নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইল অফ ওয়াইট। বৃটিশ দ্বীপপুন্জের মূল দ্বীপের দক্ষিনে লাগোয়া ৩৮৪ বর্গকিলোমিটারের একটা দ্বীপ। আমাদের হাতিয়া দ্বীপের চাইতে সামান্য একটু বড়। এর একদিকে মূল দ্বীপ আর অপরদিকে ইংলিশ চ্যানেল, যার ওপাশে ফ্রান্স। এই দ্বীপে বেড়ানোটা আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা। প্রধান কারনগুলো আপনাদের বলি।
১। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপারে আমার আগ্রহ সীমাহীন। সে’সময়ে সামরিক কৌশলগত দিক দিয়ে এটা জার্মানদের কাছে ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ভু-খন্ড। এটা দখল করতে পারলে জার্মানদের দু’টো প্রধান লাভ হতো। প্রথমতঃ বৃটেনের একেবারে দোড়গোড়ায় পৌছা আর দ্বিতীয়তঃ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুই বৃটিশ পোতাশ্রয় পোর্টসমাউথ এবং সাউথহ্যাম্পটন এর নিয়ন্ত্রণ গ্রহন; আর এটা যদি তারা করতে পারতো তাহলে বৃটিশ নেভির মেরুদন্ড প্রায় ভেঙ্গে যেত! ত্যাদড় বৃটিশরাও এই দ্বীপে এমন এক ঘাটি বানিয়ে রেখেছিল যেটা আমাকে প্রতিনিয়ত ''গানস অব নাভারন'' মুভিটার কথা স্বরণ করিয়ে দেয়। যাইহোক, শেষপর্যন্ত বৃটিশ বুদ্ধির কাছে হিটলারী বুদ্ধি আর পেরে উঠেনি, ফলে 'বদমাশ' বৃটিশদেরকে জন্মের শিক্ষা দেয়ার ইচ্ছাটা শেষ পর্যন্ত ফুয়েরারের স্বপ্নই থেকে যায়।
২। রোমানরা কিন্তু হিটলারের চেয়ে চালাক ছিল, কিংবা বলা যায় সে’সময়ে বৃটিশরা হয়তো তুলনামূলকভাবে বোকা এবং দূর্বল ছিল। এই ভুখন্ডে রোমানদের ৪০০ বছরের রাজত্বের শুরুর দিকেই ব্যাটারা আইল অফ ওয়াইট দখল করে নেয়। রোমানদের বেশকিছু স্থাপনা এখানে পাওয়া গিয়েছে। জানেনই তো, এ’ব্যাপারে আমি কতোটা আগ্রহী!
৩। এই দ্বীপটাকে ''ডায়নোসরদের দ্বীপ'' ও বলা হয়। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য ও প্রমানসাপেক্ষে বলা হয়ে থাকে, এখানে একসময় ২৫ প্রজাতীর ডায়নোসর বসবাস করতো!
৪। দি বিট্লস, আমার অত্যন্ত প্রিয় একটা ব্যান্ড। আমি কোন কাজ করতে করতে সবসময় গান শুনি, কিন্তু জন লেননের গাওয়া 'ইমাজিন' গানটা যখনই শুনি, অন্য কোন কাজ করি না, শুধুই গানটা শুনি। আইল অফ ওয়াইটের রাইড নামের শহরটায় এই বিট্লসদের অনেক স্মৃতি জড়িত।
আপনাদের হয়তো মনে হতে পারে যে আমি চাপাবাজি করছি। বৃটেনে এতোবছর ধরে আছি আর একটা বৃটিশ দ্বীপে আমি ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এখনও যাইনি। ঘটনা কি বিশ্বাসযোগ্য? তাহলে শোনেন, না যেতে পারার কারনগুলো একে একে বলি।
১। প্লেনে যাওয়া যায় সেখানে, কিন্তু তাহলে অনেককিছু মিস করবো। তাছাড়া, গাড়ী ছাড়া ওখানে গেলে পুরো দ্বীপের কোনা-কান্চি শান্তিমতো ঘোরা যাবে না। এদিকে, এতো দুরের রাস্তায় আরেকজন ড্রাইভার দরকার। সেটাই কায়দামতো পাচ্ছিলাম না। আমার বউ অবশ্য পারে, কিন্তু ওর হাতে স্টিয়ারিং ছেড়ে দিয়ে জান হাতে নিয়ে বসে থাকার কোন মানে নাই।
২। আমার বউ ঘোষনা দিয়ে রেখেছে, ওখানে গেলে সপরিবারেই যেতে হবে। আর এই ব্যাপারটাই আমার পছন্দ না। কেন? সেটা এই ভ্রমন শেষ হলেই জানতে পারবেন।
৩। বৃটেনে ঘোরাঘুরি খুব এক্সপেন্সিভ। এর চেয়ে কম খরচে ইউরোপ মেইনল্যান্ড ঘোরা যায়। আর সপরিবারে গেলে…….আসলেই গায়ে লাগে।
৪। বৃটিশ আবহাওয়া একটা বিরাট সমস্যা। বলা হয়ে থাকে, এমন ছন্নছাড়া আনপ্রেডিক্টেবল আবহাওয়া পৃথিবীতে একমাত্র জাপানে আছে যা কিনা ঘন্টার নোটিশে পরিবর্তিত হয়। বেড়ানোর জন্য ভালো আবহাওয়া জরুরী। আপনি পরিকল্পনা করলেন, দেখা গেল বেড়ানোর দিনগুলোতে এমন বাজে গ্লুমি ওয়েদার হলো যে, আপনার সব পরিকল্পনা মাঠে মারা গেল।
এসব কারনেই যাই যাই করেও যাওয়া হয়ে উঠছিল না। আপনাদেরকে কোন এক লেখায় সুমনা ভাবীর কথা বলেছিলাম না! গত দু’সপ্তাহ ধরে দেখি দু’জনের মধ্যে যখন-তখন ফুসুর-ফাসুর চলছে, আমি সামনে আসলেই কথার পরিবর্তন হয়। বুঝলাম, কোন একটা গভীর ষড়যন্ত্রের সূচনা চলছে। অবশেষে, বউ একদিন আমাকে বললো, শোনো, সামনের সপ্তাহে তোমার ছুটি আছে না? চলো, সবাই মিলে দু’দিনের জন্য আইল অফ ওয়াইট যাই।
বুঝলাম, এটা নিয়েই তাদের পরিকল্পনা চলছিল। না বোঝার মতো করে বললাম, এতো দুরের রাস্তা, আমিতো একা এতো এতো ড্রাইভ করতে পারবো না। আর তুমি স্বপ্নেও ভাইবো না যে, তোমারে মটরওয়েতে আমি গাড়ী চালাইতে দিব।
আমার বউ 'বগাকে ফান্দে ফেলা' মার্কা একটা বিশাল হাসি দিয়ে বললো, এই কথা বলে তুমি এইবার পার পাবে না চান্দু! তোমারে পাশে নিয়া আমি গাড়ী চালাইতেও চাই না, বহুত ডিস্টার্ব করো তুমি। গাড়ী তুমি আর রাশেদভাই (সুমনাভাবীর পতিদেব) চালাবা। হুহ, বারে বারে চালাকী!!
তো, কি আর করা; বুঝতে পারলাম এবার আর রেহাই পাওয়া যাবে না। পরবর্তী কয়েকদিনে হোটেল বুকিং এবং অন্যান্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাম। দুই পরিবারের গুড়া আর বুড়া মিলিয়ে জনসংখ্যা সাত জন। কাজেই চিন্তা-ভাবনা করে একটা নাইনসিটার ভাড়া করা হলো, যেন একটু হাত-পা খেলিয়ে ভ্রমন করা যায়। তারপর এক কাকডাকা ভোরে যাত্রা শুরু করলাম আইল অফ ওয়াইটের উদ্দেশ্যে।
কথা অনেক হলো। চলেন, এবার সচিত্র বর্ণনাতে যাই।
সাউথহ্যাম্পটন এসে সময়মতোই আমাদের ফেরীতে উঠলাম। এই ফেরীগুলোতে একটা ফ্লোরে মোটামুটি একই উচ্চতার গাড়ী উঠানো হয়, তারপর পুরোটা ছাদ নামিয়ে ফেলা হয়। এভাবে তিনতলার উচ্চতাকে দোতলার উচ্চতায় নামিয়ে আনা হয়, ফলে এরা একেকবারে অনেক গাড়ী নিতে পারে।
রেড ফানেল কোম্পানীর আরেকটা ফেরী, আমাদেরটার মতোই, শুধু নাম আলাদা। এই ফেরীগুলো ’সোলেন্ট প্রণালী’ দিয়ে আইল অফ ওয়াইট যাওয়া-আসা করে।
সোলেন্ট প্রণালী ইংলিশ চ্যানেলেরই একটা অংশ যেটা আইল অফ ওয়াইটকে মূল দ্বীপ থেকে আলাদা করেছে।
প্রণালীতে নোঙ্গর করা একটা প্রাচীন জাহাজের স্যাম্পল। এ’ধরনের জাহাজ দিয়েই একসময় এরা সারা দুনিয়াতে দাপিয়ে বেড়িয়ে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।
আইল অফ ওয়াইটের নিউপোর্ট শহরে পৌছে হোটেলে চেক-ইন করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম ক্যারিসব্রুক ক্যাসেল পরিদর্শনে।
ক্যারিসব্রুক ক্যাসেল বৃটিশ ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আপনারা মাইন্ড না করলে একটু ইতিহাস বলি, সংক্ষেপে। কারন আমার কাছে এটা ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। একাদশ শতাব্দীতে তৈরী এই দূর্গে রাজা প্রথম চার্লসকে প্রায় ১৪ মাস বন্দী করে রাখা হয়। পরবর্তীতে তাকে হাইকোর্ট অফ জাস্টিস এর বিচারের সম্মুখীন হতে হয় এবং রায় মোতাবেক ১৬৪৯ সালে লন্ডনে প্রকাশ্যে শিরোচ্ছেদ করা হয়। কথা হলো, সে’সময়ের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী একজন রাজার এই হাল কিভাবে হলো?
তখন চার্চ অফ ইংল্যান্ড প্রচন্ড ক্ষমতাশালী ছিল এবং আশ্চর্যের বিষয় হলো, পার্লামেন্ট অফ ইংল্যান্ডও অত্যন্ত ক্ষমতাধর ছিল। রাজা হিসাবে চার্লসের সেটা পছন্দ হয়নি। ত্যাড়ামীর অংশ হিসাবে এই দুই প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাহ্য করে উনি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে থাকেন। ফলে অবধারিতভাবে তাকে দু’দুটো গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন হতে হয় এবং দু’টোতেই উনি পরাজিত হন।
রাজা চার্লসের শিরোচ্ছেদের পর রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে ''কমনওয়েলথ অফ ইংল্যান্ড'' নামে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়। এটা অবশ্য মাত্র এগারো বছর স্থায়ী হয়। ১৬৬০ সালে প্রথম চার্লসের ছেলে 'দ্বিতীয় চার্লস' বৃটিশ রাজা হিসাবে অভিষিক্ত হন। বেশীরভাগ মানুষই জানে যে, বৃটেনে সবসময়ই রাজতন্ত্র চালু ছিল। আমিও তাই জানতাম। কিন্তু এটা জানতাম না যে, এগারো বছরের জন্য হলেও বৃটেন একসময় প্রজাতন্ত্র ছিল!!
ক্যারিসব্রুক দূর্গ
দূর্গের প্রতিরক্ষা
দূর্গের সর্বোচ্চ স্থান থেকে দেখা চারপাশের দৃশ্য। প্রথম ছবিটা কিন্তু পাহাড়ের গায়ে একটা কবরস্থানের!
দূর্গের ভিতরের মিউজিয়ামে রাজার ব্যবহৃত জিনিসপত্র আছে। সেসব ছবি দেখানোর কোন মানে নাই। তবে, চার্চটা বেশ সুন্দর। প্রথম ছবিটা মূল বেদীর, দ্বিতীয়টা ছাদের, আর তৃতীয়টা রাজা প্রথম চার্লস এর।
দূর্গের ভিতরের পানির সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল চমকপ্রদ। একটা বিশাল ট্রেড হুইলের মধ্যে গাধাকে হাটানো হয় এবং এর মাধ্যমে পাশের কুয়া থেকে পানি তোলা হয়। প্রথম ছবিতে গাইড পানি তোলার প্রক্রিয়া বর্ণনা করছে, দ্বিতীয়টাতে প্র্যাকটিক্যাল ডেমোন্সট্রেশান আর তৃতীয়টা জ্যাক এর ছবি। জ্বি হ্যা, এই গাধার নাম জ্যাক। বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, গাজীভাইয়ের গাধা-প্রীতির কথা মাথায় রেখে এর ক্লোজ শট নিয়েছি। এর সাথে গাইড ঠিক এ’ভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল, Meet Jack, he’s the naughtiest donkey in the castle!!!
আজ এ'পর্যন্তই। এরপর আমরা একটু এদিক সেদিক ঘুরে বেড়িয়ে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব সেরে সদলবলে হোটেলে ফিরে যাই।
ছবি আমার; তথ্য নেট, লিফলেট ও পুস্তিকার।
আইল অফ ওয়াইট ভ্রমন – ২
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেকদিন পর প্রথম কারো পোস্টে এটাতো অত্যন্ত খুশীর কথা।
এ'জন্যে আপনি আমাকে খাওয়াবেন নাকি আমি আপনাকে খাওয়াবো বুঝতে পারছি না। যাই হোক, বুকিং কবুল। পড়ার পর মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।
প্রথম হওয়ার জন্য আমার আন্তরিক অভিনন্দন নিন।
২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮
জুন বলেছেন: আপনাকে মনে হলো ইতিহাসের ছাত্র ? নাকি ভুয়া ভাবলাম ভুয়া মফিজ
The nation of a shop keeper বলে বৃটিশদের তুচ্ছ ভাবে সম্বোধন করা নেপলিয়ান বৃটিশ জাতিকে শুধুমাত্র নৌ শক্তিতে বলীয়ান বলে কখনো পরাজিত করতে পারে নি ।
আপনার ও সুমনা ভাবীর পরিবারের সাথে আইল অব ওয়াইট ঘুর ঘুর করে গেলাম,পরে আবার আসুমনে বিশদ মন্তব্য নিয়া
খালি খালি পুত্তুম প্লাচ দিলে অনেকে মাইন্ড করে তাই অনেক ব্যাস্ততার মাঝেও খানিকটা বক বক করে গেলাম ।
গানস অভ নাভারন এর গ্রেগরী পেকের চেহারা মনে করাইয়া দেওনের জন্য মাইনাস
আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে কি জানতে কইলে আমি একটা টিউটোরিয়াল ক্লাস নিতাম
+ ২
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি জীবনেও ইতিহাসের ছাত্র ছিলাম না। আমি ব্যবসা-বানিজ্যের ছাত্র। প্রাচীন যে কোন কিছুতেই যেহেতু আমার আগ্রহ.....তাই ইকটু ইস্টাডি করি আর কি!!
ব্রিটিশ নৌবাহিনীর কল্যানেই তো ১৯১৩ সাল নাগাদ পৃথিবীর মোট ভু-খন্ডের এক-চতুর্থাংশ বৃটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়েছিল। আর 'কিছু সময়ের জন্য হলেও ব্রিটিশ কলোনী ছিল' এই হিসাব করলে এটা আরো অনেক বেশী হবে।
গ্রেগরী পেকের সাথে আমার আরেক প্রিয় অভিনেতাও ছিল ওই মুভিতে......এন্হনী কুইন!
পরে আবার আসুমনে বিশদ মন্তব্য নিয়া অপেক্ষায় আছি!!
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫
ইসিয়াক বলেছেন: সেভ করে নিলাম। সময় করে পড়তে হবে।
ছবিগুলো খুব সুন্দর।
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ। পড়ার পরের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।
৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আইতাছি
নামাজ পইড়া......।আইতাছি
নামাজ পইড়া......।
বইয়া চকলেট খান
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এমুন কটকটি মার্কা চকলেট খাই না। কামুড় দিলে দাত ব্যথা করে!
আপনে সময় লন, অসুবিদা নাই।
৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৭
মা.হাসান বলেছেন: পিলাচ দিতে নাকি নাকি এখন অনেকেই ডরায়। শুনতে আছি হামু ব্লগে নাকি নিয়ম করছে পিলাচ দিলে মডুরা ভাইভা লইয়া আগে পরীক্ষা কইরা দেখে সত্য সত্য পইড়া পিলাচ দিল নাকি ভুয়া পিলাচ। ভুয়া পিলাচ দিলে নাকি জেনারেল কইরা রাখে। সামু ব্লগ জিন্দাবাদ, থুক্কু, জয় সামু ব্লগ, এইখানে ঐসব অসুবিধা নাই।
ঘুরাঘুরির পর তাড়াতাড়ি পোস্ট দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ।
বউএর হাতে সংসারের স্টিয়ারিঙ দিয়া দিলেন, ডরান না, আবার গাড়ির স্টিয়ারিঙ দিয়া ডরান কেন? আর বিবাহিত মানুষের হারানোর কি আছে? যা হোক পরের পর্বে সপরিবারে যেতে চাওয়ার অনীহার কারন ব্যাখ্যা করবেন আশা রাখি, অপেক্ষায় থাকবো।
ব্রিটেনের মতো আনপ্রডিক্টেবল আবহাওয়া জাপান ছাড়া কোথাও নাই একথা মানতে পারলাম না, কোন বিবাহিত পুরুষই মানতে পারবে না (আমার বউ ব্লগে আসে না, কাজেই ব্লগই আমার হাইড পার্ক)।
২৫ প্রজাতির ডাইনোসরের মধ্যে দু-একটা দেখলেন নাকি? ছবি দিয়েন।
রোমানদের চেয়ে বৃটিশরা বোকাই ছিল। জনশ্রুতি সতেরো শতকে বাংলাদেশে আসার পর নাকি এদের কিছুটা বুদ্ধিশুদ্ধি হয়। এর আগে নাকি এরা বেশ বোকা ছিল।
আপনার ইতিহাস বর্ননায় মাইন্ড করলাম না, ইতিহাস-ভূগোলে আমি বরাবর ডাব্বা মারা ছাত্র (অন্য গুলাতে কিন্তু আমি পেরায় গিপিএ ফাইপ , অল্প কিচু কম, -তিন-চার)। রাজার সাথে চার্চের গন্ডগোল অনেক পুরানা, এজন্য ব্যাটারা ধর্মটারে পর্যন্ত চেঞ্জ কইরা ফেললো। টি এস এলিয়ট মার্ডার ইন ক্যাথিড্রাল লিখছিলো, যদিও ঐটা আরো পুরাতন সময়ের ঘটনা।
জ্যাকই যে ঐদিন ক্যাসেলের নটিয়েস্ট গাধা তা এতবেশি করে ব্যাখ্যা দেয়া কি খুব জরুরী ছিল?
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের সুবিশাল মন্তব্য পইড়া টাসকি খায়া গেলাম। তাই উত্তর দিতে দেরী হইল....স্যরি!
আর যেই ডরাক আর না ডরাক, আপনে যে বীরপুরুষ, এইটা আমি জানি। তবে, আমাদের ব্লগে বীর মহিলাও কিন্তু কম না। উপরের মন্তব্যগুলায় চোখ বুলাইলেই টের পাইবেন।
বিবাহিত মানুষের হারানোর কি আছে? নিজের কাছে থাকার মধ্যে খালি জানটা আছে। এইটাও হারাইতে কন? আপনে শত্রু নাকি মিত্র বুঝতে পারতাছি না!
জনশ্রুতি সতেরো শতকে বাংলাদেশে আসার পর নাকি এদের কিছুটা বুদ্ধিশুদ্ধি হয়। এইটা খারাপ কন নাই। আমরা হইলাম গিয়া পরশ পাথর। অগো উন্নতি না হয়া কি উপায় আছিল?
জ্যাকই যে ঐদিন ক্যাসেলের নটিয়েস্ট গাধা তা এতবেশি করে ব্যাখ্যা দেয়া কি খুব জরুরী ছিল? এতো ব্যাখ্যা দেওনের পরেও তো বুঝলেন না। আপনেগো প্রশ্নফাস জেনারেশান কি খামাখা কয়? খালি ঐদিন না, জ্যাক সব সময়ের জন্যই নটিয়েস্ট। এইখানে বিস্তারিত দেখেন view this link
৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:২৩
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হা হা... ভাবীদের ষড়যন্ত্র থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারলেন না।
পোস্টে +
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কেউ কি কোনদিন পেরেছে? দু'একজনের নাম বলেন দেখি?
অবশ্য এটা আপনি বিবাহিত হলেই একমাত্র বুঝতে পারবেন। আশাকরি, সেই সৌভাগ্য আপনার হয়েছে।
৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সেই সৌভাগ্য আমার হয়নি। তয়, এদের ষড়যন্ত্র থেকে নিজেকে বাচানো যে চারটি-খানি কথা নয়; সেই অভিজ্ঞতা আছে।
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিয়ে না করলে এই অভিজ্ঞতা হওয়া সম্ভব না। এটা এমন একটা অভিজ্ঞতা, যেটা শুধুমাত্র....এবং শুধুমাত্র বিবাহিতরাই বুঝতে পারে।
এখন আপনি যদি আমাকে বলেন, আমাকে কোনদিন কুত্তায় কামড় দেয় নাই, কিন্তু কামড় দিলে কেমন লাগে তা আমি জানি। বলেন, সেটা কি আমি বিশ্বাস করবো??
৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এসব সুন্দর ভ্রমণ পোস্ট মনে লোভ জাগে। আল্লাহ তাআলা রিযিক যদি রাখেন সেখানে তবেই না যেতে পারবো।
ভাবী জিন্দাবাদ .... ছাই দিয়া ধরছে মারহাববা হাহাহা
বৃটেনে প্রজাতন্ত্র ১১ বছর ছিলো মাইগ্গো মাই
যারা সারা দুনিয়া দখল কইরা রাখছিলো তাদের দেশেও প্রজাতন্ত্র শাসন কায়েম ছিলো বাহ্
একসময় নাকি পৃথিবীতে সূর্যই ডুবতো না।
গাঁধার ছবিটা কারে মনে কইরা তুলছেন দেইখা হাসি লাগছে হাহাহা
ভ্রমণ পোস্ট অনেক ভালো লাগলো
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মনে লোভ জাগলে অবশ্যই বেড়াবেন। তবে, আল্লাহর চাওয়ার সাথে সাথে আপনাদেরও চেষ্টা থাকতে হবে; তা না হলে তো হবে না! এদের সূর্য তো আসলেই ডুবতো না, এদের দখল করা কোন না কোন দেশে সূর্য থাকতোই। কি দিন ছিল এদের একসময়, ভাবলে অবাক লাগে।
বৃটেনে প্রজাতন্ত্র ১১ বছর ছিলো মাইগ্গো মাই তথ্যটা জানার পরে আমিও 'মাইগ্গো মাই' কইছি। মিললো কেমনে???
৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অবশ্যই দারুণ ছবি ও লেখা।
ভ্রমণ ব্লগে+++++++
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
১০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কোন শহর থেকে ড্রাইভ করে সেখানে গিয়েছেিলেন?
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার শহরটা লন্ডন থিকা ৩১ মাইল দুরে। তয় শহরের নাম কমু না।
১১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্রিটেনে যে ১১ বছর রাজতন্ত্র ছিল না, সেটা এই প্রথম জানলাম। ভ্রমন কাহিনী ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই ভুয়া মফিজ।
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমিও জানতাম না হেনাভাই। দূর্গটার ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে জেনেছি। তাই ভাবলাম আপনাদেরও জানাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
১২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মফিজ ভাই,
কয়লা ধুইলা ময়লা যাইবে না, আমারও তেমনি স্বভাব যাবে না। না পইড়াই পেলাচ দিতাছি। ছবিগুলো খুব ভালো লাগতাছে। ++
পড়াশোনা কইরা পরে আসতাছি।
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বেশী ধুইতে যায়েন না আবার......ছাল-বাকলা উইঠা যাইতে পারে! তারচেয়ে ভালো; স্বভাব যেমন আছে, তেমনই থাকুক।
ভালো কইরা পড়াশোনা কইরেন কিন্তু, কুইজ জিগামু! না পারলে আপনে প্রশ্নফাস জমানার লোক হিসাবে পরিচিতি লাভ করবেন।
১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে আর ছবি গুলো দেখে ইচ্ছা করছে এই ঈদে আইল অফ ওয়াইট ভ্রমন করে আসি।
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তখন না আসাই ভালো। আইল অফ ওয়াইটে ঈদের কোন জামাত হয় না।
১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
তা'হলে, আপনি আনুমানিক ১৫০ মাইলের মতো ড্রাইভ করেছেব ওয়ানওয়ে?
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: না, ১২০ মাইলের মতো। ওটাই আমার শহর থেকে সাউথহ্যাম্পটনের মোটামুটি দুরত্ব।
১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
১২০ মাইল যেতে ২ জন ড্রাইভারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন আপনি?
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জ্বী। আইলসা মানুষ তো! একটানা বেশীক্ষন গাড়ী চালাইলে ঘুম আসে আমার।
১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি ভাবছিলাম, ব্যাপার কি? গত সপ্তাহে আমি ছেলেকে দেখতে ৬৪০ মাইল দুরে ড্রাইভ করে গেছি (ওয়ানওয়ে), ১১ ঘন্টা লেগেছে; ড্রাইভ করার সময়, গড়ে ২০০/২৫০ মাইল চালানোর পর, আমি চা খাবার জন্য ব্রেক নিই।
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুঝতে পারছি, আপনি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। এদিকে, আমি হলুম গিয়ে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি। দু'টার মধ্যে তফাৎ আছে না!!!
১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুট করে ফিরে এসে চট করে পড়ে ফেল্লাম আপনাকে ফাঁদে ফেলে চমৎকার এক ভ্রমণ গল্প !
ভাবী এন্ড সুমনা ভাবী রকস !
তথ্য এবং ছবি দুইটাই সুন্দর।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হুট করে ফিরে এসে চট করে পড়ে ঝট করে আবার চলে গেলেন। আজকাল ব্লগে আপনার আগমন-নির্গমন অনেকটা এমনই। ঘটনা কি? দিনকাল কেমন যাচ্ছে?
ব্লগের বয়োবৃদ্ধরা যদি এমন হয়ে যায়, তাহলে আমার মতো অল্পবয়সীদের কি হবে??
১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১০
আনমোনা বলেছেন: ভাবীর নিন্দা করবেননা। তার ঠেলাঠেলিতেই না বেড়াতে পারলেন। আর আমরাও এত সুন্দর একটা লেখা পেলাম। দুর্গ মনে হচ্ছে অনেক উচুতে? দুর্গে কি পুরোই সিড়ি বেয়ে উঠতে হয় না কোনো সর্টকাট আছে?
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাবীর নিন্দা করবেননা। নিন্দা করলাম কই! আপনি তো দেখি আমাকে বিপদে ফেলার পায়তারা করছেন!!
তার ঠেলাঠেলিতেই না বেড়াতে পারলেন অবশ্যই। সেজন্যেই তো আমি সকাল-বিকাল কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি।
দূর্গটা অবশ্য একটা পাহাড়ের উপরে, তবে যেতে কোন সিড়ি নাই। গাড়ী নিয়েই একেবারে কাছাকাছি চলে যাওয়া যায়। আপনি যেই সিড়ির কথা বলছেন, ওটা ওয়াচ টাওয়ারে উঠার সিড়ি। আর দূর্গের চারিদিকে যে ওয়াল আছে, সেটার সাথে প্রহরীদের ওয়াকওয়েও আছে; আর সেটাও বেশ উচুতে।
১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভ্রমন কাহিনী, ছবি সুন্দর হয়েছে। তয় বিটলস আপনার প্রিয় ব্যন্ড কেমনে হইল!! আপনি কোন জমানার?
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তয় বিটলস আপনার প্রিয় ব্যন্ড কেমনে হইল!! আপনি কোন জমানার? আপনের মতো একজন যুক্তিবাদীর এইধরনের যুক্তি দেইখা আমি হতাশ।
কিছু গান, ব্যক্তি বা ব্যান্ড যাই বলেন না কেন..........কালোত্তীর্ণ। এখন রবীন্দ্রসঙ্গীত যদি কারো সবচেয়ে প্রিয় হয়, এর মানে কি সে রবীন্দ্র জমানার?
যাকগে, ভ্রমন কাহিনী, ছবি আপনার ভালো লেগেছে.......সেজন্যে ধন্যবাদ।
২০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:০৩
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিয়ে না করলে এই অভিজ্ঞতা হওয়া সম্ভব না। এটা এমন একটা অভিজ্ঞতা, যেটা শুধুমাত্র....এবং শুধুমাত্র বিবাহিতরাই বুঝতে পারে।
এখন আপনি যদি আমাকে বলেন, আমাকে কোনদিন কুত্তায় কামড় দেয় নাই, কিন্তু কামড় দিলে কেমন লাগে তা আমি জানি। বলেন, সেটা কি আমি বিশ্বাস করবো?? -
বিয়া না করলেও বাড়িতে দুইডা ভাবী আছে। ভাইগুলা দেশা না থাকায় হেতেরা মোরে বহুত জ্বালাইছে। এতে ষড়যন্ত্রের শিকার হইয়া পাহাড় টিল্লা নদী সমুদ্রে তাদের পিছে পিছে তাদের আনটি-ভ্যানেটি ইত্যাদি লইয়া ঘুরতে হয়েছে। সে এক বিশাল ইতিহাস!!
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে তো দেখি ব্যাতিক্রমীভাবে অভিজ্ঞ একজন মানুষ! মানুষ, আইমিন পুরুষ মানুষ যে জ্ঞান নিজের জীবন-সর্বস্ব দিয়ে লাভ করে, সেটা আপনি বলতে গেলে প্রায় এমনি এমনিই পেয়ে যাচ্ছেন...........এহেন ভাবীদের প্রতি আপনার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত!
২১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দারুণ লাগলো।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: তখন না আসাই ভালো। আইল অফ ওয়াইটে ঈদের কোন জামাত হয় না।
হায় হায়-----
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হায় হায়-----
২৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
এক কথায় দারুন পোস্ট। +++
সুযোগ করে এই পোস্টটিতে আপনার ঘুরে আসার প্রতীক্ষায়-
মানুষের সম্মান ও মর্যাদা এবং কাউকে অবজ্ঞা ও উপহাস করার পরিণতি
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ নকীবভাই।
আপনার পোষ্ট আমি সবসময়ই পড়ি। তবে ঝট করে গিয়ে পড়া যায় না; সময় নিয়ে খুব আস্তে-ধীরে, বুঝে-শুনে পড়তে হয়। এটাও অবশ্যই পড়বো।
২৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৫
জুন বলেছেন: ভুয়া মফিজ কথা মত আবার আসলাম । আপনার লেখায় প্রথম চার্লসের শিরোচ্ছেদে মৃত্যুর কথা উঠে এসেছে । হত্যার আগে তিনি দুটি শার্ট চেয়েছিলেন কারন ঠান্ডার দেশে শীতের জন্য যদি তার শরীর কেপে উঠে তাহলে লোকজন তাকে ভীরু ভাববে ।
তবে শিরোচ্ছেদের ব্যাপারে পটু ছিলেন অস্টম হেনরী । আর সেটা প্রয়োগ করেছিলেন তার একাধিক স্ত্রীর উপর । যাই হোক রাজ রাজড়াদের ব্যাপার স্যাপারই আলাদা , আমরা আম জনতা জাহাজের খবর নিয়ে লাভ কি (দীর্ঘশ্বাসের ইমু হবে )
সেদিন পেপারে পড়লাম ফ্রান্সে বিশাল ডাইনোসরের হাড় পাওয়া গেছে । জ্যুরাসিক পার্কে তো দেখছি তেনারা উইড়া উইড়া চলাচল করে । সুতরাং ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া তাদের জন্য কোন ব্যাপারই না ভুয়া ।
আর বিটলসের গায়কদের মধ্যে আমার স্যার পল ম্যাকার্টনি আগেও প্রিয় ছিল এখনো প্রিয় লিষ্টিতে ।
জ্যাক এর চেহারা দেইখাই মনে হইতাছে তিনি প্রফাজে যাই হোক মিষ্টি দেখতে গাধাটিকে আমার প্রানঢালা শুভেচ্ছা জানিয়ে দিয়েন
ছবিগুলো বড়ই সৌন্দর্য্য । পরের পর্বের অপেক্ষায় ।
আর গুপুন কথাটা অবশ্যই পড়ের পর্বে কইবেন বইলা আশা রাখি
শুভকামনা ভুয়া
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথমেই কথা রাখার জন্য আপনেরে ধন্যবাদ।
প্রথম চার্লস আর অস্টম হেনরীর আরো কিছু ইতিহাস জানা হলো। তবে, রাজ রাজড়াদের ব্যাপার স্যাপারই আলাদা, সেই কারনেই শিরোচ্ছেদ এদের কাছে ডাইল-ভাত। সেইটা নিজের জন্যই হোক আর অন্যের।
উইড়া চলা ডাইনোসরের জন্য জ্যুরাসিক পার্কে যাওনের কাম কি? আমাগো ব্লগেই তো একখান আছে! আর্কিও.....না কি জানি একটা খটোমটো নাম!
বিটলস আমার প্রিয় শুইনা ঢাবিয়ান জিগাইছে আমি কোন জমানার লোক। তহন একটু মন খারাপ লাগলেও আপনেরে দেইখা শান্তি লাগতাছে (আনন্দে আকাশে উড়ার ইমো হবে)!
মিষ্টি চেহারার গাধা.....হে হে হে। পরেরবার গেলে আপনের শুভেচ্ছা কানে কানে দিয়া আসুম নে। সাথে থাকনের লাইগা আপনেরে ধন্যবাদ। এর লাইগাই তো অনেক উৎসাহ, আনন্দ আর উদ্দীপনার সাথে পোষ্টাইতে পারি!!!
২৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪
অন্তরা রহমান বলেছেন: তুখোড় পোস্ট। এইসব পোস্ট দেখলে কষ্ট পাই, কবে যে বিদেশ যাওয়া হবে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মেয়েদের জন্য বিদেশে সেটল হওয়া সহজ। সমস্যা হলো, আপনি বিয়ে করে ফেলেছেন।
তুখোড় পোস্ট। ধন্যবাদ। ২য় পর্ব শিঘ্রই আসিতেছে। সাথে থাকবেন আশাকরি।
২৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
মফিজ ভাই ,
প্রথম মন্তব্যকারীকে ধোঁয়া উঠানো চা দিয়ে বরণ করা হয় দেখেন না যার যার ব্লগ বাড়িতে । অবশ্য আপনাকেও আমার খাওয়ানো উচিত কারণ এতো পরিশ্রম করে খুব সুন্দর উপস্থাপনা ও বর্ণনায় একটি জায়গায় ছবি ব্লগের মাধ্যমে ঘুরিয়ে নিয়ে এলেন। অনেক তথ্যবহুল পোস্ট এবং পড়ে অনেক কিছু জানতে পাড়লাম ।
আরেকটি কথা , ভাবীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন উদ্যোগের জন্য।
পরবর্তী পর্বগুলো জন্য অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা রইলো ।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগে যেসব খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় এগুলো ভুয়া, খাওয়া যায় না; শুধু শুধু লোভ জাগানো হয়। তাই আপনাকে দেই নাই। যদি কোনদিন আল্লাহ সুযোগ দেন, আপনাকে জেনুইন খাবারই খওয়াবো।
ভাবীকে আপনার ধন্যবাদ জানিয়েছি। সেও আপনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
পরের পর্ব শীঘ্রই আসিতেছে। সাথেই পাবো আশা করছি।
২৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫২
আখেনাটেন বলেছেন: এখানে আগেই নাতিদীর্ঘ একটি মন্তব্য করেছিলুম মনে হচ্ছে। সেটা গেল কই। একি ভ্রম!
ভ্রমণ পোস্ট ভালো পাইছি। ছবিগুলোও ভালো লাগছে।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখানে মন্তব্য করেন নাই। লাইক দিয়ে হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন। এ'ব্যাপারে আমার মনে অবশ্য একটু খটকা লেগেছিল....তবে মনকে শান্তনা দিয়ে ভেবেছি, সম্রাটকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়; ভুলে গিয়েছেন নিশ্চয়ই!
অবশেষে আপনার মন্তব্যে পোষ্টখানি পূর্ণতা পেলো।
২৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২০
আখেনাটেন বলেছেন: না, না লিখেছিলুম। তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নতুবা নেট বিভ্রাট জনিত কারণে হয়তবা পোস্ট হয় নাই। অথচ আমি মনে করেছিলুম পোস্ট হয়েছে। এর পর আর ব্যাপারটা খেয়াল করি নাই। আজকে এসে গাধাজনিত প্রতিমন্তব্য( আমার মন্তব্যে সুন্দরী গাধাটা নিয়ে বেশ ভয়ঙ্কর রসময় কিছু কথা ছিল আমার মনে আছে ) কি হতে পারে সেটা দেখতে গিয়ে দেখি মন্তব্যই হাপিশ। এতে অবশ্য আপনার হাত নেই। হাত ঐ বিদ্যুৎওয়ালা কিংবা নেটওয়ালার।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সুন্দরী গাধাটা নিয়ে বেশ ভয়ঙ্কর রসময় কিছু কথা ছিল ওহ হো, বিরাট মিস। দেখেন, অন্ততঃ এ'টুকু মনে করতে পারেন কিনা!
উন্নয়নের মহাসড়কে তীব্রগতিতে এগিয়ে চলা একটা দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নতুবা নেট বিভ্রাট কেন হবে? আফসোস!! শান্তিতে ব্লগিং করারও উপায় নাই দেখছি!!!
২৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭
আখেনাটেন বলেছেন: উন্নয়নের মহাসড়কে তীব্রগতিতে এগিয়ে চলা --কয়েক বছর আগেও দেশের বাড়িতে(নওগাঁ) যেতে লাগত ৫/৬ ঘন্টা। আর এখন লাগে ১০/১২ ঘন্টা। ঢাকা শহরের কথা নাই বা বললুম।
নন-সাসটেইনেবল উন্নয়নের ভোগান্তি জনগণকে হাড়ে হাড়ে টের পেতে হচ্ছে ডেঙ্গুতে। জাতির প্রতি/সমাজের প্রতি/জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকলে; কোনো কাজে জবাবদিহিতা না থাকলে পাহাড়সম উন্নয়ন গাঁথাও যে জনগণের গলার কাঁটা হতে পারে তা বাংলাদেশের জনগণ পলে পলে টের পাচ্ছে।
আশা করি গনতন্ত্রের মানসকন্যা নিদারুন সত্যটা উপলব্ধি করে জনগণের প্রকৃত বিকাশে রাষ্ট্রের কলকব্জাকে নিয়োজিত করবেন। আম-আদমি হিসেবে এর চেয়ে আর কি-ই-বা বলা যেতে পারে। বেশি বললে তো... সেখানেও মাথার উপর খড়গ ধরে রেখেছে।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: উন্নয়নের মহাসড়কে তীব্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিকই....তবে পেছনদিকে। না হলে এই অবস্থা কেন হবে? সরকার কিছু দৃশ্যমান কাঠামো তৈরী করে উন্নয়ন দেখাচ্ছে। আর কিছু গাধা (জ্যাকের মতো না, ওটা বৃটিশ!) সেটা দেখে উদ্বাহু নৃত্য করছে। অশিক্ষা আর তৈলবাজী এর প্রধান কারন।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দূর্ণীতি দূরীকরণ......এসব বিষয়ে কোন অগ্রগতি না থাকলে দেশ এগুবে কিভাবে?
আশা করি গনতন্ত্রের মানসকন্যা নিদারুন সত্যটা উপলব্ধি করে জনগণের প্রকৃত বিকাশে রাষ্ট্রের কলকব্জাকে নিয়োজিত করবেন। আম-আদমি হিসেবে এর চেয়ে আর কি-ই-বা বলা যেতে পারে। ঠিক বলেছেন। আল্লাহর পরে উনিই আমাদের শেষ ভরসা। তবে, লক্ষণতো কোনমতেই সুবিধার মনে হচ্ছে না!
৩০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫
পুলক ঢালী বলেছেন: দারুন সুন্দর বর্ননার সাথে সুন্দর সুন্দর ছবি। ভাগ্যিস নেপোলিয়নের সাগরেদ আপনাকে ফান্দে ফেলেছিল তা না হলে আমরা এত সুন্দর একটা পোস্ট পেতাম কি করে ?
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।(আপনাকে না )
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে ''ফান্দে পরিয়া বগা কান্দেরে'' গানটা মনে পরে গেল।
আমাকে না দিলেও ধন্যবাদ আমিই নিয়ে নিচ্ছি....পোষ্টটা তো আমারই, কাজেই আমিই এর আসল হকদার।
পোষ্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: বিনা খরচে আইল অফ ওয়াইট ভ্রমন করে নিলাম।
মনে হচ্ছিল আমিও আপনার ভ্রমন সঙ্গি।
পোষ্টে ++
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিনা খরচে আইল অফ ওয়াইট ভ্রমন করে নিলাম। ভালো তো, আমিও কিছু সঙ্গী-সাথী পাচ্ছি। সম-রুচির মানুষদের সাথে ভ্রমনের মজাই আলাদা।
৩২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১১
মাহের ইসলাম বলেছেন: ছবিগুলো খুব পছন্দ হয়েছে।
ভ্রমনের গল্পের মধ্যে একটু আধটু ইতিহাস না আনলে, গল্পে প্রাণ আসে না।
ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা রইল।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভ্রমনের গল্পের মধ্যে একটু আধটু ইতিহাস না আনলে, গল্পে প্রাণ আসে না। সঠিক উপলব্ধি। শুধু ছবি দেখিয়ে যাওয়ার কোন মানে নাই। পটভূমি জানলে ছবি দেখেও ভালো লাগে, ছবিতে প্রান-সন্চার হয়।
আপনার জন্যেও শুভ কামনা।
৩৩| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
নিয়াজ সুমন বলেছেন: প্রাচীন জাহাজের নমুনটাটি একসময় টিভি সিরিয়াল সিন্দাবাদ এ দেখেছি মনে হচ্ছে।
চমৎকার পোস্ট। বিশেষ করে র্দুগ ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হতে পারে! বলা যায় না.......হয়তো এটাতেই শুটিং হয়েছিল!!
বৃটেনে দুর্গের অভাব নাই। প্রচুর আছে, প্রচুর। এরা একসময় সবাই সবার সাথে মারামারি-কাটাকাটিতেই ব্যস্ত ছিল। সেজন্যেই মনে হয় এতো দুর্গ।
৩৪| ২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
নিয়াজ সুমন বলেছেন: বুঝতে পারলাম তেনারা অসভ্য সমাজ থেকে উঠে এসে এখন সভ্যতার মুখোশ পড়ে আছে।
এই দিকে আমাদের পুরোনো সভ্যতা ছেড়ে আমরা দিন দিন অসভ্য হয়ে পড়ছি।
বাহ! প্রকৃতির চমৎকার খেলা।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি চমৎকার একটা কথা বলেছেন। খুবই সত্যি। তবে প্রশ্ন হলো, সভ্যতার যে ডেফিনেশান, এটা কিন্তু উনাদের করা। আসলে এটাতো স্থান-কাল-পাত্রভেদে পরিবর্তিত হয়, তাই না। যেমন, হাত দিয়ে খাওয়া এখানে একধরনের অসভ্যতা। আবার আমাদের অন্চলে এটাই সভ্যতা। ঠিক বললাম কি?
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:০০
মুক্তা নীল বলেছেন:
মফিজ ভাই ,
আমি প্রথম বুকিং দিলাম , পড়ে এসে মন্তব্য
করে যাব । অনেকদিন পর প্রথম কারো পোস্টে ।