নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাবমেরিন, সাংবাদিকতা এবং আনুষঙ্গিক কিছু কথা!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৩



শুরুতেই একটা গল্প বলি, শোনেন। এটা তিন বন্ধুর গল্প।

বাবুল, মিলন আর ভাস্কর তিন বন্ধু। বাবুল আর মিলন ছাপোষা টাইপের মানুষ। ওদিকে ভাস্কর বেশ পয়সাওয়ালা এবং ক্ষমতাশালী। বাবুলের একদিন হঠাৎ শখ হলো, সে একটা গাড়ি কিনবে। বিষয়টা ভাস্করের পছন্দ হলো না। সে মনে মনে ভাবলো, ব্যাটা ফকিরের পোলা…..জাতে ওঠার শখ হইছে! সে বিভিন্নভাবে বাবুলকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করলো। এদিকে বাবুল এডামেন্ট, গাড়ি একটা সে কিনবেই। শখ বলে কথা! যাই হোক, কোন একদিন এক শুভক্ষণে সে গাড়ি কিনে বাসায় নিয়ে আসলো। গ্যারেজ যেহেতু নাই, গাড়ি সে রাতে তার বাসার সামনেই পার্ক করে রাখে।

একদিন ভাস্কর মিলনকে ডেকে বললো, শোন…….বাবুল যে গাড়ি কিনছে, এইটা তোরে টক্কর দেওয়ার জন্য। তোরে দেখানো যে, ও তোর চেয়ে বেশী কামিলদার। তুই এক কাম কর। এই স্ক্র-ড্রাইভার নে। কয়দিন পর পরই রাত্রে ওর গাড়ির চাক্কা পাংচার কইরা দিবি। দেহি, শালার পো কয়দিন গাড়ি চালায়।

দু‘দিন পর পরই চাকা পাংচার হয়! বাবুল অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার নাইটগার্ডের সাথে বন্দোবস্ত করলো, রাতে গাড়ি পাহারা দেওয়ার। ভাস্কর দেখলো, এখন তো আর চাকা পাংচার করা যাবে না! সে তখন নতুন ফন্দি আটলো। নিজের গ্যারেজে পড়ে থাকা একটা লক্কর-ঝক্করমার্কা গাড়িকে ঘষামাজা করে চকচকে করে তুললো। তারপরে মিলনকে বললো, নে…..আমার এই সুন্দর গাড়িটা তোরে দিলাম। টাকা আস্তে-ধীরে শোধ করিস। বাবুইল্লা শালা তোর সামনে দিয়া গাড়িতে ঘোরে! তোরও তো একটা ইজ্জৎ আছে! এখন থিকা তুই-ও ওর সামনে দিয়া গাড়িতে ঘুরবি!!

মিলন গাড়িটা নিয়ে যাওয়ার পরে ভাস্কর একদিন বাবুলকে ডেকে বললো, শোন, তোর গাড়ির চাকা মিলনই পাংচার করতো। তোর গাড়ি কেনা সহ্য করতে পারে নাই। তুই নাইটগার্ডের সাথে কন্ট্রাক্ট করনে আর পাংচার করতে পারে না, আবার তোর গাড়ি চড়া সহ্যও করতে পারে না। তাই বহু অনুরোধ কইরা আমার কাছ থিকা আমার এক্সট্রা গাড়িটা কিনছে।

এখন বলেন তো! ভাস্কর বাবুলের কেমন বন্ধু?

আচ্ছা, একটা কিউ দেই। বাবুলকে বাংলাদেশ, মিলনকে মিয়ানমার আর ভাস্করকে ভারত কল্পনা করেন দেখি! কোন ক্যাল্কুলেশান কি করা যায়? কেউ কেউ হয়তো বলবেন, কিছুটা তো অবশ্যই করা যায়; কিন্তু বিষয়টা ঠিক পরিস্কার না। এবার বরং একটু ঝেড়ে কাশেন! ওকে, ঝেড়েই কাশি তাহলে।

সপ্তাহ দুয়েক আগে হঠাৎ করেই একটা খবর পড়লাম। খবরটি হলো, কক্সবাজারের দক্ষিণে কুতুবদিয়া দ্বীপের পেকুয়াতে সাবমেরিন ঘাটি করার কাজ চীনকে দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বিগ্ন ভারত। বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে সাবমেরিন কিনেছে জানি, কিন্তু খবরটা পড়ে বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্রয়ের অদ্যোপান্ত, আর এ'সংক্রান্ত বিচার-বিশ্লেষণ পড়ার ইচ্ছে হলো। তবে, মোটামুটি হতাশ হলাম। এটা নিয়ে পোষ্টের শেষের দিকে কিছু কথা বলার ইচ্ছা পোষণ করছি।

এখন আসি ভারতের উদ্বিগ্নতার বিষয়ে। কেন তারা উদ্বিগ্ন? বাংলাদেশকে ভারত কি তার সামরিক প্রতিপক্ষ মনে করে? মনে করার প্রশ্নই আসে না; কারন, দু'দেশের সামরিক সক্ষমতার তফাৎ আকাশ আর পাতালের। তাহলে? বাংলাদেশ যখন প্রথম সাবমেরিন কেনার ঘোষণা দেয় তখন ভারতের নীতি-নির্ধারক, সামরিক বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে ভারতীয় মিডিয়া সবাই লম্ফ-ঝম্ফ শুরু করে দেয়, যেন বিরাট সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি একটি টকশোতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত বীণা সিক্রি ও দুই জন সামরিক বিশ্লেষক বাংলাদেশের সাবমেরিন কেনা ভারতের জন্য কতটা হুমকি তা নিয়ে কথাও বলেছেন। আমরা আমাদের টাকায় আমাদের সমুদ্র রক্ষার জন্য নৌকা কিনবো, সাবমেরিন কিনবো নাকি বিমানবাহী জাহাজ কিনবো; সেটা একান্তই আমাদের ব্যাপার। ভারতের মাথাব্যাথার তো কারন দেখি না। তাহলে কি তারা চুরি করে আমাদের এলাকায় ঢুকে কোন অকাম-কুকাম করে? চীনকে সাবমেরিন ঘাটি করার কাজ দেয়াতে আবারও শুরু হয়েছে দৌড়-ঝাপ।

হনুমানদের কাজই হলো অকারণে লম্ফঝম্ফ করা। সে তারা করতেই পারে; করুক। চলেন আমরা বরং বাংলাদেশের সাবমেরিন কেনার সময়টাতে ফিরে যাই। বাংলাদেশের হঠাৎ সাবমেরিন কেনার ইচ্ছা হলো কেন? সাবমেরিনকে একটা কৌশলগত অস্ত্র বলা হয়ে থাকে এর ভূমিকার জন্য। এমন মনে করার কোন কারণ নেই যে, সাবমেরিন দিয়ে শুধু শত্রু জাহাজ ধ্বংস করা হয়। যুদ্ধের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল সাপ্লাই চেইন ধ্বংস করা, যেটা সহজেই সাবমেরিন দিয়ে করা যায়। তাছাড়া যুদ্ধের অনেক বড় একটি অংশ 'ভীতি'। এক স্কোয়াড্রন মাল্টিরোল বিমান যতটুকু ভয় জাগাতে পারে শত্রুর মনে, একটা সাবমেরিন তার থেকে অনেক বেশি ত্রাস সৃষ্টি করতে সক্ষম। সামরিক বিশ্লেষকরা এটা খুব ভালো করেই জানে।

ভারতের দুশ্চিন্তা হয়ত একটু কম হতো যদি বাংলাদেশ সাবমেরিন চীন থেকে না কিনে অন্য দেশ থেকে নিতো। কিন্তু চীন থেকেই সাবমেরিন সংগ্রহ করেছে আবার চীনকে দিয়েই ঘাটি নির্মাণ করছে বাংলাদেশ। ভারত স্বাভাবিকভাবেই মনে করছে, এর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে চীনের উপস্থিতি আরো বৃদ্ধি পাবে। ভারতের আরেকটা ভয়, চীন-বাংলাদেশ নৌ-মহড়া। আমাদের নৌবাহিনী যেহেতু এ'বিষয়ে নতুন, কাজেই সক্ষমতা যাচাই এবং প্রশিক্ষনের জন্য এর কোন বিকল্প নাই। আর মহড়া হলে স্বাভাবিকভাবেই সেটা চীনের সাথেই হবে। এটা হলে চীনা যুদ্ধ জাহাজ এবং সাবমেরিনের আনাগোনা এ'অন্চলে বেড়ে যাবে। আর কে না জানে, যে কোনও যুদ্ধে এলাকা পরিচিত হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাও ভারতের মাথাব্যাথার আরেকটা কারন।

আর মৎস্য, খনিজসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ তো আছেই। যখন-তখন বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় ঢুকে চুরি করা কঠিন হয়ে যাবে না!! নেপাল বা ভুটানের মতো ল্যান্ড লকড দেশগুলো ভাল করেই জানে সমুদ্র একটা দেশের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। ভারত বাংলাদেশের তিন দিক ঘিরে রাখলেও সমুদ্রের কারণে বাংলাদেশের উপর পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। সে'কারনেই সমুদ্র বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মোদ্দা কথা হলো, গৃহকর্তা বাড়ির নিরাপত্তার জন্য কুত্তা কিনলে চোরের কখনওই তা পছন্দ হবে না।

ভারত শুধু হনুমানিয় লম্ফঝম্ফ করেই ক্ষান্ত হয়নি। তড়িঘড়ি করে মিয়ানমারকে আগবাড়িয়ে এন্টি-সাবমেরিন টর্পেডো সাপ্লাই দিয়েছে। তারপরে ভাবলো, বাংলাদেশের সাবমেরিনের জন্য এটা যথেষ্ট না, তাই তারা মিয়ানমারকে একটা সাবমেরিনও গছিয়েছে। তাদের নিজেদের প্রযুক্তি চীনের কাছে খোলাসা হয়ে যাওয়ার ঝুকি উপেক্ষা করা দেখেই তাদের মরিয়াভাবের প্রমান পাওয়া যায়। আশাকরি, আপনারা প্রথমে বলা প্রতিকী গল্পটার মাজেজা বুঝতে পেরেছেন। মনে রাখতে হবে, ভারত রাষ্ট্র হিসেবে যতটা বড়, মনের দিক থেকে ততোটাই ছোট। এমন বৈপরিত্য সচরাচর দেখা যায় না।

সে যাক। এখন ব্লগারদের কেউ কেউ বলতে পারেন, বাংলাদেশ যে রিফার্বিশ করা সাবমেরিন কিনেছে, অফিশিয়ালী সেটা প্রায় বাতিলযোগ্য মাল। তাহলে জেনে রাখেন, বলা হচ্ছে এ'দুটো মূলতঃ ট্রেনিংয়ের কাজে লাগানো হবে। নৌবাহিনীর দক্ষতা চলে এলে তখন আরো কয়েকটা পরিপূর্ণ এ্যাটাক সাবমেরিন কেনা হবে। তাছাড়া, ড্রাইভিং শেখার জন্য কেউ বিএমডাব্লিউ কেনে না। ধ্বজভঙ্গ গাড়িই কেনে। কেউ বলবেন, এই ক্রয়ে নিশ্চিত দূর্ণীতি হয়েছে…...আমি বলবো, সেটা তো আমাদের ট্র্যাডিশান; হলে হোক, তবুও আমাদের সাবমেরিনের দরকার আছে। অনেকে বলবেন, সাবমেরিন কি কিনতেই হতো? ২৪ বছরের পুরানো মাল কিনে ১৫০০ কোটি টাকা জলে ফেলা হলো না তো? তাহলে শুনে রাখেন, সাবমেরিন জলেই থাকে, জলেই চলাফেরা করে। সুতরাং টাকাটা জলেই গেছে........ক্ষতি কি? কানাডার বেগমপাড়ায় যাওয়ার থেকে বঙ্গোপসাগরের জলে যাওয়াও আমার কাছে উত্তম!

মিডিয়া যে কোনও দেশের নীতি-নির্ধারনের ক্ষেত্রে বিরাট একটা ফ্যাক্টর; ঠিক যেমনটা বিরোধী দল। মিডিয়াকে ফোর্থ এস্টেট বা চতুর্থ শক্তি এমনি এমনি বলা হয় না। এরা একটা দেশের জনমত গঠন কিংবা জনগনকে মোটিভেট করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে, যদি চায়। এরা এদের প্রচার সক্ষমতার কারনে রাজনৈতিক বা যে কোনও নীতিনির্ধারনী ইস্যুগুলিকে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে সরকারের উপর যেমন চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তেমনি সরকারকে অনেক ইস্যুতে ভাবতেও বাধ্য করতে পারে। সরকার তাদের বিভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ চিন্তা করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়, কিন্তু তা দিনশেষে দেশ বা আপামর জনসাধারনের জন্য কতোটা সঠিক বা কল্যানকর সেটা কার্যকরীভাবে তুলে ধরার দায়িত্ব মিডিয়ার। প্রশ্ন হলো, আমাদের দেশের মিডিয়া এই দায়িত্ব কতোটা পেশাদারিত্বের সাথে পালন করছে?

সাবমেরিন কেনা আমাদের দেশের জন্য একটা বিরাট ঘটনা। এটা আমাদের নৌবাহিনীকে একটা ত্রি মাত্রিক শক্তিতে পরিনত করেছে। এটা নিয়ে দেশের প্রধান প্রধান প্রচার-মাধ্যমগুলোতে যে পর্যায়ের বিশ্লেষনমূলক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি। অন্ততঃ গত দু'সপ্তাহ ঘাটাঘাটি করে আমার তাই মনে হয়েছে। কেন হয় নি? বলিউডের নায়ক-নায়িকারা কি খায়, কি পরে; তাদের সন্তানরা কি খায় কি পরে এসব নিয়ে লিখতে তো কারো কার্পন্য দেখি না। এ'ব্যাপারে আমাদের সাংবাদিকদের ধৈর্য্য এবং উৎসাহ অসীম। এই এনার্জি তারা দেশীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে ফোকাস করার ক্ষেত্রে দেখাতে পারেন না কেন? কেন আমাদের সাংবাদিকদের কেউ ভারতপন্থী, কেউ পাকিস্তানপন্থী; কেউবা চীন, আম্রিকা বা রাশিয়াপন্থী! এদের সবার বাংলাদেশপন্থী হতে বাধা কোথায়?

ফিরে আসি আবার শুরুর গল্পে। ভাস্করের মতোন তস্কর যার বন্ধু, তার শত্রুর কোন প্রয়োজন নাই। এটা বাবুল যতো দ্রুত সম্ভব বুঝতে পারবে ততোই মঙ্গল…….তার জন্য, তার পরিবার-পরিজনদের জন্য।


তথ্য এবং ছবিটা গুগল থেকে। বি এন এস নবযাত্রা'র ছবি।

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারতকে যে বাংলাদেশ ভয় করে না এটা ভারতকে আমাদের বুঝাতে হবে আমাদের আচরণ দিয়ে। নতুবা আমাদের অবস্থা নেপাল, ভুটানের পর্যায়ে চলে যাবে। নিজেদের দুর্বলভাবে কখনই বহির্বিশ্বের কাছে প্রকাশ করা যাবে না। সাবমেরিনের একটা প্রতীকী মূল্য আছে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি আমাদের পরিহার করতে হবে। ভারতকে আমরা যতটা গুরুত্ব দেই ততটা না দিলেও চলে। অধিক গুরুত্ব দেয়ার কারণে তারা আমাদের দুর্বল ভাবছে। বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড সবার আগে। সেই ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে আমরা এগিয়ে আছি। ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যার শেষ নাই। আমরা গরীব হলেও খেয়ে-পরে সম্মানের সাথে বেচে আছি। কারও দয়া দাক্ষিণ্য আমরা চাই না।

বাংলাদেশের মিডিয়া রাষ্ট্রীয় সেন্সরশিপের চেয়ে সেলফ সেন্সরশিপ বেশী করছে বলে মনে হয়। সরকার এরকম গৃহপালিত মিডিয়াই চায়।

সামরিক বাহিনী সংক্রান্ত কোনও খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হয়। কারণ ইহা অনেক সংবেদনশীল বিষয়। সম্ভবত এই সব কারণে মিডিয়া চাইলেও এটা নিয়ে বেশী লিখতে পারেনি।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নেপাল, ভুটান কিন্তু এখন প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে ভারতের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে। আমাদের সরকারকেও তাই করতে হবে। ভারতকে বোঝানো দরকার যে, প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর সময় এসে গিয়েছে। আন্চলিক সুপার পাওয়ার হতে গেলে সুপার দৃষ্টিভঙ্গির দরকার হয়। নীচু মন-মানসিকতা দিয়ে সেটা সম্ভব হয় না।

ভারতকে আমরা যতটা গুরুত্ব দেই ততটা না দিলেও চলে। এটা ঠিক বলেছেন। ভারত এতোটা গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। আমাদের সরকার এটা কিছুটা বুঝতে শুরু করেছে। আশা করি, এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। টাকা বিদেশে পাচার না হলে আমাদের মান-সন্মান আরো সমুন্নত থাকতো। এ'ব্যাপারে সরকারের আরো কঠোর হওয়া প্রয়োজন।

সামরিক বাহিনী সংক্রান্ত কোনও খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হয়। কারণ ইহা অনেক সংবেদনশীল বিষয়। সম্ভবত এই সব কারণে মিডিয়া চাইলেও এটা নিয়ে বেশী লিখতে পারেনি। আপনার এই কথায় কিছুটা দ্বিমত আছে। সামরিক বাহিনীকে নিয়ে লিখতে গেলে কিছু প্রোটোকল মানতে হয়। সেটা আমাদের সাংবাদিকদের ভালোই জানা আছে। সামরিক বাহিনী তাদের জন-সংযোগ কার্যালয়ের মাধ্যমে জনগনকে জানানোর জন্য নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং করে থাকে। লিখতে হবে তার মধ্যে থেকেই। মনগড়া বা স্পর্শকাতর কোন বিষয় নিয়ে লেখার অবকাশ নাই। মিডিয়া যতোটুকু লিখতে পারে, সেটাও লিখে নাই বলেই আমার ধারনা। অত্যন্ত অল্প কিছু লেখা পেয়েছি। কয়েকজন যদি লিখতে পারে, বাকীরা কেন পারবে না? তাদের আগ্রহ নাই বলেই লিখে নাই। এদের বেশীরভাগের আগ্রহ বলিউড আর নেগেটিভ নিউজের প্রতি। এটাই হতাশার বিষয়।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এত কিছু নিয়ে মাথা ঘামাইতে মুঞ্চায় না ভাই :( সাবমেরীন কিনুক নইলে মহাকাশ স্টেশনটাই কিইনা ফেলুক । ভারত চীন বাংলাদেশ কে যে কার বন্ধু সেটাও বুঝি না :(



০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আল্লায় আমাগো মাথা দিছে তো ঘামানোর লাইগাই, না ঘামাইলে তো মাথার অপমান করা হয়! খালি কবিতা লেখনের লাইগা মাথা ঘামাইবেন....এইডা কেমুন কথা!!!

আইজ থিকাই মাথার ডায়নামিক ব্যবহার করা শুরু কইরা দ্যান। :-B

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২০

রিফাত হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশপন্থী :)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: জ্বী ভাই.....সেটাই আশা। চাওয়াটা কি ঠিকমতো হয় নাই!! ;)

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: চিন্তার বিষয়।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই চিন্তার বিষয়। চিন্তা করে যদি কিছু পান, অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। :)

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

পলাতক মুর্গ বলেছেন: মিং ক্লাস সাবমেরিন একেবারে খারাপ না। তাছাড়া সেন্সর + ওয়েপন প্যাকেজ আধুনিক। কাজেই ভারতীয়দের ভয় পাওয়ার কারণ আছে। আরেকটা সমস্যা হৈল সোনারে মিং ক্লাসের আওয়াজ ধরা পড়লে ঐটা বাংলাদেশের মিং না চাইনিজ মিং সেইটা বুঝা যাবে না। ভারতীয় নেভি মিং আতংকে থাকবে। বাংলাদেশের উচিত আরও চাইনিজ সাবমেরিন কেনা। সাবমেরিন দিয়ে বংগোপোসাগর গিজ গিজ করবে। কেউ দাদাগিরি ফলাইতে আসলে শিং ... থুক্কু মিং মাছের কামড় খাবে। B-)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মিং ক্লাস অবশ্যই খারাপ না। তাছাড়া এটা কেনার সময়ে বেশকিছু সুবিধা আপগ্রেড করে বিশ্বমানের প্রযুক্তি লাগানো হয়েছে।

আরেকটা সমস্যা হৈল সোনারে মিং ক্লাসের আওয়াজ ধরা পড়লে ঐটা বাংলাদেশের মিং না চাইনিজ মিং সেইটা বুঝা যাবে না। চীনের আরো কয়েকটা ক্লাসের সাবমেরিন আছে। পরবর্তীতে কেনার সময়ে সেগুলোর থেকে কেনা উচিত। তাহলে ভারতীয় নেভি বেদিশা হয়ে যাবে। কোত্থেকে কি হচ্ছে, ধরতেই পারবে না। =p~

দাদাগিরি এক্সপায়ার এমনিতেই হয়েছে চীনের কাছে। :P

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

মিরোরডডল বলেছেন:



বাবুল আর মিলন ছাপোষা টাইপের মানুষ ।
ওরা যে মানুষ সেতো জানি নাকি অমানুষ হবার চান্স ছিল :|
ছাপোষা টাইপ বললে এনাফ না ?
হা হা হা......কে যেন এভাবে করে পিক করে :)

ভুম, লেখা জোস হয়েছে । ঘরের শত্রু বিভীষণ, এ আর নতুন কি ।
বাংলাদেশপন্থী পছন্দ হয়েছে :)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রতিশোধ নিতে চাইলে লাভ নাই। ছাপোষা গরু, ছাগলও আছে কিন্তু!! =p~

ভুম, লেখা জোস হয়েছে। ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে মন চাইছে না। :-B

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

ইসিয়াক বলেছেন:




আসলে বাস্তবে আপনি খুব মজার লোক তা আপনার পোস্ট পড়েই বোঝা যায়। এতো কটমটে একটা পোস্টে কিছু মজার ডায়লগ ঝেড়ে দিলেন। পোস্টে ভালো লাগা। আপনার পরিবেশন অনবদ্য্ শুভকামনা। প্রিয় ভাই।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনেরে তো আগেই কইছি, আমি পরফেসর না। খামাখা মাষ্টারী করার দরকার কি? তাছাড়া আমাগো ব্লগে পরফেসরের অভাব নাই। পুরান পাগল ভাত পায় না, সেইখানে.................!!! =p~

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:

আমারই ভুল আসলে, বাবুল আর মিলন যে গরু ছাগলের নাম হতে পারে আমি ঝানতাম না =p~

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার কথা বিশ্বাস হলো না! দ্যাখেন, এই গরুর নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবার ঝানতাম না বললে কিন্তু আমাদের আম্রিকান ব্লগারগন রাগ করতে পারেন। :-B

৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

মিরোরডডল বলেছেন:

হা হা হা ......ভুম পারেও =p~ =p~ =p~

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: :P :-B

১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,





সাবমেরিন কেনা নিয়ে আমাদের দেশের মিডিয়াগুলোর ভূমিকা নিয়ে যা বলেছেন, আমার কাছে সেটাই এই লেখার আসল কথাটি বলে মনে হয়েছে। দেশের প্রধান প্রধান প্রচার-মাধ্যমগুলোতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর যে পর্যায়ের বিশ্লেষনমূলক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া উচিত তা তো করা হয়ই না, সেই সব খবরের ফলোআপও কখনও দেখাও যায়না। নায়ক-নায়িকারা কি খায়, কি পরে, কি বলে; তাদের সন্তানরা কি খায় কি পরে এসব নিয়ে লিখতে মিডিয়ার কারো কার্পন্য নেই । এ'ব্যাপারে আমাদের সাংবাদিকদের ধৈর্য্য এবং উৎসাহ অসীম। এই এনার্জি তারা দেশীয় উন্নয়ন- অনুন্নয়ন - পলিসি মেকিং ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে ফোকাস করার ক্ষেত্রে কখনই দেখান না বা দেখাতে জানেন না।

আমার মনে হয় এদের বেশীর ভাগই "সাংবাদিকতা" কি তা জানেন-ই না।
তাই আমাদের সাংবাদিকদের কেউ ভারতপন্থী, কেউ পাকিস্তানপন্থী; কেউবা চীন, আম্রিকা বা রাশিয়াপন্থী হয়ে ওঠেন! এরা যদি জাতের সাংবাদিক হতেন তবে এদের সবার বাংলাদেশপন্থী হয়ে ওঠার কথা।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সাবমেরিন কেনা নিয়ে আমাদের দেশের মিডিয়াগুলোর ভূমিকা নিয়ে যা বলেছেন, আমার কাছে সেটাই এই লেখার আসল কথাটি বলে মনে হয়েছে। ঠিকই ধরেছেন, সেটাই মূল কথা.....শিরোনামও সেভাবেই দেয়া। তাছাড়া, আমি সাধারনতঃ শেষে এসে মূল বিষয়টা দিয়েই সমাপ্তি টানি। তবে, ভারত নিয়ে কথা বলতে গেলেই ভিতর থেকে কেমন যেন একটা উৎসাহ-উদ্দীপনা চলে আসে। তাই, অনেক সময়ে মনে হতে পারে যে, ফোকাস সরে যাচ্ছে। সম্ভবতঃ এটা ভারতকে অতিরিক্ত ভালোবাসার ফলে হয়ে যায়। :P

আমার মনে হয় এদের বেশীর ভাগই "সাংবাদিকতা" কি তা জানেন-ই না। এটাই তো বর্তমানের ট্রেন্ড বাংলাদেশে। কোন পেশার মানুষই তাদের পেশাগত বিষয়গুলোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় জ্ঞান রাখে না, জানার চেষ্টা করে না। আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, টিভি রিপোর্টিং যেসব সাংবাদিকরা করে, তাদের ভাষাগত অদক্ষতা। কি অবলীলায় তারা ভুলভাল বাংলায় সাধু-চলিত সবকিছু মিশিয়ে জগাখিচুড়ি উপস্থাপনা করছে। এদেরকে যারা চালায় তাদেরও এটা নজরে আসে না, কারন তাদের অবস্থাও এদের চেয়ে উন্নত কিছু না। শিক্ষক, ডাক্তার ইত্যাদি কিছু কিছু পেশায় নিয়মিত পড়ালেখা করতে হয়, আপডেটেড থাকতে হয়। সাংবাদিকতাও তেমনই একটা পেশা। এরা তো মনে হয়, পড়াশোনার ধারে-কাছে দিয়েও যায় না।

সে'জন্যেই সাংবাদিকতা আমাদের দেশে এখন ধান্ধাবাজীতে পরিনত হয়েছে। এরা আসলে সাংবাদিক না, সাংঘাতিক!!

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১২

অনল চৌধুরী বলেছেন: ভারত নামের ইসরাইলের মতোই ধর্মের ভিত্তিতে গঠিত চরম সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রটা বাংলাদেশ,নেপাল,শ্রীলংকা,মালদ্বীপসহ দক্ষিল এশিয়ার সব দেশে এমনকি থাইল্যান্ড,কম্বোডিয়াকেও তাদের রাম-রাজ্যের অংশ মনে করে। শুধু তাই না,তারা নিজেদের দেশের অ-হিন্দি-ভাষীদের ( দেবনাগরী ছাড়া অন্যান্য অক্ষরে বর্ণমালা লেখা জাতিদের) তুচ্ছ চোখে দেখে,যেমন দেখতো পাকিরা বাঙ্গালীদের ।
ভারতয়ীরা দূর্বলের উপর ক্ষমতা দেখাতে পারদর্শী।যেভাবে বাংলাদেশীদের গুলি করে মারে,পাকিস্তানী,চীনা বা নেপালীদের এবাবে মারার সাহস পায় না। সেদিনও চীন ভারতের ভিতরে ঢুকে সৈন্যদের উপর হাসমলা করেছে।এখনো ভারতের জায়গা দখল করে রেখেছে।
নিজেদের দেশ অভাবে ঘাস খায়,আর টাটা-বিড়লা-রিলায়েন্সদের ব্যবসা আর হিন্দি ছবির বাজার টেকানোর জন্য পারমানবিক বোমা বানায়, হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কেনে। Uttar Pradesh, the poor are eating rotis made of grass

বাংলাদেশ শুধূ এসএসজিধারী বিএসএফ ব্যবহার করলেই মারাঠি,রাজপূত পাঞ্জাবীরা পালাতো। কারণ বাঙ্গালীরা পরশ্রীকাতর,দলাদলি প্রিয় জাতি হলেও যুদ্ধ করতে নেমে তাদের পরাজয়ের দৃষ্টান্ত খুব কম। সীমান্ত যুদ্ধে ভারতীয় আর বর্মীরা বহুবার বিডিআর এর কাছে হেরেছে।2001 Bangladesh–India border clashes
তাহলে আর সাবমেরিন কিনে হাজার কোটি টাকা নষ্ট করতে হতো না।
নিজেকে ভেড়া বানালে শিয়ালও বাঘ হবে।
বাংলাদেশের উচিত দ্রুত বিমানবাহী কয়েকটা যুদ্ধজাহাজ বানানো,যেটা ইচ্ছা করলেই সম্ভব।কারণ বাংলাদেশে বানানো জাহাজ জার্মানী-সুইজারল্যান্ডও ১২ বছর আগে থেকে কিনছে। বাংলাদেশে তৈরী জাহাজ হস্তান্তর

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভারত হচ্ছে দক্ষিন এশিয়ার ক্যান্সার। এরা যা খুশী ভাবতে পারে, হু কেয়ার্স! সেদিন খুব বেশী দুরে না, যখন সব দেশের দরজা এদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে.....যদি না তারা তাদের খবীশ খাসলত বদলায়!! X(

আমাদের সরকার শুধু একটু মাথা উচু করে, মেরুদন্ড শক্ত করে দাড়ানো শিখে যাক; দেখবেন, এইসব **ছালরা পাত্তাও পাবে না।

১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: শোন রে ওরে হনুমান,
হও রে ব্যাটা সাবধান,
আগে হতে স্পষ্ট বলে রাখি!
তুই ব্যাটা জানোয়ার, নিস্কর্মার অবতার, কাজেকম্মে দিস বড় ফাঁকি।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার হনুমান-দর্শন ভালো হয়েছে। :)

১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: স্যরি উপরের মন্তব্যটা মুছে দিবেন।

সাংবাদিকরা ইচ্ছা মতো কাজ করতে পারে না। তাদের কাজ করতে দেওয়া হয় না। অফিস যা বলে তাই করতে হয়।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মুছে দেয়ার দরকার কি? হনুমান-দর্শন পছন্দ হয়েছে। :-B

আমি সাংবাদিক বলতে শুধুমাত্র মাঠ-পর্যায়ের সাংবাদিকই বোঝাই নাই। যারা নীতি-নির্ধারন করে তাদেরকে সহ বুঝিয়েছি।

১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩৬

এইচ তালুকদার বলেছেন: বাংলাদেশ অদুর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের অন্যতম পাওয়ার হাউজ হয়ে উঠবে আশা করি।সাবমেরিন,নতুন অত্যাধুনিক ভিটি ৫ ট্যাংক ক্রয় সেই দিকেই যাচ্ছে

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশ বেশকিছু অত্যাধুনিক ফাইটারও কিনছে। তবে পাওয়ার হাউজ হোক, চাই না হোক, মেরুদন্ড সোজা থাকলেই আমি খুশি। যেভাবে ভারতকে সব বিলিয়ে দেয়......মাগনা খাওয়াতে খাওয়াতে ওদের জিহ্বাকে সাড়ে তিন হাত বানিয়েছে আমাদের সরকার। এই ঠ্যালা কয়দিনে সামলাবে, সেটাই দেখার বিষয়!! :(

১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:০৭

মা.হাসান বলেছেন: আমি ভাবসিলাম লন্ডন ছবি ব্লগের ২য় পর্ব আসবে। তা না করে চার বছর আগের ত্যানা প্যাচাইতেছেন। X(

আমি আমার বউয়ের পরামর্শ ছাড়া চলি না। বাংলাদেশ-ভারত ভাতার-মাগ সম্পর্ক বলে শুনি। সম্ভবত বাংলাদেশের ভাতারের ভুমিকা। মাগের কথা না শুনলে ভাতারের উপর মাগের অসন্তষ্ট হবারই কথা।

কুড়ি বছর আগে চাকরি সূত্রে নৌবাহিনীর সাথে কিছু সম্পর্ক ছিলো (চাকুরিগত সম্পর্ক, ভাতার-মাগ জাতীয় কিছু না)। তখন এক অফিসারকে প্রশ্ন করেছিলাম আমাদের সাবমেরিন কেনো নেই। উনি বলেছিলেন- বঙ্গোপসাগরের জল অনেক ঘোলা, তাছাড়া ওখানকার শোর লেভেলেও কিছু বিষয় আছে।

এর ষোল বছর পর সাবমেরিন কেনা হলো। হয়তো উনি ভুল বলেছিলেন। তবে খুব কাছ থেকে দেখা বলে জানি, ফ্রিগেট এবং মিগ কেনা নিয়ে বড় রকমের কেলেঙ্কারি হয়েছিলো। সরকার বদলের সাথে সাথে মামলা গুলো হিমাগারে চলে গেছে।

টারজান০০৭ একটা পোস্টে বলেছিলেন বাংলাদেশের সেনা বাহিনীর আকার বড় করার কথা। এরশাদের সময়ে প্রায় রাতারাতি আমাদের সামরিক বাহিনীর আকার কয়েক গুন বড় করা হয়েছিল। আমরা সেই চাপ অর্থনৈতিক ভাবে সহ্য করতে পেরেছি। এখন অর্থনীতির আকার অনেক বড়। সামরিক বাহিনীকে আকারে বড় করা দরকার, করা হলে বড় সমস্যা হবার কথা না। মিয়ানমার আমাদের চেয়ে সামরিক ভাবে অনেক দুর্বল ছিলো। এখন তারা আগের চেয়ে শক্তিশালি।

সেনাবাহিনীকে অনেক জনকল্যান মূলক কাজে লাগানো যায়। যমুনা সেতু সহ অনেক টোল প্লাজা লিজ না দিয়ে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরিচালনা করলে রেভিনিউ অনেক বাড়ে।

আমাদের অস্ত্রের প্রায় পুরোটাই বাইর থেকে কিনতে হয়। গাজিপুরে সমরাস্ত্র কারখানায় কিছু ছোটোখাটো জিনিস তৈরি হয়। বিএনপির আমলে দেখেছি ওখানকার বুলেট ছাত্রনেতাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন গুজব শুনি এখানকার গ্রেনেড দেশের সন্ত্রাসি গ্রুপদের কেউ কে্উ ব্যবহার করে। খুব ভালো। আগে সব বাইর থেকে আসতো। এখন নিজেদেরটা নিজেরা ব্যবহার করি।

আমাদের আমদানি করা অস্ত্রের ৭৫% বা এর কাছাকাছি আসে চিন থেকে। সামরিক ভাবে এটা ঠিক না। সোর্স ডাইভার্সিফাই করা উচিৎ। ইস্ট ইউরোপে কিছু দেশে আছে ভালো মানের অস্ত্র তৈরি করে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা ভালো। দেশে উৎপাদন বাড়াতে পারলে ভালো।

আমার পরিচিত এক দম্পতির ক্ষেত্রে ঝগড়া হবার পর সাহসী ভাতার তার কষ্টার্জিত যৌতুকপ্রাপ্ত খাট-আলমারি ইত্যাদি মাগের বাপের বাড়ি ফেরৎ পাঠিয়েছে। এরকম সমস্যা এড়ানোর জন্য বাংলাদেশের উচিৎ হবে না ভারত থেকে কোনো সমরাস্ত্র সংগ্রহ করা। যারা একটু বয়স্ক তাদের মনে থাকার কথা , স্বাধীনতার পর পরই আমরা ভারত থেকে কাগুজে নোট ছেপে এনেছিলাম এবং পরে এর মাশুল দিতে হয়েছে।

আহমেদ জী এস ভাইয়ের কথার প্রসঙ্গ তুলে বলি, ১৯৯২-৯৩ এর কোনো এক সময়ে বাংলাদেশের একটি পত্রিকা তালিকা দিয়েছিলো- বাংলাদেশের কোন কোন জার্নালিস্ট র (RAW)-য়ের কাছ থেকে মাসিক ভাতা নেয়। অনেক চেচামেচি হয়েছিলো। কিন্তু ঐ পত্রিকা মাফ চায় নি বা সংশোধনিও দেয় নি। অনেক পরে জেনেছি, বিষয়টা পুরো মিথ্যে না।

আপনি গাড়ি কিনে ফেসে গিয়েছেন শুনে খারাপ লাগলো। |-) সুমন ভাইয়ের কাছে কম দামে বেচে দিতে পারেন। 8-|

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লন্ডন ছবি ব্লগের ২য় পর্ব আসবে, সবুর করেন। সবুরে পোষ্ট ফলবে। চাইর বৎসর আগের ত্যানারে গুরুত্ব দিলেন না! বৃটিশ মিউজিয়ামে দেখেন নাই, ৫০০০ বছর আগের ত্যানা(মমিতে প্যাচানো) কতো যত্ন কইরা রাখছে হ্যারা! ;)

আপনে আপনের বউয়ের পরামর্শে চলেন কিনা সেইটা কে জানতে চাইছে? ভাতার, মাগ শব্দ দুইটার মানে বুঝি নাই। X(

ছোট-বড় সব ডিলেই কেলেঙ্কারী হবে। এইটা আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গ। নিজস্ব সংস্কৃতিরে সন্মান করতে শিখেন। আর তা যদি না পারেন, তাইলে আপনেরে ভারত-পাকিস্তান, যে কোনও একটা দ্যাশে চইলা যাইতে হবে। তবে, আম্রিকা যাইতে পারবেন না। ওইটা বিশেষ কিছু মাইনষের জন্য সংরক্ষিত। আর শোনেন, মিয়ানমারের ফায়ার পাওয়ার আমাগো থিকা বেশী কাগজে-কলমে। ওইসব র‌্যাঙ্কিংয়ে সমস্যা আছে। যুদ্ধ লাগলে ওগো খবর আছে, সেইটা ওরা জানে। তাই ওরা গ্যান্জাম করার সাহস পাইবো না।

বাংলাদেশে জনকল্যানমূলক কামের জন্য সেনাবাহিনীর চেয়ে পুলিশ দক্ষ বেশী, ওগো ক্ষমতাও বেশী। হ্যারা কাউরে গনায় ধরে না। তাই, এসব কামে পুলিশই পারফেক্ট। =p~

গাজিপুরের সমরাস্ত্র কারখানায় উৎপাদিত পন্যের মূল ক্রেতা আর ব্যবহারকারী হইলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ওইটা ওদেরকে ৯৯ বছরের লীজে দেওয়ার জন্য জোর দাবী জানাই। সেনাবাহিনীর জন্য বাইরে থেকেই অস্ত্র খরিদ করা অব্যাহত থাকুক। ভারত থিকা অস্ত্র কিনলে ওরা ওগুলি ফেরত দিলেও নিবে না। কারন, ওরা জানে, দরকারের সময় ওগুলা থিকা কিছু বাইর হয় না। ওগো উৎপাদিত হেলিকপ্টারের খবর আশাকরি আপনের জানা আছে। :-B

বাংলাদেশের অনেক সাম্বাদিকই র‘য়ের কাছ থিকা টাকা খায়। শুনছি, আইএসআই থিকাও খায়। এগুলা রেমিটেন্স হিসাবে কাউন্ট করতে হবে এখন থিকা। কেউ সাইধা টাকা দিলে না করে কোন বেকুবে??

আপনি গাড়ি কিনে ফেসে গিয়েছেন শুনে খারাপ লাগলো। আপনেরে এই মিছা কথা কে কইলো? আর সুমন ভাই কেডা, ওনারে তো চিনলাম না! টাইপ করতে করতে আঙ্গুল ব্যথা হয়া গেল। আপনে যে আমারে যন্ত্রণা দেওনের জন্য এমন বিশাল মন্তব্য করেন, সেইটা কিন্তু আমি বুঝি! এরপরে উত্তর হবে এক লাইনের। X(

১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:১৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পোষ্টে প্লাস।! খুবই গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট। আমি বিস্তারিত আলাপের জন্য পরে আবার আসছি।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার বিস্তারিত মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম। ব্যস্ততা কমলে অবশ্যই আসবেন। :)

১৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কে বলে দেশে দেশ প্রেমিক নেই? পোস্ট পড়ে খুব ভালো লেগেছে আরো ভালো লেগেছে ব্লগার ভাইদের দেশপ্রেম দেখে; তাদের দেশপ্রেমের কমেন্টস গুলো দেখে।

মোদ্দাকথা হলো ভারত কোন সময়ই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু নয় এমনকি ৭১ সালেও তারা প্রকৃত বন্ধু ছিলনা। ৭১ সালে তারা আমাদেরকে সাহায্য করেছে শুধুমাত্র নিজেরা সুরক্ষিত থাকার জন্য। এখন যে পাকিস্তানি প্যাদানি ভারত খাচ্ছে দুইপাশে পাকিস্তান থাকলে ভারতের খবর ছিল, সেটা ভেবেই ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে। যদিও ভারতের সাহায্য ছাড়াই আমারা স্বাধীন হতে পারতাম তবে হয়তো আরো ২/৪ মাস সময় বেশি লাগতো।

ভারতকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই কারণ ভারত কোন প্রতিবেশির সংগেই সুসম্পর্ক রক্ষা করতে পারেনি সবার সংগে তাদের বিবাদ শুধু আমরা নিজেই ভেড়া হয়ে ধূর্ত শিয়ালে বাঘ হওয়া সুযোগ করে দিয়েছি।

ব্লগার মা.হাসান হাসানের কথায় আসি - ১৯৯২-৯৩ এর কোনো এক সময়ে বাংলাদেশের একটি পত্রিকা তালিকা দিয়েছিলো- বাংলাদেশের কোন কোন জার্নালিস্ট র (RAW)-য়ের কাছ থেকে মাসিক ভাতা নেয়। অনেক চেচামেচি হয়েছিলো। কিন্তু ঐ পত্রিকা মাফ চায়নি বা সংশোধনিও দেয়নি। অনেক পরে জেনেছি, বিষয়টা পুরো মিথ্যে না।

আপনাদের মনে আছে কি পদুয়া কাহিনী তখন বাংলাদের প্রথম সারির সব পত্রিকা বিডিআর-কে কিভাবেই না তুলাধুনা করেছে। পত্রিকা এবং সাংঘাতিকরা পারলে বিডিআরকে মারধর করতো কিন্তু তা সম্ভব করতে পারেনি ভাতা নেওয়া গং-রা। জানলে অবাক হবেন সেই সময় ...কন্ঠ পত্রিকা এমন ভাবে খবর ছাপাতো যেন মনে হতো ওটা ভারতের পত্রিকা। অথচ সেই সময় দেশের মিডিয়াগুলোর ভূমিকা হওয়া উচিত ছিল ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর বিশ্লেষনমূলক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

এখন প্রয়োজন আমাদের গাজিপুরের সমরাস্ত্র কারখানায় অস্ত্র তৈরি করা যে গুলো ৫০/১০০/১৫০ মাইল রেঞ্জের ছোট থেকেই বড় কিছু করা সম্ভব হবে ধীরে ধীরে। সেই সংগে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরো অনেক ফাইটার প্লেন ও সাবমেরিন কেনা বিভিন্ন দেশ থেকে।

ওরা যেন মনে রাখে বাংলাদেশীরা মাথা নোয়াতে জানেনা।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের ব্লগারগন সবার তো হিসাবে প্রকৃত দেশপ্রেমিকই হওয়ার কথা। ভারতকে যে বা যারা বন্ধু মনে করে, তারা বন্ধু‘র ডেফিনেশানই জানে না।

শুধু আমরা নিজেই ভেড়া হয়ে ধূর্ত শিয়ালে বাঘ হওয়া সুযোগ করে দিয়েছি। সেটাই। দোষ তো আমাদেরই। এখন সেটা শোধরানোর দায়ও আমাদের। দেশে ভারতীয় দালালদেরকে ধরে ধরে ভারতে পাঠানো দরকার। এই হারামজাদাদের নাগরিকত্বই বাতিল করে দেয়া উচিত! X((

আমরা তো ভাই অনেক কিছুই করতে পারি / পারতাম। দুর্নীতিই তো দেশের সর্বনাশ করলো।

১৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৫

বিবেকহীন জ্ঞানি বলেছেন: অত্যন্ত মজার এবং তথ্যবহুল পোস্ট..

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। :)

১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

জুন বলেছেন: সেদিন আরেকবার দেখলাম ডেনজেল ওয়াশিংটন এর ক্রিমসন টাইড। ১৯৯৫ সালে নির্মিত ম্যুভিটা। সাবমেরিনের মধ্যে কি ঝগ্রাই না করলো ক্যাপ্টেনের সাথে। আরেকবার ইন্ডিয়ার নৌবন্দর বিশাখাপটনমে একটা সাবমেরিন মিউজিয়াম দেখলাম স্বচক্ষে। নাম তার কুরসুরা মনে হয় অস্কার ক্লাস সাবমেরিন। এত ছোট একটা জায়গায় কেমনে এতজন এতদিন পানির নীচে থাকে ভাবতেই আমার দম বন্ধ হয়া আসলো ভুয়া :-&
তারপর সেই রাশিয়ান কুরস্ক ডুবালো। সেই থেকে সাবমেরিন ভালো পাই না। মানুষ যে ক্যান কিনে বুঝি না। আপনার রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা নিয়া পোস্ট সেই রকম।
ভালো লাগা রইলো অনেক অনেক।
+

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এত ছোট একটা জায়গায় কেমনে এতজন এতদিন পানির নীচে থাকে ভাবতেই আমার দম বন্ধ হয়া আসলো ভুয়া একটা আধুনিক ট্যাঙ্কের ভিত্রে প্রকারভেদে ১০ থেইকা ১২ জন সৈন্য থাকে। বোঝেন অবস্থা। সেই তুলনায় তো সাবমেরিন ভালাই। তাছাড়া এরা তো আর নৌবিহারে বাইর হয় না, যুদ্ধের প্রস্তুতি থাকে হগল সময়! জানেনই তো, সৈন্যগো জীবন আনন্দের না, এর লাইগাই তো এত্তো টেরনিং। এর উপ্রে এহন পুলিশও আবার হ্যাগো লগে পাঙ্গা লয়! কি কমু.......বুজলে বুজপাতা!!! :-B

সেই থেকে সাবমেরিন ভালো পাই না। আপনে বরং সেফসাইডে থাকনের লাইগা কুনদিন নৌবাহিনীতে ভর্তি হয়েন না। তাইলেই হবে। ;)

আপনার রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা নিয়া পোস্ট সেই রকম। আপনের কথায় ভরসা পাইলাম। :)

২০| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০২

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ভাই। সিনেমার ক্লাইমেক্সে চীনের এন্ট্রির কারনে বাংলাদেশ কিছু স্বতন্ত্র চিন্তা প্রকাশ করতে পারছে। আগে ছেড়ে দে শয়তান বলে বাংলাদেশ যেখানে মুখটা ঘুরিয়ে পা দুটো ফাঁক করে দিতো৷ এখন বরং শয়তানকে কাবু করে কয়েকটা ঝামা মারা শিখেছে। যদিও রাজনৈতিক কৌশলগত কারনে শয়তানের সাথে সহবাস করেছি আমরা এবং এখনকার পরকীয়া, এইটা সরকারের রাজনৈতিক বাঁকের একটা অংশ জানি, কিন্তু এতে যে দাদাবাবুরা জ্বলে পুড়ে মারা যাচ্ছে, তা দেখে মন আনন্দে হাততালি দিচ্ছে।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সিনেমার ক্লাইমেক্সে চীনের এন্ট্রির কারনে বাংলাদেশ কিছু স্বতন্ত্র চিন্তা প্রকাশ করতে পারছে। একদম সঠিক বলেছেন। তাছাড়া চীন বাংলাদেশকে হাতে রাখার জন্য যেভাবে একের পর এক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, এটাকে ক্যাশ করাটাই হবে সরকারের মুন্সিয়ানা। বুঝতে হবে, সুযোগ বার বার আসে না। তাছাড়া, এই সুযোগে শয়তানের চক্র থেকে বের হয়ে আসার একটা পথও খুলে গিয়েছে। সরকারকে এটাও বুঝতে হবে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চিরকালীন বন্ধু কিংবা শত্রু বলে কিছু নাই। চীনও কোন সহজ জিনিস না। বুঝে-শুনে পা ফেলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে শেষ কথা হলো, ভারত-বলয় থেকে বেরিয়ে আসার এটাই মোক্ষম সময়!

দাদাবাবুদের জ্বলুনী তো দেখছি। হাততালি তো হাততালি......আমার মাঝে মাঝে নাচতে ইচ্ছা করে খুশিতে! :-B

২১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: অবশ্যই চিন্তার বিষয়। চিন্তা করে যদি কিছু পান, অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। :)

ভুয়া ভাই,
আমি চিন্তাভাবনা করে তেমন কিছুই পাই নাই ।
মাঝখান থেকে আমার ঘুম নষ্ট।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুয়া ভাই, আমি চিন্তাভাবনা করে তেমন কিছুই পাই নাই। মাঝখান থেকে আমার ঘুম নষ্ট। জ্বালা হইলো দেখি! আচ্ছা আর চিন্তা করার দরকার নাই। আপনে বরং ঘুমান!! =p~

২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আয় বাভুল বুকে আয় :)

বহুত বছর পর ডায়ালগটা দেবার মতোন একখান পোষ্ট পাইলাম :)

এভাবেই ভাবতে হবে। তস্কর আর ভাস্করদের আইডেন্টিফাই করতে হবে। তাদের কোলাবরেটরদের চিহ্নিত করতে হবে।
বাংলাদেশপন্থি এমন লোকের সংখ্যা যত বাড়বে দেশ তত নিরাপদ হবে।
স্যালুট ব্রো

+++++

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাভুল কেডা? ইনারে তো চিনি না। আমি তো মফিজ!!! :P

এভাবেই ভাবতে হবে। তস্কর আর ভাস্করদের আইডেন্টিফাই করতে হবে। তাদের কোলাবরেটরদের চিহ্নিত করতে হবে। এইটাই জরুরী। এইগুলারে ধইরা ধইরা তাদের অরিজিনাল মাতৃভূমিতে পাঠাইতে হবে। ক্ষেতে আগাছা যতো কমবো, ফসল ততো ভালা হইবো.....কি কন! B-)

এমন সাপোর্ট পাইলে দেশরে আগাছামুক্ত করা ঠেকায় কে?.....আপনেরেও স্যালুট!! :)

২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

আমি সাজিদ বলেছেন: এখনকার রাজনৈতিক মিত্রের ঘনিষ্ঠতার ভিত্তিতে বা বলয় পরিবর্তনের ভিত্তিকে আগামী পাঁচ বা দশ বছর পর বাংলাদেশের অবস্থান কেমন হতে পারে? জাপান চীন বা কোরিয়ার ম্যাসিভ প্রজেক্টগুলো কি বাংলাদেশকে বিজনেজ হাব করে তুলবে? আপনার মতামত জানতে চাই।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: জাপান চীন বা কোরিয়ার ম্যাসিভ প্রজেক্টগুলো কি বাংলাদেশকে বিজনেজ হাব করে তুলবে? বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে সে সুযোগ বাংলাদেশের সামনে আছে। বিশ্ব-পরিস্থিতি এখন আমাদের অনুকুলে আছে। সরকার দক্ষ হাতে সামাল দিতে পারলে অনেক সুযোগই আছে।

যেমন, আগামী দিনগুলোতে আমেরিকার সাথে চীনের সম্পর্ক আরো খারাপ হবে। আমেরিকার চেষ্টা থাকবে চীনের মায়াজাল ছেড়ে বের হয়ে আসার। যদি বের হয়ে আসেই, তাহলে দক্ষিন এশিয়া তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হবে। প্রধানতম হবে ভারত। তবে, চীনকে মোকাবেলায় আমেরিকা ভারতের উপরে বেশ নির্ভরশীল ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহে তারা কিছুটা হতাশ। সেই নির্ভরতা তারা আবার রিভিউ করবে, ওদের ইলেকশান হয়ে গেলেই। তাছাড়া, ভারত নিজেই চীনের ব্যবসায়িক প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারছে না, এতোকিছুর পরেও। তাই, আমেরিকা বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি দেশের দিকে আরো ঝুকে পড়তে পারে।

জাপানের ব্যাপারটা বাদ দেন। জাপানের দেয়া সুযোগ বাংলাদেশ সরকার বেকুবী করে নষ্ট করেছে। তাই ওরা ওদের ফোকাস এদিক থেকে সরিয়ে নিয়েছে। নতুন করে চান্স কম। কোরিয়া ইতোমধ্যে তাদের বেশকিছু ইন্ডাষ্ট্রি করেছে, আরো করবে। তারা বেশ বড় একটা নিজস্ব জায়গা চায়। সরকারও নীতিগতভাবে রাজি।

আর চীনের পরিকল্পনা তো ব্যাপক। এতো অল্পে বলা মুশকিল, তবে ওরা বিশাল পরিকল্পনা নিয়েই আসতে চাচ্ছে, বিলিয়ন ডলারের ব্যাপার।

সবমিলিয়ে আমাদের আসলেই বিশাল সুযোগ আছে। তবে সমস্যা হলো, আমাদের আমলারা বেশী বোঝে, আর রাজনৈতিক নেতারা কিছুই বোঝে না। কিন্তু দিনশেষে এই দু'পক্ষই দেশের চাইতে নিজেদের স্বার্থই বোঝে। এ'কারনেই অতীতে বড় বড় সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়েছে।

আমি বাংলা টাইপে খুবই দুর্বল......আঙ্গুল ব্যথা করে। আপাততঃ আর কিছু বলতে পারবো না, সংক্ষেপে এ'টুকুই বললাম। আবার পরে কিছু বলার চেষ্টা করবো, যদি আরো আলোচনা করতে চান। এসব নিয়ে কথা বলতে খুবই ভালো লাগে, কিন্তু লেখাটা কষ্টকর। একটা পোষ্ট আমি সপ্তাহ ধরে একটু একটু করে লিখি। :)

২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০০

অপু তানভীর বলেছেন: আপনের লেখার ভিত্রে বন্ধুত্বের ফাটল ধরনোমূলক কথা বার্তা দেখা যাইতেছে । ভাস্কর যা করে করুক । বাবুলকে অবশ্যই অকৃত্রিম বন্ধুত্ব প্রদর্শন করিতে হইবে ! আমাদের সঙবাদিক ভাইয়েরা সেই কাজই করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন !


*সঙবাদিক বানান টা সম্ভবত ভুল হয়েছে । আমার আবার বানান ভুলের বাতিক আছে কি না ! :D

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশর সাংবাদিকরা এখন এমনেই ''সাম্বাদিক'' হয়া গেছে। আপনের ''সঙবাদিক'' হইলেও কোন অসুবিধা নাই। ;)

আমি তো এই তথাকথিত বন্ধুত্বে ফাটল ধরাইতেই চাই, কারন এইটা উপ্রে উপ্রে বন্ধুত্ব.......ভিত্রে ভিত্রে তো এইটা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, বাবুল আছে স্ত্রীর ভূমিকায়!!! =p~

যতো যাই বলেন, আমাদের সঙবাদিক ভাইদের চরিত্র (ব্যতিক্রম বাদ দিলে) ফুলের চেয়েও পবিত্র। তাদের নিয়া উল্টা-পাল্টা কথা ঝাতি সহ্য করবে না কিন্তু! :-B

২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন । আমাদের মতোন
দেশের জন্য সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন , আর সেখানে
রেষারেষি পক্ষপাতিত্ব থাকবেনা ভারতের সাথে এটা তো
হয় না । আরোগ্য আমার মনের একটা কথা আপনার
কোন এক পোস্টে মন্তব্য বলেছিল ,ভারত-বাংলাদেশ জামাই বউয়ের সম্পর্ক। বাংলাদেশ যেনো শ্যাম রাখি না কুল রাখি। অনেকদিন আগে পত্রিকায় পড়েছিলাম ,কক্সবাজার- কুনমিং
সড়ক তৈরি হলে চীন মিয়ানমার- বাংলাদেশপণ্য চলাচল সহজ হবে কিন্তু ভারত এটা চায় না এটা বাস্তবায়িত হোক।
ভাই, আমরা মুখে যত যাই বলিনা কেন সামান্য অসুখ-বিসুখে কিন্তু আমরা ভারতেই দৌড় দেই। চেন্নাই যাওয়ার এখন
কোন বিষয়ই না ।পণ্য সামগ্রী ও পোশাক এর বিষয়ে
এড়িয়ে যাবার কোনো উপায় নেই। স্বাধীন দেশে বসবাস করে আমরা কতটা স্বাধীনতা ভোগ করছি ?
আর আপনার এই লেখাটা অসম্ভব ভালো হয়েছে এবং
প্রতিবাদী ।
চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ এবং বাসী ঈদ মোবারক।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরোগ্যকে ব্লগে মনে হয় বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি না। খবর-টবর জানেন নাকি কিছু?

আপনি একটা কথা পরিস্কার জানবেন। ভারত আমাদের ভালো হয় এমন কোন কিছুই পছন্দ করে না। আর জামাই বউয়ের সম্পর্ক হলে অন্য কারো সাথে মাখামাখি তাদের পছন্দ না-ই হতে পারে। এতে দোষ দেয়া যায় না......কি বলেন!!! =p~

চিকিৎসার জন্য কেউ ভারত গেলে আমার প্রচন্ড রাগ হয়, তবে যে যাচ্ছে তার উপরে না। যাদের কারনে আমাদের চিকিৎসা পরিসেবা আন্তর্জাতিক মানের হতে পারছে না......তাদের উপরে। এ'সকল লোকের মুখে আমার করোনা ভাইরাস মেশানো থু থু ছিটাতে ইচ্ছা করে। X(

আপনাকেও ধন্যবাদ আর সেই সঙ্গে বাসী ঈদ মোবারক।

২৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

জুন বলেছেন: শোনেন ভুয়া আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা। সাবমেরিনের ভেতরে যা অবস্থা আমি দেখছি সেইখানে এই করোনাকালে স্যোশাল ডিস্টেন্স মেইন্টেন করার প্রশ্নই উঠে না। তাই এখন এইসব না কিন্না বড় বড় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার কিনা উচিত যাতে লোকজন ৬ ফিট দুরত্ব বজায় রাখতে পারে ;)

তবে আমাদের সরকার আমেরিকার কাছ থিকা তা কিনবে কি না ভালোভাবে চিন্তা করা উচিত। এই কয়দিন আগে চীন নাকি জাপান সাগরে নৌ মহড়া কালে আম্রিকানদের দুইটা নৌ জাহাজে আগুন লাগছিল যা নিভাইতে ৩/৪ দিন লাগছে। গোপন সুত্রে জানলাম তখন নাকি ট্রাম্প ভাইয়া সাদা বাড়িতে বইসা শাকিব খানের হিট গান "আগুন লাগাইলোরে টিংকু" শুন্তেছিল :`>

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার! এইটা কি কন!!!
আমাগো নৌবাহিনীর সিদ্ধান্ত হইলো পানির নিচে থাকনের। আমরা ডুইবা ডুইবা জল খামু। এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার নিয়া পানির নিচে যামু কেমনে! তয় স্যোশাল ডিস্টেন্সের কথাটা খারাপ কন নাই। এইজন্য আমাগো বিজ্ঞানী গো কামে লাগাইতে হইবো, যাতে তারা এমুন রোবট বানায়, যেইটা বেশীরভাগ নাবিকরে রিপ্লেস করবো। একটা নাবিক, ৪টা রোবট। এই হইলো গিয়া রেশিও। B-)

এই ব্লগে টেরাম্পের যেই সাগরেদ আছে, হ্যারে জিগান, টেরাম্প সম্রাট নিরোর মতোন বাশিতে ফুক না দিয়া "আগুন লাগাইলোরে টিংকু" হুনে ক্যান? হ্যার কি ভিমরতি হইছে? :P

২৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০০

ওমেরা বলেছেন: ভূয়া মফিজ ভাইয়ার পোষ্টে লাইক দিয়েছিলাম অনেক আগে, এখন তো দেখি এখানে সব জ্ঞানি গুণীদের আসর বসেছে আমাকে একটু জায়গা দেন চুপ করে বসে শুনি আপনাদের কথ।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের জায়গা রিজার্ভ আছে। আসেন....বসেন.......বইসা যান। এখন বলেন, পাটিতে বইবেন নাকি চেয়ারে? :-B

২৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

ওমেরা বলেছেন: ভূয়া ভাইয়া ভাড়া করা ডায়লক ছাড়েন !!

আমার কোন সমস্যা নাই পাটি বা মাটিতে বসতে , কিন্ত এত জ্ঞানি গুনী সব মানুষ, তাদের তো একটা সন্মান আছে তাই না ভাইয়া।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাড়া করা ডায়ালগ ছাড়তে পারবো না। গুনীজনরা এইসব ডায়ালগের সাপ্লাই দেন আমাদের মতো আম-আদমীদের ব্যবহার করার জন্যই। :P

আপনে আপনের চিন্তা করেন। জ্ঞানি গুনী মানুষরা এখনও কোন দাবী-দাওয়া নিয়া উপস্থিত হন নাই। হলে উনাদের সন্মানের কথা বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে......এই নিশ্চয়তা আপনাকে দেওয়া হইল!! B-)

২৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এ কারণেই কথায় আছে দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।


মফিজ ভাই নতুন সংসার সাজাইছি ঢুকিচেপা আপার দেওয়া টাকা পয়সা আর তৈজসপত্রে। বেড়াতে আসবেন।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গরু বেশী দুষ্টামী করলে কোরবানী দিয়ে দেয়া হবে। গোয়াল অন্য কাজে লাগানো ভালো।

দাওয়াত কবুল। খানাদানা রেডি করেন!! :P

সময় করে অবশ্যই আসবো। এখন ''পিটি উষা'' অবস্থায় আছি.......অর্থাৎ, দৌড়ের উপরে আছি। :)

৩০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:১৮

সোহানী বলেছেন: যেহেতু দেশের বাইরে থাকি তাই মোবাইলের নিউজফিড সব ইর্ন্টান্যশনাল নিউজে ভর্তি।

যাইহোক, ইদানিং ভারতের পত্রিকায় প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশের খ্রবর দেখি :P । চীন বাংলাদেশে বাথরুম করলো/উকিঁ দিল/আমাগো প্রধানমন্ত্রী তাগোরে উষ্টা দিয়া দরজা দিসে/ ভিক্ষুকের মতো চীনাগো সাহায্য নিসি / সম্পর্ক উন্নতির লাইগা পুরা হাইকমিশনরে উল্টাপাল্টা করছে B:-/ ....... তাগো দিনভর কান্নাকাটি দেখি আর হাসি......হাহাহাহা

চীনাগো সাথে সম্পর্ক দেইখা তারা পাগলা কুত্তার মতো হইয়া গেছে...................

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খাইছে আমারে!! আপনের মন্তব্য তো দেখিই নাই। চেইতেন না আবার। আসলে গত কয়দিন ব্লগে আসি নাই। আইজকা আয়া দেহি এই অবস্থা। মাফ কইরা দিয়েন........আপনে তো আবার ক্ষণে ক্ষণে চেইতা যান!! :((

ইন্ডিয়ানগো কথা কয়া লাভ নাই। হ্যারা আসন্ন বিচ্ছেদের আশংকায় কাতর মনে হইতাছে। মাগনা খাইতে খাইতে হ্যাগো জিহ্বা হয়া গেছে সোয়া হাত। এহন টেনশানে আছে.....খাওন না আবার বন্ধ হয়া যায়! হ্যার লাইগা এট্টু আউলায়া গ্যাছে আর কি!! :P

পাগলা কুত্তা নাকি আশেকে দেওয়ানা, সময়েই বোঝা যাইবো। :-B

৩১| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫১

আরোগ্য বলেছেন: ভুয়ার ভাইয়ের পোস্টে না আসলে ব্লগে আসা মানায় না। আফটার অল ঢাকাইয়া বাতাস B-)

দেশের প্রসঙ্গে কথা না কয়া তিন বন্ধুর কথা কই। বাবুলের আত্মবিশ্বাস কম , ওরে পুরান ঢাকায় কিছুদিন থাকন লাগবো তাইলে আর কেওরে পাত্তা দিবো না। আর ভাস্কর হইলো ছোট আত্মা, পকেট ভারী মাগার কলিজা নাই। শালার পেটে হিংসা ভরা, আরেকজনের উন্নতি দেখলে শইলে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। ওরে কৌশলে কাবু করন লাগবো। আর মিলন হইসে ছ্যাচড়া টাইপের, চামচামি ওর খাসলত যদি বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। বাবুল যদি দুরে থাকতে পারে তাইলে ভালো নাইলে ভাস্কর ওরে শান্তি দিবো না।

ঈদের ফ্রোজেন মাংসের শুভেচ্ছা। :P

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোস্টে আহনের লাইগা আপনেরে ধইন্যবাদ, আর উত্তরাইতে দেরী করনের লাইগা স্যরি হইলাম।

বাবুইল্যারে আপনের তত্বাবধানে নিয়া টেরনিং দ্যান। ভাস্কর তো ছোটলোক, আত্মা তো ছোট হইবোই। আর মিলনের চামড়া খুইল্যা একদিন ডুগডুগি বানান লাগবো, খিয়াল রাইখ্যেন।

আপনের তিন বন্ধুর ব্যাখ্যা পছন্দ হইছে। :-B

ঈদের ফ্রোজেন মাংসের শুভেচ্ছা তো আগামী ঈদের আগ পর্যন্ত দেওন যায়, আপনেরেও দিলাম। :P

৩২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২০

কল্পদ্রুম বলেছেন: সাংবাদিকদের এ ব্যাপারটা নিয়ে আরো লেখা উচিত ছিলো।হয়তো তাদের কাছেও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব আছে।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেনা সদর থেকে নিয়মিত প্রেস বিফিং হয়। তাছাড়া, দু‘একজন যদি লিখতে পারে, অন্যরা কেন পারবে না? বিভিন্ন বিশ্লেষণমূলক লেখা লিখতে তো কোন বাধা নাই। আসলে এ‘ধরনের লেখা লিখতে পড়ালেখা করতে হয়, কিন্তু বলিউড নিয়ে লিখতে গেলে তার দরকার পড়ে না......এটাই হলো কাহিনী।

আপনাকে বাসী ঈদ মোবারক। রেড মিট কম খাবেন। :)

৩৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

রায়হান চৌঃ বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো লিখেছেন,
সাবমেরিন আমাদের দরকার ছিল। সাবমেরিন ঘাটি করার জন্য চীন কে দিয়েছে কিনা জানা নেই, খবর টা চোখে পড়েনাই, হয়তোবা খবর টার সাথে কারিনা / ঐশরিয়ার কাতুকুতু নেই বলে সাংবাদিক সাহেব দের মাথাব্যথা ও নেই। যদি ও ঋনে ভোজা বেড়ে যাবে তার পর ও বলব চট্টগ্রামের গভীর সমুদ্র বন্দর টা চীন কে দিয়ে করানো উচিৎ। কিন্তু সেই সুযোগ আর আছে কি না আমার জানা নেই। ভলো থাকবেন

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সোনাদিয়ায় চীনের সহায়তায় ডীপ সি পোর্ট করার কথা ছিল। ভারতের চাপে নতি স্বীকার করে সেটা বাতিল করে পরে পায়রাতে করা হচ্ছে। সেটা ছিল হতাশাজনক। তবে সাবমেরিন ঘাটি করার জন্য চীন কে দিয়েছে এটা আশাব্যান্জক। নেটে খোজাখুজি করলেই খবর পাবেন। না পেলে জানাবেন......লিঙ্ক দিয়ে দেবো।

হয়তোবা খবর টার সাথে কারিনা / ঐশরিয়ার কাতুকুতু নেই বলে সাংবাদিক সাহেব দের মাথাব্যথা ও নেই। এটাই হলো আসল কথা।

৩৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১১

করুণাধারা বলেছেন: এই সব গুরুতর ভাবনাওয়ালা পোস্টের চেয়ে লন্ডনের ছবিওয়ালা পোস্ট কত ভালো!!

আমার এইসব নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে না।  ভাবতে গেলেই ভয় হয় কি না কি বলে বসব!! আপনি দেশের নানা সমস্যা নিয়ে ভাবেন, এটা দেখে খুব ভালো লাগে। কিন্তু আমি অতি সামান্য একজন ব্যাপারী, (ডুবো) জাহাজ নিয়ে কিছু বলতে ভয় পাই। আবরারের ছবিটা যখন মাথা থেকে ডিলিট করতে পারি না যে!!

তবে সাংবাদিকদের ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারি। এসব নিয়ে লিখতে গেলে তারা হবেন তিরষ্কৃত, আর না লিখলে হবেন পুরষ্কৃত। তাছাড়া দেশে আমরা এত হাজার সমস্যার মধ্যে থাকি যে বলিউড ঢালিউডের কাহিনী শুনলে নিজেদের দুঃখ কিছু ভুলতে পারি। তাই সাংবাদিকরা আমাদের পছন্দমত খবর পরিবেশন করেন। এই আর কি!!

এই পোস্ট আগেই পড়েছি, কিন্তু মাথার মধ্যে অন্য ভাবনা ঘুরতে থাকায় কি যে বলি বুঝে উঠতে পারি না।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার মাথা হলো একজন অলরাউন্ডারের মাথা। আমি সব ধরনের ভাবনাই ভাবি। যদিও ইউজলেস ভাবনা, তারপরেও ভাবতে ভালো লাগে! :P

লন্ডনের ছবিওয়ালা পোষ্ট তৈরী করছি, ইন শা আল্লাহ আগামীকাল নাগাদ পোষ্টানোর জন্য রেডি হয়ে যাবে। আপনাকে বেশ কিছুদিন ব্লগে দেখি নাই। অবশ্য কি বলি......আমি নিজেও কয়দিন ছিলাম না....হে হে হে!!

আবরারের ছবি আমিই ‍কি ডিলিট করতে পেরেছি আপা! সময়ে সময়ে সেই সময়কার অনুভূতি হানা দেয়। তবে, আমি নিজের ডিপ্রেশানকে আল্লাহর রহমতে কন্ট্রোল করতে পারি। তাই খুব একটা সমস্যা হয় না। আপনে সামান্য ব্যাপারী!!! বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আপনারও অনেক চমৎকার চমৎকার লেখা আছে। চাইলেই লিখতে পারেন। লিখেন না......সেইটা আলাদা কথা।

বাক-স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতার সমস্যা দেশে থাকবেই। এর মধ্যেই তো অনেকে লিখেছে.....বাকীরা কেন পারে না? আমার প্রশ্ন সেইখানে। ব্লগে একটা লেখা দিলে যে ক‘জনের ফিডব্যাকের আশায় বসে থাকি, আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম। আপনি আগে পড়লেও জানতে পারি নাই, এখন জেনে শান্তি পাচ্ছি। :)

৩৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

রায়হান চৌঃ বলেছেন: গভীর সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামে এ প্রয়োজন ছিল। পায়রা বন্দর এ ইন্ভেষ্টমেন্ট বাংলাদেশের কোন কাজে আসবে না। চালে আবার ও খুব বড়ধরনের ভুল করেছে।
সত্যি রাজনীতি আবাল দের জন্য ন.., ও হাঁ কারো যদি আবালের লিষ্ট লাগে বলবেন ।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখন মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর নিয়ে মাতামাতি চলছে, যেটা কিনা সোনাদিয়ার প্রস্তাবিত পোর্ট থেকে ২৫ কিমি দুরে। জাপানের সহায়তায় হচ্ছে। সম্ভবতঃ চাইনীজ ইনভেস্টমেন্টও আসবে ওটাতে। পায়রা ভুয়া......কিন্তু কি আর করা। দেখা যাক।

আবালের লিস্ট......ভালো বলেছেন। মজা পাইলাম। :-B

৩৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৩

রায়হান চৌঃ বলেছেন: সোনাদিয়া তে হলো ও চলবে.... কারণ চট্টগ্রাম বাংলাদেশের নাভি

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা ঠিকমতো বুঝি নাই। দুঃখিত।

৩৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২১

রায়হান চৌঃ বলেছেন: ভাই রে... চাচ্ছি না বাংলাদেশ তার সমুদ্রিক ফায়দা টা হারিয়ে ফেলুক, যদি ও হারাতে বসেছে কিছু চু..র ভাই দের কারণে

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাতিলকৃত সোনাদিয়া পোর্ট থেকে বাংলাদেশ যে সুবিধা পেতো, বর্তমানের মাতারবাড়ি থেকেও সেই একই সুবিধা পাবে। দু'টাই ডিপ সী পোর্ট। লোকেশানও একদম কাছাকাছি। কাজেই ফায়দা হারানোর কিছু নাই।
এখন ফায়দা নেয়াটা পলিসির ব্যাপার। আমাদের চ'বর্গীয় ভাইদের কল্যানে তো আমরা প্রতিনিয়তই বহুকিছু হারাচ্ছি, এ আর নতুন কি? এভাবে হারাতে থাকলে হয়তো একসময় আমাদের পরনের কাপড়ও থাকবে না। সেটা অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ। :)

৩৮| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: সেদিন খুব বেশী দুরে না, যখন সব দেশের দরজা এদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে.....যদি না তারা তাদের খবীশ খাসলত বদলায়!! - এখন সভ্য হওয়ার ভান করছে।দেশে দেশে দূত পাঠাচ্ছে!!!!

২১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভানে এখন আর কাজ হবে না। এখন তাদের একটাই দরজা খোলা......সদিচ্ছার প্রমাণ দেয়া। ধরা খেতে খেতে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ ওদের আসল চেহারা জেনে গিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.