নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মানুষ, যিনি স্বপ্ন দেখতেন এবং স্বপ্ন দেখাতে ভালোবাসতেন। যিনি আমাদের ছেড়ে, এই পৃথিবী ছেড়ে চিরাচরিত নিয়মে চলে গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু রেখে গিয়েছেন এমন কিছু যা বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে অনন্তকাল আদরনীয় থাকবে। বলছি হুমায়ূন আহমেদের কথা। অনেকের কাছেই তিনি ছিলেন হুমায়ুন স্যার বা শুধুই স্যার। তবে আমার কাছে উনি ছিলেন হুমায়ূন ভাই। ব্লগে আমি লেখালেখি শুরু করার পর থেকে বিভিন্ন দিবসে উনাকে স্মরণ করে বিভিন্ন ধরনের লেখা এসেছে। আমারও প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছা করেছে অনেকবার। অনেকবারই কি-বোর্ডে হাত রেখেছি, কিছু লিখবো চিন্তা করে। কিন্তু বার বার হাত সরিয়ে নিয়েছি। বিভিন্ন কথা চিন্তা করে লেখা হয়ে ওঠেনি। উনাকে নিয়ে আমি কিছু লিখতে গেলেই এই ''মফিজ''ও প্রসঙ্গক্রমে সামনে চলে আসে, যেটা আমি চাই না। উনার বিভিন্ন প্রসঙ্গও সামনে চলে আসতে পারে, যেটা উনি হয়তো পছন্দ করতেন না। আমি যেহেতু কোন পদের লেখক না, কি লিখতে কি লিখে ফেলি তার কোন ঠিক নাই। কল্পনা করি, অত্যন্ত প্রচার-বিমুখ ইন্ট্রোভার্ট হুমায়ূন ভাই হয়তো আমাকে ফোন করে বলতেন, এইসব কি লিখছো? এক্ষুনি বাসায় আসো। তোমার কান-ডলা না দিলে শান্তি নাই। এই রকমের অস্বস্তি থেকেই অনেকবার লেখা শুরু করেও শেষ করি নাই, পোষ্ট করা তো অনেক দুরের কথা।
''লিখতে ইচ্ছা করে, কিন্তু লেখি না''; এমনি একটা অদ্ভুত দো'টানার মধ্যে থাকতে থাকতে এবার কিছু কথা লিখেই ফেললাম।
হুমায়ূন ভাইয়ের সাথে আমার প্রথম পরিচয় আজিমপুর নতুন পল্টন লাইনে। উনাদের দু'বাসা পরেই ছিল আমাদের বাসা। নেক্সট ডোর নেইবার না হলেও প্রতিবেশী। উনি থাকতেন দোতলায়। উনাদের ঠিক পাশের চারতলা বাড়িটা ছিল আমার অতি ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর। বাড়িটার ছাদ ছিল আমাদের বৈকালিক আড্ডার জায়গা। হুমায়ূন ভাইদের বাসায় একটা লম্বা টানা বারান্দা ছিল। উনি একটা নোটখাতা নিয়ে সিগারেট খেতে খেতে একমাথা থেকে আরেক মাথা পায়চারী করতেন। আর উনার বড় মেয়ে নোভা (তখন পিচ্চি ছিল) উনার চাদরের খুট ধরে উনার পিছনে পিছনে হাটতো। এটা দেখে আমরা খুবই মজা পেতাম। অনেক সময়েই নোভাকে দুষ্টামি করে কিল-ঘুষি দেখাতাম। সে তখন বাবার চাদরের খুট আরো টাইট করে ধরতো। হাটতে অসুবিধা হওয়াতে হুমায়ূন ভাই তাকে কিছু একটা বললে আবার হাল্কা করে ধরতো। যতোদূর মনে পড়ে, উনি কোন সময়ে আমাদের দিকে তাকাতেন না।
একবার পাড়ার ক্রিকেট ম্যাচের চাদা চাইতে উনাদের বাসায় গিয়েছি আমরা তিন বন্ধু। আমি, আমার চার তলা বাড়ির বন্ধু আর একজন। বসার ঘরে অপেক্ষা করছি, হুমায়ূন ভাই এসে ঢুকলেন, সাথে যথারীতি চাদরের খুট ধরে মেয়ে। দেখে আমরা তিনজনই একসাথে হেসে দিলাম।
হুমায়ূন ভাই বললেন, তোমরা পাড়ার ছেলে। বাসায় এসেছো। চা-নাস্তা দিতে বলেছি, খেয়ে চলে যাও। কোন পয়সা-কড়ি দিতে পারবো না।
আমার ছাদ-মালিক বন্ধু বললো, কিছু না দিলে বসবো না। আরো অনেক বাসায় যেতে হবে। তবে, বড় আয়োজন করছি, অনেক খরচ। সবাই কিছু না কিছু, না দিলে সমস্যা হয়ে যাবে।
হুমায়ূন ভাই বললেন, তোমরা তোমাদের সমস্যা দেখবে, সেটাই স্বাভাবিক। আমিও আমার সমস্যা দেখছি। আমার লেখালেখির চিন্তার সময়টাতে তোমরা আমার মেয়েকে বিরক্ত করো, আমার মেয়ে আমাকে বিরক্ত করে। তোমরা বিকালে যদি ছাদেই আড্ডা দেও, তাইলে ক্রিকেট খেলো কখন? তারপরে ছাদ-মালিক বন্ধুকে বললেন, ওটাতো তোমাদের বাড়ির ছাদ, তাই না?
আমরা ভাবতাম, উনি আমাদের কাজ-কারবার খেয়াল করেন না। আসলে ঠিকই আমাদের বাদরামী দেখতেন। যাই হোক, উনি সেদিন বেশ ভালো অঙ্কই দিয়েছিলেন। আমাদের প্রত্যাশার চাইতে বেশী। আগে রাস্তায় দেখা হতো, কথা হতো না। সেদিনের পর থেকেই হুমায়ূন ভাইয়ের সাথে আস্তে আস্তে আমার কথা বলার সূচনা হয়।
আমার বড়চাচা থাকতেন আজিমপুর কলোনীতে। উনি সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন। হুমায়ূন ভাই একটা বিশেষ প্রয়োজনে উনার কাছে যেতেন। চাচার বাসায় উনার সাথে আমার বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। সেটা অবশ্য আরো পরের কথা। তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র, আর উনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। একদিন সন্ধ্যাবেলা তৃতীয় তলাতে চাচার বাসায় যাওয়ার আগে কলোনীর অন্ধকারের চিপায় নীচে দাড়িয়ে আয়েশ করে সিগারেট খাচ্ছি, হুমায়ূন ভাই কখন পিছনে এসে দাড়িয়েছেন, খেয়ালও করি নাই। ওই সময়ে আমি প্রেমে এমন হাবুডুবু খাচ্ছিলাম যে, অনেক সময়ে দিনে-দুপুরেও সামনে দিয়ে হাতি চলে গেলেও কিছুই দেখতাম না; সেখানে সন্ধ্যার ছায়া ছায়া অন্ধকারে তো দেখার প্রশ্নই ওঠে না। উনি পিছন থেকে বলে উঠলেন, তুমি কি উপর থেকে আসলা, নাকি যাবা?
আমি ভয়ানক চমকে গিয়ে ফিরে তাকিয়ে একেবারে সামনে হুমায়ূন ভাইকে দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলাম। সিগারেট যে হাত থেকে ফেলবো, সেই সময়ও নাই। বেকুবের মতো উনার দিকে তাকিয়ে আছি। উনি বললেন, ছাগলের মতো তাকায়া আছো কেন? টান দেও, সিগারেটের তো অপচয় হচ্ছে। তোমার সিগারেট খাওয়া দেখে তো আমারও নেশা চেপে গেলো। বলে ফস করে একটা ধরালেন। আমি তখনও সিগারেটে টান দিচ্ছি না দেখে বললেন, খাও। অতি ভদ্রতা করার দরকার নাই। তোমার সব খবরই আমার কাছে আছে। আমেরিকায় আমরা ছাত্র-শিক্ষক একসাথে সিগারেট টানতাম। আমার দিক থেকে কোন অসুবিধা নাই। তাছাড়া এই অন্ধকারে কেউ দেখবে না।
সেদিন নীচে দাড়িয়ে আমরা পনের মিনিটের মতো কথা বলেছিলাম। এর মধ্যেই হুমায়ূন ভাই তিনটা সিগারেট খেয়েছিলেন…...একটা ম্যাচের কাঠি খরচ করে। প্রচন্ড রকমের ধুমপান করতেন উনি। আমি এতো ঘন ঘন ধুমপান করতে আর কাউকে দেখি নাই।
সম্ভবতঃ ১৯৯৪ সালের দিকে হুমায়ূন ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন। উনি তখন নাটক, সিনেমা আর বই লেখা নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত ছিলেন যে, এ'ছাড়া আর কোনও উপায়ও উনার ছিল না। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে আমি চাকুরী নিয়ে বেশ কিছুদিনের জন্য ঢাকার বাইরে চলে যাই। সবমিলিয়ে উনার সাথে আমার যোগাযোগ কমে যায়।
আরো অনেক পরে ঢাকায় একটা নাটকের স্ক্রীপ্টের মিটিংয়ে হুমায়ূন ভাইয়ের সাথে দেখা হয়। লান্চের একটু আগে মিটিং শেষ হওয়াতে উনাকে লান্চ করার জন্য অনেক ঝুলাঝুলি করলাম। উনি আমাকে টেনে বাইরে নিয়ে এসে বললেন, এই গাছতলায় দাড়িয়ে একটা সিগারেট খেয়ে চলে যাবো। ড্রাইভারকে গাড়ি নিয়ে চলে যেতে বললেন। সেদিনটাতে ছিল গ্রীষ্মের চান্দিফাটা গরম। আমি বললাম, হুমায়ূন ভাই, এই গরমের মধ্যে গাড়ি ছেড়ে দিলেন? উনি বললেন, এই রোদের মধ্যে যদি হাটো, তাহলে অনেক ইন্টারেস্টিং জিনিস দেখতে পাবা। মাথায় অনেক রকমের আইডিয়া আসে।
সিগারেটে শেষ টান দিয়ে সেই কাঠ ফাটা রোদে নেমে পড়লেন। এই ছিলেন হুমায়ূন ভাই। প্রচন্ড খেয়ালী, কল্পনা-প্রবণ এবং অদ্ভুদ একটা চরিত্র। উনার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে এক কাঠ ফাটা দুপুরে রোদের মধ্যে আধাঘন্টা হেটেছিলাম। সর্ষেফুল ছাড়া কিছুই দেখি নাই, কোন আইডিয়াও পাই নাই। ঘেমে নেয়ে এক দোকানে গিয়ে এক বোতল ঠান্ডা স্প্রাইট খেয়ে সবচেয়ে কাছের রিকসাটায় এক লাফে উঠে পড়েছিলাম। সবাই আসলে হুমায়ুন আহমেদ হতে পারে না! শত চেষ্টা করলেও না!!!
সেই মিটিংয়ের দু'মাস পর রমনার ইষ্টার্ন হাউজিংয়ের পিছনে এক রেকর্ডিং স্টুডিওতে উনার সাথে আমার শেষ দেখা হয়। দুপুরে মোরগ-পোলাও খেয়ে স্টুডিওর বারান্দায় দাড়িয়ে দু'জন সিগারেট টানছি। উনাকে বললাম, হুমায়ুন ভাই, এবার সিগারেট খাওয়াটা একটু কমান। আপনের এই বয়সে এই পরিমান সিগারেট খাওয়া ঠিক না।
আমাকে থামিয়ে দিয়ে উনি যথারীতি রসিকতার সুরে বললেন, কাঠাল যদি লিচুকে বলে, তোর গায়ে কাটা; তাইলে কেমন শোনায়?
হুমায়ূন ভাই এমনিতে কথা বলতেন কম, তবে পরিচিত লোক পেলে প্রচুর কথা বলতেন। নুহাশ পল্লীতে কাজে-অকাজে কয়েকবারই গিয়েছিলাম। একবার জোৎস্না রাতে মাঠে বসে উনি বলেছিলেন, দেখছো, কি সুন্দর চাদের আলো। এই জোৎস্নার বন্যা ঢাকায় বসে কিছুই বুঝা যায় না, সেইজন্য সুযোগ পাইলেই এখানে চলে আসি। আচ্ছা, তোমার কি মনে হয়, মারা যাওয়ার পরে জোৎস্না দেখা সম্ভব হবে?
আমার বলার কিছু নাই। উনার ভক্তরা সবাই জানেন, হুমায়ূন আহমেদ জোৎস্না প্রচন্ড পছন্দ করতেন। উনার মধ্যে এই জোৎস্না নিয়ে অনেক পাগলামী ছিল। সেদিন উনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি নাই। আজও পারবো না। জানি না, উনি উনার অতিপ্রিয় জোৎস্না দেখতে পারছেন, কি পারছেন না।
ও কারিগর, দয়ার সাগর, ওগো দয়াময়
চান্নি পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়,
সত্যি সত্যিই হুমায়ূন ভাইয়ের একটা বিরাট আকুতি ছিল এটা।
শেষ কথাঃ গত ১৩ তারিখ ছিল হুমায়ুন ভাইয়ের জন্মদিন। অনেকেই লিখেছেন, আমারও এটা পোষ্ট করার ইচ্ছা ছিল। ব্যস্ততার জন্য পারি নাই। অনেক কাটাকুটি করে এই লেখাটা দাড় করিয়েছি। আশাকরি, এতে আমার পর্দার পিছনে থাকার সদিচ্ছা আর হুমায়ূন ভাইকে বিরক্ত করার মতো কিছু না থাকা…..দু'টাই নিশ্চিত করতে পেরেছি। তারপরেও যদি কোন ভুল করে থাকি, উনি নিশ্চয়ই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, যদি দেখার সুযোগ থাকে।
ওপারে ভালো থাকুন হুমায়ূন ভাই। আমার ধারনা, বাংলা ভাষা যতোদিন এই পৃথিবীতে টিকে থাকবে, আপনি ততদিনই বাঙ্গালীর হৃদয়ে একইভাবে সমাসীন থাকবেন। এই আসন থেকে আপনাকে সরানো শুধু অসম্ভবই না, অবাস্তব কষ্ট-কল্পনাও বটে!!!
ছবিটা গুগলের সৌজন্যে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নব্বুই না, আশির দশক থেকেই উনার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশ ছোয়া। শ্রদ্ধা রইলো জ্বী, অনেক অনেক শ্রদ্ধা।
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত বিনম্র শ্রদ্ধা। পরে আবার আসছি।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওকে......অপেক্ষায়!!
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা আমাদের হুমায়ুন স্যার, প্রিয় লেখক । ফেসবুকে অনেকেই দেখলাম উনাকে ইনসাল্ট করার চেষ্টা করছে। অথচ তারাও লেখক, আরে বেআক্কের তার মত হইয়া দেখা আগে মেজাজটা বিগড়ে যায়
ধন্যবাদ আপনাকে । অনেক ভালো লাগলো লেখা
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'ইর্ষা' জিনিসটা কখনও ভালো কিছু না। ফেসবুকের কল্যানে আমাদের লেখকের অভাব নাই, চোরেরও অভাব নাই। নিজে না লিখতে পারলে চুরি করে, অন্যের বদনাম করে হলেও লেখক হতে হবে। এদেরকে ইগনোর করাই ভালো। মেজাজ খারাপ করে শুধু শুধু প্রেশার বাড়ানোর দরকার কি?
আপনাকেও ধন্যবাদ।
৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ১২ তারিখ একটা লেখা লিখেছিলাম হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে। ভেবে রেখেছিলাম ১৩ তারিখ পোস্ট করবো। কিন্তু হঠাত ঢাকার বাইরে যাওয়ার কারনে লেখাটা পোস্ট করা হয়নি।
হুমায়ূন আহমেদ এর উপরে কোনো কথা নাই। উনি অলটাইম বস। উনাকে যারা উলটা পালটা কথা বলে তারা দেশের শত্রু।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার লেখাটা পোষ্ট করে ফেলেন। অসুবিধা কি? দেরী হলেও যায়নি সময়!!!
উনাকে যারা উলটা পালটা কথা বলে তারা দেশের শত্রু। ভুল। এটা বাংলাদেশে শুধু একজনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বরং বলতে পারেন, শিল্প-সাহিত্যের শত্রু।
৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
জাদিদ বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। হুমায়ুন আহমেদ আমার কাছে একটি আবেগের নাম। দুই হাজার দুই/ তিন সালের দিকে দখিন হাওয়াতে আমার যাওয়া শুরু হয়। তখন জানতাম না এই বাসায় হুমায়ূন আহমেদ থাকে। পরে যখন শুনলাম, এই বাসায় হুমায়ুন আহমেদ থাকে, তখন আমার মনে হচ্ছিলো আমি বুঝি মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাবো। সে এক অদ্ভুত অনুভুতি। আমি যার বাসায় যেতাম, তিনি ছিলেন হুমায়ুন আহমেদের বন্ধু। পেশায় ছিলেন আর্কিটেক্ট। উনি, উনার স্ত্রী দুইজনই হুমায়ুন আহমেদের পরিবারের সাথে খুবই ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। কয়েকটি জনপ্রিয় নাটকে তিনি ও তাঁর স্ত্রী দুইজনেই অভিনয়ও করেছিলেন। একদিন একটা কাজে আমি গেলাম শাওন আপুর সাথে দেখা করতে। আমি সেখানে ঢুকে দেখি শুধু বই আর বই। আর সামনেই একটা ছোট টেবিল যেখানে মাটিতে বসে লেখা যায়। বাসা থেকে বের হয়ে আসার পর আমার বন্ধু জিজ্ঞেস করলো, কিরে! সব বুঝে নিয়েছিস তো?
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কি বুঝব?
আমার বন্ধু অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে বলল, নেক্সট থেকে তোকে আর এই বাসায় নিয়ে আসা যাবে না।
যাইহোক, এই মানুষটি আমাদেরকে বই পড়তে শিখিয়েছেন। অনেকেই তাঁর সমালোচনা করেন। এইগুলো হিংসা ও ব্যক্তিগত সংকীর্নতা থেকে। একবার আমি একটি তর্কে বলেছিলাম, বঙ্কিম হয়ে বুক সেলফে শোভা বৃদ্ধির চাইতে হুমায়ূন হয়ে হৃদয়ের কাছে থাকাই উত্তম।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেকদিন পর একটা চমৎকার লেখা পড়লাম। সেই সাথে নিশ্চিত হলাম, আমার অনুমান করার দক্ষতা মোটামুটি ভালো মানের। আপনার ব্যাপারে এখন কি অনুমান করেছিলাম, সেটা না হয় রহস্যই থাক।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দখিন হাওয়া'তে অবশ্য আমার কখনও যাওয়া হয় নাই। বিভিন্ন কারনে সম্পর্কটা আস্তে আস্তে ফিকে হয়ে গিয়েছিল। এক সময়ে ফোনে কথা বলাও বন্ধ হয়ে যায়। সেটা অবশ্য অন্য প্রসঙ্গ। তবে হুমায়ূন ভাইকে আমি সব সময়েই হৃদয়ে ধারন করি; একজন বড় মাপের মানুষ হিসাবে, আমার সবচাইতে প্রিয় লেখক হিসাবে।
এই মানুষটি শুধু আমাদেরকে বই পড়তেই শিখিয়েছেন, তাই না। মধ্যবিত্ত বাঙ্গালীকে আবার সিনেমা হলমুখী করতে পেরেছিলেন। রিমোট হাতে না নিয়ে টিভিতে একটা নির্দিষ্ট চ্যানেল দেখতে (ওনার নাটকের কথা বলছি) বাধ্য করতে পেরেছিলেন। এগুলো সে'সময়ে প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ছিল।
হিংসুক লোকজনদেরকে গুরুত্ব দেয়ার কোন কারন নাই। এরা থাকুক এদের হিংসা নিয়ে। হু কেয়ার্স!!
শুধু অনুমান কেন? আপনার অনেক দক্ষতাই মোটামুটি না, বেশ ভালো মানের জাদিদ ভাই। কি অনুমান করেছেন, আল্লাহ মালুম। তবে ঠিক বলেছেন, কিছু রহস্য রহস্য থাকাই ভালো।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪২
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বোঝা গেল, ভুয় মফিজ ভুয়া না।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুল বুঝেছেন। ভুয়া মফিজ ভুয়া-ই!!
৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
ওমেরা বলেছেন: উনার হয়ত দুই একটা নাটক দেখেও থাকতে পারি কিন্ত কোন বই পড়া হয়নি । ব্লগে উনাকে নিয়ে কোন লিখা পড়ে খুব আফসোস হয় আমার অজ্ঞতা না নিয়ে , খুব ইচ্ছা করে উনার বইগুলো পড়তে কিন্ত সময় যে নেই ।
খুব ভালো লাগলো আপনার লিখা কিছু তো জানলাম উনার সম্পর্কে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওনার কোন বই পড়া হয়নি এইটা কোন কথা হলো? ব্লগে লিখছেন, অন্যদের লেখা পড়ছেন। আর উনার একটা বইও পড়ার সময় পাচ্ছেন না!!!! অনলাইনে ওনার অনেক বই পাওয়া যায়। একটা পড়েন, নেশা হয়ে যাবে। তবে, শুরুতে উনার প্রথম দিককার বইগুলো পড়েন। ''শঙ্খনীল কারাগার'' দিয়ে শুরু করতে পারেন।
হ্যাপী রিডিং!!
৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫
জুন বলেছেন: আপনি হুমায়ুন আহমেদ স্যারের সাথে বিড়ি খাইতেন!!!! আপনার পোস্টে আইসা এখন থিকা অনেক ভাবনা চিন্তা কইরা কথা কওন লাগবো হুদাই আওল ফাওল কথা বলা যাবে না, আর কাভাও ভাইজান ডাক্তেছে
যাক + দিছি
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে যে কি কন, আর না কন! ওনার লগে বিড়ি খাওন কোন বিগ ডিল না। উনি খোলা মনের মানুষ ছিলেন, ছোট-বড় আলাদা করতেন না। হাজার হইলেও দীর্ঘদিন আম্রিকায় থাকছেন। আপনেও তো যাইতাছেন……..অহন থিকাই লেসন নেওন শুরু করেন!!!
এখন থিকা অনেক ভাবনা চিন্তা কইরা কথা কওন লাগবো হুদাই আওল ফাওল কথা বলা যাবে না, ভুয়া মফিজ তো বদলায় নাই, আপনে বদলাইবেন ক্যান? চিন্তা করেন!!! কিছু বুঝলে জানাইতে ভুইলেন না।
৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯
ইসিয়াক বলেছেন: এইটা কি আপনার লেখা ? কি দারুণ ! কি দারুণ!!
পরে আসবো। একবার পড়েছি আবারও পড়বো। আপাতত শুভকামনা।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইটা কি আপনার লেখা? এইটা কোনদেশী ডায়লগ বুজলাম না। আপনের কি ধারনা আরেকজনের লেখা চুরি করছি!!! কি সর্বনাইশ্যা কথা!!
আপনের জন্যও শুভ কামনা।
১০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: সহ ধুমপায়ী।
টানে টানে অনেক কিছু শিখে নিয়েছেন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একসাথে ধুমপান করলেও কিছুই শিখতে পারি নাই। আফসোস!!!
১১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
চাঁদাবাজ বাঁদর ভুম তাহলে হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই আর বিড়ি পার্টনার এই তথ্য এতদিন গোপন ছিলো !!! ভুম যে বাঁদর আজ নিজের অজান্তেই জানালো । আমার কিন্তু ভুমকে বরাবরই শাখামৃগই মনে হতো । ভীষণ দুষ্ট প্রকৃতির যেটা আমার খুবই পছন্দ ।
ছাগলের মতো তাকাইয়া আছো কেন । টান দাও সিগারেটের তো অপচয় হচ্ছে ।
হা হা হা...... এই না হলে হুমায়ূন আহমেদ । আমার প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ । যে মানুষটার লেখা একই সাথে হাসায় আবার কাঁদায় । বাংলাদেশী লেখকদের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ ওয়ান এন্ড অনলি । দ্বিতীয় কোনও হুমায়ূন আহমেদ কখনোই আর হবে না । দেবী দিয়ে হুমায়ূন পড়া শুরু করেছিলাম । সেই থেকে এখন পর্যন্ত হুমায়ূন আহমেদের একটা লেখা পেলে ওটা শেষ না করা পর্যন্ত অন্য কাজে মন বসেনা ।
কাঁঠাল যদি লিচুকে.........
কি কাঁঠাল ? রেকর্ডিং স্টুডিওতে কি করতে যাওয়া হয়েছিলো ? মনেতো হচ্ছে আরও কিছু সুপ্ত প্রতিভা লুকায়িত ।
সবাই আসলে হুমায়ূন আহমেদ হতে পারেনা
সো ট্রু । আমার কালেকশানের বাংলা লেখকদের মধ্যে সমরেশ, সুনীল, বুদ্ধুদেব, শীর্ষেন্দু আরও অনেকের মাঝে সবচেয়ে বেশী বই হুমায়ূন আহমেদের । এতো চমৎকার একটা লেখার জন্য থ্যাংকস ভুমকে ।
সুপার জিনিয়াস এই মানুষটার যে বিষয়টা আমার সবচেয়ে ভালো লাগতো সেটা হচ্ছে ওনার পাগলামি আর জোৎস্না প্রীতি যা আমাকে পাগল করে । কানে কানে একটা গোপন কথা, দেশে এবং এখানে আমার বন্ধুরা আমাকে হিমু ডাকে । হিমু আর হুমায়ূনতো অবিচ্ছেদ্য ইউ নো এই পাগল মানুষটার জন্য অনেক ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ''একজন মানুষের বহুকিছুই গোপন থাকে। এটা অনেকটা বইয়ের মতো। যতো পৃষ্ঠা উল্টাবেন, ততোই জানবেন।'' এটা দার্শনিক ভুয়া মফিজের একটা বাণী। আপনি আমার অনেক লেখা মিস করেন। নাহলে ইতোমধ্যেই জানতেন যে, বাদর জিনিসটা আমার জন্য নতুন কিছু না।
রেকর্ডিং স্টুডিওতে কি করতে যাওয়া হয়েছিলো? কথায় কথা বাড়ে। সব কথা যদি বলেই দেই, তাহলে এনোনিমাস ব্লগিংয়ের মজা আর থাকে কোথায়?
সমরেশ, সুনীল, বুদ্ধদেব, শীর্ষেন্দু......এনারা সবাই বড় লেখক। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ আলাদা জিনিস। এনাদের কারো সাথেই উনার তুলনা হয় না। আপনি-আমি'র মতো হুমায়ূন-ভক্তরা এটা খুব ভালো করেই জানে। হুমায়ূন আহমেদ একজন মাল্টি স্কিলড মানুষ ছিলেন। যেখানে হাত দিয়েছেন, সোনা ফলিয়েছেন। এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার।
যাক্, ব্লগে একজন 'মহিলা হিমু'র সন্ধান পাওয়া গেলো!!!
১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু একটা কথা বলি, তাহলেই পরিস্কার হবে হুমায়ূন আহমেদের প্রতি আমার কি পরিমান ভালোবাসা।
যেদিন শুনলাম স্যার মারা গেছেন। আমি মাটিতে গড়াগড়ি করে কেদেছি। দুই দিন শোকে না খেয়ে ছিলাম।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার হুমায়ূন আহমেদের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আমার মনে হয় না এই ব্লগে কারো সন্দেহ আছে। সবার আবেগের বহিঃপ্রকাশ একভাবে হয় না। আপনি আপনার মতো করে বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। আপনার জন্য সেটাই ঠিক ছিল।
১৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
জুন বলেছেন: ছুডো কে পুরাটা পইড়াতো মনে হইলো আপ্নেরা সমবয়সী, থাকার মইদ্যে হের একটা মাইয়া আছিলোএই যা।
সাবধান জুন বেগম ,অখন থিকা মফিজের লেখায় খুব আদবের সাথে সালাম আদাব দিয়া মন্তব্য কর্তে হপে
ভুয়া ছিলেন ভালোই ছিলেন,
অখন দেহি হুমায়ুন ভাই,
আমি কোনবা পথে নিতাইগঞ্জে যাই
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে.............একখান না, ওই সময়ে হের তিনখান মাইয়া আছিলো। আমরা তো সমবয়সীই আছিলাম, তয় মনের দিক দিয়া।
সাবধান জুন বেগম ,অখন থিকা মফিজের লেখায় খুব আদবের সাথে সালাম আদাব দিয়া মন্তব্য কর্তে হপে এই মন্তব্যে জুন বেগম সালাম আদাব দিতে ভুইলা গেছে গা!!!
কবিতা ''পেরায় কপি/পেষ্ট'' হইলেও পছন্দ হইছে।
১৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "এইসব কি লিখছো? এক্ষুনি বাসায় আসো। তোমার কান-ডলা না দিলে শান্তি নাই।" হুমায়ুন আহমেদ একজন বরেণ্য সাহিত্যিক। বাংলা সাহিত্যে আর দ্বিতীয় হুমায়ুন আহমেদ জন্মাবেন না। সেই মানুষটা যাকে লেখনীর গুনে স্নেহবশত আদরের ছলে কাছে ডাইকা কানডলা দিতে চাইছিলেন তাহলে বক্তার সাহিত্য প্রতিভা যে উচ্চমার্গীয় সে বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। ব্লগে কেউই হুমায়ুন আহমেদ পর্যায়ের পাঠক নন। কাজেই অতবড় মাপের একজন মানুষ যদি সেদিন এমন লেখা পড়ার সুযোগ পান,সঙ্গত কারণে আমরাও সেদিনের সেই লেখা পড়ার দাবি করতেই পারি। তবে আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন যে উনি যে জন্য আপনাকে দেখেছিলেন ব্লগে কেউ তার মুখে উচ্চারণ করার সাহস পাবেননা।করলে তার খবর আছে।
"আমি যেহেতু কোন পদের লেখক না। কি লিখতে কি লিখে ফেলি...."-চমৎকার আত্মোপলব্ধি। প্রকৃত গুণী ব্যক্তি এমনি বিনয়ী হয়ে থাকেন। আমরা কম পাওয়ারীরা প্রায়ই সব ক্ষেত্রে বহুৎ জানি বলে হামবড়ায় ভাব করি। কিন্তু প্রকৃত বিনয়ী, গুণীজন কখনো নিজেকে জাহির করেন না। স্যার আইজাক নিউটন পর্যন্ত নিজেকেও জ্ঞানের সমুদ্রে নুড়ি কুড়াচ্ছেন বলে অভিহিত করেছিলেন। কাজেই আপনার বিনয়কে জানাই অন্তরের শ্রদ্ধা। আপনার এমনই হাবিজাবি লেখা যে অমৃত।
ক্রিকেট খেলার চাঁদার অঙ্কটা আশার অতিরিক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন।সেটা কি ভবিষ্যতে ব্লগে ওনাকে নিয়ে লিখবেন বলে দিয়েছিলেন নাকি তিন জনের ভয়ে বেশি টাকা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন? জাতির মনে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সবশেষে যে বিষয়টি জেনে পুলকিত হয়েছি,কোন এক সন্ধ্যায় আপনি ও হুমায়ুন স্যার একসাথে স্মোক করেছেন শুনে। যদিও দুজনের ভিন্ন স্বাদ ছিল। কিন্তু অন্তরঙ্গতা হয়েছে যে স্মোককে কেন্দ্র করে তার মহত্বকে ধন্যবাদ দিতেই হবে।আমরাও গর্বিত আমাদের প্রিয় মফিজ ভাই আর ভূয়া নন প্রকৃতই গুনি মানুষ,গ্রেট ব্যক্তির সান্নিধ্য পেয়েছেন।
সবশেষে টুকরো টুকরো স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন ঘটনাগুলো জেনে আনন্দ পেলাম। আগামীতেও মনের অতলে লালিত বিভিন্ন ঘঠনা এভাবেই আমরা জানতে পারবো আশাকরি। বিলম্বিত হলেও জন্মদিনে এহেন মহান সাহিত্যিককে জানাই অন্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
পরপারে উনি যেন অপার শান্তিতেই থাকেন-কামনা করি।
শুভেচ্ছা আপনাকেও। ভালোবাসা সতত...
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা কাল্পনিক ডায়লগকে আপনে যেভাবে কাটাছেড়া করলেন, তাতে ডরাইছি। আপনার কল্পনা-শক্তিও তো দেখি সেই রকমের।
আমার লেখার বেশী প্রশংসা না করাই ভালো। সবাই সবকিছু হজম করতে পারে না। জানেন তো, যে যেটার যোগ্য না তাকে সেটা দিলে বদহজম হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে!!! টাকা উনি সাথে করে নিয়েই এসেছিলেন। এটা উনার একটা অভ্যাস ছিল। প্রথমে টেনশান ক্রিয়েট করন, তারপরে সেটাকে প্রশমিত করন। এতে অপরপক্ষের দোদুল্যমানতার মজা দেখা যায়। আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন। এটাতে এক্সাইটমেন্ট আছে কিন্তু!!
আমরাও গর্বিত আমাদের প্রিয় মফিজ ভাই আর ভূয়া নন প্রকৃতই গুনি মানুষ,গ্রেট ব্যক্তির সান্নিধ্য পেয়েছেন। শোনেন, সোনার সাথে পিতল যতোই ঘষাঘষি করেন না কেন; দিনশেষে সোনা সোনাই থাকে, আর পিতল পিতলই। কি বুঝলেন!!!
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
১৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৬
ইসিয়াক বলেছেন: আহা ভালোবেসে আবেগী ডায়লগ দিলাম তাও মন পাইলাম না। আচ্ছা আপনি কি মধুরিমার রিলেটিভ ?
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আবেগী ডায়লগতো বুঝছি, আপনের লগে একটু মশকরা করলাম আর কি!!
মধুরিমার রিলেটিভ তো হইতেই চাইছিলাম, মাহা'র যন্ত্রণায় আর পারলাম কই???
১৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনাকে নিয়ে লিখলেন, নাকি হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে লিখলেন?
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে আপনের সুবিধা মতোন ভাইবা লন। তয় কি ভাবলেন তা বলার জন্য আবার আসার দরকার নাই। কারন, আপনের ভাবাভাবিতে ভুয়া মফিজের কিছুই যায় আসে না।
১৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখা পড়ে মনে হলো, আপনার কারণে লেখক হুমায়ুন আহমেদ সাহেব ব্লগে হুমায়ুন আহমেদ হতে যাচ্ছেন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যা কইতে চাইছেন, বাংলায় ঠিকমতো কইতে পারেন নাই। কোন ব্যাপার না, আমি জানি আপনের বাংলার অবস্থা ভয়াবহ! এইবার ইংরেজিতে টেরাই করেন।
১৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩০
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: গ্রেট!
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: থ্যাঙ্কস! পড়ালেখা তো তেমন একটা নাই এখন। দিনকাল কেমন চলছে?
১৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৩
করুণাধারা বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ই সৈয়দ মুজতবা আলীর "দেশে বিদেশে" পড়েছেন। ঐ বইয়ে একটা ঘটনার কথা লেখক বলেছেন, তার এক প্রতিবেশীর সাথে তাঁর খুব সুসম্পর্ক ছিল, প্রতিদিন নানা বিষয়ে আলাপ আলোচনা করতেন। একদিন সেই প্রতিবেশী দেখলেন সৈয়দ সাহেব বাদশাহ আমানুল্লাহর সাথে টেনিস খেলছেন! বাদশাহের সাথে এমন ঘনিষ্ঠতা! এরপর থেকে সেই লোক সৈয়দ সাহেবকে দেখলে কুণ্ঠিত হয়ে পড়তেন, আগের মতো আলাপ আর জমতো না। আপনার হুমায়ূন ভাইয়ের গল্প পড়তে পড়তে এই গল্প মনে পড়ে গেল কেন যে
১৩ নম্বর মন্তব্যে লিখেছেন,একখান না, ওই সময়ে হের তিনখান মাইয়া আছিলো। আবার পোস্টে লিখেছেন নোভা পিচ্চি ছিল। যতদূর জানি, নোভার জন্ম ১৯৭৭য়ে, শীলা ১৯৮০ তে আর বিপাশা ১৯৮৪ তে। তাহলে তিনখান মাইয়ার প্রথমজন পিচ্চি হয় কি করে??? আবার হুমায়ূন আহমেদ দেখলাম আপনাদের চাঁদা দিতে চাইছিলেন না, "তোমরা আমার মেয়েকে বিরক্ত কর বলে।" হিসাব মেলাতে পারছি না...
যাইহোক, লেখা সুখপাঠ্য হয়েছে। লাইক করলাম।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে......আপনাদের জ্বালায় তো দেখি শান্তিমতো একটু স্মৃতিচারনও করা যাবে না। প্রবলেমের উপরে সমস্যা।
আপনি সম্ভবতঃ আমাকে কনফিউজড করতে চাচ্ছেন আপা। শীলা ৮০ তে না, ৮২ সালে জন্মায়। গুলতেকিন ১৯৭৬ সালে হলিক্রস কলেজে ভর্তি হন। হুমায়ূন ভাই তখনও ঢাকায়, আমেরিকা যান নাই। নোভার জন্ম যতোদুর জানি, আমেরিকাতে। তাইলে সে ৭৭ সালে জন্মায় কেমনে? মাথায় তো প্যাচ লেগে যাচ্ছে!!!
যাই হোক, নোভা তখন আমাদের চোখে পিচ্চিই ছিল। আবার জিজ্ঞেস করবেন না যেন, তাহলে ভুয়া মফিজের বয়স তখন কতো ছিল? উত্তর হলো, আমার জানা নাই।
লেখা সুখপাঠ্য বলাতে মনে শান্তি পাইলাম।
২০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০
ইসিয়াক বলেছেন: কিছু বলবো না বললে আবার বলবেন আপনার বয়স জানতে চাচ্ছি।
#যাহোক হুমায়ূন আহমেদের সাথে আমারও ছোট্ট একটা স্মৃতি আছে, আগে বলেছি , এখন আবার বলতে ইচ্ছা করছে না।
আজকের পোস্টটা খুব পছন্দ হয়েছে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের সাথে আমারও ছোট্ট একটা স্মৃতি আছে, আগে বলেছি , এখন আবার বলতে ইচ্ছা করছে না। আমি তো জানি না। কোনখানে কইছেন? লিঙ্ক দেন।
২১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার প্রথম স্ত্রীর এক আত্মীয়ের বিয়েতে ওনার ধানমণ্ডির বাসাতে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো ১৯৯৭ সালের দিকে। উনি খুব সহজ ভাষায় লেখেন এবং পাঠককে চুম্বকের মত ধরে রাখতে পারেন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার সাথে সিগারেট খেয়ে উনি জাতে উঠেছেন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের হিংসা হইতেছে মনে হয়? আমার এইখানে আইস্যা পড়েন, আপনেরেও জাতে উঠাই। তয়, আপনের সিগারেটে কাজ হইবো না। আরো কড়া জিনিস খাওয়ামু আপনেরে।
২৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৭
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: অ্যাডমিশনের জন্য এখন সারাদিন পড়ার উপরে থাকা লাগে
দোয়া রাইখেন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গুড। পড়ার উপরেই থাকা দরকার। এখন কষ্ট না করলে পরে কেষ্ট পাওয়া মুশকিল হবে।
২৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০২
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভয় পেলাম লেখা পড়ে।
ভূয়া মফিজ নামের রহস্য একটু উন্মোচিত হচ্ছে মনে হয়।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভয় পাওয়ার কিছু নাই। আমি মানুষ হিসাবে ক্ষতিকর কিছু না।
ভূয়া মফিজ নামের রহস্য একটু উন্মোচিত হচ্ছে মনে হয়। ব্লগার শায়মাকে জিজ্ঞেস করেন। সে ভুয়া মফিজকে ভালোভাবে চিনে।
২৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১০
করুণাধারা বলেছেন: এইবার হিসাব মেলাতে পেরেছি! আপনি যাকে দেখেছেন সে বিপাশা।
গুলতেকিন খান আজিমপুর গার্লস স্কুলে দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন যখন ১৯৭৬ সালে বিয়ে করেন। আমি কিছুতেই সেই বইয়ের নাম মনে করতে পারছি না যেখানে হুমায়ূন আহমেদ স্ত্রীকে রেখে বিদেশ যাবার কথা লিখেছেন, স্ত্রী যখন বললেন, "আমাদের প্রথম সন্তানের জন্মের সময় তুমি থাকবে না!" তখন তার ইচ্ছা করছিল টিকেট ছিড়ে ফেলে যাওয়া বাতিল করতে! বড়মেয়ে জন্মের সময় তিনি দেশে ছিলেন না, কিন্তু শীলার জন্ম আমেরিকায় আর জন্মের পর তিনি কীভাবে আজান দিলেন তাও লিখেছেন। এসব পড়ে আমার এদের জন্ম সাল কিছুটা মনে আছে, সেটা আপনার সাথে মিলছিল না। এখন বুঝলাম আপনি নামে গোলমাল করেছেন! প্রবলেম সলভড!
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি তো জানতাম গুলতেকিন (তখন অবশ্য ভাবী বলতাম, এখন ভাবী বলা ঠিক হবে কিনা জানি না) ১৯৭৬ সালে হলিক্রসের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। আপনি যেই বইয়ের কথা বলেছেন, সেটা ''হোটেল গ্রেভার ইন''। আমার কাছে ই-বুকটা আছে। আপনার ই-মেইল এড্রেস জানলে পাঠিয়ে দেয়া যেত।
বারান্দায় যাকে দেখতাম, সে নোভা না হলে শীলা হওয়া সম্ভব। তবে বিপাশা হতেই পারে না, এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। বহু বছর আগের কথা। সব এগজাক্টলী মনে রাখা কঠিন। নেট ঘাটাঘাটি করলে হয়তো কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এসব কোন জরুরী বিষয় না এখন। কষ্ট করার কোন মানে নাই, সময়ও নাই। অবশ্য জানতে চাইলে আমার অন্য সোর্সও আছে। তবে, দরকার কি পুরানো জিনিস নিয়ে ঘাটাঘাটি করার?
আপনি ঠিকই বলেছেন, শীলার জন্মই আমেরিকায়, নোভার বাংলাদেশে। স্ট্রং মেমোরী আছে আপনার।
২৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার হুমায়ূন আহমেদের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আমার মনে হয় না এই ব্লগে কারো সন্দেহ আছে। সবার আবেগের বহিঃপ্রকাশ একভাবে হয় না। আপনি আপনার মতো করে বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। আপনার জন্য সেটাই ঠিক ছিল।
নিজের কাছে কেউ মারা গেলে যেই কষ্ট টা হয় আমার সেই কষ্ট হয়েছে। কলিজা ছিড়ে গেছে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ তো আমাদের নিজেদের কাছের লোকই। উনি উনার যোগ্যতা দিয়েই বাঙ্গালীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। উনার মৃত্যুতে কষ্ট হওয়ারই কথা।
২৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫০
অনল চৌধুরী বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই মানুষটি শুধু আমাদেরকে বই পড়তেই শিখিয়েছেন[/sb তার আগে কি এদেশের মানুষ বই পড়তো না? বঙ্কিম, রবীন্দ্র, নজরুল,শরৎ,জীবনানন্দের বই কি মানুষ পড়তো না?
কোনো মানুষই সাধু না। কিন্ত ঈর্ষান্বিত হয়ে কারো সম্পর্কে কুৎসা রটানো আর ইচ্ছাকৃত তার স্বভাবের চরম নীতিহীন এবং জাতি ধ্বংসকারী বিষয়গুলি গোপন করাও একইরকম অপরাধ মনে করি।
দেশ জাতি সমাজ গঠনে বা পরিবর্তনে হুমায়নের ভূমিকা কি? তার একটা উপন্যাসও কি বিশ্বসেরা উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য?
চিপস, ফাষ্টফুড জনপ্রিয় কিন্ত অন্তসাররশূণ্য-যা শরীরের কোনো কাজে লাগে না।
হুমায়ণের সমগ্র সাহিত্যকর্মই ফাষ্টফুডের মতো ।
সাহিত্যের কারনে না, অধিকাংশ মানুষের কাছে তার পরিচিতি মূলত একাধিক জনপ্রিয় টিভি নাটকের কারণে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার কোন কোন মন্তব্য গভীর আনন্দদায়ক। বলা হয়, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে মেরুদন্ড সোজা করে দাড়াতে শিখিয়েছেন। এখন আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন, কেন? এর আগে কি বাঙ্গালী মেরুদন্ড সোজা করে দাড়াতো না! ব্যাকা করে দাড়াতো!!! অনেক সময়ে কথার শাব্দিক অর্থে না গিয়ে গভীরে যেতে হয়। এটা কি আপনি জানেন না?
আমার এই পোষ্টে সাধু-শয়তান নিয়ে কোন আলোচনা হয় নাই। কাজেই আপনার এই প্রসঙ্গের অবতারনা অপ্রাসঙ্গিক। হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যকর্ম নিয়ে আপনি আপনার মুল্যবান মতামত দিয়েছেন। তবে, অতীব দুঃখের বিষয় হলো......আপনার মুল্যবান মন্তব্যও আমার কাছে অন্তঃসারশুন্য মনে হয়েছে। এসব নিয়ে আমি অনেক কথাই বলতে পারি, তবে যেখানে আমার মনে হয় কোন বিষয়ের উপর কারো সাথে কথা বলা সময়ের অপচয়, সেখানে আমি বেশীরভাগ সময়ে আলোচনা এড়িয়ে যাই।
আর আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি, নাটকের মূল উপাদানই হলো সাহিত্য।
২৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৭
জুন বলেছেন: শায়মা বলছিল আমার রাজপুত্তুর ভাইয়া
রাজপুত্তুর ঠিকি আছে তয় প্রিন্স চার্লস
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হুমায়ূন ভাই আমাদের ধরাছোয়ার বাইরের কোন মানুষ ছিলেন না। আপনার-আমার মতোই নিতান্ত সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবার ছিল উনার। সবসময়ে থেকেছেনও মধ্যবিত্ত এলাকায়। কাজেই আমার মতো অনেকের সাথেই উনার ঘনিষ্ঠতা থাকার কথা। সবাই ব্লগায় না, সেইজন্য জানতে পারছেন না। তবে, উনার স্বভাবগত কারনে উনি সবার সাথে মিশতেন না। এটাকে অনেকে অহংকার বলতেই পারে, তবে আমি জানি.....এটা ঠিক না।
আপনের এলাকায় থাকলে হয়তোবা আপনের পরিবারের সাথেও ঘনিষ্ঠতা হইতো। কে বলতে পারে! এখন আমার কপালে ছিল, হইছে। এইটাতে কোন বিশেষত্ব নাই। এইটা নিয়া আমারে পচানোর চেষ্টা কইরা কি লাভ? আমার মতোন একজন হরিপদ পাল মানুষ এতে শরমায়!!!
কপাল ভালো, ধারে-কাছে আপনের প্রিয় মাহা নাই। উনারে সামলানো একটু মুশকিল!!! বিশাল মন্তব্য নিয়া হাজির হয়।
২৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৬
স্থিতধী বলেছেন: @ ব্লগার করুণাধারা আপু, ২৫ নং কমেন্টে আপনি যেই বইটির কথা মনে করতে পারছেন না তাঁর নাম “ হোটেল গ্রেভার ইন”, ওটি আমেরিকায় পি এইছ ডি করাকালীন হুমায়ূন আহমেদের কিছু স্মৃতি কথা । ওখানে তিনি এক জায়গায় স্ত্রী গুলতেকিন খান কে চিঠি লিখে তাঁর মন গলিয়ে দিয়ে ওনাকে এক বাক্যে আমেরিকায় চলে আসানোতে রাজি করানোর একটি কথা লিখেছিলেন, এই বলে যে তাঁর প্রেমপত্র লিখে মন ভোলানোর প্রতিভা অসাধারণ । তবে পরবর্তীতে গুলতেকিন খান এটিকে হুমায়ূন আহমেদের একটি সাহিত্যিক মিথ্যাচার দাবী করে বলেন যে আসলে তখন হুমায়ূন আহমেদ তাঁর নানা প্রিন্সিপ্যাল ইব্রাহীম খাঁ কে একটি আবেগী চিঠি লিখে অনুরোধ করেন যাতে ইব্রাহীম খাঁ গুলতেকিন খানকে সন্তান সহ আমেরিকায় যেতে বলেন। গুলতেকিন বলেন যে হুমায়ূন জানতেন যে তিনি তাঁর নানার অনুরোধ কখনো ফেলতে পারেন না। ফলে অনেক অনিচ্ছা সত্ত্বেও তখন তিনি কেবল তাঁর নানার অনুরোধ রাখতে সন্তানসহ আমেরিকার পথে রওনা দেন।
৩০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪১
ফয়সাল রকি বলেছেন: ফেসবুকে এরকম অনেকে বড়ো বড়ো লেখা পোষ্ট করে, অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়তে থাকি। এক্কেবারে শেষে লেখা থাকে- ©কালেক্টেড! পড়তে পড়তে সেরকম একটা ফিল হচ্ছিল। যা হোক, শেষ পর্যন্ত আপনারই স্মৃতিচারণ জানলাম। এরকম একটা মানুষকে এতো কাছে থেকে দেখা সৌভাগ্যের ব্যাপার।
ভালো লাগলো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক......শেষ পর্যন্ত ''কালেক্টেড'' না জানলেন, এটাও কম স্বস্তিদায়ক না। আর সৌভাগ্যের ব্যাপারটা তখন আসলে ততোটা বুঝি নাই, এখন যতোটা বুঝি।
৩১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আন্তরিক অভিবাদন গ্রহণ করুন ভায়া
গুনিজনের সান্নিধ্যে যারা থাকেন তারাও গুনিজন বটে।
দারুন স্মৃতিচারণ মুগ্ধ হয়ে পাঠ করলাম।
সত্যিই প্রখর রোদে হাটলেই যেমন সবাই হুমায়ুনের মতো ভাবতে পারেনা,
ব্লগেও আজ কিছু কমেন্ট পাঠে মনে হলো, ব্লগে থাকলেই সবাই ব্লগার হতে পারে না
জুনাপির মজা, করুনাধারাপুর প্রবলেম সলীউশন আর আপনার নিরন্তর বাংলা শেখানোর, জাতে উঠানোর আর কড়া খাওয়ানোর ধৈর্যে্ মজা পেলাম!
+++++
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গুনিজনের সান্নিধ্যে যারা থাকেন তারাও গুনিজন বটে। আপনে এমন একটা ভুল কথা কেমনে কইলেন, বুঝলাম না। আমাদের এই ব্লগে আম্রিকান গুনীজনের সান্নিধ্যে থাইকা আপনে-আমি কি হইছি? ফেইবুকের আড্ডাখানার ভাড়! তাও ফেইসবুকের হইলেও একটু শান্তি পাইতাম। তা না.......ফেইবুক!!!
ব্লগেও আজ কিছু কমেন্ট পাঠে মনে হলো, ব্লগে থাকলেই সবাই ব্লগার হতে পারে না কেমনে কি? সবার কি আম্রিকান সার্টিফিকেট আছে? আপনের আইজকা কি হইলো, বুঝলাম না।
যাক্.....শেষ পর্যন্ত আপনি কিছু মজা সংগ্রহ করতে পেরেছেন, এটাই বা কম কিসে?
৩২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। লিখেছেন খুবই চমৎকার। আপনার লেখায় সিরিয়াস ও হিউমারাস টোনের যে ব্লেন্ডিং থাকে, তা আপনার লেখার একটা ব্র্যান্ডিং। আমার পছন্দ অনেক।
ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদ, তার অন্তরের শিশুত্ব ও পাগলত্ব, সবই উঠে এসেছে খুবই ন্যাচারাল ও সাবলীল ভাবে।
শুভেচ্ছা রইল মিস্টার মফিজ এই চমৎকার লেখাটার জন্য।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার লেখায় সিরিয়াস ও হিউমারাস টোনের যে ব্লেন্ডিং থাকে, তা আপনার লেখার একটা ব্র্যান্ডিং। আমার পছন্দ অনেক। আপনি ইন জেনারেল আমার লেখার যে ব্যবচ্ছেদ করেছেন, সেটা পছন্দ হয়েছে। খুব যে সচেতনভাবে আমি এমনটা করি, তা না। হয়তো আমার জীবনকে হাল্কা চালে দেখার দৃষ্টিভঙ্গিটা লেখায় চলে আসে। তবে আপনাকে প্রচুর ধন্যবাদ জানাই। এমন মন্তব্য লেখালেখির জন্য একটা বিরাট অনুপ্রেরণা বলেই আমার মনে হয়।
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
৩৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাসায় আমি প্রতি বছর কেক কেটে হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন পালন করি।
এবং মৃত্যু বার্ষিকীতে মিলাদ পড়াই। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো এটা করে যাবো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কেক কাটেন, ঠিক আছে। কিন্তু মিলাদ........আপনার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু কেমন কেমন হয়ে যায় না কি?
৩৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪
ইসিয়াক বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাসায় আমি প্রতি বছর কেক কেটে হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন পালন করি।
এবং মৃত্যু বার্ষিকীতে মিলাদ পড়াই।
রাজীব নূর বলেছেন উনি বাসায় হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু বার্ষিকীতে মিলাদ পড়ান
আমার কথাটা বিশ্বাস হচ্ছে না। কেক উনি কাটতেই পারেন । কিন্তু মিলাদ!!!!!!!!!!!
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইংরেজিতে একটা কথা আছে, great minds think alike!!!
৩৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৯
ইসিয়াক বলেছেন: আচ্ছা আপেনি কি হুমায়ুন আহমেদের কোথাও কেউ নাই নাটকে অভিনয় করেছিলেন? আমার কেন জানি মনে হচ্ছে
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মনে হইলে কিছু করার নাই। আমি তো আমি, আমার চৌদ্দগুষ্ঠির কেউ কোনদিন কোন টিভি নাটকে অভিনয় করে নাই।
৩৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না বাবা আমি কাউকেই জিগাসা করতে পারবো না।
আচ্ছা আপনারা সবাই শায়মা শায়মা করতেছেন কেনো?
আপনি জুন আপা!
ব্যাপার কি?
ঐ মহারাণীকে জিগাসা করা লাগবে নাকি সব?
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শায়মা মহারাণী না, সে রাজকন্যা। আলাদা একটা গুরুত্ব আছে তার......সেজন্যেই বলি।
আপনার পছন্দ না হলে নাইবা বললাম। এটা এমন কোন জরুরী বিষয় না। তবে, আমরা আদার ব্যাপারী। রাজকন্যাদের নিয়ে কিছু বলতে পারলে জীবন ধন্য হয়। এই আর কি!!!
৩৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সবাই বয়স বের করার ট্রাই করতেছে। হা হা ভালো হইসে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার বয়স বের করে কি লাভ? বেহুদা কাজে সময় নষ্ট।
৩৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আর আপনি তার রাজপুত্তুর ভাই।
থাক কাজ করি। আদার শরবৎ বানায় খাই এক গেলাস।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সে জেনুইন রাজকন্যা......আর আমি ভুয়া রাজপুত্তুর!!!
আদার শরবৎ ভালো জিনিস। তবে আমি এখন বিড়ি সহযোগে কফি খাবো।
৩৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নাহ এইবার থামি। বেশি কথায় বিপদ হতে পারে। আগে আমার লেখা শেষ করি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার উপলব্ধি!!!
ইয়েস! নিজের লেখা শেষ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০
করুণাধারা বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী বা মেয়েদের বয়স বা সন তারিখ নিয়ে আমার কোন চিন্তা নাই, আমার চিন্তা লাগলো আপনার সন তারিখ নিয়ে। যে মানুষ নব্বুইয়ের দশকে ঢাবিতে পড়ে তার সাথে সময়ের হিসাব মিলছিল না। আমার আবার হিসাব না মেলাতে পারলেন মাথা ঝিমঝিম করে, তাই এত হিসাব!
যেমন আজকে চক্করে পড়লাম রাজীব নুরের পোস্ট পড়ে। আজকের ডায়রী পোস্টে দেখলাম আপনিও মন্তব্য করেছেন, সেখানে লেখা আছে দেখলাম উনি বিয়ে বাড়ী থেকে রাত দুইটায় বাড়ি ফিরেছেন, ফিরে বেশ দুঃখ মাখা কিছু পরস্পর বিরোধী কথা লিখেছেন। দুঃখময়তা বিবেচনা করে আর সেদিকে গেলাম না। কিন্তু যখন দেখলাম উনি রাত ১-৩৮ এ এই পোস্ট করেছেন, view this link তখনই হিসাবে গোলমাল লাগলো। ১-৩৮ এ উনি পোস্ট দিলেন, উনি কি বিয়ে বাড়ীতে গিয়েও পোস্ট লিখতে থাকেন!!!!
উনি কতভাগ সময় সত্যি কথা বলেন!! হিসাব মেলাতে হবে!
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি আগে কোন গোয়েন্দা সংস্থায় ছিলেন নাকি!!!
রাজীব নূরের সত্যি-মিথ্যা নিয়ে গবেষণা করলে কোন তল পাবেন না। এই বিষয়ে চাইলে পুরা একটা বই লেখা যায়। আর আমার ব্যাপারটা খুব সিম্পল। আশির দশকের কোন এক সময়ে ঢাবিতে ঢুকেছিলাম, নব্বুইয়ের দশকের কোন এক সময়ে বের হয়েছি। আমার বিভিন্ন লেখা আর মন্তব্যেই এটা পাওয়া যায়, নতুন কিছু না। আশাকরি, আপনার ঝিমঝিম ভাব একটু কমাতে পেরেছি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হিন্দি মুভি ''Tanu weds manu return'' এ আমার একটা পছন্দের ডায়লগ আছে। জিমি শেরগিল একটা সিনে কঙ্গনা রানাউতকে বলে, ''ও তনুজা ত্রিবেদি, তুম র কি এজেন্ট হো ক্যায়া?''
আপনার এই মন্তব্য পড়ে সেটা মনে পড়ে গেল।
৪১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২
কান্টিলাস বলেছেন: একটা সময় পর্যন্ত উনার ভক্ত ছিলাম, সেই আবেগটা অবশ্য বেশিদিন ধরে রাখতে পারি নাই।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কারন জানতে চাইবো না, প্রত্যেকেরই নিজস্ব হিসাব-কিতাব আছে।
ভালো থাকবেন।
৪২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৪
জুন বলেছেন: ৪০ নম্বরের করুনাধারার মন্তব্যে লাইক
হুমায়ুন আহমেদ এর সাথে বিড়ি!!
প্রিন্স চার্লস বলছি বয়সের হিসাবে
নইলে তো প্রিন্স উইলিয়াম বা তার পুলা জর্জ কইতাম
২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে তো দেখি ফেভিকলের মতোন এক পয়েন্টেই আটকায়া আছেন।
আপনে ''বিড়িখোর না'' এবং এই ব্যাপারে অনভিজ্ঞ; এইটা ধইরা নিয়া জানাই যে, দুইজন বিড়িখোর একজায়গায় যখনই হবে, বিড়ি খাবে। এইটা নিপাতনে সিদ্ধ একটা ব্যাপার। তাদের সমবয়সী হইতে হইবো, এমন কোন কথা নাই। বয়স এইখানে কোন ফ্যাক্টর-ই না।
আর আপনে যদি বিড়িখোর হন, তাইলে বুঝতে হবে...... অভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও মজা নিতাছেন। আগে জানতাম, মজা ফজা মিয়ারাই লুটে; এখন দেখি ফজা বেগমরাও লুটা শুরু করছে! কি আর করুম, সুযোগ পাইছেন.....লুটতে থাকেন। আমারো দিন আইবো কইলাম!!!
অনিবার্য কারনবশতঃ উত্তর দিতে দেরী হওয়াতে দুঃখিত।
৪৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
সামিয়া বলেছেন: হুমায়ন আহমেদ স্যার বেঁচে থাকবে সবার হৃদয়ে। আপনি তাকে এত কাছে থেকে দেখেছেন আপনি ভাগ্যবান।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: উনি বেচে থাকবেন, আমরা যারা উনাকে পছন্দ করি, তাদের হৃদয়ে। যারা অপছন্দ করে, তাদের হৃদয়েও......তবে, ভিন্নভাবে। আমি আসলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, কিছু সময়ের জন্য হলেও একজন অত্যন্ত চমৎকার ব্যক্তিত্বে সংস্পর্শে এসেছিলাম, এইজন্যে।
৪৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৬
আমি সাজিদ বলেছেন: এখন উনার লেখা মোটেও ভালো লাগে না। উনার সহজ লেখা অনেকের পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। এজন্য তাকে ধন্যবাদ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ভালো লাগে না কেন জানার আগ্রহ হচ্ছে।
উনার সহজ লেখা অনেকের পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। সেটাই। এটলিস্ট এই কারনে অন্ততঃ উনাকে ক্রেডিট দেয়া উচিত। সাধারন জনগনের মনের কাছাকাছি অবস্থান করার মতো লেখক আমাদের বলতে গেলে তেমন একটা নাই। এখনও নাই, আগেও ছিল না।
৪৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫১
আমি সাজিদ বলেছেন: মানুষ হিসেবে অসাধারণ ছিলেন তিনি। এই কথা তার লেখায় ও বিভিন্ন ইন্টারভিউতে উঠে এসেছে। উপরে কমেন্ট এসেছে ভুমের আসল রহস্য উন্মোচন হচ্ছে। পোস্টে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানুষ হিসাবে তিনি আসলে কেমন ছিলেন, এটা নির্ভর করছে......যিনি মুল্যায়ন করছেন, তার দৃষ্টিভঙ্গির উপরে। আমার চোখে তিনি অসাধারন ছিলেন। তবে বিভিন্ন কন্ট্রোভার্সির কারনে অনেকে তাকে পছন্দ করতেন না, এটাও সত্যি। যেমন আমরা যতোই বলি, রাজনীতি আর খেলাধুলা, কিংবা সংস্কৃতি আর রাজনীতি এক করে দেখা উচিত না; দিনশেষে এগুলোকে আলাদা করা কিন্তু মুশকিল। তেমনিভাবে যতোই বলি না কেন, একজন পাবলিক ফিগারের ব্যক্তিগত জীবনকে তার নিজস্ব ফিল্ডে পদচারনার সাথে বা সাফল্য-ব্যর্থতার সাথে মিলানো অনুচিত; দিনশেষে কিন্তু মিলানো হয়েই যায়। আরো অনেক অনেক এসপেক্ট আছে। লিখতে থাকলে তো একটা বই হয়ে যাবে!
আমার আসলে কোন রহস্য নাই। আমি শুধু এনোনিমাস ব্লগিংয়ে উৎসাহী.......এন্ড দ্যাটস ইট! যার কোন রহস্যই নাই, তার কি উন্মোচিত হবে, সেটাই আমার বুঝে আসে না।
৪৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৫
কল্পদ্রুম বলেছেন: ধূমপায়ীরা এমনিতেই ধূমপানের ব্যাপারে উদারপন্থী হন। তবে হুমায়ূন আহমেদ আরো আন্তরিক মানুষ ছিলেন জেনে খুব ভালো লাগলো। তাঁর লেখা পড়েও এরকমই একটা ধারণা তৈরি হয়েছিলো। আপনার পুরাতন কোন একটা লেখা পড়ে আমার মনে হয়েছিলো আপনাদের ব্যক্তিগত পরিচয় ছিলো। আজকে খুব বিস্তারিত না জানলেও কিছুটা জানা হলো। আজকাল হুমায়ূন আহমেদের সাথে কোন একদিন পরিচয় ছিলো এই সূত্রে কত মানুষ বই লিখে ফেলছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি অবশ্য বই লিখে ফেলার মতো কামিলদার না। অনেকে যারা লিখছে, তাদের অতোটা লেখার যোগ্যতা আছে বলেই লিখছে। সে যাই হোক, হুমায়ূন ভাই কিছুদিন আম্রিকায় থেকেই তাদের উদারতা শিখতে পেরেছিলেন। আমাদের ব্লগেই অনেকে দেখেন, জীবন পার করেও কিছুই শিখতে পারলো না। বিনয় যে জ্ঞানী মানুষের একটা অন্যতম প্রধান লক্ষণ.......এটা ক'জন শিখে? কিছু শিখতেও তো আসলে যোগ্যতা লাগে, তাই না!!
৪৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩২
কল্পদ্রুম বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদকে একটা ব্যাপারে কম ক্রেডিট দেওয়া হয় বলে আমার মনে হয়। আমরা কেবল তার সাহিত্যিক মেধার কথা বলি। তিনি নাটকের মাধ্যমে আমাদের অসাধারণ কিছু অভিনেতা,অভিনেত্রী খুঁজে দিয়েছিলেন। আমি যতদূর জানি হাসন রাজা,উকিল মুন্সির গানও তার নাটকের মাধ্যমেই পরিচিতি পেয়েছিলো। কুদ্দুস বয়াতি,বারি সিদ্দিকীর মতো কিছু আইকোনিক গায়ককেও এ দেশের মূল মিডিয়াতে তিনি নিয়ে এসেছিলেন। এইরকম রত্ন খুঁজে বের করার জন্যেও আলাদা মেধা আর মানসিকতার দরকার হয়। হুমায়ূন আহমেদের সেটা ছিলো। ইন্ট্রোভার্টরা সাধারণত মানুষের চরিত্র খুব ভালো বিচার করতে পারে। হুমায়ূন আহমেদ টাইপের মানুষ যেহেতু আপনার সাথে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অন্তত সিগারেটের কারণেই হোক। আর যে কারণেই হোক। বোঝা যাচ্ছে আপনি আসলেই প্যাঁচবিহীন চিন্তাভাবনার মানুষ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তিনি নাটকের মাধ্যমে আমাদের অসাধারণ কিছু অভিনেতা,অভিনেত্রী খুঁজে দিয়েছিলেন।আপনি ভালো একটা পয়েন্ট বলেছেন। কয়েকজনের নাম বলেছেন, আরো কয়েকজন আছেন যাদের চেহারা মনে আছে কিন্তু নাম মনে করতে পারছি না। আর ক্রেডিট না দেয়াটা আমাদের একটা কালচার। এটা নিয়ে বলার কিছু নাই।
নিজেকে আমার প্যাচবিহীন চিন্তাভাবনার মানুষ বলেই মনে হয়। তবে বিষয়টা আপেক্ষিক। অনেকের ধারনা আবার ভিন্ন। যেমন, আমার বউ বলে আমার পেটে নাকি জিলাপীর মতো প্যাচ। তবে বন্ধুদের মধ্যে বেশীরভাগই আমাকে প্যাচ-বিহীন ট্রেইট-ফরোয়ার্ড মানুষ হিসাবেই জানে। আর আমি যে ইন্ট্রোভার্ট কিসিমের, এটা নিশ্চিত। খুব পরিচিত মানুষজন না হলে আমি প্রান খুলে মিশতে পারি না। কথাও খুবই কম বলি। হয়তো এমন কিছু চারিত্রিক মিলের কারনেই হুমায়ূন ভাই আমাকে কিন্চিৎ পছন্দ করতেন। আর সিগারেট অবশ্যই একটা ভাইটাল ব্যাপার। নেশাখোর-নেশাখোর সবসময়েই জমে ভালো।
৪৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: স্মৃতিচারন পড়ে অনেক ভাল লাগল।
আমার প্রিয় লেখক তিনি।
কেমন আছেন ভাই?
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাব্বাহ্.......বহুদিন পর আপনার দেখা পেলাম। আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি এখন পর্যন্ত। আপনি আছেন কেমন?
প্রিয় লেখকের স্মৃতিচারণে আপনাকে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
৪৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৯
আমি সাজিদ বলেছেন: ৪৪ নম্বর কমেন্ট নিয়ে বলি - স্কুলের শেষ আর কলেজের শুরুতেও হুমায়ূন আহমেদ আমাদের জেনারেশনের অধিকাংশ বাংলা বই পড়ুয়ার ( গড়পড়তায় ধারণা করে বলছি) তালিকায় ছিলেন। আমার ক্ষেত্রে যেমন হলো - একটা সময় আমার মনে হলো, আমি যেন উনার লেখার একটা প্যাটার্ন খুঁজে পেলাম। লেখায় উনার স্বাভাবিক চমকে দেওয়ার ভঙ্গীটা কেন যেন আর আকর্ষন করতো না। উনার গল্প বলার পরিসরও যেন কমে গেল। পড়ে কিছুটা ভাববো, এমনটা আস্তে আস্তে কমে গেল। অন্য লেখকদের লেখা পড়ার প্রভাব তো আছেই সাথে! আমি কিন্তু দিন শেষে গল্প পড়তে ভালোবাসি, আমার মাঝে মাঝে মনে হয় হুমায়ূন আহমেদের ছোটগল্পগুলোর ভার উনার তৈরী হিমু চরিত্র থেকেও বেশী।
কল্পদ্রুম ভাইয়া ৪৭ নম্বর কমেন্টে একটা ভালো প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন।
সে যাই হোক, সামহোয়্যারইনের সবাই চাইবে আপনি যেন আরও অনেক অনেকদিন এনোনিমাস ব্লগিংয়ে উৎসাহী থাকেন। শুভকামনা সবসময়।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার হুমায়ূন আহমেদের লেখার পর্যালোচনা ভালো লেগেছে। অনেকাংশেই একমত। বেচে থাকলে উনার মতো ভার্সেটাইল লেখক আমাদেরকে আরো অনেক কিছুই দিতে পারতেন। অনেকেরই চিন্তাধারা বদলাতে পারতেন হয়তোবা।
উনি মূলতঃ সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণীকেই লেখার ফোকাস করেছিলেন। বইয়ের পর বই যদি একই ধরনের কেন্দ্রবিন্দুতে ঘুরপাক খায়, তাহলে একটা মনোটোনাস আবহ তৈরী হতে বাধ্য। সত্যি কথা বলতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে একজন পেশাদার লেখকে পরিনত হওয়ার ফলে টাকা উপার্জন, প্রকাশকদের চাপ, বিভিন্ন ফরমায়েশী লেখা ইত্যাদির কারনে এটা হয়েছিল। তারপরেও উনার প্রথম দিককার লেখা, পরবর্তীতেও বিভিন্ন ভিন্নধর্মী লেখাকে রুল আউট করা যায় না। সাইন্স ফিকশান, ভৌতিক, পরাবাস্তব আর অতিবাস্তব জগত, রহস্য ইত্যাদিতেও উনি মুন্সিয়ানা দেখিয়েছিলেন। হিমু, মিসির আলী, শুভ্র ইত্যাদি চরিত্র সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। তবে, সর্বোপরি একজন মানুষ হিসাবে উনার বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ছিল নিঃসন্দেহে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল প্রথম জীবনের অর্থনৈতিক সংগ্রাম। এটা উনার মধ্যে একটা অনিশ্চয়তার বলয় তৈরী করে রেখেছিল সব সময়ে।
যাইহোক, একজন অতি পছন্দের মানুষ হিসাবে আমার চোখে উনার ভালো দিকগুলোই বেশীরভাগ সময়ে উঠে আসবে। সেটাই স্বাভাবিক। আবার সমস্যার পিছনের কারন না দেখলে, বা জানা না থাকলে অনেক সময়েই বিভ্রান্তি তৈরী হয়; সেটাও স্বাভাবিক।
আমার প্রসঙ্গে বলতে গেলে, এনোনিমাস ব্লগিং আমাকে বিভিন্ন কারনেই চালিয়ে যেতে হবে। এটা ক্ষতিগ্রস্থ হলে আমার ব্লগিংয়ের আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। সেজন্যেই অনেক পছন্দের ব্লগারদের সাথে বসে এক কাপ চা খাওয়ার ইচ্ছাটাকে অনিচ্ছাসত্বেও দমিয়ে রাখতে হয়। ক্ষুদ্র এক মানবজীবনে আমাদের অনেক আশাই তো অপূর্ণ থেকে যায়, কি বলেন! একটু দার্শনিক কথা বললাম, আশাকরি কিছু মনে করেন নাই!!!
৫০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬
জুন বলেছেন: এরে বলে ভাংগা রেকর্ড আমার মনে হয় আপনে টেপ রেকর্ডার এর যুগের
অটঃ এইডা নিয়া মনে হয় ৫টা মন্তব্য করলাম।
আপনিও এর প্রতিদান দিবেন বইল্যা আশা কর্তাছি
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি টেপ রেকর্ডার যুগেরই, আপনে জানলেন কেমনে? তয় মাঝে মাঝে ভাঙ্গা রেকর্ড শুনতে খারাপ লাগে না কইলাম।
এইডা নিয়া মনে হয় ৫টা মন্তব্য করলাম। আপনিও এর প্রতিদান দিবেন বইল্যা আশা কর্তাছি আমি অংকে বরাবরই কাচা, হের লাইগা গুইনা মন্তব্য করা আমার লাইগা বেজায় কঠিন। এদিকে আবার স্মরণশক্তিও অত্যাধিক দুব্বল। তারপরেও কই, আপনের পাখিরা কি করোনা ভাইরাসের জীবানু বহন করে? পুষ্টে আমি ৫টা মন্তব্যই করছিলাম। এহন কে কারে প্রতিদান দিবো, আপনেই ঠিক করেন!
যাউকগ্যা, মন্তব্য নিয়া টেনশান কইরেন না। প্রাসঙ্গিক হইলে মন্তব্য তো অবশ্যই করমু; ৫টা ক্যান ১০টাও করতে পারি। তয় আপনের কাকুর মতোন মন্তব্য নিয়া হুদাই টানাটানি করা আমারে দিয়া হইবো না।
৫১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: পাঠ্য-পুস্তকের বাইরে শুধু একটি বাংলা উপন্যাস পড়েছি, আর সেটি হুমায়ুন আহমেদের জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প।
এত বড় বই পড়ে যে শেষ করেছি ভাবতে এখন অবাক লাগে! মুক্তিযুদ্ধের পেক্ষাপট, বিভিষিকা, যুদ্ধ-কালীন জীবন ব্যবস্হার একটি নির্মম চিএ কিছু চরিএের মাঝে বইটিতে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন।
একুশে বই মেলা থেকে প্রথম বই কেনার আনন্দ ও অন্য প্রকাশনী থেকে হুমায়ুন আহমেদেরহলুদ হিমু কালো রেব। হুমায়ুন আহমেদের মনে হয় হাতে গুনা অল্প কিছু বই বাদে প্রায় সবগুলোই পরেছি। ভৌতিক, সাইন্স ফিকশন, রম্য সবগুলো বিষয়ে লিখে পাঠকের মন জয় করে রেখেছেন। আমার মনে হয় যে, বাংলাদেশে কিনে বই পড়তে হয় এমন একটা মানসিকতা তিনি তৈরি করে গেছেন।
হুমায়ুন আহমেদ ছিলেন একাধারে লেখক, নাট্যকার, নির্মাতা। অনেক জনপ্রিয় গান তার নিজের হাতের লিখা। আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে প্রিয় লেখকের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
অফ টপিক: পোস্ট খানা পড়ে ভুয়া মফিজের বয়স সম্পর্কে একটু ধারনা পাওয়া গেল। আর কথায় আছে- ইউনিভার্সিটি পাড়ার পিয়ন গুলা ও নাকি পিএইচডি করা। হুমায়ুন আহমেদের সাথে বিরি খাওয়া মানুষ আপনে! ওনার বিড়ির ধোয়া যে আপনার গায়ে লেগে আছে তা কিন্তু আপনার লেখার মাধ্যমে কিছুটা প্রকাশ প্রায়।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন। বই কিনে পড়া, হলে গিয়ে মুভি দেখা, ক্রমাগত চ্যানেল না বদলে টিভি দেখা (উনার নাটক)......এ'সব কিছুই আমাদের অভ্যাসে ফিরিয়ে আনতে পেরেছিলেন হুমায়ূণ আহমেদ। এটা উনার অন্যতম বড় সাফল্য। আর উনার প্রতিভার স্বাক্ষর উনি যে মাধ্যমে কাজ করেছেন, সেখানেই রেখেছেন। এটা নিয়ে কোন বিতর্ক নাই।
ওনার বিড়ির ধোয়া যে আপনার গায়ে লেগে আছে তা কিন্তু আপনার লেখার মাধ্যমে কিছুটা প্রকাশ প্রায়। ভালো বলেছেন, মজা পেলাম। এটা যদি আসলেই সত্যি হতো, তাহলে একটা আনন্দের ব্যাপারই হতো আমার জন্য।
৫২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৭
সোহানী বলেছেন: এ পর্যন্ত উনার সম্পর্কে স্মৃতিচারণমূলখ যে লেখাই পড়েছি তা ছিল তেলতেলে। আপনার তেল চর্বি বিহীন লিখাটা ভালোলাগলো।
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: পোস্ট খানা পড়ে ভুয়া মফিজের বয়স সম্পর্কে একটু ধারনা পাওয়া গেল। ....হাহাহাহা
সত্যি বলতে, বই পাগল মানুষ আমি বরাবরেই। হুমায়ুন আহমেদের শেষ কালের কিছু বই ছাড়া মনে হয় সবই আমি পড়েছি। উনি ছিলেন আমার বা আমার ভাইবোনদের কাছে সব কিছুতে অনুকরণীয়। আমরা উনার বই পড়তাম একসাথে বসে। মনে পড়ে উনার মেয়েদের জন্মদিন পালনের ক্রাইটেরিয়া আমরা খুব ফলো করতাম। আগে ভাইবোন সহ মা-বাবার জন্মদিন সাদামাটাভাবে পালন করলেও উনার বই পড়েই সারপ্রাইজ পার্টির ধারনা মাথায় আসে। আর সে থেকে এখনো আমরা বলতে গেলে তা ফলো করি।
উনার পরিবার যেন মনে হতো আমাদেরই একজন। গুলতেকিন, বা উনার মেয়েরা যেন খুব কাছের কেউ ছিল। আর সে কারনেই আমার মতো হাজার জাজার পাঠক উনার শাওন সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি।
কিন্তু উনার মনের যে সন্নাসীটাকে কেউই তেমন করে ধরতে পারেনি। আর ধরতে পারেনি বলেই উনি শুধু একজন লেখক ছিলেন বা আছেন!
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তেল-চর্বি অপছন্দের কারনে রেডমিট খাই না। সেইটা যে আমার লেখাতেও চইলা আসছে, বুঝি নাই।
আমার বয়স সম্পর্কে আপনের তো ধারনা আছেই..........হাসি দেইখাই বুইজ্জা ফালাইছি।
আসলে প্রতিটা মানুষেরই বিভিন্ন দিক থাকে। উনার এক ধরনের কর্ম দিয়ে উনি শ্রদ্ধার, পছন্দের। আরেক কর্ম দিয়েই বিতর্কের জন্মদাতা। আসলে একসময়ে এমন কিছু কারনেই উনার সাথে দুরত্ব তৈরী হয়েছিল। এখন মনে হয়, ভুল করেছিলাম। কারো ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে বেশী রকমের কনসার্নড হওয়া বোধহয় ঠিক না। সত্যি বলতে, দিনশেষে আমরা সবাই-ই তো রক্ত-মাংসের মানুষ। ভুল হওয়া স্বাভাবিক। তাছাড়া 'ভুল' জিনিসটাও একটা আপেক্ষিক ব্যাপার, তাই না!!
৫৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১০
আখেনাটেন বলেছেন: একেবারে 'দক্ষযজ্ঞ ব্যাপার' মানে প্রলয়ঙ্কারী ঘটনা। প্রিয় মানুষটার সাথে 'সেইরকম বিড়ি' ফুঁকেছেন। জয় গুরু। এবার ভুয়া মফিজ নামের স্বার্থকতা পাওয়া গেল।
আমরা ইয়াং বেঙ্গলরা যখন কলেজ-ইউনি'র গন্ডিতে দাপাদাপি করছি, তখন সেই মানুষটার বৃহ:স্পতি ও শনি তুঙ্গে। সেটা নাটক-সিনেমা-উপন্যাস সাথে ব্যক্তিগত বিষয়েও। মধ্যবিত্তদের সুখ-দু:খের কাহিনিতে বুঁদ হয়ে থাকতাম। যদিও কখনও কখনও সেটা আজগবি তথাপিও। উনার কোনো বই পড়ি নি এমন বুঝি নাই। শেষের দিকের লেখাগুলোর দু একটা থাকলে থাকতে পারে।
আপনার এই চমৎকার স্মৃতিচারণ দেরীতে হলেও পড়ে যারপরনাই আনন্দিত হয়েছি।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মহান সম্রাটের আগমনেও যার-পর-নাই আনন্দিত হইলাম। স্মৃতিচারণ আসলেই আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে? আমার তো সন্দেহ হচ্ছে!!!
আপনার মতো আমিও আজকাল ব্লগে আসার সময় করতে পারছি না। দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত।
আশাকরি খুব শীঘ্রই আবার আপনাকে নিয়মিত পাওয়া যাবে।
৫৪| ২০ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: পোস্ট টা আমার এড়িয়ে গেল কেনু ঠিক বুঝলাম না ।
আপনাকে সত্যিই আমি আরও একটু ইয়াং ভেবেছিলাম । আপনে দেখি আমার থেকে অনেক বড় । আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি দুই হাজার নয় সালে আর আপনার শেষ হয়েছে ৯৪ তে । খাইছে রে ! বিশ বছর
তবে আপনাকে আরও বেশি পছন্দ হল এই পোস্ট পড়ে । হুমায়ূন আহমেদকে এতো কাছ থেকে দেখেছেন দেখে সত্যিই হিংসা হল একটু । তবে এবার দেশে ফিরলে আপনার সাথে একবার দেখা করতেই হবে দেখছি । চা না খেলেও আপনার সাথে টংয়ের দোকান থেকে এককাপ চা খাওয়াই যায় !
*গাধাটা দেখি এই পোস্টে এসেছেও ল্যাদাইছে !
২৪ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কতো পোষ্টই তো আমাদের নজর থেকে এড়িয়ে যায়......কি আর করা!!
আমার বয়স যাই হোক না কেন, আমি মনের দিক থেকে আপনের চাইতেও ইয়াং। বিষয়টা এই দেশে আসার পরে আরো ভালোভাবে বুঝেছি। এখানে সত্তরোর্ধ্বরাও যেইভাবে চলাফেরা করে, না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন! আমাদের দেশের মানুষ তো অল্প বয়সেই বুড়া হয়ে যায়.......অন্ততঃ মনের দিক থেকে।
দেখি, দেশে আসলে আপনার হিংসা কাটানোর জন্য হলেও একসাথে চা খেতে হবে।
গাধাদের কি আর হুশজ্ঞান থাকে? থাকলে তো মানুষই হতো। এরা বেডরুম আর ওয়াশরুমের পার্থক্য বোঝে না। যেখানে চাপ আসে, সেখানেই থপাস!!! ল্যাদানো কমপ্লিট!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই এক মাত্র লেখক ও নাট্যকার ৯০ দশক হতে যার নাটক ও বই পড়ার জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়তো। শ্রদ্ধা রইলো।