নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার হলবেলা

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৩




ব্লগে অনেকেই স্মৃতিচারণ করেন; ছেলেবেলার, শৈশবকালের কথা লিখেন। পড়তে বড়ই ভালো লাগে, আনন্দ পাই! বিভিন্ন সময়ে এসব লেখা পড়তে পড়তে আমারও এ'ধরনের লেখা লিখতে ইচ্ছা করে, যেহেতু অন্য সবার মতোন শিশুকালসহ অন্যান্য কাল অতিক্রম করেই আজকের আমি! ক'দিন ধরেই ভাবছিলাম স্মৃতিচারণমূলক কিছু একটা লিখবো; ভাবনার একপর্যায়ে মনে হলো আসছে ১৪ই ফেব্রুয়ারী হলো বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। কাজেই অন্যান্য কাল নিয়ে স্মৃতিচারণ আপাততঃ গোল্লায় যাক, আমার তারুন্যকালীন স্মৃতি নিয়েই বরন্চ কিছু লেখি; যেই সময়টা আমি বলতে গেলে পুরোটাই ব্যয় করেছি একটা বিশেষ কাজে এবং বিশেষ জায়গায়। আরেকটু খুলেই বলি তাহলে। কাজটা হলো, খুবই মনোযোগ দিয়ে প্রেম করা আর জায়গাটা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ছাত্রী হল; শামসুন্নাহার হল! বুঝতেই পারছেন, শিরোনামের 'আমার হলবেলা' বলতে আমি এই হলটাকেই বুঝিয়েছি!

একটু পিছনে ফিরে যাই। স্কুল জীবনে আমার আড্ডাস্থল ছিল আজিমপুর কলোনী। ওই সময়ে আমার একটা বিশেষ দক্ষতা প্রকাশ পায়, যার ফলে আমি কলোনীর বড়ভাই এবং আপাদের খাস সুনজরে পড়ি। সেটা হলো, পানির কিংবা স্যুয়ারেজের পাইপ বেয়ে দ্রুত উঠানামা করার দক্ষতা! তখন মোবাইল ছিল না। ল্যান্ডলাইনও সবার বাসায় ছিল না। প্রেমের ক্ষেত্রে চিঠি চালাচালিই ছিল একমাত্র ভরসা। সবার চোখ এড়িয়ে রাতের আধারে পানির পাইপ বেয়ে আমি চিঠি পৌছে দিতাম আপাদের কাছে, উত্তরও নিয়ে আসতাম। বিনিময়ে আমার কিছু দক্ষিণাপ্রাপ্তি ঘটতো! এই পেশার কারনেই বিভিন্ন ধরনের বিচিত্র প্রেমপত্র পড়ার দুর্লভ সৌভাগ্য অর্জন করি আমি। বলাই বাহুল্য, সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই অন্য অনেকের প্রেমপত্রও আমি সামান্য দর্শনীর বিনিময়ে রচনা করে দিতাম। সাহিত্য রচনা করেও যে আয় করা সম্ভব, সেটা সে বয়সেই আমি বুঝে গিয়েছিলাম। এই মেধা কাজে লাগিয়ে এর বাইরে কিছুই করতে পারি নাই, সেটা একান্তই আমার ব্যর্থতা। যাই হোক, ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেয়ার পর সবাই জান-প্রান দিয়ে আবার পড়ালেখা শুরু করে ভালো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য। ওদিকে আমার সবচাইতে ঘনিষ্ঠ তিন বন্ধু, যাদেরকে আমি 'থ্রি স্টুজেস' বলতাম, তারা তিনজনেই সেসব বাদ দিয়ে প্রেম করা শুরু করলো। একেবারে ডাইহার্ড প্রেমিক একেকজন। যখনই দেখা হয়, তাদের প্রেমিকার গল্প। তিনজনে সারাক্ষণ গুজুর গুজুর, ফুসুর ফুসুর করে। আমি কাছে গেলে বলে, তুই শালা ব্যাচেলর মানুষ, এসব বুঝবি না। দুরে থাক!

অত্যন্ত অপমানজনক আচরণ!!

অপমানে জর্জরিত আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, যে করেই হোক, একটা প্রেম আমাকে করতেই হবে। একে একে তিন বন্ধুকেই অনুরোধ করে বললাম, দোস্ত, ভাবীরে কয়া যেমনেই হোক, আমারে একটা প্রেম করায়া দে। ওরা একবাক্যে বললো, পানির পাইপ বায়া উঠা-নামা করতে করতে তোর চেহারা বান্দরের মতো হয়া গ্যাছে গা। কোন মাইয়া তোর লগে প্রেম করবো না। অপমানের উপর অপমান! ওদের সাহায্যের আশা ছেড়ে দিয়ে বড়ভাই / আপাদের কাছে হত্যা দিয়ে পড়লাম, ভাইজানেরা/আপামনিরা.....আমারে পিলিস, একটা প্রেম করায়া দ্যান!!! যাদেরকে একসময়ে আমি আমার জানবাজী রেখে তাদের মধুর প্রেম চালিয়ে যেতে সহায়তা করেছি তাদের বক্তব্য, তোর মতো ভাদাইম্মার লগে কোন মাইয়া প্রেম করবো না।

মনের দু্ঃখে বড়বোনের ড্রেসিং টেবিলের বড় আয়নায় বিভিন্নভাবে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নিজেকে দেখি। বান্দর কিংবা ভাদাইম্মা দেখি না; প্রমাণ সাইজের আমাকেই দেখি। দেখতে তো খুব একটা খারাপও লাগে না! ভাবলাম, আমি না দেখলে কি? সবাই যেহেতু বলে, নিশ্চয়ই আমাকে বান্দর কিংবা ভাদাইম্মার মতোই লাগে! হতাশ হয়ে বার বার আয়নার সামনে যাই। নিজেকে খুটিয়ে খুটিয়ে পরীক্ষা করি। কোন পরিবর্তনই চোখে পড়ে না।

একদিন সকালে নাস্তার টেবিলে বড়বোন আম্মাকে বললো, আম্মা! এই বদমাইশটা সারাক্ষণ আমার ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে ঘুর ঘুর করে, আর সুযোগ পাইলেই নিজেরে মডেলদের মতো ঘুরায়-ফিরায় দ্যাখে। আম্মা কিছুক্ষণ আগুন চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, এ্যাই উজবুক! তুই প্রেম শুরু করছস নাকি! মনে রাখবি, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে না পারলে তোরে ওই মোড়ের ফার্নিচারের দোকানে সেলসম্যানের চাকুরী করতে হবে। ওইখানে অনেক ড্রেসিং টেবিল আছে। সারাদিন আয়নায় নিজেরে দেখবি আর ফার্নিচার বিক্রি করবি!

কি দুঃখে যে আমি ড্রেসিং টেবিলের সামনে যাই তা আর খুলে বলতে পারলাম না, তবে সত্যি সত্যিই ভয় পেলাম। আমার রাশভারী আম্মাকে কোন বিশ্বাস নাই। উনার পক্ষে এটা করা সম্ভব। আর আব্বার কানে গেলে ভর্তি পরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগবে না.....উনি এখনই আমাকে ওই দোকানে নিয়ে যাবেন! প্রেমের আশায় জলান্জলি দিয়ে পড়ালেখাতে মনোযোগ দিলাম। ফলাফল শুনবেন? আমার ওই তিন বন্ধুর একজনও ঢাবিতে চান্স পায় নাই।

যাহোক, আসল কথায় আসি। সেকেন্ড ইয়ারের শুরুর দিকের ঘটনা। ততদিনে অবশ্য প্রেমের ভুত আমার মাথা থেকে নেমে গিয়েছে, পড়াশুনাতে অখন্ড মনোযোগ। আমার এক কাজিনের বিয়েতে এক মেয়েকে দেখলাম। মুগ্ধ হয়ে দেখলাম, এই মেয়ের হাসিতে যেন মুক্তো ঝরে পড়ছে। পরমুহুর্তেই সামনে আম্মাকে দেখে পুরানো সাবধানবানী মনে পড়লো। বুক চিরে হাহাকারের মতো একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস বেড়িয়ে এলো। দার্শনিকের মতো ভাবলাম, এই দুনিয়াতে সবাই সবকিছু পায় না। নিজের যা আছে, তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত! পর মুহুর্তেই ভাবলাম, আমার আছেটা কি, যে সন্তুষ্ট থাকবো!!

এই মেয়ে ছিল আমার আরেক কাজিনের প্রিয় বান্ধবী এবং লতায়-পাতায় আত্মীয়, সেই সূত্রে আমারও। তো অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে আমার কাজিন সেই মেয়েকে নিয়ে আমার সামনে হাজির। উদ্দেশ্য, আমাদের মধ্যে পরিচয় করিয়ে দেয়া। আপনারা আবার অন্যকিছু ভেবে বসবেন না যেন! আসলে সেই মেয়ে তখন ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে। যদি চান্স পেয়েই যায়, তাহলে বড়ভাইয়ের সাহায্যপ্রার্থী.....এই আর কি!!!

আল্লাহর কি অশেষ রহমত! মেয়ে চান্স পেয়েই গেল!! আর কয়েকমাসের মধ্যে শামসুন্নাহার হলে সিটও পেয়ে গেল!!! বড়ভাই হিসাবে আমি আমার দায়িত্ব-কর্তব্য অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পালন করতে লাগলাম এবং অচিরেই বুঝতে পারলাম, আমার আন্তরিকতা, একাগ্রতা এবং আত্মত্যাগ (আবার ছ্যাচরামী মনে কইরেন না কিন্তু!!!) এই মেয়ের সবিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। সময় এসে গেল, আমার প্রেম সেক্টরের অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর। সুতরাং আমার সকল সাহিত্য প্রতিভা ঢেলে দিয়ে একটা চিঠি লিখেই ফেললাম। ওটাকে ঠিক প্রেমপত্র বলা যাবে না, বরং ওর জন্য একটা দিক-নির্দেশনামূলক পত্র বলতে পারেন। মূলভাবটা এমন ছিল, পর সমাচার এই যে, বড়ভাই হিসাবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা এবং ভালোবাসা দিয়া তোমারে যথাসম্ভব সেবা দিয়া যাইতেছি। কিন্তু এক্ষণে আমার মনে এই ভাবনার উদয় হইয়াছে যে, এই ভালোবাসাকে যদি বড়ভাই হইতে প্রেমিকের ভালোবাসায় রুপান্তর করা যাইতো, তাহা হইলে আমি আরো আন্তরিকতা, উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সহিত তোমার সেবা করিতে পারিতাম!

পরদিন সকালে উত্তর পেলাম। এই মেয়ে আমার থেকেও এক কাঠি সরেস। লিখেছে, ইহা অনুমিতই ছিল। মেয়েরা ছেলেদের দৃষ্টি পর্যবেক্ষণ করিয়াই বুঝিতে পারে কোনটা সাধুর দৃষ্টি আর কোনটা শয়তানের! অদ্য রাত্রি বারো ঘটিকার পর হইতে তোমার দায়িত্বে পরিবর্তন আনা হইলো। ইহা পদোন্নতি নাকি পদাবনতি, সময়েই বুঝিবা। আপাততঃ অধিক আনন্দিত হওয়ার কিছু নাই। ঠিক বৈকাল পাচ ঘটিকার সময়ে হলের গেটে উপস্থিতি নিশ্চিত করিবা।

সেই শুরু। এরপর থেকে কোন রকমের প্রাকৃতিক কিংবা মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগই আমাকে দমিয়ে রাখতে পারে নাই। পরবর্তী ছয় ছয়টা বছর আমি হলের গেটে সকাল-বিকাল অত্যন্ত সাফল্যের সাথে ডিউটি পালন করেছি। সে সময়ে যেহেতু কোন মোবাইল ছিল না, আমরা দেখা হওয়ার পর পরই পরদিনের সময় ঠিক করে রাখতাম। সমস্যা হতো, যদি বিনা নোটিশে উপস্থিত হতাম। ভিজিটিং আওয়ার ছাড়া হলের দাদু'রা (হলের পিয়ন/দারোয়ান, যাদেরকে মেয়েরা দাদু বলতো) মেয়েদেরকে ডেকে দেয়ার স্লিপ নিতো না। তখন যেসব মেয়ে হলে ঢুকতো তাদেরকে বলে স্লিপ ধরিয়ে দিতাম। সব মেয়েই সাধু না। কিছু খচ্চড় প্রকৃতির মেয়েও ছিল, যারা ডেকে তো দিতই না, উপরন্তু অপমানজনক আচার-আচরন করতো। একদিনের কথা বলি। সেদিন বিনা নোটিশে উপস্থিত হয়েছি। তিনজনকে এ্যপ্রোচ করে প্রত্যাখাত হয়ে মেজাজটা খিচড়ে ছিল। ছোটখাটো গড়নের এক মেয়েকে হলে ঢুকতে দেখে বললাম, এই মেয়ে, অমুক রুম থেকে তমুককে ডেকে দাও তো! খবরদার, হলে ঢুকে স্লীপ ফেলবা না (অনেক মেয়েই না করতে না পেরে স্লীপ নিয়ে গেট দিয়ে ঢুকেই স্লীপ ফেলে দিত)। বলে একরকম জোর করে হাতে স্লিপ গছিয়ে দিলাম। একটু পরে 'উনি' হাপাতে হাপাতে এলেন। সাফল্যে আমার দাত বের হয়ে গেল। সেটাকে পাত্তা না দিয়ে বললো, তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গ্যাছে! রানু আপা মাস্টার্সের ছাত্রী। উনার সাথে মিসবিহেভের কারন কি? এক্ষুনি উনার কাছে মাফ চাও। পরবর্তীতে অবশ্য এই রানু আপার সাথে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর হয়ে যায় তবে কারো সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় বলতেন, এইটারে দেইখা যতো ভোলাভালা মনে হয় তা কিন্তু ঠিক না......অতি বদের বদ!

সেসময়ে হলে কয়েন বক্স ফোনের প্রচলন ছিল। মেয়েরা কয়েন নিয়ে সারারাত ফোনের আশেপাশে ঘুর ঘুর করতো সিরিয়ালের জন্য। আমার আরেক বন্ধু তার প্রেমিকার সাথে প্রায়শঃই ফোনে সারারাত কথা বলতো। ওরা অবশ্য দু'জনেই বাসায় থাকতো। ওই বন্ধুর কাছে তার প্রেমালাপের বর্ণনা শুনে আমার মধ্যেও রোমান্টিকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। ওকে প্রস্তাব দিতেই ছ্যাৎ করে উঠলো। বললো, অসম্ভব! আমি রাত-বিরাতে সবার সামনে তোমার সাথে প্রেমালাপ করতে পারবো না। আমি বললাম, অনেকেই তো করে...তোমার সমস্যা কি? তুমি কোনখানকার ইস্পেশাল আইটেম? যাই হোক, প্যাচে ফেলে ওকে রাজি করিয়ে বাসায় আসলাম। আবেগের চোটে আমার খেয়াল ছিল না, বাসার সিটিং রুমে রাখা ফোনের আরেকটা এক্সটেনশান ফোন আব্বার বিছানার সাইড টেবিলে রাখা থাকে। বহু কায়দা-কানুন করে সেই এক্সটেনশান খুলে রিঙ্গার একদম লো করে যথাসময়ে ফোনের সামনে বসলাম।

ফোনটা কোৎ করে শব্দ করতেই প্রায় ঝাপিয়ে পড়ে রিসিভার তুললাম।

- বলো, কি বলবা। আমার 'না হওয়া বউ'য়ের নিরাসক্ত কন্ঠস্বর ভেসে এলো।
- কি বলবো মানে কি? এইটা কোন ধরনের কথা! গল্প করবো, সারারাত। একেবারে খাটি প্রেমালাপ যাকে বলে!
- সারাদিন প্রেমালাপ করেও তোমার শখ মিটে নাই!
- সামনা-সামনি আর ফোনের প্রেমালাপে তফাৎ আছে। দুইটার মজা দুই রকমের। কিন্তু তুমি মনে হয় ঝগড়ার মুডে আছো! রাগ করে বললাম। তোমার তো দেখি কথা বলার কোন উৎসাহ-ই নাই!
- শোনো, এখানে আরো মেয়ে হাটাহাটি করছে। সবাই কথা বলবে। এরা একটু পর পর কাশি দেয়। এর মধ্যে আমি তোমার সাথে প্রেমালাপ করতে পারবো না.......বলতে বলতেই উহ রে আর্তনাদ.....সেইসাথে ঠাস ঠাস শব্দ ভেসে এলো ইথারে। বললো, এ্যাই শোনো, মশা কামড়াচ্ছে!!
- মশা যে কামড়াবে সেটা তো তুমি জানোই.....মোজা-টোজা পরে প্যাকেট হয়ে আসবা না!! মেজাজ খারাপ করে বললাম।
- এই গরমের মধ্যে প্যাকেট হয়ে আসবো মানে কি?
- প্রেমের জন্য মানুষ কতোকিছু করে.....আর তুমি একটু গরম সহ্য করতে পারো না!
- না, পারি না। আমার অতো তেল নাই। তাছাড়া আমার এখন ঘুম পাচ্ছে। তুমি সকাল ৯টায় আসো, তখন গল্প করবো। রাখলাম।

আমি কিছু বলার আগেই খটাশ করে ফোন রেখে দিল। কথার কি ছিরি!! এই রকমের একটা নীরস টাইপের কাঠখোট্টা মেয়ের সাথে প্রেম করা যায়? মনের দুঃখে বারান্দায় গিয়ে একটা সিগারেট ধরালাম। আকাশে থালার মতো ঝুলে থাকা চাদটার দিকে নজর পড়লো। ওটাকে রুটির মতো না লাগলেও কোনভাবেই রোমান্টিক মনে হলো না। ওটাই ছিল আমাদের 'হল টু বাসা' প্রথম এবং শেষ প্রেমালাপ!!!

সেসময়ে 'সুর্যাস্ত আইন' বলে মেয়েদের হলে একটা নিয়ম ছিল। প্রতিদিন সুর্যাস্তের সাথে সাথে হাজারো প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার করে হলের দাদুরা বিকট শব্দে ঘন্টা বাজাতো মেয়েদেরকে হলে ঢোকানোর জন্য। হলের মূল গেটের পাশে এক দাদু'র একটা ছোটখাটো মুদির দোকান টাইপের দোকান ছিল। সেটাতে একটা বড় পোস্টার ছিল, তাতে লেখা......
পুকুরেতে পানি নাই, পদ্ম কেন ভাসে
যার সাথে দেখা নাই, সে কেন হাসে।

গেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে একটা সিগারেট ধরিয়ে চা খেতে খেতে ভগ্নহৃদয়ে উদাস নয়নে এই উচ্চমার্গীয় লাইন ক'টার দিকে তাকিয়ে থাকতাম আর বোঝার চেষ্টা করতাম। বিভিন্ন ব্যাখ্যা মাথায় আসতো কিন্তু কোনটাই মনঃপুত হতো না। তারপর এক সময়ে বোঝার চেষ্টা বাদ দিয়ে হতাশ হয়ে বন্ধুদের আড্ডার দিকে হাটা দিতাম। মাথার মধ্যে ক্রমাগত ঘুরতে থাকতো দু'টি লাইন.......
পুকুরেতে পানি নাই, পদ্ম কেন ভাসে
যার সাথে দেখা নাই, সে কেন হাসে। কেন হাসে? হোয়াই!!! কেউ কি জানে??

শেষকথাঃ
লেখাটা শেষ করে বউকে পড়তে দিলাম। সে পড়ে বললো, এইসব কি লিখছো! বুড়া বয়সে ভিমরতি!! ব্লগে কতো পোলাপাইন আছে; তোমার কি লজ্জা-শরমের বালাই নাই?

আমি বললাম, বউ.....এ্যনোনিমাস ব্লগিংয়ের এইটাইতো মজা। তোমারেও কেউ চিনে না, আমারেও না! তাছাড়া পোলাপাইনেরে জানানোটাও তো একটা দায়িত্ব যে, প্রেম কোন ছেলেখেলা বিষয় না। প্রেম করলে আমার মতো মনোযোগ দিয়াই প্রেম করা উচিত!

বউ বললো, হ....হইছে! তুমি যে কি জিনিস; এইটা আর কেউ জানুক আর না জানুক, আমি তো জানি.........

ব্যাস, চালু হয়ে গেল বহুদিনের পুরানো ভাঙ্গা রেকর্ড। সেসব আর আপনাদের না শোনাই ভালো!!! =p~

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ব্লগার ভুয়া মফিজ ভাই লিখেছেন “আমার হলবেলা” পোষ্টের ছবিতে শামসুন নাহার হল। বিভ্রান্ত হয়ে পোষ্ট না পড়েই মন্তব্য করছি। এখন পড়ি আসলে কি ঘটনা - - - - - ফিরে যাই পোষ্টে এবং আসল বিষয় জানা যাক

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ফিরে যাই পোষ্টে এবং আসল বিষয় জানা যাক এই বিভ্রান্তি সাময়িক। পড়ার পরে সবই বুঝতে পারবেন। ;)

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভাবীরে কেউ না চিন্তে পারে, কিন্তুক আপ্নেরে তো সবাই চিনে, আপ্নে মফিজ ভুইয়া :-P এবারের ব্লগদিবসের বইয়ে আপ্নের নাম দিয়া দিছে...

যে গেটের ছবি দিয়েছেন, সেইটার সাথে আমারও প্রচুর রোমান্টিসিজম জড়িয়ে আছে।....ফেলে আসা দিন পথ ভুলে যেন ফিরে আসে বার বার....
স্লিপের কথা পড়ে ভাবলাম আপনি আমার সমসাময়িক, তারপর কয়েন বক্সের কথা পড়ে ভাবলাম, না বোধহয় দুয়েক বছরের সিনিয়র হবেন, এরপর সূর্যাস্ত আইন পড়ে পুরাই বেকুব হয়ে গেলাম.... আপনি তো স্যার আশির দশকের। এর আগে ব্লগার ঢাবিয়ানকে নিয়ে এ রকমই অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। যারেই কাছের ভাবি, সেই সিনিয়র হয়ে যায়, কই যামু!!

যাউগ্গা, লেখায় প্লাস।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মফিজ ভুইয়া বইলেন না, বুকে আঘাত পাই। আমার কত্তো সুন্দর একটা নিক......এইটারে বিকৃত কইরা কি বানাইছে! :((

হ.....ফেলে আসা দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে......!!

যেই দশকেরই হই না কেন, আমরা সবাই ব্লগার.....এইটাই বড় পরিচয়। টেনশান নেন কেন, সিনিয়র-জুনিয়র সবাই আমরা আত্মার আত্মীয়, তাই না! :)

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: অতীতের কাহিনি গুলো খুব সুন্দর হয়। দারুন আবেগ কাজ করে। সেই আবেগ লেখার মধ্যে সুন্দর ফুটে উঠে।
দারুন লাগলো পোষ্টটা।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: সামসুন্নাহার হলের সামনের চটপটিতো বিখ্যাত ছিল। চটপটি খাইতে খাইতে অপেক্ষা করতে দ্যখতাম অনেকরে । কয়েক ঘন্টা অপেক্ষার পরও যখন প্রেমিকা আসতো না তখন বুঝা যাইতো যে স্লীপ জায়গামত পৌছায় নাই =p~ তখন যে সেই সব প্রেমিকদের চেহারা কি হইত, তা ছিল দেখার মত =p~

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের চেহারা কেমন হইতো এইটা কেউ কয় নাই?

আমি অবশ্য সিগারেট খাইতে খাইতে অপেক্ষা করতাম। :)

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

একাল-সেকাল বলেছেন:
ভালো। ৪র্থ প্যারায় বড় ভাই/ আপাদের হত্যা দিয়ে পড়লাম বুঝলাম না তো ?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বড় ভাই/ আপাদের হত্যা দিয়ে পড়লাম 'কাছে' শব্দটা মিস করেছেন। লিখেছি, বড় ভাই/ আপাদের কাছে হত্যা দিয়ে পড়লাম। এখন মানে বুঝতে পারছেন?

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার ছোট বোন সত্যি বলেছেন। ভাই হিসেবে বিচিত্র কারণে এই মন্তব্য আমি লিখতে চেয়েছিলাম, দেখি আমার বোন এই কথা ইতিমধ্যে বলেছেন। যাইহোক, আপনার জন্য প্রেসক্রিপশন:

Rx
চিরতার পানি এক মগ করে (৩৫০ মিলি)
১+০+১

এই প্রেসক্রিপশন আগামী ২০২১ সন, ১৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।


১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চিরতার পানি খাইলে কি হবে? আমার সমস্যাটাই বা কি......কিছুই তো জানিনা। এক বছর ধরে চিরতার পানি....নো ওয়ে!!

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মারহাবা প্রেম শেষ পর্যন্ত সফল হইছে

আপনি তো পারছেন
আর আমি এই জিনিস পারি নাই :( এত ছোটখাটো ছিলাম শালার পাত্তাই দিত না উপরন্তু আমার হাতে চিরকুট ধরিয়ে দিতো। হারামিগুলান রে এখণ পাইলে নাকে ঘুষি দিতাম হুহ

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনেগো দোয়ায় সফলকাম হইছি, তয় ইদানীং মনে হয়......সফলকাম না হইলেই বোধহয় ভালো হইতো।

উপরন্তু আমার হাতে চিরকুট ধরিয়ে দিতো। জনসেবা ভালো জিনিস, প্রেমিক-প্রেমিকা সেবা ততধিক ভালো!! =p~

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভুয়া মফিজ ভাই,
আমার কাছে গল্পের সলিড ফুড “আপনার বাথরুমের পাইপ ধরে বাসাবাড়িতে যাতায়াত”। এই দক্ষতা দেশ থেকে বিদেশে রপ্তানি হয়েছে জেনে গর্ববোধ করছি। আশা করবো বিদেশে এর প্রচার ও প্রসার করে দেশের গৌরব উজ্জল করেছেন। আপনাকে ২০০৪-২০০৫ এ লাইবেরিয়া নিয়ে যেতে পারলে প্রচুর তাজা ডাব খেতে পারতাম। আজ ২০২০ এ আপনাকে মিস করছি ২০০৪ এর জন্য্।

গল্প মজাদার হয়েছে। ধন্যবাদ।।


১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পাইপ বাওয়ার দক্ষতা এই দেশে কোন কাজেই আসে না। দীর্ঘদিন প্র্যাকটিস না থাকায়, আর বয়স হওয়ায় সেই দক্ষতা আর নাই। তাছাড়া, পাইপ ভেঙ্গে পরার সমূহ সম্ভাবনা আছে এখন। ডাব খেতে লাইবেরিয়া যাওয়ার চাইতে দেশে আসাই তো ভালো!

আপনি বোধহয় ওই সময়ে লাইবেরিয়াতে ছিলেন। :)

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

জুন বলেছেন: এইটা কি আপনার হল বেলা ভুয়া :-* এতো দেখি আমাদের শামসুন্নাহার ভাবীর হল বেলা ;) আর আপনি এক উদ্ভ্রান্ত প্রেমিক যে কিনা দিন রাইত হলের গেটে দাড়াইয়া আপামনিদের হাতে স্লিপ গুইজা দেয়ার চেষ্টা করতেছে =p~ এই রকম আমরা প্রায় দেখতাম রোকেয়া হলের গেটে। আমি আবার রোকেয়া হলে এটাচড ছিলাম তো তাই কাজ কাম ছাড়াও সস্তায় চা সিংগাড়া খাইতে যাইতাম বান্ধবী সহযোগে #:-S
মজা পাইলাম অনেক।
+ দিলাম।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি এক উদ্ভ্রান্ত প্রেমিক যে কিনা দিন রাইত হলের গেটে দাড়াইয়া আপামনিদের হাতে স্লিপ গুইজা দেয়ার চেষ্টা করতেছে ছবিটা তো ভালোই কল্পনা করছেন! তয় আমি বেশীরভাগ সময়ে টাইম ফিক্সড কইরা নিতাম যাতে এই সমস্যায় না পড়ি। তারপরেও যখনই এমন সমস্যায় পড়তাম.....একটা না একটা সমাধান হয়াই যাইতো গা। B-)

চা-সিঙ্গারা খাওয়ার জন্য ডাকসু ক্যাফেটারিয়াই সবচেয়ে ভালো ছিল ওই সময়ে। টিএসসিও খারাপ ছিল না, কি কন!!!

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাব্বাহ এতক্ষণে শেষ হলো হলোগ্রাম মার্কা প্রেম পর্বের। তবে সবটা খাঁটি বলে বিশ্বাস হচ্ছে না। অত সহজে প্রেম ধরাদিলে জমে না । নিশ্চয়ই কিছু একটা গোপন করেছেন। যাইহোক শেষ পরিণতি মধুর এটাই আনন্দের।

শুভকামনা প্রিয় মফিজ ভাইকে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সহজে ধরা দেয় নাই। বিস্তারিত বলতে গেলে তো এক পর্বে হবে না.....তাই এই সংক্ষিপ্ত রুপ! কিছুই গোপন করি নাই, তবে বর্ণনা সংক্ষিপ্ত হয়েছে, সন্দেহ নাই। :D

আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা।

১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

এমজেডএফ বলেছেন: আপনার হলবেলার প্রচ্ছদে শামসুন্নাহার হলের ছবি দেখে প্রথমে মনে করেছিলাম আপনি শামসুন্নাহার হলে থাকতেন :)! স্মৃতিচারণ চমৎকার হয়েছে। ৮০'র দশকের শেষের দিকে রোকেয়া হলের সামনের রাস্তা দিয়ে প্রায় যাওয়া-আসা করতাম। তখন হলের গেইটে আপনাদের মতো প্রেমিক-প্রেমিকাদের জটলা দেখে নিজেকে খুব হতভাগ্য মনে করতাম :(

মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে,
সৃতি যেন আমার হৃদয়ে, বেদনার রঙে রঙে ছবি আঁকে।


পুকুরেতে পানি নাই পদ্ম কেন ভাসে,
যার সাথে দেখা নাই সে কেন হাসে।

কেন হাসে? হোয়াই!!! কেউ কি জানে??

এর উত্তর আগেও কেউ জানতো না, এখনো কেউ জানেনা এবং ভবিষ্যতেও কেউ জানবে না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শামসুন্নাহার হলেই তো থাকতাম, তবে গেটের বাইরে.....সন্ধ্যা পর্যন্ত! আপনার সাথে তখন যোগাযোগ থাকলে একটা ব্যবস্থা করেই দিতাম আপনার জন্য। নিজেকে হতভাগ্য মনে হতো না আর! :P

এর উত্তর আগেও কেউ জানতো না, এখনো কেউ জানেনা এবং ভবিষ্যতেও কেউ জানবে না। তাই তো দেখছি!!

১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: বড়ই ঘড়েল মেয়ে- ইচ্ছা করলে একটা রাত কি আর একটু কথা বলতে পারত না? অবশ্য আরেকটা জিনিস হতে পারে, তিন খান বাঘ মার্কায় পাঁচ মিনিট কথা বলা যায়, সারারাত কথা বলার মত বাঘমার্কা সাপ্লাই দিছিলেন?

আচ্ছা, এইসব ভেবে আর কি হবে, প্রেম করতে পারছেন এটাই বড় কথা। ভ্যালেন্টাইন ডে যে শুভকামনা রইল- আপনাদের প্রেম আরো বিস্তার লাভ করুক।

একটা খটকা- প্রেম শুরু করলেন সেকেন্ড ইয়ারে, তারপর ছয় ছয়টা বছর হলের গেটে ধরনা। কয় বছরে পাশ করলেন?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘড়েল তো বটেই......ইচ্ছা করলে তো কথা বলতেই পারতো। ঘড়েল দেখেই বলে নাই। বাঘমার্কা আমি সাপ্লাই দেই নাই, সেও চায় নাই। ভালো পয়েন্ট ধরেছেন। হতে পারে পয়সা খরচের ভয়েই কথা বলে নাই। =p~

আর প্রেমের বিস্তার, এখন আমার ছাইড়া দে মা, কাইন্দা বাচি অবস্থা!

এই সহজ জিনিসটা বুঝলেন না! সেকেন্ড ইয়ার তো আমার ছিল, উনি পাশ করে বের হওয়া পর্যন্ত তো আমাকে ডিউটি দিতে হয়েছে। আমি আগেই বের হয়েছি। :)

১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।জীবনের বাকিদিনগুলো ভালো ও সুন্দর কাটুক এই কামনা রইলো।
ফাগুনের শুভেচ্ছা জানবেন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার জন্যও ফাগুনের শুভেচ্ছা। :)

১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ব্যাপক মজা পাইলাম পইড়া। তার চাইতেও বড় কথা আপনার এই লেখা পইড়া আমার নিজের কিছু কথা মনে পইড়া গেল। আমার বউ অবশ্য বেসরকারি একটা মেসে থাকতো। সেইখানে দেখা করতে গিয়ে জীবনে যত পেইন পেয়েছি তার হিসাব লেখতে গেলে একশো খাতা লাগবো। তবে সফল হইছে প্রেম সেইটাই শান্তি।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কয়েক পাতা লেইখা ফালান, আমরাও আপনের পেইন কিছুটা শেয়ার করি! :P

১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১

ফয়সাল রকি বলেছেন: হলে কল দেয়ার ঘটনা আমরাও পেয়েছি, যদিও পরের দিকে মোবাইল ফোন চলে এসেছিল।
যাইহোক, আপনার এতো ভালো লেখার কারণটা এবার পস্ট হলো!!!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের সময় মোবাইল ফোন থাকলে যে কতো শান্তি হতো!! আপনারা ভাগ্যবান।

যাইহোক, আপনার এতো ভালো লেখার কারণটা এবার পস্ট হলো!!! আমার দু'একটা ভুয়া লেখাকে যদি এতো ভালো বলেন, তাহলে খারাপ লেখা কোনটা!! :D

১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: যে আমলের বর্ননা দিছেন সবই মিল্লা যাইতাছে, মোনে কয় একই সময়ের এট্টু এদিক ওদিক হলেও হতে পারে। কোন এক অলিখিত কারনে কোন সুনির্দিষ্ট প্রেম করতে পারি নাই, যদিও মায়ের কাছে আমি রাজ পুত্র, কিন্তু চাইর ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা, সে আমলেই মাথায় ষ্টেডিয়াম, গায়ের রং যদিও মায় কয় উজ্জ্বল শ্যাম বর্ন কিন্তু দুষ্টরা বলত পাতিলের তলা, এই টুকু বাদ দিলে আমি আসলে সুপুরুষই ছিলাম কিন্তু কুন এক অনিবার্য কারন বশতঃ কোন সুন্দরীতো দূরে থাক কুৎসিত হাসের ছানাও পাত্তা দেয় নাই। আর পড়াশুনার রেজাল্টের কথা নাই বা বলি, নিজেই শরম পাই, তবে টাইনা টুইনা পাশ কইরা আইছি, আচ্ছা আপনি কন মফিজ ভাই, এইগুলা কি প্রেমের পথে কোন বাধা হিসাবে ছিল? তাও আমার ক্যান প্রেম হইল না? কেউ ফিররা তাকাইল না? জবাব দেন? ফিরিয়ে দেন আমার সেই ভার্সিটির লাইফ ( এই খানে একটা হাহাকারের ইমো হইবে)।

বুকের কোথায় যেন হাহাকার কইরা উডল আপনার এই সব গুল তাপ্পি পইড়া ( যেহেতু নিজের প্রেম পিরীতি হয় নাই, পৃথিবীতে কারো হয় বইলা আমার বিশ্বাস হয় না)।

সুর্যাস্ত আইনটা আসলেই খুব অমানবিক ছিল সে আমলে প্রেমিক যুগলের কাছে, এক রাশ সমবেদনা।

ভাবীরে সালাম, আপনার মত ভুয়ারে মানুষ করার জন্য :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: জবাব কি আর দিমু। একটা টাইম মেশিনের অর্ডার দিছি, ওইটা আইলেই আপনেরে লয়া পিছনদিকে যামু, হেরপরে আপনেরে একটা প্রেম করায়া দিমুনে। ততদিন পর্যন্ত ধৈর্য ধরেন। আপনের লাহান এমুন রাজপুত্র হেই আমলে একটাও আছিল না। এমুন দুর্ঘটনা কেমনে ঘটলো হেইডাই বুজতাছি না। :)

আপাততঃ এইগুলারে গুলই মনে করেন......আপনের প্রেম যহন করায়া দিমু, তহনই বিশ্বাস কইরেন। :P

ভুয়া তো হইছি ব্লগে আইসা, আগে জেনুইনই আছিলাম। ভাবী ওয়ালেইকুম সালাম কইছে।

১৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সেকি !!!! এত বছর দুয়েক আগে পরের ভার্সন !!!
সূর্যাস্ত আইন প্রথম বর্ষেই আন্দোলনে কাইত হয়ে গেছিলো;
যাইহোক বহু মাছলি আজ জালে আটকানোর কথা ;) ঝাঁকে ঝাঁকে আসলো বলে :P
এইসব স্মৃতিকথা মানে ই হইল পাঠক এর প্যারালালে স্মৃতির জানালা খুলে দেয়া :``>>

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আচ্ছা....অফিসিয়ালী সুর্যাস্ত আইন কবে বাতিল হলো আপনার মনে আছে? আপনের ভাবী জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ওদের শেষের দিকেই আন্দোলনটা দানা বাধছিল, কিন্তু সুফল আমরা ভোগ করতে পারি নাই। :((

আসুক ঝাকে ঝাকে.......সামু সমৃদ্ধ হোক। এবার আপনারটাও লেইখা ফালান! ;)

১৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



বহুদিন পর একটি লম্বা লেখা পড়লাম, এক বসায় শেষ পর্যন্ত টেনে নিযে গেল!!!

প্রশংসা বেশি করলে ভাববেন 'পাম দিচ্ছি' তবে কিছু তো বলা উচিত নইলে অতি চমৎকার একটি লেখার সম্মানহানী হবে। আমি আপাতত সাহিত্য প্রেমিক মানুষ, প্রচুর হুমায়ুন নাটক দেখছি, বই পড়ে কাটাচ্ছি, গীতার গীত হয়ে যাচ্ছে মনে হয়, যায়হোক প্রশংসা করেই ফেলি। এক শব্দে "অসাধারণ"

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বেশী প্রশংসা পেলে আমার আবার শরম লাগে। আমার লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া ছবি দেখাতে পারছি না বলে দুঃখিত। আপনি বরং কল্পনা করে নিন।

আপনার চমৎকার মন্তব্য পড়ে খুবই আপ্লুত হলুম। আপনার এ'ধরনের কোন স্মৃতি থাকলে লিখে ফেলুন। :)

১৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৩

সোহানী বলেছেন: পথ্থমেই আমারে ধন্যবাদ দিবেন ভাইজান... কেন?? কারন আমিই সেই অতি ভদ্র একজন যে কখনো কারেই স্লিপ ফেলে নাই। নিজ দায়িত্বে কর্ম সম্পাদন করিয়াছে দিনের পর দিন। তারপর ধন্যবাদ দিবেন, আমিই সেই একজন যে সূর্যাস্ত আইন বাতিলের আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলাম। প্রায় পত্রিকার প্রথম পাতায় আমার ছবি ছাপা হইয়াছিল সাথে সকল নাংবাদিক সম্মেলন সহ বিবিসির সাক্ষাতকার ও দিয়েছিলাম B:-/

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার পথথম দুঃখ.....ক্যান আপনে আরো আগে জন্মায়া ঢাবিতে ভর্তি হইলেন না
দিতীয় দু্ঃখ.......ক্যান আপনে শামসুন্নাহার হলের বাসিন্দা হইলেন না
তিতিয় দুঃখ......ক্যান সুর্যাস্ত আইন বাতিলের আন্দোলন আরো আগে শুরু করলেন না :((

যাউগ্গ, যা হওনের হইছে.....এহন আর কাইন্দা লাভ কি? আপনের মতো একজন নেত্রীর নামে শ্লোগান দিতে পারলে নিজেরে ধন্য মনে করতাম। কিন্তু উপরের তিন কারনে কিছু কইলাম না। :P

২০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ৯৩ তে আমরা ক্যাম্পাসে ঢুকলাম, হলে উঠেছি কয়েকমাস পর; তখন থেকেই অপরাজেয় বাংলায় দিনে আর সন্ধ্যার পর টি এস সি , ডাস সড়ক দ্বীপ এ আন্দোলন চলত, হলের ভিতরে রাতে, রোকেয়া হলে প্রায় প্রতিরাতেই প্রভোস্ট সহ মেয়েদের মিটিং বসত, কিছু সিনিয়র আইনের পক্ষ নিয়েছিলেন, ম্যাডামদের সুরে বক্তব্য দিতেন ;) খুব মনে আছে সেবার বর্ষশেষের টাইটেল দেয়া হল উনাদের কে " সূর্যাস্ত আইনের ক্রিমিনাল " :P সব মিলিয়ে অফিসিয়ালি ৯৪ এর দিকে এই আইন বাতিল হয়।
যদিও স্মৃতি থেকে লিখছি তবে হেরফের হবার কথা না।
আপনাদের জন্য শুভ কামনা :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিস্তারিত তথ্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার ভাবীর তরফ থেকে ডাবল ধন্যবাদ।

এই এক সুর্যাস্ত আইন পুরোটা ভার্সিটি জীবনে অনেক দুঃখ-কষ্ট দিয়েছে। মাঝে-মধ্যে মনে হতো হলের ওই বড় গেটটা ভেঙ্গে সবাইকে উদ্ধার করি! কিন্তু আফসোস......হিরো আলম কিংবা শাকিব খান, কোনটাই হতে পারি নাই!! :P

২১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম হুম
তখন হলে নেত্রী সোহানী আপুদের জয়জয়কার :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুঃখ......এমন নেত্রী আমাদের সময় ছিল না। :(

২২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




রানু আপা ঠিকি কৈছে - আন্নে বদের বদ! B-)

আর চার চার জন ললনাব্লগারেগো জৈন্যে-------------
কাজী ফাতেমা ছবি দুঃখ করছেন "হারামিগুলান রে এখণ পাইলে নাকে ঘুষি দিতাম হুহ -" কৈয়া। মনে হৈল য্যানো " আমার সাধ না মিটিলো, আশা না পুরিলো.." গান গাইয়া গ্যালেন।

জুনকে জিগাই সস্তায় চা সিংগাড়াই শুধু খাইছেন না বিনা পয়সায় খাওয়ার প্রস্তাবও জোটছিলো? :D

মনিরা সুলতানা কৈছেন, "মাছলি আজ জালে আটকানোর কথা ঝাঁকে ঝাঁকে আসলো বলে।" তেনারে জিঙাই - জালে আটকাইয়া ঝাকেঁ ঝাকেঁ আসার আগেই আন্নে একলাই হাজিরা দিয়া গ্যালেন ক্যা ? :(

"সোহানী"রে কৈ - আন্নের কারনেই আইজকাইল মাইয়ারা রাইতে হলে ফেরতে চায়না, ফেরলেও রাইত দুইটায়। এই স্বাধীনতার জৈন্যে মাইয়ারা আন্নেরে স্বাধীনতা পদক দেছে একটাও ???? :|| :P

জোস লেখা।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: রানু আপা ঠিকি কৈছে - আন্নে বদের বদ! :((

কাজী ফাতেমা ছবি দুঃখ করছেন "হারামিগুলান রে এখণ পাইলে নাকে ঘুষি দিতাম হুহ উনি তখন ছোটখাট ছিলেন....এখন মনে হইতাছে বিরাট পালোয়ান!! =p~

জুনকে জিগাই সস্তায় চা সিংগাড়াই শুধু খাইছেন না বিনা পয়সায় খাওয়ার প্রস্তাবও জোটছিলো? আমি কিছু কমু না। B-)

মনিরা সুলতানা কৈছেন, "মাছলি আজ জালে আটকানোর কথা ঝাঁকে ঝাঁকে আসলো বলে।" তেনারে জিঙাই - জালে আটকাইয়া ঝাকেঁ ঝাকেঁ আসার আগেই আন্নে একলাই হাজিরা দিয়া গ্যালেন ক্যা ? ইনিও একজন স্বনামধন্য মাছলি, তাই!! =p~

"সোহানী"রে কৈ - আন্নের কারনেই আইজকাইল মাইয়ারা রাইতে হলে ফেরতে চায়না, ফেরলেও রাইত দুইটায়। এই স্বাধীনতার জৈন্যে মাইয়ারা আন্নেরে স্বাধীনতা পদক দেছে একটাও ?? হেই দুঃখেই তো উনি বৈদেশগামী হইছেন!! ;)

২৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: এত রাইতে মেয়েদের হলের ছবি আপ্নার ব্লগে দেখে মনে হলো ব্লগে হ্যাকার ঢুকেছে। ঘুম ঘুম চোখে কিছু পড়ার পর আপ্নার তেলেশমাতি কান্ডকারখানা পড়ে ঘুম সাথে সাথেই চলে গেল। কবিতার উপর ক্ষোভ কী এই প্রেমপত্র লিখতে যেয়েই হয়েছে।
আমাগো ভাবীর একখান ব্লগ নীক দরকার। হেতেই কইতে পারবো আফনে সিরিয়ালে কয় নাম্বার বান্দারের লাফান ছিলেন? তয় আকখান সত্য কথা কই এই হলের মতো রোকেয়া হলেও বহু বজ্জাত মাইয়া আছিল। স্লীপ দিলেই গেট দিয়া ঢুকার পরেই ফেইল্লা দিত।
প্রেম কাহিনীর ১ম পর্ব পড়লাম। পরের পর্ব কবে আসবে?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কবিতার উপর ক্ষোভের কারন নিয়া তো পোষ্টাইছি। সেইটাতো আপনার জানাই আছে। আমার হলবেলা লেইখা শামসুন্নাহার হলের ছবি দেওয়াতে অনেকেই টাস্কি খাইছে। এই টাস্কি খাওয়ানোও একটা উদ্দেশ্য ছিল। ;)

বজ্জাত পোলা যেমন সব জায়গাতে আছে, মাইয়াও তেমন.....সবখানেই আছে। আমার সিরিয়াল কয় নাম্বারে আছিল তা তো জানতাম, বান্দরের লাফ সেইজন্যই খুব দরকারী ছিল। এইটার কোন পর্ব নাই। আগামী বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারী বাইচা থাকলে আবার চেষ্টা করুম নে! =p~

২৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

নিভৃতা বলেছেন: হা হা হা। ভীষণ মজা পাইলাম পড়ে। পরবর্তী কাহিনী জানার আগ্রহ রইলো।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ভীষণ মজা দিতে পেরে ভালো লাগছে। পরবর্তী কাহিনী নাই.....কিংবা লেখার কোন পরিকল্পনা নাই। হয়তো লিখতেও পারি কোন একদিন!! :)

২৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

আরোগ্য বলেছেন: ভুয়া ভাইয়ের পোস্ট দেখলেই হুমড়ি খায়া পরি। হলের ছবি দেইখা তো মুই কুপোকাত । কি ঘটনা ভুয়া ভাই মহিলা হলে কিতা করবার লাগাইচে। এই হল ক্রস করিয়াই আমি আইএমএল এ ক্লাস করতে যাই। বয়স তো খরায়া গেল মাগার একখান প্রেম ওহনও করবার পারলাম না। মাঝেমধ্যে মন চায় এই নিরস জীবন ত্যাগ করিয়া বন জঙ্গলে বাসা বাধি। তবে যেহেতু বসন্ত আবার এসেছে তাই পুনরায় আশা করিবারই পারি। ;)
বরাবরের মতো জোস হইসে গল্পখানা। এহন মশলা মিশাইসেন উহা ভাবি সাব কইতে পারবো।
শুভ বসন্ত।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হলের ছবি তো আপনেগো কুপোকাৎ করনের লাইগাই দিছি। অপারেশান সাকসেসফুল। =p~

প্রেম নিয়া টেনশান কইরা মাথার চান্দি বাইর করনের কোন দরকার নাইক্কা, যহন হওনের, এমতেই হইবো। খুব বেশী কিছু করন লাগবো না, জঙ্গলেও যাওন লাগবো না।

এইডারে গল্প মনে করলে গল্প......জীবনের কোন একটা অংশের স্মৃতিচারণ মনে করলে হেইডাতেও কুন বাধা নাইক্কা!!! B-)
ভালা লাগছে নি........হ লাগছে; এইডাই হইলো আসল কথা।

২৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা পেরেম... উহু পেরেম...

এই চিঠি লেইখ্যা দিতে গিয়ে একবার সেইরাম িকসসা হইলো

বন্ধুর প্রেমিকা বুইজ্জা ফেললো চিঠির ভাব ভাসা সব আমার... দোস্ত খালি কপি পেষ্ট করে নিজের হাতের লেখায়
ব্যাস! প্রেম খতম।
দোস্ত হত্যা খাইয়া পড়লো। -এরে ছাড়া বাচুম না।

চল বইল্যা রোনা দিলাম যুদ্ধে।
দোস্তরে আগেই কইলাম যুদ্ধে জিতার লাইগ্যা যা খুশি তাই কমু, মাইন্ড খাইতে পারবি না।
দোস্ত কয় -অক্কে

পয়লাই মেয়েরা লইয়া একলা বারান্দায় গেলাম!
ডাইরেক্ট চক্ষে চখ রাইক্যা কইলাম- আমার লগে প্রেম করবা?
হতভম্ব হই গেল। এটাই চাইছিলাম। জি্জ্ঞাসার উত্তরে কইলাম- না। চিঠির ভাব ভাষা সব আমার। এতদিনতো আমার লেগই প্রেম করছো। তাই আরকি! ;)
গাই গুই ইতি উতি নানা কথার পর- ফায়সালা এখন থেকে নো চিঠি। শুধু দুজন দুজনার!
মাইয়া খুশিতে দিল হাইসা!
মানিক জোর মিলায়া- আমি ফিরলাম একেলা :)

শাসুন্নাহার হলের গেটে কয়েকবার গেছিলাম।

ফাল দিয়েন না ভায়া।
নিজের জন্যি না। মেজো ভাইজানের ফীয়াসের জন্যি ;)
হনু ভাবি সাহেবার সাথে সাক্ষাতে :)
তিনারা এখন দুই কন্যার জনক জননী :)

পোস্টের জালে ধরা পইড়া (জুন আপার কথামতো) কত কথা কইলাম

পোষ্টে পিলাচ

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে তো দেহি অতি পরোপকারী কামেলদার আদমী! জালে ধরা না পড়লে এতো কিছু তো জানতেই পারতাম না। আগে জানলে তো পয়লাই আপনের কাছে হত্যা দিয়া পড়তাম.....একটা প্রেম করায়া দেওনের লাইগ্গা!!! =p~

যাক, আমি তো কোন রহমে পার হইছি.....ব্লগের নয়া প্রেমিক-প্রেমিকাদের ব্যাপারটা জানা থাকলো। ;)

২৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৫

মা.হাসান বলেছেন:

আপনার পছন্দের একখানা ফল দিলাম।
ব্লগে বেশ কয়েকজন আছেন যারা আপনাকে তাদের পূর্বপুরুষ মানেন , গলা ফাটাইয়া চিৎকার চেঁচামেচিও করেন, কিন্তু আইনগত অ্যাকশন নিতে পারেন না মিসিং লিঙ্ক এর অভাবে । এক্ষণে মিসিং লিঙ্ক পাওয়া গেল ।

একখান বাঘ মার্কায় কয় মিনিট কথা বলা যায় তা করুণাধারা আপার ভালোই মনে আছে । উনার পয়সা কে জোগাইতো জানতে আগ্রহ হচ্ছে । অনেকেরই থলির বিড়াল বের হয়ে গেল ।

শের শায়রী ভাইয়ের কথা শুনে মনে হচ্ছে উনি ছোট বেলায় মেলায় হারিয়ে যাওয়া আমার জমজ ভাই । সাক্ষাতে কয়েকটা বিশেষ চিহ্ন দেখে ভেরিফাই করে দেখে নেব।

আরোগ্য ভাইয়ের তো কোন পিয়াজ ব্যবসায়ীর মেয়ের সাথে ইশারা-ইঙ্গিতে কথা বলার ঘটনা শুনেছিলাম । ব্রেকআপ হয়ে গেল কি?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইটা আসলেই আমার পছন্দের ফল। আমার সৌভাগ্য যে, আপনে আমারে নিয়া গবেষণা করছেন, মিসিং লিঙ্কও বাইর করছেন।
শের শায়রী ভাইয়ের কথা শুনে মনে হচ্ছে উনি ছোট বেলায় মেলায় হারিয়ে যাওয়া আমার জমজ ভাই । উনি সম্পর্কে আমার আত্মীয় হন (আমাদের প্রোপিক দেখলেই বুঝতে পারবেন), সেই সূত্রে আপনিও আমার আত্মীয়। কাজেই মিসিং লিঙ্কে আপনের নামও লাগায়া দিয়েন। কজেই ছবির বিশেষ ফলটা আপনেরও পছন্দের ফল, আপাততঃ ওইটা আপনেই খান!! B-)

আরোগ্যের ব্যাপারটা জানি না। আমারে জিজ্ঞেস করার কারন বুঝলাম না। আপনের কি ধারনা উনিও আমার আত্মীয়?

অনেকদিন আপনার কোন খোজ-খবর নাই। ভাবছিলাম, পূর্বপুরুষদের খোজে আফ্রিকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন কিনা! :P

২৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন তো ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে..........দারুন কইছেন। মন কইতাছে আরেকটা পর্ব লেইখা ফালাই!! :P

২৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: দারুণ হয়েছে আপনার হল বেলার রম্যকথন। সুখপাঠ্য।
সেই সড়কটি, কাছের গাছপালা, চটপটিওয়ালা, সবাই যেন কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে!
সবচেয়ে ভাল লেগেছে পোস্টারের সেই চরণদু'টিঃ
পুকুরেতে পানি নাই পদ্ম কেন ভাসে,
যার সাথে দেখা নাই সে কেন হাসে।
- কোন চারণ কবির দীর্ঘশ্বাস যেন এ পংক্তিদুটোতে ছড়িয়ে আছে, এবং থাকবে চিরকাল!
হত্যা দিয়ে পড়লাম - কথাটার মানে কী?
পদ্ম পুকুর, কাজী ফাতেমা ছবি, এমজেডএফ, করুণাধারা, ফয়সাল রকি, শের শায়রী, মনিরা সুলতানা, সোহানী, মা.হাসান, আহমেদ জী এস প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে।
পোস্টে ১৯তম প্লাস +

০২ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ভালো লাগায় আনন্দ পাচ্ছি।

হত্যা দিয়ে পড়লাম - কথাটার মানে কী? মরিয়া বা নিরুপায় হয়ে, আত্মসমর্পনের মাধ্যমে কিংবা ডেসপারেটলি যখন কারো কাছে কোন কিছু চাইবেন.....তখন সেটাকে এভাবে চিত্রায়িত করতে পারেন। যেমন, দেবদেবীর সামনে হত্যা দিয়ে পড়া।

যাদের মন্তব্যগুলো আপনার ভালো লেগেছে, তারা সবাই তারকা ব্লগার, ভালো না লেগে উপায় কি? অবশ্য আপনিও এই গ্রুপের সদস্য!! :)

একটুর জন্য টুয়েন্টিতম লাইকের গর্বিত প্রদানকারী হওয়া থেকে বন্চিত হয়েছেন। :P

০২ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওহ হো, প্রতিমন্তব্যের দেরীর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। বহুত ঝামেলার মধ্যে ছিলাম......ইনফ্যাক্ট, এখনও আছি। দুঃখিত।

৩০| ০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আমিতো প্রথমে ছবি দেখে কনফিউজ হয়ে গেছিলাম, এ কি? শেষে কিনা 'আপা'কে এতদিন ধরে 'ভাই' ভেবেছি। পুরা লেখা পড়ে বুঝলাম, ভাই কভু হলে থাকেন নাই, তার হলবেলা মানে ভাবীরই হলবেলা।

লেখাটা ভাল লেগেছে।

পুকুরেতে পানি নাই, পদ্ম কেন ভাসে
যার সাথে দেখা নাই, সে কেন হাসে?

হুয়াই ম্যান? হুয়াই? ... ...

০৩ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনেরে কনফিউজড কইরা মনে শান্তি পাইলাম। আর লেখাটা ভালো লাগাতে পাইলাম অনাবিল আনন্দ। :)

হুয়াই ম্যান? হুয়াই? ... ... এইডা তো আমারও প্রশ্ন.....হুয়াই??? B-)

৩১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩০

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
সেদিন আপনার এই পোস্ট পড়ে একটি মন্তব্য করেছিলাম পরে দেখি সেটা আর যায়নি । তাই দেরী হয়ে গেলো। শুরুতেই আমার ছোট্ট একটা অভিযোগ আছে, এমন সফল প্রেমের গল্প ভাবিকে উৎসর্গ করলে ভালো হতো না ?
যেকোনো কলোনিতে বেড়ে ওঠার স্মৃতি গুলো খুবই মধুময়
থাকে। এই পরিবেশে যারা না দেখেছে তারা বুঝতে পারবে না কতটা আনন্দময় দিন গুলো ছিলো সেসময়ের কলোনির
পরিবেশ । আর আপনার হলবেলা পপড়ে আমিতো রীতিমতো
মুগ্ধ । আমাদের মফিজ ভাই সবদিক থেকেই ফাস্টু।
ভীষণ ভীষণ ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার পর মন্তব্য করে সেটা না গেলে প্রচন্ড রাগ হয়। কি আর করা....মনে কষ্ট নিবেন না।
এমন সফল প্রেমের গল্প ভাবিকে উৎসর্গ করলে ভালো হতো না ? নিজের জীবনটাই যেখানে উৎসর্গ করে দিলাম, সেখানে একটা সামান্য লেখা উৎসর্গ করে কি হবে? :P

কলোনীর দিনগুলো আসলেই দারুন ছিল। ইনফ্যাক্ট, শিশুকাল, বাল্যকাল, তারুন্যকাল.....সব কালই দারুন ছিল। যা একবার জীবন থেকে হারিয়ে যায়....তার জন্য আফসোস বাকী জীবনটাতে রয়েই যায়। মেনে নেয়া ছাড়া আর কি-ই বা আমরা করতে পারি? :(

আপনার মুগ্ধতার জন্য কৃতজ্ঞতা।

৩২| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৫৩

বিপ্লব06 বলেছেন: "হ....হইছে! তুমি যে কি জিনিস; এইটা আর কেউ জানুক আর না জানুক, আমি তো জানি........"
বুইজ্জালাইছি B-)) B-)) B-))

২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুজনের লাই ধইন্যা। B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.