নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোহনীয় রমণীয় প্যারিস (তৃতীয় তথা শেষ পর্ব)

২৪ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৩৪



মোহনীয় রমণীয় প্যারিস (পর্ব ১)
মোহনীয় রমণীয় প্যারিস (পর্ব ২)


ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে বের হয়ে একটা লম্বা হাটা দিতে হবে। অবশ্য চাইলে মেট্রোও (আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন) ব্যবহার করা যায়, কারন ডে-ট্রাভেল কার্ড এমনিতেই করতে হয়। প্যারিসের বেশীরভাগ আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশানগুলো বিশাল আর একইসঙ্গে চমৎকার। মাটির নীচে দোতলা ট্রেন আমি এখানেই প্রথম দেখেছি। তবে আমার হাটাই বেশী পছন্দ, বিশেষ করে প্যারিসে। হাটলে শহরের সাথে, শহরের মানুষগুলোর সাথে একাত্ম হওয়া যায়। আমি সবজান্তার মতো এমনভাবে হাটি যে চারিদিকের অগুনতি ট্যুরিষ্টের কেউ না কেউ বিভ্রান্ত হয়ে আমাকে স্থানীয় মানুষ ভেবে এটা কোথায়, ওটা কোথায় জিজ্ঞেস করে। কেউ ইংলিশে কিছু জিজ্ঞেস করলে বলি, তুমি ফ্রেন্চ পারো না? খুবই খারাপ কথা! এখানে আসার আগে অল্প-বিস্তর কিছু শিখে আসা উচিত ছিল। এরা আমার কথা শুনে বেকুবের মতো হাসে। দেখে বিমলানন্দ অনুভব করি। কেউ ভাঙ্গা ভাঙ্গা ফ্রেন্চ বলার চেষ্টা করলে বলি, নাহ, তোমার ফ্রেন্চ খুব খারাপ। কিছুই বুঝতে পারছি না। তুমি বরং ইংলিশেই বলো!! এরা তো আর জানে না যে, আমি ফ্রেন্চের 'ফ'ও জানিনা।

প্যারিসের চারিদিকে মনুমেন্ট আর ভাস্কর্যের ছড়াছড়ি। হাটতে একেবারেই কষ্ট হয় না। প্রতিটা সড়কে, অলিতে গলিতে আপনি দেখার মতো কিছু না কিছু পেয়েই যাবেন। তবে ২০১১ তে নেপোলিয়নের সাগরেদকে নিয়ে যাওয়ার কারনে হাটাহাটি খুব একটা করতে পারি নাই, সেজন্যে সেবার মজাও পেয়েছি কম। যাক, কোন ব্যাপার না। সব সময় সবকিছু আশা করাও ঠিক না।

যা বলছিলাম। ল্যুভর থেকে একটা লম্বা রাস্তা গিয়ে মিশেছে বাস্তলিঙ স্কোয়ারে যেটা প্লেস ডি লা বাস্তিল নামেও পরিচিত। এই রাস্তার বেশীরভাগটারই নাম রু ডহিভলি। শেষের কিছুটা রু সাতো তোয়ানা নামে পরিচিত। বাস্তিল দূর্গ, যেটা প্রাথমিকভাবে ইংলীশদের আক্রমন ঠেকানোর জন্য তৈরী করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে জেলখানা হিসাবে কুখ্যাতি অর্জন করেছিল সেটা এই স্কোয়ারেই ছিল। ফরাসী বিপ্লবের সময় বিপ্লবীরা এটাকে ধ্বংস করে একেবারে ধুলায় মিশিয়ে দেয়। বর্তমানে খুবই নগন্য পরিমান ধ্বংসাবশেষ অবশিষ্ট আছে। সেসবের স্মরণে এখানে ''জুলাই কলাম'' নামে একটা মনুমেন্ট আছে।


এখান থেকে বুলেভাড চতুর্থ হেনরী ধরে একটা মাঝারী হাটা দিয়ে সেইন নদীর তীরে চলে এলাম। সেইন নদীতে ছোট্ট একটা দ্বীপের মধ্যে বিখ্যাত নতরদাম গির্জাটা মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে। ১১৬৩ সালে তৈরী শুরু হওয়া এই গির্জাটা তার নান্দনিক আর অনুপম কারুকাজের জন্য জগদ্বিখ্যাত। এর ভিতরে-বাইরে, উপরে-নীচে যেদিকে তাকানো যায়; শুধুই মুগ্ধ হতে হয়। চলুন কিছু ছবি দেখাই।

গির্জা চত্বর। কেমন জানি মরুভূমির মতো। ঘাস লাগিয়ে সুন্দর বাগান কেন করে না?


গির্জা চত্বরে বিখ্যাত ফরাসী সম্রাট শার্লামেনের মূর্তি যিনি প্রথমে ছিলেন বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড আর জার্মানীর অধিপতি। ইউরোপের বিশাল এলাকা জয় করেছিলেন, তার জন্য তাকে ইউরোপের জনক বলা হয়। খৃষ্ট ধর্মের ব্যপক প্রচারের জন্য পরবর্তীতে পোপ তাকে হলি রোমান সম্রাট ঘোষনা করেন (জুনআপার সৌজন্যে প্রাপ্ত)।


প্রধান ফটক।


ভিতরে।







ভিতরে প্রদর্শিত মডেল আর নির্মানপর্বের ডেমো।




নতরদাম এর বিশাল সৌন্দর্য দু’বার গিয়ে একবারও পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারি নাই। ভেতরটাকে এরা চায়নিজ রেস্টুরেন্টের আলো-আধারীর মতো করে রেখেছে। চারিদিকেই আলো-ছায়ার খেলা! যতটুকুও বা দেখেছি, তাও আপনাদেরকে ঠিকমতো দেখাতে পারলাম না গরিবী হালের ক্যামেরার জন্য। তাই নেটের স্মরণাপন্ন হয়ে পোষ্টের প্রথম ছবিটা দিলাম। দেখে আপনারা মুগ্ধ তো হবেনই, সাথে আমিও; কারন এমনটা আমি নিজেও দেখতে পারি নাই।

নদীর পাড় থেকে এভাবেই সে দৃষ্টিতে ধরা দেয়।


এই দ্বীপের মধ্যেই অবস্থিত সুবিখ্যাত নতরদাম।


হাটা পর্বের এখানেই সমাপ্তি। এর পরের পর্ব হচ্ছে আমার 'চিলিং পর্ব'। অর্থাৎ সেইন নদীর ধারে যতোক্ষণ খুশি বসে থাকা, বিশ্রাম নেয়া। বসে বসে নদী দেখি, মানুষ দেখি, প্রতিটা মানুষের ভিতরের গল্প পড়ার চেষ্টা করি, নদীতে একের পর এক ভেসে আসা ট্যুরিষ্টবাহী জলযানগুলো দেখি আর নিজের জীবন ও দুনিয়াদারী সম্পর্কিত দার্শনিক চিন্তা-ভাবনা করি। এই ক্ষুদ্র জীবনে কি করলাম, কি করলাম না, আর কি করা উচিত ছিল ইত্যকার হিসাব-পত্র মেলানোর চেষ্টা করি। আর হ্যা, আরেকটা কাজ করি। বসে বসে প্রচুর বিড়ি টানি আর ঢাকার ভ্রাম্যমান চা-বিক্রেতাদের মিস করি! চলুন, এই পর্বের কিছু ছবি দেখাই।






এই পর্বের একটা ঘটনা বলি আপনাদের। বছর পাচেক আগে গ্রীষ্মের এক শেষবিকেলে এমনিভাবে বসে ছিলাম নদীর পাড়ে। আমার থেকে একটু দুরে একটা মেয়ে বসেছিল; উচু বাধানো পাড়ে নদীর দিকে ঝুকে বেশ বিপদজনকভাবে। খোলা চুলগুলো দিয়ে এমনভাবে মুখ ঢেকেছিল যে মনে হচ্ছিল, একটা ভুত বসে আছে। মনে মনে ভাবছিলাম, এ আবার নদীতে লাফ-টাফ দিবে নাতো! মরলে মরুক, তবে দুরে গিয়ে মরলেই ভালো হয়। আগে খেয়াল করলে তো এখানে বসতামই না। যাইহোক, আমাকে হতচকিত করে দিয়ে হঠাৎ মেয়েটা বেশ জোরে শব্দকরে কেদে উঠলো, একেবারে হেচকি তোলা কান্না!

বসে বসে কান্না শুনছি আর ভাবছি, ভালো জ্বালায় পরলাম তো! সিদ্ধান্তে আসলাম, নাহ......এখানে বসা যাবে না। উঠতে যাবো, এর মধ্যে দেখি, মেয়ে কান্না থামিয়ে উঠে আমার দিকে আসছে। মতিগতি বোঝার আগেই সামনে চলে এলো। বেশ সুন্দরী, অল্পবয়সের একটা মেয়ে। আমাকে বললো, তোমার কাছে স্পেয়ার সিগারেট আছে? থাকলে একটা দাও।

বৃটেনে অল্পবয়সীদের সিগারেট চাওয়াটা একটা বড় সমস্যা। ইউরোপের মেইনল্যান্ডে এটা ততোটা প্রকট না। সে যাইহোক, আমার গৎবাধা উত্তর দিতে গিয়ে মনে হলো মেয়েটা প্রেগন্যান্ট। বললাম, মনে হচ্ছে তুমি প্রেগন্যান্ট? মেয়েটা বললো, হ্যা। আমার বয়ফ্রেন্ড গতকাল আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। ভাবছিলাম, আত্মহত্যা করবো। তবে, করি আর না করি, এই বাচ্চা আমি রাখবো না। দাও, একটা সিগারেট দাও।

মেয়েটার দুঃখে দুঃখিত হয়ে একবার ভাবলাম একটা দিয়েই দেই। এমন দুঃখের সময়ে বিড়িতে কষে কয়েকটা দম দিলে দুঃখ একটু কমতে পারে! পরমুহুর্তেই সিদ্ধান্ত বদলালাম। একে কমবয়সী, তার উপর প্রেগন্যান্ট। একে সিগারেট দিয়ে বিদেশ-বিভূইয়ে বিপদে পরার কোন মানে নাই। বললাম, তোমার ঘটনা শুনে খুবই দুঃখ পেলাম। আত্মহত্যা কোন সমাধান না। আর তোমার বাচ্চা তুমি রাখবে কি রাখবে না, এটা একান্তই তোমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে, একটা প্রেগন্যান্ট মেয়েকে কোন অবস্থাতেই আমি সিগারেট দিব না। দুঃখিত।

আমার হৃদয়হীনতায় মর্মাহত মেয়েটা প্রথমে বাক্যহারা হয়ে একটুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো। এমন মুখের উপর প্রত্যাখান সম্ভবতঃ সে আশা করেনি, সুন্দরী মেয়েরা প্রত্যাখান জিনিসটা এমনিতেই খুব অপছন্দ করে। তারপর 'এফ' সম্পর্কিত গোটাদুই গালি দিয়ে মধ্যমা আঙ্গুল প্রদর্শন করে স্থানত্যাগ করলো। ভর সন্ধ্যাবেলা এক ভিনদেশী সুন্দরীর মুখে এমন জঘন্য গালি শুনে মনটা কিন্চিত খারাপ হয়ে গেল। মনের দুঃখে আরেকটা সিগারেট ধরালাম। নিজেকে সান্তনা দিলাম এই বলে.......আমি সিগারেট খেতেই পারি। আমি তো আর প্রেগন্যান্ট না!!!!


ছবিঃ আমার ক্যামেরা
তথ্যঃ নেট এবং বিভিন্ন গাইড বুকলেট।

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫

আরোগ্য বলেছেন: ১ ম।

পরে আসছি সময় নিয়ে।

২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম হওয়ার কারনে আপনার রোল নাম্বার এখন এক;)

অভিনন্দন।।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাস্তিল দূর্গ, তো দেখতে অনেক সাদাসিধা লাগছে, এই সাদাসিধে জেল নিয়ে যত ভয়ংকর কাহিনী পড়ছি !!! আপনার হন্টন পর্বে' র এই ঢিলাঢালা ভাব ভাল্লাগসে :)
নতরদাম কিছু আগে ই বেশ সারা ফেললো আগুণ লাগাতে, আমার কাছে সে হ্যাঞ্চব্যাক অফ নটরডেম হিসবেই - ভিক্টর হুগো বসিয়ে দিয়ে গিয়েছেন।
চিলিং পর্ব ও দারুণ উপভোগ্য ছবি মাধ্যমে !!
আর মনে আছে তো হুমায়ুন কি বলে গেছেন ? সুতরাং গালি তো নরমাল রূপবতীদের ;)

" রূপবতীদের সব অভদ্রতা ক্ষমা করা যায়, এরা অভদ্র হবে এটাই স্বাভাবিক, এরা ভদ্র হলে অস্বস্তি লাগে।"
:) :) :)
পারাপার
হুমায়ূন আহমেদ

২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দূর্গ পাইলেন কই? এখন কোন দূর্গ নাই, ভাইঙ্গালাইছে!! আমি ঢিলাঢালা ভাবেই হাটি, মাঝেমধ্যে এদিক সেদিক ঢলেও পড়ি! :P

নতরদামে আগুন লাগাতে খুব কষ্ট পাইছি। :((

হুমায়ুন ভাইতো বস মানুষ। ওনার সব কথাই আমার শিরোধার্য!!!

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২৭

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: মানুষের কষ্ট হলে সিগারেটয়ি কেন খেতে হবে? ছবিগুলো অনেক সুন্দর করে তুলেছেন। মনোমুগ্ধকর।

২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধরে নিতে পারি, আপনি ধুম্রপান করেন না......সুতরাং আপনাকে বোঝানো যাবে না।

আমার হিসাবে ছবিগুলো কোন পদের হয় নাই। তবু আপনার ভালো লেগেছে, সেজন্যে ধন্যবাদ। :)

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ না ভাঙলে কি আর জেলখানা হইত !!

২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে ভইন দূর্গ, জেলখানা কিছুই নাই......কোন বিল্ডিং-ই নাই। বিপ্লবীরা পুরাই ধুলিস্যাত কইরা ফালাইছে! :D

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার চোখ দিয়ে দূর দেশ ঘুরে এলাম।

২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধার করা চোখ দিয়ে দেখে আর কতোটুকু মজা পাবেন....বরন্চ একবার ঘুরে আসেন। :)

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
প্যারিস ভ্রমণ নিয়ে খুব সুন্দর ও পরিশ্রমী পোস্ট দিলেন আপনি। গির্জার সামনে ওগুলো কি পায়রা নাকি ? রাস্তার নাম ও অন্যান্য ছবি দেখে খুব চমৎকার। তালা চাবির ছবি কই ?
আপনার নিজেকে নিজে দেওয়া সান্তনা পড়ে ভীষণ হাসছি ।
সবমিলিয়ে দারুন ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওগুলো পায়রাই।
তালাচাবির ছবি তুলি নাই। লোকজনের খেয়েদেয়ে কাজ নেই, পয়সা খরচ করে তালা লাগায়, এর ছবি তোলার কোন মানে নাই। :)

পরিশ্রম আর কি.....টাইপ করতে যা একটু কষ্ট! ভালো লাগাতে মনে হচ্ছে এ'টুকু পরিশ্রম বোধহয় করাই যায়, কি বলেন?

২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার আগ্রহের কারনে নেট থেকে একটা ছবি দিলাম।

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: নয়নাভিরাম।

২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। :)

৮| ২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছবিগুলো দেখলাম কিন্তু বেশি মজা পেলাম একেবারে লাস্টে এসে, আমি তো আর পেগনেন্ট নই কাজেই একটা সিগারেট খেতেই পারি। হা হা হা হা হা...... তবে মেয়েটির বর্ণনা অনুসারে নিঃসন্দেহে দুঃখজনক ঘটনা।
শুভকামনা জানবেন।

২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তবে মেয়েটির বর্ণনা অনুসারে নিঃসন্দেহে দুঃখজনক ঘটনা। ঠিক বলেছেন। তবে এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা এদের সমাজে এতোই স্বাভাবিক যে এগুলো নিয়ে কেউ তেমন একটা মাথাই ঘামায় না। এই দুঃখই বা কতোদিন থাকবে, সেটাও একটা দেখার বিষয়। দেখা যাবে, আর কিছুদিন পর এই মেয়েই হয়তো আরেকজনের বাহুলগ্না হয়ে মহানন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে!

আপনার জন্যও রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।

৯| ২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২

বলেছেন: ভাই আপনি পারেন ও বটে!!!


হাসলাম, জানলাম, দেখলাম।।।

২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কি পারি তা কিন্তু বুঝি নাই! :P

মন্তব্যে ধন্যবাদ।

১০| ২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১

করুণাধারা বলেছেন: তৃতীয় পর্বেই শেষ! :|| আলো- আঁধারে তোলা ছবি দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম, সামনাসামনি দেখতে পেলে না জানি কত ভালো লাগতো!

আমি না হয় প‍্যারিস যাবার আশা রাখি না, :( কিন্তু ব্লগের অনেকেই আছেন জানি, আপনার এই সচিত্র পোস্ট দেখে প্যারিস যাবার জন্য যারা উতলা হয়ে উঠবেন। প্যারিসের অলিতে গলিতে ফ্রেঞ্চ না জানা একজন তরুণ কি আপনার মত এভাবে ঘোরাঘুরির করতে পারবে বলে মনে হয়? বাংলাদেশের কোন বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর গল্প এটা নাম মনে নেই, তিনি প্যারিসে রেস্তোরাঁয় গিয়ে ফরাসী না জানায় খাবার অর্ডার করতে পারছিলেন না, তারপর ছবি এঁকে অর্ডার করেছিলেন! এখন কেউ যদি একেবারেই ফ্রেঞ্চ না জানে, সে প্যারিস গিয়ে চলতে পারবে তো?

হাঁটাহাঁটির শেষে কি খালি নদীর তীরেই বসে থাকলেন, নাকি পরে কোন হোটেল মোটেলে গেছিলেন? সেগুলোও একটু লিখলে পারতেন!

অল্প বয়সী প্রেগন্যান্ট মেয়েটার বয়স কত বলে মনে হয় ১৪/১৫...২০/২২, কোনটা?

২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সামনাসামনি দেখতে তো অসাধারন! ভালো একটা ক্যামেরা হলে আরো ভালো ছবি হতো। আপনি যার কথা বলছেন, উনি সম্ভবতঃ বিখ্যাত চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন। মুরগীর ছবি একেছিলেন।

একটা সময় ছিল, যখন ফ্রেন্চরা ইংরেজদেরকে অপছন্দ করার কারনে ইংরেজী ভাষাটাকেও অপছন্দ করতো, জানলেও বলতে চাইতো না। এটা এখনও আছে, তবে এই বিশ্বায়নের যুগে ইংরেজী আন্তর্জাতিক ভাষা হয়ে ওঠার কারনে সেটা এখন আর ততটা নাই। আমিও তো ফ্রেন্চ জানিনা। আপনার তরুন ইংরেজী জানলেই হবে, আমার মতো কোনরকমের! :)

হাটাহাটির শেষে আমি যেই হোটেলে উঠি, সেটাতেই ফিরে যাই; আর কোথায় যাবো!

স্লীম ফিগারের সাদা ইয়াং মেয়েদের বয়স বোঝা দুরুহ ব্যাপার, অন্ততঃ আমার জন্য! =p~

১১| ২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

মা.হাসান বলেছেন: বোঝা গেল সিগারেট ছাড়ার আপনার ইচ্ছা আছে, কিন্তু গর্ভবতী না হলে সিগারেট ত্যাগ করতে আপনি রাজি না। ectopic pregnancy বলে একটা বিষয় আছে, আগ্রহ বেশি হলে চিন্তা ভাবনা করতে পারেন । হাবিব স্যার আর তারেক মাহমুদ ভাই আপনাকে কিছু টিপস দিতে পারবে B-)) সময়াভাবে গত পর্ব টা পড়া হয়নি নেপোলিয়ানের সাগরেদের কথাটা কি ওখানেই মিস করেছি?
প্যারিস এর ছেলে ধরা মেয়েদের কথা তো লিখলেন না । ঢাকায় শিয়াদের ইমামবাড়ার ভিতরে কাঁচের কিছু অপূর্ব কাজ আছে, তবে নটরডেমের মতো রঙিন চিত্রকর্ম নেই। আমার কাছে কিছু ছবি ছিল যদি খুঁজে পাই একটা শেয়ার করব।
পোস্ট মনোরম হয়েছে।

২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বোঝা গেল সিগারেট ছাড়ার আপনার ইচ্ছা আছে, কিন্তু গর্ভবতী না হলে সিগারেট ত্যাগ করতে আপনি রাজি না। এ'জন্যেই আপনাকে আমি পছন্দ করি। চট করে সবকিছু বুঝে ফেলেন! =p~

২৪ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা ঘটনার কারনে ectopic pregnancy ব্যাপারটা আমি খুব ভালো জানি। তবে, সেটা মেয়েদের ক্ষেত্রে, ছেলেদেরটা জানিনা। দেখি, আপনার বর্ণিত দুই বিশেষজ্ঞ যদি কিছু আলোকপাত করতে পারে!

নেপোলিয়ানের সাগরেদের কথাটা কি ওখানেই মিস করেছি? এটা আপনার জন্য একটা ধাধা থাকুক। আগের পর্ব গুলোর মন্তব্যগুলো মন দিয়ে পড়েন। :)

প্যারিসের ছেলে ধরা মেয়েদের কথা জানিনা। বাছাইকরা সুন্দরী দু'একজনের ঠিকানা জানলে দিয়েন। ধরা খাইতে ইচ্ছা করে। :P

আপনার ছবির অপেক্ষায় থাকলাম।
স্যরি, আগের উত্তর কেন জানি পুরোটা যায় নাই। তাই বাকীটা আবার করলাম। মন্তব্য পোষ্ট করতে মনে হয় সমস্যা হচ্ছে।

১২| ২৪ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

জুন বলেছেন: চার নম্বর ছবিটি বিখ্যাত ফ্রাংক সম্রাট শার্লামেনের যিনি প্রথমে ছিলেন বেলজিয়াম, ফ্রান্স , নেদারল্যান্ড আর পশ্চিম জার্মানীর অধিপতি । ইউরোপের বিশাল এলাকা জয় করেছিলেন তার জন্য তাকে ইউরোপের জনক বলা হয় ভুয়া। খৃষ্ট ধর্মের ব্যপক প্রচারের জন্য পরবর্তীতে পোপ তাকে হলি রোমান সম্রাট ঘোষনা করেন ভুয়া।
অনার্স ও মাস্টার্সে ইউরোপের ইতিহাস পড়তে গিয়ে নেপলোলিয়ান, ফরাসী বিপ্লব, (রুটি না পেলে কেক খাও যোড়শ লুই এর স্ত্রী মারি আতোয়ান্তের বিখ্যাত সেই উক্তি,) ১৪ জুলাই এর ফল অফ বাস্তিল, বিখ্যাত দার্শনিক রুশো ভলতেয়ার যাদের লেখা ফরাসী বিপ্লবে সরাসরি ইন্ধন জুগিয়েছিলা, গিলোটিনে একে একে রাজ রাজড়াদের শিরোচ্ছেদ কতবার যে ঘুরে ঘুরে এসেছে তার ইয়াত্তা নেই । মনে হতো স্যারের সাথে সাথে আমরাও ফ্রান্সের অলি গলি ঘুরে বেড়াচ্ছি । এই কারনেই ঐতিহাসিক স্থান নিয়ে লেখাগুলো আমাকে বেশি টানে ভুয়া।
নেপোলিয়ানের সাগরেদ কি জোসেফাইন নাকি আর কেউ জানাইয়েন । আর নদীর পাড়ের ঘটনা তাদের ভঙ্গুর সমাজ ব্যাবস্থা অতি আধুনিকতা স্বাধীনতার ফসল । রোমে আমি এমন পিচ্চি পিচ্চি কিশোরী মা দের দেখেছিলাম বাচ্চা কোলে নিয়ে বিড়ি ফুকছে পার্কে বসে ।
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো আপনার ফ্রান্স ভ্রমন ।

২৫ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৫:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সম্রাট শার্লামেন সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। সে'জন্যে আপনার একটা ধন্যবাদ পাওনা হলো। আপনি তো দেখি ইতিহাস ভাজা ভাজা করে ফেলেছেন। ইতিহাস বিষয়ে আমার অবশ্য কোন প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা নাই, তবে আগ্রহ ব্যাপক। আপনার জীবন্ত বর্ণনায় সবকিছু মনে হচ্ছে চোখের সামনে দেখছি।

এই না হলে কি আর ব্লগের ইবনে বতুতা!!! :)

১৩| ২৪ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:২৫

মা.হাসান বলেছেন: বায়োলজিক্যালি যারা পুরুষ হয়ে জন্মেছে তাদের একটপিক প্রেগনেন্সি আমার জানা মতে তাত্ত্বীক বিষয়, কোন নতুন টেস্ট সাবজেক্ট পেলে বিজ্ঞানীরা খুব খুশি হবেন নিশ্চয়ই।
যে বিশেষজ্ঞদের নাম আলোচনায় এসছে সাহায্য নেবার আগে তাদের এ দুটো পোস্ট আবার পড়ে নিতে পারেন, আগে পড়েছেন, কিন্তু উপকারি জিনিস বার বার পড়ায় ক্ষতি নেই।
পোস্ট ১
পোস্ট ২

প্যারিসের ছেলেধরাদের ঠিকানা ফোন নম্বর দিতে পারি, তবে বাংলাদেশের মতো ওরাও আগে টিপে দেখে নেবে ওটা মানে আপনার মানিব্যাগটা কত মোটা , তার পর ঠিক করবে ছেলেকে ধরা যায় নাকি না।

ইমামবাড়ার ছবি খুঁজতে যেয়ে টের পেলাম আমি যখন গিয়েছিলাম ভিতরে ছবি তোলা নিষেধ ছিল, বাইরে যে অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি তুলেছি তাতে কিছুই বোঝা যায় না। তাই ইন্টারনেট থেকে নেয়া ছবি এখানে ঝেড়ে দিলাম (ওখানে ফ্রি টু ডাউনলোড দেয়া আছে, কপিরাইট লঙ্ঘন হয় নি)। হোসেনি দালান-ইমাম বাড়ার খুতবা হল।

এই ইউটিউব ভিডিওতে আরো ভালো বোঝা যাবে:
https://www.youtube.com/watch?v=Hlk7oGIMhbo

২৫ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি মজা করেছেন, আমিও। বায়োলজিক্যালি যারা পুরুষ হয়ে জন্মেছে তাদের একটপিক প্রেগনেন্সির কোন সুযোগ নাই। এর জন্য সার্জারী করে একটা ইউটেরাস লাগিয়ে নিতে হবে, এই প্রেগন্যান্সি যেহেতু সাধারনতঃ ফ্যালোপিয়ান টিউবে হয়, তাই একজোড়া ফ্যালোপিয়ান টিউবও দরকার। এতো ঝামেলা করে, ঝামেলা টেনে আনার দরকার কি? B-)

পোষ্ট দু'টা আগেই পড়েছিলাম, আবারও পড়লাম। ভিডিওটাও দেখলাম।

আমি তো ভেবেছিলাম ফ্রেন্চ ছেলেধরা মেয়েরা ফ্রী তে ছেলে ধরে; পয়সা খরচ করে ধরা খাওয়ার মধ্যে আমি নাই। =p~

১৪| ২৪ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

মা.হাসান বলেছেন: ফ্রান্সে মাটির নিচে দোতলা ট্রেন দেখে অবাক হবার কিছু নাই, সেই বাংলাদেশ আর নাই, এখন আমরা কানাডা-আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গিয়েছি। বাংলাদেশে দোতলা ট্রেন অনে দিন থেকেই চালু আছে।

২৫ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা তো মাটির উপরের, আমি নীচেরটার কথা বলেছি! :P

১৫| ২৪ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:২৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


শেষ লাইনটি বেশ হয়েছে। কলেজে পড়ার সময় একটু-আধটু টান দিয়েছিলাম টেনশনফ্রি পাইপে। এরপর আর উঠা ফুঁকা হইনি। এখন তো আর সম্ভবই না যে হারে ভ্যাট বসিয়েছে তাতে টান দিলে কলিজায় টান লাগার সম্ভবনা আছে।

২৫ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নেশাখোরদের নেশার টাকা ভূতে যোগায়। এসব ভ্যাট-ফ্যাট আমাদের দমায়ে রাখতে পারবে না। তবে, না ফুকাই ভালো। কলিজা, পকেট সবই তরতাজা থাকে।

এই দ্যাখেন, আপনার সাথে এসব বলতে বলতে আমার নেশা পেয়ে গেল। যাই, দু'টান দিয়ে আসি। ;)

১৬| ২৪ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:৩৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: মেয়েটির জন্য দু:খ জাগল মনে। আপনার ছবিও বর্নণা চমৎকার ছিল।

২৫ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:৩৭

আরোগ্য বলেছেন: ভুয়া ভাই ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু ধূমখোররা বলে ধূমপান করলে রিল্যাক্স লাগে। কি হাস্যকর। আমার তো দম বন্ধ হয়ে আসে। আল্লাহ সব ধূপখোরদের ধূম্রজাল থেকে মুক্ত করুক।

গির্জায় আর কয়খানা বাতি লাগাইলে ভালো হইতো। আন্দার ঘরে ভালা ছবিই তুলছেন। সু ন্দ র ।

২৫ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৬:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চোরেরও চুরি করার যুক্তি আছে, আর এটাতো ধুম্রপান! সব বিড়িখোরদের মতো আমিও জানি যে এটা খারাপ, আশা আছে অচিরেই ছেড়ে দেয়ার। আল্লাহ ভরসা। :)

আন্দার ঘরের আন্দাইরা ছবি, আর কতো!!! ;)

এখনকার ক্যামেরা দিয়ে তুললে ছবিগুলো অবশ্য আরো অনেক ভালো হতো। আরেকটা ব্যাপার, এখন ছবি তুললে ব্লগে দেয়ার ব্যাপারটা মাথায় থাকে, কাজেই যতোটা সম্ভব যত্ন করে তোলার চেষ্টা করি। সে'সময়ে আমি ছবিই তুলতাম খুব কম; তুললেও হেলাফেলা করে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন......কতো আর ভালো হবে!!

১৮| ২৫ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গর্মিতে পুরাই কাহিল!
তাই শুধু ভাললাগার ছাপ রেখে গেলাম!

বরাবরের মতোই অসাধারন ভ্রমন কাহিনী।
দারুন সব ছবি আর সেন্স অব হিউমারের ঠাস বুনেন ঠাসা ;)

+++++++++

২৫ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে উঠুন, এটাই আন্তরিক কামনা।

আর হ্যা, আপনার প্রশংসা সর্বাঙ্গে মাখিয়া লইলাম। আগামী পথচলায় কাজে লাগিবে! :)

১৯| ২৫ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুবই মজা পেয়েছি আজকের ভ্রমণ পর্ব পড়ে। হাহাহাহা.... বেটাগিরি সবখানে হুহ, ফ্রেন্স ভাষা না পাইরাও কন আপনারা আগে থাইকা শিখতে পারেন নাই হাহাহ

নতরদাম পড়তে গিয়ে খালি নটরডেম কলেজ পড়ি হাহাহা

গির্জা চত্বরে ফুল বাগান করে না ক্যারে ..। বালু আর বালুই দেখি
আর নদীর পাড়ে বসে মানুষ দেখেন মানুষ পড়েন । আমার মতন দেখি আমিও মানুষ দেখি, মুখের ভাব বুঝার চেষ্টা করি হাহাহ
হুদাই কন আপনি কবি না কবিতা বুঝেন না । যারা এমন তারা ভাবুক এবং একেকজন কবি। এখন থাইকা কবিতা লিখবেন বেশী কইরা। আমি ১০২ পার্সেন্ট সিউর আপনি কবিতা লিখলে অসম্ভব সুন্দর এবং ফাটাফাটি কবিতা হবে।

শেষে গিয়ে দু:খজনক ঘটনা পড়লাম। সবজায়গাতেই একই কান্ড দেহি । আমি ভাবি খালি বাংলাদেশেই বুঝি এসব কান্ড ঘটে। মেয়েটার গালি শুনে হাসলাম হাহাহাহ ...। পারেও বটে মানুষ। সিগারেট খাবেন না প্লিজ-ছেড়ে দেন

২৫ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নতরদাম পড়তে গিয়ে খালি নটরডেম কলেজ পড়ি যার মনে যা, ফাল দিয়া উঠে তা!

আমার শুধু 'ভাবনা'ই আসে, 'ভাব' আসে না। আর ভাব না এলে কবিতা লিখবো কিভাবে? তবে হ্যা, একসময় যখন লিখতাম, তখন ভালো হতো নিশ্চয়ই, না হলে লোকে প্রশংসা করতো কেন? আসলে তখন তো বিয়ে করিনি, বিয়ের পর ভাবেরা নিরুদ্দেশ!! :P

সিগারেটের পিছনে প্রচুর টাকা খরচ হয়.....ভাবছি ছেড়েই দিব। তবে, গত দু'বছর ধরে এমনটা ভাবছি। দেখি কতো দ্রুত এই ভাবনা শেষ করা যায়! :)

২০| ২৫ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:০৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনার ইচ্ছের জয় হোক। আল্লাহ যেনো মনের আশা পূর্ণ করেন।

আমার কলিগ ভাই একদিনেই সিগারেট ছেড়ে দিয়েছেন। আমাদের ডিপার্টমেন্টে দলবেঁধে সিগারেট টানে। একজন আরেকজনকে ডেকে নিয়ে যায়। পরিত্যক্ত একটা রুমে চলে সিগারেট খাওয়া, আমি নাম দিয়েছি দোজকখানা। সেই কলিগ ভাইয়ের এপেন্ডিস না কি যেনো বলে ব্রাস্ট হয়ে গিয়েছিলো, তারপর প্রতিজ্ঞা করেছেন সিগারেট ছেড়ে দেবেন । অফিসে এসেই দেখলাম ছেড়ে দিয়েছেন। জিজ্ঞেস করলে বলেন, শয়তান খালি টানে ঐ দিকে, মনটারে ফিরায়ে রাখছি, তার ইচ্ছের জয় হয় আলহামদুলিল্লাহ। মানুষের ইচ্ছেটাই আসলে বড়। আল্লাহর রহমত আপনার উপর বর্ষিত হোক।

২৫ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার জিপি (ডাক্তার) এর কাছে গেলে প্রথমেই চোখ কপালে তুলে বলে, তুমি এখনও ছাড়ো নাই!! সেই কবে থেকে বলছো...ছাড়বে!
আমি বলি, আরে সবুর করো, সবুরে মেওয়া ফলে।
ডাক্তার বলে, মেওয়া কি?
আমি বলি, মেওয়া হচ্ছে নিকোটিন প্যাচের মতো একটা বিষয়। যেটা খেলে এক ঝটকায় সিগারেট ছেড়ে দেয়া যায়।
সে আমাকে বলে, আমাকেও একটু দিও!!

ব্যাটা নিজেও বিড়িখোর কিনা!!!! =p~

২১| ২৫ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাহা নিজেই বিড়িখোর আবার বলে বিড়ি ছাড়েন । মানুষ নিজে যা করে না অন্যদের তাই উপদেশ দেয়

এবার মেওয়া দিয়ে দিয়েন অল্প। না কি দেশ তন পাঠামো

২৫ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওই ব্যাটা মেওয়া খাইলেও ছাড়বো না।

খুব মজার মানুষ। বলে, মদ খাই না, আমিষ খাইনা, খাওয়ার মধ্যে খাই একটু বিড়ি! এইটাও যদি না খাই, তাইলে তো মইরাই যামু। আর যারা বিড়ি খায় না, তারা কি সব বাইচ্চা আছে?

২২| ২৫ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম বেটার কথাও ঠিকাছে।.... আমিও চা চিনি ছাড়া খাওয়ার উদ্যেগ নেই কিন্তু মনে মনে বলি, হাতি ঘোড়া কী আর খাইয়ালাই, একটু দুধ চা চিনি দিয়া খাই, তাও ছাইড়া দিতাম ক্যারে,,,,,,,,,, তারপর আবার ভাবি চিনি ক্ষতিকর, ছাড়তে তো হবেই। অনেকখানি কমিয়ে এনেছি র চা খাই অল্প চিনি দিয়ে, আর মাঝে মাঝে দুধ চা ।

২৫ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে একটা বয়সে এসে অনেক ভালো খাবারও বিষ হয়ে যায়। চিনি, লবন তেমনি দু'টা।

পাতে লবন খাওয়া ছেড়েছি বহুদিন। চিনি ছাড়ার চেষ্টা করছি। চা না খেয়ে থাকতে পারি না। দুই দিন চিনি ছাড়া খাই, তারপর নিজেকে বলি, এই অখাদ্য খাওয়ার কোন মানে নাই। তারপর আবার চিনি দেই। কিছুদিন চিনি কেনাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। গত সপ্তাহে আবার নিয়ে এসেছি।

এখন আবার চিনি দিয়া খাই আর নিজেরে গালি দেই......কুত্তার লেজ সোজা করা কি এত্তোই সহজ?

২৩| ২৫ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১১

জুন বলেছেন: আমার স্বামী যখন বিড়িখোর ছিল তখন বিড়ি ছারয়ে বললে বলতো "শোনো এই বিড়ির ধুয়াই আমার ফুসফুসরে শুকনা ঝরঝরা করে রাখতেছে, কোন ব্যাকটেরিয়া জন্মাইতে দিতেছে না। আর ফিদেল ক্যাস্ত্রো আর দেং জিয়াও পিং পাইপ আর বিড়ি টাইনাই ১০০ বছর বাইচা রইছে "(পাস টেন্স) ;)
এখন সিগারেট খাইলে তার কাশি শুরু হয় এখন সে বন্ধ করছে :)
সম্রাট শার্লামেনের নাম তো বলছি তারপরও তারে চিনিনা কইয়া রাইখা দিছেন #:-S নাকি ক্রেডিট দিতে চান্না =p~
/:)

২৫ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুলাভাইয়ের যুক্তি খুবই শক্ত ছিল। :P
তারপরেও ছাইরা দিছে জাইনা উৎসাহ পাইলাম। ভাবতাছি, ছাইরাই দিমু। ইংল্যান্ডে সিগারেটের বহুত দাম। প্রতিমাসে আমার ২০০ পাউন্ডেরও বেশী খরচা হয়া যায়গা। এই টাকা বাচলে ঘুইরা বেড়ানোর কামে লাগবো, কি কন!!! :)

সম্রাট শার্লামেনের নাম তো বলছি তারপরও তারে চিনিনা কইয়া রাইখা দিছেন #:-S নাকি ক্রেডিট দিতে চান্না =p~ এই কথার মানে বুঝি নাই। এট্টু খুইলা কন তো দেহি??

২৪| ২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪

জুন বলেছেন: আপনার দেয়া চার নম্বর ছবির স্ট্যাচুটা যে সম্রাট শার্লামেন এর তাতো প্রথম মন্তব্যেই বলছি #:-S
এইভাবে মন্তব্য বন্যার ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেম কর্তাছেন নাকি B:-/
:P

২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার দেয়া চার নম্বর ছবির স্ট্যাচুটা যে সম্রাট শার্লামেন এর তাতো প্রথম মন্তব্যেই বলছি আমি কি না করছি? আপনের মাধ্যমেই তো হ্যারে আমি চিনলাম। :)
মাগার এর লগে ''মন্তব্য বন্যার ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেম'' এর বিষয়ডা বুঝবার পারলাম না। আমার মাথা কি সত্যি সত্যিই ভূয়া হয়া গেল নাকি? :((

২৫| ২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

জুন বলেছেন: /:)

২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘটনা কি? :(

২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপা, আপনার মন্তব্যগুলো আবার খুব ভালোভাবে পড়লাম।

আপনি সম্ভবতঃ সম্রাট শার্লামেনের বিষয়টা পোষ্টে আপডেট করিনি সেটা নিয়ে বলছেন। আবার এর সাথে সাথে ''মন্তব্য বন্যার ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেম'' বলাতে পুরো বিষয়টা জট পাকিয়ে গিয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল। যদিও পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে এখনও পুরাপুরি ক্লিয়ার না।

আসলে আমার এই ভ্রমন অনেক আগের। ছবিগুলোও তখনকার। তখন আমার যা অবস্থা ছিল, সেটাই পোষ্টে দিয়েছি। যেমন, তখন আমি ফ্রেন্চ কিছুই জানতাম না। বর্তমানে কিন্তু সে অবস্থা ততটা নেই। অফিসের কাজসহ বিভিন্ন কারনে আমাকে প্রায়ই প্যারিস দৌড়াতে হয়, কাজেই এতোদিনে আমি ফ্রেন্চ কিছুটা চালিয়ে নিতে পারি। তেমনিভাবে, সম্রাট শার্লামেনের বিষয়টা তখন জানতাম না, আপনি বলাতে এখন জানলাম, তাই ওটা আর এখন আপডেট করিনি, কারন ওই সময়ে কিন্তু এটা আমি জানতাম না। এটা আর কিছুই না, পোষ্টের সময়টাকে ধরে রাখার চেষ্টা। :)

আপনার তথ্যের উপর ভিত্তি করে এর আগেও আমার পোষ্ট ঠিক করেছি। মনে আছে, থাই ফুটবল টিমের কথা!

যাইহোক, পোষ্ট ঠিক করে দিয়েছি। আপনি হচ্ছেন ব্লগের ইবনে বতুতা। আপনার কাছ থেকে অনেককিছু শিখছি। বেড়ানো যদিও আমার শখ, তবু আপনার কারনেই আরো নতুন নতুন জায়গায় যাওয়ার উৎসাহ পাই। সুতরাং আপনাকে ক্রেডিট দেয়া কিংবা না দেয়ার ধৃষ্টতা আমার নেই। আপনি এমনিতেই আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল!!!

২৬| ২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তুমি কেনো সিগারেট খাও এতদিনে জানলাম! :P

২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কেন খাই? আমি নিজেই তো জানি না। :P

২৭| ২৫ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

পুলক ঢালী বলেছেন: ছবিগুলি দেখে ভীষন আপ্লুত হলাম। এধরনের ছবি দেখলে ভাবনার শাখা প্রশাখায় শিরা উপশিরায় হারিয়ে যাই কারন শিল্পীর বিমূর্ত ভাবনার মূর্ত উপস্থাপনায় হাতের দক্ষতার কথা ভাবলে মূক হয়ে যাই। নতরদামের প্রবেশ পথে যত ভাস্কর্য এগুলো তৈরীতে কত কত সময় ধৈর্য্য ব্যয় হয়েছে জানিনা আর এগুলোই শেষ নয় অসংখ্য অসংখ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

আপনি যে প্রেগনেন্ট নন তা জানলাম ;)
নেপোলিয়নের সাগরেদের সাথে বিয়ার খেয়েছিলেন মনে হয়। =p~
পোষ্টে ভাল লাগা রইলো। (ভুয়া নয় আসল কিন্তু)

২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোনরকমের আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া মূলতঃ শুধুমাত্র হাত দিয়েই এসব তৈরী করা হয়েছিল, বছরের পর বছর ধরে। কতোটা একাগ্রতা, ধৈর্য আর অধ্যাবসায় দরকার!! যত ভাবি, ততই আশ্চর্য হই।

আপনি যে প্রেগনেন্ট নন তা জানলাম ;) =p~
নেপোলিয়নের সাগরেদের সাথে বিয়ার না, শ্যাম্পেন খেয়েছিলাম। :)

২৮| ২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

শায়মা বলেছেন: তুমি না জানলেও আমি জেনে গেছি! হা হা হা

২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে......সে কি আর বলতে!:P

২৯| ২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




মোহনীয় রমণীয় ছবিতে ভরপুর। সুন্দরী মেয়েরা যেমন প্রত্যাখ্যান জিনিষটাকে অপছন্দ করে তেমনি অসুন্দর আমিও ভাস্কর্যের ছড়াছড়ির কথা শুনে ভাস্কর্য দেখতে না পাওয়াটাকে অপছন্দ করি! :`>
আমি তো আর প্যারিস যাইনি! এই দুঃখে আপনার মতো একটা সিগ্রেট এখন টানতেই পারি .............

২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তেমনি অসুন্দর আমিও ভাস্কর্যের ছড়াছড়ির কথা শুনে ভাস্কর্য দেখতে না পাওয়াটাকে অপছন্দ করি! নিজেরে যে অসুন্দর বলে, সে অসুন্দর হইতেই পারে না। লোকে যারে অসুন্দর বলে, সেই অসুন্দর। আর দুঃখিত! সারা পোষ্ট জুড়ে যদি শুধু ভাস্কর্যই দেখাই তাহলে লোকে আমাকে লাঠি নিয়ে তাড়বে। লাঠি আমি খুব ভয় পাই!! =p~

এই রে.....আপনি সিগারেট টানেন? আপনার কি জানা নেই যে, ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর! :P

৩০| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:১০

করুণাধারা বলেছেন: নেপোলিয়নের সাগরেদ নিয়ে রহস্য ক্রমশই ঘনীভূত করছেন... এনাকে নিয়ে ব‍্যাপক আগ্রহও সৃষ্টি হয়েছে। মা. হাসান মনে হয় রহস্য ভেদ করতে পারেন নাই! তাকে আপনার কবিতা লেখা সংক্রান্ত পোষ্টের লিংক দিয়ে একবার দেখা যায়, রহস্য ভেদ করতে পারেন কিনা!!

আমি ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে সাগরেদ সংক্রান্ত মন্তব্যগুলো পড়ছি...

২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে..............এটা কোনও রহস্যই না। যে কেউ চাইলেই বুঝতে পারবে। তাছাড়া ব্লগার মা. হাসানকে হিন্টসও দিয়েছি। ওনার মতো বুদ্ধিমান ব্লগারের জন্য এটা কোন ব্যাপারই না! ;)

৩১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

আমি সাজিদ বলেছেন: তিনটা পর্ব পড়া চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা ছিল। ইথান হকের বিফোর সানসেট দেখেই বোধহয় প্যারিসের প্রেমে পড়েছিলাম। কিংবা মুজতবা আলীর একটা ভ্রমন কাহিনী ছিল নিম্নমাধ্যমিকে প্যারিস নিয়ে, ওটা থেকেই শহরটাকে অন্য দৃষ্টিতে দেখা শুরু। তাই পোস্টের সাথে মানসিক সংযোগ এমন হল যেন আমি নিজেই ঘুরর আসলাম একবার। ধন্যবাদ ব্লগার।

সিগারেট না দিয়ে ভালো করেছেন। সেইন নদীর পাশে বসে জীবন নিয়ে যা ভাবলেন, সেই ভাবনার সারবস্তু একসময় জানালে বেশ ভালো লাগবে৷

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটা যে আইফেল টাওয়ার, এটা দেখার শখ তো ছিলোই, তারপরেও আমি প্যারিসের ব্যাপারে প্রথম আগ্রহী হয়ে উঠি সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা থেকে।

সেইন নদীর পাশে বসে জীবন নিয়ে যা ভাবলেন, সেই ভাবনার সারবস্তু একসময় জানালে বেশ ভালো লাগবে৷ আমি তো জেনুইন না, ভুয়া দার্শনিক। ভাবনার সারবস্তু আলাদা করে বর্ণনা করা আমার আয়ত্বের বাইরে। তবে, আমার বিভিন্ন লেখায় অবধারিতভাবেই তার প্রতিফলন থাকে। আসলে, যে কোনও লেখকের লেখা দিয়েই লেখককে, তার দর্শনকে চেনা যায়। এটা হলো আমার মত, আমি সেভাবেই দেখি। :)

আপনার সৌজন্যে আমিও আরেকবার স্মৃতি হাতড়ানোর সুযোগ পেলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.