নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার নানাবাড়ি, একজন মুক্তিযোদ্ধা আর একটা থাপ্পড়!!!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৯



ইদানিং আমি কেমন জানি অদ্ভুত একটা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যা কিনা আমার চরিত্রের সাথে একেবারেই বেমানান। বিভিন্ন পশুপাখির বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমাদের সবার মাঝেই কমবেশী বিদ্যমান। সেই হিসাবে বর্তমানে কুমির, গন্ডার কিংবা অতীতে একসময়ে বান্দরের চারিত্রিক বৈশিষ্টও আমার মধ্যে বিদ্যমান আছে/ছিল। এই খৃষ্টমাসের সময়টাতে প্রতিবছরই কাজের প্রচন্ড চাপে চ্যাপ্টা হই। দম ফেলার সময় থাকে না। এবারও তার ব্যাতিক্রম না, বরন্চ বিভিন্ন কারনে এবারে চ্যাপ্টা না, একেবারে চিড়ে চ্যাপ্টা অবস্থা। যতোক্ষণ ব্যস্ত থাকি, ঠিকঠাক থাকি। কাজের বাইরের সময়টা নিয়েই যতো সমস্যা। এক জায়গায় বসলে কুমিরের মতো নড়াচড়াহীন অবস্থায় বসেই থাকি। বসে বসে আগা-মাথা ছাড়াই আকাশ-পাতাল ভাবি। বউ কিছু বলে না, তবে মাঝে-মধ্যে উকি দিয়ে দেখে যায় শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিকমতো নিচ্ছি কিনা। বিভিন্ন রকমের ভয়াবহ চিন্তা একের পর এক মাথায় জড়ো হতে থাকে। আসলে যতোই পশুপাখির চরিত্র ধারন করি না কেন, দিন শেষে আমরা সবাই এক একজন মানুষই তো, নাকি!!!

খুশীর খবর নিয়ে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। কারন, সেটা খুশীরই খবর! দুঃখের, সেটা যতোই কঠিন দুঃখের খবর হোক না কেন, আমি বড়জোড় ঘন্টা দু'য়েক মন খারাপ করে তারপরে কাধ ঝাকিয়ে ঝেড়ে ফেলতে পারি…….অন্ততঃ এতোদিন তো পারতাম; অনেকটা গন্ডারের মতো, দুঃখটাকে ভিতর পর্যন্ত স্পর্শ করার সুযোগ না দিয়ে। কিন্তু এই করোনার যন্ত্রণা শুরু হওয়ার পর থেকেই এই সমস্যার শুরু। টেনশানের বিষয় হলো, এটা দিন দিন বাড়ছেই। কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সব সময়ে কেমন একটা আতঙ্কে থাকি। ফোনটা বেজে উঠলেই মনে হয়, নিশ্চয়ই কোন খারাপ খবর! আর বে-টাইমে বাজলে তো কোন কথাই নাই!

ঘুমালে বিভিন্ন রকমের স্বপ্ন দেখি। সেটা তো সব সময়েই দেখি, নতুন কিছু না। বেশীরভাগ স্বপ্নই জেগে ওঠার পর পরই খানিকটা সময়ে মনে থাকে, তারপরে যথারীতি ভুলে যাই। গত সপ্তাহে একটা স্বপ্ন দেখলাম, তবে ভুলতে পারছি না কোনভাবেই। স্বপ্নে দেখলাম, আমি খাটে বসে আছি। আমার সেজমামা আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, আচমকা কষে এক থাপ্পড় কষিয়ে দিলেন আমার গালে। আমি খাট থেকে ছিটকে পড়লাম। ঘুম ভেঙ্গে গেল। দেখলাম বিছানাতেই আছি, ছিটকে পড়ি নাই। তবে থাপ্পড়ের বিশালত্ব এমনই ছিল যে, ঘুম ভাঙ্গার পরও দেখি মাথা ভো ভো করে ঘুরছে!

এই মামার একটা বিশাল থাপ্পড় আমি একবার সত্যি সত্যিই খেয়েছিলাম। মামার কথা মনে হলেই সেই ঘটনা মনে পড়ে…...স্বপ্নটা দেখার সেটাও একটা কারন হতে পারে, কারন ইদানীং মামার কথা কেন জানি বেশী বেশী মনে পড়ছে। সে যাই হোক, সেই ঘটনাটা বলার আগে একটু ব্যাকগ্রাউন্ড বলে নেই, বুঝতে সুবিধা হবে। আমার সাত মামা। তারমধ্যে তিন জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, মেজ, সেজ আর ছোট। বড়মামা যান নাই। আর বাকী তিনজনের বয়স যথেষ্ট ছিল না। যা বলছিলাম, মেজমামা যুদ্ধে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বিদায় নেন এপ্রিলের শেষের দিকে। বাড়িতে বলেই গিয়েছিলেন। মে মাসে সেজমামা যাওয়ার জন্য জেদ ধরেন, কিন্তু আমার নানু অনুমতি দিচ্ছিলেন না। ফলে মে'র শেষের দিকে মামা উনার আরো তিনজন চাচাতো ভাইয়ের সাথে পালিয়ে যান (উনারা অবশ্য অনুমতি নিয়েই গিয়েছিলেন), আর যাওয়ার সময়ে ছোটমামাকেও সঙ্গে নিয়ে যান।

স্মৃতিচারণ যেহেতু করছি আর মামার চাচাতো ভাইদের সাথে পালিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটা যেহেতু এসেই গেলো, এখানে আমার নানাবাড়ির একটু বর্ণনা দেই। আমার নানারা ছিলেন পাচ ভাই। নানার বাবা এক সময়ে একটা বড়সড় দৃষ্টিনন্দন দোতলা বাড়ি তৈরী করেছিলেন। ব্লগের খলিল ভাই আমাকে 'ভুয়া মফিজ' না বলে 'ভুইয়া মফিজ' বলেন। এটার পিছনের কারন হলো, গতবার ব্লগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত আমার গল্পে প্রুফ রিডাররা আমাকে 'ভুইয়া মফিজ' বানিয়ে দিয়েছিল। তাই এই সুযোগে জানিয়ে দেই, আমার নানাদের বংশগত পদবী হলো 'ভুইয়া'! ব্যাপারটা কেমন কাকতালীয় না!!! যাই হোক, ভুইয়াদের মূল বাড়ি এক সময়ে সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ার ফলে কম্পাউন্ডের মধ্যেই অবস্থিত একটা দিঘীর চারপাশে নানারা পাচ ভাই আলাদা করে বাড়ি করেন। খুব ছোটকালে মূল বাড়িতে থাকার সৌভাগ্যও আমার হয়েছিল। সেটা আমার জন্য সব সময়েই একটা চমৎকার স্মৃতি হয়ে থাকবে। উনাদের প্রত্যেকের পরিবার বড় হতে হতে পুরো এলাকাটা একটা ছোটখাটো পাড়া হয়ে গিয়েছিল। সেজন্যে নানাবাড়ি গেলে প্রচুর আনন্দ হতো এক সময়ে। বাদরামী করার মতো সঙ্গী-সাথী আর উপকরনের কোন অভাব ছিল না সেখানে।

তো, নানাদের পাচ ভাইদেরই আল্লাহর অশেষ রহমতে সন্তান সন্ততির অভাব ছিল না। এক আমার নানাভাইয়েরই সাত ছেলে আর পাচ মেয়ে ছিল! দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে উনারা বেশ কার্যকরভাবেই অবদান রেখে চলছিলেন। ফলে নানাদের পাচ ভাইয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল সন্তানদের বেশ কয়েকজনই যুদ্ধে যান। আমার নানা-নানু সেজমামার পালিয়ে যুদ্ধে যাওয়া আর সেই সাথে ছোটভাইকে সাথে নিয়ে যাওয়াতে দীর্ঘদিন নাখোশ ছিলেন। অক্টোবরের দিকে কোন এক অপারেশানে সেজমামার পায়ে (হাটুর একটু নীচে) গুলি লাগে। যার কারনে যুদ্ধের বাকী সময়টা উনাকে হাসপাতালেই কাটাতে হয়। এটা নিয়ে মামা আজীবন দুঃখ করেছেন। উনার বদ্ধমূল ধারনা ছিল, মা-বাবার কথা না শোনার ফলেই এই শাস্তি পেতে হয়েছিল উনাকে। আমি যখন থেকে উনাকে দেখি, উনি ছিলেন প্রচন্ড রাশভারি একজন মানুষ। কথা বলতেন খুবই কম। যুদ্ধের কোন গল্পই উনি কারো সাথে করতেন না। আমি যেহেতু শয়তান কিসিমের ছিলাম, উনি আমাদের বাসায় বেড়াতে এলে আম্মা আমাকে আগেই বলে রাখতেন উনার ধারে-কাছে না যাওয়ার জন্য। এদিকে যেখানে নিষেধ, সেখানেই আমার কৌতুহল…….বিশেষ করে গুলিটা ঠিক কোথায় লেগেছিল এটা জানার আগ্রহ ছিল ভীষণ।

আমার ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ের কথা। মামা বেড়াতে এসেছেন। উনি তখন চিটাগাং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার ছিলেন, ওখান থেকেই পাশ করে। একদিন দেখলাম, মামার মেজাজ খুবই ভালো। সবগুলো দাত বের করে আব্বা-আম্মার সাথে কথা বলছেন। এহেন আজব ঘটনার কারন জানলাম। উনার বিয়ে, প্রেমের বিয়ে। নানাজান রাজি ছিলেন না, এখন রাজি হয়েছেন। হবু মামীও চিটাগাং মেডিকেল থেকে পাশ করা ডাক্তার। ভাবলাম, এই সুযোগ। মামাকে বললাম, মেজমামা যুদ্ধের কতো গল্প করে, আপনি তো কিছুই বলেন না। আজ আমাকে আপনার পায়ে গুলি লেগেছিল যেই যুদ্ধে, সেটার কথা বলতে হবে। অরন্যে রোদন হবে জানার পরেও অনুরোধ করেছিলাম আর আমাকে ভড়কে দিয়ে উনি সেই ঘটনা বলা শুরু করলেন।

সেদিন রাতে উনারা আটজনের একটি দল এক কৃষকের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। রাতে খাওয়ার সময় খবর এলো, এলাকার স্কুলে ১৪/১৫ জনের একদল পাকসেনা ১০/১২ জন রাজাকারসহ ঘাটি গেড়েছে। তো, উনারা সিদ্ধান্ত নেন ওদেরকে আক্রমন করার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত প্রায় দু'টার দিকে আক্রমন শুরু হয়। স্কুলের সামনে ছিল খোলা মাঠ, পিছনে বাগান (জঙ্গল) আর খাল। তাই উনাদের দল পিছন থেকে আক্রমন শুরু করে। আক্রমনের প্রথম ধাক্কাতেই রাজাকারগুলো ভেগে যায়। গোলাগুলির মধ্যেই পজিশন বদল করতে গিয়ে উনার পায়ে গুলি লাগে। ব্যাস…….এটুকুই। বুঝলাম, আমার স্বল্পভাষী মামা গল্প বলাতেও অপটু। তবে আমার মূল উদ্দেশ্য তো গল্প শোনা ছিল না! মামা বিছানাতে লুঙ্গি পড়া অবস্থায় আধশোয়া হয়ে শুয়েছিলেন। আমি 'কোন জায়গাতে গুলি লেগেছিল মামা' বলে যেই না লুঙ্গিতে হাত দিয়েছি, মামা বিদ্যুৎবেগে আমার গালে দশমনি ওজনের এক থাপ্পড় বসিয়ে দেন। বিছানায় বসেছিলাম। সেই থাপ্পড়ের মাহাত্ম্যে হঠাৎ দেখি আমি মেঝেতে বসে আছি!!

পরে ঘটনা শুনে আম্মাও কিছু উত্তম-মধ্যম দিয়েছিলেন আমাকে।

আমার এই মামা প্রচন্ড রকমের সৌখিন একজন মানুষ ছিলেন। সে'সময়ে উনি ব্রুট আফটার শেইভ লোশন আর জোভানস সেক্স অ্যাপিল নামে একটা পারফিউম ব্যবহার করতেন। আমার তখনও দাড়ি গজায়নি বলাই বাহুল্য, তারপরেও সুযোগ পেলেই ব্রুট আফটার শেইভ লোশন গালে লাগিয়ে বড় সাজার ভাব নিতাম। মামী ছিলেন চিটাগাংয়ের মেয়ে। চাকুরী, শ্বশুরবাড়ি আর পরবর্তীতে নিজের ক্লিনিক…..…...সবমিলিয়ে মামা চিটাগাংয়েই স্থায়ী হয়ে যান। কালে-ভদ্রে ঢাকায় আসলে আমাদের বাসায় উঠতেন।

পরবর্তীতে সৌখিন কিন্তু রাশভারী আমার এই মামা আমার খুবই প্রিয় একজন মানুষে পরিনত হন। ২০১৭ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় এই মামাকে হারাই আমরা। শোনা কথা…...চিরবিদায় নেয়া প্রিয় আত্মীয়-স্বজনকে স্বপ্নে দেখার মানে নাকি, উনারা উনাদের জগতে প্রিয় মানুষদেরকে নেয়ার জন্যে আসেন। আমার সময় কি তাহলে শেষ হয়ে গেল নাকি?

ভয়ে ভয়ে ইদানীং খুব করে ভাবছি……...ধুমপানটা এবার ছেড়েই দিব!!! B-)


মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীকে উপলক্ষ্য করে আমার এই ক্ষুদ্র স্মৃতি-তর্পণ। নানাবাড়ির দিঘীটার মতো দেখতে একটা দিঘীর ছবির জন্য গুগল ঘাটাঘাটি করে সবচেয়ে কাছাকাছি এটাই পেলাম, তাই শিরোনামের সাথে ছবিটা জুড়ে দিলাম।

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

শাহ আজিজ বলেছেন: পরিবার পরিকল্পনা বৃথা ।


আচ্ছা আপনার দাত কি নড়াচড়া করে এখনো মানে ওই যে থাপ্পড় -----------------


ধূমপান ছাইড়া দেওয়া ভাল নাইলে কে কখন আবার ------ মাইরা নিচে ফালাইয়া দেয় B-)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পরিবার পরিকল্পনার কোন পরিকল্পনাই উনাদের মাথার ধারে-কাছেও ছিল না আজিজ ভাই। :P

আচ্ছা আপনার দাত কি নড়াচড়া করে এখনো মানে ওই যে থাপ্পড় --------- ভালো কথা কইছেন। দুই বছর আগে বাম পাশে দাতের ব্যাথায় মরো মরো অবস্থা হইছিল। ডেন্টিস্ট বামপাশের মাড়ির দুইটা দাত রুট ক্যানাল কইরা ক্যাপ পড়ায়া দিছে আর কইছে, আইজ থিকা হাড্ডি চাবান নিষেধ। আপনে কওয়াতে মনে পড়লো, থাপ্পড়টা বামেই আছিল। তাইলে কি.......!!! :((

ধূমা না খাইলে তো আবার মাথা কাম করে না। কি যে করি!!! :(

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

আমি সাজিদ বলেছেন: আমার নানা বাড়ি ছিল লম্বা এল প্যাটার্ন এর। এরমধ্যে অনেকগুলো বাড়ি একসাথে। আমার নানা, আমার নানার ভাই, আমার নানার বোন, নানার কাজিন একসারি ধরে সবার ঘর এই প্যাটার্ন - এ। সবগুলো ঘরই মাটির আর দোতলা। কাঠের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হয় এমন। সামনে বিশাল উঠান। মাঝে তিনটা বড় ধানের ঘর ( কি যেন বলে এটাকে ভুলে গেছি), একটু দূরে আলাদা আলাদা কয়েকটা ঘর, যেগুলোকে আমাদের অঞ্চলের ভাষায় ডেইড়ি ঘর বলে। আরও খানিকটা দূরে স্বচ্ছ পুকুর। পুকুরের পাশে নারকেল গাছ। এই গাছগুলো কিছুটা খাটো, এদের পাতার ছায়া পড়ে ভর দুপুরে পুকুরটাতে। আমরাও ফাইনাল এক্সামের পর সব কাজিনরা নানু বাড়িতে বেড়াতে যেতাম। বাকি নানুদের ঘরেও আমাদের মতোন বালক বালিকারা আসতো। সেসব সময় এই এল প্যাটার্ন এর বাড়িতে কিচির মিচির লেগে থাকতো, আমরাও যে পাখিদের দলে ছিলাম। এই শৈশবকে প্রায়ই আমি মনের খাতার পাতা থেকে উল্টিয়ে আওড়াই।

আমার নানা বাড়ি থেকে তেমন কেউ যুদ্ধে অংশ নেয়নি। নানার দূরের ভাইরা অংশ নিলেও সে গল্প আমাদের কোনদিন বলা হয়নি। সেদিক থেকে আপনি বেশ সৌভাগ্যবান। মামার চড় খাওয়ার পর মায়ের কিল ঘুষি খেয়ে নিশ্চয়ই ক্ষতস্থান দেখার শখ চিরতরে মিটে গিয়েছিল! আপনার মামার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আপনার শৈশবের নানা বাড়িতে মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।

ভুঁইয়া বাংলাদেশের দক্ষিণের এলাকাগুলোর টাইটেল নয় কি?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার নানাবাড়িও মজার ছিল বোঝা যাচ্ছে। চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন বাড়ির। আসলে মানুষ যতো বেশী, মজাও ততো বেশী। আমাদের নানাদের এলাকায় মাটির বাড়ির প্রচলন নেই। বাড়িগুলো হয় কাঠের দোতলা, পাকা কিংবা সেমিপাকা। আমার নানা-পাড়ার বাড়িগুলোও এই ধরনগুলোরই মিশেল। ধানের ঘরকে কি ধানের গোলা বলে? আমারও সঠিক ধারনা নাই। নানাবাড়ির স্মৃতি আসলে ভোলা সম্ভব না। সেইদিনগুলি আর ফিরে আসবে না ভাবলেই একটা বিরাট দীর্ঘনিঃশ্বাস বেড়িয়ে আসে।

আসলে দেশপ্রেম সব মানুষেরই ছিল / আছে। যাদের নাই, তারা তো মানুষের মধ্যেই পড়ে না। তবে যুদ্ধে যাওয়াটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। যেমন, আমার বড়মামার সহজ স্বীকারোক্তি ছিল, সাহসের অভাব। তাছাড়া এই ধরনের বিশাল আত্মীয় পরিবেষ্টিত বাড়ির একজন গেলে অন্যরাও মোটিভেটেড হয়। আমার মেজমামার যাওয়াটাই মনে হয় অন্যদের মোটিভেট করেছিল।

মামার সেই চড়ের কারনে অনেকদিন উনার ত্রি-সীমানাতে যাই নাই। গুলির দাগ দেখার চিন্তা তো বহু দুরের কথা! =p~

আমার নানাবাড়ির জেলা ঢাকার দক্ষিণেই। তবে, একেবারে দক্ষিণ বলতে যেসব জেলা বোঝায়, তেমনটা না। আর বংশ-নামের ব্যাপারে আমার একেবারেই কোন ধারনা নাই। এগুলোর কি এলাকা ভিত্তিক ব্যাপার-স্যাপার আছে? কি জানি?

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া ভুইয়া ...... দেখলে তো হক কথা নাকি এমনেই বেরিয়ে আসে......

যাইোহোক থাপ্পড় খাওয়াটা মজার দৃশ্য ছিলো মনে হচ্ছে .... :P

আর মামার জন্য শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা.....

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হক কথা কোনটা? ভুইয়া তো আমাদের পদবী না। আমার নামের সাথে ভুইয়া লাগানোর মানে কি? ওই প্রুফ রীডার ব্যাটাকে হাতের কাছে পেলে.......!!! X(

যাইোহোক থাপ্পড় খাওয়াটা মজার দৃশ্য ছিলো মনে হচ্ছে .... :P তোমার তো মজা লাগবেই! যে খায় সে বোঝে মজা কতো প্রকার ও কি কি!!!

মামাকে সব সময়েই মনে পড়ে। ডিসেম্বর মাসটা এলে আরো বেশী। তবে এবারে পরিস্থিতির কারনে আ রো ও বেশী মনে পড়ছে।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

শায়মা বলেছেন: হি হি দেখতে পাচ্ছি কেমনে মেঝের উপর পড়ছিলা ভাইয়ু!!!!!!!! :P

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানুষ যে এতো খারাপ হইতে পারে জানা ছিল না। একজন রাজপুত্তুর (ভুয়া হলেও!!!) থাপ্পড় খেয়ে মেঝেতে পড়লো......এইটা দেখে আনন্দিত হওয়ার কি আছে, বুঝলাম না। হি হি হাসিটা জঘন্য!!! X((

তুমি এতো আনন্দ পাবা জানলে তো এইটা পোষ্টাইতামই না। :-B

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার 'কাজের চাপ'এর কথা শুনলে মনে হয়, ইংরেজ জাতির সবাই খৃষ্টমাসের ছুটিতে চলে গেছে, ইংল্যান্ড দেশটাকে আপনাকে একা চলাতে হবে ২রা জানুয়ারী অবধি। আমার মনে আছে, একবার আপনি ১২০ মাইল দুরে ভেকেশানে স্পটে যেতে '২য় ড্রাইবার' খুজছিলেন; আমি সেই সপ্তাহে, ৩ বার থেমে, সাড়ে ১২০০ মাইল গাড়ী চালায়ে, ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলাম অন্য রাজ্যে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সারাদিন ঘরের চিপায় বইসা আজাইরা ব্লগিং করেন, আপনে চাপের কি বুঝবেন? B-)

আমার মনে আছে, একবার আপনি ১২০ মাইল দুরে ভেকেশানে স্পটে যেতে '২য় ড্রাইবার' খুজছিলেন; আমি সেই সপ্তাহে, ৩ বার থেমে, সাড়ে ১২০০ মাইল গাড়ী চালায়ে, ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলাম অন্য রাজ্যে। আমি কি উত্তর দিছিলাম, সেইটা মনে নাই?

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনার নানর বাড়ী কোন জেলায়? আমাদের এলকার মানুষ বাবার ও দাদার বাড়ীর গল্প করেন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নানার বাড়ি কোন জেলায়, কমু না। সব এলাকার মানুষই দাদাবাড়ি, নানাবাড়ির গল্প করে। এইটা আপনেদের এলাকার কোন ইস্পেশাল বিষয় না। ;)

৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ওমেরা বলেছেন: কথায় বলে না —- মানুষকে লাই দিলে মাথায় চড়ে । গুরু গম্ভীর মামা গল্পটা বলেছেন তাতেই খুশী থাক কত্ত বড় সাহস !! বেশ হয়েছে না এবার সারাজীবন মনে রাখার মত থাপ্পর !!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কথায় আরো বলে, খাইতে দিলে শুইতে চায়!! তবে বুঝেন নাই........আমার মূল উদ্দেশ্য তো গল্প শোনা ছিল না!!! ;)

৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
নানাবাড়ি স্মৃতিকথা আমিও নস্টালজিক হয়ে গেলাম,মজা
পেলাম এটা মনে করে মাইরের মইধ্যে ভাইটামিন আছে।
বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধা মামাদের স্মরণে শ্রদ্ধা রইলো।
ভূইয়া মুফিজ ঘটনাটি পড়েছিলাম অফলাইনে থেকে এবং
এই ভেবে হেসেছিলাম সরল মনেই তিনি লিখেছিলেন।
বিড়ি খাওয়া বন্ধ আগাম ঘোষণার জন্য ধন্যবাদ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাইরের মধ্যে ভিটামিন আছে, এটা কথার কথা। আসলে কোন ভিটামিন নাই। যা আছে, সেটা হলো আর্থিক ক্ষতি.......পেইনকিলার কেনার কারনে!

সর্বনাশ! বিড়ি খাওয়া বন্ধের ঘোষণা পেলেন কোথায়? আমি এখনও ভাবছি। তাছাড়া দুই কার্টন বাংলাদেশী বেনসনের যে স্টক আমার ঘরে আছে, তার কি হবে......সেটাও একটা বিবেচ্য বিষয়। =p~

বিজয়ের মাসে সকল মুক্তিযোদ্ধার স্মরণে শ্রদ্ধা।

৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন," সারাদিন ঘরের চিপায় বইসা আজাইরা ব্লগিং করেন, আপনে চাপের কি বুঝবেন? "

-আপনার লেখা থেকে বুঝা যায় যে, আপনি প্রবাসে থেকে, বাংলাদেশের মানুষদের মতো "কাজের চাপ" নিয়ে উহ: আহ: করে বেড়ান; বাংগালীদের কাজের গল্পগুলো আসলে বেলুন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্থান-কাল-পরিস্থিতি ভেদে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের ব্যস্ততার ভ্যারিয়েশান থাকে। আর সেইটা যদি একটা বৃটিশ মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান হয়, তাইলে বর্তমানের ব্রেক্সিট পরিস্থিতি আর পেনডেমিকের কারনে ভ্যারিয়েশান আরো বাড়াটা স্বাভাবিক। বছর শেষের বিষয়টাও একটা বড় ব্যাপার। তার মধ্যে ছাটাইয়ের কারনে তিনজনের কাজ একজনের করা লাগে। আরো বিষয় আছে। সব মিলায়াই ব্যস্ততা। তয় কারে কি কই.......কুয়ার ব্যাঙ তো এইসব বুঝবে না; হুদাই ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ করতে থাকবে, করতেই থাকবে!!! :P

বাংগালীদের কাজের গল্পগুলো আসলে বেলুন আপনে কোথাকার ফিরিঙ্গী? যদি সত্যিই হইতে চান, তাইলে নিয়মিত ব্লীচ ব্যবহার করেন।=p~

১০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৫

শায়মা বলেছেন: ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮০

লেখক বলেছেন: মানুষ যে এতো খারাপ হইতে পারে জানা ছিল না। একজন রাজপুত্তুর (ভুয়া হলেও!!!) থাপ্পড় খেয়ে মেঝেতে পড়লো......এইটা দেখে আনন্দিত হওয়ার কি আছে, বুঝলাম না। হি হি হাসিটা জঘন্য!!! X((

তুমি এতো আনন্দ পাবা জানলে তো এইটা পোষ্টাইতামই না। :-B


হা হা সেই কারণেই হাসছি রাজপুত্তুর এক থাপড়ে পড়ে যায় ...... :P

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওকে, সারেন্ডার! হি হি.....হা হা করতে থাকো, নো প্রোবলেমো!! থাপ্পড় খেয়ে পড়ে গিয়ে হলেও কঙ্কাবতীকে আনন্দ তো দিলাম!!! সেটাই বা কম কি?? =p~

১১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৮

শায়মা বলেছেন: চাঁদগাজীভাইয়াকে ফিরিঙ্গী বানানোর তরিকা দেখেও হাসছি!!!!!!!!!!!!!!!! হা হা হা হা

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ্যা.......সকাল-বিকাল নিয়ম করে সারা অঙ্গে মাখতে হবে। তবেই সত্যিকারের ফিরিঙ্গী হওয়া যাবে। শুনেছি, টয়লেট ক্লিনারে যে ব্লীচ থাকে সেটার কোয়ালিটি নাকি সবচেয়ে উন্নতমানের!! তোমার কোন আইডিয়া থাকলে জানতে পারো। কারো যদি উপকার হয়, মন্দ কি? ;)

১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনে করোনার চেয়ে শক্তিশালী জাতির মুখপাত্র , সামাইন্য ধূমপান কে ভয় পেলে হবে ?
তাছাড়া রাজশাহীর ঘটনা তো জানেন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক, আপনের কথায় ভরসা পাইলাম। তাইলে দুই কার্টন শেষ করার পরেই সিদ্ধান্ত নেই......কি কন? আসলে আমার সমস্যাটা একমাত্র আপনেই বুঝতে পারলেন। সেইজন্য ধন্যবাদের ভাষা খুইজা পাইতাছি না। আমার মন-প্রান ঢালা ধন্যবাদ নিয়েন! :P

১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি কিন্তু আসলি ভূঁইয়া :D । আমার দাদা এবং নানা দুইজনই ভূঁইয়া। নানার বাড়ির পাশে বড় ভাই বগ্লার চাঁদগাজী নাকি যুদ্ধও করেছে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার দাদা এবং নানা দুইজনই ভূঁইয়া। আপনি তো দেখছি আমাদের ব্লগের গর্ব, কারন আপনার মধ্যে কোন ভেজাল নাই। ;)

''আসলি ভুইয়া''কে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

১৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার সেজমামা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার বড় মামার বড় ছেলের কাছে মুক্তি যুদ্ধের দুই একটি সত্যি ঘটনা শুনেছি। মামা নিজে কখনো কিছু বলেন না, বলেন নি।

আমার দাদার ছেলে ছিলো বেশ কয় জন। বেঁচ বর্তে থেকে বিয়ে সংসার করার সুযোগ পেয়েছে ৭ জন। আর মেয়ে ২ জন। সেই ৭ জনের ঘরে ছেলের সংখ্যা আমি সহ ১৭ জন। আর মেয়ের সংখ্যা ২৯ জন। আমরা ১৭ ভাইয়ের মধ্যে সকলেই বিয়ে করেছি, তাদের ছেলে মেয়ের সংখ্যা কতো তা এখনো গোনা হয়নি্ গুণে ফেলতে হবে। আর ২৯ বোনের সন্তানদের সংখ্যা গোনার কথা চিন্তাও করি না।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার সাথে তো আমার বেশকিছু মিল দেখতে পাচ্ছি। :)

তবে আমার নানাবাড়ির জ্ঞাতি-গুষ্ঠি আসলেই বিশাল। ভাবতে গেলে মাথা চক্কর দেয় এখনও। নানাদের পাচ ভাই থেকে আম্মাদের জেনারেশানের সংখ্যা ৪৬ জন। এখন সেখান থেকে আমাদের জেনারেশানের সংখ্যা বের করতে গিয়ে মাথা ঘুরে গেল। গুনতি বাদ দিলাম। আমাদের সন্তানদের জেনারেশান এখনও চলমান। শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে…...আল্লাহ মালুম!!! :(

১৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেহেন দি কল্লেন কি!

আফনের মতো না হইলেও একদিকে অফিস রিনোভেশনে টেম্পোরারী রুমে কষ্টের ডিউটি
তার উপ্রে এই মাসে করোনার ভয় ভুইলা ইলেকশনের ধাক্কায় অফিস টাইম রাত ১০টা!! কইরা দিছে!
শুরু কয়টায় কমুনা! ;)

আফনের লেখা আর হিহি হাসির জ্বালা আর কোরামিন প্রেসক্রিপশনে লগিন করায়াই ছাড়লেন B-)

দারুন স্মৃতি কথা।
আহা অমন এক দঙ্গল কাজিন জ্ঞাতি থাকলে আর কি লাগে!
জীবনই তখন রসময় ;) রঙময় :)

ফিরিঙ্গি বানানোর তরিকা পাইলে ফেয়ার এন্ড লাভলী কি আর গ্লো এন্ড লাভলি নাম নেয়া লাগতো!
আফনেরে চিনলোনা ইউনিলিভার :P =p~ =p~

আর মৃত স্বজন শুধু নিতেই আসেনা। শুভকামনায় আসে, স্মরণ করাতে আসে, দোয়া প্রার্থনায় আসে।
হুদাই না ডরায়া উনার স্মরনে ইয়াতিম, গরিব দু:খিদের জন্য দানের আয়োজন করতে পারেন।
মামার আত্মার প্রশান্তি আর শুভকামনায়।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনেরে পেইন দেওনের জন্য দুঃখিত ভাইজান। তয় ভাড়দের কমিউনিটির যে কোনও সদস্যের মন্তব্যই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কাজের চাপের কথা ভুলেও বইলেন না…...বিপদ আছে কইলাম!!! :P

ইউনিলিভার তো বৃটিশ কোম্পানী। হ্যারাই আমারে আসল কার্যকরী তরিকা কইছে। কালা আদমী গো ফিরিঙ্গী বানানোর জেনুইন তরীকা। টেরাই করবেন নি?

আর মৃত স্বজন শুধু নিতেই আসেনা। শুভকামনায় আসে, স্মরণ করাতে আসে, দোয়া প্রার্থনায় আসে। অতি সত্যি কথা। তবে মামা কি জন্যে দেখা দিলেন, তাতো জানি না…….তাই খানিকটা টেনশান, এই আর কি।

ওকে, জোকস এপার্ট। আপনার শেষে বলা কথাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমান হিসাবে কাজগুলো পারিবারিকভাবে নিয়মিতই করা হয়। আর মামা-সংক্রান্ত স্মৃতিগুলি আমি সব সময়েই হৃদয়ে ধারন করি। উনার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া সব সময়েই থাকে। মহান আল্লাহ পাক উনাকে শান্তিতে রাখুন। আমীন।

১৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৯

আমি সাজিদ বলেছেন: আমি জীবনের তাগিদে দুই বঙ্গ ( উত্তর ও দক্ষিন) এবং কেন্দ্রে থেকেছি৷ একটা আন্দাজ করেছি ভুইঁয়া শুধু দক্ষিণের দিকে আর কেন্দ্রের টাইটেল। উত্তরে ভুঁইয়া টাইটেল দেখিনি। তবে আমার জানার ও দেখার ভুল হতে পারে। কমেন্টগুলো জমে উঠেছে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি যেহেতু অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, তাতে করে এটা সঠিক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। বাকীটা ব্লগে ওই অন্চলের যারা আছেন, তারাই ভালো বলতে পারবেন।

কমেন্টগুলো জমে উঠেছে। :-B

১৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার কুমির বিলাসীর গল্প আগেও পড়েছি।আজ আবার পড়লাম। সাধারণত শীতকালে কুমির ভাই জল বা কুমির মহল্লা এখন কুমিল্লা থেকে উঠে রোদ পিঠ করে অনেকটা নির্জীব হয়ে পড়ে থাকে। ভাবটা এমন যেন নদীর চরে কাঁদার সঙ্গে মিশে আছে। শিকার তাকে ভ্রুক্ষেপ না করলে ঝপাং করে ধরেই নদীতে ফেলে। যেহেতু এখন ডিসেম্বরের ছুটি আসন্ন। পাশাপাশি কুমির বিলাসী হওয়ায় আপনার মনোরাজ্যেও কুমিরকুলের বাসা বাঁধাটা স্বাভাবিক।হাতে অফুরন্ত সময়। তবে এবার কুমিরের সঙ্গে গন্ডারকে ডেকেছেন দেখে খুশি হলাম। খেলাটা দারুণ জমে উঠেছে।কুমিরের সঙ্গে গন্ডারের ভাবও যেমন হতে পারে তেমনি সম্মুখ সমর হওয়াটা আশ্চর্যের নয়।কুমির তো শিয়ালের সঙ্গেও মাঝে মাঝে আলু চাষ করে থাকে। যাইহোক এক্ষেত্রে গন্ডার সজোরে কুমিরের গালে এক থাপ্পর কসিয়ে বলতেই পারে,জল ছেড়ে থুরি কুমিল্লা ছেড়ে কেন ডাঙায় উঠে এসেছ? যেখানে ডাঙাতে পর্যাপ্ত খাবারের অভাব। ভুয়া গল্প থুরি স্বপ্নটা বেশ ভালো ছিল। স্বপ্নে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী,নানুর বাড়ি থেকে ঘিরে আমানা একটুকরো বাংলাদেশ যেটা কিনা কুমিল্লায় হতেই পারে।না হলেও আমি দায়ী নই। তবে আজ আবার আমাকে কল্পনা বিলাসী বলে যেন গালি দিয়েন না। আগাম কইয়ে দিলুম হু...
বাস্তবে আপনার সজোরে চড় খাওয়াতে আমি সমব্যথী। ইস! খুব লেগেছে না? আহারে! শায়মা আপু এতটা হৃদয়হীন কি করে হতে পারে। আমি বরং আপনার জন্য কিছুটা হলেও দুঃখ দুঃখ করছি।আর পোস্ট না দেওয়ার কথা কখনোই ভাববেন না। আপনি এমন দুর্দিনে অন্ততঃ একজন খাঁটি বন্ধুকে বিশ্বাস করে মনের যাবতীয় দুঃখ কষ্ট শেয়ার করতেই পারেন।প্রমিস করছি কাউকে বলবো না হু।

মুক্তিযোদ্ধা মামার প্রতি রইল অন্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি। রোড এক্সিডেন্টে ওনার চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে মর্মান্তিক ঘটনা। উনার মাগফিরাত কামনা করি। রাশভারী মামার কাছ থেকে হয়তো আপনার শোনার সুযোগ হয়নি, উনি হয়তো ট্রেনিং নিতে কোনো এক সময় ভারতে এসেছিলেন।

তবে সব শেষে এসে যে কথা না বললেই নয় যে শোনা কথার কার্যকারিতা নিয়ে আপনি উদ্বিগ্ন। বিষয়টি শোনা কথা বলে উপহাস করবেন না। যদিও আপনি ঠিকই শুনেছেন। এটাই স্বাভাবিক।দিন ক্রমশঃ কমে আসছে... তবে এ থেকে মুক্তিরও উপায় আছে।শনি অথবা মঙ্গলবার শেষ রাতে/সূর্য ওঠার আগে উপরে দেওয়া ছোট্ট পুকুরে গোসল করলে উপরের দুশ্চিন্তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাবেন। অবশ্যই সেটাও সোনা (শোনা নয়) কথা।
সবশেষে আপনার প্রকৃত ভুয়া পরিচয়ে আনন্দ পেলাম।পুরো এলাকাটা তাহলে ভুইয়া বা ভুয়াপুর...বলতেই হবে।
হ্যাঁ শুভেচ্ছা নিতে ভুলবেন না....




১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি তো দেখি কুমীর আর গন্ডার নিয়ে বিরাট বিশ্লেষণ দিয়ে দিলেন। আসল কুমীর আর গন্ডারদের জীবন ধন্য। আপনি আসলেই কল্পনা বিলাসী। তবে এটা গালি না, প্রশংসা করলাম। শায়মার কথা আর বলবেন না। সে সব কিছুতেই মজা নেয়ার চেষ্টা করে। অবশ্য এটাও একটা অত্যন্ত ভালো ব্যাপার। সবার এই ক্ষমতা নাই! :P

আমার এক চাচাও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। উনাদের সবার জন্যই আমরা সব সময়ে গর্ব অনুভব করি। উনারা সবাই ভারতেই ট্রেনিং নিয়েছিলেন। এই মামা না, অন্য মামাদের আর চাচার কাছ থেকে শোনা।

আমাদের সময় দিন দিন কমে আসছে। এটা নিপাতনে সিদ্ধ একটা ব্যাপার। তবে, অকালে ঝড়ে পড়াটা কাম্য না। কি বলেন? আপনার ''দুশ্চিন্তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি''র উপায় বাৎলানোর জন্য ধন্যবাদ। তবে, এইখানে ওই পুকুর (আসলে দীঘি) আমি পাবো কোথায়? ভুয়া তরিকা দেওয়ার মানে কি?? :(

পুরো এলাকাটা তাহলে ভুইয়া বা ভুয়াপুর...বলতেই হবে। এইটা ভালো বলেছেন। দেখি, নাম পাল্টানোর কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা!!! B-)

আপনার জন্যও শুভেচ্ছা।

১৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: কুমির আমি খুব ভয় পাই। হাতী আমার প্রিয় প্রানী। আসলেই দিন শে
ষে আমরা মানুষ।
সেজোমামা স্বপ্নে কেন থাপ্পড় দিতে যাবেন?? আজিব! অদ্ভুত স্বপ্ন।
আপনার নানা'রা পাঁচ ভাই। মাশাল্লাহ!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাতি আপনার প্রিয়, সেটা জানি।

সেজোমামা স্বপ্নে কেন থাপ্পড় দিতে যাবেন? সেটা তো আমারও প্রশ্ন। জিজ্ঞেস যে করবো সেই সুযোগই তো পেলাম না। :(

আপনার নানা'রা পাঁচ ভাই। মাশাল্লাহ! আর আমার নানার সন্তান সংখ্যা ১২ জন…….একেবারে এক ডজন! এখন কি বলবেন? ;)

১৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডায় কাজ-করা বাংগালীদের কার্যদক্ষতা ও রীতি নীতি পার্থক্য আছে; আমি ফ্রান্স, ইতালী ও আমেরিকায় কাজ করেছি।

আপনার প্রতিটি পোষ্টে "কাজের চাপের" কথা আছে, আমেরিকা থেকে যেসব ব্লগারেরা লেখেন, কারো পোষ্টে আমি "কাজে চাপের" কথা পাইনি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডায় কাজ-করা বাংগালীদের কার্যদক্ষতা ও রীতি নীতি পার্থক্য আছে; আমি ফ্রান্স, ইতালী ও আমেরিকায় কাজ করেছি। জাপানে কিংবা চীনে কাম করলে দেখতেন ওইখানেও পার্থক্য আছে। এইটা কোন জ্ঞানের কথা না, এইটা হইলো কমনসেন্স। অবশ্য কমনসেন্স বুঝদার মানুষেরই থাকে, বেকুবের থাকে না। তাই আপনের কাছ থিকা এইটা আশা করা বাতুলতা!! :-B

আপনার প্রতিটি পোষ্টে "কাজের চাপের" কথা আছে, আমেরিকা থেকে যেসব ব্লগারেরা লেখেন, কারো পোষ্টে আমি "কাজে চাপের" কথা পাইনি। করার কথা না, তারপরেও আমার কামের চাপ কিজন্য ব্যাখ্যা করছি। ওইটা আপনের মাথার উপর দিয়া গেছে। এইজন্যই তো আপনেরে কুয়ার ব্যাঙ কই! এক আম্রিকা ছাড়া কিছুই আপনের মাথায় ঢুকে না। আমার সামনের পোষ্টেও এই কামের চাপের কথা আবার কমু। পারলে ঠেকায়েন!!!

আর শোনেন, বহুত ল্যাদাইছেন। আর বিরক্ত কইরেন না। ভালো মানুষের মতোন এইবার অফ যান।

২০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৯

জিকোব্লগ বলেছেন: ব্লগার ভুয়া মফিজ, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চাঁদগাজী / জাহাঙ্গীর আলমকে ফেলেছেন মানিকের চিপায়।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একজন ভুয়া হিসাবে আমার আবার যে কোনও ভুয়ার প্রতিই সহমর্মিতা আছে। :P কিন্তু এই জাহাঙ্গীর আলমটা কে? এরে তো ঠিকমতো চিনলাম না!!

যাকগে, আমার ব্লগে আপনাকে সু-স্বাগতম!!! :)

২১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৪৯

সোহানী বলেছেন: বান্দর পোলাপানরে যে থাপড়ায়ে পথে আনিতে হয় তা আরেকবার প্রমানিত B-)) । ভাগ্যিস জায়গামত থাপ্পড়টা পড়ছিল বলেই আজ আমরা একজন মফিজকে ব্লগে পেয়েছি এবং তার চমৎকার লেখাগুলো উপভোগ করছি :P (সামান্য তেল দিসি, তেলের যা দাম বেশী দিতে পারি নাই =p~ )।

মামার প্রতি রইলো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। এমন কিছু মানুষ ছিল বলেই স্বাধীনতার সূর্য্য পেয়েছি।

ভালো থাকুন আর বেশী বেশী কাজ করুন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে যে আমারে সামান্য হইলেও তেল দিছেন, এই জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। আইজ কাইল কেউ কাউরে কিছু দিতে চায় না। ব্যাকতেই নিজের স্বার্থটা দ্যাখে। আপনের এই নিঃস্বার্থ দান সারা জীবন মনে রাখমু!!! :P

জায়গামত থাপ্পড়ের কারনেই যদি আইজকা ব্লগার হয়া থাকি, তেইলে আমিও মামার প্রতি কৃতজ্ঞ! বলা যায়, আপনেগো দোয়াতেই থাপ্পড়টা খাইছিলাম!!! =p~

মামার প্রতি রইলো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। এমন কিছু মানুষ ছিল বলেই স্বাধীনতার সূর্য্য পেয়েছি। মামার জন্য দোয়া করবেন। মহান আল্লাহ যেন উনাকে ভালো রাখেন।

আপনিও কাজ করেন, তবে ভুলেও কোন চাপের কথা বলবেন না। অল দ্য বেস্ট!!!

২২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি ভাল হয়েছে।
দোয়া করি ভাইয়া আরও দীর্ঘদিন বেঁচে থেকে আমাদের এই সামুতে লিখে যান।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মুখে ফুল আর চন্দন এক সাথে পড়ুক। আল্লাহ পাক যেন আপনার এই দোয়া কবুল করেন। আমীন।

ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন। এখনও বাসায় দুই কার্টন দুর্লভ বাংলাদেশী বেনসন আছে। ওগুলো যেন শেষ করতে পারি। :``>>

২৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হাতি আপনার প্রিয়, সেটা জানি।
সেজোমামা স্বপ্নে কেন থাপ্পড় দিতে যাবেন? সেটা তো আমারও প্রশ্ন। জিজ্ঞেস যে করবো সেই সুযোগই তো পেলাম না। :(
আপনার নানা'রা পাঁচ ভাই। মাশাল্লাহ! আর আমার নানার সন্তান সংখ্যা ১২ জন…….একেবারে এক ডজন! এখন কি বলবেন?

১। হাতির কথা আমার বিভিন্ন পোষ্টে বলেছি। আমার বাসায় অনেক হাতি আছে। মাটির, পিতলের, কাঠের।
২। স্বপ্ন টা অদ্ভুত। আসল কথা হলো- ঘুমের মধ্যে মানুষ ইছা করে স্বপ্ন দেখে না। কে যেন দেখায়।
৩। আমার দাদার ১৩ জন ছেলে মেয়ে। দাদী একদিন আফসোশ করে বলেছিলেন, তোমার দাদা আমারে শান্তি দেয় না। সারা বছর, বছরের পর বছর আমি প্রেগন্যাট ছিলাম।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ১। আপনাকে একবার বলেছিলাম, একটা হাতি প্রেজেন্ট করবো। আমার মনে আছে। সময়-সুযোগ হলেই কাজটা করে ফেলবো। দেখা যাক।
২। হতে পারে। রহস্য তো কিছু আছেই!!
৩। দাদীর অভিযোগ গুরুতর! সে যুগের পুরুষ মানুষদেরকে নিয়ে আসলে বলার কিছু নাই। দিনশেষে আমাদের নানা কিংবা দাদাইতো, তাই না!!!

২৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১১

কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনার প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মামার প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। :)

২৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার ভিতরে চেপে রাখা কবিতাগুলি মনে হয় সমস্যা করতেছে। উদাস উদাস ভাব সেই কারণেই ,এটা আমা্র ধারণা।


মামার প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা সহ দোয়া রইলো ।


# পোস্ট পুরা পড়ি নাই। স্কুলে আছি অভিভাবকদের হৈ চৈ এ মাথা খারাপ অবস্থা। পরে আসছি........

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নাহ্……..আমার ভিতরে বাইরে কোথাও কোন কবিতা নাই। আমার পৃথিবী এখন গদ্যময়, পদ্যের সেখানে কোন স্থান নাই। চান্সও নাই। উদাস ভাব না, টেনশান। কখন কি হয়ে যায়, সেই টেনশান। আজকে এখানে নিউজ দেখলাম। করোনার আরেকটা নতুন ভ্যারাইটি পাওয়া গেছে, যেইটা আগেরটার চেয়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে। এই করোনা মনে হচ্ছে বহুত জ্বালাবে, আরো বহুদিন!! :(

মামার প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা সহ দোয়া রইলো । সেজন্যে কৃতজ্ঞতা।

আপনের বিস্তারিত মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।

২৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পারিবারিক ইতিহাস জানা হলো।

স্বপ্নের ধরণের উপর স্বপ্নের ব্যাখ্যা ভিন্ন ভিন্ন হয়।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্বপ্নের ধরণের উপর স্বপ্নের ব্যাখ্যা ভিন্ন ভিন্ন হয়। হয়তো বা। সমস্যা হলো, কোনটার ব্যাখ্যাই তো জানি না। :(

২৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

জুন বলেছেন:
প্রথমেই হোরসের চৌক্ষের অভিবাদন গ্রহন করুন জনাব ভুইয়া মফিজ B-)
নানা বাড়ির কিসসা খুব উপভোগ করলাম । স্কুল ছুটিতে আমাদের দাদা বাড়ি নানা বাড়ির সেই আনন্দ আমাদের ছেলেমেয়েরা দেখলো না, উপভোগ করলোনা এটাই দুক্ষ । আপনার মামারা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহ্ন করেছিলেন জেনে খুব ভালোলাগলো ।
আমার আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে কেন জানি সবাই আমাকে খুব ভালোবাসে । হয়তো আমি তাদের কখনো কোন আঘাত দিয়ে কথা বলিনি বলে হয়তো । সেই আত্মীয়দের মধ্যে যারা মারা গিয়েছেন তাদের মাঝে আমার অনেক প্রিয় এক খালা চার বছর আগে আর আমার ছোট জা করোনায় জুন মাসে মারে গেলো । আমি তাদের মৃত্যুর পর মনে হয় মাস তিনেক ধরে নিয়মিত স্বপ্নে দেখতাম। এক সময় ভয়ই লাগতো বিশেষ করে খালা যখন স্বপ্নে ডাকতো তার সাথে যাবার জন্য ।
বর্ননা ভালোলাগলো , মনে রাইখেন বিশেষ করে মাইরের উপর ঔষধ নাই :`>
আর ঢাকা দক্ষিনের ভুইয়ারা বেশিরভাগ কলাবাগান বশিরুদ্দিন রোডে থাকে বইলা শুঞ্ছি :``>>
যাউকগা গতকাল পড়ছি , সকালে প্লাস দিছি অহন সময় পাইয়া দুই কলম লেইখা গেলাম । দোয়া রাইখেন আমাগো জন্য কারন আমরা ভ্যক্সিন কবে পামু ঠিক নাই তার উপর মৃত আত্মীয়রা ডাকাডাকি করতেছে :-/

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হোরাসের চোখ কই আকা? হাতে?? নেট থিকা কপি করছেন মনে হইতাছে! হোরাসে আর ভরসা করুম না, আমি একলাই একশো!!! :P

গেরামের লগে আমাগোই সম্পর্ক নাই। পোলাপাইনে দেখবো কোইত্থে? এইটা লয়া চিন্তা কইরা কোন লাভ নাইক্কা। আমাগো আগের জেনারেশানের যাওয়া শুরু হইছে। আমাগো টাইমও ঘনায়া আইতাছে। এই সব হইলো বাস্তবতা। মন খারাপ হইলেও কিছু তো করার নাই। তার চেয়ে ভালো, যতোটা সম্ভব আনন্দে থাকা।

আর ঢাকা দক্ষিনের ভুইয়ারা বেশিরভাগ কলাবাগান বশিরুদ্দিন রোডে থাকে বইলা শুঞ্ছি  ভুইয়ারা যেইখানে খুশী সেইখানে থাকুুক। হনুলুলু থাকলেই কি!! আমার কাছে আমি কই থাকি, এইটাই গুরুত্বপূর্ণ!! :-B

যাউকগা গতকাল পড়ছি , সকালে প্লাস দিছি অহন সময় পাইয়া দুই কলম লেইখা গেলাম। আপনে তো দেহি খ্যাপে খ্যাপে কাম করেন। এইটা কি নতুন শুরু করছেন নাকি আগের থিকাই এইরাম?? =p~

সবাই যতো দ্রুত সম্ভব ভ্যাক্সিন নিয়া টেনশান মুক্ত হউক……..এইটাই কামনা করি।

২৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৩

মুরাদ বেগ বলেছেন: লেখা এবং কমেন্ট পড়ে দারুণ মজা পেয়েছি স্যার আপনার মামার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি স্যার জাতীয় কিছু না রে ভাই, একজন অতি সাধারন ব্লগার। আমাকে ভাই বলতে পারেন কিংবা নিক ধরেও বলতে পারেন। তবে কোন অবস্থাতেই 'স্যার' না।

আমার ব্লগে এটা সম্ভবতঃ আপনার প্রথম কমেন্ট। আপনাকে স্বাগতম। :)

২৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

জুন বলেছেন:



@ রাজীব নুর আপনার জন্য অল্প কয়েকটি হাতির ছবি দিলাম। আপনার ভাইয়ের ছোট ছোট হাতী কালেকশনের শখ। দুনিয়ার অনেক দেশ থেকেই সে এসব কিনেছে শখে। এর মধ্যে বিভিন্ন দামী, কমদামী পাথরের হাতি ছাড়াও সোনা, রূপা, পিতল অন্যান্য ধাতু ছাড়াও কাচ, কাঠ, পুতি আরো অনেক কিছুর ও রয়েছে।
ভুয়ার হাতীর জন্য অপেক্ষা করতে করতে আমাদের হাতীগুলো না হয় দেখতে থাকুন।

ভুয়া উপরের মন্তব্য দুটো কাইন্ডলি মুছে দিন প্লিজ :``>>


১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্য মুইছা দিছি। দুলাভাই তো দেহি এক্কেরে হাতির খেদা বানায়া ফালাইছে! হাতি তো একটাও দিবেন না, হুদাই রাজীব নুর'রে লোভ দেহায়া লাভ কি?

পারলে সোনার হাতিটা গুপনে আমার কাছে পাচার কইরেন। আধা-আধা। বুঝছেন তো কি কইছি!!! :P

৩০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায় ভাই করেছে কি!!!!!
আমার নিজের সংগ্রহেও এত হাতী নাই।
এত হাতী দেখে আমি মুগ্ধ!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কান্নাকাটি করে কোন লাভ নাই!! =p~

৩১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ১। আপনাকে একবার বলেছিলাম, একটা হাতি প্রেজেন্ট করবো। আমার মনে আছে। সময়-সুযোগ হলেই কাজটা করে ফেলবো। দেখা যাক।
২। হতে পারে। রহস্য তো কিছু আছেই!!
৩। দাদীর অভিযোগ গুরুতর! সে যুগের পুরুষ মানুষদেরকে নিয়ে আসলে বলার কিছু নাই। দিনশেষে আমাদের নানা কিংবা দাদাইতো, তাই না!!!

১। হাতী আমার চাই। হাতী ছাড়া কোনো কথা নেই।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুঝছি......আর বলতে হবে না! =p~

৩২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:



ভুম, লুক ওই যে পেছনে কে !!!!
এই এলো বলে .....
হাউ মাউ খাউ
মানুষের গন্ধ পাউ

চারদিকে অশরীরী আত্মা আসবে নিয়ে যেতে :P

হা হা হা...... ওগুলো কিছু না , প্রচলিত কথা মাত্র । যদিও অনেকসময় এরকম স্বপ্ন দেখে ভয় হয় ।

দুষ্ট বাচ্চাদের কাছে একটা থাপ্পড় সেটা কিছুই না । আমি সিওর ভুম পরে গেলেও একটুও ব্যথা পায়নি । কথায় বলে মাইরের ওপর ওষুধ নাই কিন্তু শাখামৃগদের জন্য এই চিকিৎসায় কাজ হবার কথা না । আফটার অল ওদের বাস হচ্ছে গাছের শাখায় শাখায় পাতায় পাতায় ।

আবারও পুরনো কথাই বলতে হয়, দুষ্ট চঞ্চল শাখামৃগরা আমার খুবই প্রিয় ।

স্মৃতিচারণ রম্য লেখা বরাবরের মতোই ভালো লেগেছে ।


১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাকে ভুতের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। ওইসব আমি পাত্তা দেই না। তবে, স্বপ্ন দেখার ব্যাপারে আপনি ডেন্জারাস। এই লেখা আপনার পড়া ঠিক হয় নাই। স্বপ্নে আমাকে দেখে ফেললে সর্বনাশ হয়ে যাবে!! :((

আপনার সাথে বেশী কথা বলা নিরাপদ না। তার চাইতে এই গানটা শোনেন।
view this link

৩৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫১

ঢুকিচেপা বলেছেন: “ ফোনটা বেজে উঠলেই মনে হয়, নিশ্চয়ই কোন খারাপ খবর! আর বে-টাইমে বাজলে তো কোন কথাই নাই!”
এটা খুবই সত্যি কথা। আমার মনে হয় সবারই এমন হয়।
ঘুমের মধ্যে থাপ্পর দিয়ে আপনাকে সতর্ক করে গেছেন, ধুমপানটা ছেড়েই দেন।

আপনার মামার প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা, করুণাময় আল্লাহ ওনাকে বেহেস্ত নসিব করুন।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে হয়তো সবারই এমনটা মনে মনে হয়, তবে দেশের বাইরে যারা থাকে তাদের জ্বালা অনেকটাই বেশী। খবর শুনে বসে থাকা ছাড়া তো আর কিছু তৎক্ষনাৎ করতে পারবো না, তাই না! সেজন্যেই খারাপ খবর নিয়ে টেনশান বেশী হয়।

বিড়িকে তো আমি ছাড়তেই চাই, কিন্তু সমস্যা হলো বিড়ি আমাকে ছাড়তে চায় না। যখনই ভাবি ছাড়বো…….আরো জোরে আকড়ে ধরে। বিরাট সমস্যা!!! B-)

আপনার মামার প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা, করুণাময় আল্লাহ ওনাকে বেহেস্ত নসিব করুন। আমীন।

৩৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৫

মুরাদ বেগ বলেছেন: আমি সবাইকেই স্যার বলি। আর আপনাকে ভাই বললে হয়না আমি আপনার থেকে অনেক অনেক ছোট।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগে ছোট-বড় খুব একটা ম্যাটার করে না। তাছাড়া ছোট থাকার বিপদও আছে। কাজেই ছোট-বড় বাদ দিয়ে সাধারনভাবে থাকেন। এখানে কলেজে পড়ুয়ারাও আছে, যারা অন্য ব্লগারদের ভাইয়া/আপু বলে। আপনার ভাই-এ সমস্যা থাকলে আমাকে আঙ্কেল ডাকতে পারেন। :P

'স্যার' একটা কলোনিয়াল শব্দ। আমরা যেসব ক্ষেত্রে এই শব্দটা ব্যবহার করি, খোদ বৃটিশরাও এখন তা করে না। আমাদেরকে শিখিয়ে গিয়েছে, আমরা এতোগুলো বছর পরও খুব অনুগতভাবে তা অনুসরন করছি।

৩৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
ভুইয়া তো ভিয়ার চাইতে ভালো, খেপেন কিল্লাই?
উত্তর বঙ্গে কোন ভুইয়ারা নাই।
আজকের এই দিনে আপনার মামা, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা কে সশ্রদ্ধা সালাম। আল্লাহ উনাক্র বেহেস্ত নসীব করুন।
সোহানী আপুর সাথে আমিও একমত ঐটা আসলেই দরকার ছিল। তবে মনে হচ্ছে আগেরটার ডেট এক্সপায়ার হয়ে গেছে।
নতুন একটা দরকার দেখেই কিনা মামাকে স্বপ্ন দেখছেন? আপনি ভালো বলতে পারবেন।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইস্যু কিন্তু ভুইয়া ভালো না খারাপ সেইটা না। ইস্যু হইলো, আমার সুন্দর নিকটারে বিকৃত করা হইতাছে। এইয়ার লাই খেপি!! :(

উত্তর বঙ্গে কোন ভুইয়ারা নাই। এইটা একটা সুসংবাদ। ভুইয়া তাইলে শুধু দক্ষিণের অধিকারে। ভেরি গুড!!! B-)

ওইটা এক্সপায়ার্ড হয় নাই। যখন আর মনে থাকবে না, তখন এক্সপায়ার্ড ধরে নেয়া যায়। তার আগ পর্যন্ত নতুনের দরকার নাই।

আজকের এই দিনে আপনার মামা, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা কে সশ্রদ্ধা সালাম। আল্লাহ উনাক্র বেহেস্ত নসীব করুন। আমীন।

৩৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: আমি বড় একটা মন্তব্য করেছিলাম। শেষ দেখি অর্ধেক এসেছে।
অফটপিকঃ রহমান লতিফ ভাই অবশেষ আমার সাথে কয়েকদিন আগে যোগাযোগ করেছেন। উনি ভালো আছেন।
আপনার মানসিক অস্থিরতা বেড়ে গেলে পাচওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করে দেখতে পারেন। মন নিজে নিজেই শান্ত হয়ে আসবে।

@জিকোব্লগঃ নির্বোধ চাদগাজীর মুখোশ উন্মোচনের জন্য ধন্যবাদ। পাঠক১৯৭১ হিসেবে শেখ মুজিবর রহমান'কে নিয়ে এবং আরো কিছু মন্তব্যগুলি আমি প্রমান হিসেবে রেখেছি। এরপর আমার ব্লগে ফাতরামী করলে এর খবর আছে।
সবার জন্য শুভেচ্ছা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি বড় একটা মন্তব্য করেছিলাম। শেষ দেখি অর্ধেক এসেছে। আমার কপাল খারাপ। মন্তব্যটা সম্পূর্ণ পড়া হলো না।

পাচওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করা উচিত। কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু ইবলিশকে পরাস্ত করতে পারছি না। X( এক হতে পারে দূর্বল ইমানের কারনে, আরকে হতে পারে, নাছারাদের দেশে থাকার কারনে। তবে নামাজ পড়লে অবশ্যই মন শান্ত হবে। দোয়া করবেন, যেন পড়া শুরু করতে পারি।

রহমান লতিফ ভাই অবশেষ আমার সাথে কয়েকদিন আগে যোগাযোগ করেছেন। উনি ভালো আছেন। আপনি আমাকে যেই নাম্বার দিয়েছিলেন সেটাতে পাঠানো মেসেজটা কি উনি পেয়েছিলেন? ব্লগে না আসার কারন কিছু বলেছেন? জানার কৌতুহল হচ্ছে।

৩৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০

জিকোব্লগ বলেছেন:



ধন্যবাদ ব্লগার ভুয়া মফিজ ।
ধন্যবাদ ব্লগার নীল আকাশ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ তো আপনাকে দেয়া উচিত! অসংখ্য ধন্যবাদ। নতুন কোন ইন্টারেস্টিং তথ্য পেলে জানাতে ভুলবেন না যেন!! :)

৩৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৬

ইসিয়াক বলেছেন: আহ ! নানা বাড়ির স্মৃতি মানে মজার মজার স্মৃতি। আমার নানারা ছিলো পাঁচ ভাই। তেরো কাঠার উপর বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে তৈরি বিশাল দোতালা বাড়ি। অনেক লোক তবু ও অনেক ঘর খালি পড়ে থাকতো। দেয়ালগুলো ইয়া মোটা মোটা, চুন সুরকী দিয়ে গাঁথা। জানালাগুলো বড় বড়।
কোনার দিকে ঘরগুলো সবসময় তালা বদ্ধ থাকতো। সেই বাড়িতে প্রত্যেক ঘরেই ছিলো একের অধিক দরজা আমার এ ঘর ও ঘর ঘুরে ঘুরে নেচে নেচে খেলা করে বেড়াতাম।কোন বারণ নেই বকাবকি নেই।
মায়েরা ছিলো আট ভাইবোন আরো অন্যান্য চাচাতো মামা খালা,তাদের বাচ্চাদের নিয়ে বিশাল পরিবার । রান্নাবান্না সব এক সাথে হতো। সব সময় উৎসব উৎসব ভাব লেগেই থাকতো।দুখের কিছু হলে তাও সবাইকে এবসাথে যেন স্পর্শ করে যেতো।
আমার বেশ মনে পড়ে সেই বাড়ির বাইরে ছিলো টলটলে একটা পুকুর সেই পুকুরে শাপলা তুলতে গিয়ে ঢোড়া সাপে পা জড়িয়ে ধরেছিলো ,এখনো ভাবলে গা শিউরে ওঠে। এজন্য অবশ্য মায়ের হাতে মার খেয়েছিলাম,কারণ আমি সাঁতার জানতাম না মায়ের আশংকা যদি পানিতে পড়ে যেতাম। পুকুরের পাড়ে ছিলো নারকেল সুপারি আম কাঁঠালের বাগান সেখানে যে কত রকমের খেলা করেছি দিন রাত এক করে দিয়ে। কত স্মৃতি ,এখন সেখানে বড় বড় উঁচু উঁচু ফ্ল্যাট। কত দ্রুত সব কিছু বদলে গেলো। পুরানো মানুষগুলো হারিয়ে গেল ......।
#যতদূর সম্ভব খারাপ খবর এড়িয়ে চলবেন। মনকে প্রফুল্ল রাখবেন গান শুনবেন বই পড়বেন। একাকী না থাকার চেষ্টা করবেন। আমি তাই করি আর কি। উপদেশ ভেবেন না প্রিয় ভাই। সময় খারাপ যাচ্ছে । কাছের মানুষগুলো হুটহাট মারা যাচ্ছে মনে সেই ছাপ তো পড়বেই। তার ধারাবাহিকতায় হয়তো এই খারাপ স্বপ্ন দেখেছেন। কোন ব্যাপার না। মামার জন্য দোয়া করে দেন।
আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক এই দোয়া করি।
শুভকামনা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের আদি নানাবাড়িও আপনার নানাবাড়ির মতোই ছিল; বিশাল আর খোলামেলা। আর চারদিকের বাউন্ডারী ওয়ালের কাছাকাছি ছিল প্রচুর গাছ। বিশাল বিশাল বিভিন্ন ধরনের। এখন অনেক বদলে গিয়েছে। গেলে দুঃখ পাই!

নানাবাড়ি হাজারো স্মৃতি; বলতে থাকলে শেষ হবে না। আপনিও সময় করে কিছু স্মৃতিচারন করেন। আমরা নস্টালজিক হই।

মন প্রফুল্লই থাকে আমার। তবে আজকাল এটা রক্ষা করা বেশ কঠিন। আমার নিজের কিছু তরীকা আছে মন ঠিক করার। আমার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে........তবে এগুলোও আজকাল প্রায়শঃই ফেল মারে। যাই হোক, অবস্থা ততোটা খারাপ না। মাঝে-মধ্যে একটু......এই আর কি!!

আপনার কথাগুলো উপদেশ হিসাবে ভাবলেও কোন অসুবিধা নাই। যুক্তিসঙ্গত কথাই তো বলেছেন।

দোয়া করবেন। আপনার জন্যও শুভ কামনা।

৩৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২১

জুন বলেছেন: আপ্নে গেলেন কোম্মে :-*
বছরের সেরা পোস্ট লেখতাছেন্নাকি :-*
:``>>

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কি যে কন না কন!! আমার সবগুলান পোষ্টই তো বছরের সেরা পোস্ট!!! :P

কামের চাপে আছি, কইছি না! এই যে দ্যাহেন, ভোর চাইরটায় উইঠা ব্লগাইতাছি!! উপায় নাই!!!

৪০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগার ভূম
পান করে ধূম
দিলেন এক ঘুম।

স্বপনেতে আহারে
কড়া এক থাপ্পড়ে
ভূম পড়ে ভূমিতে
শুরু করে ভাবিতে
সামুতেই খুঁজি যাই
সমব্যথী যদি পাই...

আপনার লেখা পড়ে মাথা জুড়ে এলো এই কবিতা! কী করি, লিখেই ফেললাম, সামুতে আমার প্রথম আর শেষ কবিতা!!

আপনার সেজমামার কাহিনী ভালো লাগলো, শেষ টুকু ছাড়া... মামাদের নিয়ে প্রায় সবারই গল্প থাকে। সুকুমার রায়ের এক গল্পেও মামার থাপ্পড়ের কথা আছে।

গল্প পড়ে মনে হয়েছে আপনার মামা আপনাকে খুব ভালবাসতেন, সেই টানে স্বপনেতে দর্শন দেন, এসব মৃত্যু সন্নিকটে টটে তেমন ভাবার দরকার নেই। তবে মৃত্যু সন্নিকটে ভেবে ধূমপান ছেড়ে দিলে তো ভালোই হয়।

বেঁচে থাকেন আরো অনেক বছর।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনিও 'ভুম' কইলেন!! :P

প্রথম আর শেষ কবিতা হওয়াতে পড়েই ফেললাম চোখ বন্ধ করে। কবিতা / ছড়া জব্বর হয়েছে। তবে প্রশংসা করার মানে এই না যে, আপনি আবার কবিতা লেখা শুরু করবেন। ভুলেও এই কাজ করতে যাবেন না!! B-)

মামা অত্যন্ত গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। ভালোবাসতেন কিনা, বোঝা মুশকিল। তবে আমার ধারনা, উনি আমাকে বেশ পছন্দ করতেন......এক অর্থে তা অবশ্য ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ!!

ধুমপান ছাড়ার কথা তো অনেকদিন ধরেই ভাবছি। ধুমপানে প্রচুর টাকা খরচ হয় এখানে, দেশের তুলনায় বলতে গেলে অকল্পনীয়, তাই ছেড়ে দেয়াই ভালো।

আপনার জন্যও নতুন ইংরেজি বছরের শুভেচ্ছা। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.