের মতো দ্রুত বড়রাও শিখতে পারে না। কিন্তু রাগারাগি করলেই এমনভাবে বেকে বসে যে আর এক পা'ও নড়ানো যায় না। বাবা-মা আর শিক্ষক, এদের চেয়ে এটা ভালো আর কারো বোঝার কথা না। কিন্তু আমাদের দেশে বেশীরভাগই উল্টা। দুঃখটা এখানেই।
অন্য অনেক বিষয়ের সাথে সাথে শিক্ষক হিসাবেও যে তুমি অতুলনীয় সেটা আমি জানি!
৩৪| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:২৯
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া আমার প্যারেন্টসরা প্রতি বছর শেষে আমাকে উপহারের বন্যায় ভাসিয়ে যায়......
তারা মনে করে ওদের বাচ্চাদেরকে গল্প বলা, কবিতা আবৃতি, গান বা নাচ এমন করে আর কখনও কেউ ভালোবেসে প্রাণ দিয়ে শেখাবে না। সারাজীবন পড়ালেখা করবে কিন্তু এই সুকুমারবিত্তিগুলো কে তুলে আনবে আর আমি ছাড়া বলো!
ওদের শেখাতে গিয়ে আমি আমার ছেলেবেলায় ফিরে ফিরে যাই।
যে সময়টটা মানুষের জীবনে যত প্রতিকূলই থাকুক, বড় মধুর!
আমি আবার ছেলেবেলায় ফিরে যেতে চাই তাই বার বার .......
১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালোবাসার প্রতিদান তো ভালোবাসা দিয়েই দিতে হয়, সেজন্যেই এই উপহারের বন্যা। কিন্তু এই একই কাজটা তো বাবা-মায়েরও কিছুটা করা উচিত। এনি ওয়ে, আজকালকার বাবা-মাদের কথা বলে লাভ নাই। এরা স্কুলে আর হাউস টিউটরের কাছে বাচ্চা দিয়েই ভাবে তাদের দায়িত্ব শেষ। এমন প্যারেন্টসদের জন্য শুধুই করুণা।
ছেলেবেলা সবসময়ই মধুর। অনেক প্রতিকুলতা পার হয়ে আসলে তো সেটা আরো বড় সত্যি হয়ে দাড়ায়। তোমার মতো আমিও ফিরে পেতে চাই আমার ছেলেবেলা। কিন্তু এটা যে ফিরে পাওয়ার কোন বিষয় না, এই চরম সত্যের মুখোমুখি যখনই হই.....মন ভেঙ্গে যায় একেবারে!
৩৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫
মাহের ইসলাম বলেছেন: ভালো লেগেছে। ++
সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন, নিত্যদিনের বাস্তবতাগুলো।
শুভ কামনা রইল।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পুরানো পোষ্ট পড়লেন, ভালো লাগলো।
এটার আরো কয়েকটা পর্ব লেখার ইচ্ছা ছিল। আমার সমস্যা হলো, পর্ব শুরু করি ঠিকই......তারপরে আগ্রহ ধরে রাখতে পারি না। দেখি, সময় করে লিখতে পারি কিনা।
ভালো থাকবেন।
৩৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:০১
মাহের ইসলাম বলেছেন: আমি একই সমস্যায় ভুগি।
লেবাননের এক লেখা দুই মাস গ্যাপ দিয়ে শেষ করতে নিজের কাছেই লজ্জা লাগছিল।
শুভ কামনা রইল।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক, অন্ততঃপক্ষে একটা মিল তো পাওয়া গেল!
৩৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
প্রথমটা হানিমুন পর্ব। এটা আসলে, সহজ কথায় ঘোরের পর্ব। এই পর্বে আমরা যা দেখি, খাই কিংবা যেসব লোকজনের সাথে মিশি....বেশীরভাগই ভালো লাগে।
অস্ট্রেলিয়ায় এতো বছরেও আমি মনে হয় এই পর্বেই আছি। এখনও কতকিছু দেখে যে মুগ্ধ হই!
আস্তে আস্তে জানলাম, এখানে বড়-ছোট কোন ব্যাপার না, সবাই সবাইকে নাম ধরেই ডাকে।
আমার কাছে নাম ধরে ডাকার বিষয়টা ভালো লাগে। ইজিপিজি, সম্বোধনের ঝামেলা নেই।
ভুমের সাথে মিলে গেলো, আমিও যখন প্রথম এলাম সেটা উইন্টার সেমিস্টার ছিলো। ইউনিভার্সিটির নোটিসবোর্ড থেকে অ্যাড দেখে বাসা ভাড়া নিয়েছিলাম। ওখানে ছিলো একজন সিঙ্গেল মাম আর ছোট বাচ্চা ছেলে। আমার অবশ্য এর আগে কখনও একা দেশের বাইরে আসা হয়নি। সেটাই প্রথম, তাই অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিলো।
অল্প কিছুদিন এভাবে গেলেও একসময় নিজেই একা বাসা নিয়ে নিলাম।
ভুমের ওখানে কিরকম জানিনা কিন্তু এখানে একটা মেয়ে স্টুডেন্ট যখন বাংলাদেশ থেকে নতুন আসে, চারদিকে সব সিঙ্গেল ছেলেগুলো তখন রোমিও হয়ে যায়, প্রেম করার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত। আর যে ছেলেগুলো পড়ালেখা শেষ করে মোটামুটি বিয়ের জন্য রেডি, পাত্রী খুঁজছে তাদের উপদ্রব। স্টাডি ফোকাস করবো নাকি এগুলো হ্যান্ডেল করবো !!! কি যে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা সেগুলো ভোলার না
আমার কিন্তু ইংলিশ ব্রেকফাস্ট ভালো লাগে, অবশ্যই বেকন ছাড়া হবে, কিন্তু গ্রিলড মাশরুম, টমেটো, টোষ্ট ব্রেড উইদ বাটার এন্ড এগ, সসেজ ইয়াম!
তোদের এসব লোকদেখানো ভদ্রতা করতে করতে তো আমার অবস্থা ডাঙ্গায় তোলা মাছের মতো।
আমার কিন্তু মনে হয়নি লোকদেখানো, জেনুইনলি ওরা অনেক ভদ্র।
বন্ধু আর দোকানদার দু’জনেই আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে আছে যেন এইমাত্র ফ্লাইং সসার থেকে একটা এলিয়েন নেমে তাদের সামনে এসে দাড়িয়েছে!
এটা অবশ্য প্রতিবারই ঢাকায় ফেইস করি। রিকশা থেকে নামার সময় ভাড়া দিয়ে যখন থ্যাংকস বলে নেমে আসি, ভদ্রলোক বিস্ময় মিশ্রিত হাসি দিয়ে তাকায়। কিন্তু এই থ্যাংকসটা অটো চলে আসে।
দ্বিতীয়পর্ব লিখতেও পারি
দ্বিতীয় পর্ব কি হয়েছিলো? ইফ নট, সময় করে লিখবে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা পোষ্ট ভালো লাগে।
থ্যাংকস ভুম
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ায় এতো বছরেও আমি মনে হয় এই পর্বেই আছি। এখনও কতকিছু দেখে যে মুগ্ধ হই! মিড আসলে এখনও পোলাপাইনই আছে!!!
নাম ধরে ডাকা একটা পর্যায় পর্যন্ত ঠিক আছে। তবে, আন্ডা-বাচ্চারা ডাকলে কেমন যেন লাগে। নিজেদের সংস্কৃতি থেকে বের হওয়া সহজ ব্যাপার না। এখন অবশ্য সয়ে গিয়েছে।
একটা মেয়ে স্টুডেন্ট যখন বাংলাদেশ থেকে নতুন আসে, চারদিকে সব সিঙ্গেল ছেলেগুলো তখন রোমিও হয়ে যায়, প্রেম করার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত। আর যে ছেলেগুলো পড়ালেখা শেষ করে মোটামুটি বিয়ের জন্য রেডি, পাত্রী খুঁজছে তাদের উপদ্রব। স্টাডি ফোকাস করবো নাকি এগুলো হ্যান্ডেল করবো !!! কি যে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা সেগুলো ভোলার না এটা সব জায়গায় একই রকমের। তবে, এখন আর বয়স নাই। নয়তো তখন অস্ট্রেলিয়াতে থাকলে আমিও লাইনে দাড়াতাম!!!
ইংলিশ ব্রেকফাস্ট আসলে ব্রেকফাস্ট না, এইটা সারাদিনের খাবার!!!
আমার কিন্তু মনে হয়নি লোকদেখানো, জেনুইনলি ওরা অনেক ভদ্র। দু'চারটা ব্যতিক্রম ছাড়া আমার দ্বি-মত আছে।
থ্যাঙ্কস, স্যরি, এক্সকিউজ মি............এগুলো এখন অভ্যাসের অংশ।
দ্বিতীয় পর্ব আর লেখা হয় নাই। একটা কিছু শুরু করলে আর শেষ করতে পারি না। অন্য বিভিন্ন টপিক মাথায় ঘোরে। ফোকাস ডিস্ট্রাক্টেড হয়ে যায়। হঠাৎ কোন একদিন লিখে ফেলতেও পারি। মিডের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে না কেন? সবই যদি আমি লিখি, তাহলে কিভাবে হবে?
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৫
উরনচণ্ডী বলেছেন: প্রথম কিস্তি পড়লাম। দ্বিতীয় কিস্তির জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।