নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন নির্লজ্জ মানুষের কাহিনী!!!

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪০



আমার একদম কুট্টিকালের কথা। আমার নানাজানকে আমি খুবই পছন্দ করতাম। পছন্দের বহু কারনের মধ্যে অন্যতম কারন ছিল, উনি বিভিন্ন চোরের গল্প করতেন খুবই সুন্দর করে। মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। কাজেই নানাজান যখনই আমাদের ঢাকার বাসায় বেড়াতে আসতেন, কিংবা আমি যখন নানাবাড়িতে বেড়াতে যেতাম, ঈদের আনন্দ অনুভব করতাম…..চোরের গল্প শুনতে পারবো ভেবে। তো চোরের গল্প শুনতে শুনতে আমার মনের মধ্যে চোরের আকার-আকৃতি, অবয়ব সম্পর্কে একটা কাল্পনিক চেহারা আকা হয়ে যায়। সেটা হলো, প্রচন্ড বলশালী কালো মুষকো একজন মানুষ, যার পুরো শরীর তেলে চপচপ করতো। যার চোখ ছিল রক্ত লাল আর পেশী ছিল পাকানো দড়ির মতো প্যাচানো।

একবার নানাবাড়ি গিয়ে শুনলাম, এক চোর ধরা পড়েছে। নানাজানের আঙ্গুল আকড়ে ধরে আমার স্বপ্নের সেই চোর দেখতে চললাম। গিয়ে আমার ক্ষুদ্র মানব জীবনের বৃহৎ একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম। মারের চোটে নেতিয়ে পড়া শুটকো একটা লোক, যার লুঙ্গিটাও ঠিক জায়গাতে ছিল না। কেদে কেদে সবার হাত-পা ধরার চেষ্টা করছে, আর অনুরোধ করছে, তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য। শরীরে তেলের কোন চিহ্নই নাই, পরিবর্তে এখানে-সেখানে ছোপ ছোপ রক্ত! মনে আছে, বাড়িতে ফিরে মনের দুঃখে দুপুরের খানা পর্যন্ত খাই নাই। না, চোরের বেহাল অবস্থা মনে করে না। আমার সযত্নে লালিত কল্পনার চোরের সাথে বাস্তবের চোরের এহেন বৈসাদৃশ্য দেখে! মনে মনে নানাজানের উপরে চরম বিরক্ত হয়ে ভাবলাম, আমারে দেখাইলো কলা, খাওয়াইলো মূলা!! উল্লেখ্য, কলা আমার খুবই প্রিয় একটা খাদ্য, সেখানে মূলার গন্ধও সহ্য করতে পারতাম না; খাওয়া তো বহুৎ দূর কি বাত!

এবার আপনাদের পালা। চোখ বুজে কল্পনা করেন আর মনের ক্যানভাসে একজন নির্লজ্জ মানুষের ছবি আকেন। একেছেন? তাহলে চলেন, এবার মিলাই। আমার কল্পনার মানুষটা একজন মুজিবকোট পড়া; অনেকটা পেঙ্গুইনের মতো নাদুস-নুদুস, ভুড়িওয়ালা, তেলতেলে চেহারার মানুষ যার পড়তে পড়তে আছে ধুর্ততা, শঠতা, ছ্যাচড়ামী। অন্য কথায়, নির্লজ্জ একজন তৈলবাজ। কিন্তু চোখ খুলে দেখি স্যুট-কোট পড়া, সুদর্শন, স্মার্ট আর ব্লগার করুণাধারা আপার কথামতো ঠাস ঠাস ইংরেজি বলা আপাতঃদৃষ্টির এক কর্পোরেট বস! কেন এই বৈপরীত্য! আপনাদের খবর জানি না, কিন্তু কেন আমার কল্পনা বার বার বাস্তবতার কাছে ধরা খায়? সন্মানীত ব্লগারদের কাছে, জাতীর বিবেকের কাছে এটাই আমার আজকের প্রশ্ন।

এবার চলেন, একটু ফিরে দেখি আমার কৈশোরকালে দেখা ফুটবলের চালচিত্র। তখন দেশের ফুটবল মানেই আবাহনী-মোহামেডানের গল্প। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন, মোটামুটিভাবে পুরানো ঢাকার মানুষ মাত্রই মোহামেডানের সাপোর্টার। আমিও মোহামেডানের ডাইহার্ড সাপোর্টারই ছিলাম। আবাহনী-মোহামেডানের খেলা হলেই এলাকার বড়ভাইদের সাথে মোহামেডানের বিশাল বিশাল পতাকা নিয়ে মিছিল করতে করতে তৎকালীন ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা স্টেডিয়ামে যেতাম খেলা দেখতে। খেলা দেখতে তো যাওয়া না…..যেন যুদ্ধে যাওয়া। বড়ভাইরা শুধু পতাকাই নিতো না, সাথে নিতো কাটা রাইফেল, পিস্তল, ককটেল আর ধারালো বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র। সেসব অস্ত্রপাতি বাইরের দোকানে রেখে স্টেডিয়ামে ঢুকতাম। খেলা দেখতে গিয়ে কতোবার পুলিশের টিয়ারগ্যাসের মুখে পড়েছি, কতোবার মারামারির মধ্যে জড়িয়েছি…...ইয়ত্বা নাই। সে অন্য গল্প।

আবাহনীর অন্যতম মূল খেলোয়াড় সালাহউদ্দিন তখন আমাদের জানি দুশমন। গ্যালারী থেকে চিৎকার করে তাকে, তার সম্পূর্ণ পরিবারকে, আর সর্বোপরি তার দল আর সমর্থকদেরকে ঢাকাইয়া কুট্টি বোলচালে যেসব বাক্যবানে বিদ্ধ করতাম, তার খন্ডিতাংশও যদি এখানে বলি, আমি নিশ্চিত সামু কর্তৃপক্ষ খাড়ার উপরে আমাকে আজীবনের জন্য ব্লগ থেকে ছুড়ে ফেলে দিবে।

২০০৮ সালে এই চিরশত্রু সালাহউদ্দিনই যখন ফুটবলের বস হলো, মনে মনে প্রচন্ড খুশী হয়েছিলাম। আমাদের ফুটবল ক্রেজের সময়টাতে বিশ্ব-ফুটবলে না হলেও সামগ্রিকভাবে এশিয়ান বা আন্চলিক ফুটবলে বাংলাদেশ খুব একটা হেলাফেলার দল ছিল না। সেখান থেকে ক্রমাবনতিই হোক, আর ক্রিকেটের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারনেই হোক, দেশের মানুষ ততোদিনে ফুটবল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সালাহউদ্দিনকে দেখে ফুটবলের সেই হারানো স্বর্ণালী দিনগুলি ফিরে পাওয়ার আশায় বুক বাধলাম; বরং বলা যায় তার চেহারা, স্মার্ট আউটফিট আর চাতুর্যপূর্ণ কথাবার্তায় প্রতারিত হলাম।

ফুটবলের ইতিহাসে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অবস্থান ছিল ১৯৯৬ তে, ১১০। আর ২০০৮ এ সালাহউদ্দিন যখন প্রথমবারের মতো বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হলো, বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৪। পুরানো শত্রুতা ভুলে গিয়ে ভাবলাম, এইবার সালাহউদ্দিন দেখাবে খেলা। আমাদের ফুটবলের উন্নতি ঠেকায় কোন হালা!!! ২০১২তে এসে সে আবার নির্বাচিত। বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিংয়েও কিন্চিৎ উন্নতি হয়েছে, মানে ১৬৮! ১৯৯৬ থেকে খাড়া নামতে নামতে ২০০৮ এ যেখানে ঠেকেছিল…...সেই মাপের পতন তো হয় নাই! কিছুটা হলেও তো উন্নতি হয়েছে! মনকে শান্তনা দিলাম, প্রথম চার বছর তো ঘর গোছাতে গোছাতেই সময় গিয়েছে। এবার হবে আসল উন্নতি। ২০১৬তে আবার যখন সালাহউদ্দিন সভাপতি হলো, বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিং ততোদিনে নেমেছে ১৮৫তে। আর এবার ২০২০তে আমাদের র‌্যাঙ্কিং ১৮৭। এতোদিনে আমরা বুঝে গিয়েছি ওর দৌড় কতোদূর। দেশের ফুটবলের যারা নিম্নতম খবরও রাখে, তারা কেউই চায়নি, এই লোক আবার আসুক। মনে রাখতে হবে, এই লালটুমার্কা গাধাটার সময়েই ২০১৮তে বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিং নেমেছিল ১৯৭তে। এবার ২০০ পার করতে না পারলে ''জাতীয় শালা শালাউদ্দিন'' এর কোন ইজ্জৎ থাকবে?

এই সভাপতি চতুর্থবার নির্বাচিত হওয়ার পর আনঅফিশিয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, দেশের ফুটবলের আরো উন্নতিই তার প্রধান লক্ষ্য। ‍সিরিয়াসলি? কিভাবে?? বাস্তবতা হলো, এই লোক মতিঝিলস্থ ফুটবল ভবনকে পৈতৃক বাড়ি আর বাংলাদেশের ফুটবলকে পৈতৃক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। আমি আপনাদেরকে এই নিশ্চয়তা অবশ্য অবশ্যই দিতে পারি, দেশের ফুটবলের কোন সভাপতিও যদি না থাকে, তাহলেও এর চেয়ে খারাপ অবস্থা হওয়া সম্ভব না। তাহলে সভাপতির দরকার কি?

এমন যার পারফরমেন্স, সে কিভাবে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়? সব-সম্ভবের দেশ বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নাম বেচে খাওয়া তৈল ব্যবসায়ীদের টোটকা এখন একটাই। ছবিটা আগে দেখেন,


সালাউদ্দিন এক সময়ে ছিল ফুটবলার। এখন আগে ব্যবসায়ী, পরে ফুটবলের বস। কাজেই সে জানে, এই দেশে বঙ্গবন্ধুকে সামনে (পড়ুন পিছনে) রেখে যে কোন ব্যবসায়ীক কর্মকান্ড সফল হতে বাধ্য। বাফুফের নির্বাচন একটা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক নির্বাচন। এখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহারের উদ্দেশ্য কি হতে পারে? বঙ্গবন্ধুর সন্মান বৃদ্ধি, নাকি সন্মান হানি??

কথা আর বেশী বাড়াই না; বরং আরেকটা ছবি দেখাই,


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এসব অকর্মন্য অপদার্থ লোকদেরকে কেন লাই দিয়ে মাথায় তোলেন? কি লাভ? এরা তৈলবাজী ছাড়া আর কিছুই জানে না। আর জানে, কি করে আপনার ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করতে হয়। এর হাসিটা দেখেন! কতোটা তৈলাক্ত!! আপনার দুঃসময়ে (আল্লাহ না করুন) এদের কাউকে আপনার পাশে পাবেন না। এমন কি আপনার দু‘একশ মাইলের মধ্যেও এদের দেখা পাওয়া দুস্কর হয়ে যাবে আপনার জন্য!!

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশান যেন এক মিনি বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি; কি কথাবার্তায়, কাজ-কর্মে অথবা স্টান্টবাজীতে। এই লোকের একমাত্র পুজি লম্বা চওড়া কথাবার্তা আর তৈল মর্দন। এভাবেই তৈলের সফল প্রয়োগের মাধ্যমে পাগল-ছাগল, অলস-অকর্মন্য আর গরু-গাধারা দেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। ছাগল, গরু আর গাধারা এহেন তুলনায় মাইন্ড করতেই পারে। সেই অধিকার তাদের আছে। এই তিন প্রজাতীর কাছে করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে বলছি, এরা আসলে অতি ধূর্ত একটা প্রজাতি। কিন্তু আমরা ভদ্র ভাষায় বলতে গেলে এর চেয়ে ভালো আর কোন তুলনা করতে পারি না। আমাদের ভাষাগত সীমাবদ্ধতা। ধৃষ্টতা মার্জনীয়।

একনজরে বাংলাদেশের ফুটবলের অবস্থা দেখেন। কার্ভ নীচের দিকে মোটামুটি কনসিসটেন্টলি যেভাবে নেমেছে, তার একটা বড় কৃতিত্ব দেশের ফুটবলের সবচেয়ে ক্যারিশম্যাটিক নেতা কাজি সালাউদ্দিনের।



বিশ্ববাজারে তেলের দাম কিংবা চাহিদা যতোই উঠানামা করুক না কেন, বাংলাদেশের বাজারে তেলের চাহিদা সবসময়েই থাকবে। কাজেই মুল্য নির্ধারন এমনভাবেই হবে, যেন তৈল ব্যবসায়ীরা কোন ভাবেই মারা না খায়! তাছাড়া, চাহিদা যেখানে দিনকে দিন বাড়ছেই; সেখানে মুনাফা বৃদ্ধিও সন্দেহাতীত একটা ব্যাপার।

জয়তু তৈলব্যবসা এবং তৈলবাজী!!!


শিরোনামের ছবিটা প্রধান এবং তার সহযোগী অন্যান্য নির্লজ্জ ধান্দাবাজদের। ওটাসহ বাকী সবগুলো ছবি এবং তথ্য প্রাপ্তিতে সহায়তাকারী ওয়ান এন্ড অনলি গুগল!!!

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



তেলের কদর দেশে বিদেশে যা-ই থাক বা না থাক, তেলবাজের ব্যাপক কদর আমাদের এখানে মোটামুটি সবসময়ই স্বীকৃত। আর ইহাই উপরে উঠিবার (সাধু শব্দ বলায় দুঃখিত!) সিড়ি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আপনি হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ভদ্রলোকের কথা মনে করিয়ে দিলেন।

আপনার নানাজানের কাছ থেকে আমারও চোরের গল্প শুনতে ইচ্ছে করছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী? চর্যাপদ নিয়ে নিয়ে যিনি কাজ করেছেন? হঠাৎ উনার কথা মনে হলো কেন?

আপনার নানাজানের কাছ থেকে আমারও চোরের গল্প শুনতে ইচ্ছে করছে। উনি এখন আর বেচে নেই।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: কুট্রি কালের কথা দারুন। আপনার নানাজান কত বছর বয়সে মারা যান? এত এত গল্প থাকতে চোরের কাহিনী কেন? আজিব!
আমার জীবনে আমি চোর মারি নি। বা কেউ একজন চোরকে মারছে সেটা দেখতেও পারি নি। চোখ বুঝে কল্পনা করলে আমি বেশ কয়েকজন নির্লজ্জ মানুষ দেখতে পাই।

আমারও প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী কেন এসব অযোগ্য অদক্ষ লোকদের লাই দিচ্ছেন? এজন্য প্রধানমন্ত্রীর উপর আমার রাগ হয়।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সব ধরনের গল্পই বলার চেষ্টা করতেন, তবে আমার আগ্রহ ছিল চোরের গল্পে, তাই বাধ্য হয়ে ওটাই বেশী করতেন।

আপনি ভগবান বুদ্ধের অনুসারী। ভায়োলেন্স আপনাকে মানায় না। :P

আমারও প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী কেন এসব অযোগ্য অদক্ষ লোকদের লাই দিচ্ছেন? এজন্য প্রধানমন্ত্রীর উপর আমার রাগ হয়। রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক!!

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: সালাহউদ্দিন বেহায়াটাকে আমি আগেই লিখেছিলাম এখানে:
নষ্ট সমাজ ব্যবস্থাঃ কতটা বেহায়া হলে কাউকে নির্লজ্জ বলা যায়!!! (প্রেক্ষাপট # বাংলাদেশের ফুটবল)
এই লোক পলিটিক্যাল নিয়োগ। এইলোক মরার আগে কোন দিন পরিবর্তন হবে ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ওই পোষ্ট পড়েছি। অনেক বিস্তারিত লিখেছিলেন। আমার একটা লাইকও দেখলাম আছে! :)

এসব কু-কীর্তি নিয়ে বিস্তারিত লিখতে মন চায় না। অবশ্য সেই অভাব আপনি পূরণ করেছেন। অবশ্যই পলিটিক্যাল নিয়োগ, তবে বাই এথিক্স ফিফা এসব অনুমোদন করে না। তাই এগুলো হচ্ছে তলে তলে। ওর পরিবর্তিত হওয়ার দিন শেষ। আর কবে হবে? নো চান্স!!!

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, প্রিয় ভাই সাহেব, বাংলা ভাষার প্রাচীনতম সাহিত্য চর্চার নিদর্শন চর্যাপদ নিয়ে যিনি কাজ করেছেন খ্যাতিমান সেই হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহোদয়ের কথাই বলেছিলাম। তার বিখ্যাত ‘তেল’ (প্রথম প্রকাশ : ‘বঙ্গদর্শন’, চৈত্র ১২৮৫) প্রবন্ধটির কথা মনে পড়েছিল কি না আপনার পোস্টপাঠের পরে সেজন্য তার নাম স্মরণ হলো আর কি! লেখক তার সামাজিক অভিজ্ঞতা থেকে মানুষের তৈলবাজ স্বভাবকে মোক্ষমভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন তার প্রবন্ধে। আসুন, একবার পড়ে দেখি তেল বিষয়ে কালজয়ী এই প্রবন্ধ।

“তৈল যে কি পদার্থ, তাহা সংস্কৃত কবিরা কতক বুঝিয়াছিলেন। তাঁহাদের মতে তৈলের অপর নাম স্নেহ। বাস্তবিকও স্নেহ ও তৈল একই পদার্থ। আমি তোমায় স্নেহ করি, তুমি আমায় স্নেহ কর অর্থাৎ আমরা পরস্পরকে তৈল দিয়া থাকি । স্নেহ কি? যাহা স্নিগ্ধ বা ঠান্ডা করে , তাহার নাম স্নেহ । তৈলের ন্যায় ঠাণ্ডা করিতে আর কিসে পারে ?

সংস্কৃত কবিরা ঠিকই বুঝিয়াছিলেন। যেহেতু তাহারা সকল মনুষ্যকেই সমানরূপে স্নেহ করিতে বা তৈল প্রদান করিতে উপদেশ দিয়াছেন।

বাস্তবিকই তৈল সর্বশক্তিমান; যাহা বলের অসাধ্য, যাহা বিদ্যার অসাধ্য , যাহা ধনের অসাধ্য, যাহা কৌশলের অসাধ্য,তাহা কেবল একমাত্র তৈল দ্ধারা সিদ্ধ হইতে পারে।

যে সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করিতে জানে,সে সর্বশক্তিমান। তাহার কাছে জগতের সকল কাজই সোজা। তাহার চাকরির জন্য ভাবিতে হয় না — উকীলিতে পসার করিবার জন্য সময় নষ্ট করিতে হয় না , বিনা কাজে বসিয়া থাকিতে হয় না, কোন কাজেই শিক্ষানবিশ থাকিতে হয় না।যে তৈল দিতে পারিবে,তাহার বিদ্যা না থাকিলেও সে প্রফেসার হইতে পারে। আহাম্মুক হইলেও ম্যাজিষ্ট্রেট হইতে পারে, সাহস না থাকিলেও সেনাপতি হইতে পারে এবং দুর্লভরাম হইয়াও উড়িষ্যার গভর্ণর হইতে পারে।
তৈলের মহিমা অতি অপরূপ ।তৈল নহিলে জগতের কোন কাজ সিদ্ধ হয় না ।তৈল নহিলে কল চলে না, প্রদীপ জ্বলে না,ব্যঞ্জন সুস্বাদু হয় না, চেহেরা খোলে না , হাজার গুন থাকুক তাহার পরিচয় পাওয়া যায় না,তৈল থাকিলে তাহার কিছুরই অভাব থাকে না।
সর্বশক্তিময় তৈল নানারূপে সমস্ত পৃথিবী ব্যাপ্ত করিয়া আছেন। তৈলের যে মূর্তিতে আমরা গুরুজনকে স্নিগ্ধ করি, তাহার নাম ভক্তি,যাহাতে গৃহিণীকে স্নিগ্ধ করি,তাহার নাম প্রণয়; যাহাতে প্রতিবেশীকে স্নিগ্ধ করি,তাহার নাম মৈত্রী; যাহা দ্ধারা সমস্ত জগৎকে স্নিগ্ধ করি,তাহার নাম শিষ্টাচার ও সৌজন্য “ফিলনথপি।”যাহা দ্ধারা সাহেবকে স্নিগ্ধ করি তাহার নাম লয়েলটি ;যাহা দ্ধারা বড়লোককে স্নিগ্ধ করি, তাহার নাম নম্রতা বা মডেষ্টি ।চাকর বাকর প্রভৃতিকেও আমরা তৈল দিয়া থাকি, তাহার পরিবর্তে ভক্তি বা যত্ন পাই ।অনেকের নিকট তৈল দিয়া তৈল বাহির করি।

পরস্পর ঘর্ষিত হইলে সকল সকল বস্তুতেই অগ্ন্যুদ্গম হয় । অগ্ন্যুদ্গম নিবারণের একমাত্র উপায় তৈল ।এইজন্যই রেলের চাকায় তৈলের অনুকল্প চর্বি দিয়া থাকে ।এইজন্যই যখন দুজনে ঘোরতর বিবাদে লঙ্কাকাণ্ড উপস্থিত হয় ,তখর রফা নামক তৈল আসিয়া উভয় ঠাণ্ডা করিয়া দেয় ।তৈলের যদি অগ্নিনিবারণী শক্তি না থাকিত, তবে গৃহে গৃহে গ্রামে গ্রামে পিতাপুত্রে স্বামী-স্ত্রীতে রাজায়-প্রজায় বিবাগ বিসম্বাদে নিরন্তর অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নির্গত হইত ।

পূর্বেই বলা গিয়াছে, যে তৈল দিতে পারে , সে সর্বশক্তিমান ,কিন্তু তৈল দিলেই হয় না। দিবার পাত্র আছে,সময় আছে,কৌশল আছে।

তৈল দ্ধারা অগ্নি পর্যন্ত বশতাপন্ন হয়। অগ্নিতে অল্প তৈল দিয়া সমস্ত রাত্রি ঘরে আবদ্ধ রাখা যায় । কিন্তু সে তৈল মূর্তিমান্ ।
কে যে তৈল দিবার পাত্র নয় ,তাহা বলা যায় না। পুঁটে তেলি হইতে লাটসাহেব পর্যন্ত তৈল দিবার পাত্র । তৈল এমন জিনিষ নয় যে,নষ্ট হয় । একবার দিয়া রাখিলে নিশ্চয়ই কোন না কোন ফল ফলিবে। কিন্তু তথাপি যাহার নিকট উপস্থিত কাজ আদায় করিতে হইবে, সেই তৈলনিষেধের প্রধান পাত্র। সময় — যে সময়েই হউক, তৈল দিয়া রাখিলেই কাজ হইবে । কিন্তু উপযুক্ত সময়ে অল্প তৈলে অধিক কাজ হয় ।

কৌশল — পূর্বেই উল্লেখ করা গিয়েছে, যেরূপেই হউক, তৈল দিলে কিছু না কিছু উপকার হইবে। যেহেতু তৈল নষ্ট হয় না, তথাপি দিবার কৌশল আছে ।তাহার প্রমাণ ভট্টাচার্যেরা সমস্ত দিন বকিয়াও যাহার নিকট পাঁচ সিকা বৈ আদায় করিতে পারিল না ,একজন ইংরেজিওয়ালা তাহার নিকট অনায়াসে ৫০ টাকা বাহির করিয়া লইয়া গেল। কৌশল করিয়া এক বিন্দু দিলে যত কাজ হয়, বিনা কৌশলে কলস কলস ঢালিলেও তত হয় না ।

ব্যক্তিবিশেষে তৈলের গুনতারতাম্য অনেক আছে। নিষ্কৃত্রিম তৈল পাওয়া অতি দুর্লভ। কিন্তু তৈলের এমনি একটি আশ্চর্য সম্মিলনীশক্তি আছে যে, তাহাতে যে উহা অন্য সকল পদার্থের গুনই আত্নসাৎ করিতে পারে। যাহার বিদ্যা আছে,তাহার তৈল আমার তৈল হইতে মূল্যবান। বিদ্যার উপর যাহার বুদ্ধি আছে,তাহার আরও মূল্যবান।তাহার উপর যদি ধন থাকে, তবে তাহার প্রতি বিন্দুর মূল্য লক্ষ টাকা। কিন্তু তৈল না থাকিলে তাহার বুদ্ধি থাকুক,হাজার বিদ্যা থাকুক, হাজার ধন থাকুক, কেহই টের পায় না।

তৈল দিবার প্রবৃত্তি স্বাভাবিক। এ প্রবৃত্তি সকলেরই আছে এবং সুবিধামত আপন গৃহে ও আপন দলে সকলেই ইহা প্রয়োগ করিয়া থাকে, কিন্তু অনেকে এত অধিক স্বার্থপর , বাহিরের লোককে তৈল দিতে পারে না।তৈলদান প্রবৃত্তি স্বাভাবিক হইলেও উহাতে কৃতকার্য হওয়া অদৃষ্টসাপেক্ষ।

আজকাল বিজ্ঞান, শিল্প প্রভৃতি শিখাইবার জন্য নানাবিধ চেষ্টা চলিতেছে।যাহাতে বঙ্গের লোক প্রাকটিক্যাল অর্থাৎ কাজের লোকের হইতে পারে; তজ্জন্য সকলেই সচেষ্ট, কিন্তু কাজের লোক হইতে হইলে তৈলদান সকলের আগে দরকার। অতএব তৈলদানের একটি স্কুলের নিতান্ত প্রয়োজন। অতএব আমরা প্রস্তাব করি, বাছিয়া বাছিয়া কোন রায়বাহাদুর অথবা খাঁ বাহাদুরকে প্রিন্সিপাল করিয়া শীঘ্র একটি স্নেহ-নিষেধের কালেজ খোলা হয় । অন্ততঃ উকীলি শিক্ষার নিমিত্ত ল’ কালেজে একজন তৈল অধ্যাপক নিযুক্ত করা আবশ্যক। কালেজ খুলিতে পারিলে ভালই হয়।

কিন্তু এরূপ কালেজ খুলিতে হইলে প্রথমতই গোলযোগ উপস্থিত হয়। তৈল সবাই দিয়া থাকেন — কিন্তু কেহই স্বীকার করেন না যে, আমি দেই। সুতরাং এ বিদ্যার অধ্যাপক জোটা ভার । এ বিদ্যা শিখিতে হইলে দেখিয়া শুনিয়া শিখিতে হয়। রীতিমত লেকচার পাওয়া যায় না । যদিও কোন রীতিমত কালেজ নাই, তথাপি যাঁহার নিকট চাকরীর বা প্রমোশনের সুপারিস মিলে , তাদৃশ লোকের বাড়ী সদাসর্বদা গেলে উত্তমরূপ শিক্ষালাভ করা যাইতে পারে ।বাঙালীর বল নাই, বিক্রম নাই, বিদ্যাও নাই, বুদ্ধিও নাই। সুতরাং বাঙালীর একমাত্র ভরসা তৈল — বাঙালীর যে কেহ কিছু করিয়াছেন, সকলই তৈলের জোরে, বাঙালীদিগের তৈলের মূল্য অধিক নয়; এবং কি কৌশলে সেই তৈল বিধাতৃপুরুষদিগের সুখসেব্য হয়, তাহাও অতি অল্পলোক জানেন । যাঁহারা জানেন,তাঁহাদিগকে আমরা ধন্যবাদ দিই। তাঁহারাই আমাদের দেশের বড় লোক, তাঁহারাই আমাদের দেশের মুখ উজ্জ্বল করিয়া আছেন।

তৈল বিধাতৃপুরুষদিগের সুখসেব্য হইবে, ইচ্ছা করিলে সে শিক্ষা এদেশে হওয়া হওয়া কঠিন । তজ্জন্য বিলাত যাওয়া আবশ্যক। তত্রত্য রমণীরা এ বিষয়ের প্রধান অধ্যাপক, তাহাদের থ্রু হইলে তৈল শীঘ্র কাজে আইসে।
শেষে মনে রাখা উচিত ,এক তৈলে চাকাও ঘোরে আর তৈলে মনও ফেরে।”

যদিও শতাধিক বছর আগেকার লেখা এটি, কিন্তু প্রাসঙ্গিক এখনো। ভবিষ্যতেও এর আবেদন ম্লান হবে বলে মনে হচ্ছে না। যেভাবে তেলে তেলে তেলময় হয়ে যাচ্ছে চারদিক। দেখেশুনে মনে হয়, সামনের দিনগুলোতে নানাবিধ তেলের বহুবিধ ব্যবহার অষ্টকৌশলে আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা প্রবল।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার লেখা। আগে পড়ি নাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

উনি শেষের দিকে বলেছেন, তৈল বিধাতৃপুরুষদিগের সুখসেব্য হইবে, ইচ্ছা করিলে সে শিক্ষা এদেশে হওয়া হওয়া কঠিন । তজ্জন্য বিলাত যাওয়া আবশ্যক। আমি সেজন্যেই বিলাতবাসী হয়েছি, কিন্তু আফসোস.....শিখতে পারছি না। আসলে সবাইকে দিয়ে সবকিছু হয় না। =p~

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের গ্রামে নাকি চোর সিঁধ কাটার পর প্রথমে একটা কালো পাতিল লাঠির মাথায় বাধিয়ে উঁচু করে দেখত কেউ টের পেল কি না। এর পর নিজে ঢুকত। চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা যদি ধরা না পরে। কিন্তু ফুটবলের এই সালাউদ্দিনরা চোর না এরা আসলে ডাকাত। চোখের সামনে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতি দেখার পরও এরা যদি নোংরা রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাহলে কিভাবে এদেশের ফুটবলের উন্নতি হবে। সরকারেরও উচিত ফুটবলের নেতৃত্বে ভালো লোক যেন আসতে পারে তার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সর্বস্তরের মানুষের কথা বিবেচনা করলে ক্রিকেট অনেক ব্যয়বহুল ফুটবলের চেয়ে। তাই ফুটবলের দিকে সরকারের নজর দেয়া উচিত যেন এই ধুরন্ধর লোকগুলি নেতৃত্বে না আসতে পারে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কারে কি বলবেন, ঠগ বাছতে গা উজার অবস্থা। সরকার নিজেই তো এসবের পৃষ্ঠপোষক। ধান্ধাবাজেরা কি ভালো লোক চিনবে? তারা চিনবে স্ব-গোত্রীয়!

হ্যা, একসময়ে গ্রামে সিধেল চোরের খুবই উপদ্রব ছিল। নানাজান এদের নিয়েই গল্প বেশী বলতেন।

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: ওর পরিবর্তিত হওয়ার দিন শেষ। আর কবে হবে? নো চান্স!!!
এর সাথে অনেক উপরের লোকজন জড়িত। এক পালটানো কার পক্ষেই সম্ভব না।
বিশাল বানিজ্য, বিশালা টাকা পয়সা। অনেক বড় লেনদেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তা তো বটেই। ফিফা / এএফসির অনুদান আসে কোটি কোটি টাকা, স্পন্সরদের টাকা, ক্লাবের টাকা ইত্যাদি ইত্যাদি। যেখানে টাকা, সেখানেই দূর্নীতি আর ধান্ধাবাজি। আর ফুটবলের বস আকাম করলে তার সাথে তো আরো উপরের লোকজনই জড়িত থাকবে, তাইনা! কি আর করা.......আমাদের কপাল তো চতুর্দিকেই খারাপ!! :(

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২২

কল্পদ্রুম বলেছেন: স্থানীয় লেভেলে ক্রিকেটের চেয়ে এখনো ফুটবল জনপ্রিয়। ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দর্শকই থাকে না। সেমি ফাইনাল, ফাইনাল ম্যাচে কিছু থাকে৷এলাকাভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টে সেই তুলনায় দর্শকদের ভিতরে আগ্রহ অনেক বেশি থাকে। আমি যদিও ক্রিকেটের ভক্ত। তবুও আমার ধারণা ফুটবলের প্রতিই আমাদের জাতির আবেগটা বেশি। আমাদের মত ফুটবল প্রিয় জাতির জাতীয় দলের এই অবস্থা আসলেই দুঃখজনক৷লেখা পড়ে মনে হচ্ছে আপনাদের দুঃখটা আরো বেশি। আপনারা একটা ভালো সময়ের চাক্ষুস স্বাক্ষী ছিলেন৷তার উপর সালাউদ্দিনকে নিয়েও একটা বড় ছ্যাঁকা খেয়েছেন। আপনাদের জীবদ্দশাতেই একেবারে হিরো থেকে জিরো (অথবা চোর) হওয়ার একটা পার্ফেক্ট উদাহরণ দেখতে পেলেন। উনি নিজের এত গর্বের অতীত এভাবে লোভের কাছে বেঁচে দিলেন। একটা বড় আফসোস আমাদের জন্য।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখন ক্রিকেট আমিও বেশী পছন্দ করি। তবে ফুটবল আমাদের দেশে গণ-মানুষের খেলা......ফুটবলের এই দুর্দিনেও। আমরা ফুটবল দেখেই বড় হয়েছি, তাই এটার প্রতি একটা অতিরিক্ত আবেগ কাজ করে, সঠিক বলেছেন।

সালাহউদ্দিন কিন্তু নিজেই অনেক ধনী একজন ব্যবসায়ী। তারপরেও লোভ!! অবশ্য এমন উদাহরন আমাদের দেশে ভুড়ি ভুড়ি আছে। তারপরেও ওর সাধারন মানুষের ভালোবাসাকে সন্মান করে ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করা উচিত ছিল। কিন্তু ওই যে, কথায় আছে না, সব রসুনের.........এক জায়গাতে!!! এটাই আমাদের অভাগা দেশের বাস্তবতা।

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ছোট বেলা সিনেমায় গান শুনছিলাম আবাহনি আবাহনি মোহামেডান কেউ কাউকে নাহি ছাড়ে সমান সমান। আমি দুই দলের পক্ষেই ছিলাম। ফুটবলে বাংলাদেশের যে হাল, লজ্জা আর লজ্জা,

যেখানে যায় আট দশটা গোল খায় আজিব।

আর চোর দেখছিলাম চাকুরীর পর, সেনাপল্লীতে, ছোট ড্রেনের ভিতরে চোরের মাথা ঢুকিয়ে সেনাবাহিনীরা পিঠাইতাছে :( চোরের লাইগ্গা তখন যে কস্ট লাগছিলো। আর এখনকার বড় বড় চোরের জন্য দুঃখ লাগে না। খবিশ চোর সবখানেই আছে তেলবাজ চোর সব

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি দুই দলের পক্ষেই ছিলাম। দুই নৌকায় পা রাখন কিন্তু ভালা অভ্যাস না!! :-B

আমাগো এই অভাগা দ্যাশে ছোট চোররা পিডা খায়, আর বড় বড় চোররা বিরানী খায়। কি আর করবেন। চুরি, তেলবাজি এখন আমাগো জাতীয় পেশা। যতো বড় চোর, ততো বেশী ইজ্জৎ!!! :(

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১১

রামিসা রোজা বলেছেন:
শুরুতেই ধন্যবাদ দিচ্ছি সুন্দর একটি পোষ্টের অবতারনা করেছেন । এ যে কত বড় নির্লজ্জ ব্যক্তি , জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন , আমি অনেক জনপ্রিয় তাই আমাকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হবেই । উনি নাকি সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবেন রাঙ্কিং ১৫০ এর মধ্যে চলে আসবেন অতি দ্রুত । ফুটবলে লোকেরা উনাকে এত ভালবাসে বলেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ।
আমি মনে করি, কোন ব্যক্তি কতটা নির্লজ্জ হলে শুধু নিজের গুণগান নিজেই গান ।

আপনার নানাজান এর চুরের গল্প পড়তে বড় আশায় বসে ছিলাম, ওই সামান্য চোরদের বিচার হয় কিন্তু এদের কোন বিচার হয়
না ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: উনি নাকি সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবেন রাঙ্কিং ১৫০ এর মধ্যে চলে আসবেন অতি দ্রুত। আনতে পারলে তো ভালোই। তবে একটা কথা আছে না.......যারা ন'য়ে হয় না, তার নব্বুইতেও হয় না। বড় বড় কথা বলা তার মজ্জাগত। কবে জানি বলেছিল, বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে খেলানো তার টার্গেট! এইটা আসলে একটা উজবুক!! ও মনে করে, দেশের বাকী লোকজনও ওর মতোই উজবুক......যা বলবে, তাই গিলবে।

এই টাইপের লোককে হিন্দীতে বলে, ঢাক্কান!!! =p~

পাগলরে সাকো নাড়ানোর রাস্তা দেখায়েন না। আপনার আপনার নানাজান এর চুরের গল্প পড়তে বড় আশায় বসে ছিলাম, ওই সামান্য চোরদের বিচার হয় কিন্তু এদের কোন বিচার হয় না। এই মন্তব্যের উত্তর দিতে গেলে আলাদা পোষ্ট লেখা লাগবে! :(

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

আমি সাজিদ বলেছেন: উনার সাফল্য নাকি উনি লীগকে মাঠে রেখেছেন। মিডিয়াগুলোও যে ন্যাওটা হয়েছে বাংলাদেশে! বলে কি, ভোটে জিতলেন সালাউদ্দিন। অবশ্য মিডিয়া নিয়ে কিছু বলার নাই। ওরাও ভেতরে ভেতরে পেঙ্গুইন কোট পড়ে ফেলেছে। বাদল রায় তেমন প্রচারণা না করেও চল্লিশের উপর ভোট পেলেন। আমাদের স্মার্ট বসের মতো ভোট কিনলে তো জিততেনই প্রায়।


আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব জানেন। সব বুঝেন। উনিই নিশ্চয়ই সব দেখছেন। উনার কাছে নালিশ দিলাম। :)

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশের সব মিডিয়াই পোষা। কেউ এর, কেউ তার.....মিডিয়াতে, সাংবাদিকতার এথিক্সে 'নিরপেক্ষতা' বলে যে একটা শব্দ আছে, সেটাই এরা জানে না। রাস্তার কুত্তাগুলার মতো, যে টাকা দেখিয়ে আ-তু বলে ডাকে, তার দিকেই লেজ দাবিয়ে কুই কুই করতে করতে এগিয়ে যায়। আ রিয়্যাল বান্চ অফ ইডিয়েটস!!! X(

আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব জানেন। সব বুঝেন। উনিই নিশ্চয়ই সব দেখছেন। উনার কাছে নালিশ দিলাম। :) হে হে হে......সে আর বলতে!!!

১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

জুন বলেছেন: ওয়াসার এমডি আর বাফুফের এমডিরে কেয়ামত পর্যন্ত দেখা যাবে। এই দুইজনকে নিয়া কথা বলাই পণ্ডশ্রম। তা এস্টন ভিলার সাত গোল কেমনে লিভারপুল হজম করলো সেই কথা কন। হাজার হইলেও রাজপুত্তুরের প্রিয় দল। লিভারপুল কি আমাগো দেশের স্টাইলে পয়সাকড়ি খাইলো নাকি হাইরা যাওয়ার জন্য B-)

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশের উপরের লেভেলের মোটামুটি সবাই ছ্যাচড়া.......তয় এগুলার মইদ্দে কোনো কোনো টা এক্কেরেই সৃষ্টিছাড়া। ঝাড়ু নিয়া দৌড়ানী না দিলে এগুলারে আপনে খেদাইতেই পারবেন না। B-)

মাঝে-মইদ্দে অপ্রত্যাশিত ঘটনা তো ঘটেই। দ্যাহেন নাই ২০১৫-১৬ তে সব বিগশটগো নাকানি-চুবানি খাওয়ায়া লেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়ন হইছিল! এমুন ঘটনা যুগে একটা ঘটে কিনা সন্দেহ!!

আর পয়সাকড়ি যদি খাইয়াই থাকে, আইজ আর কাইল.......ফাস হইবোই; যদিও বিভিন্ন কারনে সেই চান্স খুবই কম। পিরায় অসম্ভবই কওন যায়। :)

১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এরা হলো রাজনৈতিক পতিতা এরা ধর্ষণ হয় না ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এদেরকে কে ধর্ষণ করবে......এরা নিজেরাই তো ধর্ষক!

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

ওমেরা বলেছেন: খেলাধুলা খুব বুঝি না ,খেলোয়ারদেরও তেমন চিনি জানি না তবে তেল ছাড়া গতি নাই এটা খুব ভালো করেই বুঝি ।
সব কালে সব দেশে তেলের দরকার ছিল, আছে ,থাকবে। তবে বাংলাদেশে তেলের নামে নগ্ন ভাবে যা করা হয় , এটা খুব বিশ্রী ঘৃণা লাগে । এটাকে তেলানো না বলে অন্য কিছু বলা উচিত । কি বলা যায় তা বলতে পারবো না ।

নানা- নাতীর কাহীনিসহ পুরো লিখাই ভালো লেগেছে ।
ধন্যবাদ ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এসব বোঝার জন্য জেনুইন খেলাধুলা বোঝা জরুরী না, এগুলা টেবিলের তলার খেলাধুলা......যা আজকাল দেশের বাচ্চা পোলাপাইনও বোঝে। যেমন, আপনে বুঝছেন, তেল ছাড়া গতি নাই!! =p~

এটাকে তেলানো না বলে অন্য কিছু বলা উচিত । কি বলা যায় তা বলতে পারবো না। আপনি সাহিত্যিক মানুষ, কি বলা যায় চিন্তা করে আমাদের জানান। :)

১৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: আপনার নানাজানের বেহেস্ত নসিব হয় যেন।

উনি আপনাকে কয়টা চোরের গল্প শুনিয়েছেন? আমার মনে হয় উনি বেঁচে থাকলে আজকে আপনি উনাকে হাজার হাজার নানারকম চোরের গল্প শোনাতে পারতেন, সব বড়লোক চোরের গল্প। সেসব শুনে উনি অবশ্যই জিজ্ঞেস করতেন, "এদের তো অভাব নাই, চুরি করে কেন?" উত্তর দিতে গিয়ে আপনি ফাঁপড়ে পড়তেন, এরা কেন চুরি করে বোঝাতে কত কিছু বোঝাতে হত, ছোট ভাইয়ের বন্ধুর প্রতি স্নেহ, অর্থলোভ, বিবেককে নর্দমায় কীভাবে ফেলতে হয় ইত্যাদি...

মানুষের কটুক্তি, অশ্রদ্ধা, ঘৃণা এসবকে তোয়াক্কা না করে কবরে যাওয়া পর্যন্ত অর্থের পেছনে ছোটা- এই ছোটার স্ট্যামিনা কিন্তু শুধু একা ফুটবলার সালাউদ্দিনেরই আছে তা নয়, ওয়াসার এমডিরও আছে। জয়তু তেলতেলে চোরেরা!!


০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার নানাজানের বেহেস্ত নসিব হয় যেন। মহান আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন। আমিন।

না আপা, এইটা ঠিক বলেন নাই। আমার নানা আমার চাইতেও জ্ঞানী ছিলেন।:P উনি আজ বেচে থাকলে এসব খবর নিজেই জানতেন; আর আমাকে বলতেন, ছোটবেলার চোরের গল্প বাদ, এবার বড়বেলার চোরের গল্প শোনো। আর এরা কেনো চুরি করে সেটা আমি উনাকে কি বোঝাবো, উনিই আমাকে বোঝাতেন! :)

এরা কি ইয়াবাখোর নাকি? এই বয়সে এতো ছোটাছুটির এনার্জি পায় কোথা থেকে? জয়তু তেলতেলে চোরেরা!! :-B

১৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

শেরজা তপন বলেছেন: আহা হা মনের কথা বলেছেন ভায়া... আসুন বুকে জড়িয়ে ধরি :)

ধন্যবাদ আপনাকে ডিটেল তুলে ধরার জন্য

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন:

১৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বর্তমানে আমাদের ব্যক্তিগত,পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে তৈলের প্রয়োজনীয়তা অসীম।এর উপকারীতা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা।তাই এ চেষ্টা করা বাদ দিলাম।

শুধু আপনার মত এটাই বলব - উনাকে,উনার হাসিটাকে সবাই ভাল করে দেখুন- কতটা তৈল জমা আছে উনার শরীরে আর কতটা তৈলাক্ত উনার হাসিটা।

জয়তু তৈলবাজী।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ''আমাদের ব্যক্তিগত,পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে তৈলের গুরুত্ব'' শিরোনাম দিয়ে একটা রচনা লিখুন।

না, আপনাকে লিখতে বলছি না। আসন্ন বিসিএস পরীক্ষায় এই প্রশ্ন আসতে পারে। তাই সম্ভাব্য পরীক্ষার্থীদেরকে আপনার মাধ্যমে আগাম এবং যথাযথ প্রস্তুতির অনুরোধ জানাচ্ছি!! =p~

১৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নির্লজ্জ, বেহায়া, বেশরম, পা-চাটা কুত্তা কোথাকার!

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হঠাৎ চেইতা গিয়া কারে এইসব কন হেনাভাই? :P

১৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আয়নাবাজির সবই দারুন ফুটেছে আপনার আয়না দর্শনে!

এরা
কতটা নির্লজ্জ!! কতটা????
কতটা দেশপ্রেমহীন!!! কতটা???
কতটা স্বার্থপর? লোভী? বদমাইশ????

একটা দেশের প্রতিটি সেক্টরে এমন গিজগিজে চোর চোট্টায় দেশের মান আজ তরতর করে নামছে!
পূর্ন বিপ্লব ছাড়া গতানুগিতক পথে আর আশা নেইইই......

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কতোটা নির্লজ্জ, দেশপ্রেমহীন, স্বার্থপর, লোভী, বদমাইশ? ভালো প্রশ্ন। উত্তর এক কথায় হবে, বোধকরি.......মহাশুন্যের মতোই সীমাহীন!!!

একটা পূর্ন বিপ্লব এখন সময়ের দাবী। আমার প্রশ্ন, কবে আসবে সেই সুদিন?

১৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই কোনো ভালো ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। উনি তো সব জানেন বুঝেন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ........তরে কইছে!!!






আপনাকে বলি নাই। কোন নাটকের ডায়লগ জানি এটা? =p~

২০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নির্লজ্জতাই ক্ষমতাবানদের অহংকার !

ও আল্লা আপনেও মোহামডান ছিলেন !! এই জীবনে ব্রাজিল আর মোহামেডানের জন্য যত নফল নামাজ পড়ছি , নিজের রেজাল্ট এর জন্য ও তা করি নাই ;)

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নির্লজ্জতাই ক্ষমতাবানদের অহংকার! কোট করার মতোই একটা বাণী। দিয়েছেন, সামু'র অন্যতম বিদূষী এবং একমাত্র বয়ঃ বৃদ্ধা ব্লগার মনিরা সুলতানা। B-)

ছিলাম কি, এখনও 'মোহামেডান' শব্দটা আমাকে আবেগতাড়িত করে। যদিও এখন ফুটবলে আগের মতো আগ্রহ নাই। তবে, মোহামেডান ক্লাব তো ক্রিকেটও খেলে। আর ব্রাজিল কিন্তু মিলে নাই, আমি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার!!

আমার আব্বা বলতেন, মোহামেডান আর আর্জেন্টিনাকে নিয়ে তুই যতোটা সিরিয়াস, পড়ালেখায় এতোটা সিরিয়াস হইলে একদিন বিরাট কিছু হইতে পারতি!!! =p~

২১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১৭

মা.হাসান বলেছেন: করিতে পারিনা কাজ
সদা ভয় সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে
পাছে লোকে কিছু বলে।


কিছু লোক সমালোচনা করবে বলেই কি ছালাউদ্দিন সাহেব দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন? যেই পদযুগল তাকে সারা জীবন দৌড়িয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে, লোকনিন্দার ভয়ে তিনি সেই পদযুগল ত্যাগ করবেন? কভি নেহি।

১৯৭১এর পর ক্রিকেটাররা ক্রিকেট খেলার জন্য একটা স্টেডিয়াম চাইলে বলা হয়েছিলো ক্রিকেট পাকিস্তানিদের খেলা। ছোটোবেলায় আমিও বাঙালি ছিলাম। ফুলবল খেলার খবর রাখতাম। কাটা রাইফেল বাইরে রেখে ভিতরে ঢুকতেন বলে সাধু সাজতে চাচ্ছেন। ঐ সময়ে ব্যাগে করে লোকে ভিতরে ইটের টুকরা নিতো। আর নিতো ছাতা। মোহামেডান আর আবাহনি- যেই জিতুক না কেনো, রেফারি হাসপাতালে। এমন খেলা বাঙালির প্রিয় হবে না তো কি পমপম হাতে মেয়েরা লাফাবে এই বিজাতীয় ক্রিকেট পছন্দ করবে?

যা হোক, আসলাম-কায়সার হামিদ পর্যন্ত ফুটবলের খবর রেখেছিলাম। এর পর ষড়যন্ত্রকারিরা আমাকে বাঙালি থেকে ক্রিকেট প্রেমি বানিয়ে দিয়েছে।

শালাউদ্দিনের একটা ব্যক্তিগত রেকর্ড ছিলো। এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (মনে হয় ২৬টা)। পরে মোহামেডানের আব্দুস সালাম এই রেকর্ড ভাঙলে যদি কিছু মনে না করেন অনুষ্ঠানে আব্দুস সালামের সাক্ষাতকার নেয়ার সময় উনি বলেন যে আসলে সবগুলো গোলের পিছনে ওনার একার কৃতিত্ব নাই। বেশ কয়েকটা গোল এমন হয়েছে যে সতীর্থরা নিজে করতে পারতেন, কিন্তু নিজে না করে ওনাকে বল পাস করেছিলেন যেন উনি ছালাউদ্দিনের রেকর্ড ভাঙতে পারেন।

ব্যাপার এটাই। ষড়যন্ত্র। ছালাউদ্দিনের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু লোক ওনাকে সরাতে চাচ্ছে। আব্দুস সালাম যেরকম একক ভাবে পারেন নি, ষড়যন্ত্র করতে হয়েছে, সেই ভাবে এখনো ষড়যন্ত্র করতে হচ্ছে।

আপনারা ফুটবলকে এলিটদের খেলা বানাতে চান। উনি ফুটবলকে ১৫ কোটি লোকের খেলা বানাতে চান। এক নম্বরে থাকে এলিট লোকেরা। শেষে থাকে আম জনতা। উনি ফুটবলের আম জনতার সাথে থাকতে চান।

আপনি যদি ফুটবলে পৃথিবীতে তিন নম্বর স্থানে আছে এমন দেশ কে জিজ্ঞাসা করেন -তোমাদের সামনে কে আছে? সহজেই তারা বলতে পারবে। সামনের খবর সবাই রাখে। যদি জিজ্ঞাসা করেন- পেছনে কে আছে? বেশির ভাগই পারবে না । আমরা ফুটবলে এক নম্বরে থাকলে পৃথিবীর কথা জানতে পারতাম না। এখন সবর খবর রাখি । এটা তো খুবই ভালো কথা। ছেলেরা পৃথিবীতে কয়টা দেশ আছে তা শালাউদ্দিন ভাইয়ের কল্যানে জানতে পারছে। এই রকমের কথা আমি আমার এই পোস্টের ১৮ নম্বর কমেন্টের জবাবেও বলেছিলাম (১৮ নম্বর কমেন্ট আপনারই ছিলো)।

যা হোক, ষড়যন্ত্র করে লাভ নাই। ষালাউদ্দিন সাহেব আর ওনার জামাই মিলে বাফুফেতে বুফে চালাক। অন্তত ২০৪১ পর্যন্ত চালাক।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: না, সমালোচনার ভয়ে ছালাউদ্দিন সাহেব উনার ছালা কক্ষোনো ছাড়বেন না। যতো সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে, উনি উনার ছালাকে ততোই দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরবেন। এইটা হইলো নিপাতনে সিদ্ধ একটা ব্যাপার।

স্টেডিয়ামের গেটম্যানদেরকে কিন্চিৎ পয়সা-কড়ি দিলে ২/১টা ককটেল ভিতরে নিতে দিত। পিস্তল, বন্দুক কাভি নেহি, কারন চেকিংয়ে গেটম্যানদের সাথে পুলিশও থাকতো। কাজেই ওসব বাইরে রাখা ছাড়া কোন গতি ছিল না। সাধু আমি কোন কালেই আছিলাম না, সেই দাবীও করি না। এখন ব্লগে আপনেদের মতোন সাধুদের সাথে যোগাযোগের কারনে সামান্য ভান ধরি আর কি......হে হে হে!!!

ঠিকই বলেছেন। তখন আবাহনী-মোহামেডানের খেলা মানেই একটা যুদ্ধাবস্থা। খেলা সন্ধ্যায়, কিন্তু মোটামুটি বিকাল থেকেই ব্যস্ত মতিঝিল আর বায়তুল মোকাররম এলাকা ফাকা হয়ে যেতো। ওই অভিমুখি বাস আর গাড়িও ঘুরিয়ে দেয়া হতো। সন্ধ্যার আগেই দোকান পাট বন্ধ, একেবারে কার্ফিউ অবস্থা। এর মধ্যেই সমর্থকদের মুহুর্মুহু হুঙ্কার.......আহা হা হা.....কি দিন ছিল, কি উত্তেজনা!! কাজেই পমপম হাতে মেয়েদের লাফানোর খেলা বিজাতীয় ক্রিকেট কে পছন্দ করবে? হক কথা! =p~

ঢাকা স্টেডিয়াম নিয়ে ক্রিকেট আর ফুটবলের টাগ অফ ওয়ার এক সময়ে বেশ জমে উঠেছিল। তবে, ওটা কিন্তু বানানো হয়েছিল ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসাবেই।

যতোদিন ফুটবল খেলেছে, সে সালাউদ্দিন ছিল। এখন ছালাউদ্দিন বা শালাউদ্দিন এ পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে কোন ষড়যন্ত্র নাই। যারা এটা চিন্তা করে তাদের মুখে ছাই। ওর এখন সিনেমায় স্টান্টবাজির ভুমিকায় নামা উচিত। মেসিকে বাংলাদেশে আনাও ছিল একটা স্টান্টবাজি। হালায় বুইড়া শয়তান একটা!! X(

আমরা আর কিছুই চাই না, শুধু চাই ওই হালা তার ছালা আর জামাইরে নিয়া সইরা যাউক। তাইলেই হবে। নয়তো দেশের ফুটবল **মারা খাক গিয়া, আমার কি? আমি এখন চেলসিরে নিয়াই খুশী। :-B

এই রকমের কথা আমি আমার এই পোস্টের ১৮ নম্বর কমেন্টের জবাবেও বলেছিলাম (১৮ নম্বর কমেন্ট আপনারই ছিলো)। কুন পোষ্টের কথা কন? ইয়াদ নাই। স্মৃতিশক্তি আজকাল দুব্বল হয়া গ্যাছে। :((

বি.দ্রঃ শুরুর কবিতাটা কমন পড়ছে। কুট্টিকালে পড়ছিলাম!!! ;)

২২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টের শেষ অংশ নিয়ে কিছু বলবো না। আমার খেলা ভালো লাগে না। ক্রিকেট দেখতাম। আজাহার উদ্দিন ফিক্সিং এ জড়িয়ে যাওয়ার পর ক্রিকেটের উপর বিশ্বাস চলে গেছে। শুধু মনে হয় যেন,যে খেলাটা আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে সময় দিয়ে দেখছি, খেলাটি অনেক আগেই নিষ্পত্তি হয়ে আছে।

ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি, যারা ছোটবেলায় গ্রামে থাকে একটু পড়াশোনা করলে নাকি শহরে থাকতে পারে।আর শহরের ছেলেরা একটু পড়াশোনা করলে নাকি বিদেশে থাকতে পারে।সেই কবে থেকে শুনে আসছি কিন্তু কথাটির তেমন কোনো জোরালো প্রমাণ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে আজ একজনকে পেলাম, যিনি কৈশোরে শহরে কাটিয়ে এখন বিদেশে জীবন অতিবাহিত করছেন।

উল্লেখ্য আমার প্রিয় খাবার কলা!!! এমন অকপট স্বীকারোক্তি ভালো লাগলো হেহেহেহেহে.... খান খান বেশি করে খান।


১০ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোস্টের শেষ অংশ নিয়ে কিছু বলবো না বলে তো প্রথম অংশ নিয়েও কিছু বললেন না। তার চেয়ে রাজীব নুরের মতো পোষ্ট নিয়ে কিছু বলবো না বললে ভালো হতো না!!! :-B

গ্রামে থাকলে শহরে, আর শহরে থাকলে বিদেশে.....এমন কোন ফর্মুলা নাই। যে কেউ যে কোনও খান থেকে যে কোনও খানে যেতে পারে।

কলা আমার প্রিয় শুনে হে হে হে করার কিছু নাই। কলা বান্দরেরও প্রিয়.....তো!!! কলা তো হাতিরও প্রিয়! নাকি ভুল বললাম। এনিওয়ে, পোষ্টটা আপনার ভালো না লাগা সত্বেও এসেছেন, সেজন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ। :)

২৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৭

অপু তানভীর বলেছেন: আরে টেনশন নিয়েন না । এইবার যখন কইছে তখন সে উন্নতি করবেই করবে । কুনো টেনশন নাই । এখন দেখার বিষয় সেই উন্নতিটা সামনের দিকে নাকি পেছনের দিকে । :D

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখাদেখির কিছু নাই। সে পেছনের দিকেই উন্নতি করবে.......আমার বোঝা সারা। যার ন'য়ে হয় না, তার নব্বুইতেও হয় না। হালায় একটা উজবুক। এর কাছ থিকা খালি উজবুকীই পাওয়া যাবে। আচ্ছা, এরে উজবেকিস্থান পাঠায়া দিলে কেমন হয়? :-B

২৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৭

মা.হাসান বলেছেন: এই রকমের কথা আমি আমার এই পোস্টের ১৮ নম্বর কমেন্টের জবাবেও বলেছিলাম

লিংক একটা দিসিলাম, ষড়যন্ত্র কইরা কে যেন মুইছা দিসে--পরাজয়ে ডরে না বীর। আমি আবার দিলাম।
মানব সভ্যতাকে বাঁচাতে হাত বাড়িয়ে দিন

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে আপনের কপালটাই খারাপ। সব যড়যন্ত্র খালি আপনের সাথেই হয়!! কি বলেন, আপনে কি ডরানোর মতোন বীর? শত্রুও তো এই কথা শিকার (স্বীকার) যাইবো না। =p~

২৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪৪

সোহানী বলেছেন: হেহেহেহে আপনি মনে হয় ভুইলা গেছেন দেশটার নাম বাংলাদেশ। সালাউদ্দিনের মতো নির্লজ্জদের জন্যই এ দেশ!!!

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুলি নাই রে ভাই! বাংলাদেশ দেইখাই তো এইসব কথা কওন লাগে। আপনের বা আমার দ্বিতীয় দেশ হইলে তো আর কওয়া লাগতো না........কি কন! কথা কি মিছা কইলাম? মিছা কইলে আওয়াজ দিয়েন। :-B

সালাউদ্দিন না। সে এখন 'শালাউদ্দিন' বা 'ছালাউদ্দিন'।

২৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কমেন্ট করে আজ ষোলকলা পূর্ণ হলো। এবার লাইক। হেহেহে

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইবার বুজছি.........আপনের পছন্দ হইছে। আগেই ব্যাপারটা পরিস্কার করলেই তো হইতো!!!! :-B

২৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

মিরোরডডল বলেছেন:



রম্য আকারে দারুণ পোষ্ট ! এ আর নতুন কি ! এরকম নির্লজ্জ অগণিত ।

ভুম, সংবিধান থাকা উচিৎ যে এরকম পজিশনে ইন এ রো দুবারের বেশী একজনকে মনোনয়ন দেয়া হবে না । পারফরমেন্স ভালো হোক আর মন্দ হোক । এবং এটা আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্যও হওয়া উচিৎ । একজন পর পর দুবারের বেশী থাকতে পারবে না ।

আজব এক দেশ । একবার কেউ ক্ষমতায় গেলে জোঁকের মতন ধরে রাখে । আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে সব জায়গায় নিজের লোক বসায় । আর নির্লজ্জতাই তখন তাদের যোগ্যতা । যাদের সামান্যতম ব্যক্তিত্ব আছে, চক্ষুলজ্জা আছে তারা কখনোই সেপথে যাবেনা । পারফরমেন্স খারাপ হোলেতো নিজে থেকেই রিজাইন করা উচিৎ ।


১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সংবিধান বা আইন থাকলেই কি? বাংলাদেশে ওসব কেতাবী কথা, কেতাবেই থাকে। বাস্তবে এসবের দেখা পাবেন না। আপনার এই প্রস্তাব যাও একটু পানি পেতো, প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে তো সব ভজঘট করে দিয়েছেন। বাংলাদেশে কেউ দু'বারের জন্য ক্ষমতায় আসে? আপনি না একটা......যা তা!! যতোদিন জনপ্রিয়তা থাকবে, ততোদিন ক্ষমতায় থাকবে; আর জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হবে জনতার ইচ্ছায় না, নিজের ইচ্ছায়!!! :P

আজব এক দেশ। এইতো লাইনে আসছেন। দেশকে পুরাপুরি বুঝতে হলে দিব্যদৃষ্টির দরকার, যেটার অভাব দেখতে পাচ্ছি আপনার মধ্যে। বাংলাদশে নিয়ে বেশী বেশী স্টাডি করেন......আশাকরি অচিরেই আপনি চমৎকার দিব্যদৃষ্টির অধিকারী হতে পারবেন। :-B

২৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০০

ইসিয়াক বলেছেন: আসতে অনেক দেরী হয়ে গেলো।
চোরের কাহিনী অফ লাইনে পড়েছি বেশ আগে। লগ ইন করতে পারিনি ব্যস্ততার জন্য।তাই ইট পাতা হয়নি ইচ্ছে থাকা স্বত্ত্বেও।
এরকম চোরের কাহিনী দিয়েন।শুভকামনা।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসতে দেরী হইলে অসুবিধা নাই, আসাটা জরুরী।
এরকম চোরের কাহিনী দিয়েন। দিয়া কি লাভ? আপনেরা তো ততোটা পছন্দ করেন না। :((

২৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৪

ইসিয়াক বলেছেন: দিয়া কি লাভ? আপনেরা তো ততোটা পছন্দ করেন না।
B:-/

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কথা কি মিছা কইলাম? B-)

৩০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপনি নি:সন্দেহ একজন মজার মানুষ। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝা গেল।
বাংলাদেশ ফুটবল নিয়ে মনের যত ক্ষোভ, আবেগ মনের কথা সব আপনি বলে দিলেন।
তবে চিন্তার কিছু নাই সালাউদ্দিন সাহেব ৩ বারে পাড়ে নাই তো কি হয়ছে, এইবার লক্ষ্য
মিশন ২০২৬ বিশ্বকাপ :) এরমধ্য
ফিফার প্রেসিডন্ট এর সাথে খাতিরেই কারনে, শেখ কামাল ক্লাবকে বিশেষ বিবেচনায়
ইউএফা খেলার সুযোগ প্রদান করা হবে। :)

আপনার সাথে অহেতুক আমার পোষ্টে তর্কে জরানোতে আমি ক্ষমা পার্থী।
ব্লগার চাংকু সাথে আপনার যোগাযোগ হলে অনুগ্রহ পুর্বক বলে দিবেন। ব্লগিং হোক আনন্দময়,
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সার্ফ এক্সেলের একটা এ্যাড ছিল না! দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়, তাহলে দাগই ভালো!! তেমনি তর্ক থেকে যদি ভালো কিছু হয়, তাহলে তর্কও ভালো। ক্ষমা চাওয়ার কিছু নাই......ব্লগিংয়ে এসব হয়। তবে আপনার এটিচ্যুড ভালো লাগলো। আই মাস্ট এপ্রিশিয়েট!! ব্লগার চাঙ্কু খুবই অনিয়মিত, কথা হলে জানিয়ে দিবো।

দেখা যাক, সালাহউদ্দিন বাংলাদেশের রবার্ট ব্রুস হতে পারে কিনা। আমার অবশ্য ওর উপরে কোন ভরসা নাই।

আমি মজার মানুষ কিনা জানিনা, তবে আমার সিরিয়াস পোষ্টেও কেন জানি অনেকে মজা পায়। ব্যাপারটা দুঃখজনক! আমি অবশ্য চেষ্টা করি, সিরিয়াস পোষ্টে সিরিয়াস থাকার। আর হাল্কা চালের পোষ্টগুলোর তো কথাই নাই। এনিওয়ে, কথায় কথায় আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতঃ জানাতেই ভুলে গিয়েছি।

আমার ব্লগবাড়িতে সু-স্বাগতম। আপনার ব্লগিংও আনন্দময় হোক। :)

৩১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৮

জাফরুল মবীন বলেছেন: লজ্জা থাকলে তৈলবাজি করা সম্ভব নয়।আর এদেশে তৈলবাজদের তেলে রাজনীতির গাড়ি চলে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সঠিক কথা বলেছেন, মবীন ভাই। তৈলবাজী আর লজ্জার মধ্যে কোন মিলঝুল নাই, একে অপরের শত্রু!! :)

৩২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: বর্তমানে এত অনলাইন পাল্টফর্ম থাকতে ব্লগিং পড়া এবং লেখার মত
একটি কঠিন কাজ একদল রুচি এবং সৃজনশীল মানুষ করে বলে আমি মনে করি। প্রত্যক ব্লগারই নিজের আত্ন
সম্মান নিয়ে ব্লগিং করে। তাই ”আপনি হয়তো জানেন না ” এমন শব্দ ব্যবহার করা আমার উচিত হয় নাই!!

যাওগা ভারী কথা!!!! আপনে যেহেতু জীম করেন বলছেন! আমাকে কিছু টিপস দেন! ;)
বছর খানিক আগে জীম ছাইরা, আমার এখন জলহস্তীর মত ওজন বাইরা গেছে।
কিছু ফ্রি হেন্ড ব্যায়াম কইরা আবার জয়েন করবো ভাবতেছি।
এন্যাজি পাইতে একটু কষ্ট হয় বিধায় শুরুতে গ্লুকোজ এবং প্রোটিন সেক খাওয়া ঠিক হইবো কি??

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম কথা হলো, আমি ইন্সট্রুমেন্টাল এক্সারসাইজ করি না। জিমে যাই, সপ্তাহে চার দিন; ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, লন টেনিস আর স্কোয়াশ খেলি (একেকদিন একেকটা)। সবই র‌্যাকেট গেইম.....সব ক'টাই আমার খুবই প্রিয়। তারপরে সাতার কাটি। স্টীম বাথ, আর জাকুজি নিয়ে শাওয়ার করে চলে আসি।

আমি দোকানের প্রোটিন শেক খাই না, নিজে বানাই। দুধ, আলমন্ড, মধু, খেজুর বা স্ট্রবেরী, কলা.........ব্লেন্ডারে দিয়ে। ব্রেকফাস্টের সাথে।

আপনার ব্যাপারে আমার জিম ইন্সট্রাক্টরের সাথে আলাপ করেছি। আমার হোম মেইড প্রোটিন শেকও তারই অবদান। তার সাজেশান হলো, ফিজিক্যাল এক্টিভিটি থাকলে এই ঘরে তৈরী শেক খেতে পারেন। এর কোন সাইড এফেক্ট নাই। তবে, কোন ফিজিক্যাল এক্টিভিটি না থাকলে এটা খেলে ওজন আরো বাড়বে।

আমার ব্যাক্তিগত সাজেশান হলো, ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে ব্যায়াম না করা। আর যদি করতেই হয়, তাহলে শুধু জগিং, রোয়িং আর সাইক্লিং। এর বেশী কিছু না।
আশাকরি, শীঘ্রই আপনি জলহস্তী থেকে আবার মানুষে রুপান্তরিত হবেন। :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.