নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কথাঃ আমার এই গল্পটা ব্লগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। লিখেছিলাম ব্লগের জন্যই। ম্যাগাজিনের জন্য অন্য একটা লেখা রেডি করার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু সময়ের প্রচন্ড অভাবের কারনে বেদিশা হয়ে শেষমেষ এটাই পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। ম্যাগাজিনের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর ভেবেছিলাম ব্লগে আর দিব না। কিন্তু একটা লেখা কষ্ট করে লেখার পর ভালো-মন্দ প্রতিক্রিয়া না পেলে ভালো লাগে না। ব্লগারদের একটা বড় অংশই ম্যাগাজিন থেকে কবে পড়বেন কিংবা আদৌ পড়তে পারবেন কিনা জানা নাই। যারা পড়বেন তাদের পড়ে কেমন লাগলো, সেটাও জানতে পারবো না। তাছাড়া কয়েকজন লেখাটা ব্লগে দেয়ার জন্যও বলেছিলেন। সব মিলিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে দিয়েই দিলাম।
নতুন বছরের প্রথম পোষ্ট আমার। কেমন লাগলো জানাতে কোন রকমের সংকোচ করবেন না…….প্লি ই জ!!!
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ওয়েলহ্যাম গ্রীন। দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ছোট্ট একটা শহর। ছোট্ট মানে একেবারেই ছোট; গ্রামই বলা যায়। ইংলিশ নেটিভদের শহুরে গ্রাম বলতে যা বোঝায়, এটাও তাই। দু‘টা ভারতীয় পরিবার আর একটা বাংলাদেশী পরিবার, ব্যস; বাকী সব ইংলিশ। এমনই একটা শহরে কাউন্সিল থেকে এক বেডরুমের একটা বাড়ি আবেদনের ছয় মাসের মাথায় বরাদ্দ পেল রাশেদ জামাল। আসলে রাশেদের মতো ব্যাচেলরের পক্ষে বিশেষ বিবেচনায়ও এতো দ্রুত বাড়ি পাওয়া খুবই আশ্চর্যজনক ঘটনা। সেই ঘটনাটা যখন ওর জীবনেই ঘটলো, তখন আক্ষরিক অর্থেই আশ্চর্য না হয়ে পারে নাই ও। কাউন্সিলের হাউজিং অফিসার যেদিন ফোনে ওকে এই বরাদ্দের কথা জানালো; শুধু ও কেন, পরিচিতরাও কেউ বিশ্বাস করতে পারলো না।
যাইহোক, আজই সেই বিশেষ দিন। হাউজিং অফিসার ওকে ছোট্ট বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখিয়ে ব্যাক গার্ডেনে এসে বললো,
- তো মি. জামাল, বাড়ী তোমার পছন্দ হয়েছে?
- এটা কি বলছো। এই বাড়ী পছন্দ না হওয়ার কোন কারনই নাই। আমি তো এখনও বিশ্বাসই করতে পারছি না যে এটা আমার বাড়ি! খুশীর চোটে তোতলাতে তোতলাতে কোন রকমে বললো রাশেদ।
- এতো খুশী হওয়ার কিছু নাই। এখনও তুমি চাবি বুঝে পাওনি। চোখ টিপে কৌতুকের সুরে বললো হাউজিং অফিসার। তাছাড়া তোমাকে আরেকটা ব্যাপারে সাবধান করা দরকার। বলা হয়ে থাকে, এই বাড়িটার দোষ আছে। ভুতুড়ে ব্যাপার-স্যাপার আর কি। আমি অবশ্য এসবে বিশ্বাস করি না। তবে, অনেকেই করে। আর এটাও সত্যি যে, এর আগে দু‘জনকে এটা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু কেউই দুই মাসের বেশী টিকতে পারে নাই। ছেড়ে দিয়ে ভেগেছে। একজন কালো, আরেকজন তোমারই মতো, ইন্ডিয়ান। তারপর থেকেই এটা কেউ নিতে চাচ্ছে না।তোমার এতো দ্রুত বাড়ী পাওয়ার পেছনে এটাও একটা কারণ।
- আমি ইন্ডিয়ান না, বাংলাদেশী অরিজিন!! তীব্র প্রতিবাদ করলো রাশেদ।
- স্যরি। আসলে ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট তো, আমার কাছে সবাইকে ইন্ডিয়ানই মনে হয়। ভুলেই যাই যে, তোমরা, আর পাকিস্তানীরা ইন্ডিয়ান বললে ক্ষেপে যাও!
শালা ছাগল একটা! মনে মনে গালি দিল রাশেদ। অন্য সময় হলে ব্যাটাকে কতো রসুনে কতো পেয়াজ বুঝিয়ে দিতো; কিন্তু একদিকে নতুন বাড়ির উত্তেজনা, অন্যদিকে চাবি এখনও বুঝে পায় নি। ব্যাপারটা নিয়ে বেশী ঘাটাঘাটি করলো না ও। বললো, আমি এসব পোলাপাইন্যা ভুত-টুতে বিশ্বাস করি না। ভুত যদি সত্যি সত্যি থাকেও…...আমার তাতে কিছু যায় আসে না। তুমি নিশ্চিন্তে চাবি হস্তান্তর করতে পারো।
পরবর্তী একটা সপ্তাহ রীতিমতো দৌড়ের উপরে থাকলো রাশেদ। বাড়ি সংক্রান্ত কাউন্সিলের ফর্মালিটিজ, ঘরের আসবাব আর জিনিসপত্র কেনাকাটা, বাড়ির কিছু টুকটাক মেরামতি ইত্যাদি বহুবিধ কাজ শেষ করে আজই থিতু হয়ে বসলো। বিকালে টেসকোর সুপার শপ থেকে কিছু ছোটখাটো কেনাকাটা করে কি মনে গ্রে গুজের একটা ভদকার বোতলও তুলে নিল ও। এ্যলকোহল বলতে গেলে একরকম ছেড়েই দিয়েছে। তবে নতুন বাড়িতে আজ প্রথম থাকা, সেলিব্রেট তো করাই উচিত! ধারেকাছে কেউ পরিচিতও নাই যে, আনন্দ ভাগাভাগি করবে। একা একাই সেলিব্রেট করার সিদ্ধান্ত নিল ও।
বাসায় এসে শপিং করে আনা জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখে বিছানায় গা এলিয়ে দিল। এ‘কদিনের পরিশ্রমের পর আজ শরীরটা একদম ছেড়ে দিয়েছে। আহ্, হোম….সুইট হোম! আরামে চোখ বুজে এলো ওর। ঘুম যখন ভাঙ্গলো, বাইরে তখন ঘোর অন্ধকার। বেডসাইড ল্যাম্পটার সুইচ অন করে ঘড়ি দেখলো। রাত দশটা বাজে! প্রায় পাচ ঘন্টা মরার মতো ঘুমিয়েছে। শরীরটা পুরাই ঝরঝরে লাগছে এখন। লাফ দিয়ে খাট থেকে নামলো। ইটস পার্টি টাইম ……..গুন গুন করে গানটা ভাজতে ভাজতে ফ্রেশ হয়ে টেবিলে শরাব সাজালো। তারপর বিকালে নিয়ে আসা স্যান্ডউইচে একটা কামড় বসিয়ে টিভিটা অন করলো। খাওয়া দাওয়ার পর টিভি অফ করে রুমের মূল লাইটটাও অফ করলো। কর্নার লাইটটা জ্বালিয়ে রুমটাতে আধো অন্ধকারের একটা আমেজ নিয়ে এলো। সূরাপানের উপযুক্ত পরিবেশ!! খুশীমনে ভাবলো ও। দু‘পেগ মেরে দেয়ার পর তৃতীয় পেগটাতে দেয়ালের দিকে গ্লাস উচু করে বেশ জোরেশোরেই বললো, চিয়ার্স!!!
চিয়ার্স তোর পেছন দিক দিয়ে ভরে দেব, হারামজাদা! ডানদিক থেকে ভারী শ্লেষ্মাজড়ানো গলায় কেউ বলে উঠলো!! ঝট করে সেদিকে তাকালো রাশেদ। ওদিকে ছোট্ট একটা বারান্দামতো আছে। অন্ধকারের মধ্যে একটা কোনা আরো বেশী জমাটবাধা অন্ধকার মনে হলো ওর। কথাটা ওদিক থেকেই এসেছে কোন সন্দেহ নাই। নাকি মনের ভুল! মাত্র দু‘পেগে তো ওর নেশার রং চড়ে যাওয়ার কথা না! আর কথাটা পরিস্কার শুনেছে বলেই মনে হলো! ভয় কাটানোর জন্য সেদিকে তাকিয়েই বললো, কোন শালারে….সামনে আয়, দেখি!! ওদিকে কোন নড়াচড়া নাই দেখে মনের ভুল ধরে নিয়েই তৃতীয় পেগটাতে মন দিল রাশেদ।
বিড়াল প্রথম রাতেই মারতে হয়। তোকে ঝেটিয়ে আজ রাতেই এই বাড়ী থেকে বের করবো আমি! সেই গলাটা কথা বলে উঠলো আবার। এবার আর কোন সন্দেহ নাই রাশেদের। ভয়ে ভয়ে সেই কোনাটার দিকে তাকিয়ে এবার কালো একটা আবছা অবয়ব দেখতে পেল ও। অবয়বটা ধীরে ধীরে দরজা পেরিয়ে রুমে ঢুকছে, আর সেইসঙ্গে রুমটা ভরে গেল সস্তা চুরুটের কড়া গন্ধে। প্রচন্ড ভয় পেল রাশেদ। চিৎকার করতে চাইলো, কিন্তু গলা দিয়ে কোন শব্দ বের হলো না। তীব্র আতংকে শরীরটা একদম নেতিয়ে পড়লো। এরপর আর কিছুই মনে নাই রাশেদের।
সকালে পাখীর ডাকে রাশেদের ঘুম ভাঙ্গলো, কিংবা জ্ঞান ফিরলো…...কে জানে। ভয়ে ভয়ে তাকালো রাতের সেই কোনাটার দিকে। সন্দেহ করার মতো কিছুই নাই ওখানে। একটু থিতু হয়ে ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে বসলো ও। আগের দু‘জনের ভেগে যাওয়ার কারনটা এখন পরিস্কার। প্রশ্ন হলো, এখন ও কি করবে! বত্রিশ বছরের বাউন্ডুলে জীবনে এই প্রথমবারের মতো বাড়ি, চাকুরী সবকিছু মাত্র গুছিয়ে বসেছে। রাশেদ ভালো করেই জানে, এই বাড়ি ছেড়ে দিলে অদূর ভবিষ্যতে আবার বরাদ্দ পাওয়ার কোন সম্ভাবনাই নাই। ভুত-প্রেত কোন কালেই বিশ্বাস করতো না ও। এখন অবশ্য আর অবিশ্বাসের কোন কারন নাই। তবে এই বাড়িটাও ছাড়তে পারবে না ও, মরে গেলেও না। মনস্থির করে উঠে দাড়ালো। চেহারায় একটা মরিয়াভাব চলে এসেছে। ভুতের গুষ্ঠি কিলাই! আমিও ঢাকাইয়া পোলা, দেহি তুই কত্তোবড় মাস্তান-ভুত!
সেদিন রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে দোয়া-দরুদ যা জানতো সব পড়ে তিনবার বুকে ফু দিলো। এক ভাবীর পরামর্শ অনুযায়ী আয়াতুল কুরছি পড়ে তিনবার হাততালিও দিলো। আধাঘন্টা পরে শুনতে পেল বাথরুমের কল থেকে পানি পড়ছে। আবাল ভুতটা আইছে মনে হয়…..বিড় বিড় করতে করতে উঠে গিয়ে কলটা বন্ধ করে আবার শুয়ে পড়লো। একটু পরেই শুনলো আবার কল থেকে পানি পড়ছে। প্রচন্ড রাগে পিত্তি জ্বলে গেল ওর। কল বন্ধ করতে করতে চিৎকার করে বললো, মাদার…..Xদ, বারে বারে কল ছাড়তাছোস! বিল কি তোর বাপে ভরবো!! ঘন্টাখানেক শুয়েছে, শুনলো, রান্নাঘরে বাসন-কোসনের ঝনঝন শব্দ হচ্ছে। এবার আর বিছানা থেকে উঠলো না। শুয়ে শুয়েই চিতকার করে বললো, খানXর…...পোলা, আওয়াজ করতাছোস কর, কোন কিছু ভাঙ্গলে তোর বাপের কাছ থিকা পয়সা উসুল করুম কইলাম। বাকী রাতটা দোয়াদরুদের কল্যানে হোক আর ওর গালাগালির চোটেই হোক, আর কোন উৎপাত হলো না।
পরবর্তী ক‘টা দিন ভুত আর রাশেদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চললো। এর মধ্যে ভুতটা আর দেখা দেয়নি। তবে ওকে ভয় দেখানোর জন্য অনবরত বিভিন্ন ধরনের কান্ডকীর্তি করেছে। আর রাশেদও বাংলা, হিন্দি আর ইংরেজিতে যতো গালি ওর স্টকে ছিল, সব ওটার উপর ঝেড়েছে। এ‘কদিনে একটা ব্যাপার খেয়াল করেছে ও। যখনই মা-বাপ তুলে বিশ্রি বিশ্রি গালি দেয়, ওটা বেশ অনেকটা সময় নিশ্চুপ থাকে। তারমানে এ‘ধরনের গালি ভুতটার হজম করতে বেশ কষ্ট হয়। হাজার হলেও বৃটিশ ভুত, মান-ইজ্জতের বুঝ ভালোই আছে মনে হয়। ফলে, আরো উৎসাহী হয়ে এখন মা-বাপ ছাড়া কোন গালিই দেয় না রাশেদ। নিজের স্টক ফুরিয়ে যাওয়াতে এদিক-সেদিক ফোন করে দেশী-বিদেশী এ‘ধরনের আরও অনেক গালি যোগাড় করে নিজের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করেছে।
আরো সপ্তাহ দু‘য়েক পর একদিন রাতে ল্যাপটপে অফিসের কিছু দরকারী কাজ করছে রাশেদ, হঠাৎ শস্তা চুরুটের সেই তীব্র গন্ধে ঘরটা ভরে গেল। না তাকিয়েই অনুভব করতে পারলো রুমে রাখা চেয়ারটাতে কেউ একজন এসে বসেছে। কিছুটা ভয় পেলেও চেহারায় একটা নির্বিকার ভাব ফুটিয়ে তুলে নিজের কাজে ব্যস্ত থাকার ভান করলো ও।
শ্লেষ্মাজড়ানো সেই পরিচিত ভারী গলায় কথা বলে উঠলো ভুতটা, বাংলাদেশীগুলা ছ্যাচড়া টাইপের হয় জানতাম, কিন্তু এতো ছ্যাচড়া জানতাম না। গত ত্রিশ বছর ধরে এই বাড়িতে থাকি, এমন সমস্যায় আর পরি নাই। হোয়াইট কেউ এই বাসায় থাকলে আমার আপত্তি নাই, কিন্তু ব্ল্যাক কাউকে এই বাসায় আমি এ্যলাও করবো না। আগের দুইটারে খেদাইছি, তোরেও খেদামু। তুই এই বাড়ি আপোষে ছাড়বি কিনা ফাইন্যাল কথা জানতে চাই আমি।
এবার চোখ তুলে তাকালো রাশেদ। দেখলো, ভয়ংকর চেহারার এক বৃদ্ধ বসে জ্বলন্ত চোখে তাকিয়ে রয়েছে ওর দিকে। পাত্তা দিল না ও। বেপরোয়াভাবে বললো, ছাড়ুম না। যা বাX...ফালানোর ফালাইতে পারোস তুই। শালা রেসিস্টের বাচ্চা রেসিস্ট!! তুই ক্যান, তোর বাপ-মা চৌদ্দগুষ্ঠি আইলেও ছাড়ুম না। বাপ-মা সংশ্লিষ্ট অতি জঘন্য আর কুৎসিত আরো কিছু গালি মেশিনগানের ব্রাশ ফায়ারের মতো বেরিয়ে এলো ওর মুখ দিয়ে।
এমন জঘন্য গালি শুনে একটা বিভ্রান্ত করুণভাব ফুটে উঠলো ভুতটার চেহারায়। বললো, এ্যাই….ভদ্রভাবে কথা বল। আমার মরা বাপ-মা তুলে গালাগালি করবি না। কিসব মন্ত্র পড়োস তুই প্রত্যেকদিন। কোন একটা টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছে….তোকে কিছু করতেও পারি না। আজকাল মাঝেমধ্যে দুঃখে আমার মরে যেতে ইচ্ছা করে। আমার সুখের সংসারে আগুন দিয়েছিস তুই!
এবার তেড়ে গেল রাশেদ। সুখের সংসার! আমার বাড়িতে তোর কিয়ের সুখের সংসার রে হুমুন্ধির পুত! নেহায়েত বুইড়া একটা ভুত তুই। নাইলে লাত্থি দিয়া কবেই বাইর করতাম তোরে। ভুতের আবার মরন! মরবি তো মর, মানা করছে কে? তয় এই বাড়িতে না….দুরে গিয়া মর। আর শোন, আমি ব্ল্যাক না। তোগো মতো সাদা না হইলেও আমারে আমাগো দ্যাশে কয় ফর্সা। শালার কালার ব্লাইন্ড বর্ণবাদী ভুত কুনহানকার! তোর বাপ-মার তোর মতো একটা নালায়েকরে জন্ম দেয়াটাই ছিল চরম ভুল! শালা বেজন্মা খবিস!!
আচ্ছা, আচ্ছা…...চেতিস না। সাদা-কালা দুইভাই মিলেমিশেই থাকি এই বাড়িতে কিছুদিন, কি কস! এর মধ্যে নতুন আস্তানা পেলে শিফট করবো ভাবছি যতো তাড়াতাড়ি পারি।
আবারও কালা!! রাগ করতে গিয়েও হেসে ফেললো রাশেদ। বললো, মানুষ…..থুক্কু, ভুত হিসাবে তুই আসলে খুব একটা খারাপ না। থাক, যতোদিন ইচ্ছা। খালি আমারে বিরক্ত করবি না রাইতে। সারাদিন কামের পরে মন-মেজাজ কইলাম খুব খারাপ থাকে আমার। তবে পারলে তোর চুরুটের ব্র্যান্ডটা বদলা। বিদঘুটে গন্ধ ওইটার, বমি আসে। চাইলে আমার প্যাকেট থিকা বাংলাদেশী বেনসন লাইট ট্রাই করতে পারোস। চমৎকার সিগারেট। বাপের জন্মেও খাস নাই তুই!
আবার বাপ? এবার রাগ করতে গিয়ে ভুতটাও হেসে দিল। বললো, তোর যা মেজাজ! আর মুখ খারাপের যা বহর!! এতো গালাগালি আমি বাপের জন্মেও শুনি নাই!
বুইড়াভাম ভুতটাকে এখন আর মোটেও ভয়ংকর মনে হচ্ছে না রাশেদের, বর্ণবাদীও না!!!
ছবিঃ গুগল থেকে।।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আর ভুইয়া বইলা আমারে কনফিউজড কইরেন না! এমনিতেই এইটা নিয়া প্যারায় আছি!!!
আপনিও ভালো থাকবেন।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৭
শের শায়রী বলেছেন: ভুতের গল্পে সবাই ভয়ের আবহ ফুটিয়ে তুলতে চায় সেখানে রম্য নিয়ে আসা সোজা কথা না। অনেক আগে কার যেন একটা ভুতের গল্প পড়ছিলাম (আমি ভুতের গল্পের পোকা) পড়ে হাসতে হাসতে আমার অবস্থা খারাপ।
গল্পে ভালো লাগা।
অনেক আগে একটি অতিলৌকিক গল্প লিখছিলাম, আপনি দেখলে খুশী হব একটি অলৌকিক প্রেম কাহিনী
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম।
অনেক আগে কার যেন একটা ভুতের গল্প পড়ছিলাম (আমি ভুতের গল্পের পোকা) পড়ে হাসতে হাসতে আমার অবস্থা খারাপ। ব্লগে? সম্ভব হলে লিঙ্ক দিয়েন। আর আপনার গল্পটা তো অবশ্যই পড়বো। লিঙ্কােনোর জন্য শুকরিয়া।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
শের শায়রী বলেছেন: না ভাই ব্লগে না, ওস্কার ওয়াইল্ড এর "দ্য ক্যান্টারভিল গোষ্ট" আমি হার্ড কপি পড়ছিলাম। ব্লগ বা নেটে আমি পড়াশুনা একান্ত না ঠেকলে করিনা। "ওল্ড ফ্যাশন্ড ওল্ড ম্যান" বলতে যা বুজায় আমি অনেক টা তাই এখনো হার্ড কপি বই কিনে পড়তে স্বাচ্ছ্যন্ড বোধ করি।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি অবশ্য হার্ড / সফট যখন যা পাই, পড়ার চেষ্টা করি।
বইটার নাম জানলাম, অবশ্যই পড়বো। ধন্যবাদ। তাছাড়া অস্কার ওয়াইল্ডের লেখার ভক্ত আমি এমনিতেই।
আপনার গল্পটা পড়লাম, সেইসাথে ফাকতালে জাতিস্মরও পড়লাম। দু‘টার মন্তব্যই পোষ্টে রেখে এসেছি।
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
আরোগ্য বলেছেন: ভুয়া ভাই গল্প পোস্ট করিবার জইন্য থাংকু। পড়ে আবার প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি। কিন্তু আগেই লাইক চাপ দিলাম।
তা জানতে চাইছি নিকাব পড়া ছবি কিয়ার লাই? পুরা মুখখানা দেখিলে কি হইবে?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছবি আমার না, রাশেদ জামালের; গুগল থেইকা নিছি। নিকাব পড়া না, ভুতের ভয়ে মুখ ঢাকছে!!
না পইড়াই লাইক বাটনে চাপ দিছেন!! মা. হাসান দেখলে তো মাইন্ড করবো!!!
মনে কইরা প্রতিক্রিয়া জানায়েন, আপনে তো আবার ভুইলা যান। আগেও একবার বইলা হাওয়া হয়া গেছিলেন….. আমি ভুলি নাইক্কা!
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "ভূ্য়া'র সব কিছুই ভূ্য়া" -ইভেন ভূত ও মনে ভূয়া
ব্যাপক মজা পাইলাম।বাংগালী হিসাবে গর্ববোধ করছি । বাংগালী অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারে তা জানি কিন্তু গালা-গালি করে ভূতকেও হারাতে পারে এটা জানা ছিলনা।
চমৎকার গল্পের জন্য ভুঁয়া (ভুঁইয়া না ) ভাইকে ধন্যবাদ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাঙ্গালীর আসলে গুনের কোন শেষ নাই। গালাগালি দিয়ে ভুতকে যেমন হারাতে পারে, তেমনি কারো উপর ভুতের আছর হলে ছাড়াতেও পারে!
ভূ্য়া'র সব কিছুই ভূ্য়া হতে পারে, তবে ভুতটা কিন্তু জেনুইন ছিল…...আইমিন, এখনও আছে। ওই বাসাতেই থাকে।
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন রসিক মানুষ।
রস না থাকলে এরকম লেখা সম্ভব না।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন, একসময়ে রসিকই ছিলাম। এখনও থাকার চেষ্টা করি।
তবে সংসার আর বাস্তবতার চাপে, তাপে, যন্ত্রণায় বেশীরভাগ সময়েই রস শুকিয়ে যায়। তখন আলাউদ্দিনের মিষ্টির দোকান থেকে রস নিয়ে আসি!!
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আব্বে হালায়, ভুতে বাংলা গালী বুঝলো কেমতে? ইডাতো বুঝবার পারলাম না
তবে গপ্প যা একখান বা্নাইছেন তিন পেগেই ব্লগ মাত
হা হা হা
ভৌতিক রম্য গল্পে সেইরাম হইছে- ভায়া
+++++++
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুতেরা সব ভাষাই বুঝে, কইতেও পারে।
জামালে তো হ্যারে পোলিশ ভাষায়ও কুরবা কয়া গালি দিছিলো, হ্যাতে ঠিকই বুইজ্জা ফালাইছে!!
আপনের মন্তব্যও সেইরাম হইছে। মন্তব্যে তো আমি কাইৎ!!
৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আজকাল অনেক বাচ্চাও ব্লগে নাম লেখায়েছে, তারা পড়ে হয়তো শিহরিত হবে; সামুর ম্যাগাজিনে এই ধরণের ম্যাঁওপ্যাঁও কিভাবে প্রকাশিত হলো?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের নোংরা নাক যে এইখানেও ঢুকাইবেন, এইটা অনুমিতই ছিল। বলি, ব্লগিং কি খালি আপনের মতো বুইড়াই করবে! বাচ্চাদের হক নাই!!
সামুর ম্যাগাজিনে এই ধরণের ম্যাঁওপ্যাঁও কিভাবে প্রকাশিত হলো? মাজায় জোর থাকলে এই প্রশ্ন আমাকে না, সামু'র কর্তৃপক্ষকে করেন গিয়া।
৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার প্রতিমন্তব্যে, "সামুর ম্যাগাজিনে এই ধরণের ম্যাঁওপ্যাঁও কিভাবে প্রকাশিত হলো? মাজায় জোর থাকলে এই প্রশ্ন আমাকে না, সামু'র কর্তৃপক্ষকে করেন গিয়া। "
-ব্লগে এসব ম্যাঁওপ্যাঁও আসতে পারে, কিন্তু সামুর ম্যাগাজিনের জন্য ইহা অবশ্যই নীচু মানের লিলিপুটিয়ান লেখা হয়েছে; আপনি কি চান সামুর ম্যাগাজিনে এমন জোড়াতালি দেয়া লিলিপুটিয়ান কিছু একটা প্রকাশিত হোক?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার চোখের সমস্যার সাথে সাথে মগজেও সমস্যা হচ্ছে দেখছি! কথা একবার বললে বুঝেন না। আমেরিকার ডাক্তার দিয়ে কাজ না হলে দেশে গিয়ে দেখান।
১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনুপম ভাবনায় নান্দনিক লিখনশৈলি ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৩
জুন বলেছেন: ভুতাটার মত আমারো একই কথা এত্ত বাজে গালি আমিও বাপের জন্মে শুনি নাই ভুয়া
ভুতের সাথে বসবাস ভালোই হইছে নৈলে কত বাসা খালি থাকতো
ম্যাওপ্যাও গল্পটা মজা লাগলো এইটা কিন্ত ঠিক
তাই একটা প্লাসও দিলাম
+
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কন কি আপা, পুরান ঢাকার মানুষ হয়া এইসব গালি হুনেন নাই!! আরোগ্যরে জিগান, হ্যায় কইতে পারবো। পুরান ঢাকার মানুষ দিন শুরু করে গালি দিয়া, শ্যাষও করে গালি দিয়াই।
রাশেদ জামাল আর ভুতটা এহন একলগেই থাকে। ভালো দোস্তি দুইজনের মধ্যে।
ম্যাওপ্যাও গল্প ভালো লাগাতে ধন্যবাদ।
১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৫
সোহানী বলেছেন: আমি হাসতে হাসতে ফিট। ............ ভুতরা যে গালি ভয় পায় তা এইবারই পথ্থম পাইলাম। হাহাহাহা...... নেক্সট্ তাহলে গালি দিয়াই ভুত নামাতে হইবে
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাসেন…..তবে ফিট হওয়া যাবে না। এইটা আমাদের গাও-গেরামের ভুত না, বনেদি ভুত; তাই মরার পরেও আত্মসন্মানবোধ আছে। অনেকের তো জ্যান্ত অবস্থায়ও তা নাই।
নেক্সট্ তাহলে গালি দিয়াই ভুত নামাতে হইবে দেইখেন, সাবধান! সবখানে একই ফল নাও পাওয়া যাইতে পারে। আবার হিতে বিপরীত না হয়া যায়!!
১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৭
আনমোনা বলেছেন: এই ভুতটাই নির্ঘাত ছাপাখানায় যেয়ে আপনাকে ভুইয়া বানিয়ে ছেড়েছে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা আপনি খারাপ বলেন নাই। এই চিন্তা তো আমার মাথায় আসে নাই!! ভুতের ক্ষমতা তো আছেই ছাপাখানায় যাওয়ার।
১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৭
আরোগ্য বলেছেন: মনে কইরা প্রতিক্রিয়া জানায়েন, আপনে তো আবার ভুইলা যান। আগেও একবার বইলা হাওয়া হয়া গেছিলেন….. আমি ভুলি নাইক্কা! ওই মিয়া কোন পোস্টেে যাই নি, দিলেন তো একখান তোহমত। মুরুব্বিরে বিচার দিমু কইলাম। লিংক দেন ঐ পোস্টের।
আর জামাল রাশেদরে কয়েন গালির অভাব হইলে আমার এক ভাতিজারে কল দিতে। আট বছরের পিচ্চি বারুদের গোলার মতন গালি বের হয় আর ধমক দিলে কয় গালি ছাড়া কথা পানসা লাগে। বুঝতে হবে পুরান ঢাকার মাল।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মুরুব্বিরে বিচার দিমু কইলাম। এই তো দিলেন ডর লাগায়া। অন্যের ডায়লগ ভুলে আপনেরে দিয়া ফালাইছি। আসলে বুড়া হইছি তো, মাথামুথা মাঝেমইদ্দে আউলায়া যায়!!
রাশেদের লাগবো না, ওদের এখন দোস্তী হইছে, তয় জুন আপারে নাম্বারটা দিবার পারেন। উনি পুরান ঢাকার মানুষ হয়াও বলে এইসব গালি হুনেন নাই (মন্তব্য নং ১১)।
১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:১৯
রুপ।ই বলেছেন: ভাল লেগেছে
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার কোন পোষ্টে সম্ভবতঃ এই প্রথম আপনাকে দেখলাম। ধন্যবাদ এবং সু-স্বাগতম!!
১৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০১
রাজীব নুর বলেছেন: আমি নিজেও অনেক রসিক মানুষ। অথচ বাস্তবতা আমাকে কতলা বানিয়ে দিয়েছে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি রসিক মানুষ জানি, তবে বাস্তবতা খুবই ঝামেলাপূর্ণ একটা ব্যাপার, অনেক কিছুরই পরিবর্তন করে ফেলে!
বাই দ্য ওয়ে, কতলা জিনিসটা কি?
১৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
হাবিব বলেছেন: আমি চাঁদগাজীর মন্তব্য পড়তে এসেছিলাম। ......
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়েছেন?......কেমন লাগলো?
১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
হাবিব বলেছেন: মন্তব্য প্রতিমন্তব্য দারুণ- ধারুণ .....
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্য প্রতিমন্তব্য দারুণ তা তো বুঝলাম, গল্পটা কেমন লাগলো সেটা তো বললেন না! ম্যাগাজিনেই পড়ে ফেলেছেন আশাকরি।
১৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
জুন বলেছেন: হেই ভুয়া আমি পুরান ঢাকার মানুষ না । ঢাকা এক সদর আসন আমার দেশ এই ধরেন নবানগঞ্জ দোহার এলাকা । বসবাস আজীবন ঢাকা শহরে। এর জন্যই আমি জীবনেও গালি শুনি না তারুপর এইরাম গালি
আর ভুতের বন্ধু গাল্লি বয়ডা যে আপনি এই ব্যাপারে আমি কনফার্ম
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আচ্ছা বুজলাম, আপনে পুরান ঢাকার না। ঢাবিতে তো পড়ছেন নাকি! এগুলা কিছুই শুনেন নাই! বোঝা যায়, আপনে খুব সহজ-সরল আলাভোলা টাইপের ছিলেন।
আর ভুতের বন্ধু গাল্লি বয়ডা যে আপনি এই ব্যাপারে আমি কনফার্ম হে হে হে….শরম দ্যান ক্যান!!!
২০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ভুয়া ভাই।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি তো ভাইজান আমাকে লজ্জায় ফেলে দিলেন। প্রতিবার সামু‘তে আসি অল্প সময়ের জন্য। আপনার পোষ্ট পড়ি, মন্তব্য করবো ভাবি, তারপরে আর সময় করতে পারি না। আজ কাল করতে করতেই আপনার পদধুলি পড়লো আমার পোষ্টে!!
পড়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে গত নভেম্বর থেকেই আমার সহজ-সরল আনন্দময় জীবনটা ছ্যাড়াভ্যাড়া হয়ে গিয়েছে।
২১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: আমার গল্পের পরেই আপনার এই দারুন গল্পটা ব্লগ ডে ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।
বেশ মজা পেয়েছি পড়ে। বইতেই পড়েছিলাম।
ধন্যবাদ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মতো যারা ম্যাগাজিন পেয়েছে, তাদের ফিডব্যাকটাও জরুরী। আর আমার মতো অভাগা, যারা ম্যাগাজিনটা এখনও পায় নাই…….তাদের ব্লগ ছাড়া উপায় কি!!
পোষ্টে এসে অনুভূতি জানানোর জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
২২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫১
করুণাধারা বলেছেন: অত্যাবশ্যকীয় কাজটি সম্পাদন করায় আপনাকে ধন্যবাদ। ব্লগে না দিলে এই গল্প পাইতাম কই? সামুর মিলন মেলায় যাইনি দেখে ম্যাগাজিনও পাই নি।
ম্যাগাজিনে যাদের লেখা ছাপা হয়েছে, তাদের সকলের উচিত নিজের নিজের লেখা এখন ব্লগের সাধারণের জন্য পড়ার সুযোগ করে দেওয়া।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঢাকায় বসে ম্যাগাজিন পান না, এইটা একটা কথা বললেন! হাবীব স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন অতিদ্রুত!!
আমার অধিকার হারানোর বছর, নাকি ফিরে পাওয়ার বছর??? পোষ্টে আপনার মন্তব্যের (১৮ নং) রিপ্লাই দেখেন নাই! আপনার অভিজ্ঞ মতামত খুবই জরুরী!!
২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহেহেহেহেহেসে হেসে প্যাটের নাড়ি ছেঁড়ার উপক্রম হইছে যে। এক্ষণে প্রমাণ হইল যে দেশী খাঁটি বাংলার কোন বিকল্প নেই। ঢাকার পোলা শেষমেশ তাহলে বুড়াভাম ভূতের সঙ্গে বেডশেয়ার করলো? হাহাহা.... ব্যাপক বিনোদন পাইলাম।
ভুতের কারসাজিতে বেশ কিছু টাইপো চোখে পড়লো।
বাড়ী/বাড়ি,এতো দ্রুত/এত দ্রুত, কারন/ কারণ,
বাড়ি পাওয়ার আগে রাশেদ জামাল অথচ হাওজিং অফিসার কর্তৃক বাড়ি দেখানোর পরে শাহেদ হল কেমনে বুঝতে পারলাম না। নাকি সেটাও ওই সাদা বুড়োভাম ভুতের কারসাজিতে নাম বদলে গেছে?
নেতিয়ে পরলো/নেতিয়ে পড়লো, অদূঢ়/অদূর, দাড়ালো/দাঁড়ালো, পানি পরছে/পানি পড়ছে।
আপনি আমাকে লন্ডন ঘুরে দেখানোর কথা বলেছিলেন, সেই ভয়েই আর বাঁকে আসিনি,কইয়ে দিলুম....
শুভকামনা প্রিয় ভূয়া ভাইকে।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হেসে ভালো করেছেন। জীবন যেভাবে দিনকে দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে, আমাদের হাসি কতোদিন থাকবে, বলা মুশকিল। ভুত তো বেড ব্যবহার করে না, তাই শেয়ার করারও চান্স নাই।
আপনার মনে আছে কিনা, আমার কোন একটা পোষ্টে বলেছিলাম, আমার ছোট্ট একটা প্রোমোশনের কথা! তার পর থেকেই আমার এই সুন্দর জীবনটা তেজপাতা হয়ে গিয়েছে। এতোই ব্যস্ত হয়ে গিয়েছি যে, এখন বাসায় এসেও অফিসের কাজ করতে হয়। আর সংসারের প্যারা তো আছেই গোদের উপর বিষফোড়ার মতো। খুব শীঘ্র শান্তি ফিরে আসার কোন উপায় দেখছি না, তাই সামু‘তেও আগের মতো উপস্থিত থাকতে পারবো না।
বানান আমি সাধারনতঃ এই দুই ( view this link view this link ) ওয়েবসাইটে চেক করি, তবে, ওই যে বললাম না ব্যস্ততার কথা! এবার শুধু টাইপ করে ছেড়ে দিয়েছি…….কোন চেক টেক করিনি। ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে উপকার করলেন। আপনি বলার পর সবগুলো আবার চেক করলাম। ‘এতো‘ শব্দটা ঠিক আছে। বাকীগুলো পোষ্টে ঠিক করে দিলাম। আর দাড়ালো/দাঁড়ালো এর ক্ষেত্রে বলি, আমার কোন লেখাতেই আমি চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করি না, এ‘ব্যাপারে আমার নিজস্ব যুক্তি আছে। আপনার জানা ভালো কোন স্পেল চেকার ওয়েবসাইট জানা আছে নাকি? থাকলে দিয়েন। ২টার থেকে ৩টা ভালো। সামু‘তে আসার কারনেই বাংলা লেখায় আমার যা একটু উন্নতি হয়েছে, আগে তো বানান টানান ভুলেই গিয়েছিলাম প্রায়!!
আপনি আমাকে লন্ডন ঘুরে দেখানোর কথা বলেছিলেন, সেই ভয়েই আর বাঁকে আসিনি বাঁকে কি? বুঝলাম না।
আপনার জন্যও শুভকামনা।
২৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমিও জায়গায় বসে আওয়াজ দিলাম। স্টিল অ্যালাইভ।।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্টিল অ্যালাইভ। ফিলিং রিল্যাক্সড!!
২৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
আসলে রিলেসন বিল্ডআপ হলে ওসব সাদা কালো বাদামী হলুদ কেউ গায়ে মাখেনা।
তবে গালাগালি একদম সেইরাম দিয়েছেন। এরাম বেজন্মা গাইলে (গালি) ভুত তো ভালো ভুতের চৌদ্দগোষ্ঠীও ধারেকাছে আসার কথা না! ( নতুন প্রমোশনে মনে হয় এই গালাগালি প্রমোশানের কামডা বাড়ছে )
তবে এই মন্ত্রটা মাঝে মাঝে রাশেদের কামে দিতে পারে, বেড শেয়ার তো দূর বাড়ীও শেয়ার করতেও ভুইল্লা যাইবে হালার বুইড়্যা ভুতে -
"ভুত আমার পুত
পেত্নী আমার ঝি,
হাতে আছে খাড়া ঝাড়ু
করবি আমার কি....."
রম্যে ++++++
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে রিলেসন বিল্ডআপ হলে ওসব সাদা কালো বাদামী হলুদ কেউ গায়ে মাখেনা। এইটা একটা যুক্তির কথা বলছেন। সেইজন্যই আপনের দেওয়া মন্ত্রের আর কোন দরকার নাই রাশেদের। এখন সাদা-কালা দুইভাই মিলে মিশেই থাকে ওই বাড়িটাতে।
ব্লগ তো! গালাগালি কায়দা মতো দিতে পারি নাই। মনে একটা অতৃপ্তি থেকে গেল জী এস ভাই। পুরান ঢাকা স্টাইলে কোনদিন কি ব্লগে গালি দেওয়া যাবে!! মনে তো হয় না!!!
নতুন প্রমোশনের কারনে একটা গালি এখন ঘন ঘন মুখ থেকে বের হয়। সেটা হলো, হোয়াট দ্য ফা* ইজ দ্যাট! এই গালি ঘন ঘন বের হওয়ার কারনটা আর বললাম না।
২৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ছিল রাশেদ, হয়ে গেল শাহেদ, তারপর আবার রাশেদ।
গল্প হিসেবে মোটামুটি।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই রাশেদ-শাহেদ নিয়ে যন্ত্রনায় আছি। প্রথমে নাম ঠিক করেছিলাম শাহেদ। পরে কেন জানি দিলাম রাশেদ। গ্যান্জাম আরো বেশী ছিল, ব্লগার পদাতিক চৌধুরি ধরিয়ে দেয়ার পর ঠিক করেছি। এইটা কেমনে জানি রয়ে গেল। ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমার গল্প মোটামুটি বলেছেন, তাতেই আমার অনেক পাওয়া। আপনাদের মতো তো লিখতে পারি না। মাঝে-মধ্যে কষ্ট মষ্ট করে কিছু একটা লিখি। বেশীরভাগই আমার নিকের মতো ভুয়া হয়ে যায়।
আর দেখেন, প্রেসের লোকগুলাও কেমন!! আমার নিকে সন্তুষ্ট না হয়ে ভুইয়া বানিয়ে দিল, অথচ এ‘সব ভুল তাদের চোখে পড়ে নাই। যত্তোসব ইউজলেস প্রুফ রিডারস!!!
২৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
শিখা রহমান বলেছেন: বাপরে!! গল্পের নায়কতো দেখি সেইরাম!! তবে নায়ককে আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
আমারও কিন্তু ভূতের ভয় একদমই নেই। মানুষকে আমার ভয় করে।
গল্প বরাবরের মতোই দুর্দান্ত আর মজার হয়েছে।
শুভকামনা কাব্যবিদ্বেষী ব্লগার।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পের নায়ককে আমারও খব পছন্দ। স্বভাব-চরিত্র অনেকটা আমার মতো কিনা!!!
আমারও কিন্তু ভূতের ভয় একদমই নেই। মানুষকে আমার ভয় করে। একদম আমার মনের কথা।
এখন থেকে আপনার গল্প ঘন ঘন পাবার আশ্বাস কিন্তু কাব্যবিদ্বেষী হওয়ার জন্য পাওয়া গেল। every cloud has a silver lining.......কাব্যবিদ্বেষী হওয়া দেখছি তেমন একটা খারাপ না!!
২৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০২
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
বছরের প্রথম পোস্ট নিঃসংকোচে বলছি গল্পটি দারুন হয়েছে।
সত্যি ভাই ভীষণ হাসি পাচ্ছে এভাবে গালিও দেয় ভূতকে
আবার দামি ব্রান্ডের খাওয়ার অফার দেয় । অবশেষে
ভূতটাকেই হার মানতে হলো । এমন হাসির একটি গল্পের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পটি দারুন বলার জন্য ধন্যবাদ।
অবশেষে ভূতটাকেই হার মানতে হলো আসলে ভুত তো মানুষের কল্পনা। কথায় আছে না, বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়!! যে যতো ভয় পায়, তত ভয় তাকে পেয়ে বসে!! তাই ভয়কে পাত্তা দিতে নাই কখনও। তাহলেই ভয় কিংবা ভুত, পরাজিত হবে।
আপনি পড়ে মন্তব্য করেছেন......অনেক অনেক ভালো লাগলো।
২৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: হ্যালো ভাইয়া, কেমন আছেন?
ঘড়িতে কয়টা বাজে?
আজব একটা গল্প, ভূতটার জন্য মায়া লাগছে
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে প্রান্তবাবু যে, পড়ালেখা কেমন চলছে? যাক, অনেকদিন পরে হলেও দেখা-সাক্ষাৎ যে হচ্ছে এটা একটা ভালো দিক।
ঘড়িতে কয়টা বাজে? আমার ঘড়িতে এখন দুপুর ১২:১২ বাজে।
গল্পটা আজব কেন! ইন ফ্যাক্ট, সব ভুতের গল্পই আজব। সবাই তো ভুয়া ভুতেরই গল্প লেখে। জেনুইন ভুত আর এই দুনিয়াতে কয়জনই বা দেখেছে!!
ভূতটার জন্য মায়া লাগছে গল্পের নায়কেরও একই অবস্থা। তাই তারা এখন একসাথে মিলেমিশে থাকে!!
৩০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমি টেস্ট পরীক্ষায় ১০ম হয়েছি পুরো কলেজে, তাও আমি পড়ালেখা নিয়ে ঠিক স্যাটেসফাইড না। খানিকটা ডিপ্রেসড বলতে পারেন। ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্স টাইপের কিছু হয়তো
যাহৌক এপ্রিলে পরীক্ষা, দেখি। তারপর এডমিশন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পুরো কলেজে ১০ম তো খুবই ভালো। কনগ্র্যাটস। স্যাটিসফাইড না হলে ভালো, আরো ভালো করার দিকে মনোযোগ থাকবে, তবে ডিপ্রেসড হওয়া ভালো কথা না। পড়ালেখাতে প্রতিযোগিতা থাকবেই। সবাই একইভাবে ভালো করার চেষ্টা করছে.....এটাও মাথায় রাখতে হবে।
ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্স!!! নো ওয়ে! এখানে কমপ্লেক্সের তো কিছু নাই। সেজন্যে আমাদের ধর্মে বলে, নিচের দিকে দেখতে। কতোজনের চোখেই তো ১০ম হওয়াই একটা স্বপ্ন!!
এপ্রিলে পরীক্ষা উইশিং অল দ্য বেষ্ট!
৩১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: থ্যাকংস ভাইয়া, দোয়া রাখবেন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই! সবকিছু ভালোয় ভালোয় হয়ে যাক......তারপরে ব্লগে ঘন ঘন দেখা হবে।
৩২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪
আখেনাটেন বলেছেন: রাশেদ মিঞা মনে হচ্ছে ভুয়া ভূতের পাল্লায় পড়েছিল।
তবে আমি হইলে দুটারে মিলায়ে দিতুম। যেমন বুড়ার বদলে ছুড়ি বসিয়ে দিতুম। ফলে সাদা-কালোই রোমান্টিক কমেডি। বছর শেষে আরেক গল্প 'মুলাট্টো ভূতের বাচ্চা কাহানি'।
ভালো লাগল গল্প।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: রাশেদ মিঞা ভুয়া ভুত না, জেনুইন ভুতের পাল্লায়ই পড়েছিল। আজকাল তো সমলিঙ্গও প্রেমে পড়ে, তো আপনার সেভাবে কল্পনা করতেই বা অসুবিধা কি? রোমান্টিক কমেডিতে তো এখনও আমি কোন সমস্যা দেখি না!!
'মুলাট্টো ভূত' আবার কোন জাতের ভুত?
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওহ্ হো, বলতে ভুলে গিয়েছি......পাসওয়ার্ডজনিত সমস্যার কারনে উত্তর দিতে দেরী হলো। স্যরি।
৩৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বইয়ে নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রকৃত নাম দেওয়াই মনে হয় ভালো। ছদ্মনাম দিলে সুন্দর নাম নির্বাচন করা উচিত।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি বোধহয় বলতে চাচ্ছেন, আমার 'ভুয়া মফিজ' নিকটা সুন্দর না। অত্যন্ত দুঃখজনক। আপনি আমার হৃদয়কে ভেঙ্গে খান খান করে দিতে চাইছেন............কাজটা কি ঠিক!
৩৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো হইয়া গেছিলাম। আপনার গালির বহর দেইখা মনে হচ্ছে আবার খারাপ হইয়া যামু।
গল্প ভাল্লাগছে। ইদানীং ভৌতিক আর রহস্যগল্প বেশি পড়ছি। আজকে 'ভূতবাড়ি ফরেস্ট' নামে একটা সিনেমাও দেখলাম।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো হইয়া গেছিলাম। পুরাপুরি যে হন নাই, বোঝা যাইতাছে। আবার খারাপ হওয়ার জন্য বাহানা খুজতাছেন।
'ভূতবাড়ি ফরেস্ট' কি বাংলা মুভি? নামে তো তাই মনে হচ্ছে।
পাসওয়ার্ডজনিত সমস্যার কারনে উত্তর দিতে দেরী হলো। স্যরি।
৩৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ একই জাতি আর ধর্মের হওয়ার পরও তাদের মধ্যে শ্রেনীভেদ আরো বেশী
ধনীরা গরীবের সাথে,ক্ষমতাবানরা বিরোধীদের সাথে জঘণ্য বর্ণবাদী আচরণ করে।
এর ব্যাখা কি?
১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এ'ব্যাপারে আমার ব্যাখ্যা হলো, আমরা বেশীরভাগ সময়েই বাইরের শাসকদের দ্বারা শাসিত হয়েছি। তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু শিখি নাই, কিন্তু খারাপটা ষোল আনাই শিখেছি। এর মধ্যে এটা অন্যতম।
৩৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
মিরোরডডল বলেছেন: গালির ভয়ে ভুতেরও হার মানা
গালি কি জিনিস !
পিওর বিনোদন : -)
১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিশুদ্ধ বিনোদন দেয়াই উদ্দেশ্য ছিল। দিতে পেরে ভালো লাগছে।
৩৭| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
অশ্রসস্রের দরকার হলো না, যুদ্ধ বিপ্লব ছাড়াই ব্রিটিশ বিজয় !
এতো বিজয়ের প্রহরের খাস গল্প !! দেশ প্রেমে উদ্দীপ্ত হবার মতো গল্প যে যাহাই বলুক । আহা মাস্টার দা, প্রীতিলতা আর ক্ষুদিরামকে যদি আগেই কোচিং দেওয়া যেত এই বিষয়ে !! কিন্তু দেশি ক্ষমতালোভী ভুতগুলা অত্যন্ত বেশি ত্যাদড় । নইলে এই অস্র তাদের ওপর প্রয়োগ করা যায় কিনা সেইটাও আলোচিত হইতে পারতো এই স্থানে বিজয়ের মাসেই । হয়নি যে তা থেকেই ব্লগের বোদ্ধা পাঠকদের খাস পরিচয় পাওয়া যায় !! কিন্তু এই লেখায় আমারটা একটা মন্তব্য মমির মতো পুরোনো হয়ে থাকার কথা ! সেইটা গেলো কোথায় ? নাকি আপনার ভুত সেইটা গিলে ফেলেছে ? আমার যতদূর মনে হয় আপনার নাম গিলে ফেলার মতো ব্লগারস ডে সংকলনে (যদিও এখনো দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া) আমার গল্পের শিরোনামের একটা অক্ষর গিলে ফেলেছিলো বলে আমি কোথাও যেন মন্তব্য করেছিলাম আর আপনিও প্রতিউত্তরে কিছু বলেছিলেন !আপনার ভুত কিছু জানে না কি সেই বিষয়ে ?
১৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি এই গল্পে দেশ প্রেমে উদ্দীপ্ত হবার মতো বিষয় খুজে পেয়েছেন......আপনার জন্য শুভেচ্ছা।
একটু কারেকশান করি, মাসটা কিন্তু বিজয়ের না, স্বাধীনতা ঘোষণার মাস। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। আবার কিছু মনে নিয়েন না, আমি জানি, এটা একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। তবে সংশোধনী দেয়াটা আমার কর্তব্য।
দেশি ক্ষমতালোভী ভুতগুলা অত্যন্ত বেশি ত্যাদড়। সে আর বলতে! এই ভুতগুলো গালি খেয়ে অভ্যস্থ। এসব গালিতে এদের কিছুই হবে না।
আমি আমার পোষ্ট থেকে কারো মন্তব্য মুছি না। আর আপনারটা মোছার তো প্রশ্নই আসে না। ভুতের কারসাজি হলেও হতে পারে। আপনি কি এই পোষ্টটার কথা বলছেন? view this link
৩৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
আপনার সাথে ভুত বিষযক যাবতীয় প্যারানরমাল তত্ত্ব কথা আলোচিত হয়েছিল আপনার এই "ছাপাখানার ভূতের কবলে বর্ণবাদী ভূত" লেখায় । আর আমি সামান্য মানুষ ।যাবতীয় ভুল ভালের আধার। কিন্তু আপনার গল্প বিষয়ে বিজয়ের মাস আর দেশের প্রেমের ব্যাপারে বক্তব্য ঠিক আছে বলেই মনে হয়। গল্পটাতো আপনি ব্লগারস ডে ম্যাগাজিনের জন্য বিজয়ের মাসেই লিখেছিলেন তাই সেই উপমা। সৃষ্টি কর্তার করুনায় করোনার উত্পাৎ বর্ণবাদী ভুতের উৎপাতের মতো জয় করুন সেই কামনা করছি ।
২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একেই বলে মিসকমিউনিকেশান। গল্পটা লিখেছিলাম বিজয়ের মাসে, আপনি সেই অনুযায়ী বলেছেন। আপনি মন্তব্যটা করেছেন মার্চ মাসে, আমি সেই অনুযায়ী বলেছি। দিনশেষে আপনিই ঠিক.....স্যরি।
আমি সামান্য মানুষ ।যাবতীয় ভুল ভালের আধার। বিনয় ভালো, তবে অতি বিনয় ততোটা না।
আমি জানি, আপনি সামান্য মানুষ নন।
করোনা গালিকে ভয় পায় বলে মনে হয় না। তবুও, আপনি যেহেতু বলছেন......চেষ্টা করে দেখবো।
৩৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩০
জটিল ভাই বলেছেন:
পোস্ট পড়েতো পুরা আউলিয়া হইয়া গেলাম যে কোনটা আসলে ভূত
তবে এই পড়ে এটলিস্ট ভাল লাগলো যে ভূত হলেও মানসম্মানবোধ আছে
এদের ভূত না বলে অদ্ভুত বলাই শ্রেয়
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগে আউলিয়া হওয়ার অধিকার একজনেরই আছে। আপনাকে সেই অধিকার কে দিল?
এদের ভূত না বলে অদ্ভুত বলাই শ্রেয় অতি সত্যি কথা।
যাইহোক, দাওয়াত রক্ষা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ...........থুক্কু.........জটিলবাদ।
৪০| ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:০১
শায়মা বলেছেন: এখনও কি সে ভূতের সাথেই আছে!!!
০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১২:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তোমার উপস্থিতিতে আমার এই পোষ্ট পূর্ণতা পাইলো!!!!
এখনও কি সে ভূতের সাথেই আছে!!! অবশ্যই। তারা এখন একে অন্যের ''জানি দোস্ত''!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
চমৎকার একখান গল্প, ভুইয়া মফিজ ভায়া।
থুক্কু ... ভুয়া মফিজ ভায়া। ভালো থাকবেন।