নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যপ্রাচ্যে হাওয়া বদলের রাজনীতিঃ পেছনে কলকাঠি নাড়ছে করোনা ভাইরাস নাকি তেল?

১৩ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:০৪



করোনা ভাইরাসের উপুর্যপুরি হামলায় বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব এবং তার অর্থনীতি। বিশ্ব-অর্থনীতির হর্তাকর্তাদের ধারনা, এই বিপর্যস্ততা সহসা কাটবার নয়। উল্লেখ্য, বিশ্ব-অর্থনীতির প্রধান ধারক-বাহক এবং প্রভাব বিস্তারকারী বলয় হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব (বিশেষ করে আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপ) এবং চীন। করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠে চীনের নজর এখন সামনের দিকে। এদিকে আমেরিকা এবং ইউরোপ এখনও এই সমস্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে। আজ যদি মনে হয় পরিস্থিতি একটু উন্নতির দিকে, তো কাল মনে হয়, না…..'দিল্লি হনুজ দূর অস্ত' অর্থাৎ দিল্লি এখনো অনেক দূর! এমনি এক অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে এক জমজমাট চিত্রনাট্য রচনা হতে যাচ্ছে, যা এখনও হয়তোবা সবার মনোযোগ সেইভাবে আকর্ষণ করে উঠতে পারে নাই। কি সেটা? মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির প্রধান কুশীলব যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপ। যার পিছনের কারন, সেই আদি এবং অকৃত্রিম তেল এবং অবশ্যই, হালের করোনা ভাইরাস।

আমেরিকা সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে তারা তাদের সৌদি আরবে মোতায়েন চার ব্যাটারী সারফেস টু এয়ার প্যাট্রিয়ট ক্ষেপনাস্ত্র এবং তার সাপোর্টিং বিমান এবং লোকজন সরিয়ে নিবে। ঘোষণা অনুযায়ী আমেরিকা ইতোমধ্যেই দু'টি ব্যাটারী, তাদের দুই স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমান এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামরিক লোকজন (সংখ্যাটা প্রায় তিন শত) সরিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া আমেরিকা গাল্ফ উপসাগরীয় অন্চলে তাদের নৌবাহিনীর উপস্থিতিও হ্রাস করতে যাচ্ছে। আমেরিকার ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল আর কাতারের আল জাজিরাতে প্রকাশিত এই সংবাদে সৌদিদের আরামের ঘুম হারাম হওয়ার উপক্রম। 'প্যাট্রিয়ট' নামধারী এই ডিফেন্সিভ মিসাইল সিস্টেমটা আসলে কি? অতি সংক্ষেপে বলতে গেলে, এটি শত্রুপক্ষের মিসাইলকে লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই আকাশে ধ্বংস করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে দৃশ্যতঃ ইরানের হুমকি থেকে সৌদি তেল স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করার জন্যই এই সিস্টেমটাকে সেখানে মোতায়েন করা হয়। তাছাড়া সম্প্রতিকালে ইয়েমেনের হুতি মিলিশিয়াদের মিসাইল আক্রমনের মুখেও এটা সৌদিদের একটা বড় ভরসাস্থল ছিল।

আমেরিকা এই সিদ্ধান্ত কেন নিল? তাদের তরফ থেকে সোজাসাপ্টাভাবে বলা হচ্ছে, বর্তমানে ইরান এই অন্চলে যুক্তরাস্ট্রের কৌশলগত ইন্টারেস্টের জন্য কোন তাৎক্ষণিক হুমকি বলে আর প্রতীয়মান হচ্ছে না। আমেরিকান নীতি-নির্ধারকদের মতে, জানুয়ারীতে জেনারেল কাশেম সোলাইমানীর হত্যাকান্ড আর সাম্প্রতিক করোনার আক্রমনের ফলে ইরান ছ্যাড়াবেড়া হয়ে এ'অন্চলে তাদের কর্তৃত্ব স্থাপনের সক্ষমতা হারিয়েছে। ফলে পেন্টাগন ভাবছে, মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনকৃত রিসোর্স বরং এশিয়া প্যাসিফিকে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক প্রভাবের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হোক। কিন্তু ব্যাপারটা কি আসলেই তাই? আমেরিকা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি যতোই চীনের দিকে ঘুরিয়ে দেবার চেষ্টা করুক না কেন, দুনিয়ার হালচালের খবর যারা রাখে তারা কিন্তু তাদের বেহাল অবস্থা ঠিকই আচ করতে পারছে। ব্যাপারটা আরেকটু পরিস্কার করার জন্য বরং চলুন, অল্প একটু পিছনে যাই।

অনেক বিশ্লেষকের মতে, সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাসের আক্রমনে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র তাদের ব্যয় কমানোর কৌশল হিসাবে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের উপস্থিতি হ্রাস করছে। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, অতিসম্প্রতি সৌদি আরব কর্তৃক তেলের উৎপাদন বাড়ানো আর দাম কমানো নিয়ে ওয়াশিংটনের সাথে রিয়াদের মনকষাকষি তুঙ্গে ওঠে। ঘটনার সূত্রপাত হয় সাম্প্রতিক সৌদি-রাশিয়া তেল যুদ্ধের মাধ্যমে। গত মার্চে তেলের দাম মডারেট রাখার লক্ষ্যে সৌদি আরব চেয়েছিল রাশিয়া তাদের তেল উৎপাদন ওপেকের সাথে মিল রেখে কমিয়ে আনুক; এটা একই সঙ্গে আমেরিকারও চাওয়া ছিল। কিন্তু রাশিয়া সৌদিদের বা অন্যকথায়, ওপেকের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন কমাতে রাজি হয় নি। তাই সৌদি আরবও বাধ্য হয়ে উৎপাদন চালু রাখে, যার ফলশ্রুতিতে ৮ই মার্চ নব্বুই সালের গাল্ফ যুদ্ধের পরে তেলের সবচেয়ে বড় দরপতন ঘটে।

মনে রাখতে হবে, আমেরিকা একই সাথে তেলের আমদানি এবং রপ্তানীকারক দেশ। এরা অপরিশোধিত তেল আমদানী করে, আর পরিশোধিত তেল রপ্তানী করে। এখন ঘটনা হলো, এরা রেগুলার দামে তেল আমদানী করে তাদের রিজার্ভয়ারগুলোকে উপচানো অবস্থায় রেখেছে, আর করোনা ভাইরাসের কারনে বিশ্বব্যাপি তেলের ব্যবহার ভীষণভাবে কমে যাওয়ার ফলে যেহেতু রপ্তানী করতে পারছে না, সেটাও, অর্থাৎ রপ্তানীযোগ্য তেল, উপচানো অবস্থায় আছে। সত্যি বলতে সোজা বাংলায়, এই মজুতদারীর কারনে তেল রাখার আর জায়গা নাই আমেরিকায়। এদিকে গোদের উপর বিষফোড়ার মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো তাদের উৎপাদন বাড়িয়ে ক্রেতাদেরকে ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। ফলে আমেরিকান তেল কোম্পানীগুলোর পক্ষে আগের দামে কেনা তেল বর্তমান দামে বিক্রয় করা আত্মহত্যার শামিল, তাই তারা অনেকেই এখন দেউলিয়া হবার পথে। আমেরিকার অর্থনীতি তথা স্টক মার্কেটে তেল কোম্পানীগুলোর প্রভাব সুবিদিত। এদের হয়ে অনেক সিনেটরই নীতি-নির্ধারনী লড়াই করে আমেরিকান রাজনীতিতে। এরা এ'লক্ষ্যে হোয়াইট হাউজকেও চাপের উপরে রাখে। এমনি একজন, নর্থ ডাকোটার সিনেটর কেভিন ক্র্যামার বলেন, আমরা আমাদের তেলের বাজার ধ্বংস করার জন্য সৌদি আরবকে অনুমতি দেইনি। আমাদের 'বন্ধুদেশ' যদি আমাদের স্বার্থ না দেখে, তবে তাদের রক্ষার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করতে যাবো কোন দুঃখে!?

এসব কারনেই তেল উৎপাদন কমানোর জন্য সৌদি আরবের উপর আমেরিকান চাপ অব্যাহত থাকে। রয়টার্স জানায়, এপ্রিলে সৌদি যুবরাজ সালমানকে হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলে, তোমরা যদি কথা না শোনো, তাহলে সেখান থেকে আমেরিকান ফ্যাসিলিটিজ প্রত্যাহার করা হবে। ফলতঃ এই প্রত্যাহার তারই একটা পদক্ষেপ। এখানে এই অভাবের দিনে আমেরিকার আরেকটা লাভ হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। ইরান আর হুতিদের ভয়ে কম্পমান বদমাশ সৌদি যুবরাজ তথা সৌদি প্রশাসন নিজস্ব প্যাট্রিয়ট ব্যাটারীর অর্ডার দিয়ে বসতে পারে! সাথে ঘাটতি পূরনের জন্য অন্যান্য অস্ত্রপাতির ব্যাপার স্যাপার তো আছেই!! সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমরাস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা আবালীয় রাজতন্ত্রের দেশ সৌদি আরবের আরেকটা বিলিয়ন ডলারের ক্রয়চুক্তি সময়ের ব্যাপার মাত্র! আপনারা অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন যে, সর্বস্ব নিবেদনকারী প্রমানীত বন্ধুর সাথে আমেরিকার সাপ মারা এবং লাঠি না ভাঙ্গার এই 'ইমোশনাল অত্যাচার' কেন? কারন এটাই যুক্তরাষ্ট্রের নীতি!

একসময়ে শুধুমাত্র ইসরায়েলকে বলা হতো মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার…...দুষ্ট ক্ষত। এখন যুক্ত হয়েছে সৌদি আরব। এরা মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে একটা ক্যান্সারের মতো। ইন ফ্যাক্ট, মধ্যপ্রাচ্যের বলতে গেলে প্রায় সবক'টা দেশই প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে বর্তমানে ইসরায়েলের মিত্র দেশে পরিনত হয়েছে। তাই আমেরিকার পদ লেহনকারী সৌদি আর তার দোসরদের একটা উচিত শিক্ষার দরকার আছে। ইরানের ইতিহাস বলে, এরা মন্দের ভালো। কারন এরা আগ বাড়িয়ে কারো সাথে যুদ্ধে জড়ায় না, তবে কেউ বেশী মাতবরী করলে উচিত শিক্ষা দিতেও ছাড়ে না। ইরানের আরেকটা ভালো দিক হলো, এরা সৌদি আর তার দোসরদের মতো ফিলিস্তিন জনগনের সাথে বেইমানী করে নাই। আমেরিকা আর ইসরাইলকে পশ্চাদ্দেশ খুলে না দিয়ে বরং এই দুই দেশকে (একটা সন্ত্রাসীর সহায়তাকারী, আরেকটা আপাদমস্তক সন্ত্রাসী) চাপে রেখেছে।

স্বভাবিকভাবেই আমেরিকার এই পদক্ষেপ আন্চলিক প্রভাব বিস্তারে ইরানের জন্য একটা সুবর্ণ সুযোগ। তবে ইরানের পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে রক্ষনশীল রেভ্যুলেশনারী গার্ড বাহিনী আর উদারপন্থিদের মধ্যে দ্বন্ধ রয়েছে। রেভ্যুলেশনারী গার্ড এখনই পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে, তবে উদারপন্থিরা আমেরিকার আগামী নির্বাচন পযন্ত অপেক্ষা করার পক্ষপাতি। আসল কথা হলো, তাড়াহুড়ার কিছু নাই বরং করোনা আর অর্থনীতির ঝামেলাই এখন সবচেয়ে বড় ঝামেলা!

আমাদের আগের যুগের জমিদারদের কথা সবাই জানেন। তারা জমিদারী হারানোর পরেও ঠাটবাট বজায় রাখার চেষ্টা করতো। কিন্তু আয় না থাকলে ব্যয় কিভাবে হবে? তাই ইজ্জতের উপরে হামলা স্বীকার করে, অভাবের কথা ইনডাইরেক্টলি মেনে নিয়ে একসময়ে তারা টোন ডাউন করতে বাধ্য হয়। পরাক্রম আমেরিকার অবস্থাও অনেকটাই সেইরকমের এখন। হেন করেঙ্গা, তেন করেঙ্গা বাদ দিয়ে তারা এখন তাদের নিজেদের লুঙ্গি সামলাতে ব্যস্ত। যেমন, আফগানিস্থানে তালেবানদের সাথে শান্তিচুক্তি, সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার, ইরাকী পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সৈন্য মোতায়েন রেখে এখন প্রত্যাহার করা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তবে সাপ মরার আগেও সুযোগ পেলে একবার ছোবল মারে। করোনার ঝামেলা মিটলে আমেরিকা সেই ছোবল মারবে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়ে। তাতে করে তারা তদের মারনাস্ত্র দু'পক্ষের কাছেই বিক্রি করে নিজেদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা চালাবে। বলা যায় না, বাংলাদেশ আর মায়ানমারের মধ্যেও যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারে! সাপকে কোন বিশ্বাস নাই।

অতএব…...সাধু সাবধান!!!


ফটো এবং তথ্য ক্রেডিটঃ গুগল।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: সৌদি বাদশা এতটাই নির্বোধ সালান্য তেলের সঠিক ব্যবহার করতে পারলো না।

১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তেলের সঠিক ব্যবহার করে নাই! বলেন কি?

এত্তো এত্তো অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনলো আম্রিকা থেকে; যা দিয়ে ইয়েমেনের শিশুদের মারলো। কাস্টোমাইজড কার-প্লেন, সোনার কমোড, বিদেশে গেলে সাথে ব্যক্তিগত লিফট ইত্যাদি ইত্যাদি তো তেল দিয়েই করলো! নাকি! :)

২| ১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সৌদির হাওয়া যাওয়া শুরু হয়েছে

১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইতিহাস বলে.....কারো হাওয়াই দীর্ঘস্থায়ী নয়।:)

৩| ১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৪০

নতুন বলেছেন: এই বিষয়গুলি মানুষ বোঝে না।

তারা আমেরিকার ফাদে পা দিয়ে আল কায়দা, মুজাহেদিনের পক্ষে প্রচারনা চালায়।

আমেরিকার এই সন্ত্রাসবিরোধি যুদ্ধ আর WWF দেইটাই সাজানো।

১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানুষ বুঝবে কিভাবে......তারা তো আম্রিকা বলতেই অজ্ঞান। বিচার-বুদ্ধি কাজে লাগালেই না বুঝবে।

আমেরিকা একে ওকে কিছুদিন ব্যবহার করে টিস্যু পেপারের মতো ফেলে দেয় দরকার ফুরালেই। যাকে ব্যবহার করে, সেই বুঝে না...রাম-শ্যাম কি বুঝবে! আগে এক ইসরাইলকে দিয়ে পুরা মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণ করতো। এখন তো আমাদের সৌদি ভায়েরা এগিয়ে এসেছে। এদের অবস্থা ‘বাশের চেয়ে কন্চি বড়‘ এর মতো।

সন্ত্রাস-বিরোধি যুদ্ধ হচ্ছে একটা আফিম, যেটা সুযোগ মতো আমেরিকা একে-তাকে খাওয়ায়। :)

৪| ১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

সাইন বোর্ড বলেছেন: সৌদি বাদশার একটা উচিৎ শিক্ষা হওয়া খুব দরকার !

১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাদশাহ আর কি, তার ছেলেই কি কম যায়? সে আরো এক কাঠি সরেস। ইতিহাস বলে, সবারই উচিত শিক্ষা হয় একটা সময়।
একটা সময়ের সুবিশাল বৃটিশ সাম্রাজ্যও এখন নাই।

হিন্দিতে একটা কথা আছে, হার কুত্তেকা দিন আতা হ্যায়!! B-)

৫| ১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: সৌদি সামান্য তেল দিয়েই অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতো। আজ দুবাই কোথায়? আর তারা কোথায়?
তেল বিক্রি করে তারা জুয়া খেলেছে।

১৩ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তেলকে সামান্য বলছেন কেন বুঝলাম না। তেলের যে বহুবিধ ব্যবহার আছে, এটা আমাদের দেশের মন্ত্রীদেরকে দেখলেও তো আপনার বোঝার কথা। :P

সৌদি আরবের বিলাসিতার ফুটানি আর বেশীদিন নাই। পিপিলিকার পাখা হলে কি হয় তো জানেন.......সালমান (সৌদি যুবরাজ, আপনার প্রিয় সালমান খান না) হচ্ছে সেই পিপিলিকা। ওর দিন দ্রুত শেষ হয়ে আসছে।

৬| ১৩ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:১০

কল্পদ্রুম বলেছেন: আমেরিকার প্যাট্রিয়ট ইসরায়েলের আয়রন ডোমের অনুকরণ।সম্ভবত ইসরায়েল প্যাট্রিয়ট তৈরিতে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তাও করেছে।কিন্তু এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সম্পূর্ণ টেকনলজি আমেরিকাকে এখনো দেয়নি।যদি তাই হয় তাহলে সৌদি চাইলেও প্যাট্রিয়ট বা আয়রন ডোমের টেকনোলজি কিনতে পারবে না।

আমার ব্যক্তিগত মত।মিয়ানমারের সাথে আমাদের কখনোই যুদ্ধ হবে না।সে আমেরিকা বা অন্য যে দেশই চেষ্টা করুক।প্রথমত আমরা জনগণ কখনো এতে সমর্থন দেবো না।তার চেয়ে বড় কথা একটা সুগঠিত মিলিটারি গভমেন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত নেতৃত্ব এবং প্রশাসনিক দক্ষতা কোনটাই আমাদের নাই।

১৩ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ১। প্যাট্রিয়ট ইসরায়েলের আয়রন ডোমের অনুকরণ না, যদিও একই কাজ করে। ইসরায়েল প্যাট্রিয়ট তৈরীতে না, আমেরিকা আয়রন ডোম তৈরীতে টাকা এবং প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করেছে। তাই আয়রন ডোমের টেকনোলজি এমনিতেই আমেরিকার কাছে আছে।

২। প্যাট্রিয়ট এবং আয়রন ডোম, দু‘টাই বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে খরিদ করেছে, সৌদি আরব কেন নয়?

৩। মিয়ানমারের সাথে আমাদের যুদ্ধ না হোক এটা আমরা সবাই চাই। তবে, জনগনের মতামত নিয়ে দেশে কিছু হয় জানতাম না। একটা সুগঠিত মিলিটারি গভমেন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত নেতৃত্ব এবং প্রশাসনিক দক্ষতা কোনটাই আমাদের নাই। তবে পেছন থেকে পাগলকে সাকো নাড়ানোর বুদ্ধি যখন কেউ দেয় তখন? যদি বলে, তোমরা শুরু করো......আমরা সব সহায়তা দিবো, তখন? আপনিই বলেছেন, আমাদের প্রশাসনিক দক্ষতা নেই। দেশের শাসকের যদি এই দক্ষতাটুকুও না থাকে, তাহলে আমেরিকার ফাদে পা দিতে কতোক্ষন?

৭| ১৩ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

মেটালক্সাইড বলেছেন: হিলারি ক্লিনটন তার সময়কালে মধ্যপ্রাচ্য যে স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়ন করেছিলেন, বর্তমানে জ্যারেন্ড কুশনার ও ইভাঙ্কা ট্রাম্প ইহুদি এক্সট্রিজমের কারণে তা লেজে গোবরে করে ফেলেছে এবং তাদের একটি মাকাল ফল হচ্ছে এমবিএস।
মূলত জেনারেল কাসেমিকে হত্যা মারাত্নক একটি ভুল আমেরিকার জন্য। অপরিপক্ক কাজটি যতটুকু সম্ভাবনা জ্যারেন্ড কুশনার ও মাকাল ফল এমবিএস এর পরিকল্পনায় হয়েছে।
হিলারির স্ট্র্যাটেজি ছিল একটি দীর্ঘমেয়াদি আমেরিকার জন্য লাভজনক পরিকল্পনা। তবে ছোট একটি ভুল ছিল আর ভুলটি হচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিন।
আরো বড় নাটকীয়তা বাকি রয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যর নাট্যমঞ্চে।

১৩ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরো বড় নাটকীয়তা বাকি রয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যর নাট্যমঞ্চে। ঠিক। মধ্যপ্রাচ্যের নাট্যমঞ্চে নাটকের মন্চায়ন তো সবে শুরু। করোনা যাক; তারপরে খেলা জমবে মনে হয়!
জ্যারেন্ড কুশনার ও ইভাঙ্কা ট্রাম্প কিংবা বুইড়া ট্রাম্প যাই বলেন না কেন, এরা পলিটিশিয়ান না......আপাদমস্তক ব্যবসায়ী। পলিটিশিয়ানদের মতো চেক এন্ড ব্যালেন্স করে চলা এদের পক্ষে সম্ভব না; লেজে গোবরে তো করবেই! আর এমবিএস হলো একটা ওভারস্মার্ট ছাগল। তফাৎ শুধু, সে কাঠাল পাতা খায় না। =p~

৮| ১৩ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

কল্পদ্রুম বলেছেন: আমার জানার সীমাবদ্ধতার জন্য দুঃখিত।আপনি ঠিক বলেছেন। প্যাট্রিয়ট আয়রন ডোমের অনেক আগের টেকনোলজি।তবে আয়রন ডোম প্যাট্রিয়টের অনুকরণে তৈরি এটাও ঠিক নয়।দুটোই surface to air defence system হলেও দুটোর কাজের ধরণ ভিন্ন।

প্রাথমিক ফান্ডিং এবং টেকনোলজি দুটোই ইজরায়েলের নিজস্ব।আমেরিকার ফান্ডিং অনেক পরে এসেছে এবং এর পিছনে আমেরিকার শর্তই ছিলো ফান্ডিং এর বিনিময়ে ভবিষ্যতে যেন উভয় দেশ টেকনলজি শেয়ার করে।উইকিপিডিয়ায় আয়রন ডোমের ফান্ডিং অংশটাতে এ সম্পর্কে আমেরিকান অফিশিয়াল কোটেশন সহ বিস্তারিত লেখা আছে।

সেই টেকনলজি যে আমেরিকা এখনো হাতে পায়নি সে অভিযোগ ইউএস আর্মির।এর কোন সংবাদ পত্রিকার সূত্র আপনাকে দিতে পারছি না বলে দুঃখিত।এটা গুজব বলে ধরে নিন।

প্যাট্রিয়টের অনেকগুলো ভেরিয়েন্ট আছে।২০১১ এর ডিপ্লয়মেন্টের পর থেকে আয়রন ডোমেরও আপগ্রেড হচ্ছে।যেসব দেশ প্যাট্রিয়ট কিনেছে তারা অনেকেই সেকেন্ড হ্যান্ড প্যাট্রিয়ট কিংবা আগের ভেরিয়েন্ট গুলো কিনেছে।সবচেয়ে বড় বিষয় তারা কেউ টেকনলজি কেনেনি।মিসাইলগুলো কিনেছে।আয়রন ডোমের টেকনলজির ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার।আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও আয়রন ডোমের ইন্ডিয়ান ভার্সন তৈরি করার চুক্তি করতে চেয়েছিলো।পরে ইসরায়েল সিস্টেম টেকনলজি দিতে রাজি হওয়ার পর নরেন্দ্রজি বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেন।এখন চুক্তিতে কি আছে সে তারাই ভালো জানে।

সেক্ষেত্রে আপনি ঠিকই লিখেছেন।সৌদি বাদশাহ এরকম কিছু কিনতে পারেন!কিন্তু বিক্রিকৃত সিস্টেমগুলোর একুরেসি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।এমনকি স্বয়ং আমেরিকান প্যাট্রিয়টের একুরেসি নিয়েও প্রশ্ন আছে।কেবল IDF এর আয়রন ডোম এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল ADS বলে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রমাণিত।

জনগণের মতামত নিয়ে কোন কিছু না হলেও,আমাদের মত দেশের পক্ষে অন্তত যুদ্ধে জড়ানো সম্ভব না।একেবারে অন্ধ বিশ্বাস নয়।এর পিছনে মোটামুটি টাইপের যুক্তি আছে।এই স্বল্প পরিসরে সেগুলো না বলি।

এই সব বিষয়ে আপনি আমার থেকে যদিও অনেক বেশি জানেন।নিজের জানার জন্যই এতকিছু লেখা।কিছু মনে করবেন না।

১৩ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আয়রন ডোম প্যাট্রিয়টের অনুকরণে তৈরি এমন কথা তো আমি বলি নাই রে ভাই। রেথিওন টেকনোলজিস কর্পোরেশান একটা আমেরিকান কোম্পানী। এটা আয়রন ডোম নিয়ে ইসরায়েলের সাথে এক্টিভলি কাজ করেছে। আপনার কি মনে হয় আমেরিকা সেই জিনিস যে তারা এই প্রযুক্তি হস্তগত না করেই কাজ করেছে? আমি তো এইটা কোনদিনই বিশ্বাস করবো না।

প্যাট্রিয়ট বা আয়রন ডোম দুটারই বিভিন্ন আপগ্রেডেড ভেরিয়েন্ট ছাড়াও বিভিন্ন রেন্জের মিসাইলের জন্য আলাদা আলাদা প্রজেক্টও আছে। আপনি যেহেতু এ‘সম্পর্কে পড়েছেন, তখন এটাও জানেন যে প্রযুক্তির ভিন্নতা থাকলেও বিশ্বের অনেক দেশেরই নিজস্ব এই সিস্টেমটা আছে। আর অনেক দেশই এটা নিয়ে কাজ করছে। বিশ্ব-রাজনীতির ততোটুকুই আমরা জানি, যা আমাদেরকে জানানো হয়। ভারত-ইসরায়েল চুক্তিতে কি আছে সেটা না জানালে আমরাও জানবো না......তবে কিছুটা অনুমান তো অবশ্যই করা যায়।

জনগণের মতামত নিয়ে কোন কিছু না হলেও,আমাদের মত দেশের পক্ষে অন্তত যুদ্ধে জড়ানো সম্ভব না।একেবারে অন্ধ বিশ্বাস নয়।এর পিছনে মোটামুটি টাইপের যুক্তি আছে। আমিও এটাই বিশ্বাস করি, তার সাথে এটাও মানি যে, অনেক কিছুই আপাতঃদৃষ্টিতে অসম্ভব মনে হলেও অনেক সময়ে হয়ে যায়। আর আজকাল যুদ্ধ শুরু করা যায় আঙ্গুলের ডগা দিয়ে। কখন কি হয়ে যায়, বলা মুশকিল।

এই সব বিষয়ে আপনি আমার থেকে যদিও অনেক বেশি জানেন।নিজের জানার জন্যই এতকিছু লেখা।কিছু মনে করবেন না। এই কথা বলে আমাকে খামাখা শরমিন্দা করলেন। কিছু মনে করার তো প্রশ্নই আসে না, তবে আপনাকে এটাও নিশ্চিত করছি যে, এসব ব্যাপারে আমার জ্ঞানের পরিধি সীমিত।

আমি অলস মানুষ, বেশী টাইপ করতে কষ্ট (আলসেমী) লাগে। তারপরেও আপনার সাথে আলোচনা করে খুব ভালো লাগলো। ব্লগে এ‘ধরনের আলোচনা খুবই জরুরী। এখানেই ব্লগার আর ফেসবুকারের মধ্যে পার্থক্য!!:)

৯| ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ ,




ইতিহাস বলে এবং আপনিও একটি প্রতিমন্তব্যে বলেছেন - কারো হাওয়াই দীর্ঘস্থায়ী নয়। “

সর্বময় ক্ষমতার লোকটিকেও এক সময় সরে যেতে হয়, ঝরে পড়তে হয়, এটাই ইতিহাসের লেখা।

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অতীব সত্যি কথা বলেছেন জী এস ভাই। :)

১০| ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারা আরবের লোক হয়েও কোরআনের বাণীকে ভুলে গেছে!
আল্লাহ বলছেন- আমি পর্যায়ক্রমে আবর্তন ঘটাই। তারা কি দেখে না পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছিল।
অথচ তারা চলার পথেই তাদের ধ্বংষ্তুপের পাশ দিয়ে চলাচল করে! তবুও কি তাদের হুশ হবে না?

হায় !
আল্লাহর রহমত অবারিত হলো মাদানীওয়ালার দয়ায়। অথচ তারা পারিবারতন্ত্র এবং ইসলামের
বিরুদ্ধ শক্তির পায়রবিতে সেই নেয়ামত ব্যবহার করছে। মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধেই।
এর শাস্তি তাদের পেতেই হবে। ইহকালে এবং পরকালেও।

সত্য বিজয়ী হোক। মিথ্যা পরাজিত হোক।

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যদিও এভাবে বলা ঠিক না, তবে আমার এদেরকে ঠিক মুসলমান মনে হয় না। ধর্ম প্র্যাকটিসে মানুষের গাফিলতি থাকতেই পারে, কিন্তু বেসিকে গাফিলতি থাকা তো মেনে নেয়া যায় না। ইস্তান্বুলে দেখে এসেছি উসমানীয় সাম্রাজ্যের শান-শওকত। আজ তারা কোথায়? ইসলামের মূল পথ থেকে সরে যাওয়াই ছিল তাদের পতনের মূলে। এই সৌদি রাজতন্ত্রেরও সেই পরিনতিই হবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।

সত্য বিজয়ী হোক। মিথ্যা পরাজিত হোক। আজ আর কাল, হবেই। হতেই হবে!

১১| ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: B:-) B:-)

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: :-B :-B

১২| ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৫৫

সোহানী বলেছেন: খবরাটা সেদিনই চোখে পড়ে একটু অবাকই হলাম। তারপরও নিজেই পাজেল মেলাতে বসলাম, কেন এমন সিদ্ধান্ত। আপনার পোস্টটা সময়োপযোগী, অনেক পাজেল মেলাতে সাহায্য করেছে। তবে ভাই একটাই কথা মনে হচ্ছে, রসুনের উপরে যেমনই দেখান তলে কিন্তু একই শিকড়....।

সোনার ডিমপাড়া রাজহাঁসকে এমনিতেই গলা কাটার মতো বোকা না আম্রিকা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে ইকোনমিক লস পোষানোর জন্য তারা কিভাবে বা কোনদিকে এর ফায়দা লুটবে সেটাও দেখার বিষয়। অস্র বিক্রির জন্য দু একটা যুদ্ধ বাধাঁনো তেমন কোন ঘটনাই না। আর ব্যবসায়ী ট্রাম্প আর তার সাঙ্গপাঙ্গদেরকে খুশি করতেই হবে। তবে যতই হোক ইরানকে ছাড় দিবে না কোনভাবেই কারন ইরান আম্রিকার কাছে একটা প্রেস্টিজ ইস্যু। তবে এই ক্যাচাকেচিতে সিরিয়ায় যদি একটু শান্তি আসে। এটলিস্ট কিছুদিন তেলের চাহিদা কম থাকার কারনে অস্র বিক্রি কিছুটা যদি কমে......।

কুমিরামী ছেড়ে নতুন নতুন পোস্ট দেখে ভালো লাগছে।

তবে আর যাই হোক করোনা উত্তর বিশ্ব একটা বড় ধাক্কা সামাল

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কথা হইলো, করোনায় হামলায় দিশাহারা হয়া এখন সবার ইয়া নফসী ইয়া নফসী অবস্থা। আম্রিকার সমস্যা হইলো টেরাম্প। এই বেডার পলিটিক্যাল বুদ্ধি কম, ধৈর্য ও কম। খালি ব্যবসায়িক বুদ্ধি দিয়া ব্যবসা চালানো যায়, দেশ না। সারা বিশ্ব তো আরো না। আর ওই যে কইলাম, ইয়া নফসী ইয়া নফসী অবস্থা; আম্রিকা কি প্রেস্টিজ ধুইয়া পানি খাবে? ওইসব বাদ। সৌদি কথা শুনে নাই, টেরাম্প এ্যকশানে গ্যাছে। এইডা হইলো আসল কথা। আম্রিকা জানে, এই রাজহাস আর বেশীদিন সোনার ডিম পাড়বো না। তারপরেও আরেকটু স্ট্র্যাটেজিক হইতে পারতো, কিন্তু ওই যে কইলাম ধৈর্য......সমস্যা ওইখানে।

তেলের ধাক্কার পরে আসতেছে ইওরোপের ধাক্কা। টেরাম্পের তখন দেখবেন দিশাহারা অবস্থা। ইরান এহন কোন ফ্যক্টরই না। আগে নিজের ঘর তো সামলাইতে হইবো! ওর অচিরেই হইবো, মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল অবস্থা.......এই আমি কইলাম, মনে রাইখেন!!! =p~

১৩| ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১৬

ওমেরা বলেছেন: আমার নবীর ( সাঃ) দেশ, কত সন্মান আর ভালোবাস লাগত সৌদীআরব নাম শুনলেই। উনাদের কীর্তি কলাপে সেটা আর নেই ।

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১১:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: না......এটা ঠিক না। আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) এর দেশ ঠিকই আছে। সেই দেশের প্রতি সন্মান আর ভালোবাসাও আছে। কতিপয় লোভি আর দুর্বৃত্তের জন্য তো আর দেশ খারাপ হয়ে যায় নি। মহান আল্লাহ এদের নাফরমানীর জন্য উচিত শিক্ষাই দিবেন সময়মতো। আল্লাহ যেমন দেন, তেমনি আবার নিয়েও নিতে পারেন। এটা আসলে আরব। সৌদি শব্দটা এইসব দুর্বৃত্তের জুড়ে দেয়া, আব্দুল আজিজ বিন সৌদ থেকে।

১৪| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ২:৫৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: আশা করি পৃথিবীতে করোনার কারণেই এ্যামেরিকার সন্ত্রাসের চির অবসান হবে।
২ লাখ এ্যামেরিকান সন্ত্রাসী মরলে যদি পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষ শান্তিতে থাকে,তাহলে এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে?

১৪ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ২ লাখ এ্যামেরিকান সন্ত্রাসী মরলে যদি পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষ শান্তিতে থাকে,তাহলে এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে? না......এর চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। আপনার চিন্তা-ধারা ঠিক আছে। কিন্তু ভাইজান সমস্যা হলো, ২ লাখ এ্যামেরিকান মরলে এদের সবাই যে সন্ত্রাসী সেইটা আপনি বুঝবেন কিভাবে? কোন পদ্ধতি আছে?? =p~

একটা দেশকে আমরা যখন সন্ত্রাসী দেশ বলি, তখন তাদের সরকারকে বোঝাই, সাধারন জনগনকে না। এমন কি সন্ত্রাসী দেশ ইসরায়েলেও অনেক মানবতাবাদী মানুষ থাকেন। তাদের মৃত্যুও কি আমরা কামনা করতে পারি? আপনার এসব জানার কথা, তবুও একটু বললাম.......জাস্ট টু রিমাইন্ড!!! :)

১৫| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো ভালো লাগলো।

১৪ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মন্তব্যও ভালো লাগলো। B-)

১৬| ১৪ ই মে, ২০২০ ভোর ৫:০৮

নতুন বলেছেন: বাহ ২ লাখ মানুষ মরার দোয়া করছেন অনল ভাই। =p~

১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৮:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: না......উনি ২ লাখ সন্ত্রাসী মরার দোয়া করছেন। :)

১৭| ১৪ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:০৯

জাফরুল মবীন বলেছেন: করোনা যে পৃথিবীকে 'নিও অর্ডারে' সাজাতে যাচ্ছে সেটা অনেকেই আন্দাজ করছেন।অ্যামেরিকা যে কোন মূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।কিন্তু আগামি ১বছর সেটা পাওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নাই।আসন্ন শীতে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে সেটা তাদের জানা আছে।এদিকে চীন প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই মিয়ানমারে ৪০০কিমি রেঞ্জের ক্ষেপনাস্ত্র সরবরাহ করেছে-টার্গেট বাংলাদেশ।কিন্তু চীনের সুখ যে বেশিদিন থাকবে না সেটা আমার করোনা বিষয়ক প্রথম পোস্টে ব্যাখ্যা করেছিলাম।চীনে আবার বাড়তে শুরু করেছে করোনা কেস।করোনা ফিরে এসেছে ইউহানেও।আঞ্চলিক শক্তি ভারতের অবস্থা নাজুক।এদিকে মধ্যপ্রচ্যের বড় খেলোয়াড় সৌদির অবস্থা তলায় গিয়ে ঠেকেছে।আমার শংকা ইসরায়েলকে নিয়ে।কারণ এরা পর্দার আড়ালে খেলতে ভালোবাসে।এরা জ্ঞান বুদ্ধিতেও বিশ্বসেরা।আগামির পৃথিবী নিয়ে অনেকের মত আমিও আছি শংকায়।

চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোকপাত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।শুভকামনা রইলো অফুরন্ত।

১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৮:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেজন্যেই পোষ্টের নাম দিয়েছি ‘মধ্যপ্রাচ্যে হাওয়া বদলের রাজনীতি‘ মবীনভাই। বৃটেনের সবকিছু যদি ঠিক থাকে, তাহলে আশা করা যাচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ হয়তো ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। দেখা যাক। চীনের মিয়ানমারে বিরাট স্বার্থ রয়েছে। কাজেই তারা তলে তলে আরো অনেক কিছুই করবে। মধ্যপ্রাচ্যে যেমন এই সুবিধাটা ইরান নিতে পারে, তেমনি চীনের সুযোগ তৈরী হয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক অন্চলে। তারা এই সুযোগ হাতছাড়া করবে না।

ইসরায়েলসহ বিশ্বের তাবৎ বড় বড় শক্তিগুলোর নতুন মেরুকরন হওয়ার জোর সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে করোনার কারনে। আগামীদিনগুলোতে আমাদের নতুন বহুকিছুই দেখতে হবে। আগামির পৃথিবী নিয়ে অনেকের মত আমিও আছি শংকায়। অন্য সবার মতো আমিও।

আমার ব্লগে স্বাগতম। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভেচ্ছা। :)

১৮| ১৪ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



রাজা তো মা-শাআল্লাহ বয়োবৃদ্ধ হওয়ার কারণে এমনিতেই অনেকটা ক্লান্ত এবং ন্যূজ। তবে তার ক্ষমতালিপ্সু ছেলে (এমবিএস) সৌদিকে কোথায় নিয়ে ছাড়ে সেই চিন্তাটা ছিল আগে থেকেই। এখন তার সাথে যোগ হয়েছে করোনার নতুন অধ্যায়। তেল ছাড়া তাদের অর্থনীতি চিন্তা করা যায়? অবস্থা ভয়াবহতার দিকেই যাচ্ছে ক্রমশঃ।

রাজপুত্রের অধিকাংশ কর্মকান্ডই বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ। ইয়েমেনে সংঘটিত গত ক'বছরের নৃশংসতায় অসংখ্য মানুষের প্রাণহানিতে তার ভূমিকা বরাবরই নিন্দিত ও সমালোচিত।

সৌদির সাধারণ মানুষ ভালো থাকুন। তবে রাজপরিবারের জুলূম নির্যাতন বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

দারুন পোস্টে অভিনন্দন।

১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এমবিএস হলো বড়লোকের বখে যাওয়া ছেলে। এমনিতেই সৌদ রাজবংশ ক্ষমতায় এসেছিল পশ্চিমাদের সহায়তায়। তার উপরে এটা হলো, সবার সেরা শয়তান। ক্ষমতা আর টাকার দম্ভে সে বহুকিছুই করছে। অবস্থা ভয়াবহতার দিকেই যাচ্ছে ক্রমশঃ। কোনই সন্দেহ নাই তাতে।

সৌদির সাধারণ মানুষ ভালো থাকুন। এটা তো আমরা সবাই কামনা করি, তবে সবখানেই এই গ্রুপটা ভোগে সবচাইতে বেশী। তবে রাজপরিবারের জুলূম নির্যাতন বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। পতন না হওয়া পর্যন্ত এদের হুশ ফেরার কোন আশা নাই।

আপনার জন্য শুভকামনা।

১৯| ১৪ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: নিজের কর্মক্ষেত্র "তেল" সেক্টরে বিশ বছরের ওপর বিভিন্ন দ্যাশে। আবার "তেল দেয়া" সেক্টর ভাইবেন না :P। যদিও কর্ম ক্ষেত্র মানে চাকরের কাম করা আর মালিকরা প্রভু। তো কাজ করতে গেলে এই সব প্রভুদের খুব কাছ থেকে দেখা যায়।। সেই সুবাদে এই তেল ক্ষেত্রের বিভিন্ন দেশের প্রভুদের দেখছি। মুলতঃ আমার যেটুকু ধারনা হয়েছে, তাতে যা বুজছি পশ্চিমা বিশ্ব এই মাথা মোটা আরবগুলাকে দাবার গুটি হিসাবে ব্যাবহার করছে। যতদিন তাদের প্রয়োজন ছিল তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে কাউকে অস্ত্র দিয়ে এদের তেল সম্পদকে হাতের মাঝে নিয়ে নিয়েছে। যখনি প্রয়োজন শেষ হয়েছে এক মুহুর্ত ভাবেনি এই সব মাথা মোটাগুলার পশ্চাৎদেশে লাথি মারতে।

করোনা মাঝে ওপেক ভার্সাস রাশিয়া তেল যুদ্ধ সেভাবে হাইলাইট হয়নি। কিন্তু বিশ্বের অনেক বড় একটা রাজনৈতিক বা মেরুকরন হয়ে গেছে। অয়েল সেক্টরকে একেবারে তলানিতে নিয়ে গেছে। অসংখ্য মানুষ তাদের কাজ হারিয়েছে। সেটা বড় কোন ব্যাপার না বিশ্ব ক্ষমতায়নে। যেটা হয়েছে তাতে তেল সমৃদ্ধ আরব বিশ্বকে এই ধাক্কায় তারা একেবারে পথে বসিয়ে দিয়েছে, যার বড় প্রভাব পড়বে আমাদের মত দরিদ্র দেশ গুলোর ওপর যাদের লাখ লাখ কর্মী ওই সব দেশে কাজ করত।

এর পাশাপাশি অল্টারনেট এনার্জির দ্ধার প্রান্তে বিশ্ব কুব বেশি হলে আগামী বিশ বছর! তারপর এই তেল পানির থেকেও সস্তা হয়ে যাবে যে কোন অবস্থায়, আর তেলের ক্ষমতায় নোংরামি করা সৌদ পরিবার সহ আরব বিশ্বের কুত কুতে শুয়ারের মত এক একটা মুসলিম নেতা যারা কিনা সোনার কমোড ব্যাবহার করে তাদের খুব বেশী দেরী নাই যেদিন রাস্তার পাশে থালা নিয়ে খয়রাত করতে বসতে হবে।

বিশ্ব রাজনীতিতে অনেক বড় একটা মোড় নিয়েছে এই তেল যুদ্ধে যা করোনার ডামাঢোলে ঢাকা পড়ে গেছে। তবে মুসলিম বিশ্বের কিছু দেশকে সব সময়ই আমেরিকা হাতে রাখবে কোন না কোন ছুতায় তা অস্ত্র বিক্রি করে হলেও কারন আমেরিকার রাজনীতিতে ইহুদী প্রভাব অন স্বীকার্য্য। ইজরেলকে বাচিয়ে রাখার জন্য হলেও কিছু মাথা মোটাকে আমেরিকা পালবে বলেই আমার ধারনা। এই সালমান বা এম বি এস নামে একটা কিছু তৈরী করছে এই লোকটা আসলে কতটা সুস্থ্য আমি ভীষন ভাবে সন্দিহান।

অনেকদিন পর দারুন এক পোষ্ট পড়লাম স্বজাতি। পোষ্টে প্লাস।

১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিশ বছর তেল সেক্টরে কাম কইরা তো আপনে দেখি তেলের ডিব্বায় পরিনত হয়া গ্যাছেন গা। =p~
পথের ফকির হঠাৎ কোটিপতি হইলে যা হয়, এই আরবগো সেই অবস্থাই হইছে। এই মাথামোটারা তো ব্যবহৃত হইবোই। আরব আমিরাত এই অল্টারনেট এনার্জির কথা চিন্তা কইরাই তাদের অর্থনীতিরে ডাইভার্সিফাই করছে......যদিও সক্ষমতার তুলনায় সেইটাও যথেষ্ট না, তাও করছে। এই সৌদি গাধাগুলা তাও করে নাই।

আর আম্রিকা জানে এগুলারে কেমনে গলায় শিকল পড়ায়া রাখতে হয়। তয় এগুলারে হ্যারা এখন একবার হট ট্রিটমেন্ট দিবো, একবার কোল্ড! এতেই দ্যাখবেন এরা খুশী থাকবো। এমবিএস হইলো একটা সাইকো। হিসাব কয়, এর পতন হইতে বেশী টাইম লাগবো না।

অনেকদিন পর দারুন এক পোষ্ট পড়লাম স্বজাতি। পোষ্টে প্লাস। ব্লগিংয়ে তো আমি আপনের জুনিয়ার। পোষ্টের এই প্লাসটা কই দেয় খুইলা কন দেহি! আমিও এহন থিকা এইডা ফলো করুম ভাবতাছি!!! :)

২০| ১৫ ই মে, ২০২০ রাত ৩:২৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: ২ লাখ এ্যামেরিকান সন্ত্রাসী মরলে যদি পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষ শান্তিতে থাকে,তাহলে এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে? না......এর চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। আপনার চিন্তা-ধারা ঠিক আছে। কিন্তু ভাইজান সমস্যা হলো, ২ লাখ এ্যামেরিকান মরলে এদের সবাই যে সন্ত্রাসী সেইটা আপনি বুঝবেন কিভাবে? কোন পদ্ধতি আছে?? =

একটা দেশকে আমরা যখন সন্ত্রাসী দেশ বলি, তখন তাদের সরকারকে বোঝাই, সাধারন জনগনকে না। এমন কি সন্ত্রাসী দেশ ইসরায়েলেও অনেক মানবতাবাদী মানুষ থাকেন। তাদের মৃত্যুও কি আমরা কামনা করতে পারি? আপনার এসব জানার কথা, তবুও একটু বললাম.......জাস্ট টু রিমাইন্ড!!! -
ধন্যবাদ।
প্রকৃত জ্ঞানী-গুনী ব্যাক্তিদের সাথে বিতর্ক করা আনন্দের।এজন্য প্রবাদ আছে যে মূর্খ বন্ধুর চেয়ে জ্ঞানী শত্রু ভালো।
এ্যামেরিকার ৯০% লোক তাদের সরকারগুলির সন্ত্রাসী নীতিকে সমর্থন করে। আর ১০% সবসময়িই বিরোধিতা করে আন্দোলন করে।চলচ্চিত্র বানায়,বই লেখে
।এরা ভিয়েতনাম,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ,ইরাক যুদ্ধ সবকিছুরই বিরোধী।করোনা ভালো-খারাপ চিনে প্রাণ নেবে না কিন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ যারা মরছে,তারা তো সবাই সন্ত্রাসী নীতির সমর্থক। শিশুরা কিন্ত করোনয়ায় প্রায় মারাই যাচ্ছে না,যা আনন্দের।
আপনিই বলের,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হত ২ মাসে করোনার কারণে এ্যামেরিকার আক্রমণে পৃথিবীতে সবচেয়ে কম মানুষ মরেছে,।এটা কি করোনা আক্রমণ না করলে সম্ভব হতো?
আপনি,আমি বা অন্য কেউ কিভাবে পৃথিবীতে এ্যামেরিকার লুটপাট,বন্ধ করবে ?
যেহেতু মানুষ বা কোনো দেশ পারবে না,তাই প্রকৃতি এই দায়িত্ব নিয়েছে।
আপনি বা যে কেউ আমার মতের সাথে একমত না হতে পারেন।কিন্ত বিশ্ব মানবতার কথা ভাবলে করোনায় এ্যামেরিকার ধ্বংস হওয়া ছাড়া আর কেনো উপায় নাই।
নতুন বলেছেন: বাহ ২ লাখ মানুষ মরার দোয়া করছেন অনল ভাই- ধন্যবাদ।
আমি দোয়া না, বদ- দোয়া করে এ্যামেরিকার অল্প কিছু সন্ত্রাসীর মরে বিদায় হয়ে যাওয়ার বিনিময়ে পৃথিবীর প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের মঙ্গল চাচ্ছি।

১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আচ্ছা, প্রথমেই আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। এ্যামেরিকার ৯০% লোক তাদের সরকারগুলির সন্ত্রাসী নীতিকে সমর্থন করে। আর ১০% সবসময়িই বিরোধিতা করে আন্দোলন করে। এই পরিসংখ্যান আপনি কোথায় পেয়েছেন? ধরে নিচ্ছি, আপনি এটা এমনি এমনিই বলেছেন। আসলে, সমস্ত পৃথিবীতে সব দেশে সব জাতিতে মন্দ লোক আছে। এরা সংখ্যায় অল্প কিন্তু ক্ষমতাশালী। ফলে এরা এক্সপোজড হয় বেশী। এরাই পৃথিবীর যতো অনাচারের মূলে। বাস্তবতা হলো, সাধারন জনতার তেমন কোন নিয়ন্ত্রণ এদের উপরে থাকে না। আপনার পরিসংখ্যানটা যদি এমন হতো, ১০% সন্ত্রাসী, ৯০% ভালো লোক.....তাহলে আরো বেশী বাস্তবসম্মত হতো। এই ১০% এর মৃত্যু কামনা আপনি করতেই পারেন; ইন ফ্যাক্ট, আমিও করি। এরা পৃথিবীর জন্য, মানবজাতির জন্য আবর্জনা স্বরুপ!!

আরেকটা কথা। এই ১০% ক্ষমতাবান হওয়ার ফলেই এরা ক্ষমতা আর টাকা দিয়ে, সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা এবং নিরাপত্তা নিয়ে নিরাপদে থাকে। বিপদে-আপদে এদের কিছুই হয় না। বিপদে পড়ে ৯০%। মনে করেন, আজ যদি আমেরিকার উপর আনবিক হামলা হয়, এই ১০%, যারা প্রকৃত সন্ত্রাসী........তারা সবাই তাদের নিরাপত্তার জন্য নির্মিত বাংকারে চলে যাবে। মারা পড়বে রাস্তাঘাটে, সাধারন বাড়ীতে থাকা অতি সাধারন আমেরিকানরা। কারন এরা সাধারন! এরাই আমাদের মতো সাধারন লোকজনের আত্মীয়-স্বজন।

এই মূহুর্তে সারা বিশ্বে করোনায় মারা গিয়েছে ৩,০৩,৪০৭ জন আদম সন্তান। এদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতা এবং ধনী, তথা ক্ষমতাবান কতো জন? আমার ধারনা ১০% এরও কম।

আমার কথা আপনাকে মানতেই হবে এমন কোন কথা নাই। অনুরোধ, শুধু একটু চিন্তা করেন। আপনার সাথে আলোচনা করে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ১৫ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১৩

জুন বলেছেন: পড়াশোনা কইরা আসতে হবে ভুয়া #:-S

১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইডা কুনো কতা হইলো!!! :(

২২| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৩:১৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশ বা সৌদি আরবের সাথে যদি এ্যামেরিকার তুলনা করেন,তাহলে কিছু বলার নাই।
এ্যামেরিকার জনগণ চাইলে ১ দিনে দেশে-দেশে সব সন্ত্রাস বন্ধ হতে পারে।কারণ সেখানে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়।ইচ্ছা করলেই কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
পৃথিবীতে এ্যামেরিকা লোকজন সবচেয়ে বেশী বই পড়ে।তারা সব জানে।
তাদের দেশের দুই দলেরই পররাষ্ট্র নীতি এক-সেটা হচ্ছে সন্ত্রাস,লুটপাট,আগ্রাসন।

আর তারা যে কর দেয়,দেশে দেশে মানুষ মারার জন্য অস্ত্র-গোলাবারুদ কেনায় সেসব ব্যায় হয়।
জনগণ কর দেয়া বন্ধ করলে এ্যামেরিকার সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে যেতো।
কিন্ত তারা কি সেটা করে?

এ্যামেরিকার লোকজন তাদের দেশের সন্ত্রাসী নীতি সমর্থন করে।তাই তার প্রতিবাদ করে না। তাদের দাবীর কারণে সেখানে সম লিঙ্গের বিয়ে সহ বহু বিকৃত আইন চালু হয়েছে। তারা চাইলে দেশে দেশে সন্ত্রাসও বন্ধ হতো।

২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর কোনো তদন্ত ছাড়াই এ্যামেরিকার ৯০% লোক আফগানিস্তান আক্রমণ করার দাবী জানিয়েছিলো বলে সেই সময়ে সিএনএন এর জরীপে দেখানো হয়েছিলো।
সুতরাং ৯০% এর উত্তর পেয়েছেন।

১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: জনগনের হয়েছে যতো জ্বালা। কোন দেশের জনগনের কাছেই এই সুপ্রীম পাওয়ার নাই। ভোট হয়ে যাওয়ার পরে আমেরিকায় যেই ক্ষমতায় আসবে, সেই এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম করবে। এটা তাদের সরকারী পলিসি। জনগন যেটা পারে, ভোট দেয়া বন্ধ করে দিতে পারে। বাস্তবে সেটা সম্ভব না। কারন, আমেরিকান সরকার তো শুধু দেশে দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত করে না, দেশের আভ্যন্তরীণ কার্যক্রমও চালায়। সেজন্যেই তাদের একজন প্রেসিডেন্ট দরকার।

করের কথা বলছেন, এটা জনগন দিতে বাধ্য। এখানে কোন চয়েস নাই। এটা সমস্ত পৃথিবীর সকল দেশের জন্যই প্রযোজ্য। কেন কর দেয়া হয়, আপনি জানেন। বাংলাদেশের মানুষও কর দেয়। সেই করের টাকা সরকারী লোকজন চুরি করে। এখন কি আপনি বলবেন......এ‘জন্য জনগন দায়ী। তারা দেশের চোরদেরকে চুরি করতে উৎসাহ দিচ্ছে!!! আপনি টাকা দিচ্ছেন সেবা পাওয়ার জন্য। সেটার নয়ছয় যদি করা হয়........কয়জন সাধারন মানুষ সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? আপনিও তো জনগনের অংশ, আপনার করের টাকাও তো চুরি হচ্ছে। আপনি কি সেটা বন্ধ করতে পেরেছেন??

সমলিঙ্গের বিয়ে ভিন্ন আলোচনা। তবুও বলি, যা আপনার মতে বিকৃতি, তা সবার কাছেই বিকৃতি হবে, এমন কোন কথা নাই। উদাহরন হিসাবে বলা যায়, চীনাদের কাছে যেটা খাদ্য, আপনাকে সেটা টাকা দিলেও আপনি খাবেন না। এমন হাজারো উদাহরন আছে।

২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর কোনো তদন্ত ছাড়াই এ্যামেরিকার ৯০% লোক আফগানিস্তান আক্রমণ করার দাবী জানিয়েছিলো বলে সেই সময়ে সিএনএন এর জরীপে দেখানো হয়েছিলো। একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে মানুষ ইমোশনাল হয়ে অনেক কিছু বলে বা করে। সেটাকে স্বাভাবিক সময়ের মনোভাব মনে করার কোন কারন নাই। ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার পরে আমাদের দেশেও কিছু মন্দিরের উপরে হামলা হয়েছিল। এখন কি আপনি বলবেন, এটা বাংলাদেশের মুসলমানদের কমন প্র্যাকটিস?

ভালো থাকবেন।

২৩| ১৭ ই মে, ২০২০ রাত ২:১০

গাজী রাসেল বলেছেন: কাশ্মীর নিয়ে যা হচ্ছে

১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৮:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার এই পোষ্ট কাশ্মীর না, মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে। প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করলে ভালো। আপনি বরং কাশ্মীর নিয়ে আমার এই পোষ্টটা দেখতে পারেন। কাশ্মীর না পাকিস্তানের, না ভারতের; কাশ্মীর কাশ্মীরিদের

২৪| ১৭ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৪৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের ৯৯% লোক অসৎ। দেশের সব সমস্যার জন্য তারই দায়ী কারণ তারাই চোর,দুর্নীতিবাজ ।

১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশের ৯৯% লোক অসৎ। দেশের সব সমস্যার জন্য তারই দায়ী কারণ তারাই চোর,দুর্নীতিবাজ। দুঃখিত। মানতে পারলাম না। আপনি উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন।
আমাকে বলেন, যে পরিবারের কর্তা অসৎ, সেই পরিবারের সন্তানদের সৎ হওয়ার চান্স কতোটুকু? আর এরা যদি অসৎ হয়, তাহলে এর জন্য দায়ী কে?

অনেক কথা বলতে হয় যার অধিকাংশই আমি এই পোষ্টে বলেছি। দেখতে পারেন, জনগন নাকি সরকার; কে আগে?

২৫| ১৭ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: আগে ভালো মতো পড়ে নিয়েই লাইক দিয়ে গেছি, দ্যাখছেন আশাকরি।

আবার আসলাম, মন্তব্যগুলোও পড়লাম। খুব ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন। কিন্তু কী মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না! আমার প্রাণের দুটুকরোই যে অ্যামেরিকায়। :( দেশের নেতারা খারাপ জানি, কিন্তু ওখানে মানুষের জন্য কল্যাণকর গবেষণাও তো হয়!

ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম।

১৭ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সব দেশেই কিছু খারাপ নেতা আছে, আবার সব দেশেই ভালো ভালো কাজ হয় (কমবেশী আর কি!)। আমেরিকাও তার ব্যতিক্রম না আপা। এতে মন খারাপের কিছু নাই। খারাপ আছে বলেই তো আমরা ভালোর মর্ম বুঝি, তাই না! আপনার প্রানের টুকরা'রা আল্লাহর রহমতে ভালো থাকবে ইন শা আল্লাহ।

আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা, একটু আর্লী হয়ে যায় যদিও! :)

২৬| ১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১০

অনল চৌধুরী বলেছেন: যেকোনদেশে জনগণই সবকিছু নির্ধারণের চূড়ান্ত মালিক।
সরকার কি সাধারণ জনগণকে বলেছে চুরি-দুর্নীতি আর সবরকম আইন না মানতে? যেসব অপরাধের জন্য শাস্তির আইন আছে,জনগণ তো তাও মানে না।
বাংলাদেশের জনগণের সাথে যদি ইউরোপ-এ্যামেরিকা,পূর্ব এশিয়া এমনকি পার্বত্য উপজাতিদেরও তুলনা করেন,তাহলে আর কোনো তর্ক চলে না।

১৮ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যেকোনদেশে জনগণই সবকিছু নির্ধারণের চূড়ান্ত মালিক। আগেই বলেছি, ভোট দেয়ার পরে সাধারন জনগনের আর কিছুই করার থাকে না। বাংলাদেশে তো ভোটই হয় না বলতে গেলে। সরকারের দায়িত্ব একটা সিস্টেম তৈরী করা, আর জনগনকে সেটা মানতে বাধ্য করা।

সরকার কি সাধারণ জনগণকে বলেছে চুরি-দুর্নীতি আর সবরকম আইন না মানতে? যারা নিজেরাই এসব অপকর্ম করে, তাদের কথা কে সিরিয়াসলি নিবে?

যেসব অপরাধের জন্য শাস্তির আইন আছে,জনগণ তো তাও মানে না। আইনের শাসন যদি সরকার ঠিকমতো প্রতিষ্ঠা করে তাহলে জনগন অবশ্যই মানবে।

আমার জনগন নাকি সরকার; কে আগে? পোষ্টটা পড়েছেন? পড়ার পরেও যদি এসব বলে থাকেন, তাহলে আপনার আর আমার চিন্তাধারায় বিরাট পার্থক্য আছে। এই পার্থক্য ঘুচবে না মনে হয়! আমার ওই পোষ্টে এসবের লজিক্যাল ব্যাখ্যা আছে। অবশ্য সেসব আপনার পছন্দ হতেই হবে কিংবা একমত হতেই হবে, তার কোনও বাধ্যবাধকতা নাই। যাই হোক.......ভালো থাকবেন। :)

২৭| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ২:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার গুছিয়ে লিখেছেন। এ ধরনের লেখা আরো চাই। :D

করোনা পরিস্থিতি বিশ্ব এক নয়া অর্থ ব্যবস্থা দেখবে হয়ত। তেলের অধগতি মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা সঙ্গিন করতে পারে। সাথে বাংলাদেশ ভুগবে প্রবাসী আয়ে।


প্রাচীনকালে এরকমের একটি লেখা আমিও চেষ্টা করেছিলাম।

২৫ শে মে, ২০২০ ভোর ৬:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'হয়তো' না, পরিবর্তন আসবেই। এখন দেখার বিষয় হলো.....কতোটা! আর বাংলাদেশ প্রবাসী আয়ের সাথে সাথে বস্ত্রশিল্পেও ভুগবে। আমাদের হর্তাকর্তারা কতোটা তৈরী এই ধাক্কা সামলাতে সেটাই দেখার বিষয়। অন্ধ থাকলে তো আর প্রলয় বন্ধ হবে না!!

আপনার লেখা তো দেখতেই হবে। আমার দায়িত্ব বলে একটা কথা আছে না! ;)

ঈদ মোবারক!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.