নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশে একটা কথা প্রচলিত আছে; যার কেউ নাই, তার আল্লাহ আছে। বিভিন্ন সময়ে আমরা বলে থাকি, এই পৃথিবী নামক গ্রহটার বাংলাদেশ নামক দেশটাকে সরকার না, স্বয়ং আল্লাহ চালান। না, কোন বিতর্ক সৃষ্টির জন্য এই কথা বলছি না। আল্লাহ আসলে সমস্ত বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের মালিক। উনি সবই চালান। তারপরেও এ'কথা বলার পিছনের কারন হলো, আমাদের এই দেশটা এতো অনিয়ম আর বিশৃংখলার মধ্যে চলে যে, দেশী/বিদেশী অনেকেই হয়রান হয়ে যান এই ভেবে, দেশটা আসলেই কে চালায় অথবা দেশটা চলছে কিভাবে? এত্তো এত্তো সমস্যার মধ্যেও যে দেশটা চলছে, সেটার কৃতিত্ব কোন মানুষের পাওয়া সম্ভব না। কারন, দেশের তথাকথিত চালকেরা যে যেভাবে পারছে ক্রমাগত দেশটাকে পিছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে অবিরত। তার মধ্যেই দেশটা কিংবা দেশের মানুষ কোন রকমে খেয়ে-পরে এই ধরার বুকে বেচে-বর্তে দিনাতিপাত করছে। মিরাকল বলা যায় না এটাকে?
বাংলাদেশে গ্রীষ্ম সমাগত। সাধারনভাবে গরমের সময় দেশে আমরা তিনটা কারনে অতিষ্ঠ হয়ে যাই।
প্রথমতঃ সরাসরি প্রখর সূর্য কিরণ। এই গরমে চামড়া জ্বালা-পোড়া করে। একটু ছায়ার জন্য আমরা হা-পিত্যেশ করি। বৃক্ষহীন শহরে বৃক্ষের সুশীতল ছায়া খুজি আর চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকি, কখন একটু বৃষ্টিপাত হবে। বেশী গরম হলে সময়ে সময়ে মসজিদে/মন্দিরে বৃষ্টিপাতের জন্য প্রার্থনাও করা হয়।
দ্বিতীয়তঃ উচ্চ তাপমাত্রা। দেশে মার্চ থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে এবং একসময়ে তালপাকা গরম পড়তে থাকে। বৃক্ষ নিধনের কারনে বর্তমানে দেশে তালগাছ খুবই সীমিত, কাজেই এই কথা এখন অনেকটা কাগজে-কলমে বলার মতো একটা ব্যাপার। স্বাভাবিকভাবেই এই ওষ্ঠাগত প্রানে একটু শান্তি দেয়ার জন্য আমরা তাপমাত্রা কমার আকুতি মিনতি প্রকাশ করি প্রতিনিয়ত।
তৃতীয়তঃ বাতাসের আর্দ্রতা। এই আদ্রতার কারনে গরমের অনুভূতি তীব্রতর হয়। প্রচন্ড ঘাম হয়। মানবদেহ পানিশুন্য হয়ে পরে। এর কারনেই আদ্রতাহীন মরুভূমিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস হলেও ততটা গরম অনুভূত হয় না, যতোটা দেশে ৩২ ডিগ্রীতে হয়।
আসল কথায় আসি এখন। সাধারন মানুষ গরমে যখন পেরেশান হয়ে যায়, তখন এটাকে আল্লাহর গজব বলা শুরু করে। এবার অন্ততঃ গ্রীষ্মের এই তিনটা বৈশিষ্ট্যকে গজব না বলে নেয়ামত বলেন, এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। প্রার্থনা করেন, এই তিনটাই যেন আমাদের দেশে দীর্ঘস্থায়ী হয়। কারন? কারন হলো, এই তিনটা পরিস্থিতিকেই করোনা ভাইরাস প্রচন্ড ঘৃণা করে। করোনা'র এই আভিজাত্য কিংবা অপছন্দই আমাদের জন্য প্রশান্তির কারন। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজীর অধ্যাপক জন নিকলস বলেছেন, তিনটা জিনিস আছে যেটা করোনা ভাইরাস চরম অপছন্দ করে। সেগুলো হলো, প্রখর সূর্য কিরণ, উচ্চ তাপমাত্রা এবং বাতাসের আর্দ্রতা। উনি আরো বলেছেন, সূর্য কিরণ এই ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধির সক্ষমতাকে অর্ধেকে নামিয়ে নিয়ে আসে….এই অর্ধ-জীবন হলো আড়াই মিনিটের, যেটা কিনা রাতের আধারে হয়ে যায় ১৩ থেকে ২০ মিনিটের। অন্যদিকে জার্মানীর সেন্টার ফর এক্সপেরিমেন্টাল এন্ড ক্লিনিক্যাল ইনফেকশান রিসার্চ এর ভাইরোলজিস্ট থমাস পিটখম্যান বলেছেন, এই ভাইরাস তাপ সহ্য করতে পারে না। যার অর্থ হলো, তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে এটার গাঠনিক কাঠামো ভেঙ্গে যায়।
একদল চীনা গবেষক স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কোনোরকমের হস্তক্ষেপ ছাড়াই (চীনে এটা খুবই বিরল একটা ব্যাপার!) গবেষণার অনুমতি পেয়েছিলেন। তাদের বিষয়বস্তু ছিল করোনা ভাইরাসের আচরণ। তাদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে কম তাপমাত্রায় এই ভাইরাস দ্রুত ছড়ায়। তাপমাত্রা যতো বাড়ে, ঝুকি ততো কমে। এই গবেষকদের ধারনা, উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমের সময়ে করোনার ঝুকি কমে যাবে। আশার কথা, বাংলাদেশের অবস্থানও উত্তর গোলার্ধে।
তবে, ফিলিপাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ মলিক্যুলার বায়োলজী এন্ড বায়োটেকনোলজীর পরিচালক (ইনি আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গের বিশ্ব স্বাস্থ্য‘র এডজাঙ্কট প্রফেসরও বটে) ড. এলভেস মরিস সালভানা আল জাজীরা কে বলেছেন, মাটিতে থাকা ভাইরাসের জন্য উপরে বর্ণিত তিনটা অবস্থা কাজ করলেও মানবদেহে ইতোমধ্যে আশ্রয় নেয়া ভাইরাস এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে না কিংবা তাদের কার্যকারিতাও হ্রাস পাবে না।
করোনা ভাইরাস নিয়ে এগুলোই শেষ কথা নয়। গবেষণা চলছে প্রতিনিয়ত। আরো নতুন নতুন বিষয় সামনে আসবে অচিরেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাস নিয়ে এখন পর্যন্ত করা সব ধরনের গবেষণা, ফলাফল এবং প্রাপ্ত জ্ঞান নিয়ে একটা ডাটাবেইজ তৈরী করেছে। এটাকে প্রত্যহ আপডেইটও করা হচ্ছে। আপনারা যে কেউ চাইলে ডব্লিউএইচও‘র ওয়েবসাইটে ''গ্লোবাল রিসার্চ অন করোনাভাইরাস ডিজিজ (কোভিড-১৯)'' এ গিয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি দেখতে পারেন। উপরে আমি আপাতঃ দৃষ্টিতে বাংলাদেশের কৌশলগত সুবিধাগুলো বলার চেষ্টা করেছি। এর অসুবিধাগুলো কি কি? এখানেই কিন্তু আমরা ধরা খেয়ে যাচ্ছি।
বিষেশজ্ঞরা সবাই মোটামুটি একটা বিষয়ে একমত। সেটা হলো, এই ভাইরাস আপাততঃ পুরো নির্মুল হবে না। বিরুপ পরিস্থিতিতে বা আবহাওয়ায় ঘাপটি মেরে থাকবে এবং সঠিক আবহাওয়া পেলেই আবার ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে। কাজেই এখন মানুষ যে প্রিক্যশান নিচ্ছে সেটাকে চালু রাখার কোন বিকল্প নাই। উনারা বলছেন, শুধুমাত্র উচ্চ তাপমাত্রার উপর নির্ভর করলে বিপদ থেকে পরিপূর্ণ রেহাই পাওয়া যাবে না। কারন, একটা দেশের স্বাস্থ্য অবকাঠামো, কতো দ্রুত এই কাঠামো সেবা দিতে প্রস্তুত আর দেশবাসী কতোটা প্রোএক্টিভ, সেটার উপরেও এর নিয়ন্ত্রণ কিংবা নির্মূল বহুলাংশে নির্ভরশীল। আর এখানেই আমাদের দূর্বলতা!
দেশের স্বাস্থ্য অবকাঠামোর অবস্থা বলে লাভ নাই। আমাদের দেখভাল করার দায়িত্ব যাদের উপরে, তারা যে কোনও স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়লেই সবাইকে ঝেড়ে ফেলে যতোদ্রুত সম্ভব বিদেশে চলে যান। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, 'পিতিবি'র অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই অবকাঠামোর উপরে উনাদের আস্থা কতোটুকু! আর এই অবকাঠামো কতো দ্রুত সেবা দিতে প্রস্তুত? সেটা সরকারী হেল্প লাইনে ফোন করলেই জানতে পারবেন। দেশবাসীর প্রোএক্টিভনেস নিয়েও এখন কথা বলতে চাই না। কান টানলে মাথাও এগিয়ে আসে সবসময়ে। কাজের কাজ কিছুই হবে না, খামোখা এই পোষ্টের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাবে। আমি শুধু একটা বিষয়ের উপরেই আপাততঃ ফোকাস করতে চাই। সেটা হলো, আমাদের চিকিৎসক সমাজ।
আমাদের এই চিকিৎসক সমাজকে উঠতে-বসতে আমরা গালাগালি করি। অবশ্য এটা বেশীরভাগ সময়ে তারা ডিজার্ভও করে। আমার মাতা-পিতা বংশ এবং আমার স্ত্রীর মাতা-পিতা বংশ; এই দুই স্ট্রীমে বড়, ছোট, পাতি সবমিলিয়ে ডাক্তার (ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং দেশে আছে) আছে সাতচল্লিশ জন। একেবারে লিটারেলি একজন একজন করে গুনে দেখা অথেনটিক সংখ্যা। ঘনিষ্ঠ ডাক্তার বন্ধুদের কথা বাদই দিলাম। কথা হলো, এদের অনেককেই সুযোগ পেলে আমিও গালাগালি করি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এনারা দেশবাসীকে কতোটা ঝুকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন, সেটা আমরা কতোটুকু জানি? এদের না আছে কোন প্রোটেকটিভ গীয়ার, না আছে কোন প্রাতিষ্ঠানিক সাপোর্ট; আর না আছে রোগী এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনের সাপোর্ট। কিছুই নাই। তারপরেও তারা জীবন বাজী রেখে যতোটুকু পারছে, সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। পৃথিবীর বেশ কয়েকটা উন্নত দেশেই ডাক্তাররাও সেবা দিতে গিয়ে সংক্রামিত হয়ে মারা গিয়েছেন। দোয়া করি, আমাদের দেশে যেন এমনটা না হয়।
লেখার শুরুতেই বলেছিলাম, যার কেউ নাই, তার আল্লাহ আছে। মহান আল্লাহই যেন এনাদেরকে হেফাজত করেন। দেশের চিকিৎসা পেশায় জড়িতদেরকে স্যালুট। কেউ কৃতজ্ঞতা জানাক, চাই না জানাক; আপনারা আপনাদের দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করে যান। এর উত্তম প্রতিদান আপনারা অবশ্যই পাবেন কোন একদিন।
কাল রাতে ঘুম আসছিল না। বারান্দায় বসে বসে দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আকাশ-পাতাল চিন্তা করছিলাম। এক পর্যায়ে মনে হলো; যে পরিমান টাকা এক বছরে আমাদের দেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়, ঠিক সেই পরিমান টাকা চিকিৎসা অবকাঠামোর উন্নয়নে কোন একটা নির্দিষ্ট বছরে যদি ব্যয় করা যেতো, তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যখাত 'পিতিবি' না, 'পৃথিবী'র অন্যতম শ্রেষ্ঠ অবকাঠামো নিশ্চয়ই হতে পারতো, তাই না!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলছি, এই দুর্যোগই শেষ না, সামনে আরো আছে। তবে, এটা কেটে গেলে আমরা কি তেমন কোন পদক্ষেপ আপনার কাছ থেকে আশা করতে পারি না! নির্লজ্জ, অর্বাচীন এবং দেশবাসীকে আনন্দ অথবা বিনোদন দানকারী চাটুকারদের কথা না শুনে একবার আম-জনতার কথা না হয় শুনলেনই। তাতে আপনার কি এমন ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে???
'হস্ত ধৌতকরন' সব সময়ের জন্যই একটা অবশ্য কর্তব্য হওয়া উচিত। স্বাস্থ্য সম্পর্কে অসচেতন মানুষরা করোনায় উসিলায় হলেও সচেতন হচ্ছে। এটাই বা কম কি? করোনা থাকুক বা না থাকুক, এই অভ্যাসটা যেন আজীবন থেকে যায়। গুগলের সৌজন্যে প্রাপ্ত এই ছবিটা আমাদেরকে এটাই স্মরণ করিয়ে দিক প্রতিনিয়ত।
২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৩
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ভুয়া ভাই লিখেছেন ভালই।
২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবই আপনাদের দোয়া। বহুদিন পরে মনে হয় আমার পোষ্টে আপনাকে পেলাম।
ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। করোনা যেন আপনার/দেশের মানুষের ধারে-কাছে আসতে না পারে। দুর থেকে এই দোয়া করা ছাড়া আর উপায় কি?
৩| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ভালো কথা লিখেছেন।
আপনার সাথে একমত।
২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সহমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
কয়টা দিন বাইরে হাটাহাটি করা বন্ধ রাখেন। আপনার জন্যও ভালো, আপনার বাসার সবার জন্যও ভালো।
৪| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২৪
সুপারডুপার বলেছেন:
করোনার কারণে মানুষের মাঝে সারাক্ষন আল্লাহর নাম নেওয়া এক্সপোনেনশিয়ালি বেড়েছে। এখন থেকে বোঝা যায় , কাল্পনিক দোজখের ভয় যত না মানুষকে আতংকিত করতে পারে , তার চেয়ে বাস্তব মৃত্যুর ভয়, রোগ -শোক, বালা- মসিবত, দূর্ঘটনার ভয় মানুষকে অনেক অনেক বেশি আতংকিত করে।
অনিয়ম আর বিশৃংখলার মধ্যে দেশ চলাতে দেশ তার ফল প্রতিনিয়ত পেয়ে যাচ্ছে। যেমনঃ নৌ সড়ক দূর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে , ড্রেইনেজ সিস্টেম ও নদীকে নিয়ন্ত্রন করে নাই বলে বন্যাও দেশে আসে ইত্যাদি। যেমন কর্ম তেমন ফল। মিরাকলের কিছু নাই। জনসংখার ভারসাম্যহীন দেশে মানুষের জীবনের মূল্য নাই বলে কিছু লোক রোগে ও দূর্ঘটনায় মারা গেলেও সরকারের ও জনগণের কাছে কিছুই মনে হয় না। আপাতঃ দৃষ্টিতে তাই মনে হয় দেশ আল্লাই চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই করোনায়ও মানুষ মরলে কিছুই মনে হবে না , যদি না হাসিনার কাছের লোক আক্রান্ত না হয় বা না মরে। সবশেষে আবারও এটাই থাকবে দেশ আল্লাই চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশটা আল্লাহ চালিয়ে নিচ্ছেন, এটা একটা কথার কথা। মানুষ দু্ঃখবোধ থেকে এটা বলে। কোন নির্দিষ্ট একটা দেশ যে আল্লাহ দায়িত্ব নিয়ে চালাবেন না, এটা সবাই বোঝে।
বিপদে আল্লাহর নাম নেয়া দোষের কিছু না। ইন ফ্যাক্ট, এটা আল্লাহও পছন্দ করেন। মানুষের কল্পনা-শক্তির সীমাবদ্ধতা আছে। কাজেই না দেখা জিনিসের চেয়ে দেখা জিনিসকে বেশী ভয় পাওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়! আপনার কি মনে হয়?
৫| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আচ্ছা ভাই, অনেক দেশের মন্ত্রী এমপিরা এই কোভিড১৯ এর শিকার হয়েছেন এবং নিজ দেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। আমাদের দেশের মন্ত্রী এমপিরা অসুস্থ হলে কি তাই করবেন?
বিবিসি বাংলায় পড়েছিলাম, আগামী বছরের শুরুর দিকে দেশে পঙ্গপাল আক্রমন করতে পারে..
২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের দেশের মন্ত্রী এমপিরা অসুস্থ হলে এখন অন্য দেশে গিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগ সীমিত।
আগে করোনা তো ঠেকাই, পরে না হয় পঙ্গপাল নিয়ে........!!!
৬| ২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০০
সুপারডুপার বলেছেন:
লেখক বলেছেন: বিপদে আল্লাহর নাম নেয়া দোষের কিছু না। ইন ফ্যাক্ট, এটা আল্লাহও পছন্দ করেন।
- এটা আপনি নিশ্চিত হলেন কি করে ? আপনি কি আল্লাহর কাছে থেকে শুনে এসেছেন?
আর যদি আপনি আল্লাহর কাছে থেকে শুনেই আসেন ও আপনার কথা সত্য হলে ভাইরাস গুলো আল্লাহর নাম শুনেই দৌড়ে পালাতো। আজাইরা চিকিৎসা, কোয়ারেন্টাইন - ফরেন্টাইনের কি দরকার !
লেখক বলেছেন: কাজেই না দেখা জিনিসের চেয়ে দেখা জিনিসকে বেশী ভয় পাওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়! আপনার কি মনে হয়?
- ভাইরাসও তো না দেখা জিনিস। আর এই ভাইরাস প্রথম আবিষ্কার করেছে কাফেররা। কাফেরদের আবিষ্কার করা কোনো জিনিসে বিশ্বাস করে ধর্মের লোকেরা কেনইবা আতংকিত হবে ! এর আগেও পৃথিবীতে এই রকম হয়েছে কিন্তু ধর্মের লোকেরা জ্বীন ভূত প্রেত্নার আক্রমণ বলে চালিয়ে দিয়েছে।
২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা আপনি নিশ্চিত হলেন কি করে ? এটা আল্লাহ-ই বলেছেন।
আপনি কি আল্লাহর কাছে থেকে শুনে এসেছেন? আপনার এই কথাটা বলার স্টাইল আমার পছন্দ হচ্ছে না। আমার কি আল্লাহর কাছ থেকে শুনে আসার কথা! শোনেন, আপনি যেই তর্ক শুরু করতে চাচ্ছেন, তার জন্য আমার পোষ্ট যথোপযুক্ত না। আমি একজন বিশ্বাসী মানুষ। আমার বিশ্বাস আমার কাছে অনেক মুল্যবান। আপনি বিশ্বাস কি করেন, তা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নাই। আমি আমার পোষ্টে কোন ধরনের ক্যাচাল পছন্দ করি না।
আশা করি, আমি পরিস্কারভাবে বোঝাতে পেরেছি।
৭| ২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
শের শায়রী বলেছেন: এদেশে করোনার চিকিৎসা মানে হোম কোয়ারেন্টাইন। এর বাইরে মনে হয়না কোন চিকিৎসা আছে কয়েদির শরীরে করোনার লক্ষণ, বিপাকে কারা কর্তৃপক্ষ
২৩ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: করোনা'র নির্দিষ্ট চিকিৎসা এমনিতেও নাই। প্রিভেনটিভ মেজার হিসাবে হোম কোয়ারেন্টাইন অবশ্যই ভালো। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতা ভিন্ন কিছু বলে। কতোজন এটা করতে সক্ষম?
৮| ২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ ছাড়া আর আমাদের আপন কেউ নাই
২৩ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তা তো বটেই! আল্লাহ যাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন আমাদেরকে দেখাশোনা করার জন্য, তারা তা না করে বিদেশে টাকা পাচার করলে আমরা কি-ই বা করতে পারি কন!!
৯| ২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনন্যসাধারণ লেখা।
২৩ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ২২ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন মফিজ ভাই। আপনি বিদেশে বসে যতটা দুশ্চিন্তায় আছেন, আমরা পাশের দেশে থেকেও একই দুশ্চিন্তায় আছি। আজ এদেশে স্বেচ্ছায় জনতার কার্ফু বলবৎ হয়েছে। বিকালের খবর অনুযায়ী ৩১মার্চ পর্যন্ত রেল চলাচল বন্ধ থাকবে। ইতালির খবরটি আমাদের মতো অনুন্নত দেশকে সজাগ করেছে। আগামী দুসপ্তাহে একপ্রকার সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে থেকে ব্লগে চোখ রাখবো।
প্রতি দু/তিন ঘন্টায় সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করছি। অন্যদেরকেও একই অনুরোধ রইলো।
সবশেষে আপনার কথায় সঙ্গত দিয়ে শেষ করি, উপরওয়ালাই ভরসা।
২৩ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিদেশে বসে দুশ্চিন্তা বেশী।
আমি সবসময়ে একটা কথা বলি। ঘুর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে থাকলে যেমন বাইরের তান্ডব বোঝা যায় না, বাইরে যারা আছে শুধুমাত্র তারাই বোঝে; তেমনি দেশে যারা আছে, তারা অনেকটা ঘুর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে থাকার মতো। আমরা যারা বাইরে আছি, তারা বেশী অনুভব করতে পারি।
দেশে মানুষ খারাপ সিস্টেমটাকে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করে, তাই একসময়ে গা-সওয়া হয়ে যায়। আর আমরা খারাপ-ভালো দুই সিস্টেমের মধ্যে তুলনা করতে পারি। এটাই হলো, দৃষ্টিভঙ্গির তফাৎ।
আপনি যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছেন। সবাই আপনার মতো সচেতন হলে সমস্যা এমনিতেই অর্ধেক হয়ে যায়।
১১| ২২ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫
সোহানী বলেছেন: আপন ভাই বোন সবাই ডাক্তার। খুব টেনশানে আছি। বার বার সাবধান করছি কিন্তু তাদের ও করার কিছু নেই। বড় বোন এক সরকারী মেডিকেলের হেড অব ডিপো। ওকে রোগী অপারেশন ছাড়াও হাসপাতালের বাইরে ও হাজারটা কাজ সামাল দিতে হয়। কোনভাবেই কেউই আমাকে পাত্তা দিচ্ছে না। আমরাতো এখানে ঘরে বসে কাজ করতে পারি ও থাকতে পারি কিন্তু দেশে কোনভাবেই সম্ভব নয়।
মামা লন্ডনেই থাকে, কাল ফোনে বললো আপনাদের ওখানে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। তারউপর সকালেই প্রায় কিছু জিনিস শেষ হয়ে যাচ্ছে।........ আমরা এখনো পর্যন্ত ভালো আছি। ট্রুডো ড্রাস্টিক এ্যাকশানে নেমেছে।
২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমরা পাচ ভাইবোনের মধ্যে বড়বোনের চারজনের সংসার। চারজনই ডাক্তার। ছোটভাইও ডাক্তার। আব্বার খুব শখ ছিল, উনার বড় ছেলে (আমি!!) ডাক্তার হবে। ডাক্তারী পেশা হিসাবে আমার কোনকালেই পছন্দ ছিল না। দুই মাস সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে ক্লাশ করে ছেড়ে দিয়েছিলাম। আব্বাকে বলেছিলাম, যেটা আমাকে দিয়ে হবে না, সেটার জন্য আমাকে জোড়াজুড়ি করবেন না। দুঃখে উনি প্রায় দু'বছর আমার সাথে কথা বলেন নাই। যা হোক, সে এক বিরাট ইতিহাস। কিছু ব্যক্তিগত কথা বলে ফেললাম।
লন্ডনে এশিয়ান শপগুলোতে দাম বাড়িয়েছে। বৃটেনের বড়জোড় পাচভাগ মানুষ ওখানে শপিং করে। চেইন সুপার শপগুলোতে দাম তো বাড়েই নাই, উল্টা কোন কোন ক্ষেত্রে কমেছে। আর যারা এই সুযোগে দাম বাড়াচ্ছে, তাদের ফাইন করার প্রক্রিয়া চলছে।
আপনাদের ট্রুডো (এক অর্থে আমাদেরও। বৃটেনের রানী কানাডার রাষ্ট্রপধান! ) আমার খুবই পছন্দের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
১২| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২০
করুণাধারা বলেছেন: শোনা যায়, সরকারের এক বিজ্ঞ ব্যক্তি বলেছিলেন যে, গরম পড়লে করোনা এমনিই ঠান্ডা হয়ে যাবে, তাই গরমের থেকে সাহায্য পাবার আশায় তারা করোনা প্রতিরোধ করার জন্য কিছু ব্যবস্থা করেন নি। কিন্তু কথাটা নাকি ভুয়া! এই ভিডিও দেখেন: গরম করোনার কিছু করতে পারে না।
২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'গরম যতো বাড়বে, করোনার প্রভাব ততো কমবে' এটাতো আমার কথা না আপা। পোষ্টে বিস্তারিত বলেছি। WHO 'র ওয়েবসাইটে অনেক রিসার্চের ফাইন্ডিংস আছে। তবে, অনেকে প্রভাব কমা'কে ভুল বুঝছে। তারা মনে করছে, গরমে ভাইরাস নির্মূল হবে। ব্যাপারটা তা নয়। এরা চুপচাপ থাকবে, তারপরে সুযোগ বুঝে অনুকুল পরিবেশে আবার ঝাপিয়ে পড়বে।
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৫
টোনাল্ড ড্রাম্প বলেছেন: Bill Gates has a warning about deadly epidemics
https://www.youtube.com/watch?v=jDxb21qIilM&t=16s
২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখলাম। ধন্যবাদ।
১৪| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপাতত প্রাকৃতিক ভরসার উপরই ভরসা !
সিস্টেমের অযোগ্যতাতো বলাই বাহুল্য! যতটা মিডিয়াবাজি হয়েছে ঠিক তারচেয়ে বহুগুন পেছনেই বাস্তবতা!
পিপিই কিটই নাই যাদের তারা ঢালা নাই তলৌয়ার নাই নিধীরাম সর্দারের মতো করোনা যুদ্ধ মোকাবেলায় নাকি পূর্ন প্রস্তুত!
হায় আল্লাহ। ধরণী দ্বিধা হও!
আজ পবিত্র মেরাজ রজনী। সত্যিকারের বিশ্বাসী, মুসলমান, মুমিন, অলি, আউলীয়া আবদাল আওতাদ ... সকলে কায়মনেবাক্যে ক্ষমা এবং দয়ার প্রার্থণা করি। আল্লাহর যার হাত পছন্দ হয় তার উসিলায় কবুল করে নিয়ে আমাদের এই বালা থেকে রক্ষা করুন।
২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পিপিই কিটই নাই যাদের তারা ঢালা নাই তলৌয়ার নাই নিধীরাম সর্দারের মতো করোনা যুদ্ধ মোকাবেলায় নাকি পূর্ন প্রস্তুত! এদিকে মোদীর অনুরোেধ রাখতে সার্ক ফান্ডে দেড় মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী। টাকাটা কার? কোন জবাবদিহীতা আছে? এমন একটা দেশের মানুষ আমরা, বলার কিছু নাই।
আল্লাহ ছাড়া আসলেই কোন উপায় নাই। যদিও উচিত না তবুও চাই যে, তেলমার্কা কথা বলা অন্ততঃ একটা মন্ত্রীও যেন করোনার আক্রমনের শিকার হয়। তাহলেই একমাত্র এদের হুশ আসবে।
১৫| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১১
টোনাল্ড ড্রাম্প বলেছেন: এটা একটু পড়ে দেখবেন
https://news.rice.edu/2019/12/18/quantum-dot-tattoos-hold-vaccination-record/
২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়লাম। আবারও ধন্যবাদ।
১৬| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
কৌশলগত অসুবিধাগুলিকে এড়িয়ে কৌশলগত সুবিধাগুলি থেকে সর্বোচ্য সুবিধা আদায় করে নেয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
এবং বুদ্ধিমান মানেই ঘটনাপ্রবাহের গতিপ্রকৃতি জেনে বুঝে সেই মতো কৌশল প্রয়োগের জ্ঞানসমৃদ্ধতা।
এই অস্থির মূহুর্তে বুদ্ধিমান হওয়ার একটাই রাস্তা - সেলফ ইমপোজড কোয়ারেন্টাইন উইদাউট আ সেকেন্ড থট......
২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কৌশলগত অসুবিধাগুলিকে এড়িয়ে কৌশলগত সুবিধাগুলি থেকে সর্বোচ্য সুবিধা আদায় করে নেয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। একমত জী এস ভাই। কিন্তু কথা হলো, আমরা কি বুদ্ধিমান হতে পারছি? সেলফ ইমপোজড কোয়ারেন্টাইন অবশ্যই সবচেয়ে ভালো উপায়, তবে সবার পক্ষে কি এটা সম্ভব? যাদের পক্ষে সম্ভব না, অর্থাৎ যারা দিন আনে দিন খায় গ্রুপের, তাদের জন্য কি করার পরিকল্পনা সরকারের? এটা পরিস্কার না করলে তো মানুষ না খেয়ে মরবে!!
১৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: যেদিন নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বাকার রাদিয়াল্লাহু আনহুকে সাথে নিয়ে মক্কা ত্যাগ করেন, যে ঊষালগ্নে, সেদিন তারা দুজনে একটা গুহার মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পেছন থেকে শত্রু যখন একেবারে নাকের ডগায় চলে এলো, একেবারে গুহার মুখে, তখন ক্ষণিকের জন্য ভয় পেয়ে যান আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! এই বুঝি তারা আমাদের দেখে ফেললো’। তখন নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিউত্তরে যা বলেছিলেন, তা কুরআনে স্থান পেয়ে গেছে। তিনি বলেছিলেন, ‘হতাশ হয়োনা।
২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওকে.......হতাশ হইলাম না।
১৮| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২৬
নীল আকাশ বলেছেন: এই অস্থির মূহুর্তে বুদ্ধিমান হওয়ার একটাই রাস্তা - সেলফ ইমপোজড কোয়ারেন্টাইন উইদাউট আ সেকেন্ড থট......
গুরুজীর সারথে আমিও একমত।
রাজীব ভাই'কে লেখাকে আমি সামুতে সাতবছর ব্লগীং করেও চিল্লাম না। এতই দ্রুত ফেজ চেঞ্জ হয় যে খোদ করোনাও মনে হয় রেস হলে ফেইল করবে!!!!
২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওনার সাথে তো আমরা সবাই একমত.....এতে কোন সন্দেহ নাই। তবে, আমার চিন্তার ক্ষেত্রটা ব্যাখ্যা করেছি। গরীবদের জন্য কোন ব্যবস্থা না করলে তারা পেটের টানেই বের হবে।
ব্লগার রাজীব নুর এর ব্যাপারে আমার আলাদা আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে। আমি কিন্তু তাকে চিনে ফেলেছি বলেই আমার ধারনা!
১৯| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে আনঅফিশিয়ালি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫ জন। তার মধ্যে ৩ জনের মারা যাওয়ার পর করোনা সনাক্ত হয়েছে!
আমরা খুব করোনা মোকাবেলা করতেছি! খুইইইব।
২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি নিশ্চিত থাকেন, প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী।
২০| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
জুন বলেছেন: আল্লাহর উপর ভরষা ভালো কিন্ত আল্লাহ ও নবীজীর মাধ্যমে আমাদের একটু নড়াচড়া করতে বলেছেন। তবে একটা বালিশের দাম যদি হাজারের উপর উঠে আর দোতালায় মাল উঠাতে লাখ টাকা নেয় তাহলে সেই দেশে আর কি আশা করতে পারেন ভুয়া? আমার ছেলের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখলাম, "এই বিপর্যয়ে চীনের আলিবাবার জ্যাক মা এর সাহায্য নিচ্ছেন আপনারা কিন্ত আমাদের দেশের পীর দরবেশ থেকে শুরু করে বিশাল বিশাল সব ভুমি দস্যু, নদী দখলকারী আর মাদক ও ক্যাসিনো সম্রাজী থেকে মাদক চোরা কারবারিরা কেন এগিয়ে আসছে না সাহায্য দিতে? নাকি এদের সাহায্য নিতে ইজ্জ্বতে লাগবে আমাদের! "।
এই লেখা দেখে আমি ডড়াইলাম বল্লাম "আব্বু তোমাকে বিদেশ থেকে টেনে আনবে এসব লিখলে, ওনাদের হাত অনেক লম্বা "।
ওই যে কে জানি বলেছিল "অদ্ভুত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ"। এই অবস্থা আর কি। যদি আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা করোনার ভয়াল ছোবল থেকে মুক্তি পাই তাহলে আর এই দেশে টেকা যাবে না। সমস্ত সাফল্য করায়ত্ব করে বিভিন্ন যন্ত্রীদের বাদ্য বাজনায়।
আমরা খালি বারান্দায় বসেই ভাববো ভুয়া, কিছু করার ক্ষমতা যেন লোপ পেয়েছে আমাদের সবার।
ভালো লিখেছেন। +
২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাদের নড়াচড়া করার কথা, তারা নড়াচড়া করে না দেইখাই তো পুরাপুরি আল্লাহর উপরে ভরসা করা লাগে..তাই না! বাকী কথা আপনেই কইছেন.....সহমত।
আমাগো কিছু করনের নাই, এইটা ঠিক না। তবে আমাগো ক্ষমতা সীমিত। এই ক্ষমতা দিয়া চোখে পড়ার মতো কিছু করতে পারুম না, এইটা ঠিক। এর লাইগাই তো লেখি। যদি কিছু হয়!!
২১| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
জুন বলেছেন: আরেকটা কথা এই সময় দেশে একটা বিশাল কালবৈশাখী হইলেও পারতো। সব ভাইরাস মইরা শেষ হইতো আর কি
২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কালবৈশাখীও ভালো। তয় গরমটা বেশী দরকার। আমাগো হাসান কালবৈশাখী'রে কয়া দেখতে পারেন। হ্যায় যদি কিছু করতে পারে!!!
২২| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩০
জুন বলেছেন: আইচ্ছা একটা ছবি দেই আমাগো কন্ডোর। লিফটে একশ মানুষ উইট্টা সংক্রমণ ছড়াইবেন্না তার জন্য সিস্টেম। পায়ের চিনহ বরাবর দাড়াইতে হপে বুঝছেন
২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইনোভেটিভ!! মানুষ সচেতন হইলে অনেক কিছুই করতে পারে।
২৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২১
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এই পোস্ট পড়ার পরে একটা বুদ্ধি এলো লকডাউনের এই দিনগুলোতে আমি রোজ সকালে দুই ঘন্টা, দুপুরে দুই ঘন্টা আর রাতে ঘরের মধ্যে লক হয়ে বসে থাকবো। তাহলে নিশ্চয় ভাইরাসের বাচ্চা কাছেও আসতে পারবে না। এক্কেবারে চৈত্রের কাঁঠফাটা গরম পড়ছে। ভাইরাস কি পারবে তার সাথে?
আমি আশাবাদী, আমাদের দেশের মানুষরা অনেক কিছুই জানে না বা গ্রাহ্য করে না একবার যখন বুঝে যায় তখন কেউই তাদেরকে হঠাতে পারে না। আমার মনে হচ্ছে হয়তো একটু দেরী হবে তবুও গ্রামে গজ্ঞেও মানুষের মাঝে পৌছে যাবে সচেতনতা। কাউকে থুতু ফেলতে দেখলেই তার ঘাড় চেপে ধরবে মানুষ। এত গায়ে গায়ে লেগে থাকা বা একই ঘরে ৭ জন মানুষ ঘুমানোর সময়ও সাবধান হবে। এরপর থেকে এই করোনা ভাইরাসের পরে আরও কোনো মরোনা ভাইরাস এলেও কাবু করতে পারবেনা আর আমাদেরকে।
২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেকদিন পরে ব্লগে দেখলাম; আগে বলো, ফুপী এখন কেমন আছেন? আশা করছি উনি সুস্থ্য।
বেহুলা-লখিন্দরের কাহিনী জানো তো! তেমনই, করোনা ঢুকতে চাইলে ঠেকানো যাবে না। তবে, সাবধানে থাকলে সম্ভাবনা কমে, এই যা।
আমি আশাবাদী, আমাদের দেশের মানুষরা অনেক কিছুই জানে না বা গ্রাহ্য করে না একবার যখন বুঝে যায় তখন কেউই তাদেরকে হঠাতে পারে না। এমন আশাবাদী হতে পারলে তো ভালোই হতো। তবে, বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে অলরেডি। এখন সব আল্লাহর হাতে। সবাই সুস্থ্য থাকুক, দিনশেষে এটাই তো আমরা সবাই চাই।
২৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৪
শায়মা বলেছেন: ফুপী ভালোই আছে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের মত তাকে ঘরে আটকায় রাখা যাচ্ছে না। সে বলে, মরলে মরবো তোর কি? ওরে মরন আসলে কি কেউ তাকে ঠেকাতে পারে!!! তার মত নির্ভিক মানুষ এই দুনিয়ায় অবশ্য অনেক আছে। তবে অনেক কষ্টে তাকে নানা প্রান্ত থেকে ফোন দিয়ে বাসায় থাকতে বলার পরে মেজাজ খারাপ করে আছে।
যাইহোক এই করোনা কখন যে কোথা দিয়ে চলে আসে সেই ভাবনায় ভাবনিত আছি আমি!
২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: উনি ভালো আছেন জেনে ভালো লাগলো। মরন আসলে যেমন ঠেকানো যায় না, তেমনি মরনকে ডেকে আনারও কোন মানে হয় না। আল্লাহ সাবধান হতে বলেছেন, আমরা সাবধান হই; পরেরটা পরে দেখা যাবে।
যাইহোক এই করোনা কখন যে কোথা দিয়ে চলে আসে সেই ভাবনায় ভাবনিত আছি আমি! এখন ভাবাভাবির টাইম নাই, এখন সময় এ্যকশানের। ভালো কথা, আমার এই লেখাটা কি চোখে পড়েছে তোমার? আমার হলবেলা
২৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ ধর্মী পোস্ট ।+ করোনা সমূলে নিপাত হোক ।
২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: করোনা সমূলে নিপাত হোক। এটাই আমরা সবাই চাই। তবে সেটা শুধু চাওয়াতে সীমাবদ্ধ থাকলেই সমস্যা।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮
আরোগ্য বলেছেন: ডিজিটাল বাংলাদেশে নাকি এখন করোনা টেষ্ট করাও বন্ধ করে দিয়েছে। হোম কোয়ারান্টাইনে থেকে লোকমুখে শুনি। তবে যে আমোদ ফুর্তি করে গ্রামবাসীরাা ঢাকা ত্যাগ করিছে তাতে যদি কারও উপর করোনার সুদৃষ্টি পড়ে তবে নদীমাতৃক বাংলাদেশে শোকের নদী প্রবাহিত হতে সময় লাগার কথা না। যাই হোক সৃষ্টিকর্তার কৃপাদৃষ্টি আছে বিধায় এখনও মাতৃভূমি টিকে আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আজকের বিবিসি বাংলা'র নিউজে পড়লাম, অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সন্দেহভাজনদের পরীক্ষার আওতা বাড়িয়েছে। আমার কথা হলো, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া দেশে কিছুই যখন হয় না, তখন নির্দেশ দিতে উনি এতো দেরী করেন কেন?
আমাদের সরকারের লোকজনই পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝে না; জনগন বুঝবে কিভাবে? এমনিতেই বাঙ্গালী বীরের জাতি, এসব করোনা ফরোনাকে থোরাই কেয়ার করে তারা!!!
সাবধানে থাকবেন। আল্লাহ ভরসা।
২৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৯
নায়লা যোহরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর লেখার জন্য।।
০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
আমাদের দেশের পরিস্থিতি কি হবে তা এখনো বুঝতে পারছিনা । একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করা ছাড়া সেকেন্ড অপশন নাই । আবহাওয়ার কারণে কোন পরিবর্তন হবে কিনা তাও বুঝতে পারছি না । কারণ একেক জায়গায় একেক রকম লেখা পড়ছি আবহাওয়ার তারতম্যের সম্পর্কিত। আর যাদের পরিবারে চিকিৎসক আছেন তাদের চিন্তা তো একটু বেশিই ।
আপনি ও আপনার পরিবারের সকলে ভালো ও নিরাপদে থাকুন।
০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই করোনা ভাইরাসের ভাব-গতিক সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনও খুব বেশী কিছু জেনে উঠতে পারে নাই। বিভিন্ন দেশে গবেষণা চলছে প্রতিনিয়ত। ডব্লিউএইচও সেগুলোকে ডাটা বেইজ তৈরী করে কম্পাইল করে করে রাখছে। বিভিন্ন স্টাডিতে বিভিন্ন রকমের ফাইন্ডিংস আসছে। তবে করোনা যেহেতু একটা ফ্লু ভাইরাস, তাই এই জাতের ভাইরাসের কিছু সাধারন বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে আছে। তার মধ্যে তাপমাত্রা সহনশীলতার (টেম্পারেচার সেনসিটিভিটি) ব্যাপারটা অন্যতম। সময়ে এটা সম্পর্কে ধারনা পুরাপুরি পরিস্কার হয়ে আসবে।
চিন্তা ছাড়া এতোদুর থেকে খুব বেশী কিছু আমার করার নাই। এদিকে, খুব বেশী চিন্তা করাও আমার স্বভাবে নাই। আল্লাহ ভরসা।
আপনিও নিরাপদে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
২৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:২২
আমি সাজিদ বলেছেন: ডাক্তারদের গালাগালি করলে খারাপ লাগে। তবে, এই দোষ আমাদের আগের জেনারেশনগুলোর কিছুকিছু ডাক্তারের, কমিশনের ধান্দা তারাই বানাইসেন। রেফারেল সিস্টেম তারাই চালু করতে দেন নাই। এখনও হাতে আইফোন নিয়ে ঘুরলেও কোম্পানীর এম আর এর গিফট করা মশারী দেখলে তাদের হাত নিশপিশ করে। কি বলবো, কাদের বলবো ?
তবে তবে
আমার জার্মানিতে থাকা বন্ধুর ইমারজেন্সি সেবা পেতে যে সময় লাগে বাংলাদেশে তার চেয়ে অনেক অনেক কম সময়ে সেবা পাওয়া যায়। জুনিয়র আর মিড লেভেলের ডাক্তাররা গাধার মতো খাটে সরকারী হসপিটালগুলোতে। কিন্তু সিস্টেমে এমন প্যাচ লাগছে যেটা খোলা কঠিন বেশ।
আমার দেশে তো রিট করে মেডিকেল ট্রেনিং স্কুলের ডিপ্লোমা ভাইরা নামের আগে ডাক্তার লিখে পেরিফেরিতে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে, বুঝেন অবস্থা ! অথচ গোটা দুনিয়ায় একমাত্র মেডিকেল সায়েন্সেই স্কিল মাইগ্রেট করা সবচেয়ে কঠিন। লাইসেন্স এক্সাম দেওয়া লাগে, এরপরেও এক দেশের ডাক্তার অন্যদেশে প্র্যাকটিস করার কতো কঠিন নীতিমালা !
ধাধা সব।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ডাক্তারদের গালাগালি করলে আমারও খারাপ লাগে, কারন পোষ্টেই বলেছি। তবে, আমাদের দেশে পুলিশ, ডাক্তার, উকিল ইত্যাদি পেশার মানুষদেরকে তো লোকে খামাখা গালি দেয় না, যথাযথ কারন অবশ্যই আছে। নতুনরা দেশকে বদলে দেয়ার স্বপ্ন দেখে, কিন্তু পুরানোদের তৈরী করা সিস্টেমের সাথে কিছুদিন পরেই একাত্ম হয়ে যায়। এই ভিশাস সার্কেল থেকে বের হওয়ার কোন সুযোগ আমি আপাততঃ দেখছি না। পরিবর্তন আপনারাই করতে পারবেন, সেটা মানি; কিন্তু কবে নাগাদ? সেটা একেবারেই জানা নাই।
জার্মানীর কথা জানি না। আমি বৃটেনের কথা বলতে পারি। এখানকার মতো দারুন একটা সিস্টেম পৃথিবীর খুব বেশী দেশে নাই। প্লাব দিয়ে বৃটেনে চলে আসেন। নিজের চোখে ভালোটা দেখেন। তাহলে হয়তো আপনার মতো কেউ কেউ দেশ পাল্টাতে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
দেশের বর্তমান অবস্থার কথা বলে লাভ নাই। সময় নষ্ট। মাছ ব্যবসায়ীও সেখানে নামের সাথে ডাক্তার লাগিয়ে চিকিৎসা করতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লেখা।