নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবরার ফাহাদকে খুন করা হলো অক্টোবরের ৬ তারিখ রবিবারে।
এরপর থেকে আমার প্রধান কাজ হয়ে দাড়ায় এ'সম্পর্কিত খবর পড়া, দেখা এবং শোনা। অনলাইনে বিভিন্ন পত্রিকা, ইউটিউব, টিভি; এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছিলাম। শুধু দেখি, পড়ি আর শুনি। কিছুই ভালো লাগে না। যেখানে প্রতিদিন সামু'তে অন্তত একবার না আসলে আমার ঘুম হয় না, সেখানে সামু'তে আসার কথাই যেন ভুলে গেলাম। এদিকে আমার ঘুম এমনিতেই হারাম হয়ে গেল। বিছানায় শুই, চোখ বন্ধ করি। আর মনের পর্দায় ভেসে ওঠে উনিশ/বিশজন তরুণ আরেক তরুনকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে উন্মত্তের মতো মারছে। যেন মানুষ না, কোন পশুকে মারছে। আচ্ছা, একটা পশুকেও কি এভাবে মারা যায়? বিছানায় এপাশ-ওপাশ করি। ঘুম আর আসে না। তারপর উঠে গিয়ে সিগারেট ধরাই। ল্যাপটপ চালু করি আর কানে হেডফোন গুজি, যেন বাসার অন্যদের ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটে। সারারাত প্রায় না ঘুমিয়ে সকালে গোসল করে যথারীতি অফিসে যাই।
চারদিনেই চোখের নীচে কালি পরে গেল। চেহারা হয়ে গেল ভুতের মতো। এটা অবশ্য আমার কথা না, আমার কলীগ ক্রিসের কথা। ক্রিসের কথা হয়তো আপনাদের কারো কারো মনে আছে, একটা পোষ্টে ওকে নিয়ে খানিকটা লিখেছিলাম। আমার সাথে মিশতে মিশতে ও নিজেও বাংলাদেশ নিয়ে দুশ্চিন্তা করে, যখনই কোন নেতিবাচক খবর পড়ে। এ'কটা দিন অফিসে সুযোগ পেলেই আমার ডেস্কের সামনে এসে বসেছে। খানিক পর পর ফোস করে একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলেছে, এটা কোন কথা! এতগুলো মেধাবী তরুন আরেকটা মেধাবী তরুনকে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেললো! আমি কোন কথা বলি না। একবার ওর দিকে শুন্য দৃষ্টিতে তাকাই, তারপর আমার এই শুন্য দৃষ্টি মেলে দেই কাচের বিশাল জানালা দিয়ে বাইরে, দিগন্তের দিকে। আমার বাধাহীন দৃষ্টি বহুদুর পর্যন্ত দেখতে থাকে, কিংবা কিছুই দেখে না!
আমার সামনে বসে, কিংবা বাইরে সিগারেট খেতে গিয়ে ও বিভিন্ন জোকস বলে আমাকে হাসানোর চেষ্টা করেছে। আমার প্রতিক্রিয়া কিংবা মতিগতি বোঝার চেষ্টা করেছে। আমি হাসতে চেয়েছি, কিন্তু পারি নাই। ছবিতে দেখা আবরারের এক খুনীর হাসি মনের পর্দায় প্রতিনিয়ত ভেসে উঠেছে। মনে হয়েছে আমার হাসিটাও কি ওই খুনীটার হাসির মতো দেখাবে? ক্রিস সান্তনা দিয়ে বলে, মফিজ, ভুলে যাও ওসব। ইটস এ পার্ট অফ লাইফ। আমি বলি, ইটস রিয়েলি নট, ক্রিস! এটা আমাদের লাইফের পার্ট বানানো হয়েছে…..জোর করে।
আমাকে নিয়ে ক্রিসের দুশ্চিন্তার মাত্রাটা বুঝতে পারলাম বৃহসপতিবার সকালে অফিসে গিয়ে। কফি নিয়ে মাত্র বসেছি, ফোনটা বেজে উঠলো। সেকশান চীফের ফোন। বললো, মফিজ, আমার রুমে চলে এসো। সকালের কফিটা একসাথে খাই। এমন অপ্রত্যাশিত প্রস্তাবে একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম।
বসের সামনে বসতেই বললো,
- ও, তুমি দেখছি কফি নিয়েই এসেছো। আমি আরো তোমার জন্যেও বানিয়ে নিয়ে এলাম।
- অসুবিধা নাই। আমারটাও খাবো, তোমারটাও খাবো। আমি একটু হাসি দিয়ে বললাম।
- ওকে, শোন। কথা সরাসরিই বলি। ক্রিস আমাকে তোমার দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা বলেছে। তোমার অবস্থাও বলেছে। তোমার মতো একজন হাসিখুশি, প্রানবন্ত মানুষের এই অবস্থা কেন? তোমার বউ তোমার এই চেহারা দেখে কিছু বলে না!
বলার মতো কিছু খুজে না পেয়ে কফি খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিলাম।
- মফিজ….আমার কথা শোন। আমি বুঝতে পারছি, তুমি খুবই স্ট্রেসড। অবহেলা কোরো না, এটাকে মনের ভিতরে পুষে রাখলে আরো বড় সমস্যায় পরতে পারো। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি একজন সাইকিয়াট্রিষ্টের সাথে কথা বলো। তেমন কিছুই না, জাস্ট কিছুক্ষণ কথা বলা। এখন বাসায় চলে যাও। আজ আর কাল ছুটি নাও। তারপর শণি রবি উইকএন্ড। আশা করছি, সোমবার থেকে তোমাকে আবার আগের মতো করে পাবো।
বাসায় এসে বসে বসে ভাবছি আমার এই হঠাৎ পরিবর্তনের ব্যাপারে। এর চেয়েও অনেক বড় বড় দুঃখের ঘটনা আমাকে একদিনের বেশী কাবু করতে পারে নাই কখনও। আমি কি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি! প্রতিরোধ শক্তি কমে যাচ্ছে? এর মধ্যে বউ এসে জানালো, আগামী শণিবার বিকাল চারটার সময়ে আমার এপয়েন্টমেন্ট ঠিক করেছে ও। এক সাইকিয়াট্রিষ্ট এর সাথে। সাইকিয়াট্রিষ্ট? হাসবো নাকি কাদবো বুঝতে পারলাম না এই একেবারেই অপ্রত্যাশিত খবরে। রাগ করতে গিয়েও করলাম না। আসলে ওকে দোষও দেয়া যায় না। গত কয়েকটা দিন নির্ঘুম থাকার ফলে মেজাজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি বেশ কয়েকবার। খাওয়া-দাওয়াও ঠিকমতো করি নাই; বলতে গেলে সিগারেটের উপরেই ছিলাম। হাসি-ঠাট্টা যেখানে আমার স্বভাবগত ব্যাপার, সেখানে ওর সাথে কথাও বলি নাই ভালোভাবে। ভাবলাম, জীবনে কত অভিজ্ঞতাই তো হলো, এটা কখনও হয়নি। তাছাড়া সাইকিয়াট্রিষ্টদের কাজ-কারবার নিয়ে এত লেখা পড়েছি, এপয়েন্টমেন্ট যখন করেই ফেলেছে…...দেখেই আসি নাহয় জিনিসটা কি!!
তো, যথাসময়ে গেলাম। ভদ্রলোকের চেহারা দেখে হতাশ হলাম, কল্পনার সাথে না মিলাতে পেরে। ক্লিনশেভড, পরিপাটি করে চুল আচড়ানো চল্লিশের কাছাকাছি বয়সের এক নিপাট ভদ্রলোক। রুমের চেহারাও ভদ্রলোকের মতোই…..অতিরিক্ত পরিপাটি! আমাকে ঢুকতে দেখে একটা বিশাল হাসি দিয়ে বললো, আমার ভুবনে স্বাগতম, মফিজ! এসো, আরাম করে বসো। তোমার সব কথাই তোমার বউ আমাকে বলেছে। তারপরও তোমার মুখে আরেকবার শুনবো। আমাদের সময় একঘন্টা। এই সময়টাতে তুমি বক্তা, আর আমি হলাম গিয়ে শ্রোতা।
আলাপের শুরুতেই আমি ঘোষণার সুরে বললাম, দেখো, তুমি কি ভেবেছো জানিনা। তবে আমার অবস্থা তেমন সিরিয়াস কিছু না। দু‘দিন পরে এমনিতেই আমি স্বাভাবিক হয়ে যাবো। নেহায়েত আমার বউ এপয়েন্টমেন্টটা করেছে, আর হাতে কোন জরুরী কাজও নাই। তাই ভাবলাম, তোমার এখানেই নাহয় একটু টাইম পাস করি। ইন ফ্যাক্ট, তোমাকে দেখে এরই মধ্যে আমি ভালো বোধ করা শুরু করেছি! শুনে ভদ্রলোক হো হো করে ঘর কাপিয়ে হেসে উঠলো। দেখে আমিও সত্যি সত্যিই ভালো বোধ করা শুরু করলাম।
ডাক্তার সাহেব সত্যিই মজার লোক। গল্পে গল্পে এক ঘন্টা কিভাবে কেটে গেল টেরই পেলাম না। আসার সময় বললো, তুমি চাইলে আমি কিছু এন্টি-স্ট্রেস মেডিসিন দিতে পারি, তবে আমার মনে হয় তার আর দরকার নাই। তবে, তোমাকে একটা এডভাইস দিব। বাসায় গিয়ে তোমার ব্লগের জন্য কিছু একটা লিখে পোষ্ট করো। ব্লগে সময় দাও, বউকেও সময় দাও। চাইলে কোথাও থেকে ঘুরেও আসতে পারো। অল দ্য বেস্ট।
----------
ফিরে আসি আবার আবরার প্রসঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ছাত্র-রাজনীতি বন্ধ হবে না, তবে বুয়েট চাইলে বন্ধ করতে পারে। বুয়েটের মতো আরও হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেশে আছে। সেখানে ছাত্রলীগও আছে। দুঃখ হলো, প্রধানমন্ত্রী বুঝতে সক্ষম হলেন না, সন্ত্রাসী হয়ে কেউ জন্ম নেয় না। সিস্টেমই মানুষকে সন্ত্রাসী বানায়। বুয়েটে ঢোকার আগে এই খুনীগুলো ছিল শুধুই মেধাবী। বুয়েটে ঢুকে হয়েছে মেধাবী সন্ত্রাসী। আবরার যদি আজ বেচে থাকতো, তাহলে এই সন্ত্রাসীগুলো একদিন বুয়েট থেকে পাশ করে বড় বড় পদে চলে যেত তাদের মেধা দিয়ে। জাতীকে তারা কি উপহার দিত? একজন সাধারন সন্ত্রাসী থেকে একজন মেধাবী সন্ত্রাসী অনেক বেশী ভয়ংকর…..সেইসঙ্গে ক্ষতিকরও বটে। এমন ভয়ংকর সন্ত্রাসী দেশে হাজার হাজার আছে। তাহলে জাতীর ভবিষ্যত কি? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এটাই আমার প্রশ্ন।
'বড়ভাই' নামক কতিপয় বাশীওয়ালার ঐন্দ্রজালিক সুরে মোহাবিষ্ট হয়ে আছে আমাদের দেশের ভবিষ্যতেরা। এই সুরের মায়াজাল থেকে তাদেরকে বের করার কোন পথই আমি দেখতে পাচ্ছি না। আমি দুঃখিত, ব্যথিত, হতাশ। আমার এই দুঃখ-বেদনা-হতাশা দেখার মতো কেউ আজ কোথাও নেই!
শেষকথা: ডাক্তার বলেছিল, বাসায় এসে ''কিছু একটা'' লিখে ব্লগে পোষ্ট করতে। অনেকক্ষণ ল্যাপটপের সামনে বসে রইলাম। মাথা খালি, কোন রকমের ''কিছু একটা''ই মাথায় আসলো না। শেষমেষ ভাবলাম, আমার এ'কদিনের দিনপন্জিই লিখে দেই। সো, হিয়ার ইট ইজ!
সবশেষে একটা পাজল দেই। লেট মি টেইক ইউ টু এ স্লাইটলি ডিফরেন্ট ডাইরেকশান। এই ভিডিওটা দেখেন….আর একটু ভাবেন। কে বলছে, তা না ভেবে কি বলছে শুনেন আর দেখেন কতোটুকু রিলেইট করতে পারেন আপনার নিজস্ব ভাবনাগুলোকে। https://www.youtube.com/watch?v=R2Y3R7ccl20
ছবিটা নিয়েছি গুগল থেকে।
আর পোষ্টের শিরোণামটা নিয়েছি, আমার অতিপ্রিয় হুমায়ুন ভাইয়ের একটা বইয়ের নাম থেকে। অনুমতি ছাড়াই নিলাম। আজ উনি বেচে থাকলে একটা ফোন করে অনুমতি নিয়ে নেয়া যেত। আপনাকে প্রতিনিয়ত মিস করি.....হুমায়ুন ভাই!
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী সঠিক কাজ করেছেন আরো সঠিক হতো, যদি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য উনি এই সিদ্ধান্ত নিতেন। এই ধরনের ঘটনা আরো ঘটার জন্য অপেক্ষা করা কোন কাজের কথা না।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯
শায়মা বলেছেন: আমরা যখন কোনো ঘটনা দেখি কিংবা দূর্ঘটনা এবং যদি তা হয় আমাদের সন্তানদের বয়সী কারো সাথে। তো প্রথমেই আমরা যার সাথে ঘটনাটি ঘটেছে বা ভিকটিম তার জায়গায় নিজেদের সন্তানকে ভেবে নেই, সাবধান করি, উপদেশ দেই, বাবা তুই এসবে জড়াস না, যেন কোনো মন্দ লোক তোর ক্ষতি না করতে পারে। ধরেই নেই আমাদের নিজেদের সন্তান কখনও মন্দ হতে পারেনা, সে কখনও কারো ক্ষতি করতে পারেনা, সে পারে না এমন কিছু করতে যা কিনা মানবিক গুনাবলীর বাইরে পাশবিক প্রবৃত্তিও হয়ে যেতে পারে। আমরা ভাবি আমাদের সন্তান সদা ও সর্বদা নিস্পাপ ও নিষ্কলুষ। ঠিক সেই জন্মের প্রথম দিনটির মত না হলেও সে তো কখনও আমার দেখা মতে কোনো খারাপ কাজ করে না। সে তো আজও সেই ছোট্ট নিস্পাপ শিশুর মতই আমার গলা জড়িয়ে ধরে।
তাই আমরা নিস্পাপ ছেলেটির জায়গায় নিজেদের সন্তানকে ধরে নিয়েই তাকে নানা রকম কাজ থেকে বিরত থাকতে বলি। যেমন এমন কোনো পোশাক পরো না যাতে তুমি ইভ টিজিং এর শিকার হও, এমন কোনো কথা বলো না যাতে তোমার উপর তোমার বন্ধু ক্ষুব্ধ হয়, এমন কোনো স্টাটাস দিও না যাতে তুমি বিপদে পড়তে পারো। শুধু দূর্বল এবং নির্বিবাদী দিকটিই আমরা দেখি নিজেদের সন্তানের মাঝে।
অথচ যদি এমন হত, বাবা যে যা পরবে, যার যে পোশাক ভালো লাগবে পরবে সেটা তোমার পছন্দ না হলেও সেটা নিয়ে কোনো উগ্রতা তুমি দেখাবে না। যদি পারো যদি তা তোমার কাছে সঠিক মনে না হয় তবে তা তুমি বন্ধুর মত বা বোন বা ভায়ের মত তাকে বুঝিয়ে বলো। যদি তোমার বন্ধু এমন কোনো কথা বলে যা তোমার জন্য সহ্য করা কঠিন তবুও তুমি সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে নিজে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে শেখো। তাকে তোমার মনের কথা খুলে বলো, তোমার কষ্ট বা ক্ষুব্ধতার কারণ বলো। তবুও তার প্রতি নির্দয় হয়ো না। যে যাই স্টাটাস দিক সেটা তোমার মতের না হলে তুমি তার সাথে আলোচনা, সমালোচনা বা তর্ক করতে পারো কিন্তু দল বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়ো না বরং এমন কিছু কাউকে করতে দেখলে তাদেরকে বুঝাও, বিরত করো। তাহলে কি সমাজে এই সব নৃশংশতার বন্ধের সাথে সাথে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আত্ম উন্নয়ন হত না???
আমরা শুধু ভিকটিম বা দূর্বলের দিকটি দেখেই সাবধানে গা বাঁচিয়ে চলতে শেখাই। কিন্তু অযথা অন্যের ব্যাপারে নাক না গলিয়ে কিংবা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কারো সাথে অন্যায় করা থেকে বিরত থাকবার শিক্ষা সেই তুলনায় কম দেই। এই কারনেই আবরাররা বার বার খুন হয় আর খুনী সৃষ্টির প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পেতে থাকে দিনে দিনে।
আবরারের মত আরও লাখো কোটি সন্তানের মা আজ সন্তানকে সতর্ক করে দিচ্ছে সাবধান তুমি সাবধানে থেকো। কয়টি মা সতর্ক করে দিচ্ছে অন্যায় ভাবে কারো গায়ে হাত তুলোনা? খুন করো না? খুনী হয়ে জন্ম নিওনা নতুন করে??
আবরার একজন ছিলো। কিন্তু খুনী ছিলো ১৩ জন।
কাজেই সাবধান হন মায়েরা .......সাবধান হন সারা দেশের জনগন। আপনার সন্তান শুধু আবরার নয় খুনীদের একজন হয়েও যেন গড়ে না ওঠে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। সুন্দর ও সুখি সমাজ গড়ার দায়িত্ব কিন্তু সকলেরই।
আবরারের ঘটনায় অনেকেই ভাষা হারিয়েছে তবে আমার বার বার মনে হয়েছে খুনীগুলো কি ঠিক আবরারের মতই নিষ্পাপ ছিলো না বুয়েটে আসার আগ পর্যন্ত!!!!!!
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দায়িত্ব সবারই আছে।
তবে, রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব অনেক বেশী। তারাই অন্যের সন্তানদেরকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয় আর নিজেদের সন্তানদেরকে বাইরে পাঠিয়ে দেয় নিরাপদে থাকার জন্য।
লেজুর-সর্বস্ব ছাত্র রাজনীতি বন্ধের কোন বিকল্প নাই।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুরুতে আবরার হত্যাকান্ড নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। গভীর সমবেদনার মতো শুকনো শুকনো কথা বলা ছাড়া আমরা এক প্রকার নিরুপায়।
পোষ্টের পরবর্তী অংশ প্রসঙ্গে, আপনি তবুও সাইক্রিয়াটিস্টকে দেখাতে পারলেন । কিন্তু আমি পড়েছি যে আরো বড় বিপদে। মাথার স্ক্রুগুলো বহুদিন থেকে কেমন যেন ঢিলেঢালা হয়ে গেছিল। একটু টিউনিন করাতে গেছিলাম রাঁচিতে।উমা! আমার দিকে একবার ওরা ফিরেও তাকাল না। বিফল মনোরথ হয়ে অবশেষে ফেরার রাস্তা ধরি।
মোটের উপর আপনার দিনপঞ্জি নিয়েই আজকের ব্লগিং করলাম। আমরাও ব্লগিংয়ের নীল কাটলো।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মাথার স্ক্রুগুলো টিউনিং করার ব্যবস্থা করেন দ্রুত.........নয়তো দেখবেন, এক সময়ে টিউনিং করেও আর কাজ হবে না।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " প্রধানমন্ত্রী সঠিক কাজ করেছেন আরো সঠিক হতো, যদি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য উনি এই সিদ্ধান্ত নিতেন। এই ধরনের ঘটনা আরো ঘটার জন্য অপেক্ষা করা কোন কাজের কথা না। "
-তিনি এই দেশের একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান; উনার দল ব্যতিতও আরো দল আছে, তিনি সেগুলোর মাঝে রাজনীতি করেন, এবং গৃহবধু থেকে এতদুর এসেছেন; মনে হয়, উনি জানেন, উনি কি করছেন!
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই উনি জানেন, উনি কি করছেন!!!!
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯
বিজন রয় বলেছেন: দেশে আসেন, প্রতিবাদে অংশ নেন।
আমাদের সাধারণ মানুষদেরকেই কিছু করতে হবে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইচ্ছা তো করে।
দেশেও না হয় আসলাম বিজনদা, কিন্তু প্রতিবাদটা করবো কিভাবে?
লেখালেখি করেই যা একটু করতে পারি, আর তো কোন উপায় নাই। মিটিং মিছিল করে কি কোন লাভ হবে?
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভুয়া মফিজ ভাই, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পক্ষে খুব কম মানুষই আছেন, সরকার, বিরোধী দল, রাজনীতিবিদ সহ সমাজের বিশেষজ্ঞ কেউ চাইবেন না ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক। সহজ সরল কথা “ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হবে না”।। বাদবাকী আপনি পোস্টে যা লিখেছেন সব আমারো মনের কথা। - অর্থাৎ সহমত।।
আন্দালিব রহমান পার্থ আংকেল মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব তিনি নাটকীয়ভাবে খুব সুন্দর কথা বলতে পারেন। তিনি সততার সাথে বলতে পারবেন কি সাংসদ থাকাকলীন সময়ে তার আয় (সাদা ও কালো) কতো হয়েছে? পার্থ আংকেল একজন পাল্টিবাজ মানুষ।। ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পক্ষে যারা কথা বলছেন তারা মিডিয়াতে নিজের নাম উজ্জল করছেন এই সুযোগে। - এটি বন্ধ হবার নয়।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি আমার কথা বলেছি। আমি এমন কেউ না যে, আমার কথা মানতে হবে।
ছাত্র রাজনীতির পক্ষে আমিও। তবে ছাত্রদের রাজনীতি হতে হবে ছাত্রদের স্বার্থে, যেমনটা উন্নত বিশ্বে রয়েছে। দলীয় লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা উচিত। যেহেতু, আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কালচার সুস্থ্য না, তাই সাধারন ছাত্র রাজনীতি হলেও কিছুদিন পর সেখানে দলীয় ধান্ধাবাজেরা ঢুকে পরবে।
ছাত্রদের যথাযথ বিকাশের জন্য ছাত্র রাজনীতিই, ইন প্রিন্সিপ্যাল বন্ধ করে দেয়া উচিত; অন্ততঃ যতোদিন পর্যন্ত না পরিস্থিতির আশাব্যান্জক উন্নতি হয়। বাকীটা উপরওয়ালার ইচ্ছা।
আপনার কি মনে হয়, দলীয় লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীত ছাত্র তথা জাতীর জন্য মঙ্গলজনক?
আর আন্দালিব রহমান পার্থ ভালো না খারাপ, সেই বিচারে আমি যাচ্ছি না। শুধু বলেন, তার কথাগুলো যুক্তিসঙ্গত কি না!! সে কি ভুল কিছু বলেছে?
৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মা.হাসান বলেছেন: এধরনের ঘটনা দেশে এটাই প্রথম না আগেও অনেক ঘটেছে । তবে এখন সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে ঘটনাটা ব্যাপক প্রচার পেয়েছে।
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে জাহাঙ্গীরনগরে ভাসানী হলে একজন ভর্তি পরীক্ষার্থী ছাত্রকে ক্ষমতাসীন ছাত্র নেতারা পিটিয়ে মেরে ফেলে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভ্যানে করে লাশ নিয়ে যেয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে রাস্তায় ফেলে রাখে। এরপরেও ঘটনা ফাস হয়ে যায় এবং তখন কালার দেওয়া হয় ওই ছেলেটা শিবির ছিল। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কোনো বিচার হতে দেখিনি। মানিক নামের এক ছাত্রনেতা ধর্ষণের সেঞ্চুরি করেছিল বলে পত্রিকায় খবর এসেছিল। তার কোন বিচার হয়নি। তবে মমতাময়ী নেত্রী তাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চাকরি দিয়েছিলেন। সকল ক্ষমতাসীন দলেরই এরকম অপকর্মের অসংখ্য নজির আছে।
আপনার দেয়া লিংকের ভিডিওটি দেখেছি। সহমত। নির্মম হত্যা, ক্যাডারবাজি , দখল, ক্যাসিনো, ব্যাংক লুট এগুলো মূল সমস্যা না, মূল সমস্যা হলো গণতন্ত্রহীনতা। গণতন্ত্র না থাকলে জবাবদিহিতা থাকেনা। অমর্ত্য সেন ও একই কথা বলেছেন। জবাবদিহিতার রাজনীতি বা গণতন্ত্র কিভাবে আসবে এগুলো জটিল প্রশ্ন।
আপনার মানসিক অবস্থা বর্তমানে কেমন? সমস্যা বেশি তীব্র হলে কয়েকদিন পুরোপুরি ভাবে খবরের কাগজ, টেলিভিশন, ইন্টারনেট ইত্যাদি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দেখতে পারেন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। এ'ধরনের ঘটনা অতীতে অনেক ঘটেছে। বর্তমানের এই তথাকথিত ছাত্র রাজনীতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতেও ঘটবে। বর্তমান ধাক্কা সামলে উঠলেই আবার নতুন খেলা দেখতে পাবো আমরা। এর একমাত্র সমাধান হলো, এই অসুস্থ কালচারের পরিবর্তন।
সময় সবকিছু ঠিক করে দেয়। আমি জানি, আমিও ঠিক হয়ে যাবো। তবে, এই ঘটনা আমাকে আরো বহুদিন তাড়া করে ফিরবে। আমার মানসিক অবস্থার খবর নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ। এখন অনেকটা ভালো বোধ করছি। তবে কতোদিন ভালো থাকতে পারবো জানিনা। এখন সব সময় ভয় করে, কখন আবার কি শুনি!
কয়েকদিন পুরোপুরি ভাবে খবরের কাগজ, টেলিভিশন, ইন্টারনেট ইত্যাদি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দেখতে পারেন। অন্ধ হয়ে থাকলে কি প্রলয় বন্ধ হবে??
৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
অভাগা দেশের আপামর "মফিজ"দের জন্যে কেউ কোথাও থাকেনা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হক কথা।
দেশের নেতা-নেত্রীরা তো জনগনকে 'মফিজ'ই মনে করে।
৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৫
যাযাবর চখা বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি বন্ধ না করলে সামনে আরো অনেক বিপদ হবে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে এটা তো শুধু আমরা বুঝলে হবে না.....যাদের বোঝা দরকার, তারা তো বোঝে না!
১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৩
হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক কোন রাজনৈতিক দলই চান না। মেনে নিবে না।শুধু বুয়েট অর্থাৎ সীমিত আকারে বলে প্রধানমন্ত্রী আপত্তি না তুলে মেনে নিয়েছেন। অপেক্ষা করুন, স্বার্থের তাগিদে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বুয়েটের ছাত্র রাজনীতি আবার চালু হবে।
প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থে ছাত্র সংগঠন গুলোকে ব্যবহার করে। বুয়েটের প্রত্যেকটা ছেলে মেধাবী। মেধাবী ছাত্র ছাড়া বুয়েটে এ্যাডমিশন পাওয়া সম্ভব নয় তা আমরা সবাই জানি ।এই ছেলেগুলো বুয়েটে ভর্তি হওয়ার আগে সন্ত্রাসী ছিল না। বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর এদের চরিত্রে পরিবর্তন এসেছে। এদের মধ্যে কেউ বাধ্য হয়ে এই পথে পা রেখেছে। কেউ বা নেতৃত্ব, অর্থের হাত ছানিতে এই পথ বেছে নিয়েছে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সংক্ষেপে আসল কথাটাই বলেছেন।
এর আগেও সনি হত্যার পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হয়েছিল। পরে, আবার চালু করেছে। এবারও তাই হবে। ধান্ধাবাজেরা কিছুদিন চুপচাপ থাকবে, তারপর আবার সক্রিয় হবে। তারপর আবার........
১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০২
রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের চমৎকার একটা উপন্যাস কোথাও কেউ নেই।
এবার আপনার পোষ্ট সম্পর্কে বলি- ভাই এই দেশ নিয়ে আশা ছেড়ে দেন। এই দেশ নষ্ট হয়ে গেছে। পচে গলে গেছে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আশা তো ছাড়তে চাই না......তবে মনে হচ্ছে আশা করে খুব একটা লাভও নাই।
১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৮
সাইন বোর্ড বলেছেন: বিবেকবান সব মানুষই এই হত্যা কান্ডে মর্মাহত, ব্যথিত । আসলে এরকম হত্যাকান্ড মেনে নেওয়া যায় না । আমার অবস্থাও ঠিক আপনার মতই হয়েছিল ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিবেকবান সব মানুষই এই হত্যা কান্ডে মর্মাহত, ব্যথিত । আসলে এরকম হত্যাকান্ড মেনে নেওয়া যায় না । সহমত পোষণ করছি।
১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মৃত বুয়েট ছাত্রের মা-বাবা কোন মনোবিজ্ঞানের চিকিৎসকের সাথে সেশনে গিয়েছে বলে, আজো সংবাদ বের হয়নি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: উনারা যান নাই, সেজন্যে সংবাদ বের হয়নি।
আর শোনেন, রঙ্গ-তামাশা করতে চাইলে অন্যখানে গিয়ে করেন। মন-মেজাজ খারাপ আছে। আমার মুখ থেকে খারাপ কিছু বের হওয়ার আগেই মান-সন্মান নিয়ে দূরে থাকেন।
১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভুয়া মফিজ ভাই,
আমি ব্যাক্তিগতভাবে আপনাকে চিনিও না জানিও না। তাই আপনাকে সমর্থন করছি না, সমর্থন করছি আপনি যা বলেছেন তা। প্রসঙ্গে আসা যাক: - ছাত্রছাত্রীর কাজ পড়ালেখা করা - রাজনীতি করা না। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র এখন ছাত্র রাজনীতি সহ কোনো রাজনীতিরই আর প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশে রাজনীতির কি অবস্থা তাতো দেখাই যাচ্ছে। ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে পারলে ভালো হতো। যদিও এটি সম্ভব না - কেনো সম্ভব না, তা আমার পোষ্ট ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হবে না।
কিছুটা বলার চেষ্টা করেছি, সেখানে আপনার মন্তব্যও আছে।
ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে মূল রাজনীতির সিস্টার কনসার্ন ও পালিত গুন্ডা বহর - আপনি কিভাবে আশা করছেন সেখানে মূল রাজনীতির প্রভাব, ক্ষমতা, লেজে ধরে গঙ্গা পারাপার ভূমিকা থাকবে না? মূল রাজনীতি চাচ্ছেনা তাদের সিস্টার কনসার্ন বন্ধ হোক - আপনি/আমি বৃথা এই বিষয় নিয়ে কিবোর্ড নষ্ট করছি। সরকার দল বাদ দিন - একবারও কি শুনেছেন বিরোধী দলের মুখপাত্র কেউ বলেছেন তারা ঘোষণা দিয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দেবেন?
ছাত্র রাজনীতি সহ কোনো প্রকার রাজনীতি বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক ছিলো না, ভবিষ্যতেও মঙ্গল হবে না।
দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য। পার্থ আংকেল টিভি চ্যানেলে যা বলেছেন তা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ জানেন। তিনি মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব তাই মিডিয়াতে তিনি বলতে পেরেছেন। তবে তিনি দুর্জন মানুষ এবং অবস্যই পরিত্যাজ্য। বাংলাদেশে সংসদে এমন একজন মানুষ আমি দেখি না যিনি করাপশন মুক্ত।
আপনার কাছে প্রশ্ন: পার্থ আংকেল ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হলে ভালোমন্দ কি করবেন?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি যা বলেছেন, আমি যা বলেছি.....সবই আমাদের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা। আমাদের কথায় রাজনৈতিক দলগুলো যে তাদের নীতির পরিবর্তন করবে না, তা আমি জানি। আপনি কিংবা আমি কি বোর্ড নষ্ট করছি, শুধুমাত্র নিজের বিবেকের কাছে পরিস্কার থাকার জন্যে। এর ফলে দেশে বিরাট পরিবর্তন হয়ে যাবে, এটা ভেবে না নিশ্চয়ই!
দেশের কোন রাজনীতিবিদকেই আমি বিশ্বাস করি না। ক্ষমতায় গেলে সবই এক। পার্থ এর ব্যতিক্রম হবে বলে আমার মনে হয় না। তবে, তার কথাগুলো গতানুগতিক রাজনৈতিক নেতাদের চেয়ে ভিন্নতর। যুক্তিযুক্ত। আমার মতের সাথে মিলে। শুনতে ভালো লাগে। আর বিশেষ কিছুই না।
আবার মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " উনারা যান নাই, সেজন্যে সংবাদ বের হয়নি। আর শোনেন, রঙ্গ-তামাশা করতে চাইলে অন্যখানে গিয়ে করেন। মন-মেজাজ খারাপ আছে। আমার মুখ থেকে খারাপ কিছু বের হওয়ার আগেই মান-সন্মান নিয়ে দূরে থাকেন। "
-আপনার মুখ থেকে ভালো কিছু তো বের হওয়ার কথা নয়।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার মুখ থেকে ভালো কিছু বের না হলে কি শুনতে আসেন এখানে? এরপরে আর ইডিওটিক মন্তব্য করলে মুছে দেব। আমার পোষ্টে আমি আবর্জনা রাখি না।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার একটা মন্তব্য মুছে দিয়েছি। আপনি বরং কান্নাকাটি করে আমার বিরুদ্ধে আবার একটা পোষ্ট দেন।
১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩১
ল বলেছেন: এই অভাগা "মফিজের জন্যে বড়ভাই আছে.................. ।
আপনার কাছে প্রশ্ন: এরিক এরশাদ ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হলে ভালোমন্দ কি করবেন?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বড়ভাই'রা স্বার্থ ছাড়া কিছু করে না। তাদের উপর ভরসা না করাই ভালো।
এরিক এরশাদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোন চান্স নাই, হলেও ভালো করার সম্ভাবনা নাই।
১৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মন মেজাজ খারাপ করবেন না। ভালো বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে। তাছাড়া ব্লগার চাঁদগাজী যা বলেছেন তা প্রাসঙ্গিক। আমি এতো বড় মন্তব্য কারো পোষ্টে করি না। আপনার পোষ্ট ও প্রত্তুত্তর বড় মন্তব্য ডিজার্ভ করে। ভূয়া মফিজ ভাই বিতর্ক চলুক। প্লিজ রাগ করা বন্ধ করুন।
বুয়েট ছাত্র হত্যার পেছনে ছাত্রলীগ যতোটা দায়ী তার চেয়ে কোনো অংশে কম দায়ী নয় তার পরিবার।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ১৩ নং মন্তব্যটা কি আপনার কাছে প্রাসঙ্গিক মনে হয়? দুঃখিত। আমার কাছে মনে হচ্ছে না।
বুয়েট ছাত্র হত্যার পেছনে ছাত্রলীগ যতোটা দায়ী তার চেয়ে কোনো অংশে কম দায়ী নয় তার পরিবার। এককভাবে পরিবারকে দায়ী করা ঠিক না। তাছাড়া একটা ছেলে যখন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়, বাবা-মাকে ছেড়ে হলে এসে উঠে, তখন বাবা-মার নিয়ন্ত্রণে কতটা থাকে সেটা আপনিও ভালো করেই জানেন।
বলতে পারেন, তারা আগে শেখায় নি কেন? এই শেখানোর দায়িত্ব তো শিক্ষকদেরও। তারাই বা কি শিখিয়েছে? সমাজই বা কি শিখাচ্ছে? টিনএইজের একটা ছেলেকে টাকা-ক্ষমতা দিয়ে যারা বিপথে চালিত করছে.....তাদের দায় কতোটুকু? খুব সহজে আর সংক্ষেপে এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়া কিংবা আলোচনা করাই বা কতটুকু সম্ভব?
১৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ল ভাই, এরিক এরশাদ কে? চিনি নাতো? ঝেড়ে কাশি দেন।
১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি আমার কমেন্ট মুছে দিয়েছেন, ভালো ব্লগার কখনো কমেন্ট মুছেন না। আপনি নিজকে গ্রেইডিং করেছেন।
২০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " আপনার একটা মন্তব্য মুছে দিয়েছি। আপনি বরং কান্নাকাটি করে আমার বিরুদ্ধে আবার একটা পোষ্ট দেন। "
-আমি কোন ব্লগারের বিপক্ষে কোনদিন পোষ্ট দিইনি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ১৯, ২০ মন্তব্যের প্রতিটা কথার উত্তর আমার কাছে আছে। কিন্তু আপনাকে উত্তর দিলেই আপনি কথার পিঠে কথা বলবেন। বলতেই থাকবেন। কথায় কথা বাড়তেই থাকবে। আমার আপাততঃ এত ধৈর্য নাই, তাই উত্তর দিচ্ছি না।
আশা করছি, আমার এই মন্তব্যে কোন প্রতিমন্তব্য করবেন না। সামু'র হার্ডডিস্কের জায়গা নষ্ট করার দরকার নাই।
২১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৯
ল বলেছেন: ১৯ রাত ১১:২৩০
লেখক বলেছেন: বড়ভাই'রা স্বার্থ ছাড়া কিছু করে না। তাদের উপর ভরসা না করাই ভালো।--- @ ভরসা রাখুন
এরিক এরশাদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোন চান্স নাই, হলেও ভালো করার সম্ভাবনা নাই।---@
আপনি আসলেই প্রশ্নফাঁস জেনারেশন প্রতিনিধি একটু বুঝেন না - এদেশে সবি সম্ভব এরিক প্রধানমন্ত্রী হলেও অসম্ভব কিছু না।।।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এক্ষেত্রে একটু সমস্যা আছে। আমাদের সংবিধানে আছে, সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের মানসিকভাবে পুরাপুরি সুস্থ্ হওয়া আবশ্যক।
২২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: মফিজ ভাই,
কুল ডাউন। আপনি ভুলক্রমে ট্রাপে পা দিচ্ছেন। ইচ্ছাকৃত ভাবে আপনাকে খেপাচ্ছে উলটা পাল্টা একটা কিছু বের করার জন্য। কারণ যা আপনি লিখেছেন তাতে সৈরাতন্ত্রের সমর্থকের ইতিমধ্যেই গাত্রদাহ শুরু করে দিয়েছে। এই পোস্ট যেভাবেই হোক পঁচাতে চাইছে। পত্রিকাতে পড়েন নি এখনও? চট্টলা মেয়র কি বলেছেন নোবেল নিয়ে?
আপনার পোস্ট চমৎকার হয়েছে। আপনার যা হয়েছে যে কোন সুস্থ সেনসিটিভ মানুষের তাই হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তবে কিছু চতুস্পদি দালাল আছে তাদের কিছু হবে না, কারণ এদের চর্ম এতই মোটা যে কিছুই তাতে প্রবেশ করে না।
লেখা এবং মন্তব্য খুব ভালো করে পড়লাম। হাসান ভাই একদম আসল সত্য কথাটাই বলে দিয়েছেনঃ নির্মম হত্যা, ক্যাডারবাজি , দখল, ক্যাসিনো, ব্যাংক লুট এগুলো মূল সমস্যা না, মূল সমস্যা হলো গণতন্ত্রহীনতা। গণতন্ত্র না থাকলে জবাবদিহিতা থাকেনা। অমর্ত্য সেন ও একই কথা বলেছেন। জবাবদিহিতার রাজনীতি বা গণতন্ত্র কিভাবে আসবে এগুলো জটিল প্রশ্ন।
যতদিন দেশে গনতন্ত্র না ফিরে আসবে, সৈরাতান্ত্রিক দল জোর করে ক্ষমতা দখল করে পুরো জাতীকে বাকরুদ্ধ করে
ব্যক্তি এবং বাক স্বাধীনতার টুটি চেপে ধরে রাখবে ততদিনই একটা পর একটা এই ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে থাকবে। কারণ এদের কোন পাপকর্মের জবাবদিহিতা নেই। দেশে এখন আইন কানুন বলে কিছু নেই!
অফটপিকঃ ব্লগে যেহেতু ফিরে এসেছেন, কালকেই আপনার উপহারটা দিয়ে দেই! কি বলেন? মুডও ভালো হয়ে যাবে।
শুভ রাত্রী।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্যের উত্তরই দিব না, উলটা পাল্টা আর কি বের করবে? আর বের করলেই বা আমার কি করতে পারবে? আমি ভালোর সাথে ভালো, খারাপের সাথে আমার মতো খারাপ খুব কমই আছে। আজাইরা মন্তব্য করলে ডিলিট করে দিব তো বলেই দিয়েছি।
মা.হাসান আমার অন্যতম পছন্দের ব্লগার। উনার মন্তব্য আমি খুবই পছন্দ করি।
ভাবছি, দেশ নিয়ে চিন্তা করাই ছেড়ে দিব। শুধু শুধু সময় নষ্ট। মন-মেজাজও খারাপ হয়ে যায়।
উপহার দিবেনই যখন, দেরী করে লাভ কি? দিয়ে দেন।
২৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৫২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মফিজ ভাইয়া আরেকটা নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটলো তাও পাঁচ বছরের শিশুর সাথে
চোখ বাঁধ মানে না ভাই
বুকের ভিতর শূন্য লাগে
আমার ছেলেরা বলে মা এদেশে থাকা যাবে না চলো বিদেশে চলে যাই ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নাই। এসব ঘটতেই থাকবে।
আমার ছেলেরা বলে মা এদেশে থাকা যাবে না চলো বিদেশে চলে যাই । আপনার ছেলেরা ঠিকই বলে। স্মার্ট বয়েজ। ওরা বুঝতে পারছে, দেশে থাকলে ওদেরকেও ছাত্রলীগের অত্যাচার সহ্য করেই কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে পড়তে হবে।
সুযোগ না থাকলে তৈরী করেন। দেশের বাইরে চলে যান।
মনে রাখবেন, মান-ইজ্জত, টাকা-পয়সা, দেশে থেকে দেশপ্রেম দেখানোর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, দিনশেষে রাতে নিশ্চিন্তে এবং শান্তিতে ঘুমানো।
২৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুরো জাতিই ট্রমাতে।
আপনি ভাগ্যবান সাইক্রিয়াটিষ্টের সাথে কথা বলে ভাল বোধ করছেন। বিকল্প অপশন আচে আপনার!
আমরা যারা দেশৈ পড়ে আছী আম জনতা... না পারি কইতে না পারি সইতে!
ঘরে হাত পা বাঁধা, বাইরে থেকে সু!পরামর্শ কিছু লিখো না!
ভাইদের নিরন্তর সতর্কতা- লাইক ফাইক বুইঝা দিও!
উফফ
এভাবে একটা দেশ চলে?
পাকিদের মৌলিক গণতন্ত্রের বাংলা ভার্সন উন্নয়নের গণতন্ত্রের নামে চলছে অনির্বচিত স্বৈরাচার!
বিরোধীদের কাঁধে যে আমজনতা ভর দেবে, তাদের হাত পা ভেঙ্গে পঙ্গু আর দালালে ভরা!
চিৎকার যে দেবে, সাথে থাকবেটা কে?
এই ট্রমাতেই মূখ বুঝৈ মাথা গুজে অন্তরে ক্রোধের অনল লয়ে বেঁচে আছে জাতি!
কোন এক বিস্ফোরনে তারা মুক্তি পাবে এই আশায়!
আশা করি আমজনতার আমাদের বাস্তবতা আপনার ষ্ট্রেস কাটাতে যথেষ্ট সহায়ক হবে।
শেখ সাদীর জুতা না থাকার দু:খ পা হারানোকে দেখে ভোলার মতোন।
ভাল থাকুন।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মনোবেদনার কারন আমি বুঝতে পারছি, ভৃগুদা। সব সময়ে একটা আতংকের মধ্যে বাস করা আসলেই একটা অসম্ভব ব্যাপার। এমনকি দেশে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সাথেও মন খুলে কথা বলতে পারি না। তারা আবার কোন বিপদে না পরে....এই চিন্তায়।
চিৎকার দেয়ার কথা ভুলেও চিন্তা করা উচিত না। কে বলতে পারে, ওটাই শেষ চিৎকার হবে কিনা!!
কামনা করি, সবসময় ভালো থাকুন। দেশের সবাই ভালো থাকুক....নিরাপদে থাকুক!!!
২৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪২
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার অবস্থা তো দেখি কাহিল!
ভালো ওয়াজ ফরমাইয়াছেন জনাব।
প্রধানমন্ত্রী বুঝতে সক্ষম হলেন না, সন্ত্রাসী হয়ে কেউ জন্ম নেয় না। সিস্টেমই মানুষকে সন্ত্রাসী বানায়। বুয়েটে ঢোকার আগে এই খুনীগুলো ছিল শুধুই মেধাবী। বুয়েটে ঢুকে হয়েছে মেধাবী সন্ত্রাসী। -- এই সিস্টেমের মাথায় কারা বসে আছেন? আবরারের মারা যাওয়া কিংবা এই মেধাবীরা সন্ত্রাসী হওয়ার পেছনে কি সিস্টেমের বসদের কোনো দায় নেই? এই প্রশ্নের উত্তর যদি দিতেন আমাদের 'সাচ্চা দেশপ্রেমিকেরা'।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মিশরীয় সম্রাটের দেখা নাই অনেকদিন। এখন দেখে ভালো লাগছে! বুকে বল পাচ্ছি।
দেশে সবাই ওয়াজে বিশেষজ্ঞ.....আমার ওয়াজ কে শুনবে?
আমাদের 'সাচ্চা দেশপ্রেমিকেরা' আপনার প্রশ্নের উত্তর দিবে না। ডাইনে-বায়ে পাশ কাটিয়ে একেবেকে চলে যাবে। সঠিক উত্তর দিলে তাদের 'সাচ্চাত্ত্ব' বিপদের মুখে পড়বে যে! নির্লজ্জ আনুগত্যতা তাদের যোগ্যতার একমাত্র মাপকাঠি....এটা আপনাকে বুঝতে হবে। আপনি বুদ্ধিমান মানুষ। চট করে বুঝে যাবেন, এই বিশ্বাস আমার আছে।
২৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আখেনাটেন ভাই উক্ত পোষ্টে আমার ১৪ নম্বর মন্তব্য পড়ার জন্য অনুরোধ করছি আপনার প্রশ্নের উত্তর আমার মনে হয় সেখানে আছে।
২৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:২৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
একটার পর একটা ঘটনা, লাশ, রক্ত দেখে দেখে আমাদের অনুভূতি ভোতা হয়ে যাচ্ছে.................................।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এসব দেখে দেখে অভ্যস্থ হওয়া, আর সিস্টেমের সাথে মিশে যাওয়ার যোগ্যতা না থাকলে আপনি দেশপ্রেমিক না। স্যরি!!
২৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২
করুণাধারা বলেছেন: আবরারকে মারতে চায়নি, চেয়েছিল জন্মের মত শিক্ষা দিয়ে পুলিশের কাছে শিবির বলে ধরিয়ে দিতে। এখন এমন অনেক কাহিনী বের হচ্ছে, যাদের ছাত্রলীগ-শিবির বলে ধরিয়ে দিয়েছিল পুলিশের কাছে। আবরারকে মারপিট করে ওরা আনন্দ ফুর্তি করে খাওয়া-দাওয়া করে এসে বার্সেলোনার খেলা দেখলো। তারপর দেখে আবরার মরে গেছে!! এরপর যদি এরা কোনদিন আবরারের মা-বাবাকে দায়ী করে, আবরারকে তারা ভালো করে খাওয়ায়নি তাই এইটুকু মার সহ্য না করতে পারে মরে গেল, তবে আমি শুনে একটু অবাক হব না।
কিছুদিন আগে আরেকটা ছেলেকে এভাবে মেরে অর্ধমৃত অবস্থায় দোয়েল চত্বরে ফেলে আসে। চিকিৎসায় ছেলেটা বেঁচে গেলেও তার স্মৃতি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে, শরীরে ঠিকমত কাজ করেনা, জীবন্মৃত হয়ে বেঁচে আছে। তাই মনে হয় আবরার মরে গিয়ে বেঁচে গেল, আরো অনেক ছেলেদের বাঁচিয়ে দিয়ে গেল...
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পিটিয়ে পুলিশে দিতে চাওয়ার কাহিনী তো মাত্র শুরু, আরো কতকিছু যে দেখবেন! এখন এরা অপেক্ষায় আছে, কখন পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হয়। তারপর আরো অনেক কাহিনী ডালপালা গজাবে।
দেশে যে কোনও কিছুর জন্যই তৈরী থাকা ভালো। কখন কি অবস্থা হয় বলা যায় না।
এমন ঘটনা তো আপা একটা/দুইটা না, বহু আছে। কয়টার কথা বলবেন?
২৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
আপনার লেখাটা দুইবারে পড়লাম,
প্রথম প্যারা পড়ে ভীষণ কষ্ট লাগলো তো তাই। এমন ভয়ঙ্কর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
কিছুই বলার বা লেখার নেই ভাই এদেশে কিছু কিছু ব্যক্তিবর্গের জন্য কোন আইন ও বিচার বিভাগ নেই ।
আর আপনিও সর্বদা ভালো থাকুন এই আশা রাখছি।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পুরো ঘটনাটাই তো কষ্টের......অবশ্য শুধু বিবেকবান মানুষদের কাছে। তবে, কারো বিবেক যদি কোথাও বাধা পরে যায়, তাহলে আলাদা কথা!
আপনি কষ্ট পেয়েছেন, আমি কষ্ট পেয়েছি....সারা দেশের অগুনতি মানুষ কষ্ট পেয়েছে। এর মধ্যেও অনেকে দেখবেন এটা নিয়ে মজা করার চেষ্টাও করে। এমন লোকেরও অভাব নাই।
আপনিও সর্বদা ভালো থাকুন, বিশেষ করে যদি আপনি দেশে থাকেন। কার মাথায় কখন যে গজব নেমে আসবে, কেউ বলতে পারে না।
৩০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
তিনবার বলছি: -
খুনীদের শাস্তি হওয়া জরুরী, সাথে খুনীদের বড় ভাই ও বস নামক নিকৃষ্ট জীবদের। এদের ছেড়ে দিলে এরাই একদিন সরকার আক্রমণ করবে নিশ্চিত।
খুনীদের শাস্তি হওয়া জরুরী, সাথে খুনীদের বড় ভাই ও বস নামক নিকৃষ্ট জীবদের। এদের ছেড়ে দিলে এরাই একদিন সরকার আক্রমণ করবে নিশ্চিত।
খুনীদের শাস্তি হওয়া জরুরী, সাথে খুনীদের বড় ভাই ও বস নামক নিকৃষ্ট জীবদের। এদের ছেড়ে দিলে এরাই একদিন সরকার আক্রমণ করবে নিশ্চিত।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: খুনীদের শাস্তি হওয়া জরুরী, সাথে খুনীদের বড় ভাই ও বস নামক নিকৃষ্ট জীবদের। এদের ছেড়ে দিলে এরাই একদিন সরকার আক্রমণ করবে নিশ্চিত। এটা আপনি বুঝতে পারছেন, আমি বুঝতে পারছি.....দেশের জনগনও বুঝতে পারছে। তবে, যাদের বোঝার কথা তারা বুঝছে না। বিপদ একেবারে চোখের সামনে না আসলে এদের টনক নড়বে না। সমস্যা হলো, তখন কিছু করার সময় থাকবে কিনা সন্দেহ!
৩১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:১৬
সোহানী বলেছেন: মফিজ ভাই, আপনার মতো ঠিক আমারই একই দশা। কোনভাবেই কোনকিছুতে মনোযোগ ধরে রাখতে পারছি না। চোখ বন্ধ করলেই একটি অসহায় ছেলেকে মারছে এমন দৃশ্য দেখতে পাই। (আপনার মতো ডাক্তারের কাছে আমারো এ্যাপয়ন্টমেন্ট নেবার সময় হয়েছে।)
ঢাবির ছাত্রী আমি। এরকম মারামারি, গোলাগুলি নিত্য ঘটনা ভার্সিটি লাইফে। কিন্তু এভাবে বন্ধুরা পিটিয়ে মারার ঘটনা বা টর্চার সেলের কাহিনী শুনিনি। যুদ্ধে টর্চার সেল বা হাল আমলে কিছু গুন্ডা নেতার টর্চার সেল এর কথা শুনেছি। কিন্তু স্বয়ং বুয়েটের মতো জায়গায় এমন কিছু সত্যিই পীড়াদায়ক। একটি ছেলে বুয়েটে ভর্তি হওয়া মানে দেশের সেরা মাথা। তাদের কাছ থেকে এমন অমানবিক কিছু প্রচন্ড হতাশার।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি কানাডা থাকেন, জানেন যে পশ্চিমা দেশগুলোতে ‘স্ট্রেস‘ কে কতোটা সিরিয়াসলি দেখা হয়। একটা এ্যাপয়ন্টমেন্ট নিয়ে ফেলুন। জানি, আপনি এটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন, তারপরেও একটা সেশান বেশ কাজে দেয়। অভিজ্ঞতায় দেখলাম।
ছাত্র রাজনীতির একটা উত্তাল সময়ে আমিও ঢাবিতে পড়েছি। কাটা রাইফেলের বিকট শব্দ একেবারেই স্বাভাবিক ছিল তখন। তারপরেও আপনার মতো আমিও এতোটা শুনিনি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, নেতারা আধুনিক হচ্ছে.....সামনে আর কি কি দেখবো আল্লাহ জানেন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
৩২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৭
শেহজাদী১৯ বলেছেন: বাংলাদেশে স্ট্রেস ডিপ্রেশন, এসব ডালভাত। এসবকে মানুষ গুরুত্ব দেয় না বরং অনেকেই ভেবে থাকেন বাড়াবাড়ি। জলে বাস করে কুমিরের সাথে যুদ্ধ চলে না ঠিক একই ভাবে বাংলাদেশে বাস করে স্ট্রেস ডিপ্রেশনকে পাত্তা দিলে চলে না। এসবের সাথেই আমাদের নিত্যদিনের বসবাস।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশে স্ট্রেস ডিপ্রেশন, এসব ডালভাত। এক অর্থে সত্যি, কারন প্রতিনিয়ত এতো এতো বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেস মোকাবেলা করতে হয় যে, ডালভাতই হওয়ার কথা। তবে, স্ট্রেস/ডিপ্রেশনের গুরুত্ব বোঝার মতো অবস্থায়ও সিংহভাগ মানুষ যায় নাই, এটাও সত্যি। সেজন্যেই বাড়াবাড়ি ভাবে।
৩৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভুয়া মফিজ ভাই,
গতকালই পোস্টটা পড়েছি ও লিংকের ভিডিওটাও দেখেছি। আবরারকে নিয়ে আমার পোস্ট করা লেখাটিতে এমন উদ্ভট মন্তব্যের আশংকায়ই মন্তব্য বন্ধ রেখেছিলাম। কারণ সবসময় উসকানি সহ্য করা যায় না। যেটা এই পোস্টে আপনার ক্ষেত্রেও হয়েছে। কিছু কিছু ব্লগারের বিবেকের পাশাপাশি আবেগও কাজ করে না। তাদের আরোগ্য কামনা করি।
আমার ছোট ভাইও আবরারের এক বছরের বড়, ঢাবির ছাত্র তাই এক্ষেত্রে আমাদের আবেগ কাজ করাটা স্বাভাবিক। আল্লাহ আমার ভাইবোনকে সবসময় হেফাজত রাখুক। আবরারের ঘটনাটি আসলেই হৃদয়ে দাগ কেটে গেছে। দেশের পরিস্থিতি দুঃখজনক।
মাঝেমধ্যে মনে হয় আমারও কাউন্সিলিং করা দরকার। সমাধান না পেলেও হয়তো কিছুটা হালকা বোধ হবে।
আজকের পোস্টে কোন হাস্যরস মন্তব্য করতে পারলাম না,। ভালো থাকুন ভুয়া ভাই। বিলম্বিত আগমনের জন্য দুঃখিত।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের প্রত্যেকেরই কোন না কোন আত্মীয় দেশের কোন না কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। আবরারের সাথে আজ যেটা হয়েছে, কাল সেটা যে কারো সাথে ঘটতে পারে। এটুকু বোঝার জ্ঞান না থাকলে কেউ হাস্যরস করতেই পারে। এদের জন্য শুধুই করুণা।
উপরে ৩৩ নং এ ব্লগার শেহজাদী১৯ যেমনটা বলেছে......বাংলাদেশে স্ট্রেস/ডিপ্রেশনকেই পাত্তা দেয়া হয় না, কাউন্সিলিং তো দুরের কথা। তবে যাদের এ'সম্পর্কিত সাধারন জ্ঞান আছে, তারা এর গুরুত্ব বোঝে।
আপনিও ভালো থাকুন, আপনার ছোটভাইও ভালো থাকুক। দেশের সব ভাইদের মঙ্গল কামনা করছি।
৩৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০৫
মিরোরডডল বলেছেন:
পোষ্ট পড়লাম কিন্তু এতদিন পর এই নিয়ে আর নতুন করে বলতে ইচ্ছে করছে না।
এ ধরনের ঘটনা কখনোই কাম্য না, তারপরও একের পর একে চলছেই।
সময়ের সাথে আবার মানুষ ভুলেও যাচ্ছে।
ক্রিস খুব মজার, একইসাথে ভালো মানুষ।
এরকম একজন বন্ধু পাশে থাকা দরকার।
হুমায়ূন আহমেদকে আমিও খুব মিস করি।
কোথাও কেউ নেই তার একটা অনন্য সৃষ্টি।
পোষ্টের ছবিটা অনেক কিউট!
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের সবকিছু ভুলে যাওয়ার অভ্যাসের কথা বিবেচনা করলে বেশ পুরানো ঘটনা। ভুলে যাওয়ারই কথা। তারপরেও বিশেষ কিছু কারনে এটা আমার মনের গহীনে মাঝে-মধ্যেই ঘাই দেয়। তবে আগের মতো ঢেউ তোলে না, এটাও সত্যি।
ক্রিস আসলেই খুব ভালো মনের একজন মানুষ। আসলে ভালো মনের সেন্সিবল মানুষ না হলে আমার বন্ধু হওয়া সম্ভব না।
ছবিটা আসলেই কিউট। পান্ডা জিনিসটাই কিউট!!!
৩৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:১১
মিরোরডডল বলেছেন:
অনেকদিন ক্রিসের কথা শুনি না।
ক্রিসকে নিয়ে মজার নতুন কোন গল্প চাই ভুম।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সময়ের বড়ই অভাব। দেখা যাক, কতোটা কি করতে পারি!!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রধানমন্ত্রী দেশ চালান, উনি বুয়েটকে স্বাধীনতা দিয়েছেন, ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে; বুয়েট সিদ্ধান্ত নিয়েছে; প্রধানমন্ত্রী সঠিক কাজ করেছেন।