নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গন্তব্য কোথায়??
শিহাব আহমেদ। একজন নব্য ধনী। অল্প কয়েক বছরে অভাবনীয় উত্থান হয়েছে তার। নগদ এবং সম্পত্তি মিলিয়ে কতশত কোটি টাকা তার আছে সেটা নিজেও জানেনা। এর কোন উপার্জনই সরল পথে হয় নাই। ক্যাসিনো ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, সোনা চোরাচালানী থেকে শুরু করে হেন কুকর্ম নাই যা সে টাকার জন্য করে না। তার কালোহাত যতো লম্বা হয়, সরকার এবং প্রশাসনের তত মাথা কিনে নেয় সে। টাকাই তার কাছে এখন ইশ্বর!
গ্রামে দু‘একর জায়গার উপর বিশাল জমকালো এক বাড়ী তৈরী করেছে। গ্রামের মানুষের কাছে সে রাজা, কাজেই তার বাড়ীটাকে রাজ প্রাসাদই বলে গ্রামের লোকেরা। আজ সেই বাড়ীতে তার প্রথমবারের মতো গৃহ প্রবেশ ঘটবে। সেটাকে স্মরণীয় করে রাখার মানসে ঢাকা থেকে বাড়ীতে উড়ে যাওয়ার জন্যে হেলিকপ্টার ভাড়া করেছে। পুরোটা গ্রাম এবং আশেপাশে আরো কয়েকটা গ্রামের সব মানুষকে দাওয়াত দিয়েছে। রাজার গ্রামে যাওয়া রাজকীয় না হলে কি মানায়?
এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য গাড়ীতে উঠতে যাবে এমন সময় দেখলো বড় গোলাপ ঝাড়টার কাছে কালো আলখাল্লা পরা একলোক দাড়িয়ে আছে। কে লোকটা? পাশ ফিরে থাকায় চেহারা ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। ভুরু কুচকে উঠলো শিহাব আহমেদের। তার কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা বাড়ীর ভিতরে এই লোক ঢুকলো কি করে? তার সাথে সবসময় দু‘জন অস্ত্রধারী রক্ষী থাকে। তাদেরকে বলতে গিয়ে চোখ সরিয়ে আবার কি মনে করে ঝাড়টার দিকে তাকালো…...কেউ নাই সেখানে। আশ্চর্য তো! এইমাত্রই না দেখলো!! দাড়োয়ানদেরকে ব্যাপারটা জানিয়ে খুজে বের করতে বললো লোকটাকে। হাতে সময় নাই, বহু গন্যমান্য লোক আসবে নতুন বাড়ীতে। তার আগেই পৌছুতে হবে সবকিছুর তদারকীর জন্য।
মনটা কেমন যেন একটু খচ খচ করছিল, হেলিকপ্টারে উঠে খুবই স্বস্তি বোধ করলো। হেলিকপ্টারটা বাড়ীর কাছে চলে এসেছে…..এই তো, আর একটু পরেই নামা শুরু করবে। আগামী সময়গুলোর কথা ভেবে খুবই উত্তেজনা অনুভব করছে সে। ঠিক এমনি সময়ে কাধে কয়েকটা টোকা পরাতে পিছনে তাকালো। বাগানের সেই লোকটা বসে আছে পিছনের সীটে। ভয়ে আত্মারাম খাচাছাড়া হয়ে গেল শিহাব আহমেদের।
ভীষণদর্শন লোকটা বললো, তৈরী হয়ে নাও। তোমাকে এখনই আমার সাথে যেতে হবে।
আপনি কে? কাপা কাপা গলায় প্রশ্ন করলো শিহাব আহমেদ।
আজরাইল। জলদগম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো আগন্তুক!!
অসম্ভব পরিণতি
রাত দু‘টা বাজে। ঘুম আসছে না। বসার ঘরে একা একা দাবা খেলছি। সময় কাটানোর খুবই প্রিয় উপায় এটা আমার। হঠাৎ তীব্র পিপাসা পেল। উঠে গিয়ে পানি খেতে হবে, কিন্তু চরম আলসেমিতে পেয়ে বসেছে; উঠতে ইচ্ছা করছে না একেবারেই। সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করলাম। পিপাসার সাথে সাথে কেমন যেন টায়ার্ডও লাগছে। দাবায় মন বসাতে পারছি না একদম!
পানি নাও।
চোখ খুলে দেখি পানির গ্লাস হাতে পাশে এসে দাড়িয়েছে মিলি। মিলি….আমার স্ত্রী। অবিশ্বাসে চোখ যেন কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইলো, তড়াক করে লাফ দিয়ে উঠে এক দৌড়ে শোবার ঘরে এসে দরজা লাগিয়ে দিলাম। তীব্র আতংকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছে আমার। মুখ হা করে বড় শ্বাস নিয়ে ফুসফুসটাকে অক্সিজেন দিয়ে ভরিয়ে ফেলতে চাইলাম। বিছানায় পা ঝুলিয়ে বসে ভাবছি, এটা তো অসম্ভব। নিশ্চয়ই ভুল দেখেছি। মিলি? কিভাবে??
বাইরে খুটখাট শব্দ হচ্ছে। কেউ যেন হাটাহাটি করছে। কিন্তু বাসায় তো আমি ছাড়া আর কেউ নাই। কে হতে পারে? মিলি? মাথা কাজ করছে না একেবারেই।
এতো ভয় পাচ্ছো কেন? নিজের বউকে কেউ এতো ভয় পায়?? পিছনে তাকিয়ে দেখি বিছানার ওপাশে মিলি দাড়িয়ে আছে। মুখে কেমন যেন একটা বিদ্রুপাত্মক হাসি। তাকিয়ে আছি ওর দিকে, মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না আমার। ও তেমনই আছে…...মাস ছয়েক আগে এক ঝড়ের রাতে যেমনটা দেখেছিলাম।
ঝট করে উঠে রুম থেকে বের হতে চাইলাম। কিন্তু দরজা কোথায়? যেখানে থাকার কথা ছিল সেখানে নাই! কেমন যেন শীতল একটা পৈশাচিক মৃদু হাসির শব্দ শুনতে পেলাম।
মিলি বিছানা ঘুরে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে আমার দিকে, যেন হাওয়ায় ভাসছে। কি চায় ও? এখানে এলোই বা কিভাবে? ছয় মাস আগে এই রুমে এমন সময়েই ওকে গলা টিপে খুন করে বাড়ীর পিছনে মৃতদেহটাকে মাটিচাপা দিয়েছিলাম না! তাহলে!!
তীব্র আতঙ্কের শ্বাসকষ্ট তীব্রতর হয়ে উঠলো আমার। মনে হচ্ছে, কে যেন চাপ দিয়ে বুকের পাজর ভেঙ্গে ফেলছে। মিলি এখন আমার ঠিক সামনে এসে দাড়িয়েছে। মণিবিহীন সাদা চোখে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আর সহ্য করতে পারলাম না। আমার হাত দু‘টো আপনা আপনি উঠে গেল গলার দিকে…….দড়াম করে আমার দেহটা আছড়ে পড়লো মেঝের উপর!!!
পালানোর পথ নাই
খুব ভোরে, সূর্য ওঠার আগে সপ্তাহে পাচ দিন জগিং করা আমার অনেকদিনের অভ্যাস।
আমি থাকি আজিমপুর নতুন পল্টন লাইনে। বাসা থেকে বের হয়ে বিডিআর ৩ নং গেইট পর্যন্ত হেটে আসি। তারপরে জগিং করতে করতে আজিমপুর কবরস্থানকে ডানে আর নিউমার্কেটকে বায়ে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দিয়ে সোহরাওয়ার্দী পার্ক পযন্ত দৌড়াই।
অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও ফজরের আজানের সাথে সাথে উঠে তৈরী হয়ে বেড়িয়ে পরলাম। বাসার বাইরে দেখলাম হিজ মাষ্টার্স ভয়েস ভঙ্গিতে একটা কুকুর বসে আছে, যেন আমার জন্যই অপেক্ষা করছে। আশপাশে বেওয়ারিশ কুকুরের অভাব নাই। কাজেই গুরুত্ব না দিয়ে হাটা শুরু করলাম। বায়ে বাড়িঘর আর ডানে আজিমপুর কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর, বিডিআর গেইট পর্যন্ত এই রাস্তাটায় ভোরের নির্জন অন্ধকারে একটু গা ছমছমে ভাব থাকে। যেতে যেতে কি মনে করে পিছনে তাকিয়ে দেখি, সেই কুকুরটাও আমার পিছনে পিছনে আসছে। আসলে আসুক, পাত্তা দিলাম না। সম্ভবত এই রাস্তায় ওরও একটু ভয় ভয় করে! বিডিআর গেইটের সামনে এসে ধীরে ধীরে দৌড় শুরু করলাম। দেখি দু‘টা কুকুর আমার পিছনে পিছনে দৌড়াচ্ছে। আরে! আরেকটা এলো কোত্থেকে!! পিছনে দু‘টা কুকুর, দৌড়ানো ঠিক হবে না। এবার হাটা শুরু করলাম।
ফাকা রাস্তায় লক্ষ্য করলাম, সামনে, কবরস্থানের সীমানা শেষ হওয়ার একটু আগে রাস্তার ঠিক মধ্যিখানে প্রথম কুকুরটার ভঙ্গিতে আরো দু‘টা কুকুর বসে আছে। সামনে দু‘টা পিছনে দু‘টা কুকুর, মাঝখানে আমি। একেবারে ঘেরাও অবস্থা। এবার সত্যি সত্যি ভয় পেতে শুরু করলাম। পিছনের কুকুর দু‘টা গর গর করে উঠলো। ঝেড়ে দৌড় দেয়ার প্রশ্নই আসে না; পুরাপুরি দাড়িয়ে গেলাম। আশেপাশে কেউ নাই, একেবারে নির্জন রাস্তা। ভাবছি, কি করা যায়!
নিউমার্কেটের পোষ্টঅফিসের দিক থেকে কালো রংয়ের আরো একটা বিশাল কুকুর এগিয়ে এলো, সাথে একটা বাচ্চা কুকুর, সাদা রংয়ের। বাকী চারটা কুকুর যেন এদের অপেক্ষাতেই ছিল। এবার আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেললো।
লাইটপোষ্টের আলোতে বাচ্চা কুকুরটাকে দেখে আমার গায়ের সব রোম দাড়িয়ে গেল। শরীরে কেমন যেন একটা শিরশিরে অনুভূতি। চার পাচ দিন আগে বিকালবেলা খেলার ছলে এটাকে লাথি দিয়ে ড্রেনে ফেলে দিয়েছিলাম না! ওটাই তো! গলার লম্বা দড়িটাও তো দেখি ঠিকঠাক আছে! কিন্তু ওটা তো মরে গিয়েছিল! গন্ধ বেরুতে শুরু করায় গত পরশুদিন মেথরকে কিছু টাকা দিয়ে মৃতদেহটা সরানো হয়েছিল! এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমার আত্মা শুকিয়ে গেল। এরা কি তাহলে প্রতিশোধ নিতে এসেছে!
কালো কুকুরটা রক্তহিম করা ভয়ংকর এক গর্জন দিয়ে আমার উপর ঝাপিয়ে পরলো। সেইসঙ্গে বাকী চারটাও।
ছবি: গুগল থেকে।
পাদটীকা: আগামীকাল (৩১শে অক্টোবর) হ্যালোউইন উদযাপিত হবে এখানে। স্টোরগুলো কুমড়া আর ভৌতিক সব জিনিসপত্রে বোঝাই। আশেপাশের পরিবেশও কেমন যেন বদলে গিয়েছে। তাই ভাবলাম, আমিও ব্লগে একটু ভৌতিক আমেজ আনার চেষ্টা করে দেখি!
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন:
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:০৯
মা.হাসান বলেছেন: কুকুরের গল্পে ভয় পাইছি। কুকুরে আমার ভয় আছে।
দুশ্চিন্তায় আছি, ভাবি আপনারে আগে খুন করে নাকি আপনি ভাবিকে। আপনার একটা তাবিজ দরকার। কিছু খরচ পাতি পাঠায়েন, ফিজিক্যাল লেবার নাহয় আমিই দিব।
ঐটা অর্জিনাল আজরাইল ছিল। বাংলাদেশে এখন অনেক ভুয়া আজরাইল আছে, পয়সা দিলে আজরাইলও কেনা বেঁচা করা যায়।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কে কারে আগে খুন করবে এইটা গুরুত্বপূর্ণ না, একজন করলেই হলো। গুরুত্বপূর্ণ হলো কে আগে খুন হবে!
বাংলাদেশে তাবিজেও ভেজাল আছে। আসল কাজ না হয়ে উল্টা রিয়্যাকশান হতে পারে।
ঐটা অর্জিনাল ছিল বুঝলেন কেমনে......পরের ঘটনা তো আমরা জানি না। শিহাব ঘুষ সাধলো কিনা, আর সেই অফার গৃহীত হইলো কিনা, কে বলতে পারে!!
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৩১
মা.হাসান বলেছেন: ঐটা অর্জিনাল ছিল বুঝলেন কেমনে[/si
কমেন্ট করার পর নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি, ঠিক করার আগেই দেখলাম আপনি ধরে ফেলেছেন ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই কাফি। নিজেরে বুদ্ধিমান কইলাম দেইখা আবার মনে কিছু নিয়েন না!
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন গল্প
সমস্যা হলো, তারা গল্প পড়েনা তাই শিক্ষা্ও নেয় না!
আর যারা পড়ে, তারা ঐ পর্যন্ত যেতেই পারে না
তাদের দৃষ্টি থাকতেও তারা অন্ধ। লওভ মওহরে বড়েী তাদের উর্ধমূখি করে রাখে!
যতক্ষন না কেউ কাঁধে টোকা দেয়!
অনেক ভাল লাগা +++
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যতক্ষন না কেউ কাঁধে টোকা দেয়! এইটা ভালো বলেছেন ভৃগুদা। তবে, টোকা একবার পরে গেলে না থাকে ফেরার আর না থাকে আর কিছু করার সময়!
শুরু হয়ে যায় ওয়ান ওয়ে জার্নি টু দ্য হেল!!!
৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯
বাহাউদ্দিন আবির বলেছেন: দ্বিতীয় গল্পটা ভাল্লাগছে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো লাগানোর জন্য!
৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১৩
রক বেনন বলেছেন: মফিজ ভাই, রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুরের গায়ে লাথি মারা বা পাথর ছুঁড়ে মারা আমাদের জন্যে অন্যতম একটি মজার কাজ। এই কাজ দিয়ে আমরা বুঝিয়ে দিই যে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব!
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমরা যে সৃষ্টির সেরা জীব তা বিভিন্নভাবেই বুঝাই; প্রকৃতিও প্রতিশোধ নেয় যথাসময়ে, তার মতো করে। রুপক অর্থে ধরে নিতে পারেন, ওই ভৌতিক কুকুরগুলো সেই প্রকৃতিরই প্রতিনিধিত্ব করছে।
৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সঠিক সময়ে সঠিক পোষ্ট দিয়েছেন। ভয়ের গল্প অনেকদিন পরে পড়লাম, ভালো লেগেছে। আরো লিখুন।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভয় পাইছেন কিনা, সেইটা বলেন।
৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রক বেনন বলেছেন: মফিজ ভাই, রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুরের গায়ে লাথি মারা বা পাথর ছুঁড়ে মারা আমাদের জন্যে অন্যতম একটি মজার কাজ। এই কাজ দিয়ে আমরা বুঝিয়ে দিই যে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব! - কুকুর প্রতিশোধ নেয়, কুকুরের হয় প্রকৃতিও প্রেতিশোধ নেয় - এটি পরিক্ষিত ও প্রমানিত সত্য।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগার রক বেননকে উত্তর দেয়ার পরই আপনার এই মন্তব্য দেখলাম। আপনার আর আমার চিন্তা দেখি মিলে গেল!!
কুকুর প্রতিশোধ নেয়, কুকুরের হয়ে প্রকৃতিও প্রেতিশোধ নেয় - এটি পরিক্ষিত ও প্রমানিত সত্য। কিংবা কুকুরগুলোই হয়তো প্রকৃতির আরেকটা রুপ! কে বলতে পারে।
৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
১মটাই সবচেয়ে বেশি ভাললাগলো।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: @ রক বেনন বলেছেন: মফিজ ভাই, রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুরের গায়ে লাথি মারা বা পাথর ছুঁড়ে মারা আমাদের জন্যে অন্যতম একটি মজার কাজ। এই কাজ দিয়ে আমরা বুঝিয়ে দিই যে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব! - ভাই রক বেনন! কেমন আছেন আপনি? অনেক, অনেক দিন পরে আপনাকে দেখলাম। ভালো থাকুন আপনি আর আগে মতো দারুণ সব গল্প বংগানুবাদ করে ব্লগে দিন। আপনার লেখা আমার খুব ভালো লাগে।
@ মা.হাসান বলেছেন:ঐটা অর্জিনাল আজরাইল ছিল। বাংলাদেশে এখন অনেক ভুয়া আজরাইল আছে, পয়সা দিলে আজরাইলও কেনা বেঁচা করা যায়। আজকাল এর লাহান এর ডুপ্লিকেট অনেক কিছু দেশিয় ভার্শন এসে গেছে। তবে এরা এত নৃসংশ নয়! দেশিয় গুলি পারস্পরিক আদান প্রদানে বিশ্বাস করে তবে না পেলে পেটে ফুটা করে ডুবিয়ে দেয়।
@ মফিজ ভাই - ৩টা গল্পই খুব ভালো লেগেছে। এই ধরনের আরও ছোট গল্প লিখুন। আর ছবি চমতকার লেগেছে।
ভালো থাকুন শুভ কামনা রইল।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মনের মধ্যে ভাব সবসময়ে আসে না, হঠাৎ হঠাৎ আসে। আসলেই লিখে ফেলবো আবার।
ছবি খুজতে খুজতে হঠাৎ করেই এই ছবিটা নজরে পরে গেল.....ঠিক যেমনটা ব্যতিক্রমী ছবি চাচ্ছিলাম। গল্প আর ছবি, দুটোই ভালো লাগানোর জন্য ধন্যবাদ। আপনার দেখার চোখ আছে!
১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ডরাই নাই। তবে অল্প ভয় পাইছি। বস্ বুড়া হয়ে গেছি এসব দেখে দেখে। লিখবো নাকি দু একটা ঘটনা?
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুড়া তো আমিও হইছি। ভাবলাম পোলাপান গো একটু ভয় দেখাই!
লিখবো নাকি দু একটা ঘটনা? অবশ্যই লিখবেন। এই ধরনের কোন অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা আমার জীবনে কখনও ঘটে নাই। এমনিতে আমি সাহসী মানুষ, এসব দেখারও শখ আছে। তবে চোখের সামনে এমন কিছু দেখলে সাহস কতোটুকু ধরে রাখতে পারবো জানি না।
১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ডরাই নাই। তবে অল্প ভয় পাইছি। বস্ বুড়া হয়ে গেছি এসব দেখে দেখে। লিখবো নাকি দু একটা ঘটনা? অবশ্যই সেটা আবার বলে দিতে হবে নাকি? আমিও একটা লিখতে শুরু করেছি। ১ম পর্ব শেষ, ২য়টা লিখছি।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমিও উনাকে সেটাই বললাম।
আর আপনারটার অপেক্ষায় থাকলাম।
১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: তিনটা গল্পই সুন্দর।
১। আজরাই যদি আসলেই সব নব্য ধনীদের উঠিয়ে নিত তাহলে দেশের জন্য ভালো হতো।
২। বহু আগে 'অসম্ভব পরিনিতি'র মতো আমি একটা গল্প লিখেছিলাম। সামুতে খুজলে পাওয়া যাবে।
৩। আপনি যে হুমায়ূন আহমেদ পড়েন সেটা আমি নীশ্চিত।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ১। অবশ্যই ভালো হতো। সবাই খুবই খুশী হতো।
২। আপনারটা পড়ি নাই। নিজের লেখা যেহেতু, খুজে লিঙ্ক দেন, পড়ি।
৩। আমি তো অনেকবারই বলেছি.....আমি হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত। এতোদিনে নিশ্চিত হলেন? কারন কি?
লিঙ্কটা কিন্তু মনে করে দিয়েন।
১৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কোন দিন লিখছিলেন
কখন পোস্ট দিয়ালাইছুইন
দেখছি না ক্যারে
পইড়া মন্তব্য দিবাম
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: না পইড়াই লাইক দিছেন?
ব্লগীয় নীতিমালা ভাঙছেন কিনা দেখার জন্য কা_ভা ভাইয়ের কাছে আকুল আবেদন জানাইতাছি.....আবেদন? খারান খারান, আবেদনওতো কওন যাইবো না। তাইলে কেউ কেউ কইবো আমি মাতবরী করতাছি!!!
আবেদন বাদ.....পড়েন রিকুয়েস!!!!
১৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইটকেল মারলে পাটকেল খেতে হয়, যে যেমন করে তেমন পরিস্থিতিতে সে নিজেই পড়ে কোনো না কোনো সময়
শাস্তি পেতেই হয় । খুব সুন্দর হয়েছে গল্প। ভুতড়েও বটে।
এমন গল্প আরও চাই
শুভকামনা লেখক
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইটকেল মারলে পাটকেল খেতে হয় চির সইত্য কথা।
গল্পগুলোকে সুন্দর বলার জন্য ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো আরো লিখতে। আপনার কাছ থেকেও গল্প চাই।
১৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন
১। অবশ্যই ভালো হতো। সবাই খুবই খুশী হতো।
২। আপনারটা পড়ি নাই। নিজের লেখা যেহেতু, খুজে লিঙ্ক দেন, পড়ি।
৩। আমি তো অনেকবারই বলেছি.....আমি হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত। এতোদিনে নিশ্চিত হলেন? কারন কি?
লিঙ্কটা কিন্তু মনে করে দিয়েন।
২। লেখা কোথায় আছে জানি না। কবে লিখেছি তাও মনে নাই। খুঁজে পেলে দিব।,
৩। আমার চেয়ে বেশি হুমায়ূন ভক্ত আপনি নন।
লিংক পেলে দিব।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি কি কোথাও বলেছি, আপনার চেয়ে বেশি হুমায়ূন ভক্ত আমি? মনে তো পরে না!!
১৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
আজরাইলগু কথা হুনাই হুদাই আমাগু টাইম পাছ করতাছেন মিয়া আমাদের মত বুয়াইন্ড এডুকেটেড পারচনের লাই কি এইসব ভাবার ছময় আচে! আমরা তো হালায় আগামী ২০১৮ সালের জন্য আপনাগোরে নিয়ে বিশাল বিশাল প্লান করি হালাইচি। ফাইনাল করতাচি বাঁশ কেমনে দিমু। মাগার আপনি তো... আগেই বাঁশ দিয়া লাইলেন।
অনুশোচনা যদি আমাদের ভেতর একটু হলেও থাকে, তবে তো মনে হয় না আমরা এমন সব কুকর্মের দিকে এগুতাম যা আমাদেরকে অন্যের শিক্ষার উপকরণ হিসেবে তৈরি করবে। আমরা তো নিজেদের মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়েছি অবৈধ সুখ রূপী অশান্তির ভেতরে।
মুক্তি কামনা করি আমাদের।
মিনি গল্পগুলোর জন্য ধন্যবাদ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হুনতে না চাইলে হুনবেন না। আপনের মাতায় আমি বন্দুক ধরছি নিহি? ‘আপনেগো‘ মাইনে আমি আর কারা? বাশ দিতে চান ক্যালা? কি করছি??
চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী। অনুশোচনা তো দুর দুর কা বাত!! আপনাকেও ধন্যবাদ।
১৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
লস অ্যাঞ্জেলসর একটি হ্যালোউইন পার্টিতে দেখছি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে!
আপনি নিরাপদ দূরত্বে আছেন তো?
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি সমুদ্রের এইপাড় থাকি। আম্রিকার থিকা বহুত দুরে।
টেরাম্প যেই দেশের প্রেসিডেন্ট, সেই দেশে এইসব হইবোই.....স্বাভাবিক ঘটনা।
(এইটাই লেখছিলাম, আবার লেখাইলো হালার ভুতে)
১৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২
আখেনাটেন বলেছেন:
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ কথা মনে হয়? কিন্তু ইংরেজিতে কি কইছে বুঝি নাই, বাংলায় কন!!
২০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ১৮ নং মন্তব্যের রিপ্লে দিলেন না কেরে ? কোন হমলেম নি কোন ?
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দিসিলাম তো! এখন দেখি নাই!! ভুতুরে কারবার!!!
২১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯
আখেনাটেন বলেছেন: ঐটা যেহেতু বোঝেন নাই তাইলে এইটা বোঝেন। একটু সহজ করে দিলুম।
"boshqa birov sizga shunday qilsa, siz hech qachon etkazgan ziyonni hech qachon tushunolmaysiz, shuning uchun men shu yerdaman." -- karma hech kimni ayamaydi।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ও মা গো.......এইটা কি?
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শোনেন, উজবেক লেখা দিয়ে আমাকে উজবুক বানানোর চেষ্টা সফল হবে না। আপনার চালাকি আমি ধরে ফেলেছি!
আর মনিপুরের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং সামান্য কিছু কথা শীর্ষক পোষ্টে আপনার জন্য মন্তব্য ছেড়ে এসেছি। সময় করে দেখতে আজ্ঞা হয়!
২২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৫
আরোগ্য বলেছেন: ভুয়া ভাই,
এক নং গল্প পড়ে ব্যঘ্রদুগ্ধ পানকারী শাদ্দাতের কথা মনে পড়ে গেল।
দুই নং পড়ে মুরুব্বির সাগরেদ সব কাজের কাজী রাজীব নুরের কথা মনে পড়ে গেল।
তিন নং এ সত্যি ভয় পেয়েছি। ভাগ্যিস আমার মর্নিং ওয়াকের অভ্যাস নেই। নয়তো কালকে থেকে বন্ধ হয়ে যেত।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এক, দুই পড়ে ভয় পান নাই দেখে খারাপ লাগছে।
আর তিন পড়ে ভয় পেয়েছেন দেখে ভালো লাগছে।
যাক গে, উদ্দেশ্য পুরনের হার ওয়ান থার্ড, একেবারে খারাপ না, কি বলেন?
২৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: তিনটাই ভাল লাগল। তবে দড়াম করে আছাড় খেয়ে পটল তোলার পর (২ নং গল্প) এই কাহিনী কিভাবে লিখলেন? নাকি নিজেই ভূত হয়ে বসে আছেন?
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আছাড় খেয়ে পটল তুলি নাই। সকালে জ্ঞান ফিরার পর বুঝলাম বেচে আছি, ভুত হই নাই!!
২৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৯
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ১ নম্বরের টুইস্টটা আগেই ধরতে পেরেছিলাম। তিন নম্বরটা বেশ ভাল হয়েছে।
পোস্ট নবম ভাললাগা।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনিতো পারবেনই......এই লাইনের লোকই তো! বুঝতে পারছি, ২নং টা মোটামুটি হয়েছে। একটু চেষ্টা করলাম আর কি!
ভালো থাকবেন।
২৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৫
শিখা রহমান বলেছেন: ভয় পাইনি তবে পড়তে ভালো লেগেছে। তবে ভয় পাওয়ানোর জন্য তো আর লিখেননি। প্রতিটা অনুগল্পেরই মেসেজ ছিলো।
ভালো থাকুন আর Happy trick or treating
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভয় পাবেন কিভাবে......আপনি তো সাহসী মানুষ! চকলেট কালেকশানে বের হবেন না?
২৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০০
ল বলেছেন: প্রথম গল্পটা পরিচিত প্লট মনে হচ্ছে।।।
দ্বিতীয় ও তৃতীয়টিতে ভালো লাগা।
তবে মিনি ভৌতিক বলে যে আওয়াজ দিলেন তা তো রাজীব নূর ভাইয়ের ভৌতিক গল্পর কথা মনে হলো।।।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পৃথিবীব্যাপি এতো লক্ষ কোটি গল্প আজ পর্যন্ত লেখা হয়েছে যে, সবগুলো গল্পের প্লটই পরিচিত মনে হতে পারে।
ব্লগার রাজীব নূরের মিনি ভৌতিক গল্পটিা ছিল ভুয়া; আমারটা জেনুইন।
২৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৫৩
দ্যা প্রেসিডেন্ট বলেছেন: যাক বাপু, তুমি প্রথম ঘটনায় রাস্ট্রপতির নাম নিয়ে আসোনি! আসলে বলতে গেলে, ( সাহস করে বলতে গেলে আর কি ) আমি কিন্তু আজরাইলরে ভয় পাই না৷
সাচ্ছা ঈমানদার মুসলমানরা আজরাইলকে ভয় পাবে কেন শুনি!
সেই দিক বিবেচনা করলে তোমাকে স্বীকার করতে হবে, আমাদের সরকার দলীয় কোন নেতা কর্মী আজরাইলকে ভয় পান না৷ তাদের ভেতর আছে মদিনা সনদে থাকা কেবল আল্লাহর ভয়।
দয়া করে জাতির উপকারের স্বার্থে এমন সব গল্প তৈরি করো যা জাতিকে বিনোদন দিয়ে আমাদের ব্যার্থতা লুকাতে কিছুটা হলেও সাহায্য করে। এতে দুনয়া আখেরাতে কিছুটা হলেও প্রতিদান পাবা। তুমি একবার তোমার এড্রেস আমায় ফেক্স কইরো। সামনে একবার ঘুরতে আসবো ভাবছি। নিউ ইয়র্ক থেকে হেলিকপ্টরে তোমার বাসায় আসব। ভেবে দেখেছো তোমার কী নামডাক পড়বে তোমার এলাকায়!
শুন, বুড়া বয়সে ব্লগে আসি, বুঝতেই তো পারছো নাকের ডগায় কলিজাখানা দাঁড়ানো৷এমন সব গল্প কেন যে লেখ বুঝি না! ভয়ে যদি তোমার দাদী মারা যায় তবে তো তুমিই কাঁদবে; যদিও আমি আরেকখান ইয়ে করার সুযোগ পাবো। না, এরকম পোস্ট বেশি করে দিও। আমাকে পিসিতে দেখলে যদি জিগায় কী পড়ি, তখন হুট করে তোমার এই ভয়ের গল্পগুলো পড়িয়ে দিবোনে। যদি কোন কাজটাজ দেয় আরকি!
যাই, মেয়েরা অনেক কবিতা লিখেছে, দেখে আসি গিয়ে
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এড্রেস ফ্যাক্স করা লাগবে না। আমি বৃটিশ নেভিকে বলে রেখেছি। আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে একটা হেলিকপ্টারইতো আসবে, সেটা তারা হ্যারিয়ার দিয়ে এসকর্ট করে আমার শহরে নিয়ে আসবে। তারপরে তো সরাসরি আপনি আমার কব্জায়!!
বুড়া বয়সে ইয়ে না করাই ভালো। খুশীতে হার্ট এ্যাটাক হয়ে যেতে পারে; তখন আবার আমার নতুন দাদীকে নিয়ে আমি বিপদে পরবো।
২৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৪৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: ওরে বাবা কি ভয়ংকর! এই রাতে এমন ভূতের গল্প শুনিয়ে ভয় পাইয়ে দেয়া উচিৎ হয়নি। একদমই না।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ভয় দেখাতে পেরে আনন্দ পাচ্ছি.......জানেন তো, ভুতদের প্রধান কাজই হলো মনুষ্য জাতিকে ভয় দেখানো! যাকগে, তাবিজ-কবজ লাগলে জানাতে ভুলবেন না, আমার জানাশোনা নির্ভরযোগ্য ফকির আছে। মুল্য আপনার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে।
২৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি কি কোথাও বলেছি, আপনার চেয়ে বেশি হুমায়ূন ভক্ত আমি? মনে তো পরে না!!
আহ হা রাগ করার কি আছে?
আমরা কি শত্রু?
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: রাগ করি নাই।
আপনার আৎকা কথায় কেমন যেন হেচকীর মতো উঠলো!!
৩০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম দুটো গল্পে প্লাস। পড়তে পড়তে "ভয়ের কিছু নেই, নিছকই মজার" এমন একটা ভাব আসে! কিন্তু তিন নম্বর গল্পটা ভয়ঙ্কর! গল্পগুলোর হিডেন অর্থ/ শিক্ষামূলকের শিক্ষা কিছু না ভেবে শুধু গল্পই ভেবেছি!
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভৌতিক গল্পে কোন বার্তা দেয়ার অভিপ্রায় কস্মিনকালেও আমার ছিল না। তবে, যে কোনও লেখা থেকেই একটা না একটা মেসেজ তো চাইলে বের করাই যায়, কি বলেন!!
তিন নম্বর গল্পটা ভয়ঙ্কর মনে হওয়াতে আনন্দ পাইলাম।
৩১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ভৌতিক গল্প ভালো লেগেছে। আমার খুব ভৌতিক গল্প লিখতে ইচ্ছা হয়। প্লট মাথায় আসে কিন্তু লেখা এগোয় না। হলোইনে সাবধানে থাকবেন।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখা এগোয় না কেন? ভুতেরা হামলা করে?
হ্যালোউইনে সাবধান থাকার কিছু নাই। এখানকার ইংলিশ ভুতেরা জানে, আমি আরো বড় ভুত! কাজেই নো টেনশান।
৩২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কেমন আছেন ভাইজান?
গল্প গুলো পড়তে ভালই লেগেছে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি তো দেখি পূর্ণিমার........থুক্কু অমাবশ্যার চাদ হয়ে গিয়েছেন! ঘটনা কি? গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ। তার চেয়েও বড় ধন্যবাদ, অনেকদিন পরে দেখা দেয়ার জন্যে।
৩৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
মফিজ ভাই ,
আপনি যে ভৌতিক গল্প লিখেছেন তা কিন্তু কিছুটা হলেও সত্যি হয় । একটা ছোট্ট ঘটনা বলি ,কোন একদিন রাত দুইটার দিকে আমি বারান্দায় গিয়েছি , তিন তলা থেকে নিচে চোখ পড়তেই দেখি একদম সম্পূর্ণ কালো রঙ্গের কুকুর সবুজ চোখ । আমি কি যে ভয় পেয়েছিলাম , কয়েক রাত ঘুমাতে পারি নাই।
মন্দ হয়নি ভৌতিক গল্প গুলো। আশা রাখি এখন ভালোই আছেন।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে......কুকুরের চোখ দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। যে কোনও নিশাচর প্রানীর চোখে আলো পড়লে সেটা জ্বলজ্বল করে। বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে অনেক সময় বিভিন্ন রংএর দেখা যায়। সবুজ দেখাও বিচিত্র কিছু না। আর কালো কুকুর তো এভেইলেবল। যতো ভয় পাবেন, ভয় ততো আপনাকে অষ্টেপৃষ্ঠে বেধে ফেলবে। একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে বেশীরভাগ রহস্যের সমাধান আপনি এমনিতেই পেয়ে যাবেন।
আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। আশাকরি, আপনিও ভালো আছেন।
৩৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চলে
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: না থামলেই হলো
৩৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৩
আনমোনা বলেছেন: ভয় পেলাম। সবই মনের ভুত।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভয় দেখিয়ে আনন্দ পেলাম। সবই মনের ভুত গলদ!!!
সত্যিকারের ভুতও আছে। সময় হলেই আপনাকে দেখা দিবে। তখন বুঝবেন, হাউ মেনি পেডি ক্যান মেইক.........
৩৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২২
ফয়সাল রকি বলেছেন: তিনটা গল্পই ভালো হয়েছে, তবে অসম্ভব পরিণতি-টা বেশি জোশ! উত্তেজনা ছড়ায়!
যাই হোক, রিসেন্টলি একটা হিন্দি সিনেমা দেখেছি বাদলা, যদিও এটা The Invisible Guest নামক একটা স্প্যানিশ সিনেমার ছায়া অবলম্বনে। প্রতিশোধের ব্যাপার স্যাপার থাকে, দেখতে পারেন। আপনার গল্পেও প্রতিশোধের ব্যাপারটা এসেছে তবে একটু অতিপ্রাকৃত ভাবে। +++
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পগুলো পড়ার জন্য ধন্যবাদ। বলা হয়ে থাকে, অনেক সময় অতৃপ্ত আত্মা নাকি প্রতিশোধ নিতে ফিরে আসে। সেটা মাথায় ছিল গল্পটা লেখার সময়।
বাদলা মুভিটা দেখতে হবে। ইউটিউবে কি পাওয়া যাবে?
৩৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫
ফয়সাল রকি বলেছেন: ইউটিউবে পাবেন কিনা শিওর না, আমি টরেন্টে পেয়েছি। নেটফ্লিক্সে পাবেন।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওকে.....ধন্যবাদ তথ্যের জন্য। দেখে ফেলবো যতো দ্রুত পারি।
৩৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
শের শায়রী বলেছেন: প্রথম গল্পটার মাঝে অভিনবত্ব আছে মানে প্লটে নতুনত্ব আছে। কিন্তু দুই পড়তে গিয়ে বার বার হুমায়ুন আহমেদের কি যেন একটা গল্প আর ৩ পড়তে গিয়ে জাফর ইকবাল বা হুমায়ুনের কি যেন একটা গল্পের ছায়া সামনে চলে আসে। ভৌতিক গল্প হিসাবে সব গুলোই ভালো তবে ২,৩ পড়তে গিয়ে বার বার মনে হয়েছে ছায়া অবলম্বনে। প্লটে অভিনবত্ব থাকলে সাধারন গল্পও দারুন লাগে ভাই যেমন প্রথম টা।
আমার অনেষ্ট ওপিনিয়ন।
অনেক কৃতজ্ঞতা দুটো সুন্দর লিঙ্ক পড়তে দেয়ায়।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের অনেষ্ট অপিনিয়নই চেয়েছিলাম।
জাফর ইকবাল বা হুমায়ুন আহমেদের সব বই-ই মোটামুটি আমার পড়া। আমার সংগ্রহেও আছে। কোনটার কথা বলছেন জানি না; তবে উনারা এতো এতো লিখেছেন যে, দু'একটার ছায়া মনে হতেই পারে। আর ছায়া জিনিসটা এমনিতেই একটু অস্পষ্ট.....নয় কি?
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
৩৯| ২৮ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩
কল্পদ্রুম বলেছেন: মাঝে মধ্যে প্যারানরমাল গল্প পড়তে ভালো লাগে।গল্পগুলো ভালো লেগেছে। শেষের গল্পটার সাথে বোধহয় হুমায়ুন আহমেদের কুকুর গল্পের কিছুটা মিল আছে।
০১ লা জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে হুমায়ুন আহমেদের কুকুর গল্পটা আবার পড়লাম। মিল বলতে বাচ্চা একটা কুকুরের মৃত্যু। আর কিছুই না। গল্পটা লেখার সময়ে হুমায়ুন আহমেদের গল্পটা মাথায়ও ছিল না। পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত লক্ষ কোটি গল্প লেখা হয়েছে। এখন আপনি যাই লিখবেন, কোন না কোন গল্পের সাথে মিলে যাবেই। কিছুই করার নাই।
৪০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৩
ইসিয়াক বলেছেন: প্রথম গল্পটা পড়লাম।
ভয় পাই নাই। বেশ ভালো।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবার ভয় পাওয়ার ক্ষমতা কি আর এক রকম! আপনে তো সাহসী পুরুষ!!!
৪১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৮
ইসিয়াক বলেছেন: পরের দুটোও পড়লাম।
কুকুরে আমারও খুব ভয়।
#লক ডাউনের সময় আমি মাস্ক, হেড শিল্ড ,গ্লাভস পড়ে টিউশনিতে যেতাম। তো পথে লোকজন স্বাভাবিকভাবে কম থাকতো লকডাউনের কারণে। কিছু কুকুর আমার পিছু নিতো এ সময় অদ্ভুদ কোন জীব ভেবে হয়তো। ভয় লাগতো খুব,এদিকে পুলিশের ভয় আবার সাথে কুকুরের ভয়। একদিন হঠাৎ করে তারা সবাই মিলে ঘেউ ঘেউ করে ঘিরে ধরলো আমাকে, আমি চুপ করে
দাড়িয়ে গেলাম,যদিও বুকের মধ্যে টিপ টিপ করছিলো। রাত তখন দশটা বাজে, রাস্তা শুনশান ভয়টা সেজন্য আরো বেশি, বেশ কিছুক্ষণ পরে অচেনা একটা কুকুর আসতেই তারা তাকে নিয়ে ব্যস্ত হতেই আমি ধীরে ধীরে সরে পড়লাম।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার কুকুরে ভয় একেবারেই নাই। বরং কুকুর আমি খুবই পছন্দ করি।
তবে পরিবেশ-পরিস্থিতির কারনে অনেক সময়েই দৃশ্যপট বদলে যায়। রাত ১০টায় নির্জন রাস্তায় একদল কুকুর যদি ঘিরে ফেলে, তাহলে অতিবড় সাহসীরও বুক কাপবে বলাই বাহুল্য!! দাড়িয়ে গিয়ে ভালো করেছিলেন.......দৌড়ালে খবর ছিল!!
৪২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৮
মিরোরডডল বলেছেন:
প্রথমটা মোটামুটি, দ্বিতীয়টা ভালো, অশরীরী।
থার্ড ওয়ান ইন্টারেষ্টিং এবং ভয়েরও বটে।
এখন আর ভুতের গল্প লেখা হয়না?
২৫ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখন আর ভুতের গল্প লেখা হয়না? মিডের তো জানাই আছে যে, ভুম একজন মাল্টি-স্কিলড লেখক। চাইলেই যে কোনও ধরনের লেখাই সে লিখতে পারে। তবে সমস্যা হলো, ভূ-গর্ভের কঠিন তাপে, চাপে যেভাবে পাললিক শিলা কঠিন শিলায় পরিনত হয়, তেমনি বর্তমান জীবন-সংসারের তাপে, চাপে ভুমেরও ত্রাহি ত্রাহি কঠিন অবস্থা!!!
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: