নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েকদিন আগে একজন ব্লগার একটা পোষ্ট দিয়েছিলেন। ''প্রবাসে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বেডরুম'' নামে। উদ্দেশ্য ছিল সম্ভবতঃ আমাদের দেশের প্রবাসী শ্রমিকদের কষ্টের জীবন চিত্রায়িত করা। সেখানে দুইজন ব্লগার দু'টি যুগান্তকারী মন্তব্য করেছেন। যুগান্তকারী বলছি এই কারনে যে, মন্তব্যে যেমন সরলতা (যা মনে আসে অগ্র-পশ্চাৎ চিন্তা না করে সরলভাবে বলে দিলাম জাতীয়) আছে, তেমনি 'একটা বিষয় না জানা'র ব্যাপারটাও ফুটে উঠেছে। সেইসঙ্গে এই না জেনে মন্তব্য করাটা যে দোষনীয় এবং দুষনীয় কিছু না, সেটারও প্রকাশ পেয়েছে; খুবই কিউট একটা ব্যাপার মনে হয়েছে আমার কাছে। এই যুগান্তকারী মন্তব্য দু'টা আপনাদেরকে আবার জানানোর লোভ সামলাতে পারছি না।
মন্তব্য ১ঃ প্রবাস থেকে যারা টাকা পাঠান, তা তাঁদের পরিবার-পরিজনদের জন্যে পাঠানো হয়। পরিবার-পরিজনরা অন্য দেশে থাকলে, প্রবাসীরা সেই দেশেই টাকা পাঠাতেন।
মন্তব্য ২ঃ কয়জন প্রবাসী দেশ সেবার ব্রত নিয়ে দেশ ছেড়েছিল? সবাই তো পেটের দায়ে যায়। উনি আরো বলেছেন, যারা প্রবাসী (আমি প্রবাসী প্রফেসর, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, গবেষকদের মেনশন করছি না) তারা এমন একটা ভাব লাগায় যেন তারা ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা। আরে ভাই, টাকা পাঠাও কার জন্য, কাদের জন্য???
এই মন্তব্য দু'টার আনুষ্ঠানিক ব্যবচ্ছেদ আমি করবো না। আশা করছি পোষ্টের মধ্যে থেকেই আপনারা সেটা পেয়ে যাবেন।
পৃথিবীতে এমন কেউ নাই যে সর্ব বিষয়ে জ্ঞান রাখে। সেটা সম্ভবও না। কেউ নিজেকে সবজান্তা শমশের মনে করতেই পারে; সেটা তার নিজের আত্মতৃপ্তির ব্যাপার। কিন্তু অন্যদের কাছে সেটা তেমন একটা গুরুত্ব পায় না, পাওয়ার কথাও না। আমি সব সময়েই একটা কথা বলি, কোন কিছু না জানা কিংবা কম জানা দোষের না; বরং এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু না জানা বা কম জানা বিষয়কে এমনভাবে উপস্থাপন করা যে, ব্যাপারটা আমি শুধু জানি তাই না, আমি এটাতে মাষ্টার এবং আমি যা বলেছি এটাই শেষ কথা; এমন ভাব করাটা দোষের। শুধু দোষেরই না; এটা একধরনের বুদ্ধি-প্রতিবন্ধীতার লক্ষণ।
এবার একটু হাল্কা-পাতলা আলোচনা করি। বর্তমান বিশ্বে বিশুদ্ধ সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রচলন আছে, এমন রাষ্ট্র বোধকরি একটাও নাই। কিছু আছে, সুগার-কোটেড ট্যাবলেটের মতো; সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রলেপ দেয়া পুজিবাদী ব্যবস্থা। আর বাকী সবগুলো বিশুদ্ধ পুজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। পুজিবাদী ব্যবস্থার মূল কথাই হলো, ব্যক্তিগত লাভের জন্য কাজ করা। এখানে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কাজ করে নিজের লাভের জন্য। তাদের সিদ্ধান্ত, নীতি-নির্ধারন, কাজ কিংবা ব্যবসা পরিচালনা সবকিছুই করা হয় নিজেদের স্বার্থে। সরকার এখানে সেকেন্ডারী ভূমিকা পালন করে। তাহলে সরকারের কাজ কি? সরকার এখানে সহায়ক শক্তি। আইন-শৃংখলা রক্ষা করা, প্রতিরক্ষা, কর, বিচার ব্যবস্থা, রাজস্ব এবং আর্থিক নীতি ইত্যাদি বিষয়গুলো দেখভাল করে সরকার। এটা হলো সরল ব্যাখ্যা। দিনে দিনে পুজিবাদী ব্যবস্থায় অনেক ডালপালা, তত্ব গজিয়েছে। পিপিপি (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি বা ক্রয় শক্তি সমতা'র কথা বলছি না) বা পাবলিক-প্রাইভেট (সরকারী-বেসরকারী) পার্টনারশিপ তাদের মধ্যে অন্যতম। তবে, সেটা অন্য আলোচনা; তাই সেদিকে যাচ্ছি না।
এখন কৃষক যখন ফসল ফলায়, তার নিজের এবং পরিবারের ভরন-পোষণের জন্যই ফলায়। সে কোনসময়েই এটা ভাবে না…...এই কাজ করে আমি দেশ ও দশের সেবা করছি কিংবা সমাজ সেবা করছি। একজন উদ্যোক্তা যখন একটা কারখানা স্থাপন করে, তখন ব্যাক ইন দ্য মাইন্ড তার একটাই লক্ষ্য থাকে যে, আমি একদিন বিশাল শিল্পপতি হবো, গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ বা কোম্পনীজের মালিক হবো, সিআইপি কিংবা ভিআইপি হবো। আর দিন শেষে আয়েশী জীবন-যাপন করবো। এটাই সত্যি আর এটাই স্বাভাবিক, এটাতে দোষের কিছু নাই। হ্যা, পাবলিকলি হয়তো সে গালভরা অনেক কিছুই বলতে পারে। এটাও বলতে পারে যে, আমার এই শিল্প স্থাপনার মূল লক্ষ্য হলো দেশের বেকার সমস্যার সমাধানে কন্ট্রিবিউট করা…….ব্লা ব্লা ব্লা; কিন্তু আসল সত্যিটা বুঝতে কি কারো বাকী থাকে? এটা নিপাতনে সিদ্ধ একটা ব্যাপার যে, ভিশন এবং মিশন না থাকলে পুজিবাদী অর্থ ব্যবস্থায় আপনি একটা অচল মাল। এখন সেই ভিশন এবং মিশনটা আসলে কি? আগেই পরিস্কার করেছি। ঠিক তেমনিভাবেই একজন প্রবাসী বিদেশে পরিশ্রম করে তার নিজের আর পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য। এটাও অতি সত্যি এবং স্বতঃসিদ্ধ একটা ব্যাপার। তাহলে এখানে তার রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিতে কন্ট্রিবিউশানের ব্যাপারটা আসে কোত্থেকে? আর তার মুল্যায়নের প্রশ্নই বা আসে কেন? অবশ্যই আসে। ঠিক যেভাবে একজন উদ্যোক্তা দেশীয় অর্থনীতিতে কন্ট্রিবিউট করে এবং তার মুল্যায়নের প্রয়োজন পড়ে, সেভাবে।
এবার তাহলে একটু সরলভাবে ভেঙ্গে বলি। অতি-সরলীকরনের দোষে দুষ্ট হলে জানাতে আজ্ঞা হয়।
ব্যক্তি যখন তার অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে, তখন সে সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে, কারন ব্যক্তিকে নিয়েই রাষ্ট্র। ব্যক্তির সমষ্টিগত উন্নয়নই রাষ্ট্রের উন্নয়ন। কিভাবে? ব্যক্তি অর্থ উপার্জন করবে খরচ করার জন্য। এটাই একটা দেশের অর্থনীতিকে বড় করবে, গতিশীল করবে। একজন প্রবাসী যখন দেশে অর্থ পাঠায় তখন তার পরিবার সেই টাকা খরচ করে। মনে করেন, একজন প্রবাসীর পাঠানো টাকায় তার পরিবার এক কেজি চাউল কিনলো। এতে এই এক কেজি চাউল উৎপাদনকারী কৃষক থেকে খুচরা বিক্রেতার কাছে আসা পর্যন্ত যতোগুলো ধাপ পার হয়ে আসে, সবাই অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হয়। যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শেষ পর্যায়ে এই চাউল বিক্রি করলো, সেও উপকৃত হলো। এর ফলে কতোজনের কর্মসংস্থান হলো, কতোজন মানুষ এই ধাপগুলোর ফলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হলো, তারা আর তাদের পোষ্যরা ভালো জীবন-যাপন করলো; সেটাই ভাবার বিষয়। একই কথা একটা শার্ট (আমাদের দেশের কোন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে উৎপাদিত) বা দৈনন্দিন যে কোনও কমোডিটি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই যে পুজির বা পুজির তারল্যের মোবিলিটি……এটাই দিনশেষে আসল কথা। এটা না থাকলে একটা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা স্থবির হয়ে যেতে বাধ্য। এভাবেই একজন উদ্যোক্তা যেমন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, তেমনি একজন তথাকথিত রেমিটেন্স যোদ্ধাও। এই সামান্য অর্থনীতিটুকু আমরা না বুঝলে কেমনে হবে?
এ'ছাড়া দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুদৃঢ় হওয়ার বিষয়টা তো আছেই। এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাওয়া এই পোষ্টে কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক হওয়ায় সেদিকে যাচ্ছি না। তাছাড়া, আমার শক্ত বিশ্বাস আছে যে, একটা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুদৃঢ় হওয়া যে কতোটা জরুরী এটা সবাই জানে। বিশেষ করে ব্লগারদের তো আরো ভালোভাবে জানার কথা!
প্রসঙ্গক্রমে আরেকটা বিষয় বলি। প্রবাসে যারা উচ্চ-শিক্ষিত; প্রফেসর, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, গবেষণা ইত্যাদি পেশায় আছেন, তারা মোটামুটিভাবে সেদেশেই স্থায়ী। উনাদের বেশীরভাগই স্বচ্ছল পরিবার থেকে উঠে আসা। দেশে উনাদের পাঠানো টাকায় সংসার চালানোর মতো মানুষ স্বাভাবিকভাবেই কম, অনেক ক্ষেত্রে একেবারেই নাই। তাই দেশে উনারা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা টাকা পাঠান না। পক্ষান্তরে, যাদেরকে আমরা শ্রমিক বলি, যারা আমাদের চোখে অশিক্ষিত বা স্বল্প-শিক্ষিত; তারা ন্যুনতম খরচে প্রবাসে মানবেতর জীবন-যাপন করে বাকী প্রতিটা পাই-পয়সা দেশে পাঠান। ''রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বেডরুম'' দেখে আপনাদের এ'ব্যাপারে সম্যক ধারনা অবশ্যই ইতোমধ্যে হয়েছে। আমাদের দেশের রেমিটেন্স প্রবাহ মূলতঃ ইনারাই চালু রাখেন, উচ্চশিক্ষিত পেশাজীবিরা নন। আর এনারাই দেশে আসলে বিমান বন্দর থেকে শুরু করে প্রতিটা পদে হয়রানী আর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের শিকার হন। আর এসব অনাচারে ত্যক্ত হয়ে কেউ যদি ভুলক্রমে একটু প্রতিবাদী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েই বসে, তাহলেই চারিদিকে ধর ধর রব উঠে…….আরে! বিদেশে কামলা দেয়া এক অশিক্ষিতের এতো বড় দুঃসাহস!! সবাই তখন ভুলে যায়, একটু আগেই ''অশিক্ষিত'' আখ্যা দেয়া একজনের কাছ থেকে আশা করা হচ্ছে একজন উচ্চশিক্ষিতের বিনয়!! এসব দেখলে আমার একটা শব্দই মাথায় আসে…...হলি কাউ!!! এদের সমালোচনায় সময় নষ্ট না করে পারলে এসব অনাচার নিয়ে লিখুন। তারা যতোটুকু ডিজার্ভ করে, অন্ততঃ ততোটুকু দেয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিবারই যখন দেশে আসি, এয়ারপোর্টে আমি নিজের চোখে এদের প্রতিপদে হয়রানির শিকার হতে দেখি। আর শেষ পর্যন্ত এদের প্রাপ্য সন্মান যদি নাই দিতে পারেন, অন্ততঃ এদের নিয়ে নেগেটিভ কথা বলা বন্ধ করেন……এটাও তাদের জন্য 'অনেক করা' বলেই গন্য হবে।
বাইরের কথা বাদ। প্রবাসীদেরকে নিয়ে বিভিন্ন রকমের অনাকাঙ্খিত মন্তব্য বিভিন্ন সময়ে এই ব্লগেই দেখি। অন্ততঃ এক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ দেখি বেশ ভালোভাবেই আছে! বেশীরভাগ সময়েই ইগনোর করার চেষ্টা করি, তবে এবার ভাবলাম কিছু বলে নিজে একটু হাল্কা হই। আমি বুঝি না, কেউ যদি একটু আবেগী হয়ে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে রেমিটেন্স যোদ্ধা ও তাদের অবদান, পোষাক শিল্পের বোনদের অবদান কিংবা আমাদের কৃষকভাইদের অবদানের কথা বলে, তাতে সমস্যা কোথায় আর এতে গাত্রদাহের কারনই বা কি? এরা সবাই তো এ'দেশেরই সন্তান। এরা সবাই নিজের আর তার পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য যেমন কাজ করছে, তেমনিভাবেই দেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে…..নাকি ভুল বললাম! ভুল কিছু বললে আমাকে সংশোধন করে দিবেন দয়া করে।
প্রতিটা মানুষকেই তার প্রাপ্য সন্মান দেয়া উচিত। আর তা না দিতে পারলে অন্ততঃ অসন্মান যেন আমরা কোনভাবেই না করি।
ছবিটা গুগল থেকে নেয়া।
০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই দেশ সবার, আর এই দেশ গঠনে সবারই ভূমিকা আছে। প্রবাসীদেরকে আলাদা করে দেখার কিছু নাই। আমার পোষ্টের মূল বক্তব্য আপনি বলে দিয়েছেন। এটাই বলতে চেয়েছি আমি।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২| ০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৬
কল্পদ্রুম বলেছেন: গাত্রদাহের কারণ সম্ভবত আমাদের পরশ্রীকাতরতা।রেমিটেন্স যোদ্ধাদের মর্যাদা শুধু কি আমরাই কম দেই!সরকারি কর্মকর্তারাও তাদের পাত্তা দেন না।বিদেশে আমাদের দূতাবাসগুলোতে তাদের হয়রানির খবর আমাদের মিডিয়াতেই আসে।
০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেজন্যেই বলেছি, ''এক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ দেখি বেশ ভালোভাবেই আছে''!
তারপরেও, সরকারী কর্মকর্তাদের কথা বাদ, তাদের কাছ থেকে আমি গঠনমূলক কিছু আশাও করি না। তবে, চিন্তায় পড়ে যাই কতিপয় ব্লগারের মন্তব্য দেখে!
৩| ০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৯
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: এটা ভেবে ভালো লাগলো যে আমাকে বেয়াদব না বলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বলেছেন।
আপনি কি এফ এম রেডিও শোনেন? ইউটিউবে বাংলা নাটক দেখেন?
বেশ কিছু এফএম রেডিওতে এক ধরনের অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানটা হয় বিবাহ বিচ্ছেদ, ব্যার্থদের গল্প, ব্যার্থতা থেকে ঘুরে দাড়ানোর গল্প ইত্যাদি ইত্যাদি টপিক নিয়ে। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে আরজে দের প্রায়ই একটা কথা বলতে শোনা যায়- "আপনারা বাজে মন্তব্য করবেননা। এই অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের ছোট করা হচ্ছেনা।" আপনার মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, আরজে সাহেবরা কেন একথা বলেন? তারা একথা বলেন এই কারনে যে, যারা প্রবাসে আছেন তারা "খ" "ম" "চ" বর্গীয় শব্দ ব্যবহার করে মেসেজ দেন। আর যারা ভদ্র মেসেজ পাঠান তাদের মেসেজগুলো হয় এমন- এই অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের ছোট করা হচ্ছে, ও প্রবাসীরা তো নবাবজাদা কামলা তাই তাদের ছোট করা হয় ইত্যাদি।
মূলত ওসব অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের স্ত্রীরা এসে তাদের ঘটনা শেয়ার করেন এজন্য সব প্রবাসী খেপে যান।
ইউটিইবে নাটক দেখা শেষ হয়ে গেলে নিচে নেমে কমেন্ট পড়ার চেষ্টা করি। নাটকের লিড রোল প্লে করা কোন ক্যারেকটার যদি পান্জাবি বা টুপি পরেন আর লিড রোল প্লে করা নায়িকা যদি হিজাব পরেন তাহলে এই ধরনের কমেন্ট পরিলক্ষিত হয়ঃ- "বাংলা নাটকের নামে এরা সৌদি প্রবাসীদের অপমান করছে।" (লেওওও ঠেলা!!!)
এখন আপনি আমায় বলেন- এত আবেগ আসে কোথা থেকে?
মো সাজ্জাদ হোসেনের ওই পোস্টে আমার এমন মন্তব্য ছিল অপ্রসাঙ্গিক। কিন্তু মন্তব্যের বিষয়টা নিয়ে আমি আমার অবস্থান অনুযায়ী অনড় থাকবো।
কিছু কিছু প্রবাসী এমন ভাব লাগায়- এরা যদি যুদ্ধ করতো তাহলে দেশ অর্ধেক এরা নিয়ে নিত। কেউ নিজের খায়েশ করে খারাপ থাকতে চায়না। সবাই সাধ্যমত ভালো থাকতে চায়।
০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিছু কিছু প্রবাসী এর জন্য ঢালাও মন্তব্য করা ঠিক না। এই কিছু কিছু টা কিন্তু সমাজের সব ক্ষেত্রেই আছে। সেটাকে জেনারালাইজ করা কতোটা যুক্তিযুক্ত মনে হয় আপনার কাছে? দেশে কিছু কিছু চোর আছে বলে কি আপনি পুরো দেশবাসীকেই চোর বলতে পারেন? ভাবেন।
আপনি কি এফ এম রেডিও শোনেন? ইউটিউবে বাংলা নাটক দেখেন? দু‘টার উত্তর-ই না।
মো সাজ্জাদ হোসেনের ওই পোস্টে আমার এমন মন্তব্য ছিল অপ্রসাঙ্গিক। কিন্তু মন্তব্যের বিষয়টা নিয়ে আমি আমার অবস্থান অনুযায়ী অনড় থাকবো। আপনার যেমন অভিরুচি!!!
৪| ০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঐ পোস্ট আমার পড়া হয়নি। তবে যে দুজনের মন্তব্য নিয়ে আপনার এই পোস্ট দিয়েছেন সেই দুই মন্তব্যকে আমি সমর্থন করি। আমি নিজেও ১০ বছর ধরে প্রবাসী। প্রবাসীদের নিয়ে আদিখ্যেতা বিষয়ে আমার একটা পোস্ট-ও আছে 'ন্যাকা প্রবাসী'। রেমিট্যান্স আর রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য কেউ প্রবাসে যায় না। যায় নিজের প্রয়োজনে, দেশে টিকতে না পারার ব্যর্থতায়...
০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি পোষ্টটা মনোযোগ দিয়ে পড়ে কি বলতে চেয়েছি সেটা বুঝেও যদি এই মন্তব্য করে থাকেন.......তাহলে দুঃখিত বলা ছাড়া আমার আর কিছুই বলার নাই।
৫| ০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৮
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: আসলেই কিছু কিছুর জন্য সবাইকে ইঙ্গিত করে ফেলেছিলাম।
০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে; তবে বুঝতে পারাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ।
৬| ০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের জন্য যারা কাজ করে তারা সম্মানিত। হোক সে রিকশাওয়ালা বা একজন প্রবাসী।
০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই তো একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। এটাই হলো আসল কথা। মাঝে মধ্যে আপনার মন্তব্য দেখে আসলেই চমৎকৃত হই!!!
৭| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৫
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তিন নম্বর মন্তব্যের সাথে সহমত। কারন সবাই যদি অর্থনীতিতে কার কত অবদান সেটা কাড়াকাড়ি করি তাহলে গার্মেন্টস রপ্তানীর একাই অবদান ৭৫ শতাংশ। তাহলে এরা কি দোষ করলো? পৃথিবীর অনেক দেশ পর্যটন নির্ভর, সুইডেনের অর্থনীতি বনের কাঠ নির্ভর তাই বলে সেখানে তো এমন দেখি না যে আমারে এইটা দাও। তাহলে যেসব দেশ অস্ত্র নির্ভর তারা এটা চাইলে খবর আছে যেমন রাশিয়া।
এখন আসি সামস্টিক অর্থনীতি এক্ষেত্রে ক্ষুদ্রঋণ এবং প্রান্তিক কৃষকের অবদান বেশী কারন তাদের ফলানো ফসল ও মাছে পৃথিবীতে বাংলাদেশ শীর্ষস্হানে এবং আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন। সেক্ষেত্রে এখানেও সেটা খাটছে না।
বিদেশের শ্রমিকদের অবদান শুধু রেমিটেন্সে যার ফলে বাংলাদেশ সরকার তার বদলে বেসরকারী পর্যায়ে উন্নয়নের নামে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয় এবং বাজারে টাকা ইনজেক্ট করে। দুর্নীতির কারনে তার বড় একটা অংশ কিছু ক্ষমতাশালী মানুষের কাছে কুক্ষিগত। এটা নিয়ে কথা বলা উচিত।
আর বিদেশীদের ক্ষেত্রে যদি কাল মিডল ঈস্ট নাগরিকত্ব দেয়া শুরু করে তাহলে এসব রেমিট্যান্স যোদ্ধা পরিবার পরিজন নিয়ে সব ওখানেই থেকে যাবে এছাড়া ওখানকার জব মার্কেটও খারাপ। মালয়েশিয়াতেও তাই শুরু হইছে। সীমিত সম্পদ নিয়ে এত মানুষের জন্য লড়া কিছু করা এটা অসম্ভব। ইউকে এত বড় দেশ ইউরোপে এত মানুষ আসতেছে সেটা চালাতে হিমশিম তাই ব্রেক্সিট করলো। সেখানে একে তো আমারা ছোট দেশ তার ওপর জনসংখ্যা ইউকে থেকে কয়েকগুন। আমরা তো হোঁচট খাবোই
তাই রেমিট্যান্স যোদ্ধা টার্মটা নিয়ে যারা ইমোশনাল ব্লাক মেইল করছেন তারা আসলে তাদের কুকর্ম ঢাকছেন কারন প্রবাসীরা ও যে দেশে এসে বড় বড় কুকর্মে জড়িয়ে দেশ ছাড়েন সেটাও একটা বড় ব্যাপার
০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তিন নম্বর মন্তব্যের সাথে সহমত। কারন সবাই যদি অর্থনীতিতে কার কত অবদান সেটা কাড়াকাড়ি করি তাহলে গার্মেন্টস রপ্তানীর একাই অবদান ৭৫ শতাংশ। তাহলে এরা কি দোষ করলো? চার নং মন্তব্যের উত্তরটা আপনার জন্যও প্রযোজ্য। আবারও দুঃখিত বলছি আপনাকে না বোঝাতে পেরে।
বিদেশের শ্রমিকদের অবদান শুধু রেমিটেন্সে যার ফলে বাংলাদেশ সরকার তার বদলে বেসরকারী পর্যায়ে উন্নয়নের নামে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয় এবং বাজারে টাকা ইনজেক্ট করে। আর কোন অবদানের কথা কি বলেছি? আমার কথা হলো, প্রত্যেককে তার অবদানের স্বীকৃতি দেয়া উচিত, আর না দিতে পারলে বাজে কথা না বলে চুপ থাকা উচিত। যেমনটা আমেরিকার পুলিশ প্রধান ট্রাম্পকে বলেছে।
দুর্নীতির কারনে তার বড় একটা অংশ কিছু ক্ষমতাশালী মানুষের কাছে কুক্ষিগত। এটা নিয়ে কথা বলা উচিত। আপনার কাছ থেকে তেমন একটা লেখা আশা করছি।
আমার পোষ্টের মূল ফোকাস হলো, যার যা অবদান সেটাকে স্বীকৃতি দেয়া........বাকী আপনি যা বলেছেন, সেগুলো নিয়ে অন্য পোষ্ট হতে পারে; এই পোষ্টের বিবেচ্য বিষয় না।
৮| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি আসলে প্রবাসী শ্রমিকদের কষ্টকর জীবনের কথাটাই তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। আমি যেহেতু প্রবাসী শ্রমিকদের কাজের জন্য অন্যতম একটা দেশ মালয়েশিয়াতে আছি, বর্তমানে আমি বাংলাদেশের শ্রমিকদের কষ্টের ব্যাপারটা নিজের চোখে দেখতে পাই। প্রতিনিয়তই দেখছি । সেটারই সামান্য একটা অংশ তুলে ধরতে চেয়েছি । অনেকেই বুঝতে চাননি। প্রবাসী শ্রমিকরা বিদেশে অমানবিক জীবনযাপন করেন। তাদের কোন পারিবারিক জীবন নাই। সামান্যতম শান্তিও তারা পান না। তাদের জীবন কাটে কষ্ট আর হাহাকার নিয়ে।
০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি আপনার লেখার মূল সুরটা ধরতে পেরেছি।
তবে আশ্চর্য হচ্ছি যে, অনেকেই আমার এই লেখার মূল সুরটা ধরতে পারছেন না। হতাশাজনক একটা অবস্থা।
৯| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
নিজের জন্য, পরিবারের জন্য সর্বোপরি দেশের জন্য যারা কিছু করে থাকেন, এদের প্রত্যেকের অবদানকে সম্মান করা উচিত। এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এককভাবে কারও পক্ষে বড় কিছু করা সম্ভব নয়। দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতিতে প্রবাসীদের অবদানকে মূল্যায়ন করা হলে তারা আরও উৎসাহিত হবেন। পোস্টে +
০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি পোষ্টে খুব পরিস্কার করেই বলেছি, পুজিবাদী অর্থনৈতিক অবস্থায় সবাই নিজের জন্যই কাজ করে। এই অবস্থায় দিনশেষে সেটা যদি দেশের উপকারে আসে, তাহলে তার স্বীকৃতি থাকা উচিত। রাষ্ট্র তো বহুত দুরের কথা, ব্লগারদের অনেকেই দেখি ব্যাপারটা বোঝে না!!! আবারও হলি কাউ বলতে ইচ্ছে করছে।
দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতিতে প্রবাসীদের অবদানকে মূল্যায়ন করা হলে তারা আরও উৎসাহিত হবেন। সঠিক বলেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১০| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওয়েল সেটা নিয়ে আমার বহু পোস্ট আছে, দেশে সেটা নিয়ে কর্মকান্ড ও আছে। যদিও আমার কর্মকান্ড নিয়ে পোস্ট করি না নিজের নিরাপত্তার খাতিরে।
আর নতুন নকিবকে একটু উল্লেখ করছি। আশা করি কিছু মনে করবেন না। উনি কমেন্ট মডারেশনে রেখেছেন আমাকে।
নবীর লাশ চুরির গল্পটি প্রথম উল্লেখ করেন নূর আল দ্বিন আলি বিন আলি আহমাদ তার ওয়াফা আল ওয়াফা বি আকবর দার আল মুস্তাফা বইতে। গল্পের সবচে দুর্বল পয়েন্ট হলো ইতিহাসের কোথাও লেখা নেই যে সুলতান নূর জঙ্গি ৫৫৭ হিজরীতে মদিনা সফর করেছিলেন। তাই ঘটনাটি এখনো নিছক গাল গল্প হিসেবেই অনেক ইসলামীক স্কলার মত দেন। একজন সুলতানের প্রাত্যহিক ভ্রমন ও তার সফর নিয়ে আসলে এমন লুকোচুরি করা সম্ভব না। ইতিহাসের কাছে এমন অনেক ধর্মীয় আবেগী গাল গল্প ভুল প্রমানিত হয়েছে।
তবুও ধরে নিলাম আমি মিথ্যা বলছি। সেক্ষেত্রে আপনি প্রমান করতে পারেন সুলতান সাহেব ঐ সময় মদিনা ভ্রমন করেছেন।
নবী মোহাম্মদকে নিয়ে মিথ্যা ওয়াজ করাটাও মনে হয় ইসলামে সোয়াবের দৃস্টিতে দেখা হয় না, তাই না?
সবাই যাতে সত্য জানে সেজন্যই কমেন্ট টা রেখে গেলাম। ধন্যবাদ
০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগার নতুন নকিব আপনাকে যদি কমেন্ট মডারেশনে রেখে থাকেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার। আমার পোষ্টের সাথে প্রাসঙ্গিক না, এমন কোন মন্তব্য দয়া করে এখানে করবেন না। নকীব ভাইকে অনুরোধ করবো এর উত্তর না দেয়ার জন্য। কারন কথায় কথা বাড়ে। আমি চাই না, আমার এই পোষ্টে ভিন্ন প্রসঙ্গের অবতারনা হোক।
১১| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: প্রতিটা সাধারণ নাগরিকই দেশ প্রেমিক । তবে শাসকেরা শক্তিমান দেশ প্রেমিক। হা হা
০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হক কথা!!!
১২| ০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৯
করুণাধারা বলেছেন: আশির দশকেও দেশে বিদেশী স্নো পাউডার চকলেট ঢাকায় দুর্লভ ছিল। আস্তে আস্তে এগুলো পাওয়া যেতে লাগলো, এগুলো পাবার জন্য গড়ে উঠলো নানা নামের এসি মার্কেট। তখন শুনেছিলাম, বিদেশি শ্রমিকদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রার কারনেই আমদানি নির্ভর এই বাজার গড়ে উঠেছে। প্রবাসী শ্রমিকরা পরিবারের জন্য রোজগার করেন, কিন্তু তার পরিবারের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ার সাথে সাথে দেশের অর্থনীতির ক্রম উন্নয়ন হয়। দেশের উন্নয়নে এদের কোনো অবদান নেই- যারা একথা বলেন তারা সত্যকে মানতে চান না।
অবশ্য এটা ঠিক, এই অভব্য অশিক্ষিত প্রবাসীরা আমাদের লজ্জায় ফেলে দেয়। তাই মন্ত্রী থেকে শুরু করে ব্লগার- সকলেই তাদের উপর বিরক্ত। এই আপনার মত শিক্ষিত প্রবাসীরা, যাদের থেকে দেশ তেমন টাকা পায় না, তাদের নিয়ে উপরোক্তদের কোন অসুবিধা নেই। আপনারা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা প্রবাসী, আপনারা ঠাস ঠাস ইংরেজি বলতে পারেন।
যেমন ধরুন কদিন আগে দেশ থেকে দুজন অপরাধী প্লেন নিয়ে নির্বিঘ্নে পালালেন, তাদের সহায়তা করল বাংলাদেশ দূতাবাস। অথচ এই মৃত্যু পথযাত্রী শ্রমিকের জন্য দেখেন আমাদের দূতাবাস পদে পদে বাঁধা সৃষ্টি করেছে। view this link
আমার একটা পোস্ট ছিল, দিলাম। view this link অন্তত দ্বিতীয় প্যারাটা পড়বেন সময় করে।
০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন আপা।
কিছু মন্তব্য পড়ে আসলেই হতাশ হচ্ছিলাম, হতাশা একেবারেই কেটে গেল এখন। তবে, মনে হচ্ছে, পোষ্টটা ততোটা কায়দামতো হয় নাই। আপনার ''কম ভালো লাগা'' দেখে তো তাই মনে হচ্ছে!
একটা কথা না বলেই পারছি না। আপনারা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা প্রবাসী, আপনারা ঠাস ঠাস ইংরেজি বলতে পারেন। আমি কিন্তু ঠাস ঠাস করে ইংরেজি বলতে পারি না। অন্ততঃ এমন কোন শব্দ কথা বলার সময় পাই না!!!
আপনার পোষ্ট অবশ্যই দেখবো। লিঙ্ক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্য এটা ঠিক, এই অভব্য অশিক্ষিত প্রবাসীরা আমাদের লজ্জায় ফেলে দেয়। স্যরি। এই লাইনটার কারনে একটু বোঝার গ্যান্জাম লেগে গিয়েছিল। স্যাটায়ারিক টোনটা ধরতে পারি নাই প্রথমে।
১৩| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
করুণাধারা বলেছেন: ভাল লাগা তো প্রথমেই জানালাম! কম হলো কোথায়?
মানিক মিয়া এভিনিউতে এক লোক এক বিকৃত দেহের কিশোরকে কোলে নিয়ে তাকে দেখিয়ে ভিক্ষা চাইতো। একদিন সেই কিশোরের চোখের দিকে তাকিয়ে আমার মনে হল গভীর লজ্জায় সে মরে যাচ্ছে। এই প্রবাসী শ্রমিকদের দেখলেই আমার এই কিশোরের চোখের কথা মনে পড়ে। এরা প্রবাসে ভালোবাসাহীন কষ্টকর জীবন কাটায়, অপমান আর প্রতারণা এদের নিত্যসঙগী। অদ্ভুত লাগে, দেশেও এরা নূন্যতম সম্মান পায় না। কেন? তারা অভব্য অশিক্ষিত। গত ত্রিশ বছরে কেউ কেন তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেনি!!
কিছুক্ষণ আগে এই খবর দেখে মন খারাপ হল, তাই এত বড় মন্তব্য করলাম। ইদানিং আমি তেমন মন্তব্যও করি না। আগের লিন্ক কাজ করছে না, হয়ত খবরটা আপনি দেখেছেন, তবু দিলাম। view this link
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে আমার এক্সটেনশান মন্তব্যে এর ব্যাখ্যা দিয়েছি, স্যরিও বলেছি। আসলে বয়স বেড়ে যাচ্ছে......আজকাল চট করে অনেক কিছু বুঝতে পারি না।
চোখ দেখে মানুষের লজ্জা বোঝার মতো মানুষের সংখ্যা আমাদের দেশে দ্রুত কমে যাচ্ছে। কি আর করা। এসব নিয়েই থাকতে হবে আমাদের। একটা পরিবারের প্রধান যদি তার পরিবারের সদস্যদের যথাযথ শিক্ষা না দিতে পারে, তাহলে দায় কার? এসব বোঝার জন্য একটা মননশীল মনের দরকার। এই মন যাদের আছে, কেবলমাত্র তারাই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে।
ইদানিং আমি তেমন মন্তব্যও করি না। কেন.......অভিমান করে লাভ কি? হয়তো একদিন পরিবর্তন আসবে। সেদিনের অপেক্ষায় থাকা। এটাই এখন একমাত্র আশার আলো।
১৪| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫২
করুণাধারা বলেছেন: নাহলে, লিন্ক কাজ করছে না।
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অসুবিধা নাই। লিঙ্ক কাজ করছে না দেখেই সম্ভবতঃ আপনি নীচে পুরো খবরটা দিয়েছেন।
১৫| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: Click This Link
১৬| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০০
করুণাধারা বলেছেন: রানা শিকদার একজন প্রবাসি কর্মী। সিঙ্গাপুরে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে খেয়ে না খেয়ে পরিবার ও দেশের জন্য টাকা পাঠান। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। জীবনের শেষ কটা দিন দেশে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চান। কিন্তু টাকার অভাবে সিঙ্গাপুর থেকে আসতে পারছেন না।
রানা শিকদারের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। সংসারে স্বাচ্ছন্দ্য আনতে ২০০৮ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আগে আগে চলে যান সিঙ্গাপুর। কাজ পান শিপইয়ার্ডে। দেশে কিছু করবেন বলে ২০১৫ সালে একেবারে ফিরে আসেন। অবশ্য এর মধ্যে একাধকিবার দেশে এসেছিলেন, বিয়ে করেছেন, একটা ছেলে সন্তানও হয়েছে তার। দেশে এসে এলাকায় কাপড়ের দোকান দিয়েছেন। টিকতে পারেননি। পরে দিয়েছেন মুদি দোকান। তাও টিকল না। অর্থকড়ি যা ছিল সব শেষ। ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আবার পাড়ি জমালেন সিঙ্গাপুরে। কাজ করতে লাগলেন শিপইয়ার্ডে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে হঠাৎ রানার পেটে ব্যথা আর বমি হয়। যান চিকিৎসকের কাছে। ওষুধ খেয়ে ব্যথা কমায় আবারও ছুটেন কাজে। সপ্তাহখানেক না যেতেই আবার ব্যথা, বমি। এবার ভর্তি হতে হলো হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গেল তার পাকস্থলীতে ক্যানসার। চিকিৎসকেরা জানালেন, একেবারে শেষ পর্যায়ে ক্যানসার। তাদের আর কিছু করার নেই।
‘মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে মা আর ছেলের মুখটা ভেসে উঠল মনে’, বললেন ৩২ বছর বয়সী রানা। তিনি এই প্রতিবেদককে বললেন, ‘ডাক্তারদের বললাম, যেহেতু বাঁচব না, তাই জীবনের শেষ কটা দিন পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চাই’। কিন্তু, ততদিনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বিমান চলাচল বন্ধ। ‘ভেবেছিলাম, জীবনে হয়তো আর কোনো দিনই ছেলের মুখটা দেখতে পাব না। সারাক্ষণ কান্না করতাম’, বলেন রানা।
সিঙ্গাপুরের হাসপাতালের চিকিৎসক সিনথিয়া গুহ হঠাৎ রানার জীবনের গল্প শুনলেন। বললেন, ‘দেখি কী করা যায়।’ সিনথিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রানার শেষ ইচ্ছাটা (দেশে ফেরা) আমি জানতে পারি ১৫ মে। এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করতে বললেন। যোগাযোগ করি, কিন্তু আশানুরূপ সাড়া পাইনি। এক পর্যায়ে হাসপাতালের একজন নার্স প্রস্তাব করেন, আমরা ক্রাউডসোর্সিংয়ের মাধ্যমে রানার জন্য ফান্ড তৈরি করতে পারি।’
‘জানতে পারলাম ১০ জুনের আগে স্বাভাবিক ফ্লাইট চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যাবে। আমি দ্রুত একটা মেডিকেল ইভাকুয়েশন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা জানায়, যদি সিঙ্গাপুরের স্থানীয় কেউ দায়িত্ব নেয়, তবে তারা রোগী ঢাকায় পৌঁছে দেবে। টাকা পরে দিলেও হবে। এরপর দ্রুত যোগাযোগ করি সিঙ্গাপুরের মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স সেন্টারে। তারা অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। আমরা ক্রাউডসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ফান্ড জোগাড়ের পুরো ব্যাপারটা তাদের বুঝিয়ে দেই’- এক নিশ্বাসে বলে গেলেন সিনথিয়া।
চিকিৎসক সিনথিয়া জানান, যখন সব মোটামুটি গুছিয়ে আনা হচ্ছে, তখন বাংলাদেশ হাইকমিশন রানার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলল। সিনথিয়া বাংলাদেশে রানার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাইকমিশনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। এরপর হাইকমিশন বলল, করোনা পরীক্ষার ফলাফলও জমা দিতে হবে। তাও দেওয়া হয়। এর পর এক শুক্রবার বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, রানাকে বাংলাদেশের কোন হাসপাতাল গ্রহণ করবে তা তাদের জানাতে এবং ওই হাসপাতালের একটা চিঠি হাইকমিশনে পাঠাতে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত রানাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আনা হয় ২২ মে। ছবি: সংগৃহীত
সিনথিয়িা বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত, আমি বাংলাদেশে প্রায় ছয় বছরের মতো ক্যানসারের ওপর কাজ করেছি। তাই সেখানে আমার পরিচিত ডাক্তারদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালযয়ে (বিএসএমএমইউ) যোগাযোগ করি। তারা রানাকে গ্রহণ করতে রাজি হয় এবং একটা চিঠিও পাঠায়।’
ডা. সিনথিয়া বলেন, ‘হাইকমিশনে ওই চিঠি জমা দেওয়ার পর তারা জানায়, বিশেষ বিমান অবতরণের জন্য সিভিল এভিয়েশনের অনুমতি লাগবে। আবার বাংলাদেশে যোগাযোগ করে অনুমতি জোগাড় করি। সবশেষে ২২ মে রাতে আমরা রানাকে তার জন্মভূমিতে, পরিবারের কাছে পাঠাতে সক্ষম হই।’
কেন এতটা ঝামেলা নিলেন— জানতে চাইলে সিনথিয়া বলেন, ‘রানার চাওয়া তো খুব বেশি কিছু না। শুধু জীবনের শেষ কয়টাদিন পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চেয়েছেন তিনি। মানুষ হিসেবে যদি এইটুকু না করতে পারতাম, তবে নিজেকে অপরাধী মনে হতো।’
রানাকে বিশেষ বিমানে বাংলাদেশে পাঠাতে খরচ হয় ৪৮ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার বা ৩১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। আর রানারজন্য ডা. সিনথিয়ারা যে তহবিল গঠন করেছিলেন মাত্র ৭২ ঘণ্টায় তাতে জমা পড়ে ৬০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার বা ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের অনুমতি নিয়ে ২৩ মে দুপুরে নারায়ণগঞ্জে নিজ বাড়িতে চলে যান রানা শিকদার। আছেন পরিবারের সান্নিধ্যে।
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এ‘ধরনের খবর শুনলে এখনও আশা জাগে। মানুষ এখনও মানুষের জন্য কাজ করে, এমন উদাহরন বহু আছে। তবে আমাদের দেশের হাই কমিশনের যেটা করা উচিত ছিল, সেটা করেছেন একজন বিদেশী চিকিৎসক, সিঙ্গাপুরের সাধারন মানুষ! দুঃখটা এখানেই।
যাক, শেষ সময়গুলো রানা শিকদারের ভালো কাটুক, এটাই কামনা করছি।
১৭| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই তো একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। এটাই হলো আসল কথা। মাঝে মধ্যে আপনার মন্তব্য দেখে আসলেই চমৎকৃত হই
ভালো থাকুন ভাই সাহেব।
এই দেশের টা খেয়েপরে বহুলোক কিন্তু এই দেশের ক্ষতি করছে। এরা শত্রু।
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশের শত্রুরা নিপাত যাক! মানবতা মুক্তি পাক!!!
১৮| ০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কথা হলো, প্রত্যেককে তার অবদানের স্বীকৃতি দেয়া উচিত, আর না দিতে পারলে বাজে কথা না বলে চুপ থাকা উচিত।
++++
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা যতো দ্রুত সবাই বুঝবে, ততোই মঙ্গল ভৃগুদা।
১৯| ০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
খুব যুক্তিসংগত ভাবে লেখা।
মানুষ মাত্রেই স্বার্থপর। মনে হয় সৃষ্টিকর্তাও এর বাইরে নন। এই স্বার্থপরতা টিকিয়ে রাখতেই মানুষের জীবনের সব ক্রিয়াকান্ড ঘটতে থাকে। ব্যক্তিগত ক্ষমতার ওজনে কেউ এই জন্যে রিক্সা চালায়, কেউ চালায় উড়োজাহাজ। চোর চুরি করে পেটের জন্যে, ডাকাতরা অর্থের জন্যে। ভালো বা মন্দ যাই হোক সবটাই তার বেঁচে থাকার স্বার্থে। আপনি-আমিও যে কাজ করছি তার মূলটাই বেঁচে থাকা। এই বেঁচে থাকার বা নিজ স্বার্থের কারনে যে সকল কর্মকান্ড আমরা করে থাকিনা কেন , আমরা না চাইলেও তা সমাজে উপযোগ ও উপযোগীতা সৃষ্টি করে। তা-ই সমাজকে সচল রাখে। সমাজ চলে, সাথে চলে রাষ্ট্রও। খুব সুন্দর ও সহজ ভাবে আপনি এই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন।
এটা আসলেই খুব বেশী হৃদয় বিদারক যে, প্রবাসে ঘাম-রক্ত ঝরিয়ে খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে আমরা কোনও অর্থেই মানুষ মনে করিনে। অবহেলা, ঘৃনা দিয়ে হয়রানি, হেনস্থার একশেষ করি। হতে পারে তারা অশিক্ষিত, অভব্য নিয়মকানুন না জানা মানুষ তবুও তাদের তা প্রাপ্য নয় মোটেও। আর আমরা নিজেরাও কি খুব একটা শিক্ষিত, ভব্য, নিয়ম জানা কিছু ? এটা মনে হয় ঘটে থাকে আমাদের সামগ্রিক অশিক্ষার কারনে। এই অশিক্ষার কারনেই আমরা জনগণের রক্ত চুষে খেয়ে ধনবান হওয়া লোকদের সালাম ঠুকি আর হতদরিদ্র একজন রিক্সাওয়ালাকে চড় কষি, প্রবাসীদের হেনস্থা করি।
লেখার শেষ চারটি লাইনের কথার সূত্রেই বলি --- আপনার মতো বুঝদার সবাই হয়না, সবাই-ই এই বোঝার জ্ঞানটুকুও রাখেনা। মানুষ যে যেরকম তাকে সে ভাবেই মূল্যায়ন করা উচিৎ , মূল্যায়নের ভিত্তিতে তাকে তার সেই প্রাপ্য সম্মানটুকুই দেয়া উচিৎ।
একজন চমৎকার সচেতন মানুষের পোস্ট। লাইকড।
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার কাছে অবশ্য সৃষ্টিকর্তাকে স্বার্থপর মনে হয় না জী এস ভাই। তবে উনি গিভ এন্ড টেইকে বিশ্বাসী।
মানুষ মাত্রেই স্বার্থপর অত্যন্ত সঠিক কথা। তবে সেটা মাত্রা ছাড়া হলেই সমস্যা। রাষ্ট্র কিংবা সমাজ বিরোধী ক্রিয়া-কর্ম বাদে সবাই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সমাজে কন্ট্রিবিউট করে। একমাত্র বর্ণবাদী, স্বার্থপর এবং একই সঙ্গে পরশ্রীকাতর লোকজনই অন্যের কন্ট্রিবিউটকে অস্বীকার করতে পারে।
পশ্চিমা সমাজের অনেকের চোখেও আমরা, এশিয়ানরা অশিক্ষিত, অভব্য নিয়মকানুন না জানা এবং না মানা মানুষ। তারা সেটা প্রকাশ করলেই আমরা তাদের বর্ণবাদী বলে গালি দেই। কখনও নিজেরা ভাবি না, আমাদের কিছু আচরণের কারনে আমাদেরই কিছু ভাই ঠিক এমনটাই ভাবে। তাহলে, আমরা চিন্তা-চেতনায় আর উন্নত হলাম কোথায়?
আপনার চমৎকার এবং প্রেরণাদায়ী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২০| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সবার মনমানুষীকতা এক না। তাই প্রবাসীরা মাঝে মাঝে নিজেকে ভুল বাল উপস্থাপন করেন এবং অনেকে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে কুন্ঠা করেন।
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এর দায় যতোটা না আমাদের তথাকথিত অশিক্ষিত, অভব্য প্রবাসীদের, তার চেয়েও অনেকগুন বেশী তাদের, যারা তাদেরকে এমনটা হতে বাধ্য করেছে।
২১| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪২
পদ্মপুকুর বলেছেন: কয়েকদিন আগে ব্লগার নান্দনিক নন্দিনী একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; যেখানে গড কমপ্লেক্স বলে একটা মানসিক অসুখের কথা বলেছেন। এই রোগে আক্রান্তরা নিজেদেরকে সবসময় সবক্ষেত্রে নিরপরাধ মনে করে। জীবনের যেকোনো ঘটনায় অন্যদেরকে দায়ী করতে থাকে। নিজেদের ব্যর্থতা সহ্য করতে পারে না। এমনকি এই রোগে আক্রান্তরা নিজেদের এতটাই মহান ভাবে যে অন্যদের মতামত খারিজ করে দিতে বিন্দুমাত্র সময় নেয় না....
আমার মনে হয়, জাতিগতভাবে আমরা এখন এই রোগে ভুগতে শুরু করেছি। সবার মধ্যেই একটা 'নিজে ঠিক, অন্যে ভুল' ধারণা লালন করছি।
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো উদাহরন দিয়েছেন। রোগাক্রান্তরা আশু রোগ মুক্তি লাভ করুক। এটাই কামনা করছি।
সোশ্যাল কম্যুনিকেশানে একটা সিনড্রোমের কথা বলা হয়। IK IK Syndrome, এটা একটা স্ল্যাং; কোন কেতাবে সম্ভবতঃ পাবেন না। এটা হলো, আমি জানি আমি জানি (আই নো আই নো) সিনড্রোম। মানে আমিই সব জানি। অন্যভাবে বললে আপনার বলা কথাটাই বলতে হয়......নিজে ঠিক, অন্যে ভুল!!!
২২| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: সমাজের দরিদ্র শ্রেনীকে তুই তোকারি , তুচ্ছ তাছিল্য ও ধমকিয়ে কথা বলাটা অনেকেই নিজেদের অধিকার বলে মনে করেন। এই মানসিকতার মানুষ আমাদের দেশে প্রচুর।
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। তবে, সেটা নিয়ে আমরা কিই বা করতে পারি! তবে ব্লগারদের সম্পর্কে আমি সার্বিকভাবে অত্যন্ত উচ্চ ধারনা পোষণ করি। সেজন্যেই বোধহয় খারাপ লাগাটা বেশী।
২৩| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩২
মা.হাসান বলেছেন: জেনারেলাইজ করা আমাদের স্বভাব। কেন জেনারালাইজ করি? তার কারণ বলতে গেলে আর একটা পোস্ট হয়ে যায়। এই ব্লগে জাতিকে জ্ঞান দান করার মতো পোস্ট দাতা আছেন, তারাই সে কাজ করুক।
কখনো পজিটিভলি জেনারেলাইজ করা হয়, কখনো বা নেগেটিভলি করি। জেনারালাইজ করার কিছু উদাহরণ-- ১) রাজনীতিবিদ মাত্রই তাহাজ্জুদ গুজার। বাস্তবতা হলো এই যে অনেক রাজনীতিবিদ আছেন যারা শুধু তাহাজ্জুদ না , সাথে আউয়াবিন-এশরাকও পড়েন। ২) ব্লগের কবিতার মান অত্যন্ত উঁচু । বাস্তবতা হলো এই যে ব্লগ থেকে এখনো এস এম রইসউদ্দিন বা নাজমুন নেসা পিয়ারীর মত লেখক বের হয়ে আসতে পারে নাই। ৩) পুরুষ মানুষ নিজের স্ত্রীর কদর করে না। বাস্তবতা এই যে ভুয়া ভাইয়ের মতো স্ত্রী অন্ত প্রাণ পুরুষ জগতে বিরল। ৪) বিলাতের লোক অনর্গল ইনজিরি ভাষায় কথা বলে। বাস্তবতা এই যে ম্যানচেস্টার-গ্লাসগো-নিউ ক্যাসেলের লোক ইদ্দিশ ভাষায় কথা বলে।
এরকম অনেক জেনারালাইজ করার ঘটনা আছে- সব ডাক্তার খারাপ, সব পুলিশ খারাপ, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি খারাপ, বাসের কন্ডাক্টর-ড্রাইভার খারাপ, মডু মাত্র খারাপ ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা নিজেরা চিন্তা করেও দেখিনা যে স্ট্যাটিসটিকালি এরকম হওয়া সম্ভব না। মানুষের প্রিকনসিভড ধারণা আপনি পাল্টাতে পারবেন না, বা পাল্টানো খুব কঠিন। ব্লগের নীতিমালা আছে কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর উপরে নেগেটিভ মন্তব্য ঢালাওভাবে করা যাবে না। কিন্তু আইন করে মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করা যায় না।
রেমিট্যান্স শ্রমিকদের ব্যাপারে কয়েকটি কথা বলতে চাই। আমাদের দেশে যারা রেমিটেন্স পাঠায় এদের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সবচেয়ে এগিয়ে আছে। এই শ্রমিকদের বেশিভাগেরই সুযোগ ঘটেনি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। অনেকেই জমি বিক্রি করে বা বন্ধক রেখে বা ধার করে গিয়েছেন।
এদের চাকুরির শর্তাবলি সম্পর্কে ধারণা আমাদের খুব কম লোকেরই আছে। ইউরোপ বা আমেরিকায় যারা চাকরি করেন তারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন তাদের পাসপোর্ট তাদের নিয়োগকর্তার কাছে থাকবে? মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় সকল শ্রমিকের পাসপোর্ট থাকে নিয়োগ কর্তার হাতে। দেশে বাবা যদি মৃত্যু শয্যায়ও থাকে, মালিকের অনুমতি ছাড়া দেশে ফেরা সম্ভব না। এমনকি সৌদিতে যারা থাকেন, মালিকের অনুমতি ছাড়া হজও করতে পারেন না।
দেশে ফেরার সময় এরা পাসপোর্ট হাতে পায়। শুধু তাই না এদের দেশে ফেরার ছুটির সময়টাও অদ্ভুতভাবে নির্ধারিত হয়। এরা (অধিকাংশ) চুক্তিভিত্তিক কাজ করে, দু'বছর পর এদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আগে এদেরকে বাড়ি ফেরার ছুটি দেওয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে বলি, কাউকে জানুয়ারির ০১ তারিখে ছুটি দেয়া হলো দুমাসের জন্য। তাকে মার্চের ১ তারিখে ফিরে আসতে হবে। তার আকামার (ওয়ার্ক পারমিটের ) মেয়াদ মার্চের ৩ তারিখে শেষ হবে। অর্থাৎ এই কর্মী যদি কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন, বা ফ্লাইট ক্যানসেল হয়ে যায়, অন্য কোন সমস্যা হয়, এবং মার্চের ৩ তারিখের পর ফিরে আসার চেষ্টা করেন-- তিনি ফিরে আসতে পারবেন না।
গত আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে কোনো কারনে বাইরে যেতে হয়েছিলো। শারজাহ হয়ে আমি দেশে ফিরছিলাম । চেক ইন করার সময় দুজন যাত্রী দেখলাম (শ্রমিক) যাদের একজনের কাছে ছিল হাতে লেখা পাসপোর্ট (এটা ২০১৯ সালে) , আরেকজনের কাছে পাসপোর্ট ছিলনা, দূতাবাস থেকে ইস্যু করা ট্রাভেল পারমিট ছিলো। কারণ- দুতাবাসে পাসপোর্ট বই নেই। এই ধরনের ঘটনা শুধু মধ্যপ্রাচ্যের লেবারদের সাথে হয় । নর্থ আমেরিকা বা ইউরোপে গত কয়েক বছরে হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে ভ্রমন করেছে কেউ - এমন ঘটনা শুনেছেন? মধ্যপ্রাচ্যে এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। মধ্যপ্রাচ্যে পাসপোর্ট চাওয়ার পর না পেয়ে অভিযোগ করার পর শ্রমিকদের শারীরিক ভাবে মারধোরের ঘটনাও ঘটেছে, পত্রিকাতেও এসেছে।
শ্রমিকরা কি পায়? ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই আছে, তবে আমি যে একাধিক মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিককে দেখেছি (ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই আছে)- এরা ২০-২৫ বছর চাকরি করার পর দেশে ফিরেছে দেখেছে তাদের পাঠানো টাকায় ভাইরা বাড়ি করেছে, কারো কারো ক্ষেত্রে বউ টাকা নিয়ে পুরাতন/নতুন প্রেমিকের সঙ্গে ভেঙে গিয়েছে, নিজের ভাগে কিছু নেই।
যারা দেশে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে ইউরোপ আমেরিকাতে white-collar জব করে এদের বিষয়ে আপনার সঙ্গে সহমত -- এরা অনেকেই তুলনামূলক স্বচ্ছল ফ্যামিলি থেকে গিয়েছেন, দেশে টাকা পাঠানোর দায় এদের কম। বরং এরকম উদাহরণ আছে এরা কয়েক বছর পর পর নিজেদের একজন করে আত্মীয় নিয়ে যেতে যেতে দেশ থেকে সবাইকে নিয়ে গিয়েছন, এমনকি দেশে যা সহায়-সম্পত্তি ছিল তা বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাহিরে নিয়ে গিয়েছেন।
এদের বিষয়ে বলতে চাই- সরকার এদের উচ্চ শিক্ষার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। এনারা বিদেশে চাকরি পেয়ে সেই দেশকে সেই টাকার কতটুকু ফেরৎ দিয়েছেন? আমি মনে করি সরকারের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার পরিমান সীমিত করা , শুধুমাত্র দেশের যতজন গ্রাজুয়েট প্রয়োজন ততজন গ্রাজুয়েট তৈরি করা, আমেরিকার জন্য আমরা গ্রাজুয়েট কেন তৈরি করবো? তবে এটি অন্য প্রসঙ্গ- জাতীয় শিক্ষা নীতির বিষয়।
বিদেশে যারা কামলা দিতে যান এদের অধিকাংশই অত্যন্ত অল্প শিক্ষিত, অনেকেই শুদ্ধ ভাবে কথা বলতেও পারেন না । ইমিগ্রেশনে যখন দাঁড়ান ইমিগ্রেশন অফিসার প্রশ্ন করলে সাধারণ প্রশ্নের জবাবও দিতে পারেন না। অনেকেরই বিরক্ত লাগে। তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। সরকার কিছু হেল্পডেস্ক করেছে। আগের চেয়ে কিছু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। রাতারাতি পরিবর্তন হবে না , তবে ভালোর আশা করি।
আমি বলতে চাই কেউ যদি অন্য মানুষ সম্পর্কে ঢালাও নেগেটিভ মন্তব্য করতে চান, ধারণা রাখতে চান-- রাখুন। আমার কোন সমস্যা নেই । কিন্তু আপনার কাছে যখন কেউ কোন সমস্যা নিয়ে আসবে আপনি আপনার দায়িত্বের মধ্যে থেকে তার সমস্যার সমাধান করুন, তার যা প্রাপ্য তার অধিকার তাকে ফিরিয়ে দিন, আপনার প্রিকনসিভড আইডিয়া অনুসারে ব্যবহার করতে যেয়েন না। আমাদের জানাতে অনেক সময়ই ফাঁক থাকে।
রেমিটেন্স এর অর্থনৈতিক গুরুত্বের ব্যাপারে বলতে চাই এটা যে শুধু টাকার হাতবদল না, করুণাধারা আপা কিছু বলেছেন, আরো কিছু যোগ করা দরকার বলে মনে করি। যখন ব্যাংকিং চ্যানেলে আসে, তখন ব্যাংক এখান থেকে লাভ করে। এই লাভের টাকার একটা অংশ সরকারকে কর্পোরেট ট্যাক্স, ইনকাম ট্যাক্স হিসেবে দিতে হয়। কাজেই রেমিটেন্স থেকে সরকার লাভ করে । দ্বিতীয়তঃ রেমিটেন্সের যে টাকাটা আসে এটা বাংলাদেশি কারেন্সি হিসেবে আসে না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে পুরোটাই আসে ডলারে। ইউরোপ থেকে আসে পাউন্ডে আর ইউরোতে। এর বাহিরে জাপান থেকে কিছু আসে - ইয়েনে।
আমাদের বাজেট আমদানি নির্ভর-- রফতানির চেয়ে আমাদের আমদানির পরিমান অনেক বেশি। মোবাইল, এসি, গাড়ি এগুলো ছাড়াও রমজান মাসে হাজার হাজার টন চিনি , খেজুর, ডাল এগুলো আমদানি করি। খাবার তেল, জ্বালানি তেল আমদানি করি। এগুলোর দাম ডলারে পেমেন্ট করতে হয় । রেমিটেন্স যোদ্ধারা ডলার না পাঠালে আমাদের অর্থমন্ত্রীকে এই কোভিড এর মধ্যেও ভিক্ষা করতে বাহিরে যেতে হতো।
আমাদের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বছরে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার সুদ এবং আসল বাবদ পরিশোধ করতে হয়। এই পরিষোধে কাজটাও ফরেন কারেন্সি তে করতে হয়। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো, কারণ রেমিটেন্স হিসেবে পাঠানো টাকা। যার কারণে সরকার চাপের মধ্যে কম থাকে ।
ইন্দোনেশিয়াতে বেশ কিছু বছর আগে ব্যাপক ভাবে রূপির দাম কমে যায়। এই ধসের কারণ সরকার বৈদেশিক মুদ্রার মান কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, কেননা তাদের রিজার্ভ ভালো ছিল না। বর্তমানে তরস্ক কিছুটা সমস্যায় আছে, তবে ওদের এক্সপোর্ট ভালো, ট্রাম্প পুননির্বাচিত না হলে সম্ভবত তুরস্ক এই সংকট থেকে বের হয়ে আসতে পারবে। যদি আমাদের রিজার্ভ ভালো না থাকতো, সরকার যদি ডলারের দাম নিয়ন্ত্রনে না রাখতে পারতো, ১ ডলার যদি ৫০০ টাকা হয়ে যেত তাহলে আমাদের অনেক ফুটানি কমে যেত।
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জেনারেলাইজ করা আমার কাছে একটা অসুখের মতো মনে হয়। হঠাৎ হঠাৎ খবরে মাঝে-মধ্যে সন্তান-হত্যাকারী মায়ের খবর পড়ি। এ‘ধরনের খবর পড়ে বলা যায় না, এনারা সব মাকেই সন্তান হত্যাকারী বানিয়ে দিতে পারে!! এই নিয়ে আপনি যে সব উদাহরন টেনেছেন তাতে ৩ নম্বরটা নিয়ে আমার কিন্চিৎ আপত্তি থাকলেও তর্কের খাতিরে আপাততঃ মেনে নিচ্ছি।
আমার পোষ্টের একটা প্যারাতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুদৃঢ় হওয়ার আর এর সাথে রেমিটেন্সের যোগ নিয়ে কথা বলতে গিয়েও অপ্রাসঙ্গিক হওয়ায় বাদ দিয়েছি। আপনি অত্যন্ত সহজভাবে প্রান্জল ভাষায় সেটা তুলে ধরেছেন। আমি নিজে ফাইনান্সের লোক। আমি এটা নিয়ে লিখতে গেলে অবধারিতভাবেই কিছু টার্মিনোলজি চলে আসতো, যেটা আমি চাই না। আমি কিছু লিখলে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে, যেন আমার লেখা সবাই বুঝতে পারে। যেমন, যে ফাইনান্সের ফ-ও জানে না, সেও যেন বুঝতে পারে আমি কি বলতে চাচ্ছি! আমি নিশ্চিত, আমি এতোটা সহজভাবে লিখতে পারতাম না। টুপিখোলা অভিনন্দন রইলো।
পয়েন্টস টু বি নোটেড.......রেমিটেন্স যোদ্ধারা ডলার না পাঠালে আমাদের অর্থমন্ত্রীকে এই কোভিড এর মধ্যেও ভিক্ষা করতে বাহিরে যেতে হতো। এবং যদি আমাদের রিজার্ভ ভালো না থাকতো, সরকার যদি ডলারের দাম নিয়ন্ত্রনে না রাখতে পারতো, ১ ডলার যদি ৫০০ টাকা হয়ে যেত তাহলে আমাদের অনেক ফুটানি কমে যেত।
আমার মনে হয়, বোধদয় হওয়ার জন্য এই দু‘টি টোটকাই যথেষ্ট। এরপরেও যদি না হয়, তাহলে শুধুই করুণা করা ছাড়া আর কোন গতান্তর নাই!
২৪| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১২
কৃষিজীবী বলেছেন: কৃষক, শ্রমিক,প্রবাসী কামলা, দেশি কামলা, দেশ গঠনে অবদান সাবারই আছে। কাউকে খাটো কিংবা লম্বা কইরা দেখার সুযোগ নাই। সবাই এইডা জানে তবে মানতে পারে না, কারণ ঘি সবাই হজম করতে পারে না। পোষ্টে পুতুম পিলাচ+++
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কাউকে খাটো কিংবা লম্বা কইরা দেখার সুযোগ নাই। সবাই এইডা জানে তবে মানতে পারে না, কারণ ঘি সবাই হজম করতে পারে না। আপনের এই কতার উর্ফে আর কুন কতা থাকবার পারে না। তয় ভাইজান, পুতুম পিলাচ বিষয়ডা কি, যদি এট্টু ব্যাখ্যা দিয়া বুজােইতেন!!!
২৫| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে সবার মন্তব্য গুলো খুব ভালো লেগেছে।
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইখানে পক্ষে-বিপক্ষে সব রকমের মন্তব্যই আছে। সবারটাই ভালো লাগলে কেমনে কি? আপনে কি গভীর জলের মাছ???
২৬| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০০
পদ্মপুকুর বলেছেন: yes IK IK...
০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক, আপনার কমন পড়েছে দেখে ভালো লাগলো!
২৭| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২১
মুক্তা নীল বলেছেন:
পোস্টের লেখা পড়ে একটি কথা না বলে পারছিনা ভাই
সত্যি কথা সব সময়ই অপ্রিয় । আপনার লেখায় আমি ভূল
কিছু পেলামনা বরং আমি অনেক কিছুই মেলাতে পারলাম।
ভালো ও নিরাপদে থাকুন।
০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখার সাথে একাত্মতা জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আসলে দেশে সমস্যার কোন শেষ নাই। সেসব দিকে নজর দেয়া উচিত সবার, প্রবাসীদের প্রবাসীদের নিয়ে নেতিবাচক কথা না বলে। কিছু প্রবাসী তাদের শিক্ষার অভাবে অজ্ঞতার কারনে কিছু উল্টাপাল্টা কথা বা কাজ হয়তো করে বসে। কিন্তু দিন শেষে কিন্তু এরা চুরি-ডাকাতি না করে কষ্ট করে উপার্জন করছে। দেশে হার্ড ফরেন কারেন্সি পাঠাচ্ছে। এদের এই অবস্থার জন্য এরা যতোটা না দায়ী, তারচেয়ে বেশী দায়ী সরকার। তাদের প্রতি আমাদের ন্যুনতম কৃতজ্ঞতা বোধ থাকা উচিত।
নিরাপদে থাকুন, আর সুস্থ্য থাকুন।
২৮| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৩
চাঙ্কু বলেছেন: আমি ধনী নাকি গরিব নাকি শিক্ষিত নাকি অশিক্ষিত - এই সমস্ত ক্ল্যাসিফিকেশন ছাড়াই, রাষ্ট্রের কাজ হল সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা। কিন্তু দূর্ভাগ্যনজকভাবে আমরা দেশ হিসাবে আমাদের কর্মক্ষম বিশাল একটা তরুণ শ্রেণীর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারি নাই যার জন্য তাদেরকে জমি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে যেতে হয়। এইটা তাদের ব্যর্থতা না, এইটা দেশ হিসাবে আমাদের সবার ব্যর্থতা। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর বা মিডল ইষ্টের শ্রমিকদের ডর্মগুলোতে গেলে বুঝা যায় তারা কি রকম ভয়াবহ জীবন-যাপন করার পরেও দেশে বেতনের প্রায় পুরো টাকাটা দেশে পাঠায়। গার্মেন্টসের শ্রমিক আর প্রবাসীদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আর কারনেই আমাদের মহান মন্ত্রী-এমপিসহ অর্থনীতিবিদরা পায়ের উপর পা তুলে বলতে পারেন - বাংলাদেশ জাতিসংগের সামাজিক, অর্থনৈতিক সব-সূচকে হাইপারসনিক গতিতে এগিয়ে চলছে আর দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে! তবে সবচেয়ে বড় কথা হল আমরা সামাজিক শ্রেণীবিভেদ ভুলে সব মানুষকে মানুষ হিসাবে যতক্ষণ না শ্রদ্ধা করতে শিখব, ততক্ষণ প্রবাসী বা আবাসী কাউকেই সঠিক মূল্যায়ন করতে পারব না।
০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এতো কষ্ট করে বিস্তারিত লিখলাম, আর আপনি এতো অল্প কথায় গোটা পোষ্টের সারাংশ লিখে ফেললেন! এইটা কিন্তু ঠিক না ভাইজান!!!
ওকে....জোকস এপার্ট।
আপনি আসলেই আমার পুরোটা লেখার সারমর্ম করে ফেলেছেন। কাজেই সেটা নিয়ে আর কিছু না বলি।
অন্য কথা একটু বলি। কাতার এয়ারওয়েজের প্রিভিলেজ ক্লাবের একজন সদস্য হিসাবে আমি দেশে গেলে সবসময়ে কাতার এয়ারওয়েজেই যাই। আসা-যাওয়ার পথে ট্রানজিটে দোহাতে কিছুটা সময় পার করি। খুব দুঃখের সাথে দেখি, ক্লীনারদের মধ্যে অনেক দেশী ভাই, আর বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কাউন্টারে বেশীর ভাগই ইন্ডিয়ান, দেশী ভাই একজনও নাই। আমাদের দেশের সরকারের উপর তখন খুবই রাগ হয়। এনারা এই হতভাগাদের টাকা নেয়ার জন্য হা করে থাকে, কিন্তু এদের উন্নয়নের জন্য কিছুই করে না!!
২৯| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:১৫
শের শায়রী বলেছেন: আজকে শর্ট কইরা একটা দুঃখের কথা কই, প্রবাসীদের জন্য প্রবাসীরা লেখে, ডাক্তারদের জন্য ডাক্তাররা, ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ইঞ্জনিনিয়াররা, পুলিশের জন্য পুলিশ এ্যাসোসিয়েশান, সাংবাদিকদের সাংবাদিক, উকিলদের জন্য উকিল..... এমন ভাবে যে যার জন্য লেখে কিন্তু আমাদের মত আম আদমিদের কি হবে স্বজাতি? অথচ পার্সেন্টেজে আমরাই কিন্তু সংখ্যাগুরু.... আপনি সমঝদার আদমি আর কি কমু........ সবার কাছে হাত পাইতা কান্দন ছাড়া আমাদের গতি নাই।
১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই দুইন্যায় সবার সমিতি আছে; পেশাহীন কোন আম আদমী নাই। রিকসাওয়ালাগেরও সমিতি আছে। সবার কাছে ফকিরের লাহান কাইন্দা হাত না পাইতা সেই সমিতির লগে যোগাযোগ করেন।
৩০| ১১ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
মা.হাসান বলেছেন: আমি জুন আপাকে ওনার পোস্টে যে আপনার এই পোস্টে আসার দাওয়াত দিয়েছিলাম। ।আপনি নিজে দাওয়াত দেন নাই বলে উনি খুব মাইন্ড করেছেন
পুত্তুম পিলাচ সম্পর্কে জানতে এই পোস্ট পড়তে পারেন:
https://www.somewhereinblog.net/blog/JONOTA_123007/29466018
১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওই পোষ্ট আগেই পড়ছি। পুত্তুম পিলাচ না, কৃষিজীবী ভাই বলেছেন পুতুম পিলাচ; কনফিউশানটা সেইখানে হয়েছে। জুন আপা বেশী মাইন্ড করেন নাই, চলে এসেছেন। আমাদের দাওয়াতী কার্যক্রমে আপনি শামিল হচ্ছেন কেন? ঘটনাটা কি??
যাই হোক, কাজের কথা সারি আগে। আমাদের সুপ্রিয় ব্লগার মনিরা সুলতানা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন একটা তাবিজের জন্য। হোরাসের নামে একটা দিয়া দিয়েন। হাদিয়া টাদিয়া নিয়েন না আবার!!
৩১| ১১ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪১
জুন বলেছেন: এই বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য আমাকে একটু পড়াশোনা কইরা আসতে হবে ভুয়া সারাদিন করোনার ডরে লকডাউনে থাক্তে থাক্তে মাথাটাও কেমন জানি আউলায়া গ্যাছে। সাধারণ জিনিসও কেন জানি গ্রে ম্যাটারে ( আমাদের শকট চালক বলে ব্রেন্ট) ক্যাচ করে না
প্রিয় ব্লগার মা হাসান আমাকে দাওয়াত দিছে এই পোস্টে আসার জন্য কিন্তু কিচ্ছু কউয়ার খুইজা পাইতেছি না। বড় কডিন বিষয়। যাই বেশি লম্বা মন্তব্য হইয়া যাইতেছে, শ্যাষে কাকু আইসা ঝাড়ি দিবে
+
১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাকে একটু পড়াশোনা কইরা আসতে হবে ভুয়া পোষ্ট না পড়তে চাওনের এক্সকিউজ হিসাবে আপনের এই নতুন টেকনিকটা ভালো। আমার আগের মধ্যপ্রাচ্যে হাওয়া বদলের রাজনীতিঃ পেছনে কলকাঠি নাড়ছে করোনা ভাইরাস নাকি তেল? পোষ্টেও এই কথা কয়া ভাইগা গেছিলেন, আর আসেন নাই!
আপনে এইডারে কডিন কইছেন, এর চায়া সহজ কইরা কেমনে লেখুম কন! আইচ্ছা, কি বুজেন নাই খুইলা কন......তাইলে বুঝুম আপনে হাচা কইতাছেন। আপনের গ্রে ম্যাটারে ক্যাচ করে না এইডা আমারে পিডাইলেও বিশ্বাস যামু না।
৩২| ১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
জাফরুল মবীন বলেছেন: প্রবাসী শ্রমিক আর গার্মেন্টেস এর কর্মী এদের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।উনারা অমানুষিক পরিশ্রম করে হালাল রুজি কামাই করেন। এ মানদন্ডে অনেক উচ্চ শিক্ষিতও পাশে দাঁড়াতে পারবে না।
১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একেবারে মনের কথাটা বলেছেন মবীন ভাই। এইটুকু বোঝার মতো ক্ষমতা আমাদের দেশের অনেক শিক্ষিত মানুষেরও নাই। আফসোস!
৩৩| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
আখেনাটেন বলেছেন: সংক্ষেপে বলতে গেলে, একজন প্রবাসী যখন ডলার পাঠায় তা বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিভুক্ত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সেই ডলারের বিপরীতে দেশীয় টাকা ছাপায় ফলে দেশে লিক্যুইড মানির ফ্লো তৈরি হয়। ভোক্তা যখন সেই টাকা খরচ করে নিজেদের জন্য সেটা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি সঞ্চার করে। ফলে নয়া কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। দেশে প্রবৃদ্ধি বাড়ে। সরকারগুলো ট্যাক্স ভ্যাট মানে রাজস্ব পায় বা বাড়ে। ফলে তাদের এডিপিতে নয়া নয়া উন্নয়ন কর্মসূচি নেওয়ার মতো সাহস হয়।
এত কিছু ঘটে ঐ রেমিটেন্সের বদৌলতে। তাই পনের বিলিয়ন রেমিটেন্স বন্ধ মানে....বুঝতেই পারছেন......
১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এসব না বুঝেই লোকজন কি বলে দেখলেন? আরেকটা অভিযোগ, প্রবাসীরা হুন্ডিতে টাকা পাঠায়। কেন পাঠায় সেটা একবার চিন্তা করে না, পিছনের কারন খতিয়েও দেখে না। আর হুন্ডিতে টাকা পাঠালে সরকারের সরাসরি লাভ হয় না ঠিকই, কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি সঞ্চার তো ঠিকই হয়। যাই হোক, কারো অবদান স্বীকার করতে আমরা বোধহয় জাতিগতভাবেই অনেক কষ্ট পাই।
এখন করোনার কারনে দেশের অর্থনীতি কম রেমিটেন্স ফ্লো‘তে কি ধাক্কা খায়, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
৩৪| ১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
নতুন পোস্ট চাই।
আপনার সাথে একটু প্রয়োজন ছিল। মেইল আইডিটা কোনোভাবে দেয়া সম্ভব হলে জানাবেন প্লিজ। এই কমেন্ট আপনার নজরে এসে থাকলে আমার সর্বশেষ পোস্টেও জানাতে পারেন।
ভালো থাকবেন, দুআ এবং প্রত্যাশা নিরন্তর।
১৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নতুন পোষ্ট লেখার সময় পাচ্ছি না। খুবই ব্যস্ত!
ব্লগ ব্লকের সময় একটা ভুয়া ইমেইল একাউন্ট খুলেছিলাম। ভুয়া হলেও আমি চেক করি নিয়মিত। ব্লগে যোগাযোগের জন্য ওটাই ব্যবহার করছি। এই যে, [email protected]
যখন খুশি মেইল করতে পারেন। ভালো থাকবেন নকীব ভাই।
৩৫| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরিয়া মন্তব্যের উত্তর দেয়ায়। আপনাকে মেইল করবো ইনশাআল্লাহ। তবে একটু সময় নিতে হবে হয়তো।
পরিবারের সকলকে নিয়ে আপনাকে অনেক ভালো রাখুন আল্লাহ পাক।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সময় নিন, কোন তাড়াহুড়া নাই।
সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন আর সাবধানে থাকুন।
৩৬| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩০
জুন বলেছেন: মেইল আইডি টা আমিও একটু সংরক্ষণ কইরা রাখলাম। কত সময় দরকার লাগবে ভুয়া
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সংরক্ষণ করেন, ঠিকাছে; ফর্মালিন দিয়েন না কিন্তু, ফ্রীজে রাইখেন। নয়তো ইনএক্টিভ হয়া যাইতে পারে কইলাম!!
৩৭| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৩৫
শায়মা বলেছেন: গেছি!!
জুন আপুর আঁচলের পিছে আমিও লুকাইসি!!!
২৩ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লুকায়া লাভ নাই! একটা একটা কইরা সবকয়টারে খুইজা বাইর করমু!! হে হে হে...........
৩৮| ২৩ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
শায়মা বলেছেন: হা হা হা
পারবে নাকি আমাদের সঙ্গে!!!!
২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সম্ভাবনা কম......আমি তোমাদের মতো ক্যারিশম্যাটিক না। তবে চেষ্টা করতে দোষ কি?
৩৯| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৪
মা.হাসান বলেছেন: প্রোপিকে যতই কুমির বিলাই লাগান না কেন, বিবাহিত লোকের ইমেইল আইডির সাথে reborn টা যায় না, অবশ্য কেউ যদি পরকিয়া করে তাহলে অবশ্য...
২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনেরে নিয়া তো দেখি সমস্যা! ভাইঙ্গা না কইলে কিছু বুঝেন না আজকাল। এই ইমেইল খোলাই হইছিলো ব্লগীয় কম্যিউনিকেশানের জন্য। তাই এই reborn পরকিয়ার reborn না। ব্লগের মাধ্যমে এই আমার একটা নতুন জন্ম হইছে, সেই অর্থে reborn। অবশ্য যার মাথায় সারাক্ষণ সুমনাভাবি ঘোরে, তার চিন্তা-ভাবনা পরকিয়া-কেন্দ্রিক হবে, এতে আর আশ্চর্য কি?
৪০| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৫
মা.হাসান বলেছেন: আপনি এলেমদার তালেবর লোক। আপনার সম্পর্কে অত্যন্ত উচু ধারণা পোষণ করি। ইকনমিক্সের থিওরি বলে সব ডিম এক ঝুড়িতে না রাখার জন্য। আপনি সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখবেন এমন কথা আমি ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করি না।
যা হোক, এই পোস্টে কমেন্ট করতে জুন আপার চিন্তা ভাবনা করতে হয়, কিন্তু উনি সম্প্রতি স্টিকি হওয়া একাধিক আঁতলামি ভরা পোস্টে উনি কিন্তু মন্তব্য করে এসেছেন। বিষয়টার উপর আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার সম্পর্কে উচু ধারনা না করাই ভালো কারন, আমার এলেম অত্যন্ত নিম্নমানের। সেজন্যেই সব ডিম এক ঝুড়িতে রেখেছি। আর আপনার এলেম উচ্চমানের হওয়ার কারনে সেটা ধরে ফেলেছেন। আপনার মতো জ্ঞানীদের জ্বালায় আমি সাধারনতঃ এ'ধরনের পোষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকি। তারপরেও মাঝে মধ্যে ভুল হয়ে যায়......কারন ম্যান ইজ মর্টাল!!!
জুন আপার আতলামী পোষ্টে কমেন্ট করা নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না, সবার মধ্যেই মাঝে মাঝে একধরনের ভাবের উদয় হতে পারে। জুন আপার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হওয়ার কোন কারন নাই। তাছাড়া, আপনি যে আমাদের ভাইবোনের মধ্যে কাইজ্জা লাগানোতে সচেষ্ট আছেন, সেটা আমার স্মরণ আছে। কাজেই আমার দৃষ্টি আকর্ষন কইরা কোন লাভ নাই!
৪১| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: নতুন পোস্ট দেন না ক্যারে
২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে তো আমার বাড়ির রাস্তা ভুইলাই গেছেন গা। করোনা ভাইরাসঃ বাংলাদেশের কতিপয় কৌশলগত সুবিধা এবং অসুবিধা নামের পোষ্টে আপনেরে শেষ দেখছিলাম। এরপরে দিছি আরো আটটা পোষ্ট। আপনেরে ডাইনে দেহি লগডইন অবস্থায়, ওইদিকে বামে আমার পোষ্ট আলোচিত কলামে। আর আপনে দেখি অন্যগো পোষ্ট পইড়া মন্তব্য করতাছেন। রাগে শরীলডা চিড়বিড় করছে.....কিন্তুক কিছু কই নাই।
আর এখন কইতেয়াছেন, নতুন পোস্ট দেন না ক্যারে!। আপনেরে বিচার করনের দায়িত্ব আপনের উপ্রেই ছাইড়া দিলাম....কি বিচার করবেন, করেন!! আমি কিছু কমু না
৪২| ২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৫
জুন বলেছেন:
ভুয়া এই ছবিটা এত মজার যে আপনার সাথে শেয়ার না করে পারলাম না। বিড়ালের এক্সপ্রেসন্টা দেখেন। এর পেছনে আমার কোন হিডেন এজেন্ডা নাই কিন্ত। আপনিও বিড়াল প্রেমি আমার মতন তাই!
২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এতো দেহি ডাইরেক্ট থ্রেট মারতাছে। এই জন্যই বিলাই দেখলেই আমার ইটা মারতে মন চায়!!!
বাবাজীর (???) এক্সপ্রেশানটা আসলেই সেরাম.....মজা পাইছি।
আমরাও সবার দোয়া প্রার্থী মানে আপনার চকোলেট, হীরা বসানো জুতা এই যাত্রা বেচে গেল দেখছি আপনের পোষ্টে আমার মন্তব্যের উত্তরে এইডা কি কইলেন, ক্যান কইলেন, না কইলে কি হইতো, আর ভবিষ্যতে এমুন কথা আবার কইবেন কিনা.....ইত্যাদি না না প্রশ্ন মাথায় ঘুরতাছে!!!
৪৩| ২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৫
জুন বলেছেন: মা হাসান কি বলতে চায় ভুয়া
ওই আতেল পোস্টে কমেন্টের মাশুল দিতেছি
আমার পোয়া মাছ আলুচিত নির্বাচিত কুনোখানেই যায় নাই। এর আগে মুছে গেছে, সাময়িক পোস্ট এগুলাও আলুচিত পাতা আলুকিত করে থাকছে আর
২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মা হাসান আবার কবে কি কইলো? জানি না তো!!
ওই আতেল পোস্টে কমেন্টের মাশুল দিতেছি কোন আতেল পোষ্টের কথা কন আপা, মনে করতে পারতাছি না।
মুছে গেছে, সাময়িক পোস্ট ইত্যাদি নির্বাচিত পাতায় না যাওনই ভালো, আলোচিততে তো যে কোনও কিছুই যাইতে পারে। কিন্তু আপনের এই মৎস্য বিষয়ক লেখা আলুচিত নির্বাচিত কুনোখানেই যায় নাই........এইডা কেমুন কথা। আলুচিততে অবশ্য কা_ভা ভাইয়ের হাত নাই। আর নির্বাচিতের ক্ষেত্রে আপনে চাইলেই তো উনার মতামত নিতে পারেন, ক্যান গেল না হেইডাই জানবার পারেন। জিগান।
৪৪| ২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমিই তো ছিলাম না .....।
অনেক দিন পরে আইছিলাম ব্লগে।
বন্দি হয়ে ব্লগে একবারও ঢু মারিনি।
সবাই কেমন আছেন
২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চাপা মাইরেন না। কাজী ফাতেমা ছবিরে আমি ব্লগে দেখছি। পরমান দিমু? আমার পোষ্টের তারিখ আর আপনের কমেন্টের তারিখের!! যা কইছি, কইছি......ফিরাইতে পারুম না।
৪৫| ২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহা হ অফিস খুলছে পরে আইছি তো .... তাছাড়া তিনটা পর্যন্ত অফিস করে চলে যাই
পোস্ট নিচে নাইমা গেলে আমি কিতা করতাম বাই
২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ৪১ আর ৪৪ এর প্রতি মন্তব্যে যা কওনের কইছি (আসলে সবই কইছি)। নতুন কইরা আর কিছু কওনের নাই।
আত্মীয়-পরিজন নিয়া আশা করি সুখে-শান্তিতেই বসবাস করিতেছেন!!
৪৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
আমি সাজিদ বলেছেন: ভুয়া ভাই একটা অন্য প্রসঙ্গের আলাপ নিয়ে আসি। প্রবাসী শব্দটা মিল আছে দেখে বিষয়টা এখানে তোলা আর আপনার অপিনিয়ন জানতে চাওয়া। লেখাটা একজনের ফেসবুক থেকে কপি করে সাংবাদিক ভাইয়েরা ছাপিয়ে দিয়েছে।এইটা পড়ে, প্রতিমন্তব্যে আপনার মতামত দেন প্লিজ।, বেশ কিছু কারনেই আমার জানা দরকার।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়লাম।
আমি সবসময়েই যে কোনও ধরনের জেনারালাইজেশানের বিপক্ষে। কাজেই, শিরোনামের বিদেশে গেলেই ভাগ্য পরিবর্তন হবে, এটি ভুল ধারণা কথাটা সত্যি, আবার সত্যি না।
এই জগতের সৃষ্টিগুলোর মধ্যে মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে জটিল সৃষ্টি। প্রতিটা মানুষ ইউনিক। তাই, প্রত্যেকের চিন্তা-চেতনা, পারিপার্শ্বিকতা, সমস্যা, সুযোগ ইত্যাদি সবই ইউনিক। একটার সাথে আপনি আরেকটাকে মেলাতে পারবেন না। তারপরেও যদি আপনি মেলাতেই চান, আমি বলবো......মানুষের শিক্ষা যতো কম, তার মধ্যে কমপ্লেক্সিটি তত কম। তাকে মোটিভেট করা ততটাই সহজ। কাজেই তাকে এটাও বোঝানো সহজ যে, বিদেশে গেলেই ভাগ্য পরিবর্তন হবে। এখন এটা ভুল কি ঠিক, সেটা বলা কি সম্ভব? একজন অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিতের কাছে ভাগ্য পরিবর্তনে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দিকটাই নির্দেশ করে, যেটা একজন উচ্চ শিক্ষিতের ক্ষেত্রে ভিন্নতর।
আপনাকে দিয়েই উদাহরন দেই। আজ আমি যদি আপনাকে বলি, নিজের উপরে একটা SWOT analysis করেন। তারপরে প্লাব দিয়ে বৃটেনে চলে আসেন। এখানে সামাজিক, আর্থিক নিরাপত্তা আছে। যা রোজগার করবেন, সবই হালাল। মানসিক শান্তি আছে কারন, চোখের সামনে কাউকে অসদুপায় অবলম্বন করে রাতারাতি ধনী হতে দেখবেন না। আইনের শাসন, বাক স্বাধীনতা আছে। জ্যামের কারনে প্রতিদিন আপনাকে নাজেহাল হতে হবে না। ঘর থেকে বের হলেও বিশুদ্ধ হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে পারবেন। তাহলে কি আপনি মানবেন? মানতে পারেন আবার নাও পারেন। আপনার মনে হতে পারে.......এসব সুযোগ-সুবিধার পরও দেশের প্রতি, জাতির প্রতি আমার একটা দায়বদ্ধতা আছে। কাজেই দেশে থাকাই ভালো। কিন্তু একজন অর্ধশিক্ষিতকে যদি আমি এগুলো বলি, প্রথম সুযোগেই সে বিদেশে চলে আসবে।
আবার আজ থেকে দশ বছর পরে ধাক্কা খেতে খেতে হয়তো ভাববেন, তখন বিদেশে চলে যাওয়াই হয়তো ভালো ছিল। আসলে বিভিন্ন পরিস্থিতিতেও আমাদের চিন্তা-ভাবনা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়।
বিদেশে আসলেই যে সবার পরিনতি এক হবে, এমনটা না। এটা দেশে যেমন সত্যি, বিদেশেও ঠিক তেমনটাই। দেশ ভেদেও এটা পরিবর্তিত হয়। আপনার রেফার করা আর্টিকেলটা মধ্যপ্রাচ্যের একজন শ্রমিকের জন্য একরকম, প্লাব দিয়ে বৃটেনে চলে আসা একজন ডাক্তারের জন্য অন্যরকম।
শেষ কথা হলো, সহজভাবে কিছু বলার উপায় নাই। দেশের সবকিছু ছেড়ে বিদেশে আসার সিদ্ধান্তের উপর বহুকিছু নির্ভর করে, যেগুলো একেকজনের জন্য একেকরকম। আরেকটা উদাহরন দিয়ে শেষ করি। আমার পরিচিত একজন দেশের সবকিছুতেই ত্যক্ত-বিরক্ত। বিদেশে চলে আসতে চায়। সমস্যা একটাই। বৃদ্ধ বাবা-মা'কে ছেড়ে সে আসতে চায় না। ইউনিক না? এটা ক'জনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে বলে আপনার মনে হয়? লেখাটার প্রতিটা লাইন নিয়েই বিতর্ক করা যায়। প্রতিটা লাইন নিয়েই আমি একেকটা পোষ্ট দিতে পারি। তাই এই লেখাটা আমার কাছে একেবারেই গুরুত্বহীন।
সেজন্যেই বলি, এসব দিকে না তাকিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে। একজনের চিন্তা আরেকজনের সাথে মিলবে না। সেটাই স্বাভাবিক। হ্যা, সিচ্যুয়েশান এনালাইসিসের জন্য আপনি তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন, কিন্তু সে'সবের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত দিনের শেষে আপনাকেই নিতে হবে, সেটাই উচিত।
৪৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ মানবিক মূল্যায়নের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আর পোস্টের একেবারে শেষের কথাটা আমারও মনের কথা।
বিদেশ ভ্রমণে যাওয়া আসার সময় কিংবা কাউকে বিদায় জানানো/রিসীভ করার সময় বিমানবন্দরে গেলে যখনই কোন প্রবাসী বাংলাদেশীকে সাহায্য করার সুযোগ আসে, হাসিমুখেই তা করে থাকি। শিক্ষার সুবিধাবঞ্চিত হবার কারণে ওনারা অনেক সময় অপমানজনক ব্যবহার পেয়ে থাকেন, মনে মনে আহত হয়ে থাকেন। কারো কাছ থেকে সামান্য একটু সাহায্য পেলে মুখে কিছু না বললেও তাদের কৃতজ্ঞতা চোখেমুখে প্রকাশ পেয়ে থাকে। এরকম সামান্য একটু সাহায্য করার কথা আমি আমার এই পোস্টে লিখেছিলামঃ শিক্ষাহীনতার কারণে অসহায়ত্ব
পাঠকের মন্তব্যগুলো পড়ে আরো কিছু বলার জন্য পরে আবার আসছি।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার পোষ্টে মন্তব্য করে এলাম।
আমরা শিক্ষিতরা যদি মানবিক না হই, তাহলে এই শিক্ষার দাম থাকলো কোথায়? অমানবিক শিক্ষিত থেকে নিকৃষ্ট আর কি আছে!!
আর এদের সাহায্য করার মূল দায়িত্ব হলো সরকারের। আমাদের সরকার তো রেমিটেন্স পেলেই খুশি, কাজের কথা বললেই এদের গায়ে জ্বর আসে। আর বেশি কিছু না বলি খায়রুল ভাই। নয়তো আবার কেউ বলে বসতে পারে, বিদেশে বসে দেশের বদনাম করছি!!!
৪৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: করুণাধারা এর ১৬ নং মন্তব্যটি হৃদয় মোচড় দিয়ে গেল! বিশদ ব্যাখ্যাসহ মা.হাসান এর ২৩ নং মন্তব্যটি ভাল লেগেছে। চাঙ্কু এবং আখেনাটেন এর গুলোও।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি যাদের নাম নিলেন, এনারা নিজ গুনে সামু'র একেকজন তারকা। এনাদের মন্তব্যও সেই রকমের!
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫০
কাছের-মানুষ বলেছেন: সবাইকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। দেশ গঠনে প্রবাসী, দেশী, গার্মেন্টস শ্রমিক, কৃষক সবার অধিকারই আছে। অনেক প্রবাসী অবহেলার শিকার এটা মানতে হবে। এই দেশ সবার, সব মানুষের।