নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের ব্লগের একজন অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগার, জনাব রাজীব নুর। উনি সব পোষ্টেই কিছু না কিছু মন্তব্য করেন। অভ্যাস খুবই ভালো। তবে মন্তব্যের কোয়ান্টিটি বজায় রাখতে গেলে যা হয়, কোয়ালিটিতে কম্প্রোমাইজ করতেই হয়। তাই বেশীরভাগ সময়েই উনার মন্তব্যের গভীরতা কম। সে যাই হোক, ব্লগার রাজীব নুরের অত্যাশ্চর্য মন্তব্যগুলির ব্যবচ্ছেদ করা আমার এই পোষ্টের উদ্দেশ্য না। গতপরশু উনার একটা মন্তব্যের দিকে আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। মন্তব্যটা শিরোনামের ছবিতে দিয়েছি। তবুও আবার দেই, ''যদিও বা আইনের ভয়ে বাইরের নির্যাতন বন্ধ হয়। ঘরের ভেতর যে নির্যাতন হয় সেগুলির কি হবে?''
এক লাইনের ছোট্ট একটা মন্তব্য, কিন্তু অনেক গভীরে এর শেকড়। মন্তব্যটা পড়ে আমার বেশ অনেক বছর আগের একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল; আর ঘটনাটা আপনাদেরকে বলতে মন চাইলো। খুবই কম মানুষের সাথেই এটা শেয়ার করেছি আমি। কারনটা পড়লেই বুঝতে পারবেন।
যে সময়টার কথা বলছি, তখন আমি একটা বিশেষ কারনে দু'মাসের জন্য দেশে গিয়েছি। শুক্রবার ছুটির দিন, আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর বাসায় যাচ্ছি। বাসার কাছে গিয়ে কি মনে করে বাসায় আছে কি নাই জানার জন্য ওকে ফোন দিলাম। ও বললো, বাসায় মলি আছে। তুই গিয়ে আড্ডা দে, আমি একটু বাইরে, চলে আসছি। উল্লেখ্য, আমরা বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু, বন্ধুদের বউদেরকে ভাবী বলি না। নাম ধরে ডাকি আর তুমি করে বলি। যাই হোক, বাসায় গিয়ে দেখি মলি আর ওদের বছর সাতেকের মেয়ে তানিশা (নাম দু‘টি অবশ্যই কাল্পনিক) ড্রয়িংরুমেই আছে। বছর তিরিশের কাছাকাছি এক যুবকও বসা। পরিচিত হলাম, মলির কাজিন। টেবিলে দেখি অনেক বিস্কিট/চকলেটের প্যাকেট। মেয়ে মায়ের কোল ঘেষে দাড়িয়ে, আর যুবকটা মেয়েকে বলছে, মা তানিশা, দেখো তোমার জন্য কত্তোকিছু এনেছি, আসো আমার কোলে আসো। ছেলেটা যতোই ওকে ডাকে, ও ততোই চোখমুখ শক্ত করে মায়ের কোল ঘেষে দাড়ায়। মলিও বলছে, যাও, মামার কাছে যাও। মেয়ে নিরুত্তর। লোকটা এবার উঠে দাড়িয়ে ওকে কোলে নিতে গেল। সবাইকে হতচকিত করে দিয়ে তানিশা একলাফে ওর মার কোলে চড়ে বসলো, আর সেই সাথে চিৎকার করে কান্না। আমরা সবাই অপ্রস্তুত। এর পরে তো আর কথা আগায় না। অতঃপর দু‘একটা কথা বলে যুবকের প্রস্থান।
মলি কোল থেকে তানিশাকে নামিয়ে দিয়ে বললো, তুমি চাচ্চুর সাথে গল্প করো। আমি চা-নাস্তা বানিয়ে আনছি। এমনিতে তানিশার সাথে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তবে, একটু আগের অভিজ্ঞতার কারনে ভয়ে ভয়ে বললাম; আমি তো তোমার জন্য অনেক কিছু আনি নাই, মাত্র এক প্যাকেট চকলেট এনেছি। চাচ্চুর কাছে আসবে?
পুতুলের মতো মেয়েটা ঘাড় কাৎ করে চোখ মুছতে মুছতে সোফায় আমার পাশে এসে বসলো, আর আমিও এতোক্ষণ টেনশানে আটকে রাখা দম ফেললাম কোনও রকমে। ওকে একহাতে জড়িয়ে ধরে চকলেট দিতে দিতে বললাম, মামার কাছে গেলে না কেন? তোমাকে কত্তো আদর করে। তোমার জন্য কতোকিছু এনেছে!!
ও আমার ঘাড়ের উপর দিয়ে রান্নাঘরে ওর মাকে দেখার চেষ্টা করতে করতে ফিসফিস করে বললো, এই মামাকে না আমার একদম ভালো লাগে না! ওর ভাবভঙ্গি দেখে মলিকে চিৎকার করে বললাম, আমি তানিশাকে নিয়ে বারান্দায় যাচ্ছি, তুমি চা-নাস্তা নিয়ে বারান্দায় আসো। তারপরে তানিশাকে কোলে নিয়ে বারান্দায় গেলাম।
তানিশাকে বললাম, ওই মামাকে তোমার ভালো লাগে না কেন মামনি? তোমাকে তো অনেক আদর করে!
ও আমাকে হতবাক করে দিয়ে আবার ফোপাতে ফোপাতে বললো, জানো চাচ্চু এই মামাটা না আমার এইখানে জোরে কিস করে, বলে ঠোট দেখালো। আমার ব্যাথা লাগে। আর কোথায় কোথায় হাত দেয়!!! আমি বাকরুদ্ধ। ভয়ের চোটে তাড়াতাড়ি ওকে কোল থেকে নামিয়ে দিলাম। এই ধরনের পরিস্থিতিতে এদের এক্সট্রা সেন্সিটিভ হয়ে যাওয়াটা অসম্ভব কিছু না।
এরই মধ্যে মলি চা-নাস্তা নিয়ে এসে আমার গা ঘেষে তানিশাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে বললো, এ্যহ্, চাচ্চুর সাথে তো দেখি ঠিকই বারান্দায় এসেছো শয়তান মেয়ে! আর মামার কাছেই যাও না। দিনকে দিন অসামাজিক হয়ে যাচ্ছে মেয়েটা। আসুক আজকে তোর বাবা!!
মলিকে আমি কিছুই বলি নাই। যা বলার আমার বন্ধুকে বলেছিলাম। আর এরপর থেকে বদমাশটার জন্য ওই বাড়ির দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো, মলি একজন স্নাতক পাশ শিক্ষিত মেয়ে। তারপরেও সে তার মেয়ের বিষয়টা বোঝে নাই, বা বুঝলেও ততোটা গুরুত্ব দেয় নাই। মেয়েও যে কারনেই হোক, হয়তোবা ভয়ে তার মা‘কে বিষয়টা খোলাখুলি জানায় নাই। আমাকে কেন বললো, সেটাও একটা রহস্য। তবে আমার বন্ধুর কাছ থেকে যতোটা জেনেছি, তানিশা মাকে ওর অপছন্দের কথা বলেছিল, মা সেটা অসামাজিকতা মনে করে উড়িয়ে দেয়ায় ওখানেই ঘটনার সমাপ্তি ঘটে।
ঘরের ভেতরে নির্যাতনের বয়সভেদে বিভিন্ন মাত্রা আছে। প্রাপ্তবয়স্কদের উপর নির্যাতন গোপন রাখা যায় না; কোন না কোন ভাবে একসময়ে বের হয়েই আসে। কিন্তু শিশু নির্যাতন বেশীরভাগ সময়ই লোক-চক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়। কোন কোন সময়ে এটা কোনো এক পর্যায়ে প্রকাশ্যে আসলেও বেশীরভাগ সময়েই অনেক দেরী হয়ে যায়……..ফলে করার তেমন কিছুই থাকে না। আমি মনে করি, এ‘ক্ষেত্রে মা‘দের ভূমিকা বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কর্মজীবি না হলে, সন্তানদের সাথে উনারাই সবচেয়ে বেশী সময় ব্যয় করেন। আর মা কর্মজীবি হলে দায়বদ্ধতা বাবা-মায়ের সমান সমান। সন্তানদের যে কোনও সমস্যা বা অভিযােগ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত। আর সন্তান ইন্ট্রোভার্ট টাইপের হলে তাদের আচার-আচরণের পরিবর্তন, কথা-বার্তার ধরন আর একাকী থাকার প্রবণতাকে স্বাভাবিকভাবে না নেয়াই ভালো। অন্ততঃ এর পেছনের কারন খতিয়ে দেখা দরকার। এই ধরনের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের করার বহুকিছুই আছে; অবহেলা করার কোন অবকাশ একেবারেই নাই।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নির্যাতিত শিশুরা সাধারনতঃ রুগ্ন-স্বাস্থ্যের হয়ে থাকে। শিশুদের নিগ্রহের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে অনেকগুলি অসুস্থতা এবং অক্ষমতা। উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, অপুষ্টি এবং প্রজনন তন্ত্র এবং প্রসবের সমস্যাগুলি অনেকসময়েই চাইল্ড মলেস্টেশানের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এ‘ছাড়াও নির্যাতিত শিশুদের মনোঃজগতে একটা বিরাট পরিবর্তন ঘটে যায়। যারা সময়ের সাথে সাথে এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা কাটিয়ে উঠতে পারে, তারা ভাগ্যবান। বেশীরভাগেরই সেই সৌভাগ্য হয় না। ফলে বাকী জীবনটাতে সেই শৈশবকালীন দুঃস্বপ্ন তাদের তাড়া করে ফেরে। অনেকে বড় হয়ে নিজেরাও একই ধরনের কাজ করাকে খারাপ মনে করে না। আসলে আমাদের বুঝতে হবে, সব কিছুই গবেষণাতে উঠে আসে না। মানুষের মন অত্যন্ত জটিল একটা জিনিস। কার মন কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে…….এটা অনেকসময়, এমনকি সেই মনের অধিকারী মানুষটাও বুঝতে পারে না।
পরিশেষে বলি, অন্যান্য সব নির্যাতনের মতো শিশু নির্যাতনও হয়তো চিরতরে বন্ধ করা সম্ভব না। তবে, সচেতন হলে এটা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা সম্ভব। শুধু দরকার শিশুদের প্রতি অখন্ড মনোযোগ, তাদের যে কোনও কথাকে উড়িয়ে না দিয়ে সেটার গুরুত্ব দেয়া আর সন্দেহজনক কোন চরিত্রকে বাড়ির কিংবা শিশুর আশেপাশে ভিড়তে না দেয়া।
''ঘরের ভেতরের নির্যাতন'' অত্যন্ত ডাইভার্স একটা বিষয়। আমি শুধু শিশু নির্যাতন নিয়েই বললাম। আর আমি সচেতনভাবেই শুধুমাত্র মেয়ে শিশু নির্যাতন না বলে ''শিশু নির্যাতন'' বলেছি, কারন অনেক ছেলে শিশুও এ'ধরনের ঘরোয়া নির্যাতনের শিকার হয় অহরহ। মেয়ে শিশুদের যৌণ নির্যাতন বিষয়ে একটা অত্যন্ত চমৎকার হিন্দী মুভি আছে। অনেকেই হয়তো দেখেছেন। আলিয়া ভাট আর রণ্দ্বীপ হুডা অভিনীতঃ হাইওয়ে। যারা দেখেন নাই, একবার দেখতে পারেন। পোষ্টটা লেখার সময়ে মুভিটা নিয়ে কিছু বলার জন্য মন আইঢাই করছিল, কিন্তু কিছু বললাম না, যারা দেখেন নাই তাদের জন্য স্পয়লার হয়ে যেতে পারে।
একটা অনুরোধ। বাবা-মা'য়েরা একজন আরেকজনকে সকল সময়ে মনে করিয়ে দিবেন, Did you listen to your child carefully when they told you about any ABUSE? কারন, it’s a saying that, A woman has three greatest enemies: men, another woman, and silence……….!!!! কথাটা কিন্তু সব নির্যাতিতদের জন্যই প্রযোজ্য।
এই ব্লগের অন্যতম সুপারস্টার ব্লগার রাজীব নুরের উল্লেখিত মন্তব্যের সূত্র ধরেই এই পোস্টের সূত্রপাত। সেই চিন্তা থেকেই পোষ্টটা উনাকে উৎসর্গ করা হইলো।
মূল ছবিটা গুগল থেকে নেয়া। ছবির ভিতরের ক্যারিকেচারটা আমারই কাচা হাতের কাজ।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থা একটা পুরাপুরি হ য ব র ল আবস্থার মধ্যে আছে। শিক্ষকদের যেমন প্রশিক্ষণের অভাব, শিক্ষার্থীদেরও তেমনি বুঝতে পারার অভাব। বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শ্রেণী থেকে আসা শিক্ষক আর শিক্ষার্থী, শহর-গ্রামের বৈষম্যসহ বিভিন্ন রকমের বিভাজন; সর্বোপরি তাদের মন-মানসিকতার বিভিন্নতা.......এসবই আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থাকে পিছনে টেনে রেখেছে।
তবুও তো অন্ততঃ 'গুড টাচ-ব্যাড টাচ' শেখানো হচ্ছে! তাও বা মন্দ কি? অন্ততঃ কিছু তো হচ্ছে!! কাজের কাজ হতে হলে শিক্ষা-ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। তার আগে, অন্ততঃ পারিবারিক পরিবেশের দিকে আমাদের নজর দেয়া উচিত। সেটা তো এ্যটলিস্ট আমাদের নাগালের মধ্যে!!
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৪
সামিয়া বলেছেন: আপনি তো অতিরিক্ত ভালো লেখেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। হাইওয়ে ছবিটা আমি দেখেছি সে সময় ই।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওয়াও.....হোয়াট এ্য প্লেজেন্ট সারপ্রাইজ!! বহুদিন পরে আপনার দেখা পাওয়া গেল।
'অতিরিক্ত ভালো লেখেন' বলে আমাকে আর শরমিন্দা করবেন না। আমি আদপেই একজন হরিপদ পাল টাইপের ব্লগার। মাঝে মধ্যে তো এমন চিন্তাও হয়.....সত্যি কি আমি আসলে ব্লগার হতে পেরেছি?
'হাইওয়ে' চমৎকার একটা মুভি। সবারই দেখা উচিত।
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
করুণাধারা বলেছেন: মায়েরা অসচেতন হলে শুধু ঘরের ভেতরে না, বাইরেও শিশু নির্যাতিত হতে পারে, হচ্ছেও। আপনি ঘরের ভেতরের একটা উদাহরণ দিলেন, আমি বাইরের একটা উদাহরণ দেই। আমার ছেলে মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের যে স্কুলে পড়ত তার কাছাকাছি আরো দুটো স্কুল ছিল, একটা মাঠের পাশে রাস্তায় সব গাড়ি রাখা হতো। একদিন আমার ছেলেকে আনতে গিয়ে দেখি একটা গাড়ির ভেতর তিন চার বছরের মেয়েকে তার ড্রাইভার ঠিক তানিশার মামার মত আচরণ করছে, আশেপাশের গাড়ির ড্রাইভার আর অন্যরা দেখছে কিন্তু কোন হেলদোল নেই। আমি সাহস করতে পারিনি কিছু বলতে, কিন্তু বুঝতে পেরেছিলাম যেসব বাচ্চা মেয়ে ড্রাইভারের সাথে ঘরে ফেরে তাদের অনেকেই এই আচরণের শিকার হয়। এরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না।
পোস্টে লাইক, ক্যারিকেচারো ভালোই লাগলো, দ্বিতীয় লাইক।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শিশু নির্যাতনরোধে মা'দের ভুমিকা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ঘরের বাইরের উদাহরনটাও ভয়াবহ। এর আরো ভয়াবহ দিক হলো, সামাজিক অসচেতনতা। আমাদের সমাজে মহিলাদের ঘরের বাইরে প্রতিবাদ করতে নানাবিধ অসুবিধা আছে, কিন্তু ওই যে বললেন, অন্যদেরও কোনও হেলদোল নাই.....সেটাই ভয়াবহ। এটা যে একটা সাংঘাতিক রকমের অপরাধ, এই বোধটাই অধিকাংশ মানুষের নাই আপা।
বাচ্চারা যেমন ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না, তেমনি পিতামাতাদের এসবে তেমন একটা গা না করার ব্যাপার আছে। ব্যাপারটা শুধু দু্ঃখজনকই না, ভীতির উদ্রেকও করে। এর জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নাই।
পোস্টে একটা লাইক দেখতে পাচ্ছি........দ্বিতীয় লাইকটা দৃশ্যমান না!!!
৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
আমি সাজিদ বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লেখাটি। আমাদের সবার সচেতন হওয়া দরকার। সেক্সুয়ালি ফাস্ট্রেটেড মানসিক অসুস্থ অনেকেই স্বাভাবিক ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে আমাদের আশে পাশে ঘুরে বেড়ায়। বাচ্চাদের সাথে সিলেকটিভ মানুষের এক্সপোজারের পক্ষে আমি, অনেক দূরের মামা চাচা, হাতে হাত দিয়ে অতিরিক্ত আদর, বিষয়গুলো সাবধানতার সাথে চাইল্ড সাইকোলজি বুঝে ডিল করতে হবে।
পদ্মপুকুর বললো গুড টাচ ব্যাড টাচ শেখানো হয়। সেই শিক্ষাটা বোধহয় মফস্বল বা গ্রামে যায় না। প্রতি প্রান্তে সব স্কুলে গুড টাচ - ব্যাড টাচের বিষয়টি ছড়িয়ে দিতে হবে।
রাজিব ভাইয়ের ছাই থেকে অমূল্য রতন বের করে সেটাকে পোলিশ করে আমাদের সামনে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ ভুম ভাই।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাচ্চাদের সাথে সিলেকটিভ মানুষের এক্সপোজারের পক্ষে আমি, অনেক দূরের মামা চাচা, হাতে হাত দিয়ে অতিরিক্ত আদর, বিষয়গুলো সাবধানতার সাথে চাইল্ড সাইকোলজি বুঝে ডিল করতে হবে। সহমত। অত্যন্ত সঠিক বলেছেন।
এ'ব্যাপারে আমার প্রিয় স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান ট্রেভর নোয়ার একটা স্টেটমেন্ট আছে। কোন এক শো'তে সে বলেছিল,
.......because I believe, context is everything. If some body says, So…..if you play with your naked child, it’s OK, but if I do it, I’m a paedophile? Yeah! ….there is a big, huge difference!!
কাজেই এই কনটেক্সটটা খুবই জরুরী।
এই সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ডাক্তারদের ভূমিকা কিন্তু অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ।
৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
এই ধরণের ঘরোয়া শিশু নির্যাতনের ঘটনাগুলো সবচে বেশি সর্বনাশা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্টুপিড চরিত্রের লোকটি কাছের মানুষ হওয়ায় না কিছু বলা যায়, না কোনো আইনের আশ্রয় নেয়া সম্ভব হয়। আত্মীয়তা কিংবা বন্ধুত্ব রক্ষা, সামাজিক মান সম্মান বজায় রাখা ইত্যাদি চিন্তায় শেষমেষ চেপে গিয়ে সাবধানে থাকার পথেই হাটতে বাধ্য হন অনেকে।
এসব সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন পথ ও পদ্ধতির কথা আসতে পারে। তবে এসব অনাকাঙ্খিত অবস্থার হাত থেকে শিশু বাচ্চাদের রক্ষা করতে হলে ব্যক্তির ভেতরে আল্লাহভীরুতা তথা তাকওয়ার শিক্ষা থাকা চাই। সমাজের প্রতিটি মানুষের ভিতরে তাকওয়ার বীজ বুনে দিতে হবে। ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নজর দিতে হবে সত্যিকারের আদর্শ ও চরিত্রবান মানুষ হওয়ার প্রতি। কারণ, চরিত্রহীন অনেক ধর্মীয় লেবাসধারী ব্যক্তিবর্গকে এইজাতীয় নানাবিধ অনাচারে জড়িত হতে আমরা ইদানিংকালে প্রায়শই দেখে থাকি।
শিশু বাচ্চাদের প্রতি বদমাশ দুশ্চরিত্র এবং লম্পট নিকটাত্মীয় বা বন্ধু, স্বজনদের এই ধরণের উৎপাত পাহারা বসিয়ে বা চোখ কান খোলা রেখে পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব না হলেও পূর্ণ সতর্কতা মা বাবাকে অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে। +++
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইসব তথাকথিত কাছের মানুষদের কিছু বলা যায় না, আর এটারই সুযোগ নেয় এরা। বাবা-মা'দের এক্ষেত্রে শক্ত হওয়ার বিকল্প নাই। সম্পর্কের দিকে না তাকিয়ে এদেরকে ঝেটিয়ে বিদায় করা উচিত, যতো দ্রুত সম্ভব। উনাদের ঠিক করতে হবে, প্রায়োরিটি কোনটা.......এসব অসুস্থ লোকদের সাথে সম্পর্ক রাখা, নাকি নিজের বাচ্চাদেরকে একটা সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ উপহার দেয়া।
ধর্মীয় জ্ঞান অবশ্যই একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তবে এসব বিকৃতকামীরা এই জ্ঞানের তোয়াক্কা করে না। তাই চিকন বেতই এদের উপযুক্ত দাওয়াই।
বাবা-মা সচেতন হলেই এসব রোধ করা সম্ভব। দুরের সন্দেহজনক কোন আত্মীয়কে বাচ্চার সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কোনরকমের সুযোগই দেয়া উচিত না.......তাহলেই কমে আসবে এসব অনাচার।
৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: অনেকদিন আগে টিভিতে একটা এড দেখেছিলাম আপনার বর্ণনার মতই।
বিকৃত রুচির কিছু মানুষ ছাড়া এই ধরনের কাজ কেউ করতে পারে ভাবা যায়?
এই ধরনের শিশু নির্যাতন করে, তাদের কি ধরনের যৌন্য প্রশান্তি মিলে আমার জানা নাই?
ঢাকাতে বৃদ্ধ বাড়ীওয়ালা কর্তৃক স্কুল পড়ুয়া একটি মেয়ের যৌন্য হয়রানীর একটি চিএ কিছুদিন আগে খুব আলোড়ন সৃষ্টি করে।
পোস্টে শব্দ প্রয়োগ এবং লেখা দুইটাই অসাধারন। জটিল একটা বিষয় সুন্দর সাবলিল ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: টিভির এ্যাডটা কি বাংলাদেশে? সম্ভব হলে বা ইউটিউবে থাকলে লিঙ্কটা দিয়েন।
ঢাকাতে বৃদ্ধ বাড়ীওয়ালা কর্তৃক স্কুল পড়ুয়া একটি মেয়ের যৌন্য হয়রানীর একটি চিএ কিছুদিন আগে খুব আলোড়ন সৃষ্টি করে। এমন ঘটনা আমাদের দেশে প্রচুর। মিডিয়াতে আসলেই আলোড়ন হয়.....তারপরে আবার হারিয়ে যায়। এসব রোধে কাজের কাজ খুব কমই হয়। এটাই হতাশাজনক!!!
পোস্টে শব্দ প্রয়োগ এবং লেখা দুইটাই অসাধারন। জটিল একটা বিষয় সুন্দর সাবলিল ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এমনভাবে কেউ প্রশংসা করলে মন চায় আবার কি-বোর্ডের উপর ঝাপিয়ে পড়ি!!!
৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০২
আমি সাজিদ বলেছেন: আমি কিন্তু এক বুড়ো ভামকে চিনি, সে সব মেয়েবাচ্চাদের গায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছবি তুলে, ফেসবুকে দেয়। খুবই বিখ্যাত প্রযুক্তি-গত ভাম। আর কিছু বললাম না, বললে সামুকে পর্ন সাইট বলে আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুড়ো ভামকে নিয়ে আমাদের নাড়াচাড়া করার দরকার কি? শুধু শুধু সামু'র বিপদ বাড়ানো।
যেসব মেয়েবাচ্চাদের গায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের বাবা-মায়েরা কি ঘুমায়? ওইসব বাবা-মাদেরকেও চাবকানো দরকার। সুবিধাবাদী এসব বাবা-মাদের ধিক্কার জানাই!
৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোষ্ট হলে, ভালো মন্তব্য করি। তাছাড়া বেশির ভাগ সময়েই আমি। ভালো। সুন্দর। ইত্যাদি ছোট মন্তব্য করে থাকি। কারন- সারাক্ষণ থাকে আমার মেজাজ গরম। উলটা পালটা বলে ফেলতে পারি। ব্যান খেয়ে যেতে পারি। এজন্য মন্তব্যে ঝামেলা করি না।
আমাকে যদি নিশ্চয়তা দেওয়া হয়, আমাকে জেনারেল বা ব্যান করা হবে না- তাহলে আমি দেখাবো মন্তব্য কাকে বলে।
তাছাড়া কাউকে কটূ মন্তব্য করতে কষ্ট দিতে ইচ্ছা করে না।
আপনি একটি গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট দিয়েছেন।
অনেক মুরুব্বী টাইপ মানুষ শিশুদের আদর করতে গিয়ে মা ডেকে, গালে, পিঠে হাত বুলায়। এটা আমার খুব অপছন্দ। এরা বদমাইশ। এগুলো বন্ধ করতে হবে।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মেজাজ সারাক্ষণ গরম থাকলে ঠান্ডা লেবুর শরবত খাবেন। শরীরের সাথে সাথে মেজাজও ঠান্ডা হবে। আপনি খাদ্যরসিক মানুষ, এই জীবনে তো বহুকিছুই খেয়েছেন। দু'একবার না হয় ব্যান খেয়েই দেখলেন, টেস্ট কেমন!!!
মন্তব্য মানেই তো কটূ কথা না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাও কিন্তু বলা যায়। এই যেমন, এই পোস্টের মূলভাবটা যেখান থেকে নেয়া......সেই মন্তব্যটা একটা ভালো উদাহরন হতে পারে।
অনেক মুরুব্বী টাইপ মানুষ শিশুদের আদর করতে গিয়ে মা ডেকে, গালে, পিঠে হাত বুলায়। সবাই-ই যে বদমাইশ তা কিন্তু না। বাবা-মায়েদের বিষয়টা বুঝতে হবে। বাচ্চারা এসব ভালো বুঝতে পারে......তাদের কথাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমরা একটা সুন্দর সমাজ পাবো, কি বলেন!!!
৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: বাবা-মা'র সচেতন হওয়া ভীষণ জরুরী। আমাদের চারপাশে এইরকম অভিজ্ঞতার শেষ নেই।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সঠিক বলেছেন। আমাদের চারপাশের অভিজ্ঞতার আলোকেই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৫
শাহ আজিজ বলেছেন: এখন থেকে ২০ বছর আগের কথা । আমাদের তরুন গৃহ শিক্ষককে আচরনজনিত কারনে ৫ মিনিটের বয়ান দিয়ে বের করে দিয়েছিলাম । যে শিক্ষক পাঠিয়েছিল তাকেও বললাম এই কাহিনী । কোচিং অপেক্ষাকৃত নিরাপদ কারন একাধিক বাচ্চা থাকে । শিশুকে , অভিভাবককে , শিক্ষককে ভিন্ন শব্দে সতর্ক করে দেওয়া উত্তম ।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একেবারে সঠিক কাজ করেছিলেন। ব্যাটার পাছায় চিকন বেতের দু'চার ঘা দিতে পারলে আরো ভালো হতো। কোচিং অপেক্ষাকৃত নিরাপদ, তারপরেও কথা থাকে। ১৫নং মন্তব্য দেখেন। সব জায়গাতেই সাবধানতার বিকল্প নাই।
১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বিকৃত রুচির মানুষদের হাত থেকে শিশুরাও নিরাপদ নয়।আর এই বিকৃত মানুষগুলো তাদের লালসা চরিতার্থ করতে গিয়ে অনেক শিশুর জীবনই অস্বাভাবিক করে দেয় যা খুবই বেদনাদায়ক।
এখন ছেলে-মেয়ে যাই হোক না কেন আমার মনে হয় বাবা-মা ছাড়া আর কোথাও নিরাপদ নয়।কাজেই কাকা-মামা-চাচা, রুপী যেই বাচচাদের প্রতি অতিরিক্ত দরদ দেখাইতে চায় সেখানেই বাবা-মায়ের সতর্ক হবার প্রয়োজন আছে।
আর এই লেখাটা বাবা মায়ের জন্য একটা সতর্ক সংকেত হতে পারে।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিকৃত রুচির হাত থেকে কেউই নিরাপদ না। শিশুরা তো আরো বেশী, কারন বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তারা কি করবে বুঝে উঠতে পারে না।
এখন ছেলে-মেয়ে যাই হোক না কেন আমার মনে হয় বাবা-মা ছাড়া আর কোথাও নিরাপদ নয়। ২১ নং মন্তব্যটা দেখেন, কি করবেন বলেন!!
আর এই লেখাটা বাবা মায়ের জন্য একটা সতর্ক সংকেত হতে পারে। একজনও যদি হয়, তাতেই আমি খুশী।
১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমরা নৈতিকতার নিম্ন স্তরে নেমে গেছি দিনের পর দিন!
গুড টাচ-ব্যাড টাচ এর প্রচারনা প্রচন্ড জোড়েসোরে করা উচিত বলে মনে করি।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এগুলো সবই প্রকৃত শিক্ষার অভাব আর সামাজিক অবক্ষয়ের ফল। সরকারের উচিত কার্যকর প্রচারণার মাধ্যমে জন-সচেতনতা বাড়ানো।
১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: পেডোফিলিয়ার ক্লাসিক উপস্থাপন।ধন্যবাদ ভাই মফিজ বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।বিশ্ব প্রিভ্যালেন্স রেট অনুযায়ী বাংলাদেশে কমপক্ষে ১০লক্ষ পেডোফিলিক তথা শিশু যৌনাচারী রয়েছে।এদের মধ্যে প্রায় ১লক্ষ নারী শিশু যৌনাচারী।সুতরাং শুধু পুরুষ নয়, নারীদের কোলেও শিশু নিরাপদ নাও থাকতে পারে।অভিভাবকদের এ বিষয়ে বাড়তি সচেতনতা জরুরি।আর সচেতনতা তৈরির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাথমিক কাজটি হলে সঠিক তথ্য প্রচার।
আপনি অনুমতি দিলে স্টিকি পোস্টে আপনার পোস্টটির লিংক সংযুক্ত করতে চাই।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিশ্বে তথা আমাদের দেশে বিকৃতিকামী নারী-পুরুষ উভয়েই আছে। তবে আমার দৃষ্টিতে পুরুষরাই বেশী বিপদজনক। তাই বলে আবার ভাববেন না যে, নারীদেরকে বেইল দিচ্ছি! তা না। আপনি তথ্যের ব্যাপারটা বিস্তারিত বলতে পারবেন নিঃসন্দেহে, আমার এ'ব্যাপারে জানাশোনা কম। অত্যন্ত সঠিক ভাবেই বলেছেন, অভিভাবকদের এ বিষয়ে বাড়তি সচেতনতা জরুরি। সচেতনতা তৈরির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাথমিক কাজটি হলে সঠিক তথ্য প্রচার।
আপনি অনুমতি দিলে স্টিকি পোস্টে আপনার পোস্টটির লিংক সংযুক্ত করতে চাই। অনুমতি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না মবীন ভাই। অবশ্যই আপনি সংযুক্ত করতে পারেন।
১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এমন পচা মানুষ ঘরে সমাজে অভাব নাই । আমি এই জন্য মেয়েদের সবসময় বলি যে কোন কথা মাকে বলতে।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মেয়েদের মাকেও বলেন, সব কথা যেন আপনাকে বলে। উনার চোখে অনেককিছুই আপাতঃদৃষ্টিতে গুরুত্বহীন মনে হতে পারে।
১৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৪
কামরুননাহার কলি বলেছেন: লেখটি আমার ভালো লেগেছে। আমার জীবনের একটা ঘটনা বলি।
তখন আমি এসএসসি পরিক্ষা দেই। পরিক্ষা শেষে তিন মাসের কম্পিউটার শেখার জন্য মা আমাকে একটি কম্পিউটার টেনিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দেন। যে লোকটির আন্ডারে আমি কম্পিউটার শিখি তার বয়স হবে আমার বাবার মতো। প্রথমে ভেবেছিলাম লোকটি ভালো পরে দু’তিন দিন পর দেখলাম লোকটা আস্তা একটা কুকুর। আমাকে টাইপ শিখাতে যেয়ে আমার হাতের উপর চাপ দেওয়ার চেষ্টা করে। ঠিক সেই মুহুর্তেই আমি লোকটিকে সাথে সাথে বলি দেয় খবরদার আমার হাত ধরবে না । আপনি মুখে বলে দিবেন আমি আর আমি সেভাবে কাজ করবে আপনাকে হাত দিতে হবে না কি-বোর্ডের উপর। তার পরের দিন আমি অন্য একজন স্যারের সাথে কথা বলে তার আন্ডারে চলে গেলাম। আর ঐ শয়তান লোকটির আন্ডারে আসলো আমার এক বান্ধবী।
কিছুদিন পর আমি দেখলাম আমার কম্পিউটারের এক পাশ দিয়ে একটু ফাকা দিয়ে দেখা যায়। আমার বান্ধবীকে বদমাইশ লোকটি হাত চাপ দিচ্ছে, গাল চাপ দিচ্ছে, ঠোটে হাত দিয়ে চাপ দিচ্ছে, পিঠে হাত দিচ্ছে একেক সময় একেক রকম আচারণ করছে। কিন্তু আমার বান্ধবীটা কিছু বলতে পারছে না। কয়েদিন পর আমি আমার বন্ধবীকে বললাম লোকটি তোর সাথে এমন আচারণ করে আর তুই কিছু বলিস না কেনো। আমি তো সবটাই দেখি। তখন আমি ও কে শিখিয়ে দিলাম। বদমাইশ লোকটি যদি আর এমন করে তাহলে সেই দিন আমি ওকে অনেক কথা শিখিয়ে দিলাম সেগুলো বলার জন্য্।
এইভাবেই বাংলায় অনেক মেয়ের সাথে বদমাই লোকগুলো এরকম আচারণ করে থাকে। আমার সাথে হওয়া এই প্রথম অভিজ্ঞতা আজ আপনার সাথে শেয়ার করলাম। আমি সারাজীবন এই সব লোকদের জন্য বদদোয়া করবো। তাদের জানি কখনো ভালো না হয়। আল্লাহ যেনো তাদের কখনো ক্ষমা না করেন।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি সঠিক কাজটাই করতে পেরেছিলেন। কিন্তু আপনার বান্ধবীর মতো অনেকেই আছে, যারা সাহস করে প্রতিবাদ করতে পারে না। এ'ক্ষেত্রে আপনি আপনার বান্ধবীর জন্য আশীর্বাদ ছিলেন। ভেরী গুড জব!!
আল্লাহ যেনো তাদের কখনো ক্ষমা না করেন। এদের জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা আল্লাহ করে রেখেছেন।
১৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৯
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: view this link
বিকৃত রুচির মানুষের অপরাধ করার প্রবনতা স্হান,কাল,অবস্হান ভেঁদে অনেকটা একই রকম হয়।
বিদেশে জেক দ্যা রিপার মত সিরিয়াল কিল্যার আমাদের দেশে রসু খা।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভিডিওটা দেখলাম। চমৎকার মেইকিং। দারুন হয়েছে। থ্যাঙ্কস।
এমন কাজ আরো করা দরকার; তবে এ'ক্ষেত্রে সরকারী তৎপরতা আরো জোরদারের কোন বিকল্প নাই।
ঠিকই বলেছেন......বিকৃত রুচির মানুষের কোন স্থান-কাল-পাত্র নাই।
১৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
একটু আষাঢ়ে মনে হচ্ছে, ৭ বছরের মেয়ে, মা-বাবা থেকে শুরু করে সবাইকে বলার কথা; আর, ৭ বছরের মেয়েকে কেহ কোলে নেয়ার কথা নয়।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'বছর সাতেক' আর 'সাত বছর' কথা দু'টার মধ্যে পার্থক্য আছে। বাংলা ভাষায় আপনার আরো ব্যুৎপত্তির প্রয়োজন। তাছাড়া ৭ বছরের মেয়েকে কোলে নেয়া যাবে না, এমন কোন আইন আছে বলে আমার জানা নাই।
৭ বছরের মেয়ে, মা-বাবা থেকে শুরু করে সবাইকে বলার কথা পোষ্টটা আরেকবার ভালো করে পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ছিদ্রান্বেষী হওয়া ভালো কিছু না। বিভিন্ন পোষ্টে গিয়ে ক্রমাগত ল্যাদানো, আর ওয়ার্নিং খাওয়াও একধরনের বিকৃতি। আপনার সময় আপাতঃদৃষ্টিতে যথেষ্ট নাই, কাজেই ভালো হওয়ার একটা শেষ চেষ্টা নিতে পারেন। আপনি আমাকে বিশেষভাবে স্নেহ করেন দেখেই কথাটা বললাম। আশাকরি, মনে কষ্ট নিবেন না।
১৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খুবই চিন্তার বিষয়।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই!!
১৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২০
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার এই লেখাটা। আমাদের সবার সচেতন থাকা জরুরী।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সচেতনতার কোন বিকল্প নাই। এটাই আমাদের একমাত্র রক্ষাকবচ।
মাননীয় সম্রাটকে অনেক দিন পর দেখলাম। আশাকরি, রাজ্যের সবাই সুখে শান্তিতেই আছে। আপনার রাজ্যে শিশু নির্যাতনের কি অবস্থা?
২০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "ছিদ্রান্বেষী হওয়া ভালো কিছু না। বিভিন্ন পোষ্টে গিয়ে ক্রমাগত ল্যাদানো, আর ওয়ার্নিং খাওয়াও একধরনের বিকৃতি। "
-ব্লগে লিখতে ভেবেচিন্তে লেখার দরকার, ব্লগে বিবিধ ধরণের পাঠক আছে; যেসব বিষয়ে ধারণা পরিস্কার নয়, উহা নিয়ে টানাটানি করা বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগে মন্তব্যও ভেবেচিন্তে করা দরকার। ক্রমাগত ল্যাদানো আর মন্তব্য মুছে ফেলার শিকার হওয়াও ভালো কোন ব্যাপার না।
যেসব বিষয়ে ধারণা পরিস্কার নয়, উহা নিয়ে টানাটানি করা বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়। এই কথাটাই তো আপনাকে বোঝাতে পারছি না। আমার এই অক্ষমতার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আশাকরি, এই ছোটভাইটাকে হতাশ করবেন না!!!
মনে হচ্ছে, এখানে আপনি আরো ল্যাদাবেন। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
২১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।গৃহে যৌন হেনস্থার শিকার হলে বহুক্ষেত্রে নারীরা মুখ খুলতে সাহস করে না।আর এর ফলেই শয়তানগুলো মেয়েগুলোকে লাগাতার যৌন হেনস্থা করার সুযোগ পায়। আমার জানা একটি মেয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়তে পড়তেই প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ে।ওর মা পরিচারিকার কাজ করে।বাবা জানোয়ারটা রিক্সা চালাতো। মায়ের অনুপস্থিতিতে জানোয়ারটা মেয়ের উপরে অত্যাচার করত। অনেকদিন পরে শরীরে অস্বাভাবিকতা দেখে স্কুলের দিদিমনির পীড়াপীড়ীতে মেয়েটি বাবার ঘটনা খুলে বলে।অথচ বাসায় তার মা প্রথমে পাত্তা দেই নি। কিন্তু ততদিনে যা হবার হয়ে গেছে। স্কুলের তৎপরতায় মেয়েটা বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পুলিশ জানোয়ারটাকে গ্রেপ্তার করে। হেডমিস্ট্রেসের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নিয়ে মেয়েটিকে পরে হোমে পাঠানো হয়।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভয়াবহ ঘটনা শোনাইলেন। এই দুনিয়াতে যে কতো রকমের হারামী আছে......কি আর বলবো। হারামীটার কি বিচার হলো? এটাকে তো ১০০বার লটকাইলেও যথেষ্ট না!!!
সবার সচেতনতার কোন বিকল্প নাই।
সম্মিলিত প্রয়াস.....রুখে দিবে বিকৃতিকামীদের সন্ত্রাস!!!
আপনার সৌজন্যে একটা পরমানু কবিতা লিখে ফেললাম!!!
২২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন, একটু আষাঢ়ে মনে হচ্ছে, ৭ বছরের মেয়ে, মা-বাবা থেকে শুরু করে সবাইকে বলার কথা; আর, ৭ বছরের মেয়েকে কেহ কোলে নেয়ার কথা নয়।
-@চাঁদগাজী ভাই, ধরে নিচ্ছি, আপনার ধারণাই ঠিক। মেয়েটির বয়স ৭ বছর ছিল না। কিন্তু এক্ষেত্রে লক্ষনীয় যে, ক্যালকুলেটরে দিন মাস বছর হিসেব করে মেপে বয়সটা হয়তো বলা হয়নি। একটু কম বেশি হওয়া স্বাভাবিক। ধরে নেন, এক বছর কম ছিল। অর্থাৎ, ছয় বছর ছিল। মূল কথা হচ্ছে, এখানে মেয়েটির বয়সের বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ না দেখে এই ঘটনাটিকে একটি উদাহরণ হিসেবে নেয়া যায়। ভাবনার ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের সমাজে এই ধরণের বাজে ঘটনা অহরহ ঘটছে কি না। এই টাইপের বিব্রতকর ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার আপনার কোনো অভিজ্ঞতা আছে কি? জানালে সকলে সচেতনতা হিসেবে গ্রহণ করে উপকৃত হতে পারতেন।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: উলুবনে মুক্তা ছড়ায়ে কোন লাভ হবে না, নকীব ভাই। বেহুদা সময় নষ্ট।
২৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "৭ বছরের মেয়ে, মা-বাবা থেকে শুরু করে সবাইকে বলার কথা পোষ্টটা আরেকবার ভালো করে পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। "
-মায়েরা মেয়ের মুখ দেখে মেয়ের মনের সব কথা বুঝে যান; আপনার গল্প সঠিক নয়।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মায়েরা মেয়ের মুখ দেখে মেয়ের মনের সব কথা বুঝে যান ওয়াও! তাই নাকি!! সব মায়েদেরই এই গুন আছে? কি জানি!!আপনি তো দেখা যাচ্ছে মায়েদের উপরে পিএইচডি করে ফেলেছেন!!!! অবশ্য করার কথাও। যেভাবে যে কোনও খানেই আপনার মেয়েদের সাথে টক্কর লাগে! তাদের কেউ বর্তমানের মা, কেউ পটেনশিয়াল মা, তাই না!
২৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভেবেছিলাম পেটের জ্বালায় পোস্ট দিয়ে চলেগেছেন কিনা। মাত্র নয়টি প্রতিমন্তব্য যেখানে বাইশটা কমেন্ট। তবে এখন দেখছি,না ছেলে খুবই ভালো। নাওয়া খাওয়া ভুলে প্রতিমন্তব্য দিচ্ছে। সর্বশেষ প্রতি মন্তব্য দেখছি চারটে দশে। ওকে ভেরি গুড!!
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছেলে অবশ্যই ভালো। পোষ্ট দিলাম......একটা দায়িত্ব আছে না!! কাজের প্রেশার আজকে একটু কম। তবে বলা যায় না, যে কোনও সময় বাড়তে পারে। করোনার এই সময়টাতে আমাদের যাদের চাকুরী এখনও বহাল আছে, তারা মোটামুটিভাবে প্রেশার কুকারের মধ্যেই আছি।
সর্বশেষ প্রতি মন্তব্য দেখছি চারটে দশে। ওকে ভেরি গুড!! আমার পারফরমেন্স দেইখা আপনে যে টাসকি খাইছেন, তা বলাই বাহুল্য। দেখি, কতোক্ষণ এই পারফরমেন্স ধইরা রাখতে পারি!!
২৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
মিরোরডডল বলেছেন:
তানিশার স্টোরিটা ভয়াবহ । এগুলো মেন্টালি সিক । এদেরকে চৌদ্দ শিকের ভেতরে রাখা উচিত । ইম্পরট্যান্ট বিষয় নিয়ে ভুমের লেখাটা থেকে হয়তো কিছু বাবা মা সচেতন হবে । পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্যও প্রযোজ্য । বাচ্চাদের চোখে চোখে রাখা এবং তাদের লিসেন করা । ছোটোখাটো অভিযোগও সিরিয়াসলি নেয়া উচিৎ ।
হাইওয়ে মুভিটা দেখেছি । ভালো ।
ভুমের কাঁচা হাতের কাজ ভালো লেগেছে , পাকা হাতের কাজ নেই কিছু ? থাকলে ওগুলোও শেয়ার করা হোক
বাই দ্যা ওয়ে, রাজীবের সেই মন্তব্য নিজের ছিলোতো নাকি ........... হা হা হা কিডিং
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চৌদ্দ শিকের ভেতরে রাখরেও তো এক সময়ে বের হয়ে যাবে। এদের সরাসরি ক্রসফায়ারে দিয়ে দেয়া উচিত। খাওয়ার মুখ একটা কমবে। এদেরকে পেলেপুষে রাখার দরকার কি?
পরিবারের সবারই দায়িত্ব আছে......যে পরিবারে মা-বাবা ছাড়াও অন্যান্য বয়স্ক সদস্য আছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টাই এসব অনাচার রুখতে পারবে।
পাকা হাতের কাজ নেই কিছু ? থাকলে ওগুলোও শেয়ার করা হোক এটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনার ব্যাপার আছে। কোনটা যে পাকা হাতের কাজ, সেটাই তো বুঝতে পারছি না। পারলে একটু কিউ দিয়েন।
রাজীবের সেই মন্তব্য নিজের ছিলোতো নাকি ........ ভালো কথা বলেছেন তো! এটা নিয়ে একটু গবেষণা করা দরকার মনে হচ্ছে......আমিও জাস্ট কিডিং!!
নাহ্, আমাদের রাজীব নুর মানুষটা খুবই ভালো। শুধু একটু.............!!!
২৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯
অপু তানভীর বলেছেন: এই রকম ঘটনা আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত হচ্ছে। মা বাবারা এই সব কিছুতেই বুঝতে চাইতো না আগে । তাদের ধারনার বাইরে যে এমন কিছু হতে পারে কিংবা তারা বুঝতেই চাইতো না । গ্রামের দিকে এই সচেতনার হার একদমই কম ! শিশুরা বিশেষ করে মেয়ে শিশুরা প্রতিনিয়ত এই রকম ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে কারণ তাদের বাবা মা এই ব্যাপারটা নিয়ে সচেতন নয় । বাচ্চারা কিছু বললেও তারা হেসে বলে ও কিছু না তোকে আদর করেছে । কিন্তু আদরের রকম ফের একটা বাচ্চাও ঠিকঠিক বুঝে ফেলে ।
আশার কথা হচ্ছে এখন আস্তে আস্তে বুঝতে শিখেছি । তারা তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে সচেতন হচ্ছে । শহরের শিক্ষিত বাবা মা রা এই ব্যাপারে সচেনত হচ্ছে । এই সব লেখা গুলো আর বেশি বেশি মানুষের চোখের সামনে আসা উচিৎ যাদের তারা নিজেদের সন্তানদের নিয়ে একটু বেশি যত্নবান হন !
বিঃদ্রঃ ভুয়া ভাই, বেকুবের কথার জবাব দিতে নেই ।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাচ্চাদের সেন্স আসলে অনেক শার্প। তারা অল্পেই অনেক কিছু বুঝে যায়, ঠিকমতো বলতে বা বোঝাতে পারে না; এটাই সমস্যা। অন্যদিকে, আমাদের ধাক্কা খেতে খেতে সবকিছু ভোতা হয়ে যায়। গুতাইলেও অনেক কিছু আমরা বুঝি না। তাছাড়া, সমাজে একটা প্রচলিত ধারনাই তো আছে......আরে ও তো একটা বাচ্চা, ও এসবের কি বোঝে? বড়দের এই ধারনাই ওদের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনে!
শহরে অনেকেই এসব বুঝতে শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের একটা বিশাল জনগোষ্ঠিই তো থাকে গ্রামে। তাদেরকে সরকারী ব্যবস্থাপনায় এসব বোঝানো দরকার। গ্রামের স্কুল, মেডিক্যাল সেন্টার ইত্যাদি এসবের ভালো মাধ্যম। আবার গ্রামে ট্যাবুর কারনেও এসব নিয়ে কাজ করা সহজ ব্যাপার না।
এসব মিলিয়েই পুরো ব্যাপারটাই খুব চ্যালেন্জিং।
ভুয়া ভাই, বেকুবের কথার জবাব দিতে নেই। কথা তো চরম সত্যি বলছেন; তারপরেও চেষ্টা থাকে, বেকুবে অন্ততঃ বুঝুক যে সে বেকুব! তাও বোঝে না। কন তো দেখি কেমনটা লাগে?
২৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বাবা মাসহ সবাই সচেতন না হলে ঘরের নির্যাতন বন্ধ হবেনা।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অত্যন্ত সঠিক কথা।
২৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " মায়েরা মেয়ের মুখ দেখে মেয়ের মনের সব কথা বুঝে যান ওয়াও! তাই নাকি!! সব মায়েদেরই এই গুন আছে? কি জানি!!আপনি তো দেখা যাচ্ছে মায়েদের উপরে পিএইচডি করে ফেলেছেন!!!! "
-বাচ্চার মা যেটা বুঝতে পারেননি, আপনি বুঝতে পেরেছেন, সেটাই আপনার পোষ্টের সমস্যা
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অন্যের সমস্যা না দেখে নিজের সমস্যার দিকে নজর দেন। তাইলে আর কান্নাকাটি করে পোষ্ট দিতে হবে না।
২৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: মফিজ ভুয়া হলেও মাগার গল্প ভুয়া না।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিকই কইছেন......মফিজ ভুয়া হইলেই কি সব ভুয়া? বিষয়টা বোঝার জন্য ধন্যবাদ ভাইজান।
৩০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
গুরুত্বপুর্ণ বিষয় লিখতে হলে, লেখায় সবকিছু সঠিক থাকতে হয়।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: উপদেশ দেওনের দরকার নাই। আপনের বুদ্ধি-শুদ্ধির উপরে আমার ভরসা কম! আফসোস!!!
৩১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার লেখায় মনে হোল যে বাচ্চাটার মা জানার পরও গুরুত্ব দেয় নি। এই ব্যাপারটা আমাকে চিন্তিত করছে। মায়েদের মানুষ চেনার চেষ্টা করতে হবে। হয়তো সব কালপ্রিটকে চেনা যাবে না। কিন্তু যাকে তাকে বাচ্চাকে আদর করার অনুমতি দেয়া উচিত না।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিকই মনে হয়েছে আপনার। আসলে আমাদের যখন একটা ব্যাপারে কোন রকমের প্রিডিটারমিনেশান থাকে, তখন আমরা অনেক কিছুই ইগনোর করি, ঠিকমতো বুঝতে চাই না। এই ব্যাপারটা নিয়ে বন্ধুগিন্নীর সাথে আমার কখনোই আর কথা হয়নি। বন্ধুর কাছে তখন শোনা যদ্দুর মনে পড়ে.........সব শুনে ওর বউয়ের মন্তব্য ছিল অনেকটা এমন, তানিশা তো আমাকে এতো পরিস্কার করে কিছু বলে নাই। আমি ভেবেছি, ও খামাখাই আমার ভাইকে অপছন্দ করছে। বাচ্চা মানুষ! কি বুঝেছে, কে জানে!!
এটা আপনাকে যেমন চিন্তিত করেছে, আমাকেও করেছে। আমাদের অনেকের মধ্যেই কিন্তু এই কনসেপ্টটা কাজ করে যে, বাচ্চারা কি বোঝে? কিংবা, বাচ্চারা না বুঝেই অনেক কিছু বলে!
১৬নং মন্তব্যে একটা ভিডিওর লিঙ্ক আছে। ওটা দেখলে দেখবেন, ওখানের মা'টাও প্রাথমিক অবস্থায় তার বাচ্চাকে অসামাজিক মনে করেছিল।
অবশ্য একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। মায়েরা কেউ পেশাদার সাইকোলজিস্ট না। মানুষ চিনতে তাদেরও ভুল হবে, হতে পারে। তবে, সাবধানতার বিকল্প নাই। বাচ্চাকে মানুষ আদর করবেই। বিশেষ করে যদি কিউট বাচ্চা হয়। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, আদরের মাত্রাটা যেন বাড়াবাড়ি রকমের না হয়ে যায়। নয়তো দিনশেষে মায়েরা আবার সন্দেহবাতিকগ্রস্থ হয়ে যেতে পারে। সেটাও আরেকটা মানসিক সমস্যা!!!
৩২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
মোতাব্বির কাগু বলেছেন: শুধু মেয়ে শিশু না ছেলে শিশুরাও দুস্পর্কের মামা চাচা দ্বারা নির্যাতিত হয়। এমন প্রায়ই হয় বেশির ভাগ বাচ্চাই চেপে যায়।
এর প্রভাবে মানসিক অসুস্থ্যতা দেখা দিতে পারে।
এই লেখাটা ভালো লাগলো
শিশুদের সকলেই ভালোবাসে, স্নেহ করে, কাছে টেনে আদর করে। কিন্তু কোনটা ভালো স্পর্শ, কোন স্পর্শটা মন্দ সেটা কে বলবে? ছোটো ছোটো মেয়েরা এখন প্রতিনিয়ত যৌনলালসার শিকার। চোখের সামনে বাচ্চা বাচ্চা মেয়েদের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। অভিভাবকদের গাফিলতি তো আছেই। সেইসঙ্গে আছে কিছু বিকৃত মস্তিষ্কপ্রসূত পুরুষের উপস্থিতি, যারা কাণ্ডগুলো ঘটায়। তাই না চাইতেও লালসার মুখে পড়ে ছোটো ছোটো মেয়েরা।
এমন অনেক মা-বাবা আছেন যারা ব্যক্তিগত ভাবে ছোটবেলায় যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। নিশ্চয়ই মা হিসেবে আপনি চাইবেন না আপনার বাচ্চার সঙ্গে তেমনটা হোক। তাই বাচ্চাকে ছোট থেকে গুড টাচ আর ব্যাড টাচ কি জিনিস সেটা শেখান। অবশ্য শুধু মায়েরাও নয় বাবারাও এই ব্যাপারে মায়েদের সাহায্য করুন।
আজকে রইলো কয়েকটি টিপস যার সাহায্যে বাচ্চাকে ভালো স্পর্শ আর অভিসন্ধিমূলক স্পর্শ সেখাতে পারবেন।
ছোট থেকেই বাচ্চাকে শেখান তার শরীরে একমাত্র শুধু তারই অধিকার আছে : বাচ্চার যখন ১৭ বা ১৮ মাস বয়েস তখন থেকেই তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন এটা। ওদের বোঝান ওদের শরীরে হাত দেওয়ার অধিকার কারোর নেই। ২ বছর বয়স থেকেই বাচ্চাকে শেখান শরীরের কয়েকটা অংশ প্রাইভেট পার্টস। একই সঙ্গে এটাও শেখান কেউ যদি তার হাত ধরতে চায়‚ বা জড়িয়ে ধরতে চায় বা চুমু খেতে চায় তার না বলার পুরো অধিকার আছে।
সঠিক ভাষা ব্যবহার করুন : অনেক মায়েরা আছে যারা বাচ্চার বডি পার্টসের বিভিন্ন নামকরণ করে থাকেন। এতে কোনো ভুল নেই। কিন্তু শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সঠিক নাম জানাটা বাচ্চার জন্য কিন্তু খুব দরকারি।
বাচ্চার সঙ্গে এমনভাবে কথা বলুন যাতে তারা সেটা বুঝতে পারে : বাচ্চা কে ভয় দেখিয়ে বা প্রচন্ড সিরিয়াস হয়ে কোনদিন ব্যাড টাচ গুড টাচ শেখানোর চেষ্টা করবেন না। জানি এটা মজা করে শেখানোর বিষয় নয়। কিন্তু মাথায় রাখুন বাচ্চা যেন আপনার সঙ্গে কথা বলতে বা কোনো প্রশ্ন করতে ভয় না পায়। যতটা পারবেন সহজ ভাবে কথা বলুন‚ যেমন ধরুন তাকে চান বা পটি করানোর সময় এই বিষয়ে কথা বলতে পারেন।
সুইম স্যুট রুল মেনে চলুন : অনেক বাচ্চাই ছোট থেকে সাঁতার শেখে। তাদের এইভাবে বোঝান সুইম শ্যুট শরীরের যে অংশ ঢেকে রাখে তা অন্য কাউকে না দেখাতে। বা সেইসব জায়গা যদি কেউ স্পর্শ করে তাহলে সে যেন আপনাকে জানায়। আর যারা সুইমিং শেখে না তাদের মা বাবারা বাচ্চাদের এমনি জামাকাপড়ের উদাহরণ দিতে পারেন। জামাকপড়ের আড়ালে শরীরের যে অংশ থাকবে তা প্রাইভেট। অবশ্য অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যারা বাচ্চাদের মোলেস্ট করে তারা প্রথমেই বাচ্চার প্রাইভেট পার্টসে হাত দেয় না। হয়তো প্রথমে পিঠে হাত বুলোবে বা চুল ঘেঁটে দেবে। এইসব জায়গা তো আর ঢাকা থাকে না তাই সুইম শ্যুট রুল খাটবে না। ফলে বাচ্চাকে বোঝান কেউ তার গায়ে হাত দিলে তার যদি অস্বস্তি হয় তাহলে আপনাকে এসে জানাতে। একই সঙ্গে বাচ্চাকে বোঝান আপনি এবং ওর বাবা তার রক্ষক তাই আপনাদের যেন এইসব বলতে সে ভয় না পায়।
একই সঙ্গে বাচ্চাকে শেখান mouth বা তার ঠোঁটেও কেউ হাত দিলে তক্ষণাৎ সে যেন এসে আপনাদের তা জানায়।
ভালো স্পর্শ বা গুড টাচ কী বাচ্চাকে তা বোঝান : অনেক সময় বাচ্চার শরীরে হাত দেওয়ার প্রযোজন পড়ে। যেমন ধরুণ বাচ্চার নিতম্বে ইনজেকশন দিতে হয় ডাক্তারকে‚ ইদ্যাদি। বাচ্চাকে বোঝান কেউ তার গায়ে হাত দিলেই তা ব্যাড টাচ নয়। এই নিয়ে বাচ্চার বেশ কনফিউশন থাকতে পারে তাই ধৈর্য ধরুন। সেফ সাইডে থাকার জন্য বাচ্চার গায়ে কেউ হাত দিলে তা সে ভালো উদ্দেশ্যেই দিক বা মন্দ উদ্দেশ্যে তা যেন আপনাকে জানানো হয়।
বাচ্চাকে ‘না’ বলতে শেখান : বাচ্চাকে জোর দিয়ে শেখান কেউ যদি তার শরীরে হাত দেয় আর সেটা যদি তার পছন্দ না হয় তাহেলে সে যেন তক্ষুণি না বলতে পারে। এবং এই ঘটনার কথা সে যেন আপনাকে জানায়। তাদের প্রাইভেট এরিয়ার গুরুত্ব ছোট বয়স থেকেই শেখানোর চেষ্টা করুন।
বইয়ের সাহায্য নিন : বইয়ের সাহায্য নিয়ে বাচ্চাকে গুড টাচ আর ব্যাড টাচ বোঝান। যেমন ধরুন কোনো একটা বইতে হিউম্যান বডির ছবি দেওয়া আছে সেই ছবি দেখিয়ে বাচ্চার শরীরের কোন অংশে কারুর হাত দেওয়া উচিত নয় এটা শেখান। নিজে ছবি এঁকেও তা দেখাতে পারেন।
জোর করবেন না : অনেকেই ভালোবাসা দেখাতে বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরে বা আদর করে। বাচ্চার যদি এটা অপছন্দ হয় তাহলে ওকে জোর করবেন না। জানি বাচ্চাকে ছোঁয়া মানেই সেটা খারাপ নয়। কিন্তু এইভাবে বাচ্চা বুঝতে পারবে তার শরীর একান্তই তার নিজের।
বাচ্চার ফিলিংসকে সম্মান করুন : হয়তো বাচ্চা আপনাকে এসে জানালো কেউ তার শরীরে ছুঁয়েছে। এটা হেসে বা তাচ্ছিল্যের সঙ্গে উড়িয়ে দেবেন না। থেরাপিস্টরা মনে করেন যে কোনো ছোঁয়াই হোক তা যদি বাচ্চার অস্বস্তির কারণ হয় তাহলে সেটা কিন্তু অবশ্যই ব্যাড টাচ।
বাচ্চার সঙ্গে রোল প্লে করুন : খেলাচ্ছলেই বাচ্চা কে শেখান কেউ তার শরীর ছুঁলে সে কী করবে। বা রোল রিভার্সাল করুন। আপনি বাচ্চা সেজে তাকে বোঝান শরীরের কোন অংশে কারুর হাত দেওয়ার অধিকার নেই।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার আর বিস্তারিত বলেছেন। আপনার এই মন্তব্যটাই আরেকটা পোষ্ট হতে পারতো। আপনার টিপসগুলো নিঃসন্দেহে বাচ্চাদের মা-বাবাকে সাহায্য করবে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
আমিন রবিন বলেছেন: ভাই, পেডোফিলিয়ার প্রসঙ্গ আসলেই সবাই শুধু মেয়েদের কথা বলে। ছেলে শিশুদের কথাও জোড়েসোড়ে আসা উচিত। বাংলাদেশে বহু ছেলে শৈশবে বা কৈশরে ধর্ষণের স্বীকার হয়। যদিও তারা বিষয়টিকে চেপে যায়! তারচেয়েও ভয়ের কথা হল, এদের অনেকের মধ্যেই পরে সমকামী টেন্ডেন্সি ডেভেলপ করে। অন্তত, আমি এরকম একজনকে চিনতাম যে এডমিট করেছে সে বাইসেক্সুয়াল এবং সে স্কুল লাইফে নিকট আত্মীয় বা এরকম কারও দ্বারা প্রথম এবিউসড হয়। হয়ত এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে আশেপাশে।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মেয়েশিশুরা তুলনামূলকভাবে পাশবিকতার শিকার বেশী হয়, সেজন্যেই তারা ফোকাসডও বেশী হয়। তাই বলে কিন্তু ছেলেশিশুদের রুল আউট করা হচ্ছে না। আমার পোষ্টেও উভয়ের কথাই বলেছি। আপনি ঠিকই বলেছেন, যারা বাচ্চা বয়সে পাশবিকতার শিকার হয়, তাদের কেউ কেউ বড় হয়ে বিকৃত চরিত্রের হয়ে যেতে পারে। এটাও আমি পোষ্টে বলেছি। কেউ এক্সপোজড হতে চায় না দেখেই আমরা অনেক ঘটনার কথা জানি না।
আপনার বলা প্রতিটা কথার সাথেই আমি একমত।
৩৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব উচিত বাচ্চাদের কথাগুলো শোনা। বাবা মায়ের সচেতনতা সত্যি ই জরুরী।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাচ্চাদের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে। বাচ্চা মানুষ......কি বলতে কি বলে, পিতামাতার এই টেন্ডেন্সি শিশুদেরকে যে কোনও ভয়াবহতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
বাবা মায়ের সচেতনতা সত্যি ই জরুরী। আসলেই......এর কোনও বিকল্প নাই।
৩৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চার মায়েদের সমস্যা থাকে তখন তারা বাচ্চার কথার গুরত্ব দেয় না।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাচ্চার মায়েদের সমস্যা থাকতে পারে, বাবাদেরও সমস্যা থাকতে পারে; তবুও বাচ্চার মঙ্গল চাইলে তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। নয়তো যে কোনও কিছুর জন্য তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
৩৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৪
শোভন শামস বলেছেন: সহমত। সঠিক বলেছেন।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকুন।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি ততোটা সাবধান নই........সেজন্যে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে, আপনি অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন আর ভালো থাকবেন।
৩৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
এটা ঠিক - মানুষের মনোজগৎটা বড্ড বিচিত্র ও জটিল। শিশু বয়স, যেটা আসলেই খুব সেন্সেটিভ সেই সেন্সেটিভ মনোজগতে যখন আঘাত লেগে ফাটল ধরে তখন তা সহজে জোড়া লাগেনা। একটা দুঃস্বপ্ন তাকে তাড়া করে ফেরে। জগৎটাকে দেখে সে কুৎসিত কিছু হিসেবে। এ থেকে তার মনোবিকৃতিও জন্ম নিতে পারে।
আমাদের অনেক পরিবারই এসব ব্যাপারে অনেকটাই অসচেতন বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে । কাছের লোকদের বিষয়ে তারা খারাপ কিছু সহজে ভাবতে চান না, যদি না অন্য রকম বৈসাদৃশ্য কিছু ঘটে।
শিশু নিপীড়নের ঘটনাগুলো, আপনার এই পোস্টের উদাহরণে যেভাবে বলেছেন সেভাবেই ঘটে থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সামনেই নিতান্ত গোবেচারা ভাবে ঘটানো হয়।
ভালো পোস্ট।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শিশু বয়সটা কাদার মতো জী এস ভাই। এই কাদা একবার শক্ত হয়ে গেলে যে কোনও ধরনের পরিবর্তনই কষ্টকর। সচেতনতা বৃদ্ধিতে শহরে যেই পরিমান কাজ করা দরকার, তার চাইতে বহুগুন বেশী কাজ করা দরকার গ্রামান্চলে। অনেকে তো বিশ্বাসই করে না যে, আপন লোকদের দ্বারা এ'ধরনের কাজ হতে পারে!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৩
ইসিয়াক বলেছেন: পোস্ট আমি অনেক আগেই পড়েছি। সময়ের অভাবে মন্তব্য করতে দেরি হয়ে গেলো বলে দুঃখিত।শিশু নির্যাতনের ঘটনা শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি ঘটে। কোন কোন সময় অনেক মানুষের মধ্যেও প্রকাশ্যে ঘটে থাকে। আর সবচেয়ে বড় কথা নিজের আত্নীয় স্বজনদের দ্বারা শিশু নির্যাতন বেশি হয়। আশা করি সামনে কিছু সত্য কাহিনী আমার গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরবো।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুঃখিত হওনের কিছু নাই। আমাদের সবারই সময়ের অভাব আছে। এরপরেও অল্প-বিস্তর সময় বাইর কইরা ব্লগিং করতে পারতাছি.....এইটাই আল্লাহর কাছে হাজার শুকুর। এইবার লাইক দিতে ভুলেন নাই দেইখা ভালো লাগলো। এই পারফরমেন্স ধইরা রাখনটা জরুরী।
শহরের মানুষ কিছুটা হলেও সচেতন গ্রামের মানুষের তুলনায়। তবে, বদমাইশ আত্নীয় স্বজনদের দ্বারা শিশু নির্যাতনের ক্ষেত্রে শহর-গ্রাম নাই।
আপনার সত্য ঘটনার গল্প পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
৪০| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে মেয়েদের কথা যখন শুনি তখন
একদম হতবাক হয়ে যাই ।
আহারে আমাদের অবুঝ শিশুরা কতো কষ্টই না পেয়েছে,
কিচ্ছু বলার নাই ভাই এই অমানুষগুলো কখনো মানুষ
হবেনা তাই পরিবারের সচেতনতাই মুখ্য ।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শিশুদের কষ্টের কথা যখন চিন্তা করি, তখন ওইসব জানোয়ারদেরকে আমার কাচা খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করে। অনেস্টলি। তবে, এই যে আপনি অবুঝ শিশু বললেন, এটা কতোটুকু ঠিক জানি না। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি শিশুরা সবই বোঝে। তবে তারা তাদের অনুভূতি ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারে না। সমস্যাটা এখানেই।
এই অমানুষগুলো কখনো মানুষ হবেনা তাই পরিবারের সচেতনতাই মুখ্য। এটার সাথে পুরাই একমত। এইসব পার্ভার্টেড মনুষ্য নামের কলঙ্কগুলি কোনভাবেই শোধরাবার যোগ্যতা রাখে না।
৪১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৭
শায়মা বলেছেন: ঠিক বাইরের নির্যাতন রোধের আগে ঘরের নির্যাতনগুলো নিয়েও সচেতন হতে হবে। সাবধান হতে হবে। রাজীবভাইয়া ঠিকই বলেছে। আর এই পোস্ট দেওয়াটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলো ভাইয়া।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বাইরের নির্যাতন রোধের আগে ঘরের নির্যাতনগুলো নিয়েও সচেতন হতে হবে। সাবধান হতে হবে। রাজীবভাইয়া ঠিকই বলেছে। আর এই পোস্ট দেওয়াটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলো ভাইয়া। থ্যাঙ্কু! থ্যাঙ্কু!!
রাজীব নুর দার্শনিক মানুষ, বেঠিক বলার কোন চান্সই নাই!
৪২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:১০
আনমোনা বলেছেন: মা যদি বাচ্চার কথা বিশ্বাস না করে, বাচ্চার আর আশ্রয় কোথায়?
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটাকে ঠিক অবিশ্বাস বলা যাবে না। বলতে পারেন, গুরুত্ব দেয় নাই। ওই যে, বলেছি না......অনেকেই মনে করে পোলাপান কি বোঝে? বাচ্চাদের কথারও যে গুরুত্ব আছে, সেটা মা-বাবাকে বুঝতে হবে। তাহলেই কিন্তু অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
৪৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৫০
জুন বলেছেন: আমার ছোট বেলার শোনা ও দেখা ঘটনা ভুয়া। আমার এক বান্ধবীর সম্পর্কে মামা হন (খালুর কাজিন)। উনি প্রায়ই সুদূর এক জায়গা থেকে হঠাৎ হঠাৎই বেড়াতে আসতেন। বলা নেই কওয়া নেই কথা বলার আগেই বিশ্রী ভাবে জড়িয়ে ধরে মামা মামা করতেন। যেদিন আমরা দেখলাম সেদিন সেই মামা যখন ওকে জড়িয়ে ধরার জন্য এগিয়ে আসছে তখন ও একদৌড়ে ঘরের বার। লোকটা তখন তার পিছু পিছু বের হয়ে আসছে আর বলছে "আরে ভাগ্নী কই যাও! আমিতো তোমার মামা হই"। যাক এরপর মেয়েটি খালাকে জানিয়ে এই বিশ্রী পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেয়েছিল।
এইসব ঘরে ঘরে নির্যাতন কত যে হচ্ছে কে তার হিসাব রাখে। বাবা মাকে অবশ্যই তাদের সন্তানের ব্যপারে সচেতন হতে হবে। বছর কয়েক আগের কথা খিল্গাও ফ্লাইওভারের উপরে দুপুরের নির্জন সময়ে ঢাকার বিখ্যাত স্কুলের অল্প বয়সী ছাত্রীকে বাসায় নিয়ে আসার সময় ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে প্রায়দিনই আদর সোহাগ করতো। সময়পযোগী পোস্ট, এগুলো প্রত্যেক বাবা মার চিন্তা করতে হবে। হাল্কা ভাবে নেয়া কোনভাবেই উচিৎ হবে না।
সুলিখিত এবং সচেতনমুলক পোস্টে প্লাস।
আর উপরে একটা হোরাসের চক্ষু লাগানো উচিত ছিল না!!
আর মাহা দাওয়াত দিছে তাকেও একটা বিশাল ধন্যবাদ জানাইয়েন আসলে পরে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এমন ঘটনার অভাব নাই আমাদের ঘরে ঘরে। প্রায় শতভাগই মানুষ চাইপা যায়, লোক লজ্জার ভয়ে। কি আর করা! নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়াটা খুবই জরুরী। এদিকে আমাগো শিক্ষা আর বিচার ব্যবস্থার এক্কেরে বেহাল অবস্থা। আপনের বলা দুইটা ঘটনাতেই দায় কিন্তু বাবা-মায়ের। তাই উনাগো সচেতনতার কোন বিকল্প নাই।
হোরাসের চোউক্ষের কথা মনে করায়া ভালো করছেন। চেক কইরা দেখি ওইটার কার্যকারিতার মেয়াদ পার হয়া গ্যাছে গা। কন…...কি দিনকাল আইলো! অহন এইসব জিনিসেরও মেয়াদ থাকে। দেখি, নতুন একটা লাগাইতে হইবো।
দাওয়াত দেওনটা মাহার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তারপরেও দেখি…….আপনে যখন কইলেন, একটা ধন্যবাদ দিয়া দিমুনে!!
গত কয়েকটা দিন দৌড়ের উপ্রে ছিলাম আপা। ব্লগে উকিও দিতে পারি নাই। দেরীতে উত্তর দেওনের জন্য দুঃখিত হইলাম।
৪৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অফিসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর চাপে দিরং হইয়া গেলো
সরি ভায়া
দারুন বিষয়ে দারুন সচেতনতামূলক লেখা।
সচেতনতা বাড়লেও বড় অংশই এর বাইরেই রয়ে গেছে।
এছাড়া আছে অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যার কারণে ইচড়ে পাঁকা হওয়া দল!
যেমন এক মেয়েকে পেয়েছিলাম টাকার জন্য সবাইকেই সুযোগ দিতো। অথচ মাত্র ক্লাশ ফোরে পড়তো।
একদিন খুব ভাল করে ডেকে গল্পচ্ছলে জানতে চাইলাম- এসব শিখলি কিভাবে? জানলি কিভাবে?
তার উত্তর ছিলো- ঘরেইতো দেখি! রাইতে বাবা-মা মনে করে আমি ঘুমাইছি! কিন্তু আমি ঘপ্পি মাইরা লুকাইয়া দেখি!
আর? এক নানা আছে। আমারে খালি ওমনে কোলে নিত! আর টাকা দিতো, চকলেট দিতো! আমারো মজা লাগতো!
এই ইচরে পাকাদের মাধ্যমে আবার ভাইরাসের মতো শিকার হচ্ছে অতি কিউরিয়াস কিশোরী গুলো!
আর মিডিয়ার কথা আর কি বলবো? আমরা ক্যামেরা আকাশে উঠৈ গেলে বা ফুলে ফুলে ঢলাঢলি দেখেই রোমান্স বুঝতাম। এখনতো কিস যেন ডালভাত হিন্দি সিনেমায়। ফ্রেস্চ কিস, ডিপ কিস সেন্সর পার হয়েই আসছে টিভি পর্দায়! জড়তা কেটে যাচ্ছে! তখন কৈশোরের অতি আগ্রহেও ঘটে যাচ্ছে বিপত্তি! বাবা মা হয়তো ভাবেই নি এমন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে সে্রফ কিউরিসিটি থেকেই!
ধ্বংসের এক মহাসমুদ্রে যেন ডুবো জাহাজের যাত্রী আমরা!
ভোগবাদ, পূজিবাদের আগ্রাসন, নিজেদের কামনা চরিতার্থে ধর্মের বিধি নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি
প্রচলিত পারাবারিক সামাজিক ধর্মীয় প্রথাকে আধুনিক হতে গিয়ে বিসর্জন দিয়ে, হারিয়ে, হারিয়ে যাচ্ছে আরেক অথৈ সমুদ্রে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্যরির কিছু নাই ভাইজান। অফিসের কাম আগে। আপনে যে আইছেন, তাতেই আমি খুশী। স্যরি আমিও। এই কয়দিন দৌড়ের উপ্রে আছিলাম।
আপনের কথিত ওই মাইয়া তো দেখি ডেন্জারাস। তয়, এইখানে বাপ-মায়েও জানি কেমুন!!! বিতং কইরা কিছু কইলাম না।
কিউরিওসিটির কোন দোষ নাই। ওইটা আমাগোও আছিল। আমাগো সুযোগ আছিল না, এখন আছে….এই যা তফাৎ। এই তফাতের কারনেই গার্ডিয়ানদের চোখ কান বেশী বেশী খোলা রাখাটা জরুরী। আর মিডিয়া এখন ব্যবসা। ব্যবসায়ীদের কাছ থিকা এই যুগে নৈতিকতা আশা করা যায় না। তারা যেইটাতে লাভ বেশী, সেইটাই করবো। এইটাই বর্তমানের বাস্তবতা। নিজেগো সচেতন থাকাটাই মুখ্য।
কাম কাইজের চাপ এখন একটু কমছে। কি দিন আইলো......করোনা আর কাম, দুইটার কারনেই ঠিকমতোন শ্বাস লওন যায় না।
৪৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: অবশ্যই।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেইটাই!!
৪৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১২
মা.হাসান বলেছেন: গতকাল পত্রিকায় এসেছে- এক মাদ্রাসা শিক্ষক গত দু বছর ধরে এই অপকর্ম চালিয়ে যাবার পর ধরা পড়েছে। গতকালই ভারতীয় পত্রিকায় পড়লাম- দার্জিলিঙের একজন শিক্ষক দীর্ঘ দিন এই কাজ চালিয়ে আসছিলেন। একজন ভিক্টিম ভিক্টিমাইজ হবার ২২ বছর পর অভিযোগ করায় ঐ লোক ধরা পড়েছে- লিংক-২২ বছর পর ...। আমি কলেজে থাকা অবস্থায় আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু তার ছোট ভাইকে মাদ্রাসায় হিফজ করার জন্য ভর্তি করে। কিন্তু রাতে মাদ্রাসায় থাকবে না, বাসায় থেকে যাতায়াত করবে। কারন ঐ মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির একজন ছিলেন এক ব্যবসায়ি যিনি অতীতে বহুবার এই অপকর্ম করে ধরাও পড়েছেন, কোনো একশন নেয়া হয় নি।
মানুষ এসব করার পরে ধরা পড়ে না কেনো? অধিকাংশ ক্ষেত্রে এরা শিকার বাছার সময়ে নিরীহ ছেলেমেয়েদের টার্গেট করে। তিন-দশ বছর (কখনো আরো বড় বা আরো ছোটো) বয়সের বাচ্চাদের শরীর বিষয়ে জ্ঞান কম ( সবাই আপনার বড় ভাইয়ের মতো জ্ঞানী বা অল্প বয়সে স্বশিক্ষিত না)। বাচ্চারা বুঝে উঠতে পারে না।
বাচ্চাদের সচেতন করাটা কঠিন। আমার নিজের ছেলেকে নিয়ে দেখেছি। একটা লেবেঞ্চুস বা এক পিস চকলেট দেখিয়ে বাচ্চাদের কাছে ডাকা খুব সহজ। এসব ঘটনা ভিক্টিমের মনে বড় প্রভাব রেখে যেতে পারে, যা এমনকি চিরস্থায়ী ও হতে পারে। হাইওয়ে মুভি দেখিনি। তবে মিস্টিক রিভার দেখেছি।
বাচ্চাদের আগে বাচ্চাদের বাবা-মা দের সচেতন করতে হবে। এত ঘটনার কথা ঘটে এর পরেও বাবা-মায়েরা বোঝে না কেনো? আমেরিকার মতো দেশে অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে ৩০% এর মতো লোক দৈনিক পত্রিকা পড়ে। যারা পড়ে , এদের বড় একটা অংশ নির্দিষ্ট খবরেই (যেমন পেজ থ্রী) নজর সীমাবদ্ধ রাখে । বাংলাদেশে অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে পত্রিকা পাঠকের সংখ্যা মোট জন সংখ্যার ৩-৫% হতে পারে। আরো কম হলে অবাক হবো না। কাজেই বড় অংশই পত্রিকার খবর পড়ে না। আমার গ্রামের কথা বিবেচনা করি- গোটা গ্রামে একজন লোকও নেই যিনি পত্রিকা কিনে পড়েন। থানা সদরে সরকারি অফিস গুলোতে থাকে। এর বাইরে হাতে গোনা কয়েকজন পত্রিকা রাখেন। পড়েন কতজন বলা মুশকিল।
টেলিভিশনের নাটক গুলোতে প্রেম-ভালোবাসা-ফ্যাশন-গয়না-গাড়ি এসবের বাইরে কিছু থাকে বলে শুনি না। টকশো হয়। তবে টকশোতে খাম্মা আর মাম্মা ছাড়া অন্য কিছু কম থাকে।
সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের ঘটনা অনেক বেড়ে গিয়েছে। আপন চাচা এমনকি নিজের বাবার দ্বারাও শিশু অ্যাবিউজ হচ্ছে। গত কয়েকমাসে এরকম একাধিক ঘটনা পত্রিকাতে এসেছে। এসব কি দেশ আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যাবার লক্ষন নাকি বিরোধি দলের ষড়যন্ত্র এই বিষয়ে চেতনাবাজেরা নিশ্চুপ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই ধরনের বিকৃতমনের লোকজনের অভাব নাই এই বিশ্বে। ধর্ম, নৈতিকতা….কোন কিছুই এদেরকে দমিয়ে রাখতে পারে না। এদের একমাত্র অষুধ হলো দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি। শাহ আজিজ ভায়ের ওই সংশ্লিষ্ট পোষ্টে আমি একটা শাস্তির সুপারিশও করেছিলাম। শুধুমাত্র তাহলেই যাদের এসব অপকর্ম করতে ইচ্ছা করবে, তারা এর ভয়েই এসব থেকে দুরে থাকবে।
আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু যেই সচেতনতা দেখিয়েছে, এর চেয়ে বেশী সচেতনতা বাবা-মায়ের দেখানো উচিত। এর কোন বিকল্প নাই। আমার বড়ভাই রাজা-উজির না মেরে এসব অসচেতন বাবা-মা'কে সচেতন করার কার্যকরি পদক্ষেপ কেন নেয় না…...সেটাও একটা রহস্য!! আসলে কেউ কেউ লম্বা-চওড়া কথা বলেই দুনিয়া উল্টে ফেলতে চায়। এতে লিটারেলি দুনিয়া না উল্টালেও আপনার মতো কিছু মানুষ মন খারাপ করে। আপনার প্রতি আমার পরামর্শ, মন খারাপ করবেন না। স্পোর্টিংলি নেন।
আমার মতে, পারভার্টেডরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ধরা পড়ে। কারন, এগুলো এরা বছরের পর বছর করতে থাকে। চোরের দশদিন, সাধুর একদিনের মতো ধরা এদের পড়তেই হয়। সমস্যা হলো, মানুষ লোক-লজ্জার ভয়ে এসব চেপে যায়। ভিক্টিমরা যেমন লুকায়, তেমনি গার্ডিয়ানরাও লুকায়। এটাই এদের রক্ষাকবচ।
বাচ্চাদের সচেতন করাটা কঠিন। তাই বাচ্চাদের বাবা-মা দের সচেতন করতে হবে। আপনার বলা কারনগুলো ছাড়াও বাবা-মা'রা না বোঝার আর একটা বড় কারন হলো, সবাই মনে করে, এগুলো আমাদের ক্ষেত্রে ঘটবে না। এটার একটা গালভরা নামও আছে, ''অপটিমিজম বায়াস''…….জানেন নিশ্চয়ই।
আমাদের দেশের মিডিয়ার গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না, তাই ওইদিকে গেলাম না।
আপনার শেষের দিকে বলা কথাগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ'ব্যাপারে বিশদ ব্যাখ্যার জন্য আপনি আপনার প্রিয় সংগঠন সোনালীগের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আশাকরি তারা আপনাকে নিরাশ করবে না।
গতকাল থেকে আমাদের এখানে অফিসিয়ালী শীতকাল শুরু হলো। আপনাকে শীতকালীন হাড়কাপানো শুভেচ্ছা আর দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত।
৪৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৪
মা.হাসান বলেছেন: ১) ব্যস্ততার কারনে গতকাল আসা হয় নি। ইটের যা দাম, রেখে যেতে মন চায় না।
২) ব্লগের পোস্ট সংখ্যা, ভিউ সংখ্যা এসব নিয়ে কিছুটা হতাশা ছিলো। এই পোস্ট দেখার পর সেটা কেটে গেছে। রাজীব নুরের কমেন্ট পড়ার মতো ব্লগার যতক্ষন ব্লগে আছেন ততক্ষন দুশ্চিন্তার কারন নাই।
৩) আপনারা তিন ভাই বোন ই ব্লগিং করেন। একেবারে ব্লগার পরিবার । জেনে খুব ভালো লাগলো। ইন্সপিরেশন কি 'বদ্দা' থেকেই পেয়েছেন?
৪) লেবুর শরবৎ ভালো, মাথা ঠান্ডা রাখে। তবে এর চেয়ে ভালো হলো ব্লগের কবিতা। শুধু মাথা না, সব ঠান্ডা করে দেয়। (একখানা অনুবাদ কবিতা নিয়ে কাজ করছি, নিজের কিছু করার পতিভা নাই)।
৫) @ রাজীব নুর- আপনি মডুকে ডরাবেন না। এর আগের বার জেনারেল হবার পর ভিতরের পাতাতেই আপনি যে জ্বালাময়ী লেখা অনবরত পোস্ট করছিলেন, তা পড়ে মডুর রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিলো, কবিতা পড়েও নামানো যাচ্ছিলো না। এ ছাড়া কিবোর্ড-মাউস ব্যবসায়ীরাও ওনাকে স্মারকলিপি দিয়েছিলো। কাজেই উনি আপনাকে জেনারেল করার মতো ঝুঁকি আর নেবেন বলে মনে হয় না। নিশ্চিন্তে লিখুন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ১) কিরপিনের সমস্যা আমি বুঝি, ব্যাখ্যা করার দরকার নাই।
২) হতাশা কাটানোর আরেকটা উপায় আছে। নিয়মিত লুডিওমিল সেবন।
৩) ব্লগিং আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। ইন্সপিরেশন কি 'বদ্দা' থেকেই পেয়েছেন? সে আর বলতে!!!
৪) ওইটা পোষ্ট করার আগে আওয়াজ দিয়েন। সামনে যেই গাছ পড়বে, ভাবছি তাতেই ঝুইলা পড়বো।
৫) নিশ্চিন্তে লিখুন। না…...হবে, নিশ্চিন্তে মন্তব্য করুন!
জুন আপা আপনাকে ধন্যবাদ দিতে বলেছিলেন। দিলাম। সময় করে নিয়ে নিয়েন।
৪৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৪৯
সোহানী বলেছেন: কিছু নাই বা বল্লাম, শুধু আমার একটা লিখা শেয়ার করলাম।
আপনার শিশু সন্তানকে কিভাবে বাচাঁবেন নরপশুদের হাত থেকে !!!!!
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কি-ই বা আর কইবেন কন! আপনের ওই পোষ্টে মন্তব্য রাইখা আসলাম।
৪৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৪
ইসিয়াক বলেছেন: আগের পোস্টে তো লাইক দিয়েছিলাম। কে জানে কি হলো। চেক করে দেখি তালিকায় নাম নাই। আমি সত্যি সত্যি দুঃখিত।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে……..কোন ব্যাপার না। ম্যান ইজ মর্টাল!!!
৫০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৭
ইসিয়াক বলেছেন: আগের পোস্টে লাইক দিছি কিন্তু
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কি সব্বোনাশ!! আবার পুরান পুষ্টে লাইক দিতে গেছেন ক্যান? যাউগ্যা…...দিয়া যহন ফালাইছেনই, আর কি কমু? ধইন্যবাদ!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: এখনকার সময়ে ক্লাসে বা বিভিন্ন মাধ্যমে 'গুড টাচ-ব্যাড টাচ' শেখানো হচ্ছে বটে, কিন্তু কাজের কাজ কতটুকু হচ্ছে কে জানে!