নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভেবেছিলাম দেশ, দেশের উন্নয়ন….ইত্যোকার বিষয় নিয়ে আর কিছু লিখবো না, ভাববোও না। উলুবনে মুক্তা ছড়িয়ে কি লাভ? কতিপয় লোভি মানুষ দেশটাকে যেভাবে চালাচ্ছে, দেশ সেভাবেই চলবে। তারচেয়ে ভালো হাল্কা লেখা লিখবো, মাথায় যন্ত্রণা কম হবে। এসব ভারী ভারী বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অনেক জ্ঞানী-গুণী এই ব্লগেই আছে। কিন্তু ওই যে কথায় আছে না! যার মনে যা, ফাল দিয়া ওঠে তা! মাত্রই আমার এক 'ব্লগার বন্ধু' দেশ থেকে ঘুরে এসেছে। সে নিজে লেখে-টেখে না, তবে এই ব্লগেই সে একটু সুযোগ পেলেই ঘোরাঘুরি করে। ওর কাছ থেকে দেশের বিতং শুনে মনে হলো, কিছু লেখি। তাছাড়া, দেশ উন্নয়নের মহসড়কে, দেশের অর্থনীতি এখন সিঙ্গাপুরের চেয়েও 'ইস্ট্রং'......এসব শুনতে শুনতে কান পচে যাচ্ছে। ভাবলাম, কিছু না লিখলে আর শান্তি পাচ্ছি না। যদিও জানি, এসব লেখার ফলে কোন পরিবর্তনই হবে না কোথাও, তবে নিজে তো একটু শান্তি পাবো! কয়েকদিন মাথার যন্ত্রনা থেকেও কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে।
মোটা দাগে একটা দেশের জাতীয় উন্নতি কি? প্রকৃত অর্থনৈতিক উন্নতি, রাজনৈতিক স্থীতিশীলতা বা সহনশীলতা, শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সামাজিক নিরাপত্তা, সুশাসন, সাংস্কৃতিক মৌলিকত্ব, দেশজ উৎপাদন ইত্যাদি প্যারামিটারগুলোকে এক করেই নির্ধারন করা হয় একটা দেশ কতোটা উন্নত।
সাদা চোখে দেখলে, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে…..ঠিক। কিন্তু সেটা আসলে কতোটুকু টেকসই বা ভঙ্গুর সেটাও একটা বিবেচ্য বিষয়। আবার সম্পদ থাকলেই হবে না, তার সুষম বন্টন না হলে সেই সম্পদের কোন দাম নাই। একটা সহজতম পাটিগণিত করি। মনে করেন, আমাদের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১,৫০০ টাকা। দেশের জনসংখ্যা যদি চারজন হয়, তাহলে মোট ৬,০০০ টাকা। এই ছয় হাজার টাকার মধ্যে তিনজনের কাছে আছে ২০০X ৩ = ৬০০ টাকা। বাকী একজনের কাছে আছে ৫,৪০০ টাকা। এটা হলো দেশের বাস্তব চিত্র। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে চোখ রাখেন পত্রিকার পাতায়। ব্যাঙ্ক ঋণের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের কারনে ২০০ জনকে হালে চিহ্নিত করেছে দুদক। মজার ব্যাপার হলো এনারা আছেন বিদেশে। পান্জেরীকে জিজ্ঞেস করেন, ভোর হতে আর কতো দেরী?
বেশী দুরে যাই না। ক্যাসিনো কান্ড এবং একেবারেই লেটেস্ট শামীমা নুর পাপিয়ার কথাই ভাবেন। এসব চুনোপুটিদের কাছে যদি এই পরিমান টাকা থাকে, তাহলে মন্ত্রী-এমপি-সরকারী আমলাদের কাছে কতোটাকা আছে? আপনারা যেমন জানেন না, ওনারাও তেমনি জানেন না। ওনাদের হিসাব রক্ষণকারীরা জানলেও জানতে পারে!! এই ফাকে আপনাদেরকে একটা চুটকি বলি। মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাপিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে। মজার কথা না!!! পাপিয়াকে গ্রেফতারের নির্দেশও যদি প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হয় তাহলে দেশে এত্তো এত্তো আবাল মন্ত্রীর দরকার কি? শুধু প্রধানমন্ত্রী থাকলেই তো হয়!!!
আমাদের এই ব্লগেই গুটিকয় উচ্চশিক্ষিত ব্লগার আছেন, যারা ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল দেখেই উন্নতি উন্নতি বলে বগল বাজান। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, এসব অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকান্ডের মূল উদ্দেশ্য কি? যতো বড় প্রোজেক্ট, তত বেশী দূ্র্ণীতি…..তত বড় অংকের টাকা, নয় কি! একটা উদাহরন দেই। ২০০২ সালে সম্ভবতঃ, বিআরটিসি সুইডেনের বিশ্ববিখ্যাত ভলভোর অনেকগুলো বাস নিয়ে আসে। বছর পাচেকের মাথায় সেগুলো ঢাকার রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যায়। বিআরটিসির ডিপোতে গেলে ওদের দেখা মিলবে। ওদের দেখলে আপনি কেদে দিবেন, আমি নিশ্চিত। অথচ এই বাসগুলোর লাইফ মোটামুটিভাবে ১৫ থেকে ১৮ বছর, ক্ষেত্র বিশেষে আরো বেশী। এ‘ধরনের অসংখ্য, অগুনতি গল্প আছে…..বলে শেষ করা যাবে না।
রাজনৈতিক স্থীতিশীলতা বা সহনশীলতা এবং সুশাসন নিয়ে কিছু বলতে চাই না। যে দেশে সকালে একখন্ডে বের হয়ে সন্ধ্যায় একখন্ডে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা নাই; সেদেশের সামাজিক নিরাপত্তা নিয়েও কিছু না বলাই ভালো। সাংস্কৃতিক মৌলিকত্ব নিয়ে কিছু বলতে গেলেই সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রসঙ্গ চলে আসে। বর্তমান বিশ্ব-রাজনীতির প্রেক্ষপট বদলে গিয়েছে। এখন বন্দুক দেখিয়ে কেউ দেশের দখল নেয় না। দেশের ভিতরের সুবিধাবাদী মানুষদেরকে ব্যবহার করেই আগ্রাসন চালানো হয়। ভারতীয় চ্যানেলের দৌরাত্ব সম্পর্কে আপনারা সবাই ওয়াকিবহাল। সীমান্ত সন্ত্রাস, করিডোরসহ আরো অনেক ব্যাপারেই ওয়াকিবহাল; শুধু বলি, টিআইবি-র একটা সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, বিদেশীরা বাংলাদেশ থেকে বছরে ২৬,৪০০ কোটি টাকা পাচার করছে যার সিংহভাগই ভারতে। এই পরিমান টাকা দিয়ে আমরা প্রতিবছরই একটা পদ্মাসেতু তৈরী করতে পারতাম। আর সেই দেশেরই একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলে কিনা, নাগরিকত্ব দিলে বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ ভারতে চলে যাবে! হলি কাউ বলবো, নাকি হাউ ফানি বলবো বুঝতে পারছি না!! সঠিক পররাষ্ট্রনীতিও যে উন্নতির একটা মাপকাঠি এটা আমাদের কর্তারা কবে বুঝবে!
শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার অভাব নিয়ে আর কি বলবো! শিক্ষার মান কতোটা তলানীতে সেটা আরো আট-দশ বছর পরে পুরোপুরি অনুধাবন করতে পারবে দেশ ও জাতি। সালাহউদ্দিন যেভাবে দেশের ফুটবলের নিম্নমুখী উন্নতি করছে, সরকারও তেমনিভাবেই শিক্ষাখাতে উন্নয়ন করে যাচ্ছে। এরপরেও সালাহউদ্দিন আবারও নির্বাচনে দাড়াচ্ছে…উন্নয়নের নেশা পুরোপুরি না কাটার ফলে। আর কিছু ভেঙ্গে বলতে হবে?
শুনতে খারাপ লাগলেও, আমাদের দেশে প্রকৃত দেশ প্রেমিকের বড়ই অভাব। দল প্রেমিকে ভরে গিয়েছে দেশটা। একজন রিকসাওয়ালা যা বোঝে, এসব দলপ্রেমিকেরা তাও বোঝে না। অথচ এরাই দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে, এরা উচ্চ শিক্ষিত; তবে শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায়, প্রকৃত শিক্ষা এদের মধ্যে অতি দুর্লভ বস্তু। কথাগুলো কঠিন লাগলো? কিন্তু এটাই বাস্তব, নয়তো উন্নয়নের নামে বিভিন্ন স্টান্টবাজীকে এরা সমর্থন কিভাবে দেয়? শুধুমাত্র তাদের দল করছে বলে?
আমি কোন ভারী ভারী তথ্য-উপাত্তে গেলাম না, প্রয়োজন নাই। এসব চাইলে আপনারা নেট থেকে যখন-তখন দেখে নিতে পারেন। একজন সাধারন নাগরিক এসব গুরুগম্ভীর তথ্য-উপাত্ত নিয়ে খুব একটা মাথাও ঘামায় না। এরা চোখের সামনে দিনের পর দিন যা দেখে, সেখান থেকেই তাদের বুঝ গড়ে ওঠে।
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ভালো কথা। কোন দিকে আগাচ্ছে সেটাই আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ঢোকে না। আসলে আগানোর কথা বললেই তুলনা চলে আসে! কোন একটা সালকে যদি স্টার্টিং পয়েন্ট ধরি, তাহলেই তুলনা করা যায়…..অন্যদের তুলনায় আমরা আসলেই কতোটা এগিয়েছি। গার্মেন্টস আর রেমিটেন্সখাতের কল্যানে পানির মতো টাকা দেশে আসছে। এসব টাকা এসে পড়ছে বানরের হাতে। বানরকে পিঠা ভাগ করতে দিলে সে কি করবে? সঠিকভাবে ভাগ করবে নাকি খাবে? দেশে এখন হরিলুটের মহোৎসব চলছে। যে যা পারছে, যেভাবে পারছে….লুটে-পুটে খাচ্ছে। কম খরচে যেসব সমস্যা করা যায়, তার সমাধান না করে বিশাল বিশাল প্রজেক্ট হাতে নেয়া হচ্ছে। সীমিত সম্পদে জাতীয় উন্নয়নে প্রায়োরিটি'র গুরুত্ব আমরা কবে বুঝবো? এসব বড় বড় প্রজেক্ট হাতে নেয়ার প্রকৃত কারন কি.....দেশের উন্নয়ন নাকি দলের ও ব্যক্তির উন্নয়ন? আমাদের সব বড় বড় প্রজেক্ট এর ব্যয় অন্য দেশ থেকে অনেক অনেক বেশী। কেন?
দৃশ্যমান স্থাপনা উন্নতির মাপকাঠি না। আমাদের দেশে পরিকল্পনা আর তার বাস্তবায়ন হয় ব্যক্তি আর দলের স্বার্থে, দেশের-জনগনের স্বার্থে না। দেশে ফ্লাইওভার বাড়ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ের বাড়ছে জ্যাম। নষ্ট হচ্ছে কর্মঘন্টা, পুড়ছে কোটি কোটি টাকার জ্বালানী। এই অপচয়ের দায় কার? ঢাকাতে এখনও ম্যানুয়ালী ট্রাফিক কন্ট্রোল হয়, অথচ তুলনা করা হয় প্যারিসের সাথে। যুগের পর যুগ কতো টাকা ব্যয় হয়েছে ট্রাফিক সিস্টেমের উন্নয়নে? ফলাফল? যেই লাউ, সেই কদু। সব নিয়ে যাচ্ছে সরকার দূর্ণীতির মাধ্যমে। যাচ্ছে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর দলীয় লোকজনের পকেটে। পাতি নেতা কিংবা একজন কেরাণীর যদি কোটি কোটি টাকা থাকে, একজন সচিব বা একজন মন্ত্রী এমপির কতো টাকা আছে? ওয়ান্স ইন এ্য ব্লু মুন মিডিয়াতে দু'একটা খবর আসে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় বয়ে যায়। আর চোখের আড়ালে থেকে যায় এমন আরো লক্ষ লক্ষ কাহিনী।
আমার প্রয়াত নানী প্রায়শঃই বলতেন, ঘর নাই, দুয়ার দিয়া শুইছে। কথাটা বলতেন, কেউ আলগা ফুটানী করলে কিংবা সাধ্যের সাথে সামন্জস্যহীন হাস্যকর কিছু করলে। রাজধানী ঢাকাকে আস্তাকুড় বানিয়ে রেখে ঢাকার বাইরে দু'একটা বিরাট কাঠামো গড়ে উন্নয়নের ঢেকুর তুললে এ‘কথাটাই একমাত্র মনে আসে। আমাদের বড় বড় কথা বলা মন্ত্রীরা কবে আসল কাজ করে তাদের দাবীর যথার্থতা প্রমান করবেন! কবে শক্তপোক্ত ঘর তৈরী করে তবেই দুয়ারের চিন্তা করবেন?
আমাদের কর্ণধারদের কর্ণে দেশমাতার আর্তনাদ কি কোনদিন প্রবেশ করবে?
''যথেষ্ট হইছে, এইবার তোরা থাম'' শীর্ষক ফটোগ্রাফটা গুগল থেকে নেয়া।।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে না। উন্নয়নের মহাসড়কে রাজনীতিবিদ এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন। অতি সত্য কথন। সমস্যার কিছু চিত্র তুলে ধরেছেন, তবে তা মহাসমুদ্রের এক ফোটা জল পরিমান।
আপনি অবশ্য ডিজিটাল হিমু হিসাবে ঢাকার অবস্থা, তথা দেশের অবস্থা সব চাইতে ভালো জানেন।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: চোখ বুলায়ে গেলাম আপাতত। তবে "যথেষ্ঠ হইছে, এইবার তোরা থাম" শীর্ষক ফটোগ্রাফটা জব্বর হইছে।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানুষের কথা তো এরা শুনবে না; এখন দেখি....পশু-পাখীদের কথা যদি শোনে।
খালি চোখ বুলাইলে হবে না। সুচিন্তিত মতামতও দিতে হবে।
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ছবিটা দারুণ হয়েছে।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি দেশ ও রাজনৈতিক লেখা ছেড়ে দিয়েছি। যাইহোক আমার মনের কথাগুলোই বলেছেন, বিআরটিসি (মিরপুর শিয়ালবাড়ি, গুলিস্তান, খিলক্ষেত, গাজীপুর) ইয়ার্ডে গাড়ি দেখে কান্নাই আসে কারণ গাড়ির দামগুলো আমার জানা। আর পাপিয়ার কাছে যেই টাকা তা হচ্ছে ঝালমুড়ি খাওয়ার টাকা মাত্র - আশা করি বুঝতে পেরেছেন টাকার পরিমান কার কাছে কি পরিমান তা বুঝাতে চেয়েছি !
আমি আশ্চর্য হই, প্রবাসের যে দেশেই যাই সেখানেই দেখি বাংলাদেশী পরিবার (কারা আপনি জানেন) এপার্টমেন্ট, ডুপ্লেক্স ভিলা কিনে মাইগ্রেশন করে বসে আছে। আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া আর কানাডা সবচেয়ে বেশী মাইগ্রেশন করেছে পরিবারগুলো। - এতো টাকা পেয়েছে কোথায়? সেখানে তারা কোনো কাজ কর্ম ব্যাবসা করে না, শুধুই শপিং করে আর বাসায় আর রেস্টুরেন্টে খায় ! আরব পরিবার বাংলাদেশী পরিবারের কাছে রিতিমতো ফেইল।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি দেশ ও রাজনৈতিক লেখা ছেড়ে দিয়েছি। অতি উত্তম সিদ্ধান্ত। সঠিক পথেই আছেন। আমিও এ'পথে আসার চেষ্টায় আছি। তারপরেও মাঝে-মধ্যে না পেরে মনের ভুলে হয়তো কিছু একটা লিখে ফেলি।
বিআরটিসি একটা উদাহরন। এমন উদাহরন দেশে হাজারে হাজারে। শুনেছি লন্ডনে যেই ভলভো বাসগুলো চলে সেগুলোর লাইফ কমপক্ষে ২০ বছর। টাকা আমাদের দেশে তেজপাতা। তাই আমরা যা খুশী কিনি, তারপরে ক'দিন পর ছুড়ে ফেলি। ছুড়ে না ফেললে নতুন করে কিনবো কিভাবে? বড়লোকেরা যদি কিছুদিন পর পর মডেলই যদি পরিবর্তন না করে....তাহলে কিসের বড়লোক!!!
প্রবাসে ভিলা কেনা সাধারন প্রবাসীর কাজ না। এরা ইস্পেশাল মানুষ। আমাদের ধরা-ছোয়ার বাইরে! চোরদের আবার কাজকাম কি? এরা দেশেও কিছু করে না চুরি ছাড়া; বিদেশে কি করবে? এখানে যে কোনও কিছু করতে যোগ্যতা লাগে।
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২১
নীল আকাশ বলেছেন: পোস্ট দেখলাম। আপনার পোস্ট কঠিন হয়। ভালো করে পড়ে মন্তব্য করবো। ফিরে আসবো আমি।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হায় হায়....বলেন কি? আমি তো সব সময়ে সহজ-সরলভাবে লেখার চেষ্টা করি। কঠিন কেমনে হয়??
৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দু:খের কথা কারে কইবাম, এই দেশ জনতার না
ক্ষমতালোভীদের দেশ। আমরা কিছু বললেই তো জানের ডর চাকুরীর ডর।
হাহাহাহ তবে গরীব ক্যাসিনোও আছে জানেননি কোনো, প্রতিদিন আসতে যাইতে দেখি ভ্যানচালকরা লুডু খেলে বাজি ধরে। বুঝেন ঠেলা ।
উন্নয়ন দেখতে দেখতে নাভিশ্বাস জীবন
গত বছর রোজায় ব্যাংকের সামনের রাস্তা কাটছিলো । কাটাকুটি রাস্থা এখনো বহাল তবিয়তেই আছে। আর ব্যাংক লুটপাট যারা করে এরা কেন ধরাছোয়ার বাইরে থাকে কেডা জানে। আমার এত জ্ঞান নাই বুঝি না কিছু
০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিছু না কয়াও বহুত কিছু কইয়া ফালাইছেন। সাধু সাবধান!!!
বেশী বাড়াবাড়ি করলে শায়েস্তা করার জন্য দেশে অনেক বাহিনী আছে। কোন দিক দিয়া কি হয়া যাইবো টেরও পাইবেন না।
আমার বন্ধু এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিল বেশ ক'বার। মোহাম্মদপুরে।
অলমোস্ট পুরা মোহাম্মদপুরের রাস্তাই কাইটা ফালাইছে। লন্ডনে স্যুয়ারেজ লাইনের জন্য রাস্তা কাটছে শেষ কবে, এইটা গবেষণার বিষয়। এরা ২০০/৩০০ বছরের কথা চিন্তা কইরা রাস্তা কাটে। আমাগো দ্যাশে কয়েক বছর পর পরই কাটে। কাটাকুটি ছাড়া আমাগো মাথাদের ভাল লাগে না!!
উন্নয়নের দ্যাখছেন টা কি? আরো বহুত কিছু দ্যাখা বাকি!!
৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
হাকিম মিয়া বলেছেন: দেশ উন্নয়নের নামে মানুষের গলা কাটছে আর এগুলো পাবলিক ভালো করেই বুঝে কেও কিছু কয়না শুধু জীবনের ভয়ে ।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেটাই....ঠিকই বলেছেন।
পোষ্টেই বলেছি। দেশে একজন রিকসাওয়ালাও জানে কি হচ্ছে। কিন্তু বলার উপায় নাই। জীবনের ভয়ের উপরে তো কোন ভয় নাই। একটু উল্টাপাল্টা বললেই খবর করে দেবে। প্রতিবাদ করেও লাভ হবে না।
আমাদের এই ব্লগটাইতো গত বছরে আট মাস ব্যান খেয়ে থাকলো....জানেন বোধ হয়।
৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কিছুই বলতে ইচ্ছে করেনা এখন দেশ প্রেমের চেয়ে দলপ্রেম অনেক অনেক গুন বেশি। এনাদের বিরুদ্ধে কিছু বললেই আপনাকে পাকিপ্রেমী বানায়ে দেবে। বেশি বলতে গেলে চিরতেরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে.......অলরেডি পাকিপ্রেমী বানিয়ে দিয়েছে কতিপয় দুষ্টু ব্লগার!!!
এদের আসলে লজ্জা-শরমের বালাই নাই। বছরের পর বছর একই স্টাইলে একই কথা বলে যায়। প্রোগ্রাম করা রোবটের মতো। এদের নিজস্ব কোন চিন্তা-ভাবনা নাই। হেড কোয়ার্টার থেকে যা নির্দেশ আসে...দ্বীধাহীন চিত্তে তা পালন করে। বিবেক এদের বাক্সবন্দি থাকে।
এদেরকে ইগনোর করাই সবচেয়ে ভালো।
৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: ওয়ান্স ইন আ ব্লু মুন ব্লগে এই টাইপের কিছু পোষ্ট পড়ি। টেনশানে ছিলাম কোথায় গেছেন, ম্যালা দিন আপনারে দেখি না। যাউজ্ঞা পোষ্টে কি লিখছেন কিচ্চচ্চছু বুজি নাই। না বুজলে কেমনে মন্তব্য দেই। আপনারা দ্যাশ বিদেশ থাকেন অনেক কিছু দেখেন, জানেন, অনেক কিছু লেখেন, আমরা তো এত কিছু দেখিও না, বুজিও না, লিখিও না।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জরুরী একটা কাজ করতে উঠছিলাম, আপনের জ্বালায় আবার বইলাম। আপ্নে কিছু বুঝেন না.....মস্করা করেন আমার লগে!!
ম্যালা দিন ব্লগে আইতে পারি নাই, অতি সত্যি কথা। অনেক লেখা জমছে, পড়তে হবে। আমার লাইফে এখন কোন জীবন নাই, আপনেরে তো আগেই কইছি। খালি সমস্যা দেহি চাইরদিকে।
যাউজ্ঞা পোষ্টে কি লিখছেন কিচ্চচ্চছু বুজি নাই। না বুজলে কেমনে মন্তব্য দেই। অন্ধ হইলে প্রলয় বন্ধ হয় না। হুনছেন নি কতাডা কোনদিন?
১০| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০৭
নীল আকাশ বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এটা ভুল বলেছেন। উন্নয়ন এখন মহাসড়ক থেকে আকাশের উদ্দেশ্যে উড়াল দিয়েছে দূর্নীতি'কে বগলদাবা করে। দেশ এখন ইউরোপ আমিরিকা সিঙ্গাপুরের চেয়েও উন্নত।
তবে এর সাথে -
১। সারাদেশে দিন দিন বিচারহীনতা যেভাবে বেড়ে চলছে, টাকা পয়সার বিনিময়ে যা ইচ্ছে করার লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছে সেখানে ভাল কিছু আশা করাই ভুল।
২। সমাজ তথাকথিত এইসব শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত হলেও নৈতিকতার দিক দিয়ে চরমভাবে ধ্বংসের মুখে। বিভিন্ন দিবসে, অনুষ্ঠানে, কনসার্টে ও যুবক-যুবতিদের নির্লজ্জ উন্মাদনা ও বেহায়াপনা আমাদের দেশীয় কৃষ্টি-কালচারকে চরমভাবে ক্ষুন্ন করছে। তারা নিজেরা হচ্ছে বিপদগামি, সমাজ ও নতুন প্রজন্মকে করছে বিভ্রান্ত, সর্বোপরি ধর্মীয় বিধানকে লঙ্ঘন করে করছে চরম নাফরমানি।
৩। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা কি বলব? লেখাপড়ার পবিত্র স্থান টিকে অপবিত্র ও দুষিত করে বিবিধ নামদারী রাজনৈতিক দল ও ছাত্র নামদারী অংগ সংগঠন সাথে রাজনীতির সাথে যুক্ত শিক্ষক নামদারী দলবাজেরা শুধু লেখাপড়ার পবিত্র স্থান নয় সারা দেশটাকেই কলুষিত করে ফেলেছে। সততা এবং দেশপ্রেম এই শব্দগুলি আমি ছোটবেলায় পড়েছি। তখন স্কুলের শিক্ষকরা খুব আদর করে এই সব নীতিজ্ঞানের লাইনগুলি পড়াতেন এবং শেখাতেন। আজও আমি আমার সেই সব শিক্ষকদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি। সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই দ্রুতই বদলে গেছে। আজকালে শিক্ষকরাই আজ নিজের ছাত্রীদের যৌন নির্যাতন করে কিন্তু কিছুই হয় না। চাকুরি নেয় ঘুষ দিয়ে যারা তার কিভাবে নীতিজ্ঞান শিখাবে বলুন তো?
৪। দেশে এখন আইন কানুন নিয়ম নীতি বলে কিছুই নেই। বাবামা'রা নিজের মেয়ে বিয়ে দেন ছাত্রনেতাদের বেছে বেছে, যেন রাজনীতি করা একটা বড় জীবিকার রাস্তা! ফলাফল তো পত্রিকাতেই দেখেন! প্রডাক্ট আর কি বের হবে এখান থেকে? যত সব দূর্নীতি দেখেন সব কিন্তু এইসব ছাত্র নেতা আর নেত্রীদের দিয়ে করানো হয়। যখন ভাগের বখরা ঠিক মতো পায় না তখন এদের নেতারাই এদের আবার পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়।
৫। বর্তমান সরকার এসেছে পিছনের দরজা দিয়ে, দেশে জনগনের মৌলিক ভোটাধিকার বিলুপ্ত করে লির্লজ্জ বেহায়ার মতো জোর করে পার্শ্ববর্তী একটা দেশের সাহায্য নিয়ে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। আর এর বিনিময়ে নামমাত্র মুল্যে সারা দেশই বিক্রি করে দিচ্ছে। এই দেশে এখন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থেকে এম্পি মন্ত্রী.... প্রায় সবাই দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতিবাজদের মাধ্যমে প্রশাসনে ঢুকা আমলা, কামলারাও দুর্নীতিবাজ; চরিত্রহীন হবে এটাই স্বাভাবিক। কারন গোড়াতেই দুর্নীতির আসল আখড়া। দেশপ্রেম শব্দের অর্থও এরা জানে না কিংবা জানলেও মানে না।
৬। সুস্থ স্বাভাবিক মাথায় রাজাকার তকমা দিয়ে দেশের গনতান্ত্রিক মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দেয়া হচ্ছে। যেই দেশে রাতের আঁধারে সাধারণ জনগনের ভোটাধিকার বেহায়া আর নির্লজ্জের মতো চুরি করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে দাম্ভিকতা প্রকাশ করার পর তার সপক্ষে আবার যুক্তি এরা লেখে।
এই দেশ এখন শেষ হয়ে গেছে। ভালো কিছু আর হবার কোনই সম্ভবনা নেই।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাপরে.....বিশাল মন্তব্য। এর উত্তর দিতে তো আরেকটা পোষ্ট দেয়া লাগবে!!
আমাদের অর্থমন্ত্রী পিতিবির শ্রেষ্ঠ অর্থমন্ত্রী। অন্যান্য মন্ত্রীদের পিছনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা ধর্ণা দেয় উন্নয়নের গোপন সূত্র জানার জন্য। আমাদের অর্থনীতি সিঙ্গাপুরের চেয়েও শক্তিশালী। ঢাকা প্যারিসের চেয়েও উন্নত......এরপরেও আপনি বলেন এই দেশ এখন শেষ হয়ে গেছে। ভালো কিছু আর হবার কোনই সম্ভবনা নেই।। উন্নয়ন দেখার মতো চোখই আপনার নাই। ভালো কাজের প্রশংসা করেন না দেখেই তো দেশটা সেইভাবে মাথা তুলে দাড়াতে পারছে না। আপনারা মন্ত্রীদের কাজের সঠিক মুল্যায়ন যদি করতেন তাহলে পিতিবি তো পিতিবি, বাংলাদেশ গোটা মহাবিশ্বেই একটা উদাহরন হয়ে থাকতো।
উন্নয়নের কিছুই দেখেন নাই এখনও। আর দশটা বছর যেতে দেন, তারপরে দেখবেন উন্নয়ন কাহাকে বলে, ইহা কতো প্রকার ও কি কি। যখন ফলভোগ করা শুরু করবেন, শুধুমাত্র তখনই আমাদের বর্তমান মন্ত্রীদের কাজের মুল্যায়ন করবেন। দুঃখের বিষয় হলো, তখন বর্তমানের মন্ত্রীদের অনেকেই মহান আল্লাহর মেহমান হয়ে যাবেন।
আমাদের দেশের এই একটা খারাপ ব্যাপার। গুণীদের কাজের মুল্যায়ন তাদের জীবদ্দশায় হয় না। আফসোস!!!
১১| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চেনা চেনা লাগে......তবু অচেনা!!
১২| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও, দেশের শিক্ষার হার কম, শিক্ষার মান কম, দেশের সাধারণ মানুষ কাজ করেও আয় থেকে ভলো থাকতে পারছে না, নতুন গ্রেজুয়েটরা বেকার, দেশে ৩ কোটী 'ভারচুয়েল' ভালো আয়ের লোকজন আছে, সরকারের লোকেরা ৮ ঘনতা কাজ করে না, ঘরের স্বাস্হ্যবান বউ ঘুমায়ে থাকে, কিশোরী চাকরাণী ঘর চালায়, বাজেটের টাকা খরচ হয় না; বিদেশী ঋণের সুদ ও মুল বাজেট থেকে দেয়া হয়, দেশী শ্রম বিদেশে বিক্রয় হয়, দেশে ২টি সরকার কাজ করছে ও বেতন নিচ্ছে ও চুরি করছে।
তবে, দেশ এখানে এলো কিভাবে?
০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশ এই পর্যন্ত আসার কৃতিত্ব সরকারের না। এই কৃতিত্ব প্রাইভেট সেক্টরের আর প্রবাসী রেমিটেন্স এর। আপনি যেই লম্বা লিস্ট দিয়েছেন, এগুলোর সমাধান করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার তা যদি করতো, তাহলে দেশ আজকে সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ হতো।
১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
@নীল আকাশ,
আপনার ৬ নং পয়েন্ট, " ৬। সুস্থ স্বাভাবিক মাথায় রাজাকার তকমা দিয়ে দেশের গনতান্ত্রিক মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দেয়া হচ্ছে। যেই দেশে রাতের আঁধারে সাধারণ জনগনের ভোটাধিকার বেহায়া আর নির্লজ্জের মতো চুরি করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে দাম্ভিকতা প্রকাশ করার পর তার সপক্ষে আবার যুক্তি এরা লেখে। এই দেশ এখন শেষ হয়ে গেছে। ভালো কিছু আর হবার কোনই সম্ভবনা নেই। "
-দেশ স্বাধীন হওয়র সময়, ৫৫ হাজার বাংগালী মিলিশিয়া পাকীদের পক্ষে যুদ্ধ করেছে; ওদের একাংশ এখনো জীবিত, ওদের পরিবারের লোকেরা আছে, ওদের দল জামাত-শিবির আছে, ওদের সমর্থকেরা আছে। দেশে ৪৯ বছর তদের ভুমিকা কি?
১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও, দেশের শিক্ষার হার কম, শিক্ষার মান কম, দেশের সাধারণ মানুষ কাজ করেও আয় থেকে ভলো থাকতে পারছে না, নতুন গ্রেজুয়েটরা বেকার, দেশে ৩ কোটী 'ভারচুয়েল' ভালো আয়ের লোকজন আছে, সরকারের লোকেরা ৮ ঘন্টা কাজ করে না, ঘরের স্বাস্হ্যবান বউ ঘুমায়ে থাকে, কিশোরী চাকরাণী ঘর চালায়, বাজেটের টাকা খরচ হয় না; বিদেশী ঋণের সুদ ও মুল বাজেট থেকে দেয়া হয়, দেশী শ্রম বিদেশে বিক্রয় হয়, দেশে ২টি সরকার কাজ করছে ও বেতন নিচ্ছে ও চুরি করছে। --- যা বলতে চাইছিলাম তা গুরুজন বলে দিয়েছেন।
নন-সাসটেইনেবল উন্নয়নের ডামাডোলে অসাম্যের কথা সবাই ভুলে যাচ্ছে। গ্রামগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে। মানুষ ধান চাষ বাদ দিয়ে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছে। ভালো মানের শিক্ষা-স্বাস্থ্য এখন গরীবের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। এগুলো নিয়ে সরকারের মধ্যে কোনো প্রকার বিকার নেই। খালি ক্রেডিট নাও আর দু-হাজার কোটি টাকার তিন বছরের কাজ, চার-হাজার টাকায় সাত বছরে শেষ কর। আবার কাজ শেষ হতে না হতেই সেটার সংস্কারের পালা...। অদ্ভত এক অবস্থা! এরপরও যদি হুঁশ ফিরে আসে মাথামোটাদের...।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাথামোটাদের হুঁশ ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা নাই। কারন, যে যা করছে, জেনে বুঝেই করছে। নিজের আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত সবাই। দেশের কথা ভাবার সময় কই??
১৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভোটাধিকার কাইরা, মিডনাইট ইলেকশনের মুল সমর্থক মুসলিমদের রক্তে হাত রাঙ্গানো মোদিজিকে প্রধান অতিথি করে কেন এই দেশে আনা হচ্ছে ? যদি ভাবতে পারেন যে এই সব কিছু দেশের উন্নয়নের জন্য, তাইলে সেই উন্নয়নের অংশীদার হবার সম্ভাবনা প্রবল। । বিদেশে আর কামলা খাটার দরকার নাই। রাজার হালে বসে খাওয়ার বন্দোবস্ত হয়ে যাবে।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মোইদ্দা হারামজাদা আবার 'জি' হইলো কবে? ওইটারে কেন আনা হচ্ছে, সবাই বোঝে। বইলা কোন লাভ নাই। সবই তৈলবাজী। এই সেক্টরে সরকারের সমতুল্য কেউ নাই।
চিন্তা কইরেন না। দেশ থেকে আরো কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারের ব্যবস্থা হচ্ছে।
১৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২০
যাযাবর চখা বলেছেন: বেহুশদের হুশ ফেরার কোন সম্ভাবনা দেখি না।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমিও কোন সম্ভাবনা দেখি না।
১৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
পিতার বয়স পুত্রের বয়সের ৫ গুন, পুত্রের বয়স যদি ১০ বছর হয় তাহলে পিতার বয়স কত?
একই সুত্র ধরে,
পুত্র যদি ২৭ কোটি চুরি করে তাহলে পিতা কত চুরি করেছে?
০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পুত্র যদি ২৭ কোটি চুরি করে তাহলে পিতা কত চুরি করেছে? এটা আমার কাছে যে ক্যালকুলেটর আছে তাতে ধরবে না। এটার জন্য সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর লাগবে। তবে এতো কষ্ট করে ফিগার বের করার দরকার কি? আমরা হলাম গিয়ে আদার ব্যাপারী! কয়েক কোটি টাকা আমারে দিলে না হয় কষ্ট করতাম!
১৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কারার ঐ লৌহ-কপাট
ভেঙ্গে ফেল্ কর্ রে লোপাট রক্ত-জমাট
শিকল-পূজার পাষাণ-বেদী!
ওরে ও তরুণ ঈশান!
বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ! ধ্বংস-নিশান
উঠুক প্রাচী-র প্রাচীর ভেদি’॥
গাজনের বাজনা বাজা!
কে মালিক? কে সে রাজা? কে দেয় সাজা
মুক্ত-স্বাধীন সত্য কে রে?
হা হা হা পায় যে হাসি,
ভগবান প’রবে ফাঁসি? সর্বনাশী —
শিখায় এ হীন্ তথ্য কে রে?
ওরে ও পাগ্লা ভোলা, দেরে দে প্রলয়-দোলা গারদগুলা
জোরসে ধ’রে হ্যাঁচকা টানে।
মার্ হাঁক হায়দরী হাঁক্ কাঁধে নে দুন্দুভি ঢাক ডাক ওরে ডাক
মৃত্যুকে ডাক জীবন-পানে॥
নাচে ঐ কাল-বোশেখী, কাটাবি কাল ব’সে কি?
দে রে দেখি ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি’।
লাথি মার, ভাঙ্রে তালা! যত সব বন্দী-শালায় —
আগুন জ্বালা, আগুন জ্বালা, ফেল্ উপাড়ি॥
০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ.....গলায় গামছা বাইন্ধা রাস্তায় রাস্তায় হারমোনিয়াম বাজাইতে বাজাইতে এই গান গাইতে হইবো। তাইলে যদি এই অভাগা দেশটার ভাগ্য ফেরে!
১৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০০
বিষাদ সময় বলেছেন: ভাল লিখেছেন, তবে এনালিটিকাল না, বায়াস্ড।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এনালাইটিক্যাল লেখা লেখার জন্য আপনারা তো আছেনই। আমি না হয় একটু বায়াসড লেখাই দিলাম। অবশ্য দেশের স্বার্থে কিছু বলতে গেলে আমি সব সময়েই বায়াসড, দেশের প্রতি।
২০| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
কিছুই ভুয়া বলেন নি, সবই চরম সত্য্।
মাথাপিছু আয় বাড়া একটা শুভঙ্করের ফাঁকি, আপনার দেয়া উদাহরণের মতো সত্য। উন্নয়ন হচ্ছে ব্যক্তি বিশেষের, দেশের নয়; এটাও সত্যি। দৃশ্যমান কাঠামোই শুধু উন্নয়ন নয়, কাঠামোগুলো দিয়ে দেশ ও জনের কি কি হীত কাজ হবে সেটাই উন্নয়ন এবং তাও সাসটেইনেবল হতে হবে, নইলে নয়; এটাও ধ্রুব সত্য।
আর পাপিয়াদের ধরতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ লাগবে কেন ? দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ কি তবে? সাধারণ পাবলিক দু'দশ টাকা চুরি করলে কিম্বা পেটের জ্বালায় গতর বেঁচে খেলে তাদের ধরতে তো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ লাগেনা, তাহলে সরকারী আমলাদের বা সরকারী দলের লোকদের ধরতে লাগবে কেন ? সরকারী আমলা আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মুখের ভাত কি সরকার দেয় না জনগণ দেয়, ট্যাক্স হিসেবে? বুঝিনে..........কিছুই বুঝিনে!
তবে এইটে বুঝি - দেশ সত্যিই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে; সামনের দিকে নয়, পিছনের দিকে।
আর কিছু বলার নেই সবই বলে দিয়েছেন।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার সারমর্ম করেছেন জী এস ভাই। আমার পুরো লেখাটার এর চেয়ে ভালো সারাংশ আর হতে পারে না। প্রতি মন্তব্যে বলার মতো কিছুই আর অবশিষ্ট রাখেন নাই। অসাধারন!!!
২১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২৪
করুণাধারা বলেছেন: ভলভো বাস নিয়ে আমার খুব জানার ইচ্ছা ছিল- এগুলো কতবছর চলার কথা! জানানোর জন্য ধন্যবাদ। এখন বিআরটিসিতে চলছে টাকার বাস, আমার ধারণা এগুলো দুবছরের বেশি চলে না। একবার খুব ঢাকঢোল পিটিয়ে বিআরটিসি স্কুল বাস চালু করল, খুব অভিনন্দন ইত্যাদি হল, তারপর দুবছরের মাথায় সব বাস ভাগাড়ে!! পরিবহন সেক্টর পুরোপুরি কব্জা করে রেখেছে গুটিকয় মানুষ। আমরা, সাধারণ মানুষেরা সবগুলো অঙ্গ অক্ষত রেখে প্রতিদিন ঘরে ফিরতে পারলেই ধন্যবাদ জানাই সেই গুটিকয় মানুষকে।
দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে কিনা ভাবার সুযোগ কই?
০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখন বিআরটিসিতে চলছে টাকার বাস আপনি সম্ভবতঃ 'টাটা' বলতে চেয়েছেন। তবে একঅর্থে আপনার কথা ঠিকই আছে। এগুলো আসলে টাকারই বাস। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে সব পার্টসকে টাকায় রুপান্তর করে শুধু খোলসটাই তো ডিপোতে ফেলে রাখে।
একসময়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে এরা মহিলা বাসও চালু করেছিল। সেগুলো কি এখনও আছে? জানি না।
আমাদের দেশের কোন সেক্টরটা গুটিকয় মানুষের কব্জার বাইরে বলতে পারেন? দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে কিনা ভাবার সুযোগ কই? আসলেই.....সুযোগ নাই।
২২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ২:১৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
আপনার পোস্টের শিরোনাম ও ছবি দেখেই বুঝতে পেরেছি কতটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । উন্নয়নের আসমানে ভাসছে দেশ।
দুর্নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি সেক্টরে আমরাই সেরা নয় কি?
আপনার লেখা, মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য পড়ে আর কিছুই বলার নেই ,সবই বলা হয়ে গেছে ।
০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লোকদেখানো উন্নয়নের আসমানে ভাসছে দেশ। এই এক দুর্নীতি নষ্ট করে দিচ্ছে দেশের সব অর্জন, দেশকে নিয়ে যাচ্ছে পেছন দিকে। ক্ষোভ আপনার, আমার, যে কোনও সচেতন মানুষের। কারন, দেশটা চলে গিয়েছে কিছু অসচেতন আর স্বার্থান্বেষী মানুষের হাতে।
২৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৪৭
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: জাতিগতভাবেই আমরা চরম অসৎ | মুখে যতই এক দল আরেকদলকে গালি ডেকে না কেন, একটি বিষয়ে সব দলগুলি এক - লুটপাট ও দুর্নীতি | এই একটি বিষয় সমগ্র জাতিকে এক করে রাখতে পেরেছে | তাই দেখা যায় দলমত নির্বিশেষে সবাই নানানভাবে দুর্নীতিতে লিপ্ত | অনেকে আবার দুর্নীতিকে জায়েজ করার জন্য ধর্মীয় কাস্টমাইজড ব্যাখ্যাও দাঁড় করিয়ে ফেলে | মানুষকে চরম কষ্ট দিয়ে তার শেষ সম্বলটুকু কিভাবে সাবাড় করা যায় এই ধান্দা বাংলার আনাচে কানাচে দৃশ্যমান |
০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জাতিগতভাবেই আমরা চরম অসৎ এই কথাটা মানতে পারলাম না স্বামীজি। ইতিহাস দেখেন। আমাদের জাতীকে সঠিকভাবে পরিচালিত করেছে এমন কাউকে দেখেন? একজন ভালো অভিভাবক না থাকলে একটা পরিবারের সদস্যদের বখে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আপনিই পরে বলেছেন, একটি বিষয়ে সব দলগুলি এক - লুটপাট ও দুর্নীতি , তাহলে ব্যাপারটা দাড়ালো কি? নেতারা যদি লুটপাট আর দুর্নীতিতেই ব্যস্ত থাকে, তাহলে জাতিকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিবে কখন?
ধান্দাবাজী অসৎ মানুষদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার, ধর্মটাও তাই। সাধারন জনগন যদি চোখের সামনে দিনের পর দিন যদি এসবই দেখে, তাহলে তাদের মন-মানসিকতাও এমনটাই হবে। এখানে জনগনের দোষ কোথায়? এসব একদিনের ব্যাপার না। যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে। প্রকৃত দেশপ্রেম এখন কেতাবের বিষয়। সেরকম ভিশনারী নেতা এখনই যদি আমরা একজন পেয়েও যাই, সংস্কারে তবুও অনেক সময় লাগবে। তবে, শুরুটা হওয়া জরুরী।
২৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৫৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
আমাদের ছোট বেলায় বিটিভিতে একটা সিরিজ দেখাতো 'টয়লাইট জোন' নামে । এই সিরিজটা ছিল পরাবাস্তব ঘটনা নিয়ে। আমেরিকায় কয়েকটা টিভি চ্যানেলে পুরোনোদিনের টিভি সিরিজগুলো দেখায় । সেদিন তেমনি 'টয়লাইট জোনের' একটা এপিসোড দেখছিলাম । একটা খুব সুন্দর হাইওয়ে মরুভূমির মধ্য দিয়ে চলে গেছে বহুদূর । চারিদিকে যতটুকু দেখা যায় মরুভুমি আর মরুভুমি । একটা মিলিটারি ফাইটার প্লেন ক্রাশ হওয়ায় দুই পাইলট কোনো রকমে আহত অবস্থায় এসে উঠে সেই হাইওয়েতে । তারা হাটতে থাকে যদি কোনো গাড়ি বা ট্রান্সপোর্টেশন পাওয়া যায় । মরুভূমির তীব্র গরমে হাটতে হাটতে একসময় দুজনই মারা যায় । আপনার পোস্টের শিরোনাম দেখে কেন যেন 'টয়লাইট জোনের' সেই এপিসোডটার কথা মনে হলো । মহাসড়কে উঠলেই আসলে সমস্যার সমাধান হবে না । মরুভূমির মহাসড়কে ঠিকঠাক প্রস্তুতি না নিয়ে উঠলে কিন্তু মারা যাবার সম্ভাবনা থেকেই যায় । আমাদের উন্নয়নের মহাসড়কের ব্যাপারটাও কেমন যেন তেমন তেমন মনে হচ্ছে I আপনি যা বললেন তাতে মনে হলো মহাসড়কে যদি উঠেও যায় দেশ তাহলে হয়তো উঠেছে মরুভূমির কোনো মহাসড়কে । তাই ডেড মিট হয়ে পরে থাকার সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়েছে ।
অবিরাম ব্যাংক লুটপাটের ইফেক্ট দেশের অর্থনীতিতে পরবে না সেটা হতেই পারে না । লুটপাট করে একটা ছোট অংশ উন্নতি করতে পারলেও বড় অংশ এর থেকে কোনো সুফল পাচ্ছে না কোনো ভাবেই । আগে দেশের টাকা চুরি চামারি হলেও সেই টাকা দেশই থাকতো ।এখন এই চুরি চামারি করা টাকা দেশেই থাকছে না । কানাডায় বেগম বাজারের কথাতো সারা পৃথিবীরই জানা । দেশের ঢাকা শহরের মধ্যে ফ্লাইওভারগুলোর অপকারিতা নিয়ে কয়দিন আগেই মনে হয় কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন । হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের যদি আলামত এই হয় তাহলে দেশের খবর কি হবে সেটাতো বোঝাই যায় । দেশের ব্যাংকগুলো থেকে কয়েক শ' হাজার অতি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে সেটা ওপেন সিক্রেট । কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো দেশের কোনো রাজা উজিরের ব্যাংকেই কিন্তু হাজার কোটি টাকা নেই ! তাহলে এই টাকা কোথায় ? আমি দেশের একজন ব্যবসায়ীর কথা জানি তার কানাডায় এক বড় শহরে ৫১ টা এপার্টমেন্ট আছে । সেটা তার হালাল টাকা হলেও দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে কিন্তু দেশের সম্পদ । সম্পদের বন্টনে একটা ভয়ংকর একটা অসামঞ্জস্য । এরতো কোনো পজিটিভ ইফেক্ট থাকতে পারে না দেশের অর্থনীতিতে । দেশের শিক্ষা সংস্কৃতি ধ্বংসের আলামত পরিষ্কার ।এর ইফেক্টও দেশের উন্নয়নে পড়তে বাধ্য । তাই যত গর্জাচ্ছে উন্নয়নের ব্যাপারটা ততো বর্ষানোর কথা না বন্টনের বৈষম্যের জন্যই । তাই কেউ 'যথেষ্ট হইছে, এইবার তোরা থাম'' শীর্ষক ফটোগ্রাফের মতো কিছু বললে সেটা কিন্তু একেবারেই ফেলে দেবার মতো হবে না।
১০ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। আপাতঃ দৃষ্টিতে যে মহাসড়ক সুন্দর, সেটাও মৃত্যুফাদ হয়ে উঠতে পারে। সেজন্যেই যথাযথ প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ।
আগে সরকারের কাছে টাকা কম ছিল, তখন কেউ কোটি টাকার দূর্ণীতি করলেই বিরাট নিউজ হয়ে যেত। এখন টাকা আসছে জলের মতো, তাই হাজার কোটি টাকার দূর্ণীতিও গা-সওয়া হয়ে যাচ্ছে। এই হাজার হাজার কোটি টাকা দেশে রেখে তো কিছুই করতে পারবে না। একদিন না একদিন গোমর ফাস হয়ে যাবে। তাই একটাই উপায়......টাকা বিদেশে পাচার।
আপনি নিজে আমেরিকায় থাকেন। কাজেই জানেন, সড়ক পথে শৃংখলা না এনে ডজন ডজন ফ্লাইওভার বানালেও ট্রাফিক ব্যবস্থার কোন উন্নতি হবে না। পরিস্থিতি দিনকে দিন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, এসব হলো উন্নয়নের নামে ভাওতাবাজি। টাকা আত্মসাতের ধান্দা! এই উন্নয়ন হলো মাকাল ফলের মতো। একটু ধাক্কা খেলেই ধ্বসে পড়বে। তবে নেতা-আমলাদের কিছুই হবে না। এরা পেশাব করতেও বিদেশে যায়। বিপদে পড়বে দেশের আম-জনতা।
২৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি অবশ্য ডিজিটাল হিমু হিসাবে ঢাকার অবস্থা, তথা দেশের অবস্থা সব চাইতে ভালো জানেন।
আমি অবশ্যই ঢাকা শহরের সমস্যা গুলো অন্যদের চেয়ে ভালো জানি।
১০ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমিও তো সেইটাই বললাম!
২৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০১
জাহিদ হাসান বলেছেন: দেশের কতিপয় লোক উন্নয়নের মহাসড়কে !
১০ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ.......সেইটাই!!
২৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গতকাল এই পোস্ট পড়ে মন্তব্য করা উচিত হবে কিনা সন্ধিগ্ধ ছিলাম। আজ ভাবলাম নিজের উপস্থিতির জানান দেই। ভালো লিখেছেন। আপনার অনুভূতিকে সম্মান জানাই।
১০ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার দ্বিধার কারন বুঝতে পারছি। তবে কথা হলো, সত্য সত্যই। দেশ-স্থান-কাল-পাত্রভেদে এর কোন হেরফের হয় না। সত্যকে সমর্থন এর আগেও আপনি দিয়েছেন সেটা জানি বলেই বলছি......সত্যকে স্বীকার করার মতো সৎসাহস আপনার আছে। ফিলিং রিয়েলী প্রাউড ফর ইয়ু ম্যান!!!
আপনার সৎসাহসকে সম্মান জানাই।
২৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অপরিকল্পিত উন্নয়ন এক সময় ভোগান্তির কারণ হয়।
১০ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এমন উন্নয়ন না করলে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার কিভাবে করবে? ব্যাপারটা আপনাকে বুঝতে হবে।
২৯| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:২৫
সোহানী বলেছেন: এসব ভাইবা মাথা নষ্ট করার কোন মানে নাই ভাইজান। আসে চীনাবাদাম খাই............
১০ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাথা নষ্ট না করার প্র্যাকটিস করতাছি। এই সব **ছাল লেখা বাদ দেওনের চেষ্টায় আছি। তয় মাঝে-মইদ্দে মনটা কেমুন জানি বেচাইন হয়া যায় গা। তহন লেইখ্যা ফালাই।
যে কোনও বাদামই আমার প্রিয়। তয় সবচেয়ে প্রিয় কাজু বাদাম (হানি রোষ্টেড)। ইনফ্যাক্ট এহন কাজু খাইতে খাইতেই ব্লগর ব্লগর করতাছি!! আপনেরে তো সামনা-সামনি দিতে পারতাছি না, হের লাইগা ভার্চুয়ালীই দিলাম,
৩০| ১০ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৪
জুন বলেছেন: আমি এইসব নিয়া কিছু বলতে চাই না ভুয়া। তবে সামনে দেশে আসবো তখন আপনার এইসব ভুয়া কথায় সহমত বলার জন্য ঘোরতর বিপদ হইতে পারে
তবে লোকমুখে শুনেছি আমাদের এলাকায় সারিসারি কবর খুড়ে রাখা হয়েছে প্রতিটি রাস্তার দুপাশ ধরে। এইডারে আফনে অবশ্যই উন্নয়ন কইবেন, কৈতে হবে
অঃটঃ আইচ্ছা আমার পোস্টে যান্না ক্যান ভুয়া!!
মাইন্ড করেন্নাইতো
১০ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: না বলাই ভালো। হুদাই বিপদে পড়ার কোন মানে নাই। দ্যাশ থিকা ঘুইরা আইসাই বইলেন।
তবে লোকমুখে শুনেছি আমাদের এলাকায় সারিসারি কবর খুড়ে রাখা হয়েছে প্রতিটি রাস্তার দুপাশ ধরে। আপনের এলাকা তো আবার দুইটা। একটা দ্যাশে, আরেকটা থাইল্যান্ডে, কোনডার কথা কন?
আইচ্ছা আমার পোস্টে যান্না ক্যান ভুয়া!! এইডা কি কন? আপনের পোষ্টে যামু না ক্যান? গত অক্টোবর/নভেম্বর থিকাই আমি ব্লগে ইররেগুলার, খুবই কম আসি। বহুত ঝামেলার মইদ্দে আছি। আমার প্রিয় ব্লগারদের বেশীরভাগ লেখাই পড়া হয় নাই। কি করমু কন.....সংসার, চাকরী সামলায়া ব্লগিং করন লাগে।
আইচ্ছা, দ্যাখতাছি......আপনে কি পোষ্টাইছেন!
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে না। উন্নয়নের মহাসড়কে রাজনীতিবিদ এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন।
আজ মানুষ রাস্তায় ঘুমায়,
বেকার মানুষে রভাব নেই,
ফুটপাত দিয়ে হাঁটা যায় না,
সীমাহীন জ্যাম,
সরকারী অফিসে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না।
যারা বলেন, দেশ উন্ননের মহাসড়কে তারা শুধু গনপরিবহনে উঠেন। বাসে উঠতে এবং নামতেই জীবন বের হয়ে যায়। রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়। প্রতিদিন একই চিত্র।