নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তিনকাল

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬



সবাই জানেন, আমাদের দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে বেশ অনেকগুলো। স্বাভাবিকভাবেই তাতে শিক্ষকরাও আছেন; অবশ্যই শিক্ষা দানের জন্য। আর হল আছে ছাত্র ছাত্রীদেরকে আবাসিক সুবিধা দানের জন্য এবং ম্যানার শেখানোর জন্য। এই শিক্ষকদের অনেকেই আবার হলগুলোতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন হাউস টিউটর আর প্রভোষ্ট হিসাবে। এই মহান শিক্ষকবৃন্দ উনাদের এই দু‘টা দায়িত্বের বাইরে আরো বেশ কয়েকটা দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো, শিক্ষক রাজনীতি। লাল, নীল, সাদা, হলুদ, সবুজ ইত্যাদি নানা কিসিমের রঙ্গে উনারা রন্জিত। ছাত্র রাজনীতির ধারার সাথে সঙ্গতি রেখে উনারও দলীয় রাজনীতিই করেন। ভাবখানা এমন, শুধু ছাত্ররাই মধু খাবে আর আমরা খাবো না, এটাতো হতে পারে না! হাজার হলেও আমরা শিক্ষক…..আমাদেরকে দেখেই তো আমাদের ছাত্ররা শিখবে; ঠিক নাকি বেঠিক? যাকগে, ঠিক কিংবা বেঠিক এখানে গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হলো, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থাকা ছাত্র-শিক্ষকদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য।

বিষয়টা আরেকটু খোলাসা করি।

যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের ছাত্র সংগঠনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিষয়ে নাক গলানোর সাথে সাথে হলগুলোর, তথা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের আদব-লেহাজ কেমন হবে সেটার দেখভাল করে। একই ভাবে শিক্ষকদের সংগঠনটাও দেশের ক্ষমতায় থাকা দলটির লেজুড়বৃত্তির সাথে সাথে সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থ না দেখে মূল দলের স্বার্থ দেখাশোনা করে। বুঝতেই পারছেন, এখানে সমীকরন খুবই সরল। চোরে চোরে যেমন মাসতুত ভাই, তেমনি মূল দলের ছাত্র এবং শিক্ষক সংগঠনও মাসতুত ভাই। ভাই বললাম, কারন তাদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া যতটা না ছাত্র-শিক্ষকের, তার চেয়েও বেশী বড়ভাই-ছোটভাই এর।

এসব আপনাদের কাছে নতুন কিছু না, সবাই সবকিছু জানেন। তবে যেটা আপনাদেরকে দেখাতে বা জানাতে চাই, তাতে যাওয়ার আগে এই ভূমিকাটার প্রয়োজন ছিল বলেই আমার মনে হয়েছে। আমি অতীতের, বর্তমানের আর ভবিষ্যতের শিক্ষকবর্গ কেমন ছিলেন, আছেন এবং হবেন…..এটাই দেখাতে চাইছি। পুরোটাই আমার কল্পনা। তবে অতীত আর ভবিষ্যতের ব্যাপারে আপনারা আপনাদের নিজস্ব কল্পনাশক্তির প্রয়োগও ঘটাতে পারেন, চাইলে। বিশেষ করে, আমি যেহেতু নির্দিষ্ট কোন সময়ের কথা বলছি না।

তাহলে আর কথা বাড়াই না। চলুন তাহলে প্রথমেই দু‘টা দৃশ্যকল্পে অতীতের শিক্ষকগন কেমন ছিলেন দেখি।

দৃশ্যকল্প ১: ‘জাতীয় দেশপ্রেমিক পার্টি‘ রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতায়। তাদের ছাত্রসংগঠনের এক নেতা বিরুদ্ধমতের এক ছাত্রকে একটু শায়েস্তা করতে মনস্থ করলো। যথারীতি, সেই ছাত্রের ডাক পড়লো একটা নির্দিষ্ট কক্ষে।

- তোমাকে নিষেধ করার পরও তুমি আমাদের নামে উল্টাপাল্টা কথা বলতেছ। ঘটনাটা কি? নেতার প্রথম সওয়াল।
- ভাই, আপনে কিন্তু এইভাবে আমারে চার্জ করতে পারেন না। আমার অধিকার আছে নিজের মত প্রকাশের। অভিযুক্ত ছাত্রের জওয়াব।
- তুমি সাহসটা বড্ড বেশী দেখাইতেছো। কান ধইরা এক্ষনে আমার সামনে ১০০ বার উঠবস করো, নাইলে তোমার খবর আছে কইলাম! হাড্ডি-মাংস কিন্তু এক কইরা ফেলবো!!

হঠাত বাইরে পাহারায় থাকা এক সাগরেদের ত্বরিত প্রবেশ…..ভাই, প্রভোষ্ট স্যার এদিকে আসতেছেন। আমি কিন্তু ভাগলাম। শুনে বড়ভাইও তিনলাফে পেছনের দরজা দিয়ে পগার পাড়। আর সাথে সাথেই স্যারের প্রবেশ।

- এই যে, তোমাকে ওরা কোনরকমের মারধর করেছে?
- না স্যার। ১০০ বার কান ধরে উঠবস করতে বলেছিল। আপনি আসতেছেন শুনে এইমাত্র ওই দরজা দিয়া পালাইছে।
- কত্তোবড় সাহস! তুমি কোন চিন্তা কোরো না, কালই ওকে ডেকে নিয়ে আমি এর একটা বিহিত করবো। দরকার হলে আরো উপরে কথা বলবো। অন্তত আমি যতদিন এই হলের দায়িত্বে আছি, এসব ফাজলামো একেবারেই সহ্য করবো না। তুমি যাও, নিশ্চিন্তে পড়ালেখা করো। আমি বিষয়টা দেখছি!

দৃশ্যকল্প ২: পরীক্ষার হল। দেশপ্রেমিক ছাত্রসংগঠনের এক নেতা নকল করছে। হঠাত গার্ডরত স্যার তা দেখতে পেয়ে খাতা টেনে নিয়ে নেতাকে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে যেতে বললেন।

নেতা বের হওয়ার সময়ে বললো,

- স্যার, একটু বাইরে আসবেন?
- বল, কি বলবে? স্যার বাইরে এসে বললেন।
- স্যার একটু দয়া করেন। এবারের মতো পরীক্ষাটা দিতে দেন, নয়তো আমার মান-ইজ্জত থাকবে না।
- নকল করার সময় এটা মনে ছিল না?
- স্যার, সবার সামনে এই অপমান, খুব খারাপ লাগছে। আপনি তো জানেন স্যার, আমি দেশপ্রেমিকের একজন ছাত্রনেতা, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একজন সাচ্চা অনুসারী! বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়, তাই পড়াশুনা তেমন একটা করতে পারি নাই। নেতা কাদো কাদো স্বরে জানালো।
- নেতা হও আর প্রধানমন্ত্রীর ছেলেই হও, আমার কিছু যায় আসে না। আমার কাছে সব ছাত্র সমান। আর ছাত্রদের প্রধান কাজ পড়ালেখা করা, তারপরে অন্য কাজ। তুমি এখন যেতে পারো। তোমাকে আর সময় দিতে পারছি না। দুখিত।

একই দৃশ্যকল্পে এবার বর্তমানের প্রেক্ষাপট।

দৃশ্যকল্প ১: দেশপ্রেমিক পার্টির সমালোচনা করায় এক ছাত্রকে বেদম উত্তম-মধ্যম দেয়ার ফলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেক ধকল যাওয়াতে নেতা তার সাঙ্গ-পাঙ্গসহ মদের আসর বসিয়েছে রুমে। এমন সময় হল প্রভোষ্টের ফোন, নেতার ডাক পড়েছে প্রভোষ্টের অফিসে।

- কি ব্যাপার স্যার, এতো রাতে অফিসে ডাকলেন! একটু রিল্যাক্সও করতে দিবেন না! নেতা তার বিরক্তি প্রকাশ করলো।
- হলে এইসব করার আগে আমাকে একটু জানাবা না! ছেলেটার অবস্থা তো বেশী ভালো না। মরে গেলে কিন্তু বিপদে পড়বা। শুকনো গলায় জানালো প্রভোষ্ট।
- বিপদে পড়বো মানে? আপনে আছেন কি জন্য? মনে রাখবেন, বিপদে কিন্তু আমি একলা পরবো না, আপনেও পরবেন। গতমাসে আপনেরে টাকা দিছি না! সেইখান থেকে একটু খরচ করেন। ভালো ডাক্তার দেখান, আর থানারেও ম্যানেজ করেন। সবই যদি আমি করবো তো আপনে আছেন কি জন্য?
- টাকা খরচ করবো মানে? ওইটাতো আমার জন্য!
- আচ্ছা আচ্ছা! হইলো তো! নিয়েন আবার, এখন ম্যানেজ করেন। রাতে আর ডিস্টার্ব কইরেন না কিন্তু!

দৃশ্যকল্প ২: দেশপ্রেমিক ছাত্রসংগঠনের এক নেতা পরীক্ষার হলে নকল করছে। স্যার দেখতে কাছে এসে চাপা স্বরে বললেন,

- একটু ঢেকে ঢুকে নকল করো না কেন? দেখতে খারাপ দেখা যায়!
- নকল করলাম কই? এইটাতো আমার অধিকার। বিভিন্ন কাজে কি পরিমান ব্যস্ত থাকতে হয় তাতো আপনেও জানেন। ছাত্র আরো চাপা স্বরে বললো।
- ঠিক আছে। লেখ। এই সাবজেক্টে তো তুমি এমনিতেই ফেল করতে চাইলে। তাহলে নকল করার দরকার কি?
- আপনে তো দেখি স্যার কিছুই বুঝেন না। পরীক্ষা না দিয়া ফেল করলে সবাই বলবে না…..আরো এক বছর থাকার জন্যই পরীক্ষা দেয় নাই! তাই একটু অভিনয় করি আরকি!! পরীক্ষার হলে খামাখা বইসা থাইকা কি করবো? তাই একটু টাইম পাস করি! হে হে হে!!!!

এবার চলুন তাহলে, ভবিষ্যতে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে একটু দেখি।

দৃশ্যকল্প ১: রাত ১০টার দিকে দেশপ্রেমিক ছাত্রসংগঠনের এক বড় নেতা হলের প্রভোষ্ট স্যারকে ফোন করলো,

- হ্যালো, স্যার কি ঘুমায়ে পড়ছিলেন?
- না, না ঘুমাই নাই। আর ঘুমালেই বা কি? তোমাদের জন্য আমি সবসময়েই সজাগ।
- তা ঠিক। স্যার, যে জন্যে ফোন করছিলাম। একটু পরে ভিন্নমতের দু‘জন ছাত্রকে সাইজ করা হবে। আপনে কিন্তু ঘুমাবেন না। পুলিশ, এ্যম্বুলেন্স, হাসপাতাল ইত্যাদি ম্যানেজ করতে হতে পারে।
- অবশ্যই, এটা তো আমার দায়িত্ব! ইয়ে, বলছিলাম কি…..হাত পা ভেঙ্গে দাও, তবে জানে মেরে ফেলো না। বোঝোই তো….
- সেই নিশ্চয়তা তো স্যার দিতে পারি না। এ‘টুকু মাইর সহ্য করতে না পেরে যদি মরেই যায়, সেটার জন্য কি আমরা দায়ী?
- না না, ছি ছি কি বলো! তোমরা দায়ী হতে যাবে কেন? ঠিক আছে, আমি আছি..….অল দ্য বেস্ট!!

দৃশ্যকল্প ২: আগের দুই কালের মতোই যথারীতি এক ছাত্রনেতা পরীক্ষা দিচ্ছে। আধাঘন্টা পরেই সে খাতা, প্রশ্নপত্র সব ছুড়ে ফেলে দিল। গার্ডরত স্যার দৌড়ে এলো,
- কি ব্যাপার? সমস্যা কি?
- আবার জিজ্ঞেস করেন সমস্যা কি? দুইদিন আগে ডিপার্টমেন্টের হেডস্যার প্রশ্নপত্র দিয়েছিল আমাকে, অর্ধেক প্রশ্নপত্রই তো দেখি মিল নাই!
- বলো কি! কি সর্বনাশের কথা!! আচ্ছা, মাথা গরম কোরো না। তুমি বসো, আমি লিখে দিচ্ছি।
- আপনে না হয় আমারটা লিখলেন, কিন্তু আমি যে সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এই প্রশ্নপত্র বেচলাম? সেই টাকা এখন কে ফেরত দিবে! আপনে নাকি ডিপার্টমেন্টের হেড? তাছাড়া, এইটা আমার মান-ইজ্জতেরও প্রশ্ন। শোনেন, এই পরীক্ষা বাতিল। হেড স্যারকে গিয়ে বলেন, এই পরীক্ষা আবার নিতে হবে।


অতীত তো অতীত, বর্তমান আপনারা কমবেশী সবাই জানেন। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ না হওয়া এবং এর নেতা-কর্মীদের উন্নতির ট্রেন্ড বিবেচনায় রেখে আমি ভবিষ্যতের কল্পনা করেছি। আপনাদের ভিন্নমত থাকতেই পারে। সেজন্যেই আপনাদেরকে লাগামছাড়া কল্পনার স্বাধীনতা আগেই দিয়ে রেখেছি। আমার কল্পনা পছন্দ না হলে যে যার মতো করে মনের মাধুরী মিশিয়ে নিন।

উপরের ছবির ওই মন্তব্যটা এরিস্টোটল কি চিন্তা করে করেছিলেন, আমার জানা নাই। তবে, আজকালকার যুগে আমাদের সোনার বাংলায় যদি উনি ভুলক্রমে এসেই পরেন, তাহলে ওটা বাতিল বা বদলে দিবেন, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

আরেকটা কথা। আজকের যুগেও অনেক নমস্য শিক্ষকবৃন্দ আছেন, তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনও চলছে। তবে, উনারা বিলুপ্ত হতে চলেছেন। ভবিষ্যতে উনাদের কথা হয়তো আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম বইতে পড়বে কিংবা মাদাম তুশোর মিউজিয়ামের মতো কারো কারো মোমের মূর্তি আমাদের যাদুঘরে প্রদর্শিত হলেও হতে পারে। আমার এই লেখাটা সেইসকল শ্রদ্ধেয়, ব্যতিক্রমী এবং বিলুপ্তপ্রায় সন্মানীত শিক্ষকবৃন্দকে বাইরে রেখেই।


ফটো ক্রেডিট: গুগল।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: আপনার দেশ বিলাতে যে শিক্ষক নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে কখনো কখনো পোস্ট গ্রাজুয়েট ছাত্রদেরও রাখা হয়। আমাদের দেশের উন্নয়ন হইতেছে, এখানেও রাখিতে হইবে।

পূর্বে শিক্ষকদের ক্ষীণ দৃষ্টি ছিল, এখন ওনার চশমা পরিয়া দৃষ্টিসীমা 'ভিশন ২০৪১' পর্যন্ত প্রসারিত করিয়াছেন, কাজেই পরিবর্তন হইতেছে। সকল পরিবর্তনই পজিটিভ। আপনি অ্যারিস্টোটলের কথা বলিয়াছেন, আমাদের দেশের এক নেতাকে তাহার সাগরেদেরা অ্যারিস্টোটলের চাইতে বড় বলিয়াছেন সে খবর রাখেন? রাখেন না, রাখিলে দেশি ঠাকুর বাদ দিয়া বিলাতি বা গ্রিক কুকুর লইয়া মাতিতেন না। এখন একটু ব্যস্ততা আছে, পরে আসিয়া আপনার ভুয়ামি বাহির করিবো।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশের নেতারা অন্যদেরকে গোনায় ধরেন না, তারা তাদের মতো করে উন্নয়নে বিশ্বাসী। কাজেই পোস্ট গ্রাজুয়েট ছাত্রদের ইন্টারভিউ বোর্ডে রাখার চিন্তা বাদ দেন। বরং ছাত্রনেতাদের রাখা যেতে পারে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই ওনাদের সুচিন্তিত মতামত খুবই জরুরী।

দেশি ঠাকুরের কথা জানতাম না। জানলে কি আর অ্যারিস্টোটলের কথা বলি?

আপনার ব্যস্ততা কমুক, ততক্ষনে যতটুকু পারি ভুয়ামী করে নেই, কি বলেন? :P

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলামের নবি মক্কার যে পথে চলাচল করতেন, এক বুড়ি সেই পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখত। নবির পায়ে কাঁটা বিঁধলে দূরে বসা বুড়ি খিলখিল করে হাসত। নবি রোজ পায়ে ব্যথা পেলেও বুড়িকে কিছুই বলতেন না। একদিন দেখলেন পথে কাঁটা নেই। এদিক-ওদিক তাকিয়ে বুড়িকেও দেখতে পেলেন না। তার মনে সন্দেহ জাগল। খুঁজতে খুঁজতে চলে গেলেন বুড়ির বাড়ি। দেখলেন, অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে বুড়ি। নবিকে দেখে বুড়ি তো ভয়ে তটস্থ। ভাবল, এবার বুঝি তার অপকর্মের শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু নবি কাঁটার কথা তুললেনই না।...

পোষ্টের সাথে আমার মন্তব্যটি কি অপ্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে??

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইয়েস! মনে হচ্ছে!!

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭

করুণাধারা বলেছেন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীতকালের দুটি দৃশ্যপট আমিও বর্ণনা করছি, কিন্তু স্থান কাল পাত্র বলছিনা।

দৃশ্যপট ১: একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। যে দুটি প্যানেলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, সেই দুটি প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সারাদিন ভোট গণনার পর ফলাফল ঘোষণা হল। দেখা গেল বিজয়ী ভিপি আর পরাজিত ভিপি একসাথে সব হলে হলে গিয়ে সাধারণ ছাত্রদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, সাথে তাদের পুরো দল। যে ভিপি পরাজিত হয়েছেন, তার প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক আবার বিজয়ী হয়েছেন। তাই ছাত্র সংসদে দুই দলেরই অবস্থান, সবাই আনন্দিত। হলে হলে শুভেচ্ছা জানানোর পর সবাই মিলে ক্যাফেটেরিয়ায় খেতে গেলেন। তখন টেন্ডারবাজি ছিলনা, তাই খাওয়া ছিল শুধু চা সিঙ্গারা।

পরাজিত ভিপি অতঃপর লেখাপড়ায় মনোযোগ দিলেন। ৭ সেমিস্টার মিলে তিনি ছিলেন সেকেন্ড, অষ্টম সেমিস্টারে এতই মন দিলেন পড়ায়, যে হয়ে গেলেন ৮ সেমিস্টার মিলে ফাস্ট। হয়তো মনে হচ্ছে আমি কোন রুপকথা বলছি, আজকালকার ছাত্রনেতারা তো লেখাপড়া করে না... কিন্তু এটা রূপকথা নয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীতের এরকম আরো অনেকগুলো দৃশ্যপট বলতে পারতাম, কিন্তু বলছি না। জানি কেউ বিশ্বাস করবে না।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা ভর্তি হয় তারা তো মেধাবী সন্দেহ নাই। ভর্তি হয়ে যারা বিভিন্ন কারনে রাজনীতিতে আসে, তারা একসময়ে টাকা আর ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে যায়। পড়ালেখা করার আর সময় থাকে কই এদের? পড়লে ভালো অবশ্যই করবে, এটা আমি অন্তত বিশ্বাস করি।

বর্তমান ছাত্র রাজনীতি মানব না, দানব তৈরী করছে। এরাই যখন নীতিনির্ধারণী ভূমিকায় আসবে, তখন দেশের আর জনগনের কি হবে.....চিন্তা করলেই ভয় হয়।

একসময় ছাত্র রাজনীতি সুস্থ্ই তো ছিল.....যতো দিন যাচ্ছে, অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে!! :(

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি বার বার বলি আর লিখি, বিশ্বের আর কোন দেশে কোন শিক্ষক ছাত্র নেতাদের ধমক খায় না, আর কোন শিক্ষক তার পাশে ছাত্রনেতাকে বসায় না, বিশ্বের আর কোন দেশের ভিসি এরকম বিচি বিহীন চলাফেরা করে না...

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিশ্বের অনেক দেশেই অনেক কিছু হয় না, যেটা বাংলাদেশে হয়। তেমনিভাবে, বিচি বিহীন ভিসিও আর কোথাও পাবেন না। কিন্তু বাংলাদেশে প্রচুর পাবেন! সেজন্যেই তো আমাদের মন্ত্রীদের এপয়েন্টমেন্টের জন্য অন্য দেশের মন্ত্রীরা ধর্ণা দেয়!! ;)

আর সেজন্যেই কবি বলেছেন, এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি!!!

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩০

যাযাবর চখা বলেছেন: দেশের ভবিষ্যত অন্ধকার। লেখাটা ভালো লাগলো।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খুবই অন্ধকার।
লেখা আপনার ভালো লেগেছে......সেজন্যে কৃতজ্ঞ। :)

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১০

বলেছেন: যাই দিন ভালো, আসে দাওন খারাপ।।।


২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তা তো বুঝলাম, কিন্তু আপনার খবর কি? দিনকাল কেমন চলছে? :)

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: ম হাসান ভাই আর করুনাধারা আপুর মন্তব্য পড়ার পর নতুন করে আর কিছু লিখতে হলো না।
সারা দেশে সব জায়গায়ই একই অবস্থা!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই ছবি দিয়ে মন্তব্য করার স্টাইলটা ভালো। আর ছবিগুলোও হয় লা-জওয়াব। যেমন, এই ছবিটা।

অনেক সময় একটা ছবিই অনেক কিছু বলে দেয়।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৪০

মা.হাসান বলেছেন:
সকালে তাড়াহুড়ায় পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের বিষয়টা ব্যাখ্যা করতে পারিনি। বাংলাদেশে পিএইচডি লেভেলের ছাত্র সংখ্যা কম; কারণ ব্যাপক উন্নয়ন , চাকরির বাজার ভালো, ছেলেরা পাশ করার আগেই চাকরি পেয়ে যায়, পিএইচডি করার প্রয়োজন হয় না। তবে ছাত্রদের গাইড করার জন্য কিছু সিনিয়র ছাত্র দরকার। যেহেতু আপনি ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমার্স ফ্যাকাল্টির ছাত্র, এখানকার বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ বর্তমান ডিন জনাব রুবাইয়াত শিবলী কে নিশ্চয়ই চেনেন। উনি পবিত্র বাণী দিয়েছেন যে এই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারলে আজীবন ছাত্র থাকা সম্ভব। এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে ভর্তি হতে গেলে, নতুন কোর্সে ভর্তি হতে গেলে -- নতুন কোন ভর্তি পরীক্ষার দরকার নেই। এই প্রক্রিয়ায় ম্যানুফাকচার্ড সিনিয়র ছাত্ররাই আমাদের পোস্ট গ্রাজুয়েট ছাত্র।

শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর মডেল হতে পারে। একজন চেয়ারমন সাবের ভিজিটিং কার্ডের ছবি নিচে দিলাম।



ওনার এমএসসি ডিগ্রী লাভ এর কাহিনী পৃথিবীর ইতিহাসে অদ্বিতীয়। উনি এমএসসি তে উনার বিভাগে একমাত্র ছাত্র ছিলেন। নিজেই নিজের কোর্স শিক্ষক ছিলেন। ওনার পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উনি নিজেই ছিলেন। পরীক্ষার প্রশ্ন ও নিজেই তৈরি করেছেন, নিজেই মডারেশন করেছেন। ওনার পরীক্ষার গার্ড উনি নিজেই দিয়েছেন। নিজেই নিজের পরীক্ষার খাতা দেখেছেন , নম্বর দিয়েছেন, টেবুলেশন শিট তৈরী করেছেন, রেজাল্ট দিয়েছেন। এত কষ্ট করে এমএসসি ডিগ্রি নেওয়ার শিক্ষক সেকালে কি ছিল? এনার মতো বা যোগ্যতা সম্পন্ন চেয়ারমন বা শিবলী সাহেবের মত প্রজ্ঞাবান ডিন আপনার ছাত্র জীবনে নিশ্চয়ই দেখেন নি।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার ছাত্র জীবনে যাই দেখি আর নাই দেখি, কোন এসিস্ট্যান্ট প্রফেসরকে ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান হতে দেখি নাই। বাংলাদেশে চেয়ার মনে হচ্ছে আজকাল খুব সহজেই কেনা যায়! ভিজিটিং কার্ডের যে বাহার, ভুয়া নয় তো!!! B-)

ওনার এমএসসি ডিগ্রী লাভ এর কাহিনী পৃথিবীর ইতিহাসে অদ্বিতীয়। আপনার বর্ণিত কাহিনী যদি সত্যি হয় তাহলে বলতেই হবে, আক্কাস আলী ঝাক্কাস কাজ করেছে। গীনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ওনার নাম লিপিবদ্ধ করা উচিত অবিলম্বে।

পুরস্কার স্বরুপ উনার বিচি ফেলিয়া দেওয়া হউক......না, থুক্কু......উনাকে BSMRSTU এর ভিচি, অর্থাৎ ভিসি বানিয়ে দেয়া হউক!!! :)

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:৪৭

বলেছেন: @ মা হাসান, শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর মডেল হতে পারে। একজন চেয়ারমন সাবের ভিজিটিং কার্ডের নমুনা দেখে তাই মনে হলো।।। -- হায় ডিজিটাল।।।
@ মফিজ ভাই, আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি ভাই।।। আপনি আমাকে সেগরেটারি পোস্ট কেন দিতে চান, উপদেষ্টা করলে কি দোষ।।।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সংগঠনটাই তো দু‘জনের। আপনি উপদেষ্টা হলে সাধারন সম্পাদক কে হবে? ;)

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

মা.হাসান বলেছেন:
আপনার বর্ণিত কাহিনী যদি সত্যি হয় তাহলে বলতেই হবে, আক্কাস আলী ঝাক্কাস কাজ করেছে।
কার্ডে ফোন নম্বর আছে, একটা ফোন করে কথা বলে দেখেন না, ( B-)) )। বিলাত থেকে দেশে ফোন করা তো এখন অনেক কম খরচের।
ভুলে অ্যারিস্টোটলের লিংক দেয়া হয় নি- নিচে দিলামঃ
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1599000/‘বঙ্গবন্ধু-ছিলেন-অ্যারিস্টটল-প্লেটোর-সমকক্ষ

আপনারা দুজন কমিটি তৈরির আগেই যা শুরু করলেন, এভাবে ক্যাসিনো সামলাইতে পারবেন না।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিলাত থেকে দেশে ফোন করা তো এখন অনেক কম খরচের। খরচের কথা বলবেন না, ট্যাকা আমার কাছে তেজপাতা। তবে আজাইরা লোকের সাথে কথা বলতে কোন উৎসাহ পাচ্ছি না! :P

লিঙ্কের ঘটনা জানি। বঙ্গবন্ধু নিজেই এদেরকে ‘চাটার দল‘ বলতেন। এরা সবকিছুই চাটতে পারে। এদের ব্যাপারেও আমার কোন উৎসাহ নাই।

আপনারা দুজন কমিটি তৈরির আগেই যা শুরু করলেন, এভাবে ক্যাসিনো সামলাইতে পারবেন না। এটাই বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র। দুইজন মানুষও কোন বিষয়ে একমত হতে পারে না। সেজন্যে দেশটাই ঠিকমতো চালাতে পারে না। ক্যাসিনো তো বহুত দুর কি বাত!!!:)

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: শিক্ষা-শিক্ষক-শিক্ষকতা নিয়ে ভাবলে এ দেশের ভবিষ্যতের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে পড়া লাগলে। জাতির মেরুদন্ডে ঘুণ ধরেছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মেরুদন্ডে ঘুণ ধরেছে বেশ আগে। এখনই চিকিৎসা না করলে দেশ স্থায়ীভাবে প্যারালাইজড হয়ে যাবে। যতোই দিন যাচ্ছে, আমি হতাশ হয়ে যাচ্ছি। ঘুণমুক্ত বাংলাদেশের চিন্তা এখন সূদুঢ় পরাহত বলেই মনে হচ্ছে।

সবই কপাল বুঝলেন, সবই আমাদের কপাল। :(

১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৯

আরোগ্য বলেছেন: এইসব বদমাইশ পোলাপানরে ধোলাইখালে আইনা শাটার লাগায়া ইচ্ছামত ধোলাই দেওন লাগবো। সব দুই নম্বরী একসাথে বাইর হয়া যাইবো।

মা হাসান ভাইয়ের কল্যানে বঙ্গদেশের এরিস্টটলের কথা জানিবার সৌভাগ্য জুটিল। ধন্যবাদ। অযথাই আমরা দেশি মাল রাইখা বিদেশে মালে নযর দেই। বঙ্গ এরিস্টটল জিন্দাবাদ। ;)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই কথা ভুলেও চিন্তা কইরেন না, শাটার লাগানের আগেই হেলমেট বাহিনী আইসা হাজির হইবো কিন্তু!! :P

বাঙ্গালীর বিদেশ-প্রীতি তো সবসময়েই ছিল, এইটা আর নতুন কি? সাধে কি চকবাজারে এতো নকল বিদেশী মাল বিক্রি হয়!!!=p~

১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগের দুর্দিনে মাটি কামড়ায় ব্লগে পড়ে থাকতেন! ব্লগের মুক্তি দিবসে অনুপস্থিত।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুর্দিনের বন্ধুই তো আসল বন্ধু। আগে ব্লগে থাকা একটা দায়িত্ব ছিল। এখন তো আর সেটা নাই....নাকি মিছা কইলাম? :P

আসলে বেশ ঝামেলায় ছিলাম গত কয়েকটা দিন। আনন্দ ভাগাভাগি না করতে পারলেও একা একা ঠিকই উপভোগ করেছি!

১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

জুন বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার সময়ের কথা মনে করলে আর এখনকার পরিস্থিতির কথা মনে হলে অবাক লাগে, দুঃখ লাগে, হতাশ লাগে। কোথায় চলেছি আমরা? আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম!!
ইদানীং এমন ধরনের লেখা দিচ্ছেন যাতে মন্তব্য করা বিপদজনক :(
ব্লগ মুক্তি দিবসের শুভেচ্ছা ভুয়া। !:#P
+

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি ততই খারাপ হচ্ছে।

ইদানীং এমন ধরনের লেখা দিচ্ছেন যাতে মন্তব্য করা বিপদজনক এ'ধরনের লেখা লিখতে আমারও ভালো লাগে না আপা। অনেক দুঃখ-কষ্ট থেকে দেই। একটা দায়বদ্ধতা থেকে দেই। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলো, যার মধ্যে আমাদের প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান......তাদের এমন ভগ্নদশা দেখলে মাথা ঠিক থাকে বলেন!! :(

আপনাকেও ব্লগ মুক্তি দিবস এর অনেক অনেক শুভেচ্ছা। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.