নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কান নিয়েছে চিলে, বলে চিলের পেছনে দৌড়ানো; তিলকে তাল করা কিংবা হুজুগে বাঙ্গালী, ইত্যোকার বাগধারা বলেন আর প্রবাদবাক্যই বলেন, এগুলোর উৎপত্তি কিন্তু আমাদের, বাঙ্গালীদের একটা বিশেষ গুনকে উদ্দেশ্য করে। সেটা হলো আমরা কোন একটা বিষয় পেলে ক্রমাগত কচলাতে থাকি। কচলাতে কচলাতে সেটার ছাল-বাকলা সব তুলে ফেলি যতোক্ষন পর্যন্ত না কচলানোর আরেকটা বিষয় পাওয়া যায়। তেমনই একটা কচলা-কচলি গত বেশকিছুদিন ধরে দেখছি। ফেবুতে আমি যাই না, তবে শুনি অনেক কিছুই। ব্লগেও পক্ষে-বিপক্ষে এই ধারা অব্যাহত আছে। অনলাইন পত্রিকাগুলোতেও প্রায়শঃই নিউজ দেখি। ভাবছিলাম শুধু দেখেই যাই……কিন্তু শেষপর্যন্ত ভাবলাম, নাহ, একজন বাংলাদেশী বাঙ্গালী হিসাবে আমারও কচলা-কচলি করার অধিকার আছে। তাই কি-বোর্ড নিয়ে বসে পড়লাম।
এমনিতেই আমাদের দেশে গুরুতর সমস্যার শেষ নাই, তার মধ্যে হালে একটা বিশাল সমস্যা বা বিতর্ক যাই বলেন, দেখা দিয়েছে। বলছিলাম, নোবেলের জাতীয় সঙ্গীত সংক্রান্ত মন্তব্যের কথা। একটা ছোট্ট বিষয়, আর এটা নিয়েই সরগরম দেশ ও বিদেশ (বিদেশ বলতে ওইপাড়!)। কি বলেছে নোবেল?
সারেগামাপা’র গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে নোবেল গেয়েছিলো 'বাংলাদেশ' গানটি। এই গানের গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। গানটি পরিবেশনের পর নোবেল অনুষ্ঠানে বলেছে, 'বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের চেয়েও এসব গান তাকে ও অনেককে বেশি আলোড়িত করে।' আর সেজন্যেই এখন তার সমালোচনা করা হচ্ছে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার জন্যে। জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা? সিরিয়াসলি? ও কি জাতীয় সঙ্গীত কে গালি দিয়েছে? অপমানসূচক কোন কথা বলেছে? না। তাহলে অবমাননা কিভাবে হলো?
এর প্রতিক্রিয়া যতোই দেখছি, ততোই আমার রাগ হচ্ছে। ফেসবুকারদের কথা বাদ। কিন্তু যেসব নামীদামী লোকজন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন, তারা কি বুঝে-শুনে দেখাচ্ছেন?
সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী বলেছেন, 'দেশের জাতীয় সংগীতকে নিয়ে কোনোভাবেই কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। আসলে সবার আগে নিজের দেশের জাতীয় সংগীতকে ভালোবাসতে হবে। সে যেমনই হোক।' নোবেল তো কোথাও বলে নাই যে, সে জাতীয় সঙ্গীতকে ভালোবাসে না। এটা দেখে একটা ঘটনায় দেশের কিছু আতেল সঙ্গীত শিল্পীর আতলামোর কথা মনে পড়ে গেল। বেশ অনেকদিন আগে বাংলাদেশের এক ইউরোপ প্রবাসী মেয়ে একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার অংশ হিসাবে ফিউশানধর্মী কয়েকটা রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়েছিল তার কিছু ওইদেশীয় বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে। এটা নিয়ে দেশে বসে আমাদের গুনী কিছু সঙ্গীতশিল্পী দুঃখে কাইন্দালাইলো এই বলে যে, রবীন্দ্র সঙ্গীতকে বিকৃত করা হচ্ছে ! এই গুনী সঙ্গীতশিল্পীরাই কেউ একটা টু-শব্দও করে নাই যখন অমিতাভ বচ্চন বিজাতীয় উচ্চারনে 'কাহানী' মুভিতে ফিউশানধর্মী ''যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে'' গায়। কেন এই দ্বৈততা?
আমার তো ওই মেয়ের গানগুলো যেমন ভালো লেগেছিল, তেমনি অমিতাভের গাওয়া গানটাও ভীষণ প্রিয়।
দুঃখের সাথে দেখলাম, আমাদের দুই মাননীয় মন্ত্রীও এতে শামিল হয়েছেন। এনারা হলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এবং পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী তো বলেই বসলেন, 'যারা বলে পতাকা বদলাও, যারা বলে জাতীয় সঙ্গীত বদলাও, তারা স্বাধীনতাবিরোধী। এদের শেকড় জাতির পিতার খুনিদের সাথে।' একেই বলে, তিলকে তাল করা!
এদিকে নোবেলের ভাইরাল হওয়া এই সাক্ষাৎকারটি দেখার পরই তাকে চাবুক মারতে চেয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। এই বদের বদ মহিলাকে বলবো, আপনার নিজের দেশেই চাবুক মারার মতো কাজ করা অনেক সাবজেক্ট আছে। তাদেরকে মারুন গিয়ে। আমাদের দেশের ব্যাপার, আমরা বুঝবো। আপনার নোংরা নাক এখানে না গলালেও চলবে। ’মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশী’ বোধহয় একেই বলে!
নোবেল আমাদের জাতীয় সঙ্গীতকে কোন অবমাননা করেনি, শুধু তার ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছে। এই মতামত প্রদান তার সংবিধান সম্মত অধিকার। আমাদের সংবিধানের পার্ট থ্রি (FUNDAMENTAL RIGHTS)তে Freedom of thought and conscience, and of speech এর অধীনে বলা আছে,
39. (1) Freedom of thought and conscience is guaranteed.
(2) Subject to any reasonable restrictions imposed by law in the interests of the security of the State, friendly relations with foreign states, public order, decency or morality, or in relation to contempt of court, defamation or incitement to an offence–
(a) the right of every citizen to freedom of speech and expression; and
(b) freedom of the press,
are guaranteed.
নোবেল শুধু তার চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে, এটা তার অধিকার। আর প্রত্যেক নাগরিকের এই অধিকারকে নিশ্চিত করা হয়েছে আমাদের সংবিধানে। এটা কেড়ে নেয়ার অধিকার তাই কারোরই নাই। ব্লগে যারা নোবেলের বিরুদ্ধে বলছেন, তার কন্ঠরোধ করতে চাইছেন, তাদের তাহলে সামু'র কন্ঠরোধ (ব্লক) করাকেও সমর্থন করার কথা। সেটা তো করছেন না…..নাকি করছেন? সেলুকাস! সত্যিই কি বিচিত্র আমাদের মন-মানসিকতা!!
জাতীয় সঙ্গীত কোন আসমানী কিতাবের অংশ না যে, এর কোন পরিবর্তন করা যাবে না। আমাদের সংবিধানকেই তো পরিবর্তন করা যায়, করা হয়েছেও। কাজেই সরকার চাইলে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় সঙ্গীতও পরিবর্তন করতে পারে। করবে কি করবে না, সেটা সরকারের ব্যাপার। আমাদের মতো সাধারন জনগনের কথায় তো আর পরিবর্তন হবে না! কিন্তু তাই বলে মতামত কেন দেয়া যাবে না? বিশ্বের বহুদেশ বিভিন্ন সময়ে তাদের জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তন করেছে। অনেক দেশ তো একাধিকবারও করেছে। এসব উদাহরন খুজলে নেটেই পাবেন প্রচুর। সেসব দেশের জনগনের কি সমস্যা হয়েছে?
অনেকে বলছেন, জাতীয় সঙ্গীতের সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, আবেগ জড়িত। তাদেরকে বলবো, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, আবেগের সাথে যে পতাকা জড়িত ছিল সেটার কি পরিবর্তন হয় নাই? আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যেই পতাকাকে সন্মানের সাথে স্যালিউট করতেন, বুকে নিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তেন সেটা কি বিজয়ের পরে ১৯৭২ সালের ১৭ই জানুয়ারী পরিবর্তিত হয় নাই? তাহলে? আবেগ ভালো, তবে অতি-আবেগ ভালো না।
আমার কাছে তো কথা, সূর.......সবমিলিয়ে আমাদের দেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ধন্যধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা; তাহার মাঝে আছে দেশ এক- সকল দেশের সেরা; এই গানটিকেই অধিকতর উপযুক্ত মনে হয় সবসময়। ক্ষমতা থাকলে আমিই বদলে দিতাম, নিশ্চিত! আমি এটা প্রায়ই একা একা গাই। তবে,
ভায়ের মায়ের এমন স্নেহ কোথায় গেলে পাবে কেহ?
– ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি,
আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।।
এই লাইন কয়টা গাইতে পারি না, কান্না চলে আসে। তাই বলে আমাদের জাতীয় সঙ্গীতকে তো অশ্রদ্ধা করি না কখনও! নিজের বাসায় বসে টিভি দেখতে গিয়ে খেলা বা যে কোন ইভেন্টে জাতীয় সঙ্গীত বাজলে আমি দাড়িয়ে যাই। বুকে হাত দিয়ে বলেন তো, আপনারা ক’জন এই কাজ করেন?
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গানটার কথা দিয়ে দিলাম, আর এর নীচে গানটার লিঙ্ক। অনেক শুনেছেন নিশ্চয়ই, আরেকবার শুনে দেখেন!
ধন্যধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা;
তাহার মাঝে আছে দেশ এক- সকল দেশের সেরা;
ওসে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি তিয়ে ঘেরা;
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সে যে- আমার জন্মভূমি।
চন্দ্র-সূর্য গ্রহ তারা, কোথায় উজল এমন ধারা!
কোথায় এমন খেলে তড়িৎ এমন কালো মেঘে!
তারা পাখির ডাকে ঘুমিয়ে, ওঠে পাখির ডাকে জেগে,
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রানী সে যে- আমার জন্মভূমি।
এতো স্নিগ্ধ নদী কাহার, কোথায় এমন ধুম্র পাহাড়;
কোথায় এমন হরিৎক্ষেত্র আকাশ তলে মেশে।
এমন ধানের ওপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস কাহার দেশে।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রানী সে যে- আমার জন্মভূমি।
পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখী; কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি
গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে-
তারা ফুলের ওপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রানী সে যে- আমার জন্মভূমি।
ভায়ের মায়ের এতো স্নেহ কোথায় গেলে পাবে কেহ?
ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি,
আমার এই দেশেতে জন্ম যেন, এই দেশেতে মরি
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রানী সে যে- আমার জন্মভূমি।
ধন্যধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
আমরা সাধারন জনগন সবাই দেশকে ভালোবাসি। তাই বলে এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কিছু নাই। দেশপ্রেম কোন দেখানোর বা জাহির করার বিষয় না; অনুভবের বিষয়, বুকে লালন করার বিষয়। আসুন, আমরা সবাই তাই করি। অন্যদেরকেও উৎসাহ দেই। দেশের হাজারো সমস্যা আছে, সেদিকে নজর দেই। অহেতুক ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করে নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিতে কি আদৌ লাভ আছে কোন?
আমাদের দেশমাতৃকার এখন দরকার প্রকৃত দেশ-প্রেমিক সন্তান। তাতেই দেশের মঙ্গল, নয় কি!!!
ছবি: নেট থেকে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কচলা-কচলির ভুবনে আপনাকে স্বাগতম। একজন বাংলাদেশী বাঙ্গালী হিসাবে এটা আপনার অধিকার। এটা ভুলবেন না কখনও।
আমিও এসব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তবে কি করবো, রক্তে আছে......মাঝে-মধ্যে এড়াতে পারি না।
এই বিতর্ক নিয়েও ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটা পোষ্ট এসে গিয়েছে। আরো আসবে হয়তো। তবে আমাদের অন্যদিকে মন দেয়া উচিত। দেশে সমস্যার কোন অভাব নাই। জাতীয় চরিত্র - শতভাগ পরিবর্তন হতে আরো সময় লাগবে। অত্যন্ত সঠিক কথা বলেছেন।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪
খোলা মনের কথা বলেছেন: কোন পায়ের পাজামা কোন পায়ে ঢুকালেন বুঝলাম না। এখানে যারা বিরোধীতা বা জাতীয় সংগীতের পক্ষে না তাদের অধিকাংশের কারন এটি ভারতের লেখকের লেখা তার জন্য। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ও ভারতের কবি।
আসলে জাতি হিসাবে খুব অদ্ভুদ জাতি আমরা। সব জায়গায় দেশ প্রেম, চেতনা ইত্যাদি আওড়ায়ে জীবন পার করে দিই অথচ সারা জীবন কাজ করি উল্টা....
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোন পায়ের পাজামা কোন পায়ে ঢুকালেন বুঝলাম না। ভালো করে আবার পড়ুন, বুঝতে পারবেন।
আসলে জাতি হিসাবে খুব অদ্ভুদ জাতি আমরা। সব জায়গায় দেশ প্রেম, চেতনা ইত্যাদি আওড়ায়ে জীবন পার করে দিই অথচ সারা জীবন কাজ করি উল্টা এটা একটা মুল্যবান কথা বলেছেন।
এখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টাই বরং করি......কি বলেন!
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
কবি গুরুর লেখা জাতীয় সংগীত অনন্য। তার চেয়ে বেটার হলেই কেবল পরিবর্তনের দাবী আসতে পারে।
আমাদের বেশ কিছু চমৎকার দেশাত্ববোধক গান আছে। ধনধান্যে ভরা গান/কবিতা খানি দারুন একটি উদাহারণ।
হবে হ্্যা । নোবেলে বাকস্বাধীনতা আছে। সে বলে চাবুক খাওয়ার মত অন্যায় করেনি।।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের বর্তমান জাতীয় সঙ্গীত অনন্য, কোন সন্দেহ নাই। তবে, জাতীয় সঙ্গীত বিভিন্ন কারনেই পরিবর্তিত হতে পারে। কথা হচ্ছে, সেটা করার জন্য একটা সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ আছে আর এ’ক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।
কেউ চাইলে তার ব্যক্তিগত মতামত দিতেই পারে। জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা না হলে শুধু শুধু বিতর্কের কোন মানে দেখি না। কথা হলো, নোবেলের বাকস্বাধীনতায় বাধা দেয়াটা কতোটুকু যুক্তিযুক্ত?
আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছোটখাট ব্যাপার নয়।
সব কিছু এত সহজ না।
অন্যান্ন দেশের সামাজিক অবস্থার সাথে সাথে বাংলাদেশের তুলনা চলে না।
বাংলাদেশ যুদ্ধকরে স্বাধীন হওয়া দেশ। যুদ্ধে যত না মারা গেছে তার চেয়ে অনেকগুন বেশী মারা গেছে পরাজিত স্থানীয় আল-বদরদের নির্বিচার গনহত্যায়। পরাজিত স্থানীয় আল-বদররা সারেন্ডার করেনি। দাড়ীকামিয়ে পালিয়ে ছিল, কিছু পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জামাতের আশ্রয়ে ছিল। এদের আন্ডাবাচ্চাদের হাইব্রিড বংশবৃদ্ধি হয়েছে।
আপনার বুঝতে হবে পাকি আমলেই দেশে রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধ ছিল।
পাকি সমর্থক আন্ডাবাচ্চারা ও তাদের সমর্থকরা বাই ডিফল্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত বিরোধি হবে।
পাকি সমর্থক আন্ডাবাচ্চারা ও সমর্থকরা সামুর জনপ্রীয় হওয়ার শুরুর দিকে তাদের মূল বিদ্বেষের জায়গা ছিল- "হিন্দু" ও "ভারতীয়" কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী তথা বাংলাদেশ বিরোধী একটা গান কিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করা তথা বাংলাদেশের উন্নয়ন না চাওয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান কেন জাতীয় সঙ্গীত হবে ইত্যাদি ব্যাপারে নানা মিথ্যা প্রপাগান্ডা দিয়ে ভাসিয়ে দিত। তাদের প্রপাগান্ডার কঠিন জবাবও দেয়া হত। আমি তখনো সামুতে লিখতে পারতামনা পড়তাম।
তাই জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কেউ ফালতু মন্তব্য করলে যেই হোক কঠিন ভাবে জুতাপিটা চলবে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, আমার পোষ্টের মূল বিষয় রবীন্দ্র সঙ্গীত না, দেশের নাগরিকদের বাক-স্বাধীনতা।
জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা কোথায় কিভাবে হলো সেটাই তো বুঝলাম না; যখন হবে, তখন শুধু জুতাপিটা কেন সব পিটাই করা উচিত।
আপনার প্রতি অনুরোধ থাকবে, পোষ্টটা আবার পড়েন।
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাই বাক স্বাধীনতা অর্থ কি অবাধ স্বাধীনতা?
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মোটেই না। সংবিধানের অংশটুকু তো হুবহু তুলে দিয়েছি। নোবেল কি ওটার কোন ভায়োলেশান করেছে বলে আপনার মনে হয়? যদি করতো তাহলে ওকে যে শাস্তিই দেয়া হোক না কেন......যুক্তিযুক্ত হতো।
সংবিধান লঙ্ঘন না করলে আমি ভাই বাক স্বাধীনতার পক্ষে, সে যেই হোক না কেন!
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২২
যাযাবর চখা বলেছেন: চমৎকার লিখছেন। সহমত।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সহমত পোষণ করার জন্য ধন্যবাদ।
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭
কানিজ রিনা বলেছেন: ধন্যধান্য পুস্পে ভরা গানটা আমাদের
প্রিয় দেশাত্ববধক গান। তাই বলে জাতীয়
সঙ্গীত পরিবর্তন এটা কেমন করে
সংসদে পাশ হবে। মুক্তি যোদ্ধারা যে
সঙ্গীত গেয়ে এদেশ স্বাধীন করেছেন।
সেই চেতনা কি ম্লান করার সমান
হবেনা?
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যধান্য পুস্পে ভরা গানটা আমাদের প্রিয় দেশাত্ববধক গান। তাই বলে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন এটা কেমন করে সংসদে পাশ হবে। সংসদে পাশ না হলে পরিবর্তন হবে না, সোজা হিসাব।
মুক্তি যোদ্ধারা যে সঙ্গীত গেয়ে এদেশ স্বাধীন করেছেন। সেই চেতনা কি ম্লান করার সমান হবেনা? মুক্তিযোদ্ধারা যে পতাকা বুকে নিয়ে যুদ্ধ করেছেন সেটার পরিবর্তন হতে পারলে এটা কেন পারবে না?
যাইহোক, এসব কথা এসেছে কথা প্রসঙ্গে। আমার মূল কথা হলো বাক স্বাধীনতা নিয়ে। সেটা নিয়ে বরং কিছু বলুন।
৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮
করুণাধারা বলেছেন: ভুয়া মফিজ, অনেক পোস্টই পড়ছি কিন্তু তারপর কি বলবো কিছু ভেবে পাই না। এই পোস্ট পড়ার পর অনেক দিন আগের একটা স্মৃতি মনে পড়ল। তখন আমরা ক্লাস টেনে পড়ি, একদিন ক্লাস ছিল না, আড্ডা দেবার ফাঁকে কেউ বলল, "ধনধান্যে পুষ্পে ভরা... গানটি জাতীয় সংগীত হলে খুব ভালো হতো। অমনি আমরা সবাই হাইবেঞ্চিতে তাল ঠুকে ঠুকে গাইতে লাগলাম গানটা। শেষে যখন গাইছিলাম "এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি"- এক অদ্ভুত ভালোবাসায় মন ভরে উঠেছিল!
ভাগ্যিস সেদিন আমাদের কথা কেউ জানে নি!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ছোটবেলার স্মৃতি ভালো লাগলো।
আসলে দেশপ্রেম, দেশের প্রতি আবেগ জোর করে আনার বিষয় না, এটা এমনিতেই চলে আসে........যদি কেউ প্রকৃত দেশপ্রেমিক হয়। আমাদের দেশে সবকিছু দেখানো, শো-অফ করা একটা আর্টে রুপান্তরিত হচ্ছে ধীরে ধীরে, যা একেবারেই কাম্য না।
ভাগ্যিস সেদিন আমাদের কথা কেউ জানে নি! সেটাই.....ভাগ্যিস!
৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মানুষ কিছু অহেতুক বিষয় নিয়ে হাউকাউ করে, মেজাজটাই গরম লাগে। দেশের মানুষ আছে এখন ডেংগু আতংকে। আমরা নিজেরাও সব সময় আল্লাহ আল্লাহ করতেছি। যে সব বিষয় মানুষের ক্ষতি হবে বা হচ্ছে সে সব বিষয় কখনো ইস্যু হয় না। ভেজালে সয়লাব বাংলাদেশ। খালি জরিমানা করে ছেড়ে দেয় আদালত। কয়েকদিন বন্ধের পর আবার সেই ভেজাল খাদ্য চলে আসে বাজারে। কেউ কিছু এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না। অথচ জাতীয় সংগীত নিয়ে দেশে তুলপাড় ঝড় দেখতাছি। আহারে আমার দেশপ্রেমীকগণ
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা কথা আছে না......নাই কাজ? তো খই ভাজ! আমাদের হইছে সেই দশা।
দেশে দেশপ্রেমিকের যা আবাদ দেখতাছি, ঢাকা এইবার সত্যি সত্যি প্যারিস হয়া যাইবো গা। খালি ইকটু ওয়েট করেন! আপনেগো দুঃখের দিন শ্যাষ!!
এগুলো হচ্ছে আসল সমস্যা থেকে চোখ সরিয়ে রাখার ফন্দি-ফিকির। ফাদে পা দেয়ার কোন মানে আছে?
১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। নোবেল জাতীয় সঙ্গীত এর পরিবর্তন চেয়েছে বা তার পক্ষে অনেকেই এই পরিবর্তন চেয়েছে এমন কোন সাক্ষাৎকার বা লেখা এখন পর্যন্ত চোখে পড়ে নাই। কিন্ত যারা নোবেলের বিরুদ্ধে লিখছে তারা এই কথাটা বারবার বলছে। এরা কেন নোবেলের না বলা এই কথাটা বলছে তা যথেষ্ঠ সন্দেহজনক । জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনীয় কোন বিষয় নয়। ২২ বছরের এক গায়ক প্রিন্স মাহমুদের গানে অতি অভিভুত হয়ে জাস্ট একটা ছোট্ট কমেন্ট করেছে। সমালোচনা শুধু এটকু করা যায় যে জাতীয়সঙ্গীত নিয়ে নোবেলের কোন বক্তব্য দেয়াটা ঠিক হয়নি। কিন্ত এর বাইরে সে যা বলেনি সেইসব জিনিষের অবতারনা করে তুচ্ছ এই বিষয় নিয়ে যারা চায়ের কাপে ঝড় তুলেছে , এই তারা দেশের হাজারো অন্যায় অনাচারের সময় একদম চোখ বুজে অন্ধ সেজে থাকেন।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা হলো হলুদ সাংবাদিকতার একটা নমুনা। তারা জানে, একটা হুজুগ তুলে দিতে পারলেই হলো, বাকীটা বাঙ্গালী নিজেই করবে। আমার তো মনে হয়, দেশের আসল সমস্যা থেকে মনোযোগ অন্যদিকে ডাইভার্ট করার জন্যই এই হুজুগ।
নাক টানলে কেমন যেন ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই!!!
১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২০
নতুন বলেছেন: আপনার কথায় ১০০% সহমত।
আমাদের দেশের মানুষের কাজ কম তাই অপরের চরকায় বেশি তেল দিতে যায়। ফেসবুকে কোন পোস্টে কমেন্ট দেখলে বোঝা যায় ।
আমাদের জাতীয় সঙ্গীত পাল্টানোর দরকার নেই। এখনো জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গেলে চোখে পানি আসে।
যারা এই গানের সাথে রিলেট করতে পারেনা তারা পাল্টানোর কথা বলতেই পারে। কিন্তু তাতে মহা ভারত অসুস্ধ হবার মতন কিছু হয়ে যায় না।
ধন্যধান্য পুস্পে ভরা গানটা আমাদের প্রিয় দেশাত্ববধক গান।
এটা আমাদের দেশের সাথে বেশি মিলে যায়।
পরিবত`ন আসে কিন্তু সেটা যেন ভালোর দিকে হয়। ভারতের লেখক বা হিন্দু লেখক তাই পরিবত`ন চাই সেটা খুবই খারাপ ভাবনা।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জাতীয় সঙ্গীত পাল্টানো কোন জরুরী বিষয় না। ওটা আমাদের কোন চিন্তার বিষয়ও না। তবে, জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননা না করে যে কেউ যে কোনও মন্তব্য করতেই পারে। যেমনটা আপনি বলেছেন, যারা এই গানের সাথে রিলেট করতে পারেনা তারা পাল্টানোর কথা বলতেই পারে। কিন্তু তাতে মহা ভারত অসুস্ধ হবার মতন কিছু হয়ে যায় না।
আসলে আমাদের চিন্তা-ভাবনায় আরো পরিপক্কতা আসা দরকার। খামাখা লাফালাফি করে সময় নষ্ট করার মানে কি? বরং এই এক্সট্রা এনার্জী দেশের কাজ করে খরচ করা ভালো।
১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: করুণাধারা আপু যা বলার তা বলে দিয়েছে। পাঁচ তারা কমেন্ট।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন........দারুন কমেন্ট!
১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "জাতীয় সংগীত কোন আসমানী কিতাবের অংশ নয় যে, এর কোন পরিবর্তন করা যাবে না"।
-১৯৭১ সালে, যুদ্ধের সময় জাতি ও মুক্তিযোদ্ধারা এই গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে নিয়েছেন, এই গান তাঁরা গেয়েছেন, তাঁরা এর পরিবর্তন চায়নি, এটাকে উনাদের অনুমতি ব্যতিত বদলানো যাবে না; জাতীয় পতাকা ১৯৭১ সালের লোকেরা রি-ডিজাইন করেছেন, সেটা সঠিক হয়েছে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটাকে উনাদের অনুমতি ব্যতিত বদলানো যাবে না; না গেলে নাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন অসুবিধা দেখছি না।
জাতীয় পতাকা ১৯৭১ সালের লোকেরা রি-ডিজাইন করেছেন, সেটা সঠিক হয়েছে। ১৯৭১ সালের লোকেরা জাতীয় সঙ্গীতকে যদি কোনদিন রি-ডিজাইন করেন তাহলে তো কোন অসুবিধা নাই......কি বলেন?
১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বর্তমান গানটির স্হানে, অন্য কোন গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে চান?
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এ’ব্যাপারে আমার বক্তব্য পোস্টে পরিস্কার বলা আছে। বিভিন্ন প্রতিমন্তব্যেও বলা আছে। একটু কষ্ট করে পড়েন।
১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: নোবেল তার মতামত জানিয়েছে। সে মনে করে, বাংলাদেশ গানটি আমাদের জাতীয় সংগীতের চেয়েও দেশকে বেশি রিপ্রেজেন্ট করে। এটা নিয়ে এতো চিল্লাফাল্লার কিছু নেই।
কিন্তু যারা হিন্দু কবির লেখা বলে জাতীয়সংগীত পরিবর্তন করতে চাইছে তাদের নিয়ে ভাবা উচিত, চিল্লাফাল্লা করা দরকার।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নোবেল তার মতামত জানিয়েছে। ঠিক বলেছেন। নোবেলসহ আমাদের সবার বাক-স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরী। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও এটার উপর জোর দিয়েছেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি, বিবিসি’কে বললেন প্রধানমন্ত্রী
আমাদের জাতীয়সঙ্গীতের সাথে হিন্দু-মুসলমানের কোন সম্পর্ক নাই। যারা বিষয়টাকে এভাবে দেখে তারা ছাগলজাতীয় প্রাণী।
১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
দেশপ্রেম জাহির করার বিষয় নয় মন থেকে আসতে হয়- এই লাইনটি যতদিন আমাদের চর্চায় আসবে না ততদিন আমরা পিছিয়ে থাকব আর অন্যের পিছনে লাগার ফন্দি খুঁজব।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। অন্যের পিছনে লাগতে লাগতে নিজের পিছনের দিকে তাকানোরও সময় থাকেনা।
মানসিকতার পরিবর্তন দরকার।
১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বর্তমান গানটির স্হানে, অন্য কোন গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে চান?
প্রশ্নটা ২য়'বার করছি, ইহা সোজা প্রশ্ন, ইহার জন্য প্রশ্নফাঁস করার দরকার নেই; আপনি ১ম বার উত্তর লিখতে সক্ষম হননি; আবার চেষ্টা করেন।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি তো দেখি পোলাপাইনের মতো জেদ করছেন! যা বলার একবার বলেছি। বারে বারে একই কথা বলা আমার পছন্দ না। দুঃখিত।
আপনি ১ম বার উত্তর লিখতে সক্ষম হননি; আবার চেষ্টা করেন। আপনি একবার পড়ে কিছু বুঝতে সক্ষম হননি; আবার চেষ্টা করেন।
১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বর্তমান গানটির স্হানে, অন্য কোন গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে চান?
এটা জিদ নয়, এটা একটা প্রশ্ন! আপনাকে ২ বার করা হয়েছে।
আপনারা পোষ্টে লেখেন, যখন প্রশ্ন করা হয়, তখন আপনারা পাঠককে পোষ্টের ভেতর উত্তর খুঁজতে বলেন; এগুলোকে বলে বালছাল ব্লগিং
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি ভুল নাম্বারে ডায়াল করেছেন। সঠিক নাম্বারে ডায়াল করুন। টুট....টুট....টুট.....
১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আপনি বর্তমান গানটির স্হানে, অন্য কোন গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে চান? "
ব্লগিং সবার জন্য আসেনি; ৩য়'বার করার পরেও সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না; এখন বলছেন, রং নাম্বারে ডায়াল! এজন্য আপনাদের লেখার কোন মান নেই,
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এজন্য আপনাদের লেখার কোন মান নেই যতোটুকু আছে, তাতেই আমি খুশী।
২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি পর পর দুইবার পড়লাম।
সেই ছোটবেলা থেকে আজও জাতীয় সংগীত আমাকে মুগ্ধ করে। বিষন্ন করে।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জাতীয় সংগীত আমাকে মুগ্ধ করে। বিষন্ন করে। জাতীয় সঙ্গীত আপনাকে মুগ্ধ করে ঠিক আছে। বিষন্ন কেন করবে? জাতীয় সঙ্গীত দেশের মানুষকে প্রকৃত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে, অনুপ্রানিত করবে। তাদের মধ্যে দেশের প্রতি মমতা, আনুগত্যতা আর ভালোবাসা জাগিয়ে তুলবে।
আপনার কি অবস্থা?
২১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বর্তমান জাতীয় সংগীত এর চেয়ে ভালো একটা জাতীয় সংগীত কেউ লিখতে পারলে তার পরে আলোচনায় আসবো।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সাধারনতঃ ‘জাতীয় সঙ্গীত’ হিসাবে কেউ সঙ্গীত লিখে না, তাই আপনার আলোচনায় আসারও সম্ভাবনা তেমন একটা দেখছি না।
২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি বর্তমান জাতীয় সংগীতের পক্ষে আছি এবং আগামীতেও পক্ষে থাকবো।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই। প্রকৃত গনতন্ত্রে সবার ইচ্ছা-অনিচ্ছাই গুরুত্বপূর্ণ!
২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩১
আহা রুবন বলেছেন: বিতর্কটা নোবেলের মন্তব্যের কারণে যতটা না তার চেয়ে ঢের বেশি রাজাকারের ছাও-পোনাদের লাফালাফির কারণে। এরা সব সময় চেষ্টা করে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে অপপ্রচার, বিতর্ক সৃষ্টি করেতে। নোবেল ঢোলের বাড়ি দিয়েছে আর নাচুনে বুড়ি শিবিরেরা হৈ হৈ করে বেরিয়েছে ''পাইছি মালুটারে সাইজ করার একটা সুযোগ"।
আপনি আঁতেলদের চোখে দেখলেন, রাজাকারের আন্ডা-বাচ্চাগুলার নোংরামি, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানোটাকে দেখলেন না!
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি নোবেলের মন্তব্য আর প্রধানতঃ নামীদামী লোকজনের প্রতিক্রিয়ার উপরই ফোকাস করেছি। ব্লগে ছোট একটা লেখায় স্বল্প-পরিসরে সবকিছু কাভার করা সম্ভব না।
আপনারও তো লেখার সুযোগ আছে। রাজাকারের ছাও-পোনাদের লাফালাফির উপর আপনিই নাহয় কিছু লিখুন। এ’ব্যাপারে আপনার একটা বিস্তারিত লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৩
জুন বলেছেন: কাজী ফাতেমার সাথে একমত। আমরা অনেক সমস্যায় বর্তমানে জর্জরিত।
তাছাড়া আমাদের জাতীয় সঙ্গীত অনেক সুন্দর মায়াময় মাটির গন্ধ মাখানো।এতে লেগে আছে শত সহস্র মুক্তিকামী মানুষের নিঃশ্বাস। আমার সোনার বাংলাই থাকুক আমাদের অন্তরে অন্তরে ভুয়া মফিজ ।
শুভকামনা রইলো অনেক ।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কাজী ফাতেমার সাথে একমত। আমিও।
আমার সোনার বাংলাই থাকুক আমাদের অন্তরে অন্তরে ভুয়া মফিজ আপনি মুরুব্বী মানুষ.....বলছেন যখন, থাকুক!
আমাদের বর্তমান জাতীয় সঙ্গীতও ভালো।
২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৩৮
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
এত কিছু বুঝেন আর আসল জিনিসটা বুঝলেন না? এটা হলো সিস্টেমেটিক রি ডাইরেকশন অভ মাইন্ড। এই গেম আওয়ামী লীগের লোকজন অহরহই খেলছে। বলুন তো কোথায় এখন প্রিয়া সাহা আর তার বক্তব্য নিয়ে হইচই! ডেঙ্গু পর্যন্ত হাফ ঠান্ডা!
আমরা ভাতে মারা বাংলাদেশীরা সারা জীবনই বেয়াক্কাল আর বুর্বকই থেকে যাব।
লেখার বিষয়বস্তুর সাথে আমি একমত। এত হাউকাউ না করে গনভোট নেয়া হোক। দেখা যাক কোন দিকে সমর্থন বেশী।
বেশির ভাগ লোকজনই নোবেলের কথার মর্ম না বুঝেই পাতি হাসের মতো প্যাক প্যাক করছে।
অনর্থক কথাবার্তায় পাত্তা না দিয়ে ভাল করেছেন।
@ প্রিয় করুনাধারা আপু খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
লেখার ধরন, প্রেজেন্টেশন, যুক্তি খুব দারুন হয়েছে মফিজ ভাই। দেশে আসলেও কোন বাক স্বাধীনতা নেই। বাইরে আছেন বেঁচে গেছেন। আমিও লিখতে চেয়েছিলাম। দেশে আছি তাই সাহস পাইনি। এই সব নিয়ে সত্য কথা বললেও রাজাকার, শিবির তকমা জুটে যেত। এরা যুক্তিতে তর্কে না পারলেই এইসব স্টুপিড তকমা নিয়ে হাজির হয়।
শুভ রাত্রী, ভাল থাকুন ভাই।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গনভোটের কোন মানে নাই, শুধু শুধু জনগনের টাকা নষ্ট!
আসলে নোবেল একটা সাধারন মন্তব্য করেছে। এটাকে শুধু শুধু ফেনানো হয়েছে। একটা সাধারন বিষয়কে ফুলিয়ে-ফাপিয়ে অসাধারন করাই হলো আমাদের মিডিয়া আর ফেসবুকের কিছু বেকার বেকুবের কাজ। কিছু মানুষের কাজ-কারবার দেখলে, কথাবার্তা শুনলে মনে হয়, এরা মানসিকভাবে অসুস্থ। এসবকে সিরিয়াসলি নিয়ে সময় নষ্ট করে কোন লাভ নাই।
করুনাধারা আপার মন্তব্য আমারও খুব পছন্দ হয়েছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।
২৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪৮
আরোগ্য বলেছেন: ভুয়া ভাই,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কারণ যে কথাগুলো আপনি পোস্টে লিখেছেন সেগুলোর প্রত্যেকটি আমার মনের কথা। ব্লগে এ বিষয় নিয়ে পোস্ট এসেছে কিন্তু মন্তব্য করার আগ্রহ হয় নি। আমারও দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ধনধান্য গানটি অধিক ভালো লাগে । ছোটবেলা থেকেই আমি এ গানটির পক্ষপাতী। কে আবার আমাকে রাজাকার উপাধি দিয়ে দেয় দেখবেন। গানটি শেয়ার করার জন্য একশত লাইক।
জাতীয় ফল কাঁঠাল তাই বলে সকলের কাঁঠাল খেতে হবে এমন কি কোন আইন আছে আর কাঁঠাল অপছন্দ করলে রাষ্ট্রদোহী হয়ে যাবে? সব হুযুগে বাঙালি। পরের পৃষ্ঠদেশে অঙ্গুলি দিতে পারদর্শী। জাতীয় সঙ্গীত না ই পছন্দ হতে পারে এতে কি সমস্যা? দেশপ্রেম দেখানোর জন্য কি সারাক্ষণ জাতীয় সঙ্গীতের গুনগান করতে হবে? আজিরা বয়া গাজীরা গীত গায় সব।
করুনাধারা আপু ও নীল আকাশ বোনাইর মন্তব্যে সহমত।
পোস্টে সহমত আবারও কিন্তু আমাকে দেশদ্রোহের অপবাদ দিবেন না কেউ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সমমনা মানুষ দেখলে সবসময়ই ভালো লাগে।
জাতীয় ফল কাঁঠাল তাই বলে সকলের কাঁঠাল খেতে হবে এমন কি কোন আইন আছে, আর কাঁঠাল অপছন্দ করলে রাষ্ট্রদোহী হয়ে যাবে? সব হুযুগে বাঙালি। চমৎকার কথা বলেছেন। আপনাকে কেউ দেশদ্রোহী বলতে পারে, রাজাকারও বলতে পারে। মতের মিল না হলে আপনাকে পাকিস্তানও চলে যেতে বলতে পারে। সহনশীলতা যাদের নেই, তারা আরো অনেক কিছুই বলতে পারে।
এগুলো হচ্ছে স্বৈরাচারী মনোভাব। খুব একটা গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই।
২৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৪৪
ল বলেছেন: প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ
জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ....... গানটি সিলেকশন বোর্ড রাখার দরখাস্ত রইলো।।।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সিলেকশন বোর্ড এর সদস্যরা আইল অফ ওয়াইট ভ্রমনে গিয়েছেন। ফিরে এলেই আপনার দরখাস্ত দাখিল করা হবে।
২৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: দারুন ভাবনাময় পোস্ট।
অনেক দেশের জাতীয় সংগীত পরিবর্তণ করা হয়েছে।
আমার সোনার বাংলা এর চেয়ে সুন্দর ও ভাল গান হলে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনে সমস্যা কোথায় ?
আমরা বাঙালিরা অহেতুক তর্কে জড়াতে ভালবাসি।
+++++
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের সংসদ আছে। সংবিধান আছে। তারা যদি মনে করে বদলানো দরকার, বদলাবে।
আমাদের জনগন আছে। তাদের মতামত আছে। তারা যদি তাদের মত-প্রকাশ করে, করবে।
এটা নিয়ে বিতর্কে জড়ানোর কিছু নাই। সাধারন একটা ব্যাপারকে ফেনানোরও কিছু নাই।
২৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
শায়মা বলেছেন: না নেই। সে তার মতামত দিয়েছে। তার ভালোলাগার কথা জানিয়েছে! এই নিয়ে এত বাড়াবাড়ির কিছুই নেই!
কে শোনে কার কথা!
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: রাজকন্যার মন্তব্য পেয়ে মনটা ভালো হয়ে গেল। বিভিন্ন কারনে মনটা একটু বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। এমন কিছুর দরকার ছিল খুবই....ধন্যবাদ।
কে শোনে কার কথা! না.....আমাদের কারোরই অন্যের কথা শোনার মানসিকতা নেই। আমরা শুধু বলবো। কারন, আমরা সবাই তো রাজা!!!
৩০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ঈদ মোবারক ,
ঈদ হোক আনন্দময় সকলের তরে ।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকেও লেইট ঈদ মোবারক আলীভাই। আশা করি, আপনার ঈদও আনন্দময় ছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯
এমজেডএফ বলেছেন: ভিত্তিহীন এই 'কচলাকচলি'-কে সুন্দরভাবে যুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বর্তমান বিতর্ক আসলেই জরুরী নয়। তবে কিছু একটা নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় না তুললে আমাদের অনেকের মধ্যে মানসিক অস্থিরতা শুরু হয়। তাই অসুস্থ মানসিক অস্থিরতা থেকে প্রশমন পাওয়ার জন্য কোন একটা ক্যাচাল নিয়ে কচলা-কচলি করতে হয়।
"আমরা বাঙালিরা কচলাতে কচলাতে ছাল-বাকলা সব তুলে ফেলি যতোক্ষন পর্যন্ত না কচলানোর আরেকটা বিষয় পাওয়া যায়।
শেষপর্যন্ত ভাবলাম, নাহ, একজন বাংলাদেশী বাঙ্গালী হিসাবে আমারও কচলা-কচলি করার অধিকার আছে। তাই কি-বোর্ড নিয়ে বসে পড়লাম।" –কথাগুলো খুবই ভালো লেগেছে।
রিফাত হত্যা ও নয়ন বন্ড নিয়ে প্রায় একই সময়ে একই সাথে পরপর ধারাবাহিকভাবে সামু ব্লগে ১১টি পোস্ট এসেছিলো ! সবগুলো পোস্টের বিষয়বস্তু এক শুধু লেখক ভিন্ন। কচলাকচলিতে শরিক হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা । বিরক্ত হয়ে তখন কয়েকদিনের জন্য ব্লগে আসি নাই।
মূল কচলাকচলি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে সক্ষম হলেও পরিশেষে এখানে মন্তব্যের মাধ্যমে সামান্য একটা কচলা দিয়েই ফেললাম । জাতীয় চরিত্র - শতভাগ পরিবর্তন হতে আরো সময় লাগবে।