নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অংক বিষয়টা আমার কাছে সবসময়ই খুব রহস্যময়। বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন বয়সে এর বিভিন্ন রকমের রহস্যময়তা দেখেছি, আর আশ্চর্য হয়ে ভেবেছি, সৃষ্টির সব রহস্য বোধহয় অংকের মধ্যেই নিহিত। ছোটবেলায় পাটিগণিত করতে গিয়ে চোখের পানি, নাকের পানি মাঝেমধ্যেই এক হয়ে যেত। আবার সমাধান করতে পারলে অনাবিল আনন্দ পেতাম। অংক ভালোবাসতাম খুবই, আর সেই ভালোবাসাকে অনেক গুন বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আমার আব্বা। উনি ছিলেন অংকে অত্যন্ত পারদর্শী একজন মানুষ, যার হাত ধরেই অংকে আমার হাতেখড়ি। ইন্টারমিডিয়েটে এসে স্ট্যাটিক্স আর ডায়নামিক্স এর খপ্পড়ে পড়ে অংকের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়, তবে ভালোবাসা কমে নাই। খুবই ইচ্ছা ছিল এপ্লায়েড ফিজিক্স নিয়ে পড়ার। কিন্তু কিছুটা ভয়ের কারনেই বলা চলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম কমার্স ফ্যাকাল্টিতে; ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টে। অবশ্য ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সবার কমার্স ফ্যাকাল্টিতে চলে আসাও একটা বড় কারন ছিল। এখানেও অংক, তবে ভিন্ন ধরনের।
সে যাই হোক, অত্যন্ত আগ্রহ থাকা সত্বেও এখন অংক নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল তেমন করে পড়তে পারি না। সবাই জানে, বিদেশের জীবন কতোটা কঠিন। সংসারের কাজে সাহায্য পাওয়ার সুবিধা একেবারেই নাই এখানে। এ টু জেড, প্রতিটা কাজ নিজেকেই করতে হয়। দিনের দৈর্ঘ্য সবজায়গাতেই ২৪ ঘন্টা, টেনে লম্বা করার কোন উপায় নাই! কাজেই বুঝতেই পারছেন, সংসার, কাজ, ব্লগিং ইত্যাদি করার পর ঘুমানোর সময়ই ঠিকমতো পাই না! বিভিন্ন লেখা মাথার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। লেখার সময় যতোক্ষন বের করতে না পারি, মাথার মধ্যে যন্ত্রণা দেয়। ঝেড়ে ফেলতে পারলে সাময়িক উপশম পাওয়া যায়। অনেকদিনের পুষে রাখা তেমনই একটা যন্ত্রণা ঝেড়ে ফেলছি আজ। ভূমিকা পড়ে এতোক্ষণে বুঝে গিয়েছেন নিশ্চয়ই, এটা অংক বিষয়ক পোষ্ট! ইয়েস…..আমার প্রিয় একটা বিষয়বস্তু, ফিবোনাচ্চি রাশিমালা এবং এর রহস্যময়তা।
প্রথমেই ছোট্ট করে একটু ইতিহাস বলি। ফিবোনাচ্চি রাশিমালার সবচেয়ে পুরানো ধারনা পাওয়া যায় ভারতবর্ষে। আচার্য পিংগালা সর্বপ্রথম উনার 'চন্দশাস্ত্র' গ্রন্থে (৪৫০ খৃষ্টপূর্বাব্দ – ২০০ খৃষ্টপূর্বাব্দ) এ'সম্পর্কে ধারনা দেন। পরবর্তীতে ভারত মুনী 'নাট্যশাস্ত্র' গ্রন্থে (১০০ খৃষ্টপূর্বাব্দ – ৩৫০ খৃষ্টাব্দ) এবং গোপাল (১১৩৫ খৃষ্টাব্দ) কর্তৃক প্রকাশিত গণিতজ্ঞ ভিরাঙ্ক এর কাজে এ'সম্পর্কিত পরিস্কার ধারনা পাওয়া যায়।
ভারতবর্ষের বাইরে ১২০২ খৃষ্টাব্দে ইতালীর পিসা নগরীর লিওনার্দো 'লাইবার আবাসি' নামে গণিতের উপর একটা গ্রন্থ লিখে সাড়া ফেলে দেন। জেনে রাখা ভালো, পশ্চিমে ইন্দো-আরবীয় সংখ্যাতত্ব বর্ণনা এবং আরবীয় সংখ্যাগুলোর ব্যবহার নিয়ে তখন পর্যন্ত যেসব বই লেখা হয়েছিল তার মধ্যে এই বইটা ছিল অগ্রগন্য। মধ্যযুগের সবচাইতে মেধাবী গণিতজ্ঞ হিসাবে বিবেচিত লিওনার্দোর মৃত্যুর অনেক পরে ১৮৩৮ সালে ফ্রাঙ্কো-ইতালিয়ান ইতিহাসবিদ এবং গণিতজ্ঞ গিউম লিব্রি উনাকে 'ফিবোনাচ্চি' নামে অভিহিত করেন। এই বইতে উনি একটা নির্দিষ্ট সময়ে খরগোশের সংখ্যাবৃদ্ধির সিকোয়েন্স বা সংখ্যাক্রম নিয়ে আলোচনা করেন যেটা পরবর্তীতে ফিবোনাচ্চি সিকোয়েন্স বা রাশিমালা হিসাবে বিখ্যাত হয়ে ওঠে। কি এই সিকোয়েন্স বা রাশিমালা?
এই সিকোয়েন্স অনুযায়ী, প্রতিটা সংখ্যা হবে আগের দু'টা সংখ্যার যোগফল, আর এটা শুরু হবে ০ এবং ১ দিয়ে। কাজেই সংখ্যাক্রম হবে, (০,১): ১, ২, ৩, ৫, ৮, ১৩, ২১, ৩৪, ৫৫, ৮৯, ১৪৪………..। এই রাশিমালার আবিস্কারের ফলে গণিত এবং গণিতের আরেকটা শাখা, জ্যামিতির বহু জট খুলে গিয়েছিল এবং আশা করা যায়, ভবিষ্যতে আরও খুলবে। তবে, এই পোষ্টে সেসব জট খোলা আমার আলোচ্য বিষয় না। আমার এই পোষ্টের মূল ফোকাস হলো গোল্ডেন রেশিও। অত্যন্ত রহস্যে ভরা (অন্তত আমার কাছে) এই গোল্ডেন রেশিও একসময় আমার মাথা খারাপ করে দিয়েছিল (এখনও করে, তবে বেশী মাথা ঘামাই না)।
ধরে নেয়া যায়, আপনারা সবাই পাই (π) চিনেন, এটা একটা অনুপাত বা রেশিও। আরেকটু বলি। এটা একটা অমূলদ সংখ্যা (irrational number) যার মান হচ্ছে 3.14159265358979…...। অমূলদ বা ইররেশন্যাল অর্থ হলো এর দশমিকের পরের ডিজিটগুলো অসীম এবং কোন প্যাটার্নের পুনরাবৃত্তি করবে না। ফাই (Φ) ও তেমনই একটা জিনিস, পাই এর খালাতো ভাই বলতে পারেন, যার মান 1.618033988749895…….। এটাই গোল্ডেন রেশিও, আর এটা পাওয়া যায় ফিবোনাচ্চি সিকোয়েন্স থেকে।
কিভাবে? আসেন তাহলে একটা নতুন সিকোয়েন্স বানাই। ফিবোনাচ্চির প্রতিটা সংখ্যাকে যদি আগের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করি, তাহলে যে সিকোয়েন্সটা পাওয়া যায় তা এমন,
১/১= ১, ২/১= ২, ৩/২= ১.৫, এবং এভাবে ১.৬৬৬…, ১.৬, ১.৬২৫…, ১.৬১৫…, ১.৬১৯…, ১.৬১৭…, ১.৬১৮১…, ১.৬১৭৯…. ইত্যাদি।
সুতরাং সূত্রটা হলো,
A/B = (A+B)/A = 1.618033987 = Φ
যদিও ফাই এর মান ফ্লেক্সিবল বা নমনীয়, কিন্তু এটা 1.618033987 এর আশেপাশেই থাকবে। তাই এটাকে মোটামুটি স্ট্যান্ডার্ড ধরে নেয়া হয়। নমনীয়তার কারনে মানে যে হেরফের হয় সেটা এতোই নগন্য যে উপেক্ষা করার মতো। এ তো গেল ফিবোনাচ্চি সিকোয়েন্স থেকে গোল্ডেন রেশিও পাওয়ার পদ্ধতি। কিন্তু এটা মাথা কিভাবে খারাপ করে? ওকে, সংক্ষেপে বলি। টাইট হয়ে বসেন।
এই গোল্ডেন অনুপাত প্রকৃতির সর্বত্র আছে। প্রকৃতির গঠনে এর মৌলিকত্ব এখন প্রমানীত। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটা গণিতজ্ঞ, শিল্পী, ডিজাইনার, অর্কিটেক্ট, বিজ্ঞানী, প্রকৃতিবিদসহ বলতে গেলে সবাইকে বিমুগ্ধ করে রেখেছে। প্রাচীণ বিভিন্ন স্থাপনায় এটার ব্যবহার দেখা যায়। সঙ্গীতে, চিত্রকলায়ও এর ব্যবহার বহুল পরিমানে। মানুষের শরীরের এনাটমি, ফুল-ফল-বৃক্ষের গঠন, স্পাইরাল ফর্মের বিভিন্ন জীব যেমন, শামুক; সব্জি, যেমন ফুলকপি, বাধাকপি; গাছের বৃদ্ধি, মহাশুন্যের গঠন, সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড়, এমনকি মানুষের ডিএনএ এর গঠন কোনকিছুই এই গোল্ডেন রেশিওর বাইরে নয়। উদাহরন দিয়ে শেষ করা যাবে না। ইন্টারনেটের যুগ। আগ্রহীরা চাইলে 'গোল্ডেন রেশিও' লিখে সার্চ দেন, প্রচুর পেয়ে যাবেন….প্রচুর!
একটা ছোট্ট পরীক্ষা চাইলে আপনি এখনই করতে পারেন। মাথা থেকে পা পর্যন্ত মাপেন, এখন মাটি থেকে নাভি পর্যন্ত মেপে যা পাবেন তা দিয়ে ভাগ দেন….গোল্ডেন রেশিও পাবেন। অথবা, মাটি থেকে হিপের মাপকে মাটি থেকে হাটুর মাপ দিয়ে ভাগ দেন। তবে মনে রাখতে হবে, যেহেতু ম্যানুয়েলী মাপছেন, মাপ শতভাগ সঠিক হবে না। কাজেই কাছাকাছি কোন একটা ভ্যালু পাবেন।
প্রকৃতির সর্বত্র এটা থাকায় 'কাকতালীয় ব্যাপার' ধারনাটা বাতিল করে দেয়া যায়। তাই প্রাচীণকালের মানুষেরা মনে করতো এই অনুপাতটি সৃষ্টিকর্তা আগে থেকেই ঠিক করে দিয়েছেন। সেজন্যে তখনকার বিজ্ঞানীরা এটাকে স্বর্গীয় অনুপাতও বলতেন। এখন আমরা আধুনিক হয়েছি। এসব পুরানো ধ্যান-ধারনা মানতে যাবো কোন দুঃখে? তবে, কিছু কিছু লোক সবযুগেই ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করে। তারা প্রশ্ন করবে, এই ম্যাথমেটিক্যাল প্যাটার্ন বা অংকটা হোমো সেপিয়েন্সরা কোন এক পর্যায়ে আবিস্কার করে ফেললেও এটা তো প্রকৃতিতে আগেই ছিল। এই নিখুত কর্মটি করলো কে?
যারা বুঝবে, তাদের কাছে এটা বুঝপাতা; আর যারা বুঝবে না………….থাক, আর কিছু কমু না , নিজেই বুইজ্জা লন!!!
তথ্য এবং ছবিঃ অন্তর্জাল।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিন্তু কি? আপনি তো অংকের আরেক ফ্যান........কোন ভুল করলাম নাকি?
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ঐ মিয়া নিজে নিজে কি বুঝুম? যান আপনার সাথে খেলুম নাহ !!!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নিজে বুঝলে বুঝপাতা......না বুঝলে তেজপাতা।
আমি কিছুই কমু না!!!!
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫২
করুণাধারা বলেছেন: পোস্টে লাইক দেওয়ার মানে কি? মানে পোস্ট ভালো হয়েছে! কোথাও কোনো ভুল নেই। এমন লেখা আরো লিখতে থাকুন।
" কিন্তু" বললাম এই কারণে যে, ফিবোন্নাচি আর সোনালী অনুপাত অনেক ব্লগারেরই প্রিয় বিষয়, তাই।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার প্রথম মন্তব্যে তো আমি হাল্কার উপর ঝাপসা টেনশানে পরে গিয়েছিলাম......!
ফিবোন্নাচি আর সোনালী অনুপাত অনেক ব্লগারেরই প্রিয় বিষয় হতেই পারে, প্রিয় হবার মতোই একটা বিষয়! তাই বলে এই ইমো দিবেন! নট ফেয়ার!!!
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সাধারণত এই সব ধ্রুবকগুলো দুটো সংখ্যার অনুপাত থেকে আসে। যেমনঃ 2πr/2r=π। এদের Integration এর মাধ্যমেও প্রকাশ করা যায়। তবে তা ডেফিনিট ইন্টিগ্রাল হতে হবে। অনুপাত হওয়ার কারনে এদের কোনো একক বা ইউনিট নেই।
গুড পোস্ট বাট নো দিস এ লট লট টাইম এগো । Math Olympiad
তেজপাতাও নয় বুঝপাতাও নয় কচু
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অংক আমার শখ.....আপনার মতো এক্সপার্ট তো আমি না।
আমার এই পোষ্টের মূল ফোকাস আসলে এর গাণিতিক দিকটা ছিল না, ছিল প্রাকৃতিক দিকটা। প্যাগানদেরকেও নিয়ে আসবো ভেবেছিলাম। কিভাবে যেন ফোকাসটা একটু ডিরেইলড হয়ে গেল। পোষ্টও দেখলাম বড় হয়ে যাচ্ছে.....তাই এখানেই থামলাম।
তেজপাতাও নয় বুঝপাতাও নয় কচু তাই সই!!
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সবসময় রেললাইনে থাকতে নেই। বেলাইনেও যেতে হয়
কচু কচু
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবসময় রেললাইনে থাকতে নেই। বেলাইনেও যেতে হয় ওকে! স্ট্রংলি এগ্রিড!!
বারে বারে কচু!!! দ্যাট রিমাইন্ডস মি, এটা একসময় আমার খুবই ফেভারেট একটা সব্জী ছিল!!!
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি রহস্যময় ফিবোনাচ্চি রাশি মালা। এই দুনিয়ায় প্রবেশ করে কত লোক যে পাগল হয়েছে তার হিসাব নেই।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবচেয়ে বেশী কিনা জানিনা.....তবে বেশ রহস্যময়। পুরানো পাগল ভাত পায় না, তাই নতুন পাগলের আমদানী না করে সরে এসেছি।
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭
সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: গোল্ডেন রেশিও নিয়ে একটা আপ্লিকেশন বলি। ৫ মাইল কত কিলোমিটার উত্তর ৮। ৮ মাইল কত কিলোমিটার ১৩। ৫, ৮, ১৩ সিকুয়েন্সে টা কি চেনা চেনা মনে হচ্ছে না? ফিবনাচ্চির সিকুয়েন্সে। কেন কাজ করে কারণ ১ মাইল প্রায় ১.৬১ কিলোমিটার যা গোল্ডেন রেশিও। তারমানে মাইল থেকে কিলোমিটার কনভার্ট করলে হলে ফিবনাচ্চি সিকুয়েন্সে হিসেব করলেই হবে।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দারুন লাগলো।
ফিবনাচ্চি সিকোয়েন্সের চমকপ্রদ আরেকটা উদাহরন!
৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: করুনাধারা আপুর কিন্তু এর কারন বলছি। সম্ভবত একই বিষয়ের উপর উনারও খুব দারুন একটা লেখা আছে। আমি পড়েছিলাম মনে হয়।
দারুন বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ইঞ্জিনিয়ার হবার কারনে বাধ্যতামূলক ভাবে ম্যাথ আমাদের হজম করতেই হয়। ম্যাথ ছাড়া আমাদের জীবন অচল। তার মধ্যে এই রাশি খুবই রহস্যময়। এর উপর অনেক অনেক লেখা আমি পড়েছি।
কোথায় যেন পড়েছিলাম লিওনার্দো এর উপর নির্ভর করেই ছবি আকতেন। সেজন্য উনার ছবিগুলিও রহস্যময়।
ভাই তাহলে অবশেষে পারিবারিক ব্লক থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পেরেছে। অভিনন্দন রইল।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তাই নাকি? দেখি নাই তো! উনারটা তো আরো ইন্টারেস্টিং হবে নিঃসন্দেহে!! সময় করে আপার বাসায় খুজতে হবে। ইন দ্য মিন টাইম, আপনার যদি নজরে আসে....লিঙ্কটা দিয়েন। বিষয়টা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
আপনাদের মতো আমাদেরও অংক করতে হয়......তবে ভিন্নরকমের!
ঠিকই শুনেছেন। লিওনার্দো দ্য ভিন্চি এই কাজ করতেন। ভদ্রলোক আরো অনেক রহস্যময় কাজই করতেন, পুরাই রহস্যে ঘেরা একজন মানুষ।
হুম....মুক্ত হয়েই তো প্রথম পোষ্ট দিলাম।
৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্যরি, মন্তব্য সম্পুর্ণ করার আগে, উহা প্রকাশিত হয়ে গেছে:
ইন্টারেষ্টিং বিষয়ের উপর লেখা।
যেহেতু, গোল্ডের রেসিও'র উপর বীজ গণিতের ফরমুলা দিয়েছেন, সেহেতু উদাহরণের A, B এর 'সাইন' ( প্লাস, মাইনাস) উল্লেখ করলে ভাল হতো, এবং A'কে B'এর চেয়ে বড় হতে হবে; অর্থাৎ, (A+B)/A 'এর বেলায়, শর্ত হবে, A< B < ০; (শেষ অংটুকু কেন বাদ পড়ে যাচ্ছে!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার আগের মন্তব্য দু'টা মুছে দিলাম।
বীজ গণিতে কোন সাইন না থাকলে সেটা (+) বোঝায়, এটা তো আপনি জানেনই।
এটা কোয়াড্রেটিক ফর্মূলায় করা একটা এ্যালজ্যব্রিক সমাধান। এখান থেকেই ক্যালকুলেশান শুরু। আপনাকে লিঙ্কটা দিলাম, view this link
১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪
ল বলেছেন: এটাও কি মফিজ মার্কা পোস্ট!!!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মফিজের পোষ্ট 'ল' মার্কা হওয়ার কি সুযোগ আছে?
১১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ ,
জ্ঞানী পোস্ট। লিওনার্দো ভিঞ্চির "Vitruvian Man" ও কি ফিবোনাচ্চি কিম্বা গোল্ডেন রেশিও ভেতরে পড়বে?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ........আমি যতোটুকু জানি.....পড়বে না।
১২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছোটবেলা থেকে আমার অঙ্কের ভয়। প্রত্যেক ক্লাসেই টেনেটুনে পাস। আপনার এই পোস্ট আর মন্তব্যগুলো পড়ে মাথা গরম হয়ে গেল।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাথা বেশী গরম করার দরকার নাই।
শুরুটা পড়বেন আর শেষটা পড়বেন......মধ্যিখানে তাকাবেন না, তাহলেই হবে!
১৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্যরি, বড় ধরণের ভুল হয়েছে, শর্তটা হবে:
A
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বার বার ভুল হয়ে যাচ্ছে! কোন কারনে মনে হচ্ছে আপনার মন আজকে বিক্ষিপ্ত!!
যাকগে, আপনার ৯ নং মন্তব্যের উত্তরে একটা লিঙ্ক দিয়েছি। ওখানে বিস্তারিত আছে। আশাকরি, ওটা দেখলেই বুঝতে পারবেন।
১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৩
নতুন বলেছেন: গোল্ডের রেসিও্ আসলেই একটা ভাবনার বিষয়। অনেক কিছুতেই এটা পাওয়া যায়।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে আমরা যতোটা ভাবি, প্রকৃতিতে তার চেয়েও অনেক বেশী রহস্য লুকিয়ে আছে।
গোল্ডেন রেশিও তারই একটা জলজ্যান্ত উদাহরন।
১৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, ব্লগে গ্রেটার দ্যান, লোয়ার দ্যান চিহ্নগুলো অনেক সময় কাজ করে না, পরবর্তি লেখাগুলো পোষ্টে বা মন্তব্য আসে না। এটি হয়তো ব্লগ সফটওয়্যারের বিষয়।
১৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বুড়ো বয়সে এসে আবার অংক শেখার চেষ্টা করলাম। স্যরি ফাইতে এসে আটকে গেলাম তারপর আর মাথায় কিছু ঢুকছে। বুঝতেই পারছি মাথায় স্ক্রু গুলো সব ব্লক হয়ে গেছে। প্লিজ স্যার এবার ছুটি দিন...
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের এখানে একটা স্প্রে পাওয়া যায়। নাম WD40, ব্লকড স্ক্রু খোলার জন্য খুবই কার্যকর। লাগবে?
১৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
মফিজ ভাই ,
ফিবোনাচ্চি এ বিষয়টি আমাকেও বৈজ্ঞানিকভাবে ভীষণভাবে । তাছাড়া ধর্মীয় কোনো ব্যাখ্যা তুললাম না কারণ অনেক প্রশ্নের হয়তো সম্মুখীন হতে হবে। সেদিন কোথায় যেনো পড়েছিলাম ,
নভেম্বরের ২৩ তারিখে ফিবোনাচ্চি দিবস ধরা হয়। যদি ১১ মাস্ ২৩ তারিখ হয় তাহলে ফলাফল ১১২৩।
আপনার চমৎকার উপস্থাপনা জন্য ধন্যবাদ।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার পোষ্টের শেষের প্যারাতে ধর্মীয় দিকটা একটু এনিগম্যাটিক্যালি বলার চেষ্টা করেছি....লক্ষ্য করেছেন বোধহয়।
নভেম্বরের ২৩ তারিখে ফিবোনাচ্চি দিবস ধরা হয় ঠিকই পড়েছেন। এগুলোকে ফান হলিডে বলা হয়। কোন দেশে এটা পাবলিক হলিডে হয় কিনা, জানা নাই।
যদি ১১ মাস্ ২৩ তারিখ হয় তাহলে ফলাফল ১১২৩ ভালো জিনিসই বের করেছেন। আপনার দেখার চোখ আছে বলতেই হয়!!
১৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
মা.হাসান বলেছেন: পোস্ট শুরুর আগে শেষ হয়ে গেল, ২য় পর্ব কি থাকবে?
মাথা থেকে পা পর্যন্ত মেপে মাটি থেকে নাভি পর্যন্ত মাপ দিয়ে ভাগ দিলে গোল্ডেন রেশিও পাওয়া যাবে-- আপনি মনে হয় কোন মডেল, লেগি ব্লন্ড কে মাপ দিয়ে পেয়েছেন। আমার তো রেশিও দুইয়ের উপর হচ্ছে (ভুড়ির উপর দিয়ে মাপলে ১.৪ এর মতো হবে)
গোল্ডেন রেশিও নিয়ে যা পড়েছি তার মাঝে এই ভিডিওটা আমার কাছে সবচেয়ে কম কথায় বেশি তথ্যবহুল মনে হয়েছে-- https://www.youtube.com/watch?v=sj8Sg8qnjOg
সত্যিকারের মাথা খারাপ করা তথ্য আপনাকে একটা দেই।
আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আছে নভেম্বর ২০০৮ থেকে। ২০২১ সালে ভিশন ২০২১ সম্পন্ন হবে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী উদযাপন করা হবে , এই সময়ে আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় টানা ১২.৪ বছরের মতো পূর্ণ হবে। ২০৪১ সালে ভিশন ২০৪১ পূর্ন হবে। (২০৪১ এর পর কি হবে আমি জানি না, আমরা হয়তো গ্যালাক্টিক সভ্যতায় উন্নিত হবো, বা দেশে সত্য যুগ চলে আসবে)। ২০২১ থেকে ২০৪১ হবে ২০ বছর। ২০/১২.৪= প্রায় গোল্ডেন রেশিও (যদি মাসের বদলে দিন -ঘন্টা নেয়া হয়, সিগনিফিক্যান্ট ফিগারের সংখ্যা বাড়ানো হয়, তবে এই ভ্যালু আরো অ্যাকুরেট হবে বলে মনে করি)।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ২য় পর্বের চিন্তা মাথায় ছিল না। আপনি ঢুকিয়ে দিলেন। দেখি, লেখতেও পারি।
আপনাদেরকে বলার আগে নিজের উপর পরীক্ষা করে দেখেছি। আমারটা ঠিকই আছে। এটা আসলে এনাটমীক্যালি, যাদের শারিরীক গঠন স্বাভাবিক.....তাদের জন্য প্রযোজ্য। ব্লগে অনেক এলিয়েন গোত্রের সৃষ্টি আছে। তাদের ক্ষেত্রে এটা কতোটা কাজ করবে, আমার জানা নাই।
ভিডিওটা দেখলাম। প্রথম ৩/৪ মিনিট হতাশ হয়েছিলাম। পরের দিকে খুব ভালো লেগেছে। চমৎকার ভিডিও। ধন্যবাদ।
সত্যিকারের মাথা খারাপ করা তথ্য আপনাকে একটা দেই। মাথা সত্যি সত্যি খারাপ হয়ে গেল! মাথা ঘুরাচ্ছে। কেমন যেন একটা বমি বমি ভাবও হচ্ছে!!!
১৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:০৯
গরল বলেছেন: ফিবোনাচ্চি নাম্বার নিয়ে যে ভারতবর্ষেও গবেষণা হয়েছিল সেটা আপনার পোষ্ট থেকেই জানলাম, অসংখ্য ধন্যবাদ।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জানাতে পেরে ভালো লাগছে।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
২০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অনেককাল গোল্ডেন রেশিও নামে আনিসুর রহমান মিলনের একটা নাটক দেখেছিল্ম। আপনার লেখাটা পড়ে ওই নাটকটার কথা মনে পড়ে গেল।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নাটকটা দেখা হয়নি। কেমন? ইন্টারেস্টিং?
ইউটিউবে খুজে দেখি, পাই কিনা। ভালো থাকবেন।
২১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৭
শের শায়রী বলেছেন: আপনার এই লেখাটা আমি আগেই পড়ছি মিয়া ভাই, করুনাধারা আপা লিঙ্ক দিছিল
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোন একটা লেখা পইড়া মন্তব্য না করাটা যে একটা ফৌজদারী অপরাধ......এইটা কি আপনের জানা নাই???
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৬
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম লাইক আমিই দিলাম, পুরোটা পড়লামও। কিন্তু...