নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিরোনামের কথাটা আমার না। মোটামুটি সবাই জানেন, কথাটা জনপ্রিয় কবি শামসুর রাহমানের কোন একটা কবিতার। আমি কবিতা পড়ি না, তবে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন মাধ্যমে এই অভাজনের দুই চারটা কবিতার বাক্য শোনা হয়, জানা হয়। এটা তাদের মধ্যে অন্যতম। উনি কবিতায় কতোটা তীব্র তীক্ষ্ণ ভাষা ব্যবহার করেন সে বিষয়েও আমি সবিশেষ অজ্ঞ। তবে, বহুবছর ধরেই এই বাক্যটা বাংলাদেশ নামক দেশটার জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রযোজ্য হয়ে আসছে। আর তার চেয়েও বড় দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, কথাটা সম্ভবতঃ আরো অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দেশটার জন্য প্রযোজ্য হয়ে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে অন্য অনেকের মতোই দেশটাকে বদলে দেয়ার বিপ্লবী স্বপ্ন দেখতাম। দেশ নিয়ে আশার কোন সীমা-পরিসীমা ছিল না তখন। এরপরে যতোই দিন গিয়েছে, দেশটাকে নিয়ে আশা-ভরসা দিনকে দিন ফিকে হয়ে এসেছে। বাস্তবতা আমাকে ধীরে ধীরে আকাশ থেকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। এখন আর স্বপ্ন দেখি না, স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়েছি; বলতে পারেন আশাবাদী একজন মানুষ থেকে হতাশাবাদী একজন মানুষে পরিনত হয়েছি। কেন এই পরিবর্তন? আমার মনে হয় না, এই প্রশ্নের উত্তর এইখানে, ব্লগে দেয়ার প্রয়োজন আছে। সবাই জানেন। এখন মোটামুটি একটা ব্যাপারে আমি নিশ্চিত, আমার এই জীবদ্দশায় আমি দেশের কোন গঠনমূলক কিংবা পজিটিভ পরিবর্তন দেখে যেতে পারবো না। তাহলে কি তবে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আশাবাদী হবো? বাস্তবতা কি বলে?
একসময়ে আমরা দূর্ণীতিতে এক নাম্বারে ছিলাম। সেসময়ে কিন্তু কোন বেসরকারী খাত বা ব্যক্তির কল্যানে দেশে বর্তমানের মতো এতো টাকা আসতো না। ফলে তখন শীর্ষস্থানীয় দূর্ণীতিগ্রস্থ দেশ হয়েও বর্তমানের মতো এতো এতো বিশাল অঙ্কের দূর্ণীতি আমরা দেখিনি। এখন দেশ-বিদেশ থেকে টাকা দেশে আসছে দেদারছে, আর চৌর্যবৃত্তিও চলছে সমানুপাতিক হারে। দেশের বর্তমান যতোটুকুই অগ্রগতি, তার সিংহভাগ অবদানই বেসরকারী খাতের। সরকারী খাতের তথৈবচ বেহাল অবস্থা, এদের অবদান দেশকে পিছনে টেনে ধরার ক্ষেত্রে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরনের কোন চেষ্টাও কারো নাই। এটা নিপাতনে সিদ্ধ একটা ব্যাপার যে, সরকারী কোন খাতই দেশকে দু'পয়সার যোগান দিতে পারে নাই। সরকারী পাটকল বন্ধ করার সাম্প্রতিক উদাহরনই এক্ষেত্রে যথেষ্ট হবে।
আসলে কোনটা রেখে কোনটা বলি। শরীরের কোন একটা অংশ ধরে টান দিলে পুরো শরীরটাই যে এগিয়ে আসে! কি করবো বলেন!! আসলে চুরি, অর্থাৎ দূর্ণীতিই দেশটার সর্বনাশের জন্য সর্বাংশে দায়ী। এমন হরিলুটের মতো চুরি আর কোন দেশে কি হয়? সব রকমের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা আর অসাধুতার পিছনের কারনই হলো দূর্ণীতি…….সোজা বাংলায় চুরি। এই চোরদেরকে ধরবে কে? যারা ধরবে তারাও যে চোর! ছোটবেলায় দাদার কাছ থেকে ''চোউরা গাও'' অর্থাৎ চোরদের গ্রামের গল্প শুনতাম। যেই গ্রামের সবাই চোর, অর্থাৎ সেই গ্রামের অধিবাসীদের সবার পেশাই চৌর্যবৃত্তি। গোটা বাংলাদেশ এখন সেই চোরদের গ্রামের মতো। সৎ মানুষ দুই চারটা যে নাই, তা বলা যাবে না। তবে তাদের সংখ্যা এতোটাই নগন্য যে, তাদেরকে খুজতে ম্যাগনিফাইং গ্লাসের সাহায্য নিতে হবে এখন।
বেন্জামিন রিচ নামের এক বৃটিশ ভ্লগার / ইউটিউবার আছে। তার নিক হলো ''বল্ড এন্ড ব্যাঙ্করাপ্ট'' (bald and bankrupt) আমি তার ভিডিওগুলো সময় পেলেই দেখি; কারন সে একটা দেশে গিয়ে শুধু বেড়ায়ই না; সেখানকার পরিস্থিতির বিচার-বিশ্লেষণও করে। সম্প্রতি তার একটা ভিডিও দেখলাম। ইউরোপের একটা দেশ মলডোভিয়ার উপরে। আপনারা চাইলে দেখতে পারেন, বাংলাদেশের সাথে বেশ মিল আছে। তবে রিচের সৌভাগ্য, সে বাংলাদেশ এসে এ'ধরনের ভিডিও বানায় নাই; তাহলে খবরই ছিল। সরকারী আপ্যায়নের কিছু স্বাদ হয়তো সে পেলেও পেতে পারতো।
কোন একসময়ে একজন সহব্লগার আমাকে বলেছিলেন, আমি নাকি মাঝে-মধ্যে এমন সব পোষ্ট দেই যেটাতে মন্তব্য করাই নাকি রিস্কি। হতে পারে…….কিন্তু আমি বানিয়ে বানিয়ে তো কিছু লেখি না, যা ঘটে তার উপরেই লেখি। তবে, এখন দেশের সমস্যা নিয়ে তেমন একটা ভাবি না। কারন, বকাউল্লা তার মতো বকে যাবে (পোষ্ট), আর করাউল্লা তার কাজ (চুরি) করতেই থাকবে। কিন্তু ইদানীং একের পর এক এমন কিছু ঘটনা/খবর পড়লাম, যাতে করে মনে হলো, কিছু লেখি। মনের বোঝ একটু হাল্কা হবে। দুর অতীতের কথা বাদ। সাম্প্রতিক অতীতের ক্যাসিনো কান্ড, পাপিয়া কান্ড আর হালের রিজেন্ট কান্ড…...এসব কিসের আলামত? এসব তো একদিনে ঘটে না। এই সরকারের প্রথম মেয়াদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ডা. আ ফ ম রুহুল হক। তিনি সিন্ডিকেটের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ''আমি তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে এই সিন্ডিকেটের বিস্তারিত জানিয়েছিলাম। তাঁকে প্রমাণ হিসেবে ডকুমেন্ট দিয়েছিলাম। তিনি ব্যবস্থা নিতেও বলেছিলেন।'' জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের মে মাসে পাঠানো এক নথিতে দেখা যায়, গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিঠু নামে একজন এই সিন্ডিকেটের মূল নেতৃত্বে। মিঠু এখন দেশের বাইরে৷ তবে তার নিয়ন্ত্রণেই এখনো সিন্ডিকেট চলে। ওই নথিতে সিন্ডিকেটের অংশ হিসেবে একজন সাবেক মন্ত্রী, একজন বর্তমান মন্ত্রী, তার পিএস ও তার ছেলের নামও রয়েছে। নাম রয়েছে একজন অতিরিক্ত সচিবেরও। বর্তমান মন্ত্রী, তার পিএস এবং মন্ত্রীর ছেলে এই সময়ে নানা অর্ডার ও কেনাকাটায় প্রভাব খাটাচ্ছেন বলে নথিতে বলা হয়েছে। এরা তাহলে কতোটা শক্তিশালী যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গোচরে আনার পরেও এসব বন্ধ হচ্ছে না? ১৫ বছর কি অনেক কম সময়? এদের মূল শক্তির উৎসটা আসলে কি আর এরপরে কোনটা আমাদের সামনে আসবে?
আমাদের দেশের মাথারা বিদেশে চিকিৎসা নিতে যতোটা ডেসপারেট, তাদের এই ডেসপারেসির এক-দশমাংশও যদি দেশের চিকিৎসাখাতের উন্নয়নে ব্যয় করা যেতো, তাহলেই দেশের চিকিৎসাখাত নিজের পায়ে দাড়িয়ে যেতো। তখন বিদেশ থেকে লোক চিকিৎসা নিতে এদেশে আসতো। উনাদেরকেও চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর কিংবা লন্ডনে দৌড়াতে হতো না।
বিবিসি বাংলা'র গত চার তারিখে প্রকাশিত একটা রিপোর্ট পড়লাম। ওই রিপোর্টে ভারতীয় বিএসএফের একটা লিখিত বিবরণীর কথা বলা হয়েছে যেটাতে তারা বলেছে, পাচারের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই কলার ভেলায় বেধে নদীতে গরু ভাসিয়ে দেওয়া হয়। সেগুলি যখন বাংলাদেশের দিকে পাচারকারীরা স্পিড বোটে চেপে নদী থেকে তুলতে যায়, তাতে কখনও কখনও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডসের সম্মতি থাকে। অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজিবি চোরাচালানীতে সহায়তা করছে। আর আনুষ্ঠানিকভাবে তা মিডিয়াতে জানাচ্ছে বিএসএফ!! একটা দেশের বাহিনী কতোটা ইডিয়েট হলে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে আরেক দেশের বাহিনীর বিরুদ্ধে আঙ্গুল তোলে! আরে হারামজাদারা, গরুতো আসে তোদের দেশ থেকে। মুরোদ থাকলে সেটা থামা। তোদের গো-রক্ষাসহ এতো এতো কমিটি আর সরকারী লোকজন কি বাল ফালায় (স্যরি…..শব্দটা না বলে পারলাম না) সেদিকে আগে নজর দে। আর আমাদের বিজিবি বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের মেরুদন্ড শক্ত করে কি কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে? আমার নজরে পড়ে নাই, কারো পড়ে থাকলে জানাবেন প্লিজ।
গত দুই তারিখের আরেকটা নিউজ পড়লাম। করোনার কথা বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গত তিন মাস ধরে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে কোন বাংলাদেশী ট্রাককে পন্য নিয়ে সেদেশে ঢুকতে দেয়নি। অথচ ভারতীয় ট্রাক দেদারছে এদেশে ঢুকছে। দ্বীপাক্ষিক সমঝোতাও কিন্তু সেরকমটাই ছিল যে, দু'দেশেরই পন্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করবে। অবশেষে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের চাপে পড়ে গত এক তারিখ থেকে বাংলাদেশী বন্দর কর্তৃপক্ষ যখন ভারতীয় ট্রাকের এদেশে ঢোকা বন্ধ করেছে তখন এটা নিউজ হয়েছে। আমাদের ট্রাক যে তিনমাস ধরে ভারতে ঢুকতে পারছে না, তার কোন খবর নাই। তারপরপরই আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সরব হয়েছেন…….আমাদের ট্রাককে কেন ভারতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না! আরে! এতোদিন কি আপনি ঘুমাচ্ছিলেন? আমার জানতে ইচ্ছা করছে। বাকা মেরুদন্ড কিভাবে সোজা করতে হয় সেটা আমাদের কর্তাদের নেপালের কাছ থেকে এখন শেখা উচিত। সীমান্তে যথাযথ জবাব দেয়া, ভারতীয় টিভি চ্যানেল সেদেশে বন্ধ করাসহ যেসব পদক্ষেপ নেপাল নিয়েছে, সেটা আমাদের কর্তৃপক্ষ নেয়ার কথা ভাবলেও ঘুমের মধ্যে আৎকে ওঠে। কেন এই হীনমন্যতা? কেন??
দূর্ণীতি…...শুধুই দূর্ণীতি; আর এর থেকে সৃষ্ট হীনমন্যতা, শিক্ষাহীনতা, সঠিক পরিকল্পনার অভাব আর সমন্বয়হীনতা থেকে যে অবস্থার সৃষ্টি দেশে আজ হয়েছে, এখান থেকে জাতি সহসা বের হয়ে আসতে পারবে না বলেই আমি এই দেশের কোন ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি না; যেটা পোষ্টের শুরুতেই বলেছি। আপনারা যদি কেউ দেখে থাকেন, তাহলে দয়া করে হাত তোলেন। আর কেন এবং কিভাবে দেখছেন, সেটা বিস্তারিতভাবে আমাদেরকে জানান। তাতে করে যদি একটু আশার আলো দেখতে পারি, মন্দ কি? বাস্তবে পান্তাভাত খেলেও স্বপ্নে পোলাউ-কোর্মা খাওয়া একেবারে খারাপ না। আমার তো দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করে এমনটাই মনে হচ্ছে। আপনাদের মতামতটাও একটু জানি তাহলে!!!
শিরোনামের ছবিটা গুগলের সৌজন্যে।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সঠিক বলেছেন। এর উপরে কোন কথা নাই।
একে তো আপনি প্রথম মন্তব্য করেছেন, তার উপরে আমার কোন পোস্টে এটাই সম্ভবতঃ আপনার প্রথম মন্তব্য। আপনাকে কি সেবা দিতে পারি?
আমার ভুবনে আপনাকে সু-স্বাগতম!!!
২| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৮
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ''বল্ড এন্ড ব্যাঙ্করাপ্ট'' (bald and bankrupt) এর ভিডিও দেখলাম!
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোনটা.....মলডোভিয়ারটা? কেমন লাগলো?
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: যে 'উদ্ভট' উটটি এতদিন ধরে দেশের সচিবালয় থেকে গ্রাম গ্রামান্তরে বল্গাহীনভাবে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেটা এখন আর উদ্ভট নেই। দেখতে দেখতে সেটা আমাদের গা সওয়া হয়ে অতি আদরের গৃহপালিত পশুতে পরিণত হয়ে গেছে! তাই বলতে পারেন যে দেশটা এখন আর উটের পিঠে নেই, ঘোর-সওয়ার কিংবা গো-সওয়ার হয়ে আছে, তার গতি যে মুখিই হোক না কেন!
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো বলেছেন খায়রুল ভাই। উট আছে কিনা তাতেও সন্দেহ আছে। এতোদিনে জবাই করে খেয়ে ফেলার কথা! দেশটা আসলে মনেহয় এখন গাধাদের পিঠেই সওয়ার! কারন ওটা সম্ভবতঃ কেউ খায় না।
'খোদাই ষাড়' বলে একসময়ে কিছু ষাড় রাস্তাঘাটে ঘুড়ে বেড়াতো। ওদেরকে এখন আর দেখা যায় না। ওদেরকে ফিরিয়ে আনা যায় কিনা কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারে। তাদের পিঠে চড়লে অন্ততঃ কেউ কিছু বলবে না।
৪| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমার নিক দেখেই নিশ্চয় বুঝতে পারছেন এটা কবিতা পড়া নিক। কাজেই আপনি সেবা দিতে পারবেন না। আপনার পুরো ব্লগবাড়ি ঘুরে তো মনে হচ্ছেনা একখানাও কবিতার দেখা পাবো।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে......ভালো বলেছেন। আমার ব্লগে গরুখোজা খুজেও কবিতা পাওয়া যাবে না। তারপরেও যে আপনি এই পোষ্টটা পড়েছেন, পছন্দ করেছেন, সেই জন্যে কৃতজ্ঞতা। কোন সেবাই দিতে পারছি না দেখে খারাপ লাগছে। আপনি বরং এটা পড়ে দেখতে পারেন। পুরানোরা সবাই একবার করে পড়েছেন
আমার কাব্যভীতিঃ কেন আমি এমন হইলাম
৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: বাংলাদেশের দুর্নীতি দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত, ক্ষিপ্ত। এখন আর পত্রিকা আগের মত পড়তে ইচ্ছে করে না, পত্রিকা খুললেই এগুলো পড়তে হয়! তবে সব কিছু সয়ে গেছে এখন!
আপনার এই জ্বালাময় পোষ্টে আমার সমর্থন রুইল।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমিও ক্লান্ত এবং একই সাথে ক্ষিপ্ত!!
দেশের পত্রিকা আমিও তেমন একটা পড়ি না। তারপরেও এদিক-সেদিক থেকে কিছু খবর নজরে চলে আসে। তাতে মেজাজ আরো খারাপ হয়। তখন এমন একটা পোষ্ট দিয়ে সাময়িক একটু উপশম হয়.....এই আর কি!
জ্বালাইতে আর পারলাম কই! যাদেরকে জ্বালাইতে চাই, তাদের চামড়া গন্ডারের। তারপরেও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মাৎসানায় অন্ধকারে স্ব-দেশ!
মৃতদের জীবিত অভিনয়ের নিরন্তর চেষ্টা!
বিরোধীদল গুম খুন হল, সবা্ই নিরব, আমারতো কিছূ হয় নি
ভিন্নমতাবলম্বী গুম খুন, তবু নিরব, আমারতো কিছূ হয় নি
সুশীল সমাজ গুম গ্রেফতার, তবু নিরব, আমারতো কিছু হয়নি....
ব্লগের ব্লগার জুলভার্ন গুম হয়েছিলেন, আমরা নিরবই ছিলাম! আমাদের কিছু হয় নি!
অবাক হয়ে ভাবি আমরা কি তাদের উত্তর পুরুষ যারা একাত্তরে রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল?
নিজেকে ধিক্কার দেই শতবার
প্রতিবাদের কথা হার্ডডিস্কেই সংরক্ষিত থাকে বলে!
যা কিছু কাব্য কৌশলে তাও কেবলই আত্মপ্রতারনার সান্তনা!
খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হওয়া কবি মজিদ মাহমুদের কবিতাটা তুলেই দিলাম
মৃতদের রাজ্যে
মজিদ মাহমুদ
এত এত মরা মানুষের সাথে থাকি বলেই কি আমার মরে যেতে ভয়
পুনরায় মরে কিভাবে প্রমাণ করব আমিও মরেই ছিলাম
যে-সব লাশের সঙ্গে বসবাস করি- তাদের খুব কমই সদ্যমরা
তাদের শরীর থেকে কবেই খসে পড়েছে কাফনের বস্ত্র
এমনকি হাড্ডিগুলো প্রায় নেই বললেই চলে
তবু তারা প্রত্যেকে ভাবছে তাদের কাপড় আব্রু ঢাকার মতো অক্ষত
অথচ তারা কেউ মারা গেছে আদম ও ঈভের জীবদ্দশায়
কেউ আব্রাহামের অগ্নিকুণ্ডে
কেউ মারা গেছে সক্রেটিস কিংবা তার শিষ্যদের সাথে
দু’একজন এমনও আছে যারা যিশুর সাথে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিল
অথবা কেউ কুষ্ঠরোগী, কেউবা বদ্ধ-উন্মাদ
মৃত্যুর পরেও ভাবছে ঈশ্বরপুত্র তাদের সুস্থ করে তুলবেন
হাজার দু’হাজার বছরের মৃত্যুর ভেতর দিয়েই তো আমি হাঁটছি
অবশ্য দু’একবার কেউ জেগে উঠতেও চেষ্টা করেছে
ঘুমের ঘোরে স্লোগান দিয়েছে ইনকিলাব জিন্দাবাদ
কিন্তু তারাও তো আজ মৃত
এই সব সদ্য-মরার দুর্গন্ধে আমি আজ দিশাহারা
আমরা মৃতরা শব সাফসুতর না করে
গলিত শবের উপর ছড়াচ্ছি গোলাপ-জল
এখানে মৃতরাই বহন করছে মৃতদের কফিন
মৃতদের কাছ থেকে দু’এক পয়সা কামিয়েও নিচ্ছে
কেন ভাই তুমি এখনো দাবি করছ জীবিত
তুমি তো ঘুমের মধ্যে হাঁটছ
স্বপ্ন দেখছ
বলছ সব কাজ তোমার পিতামহ আগেই করেছে সমাপন
তাহলে কেনই বা তুমি বাঁচতে চাচ্ছ
উপরে বোঝাই, নিচে খালাস ছাড়া আর কি কাজ রেখেছ বাকি
অনেকদিন বেঁচেছিলে বলে
মৃতদের কাছে শুয়ে শুনেছিলে মৃতদের গল্প
আর ভেবেছিলে তুমি হয়তো বা এখনো রয়েছ জেগে
এ সব শব শৎকারের জন্য তোমায় না বাঁচলেও চলে
কেবল ডারউনের বান্দর, ফ্রয়েডের মুণ্ডপাত ছাড়া
তোমার কি কোনো এজেন্ডা নেই
যারা তোমায় জন্ম দিয়েছিল
তারা কি রেখে দিয়েছিল তোমার জননতন্ত্র
না কি তোমায় কবর পাহারায় নিযুক্ত রেখে তারা দিচ্ছে ঘুম
অথচ তুমিও পারছ না বুঝতে তুমিও মরে গেছ
কতিপয় চতুর মৃতদের রাজ্যে!
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সব্বোনাশ ভৃগুদা! এত্তোবড় মন্তব্য! !
রক্ত, একাত্তর, দেশ স্বাধীন..... এগুলো এখন কারো কারো জন্য মার্কেটিংএর বিষয়। এর কোন গুঢ় অর্থ দেশে এখন আর নাই। এসব শব্দ দিয়ে বিভিন্ন পন্যের মার্কেটিং হয়। অন্ধ হলে কি আর প্রলয় বন্ধ হয়? তবুও.....অন্ধ হওয়াটাই নিরাপদ বর্তমানকালে।
মৃতদের রাজ্যে, মজিদ মাহমুদ কবিতার নামেই বুজছি উনি কি বলতে চাইতেছেন। তাই আর পড়ার রিস্ক নিলাম না।
৭| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
দুধে একবার যখন ছড়া পড়ে ( বরিশালের ভাষায় ) অর্থাৎ নষ্ট হয়ে যায় তখন সেই দুধ আর কিছুতেই আগের দুধ হয়না।
দেশটার অবস্থাও সেই "পয়েন্ট অব নো রির্টান" এ চলে গেছে।
তবুও কিছু মানুষ কে বলতে শুনি তারা আশাবাদী। তারা কি আসলেই বুদ্ধি প্রতিবন্দী? না কি নিজেদের দেশপ্রেমী ভালো মানুষ হিসেবে তুলে ধরতে এমন মিথ্যে কথাটা বলেন যেটা তারা নিজেরাও বিশ্বাস করেন না ?
উদ্ভট উটের পিঠে নয়, স্বদেশ চলেছে এখন প্রভাবশালী রক্তচোষা প্রানীদের ঠাংয়ে ভর করে !
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যারা বলে তারা আশাবাদী; তারা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তো বটেই, ''আশাবাদ'' মানে উনারা বোঝেন কিনা সন্দেহ! এটা আসলে, সোজা কথায় একধরনের হিপোক্রেসী। নিজেদেরকে আতেল, দেশপ্রেমিক হিসাবে তুলে ধরার একটা অপচেষ্টা মাত্র।
আপনি ঠিকই বলেছেন, উট এখন আর নাই। খায়রুল ভাইও সেটাই জানিয়েছেন উনার মন্তব্যে। রোমানিয়া থেকে সম্ভবতঃ ড্রাকুলার বংশধররাই চলে এসেছে আমাদের দেশে!!
৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দেশ নিয়ে আমি অন্তত আশাবাদী না, এসব বলতেও ঘেন্না হয় আর প্রতিবাদ করতে পারিনা বলে নিজের উপরও ঘেন্না হয়
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমরা আর কি-ই বা করতে পারি, পোষ্ট দেয়া ছাড়া। তাও আজকাল আর এসব নিয়ে কথা বলতেও ভালো লাগে না। চরমভাবে হতাশা কাজ করে সবসময়ে!
৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের স্বাস্থ্য দপ্তরের দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা দেশের অন্য সব সেক্টরের দুর্নীতিকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত, ক্ষিপ্ত।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশের স্বাস্থ্য দপ্তরের দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা দেশের অন্য সব সেক্টরের দুর্নীতিকে ছাড়িয়ে গেছে। এটা পুরাপুরি ঠিক না। এরা কেউ কারো থেকে কম যায় না। এখন বিশ্বব্যাপিই স্বাস্থ্য একটা ইস্যু। তাই এটা সামনে বেশী আসছে।
হতাশা.......শুধুই হতাশা চারদিকে!!
১০| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৪
কল্পদ্রুম বলেছেন: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আশাবাদী হতে পারেন এটা বলতে পারি।আমার ব্যক্তিগত মত বলি।আমাদের দেশে গত দশ বছরে যারা বিভিন্ন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে তাদের চিন্তাভাবনা বাংলাদেশের আগের প্রজন্মের থেকে ভিন্ন।দেশ এবং দুনিয়াদারী সম্পর্কে তাদের ধারণা অনেক পরিষ্কার।ধর্ম,রাজনীতি সহ অনেক বিষয় নিয়ে আমাদের পক্ষপাতিত্ব নেই।অনেক সংকীর্ণতা থেকেও আমরা মুক্ত।আঁতেল মার্কা আশাবাদও আমাদের নেই।ফলে এই প্রজন্মটা যখন আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ পদে যাবে তখন আন বায়াসড ডিসিশন নেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকবে।এখন আমাদের এই প্রজন্মের কিছু অংশ সোস্যাল মিডিয়াতে একটু পাগলামি ছাগলামি করে ঠিক।তবে এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বিরাট অংশ প্রকৃতপক্ষে কাজ করতে আগ্রহী।আর আমার নিজের পড়াশোনা যে সেক্টরে সেটা তো মার্কামারা। আপনার লেখাতে সেটার কথা আছে।আমি নিজের কথা বলতে পারি যে আমার নিয়ত শুদ্ধ।আগের প্রজন্মের অনেকেই বলেন,নিয়ত শুদ্ধ থাকলে কাম হইবে না।বাস্তবতা ভিন্ন।সেক্ষেত্রে আমার বক্তব্য,নিয়ত শুদ্ধ থাকলে যে কাজ একেবারেই করা যায় না এটা ঠিক না।সংখ্যায় খুব কম আর কি।আগামী বিশ বছরে এ দেশে এরকম রেকর্ডের সংখ্যা আরো বাড়বে।
আপনাদের প্রজন্মটা বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন।অনেক স্বপ্ন পূরণ হইনি বলে কষ্ট পেয়েছেন।তবে আপনাদের সময়ে দেশটার যেভাবে পরিবর্তন হচ্ছিলো এখনকার পরিবর্তন আরো দ্রুত হচ্ছে।দোয়া করবেন আর কি।আর মাঝেমধ্যে সুন্দর সুন্দর কথা লিখবেন আমাদের জন্য।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়লাম। আপনাকে তাহলে কিছু কথা বলি।
একটা দেশ এসব থেকে তখনই বেড়িয়ে আসে, যখন প্রশাসনে স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতা থাকে। সেজন্যে দরকার প্রকৃত গনতন্ত্র, আইনের শাসন, প্রশাসনে প্রভাবমুক্ত পক্ষপাতহীন পরিবেশ, আর দূর্ণীতিমুক্ত রাষ্ট্র-পরিচালনা ব্যবস্থা। আর এটা নিশ্চিত করবে এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা যেটা শুধু বাস্তব ধর্মী প্রকৃত শিক্ষাই দিবে না, সেইসাথে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার শিক্ষাও দিবে।
এখন বলেন, এর কোনটা আমাদের দেশে আছে? আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, তখন আমরা সবাই কিন্তু পরিবর্তনের কথাই ভাবতাম। বহুবছর পরে আমাদের অনেকেই এখন সরকারী বা আধা-সরকারী স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত। সবাই ঘুষ খায়। কেউ ইচ্ছায়, কেউ অনিচ্ছায়। যারা অনিচ্ছায় খায়, তারা বলে, দোস্ত, ঘুষ না খাইলে চাকরী টিকায়া রাখতে পারুম না। বোঝাতে পেরেছি?
ব্যতিক্রম যে নাই, তা না। কিন্তু একটা কথা জানবেন, ব্যতিক্রম দিয়ে কিন্তু পরিবর্তন আসে না। পরিবর্তন আনতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগে। দুনিয়াদারী সম্পর্কে আপনাদের ধারণা পরিষ্কার। ধর্ম, রাজনীতি সহ অনেক বিষয় নিয়ে আপনাদের পক্ষপাতিত্ব নাই।অনেক সংকীর্ণতা থেকেও আপনারা মুক্ত। মানলাম। আমরাও আমাদের যুগ অনুযায়ী তাই ছিলাম। কিন্তু যখন আমরা সিস্টেমের সাথে সংশ্লিষ্ট হলাম, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করলাম, তখনই আমাদের পা মাটি স্পর্শ করলো। বুঝলাম, সিস্টেমের পরিবর্তন ছাড়া কোন পরিবর্তনই সম্ভব না। আর সিস্টেম পরিবর্তনের জন্য কি লাগবে সেটা আগেই বলেছি।
আপনাকে হতাশ করতে চাই না। আপনারা পরিবর্তন আনতে পারলে ভালো। তবে সেটা বর্তমান অবস্থায় হবে মিরাকল। আশার কথা হলো, মিরাকল মাঝে-মধ্যে ঘটে যায়। আপনাদের জন্য, আর আপনাদের মাধ্যমে দেশের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা!
১১| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সাহেদের মত এইরকম বহু ডাকাত আছে । তাদের সর্দার ভোট চোরেরা । বলে লাভ নাই দিবে আবার ডিজিটাল ৫৭। নিজে বাঁচলে বাপের নাম।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সাহেদের মত এইরকম ডাকাত বহু না, অসংখ্য। আর বেশীরভাগই ওর চেয়ে বড় ডাকাত। ও তো চুনোপুটি! আর তাদের সর্দারদের কথা না বলাই ভালো। কারন ওই যে বলেছেন.......... ডিজিটাল ৫৭! আসলেই.....নিজে বাঁচলে বাপের নাম!!!
১২| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
আরোগ্য বলেছেন: ভারত আর বাংলাদেশের মাঝে আজ স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক। ভারত কর্তৃত্ববাদী স্বামীর মত স্বেচ্ছাচারিতা করে আর বাংলাদেশ অবলা বাঙালী স্ত্রীদের মত স্বামীর হুকুম বিনাবাক্যে মেনে নেয়। যদি ভাইভাই সম্পর্ক হত তবে অধিকার আদায়ে সোচ্চার হওয়া সমীচীন হতো কিন্তু পতিভক্ত পত্নী পতির সব অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে যায়।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভারত আর বাংলাদেশের মাঝে আজ স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক এইডা কি হুনাইলেন! হাচাই তো!! এমুন কইরা তো ভাবি নাইক্কা!!!
এইডা ভাবলেই তো বহুত কিছু কিলিয়ার হয়া যায় গা!
ভালো পয়েন্ট দিয়েছেন। এটা নিয়ে আরো চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। মনে হচ্ছে, অনেক মিসিং পয়েন্টই এই থিওরীতে জোড়া লাগানো সম্ভব!!!
১৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২০
শায়মা বলেছেন: উট মাঝে মাঝে ঠিকই পিঠ থেকে ফেলে দেয় ভাইয়া। যেমন সাহেদকে ফেলে দিয়েছে।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা কিছু না। এটাকে বলে পলিটিক্যাল স্টান্টবাজি.........অন্য কথায় আই ওয়াশ!!! সদিচ্ছা থাকলে ঘটনা অন্যরকমের হতো।
১৪| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
করুণাধারা বলেছেন: এই উট উদ্ভট, কারণ এটা বৃত্তাকার পথ ধরে চলতে থাকে, ঘুরে ঘুরে একই জায়গায় ফিরে আসে! তাই একই নাটক বারবার দেখি, ঘুরে ফিরে একই কায়দায় আসামি ধরা, এই ধরাধরি চলতেই থাকে, চুরিও চলতে থাকে, পারপেচুয়ালী। অদূর ভবিষ্যতে এর পরিবর্তন হবে এমন আশা করি না। প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে গাধা প্রজন্ম তৈরি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এই প্রজন্মর সাধ্য নেই উদ্ভট উটকে উন্নয়নের সিধা পথে চালাবার।
বড় হতাশ লাগে এসব ভাবলে।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনিও কায়দা করে আরোগ্যের মতো সুন্দর এবং মোহনীয় একটা পয়েন্ট বলেছেন।
এইটাকে ইংরেজিতে বলে ভিশাস সার্কেল। আরে, কারে কি কই!! স্যরি আপা......আপনার তো এটা জানারই কথা!
অদূর ভবিষ্যতে এর পরিবর্তন হবে এমন আশা করি না। আমিও।
প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে গাধা প্রজন্ম তৈরি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এই প্রজন্মর সাধ্য নেই উদ্ভট উটকে উন্নয়নের সিধা পথে চালাবার। এই একটা সুন্দর কথা বলেছেন। দ্বিমত পোষণ করার কোন জায়গাই রাখেন নাই আর!!
আসলেই হতাশ লাগে। কি আর করা......চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া।
১৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩
জুন বলেছেন: আমাদের চোখের সামনে একের পর এক নাটক মঞ্চস্থ হয়েই চলেছে ভুয়া। কোন নাটকের কি গল্প তারও খেই হারিয়ে ফেলছি। আগে একটু চক্ষুলজ্জা বলে ছিল কিছুটা এখন এই শব্দটি মনে হয় এই সব দুর্নীতিবাজদের সামনে বল্লে তারাই হতবাক হয়ে যাবে। হয়তো তারা এমন কথা এই জীবনেও শোনে নাই। কিছু দুর্নীতিবাজদের জন্য আমাদের মাতৃভূমিকে এত অপমান সইতে হয় যে সেও মনে হয় বলে ঊঠে "মা ধরনী দ্বিধা হও ".। চিটাগং এ নাকি সওদাগরদের আস্তানা তবে তারা কেন একটা উচ্চমানের হাসপাতাল গড়ে তোলেনি? নাকি ভেবেছে চিটাগং থেকে সিংগাপুর ব্যাংকক ঢাকার থেকেও কাছে!
গাধার পিঠে বলবেন না ভুয়া এতে গাধারাও দুঃখ পেতে পারে। অনেক বড় একটা মন্তব্য করেছিলাম একটু আগে, পাব্লিশ হওয়ার আগেই মুছে গেল। অনেক কড়া ভাষা ব্যবহার করেছিলাম হয়তো তারই জন্য
১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের বেশী কড়া মন্তব্যের ভার মনে হয় সামু সইতে পারে নাই। তাই পাবলিশ করে নাই!
নাটক তো আপা ধারাবাহিক, বরং বলেন একের পর এক পর্ব মন্চস্থ হইতেছে। চক্ষুলজ্জা আবার কি জিনিস.....এইটা খায়, নাকি পিন্দে? প্রশ্নটা আমার না, ওই সব নির্লজ্জ মানুষদের। যাদের মানুষ বললে গাধারাও দুঃখ পাইতে পারে। চিটাগাং, রাজশাহী কোন ব্যাপার না। চাইলে সব বিভাগেই এমন মানুষ আছে যারা অত্যাধুনিক হাসপাতাল তৈরীর ক্ষমতা রাখে। কিন্তু তারা করবো না।
দেশের অনেক কিছুই আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ঢোকে না, এইটা তাদের মধ্যে একটা। যাউক গা, আমি ক্ষুদ্র ব্যাপারী, জাহাজের ব্যাপারীদের.....থুক্কু সওদাগরদের ব্যাপারে আমি আর কতোটুকনই বা জানি!
১৬| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি একে তো মফিজ, তার ওপর আবার ভুয়া। আপনার কথা বিশ্বাস করি না। উদ্ভট উটের পিঠে চড়ে পালাবো বিদেশ--এই কথাটা যদি বলতেন, তাহলে বিশ্বাস করতাম। দেখছেন না, সাহেদ বাটপাড় উদ্ভট বেশভূষা পরে ভারতে পালাবার চেষ্টা করছিল।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুয়া মফিজের কথা বিশ্বাস না করলে নাই। জরুরী কোন বিষয় না, কিন্তু আপনি আগে ঠিক করেন উট উদ্ভট নাকি বেশভূষা উদ্ভট!
আমি তো বিদেশেই আছি, আর কই যাবো? তবে এক অর্থে অবশ্য বিদেশে নাই....নিজের দেশেই আছি।
সাহেদকে বাটপার বলেন আর যাই বলেন, ও কিন্তু নিজের শেষ ভরসা নৌকার বুকেই খোজার চেষ্টা করেছিল। নীতির প্রশ্নে সে এতো ঝড়-ঝাপ্টার মধ্যেও ছিল অবিচল! এটার জন্য তার প্রশংসা আপনাকে করতেই হবে হেনাভাই!
১৭| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৫
আরোগ্য বলেছেন: ভুয়া ভাই আপনে আমারে কেস খাওয়ায়েন না।
আমি এহনও ভালো কইরা দুনিয়া দেহি নাই।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের দুইন্না দেহনের আর বাকি আছে কি? এই দুইন্নার সবচেয়ে উন্নত দ্যাশ দেখছেন......আগে শুকরিয়া আদায় করেন। আপনের তো মানব জনম সার্থক!!!
১৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: প্রশাসন নেই বা আছে, কোণ্টাই বলা যায় না! আমরা হেরেই যাচ্ছি প্রতিদিন।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রশাসন নেই বা আছে! এটা তো ''পুকুরেতে পানি নাই, পদ্ম কেন ভাসে; যার সাথে দেখা নাই সে কেন হাসে'' এর মতো শোনাচ্ছে! পাজল সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন? ভুলে যাবেন না, আপনি এমন একটা প্রশাসনের অধীনে আছেন, যার মন্ত্রীদের সাথে দেখা করার জন্য পৃথিবীর তাবৎ বড় বড় দেশের মন্ত্রীরা লাইন দিয়ে আছে! এপয়েন্টমেন্টই পায় না তারা!!
১৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার পোস্টের সঙ্গে বাম্পার কমেন্ট হয়েছে দুজনের প্রিয় আরোগ্যের ও আবু হেনা ভাইয়ের।আমি কিছু কমুনা।আরোগ্য দেখলে আবার বরের ঘরের পিসি বলে আবার বাইধ্যা রাখে।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাম্পার কমেন্ট তো দিছে হেনা ভাই আর আরোগ্য........আপনে কিছু কইবেন না ক্যান? ওনারা কি আপনের মুখপাত্র? নিজের কথা নিজে কইবেন, তাতে শরমের কিছু নাই।
২০| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৫
মা.হাসান বলেছেন: ভুয়া ষড়যন্ত্র করিবেন না।
যাহা হউক, পোস্টের বিষয়ে পরে বলিতেছি। অন্য কথা। আমার এক খানা নিবেদন - মডুর প্রতি। পোস্টে এখন যেই অর্ডারে কমেন্ট- জবাব আসে তাহা পরিবর্তন করা হউক। কমেন্টের উপরে জবাব থাকুক। একজন কমেন্ট করিলে প্রথমে শুধু কমেন্ট দেখাইবে; অতঃপর যখন পোস্ট দাতা কমেন্টের জবাব দিবেন তখন কমেন্টের জবাবের পজিশন কমেন্টের নিচে না হইয়া ঠিক উপরে হইবে।
কারন?
ভৃগু ভাই।
সিরিয়ালি সব পড়িয়া আসিতেছিলাম। ওনার কমেন্ট অর্ধেক পড়ার পর সব গোল বাঁধিয়া গেল। সব ভুলিয়া গিয়াছি। প্রবাদ আছে, মুহাম্মদ পর্বতের নিকট না গেলে পর্বতই মুহাম্মদের নিকট আসিবে। কবিতার ক্ষেত্রেও তাহাই হইলো। আপনার জবাব যদি কমেন্টের উপরে স্থান পাইতো তবে মানসিক ক্ষতির হাত হইতে রক্ষা পাইতাম।
লন্ডনের বাংলাদেশ দুতাবাস ভবন বিক্রি কাহার নির্দেশে হইয়াছিলো, টাকার ভাগ কে কে পাইয়াছিলো সেই খবর রাখিলে মন্ত্রী, সচিব, পিএস, মন্ত্রীর ছেলের ক্ষমতার উৎস লইয়া প্রশ্ন করিতেন না।
বল্ড অ্যন্ড ব্যাঙ্করাপ্টের কয়েকটি ভিডিও দেখিয়াছি (মলডোভা সহ)- মাত্র কয়েকদিন আগে । ওনার রাশান শুনিয়া অনুমান করিয়াছিলাম উনি অরিজিনালি রাশান, বিলাতে থাকেন; উনি বৃটিশ জানিতাম না।
আপনি ভুয়া বলিয়া বেনজামিনের মলডোভা বিষয়ক পর্যবেক্ষনের সাথে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তুলনা করিলেন। মলডোভার সমস্যা দূর্নীতি। বাংলাদেশের সমস্যা বিরোধী দল। এই জন্য সরকার বাহাদুর জনস্বার্থে বিএনপি বিষয়ক মন্ত্রনালয় খুলিয়া জনাব হাচান মামুদ সার কে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়াছেন। বিরোধী দল না থাকিলে বাংলাদেশ আরো অনেক উন্নতি করিতে পারিতো ( মাশাল্লা, এখনো কম উন্নতি করে নাই, আপনি কেবল অপরেটরকে বলিয়া বিটিভি ওয়ার্লড এর কানেকশন লইলে দেখিতে পারিবেন)।
আপনার পর্যবেক্ষণ পূর্নাঙ্গ নহে, আংশিক। ২০৩০ পর্যন্ত কি হইবে এই কথা বলা পছন্দ হইলো না। ২০৪১ এবং ২০৪৬ সালের কথা বলিতে হইবে। অনুন্নত দেশে থাকিয়া বেশি হিংসা করা ভালো নহে।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জেনুইন ষড়যন্ত্র করা খারাপ। সেইটা দেশের বিরুদ্ধে যায়। একজন দেশপ্রেমিক হিসাবে আমি কি সেরকম কিছু করতে পারি? সেই হিসাবে ভুয়া ষড়যন্ত্র করাই কি ভালো না?
আপনের বডি রিফ্লেক্স খুবই নিম্নমানের। আমি যখনই দেখছি খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হওয়া কবি মজিদ মাহমুদের কবিতাটা তুলেই দিলাম, এইটা লেখা; স্প্রিংয়ের মতোন লাফ দিয়া পরের মন্তব্যে গেছি, আপনে বইসা বইসা পড়তে থাকলে দোষ কার? এখন মডুরে টানাটানি করার মানে কি?
আমি যেহেতু টাকার ভাগ পাই নাই, কাজেই লন্ডনের বাংলাদেশ দুতাবাস ভবন বিক্রি কাহার নির্দেশে হইয়াছিলো সেইটা নিয়া আমার কোন মাথাব্যথা নাই। আপনে বেহুদা কামে ব্যস্ত থাকার অভ্যাস ছাড়েন।
বেনজামিনের রাশান শুইনা আপনের মনে হবে সে রাশান, তাইলে আমার হিন্দী শুনলেও আপনের মনে হবে আমি ইন্ডিয়ান। যতোই আপনের মন্তব্য পড়ি, ততোই আমার দুঃখ হয়, এই লক ডাউনে আপনের কতোবড় ক্ষতিটাই না হইলো। আপনের বিচার-বিবেচনার অবস্থা তো আগে এতো করুণ ছিল না!!!
বাংলাদেশের সমস্যা বিরোধী দল। হাচান মামুদ সার আমার অতি শ্রদ্ধার পাত্র। তাই এই ব্যাপারে আমি কিছু কমু না। তাছাড়া গত সপ্তাহেই বোজো আমারে রিকুয়েস করছে উনার একটা এপয়েন্টমেন্ট নিয়া দেওয়ার জন্য। সে এইখানে বিরোধীদল নিয়া খুবই পেরেশানীতে আছে। এই সময়ে আমার এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা সমীচীনও হবে না। ইউ নো, হোয়াট আই মিন!!!
শেষ কথা হইলো, আমার দৃষ্টিশক্তিতে ২০৩০ সাল পর্যন্তই কুলাইছে। এর চেয়ে দুরে দেখার ক্ষমতা আমার নাই, দেখার কোন মানেও নাই। ততোদিন টিকতে পারলেই আমি খুশি। ২০৪১ এবং ২০৪৬ সাল সম্মন্ধে আপনে কিছু কইলে ভালো হয়। ঝাতি আপনের মুখের.......থুক্কু আঙ্গুলের দিকে চাইয়া আছে।
আর হিংসা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। এইটা করাকরির ব্যাপার না, অটোম্যাটিক্যালি হয়া যায়। সেই কারনেই অনুন্নতরা উন্নতদেরকে হিংসা করবে। তারপরেও..........হিংসা করার জন্য স্যরি হইলাম!!!
২১| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১০
কল্পদ্রুম বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাই,যদি আগের মন্তব্যে কোন ভাবে আঘাত দিয়ে থাকি তবে ধৃষ্টতা মাফ করবেন।আমার উদ্দেশ্য ছিলো কেবল একটা সাধারণ তুলনা করা।আপনাদের সময়ে আপনারা অবশ্যই সংকীর্ণতা মুক্ত মানুষ ছিলেন।এখনো আছেন নিশ্চয়ই।
১৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাদের জেনারেশান যতোই আন্তরিক হোক না কেন, ম্যাচুওরিটির অভাব আছে, এটাই আপনাকে বুঝতে হবে সর্বাগ্রে। কেন এটা বললাম? কিছু ব্যাপার আছে, যা বাস্তব অভিজ্ঞতা না থাকলে বোঝা সম্ভব না। এখানেই ম্যাচিওরিটি আর ইম্ম্যাচিওরিটির প্রশ্ন। যতো অভিজ্ঞতা, ততো পরিপক্কতা। সেটারই অভাব এখন আপনাদের। একটা উদাহরন দেই। আপনাকে যতোই বলা হোক কিংবা যেভাবেই বলা হোক, বাচ্চা প্রসবের ব্যাথার তীব্রতা আপনি কখনও বুঝতে পারবেন না। তেমনি, কর্মক্ষেত্রে ঢোকার আগে বাইরে থেকে এর ডায়নামিজম বোঝা সম্ভব না। আরেকটা কথা বলি, ক খ গ না শিখে যেমন বাক্য গঠন করা সম্ভব না, তেমনি সিস্টেম যদি সৎকর্মের ক্ষেত্র তৈরী না করে, আপনি সৎ থাকতে পারবেন না। আমার কাছে আমার নিজেরই অনেক বাস্তব উদাহরন আছে। আমার এ্যনোনিমিটি নষ্ট হবে দেখে বলছি না। আমার এক বন্ধুর কথা বলি বরং। সরকারী চাকুরীতে ভালো পজিশনে থাকা সেই বন্ধু এক প্রভাবশালীর ফাইল সই না করাতে সভ্যতার প্রায় বাইরে ট্রান্সফার করে দেয়া হয়। তার বউ দুধের বাচ্চা নিয়ে সেখানে যেতে রাজী হয়নি। বউ ঢাকায়, সে বাইরে…...সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার অবস্থা। আজীবন ঢাকার শহুরে পরিবেশে থাকা সে বহু চেষ্টার পরেও কোনভাবেই কিছু করতে না পেরে চাকুরীতে ইস্তফা দিয়ে কানাডা চলে যায়। তার একটাই কথা, সরকারী চাকুরীতে অসৎ হলে সব রকমের সুবিধাই পাওয়া যায়। সৎ হলে কপালে জোটে দুর্ভোগ। কানাডাতে তার সরকারী চাকুরীর ঠাট-বাট নাই, তবে মানসিকভাবে সে অত্যন্ত শান্তিতে আছে। এটা আমার না, তারই কথা। আর ক'দিন আগে ব্লগার সোহানীর একটা পোষ্ট ছিল…...সৎ থাকতে গিয়ে এক এন্জিনিয়ারকে দেশে তো জীবনই দিতে হলো (একজন অভাগা ইন্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন)। এগুলো কিন্তু বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। আমার জানা এমন বহু ঘটনা আছে…….বহু!!!
আপনার মন্তব্যে আঘাত পাওয়ার কিছু নাই। যা বলেছেন, আন্তরিকভাবেই বলেছেন। হয়তো কেউ কেউ এমন মন্তব্যে সূক্ষভাবে আঘাত পেতে পারে, তবে আমার চামড়া এতোটাই মোটা যে, ওটা ভেদ করে আপনার মন্তব্য কোথাও আঘাত করতে পারবে না। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেন, আপনার চামড়াও মোটা হবে। একসময়ে দেখবেন, গন্ডারকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন।
তবে, আপনাদের একটা সুবিধা আছে। আমাদের সময়ে সামু'র মতো এমন কোন প্ল্যাটফর্ম আমরা পাইনি। বড়দের সাথে আমাদের অনেক দুরত্ব ছিল। মন খুলে তাদের সাথে ভাবনা-চিন্তা শেয়ার করতে পারতাম না। যা করতাম, সমবয়সীদের সাথে। ফলে, অনেক কিছু সম্পর্কে বাস্তব ধারনা পেতাম না। আপনাদের উচিত এই সুযোগটা কাজে লাগানো। তাহলে অনেক ব্যাপারেই পূর্ব প্রস্তুতি নিতে পারবেন। আপনাকে এতো কথা কিন্তু হতাশ করার জন্য বলছি না, বলছি বাস্তবতা সম্পর্কে ধারনা দেয়ার জন্য। আশা করি ইতিবাচকভাবে নিবেন।
২২| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩৮
রাকু হাসান বলেছেন:
কোন দেশের সরকার যদি তার প্রতিষ্ঠানকে চালাতে ব্যর্থ হয় ,তাহলে আমি চোখ বন্ধ করে একমাত্র সরকারকেই দোষ দিব। একমত যে দেশের বেসরকারী খ্যাতের অবদান অনেক। রেলে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে কিছুটা আলো বের হবে মনে হচ্ছে। আসলে ঠিক জায়গায় যোগ্য এবং সৎ লোক হলেই পাল্টে যাবে অনেক কিছু।
১৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বেসরকারী খাতের অবদান অনেক না, আমার মতে পুরোটাই। সরকারী একটা লাভজনক খাতের উদাহরন দেয়া আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। রেলের কথা আর কি বলবো। সরকারী বহু খাতই আমাদেরকে আলোর নামে আলেয়া দেখিয়ে হাওয়া হয়ে গিয়েছে।
আসলে ঠিক জায়গায় যোগ্য এবং সৎ লোক হলেই পাল্টে যাবে অনেক কিছু। ঠিক বলেছেন। মূল সমস্যাটা সেখানেই।
২৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:১২
সোহানী বলেছেন: আফনে মেরুদন্ড নিয়া চিন্তা !!! আমিতো ভাবি আমাগো কোন হাড্ডিই শরীরে আছে কিনা। যদি থাকতো তাহলে অনেক আগেই ইন্ডিয়ারে এক হাত নিতে পারতো। কিন্তু কেমনে নিবে কন??? আমরা তাগো কাছে বেচঁতে বেচঁতে পরনের গামছাখানও ধার দিসি আর বিবেকতো অনেক আগেই বেইঁচা দিসি....। তাইলে এতোদিনে সুন্দরবন/ গরু/জি বাংলা/ফেলানী এরক হাজার জিনিস নিয়া হিসাব নিকাশ হইতো।
চীনের কাছে ভারত ধাতানি খাবার পর আমাগো বিস্তর সুযোগ আছে চীনের সাথে জোট বাঁধার। বাকি আশে পাশের রাস্ট্র অনেক সাবধানী, অন্তত তাদের দেশপ্রেম আছে..... একমাত্র আমরাই আছি যারা ভারতপ্রেমে মুর্চ্ছা যাই।
যাগ্গা বেশী কথা কইলেতো কি জানি এক আইনের প্যাচ আছে..............।
এখন আমাগো একমাত্র উপায় দূর্নীতিওয়ালাগোরে ক্রশ ফায়ারে দেয়া। আর স্বাস্থ্যখাত নিয়া কি কমু.... এত কিছুর পরও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বহাল তবিয়তে আছে!!!!!!!!!!!!!
১৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে……..আপনের চিন্তা ঠিক আছে, আমারটাই ভুল। হাড্ডি না থাকলে আবার মেরুদন্ডের চিন্তা কি!
পরনের গামছাও যদি ইন্ডিয়ারে দিয়া থাহি…...তাইলে আমরা কি পইরা আছি? চিন্তায় ফলায়া দিলেন দেহি! ঘরের থিকা বাইর হওয়াই তো মুশকিল কইরা দিলেন!!!!
চীনের কাছে ভারত ধাতানি খাবার পর আমাগো বিস্তর সুযোগ আছে চীনের সাথে জোট বাঁধার। ছুডবাই আরোগ্যের কথা মতোন আমরা যদি হ্যাগো বউ লাগি, তাইলে তো আমি কোন সুযোগই দেহি না, আপনে কেমনে দ্যাহেন কে জানে! অবশ্য বউ'রা বউগো ব্যাপার স্যাপার ভালা বুজবো।
যাগ্গা বেশী কথা কইলেতো কি জানি এক আইনের প্যাচ আছে..............। ভালা একখান কতা মনে করায়া দিছেন…...চুপ করলাম!!!!
২৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:১৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ঠিক আছে।
১৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি যখন বলছেন, তখন ঠিকই আছে মনে হয়।
২৫| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২২
মিরোরডডল বলেছেন:
আমাদের দেশের সাধারণ মানুষগুলো খুব ভালো, সহজ সরল কিন্তু সিচুয়েশনের স্বীকার । আর যারা ক্ষমতায় আছে, যারা কিছু করতে পারতো, তারা সবাই করাপ্টেড । দুর্নীতি যতদিন না কন্ট্রোলে আসবে, ততদিন কোনও মুক্তি নেই । এইভাবেই সাধারণ মানুষ তাদের হাতে জিম্মি হয়ে থাকবে ।
উট না, ইন ফ্যাক্ট কোনও কিছুর পিঠেই চলছে না, বাংলাদেশ ইটসেলফ আ কচ্ছপ । সারা পৃথিবীর উন্নয়ন যাচ্ছে একভাবে আর আমাদের দেশ যাচ্ছে মন্থর গতিতে । তানাহলে স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে যাচ্ছে আমরা এখনও এখানে । ক্ষমতার লোভ দুর্নীতি এগুলো নিয়েই আছি । শকিং ! খুবই মায়া লাগে আমার সাধারণ ভুক্তভোগী মানুষগুলোর জন্য ।
১৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের দেশের সাধারণ মানুষগুলো খুব ভালো, সহজ সরল কিন্তু সিচুয়েশনের স্বীকার। এই একটা অত্যন্ত জ্ঞানের কথা বলেছেন। ব্লগে কিছু ব্লগারকে এটা বোঝাতে বোঝাতে আমি পেরেশান। তাদের কথা, আমাদের জনগনই খারাপ। বলেন তো, কেমনটা লাগে? আপনার এই মন্তব্যটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে, তাই আপনাকে একটা পোষ্ট পড়ার অনুরোধ করছি।জনগন নাকি সরকার; কে আগে?
আমরা যে আসলে কিসের পিঠে আছি, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। মন্তব্যে দেখেন, একেকজন একেক কথা বলছেন। হাইলি কনফিউজড!!!
২৬| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪২
ইসিয়াক বলেছেন: কিছুই বলার নেই কারন আমার কোন ক্ষমতা নেই। আগে দেশটাকে খুব ভালোবাসতাম ,খুব ভাবতাম দেশকে নিয়ে।ইদানিং কেন জানি মনে হচ্ছে আমি আর এই দেশটাকে আগের মতো ভালোবাসিনা না কেন বাসিনা সেই উত্তর আমি দিতে পারবোন।মাঝে মাঝে মনে হয় অন্য কোথাও চলে যাবার জায়গা থাকলে আমি এ দেশ ছেড়ে চলে যেতাম। এতো এতো নোংরা বেহায়া চোরদের মধ্যে থেকে থেকে নিজের উপর আজকাল ঘৃনা ধরে গেছে, কি দেশে জন্ম নিলাম। মাথা উঁচু করে কোথাও কথা বলার মতো পরিস্তিতিটুকু রাখলো না গুটি কয়েক বাজে লোক।
১৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ক্ষমতা তো আমাদের কারোরই নাই, তারপরেও আমরা বলি। কেন বলি? হুদাই!!! বললে একটা লাভ হয়…...মনের দুঃখটার একটা সাময়িক উপশম হয়। দেশকে অবশ্যই ভালোবাসবেন। দোষ তো দেশের না, দোষ হলো দেশের কিছু নষ্ট মানুষের। বাকীসব আমার-আপনার মতো আম-জনতা। যাদের কিছুই করার নাই।
শুধু আপনি কেন, আমার তো মনে হয় আজ আমেরিকা-বৃটেন-অস্ট্রেলিয়া-কানাডার মতো দেশ যদি বলে, যে কোনও বাংলাদেশী যদি শুধু কষ্ট করে চলে আসে, আমরা তাদেরকে নিয়ে নিবো; তাহলে দেশটা একেবারেই খালি হয়ে যাবে।
২৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:১৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
শিরোনামটা যথার্থ হয়েছে । একটা উট দেখতে গেলে মাথা
উঁচু করে দেখতে হয় ঠিক তেমনি দুর্নীতিতে আমরা চ্যাম্পিয়ন
অবস্থানে আছি। এই শান্তির দেশে এখন আর শান্তি নাই ।
বিদেশে আছেন অনেক ভালো অবস্থানে আছেন ।
আমিও জানিনা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনমূলক বা
পজিটিভ পরিবর্তন তবে আমি আশাবাদী ইনশাল্লাহ হয়তো
একদিন কিছুটা হলেও আমরা পরিবর্তন ছিনিয়ে আনবো ।
বিশ্বস্ত ফার্মেসি লাজ ফার্মা যেখান থেকে নির্ধিদায় চোখ বন্ধ
করে ঔষধ কিনি কিন্ত দেখেন আজ সেখানে কি অবস্থা?
১৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আচ্ছা, আপনি বলেন দেখি, আমাদের এই দেশে শান্তি কবে ছিল? শান্তির মা'য় তো সেই কবেই মইরা গ্যাছে!
শান্তি পাবেন শুধু গুটিকয় কবির কবিতায়। বাস্তবে শান্তি কোন কালেই ছিল না। দুর্নীতিই তো দেশটাকে ছারখার করে দিলো। আর তাই এতো সম্ভাবনাময় একটা দেশকে আজ অন্যের ঘরণী হয়ে থাকতে হচ্ছে!!!
লাজ ফার্মা তো একটা উদাহরন। এরা লাজ ফার্মা নাম বদলে বে-লাজ ফার্মা রাখতে পারে। তাহলেও মানুষ এদের বোধদয় দেখে একটু আশ্বস্থ হবে।
২৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৪
মা.হাসান বলেছেন: কাজের চাপে সামুতে আসার সময় পাই না। আজ ঢুকে দেখি ১৬৯টা নোটিফিকেশন, আপনার পোস্ট থেকে তিনটা!
সামুর নোটিফিকেশন কার পিঠে চড়ে চলছে?
নাকি আপনি কমেন্টের তিনটা উত্তর লিখে পরে মুছে দিয়েছেন?
২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সামুর নোটিফিকেশন যে উদ্ভট কিছুর পিঠেই আছে, এটা নিশ্চিত। তবে এবার অবশ্য দায় আমারই। কোন জানি আমার মন্তব্যটা পুরোটা আসছিল না, তাই কয়েকবার মুছেছি। আর কাজের বেশী চাপ নিয়েন না। চ্যাপ্টা হওয়ার চান্স আছে।
২৯| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩০
কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনি ধরেই নিয়েছেন কল্পদ্রুম কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেনি। আপনি সেই ধারণার উপর দিয়ে পুরো প্রতিউত্তর করে ফেলেছেন।
আপনার পরে তো কয়েকটা জেনারেশন পার হয়েছে।ঠিক কোনটাকে immature মনে হয়? সবগুলোকেই? 'যত অভিজ্ঞতা তত পরিপক্বতা" আমার তা মনে হয় না।যদি পরিপক্বতা মানে maturity বুঝান আর কি।Immaturity অথবা maturity কোন নির্দিষ্ট প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।ব্লগই তার বড় প্রমাণ।
আপনি যেসব উদাহরণ দিয়েছেন ওগুলো তো কোন নতুন বিষয় না।আমিও ওই ডায়নামিজমে দোদুল্যমান।সাংগঠনিক এবং পেশাগত অভিজ্ঞতা থেকেই ঐ মন্তব্য।সিস্টেমের সমস্যার থেকে অনেক ক্ষেত্রেও ব্যক্তি সমস্যাও বড় হয়ে দাঁড়ায়।আমার স্থানে দাঁড়িয়ে আমার মাওলানা সাজার দরকার নেই।যেমন,আমার প্রতিষ্ঠানে দালালরা স্বক্রীয়।দালাল চক্র বন্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই।আমার বিবেচনায় দালালদের পরিবার আছে।তাদের ভিতরেও কিছু কাজের মানুষ আছে।আমি তাদের আমার কাজে ব্যবহার করতে পারি।আমি কিছু বললে তারা আমাকে খুশি করার জন্যেই সে কাজ করে দেয়।আমার প্রতিষ্ঠানের প্রধান ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে পারেননি।নিজেও রাজনীতি করেছেন।টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন।কিন্তু ক্যাম্পাসে সহিংসতা বন্ধ করেছেন।কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে ছেড়েছেন।আমি অরাজনৈতিক সংগঠনের হয়ে কাজ করেছি।রাজনৈতিক নেতাদের হম্বতম্বি ছিলো।কিন্তু কৌশুলী হলে তাদের দিয়েই অনেক সাহায্য পাওয়া যায়।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সচিবের মৌখিক কথায় রিজেন্টের সাথে চুক্তি করেছেন।তিনি সিস্টেমের চাপে পড়েছেন।তিনি সচিবের কাছ থেকে লিখিত অর্ডার আদায় করে নিতে পারতেন।তাহলে এখন প্রমাণ দিতে পারতেন।রিজেন্টের সাথে চুক্তির পর তিনি মনিটরিং এর ব্যবস্থা করে তাদের চাপে রাখতে পারতেন।সচিব বদলির পর নতুন সচিবকে চুক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারতেন।
শেষের দিকে হতাশ করতে চান না পড়ে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতায় স্বান্তনা পুরষ্কারের মতো মনে হলো।আসলে আমার প্রফেশনের মানুষের উপর সারা দেশের মানুষ হতাশ।আবার দেশের মানুষের উপর তারা ডাবল হতাশ।বাইরে থেকে কেউ চাইলেও এই হতাশার কোন যোগ বিয়োগ করতে পারবে না।
প্রশ্ন ফাঁস জেনারেশন (ব্লগে অনিয়মিত বলে আসলে আমি জানি না সামুর সিনিয়ররা প্রশ্ন ফাঁস জেনারেশন বলতে কোনটাকে বুঝান।কিংবা কোন পর্যায়ের প্রশ্ন ফাঁসকে তাঁরা গণ্য করেন, এইচএসসি/এসএসসি/আন্ডারগ্রাড/পোস্টগ্রাড) নিয়ে ভরসা পাচ্ছেন না। আমি যে প্রজন্মের কথা লিখছি তাদের সাথে আপনার/আপনাদের কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই ভরসা হারিয়েছেন কি না জানি না।তবে আমার হুদা প্যাঁচাল আরো দীর্ঘ করলেও ভরসা তৈরি হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখছি না।দরকারও মনে হচ্ছে না।
ব্লগের ব্যাপারে আমার দৃষ্টিভঙ্গি হলো এটা একটা ভার্চুয়াল ডায়েরি।যেখানে নিজের হাবিজাবি কিছু লিখতে চাইলে লেখা যায়।অন্যদের লেখাও পড়া যায়।মাঝখান দিয়ে আপনাদের মতো কিছু মানুষের সাথে এই যে ভার্চুয়াল আলাপচারিতা।এটা উপরি পাওনা।
আসলে আপনার দীর্ঘ প্রতি মন্তব্য দেখে আর অল্প সময়ের ভিতরে আপনি প্রিয় ব্লগারদের একজন হওয়াতে মনে হলো আমার কিছু লেখা উচিত।আমার মন্তব্য আপনার মূল পোস্টের বাইরে চলে যাওয়াতে দুঃখিত।
২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে.......আসলেই মিসফায়ার হয়ে গিয়েছে। আমি তো ধরেই নিয়েছিলাম আপনি এখনও ছাত্রজীবন শেষ করেন নাই। তবে মনে হচ্ছে, কর্মক্ষেত্রেও একেবারে শুরুর দিকে! এই রে, আবার অনুমান করে ফেললাম!
যাক গে, আগে জানলে আমার প্রতি-মন্তব্য হতো ভিন্ন আঙ্গিকে.......তবে খুব একটা ইতরভেদ হতো না। আপনার এখনকার মন্তব্যে আর বিস্তারিততে গেলাম না। আবার অন্যভাবে শুরু করতে হবে। আর এনার্জি নাই।
আমি কোন আশা দেখি না, আপনি দেখছেন......ঠিক আছে। আমিও আশাবাদী হতে পারলে খুশীই হতাম। দেখি, আপনারা কি পরিবর্তন আনতে পারেন। পরিবর্তিত বাংলাদেশ দেখার জন্য টাইট হয়ে বসলাম।
৩০| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৪
কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনার দেওয়া লিংকটা পড়েছিলাম আগেই।লিখতে ভুলে গেছি।ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন সর্বোচ্চ সম্মান নিয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন।তিনি স্ট্রিক্টলি তাঁর বিশ্বাসে অটল ছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।তাঁকে অভাগা লেখার কোন কারণ দেখি না।
২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন সর্বোচ্চ সম্মান নিয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন।তিনি স্ট্রিক্টলি তাঁর বিশ্বাসে অটল ছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।তাঁকে অভাগা লেখার কোন কারণ দেখি না। ঠিকই বলেছেন। উনি অভাগা না, আসলে উনার এই সর্বোচ্চ সম্মান অর্জনের কারনে উনার পরিবারের সদস্যরা যারা পথে বসেছে, তারা অভাগা।
৩১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: আরোগ্য বলেছেন: ভারত আর বাংলাদেশের মাঝে আজ স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক। ভারত কর্তৃত্ববাদী স্বামীর মত স্বেচ্ছাচারিতা করে আর বাংলাদেশ অবলা বাঙালী স্ত্রীদের মত স্বামীর হুকুম বিনাবাক্যে মেনে নেয়। যদি ভাইভাই সম্পর্ক হত তবে অধিকার আদায়ে সোচ্চার হওয়া সমীচীন হতো কিন্তু পতিভক্ত পত্নী পতির সব অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে যায়।
অনেক দেরি করে পড়লাম। যা বলতে এসছিলাম তা আরোগ্য ভাই আগেই বলে দিয়েছেন।
এইদেশ নিয়ে ভাল কিছু আশা করা আমি অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশ নিয়ে যতোই আর ভাববো না চিন্তা করি, একটা পর্যায়ে গিয়ে আর পারি না। কিছু চিন্তা ঘুরে ফিরে চলেই আসে। কিছুই করার নাই। এভাবেই চলবে। তবে, ইদানিং একটু পরিবর্তনের আভাস দেখতে পারছি। জানি না, এটা আমার চোখের বা অনুভবের ভুল কিনা......দেখা যাক, সময়ই বলে দিবে।
মোটামুটি পুরানো লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। তবে, নতুন ছেড়ে পুরাতনের দিকে মন দিলেন কেন বুঝলাম না।
৩২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: ভালো লাগছে না কিছু। তাই খুজে ফিরে আপনার লেখাগুলি পড়ছি। মন ভাল করা দরকার।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন খারাপ কেন? যাই হোক, হোরাসের ব্রেসলেট নিয়ে লেখাটা পড়েন নাই বোধহয়। দেখেন, মন ভালো হয় কিনা!!
৩৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৫
আমি সাজিদ বলেছেন: Bald & Bankrupt এর সাথে এই করোনাকালে ইউটিউবে পরিচয়, এরপর বিঞ্জ ওয়াচ দিসিলাম একটা ! সাবেক সোভিয়েৎ ইউনিয়নের দেশগুলো নিজে এত ডিপলি কখনো জানতে পারতাম না, এই চ্যানেল না থাকলে। জর্জিয়া একটা পুরানো ভবনে এক মহিলার দূর অবস্থা দেখে বাল্ড বোধহয় কিছু আর্থিক সাহায্য করতে চেয়েছিল, ওই বৃদ্ধা পরে কিছুই নেন নাই। অনেকগুলো দেশের অবস্থা দেখে খুব খারাপ লাগসিল। এই ব্রিটিশ আমার অন্যতম ফেভারিট ইউটিউবার।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই ভ্লগার খুব অল্পদিনেই আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তার উপস্থাপনার গুনগতমানের কারনে। চমৎকার বিশ্লেষণ করে সে। তাছাড়া, রাস্তাঘাটে মেয়েদের সাথে সে দুষ্টামী করার যে অপচেষ্টা করে, সেটাও আমার কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়।
এই ব্রিটিশ আমার অন্যতম ফেভারিট ইউটিউবার। আমারও। করোনার মন্দ প্রভাবই বেশী, তবে ভালো কিছু প্রভাবও আছে। অস্বীকার করার জো নাই।
৩৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৮
আমি সাজিদ বলেছেন: সামনের ভূ রাজনৈতিক সুবিধা নিতে পারলে আমাদের অগ্রগতি ঠেকায় কে ? একশটা শিল্পাঞ্চল হওয়ার পর চেহারায় পালটে যাবে দেশের। কিন্তু অনেক কিন্তু আর যদিও উপর চলছে সব। মুখ খুললেই ৫৭।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেষ্টলি......আমাদের দেশের সামনে যেই বিরাট সুযোগ এখন এসেছে, আগামী একশ বছরেও এমন সুযোগ আসবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। এটা নিয়ে একটা পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। তবে, বিশাল আলোচনা.....সময় বের করতে পারছি না। দেখা যাক!
৫৭, ৬৭, ৭৭......এসব কোন ব্যাপার না। দেশের উন্নতি হলে তো আমরা মুখ খুলতেও চাই না। এখন মুখ খোলার পরিস্থিতি সরকার না করলেই পারে! আমাদের সবারই তো একটাই চাওয়া......দেশের উন্নতি। সেটা হলেই আমরা খুশি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মানুষের অসহায়ত্ব বন্দী আজ বিবেকহীন মানুষের কাছে।