নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১ম পর্বের লিঙ্কview this link
আমি আজ পর্যন্ত যতগুলো নগরী দেখেছি, তার মধ্যে প্যারিসকে মনে হয়েছে সবচেয়ে রুপবতী। সত্যিকারের প্রেমে পরার মতোই একটা নগরী। ভেবে দেখলাম, এতোটা সাদামাটা আর ম্যাড়মেড়ে শিরোনাম প্যারিসের সাথে কেমন যেন যাচ্ছে না। তাই আমার পোষ্টের শিরোনাম বদলে দিলাম।
চলুন তবে, হাটা শুরু করা যাক!
কোথায় যেন ছিলাম? হ্যা, সেইন নদীর ব্রীজটা পার হয়ে চিল্লট প্রাসাদের দিকে এগুচ্ছিলাম। ব্রীজটা পার হলেই একটা মোড়, আর তারপরই চিল্লট প্রাসাদের সীমানা শুরু। এই পর্যায়ে নিশ্চিতভাবেই যে কেউ পরিশ্রান্ত হতে বাধ্য। প্রাসাদের সবুজ ঘাসে ছাওয়া চমৎকার চত্বর বিশ্রামের জন্য খুবই উপযুক্ত একটা জায়গা। একটু হাল্কা খাওয়া-দাওয়াও করে নেয়া যায় এখানে।
এই চত্বরে বেশ কয়েকটা বিশাল বিশাল ভাস্কর্য আছে। ছবিতে দেখুন,
এই ঐতিহাসিক প্রাসাদে আর সময় নষ্ট না করে পিছনে চলে এলাম। পেছনটাও খুব সুন্দর।
পেছনটা সাতটা রাস্তার একটা মিলনস্থল। এই রাস্তাগুলোর মধ্যে থেকে ক্লেবার এভিনিউ ধরে এগুতে থাকলে দেখা মিলবে বিখ্যাত আর্ক ডি ট্রায়াম্ফ এর। ২০০৭ এ এই রাস্তা ধরে যাওয়ার সময় এক বাটপারের খপ্পরে পড়েছিলাম। স্যুট-টাই পড়া এই সুদর্শণ বাটপারের সাথে আমার কথোপকথন আপনাদেরকে সংক্ষেপে বলি।
- হ্যালো, শুভবিকাল। তোমার সাথে একটু কথা বলতে পারি?
- ইয়েস। আমি পুরাপুরি সতর্ক!
- আমি আজই একটা ব্যবসার কাজে ইতালী থেকে এসেছি। কিন্তু যার কাছে এসেছিলাম, সে দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্যারিসে নাই। আমাকে আজই ইতালী ফেরত যেতে হচ্ছে। এদিকে, এক রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে আমার ওয়ালেট হারিয়ে ফেলেছি। পেট্রোল কেনার পয়সাও নাই। আমার কাছে গুচির দু’টা লেদার জ্যাকেট আছে, একেবারে তোমার সাইজের। হাইস্ট্রীটের যেকোনও দোকানে একেকটার দাম কমপক্ষে এক হাজার ইউরো। তোমাকে আমি চারভাগের একভাগ দামে দিয়ে দিব। মাত্র ২৫০ ইউরো।
- আমি দুঃখিত। লেদার জ্যাকেটে আমার কোন আগ্রহ নাই। আমি বললাম।
- তুমি কিন্তু বিশাল সুযোগ হারাচ্ছো। তুমি অত্যন্ত শস্তায় একটা দামী জ্যাকেট পাচ্ছো। সেইসাথে একজন বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করছো।
- দেখ, আমি এখানে বেড়াতে এসেছি। এতো টাকা আমার কাছে নাই।
- ব্যাংক কার্ড তো আছে। টাকা তুলে দাও। ওইযে ক্যাশ মেশিন!!
মনে মনে বললাম, হালায় কয়কি? আমি হইলাম গিয়া ঢাকাইয়া পোলা। আমারে ভোদাই বানাইতে চায়? তিনবারে সেই জ্যাকেটের দাম ১০০ ইউরোতে নেমে এসেছিল। দুঃখ প্রকাশ করে বহুকষ্টে ব্যাটার কাছ থেকে ছুটেছিলাম। আমার কাছে ইতালীয়ানদের ইংলিশ বলার স্টাইল আর অঙ্গভঙ্গি কেন জানি খুব ফানি মনে হয়। জ্যাকেট না নিলেও বাটু’র (বাটপারের সংক্ষেপ) সাথে কথা বলে খুব আনন্দ পেয়েছিলাম।
যাইহোক, আর্ক ডি ট্রায়াম্ফে ফেরত আসি। বারোটা রাস্তার মিলনস্থলের উপর এই অনুপম মনুমেন্টটা। এটাকে ঘিরেই এই বিশাল রাউন্ড এবাউট! এটা প্লেস দ্য গলের একেবারে কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত; একটা টানেল দিয়ে যেতে হয়। ফরাসী বিপ্লব আর সম্রাট নেপোলিয়নের সময়কার বিভিন্ন যুদ্ধে মারা যাওয়া সৈন্যদের স্মরণে উৎসর্গকৃত এই মনুমেন্টটাতে নিহত সবার নাম চতুর্দিকে খোদাই করা আছে। এর ঠিক নীচে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত নাম না-জানা বহু সৈন্যের একটা কবরস্থানও আছে।
বিস্তারিত ইতিহাস বলার ধৈর্য নাই। বরং ছবি দেখাই,
আর্ক ডি ট্রায়াম্ফে এসে মিলিত হওয়া বারোটা রাস্তার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত রাস্তা হলো এভিনিউ দে শ’জ এলিজে; অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন একটা রাস্তা। এটা প্যারিস নগরীর অন্যতম প্রধান সড়কও বটে। এই রাস্তায় হেটে আমি খুবই আনন্দ পাই।
এই সড়কের শেষে যে জায়গা তার নাম প্লেস ডি লা কনকর্ড। ফরাসী বিপ্লবের সময় এখানে অনেক রাজপরিবারের সদস্য এবং তাদের অনুসারীদের গিলেটিনে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। এখানে একটা মিশরীয় ওবেলিস্ক আছে। এই অনিন্দ্যসুন্দর ওবেলিস্কটা প্রাচীন মিশরের লুক্সর মন্দিরের প্রবেশমুখে ছিল। সেখান থেকে তুলে এনে ব্যাটারা এখানে লাগিয়ে দিয়েছে! সাংস্কৃতিক চৌর্যবৃত্তির আরেকটা প্রকৃষ্ট উদাহরন। সামনে এক ফেরাউন সাজা মুর্তিও আছে!
হাটতে হাটতে একটা বিশাল আর্টগ্যালারী কমপ্লেক্স আর চমৎকার বাগান পার হয়ে এসে পৌছলাম আর্ক ডি ট্রায়াম্ফ ডু কারুসেল এর সামনে। এটা নেপোলিয়নের একটা যুদ্ধজয়ের স্মৃতিকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য তৈরী করা হয়। এখানে কয়েকটা ভ্রাম্যমান খাবারের দোকান আছে যারা চমৎকার ক্রেইপ (অনেকটা আমাদের পাটিসাপটা পিঠার মতো, তবে পুর হিসাবে চকোলেট ব্যবহার করা হয়) বানায়। এটা খেতে খেতে আরেকটা ব্যাপার আমি খুবই উপভোগ করি। খাওয়ার সময় দেখবেন, আশেপাশে অনেক চড়ুই পাখি আছে। ক্রেইপের ছোট্ট টুকরা হাতে নিয়ে এদের দিকে ধরবেন। এরা এতোই সাহসী যে, উড়ে এসে আপনার হাত থেকেই খাবে, ছুড়ে দিতে হবে না।
এখান থেকে অল্প একটু হাটলেই নজরে পড়বে কাচ এবং ধাতু দিয়ে তৈরী একটা বড় আর তিনটা ছোট পিরামিড। এসে গিয়েছি ল্যুভর মিউজিয়ামে। বড় পিরামিডটার ভিতর দিয়েই মিউজিয়ামে প্রবেশ করতে হয়।
ল্যুভর আক্ষরিক অর্থেই একটা বিশাল মিউজিয়াম। আপনি যদি দৌড়াতে দৌড়াতেও দেখেন, তাহলেও একদিনে শেষ করতে পারবেন কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। পুরোটা মিউজিয়াম কমপ্লেক্সের ছবি দেয়া তো সম্ভব না, বিল্ডিংগুলোর একটা কোনা’র ছবি দিলাম।
আগেই বলেছি, পুরোটা দেখা সম্ভব না। তাছাড়া মিউজিয়াম জিনিসটা আমার খুব একটা প্রিয়ও না। বরন্চ প্রাচীন নিদর্শন আমি উৎসস্থানে গিয়ে দেখতেই বেশী পছন্দ করি। বউয়ের চাপাচাপিতে কিছু বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ২০১১ তে ঢুকেছিলাম। এজেন্ডাগুলোর কিছুটা আপনাদেরকে দেখাই। প্রথমেই মোনালিসার ছবি। এই ছবি দেখার জন্য মানুষ কেন পাগল হয় আমার মাথায় ঢোকে না।
মোনালিসার ঠিক উল্টাপাশে প্রদর্শিত হচ্ছে ১৫৬৩ সালে পাওলো ভেরোনেসের বিশাল ক্যানভাসে তেলরং এ আকা 'দি ওয়েডিং ফিস্ট এ্যট কানা'। এটি ল্যুভর মিউজিয়ামে সংরক্ষিত সবচেয়ে বড় এবং অন্যতম মহামুল্যবান পেইন্টিং। এটা দেখে বরং আনন্দ পেয়েছি। বাইবেলে বর্ণিত আছে, এই অনুষ্ঠানেই নাকি যীশু পানিকে মদে পরিনত করেন।
ল্যুভর মিউজিয়াম যেই বিল্ডিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত সেটা প্রথমে তৈরী করা হয় দূর্গ হিসাবে। ল্যুভর প্রাসাদ একসময় রাজপ্রাসাদ হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। এর অন্যতম প্রধান আর্কিটেক্টের পোর্ট্রেট।
এই দু’টো কোন বিখ্যাত পেইন্টিং না। ল্যুভরের রুমগুলোর সিলিং আর কোনাগুলো এভাবেই পেইন্ট এবং ডেকোরেট করা।
'দি উইঙ্গড ভিক্টোরী অফ সামোথ্রেস'। যীশুখ্রীষ্টের জন্মের ২০০ বছর আগে মার্বেল পাথরে বানানো হেলেনিস্টিক ভাস্কর্যের এক অনুপম নিদর্শন। এটা 'নাইক অফ সামোথ্রেস' নামেও পরিচিত। নাইক হচ্ছে বিজয়ের গ্রীক দেবী।
'নেপোলিয়নের এপার্টমেন্ট' নামে একটা সেকশন আছে ল্যুভরে। এটা আসলে ল্যুভর রাজকীয় প্রাসাদের একটা নমুনা বলতে পারেন। এর চোখধাধানো বিলাসিতা দেখানোর একটু চেষ্টা করি। আমার এই ছবিগুলোতে আসল মজা খুব একটা পাওয়া যাবে না আমার ক্যামেরা আর আনাড়িপনার কারনে। এর সিলিং আর দেয়ালের যে কারুকাজ, এমনটা আমি আর কোথাও দেখিনি। আপনারা চাইলে গুগলে ঝকঝকে সব ছবি দেখতে পারেন। মুগ্ধ হবেন, এই নিশ্চয়তা দিলাম।
নেপোলিয়নের এপার্টমেন্টের প্রথম ছবিটাই নেপোলিয়নের না হলে ভালো দেখায় না।
টায়ার্ড হয়ে গিয়েছি। একদিনে আর কতো হাটা যায় বলেন! একটু রেস্ট নেই। আপনারাও নেন। ফাইনাল হন্টন হবে 'আগামী এবং শেষ' পর্বে!
ছবিঃ প্রথমটা নেট থেকে, বাকী সব আমার ক্যামেরার।
তথ্যঃ নেট এবং বিভিন্ন গাইড বুকলেট।
মোহনীয় রমণীয় প্যারিস (তৃতীয় তথা শেষ পর্ব)
১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মন্তব্যও অসাধারন। ধন্যবাদ।
২| ১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:০৭
জুন বলেছেন: শর্মিলা আর শাম্মি কাপুরের দ্যা ইভনিং ইন প্যারিস ম্যুভিতে আইফেল টাওয়ার আর্ক দ্যা ত্রায়াম্প, শজে লিজে, সীনে নো ভ্রমন সাথে ওই ভাস্কর্য্যগুলো ডিটেইলস দেখেছি ভুয়া মফিজ। আমি আবার যে কোন ভাষার পুরান সিনেমা দেখতে লাইক করি।
ছবিগুলো দেখলাম। কাহিনী পড়ে একটি সুবিশাল মন্তব্যের মুসাবিদায় বসিলাম
+ দিছি কিন্তু।
১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইভনিং ইন প্যারিস ম্যুভিটা দেখি নাই। কেমন? তবে, 'ইভনিং ইন প্যারিস' নামে একটা পারফিউম আছে। খুব দামী। ওইটা দেখছি।
+ দিছেন, দেখছি। ভ্রমন কাহিনীতে ব্লগের ইবনে বতুতার + না পরলে কি পোষ্টের কোন ইজ্জত থাকে! এর আশায়-ই তো বইসা থাকি!!
খাইছে আমারে! সুবিশাল মন্তব্য কি আমার পোষ্টে করবেন? টাইট হয়া বইলাম কিন্তু!
৩| ১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:১৫
করুণাধারা বলেছেন: আমি অবশ্য টায়ার্ড হইনি। মনে হচ্ছে দেখতে দেখতেই ছবিগুলো শেষ হয়ে গেল
দেখি এখন বসে একটু ভাবি...
১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেকগুলো ছবি দিয়েছি। ছবি আপলোড করতে করতে আমি টায়ার্ড।
দেখি এখন বসে একটু ভাবি... ভাবনা-চিন্তার ফলাফল জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
৪| ১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩
ল বলেছেন: বাটু'র কবলে থেকে উদ্ধারে মজা পেলাম।।।
দারুণ বর্ণনায় সমৃদ্ধ পোস্ট।।
১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে কিছু মজা দিতে পেরে ভালো লাগছে।
অনেক ধন্যবাদ।
৫| ১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চোখ ধাধানো ছবি গুলো দেখে তৃপ্ত হলাম। ধন্যবাদ ভ্রমনে সাথে রাখার জন্য।
১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সাথে থাকার জন্য বরং আপনাকে ধন্যবাদ।
৬| ১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
মফিজ ভাই ,
আগের পর্বে বলেছিলেন আমাকে ,এবারেরটা আরো ভালো লাগবে । সত্যি কথাটা ভুয়া নয় । ছবি ও বর্ণনা মিলে খুব ভালো লেগেছে আর সেইসাথে ঢাকাইয়া পোলার কাহিনিও । পরিশ্রমী লেখায় সার্থকতা +++
১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সত্যি কথাটা ভুয়া নয় আমি মফিজটা ভুয়া হতে পারে, কথা বলি জেনুইন!
সাথে থাকার জন্য আমার জেনুইন ধন্যবাদ নিন।
৭| ১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই সব ভাস্কর্য ফাস্কর্য বাংলাদেশে হলে আমরা ভেঙ্গে খান খান করে ফেলতাম।
নাউজুবিল্লাহ! কি সব মেয়েলোকের ....
১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই জন্যই তো দেশের উন্নতি হয় না। সব কিছুতে জ্বালাও, পোড়াও আর ভঙ্গচুর........
৮| ১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০৪
জুন বলেছেন: প্রথম কথা আপনি মিউজিয়ামের ভেতরে ছবি তুললেন কি করে! বিশেষ করে বিখ্যাত সিব পেইন্টিং এর! ভুয়া ( কপি) ছবির ছবি তুলে আনেন নি তো
আমরাতো ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেলে মাইকেল এঞ্জেলোর অমর ছবিগুলো শুধু চোখে দেখেই জীবন স্বার্থক করলাম, আপনার মত ছবিতো তোলার পারমিশনই ছিল না। নো ফতো
১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই নাকি আপনের সুবিশাল মন্তব্য! আশাহত হইলাম!!
ইবনে বতুতা হয়া এইটা একটা কথা কইলেন? অনেক জায়গায় ছবি তুলতে দেয় না ঠিক, আবার অনেক জায়গায় তো দেয়। যার যার পলিসি। লন্ডন মিউজিয়ামেও আপনে ফটো তুলতে পারবেন।
আমার নিকে 'ভুয়া' থাকতে পারে, তাই বইলা আপনেগো ভুয়া ফটো দেখামু!
আচ্ছা, আমার কথা বিশ্বাস করনের কাম নাই। এইটা দেখেনview this link
৯| ১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ইউরোপে চলার পথে বাটপার আছে এটা অনেকে বিস্বাস করতে চায়না। আর প্যারিস ভ্রমণ আনন্দময় এখানে বলার অপেক্ষা রাখেনা যা বলার আপনি বলে দিয়েছেন।
চমৎকার পোষ্ট সঙ্গে ছবি আরো সুন্দর করেছে। ধন্যবাদ।
১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাটু'রা দুনিয়ার সব জায়গাতেই আছে। ইউরোপেও এদের আবাদ ভালো। আমি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এদের মুখোমুখি হয়েছি বহুবার। এদের সাথে কথা বলার আগেই আমি মাইন্ডসেট করে নেই.....যাই বলুক, আমি মানবো না।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
১০| ১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: জাস্ট গ্রেট।
১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গ্রেট রাজীব নুরের গ্রেট মন্তব্য!
১১| ১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩
জুন বলেছেন: এইটা হইলো ভুমিকা
বৃটিশ মিউজিয়ামে ছবি তুলতে দেয় তা জানি। কিন্ত কায়রো মিউজিয়ামে তুলতে দেয় নি। ক্যামেরা জমা রাখার জন্য গেটের কাছে একটা বিশাল ঘর আছে। সেইখানে জমা দিয়ে কুপন নিতে হবে। তারপর এয়ারপোর্টে চেকিং এর মত চেক। জানিনা এখন কি অবস্থা
তাহরীর স্কয়ারের আন্দোলনের পর সবই কি শেষ!
আবু সিম্বলের মন্দিরের ছবি মোবাইলে তুলে আম্রিকার তরুন পর্যটকের কি দুরবস্থা।
আরেকবার আসার ইচ্ছা রইলো।
১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছবি অনেক জায়গায়-ই তুলতে দেয় না, আবার অনেক জায়গায় দেয়। না দিলেও তো মানুষ চুরি করে ছবি তোলে। ইস্তান্বুলেও অনেক জায়গাতে তুলতে দেয় না......তাই বলে কি ভুয়া মফিজ ছবি তুলে নাই!!
আম্রিকার তরুন পর্যটকের কি দুরবস্থা ঘটনা তো জানি না। বলেন দেখি, সময় করে? তাহলে 'নো ফতো' লেখা থাকলে আরেকটু সাবধানে 'ফতো' তুলবো।
১২| ১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাষ্কর্য্যরা এত অসভ্য কেন ভাই ......এহ
আচ্ছা যাদুঘরে ছবি তুলতে দেয়? আমাগো দেশে দেয় না। তবে ইন্ডিয়ার পোনে গিয়ে লুকাইয়া ক্যামরা দিয়া ফটো তুলছিলাম। মানা ছিলো তাই আর নেটে দেওয়া হয় নাই ছবিগুলো। আবার সোনারগাও নারায়নগঞ্জ এর যাদুঘরে ছবি তোলা নিষেধ কিন্তু মানুষ ঠিকই ছবি তুলছে কেউ কিচু বলছে না। আমিও উঠাইছিলাম অনেক ছবি। অনেক মূল্যবান সভ্যতা আহা অনুমতি পেলে ছবিগুলো দিতে পারতাম এখানে মানে ব্লগের পাতায়।
ভালো লাগলো আপনার প্রেমিকা প্যারিসকে ভ্রমণ পর্ব
১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এগুলো হচ্ছে শিল্প। ভাস্কর্যরা তাদের অন্তঃদৃষ্টি দিয়ে যা দেখে, অনুধাবন করে.....সেটাই তাদের কাজের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে।
আচ্ছা যাদুঘরে ছবি তুলতে দেয়? এই দেয়া, না দেয়া আসলে অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। যেমন, মোনালিসার ছবির সামনে যে কাচ আছে সেটা এন্টি-ফ্ল্যাশ ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরী। কাজেই ক্যামেরার ফ্ল্যাশ এর কোন ক্ষতি করে না। আবার অনেক দামী ছবি / প্রদর্শিত বস্তু আছে, যেগুলোতে তেমন কোন প্রোটেকটিভ কিছু নাই, তারপরও তুলতে দেয়। আবার অনেকখানে একেবারেই দেয়না।
ক্ষতি ছাড়াও অনেক জায়গায় আরেকটা কারনে ছবি তুলতে দেয় না। সেটা হলো, ভীড়। কোন বিশ্ববিখ্যাত প্রদর্শিত জিনিসের সামনে ভীড় আটকে যায়। লোকজন বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তোলে; সরতে চায় না। ভীড় বাড়তেই থাকে।
সোনারগা যাদুঘরে যদি ছবি তুলেই থাকেন, তা ব্লগে দিতে অনুমতি লাগবে? এই অনুমতি কে দিবে? বিষয়টা ঠিক পরিস্কার না।
১৩| ১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: লু্ভর এর এর ছবি দেইখা ধন্য হইলাম।প্যরিস হইল শিল্পী ও তাদের অমর সব শিল্পর লীলাভুমি। পোস্টে ++
১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক কইছেন। সারা প্যারিসের অলিতে গলিতে, চিপায়-চাপায় যে পরিমান ভাস্কর্য, পেইন্টিং আর বিবিধ শিল্পকর্ম আছে, ততটা মনেহয় আর কোন শহরে নাই। আমি অন্ততঃ দেখি নাই।
১৪| ১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: যেহেতু সেখানে লিখাই আাছে ছবি তোলা (আমারে তোলা না কিন্তু হাহাহা) নিষেধ, তাই দিতেও যেনো একটু অস্বস্তি লাগে। কার যে অনুমতি লাগবে সেটাও জানি না। আবার যদি দেইও অনেকেই এসে বলবে অনুমতি ছাড়া তোলা ছবি দিছেন কেনো .... মানুষের মুখ যেনো সমুদ্রের ঢেউ , না চাইলেও ঢেউয়ের বাড়ি লেগে আমি ভেসে যাবো হাহাহা
১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছবি তোলা (আমারে তোলা না কিন্তু হাহাহা) হে হে হে......মজা পাইছি!
এক কাজ করেন, চেক কইরা দ্যাখেন, নেটে কি পরিমান ফটো আছে সোনারগা'র। বেশি থাকলে আপনেও দিয়া দেন। আপনের তোলা ফটো তো দারুন হইবো নিঃসন্দেহে। আমরাও দারুন কিছু দেখতে পাইলাম বিনা পয়সায়!
১৫| ১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসম সালা!! এক কথায় অসাধারণ। চোখ জুড়িয়ে গেল। +++++
পোস্টে নবম লাইক।
শুভকামনা জানবেন।
১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুঝলাম না, সালা জিনিসটা কি?
পোস্টে নবমতম লাইকানোর জন্য আমার আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহন করুন।
১৬| ১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো কথা কইছেন আচ্ছা দেখতাছি। তবে একটা ভ্রমণ পর্বই দিয়া দিয়াম নে যদি ধৈর্য্য থাকে হাহাহাহা
১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আল্লাহ আপনেরে অসীম ধৈর্য্য দান করুক। আমীন।
আবার ফটোর লগে কয়'টা কবিতা দিয়া ফাকিবাজি কইরেন না কইলাম। সুন্দর কইরা বর্ণনা দিবাইন!
১৭| ১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঘ্রাণে অর্ধ ভোজন আর দেখা পড়ায় প্রায় প্রায় পুরা ই !!!
চমৎকার ! সত্যি ই বলেছেন, অতখানি রূপ আরও একটু বেশি প্রশংসা দাবী করে। শিরোনাম এর জন্য ধন্যবাদ।
পোস্টে ভালোলাগা।
১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘ্রাণে অর্ধ ভোজন আর দেখা পড়ায় প্রায় প্রায় পুরা ই !!! হে হে হে.....যা বলেছেন!
একবার ভাবছিলাম একটা সুন্দর, কাব্যিক শিরোনামের জন্য আপনার দ্বারস্থ হবো। আপনারে আবার কই খুইজা পাই.....পরে সাহস করে একটা দিয়েই দিলাম।
১৮| ১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উইকিতে দেখি সব ছবিই আছে হাহাহাহ আমার আর ডর নাই
দিয়াম দিয়াম সব ছবি দিয়াম
১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দারুন!!!
অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হবে না.......এই আশা তো করতেই পারি, কি বলেন!!
১৯| ১৭ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
আরোগ্য বলেছেন: প্যারিসের রূপে মুগ্ধ হয়া গেলাম। ন্যাপোলিয়নের ছবিটা কড়া হইসে।
বেটার সাহস কত আমগো ঢাকাইয়া পোলারে বাটে ফালাইবার চাইছে । এটা কি মিয়া কোন কথা অইলো। খালি না কইলেন ক্যা, একটা শিক্ষা দিয়া দিতেন।
চমৎকার ছবি ও লেখা। একটা ভ্লগ চ্যানেল খুললে খারাপ হয় না।
আপনি তো ভুয়া মফিজ না, টোটো মফিজ।
১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্যাটায় ঢাকাইয়া পোলা চিনে না, তাই ওইবারের মতো মাফ কইরা দিছি, পরের বার......
একটা ভ্লগ চ্যানেল খুললে খারাপ হয় না। ফটোই খিচতে পারি না ঠিক মতন, ভিডিও করবো কে?
'টোটো মফিজ' নামটা খারাপ দেন নাই, নিক বদলায়া ফালামু নি?
২০| ১৭ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা। জি বাংলায় মীরের একটা বিখ্যাত কথা অসাধারণকে অসম সালা বলা।
১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এবার বুঝলাম। আমিতো অন্যকিছু মনে করেছিলাম, তবে বানানের কারনে একটু কনফিউজড ছিলাম!
২১| ১৭ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
প্যারিসের তুলনা প্যারিসই! দেখার সৌভাগ্য হয়নি যদিও।
দে শ'জ এলিজে বা আমরা যেভাবে বলি "সাঁজে লিজে"র কথা কতো লেখকের বইয়েই যে পড়েছি!
আর ল্যুভর ? দেখার বড় সাধ ছিলো, হয়নি হয়তো হবেও না!
সুন্দর সব ছবিতে মোহনীয় রমণীয় এক শহরের কথা বলে গেছেন যেখানে পৃথিবীর সব চিত্রকর-শিল্পীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে এসেছে সেই অতীত কাল থেকেই।
ভাস্কর্যগুলো দেখুন, এনাটমীক্যালি মোহনীয় রমণীয় সব পার্সপেক্টিভ নিয়ে মোহনীয় রমণীয় ! আর আমাদের ভাস্কর্যগুলো দেখলে দুঃখ হয় এতোই দরিদ্র তাদের গঠন।
১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে দারুন ভালো লাগা জী এস ভাই।
প্যারিস রোম্যান্টিক নগরী শতাব্দী পর শতাব্দী ধরেই, আর মনের মধ্যে রোম্যান্টিকতা না থাকলে আবার কিসের শিল্পী? একসময় তো একটা প্রচলিত বিশ্বাসই ছিল যে, শিল্পীসত্ত্বা ঠিকমতো বিকাশের জন্য হলেও প্যারিস যেতে হবে। তাই সারাবিশ্বের বিভিন্ন শিল্পীদের একটা লক্ষ্যই থাকতো, যেভাবে হোক, একবার প্যারিস পৌছানো।
আর প্যারিস শিল্পীদের কদর করতেও জানে বটে! ভাস্কর্যের কথা তো বিশেষ করেই বলতে হয়। পুরো প্যারিসটাই যেন একটা খোলা মিউজিয়াম!
২২| ১৭ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরে আরে একি গ্রেট মিস!
১ম পর্বও হয়ে গেছে!!!!!!!!!!!!!
দারুন এক ভ্রমনে ভার্চুয়াল সঙ্গী হবার সুেযাগ দেয়ায় ধন্যবাদ ভায়া
মুগ্ধ দর্শন এবং পাঠ
++++++++
১৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগে অনেক লেখাই তো আমাদের নজর এড়িয়ে যায়.....আপনি আমার এই সাধারন পোষ্টটাকে গ্রেট মিস বললেন, তাতেই আমি যেন অনেক কিছু পেয়ে গেলাম।
মুগ্ধ দর্শন এবং পাঠ ফিলিং প্রিভিলেজড!!!
২৩| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্টটি উপভোগ করলাম।
১৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২৪| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫১
পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভুয়া ভাই। কাঁচের উল্টো পিরামিডের ছবি দেখার ইচ্ছে ছিল পূরন হলো, প্রবেশ পথের পিরামিডও খুব সুন্দর। নেপোলিয়নের এপার্টমেন্টের সোনালী কারুকার্য কি স্বর্ণের ?
ভাস্কর্য গুলি দারুন সুন্দর, ইটালীর ফ্লোরেন্সে ডেভিডের ভাস্কর্য আছে, এক পায়ে ভর দিয়ে দাড়ানো, প্রায় ১৪টন ওজন, ওটাতে মাংস পেশীর যে গঠন মনে হবে ত্রুটিহীন মানব শরীর, সম্ভবত মাইকেল এ্যাঞ্জেলোর করা।
ভাস্কর্য দেখে করা কয়েকটা মন্তব্য দেখলাম। আমরা ভয়ানক দেহ সচেতন। সেই দেহ যে স্রস্টা নিখুতভাবে তৈরী করেছেন ভাস্কররা তার হুবহু কপি করছেন আমরা তা ভুলে যাই। আমরা নিশ্চয়ই জন্ম নেওয়ার সময় কাপড় পড়ে জন্ম নিয়েছিলাম
সেটা অশ্লীল নয় ভাস্কর্য অশ্লীল হা হা হা।
একবার এক বিখ্যাত শিল্পী নগ্ন নারীর ছবি আকঁলেন। তার বিরুদ্ধে অশ্লীল ছবি আঁকার মামলা হলো তিনি বললেন আমি অশ্লীল ছবি আঁকিনি জাজ বললেন কি রকম ? তিনি চিত্রের নারীর পায়ে একটা মোজা একে দিয়ে বললেন এখন এটা অশ্লীল কারন প্রথমে ছবিটা ছিল সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টির বন্দনা, এখন মোজা পড়িয়ে আমি তার নগ্নতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বলা বাহুল্য কেস ডিসমিস হয়ে গিয়েছিলো। আমাদের দেখার ভঙ্গী বদলাতে হবে মনেহয়।
১৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নেপোলিয়নের এপার্টমেন্টের সোনালী কারুকার্য কি স্বর্ণের ? গিল্ডিং-এর কাজে সোনা ব্যবহার করা হয়েছে তা জানি, তবে কোথায় কতোটুকু জানি না। ইস্তান্বুলের দোলমাবাহচে প্রাসাদে যেভাবে নির্দিষ্ট করে বলা আছে, এখানে সেভাবে বলা নাই।
ইটালীর বিভিন্ন নগরীও ভাস্কর্যের জন্য বিখ্যাত, তবে প্যারিসকে হারানো? না মুমকীন!
ভাস্কর্য নিয়ে প্রত্যেকেরই নিজস্ব যুক্তি বা দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে। আমি সবারটাকেই গুরুত্ব দেই। কোনটাকেই একেবারে রুলআউট করা ঠিক না। আশাকরি, বোঝাতে পেরেছি।
ভালো থাকবেন।
২৫| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫৯
হাবিব বলেছেন: দারুন..........
১৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৬| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৩৭
আরোগ্য বলেছেন: আরে না নিক বদলানো লাগবে না। আরেকটা নিক খুলেন। খালি এইসব সত্যিকারের টোটো কাহিনীগুলি ভুয়াতে না দিয়া টোটো মফিজে দিয়েন।
১৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুয়া কিংবা জেনুইন, মিলেমিশেই আমি ভুয়া মফিজ!
সব পোষ্টের স্বত্ত্ব ভুয়া মফিজের, এইখানে টোটো মফিজরে ভাগ দেওয়া ঠিক হবে না।
২৭| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৭
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মূর্তির ছবিগুলো ডিলেট করে দেয়া যায় না?
১৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ডিলিট করার দরকার কি? থাকুক।
২৮| ১৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:১১
অগ্নিবেশ বলেছেন: রহমান ভাইয়ের ইমান জেগে উঠেছে, এদের মত পাবলিক প্যারিস দখল করতে পারলে ভাস্কর্যগুলো একটাও আস্ত রাখবে না। আজ ইসলামে এদের সংখ্যাই বেশী। এদের হাত থেকে সভ্যতা বাঁচাতে মুসলমানদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
১৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগার মাহমুদুর রহমান তার মতামত দিয়েছে। সব মতামতই গুরুত্বপূর্ণ। এটাকে ইস্যু বানানোর কোন কারন দেখি না।
২৯| ১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মাহামুদুর তাহার নিজ প্রফাইল পিক ডিলিট না করিয়া মুর্তির ছবি ডিলিট চাহে !
১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অগ্নিবেশকে দেয়া একই প্রতিমন্তব্য আপনার জন্যও প্রযোজ্য;
''ব্লগার মাহমুদুর রহমান তার মতামত দিয়েছে। সব মতামতই গুরুত্বপূর্ণ। এটাকে ইস্যু বানানোর কোন কারন দেখি না।''
৩০| ১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬
ওমেরা বলেছেন: হায় আল্লাহ ! সবাই সব বলে দিয়েছে আমি আর কি বলব !!
এক কথায় এক্সিলেন্ট!
১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেরীতে কোন অনুষ্ঠানে আসলে এমনই হয়। ঠান্ডা খাবার জোটে.....মাঝে মধ্যে তাও জোটে না।
তারপরও উপস্থিতিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩১| ১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: ভাবলাম অনেক। এইসব শিল্পকলা নিয়ে কথা বলতে গেলে এ বিষয়ে নিজের বিশেষ অজ্ঞতাকেই জাহির করা হবে! তাই ওই বিষয় আর কিছু বললাম না। ছবিগুলো ভালো তুলেছেন।
ভাস্কর্যর ছবি দেখে মনে হল, এই ভাস্করদের এনাটমির জ্ঞান বিস্ময়কর ভাবে ভালো ছিল!
১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে শিল্পকলা তো সাইন্স না। একেকজন একেকভাবে বোঝে। সবার একভাবে বোঝার কোন বাধ্য বাধ্যকতা নাই, কথাও নয়। কাজেই ভাব প্রকাশে কারো কাছে মনে হতে পারে, আপনি একেবারেই অজ্ঞ, আবার কারো কাছে মনে হতে পারে আপনি বিশেষজ্ঞ! তাতে কিছুই যায় আসে না। দিনশেষে আপনি কি ভাবলেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাচীন সবকিছুই আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়। কোন রকমের আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া এরা কিভাবে এসব করতো.....যতো ভাবি, ততই অবাক হই।
৩২| ১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৭
জুন বলেছেন: নেপোলিয়নের ঝাড় বাত্তি দেখতে দেখতে আরেকবার টায়ার্ড ভুয়া। এখন কই নিয়া যাইবেন কইছেন, চলেন তাইলে আগাই
১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: থাক, আর দেইখেন না। এরপরে কিন্তু মাথা ঘুরাইতে পারে কইলাম!
নিমু নিমু......অস্থির হয়েন না। ঘরে নেপোলিয়নের সাগরেদ আছে। তারে সামলায়-সুমলায় কি-বোর্ডে বসা লাগে। একটু সময় তো লাগবো!
৩৩| ২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪
মা.হাসান বলেছেন: এক্ষণে নেপোলিয়ানের সাগরেদের সহিত পরিচয় ঘটিল। আপনার সৌভাগ্য উনি এই অশ্লীল ব্লগে আসেন না, নচেত সম্মার্জনী মাটিতে পড়িত না।
আমার পরিচিত একজনকে ইতালিয়ান বাটু পাকড়াও করার পর একটি সোনার হাত ঘড়ি উপহার দিতে চেয়েছিল। উনি সোনার ঘড়ির বিনিময়ে বাটুকে ওনার '২২ ক্যারেট সোনার' কাফলিংক উপহার দিতে চেয়ে ছিলেন। বাটু মাইন্ড করে ছিল।
অনেক পুরাতন ছবি কষ্ট করে একত্র করে, মিলিয়ে পোষ্টটি লিখেছেন। খুব ভালো লেগেছে । অনেক ধন্যবাদ । (এ পর্বটা যেন একটু ছোট মনে হচ্ছে।)
২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক, এক্ষনে আপনার কৌতুহল মিটিল অবশেষে!
বাটু'র গল্প তো অর্ধেক বললেন.....সোনার হাতঘড়ি, সোনার কাফলিঙ্ক.....বাটু'র মাইন্ড.......শেষে কি হলো??
কষ্ট আর কি.....বাংলা টাইপ করতেই যা একটু কষ্ট হয়!!
২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: করুণাধারা আপা নেপোলিয়ানের সাগরেদের ব্যাপারে অধিকতর জ্ঞানলাভের জন্য আপনাকে আমার একটা পোষ্ট পড়তে বলেছেন। লিঙ্ক দিলাম। সময় পেলে পড়তে পারেন, আমার কাব্যভীতিঃ কেন আমি এমন হইলাম
৩৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: সদরঘাট, গাবতলীর ঐতিহ্যবাহী বাটপাড়দের মতো তাহলে প্যারিসের রাস্তাতেও দেখা যায়।
মনজুড়ানো ছবি। আপনার ভ্রমণ পোস্টগুলো ভালো হচ্ছে।
প্যারিসে এতবার গেছেন মাগরেব অঞ্চলের (প্যারিসের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ) মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে যদি লিখতেন।
১৪ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাটপার নাই কোথায়? সব জায়গাতেই এদের দেখা পাওয়া যায়।
প্যারিসে মাগরেব অঞ্চলের মানুষদের জীবনযাত্রা সম্মন্ধে বলতে গেলে কিছুই জানি না। আলজেরিয়ার বংশোদ্ভুত একজনের সাথে পরিচয় আছে। মুস্তাফা নাম। তবে, আপনি যে এটা জানতে চাইবেন তা আগে জানলে না হয় ওকে জিজ্ঞেস করতাম!
মুস্তাফাকে যতোটুকু দেখেছি, একজন সাধারন প্যারিসিয়ানের মতোই। ব্যাটা সিগারেট, শরাব সবই খায়।
৩৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ছবি কথা বলে । যাকে বলে কন্টেন্ট এনালাইসিস ।
অসাধারণ হয়েছে কথা বিবরণ ও ছবি সমাহার ।
যাবার বেলায় প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
অফুরান শুভেচ্ছা রইল
০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তিন মাস আগের পোষ্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ আলী ভাই। প্রিয়তে নেয়ার জন্যেও কৃতজ্ঞতা।
সময় করে বাকী দু'টা পর্বেও আপনার পদধুলি দেয়ার আমন্ত্রণ রইলো।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকেও।
৩৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩২
মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার লিংকে চলে এলাম।
নিজের দেখা জায়গায় আবার বেড়ানোর সুযোগ পেলাম, আপনার সুবাদে। অবশ্য প্যারিসের মতো শহরে বহুবার বেড়ালেও কখনো এর আবেদন কমবে না।
ছবিগুলো সত্যি সত্যি ভালো তুলেছেন।
শুনেছি, রোমের মূর্তিগুলো নাকি আরো সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। তবে, যেতে পারিনি এখনো।
ভালো থাকবেন।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ...পুরানো পোষ্ট দেখার / পড়ার জন্য। ছবিগুলোর ব্যাপারে আমি অবশ্য সন্তুষ্ট না। আরো ভালো হতে পারতো।
ইটালী নিয়েও আমার আট পর্বের একটা বেড়ানোর পোষ্ট আছে। প্রথম পর্বের লিঙ্ক দিলাম, স্বপ্নযাত্রা: ইটালী - ১
বাকী পর্বগুলোর লিঙ্ক ওই পোষ্টেই আছে। আগ্রহী হলে সময় করে একসময় দেখতে পারেন। আমন্ত্রণ রইলো।
৩৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৫
শের শায়রী বলেছেন: কি অসাইভ্য অসাইভ্য মুর্তি!!! একজন তো কমেন্ট দিছে মুর্তির ছবিগুলা ডিলিট দেয়া যায় না আমি অইলে অসভ্য মুর্তিগুলা ভাইঙ্গা দিয়া আইতাম
এই ইতালিয়ান গুলারে আমার ক্যান জানি আপন আপন লাগে, অগো মাইধ্যে যা আমাগো মত একটু বাটপারি গুন আছে,বাকী ইউরোপিয়ান দ্যাশের মানুষ গুলা কেমন যেন অন্য গ্রহের, মিছা কথা, বাটপারি এই সব প্রায় বোজেই না, ইদানিং ফরাসীদের মাঝেও একটু একটু দেখা যাচ্ছে
বিনা পয়সায় ল্যুভর দেখানোয় ধইন্যা।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি অইলে অসভ্য মুর্তিগুলা ভাইঙ্গা দিয়া আইতাম কবে ভাঙ্গতে আইবেন কন, আমিও যামুনে!
ইতালিয়ানগুলারে আসলেই আপন আপন লাগে। এইগুলির স্বভাব-চরিত্রের লগে আমাগের মিল আছে।
৩৮| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫০
নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনার সাথে সাথে আমারও দেখা হয়ে গেলো ল্যুভর মিউজিয়ামের অনিন্দ্যসুন্দর স্থাপত্য ও মোহনীয় রুপের ঝলকানি।
১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার সৌজন্যে আমিও আরেকবার দেখলাম। চমৎকার লাগলো। যতোই দেখি, ততোই মুগ্ধ হই!!
৩৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯
আমি সাজিদ বলেছেন: ল্যুভরের ভেতরের কিছু অংশ দেখা হয়ে গেল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য। সুদর্শন বাটপার বলতেই আমার কেন জানি ডি ক্যাপ্রিওর কথা মনে পড়ে৷ পরের পর্বে যাই।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ডি ক্যাপ্রিও আমার খুবই প্রিয় একজন অভিনেতা। সেই টাইটানিক দেখার পরে যেই মুগ্ধতা, সেটা আর কাটে নাই। বাটপার তো বাটপারই......সুদর্শন কিংবা কুদর্শনে কি আসে যায়!! তবে, কৌশলগত কারনে সুদর্শন হলে বাটপারিটা পোক্ত হয়।
পুরানো পোষ্ট, সময় করে দেখছেন....হাটছেন, সেজন্যে কৃতজ্ঞতা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট