নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে থাকা মানেই কি দেশের সেবা করা???

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০২



ব্লগে আসি কিছু আনন্দময় সময় কাটাতে। লিখতে ভালো লাগে, তাই লেখি। পড়তে ভালো লাগে, তাই যখনই সময় পাই, ব্লগে বিভিন্ন ধরনের লেখা পড়ি। ব্লগে সময় কাটানো মানেই একধরনের কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড…....এটাই ব্লগ সম্পর্কে আমার মুল্যায়ন। অনেক জ্ঞানী-গুণী ব্লগারদের লেখা, মন্তব্য পড়ি। অনেক অজানা জিনিস জানা হয়; প্রতিনিয়ত জ্ঞান বাড়ে। তেমনিভাবে ক'দিন আগে একটা নতুন জিনিস জানলাম, জ্ঞান আরো কিছুটা বাড়লো। তবে সেই প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে কিছু কথা বলে নেই।

মাইগ্রেশান মানব সমাজের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সেই প্রাচীণ কাল থেকেই মানুষ যাযাবরের মতো এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গিয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে আজও যায়। সবদেশের সব মানুষের জন্য সকল সময়েই এটা সত্যি। এমনকি বর্তমানের বহু মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু পশ্চিমা বিশ্বের লোকজনও অন্যদেশে স্থায়ীভাবে মাইগ্রেট করে। এটা নিয়ে কিন্তু সেসব দেশের নাগরিকরা তাদেরকে বেইমান, নিমকহারাম, চশমখোর আর সুবিধাবাদী বলে বাড়িঘর মাথায় তোলে না। কারন তারা জানে, প্রতিটা মানুষেরই ইউনিক নিজস্বতা আছে। প্রত্যেকেরই অধিকার আছে পারিপার্শ্বিকতা, বিচার-বিবেচনাবোধ, সামাজিক কিংবা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, পছন্দ-অপছন্দসহ বহুবিধ কারনকে সামনে রেখে তার বাসস্থান, সেটা যে দেশেই হোক না কেন, নির্বাচন করার।

এদিকে আশ্চর্যজনকভাবে আমাদের দেশের কতিপয় মানুষ প্রবাসীদের সম্পর্কে কোন এক অজানা কারনে বিদ্বেষভাব পোষণ করে। ব্লগারদের মধ্যেও সে'ধরনের কিছু মানুষ দেখি। এনারা ঠিক কি কারনে এমনটা ভাবেন, আমার সঠিক জানা নাই। মানুষের মনস্তত্ব নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তারা হয়তো বলতে পারবেন। আমি আমার সীমাবদ্ধ জ্ঞান দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে হয়তো বলার চেষ্টা করতে পারি, তবে সেটা হবে একজন আন্ধা মানুষের ঢিল ছোড়ার মতো! তবুও ভাবলাম গুটিকয় ঢিল না হয় ছুড়েই দেখি! কি আর হবে, মহাভারত তো অশুদ্ধ হয়ে যাবে না! অন্য কথায়, আমার ভাবনা আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করি।

উন্নত দেশগুলোতে আমাদের দেশের যেসকল মানুষ বাস করে, আমার মনে হয় দেশের কিছু মানুষ তাদের ব্যাপারে খানিকটা জেলাস। এটাকে অবশ্য আমি ব্যক্তিগতভাবে খারাপ মনে করি না। কারন, জেলাস হওয়াটা মানুষের একটা স্বাভাবিক প্রবণতা। কেউ যদি বলে, আমি কোন ব্যাপারে কোন সময়ই কিংবা কারো ব্যাপারেই জেলাস না, তাহলে আমি বলবো, হয় মানুষটা একজন খাটি ঘর-সংসার ত্যাগী সন্নাসী অথবা নির্জলা মিথ্যা বলছে। আমরা আমাদের মধ্যে থেকে কেউ ভালো চাকুরী পেলে জেলাস হই, কেউ চমৎকার রেজাল্ট করলে জেলাস হই, এমনকি কেউ যদি খুব সুন্দরী একজন বউ পায়…..তাহলেও জেলাস হই! সত্যি বলতে, নিজের চেয়েও কারো ভালো কিছু দেখলেই আমরা জেলাস হই। মাত্রা সহনীয় থাকলে এটা ভালো। এতে করে বেশীরভাগ সময়েই সুস্থ্য প্রতিযোগিতার উত্তরণ সম্ভবপর হয়। সমস্যা হয়, যখন কেউ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এটাকে একধরনের অসুস্থ মানসিকতা বলা যেতে পারে। তাছাড়া যেমনটা বলা হয়ে থাকে যে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে সমানুপাতিক হারে মানুষের বুদ্ধি-বিবেচনা বাড়ে….কারো কারো ক্ষেত্রে সেই বাড়াটা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে থমকে যেতে পারে, ফলে এ'ধরনের জটিলতার উদ্ভব ঘটে।

যাইহোক, ব্লগে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জনের যে সুযোগ-সুবিধার কথা শুরুতেই বলেছি সেই প্রসঙ্গে আসি। ক'দিন আগে জানলাম বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিকগুলো নাকি প্রবাসে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়। আমার জন্য এটা একেবারেই একটা ব্র্যান্ড নিউ জ্ঞান! কথা হলো, তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক যেহেতু আছে, নিশ্চয়ই প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকও আছে; চতুর্থ শ্রেণী থাকাও বিচিত্র কিছু না! এই বিভিন্ন শ্রেণীর নাগরিক…….তাহারা আসলে কাহারা, সেই সম্পর্কে আমার ধারনা নাই। আমি প্রবাসীদেরকে তিন ক্যাটাগরীতে ভাগ করতে পারি। অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত, নিম্নশিক্ষিত এবং উচ্চশিক্ষিত। প্রবাসী অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত শ্রমিকদের নিয়ে নেতিবাচক কথা শুনতে শুনতে বাধ্য হয়ে একবার একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। আগ্রহীরা মন চাইলে দেখতে পারেন। এবার এটা লিখতে বাধ্য হলাম। আমি ব্লগে আনন্দ নিয়েই লেখালেখি করি…...তবে এ'ধরনের লেখা লিখতে আনন্দ বা উৎসাহ কোনটাই পাই না। বাধ্য হয়ে লিখতে হয়। আচ্ছা মনে করেন, যদি প্রবাসীদের নিয়ে এ'ধরনের নেতিবাচক কথায় ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে সব প্রবাসীরা দেশে চলে আসে, তাহলে কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে? এটা দেশের জন্য ভালো নাকি মন্দ হবে? দেশের বেকার সমস্যা বাড়বে নাকি কমবে? দেশ আরো উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে? এটা ব্লগারদের কাছে আমার প্রশ্ন। খুব সিরিয়াসলি বলবেন। মনে রাখা উচিত হবে……..বিদেশে প্রবাসীরা যাই করেন, নিজের যোগ্যতায় করেন; কারন সেখানে মামা-চাচার জোর কিংবা প্রভাব-প্রতিপত্তি (যদি কারো থাকে) কোন কাজে আসে না।

আলোচনা একটু ডিরেইলড হয়ে গিয়েছে; ক্ষমা করবেন। মূল আলোচনা…...তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক বিষয়ে ফিরে আসি। আসলে অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত প্রবাসীরা এমনিতেই দেশের কতিপয় শিক্ষিত জনগোষ্ঠির কটুকথা, গালি-গালাজ শুনে অভ্যস্থ, এতে করে তাদের পরিস্থিতির খুব একটা রকমফের ঘটে না। এদিকে আমরা কিছু শিক্ষিত হতভাগা ভিনদেশে নাগরিক হয়ে ফেসে গিয়েছি। তাও আবার তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক! কোন কথা হলো এটা? কত্তোবড় ছাগল এইগুলা……..দে এই হালাদেরও গালি! আসলে গালি খাওয়ার মতো কাজই তো হয়েছে, নাকি বলেন আপনারা!! কি অদ্ভুত মানসিকতা কিছু মানুষের।

আচ্ছা, তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই, প্রবাসীরা দেশের কোন উপকার করছে না; সেই সাথে দেশের ক্ষতিও তো করছে না। নাকি করছে? এটলিস্ট দেশের উপর থেকে কিছুটা হলেও চাপ তো কমিয়েছে! আমি বুঝি না, কতিপয় মানুষ এতো বিদ্বেষ বুকে নিয়ে চলাফেরা করে কিভাবে? এনাদের কি রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন হয়? আসলে এতো এতো সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকলে ঘুমে কিন্চিৎ বিঘ্ন ঘটাই তো স্বাভাবিক! নাকি ভুল বললাম!!

আরেকটা কথা শুনতে শুনতে কান পচে গিয়েছে। প্রবাসীরা নাকি দেশপ্রেমিক না। মরার উপর খাড়ার ঘা'য়ের মতো কিছু দুষ্ট প্রকৃতির প্রবাসী আছে, যারা কিনা সারাদিন পাটি পেতে বসে দেশের বদনাম করে। এটাই বা কেমন কথা হলো? ব্যতিক্রম ছাড়া ইন জেনারেল যদি বলি, দেশের মানুষ বেশী দেশপ্রেমিক নাকি ভিনদেশে যারা পরে থাকে তারা বেশী দেশপ্রেমিক? এই বিতর্ক বিতর্কের জায়গায় থাক। এটার কারনে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল, বরং সেটাই বলি। আমার পিঠাপিঠি এক বোন আছে। ছোটবেলায় তার পছন্দ ছিল আর্টস নিয়ে পড়ার, আর আমার সায়েন্স। প্রায়ই ঝগড়া করতাম আমরা, কোনটা ভালো সেটা নিয়ে। এই ঝগড়া প্রায়শঃই চুলাচুলির পর্যায়ে গড়াতো যতোক্ষণ পর্যন্ত না আম্মা জাতিসংঘের রুপ নিয়ে আবির্ভাব না হতেন!! অত্যন্ত ইম্ম্যাচিওরড ঝগড়া ছিল কি বলেন! সত্যিই তাই; কারন আমরা দু'জনেই তখন ইম্ম্যাচিওরড ছিলাম। এখন আর আমার বোনের সাথে এমন ঝগড়া হয় না; তবে এখন দেখছি, ম্যাচিওরডরাও এ'ধরনের ঝগড়া করে!!!

সময় থাকতে থাকতেই পটেনশিয়াল প্রবাসী বা ভিনদেশে নাগরিকত্ব প্রত্যাশীদেরকে সাবধান করছি। আপনারা দেশেই থাকুন দয়া করে। আমরা, কতিপয় হতভাগা নাদান মানুষেরা যে ভুল করেছি, আপনারা দয়া করে সেই ভুল করবেন না।

কথা আর না বাড়িয়ে লেখায় সমাপ্তি টানি। তবে মনের ভিতরে একটা কথা পাক খাচ্ছে; যেতে যেতে বলেই যাই। আমাদের সবার প্রিয় জানা আপাও বহুদিন ধরেই প্রবাসী। সন্দেহ নাই, উনি একটা ভিনদেশের নাগরিকও বটে। তাহলে কি..….…………..!!! ও মাই গড!!!!!


ফটো ক্রেডিটঃ অন্তর্জাল।

মন্তব্য ৯৮ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৯৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৯

সাসুম বলেছেন: এটার এক্টাই কারন জেলাসি।

আরে শ্যালা অই বেটা বিদেশ গিয়া বাইচা গেছে আবার বিদেশ এর দামী পাস্পর্ট ও আছে, আর আমি হরিদাস পাল এই দেশে পচে মরতাছি :/

এই হতাশা আর জেলাসি থেকেই এত কিছু ।

আর যারা বলে বিদেশী রা দেশের জন্য কিছুই করেনা, তারা যে কত বেকুব সেটা কে বোঝাবে তাদের? এই যে বিদেশে বসে এত টাকা কামাই, এটার বেশির ভাগ অংশ আবার দেশের ইকোনমিতে ইঞ্জেক্ট করছে কিন্তু এই বিদেশী রাই!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার কোন পোষ্টে এটাই সম্ভবতঃ আপনার প্রথম মন্তব্য। আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে সু-স্বাগতম!! :)

হতাশা থেকেও মানুষ জেলাস হয়.......আপনি সঠিক কথাই বলেছেন। তবে আমাদের সবার সুস্থভাবে এবং যুক্তিসঙ্গতভাবেই চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। জেলাস হওয়ার কারনে যদি কাজের কাজ কিছু হয়, তো ভালো। কোন এক জ্ঞানী বলেছিলেন, দাগ থেকে ভালো কিছু হলে তো দাগই ভালো, তাই না!! ;)

না হলে শুধু শুধু এনার্জি নষ্ট করার মানে কি?

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যারা এহেন ফালতু কথাবার্তা বলে,সেই সকল আহম্মকদের কথা কানে না তোলাই ভাল।
কিছু বলতে চাইছিলাম কিন্তু সময় কম তাই এতটুকুই বলে গেলাম।
ভাল থাকবেন ভুয়া ভাইয়া।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ''কিছু'' শুনতে যে মন চাইছে!!! দৌড়ের উপরে আছেন এখন, ঠিক আছে। সময় করে একবার ঘুরে যায়েন। আপনার মুল্যবান মতামতও জরুরী!! :)

আপনিও ভালো থাকবেন।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

অপু তানভীর বলেছেন: প্রবাসীদের পছন্দ না করার কয়েকটা কারণ তো রয়েছেই । প্রথম কারণ হচ্ছে বাঙালী হচ্ছে ঈর্ষাপরায়ন জাতি । বিদেশে গিয়ে বেটা বেশি টাকা আয় করছে, বেশি ভাল আছে আমার থেকে এই জিনিস বাঙালির হজম হয় না । এটা অবশ্য কেবল বিদেশ না। নিজ দেশেও যদি কেউ বেশি ভাল থাকে বেশি টাকা আয় করে তাহলে অন্যেরা তাকে পছন্দ করে না । অপছন্দ করার অন্য কারণটার জন্য প্রবাসীরাও খানিকটা দায়ী । আমার গ্রামের বাড়ি বিক্রমপুর । আমাদের এলাকার বেশির ভাগ বাড়িতেই কেউ না কেউ বাইরে থাকে । এই প্রবাসী এবং তাদের পরিবারের কথা বার্তায় একটা দাম্ভীক ভাব ফুটে ওঠে সব সময় যা অপছন্দ করার একটা কারণ । আমার নিজের বড় ভাইও বিদেশ ছিল এক সময় ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবাই আমরা যেহেতু বাংলাদেশী, দেশী-প্রবাসী সবারই কিছু কমন দোষ-ত্রুটি থাকাটা স্বাভাবিক। তাই বলে ঢালাও মন্তব্য করা তো ঠিক না। আমাদের ইর্ষা যেমন আছে, তেমনি সুবিধামতো দাম্ভিকতাও আছে। সেসব দোষগুন নিয়ে তো আলোচনা হতেই পারে।

আর পোষ্টে যেমনটা বলেছি, 'জেলাসী' মানুষ মাত্রেরই একটা স্বাভাবিক টেন্ডেন্সি। এটা সব দেশের, সব জাতির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, এটা যেন মাত্রা না ছাড়ায়। মাত্রা ছাড়িয়ে সুস্থ্য মানুষ যদি অসুস্থ্য হয়ে যায়, সেটা আমাদের জাতির জন্য একটা দুর্ভাগ্য.....নাকি বলেন!!

আপনার বড়ভাইয়ের, সেইসাথে আপনাদেরও কপাল ভালো যে, উনি এখন দেশে থাকেন। :P

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:



ভুমের পোষ্টের সাথে সম্পূর্ণ সহমত । আই থিংক উই আর ইন দ্যা সেইম পেইজ ।
আমিও যেমন জানি ভুমের এই পোষ্ট লেখার পেছনের স্টোরি, ভুমও জানে আমি কেমন অফেন্ডেড ফিল করেছি ।

একতরফা একটা স্টেটমেন্টকে হাইলাইট করেছিলাম বলে আমার প্রিয় একজন ব্লগারের যে অপ্রিয় রিঅ্যাকশন আমি দেখেছি, কিছুটা স্পিচলেস হয়েছি আমি । ইন্ডিভিজুয়াল কেইস ইন্ডিভিজুয়ালি এড্রেস করা উচিৎ, কিছু মানুষের জন্য সবাইকে একপেশে কথা বলা যে ঠিক না, লজিক্যাল না এটা কে কাকে বোঝাবে !!! আই’ম বিট শকড । থ্যাংকস ভুম ।

বাই দ্যা ওয়ে, ভালোবেসে আদর করে ভুম ডাকি, আপত্তি নেইতো ? থাকলে আমাকে বলা হোক, রাদার সকল ব্লগারকে আমার নামে মজলিশে নালিশ না করে :)



২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আই থিংক উই আর ইন দ্যা সেইম পেইজ । উই আর......ইনডিড!! B-)

আমিও স্পিচলেস হয়েই এই রিঅ্যাকশন দিয়েছি। স্পিচ যেখানে কাজ করে না, সেখানে কি-বোর্ডই তো ভরসা! আসলে জেনারালাইজড স্টেটমেন্ট দেয়া অনেকের স্বভাবে পরিনত হয়েছে। ইন্ডিভিজুয়াল কেইস ইন্ডিভিজুয়ালি এড্রেস করা উচিৎ সেটাই। এ'ব্যাপারে দ্বি-মত পোষণ করার কোন সুযোগই নাই।

নামের ইনিশিয়াল দিয়ে ডাকা আসলে একটা মাল্টিন্যাশনাল কালচার। না জানলে কেউ কেউ অফেন্ডেড ফিল করতেই পারে। এটা যার যার ব্যক্তিগত অভিরুচি। দেশে আমার এক বসের নাম ছিল গোলাম কিবরিয়া। আমরা বলতাম জিকে। অন্য সবারও এমন সম্মোধন ছিল, আমারও ছিল। তবে সেটা নিশ্চিতভাবেই ভুম না!! :P

কাজেই এটা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। আমাকে ভালোবেসে আদর করে কেউ কিছু ডাকবে, আর আমি আপত্তি করবো......এতোটা ব্যাক্কল আমি না। =p~

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দরী বউ পাইলে অন্য কেউ জেলাস ফিল করেন হাহাহাহাাহা

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: করে......আমিও একসময়ে করছিলাম দেইখাই কইলাম। পরে হঠাৎ মনে হইলো, আরে......এইটা আমি কি করতাছি? আমি না বিবাহিত!! এহন তো আর বদলাইতে পারুম না!!! =p~

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৩

করুণাধারা বলেছেন: চুলায় তরকারি, পরে আসছি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গুড ডিসিশান। পোড়া তরকারি খাওয়া কোন বুদ্ধিমানের কাজ না!! :-B

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: হঠাৎ আজকে প্রবাসী নাকি ভিনদেশী বাবু চেইত্তা উঠল ক্যান? /:)

কে কোন দেশে-খালে-বিলে প্রথম শ্রেণি, তৃতীয় শ্রেণি নাকি শ্রেণিহীন হয়ে থাকবে থাক....নিজেদের খায়েস.....তয় দেশে হোক-বিদেশে হোক চুরি-বাটপারি, টাকা পাচারকারী হিসেবে শ্রেণি বদলের খেলায় মেতে না উঠুক......এই কামনা.......সাথে অতি ঈর্ষান্বিত হওয়া কিংবা অতি দাম্ভিক হওয়া থেকে মুক্ত থাকুক.......। কী কন? :-0

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভিনদেশের তৃতীয় শ্রেণীর একজন নাগরিক হইছি দেইখা কি চেততেও পারুম না!! :((

সবাই যার যার নিজস্ব গন্ডিতে খুশী থাকলেই হলো। হক কথা। তবে, দেশে-কিংবা বিদেশে যেখানেই থাকুক, কোন আকাম-কুকাম না করলেই তো হলো! এক্কেবারে আমার মনের কথাটাই বলেছেন। এই জন্যই তো আপনেরে আমি এতোটা পছন্দ করি। আপনের হাজার হাজার বছরের অভিজ্ঞতার একটা দাম আছে না!!! B-)

সাথে অতি ঈর্ষান্বিত হওয়া কিংবা অতি দাম্ভিক হওয়া থেকে মুক্ত থাকুক.......। অবশ্যই। আবার জিগায়!!! :P

৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৭

জুন বলেছেন: এতদিন জানতাম বিদেশে গিয়ে প্রবাসীরা দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক আজ আপনার পোস্টে দেখছি তৃতীয় শ্রেনী ঘটনা কি :-*
আমি সবসময় উদার মনোভাবই বলেন সকল দৃষ্টিতেই ভাবি এক একটি দেশ মানুষের ভাগ করা । আল্লাহ একে ভাগ করে দেয়নি তারকাটার বেড়া দিয়ে । অনেকে বাই রোডে বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিম বংগের ভুভাগে ঢুকে আশ্চর্য্য হয়ে বলে একি ! এদেশের ভুপ্রকৃতি মানুষ জন সবই দেখি আমাদের দেশের মতন !! এটা শুনে আমি অবাক হই। যেমন রোহিংগাদের মনে করে চট্টগ্রামের বাসিন্দা শুধুমাত্র তাদের দৈহিক গড়নের জন্য। আমি মনে করি সমস্ত পৃথিবীটাই মানুষের জন্য যে যেখানে ভালো থাকে স্বস্তিতে থাকে সেখানে থাকাই উচিত । ব্যাংককে অনেক মানুষকে দেখেছি যারা আমেরিকা কানাডার নাগরিক শুধুমাত্র একটা ভালো আবহাওয়ার জন্য সেখানে বউ নিয়ে বসত গেড়েছে এবং তারা সুখী । সুয়ার্নভুমে হাসিখুশী এক জার্মান বুড়োর সাথে কথা হয়েছিল । প্রসংগক্রমে জানতে চেয়েছিলাম আপনি কোন দেশের ? তাতে উনি হাত দুটো দুদিকে ছড়িয়ে বলেছিল আমি সারা বিশ্বের নাগরিক যেন সেই বিখ্যাত আমেরিকান রাইটার ও হেনরীর গল্পের মত ।
আমার দেবর ঢাকা বিশ্ব থেকে সাইন্সের সাবজেক্টে প্রথম বিভাগে পাশ করে জাপান থেকে পিএইচ ডি করে ঢা বিতে জয়েন করে । দলাদলির চোটে ( সাদা নীল গোলাপী) টিকতে না পেরে আমেরিকায় পোস্ট ডক্টরেট করতে চলে যায় । পাশ করে এখন সেখানে নাম করা এক ইউনির প্রফেসর । ছেলেমেয়ে সব ভালোভাবে বিভিন্ন যায়গায় পড়াশোনা করছে । সেতো দেশে এসেছিল দেশের সেবা করতে কিন্ত টিকতে পারলো কই ?? পোস্ট ডক্টরের জন্য ছুটির পয়সাও ইউনিতে ফিরিয়ে দিয়ে তার ঋন শোধ করার চেষ্টা করেছে স্বইচ্ছায় ।
আসল কথা হলো আপনার নিজের বিবেকের কাছে পরিস্কার থাকুন । মানুষের কথায় কান না দেয়াই ভালো কারন তারা আপনার পরিস্থিতিতে পরে নি ।
আর ভুয়া আমি জীবনেও কেন জানি কখনো কাউকে হিংসা করিনা এবং করিও নাই কেন জানি আসেই না । কারো ভালো শুনলে খুশী হই , কারো খারাপ কিছু শুনলে মন খারাপ হয় ।
পোস্টে প্লাস দিয়ে গেছি পোস্ট দেয়ার সাথে সাথেই ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘটনা হইলো, দ্বিতীয় শ্রেনী থিকা তৃতীয় শ্রেণীতে আমাগো পোরমোশন হইছে। ;)

আপনের বিরাট মন্তব্য পইড়া ভালো লাগলো। আপনের মতোন কইরা সবাই চিন্তা করতে পারলে কতোই না ভালো হইতো। আপনের দেবরের কাছাকাছি ঘটনা আমারও। চেষ্টা শ্যাষ পর্যন্ত আমিও করছিলাম। এখন কিছু কইলে কেউ কেউ আবার কইবো, আমি দ্যাশের নামে বদনাম করতাছি। যাই হোক, আমার বিবেকের কাছে আমি সার্ফ এক্সেল দিয়া ধোয়া সাদা কাপড়ের মতোই পরিস্কার। অনেকের অনেক কিছুই এড়াইতে চেষ্টা করি। তয় মানুষ তো!! সব সময়ে পারি না। এইটা আমার নিজস্ব সীমাবদ্ধতা।

বিশ্ব-নাগরিক কনসেপ্টটা এখনও অনেকেরই মাথায় ঠিকমতোন ঢুকে না। কিছুই করার নাই।

আপনের ''প্লাস'' বুইজ্জা পাইছি। তয় টিসট ঘড়ির কোন খবর অহনও পাই নাই। বড়ই চিন্তাযুক্ত অবস্থায় আছি!!! B-)

৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: রাগ, ক্ষোভ আর আক্ষেপ থেকেই এই লেখা।
ব্লগে যেমন আনন্দময় জায়গা, আবার ব্লগ মেজাজ খারাপ করারও জায়গা। এই দুইভাবে ব্লগকে দেখতে হবে।
মক্কা মদীনায়ও দুষ্টলোক আসে। ব্লগেও আছে।

নিজের দেশের লোক পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক তারা আমাদের আপনজন। প্রবাসীদের দেশের জন্য ঠিকই কলিজা জ্বলে।

আপনাকে বলি- দুষ্টলোকদের কথা কানে নিবেন না।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খুবই দারুন মন্তব্য করেছেন। আপনার মন্তব্যে আশ্বস্ত হলাম। তবে, সব জায়গায় সব ধরনের লোক থাকার একটা বৈচিত্রপূর্ণ আনন্দও আছে। কি বলেন!! না হলে তো জীবনটা ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে যাবে।

অবশ্য আপনার মন্তব্য পড়ার পরেই এই দার্শনিক চিন্তাটা মাথায় আসলো। কৃতিত্বটা আপনারই!! :)

১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৯

জুন বলেছেন: আমার পোস্টে আপনার দেয়া মন্তব্যের উত্তরটা পইড়েন :(

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়ছি.......আরেকটা মন্তব্য থুইয়াও আইছি!! :-B

১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: তবে আমার মনে হয় সবাই যে ঈর্ষা করে তা মনে হয় ঠিক নয়। আর ঈর্ষার কারণটাও সকলের জানা...। কিন্তু কিছু মানুষ ঘৃণাও করে মনে হয়। যেমনটা ঘৃণা করে এ দেশের চোর_বাটপাড়দের, ঠিক তেমনই ঘৃণা করে এই বাটপাড়দের মধ্যে দেশে অবৈধ উপায়ে উপার্জনের অর্থ পাচার করা বেগমপাড়াবাসীদের কিংবা সেকেন্ডহোমের অধিবাসীদের কিংবা...।

তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এই ঘৃণা কিংবা ঈর্ষা দুই জায়গা থেকেই দুই দিকেই মোড় নিতে পারে। উদাহরণ দেই, কানাডার বেগমপাড়াবাসীদের যেমন দেশের লোকজন ঘৃণা করে, ঠিক তেমনি সৎ ও পরিশ্রমী প্রবাসীরাও...কারণটাও নিশ্চয় বোঝা যায়...। আবার এ দেশে বসবাসকারী আমলা-নেতা চোরদের অঢেল সম্পত্তির মালিক হওয়াকে যেমন দেশের লোকজন ঘৃণা করে, তেমনি প্রবাসীরাও....।

আবার ঈর্ষার ক্ষেত্রে দ্যাখেন........উত্তর আমেরিকা বা বৃটেনের রেস্তঁরাতে যে প্রবাসী বা ব্লু-কলারগণ থালা-বাটি পরিষ্কার কিংবা ডেস্কের পেছনে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে, সে কিন্তু হোয়াইট কলার (উন্নত বিশ্বে শ্রেণিভেদ না থাকলেও ওরাই আবার এই গালভরা ব্লু-কলার বা হোয়াইট কলার নাম দিয়েছে...কেন কে জানে?) প্রবাসীদের ঈর্ষা করছে...অর্থ ও আভিজাত্যের মাপকাঠিতে.....। তারমানে কি দাঁড়াচ্ছে...। ঈর্ষাটা আসলে জায়গা চুজ করে হয় না........কাজের ধরন কিংবা অলসতার ধরন কিংবা...আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার ধরন অনুযায়ী উঠানামা করে।

তবে অতিরক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়.............তা সেটা দেশি ঠাকুরভোজনই হোক কিংবা বিদেশী কুকুরতোষণই হোক সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবাই ইর্ষা করে......এটাতো জেনারালাইজড করা হয়ে যায়। সেটাতে আমার চরম আপত্তি। একেকজনের মানসিক গঠন যেমন একেক রকমের, তেমনি তাদের প্রত্যেকের প্রতিক্রিয়াও বিভিন্ন রকমের। আবার এই ইর্ষা, ঘৃণা যাই বলেন, তাও আবার মানুষভেদে বিভিন্ন রকমের। প্রত্যেকেরই তার নিজের বর্তমান সামাজিক বা অর্থনৈতিক অবস্থা, দেশ-কাল-পাত্রভেদে এই ইর্ষা বা ঘৃণার তারতম্য ঘটে। আবার কেউ কেউ সেই টিভি এডের মতো করে ভাবে, আমিতো এমনি এমনিই...........!! :P

আমি তো সেটাই পোষ্টে বলতে চেয়েছি, পরিমিত মাত্রার ইর্ষা ভালো হয় বেশীর ভাগ সময়েই। যেমন একজন ব্লু কলার যদি একজন হোয়াইট কলারকে ইর্ষা করে নিজেও যদি সেখান থেকে উত্তোরণের চেষ্টা করে, তাহলে তো সেটাকে পজিটিভলি দেখাই উচিত। তবে, কোন পরিবর্তনের চেষ্টা না করে যদি হুদাই কেউ এসব করে তাহলেই তো ব্যাপারটা কেচে যায়। আমার নাই......ওর কেন থাকবে জাতীয় মানসিকতার লোকজন নিয়েই কিন্তু সমস্যা।

১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: @জুন আপুঃ "পোস্টে প্লাস দিয়ে গেছি পোস্ট দেয়ার সাথে সাথেই"। এইডা পড়লেই তো কারো কারো গাত্রদাহ শুরু হয়ে যাবে :P

@ভুমা ভাইঃ সর্ট হ্যান্ড আমারো পছন্দ হইছে!
ও বিদেশী ভাইজান? খেপছেন কিল্লাই? কোন বেডা ইন্ডিভিজুয়াল কেইসের নামে আফনার বিদেশী ইজ্জত ধইরা টানাটানি শুরু করছে? আতো আবার প্রোপিকে জাতীয় পশু দেয়া। এত্ত বড় সাহস? নামডা একবার কইঞ্চেন দেখি?

ভাইরে দেশে থাকা এইসব দেশ প্রেমিকদের ঠেলায় আমাগো জীবন এমনিতেই উষ্ঠাগত। দেশে ফিরা আসিয়া আমাগো বাড়া ভাতে ছাই আর দিয়েন কইলমা। এখন তো ইন্ডিভিজুয়াল কেইস দেখছুইন, তখন কিন্তু মাল্টি-ভিজুইয়াল কেইস দেখবাইন।

তয় এরে ঝাড়া কিন্তু সাদা মাটা লাগছে। তেমন একটা কসরত করেন নাই বুঝাই যাচ্ছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি বিদেশী না তো......পুরাই দেশী। খাটি বাংলায় কথা কই। আর আলুভর্তা, ডাইল দিয়া ভাত খাই!! খেপি নাই, আবার খেপছিও। বুইজ্জা শুইনা কথা কওনটা সবার জন্যই জরুরী।

দেশের লাভ আর ব্যক্তিগত লাভ; এই দুইটার কম্বিনেশান হওয়াটা জরুরী। সেটা দেশে থাকলেও সম্ভব, বিদেশে থাকলেও। শুধুমাত্র বলার জন্য বললে এ'ধরনের কথা মেনে নেয়া যায় না। এখন আমি যদি দেশে আসি, কমপক্ষে একজন মানুষ দেশে বেকার হবে। একজন খাটি দেশপ্রেমিক হিসাবে সেটা কি আমি চাইতে পারি? আপনেই কন!! ;)

আমি মানুষটাই তো একজন সাদামাটা! আমার কাছ থিকা আর কি আশা করেন? :-B

১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় যিনি সরকারী একটি প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে চাকরী করতেন। অর্থাৎ প্রমোশন পেয়ে পেয়ে তিনি এত উঁচুতে গিয়েছিলেন। এই পদে চাকরী করার ফলে অন্য সেক্টরের কোন চাকরিকে তিনি মুল্যায়ন করতে পারেন না, তার পরিবারের সদস্যদেরকেও মুল্যায়ন করতে শেখান নি। উনার এই চাকরি সংক্রান্ত উচ্চপদ উনার ভেতরে একটি অহংকারের সৃষ্টি করেছে এবং এর প্রভাবে নিজের পরিবারই যে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্চে, সেই সম্পর্কে তিনি বিন্দুমাত্র সচেতন নন।

আমার এক প্রবাসী বন্ধু যে আমেরিকার একটি বিখ্যাত কোম্পানীতে চাকরি করে। আমি একবার তার ব্যাপারে গল্প করছিলাম। সাথে সাথে তিনি বললেন, যত যাই বলো না কেন, এই গুলো আসলে তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক। ফাস্টক্লাস নাগরিক নিজ দেশ ছাড়া কখনও হয় না। আর এই সব কোন চাকরি হলো?

আমি মাঝে মাঝে প্রচন্ড ঠোঁট কাঁটা আচরন করি। যা নিয়ে অন্যরা সমস্যা অনুভব করলেও আমি নিখাদ আনন্দ পাই। আমি বললাম, ঠিক বলেছেন। আসলে বাংলা প্রবাদগুলো যে সত্যি, তা আবারও প্রমানিত হলো।
পাশ থেকে উনার স্ত্রী মিটিমিটি চোখে সন্দেহপূর্ন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তা কি রকম?

আমি বললাম, আরে ঐ যে আছে না, কৃমির কাছে পেটটাই দুনিয়া আবার কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না। যেমন ধরেন - বাংলাদেশের ফকিন্নী মানুষ যতই আমেরিকায় পড়াশোনা করে গিয়ে ইন্টেল নামক বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে কাজ করুক, ট্যাক্স পে করুক, গাড়ি বাড়ি করুক, সেই দেশের নাগরিকত্ব পাক, তারা সেই কয়লা মানে থার্ড ক্লাস নাগরিকই থেকে যাবে।

সেই কারনেই আমি তারে বার বার বলছিলাম, দোস্ত তুই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা করে কোন ব্যাংকে যোগ দে। মানে সোনালী, রুপালী, এই সব কোন একটা ব্যাংকে যোগদান করলেই দেখবি - জীবনটা পরিপূর্ন! ফাস্টক্লাস নাগরিক হবার যে আনন্দ সেটা বুঝতি। কিন্তু গাধাটা আমার কথা শোণে নাই। মুরুব্বিদের কথা শোনে নাই।

আমি প্রতিবার এই বাসায় যাওয়ার সময় অনেক ফলমুল কিনে নিয়ে যাই, মিষ্টি নিয়ে যাই, খুব আন্তরিক থাকার চেষ্টা করি কিন্তু ঐ বাসার সবাই আমাকে দেখে প্রায় সময়ই শুকনো মুখে বসে থাকে আর খুব মেপে মেপে কথা বলেন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে...........সুতা একবার ছিড়ে গেলে বড়জোড় আপনে গিট্টু দিতে পারবেন। আগের অবস্থায় কোনভাবেই নিতে পারবেন না। এখন আপনে যতোই ফলমূল নিয়া আন্তরিকতা দেখান না কেন!! উচিত শিক্ষা দিয়েছেন। এ'জন্যেই সব সময়ে চুপ থাকা যায় না, উচিতও না। আমিও আমার ঠোটকাটা স্বভাবের জন্য আমার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে খুবই অপ্রিয়, বিশেষ করে মুরুব্বী শ্রেণীর কাছে। উনারা আমাকে সব সময়ে আকারে ইঙ্গিতে বেয়াদব বলার চেষ্টা করেন সব সময়ে।

সামাজিক পদমর্যাদার এই শ্রেণী বিন্যাস আমাদের দেশের কিছু মানুষের কুপমন্ডুকতা। এরা এর থেকে বের হতে পারে না; কারন এটা যে কুপমন্ডুকতা, এই বোধটুকুই এদের নাই।

এখানকার একটা উদাহরন দেই। আমি এখানে যেই স্টোর থেকে বেশীরভাগ সময়ে শপিং করি, সেটা আমাদের এলাকার একটা অভিজাত স্টোর। পাশেই একটা হাউজিং কমপ্লেক্সের কাজ হচ্ছে বেশ কয়েক মাস থেকে। সেখানকার লেবাররা কাদামাখা পোষাক পড়েই হর হামেশা এই স্টোরে আসে। স্যান্ডউইচ, ড্রিঙ্কস কেনে। স্টোরের সিকিউরিটির লোকজন ওদেরকে কিছুই বলে না। সেটা সম্ভবও না। পক্ষান্তরে আমাদের দেশে এমন পরিস্থিতির কথা একবার চিন্তা করেন! এদেরকে ঢুকতেই দিবে না। পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ীর লুঙ্গি পড়ে হোটেল সোনারগায়ে ঢুকতে যাওয়ার ঘটনাটা নিশ্চয়ই শুনেছেন কোন এক সময়ে!!! এটাই হলো আমাদের মানসিকতা।

যাক, আর বেশী কিছু বলছি না। তাহলে আবার কেউ কেউ বলে বসতে পারে, দেশের লোকজনের মানসিকতার বদনাম করছি। আসলে বিদেশে আসলে অনেক কিছু তুলনা করা যায়, যেটা দেশে থেকে সেভাবে করা সম্ভব না। সাদাকে সাদা বলার মানসিকতা, আর সেটা মেনে নেয়াটা আমাদের জন্য খুবই জরুরী। আফসোসের বিষয় হলো, আমাদের দেশের উচ্চপদের লোকজনের সিংহভাগের মানসিকতাই আপনার ওই আত্মীয়ের মতোই। কি আর বলবো, এমন কিছু আত্মীয় যে আমারও আছে!!!

১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২২

ইসিয়াক বলেছেন: বাজার সদাই সাইরা আইতাছি B-) দেইখেন আবার ঘুমাইয়ে পইড়েন না :D

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আইজকা আমার ছুটি। আপনে তো জানেনই আমি কুমীর স্বভাবের। যে কোনও সময়েই ঘুমায়া পড়তে পারি!!! =p~

১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:



@কাভা

দারুণ !!! মাঝে মাঝে এরকম পাল্টা ধাওয়া দিতে হয় ।
ঠিক আছে, এখন মেপে মেপে কথা বলে নিজের সন্মান বাঁচাতে ।

আত্মঅহংকার আর অন্যকে ছোট করা এই দুটাই খুবই বাজে জিনিস । যার মাঝেই এই দোষগুলো আছে, সে যেই হোক নিন্দনীয় আর সোসাইটির জন্য হার্মফুল । এদের কোম্পানি কখনোই কমফোর্টেবল না, অস্বস্তিকর !

কাভার আত্মীয় যে এখনও ওখানে প্রবেশ করতে দেয় এটাইতো অনেক ! স্নব বলে কথা !
কাভার নেয়া মিষ্টি ফলমূল নিশ্চয় তাদের গলা দিয়ে নামেনা , কাঁটাযুক্ত মনে হয় =p~


২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কাভার নেয়া মিষ্টি ফলমূল নিশ্চয় তাদের গলা দিয়ে নামেনা , কাঁটাযুক্ত মনে হয় =p~ না.....এসব ব্যাপারে এনারা আবার খুবই উদার প্রকৃতির! আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বললাম কথাটা! :P

১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


কী সব কথা! সবকিছুতে প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলাম।
প্রবাসীরা হলেন দেশের প্রতিনিধি এবং আমাদের আনঅফিশাল রাষ্ট্রদূত। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের অবদান তো অনস্বীকার্য।

তৃতীয় শ্রেণী নাগরিক একটি অদ্ভূত শ্রেণীভেদ।

তাছাড়া গ্রাজুয়েট হলে কেবল বাংলাদেশেই প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হওয়া যায়।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ভিত্তিতে নাগরিক স্ট্রাটিফিকেশন উপনিবেশ-আমলের গোলামির কথা মনে করিয়ে দেয়।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কী সব কথা! সবকিছুতে প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলাম। এ'টুকু দেখে তো প্রথমে ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, আমার পোষ্টে বলা কথাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য!!! =p~

বাকী যা বলেছেন তা নিয়ে কোন দ্বি-মত নাই। শুধু একটা দীর্ঘনিঃশ্বাসের ইমো হবে। সেটা সামু'র ইমো লিষ্টে নাই। দুঃখজনক!!

উপনিবেশ-আমলের গোলামির অনেক কিছুই আমরা এখনও দেশে সযত্নে আকড়ে রেখেছি, যা এখন খোদ বিলাতেই বিলুপ্ত!! দেশে শুধুমাত্র পক্ষ বদল হয়েছে। এ'টুকুই যা পার্থক্য!!

১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬

রানার ব্লগ বলেছেন: না এটা আপনার ভুল ধারনা , প্রবাসীদের প্রতি আমাদের কোন রাগ গোস্যা নাই, সমস্যা আপনাদের কিছু মানুষের ইগো প্রবলেম। আপনারা রেমিটেন্স যোদ্ধা বলে এক ধরনের আমিত্ব ভাব দেখান। যা আসলে ইরেটেটিং। আপনারা রেমিটেন্স দেন ভালো কথা আমরা টয়লেট থেকে শুরু করে বৌ কে চুমু খাওয়ার ট্যাক্সটা ও দেই। এটা নিয়ে আমাদের কোন হাম্বরা ভাব নাই।

দেশ প্রেমিক সবাই, সে পরবাসি হোক আর দেশবাসি হোক। কিছুদিন প্রবাসী ছিলাম বলে ব্যাপাটা হাড়ে হাড়ে বুঝি। দেশে এসে বিমানবন্দরের বাহিরে দারানো ভিক্ষুক কেও চুমা দিতে ইচ্ছা করে এই ভেবে যে সে আমার দেশি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার যুগান্তকারী চমৎকার মন্তব্যের জন্য প্রচুর অভিনন্দন!! :)

১৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমাদের দেশে রাস্তায় কোনো একটা প্রতিবাদ, মিছিল বা বিক্ষোভের এক পর্যায়ে দেখবেন গাড়ি ভাঙা শুরু হয়। আপনার কি মনে হয়, এই গাড়ি ভাঙাটা কেবলই বিক্ষোভের বহিপ্রকাশ? আমার তা মনে হয় না। বরং মনে হয়, নিজের কেনো গাড়ি নেই, সেই হিংসার জ্বালা অনেকে গাড়ির উপরে মেটায়। ঠিক তেমনি আপনার প্রশ্নের উত্তরও এ জায়গাতেই আছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এক্কেবারে আমার মনের একটা কথা বলেছেন। আপনার দেয়া উদাহরনের পরে আর কিছু বলার কোনও দরকার আসলেও নাই! হ্যাটস অফ!!! :)

১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: পরিমিত মাত্রার ইর্ষা ভালো হয় বেশীর ভাগ সময়েই। যেমন একজন ব্লু কলার যদি একজন হোয়াইট কলারকে ইর্ষা করে নিজেও যদি সেখান থেকে উত্তোরণের চেষ্টা করে, তাহলে তো সেটাকে পজিটিভলি দেখাই উচিত। -- ঠিক তাই.....

কিন্তু এ দেশের একশ্রেণির মানুষ শ্রেণিভেদটা পুষে রাখে নিজেদের দাম্ভিকতা কিংবা হীনমন্মতার দরুন। ইনারা বিদেশে গেলেও যে অবস্থার উন্নতি ঘটে তা না। এখনও দেশে বেশির ভাগ মানুষ বিসিএস ক্যাডারদের মনে করে সমাজের কুলীন গোত্রের (যতই তারা মাথামোটা, অসৎ কিংবা অযোগ্য হোক) বাকিরা মেথর সম্প্রদায়ের তা যতই আপনি অর্থ উপার্জন করেন বৈধভাবে কিংবা মেধাবী হোন কিংবা সফল হোন আপনার নিজ নিজ ক্ষেত্রে...রাষ্ট্রযন্ত্রও দায়ী এর জন্য...। আবার দ্যাখেন, যারা ব্যবসা করে বা নতুন কোনো উদ্যোগ নিয়েছে তাদেরকে ছোট করে দেখা হয় এ দেশে (যদিও এই শ্রেণিটাই দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন...মাথামোটা জনগণের এটি বোঝার সেই বোধটুকুও নেই...)। অথচ সেই উদ্যোগে বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাকরী করে তাদেরই সন্মান বেশি সমাজে। এটি একটি কাঠামোর মতো দাড়িয়ে গেছে দেশে।
ভুল পথে এগুচ্ছে জাতি......। আর তাঁরই রূপ ঐ অতি ঈর্ষা......বিদেশের ক্ষেত্রে যেটাকে আমরা বৈদেশী ঈর্ষা হিসেবে দেখতে পারি...ভুয়া মফিজরাও সেই ঈর্ষার গ্যাঁড়াকলে পড়েছে দেখছি...লে হালুয়া...। :P B-))



২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুয়া মফিজরা তো আসলে বালস্য বাল। যাদের অপর নাম হরিপদ পাল!! এদেরকেও যারা হিংসা করতে পারে, তারা তেলাপোকা দেখলেও হিংসা করে যে, ওইটা উড়তে পারে, আমি ক্যান পারি না!!! :-B

আর প্রথম প্যারাতে যেই সমস্যার কথা বলেছেন, এর থেকে সহসা বের হয়ে আসার কোন সম্ভাবনা নাই। নব্বুই এর দশকে দেশের কয়েকটা টি-গার্ডেনে বেশ কয়েকদিন থেকে বেড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছিল। তখনই দেখেছিলাম, ইংরেজদের ভালোটা শেখার ব্যাপারে আমাদের যতোটা অনীহা, ঠিক ততোটাই আগ্রহ খারাপটা আত্মীকরণ করার বেলায়। তার নমুনা তো খানিকটা এই ব্লগেও পাওয়া যায়।

কি হনুরে মনোভাবের যারা, তাদের ইতিহাস ঘাটলে নিশ্চিতভাবেই আপনি এর উত্তর পেয়ে যাবেন। যদিও এখানেও বিভিন্ন কারন বিদ্যমান! প্রতিটা পেশার মানুষই যে সমাজে প্রয়োজন, তারাও যথাযোগ্য সন্মান পাওয়ার দাবী রাখে......এটা কতিপয় ছাগল প্রজাতীর সদস্যদেরকে কে বোঝাবে? কি জানি বলে না......দিল্লী হনুজ দুর অস্ত না কি যেন? বাকীটা বুইজ্জা লন!! B-)

২০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি যে এত সেন্টু নিয়ে পোস্ট দেবেন ভাবতেই পারি নি। যাইহোক এতটা সিরিয়াস কেন হচ্ছেন? পোস্টেই তো উত্তর দিয়ে দিয়েছেন।
আপনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই বলি, চেনাজানা ছেলেটিকে সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে ঘুরতে দেখলে আমিও বলে থাকি,
-উ! একটা ভালো মেয়ে পেলনা? কোথা থেকে একটা চশমা পড়া জোগাড় করেছে।

এমনই একটি অভিজ্ঞতা কয়েকদিন আগে আমারই ঘটেছে।
করোনা কালে কাজে না গিয়েও বাসায় বসে বেতন পাওয়ায় আমারই এক প্রতিবেশী কয়েকদিন আগে কোনো রকম সৌজন্য না দেখিয়ে বলল,
-আপনাদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিয়ে সরকার অন্যায় করছে। সারা দেশে লোক না খেয়ে আছে, সেখানে শুধু সরকারি কর্মীদের সময়ে বেতন হওয়া মেনে নেওয়া যায় না।
উনি হয়তো ভেবেছিলেন আমি রাগ করবো। আমি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায়,
-একদম ঠিক বলেছেন দাদা। আপনি অত্যন্ত বিচক্ষণ। সরকার অত্যন্ত অন্যায় করছে। আপনার সঙ্গে একশো ভাগ সহমত। সমগ্র দেশে বেসরকারি ক্ষেত্রে যেখানে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে সেখানে সরকারি কর্মীদের এভাবে বসিয়ে বসিয়ে মাইনা দেওয়া অন্যায় বৈকি ঘোরতর অন্যায়।
ভদ্রলোক খুবই খুশি হলেন।
বিষয় হচ্ছে, যে যেমন তাকে সেই অ্যাঙ্গেলেই কথা বলতে আমি পছন্দ করি। কারও কোনো বিষয়ে ড্রগমা থাকলে সেটা ভাঙার দায় আমার নয়।আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেটা নিয়ে তাকে ঘাটানোর পক্ষপাতী নই। সে বোগোল বাজাক না, অসুবিধা কি আছে?
--
দূর! কোথায় ভেবেছিলাম আজ আপনি আবার কুমির রেসিপি নিয়ে হাজির হবেন।তা নয় উল্টে গুরুগম্ভীর কথাবার্তাও। আবার সবাই দেখছি কমেন্টেও তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন।নাহা! আমি ওসব শ্রেণি বিচারে যাব না। এমনিতেই জন্মবধি অলিখিত দ্বিতীয় শ্রেণীর তকমা পেয়ে স্বদেশেই হাঁপিয়ে উঠেছি। বাচ্চাকে নিয়ে খুবই চিন্তায়...

সবশেষে আপনার কথা দিয়েই শেষ করছি।দিন শেষে আমরা ব্লগার। লেখালেখি উপভোগ করতে এখানে আসি।একে অপরকে কষ্ট দিতে বা আঘাত করতে নয়। যদিও দু-একটি ব্যতিক্রম থাকবে। হ্যাপি ব্লগিং...






২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেন্টু রেন্টু ব্যাপার না। ব্যাপারটা হলো, এইটা একটা বিরক্তিকর বিষয়। পারতপক্ষে এ'জাতীয় বিষয় আমি এড়িয়ে যাই। কিন্তু বুঝতেই পারছেন, সব সময়ে পারি না। তাছাড়া আপনি তো জানেনই যে, আমি বিশাল প্রতিভাধর একজন ব্লগার। সব ধরনের বিষয় নিয়েই আমি লিখতে পছন্দ করি.......সেটা অপ্রিয় বিষয়ের জন্যও মাঝমধ্যে সত্যি!! :P

চামড়া মোটা করতে পারাটা একটা গুন নিঃসন্দেহে। রপ্ত করার চেষ্টায় আছি। মনে হচ্ছে, এ'ক্ষেত্রে আপনাকে গুরু মানা যায়। আরো কিছু টেরনিং যদি দিতেন, বড়ই কৃতার্থ হইতাম। তবে শেষে আবার গুরুমারা শিষ্যও হয়ে যেতে পারি। কাজেই সাধু সাবধান!! :)

ভারতেও শ্রেণী বিন্যাস আছে দেখে ভালো লাগছে। ভাবছি, আপনাদের ওখানে মাস খানেক থেকে হাতে-কলমে কিছু বিদ্যা নিয়ে আসলে মন্দ হয় না। আপনার বাসায় থাকার ব্যবস্থা আছে? যদি থাকে, সাথে করে কিরপিনকেও নিয়ে আসবো। =p~

২১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: আরে অত আপসেট হবেন না। প্রবাসীরা বিদেশে গেলেও দেশের জন্যে তাদের কতটা মন পোড়ে দেখেছি। আমি নিজে কখনও বিদেশে যাই নি। আপনি কোন দেশে থাকেন? প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্লগ লিখুন, পড়বো।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাকে যারা জানেন, তারা জানেন আমি সহজে আপসেট হই না। সব সময়ে ডাউনসেট অবস্থায় থাকি! শুধু মাঝে মধ্যে নিজেকে মানুষ প্রমানীত করার জন্য একটু দেখাই আর কি! আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আপনার ব্লগে দেখলাম, শুধুমাত্র একটা কবিতা দিয়েছেন, যা আমি এড়িয়ে যাই। গদ্যাকারে কিছু লিখুন, অবশ্যই পড়বো।

আমার প্রথম ১০০টা পোষ্টের একটা লিঙ্ক দিলাম। ঘুরে দেখলে খুশী হবো। ভুয়া মফিজের ব্লগবাড়িতে স্বাগতম!!!

বাকী ২৫টা এখানে ইনক্লুড করা হয় নাই। করে ফেলবো অচিরেই।

আশা করছি, ব্লগে আপনার অবস্থান আনন্দদায়ক হবে।

২২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: আঠারো নম্বর মন্তব্যে অনেক প্লাস!!

আমি কত বছর ধরে এই ফার্স্ট থার্ড ক্লাস সিটিজেন শুনতেছি, আমিতো একটুও চ্যাতি না, বোঝাতেও যাই না, যাস্ট ইগনোর করি।

ভদ্রলোক পিডিবির ইন্জিনিয়ার ছিলেন, যে বেতন পেতেন তাতে ছোট ভাইবোনদের লেখাপড়া বিয়ে ইত্যাদি দায়িত্ব ঠিক মতো পালন সম্ভব নয়, আবার নিজের স্বপ্ন এরোডায়নামিক্স পড়বেন আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে। অতএব মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে আট বছর চাকরি করে পরিবারের জন্য এবং আমেরিকায় নিজের পড়ার জন্য টাকা জোগাড় করলেন, এডমিশন হলো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু এত বছরের স্টাডি গ্যাপ দেখে ভিসা দিল না, তিন দেশের দূতাবাস থেকে পাঁচ বার। অতঃপর হতাশ হয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন, তারপর থেকে মাঝেমধ্যেই বলে থাকেন, ঐ দেশে না গিয়ে খুব ভালো করেছি।কেন যাব ওসি ভিসি খাটতে...

আমি সায় দেই একথায়, বুঝি যে আঙুর ফল টক কখন লাগে, শুধু শুধু তর্ক করে তাকে দুঃখ দেই না। তবে সবাই তো আমার মতো না, কোন বিদেশবাসী আত্মীয় স্বজনকে যখন এই কথা বলে তখন খুব তর্ক করে তারা।

আপনাকে বলি কি, মানুষের দুঃখ বোঝার চেষ্টা করেন... আর আখেনাটেনকে বলি, এত বছরের অভিজ্ঞতায় বুঝেছি, নির্ভেজাল ঈর্ষা আর হীনমন্যতা থেকেই দেশে থাকা আমরা নিজেদের ফার্স্ট ক্লাস আর বিদেশিদের থার্ড ক্লাস নাগরিক বলে মনের জ্বালা জুড়াই।


২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি তো সাধারনতঃ চেতি না। চামড়া মোটা করার প্র্যাকটিস করি সব সময়ে। তবে এখনও যেহেতু শিক্ষার্থী, মাঝে মাঝে তো পদস্খলন হতেই পারে। আপনার মতোন পরের দুঃখে কাতর হতে পারছি না, তবে অচিরেই হয়ে যাবো আশা করছি। :P

আপনাদের সবার ঐকান্তিক সহযোগিতায় আমার ''চামড়া মোটাকরণ কর্মসূচী'' একদিন না একদিন সাফল্যের মুখ দেখবেই। সেদিন বেশী দুরে না। আমার জন্য খাস দিলে দোয়া করবেন। :)

২৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: সত্যিই আমরা জেলাস, জেলাসিতে গা জ্বলে যাচ্ছে, আশা করি খুশি হয়েছেন

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কি যে বলেন! আপনার গায়ে জ্বালাপোড়া হবে আর আমি খুশী হবো!! এতোটা নির্দয় তো আমি না!!! ;)

তবে, ''আমরা'' বলতে কি বোঝালেন বুঝি নাই।

২৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

আমি সাজিদ বলেছেন: সেদিনের পোস্টে আপনাদের না নিয়ে গেলেও পারতাম, এতোটা মনোকষ্ট পেতেন না কেউ। আমি আমার দিক থেকে দুঃখিত। পরিস্থিতি না বুঝে সব জায়গায় কৌতুহলে বসে পড়ি, এইটা কন্ট্রোলের চেষ্টা থাকবে সামনে। পোস্টের বিষয়বস্তুর গভীরে গেলাম না। আপনি যা বলেছেন আমি তার সাথে একমত।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার দুঃখিত হওয়ার কিছু নাই। যেখানে আলোচনার সুযোগ আছে, সেখানে আলোচনা তো হওয়াই উচিত। কাজেই আলোচনার আমন্ত্রণ জানানোতে আমি দোষের কিছু দেখি না। আলোচনা গঠনমূলক হওয়াটাই কাম্য।

কৌতুহল থাকাটাও ভালো মনে করি আমি। কৌতুহল না থাকলে ব্লগ একঘেয়ে হয়ে যাবে। সবাই মনোটোনাস মন্তব্য করবে......যেটা ব্লগের আকর্ষণ নষ্ট করবে। কাজেই আপনার মনোকষ্টে ভোগারও কোন কারন নাই। :)

২৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৮

রামিসা রোজা বলেছেন:
জীবন যেখানে যার যেমন প্রয়োজন আমি তা মনে করি।
সেটা দেশেই হোক বা বিদেশেই হোক আবার অনেকের কাছে
এর অর্থ ভিন্ন । আমার কাছের রিলেটিভ কেউ থেকে গেছে
কেউ চলে আসছে । তবে ইউনিভার্সেল ট্রুথ সবাই দেশকে ভালোবাসে ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইউনিভার্সেল ট্রুথ সবাই দেশকে ভালোবাসে । সঠিক বলেছেন। এই ভালোবাসা থেকেই সমালোচনা আসে। যে ভালোবাসবে, সেই তো ভালোমন্দ নিয়ে উদ্বিগ্ন হবে, তাই না!! :)

সব কিছুতে সায় দিয়ে যাওয়াই বরং আমার কাছে ভালোবাসার অভাব মনে হয়। যৌক্তিক মানব-মনের বৈশিষ্ট্য হলো, ভালোবাসার জিনিসকে আরো ভালো করার চেষ্টা করা। আর গঠনমূলক সমালোচনা সেটার অন্যতম চাবিকাঠি। জ্বি-হুজুর টাইপ দিনশেষে ভালো কিছু আনে না।

২৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি তো বৃটেন চালান, তাই না?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ.....চালাই তো। আপনের হিংসা হইলে আয়া পড়েন, আপনেরেও ইকটু সুযুগ দিমুনে! ;)

২৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
Excellent explanation indeed!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। :)

২৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ছোট মানসিকতার প্রমাণ, পদে পদে প্রমাণ দেন উনারা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুঃখজনক! এই মানসিকতার পরিবর্তন কবে হইবো কন দেখি? বড়ই ডিপ্রেসড হই কিছু মাইনষের এমন ভাব-সাব দেখলে!! :(

২৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৫

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: ব্র্যান্ড নিউ না, প্রবাসীদের ব্যাপারে মাঝেমাঝেই তৃতীয় শ্রেণীর কথাটি বলা হয়ে থাকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, কথাটি প্রমাণ করতে না পারলেও, এটি প্রমাণ করা সহজ যে, এদেশে যদি কারও রাজনৈতিক ক্ষমতা বা টাকা-পয়সা না থাকে, কিংবা তিনি যদি নির্দিষ্ট কিছু বিসিএস ক্যাডারে চাকরি না করেন, তাহলে তার প্রতি গড়পড়তায় যে আচরণ ক্ষমতাবানরা করে থাকেন, তাতে তার শ্রেণীই খুঁজে পাওয়া যাবে না।

তবে বিষয়টি নিয়ে এত বড় না লিখলেও হতো, যদি কষ্ট পেয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বড় আর লেখলাম কোথায়? মনের সব কথা উগড়ে দিলে তো আরো অনেক বড় হতো। যাই হোক, প্রবাসী যারা ভিনদেশে নাগরিক হয়েছেন, তাদের জন্য এই শ্রেণীবিন্যাস আমার জন্য ব্র্যান্ড নিউ জ্ঞানই বলা যায়। কিছু কিছু ব্লগারের উদ্ভাবনী শক্তির প্রশংসা না করে পারি না। :)

আসলে এই ধরনের শ্রেণী বিন্যাস আমাদের দেশেই বিদ্যমান, যেমনটা আপনি বলেছেন। সেখান থেকেই এনাদের ধারনা, পৃথিবীর সব দেশই বোধহয় এই রকমের। কুপমন্ডুকতার জ্বলন্ত উদাহরন এটি।

৩০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, আমাদের প্রত্যেকের কোন এক প্রজন্মের পূর্বপুরুষ অন্যকোন দেশ থেকে মাইগ্রেট করেই এই দেশে এসেছিল।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কথা সত্যি। তাছাড়া, দুনিয়ার কোন মানুষই সম্ভবতঃ এর বাইরে না। :)

৩১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২২

সোহানী বলেছেন: দু'টো পোস্টেই পড়েছি কিন্তু যথাযথ মন্তব্য করেনি। কারন সত্যিই সময়ের টানাটানিতে আছি। আমি জানি একবার শুরু করলে এর প্রতিউত্তর দিতেই হবে। তাই আপাতত: অফ ছিলাম। যাইহোক, আপনি যেহেতু বিশদ বিবরন নিয়ে আসছেন তাইলে একখান কথা কই,

পাহাড়ের এপারে যে থাকে সে জানে না পাহাড়ের ওপাড়ে কি। কিন্তু যে ব্যাক্তি এপার ওপার দুু'পাড়েই গেছে সে জানে এবং কম্পেয়ার করতে পারে। তাই মাঝে মাঝে একটু উপদেশ মূলক আর গলাবাজি করেই ফেলি।

দেশে থাকতেই দেশের বাইরে যেতে হতো মাঝে মাঝে। তখন নিজেই মনে মনে কিছু আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতাম তাদেরকে দেখে। কিন্তু সত্যিই থিতু হলাম তখন নিজের জ্ঞান নিয়ে নিজেই হাসলাম। এবং আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে পারি আমার পাহাড়ের দুই পাশের অভিজ্ঞতাই আছে এবং খুব ভালোভাবেই আছে। দেশের মোটামুটি বেশ কয়টা সেক্টরে কাজ যেমন করার সুযোগ হয়েছে তেমনি দেশের বাইরেও।

তাই যারা আত্বতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন আমাদেরকে নিয়ে তাদের জন্য কিছুটা দু:খবোধ নিয়েই বলছি। পাহাড়ের ওপারে কি আছে আগে দেখে ও জেনে পোস্ট লিখেন। অন্যের চোখে দেখে নয়, অন্যের কথা শুনে নয়। আর ওই ধরনের বস্তাপচাঁ দুই নাম্বারী নাগরিকের ডায়ালগ খুবই হাস্যকর আমাদের কাছে, যারা পাহাড়ের দুই পাড়ই দেখেছি।

সবাই ভালো থাকেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে আমার মনের কথাটাই কইছেন। আমি বহুবার এই কথা বহুজনরে কইছি। এই ব্লগেও কইছি।

দেশে থাইকা দুইদিনের জন্য কোথাও যাওয়া, আর কোন দেশে স্থায়ীভাবে সেই দেশের সমাজের অংশ হিসাবে থাকার মধ্যে তফাৎ আছে। আমাগো দেশের অনেকেই কয়দিনের জন্য বিদেশে গিয়া মনে করে, সব কিছু জাইনা ফালাইছি। এইটা যে কতোবড় ভুল, সেইটা বুঝনের গিয়ানটাও তাগোর নাই।

আর এই স্থায়ীভাবে বাইরে থাকার কারনেই তুলনা করা সহজ হয়, যেইটা দেশে থাকলে সম্ভব না। এই তুলনা করতে পারাটা একটা প্রিভিলেইজ আর এইটার আলোকে কোন গঠনমূলক সমালোচনা করলেও হ্যারা কইবো দেশের বদনাম করতাছি। আমার সঠিক ধারনা নাই; তয় কাইন্ড অফ ছাগলামী বোধহয় এই মানসিকতারেই কয়!! :P

৩২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,





আপনি বলতে না চাইলেও প্রকারন্তরে প্রবাসীদের নিয়ে দেশীদের গাত্রদাহের কারনটি হলো - অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। দেশীরা এই যে উন্নয়নের পথে পা দিয়েছে বলে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়ায় তার পেছনে যে এইসব প্রবাসীদের ঘাম ঝরানো রেমিটেন্স, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার; তা ভুলেও মনে করেনা। কাজকাম না করা এই সব অলস মাথাতে হয়তো এমন ধারনাও আসেনা।
দেশে থেকে নিজ উদ্যোগে এরা বাড়ির সামনের ভাঙা রাস্তায় একখানাও ইট বসিয়েছে কেউ ? বরং পারলে সেই রাস্তা থেকে আস্ত ইট তুলে নিয়ে নিজের ঘরে লাগিয়েছে। এই তো তাদের দেমপ্রেম?

কথা আর না বাড়ানোই ভালো - আমরা দেশে থেকে কতোখানি যে দেশ প্রেমিক তা ভালোই জানি। কিন্তু ঐ যে , তালগাছ তার মাথা নোয়াতে পারেনা কিছুতেই, আমাদের মানসিকতাও তেমন।

১৮ নম্বর মন্তব্যে পদ্ম পুকুর এর সাথে সহমত পোষন করে বলি - যে দেশের মানুষ দেশটাকে ল্যাংটো করে চুরি-বাটপারির টাকা, ব্যাংক ঋণের টাকা সব বিদেশে ঢালে এবং বাকীরাও সেই পথে পা বাড়িয়েই থাকে সুযোগের অপেক্ষায়, তাদের আর যা কিছুই মানাক , দেশপ্রেমী হওয়া মানায় না....................

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রতিটা প্রবাসীই দেশে কম/বেশী কিছু না কিছু বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায়। আর দেশের কতিপয় দুর্বৃত্ত সেই মুদ্রা আবার বিদেশে পাচার করে। ভাবটা এমন, যেইখানের মাল, সেইখানেই থাকুক!!! এই সব নিয়ে সোচ্চার না হয়ে প্রবাসীদের পিছনে লাগার কারন আপনি চমৎকারভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন। আর কিছু বলার মনে হয় প্রয়োজন নাই।

কামনা করি, যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তাদের বোধদয় হোক। সময়ে সময়ে মাথা নোয়ানোতেও মহত্ব থাকে। আপনার এই মন্তব্যের মূলভাব সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক।

৩৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম।
কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খুবই ভালো। মন্তব্য যতো পড়বেন, ততোই আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। :)

ধন্যবাদের জন্য ধন্যবাদ। আমি অবশ্য সবার মন্তব্যেরই উত্তর দেই।

৩৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সবদিকেই সমস্যা আছে।আমার এক শালী যখন দেশে যায় ৭০ কেজি পানি নিয়ে যায়।এসব দেখে দেশের লোক হাসবে না কাঁদবে । অথচ স্বামী স্ত্রী দুই জনই পানি বিশেষজ্ঞ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ৭০ কেজি নাকি ৭০ লিটার? আমি তো পুরাই ভ্যাবাচ্যাকা খাইলাম। যাই হোক, এইটা কোন সমস্যা না। পানি বিশেষজ্ঞ পানি নিতেই পারে, তাদের ইচ্ছা। বাইরের মানুষের বলার কিছু নাই!! :P

৩৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: আরো দু একটা বিষয় যোগ করে দেন।
এইসব দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকরা বিদেশে বসে দেশ নিয়ে ভাবে কেন?
বিদেশে গিয়ে সাহেব হয়ে যাওয়া মানুষ দেশ সম্পর্কে কি জানে।
আবার
বিদেশে থাকা কোন পোলা মাইয়া কোন বিষয়ে নাম করে ফেললে
( যে কোন বিষয়ে হতে পারে, খেলা থেকে বিজ্ঞান,চিকিৎসা বা নাসা বা পৌর সদস্য হয়েে গেলে বিদেশে) তার সাথে আত্মিতার সুযোগ না থাকলে সে গ্রামের ছেলে বা মেয়ের সন্তান বা বন্ধুর পরিচিত । আর কোন সম্পর্ক না থাকলেও আমার বাংলাদেশের কৃতি সন্তান বলে বুক চিতিয়ে গর্বে অহংকারে তাকে আপন করে কাছে টেনে নেওয়াও আছে। জেলাস করে দূরে রাখা শুধু নয়।
আমি বিদেশে কোন নাগরিককে মৌলিক কোন অধিকার থেকে দূরে রাখতে দেখিনি। বরং নিজ দেশে যা পেতে অর্থ অপচয় করে কোন সরকারী কর্মচারীর অনুগ্রহ আদায় করতে হয় তারচেয়ে অনায়াসে অনেক বেশি সুবিধা বিদেশের সরকার দিয়ে দেয় যে কোন মানুষকে, সে দেশে থাকার জন্য রিফিউজি হয়ে আসলেও তাদের জন্য বরাদ্দ থাকে নানা রকম সুযোগ সুবিধা।
দেশের নাগরিকরা কখন সবাইকে এক কাতারে দেখেন এই প্রশ্নটাও করা যেতে পারে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যা বলেছি, যাদের উদ্দেশ্যে বলেছি, তারা এটুকুই হজম করুক আগে। আপনার বিষয়গুলি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো আলাদাভাবে আলোচনার যোগ্যতা রাখে। যাদের নিয়্যতে সমস্যা আছে, তারা যদি আমার বাংলাদেশের কৃতি সন্তান বলে, তাহলে বুঝতে হবে এতে ''কিন্তু'' আছে। বাকীরা এটা নিয়ে গর্ব করতেই পারে।

দেশে ভালো কিছু হলে সেটা নিয়ে যেমন প্রবাসীরা গর্ব করতে পারে, প্রবাসীদের তেমন কোন অর্জন হলে দেশের মানুষও গর্ব করতে পারে। এটাই সুস্থ্য প্র্যাকটিস। এর অন্যথা হওয়ার মানেই হলো, অস্বাভাবিকতা। সেটা আমাদের কারো কাম্য না।

উন্নত দেশগুলোতে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। এর অন্যথা হলে জবাবদিহীতা আছে। গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘোরাফেরা করার কোন অবকাশ নাই।

দেশের নাগরিকরা কখন সবাইকে এক কাতারে দেখেন এই প্রশ্নটাও করা যেতে পারে। অবশ্যই। উচু-নীচু ভেদাভেদ দেশে অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গিয়েছে।

চমৎকার আলোচনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৩৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৩৬

বলেছেন: জেলাসের বাংলাটা কি হপে দাদা ,,


আপনের লেখায় এত ইংলিশের ব্যবহারের কারণ কি !!!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি আবার ''দাদা'' হইলাম কবে? আমার বাড়ির রাস্তা তো প্রায় ভুইলাই গেছেন গা। এখন আইছেন জেলাসের বাংলা লয়া!! ডিকশনারী দ্যাখেন। :-B

আপনের লেখায় এত ইংলিশের ব্যবহারের কারণ কি !!! আপনে আর আমি তো এক দ্যাশেই আছি। সুতরাং কারনটা আপনের জানাই আছে। ;)

৩৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ এই বিষয় নিয়ে পোস্ট দেয়ার জন্য। মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য, জোড় পুর্বক নীচু চোখের দেখার এক জঘন্য মানসিকতা খুব সম্ভবত শুধু আমাদের দেশের মানুষেরই আছে। এটা শুধু দেশে থাকা বাংলাদেশিদের তা নয় , প্রচুর প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যেও এই একই বাজে মনমাসিকতা আছে। এই ব্লগে একজন জনপ্রিয় প্রবাসী ব্লগার যাকে তাকে ইচ্ছেমত লিলিপুট, মগজহীন, প্রশ্নফাশ জেনারেশন সম্বোধন করেন। আফসোস যে তিনি এত বছর বিদেশে থেকেও বাঙ্গালী মনমানসিকতা থেকে বের হতে পারেন নাই। যাই হোক যেই ব্লগারের কারনে এই পোস্টের অবতারনা, তিনি এর আগেও বহুবার প্রবাসীদের নিতে বাজে মন্তব্য করেছেন। প্রবাসীদের দেশে থাকা পরিবারদের রেমিটেন্স ভোক্তা পরিবার হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন , দেশের দ্রব্য মূল্যের বাজার অস্থিতিশীল করার পেছনে নাকি অন্যতম দায়ী এই রেমিটেন্স ভোক্তা পরিবার । আমি প্রতিবাদ করায় প্রতিউত্তরে বলেছেন ''আব তেরা কেয়া হোগা কালিয়া ( রেমিটেন্স ভোক্তা পরিবার)!!!

আশা করি আপনার পোস্টের কারনে অনেকেই তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নেবেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো-মন্দ সব দেশে, সব জাতিতে, সব গ্রুপে.......সবখানেই আছে। তবে ব্লগারদেরকে যেহেতু একটা অতি-সচেতন জনগোষ্ঠির অংশ মনে করা হয়, তাই তাদের কাছ থেকে এ'ধরনের মানসিকতা পাওয়াটা দুঃখজনক এবং হতাশাব্যন্জক!!

যাই হোক যেই ব্লগারের কারনে এই পোস্টের অবতারনা, তিনি এর আগেও বহুবার প্রবাসীদের নিতে বাজে মন্তব্য করেছেন। প্রবাসীদের দেশে থাকা পরিবারদের রেমিটেন্স ভোক্তা পরিবার হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন , দেশের দ্রব্য মূল্যের বাজার অস্থিতিশীল করার পেছনে নাকি অন্যতম দায়ী এই রেমিটেন্স ভোক্তা পরিবার । আমি প্রতিবাদ করায় প্রতিউত্তরে বলেছেন ''আব তেরা কেয়া হোগা কালিয়া ( রেমিটেন্স ভোক্তা পরিবার)!!! ইন্টারেস্টিং!!! :P

আশা করি আপনার পোস্টের কারনে অনেকেই তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নেবেন। একজনও যদি নেয়, তাহলেই আমার কষ্টটা সার্থক!

৩৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: যাইহোক গনহারে দেশে থাকা সবাইকেই আমি এক কাতারে ফেলতে চাই না। আমার প্রচুর আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব দেশে আছেন। তারা সবাই দেশে সম্মানজনক পেশায় সৎভাবে জীবনযাপন করেন। এদের বেশিরভাগেরই বিদেশে যাবার অনেক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দেশেই স্থায়ী হয়েছেন। আমার ঢাবির সহপাঠীদের বেশিরভাগই দেশে স্থায়ী। অনেকেই সরকারী চাকুরিতে ঢুকেছেন, অনেকেই বিদেশ থেকে পিএইচডি করে ফিরে এসে দেশের ইউনিভার্সিটিতে ( পাব্লিক , প্রাইভেট), বহুজাতিক ফার্মাসিউটিকাল ইত্যাদি ভাল প্রতিষ্ঠানে ঢুকেছেন। আমি নিজে জানি যে এদের সবারই বিদেশে স্থায়ী হবার সকল সুযোগ ছিল। নানান কারনেই, তারা দেশকে বেছে নিয়েছে। অনেকেই বিদেশের মাতারতিরিক্ত শীতের আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে পারেনি , অনেকেই আত্মীয় পরিজন পরিজন , বন্ধু বান্ধব পরিবেশটিত হয়ে দেশে থাকাকেই প্রেফার করেছেন, এমনকি শুধু দেশীয় তাজা খাবারের টানেও অনেকে দেশে ফিরেছেন ( বিদেশে ফ্রোজেন দেশী খাবার কি জঘন্য জিনিষ তা বিদেশে না আসলে টের পেতাম না B:-/ )।সবাই যে সুযোগের অপেক্ষায় দেশে স্থায়ী হয়েছে তা নয়। এই কারনেই একতরফা সব দেশে থাকা বাংলাদেশীদের দোষারোপ করার ইচ্ছে আমার নাই। অন্যকে নীচু করে দেখার মনমানসিকতা দেশে বা প্রবাসে থাকা সবার মাঝ থেকেই দূর হোক এই কামনাই করি। আবারো ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশে কিংবা প্রবাসে, কোন খানেই সবাইকে এক কাতারে ফেলা ঠিক না। আর কে দেশে থাকবে, কে বিদেশে থাকবে.....এটা একান্তই সেই মানুষটার ভাবনা। এখানে দেশপ্রেম যে থাকবেই, এমন কোন কথা নাই। বিভিন্ন কারনে মানুষ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়। তবে, দিনশেষে জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি কিছু না করলে প্রত্যেকের সিদ্ধান্তকেই সন্মান জানানো উচিত। এটা ভদ্রতাও বটে। যাদের এই ম্যানারটুকুও নাই, তাদের জন্য করুণা করা ছাড়া আর কি করতে পারি আমরা?

দীর্ঘ আলোচনার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:২৭

ইসিয়াক বলেছেন: #কেউ চমৎকার একটা কবিতা লিখলো বা গল্প অথবা সুন্দর করে গুছিয়ে কমেন্ট করলো তাতে মাঝে মাঝে আমি জেলাস ফিল করি :-B তারপরেও সেখান থেকে শেখার চেষ্টা করি :( সেই হিসেবে ব্লগে এসে আমি অনেক অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি :D
# নদীর এপাড় কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস ওপারেতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস :( ..কবিগুরু বিখ্যাত উক্তি ,আসলেও তাই তবে আমাকে কেউ যদি বলে আমি আপনারে ইউরোপ আমেরিকা নিয়ে যাবো তাহলে তো আমি একপায়ে খাড়া B-) । এই মরার দেশে আর থাকতে মন চায় না B-)

#আপনার চুলোচুলির গল্পও ভালো লাগলো তবে পোস্টে এতো এতো ইংরেজি শব্দ কেন :-B

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রিন্স চার্লসরে দেইখাও আমি জেলাস ফিল করি। রাণীর পোলা আমি হইলে কি এমন ক্ষতিটা হইতো। আমি বরং ডায়নারে মন-প্রান দিয়া ভালোবাসতাম। ভুলেও পরকীয়া করতাম না!!! :P

ইউরোপ আমেরিকা তো কেউ আপনারে নিয়ে যাবে না, নিজে নিজেই যেতে হবে। অবশ্য কায়দামতো শাদী করতে পারলে আলাদা কথা!! =p~

ব্লগে ইংরেজী শব্দ আমি অত্যন্ত সচেতনভাবে এড়ানোর চেষ্টা করি। তবে মাঝে-মধ্যে তাৎক্ষনিকভাবে কায়দামতো বাংলা না পেলে ঢুকায়ে দেই। কি আর করা! তবে এই পোষ্টে কিন্চিৎ বেশী আসার কারন আছে। কারনটা অনুমান করতে পারেন?

৪০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আমরা বলতে ভুখা নাংগা গৃহহীন নদী ভাংগা বাংলাদেশে বাস করা জনগন বুঝিয়েছি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই ভুখা নাংগা গৃহহীন নদী ভাংগা মানুষদের মধ্যে আপনি আছেন?

৪১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫০

মাআইপা বলেছেন: কিছু কিছু মানুষ প্রবাসীদের খুব হেয় করে কথা বলেন এটা করে তাঁরা কি আনন্দ পান তা তাঁরাই ভালো জানেন। এটি খুবই দুঃখজনক বিষয় এবং খুবই লজ্জাকরও বটে। প্রবাসীরা আমাদেরই আত্মীয় স্বজন যারা আপনজনকে দেশে রেখে দিনের পর দিন প্রবাসে পড়ে আছেন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা আসলে এক ধরনের বিকৃতমস্তিস্কপ্রসূত আনন্দ, সাধারন আনন্দ না। সাধারনতঃ একজন সফল মানুষ এ'ধরনের আনন্দ খুজে বেড়ায় না। প্রবাসে থাকে হয়তো একজন কিংবা একটা পরিবার; কিন্তু তার বিশাল বহরের আত্মীয়-স্বজন দেশে থাকে। যদি ধরেও নেই যে প্রবাসীদের দেশপ্রেম কম কিংবা নাই, তারপরেও অন্ততঃ সেদিক দিয়ে চিন্তা করলেও তো কারও পক্ষেই দেশের অমঙ্গল চিন্তা করার কথা না। খুবই সিম্পল লজিক......এটাও যদি না বোঝে তাহলে আর কি করার থাকে বলেন!!!

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। :)

৪২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৩

নতুন বলেছেন: দেশে থাকা মানেই কি দেশের সেবা করা???

দেশের বেশির ভাগ মানুষই কিন্তু নিজ গ্র্রাম, নিজ জেলা ছেড়ে ঢাকা বা বড় শহরে যায়, এলাকায় কেন থাকে না?

কারন ভালো স্কুল কলেজে, ভালো কাজ, ব্যবসা, ভালো বসবাসের সুবিধার জন্য নিজের দাদার গ্রাম থেকে ঢাকায় যায়।

তাই যদি নিজের শহর থেকে আমি দুবাই গিয়ে ভালো কাজ করি, ব্যবসা করি, উ্ন্নত জীবন যাপন করি সেটা খুব একটা খারাপ হবার কথা না।

আর জেলাসি আমাদের দেশের মানুষের বেশি।

আমাদের পরিবার, বন্ধুদের সাথে আড্ডার অনেক বড় একটা অংশ কে কি করলো, কত টাকা কামাই করে, কত বিলাসী জীবন জাপন করে এই গুলি নিয়ে।

আবার অনেক প্রবাসী আছে যারা বিদেশে গিয়ে ঐদেশের সব কিছুতে এতো অভস্ত হয়ে গেছে যে দেশে এসে দেশী জিনিসকে ছোট করতে থাকে সব সময়। সব সময় বিদেশে এটা আছে দেশে নাই। দেশের কিছুই হবেনা।

তখনই দেশীরা ঐ সব বিদেশীদের বেশি কথা শোনায়।

যাদের ইচ্ছা থাকে তারা দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করার চেস্টা করে। সেটা দেশেই থাকুক বা বিদেশে।

বিশ্বায়নের এই যুগে অন্য দেশে গিয়ে বিদেশীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে নিজের স্হান করে নেওয়াটাকে খারাপ ভাবে দেখার কোন কারন নাই।

পরিবর্তন আসবেই।

আর মনে করতে রাখতে হবে। যে সমালোচনা করছে তার দাদা বা পূর্বপুরুষ এমনকি ঐ ব্যক্তিও হয়তো শিক্ষা, কাজের কারনে নিজের গ্রাম,এলাকা ছেড়ে অন্য কোথায় গিয়েছে। তাই দরকারে সবাই এটা করেথাকে। প্রবাসীদের উপরে জেলাস হবার কিছু নাই। এবং প্রবাসে গিয়ে দেশের মানুষ খুবই খারাপ অবস্থায় আছে আর দেশের কিছুই হবেনা সেটা ভেবে দেশের মানুষকে ছোট মনে করারও কিছু নাই।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন। কেউই এক জায়গায় খুটি গেড়ে বসে থাকে না। বিভিন্ন কারনে বা প্রয়োজনে স্থান পরিবর্তন করে। সেটা দেশে হলে অসুবিধা নাই। যতো সমস্যা বিদেশে গেলে। আজব কিসিমের মেন্টালিটি!! কি বলবো.........দুঃখও লাগে, আবার হাসিও পায়।

পরচর্চা, পরনিন্দা আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গ। দেশে-বিদেশে সব জায়গাতেই বাঙ্গালী খুবই নিষ্ঠার সাথে এই সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছে।

আসলে দেশের কিছু মানুষ যেমন প্রবাসীদের সমালোচনা করে, আবার প্রবাসের কিছু মানুষ দেশের সমালোচনা করে......যেমনটা আপনি বলেছেন। দু'টাই খারাপ। তবে, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই প্রবাসীরা গঠনমূলক সমালোচনা করে। কারন, বিদেশের উন্নত সংস্কৃতি দেখার ফলে দেশের সমস্যাগুলো তাদের পক্ষে ভালোভাবে চিহ্নিত করা সহজ হয়। এর মানে এই না যে, তারা দেশকে ভালোবাসে না। সমালোচনা তো ভালোবাসা থেকেও আসে। এটা বুঝলেই তো আর কোন সমস্যা থাকে না।

৪৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একটা কমেন্ট করার জন্য সকাল থেকে লাইন দিয়েছি 45 নম্বরে দাঁড়িয়ে আছি। আবার ভাববেন না আপনাকে 45 টা ইঁট মারতে বলছি।দেশে তো মোদির পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের কোলাকুলি চলছে। আমি অবশ্য ওসব নিয়ে কিছু কমুনা।

তবে উপরের প্রতিমন্তব্য দেওয়ার পর না আসলে হয়তো কিছু ভাবতেই পারতেন।
হ্যাঁ যে কয়া কইছিলাম,
আমি আবশ্যি কিরপিনকে খুউব মনে ধরেক। কিন্তু ঐ যে কোতা কিরপিন তেমন সময় ল্যাইনা। আপনি সঙ্গে আসবেক শুইনা মনে ফুর ফুর করতাছে আবার কু ডাক ডাকতিছেও।তাহলেও এবারও বাসায় না আইস্যা হাত দেইখাইয়া সুদূর কোথাও চইল্যা যাবে, কেবলি এটাই মনে হইতাছে। তাই কইছিলাম কি আপনারা কহন আসবেক জানায়ইলে আমি লিজে সেই বর্ডারে গিইয়া ধইরা বাঁইধা ঘরে আনবুক।এইহানে জাইয়গার অভাব লাই।আর এইকমাস কেন বাবু, এমন বিদ্যে না শেহানো পরযরন্ত ছুটি মিলবে লাই। তাই সে যত মাস লহে লাহুক।ভয় পাইয়েন না। পুরুষ সিংহের সমান।হুঁ.....


২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ৪৫ নাম্বারটা কি? পিলারের নাম্বার? বাংলাদেশ-ভারত বর্ডারের সীমানা পিলার হবে বোধ হয়!! ;)

আপনে এই ভয়াবহ বাংলা কই পাইছেন মিয়া? তিনবার পড়ছি, তারপরেও শতভাগ বুঝি নাই। যাই হোক, কিরপিনরে নিয়া ৪৫ নাম্বার পিলারের কাছেই আসুম নে! কবে......কইতে পারি না। কিরপিন আবার হাওয়া হয়া গেছে। পাইলে আলাপ-সালাপ কইরা জানামু।

পুরুষ / মহিলা সব সিংহই এই বাংলা দেইখা ডরাইবো। আমিও ডরাইছি। যাইগা। বিদায়!!! =p~

৪৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: কতো জনের এমন আক্ষেপের কাহিনী দীর্ঘশ্বাস হয়ে গুমরে মরে!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আক্ষেপের কি আছে, সেইটাই বুঝি না। যাদের এতো আক্ষেপ, তারা বিদেশে চলে গেলেই তো পারে!! আর না গেলে, যারা গিয়েছে তাদের জন্য বদদোয়া না করে দোয়া করতে পারে। এইটাকেই মনে হয় বলে দুঃখ-বিলাসিতা!! :)

অনেকদিন পরে ব্লগে আর আমার পোষ্টে আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগলো ভাইজান। করোনা কালে সাবধানে থাকবেন।

৪৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫০

কল্পদ্রুম বলেছেন: পোস্ট আগেই পড়েছিলাম। অফলাইনে ছিলাম। তাছাড়া কি মন্তব্য করা উচিত সেটাও বুঝে উঠতে পারছিলাম না। যে পোস্ট অথবা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই পোস্ট সেটা আমি পড়িনি। তবে প্রেক্ষাপট বুঝতে পারছি। শিরোনামের প্রশ্নটা রেটোরিক্যাল হলেও এর বিপরীতে বলতে পারি, দেশের উপকার করার জন্য উপকারী চিন্তা আর কাজ করাটাই মূখ্য। দেশে না কি বিদেশে আছি সেটা বিষয় না।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশের উপকার করার জন্য উপকারী চিন্তা আর কাজ করাটাই মূখ্য। দেশে না কি বিদেশে আছি সেটা বিষয় না। অত্যন্ত সঠিক উপলব্ধি আপনার। দেশে যারা আছে, তারা যেমন সব সময়ে দেশের মঙ্গল চিন্তা করবে এমন না, তেমনিভাবে বিদেশে যারা আছে, তাদের জন্যও এটা সমানভাবেই প্রযোজ্য। দেশপ্রেম থাকার জন্য দেশে থাকাটা জরুরী কোন বিষয় না।

৪৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৭

আমি সাজিদ বলেছেন: এভাবে চিন্তা করেছেন কিনা, পূর্বপুরুষরা যদি নিজেদের আপন ভূমি ফেলে মানে আফ্রিকা ফেলে বের না হতো তাহলে মানবজাতি কোথায় থাকতো? মাটিতে গড়াগড়ি কিংবা গন্ধ ফুল ফল এসব আবেগ অতিরিক্ত ভালো না। আবার দেশ ফেলে বাইরে গিয়ে দেশকে ভুলে যাওয়া এসবও ভালো না। আগে কথা উঠতো না, ইদানীং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পিয়নের ছেলেও অস্ট্রেলিয়ায় পড়ে, পৌর আওয়ামী লীগ মেয়রের মেয়ে আমেরিকায় নিজের পড়াশুনা করে এমন অবস্থা। তাতে যা হয়েছে, বাপের পয়সা মায়ের পয়সায় আমলা সচিব এদের গোষ্ঠী মোষ্ঠী সবাই বাইরে সেটেলড হয়েছে এবং পরিশ্রমী অন্য বাংলাদেশী যারা নিজের চেষ্টায় বাইরে স্টাবলিশ হয়েছে তাদের সাথে মিশে গেছে। কিন্তু ভাগ তো আছেই, একজন সোনার চামচ মুখে নিয়েই বাইরে গেছে, ওখানের সমাজে তার অংশগ্রহণের ভালো সুযোগও নাই সেই করবে দেশের বদনাম, দিবে গালি, করবে গ্রুপিং। বাকিরা যারা পড়াশুনার পর কর্মের মাধ্যমে সমাজে অবস্থান করে নিয়েছে তারা তাদের স্ট্রাগলের প্রতিটা মুহূর্তে দেশকে স্মরণ করবে দেশের ভালো কামনা করবে কিন্তু ফুল পাতা পাখি মাটির এইসব আবেগে গড়াগড়ি খাবে না।

দেশে থাকার সবটা অর্থ মানে দেশের সেবা নয়। দেশে থেকে কেউ যদি নিজের উন্নতির চেষ্টা না করে ফুল মধু পাখি মাটির আবেগ দিয়ে পড়ে থাকে তাহলে দেশ চলবে না। তেমনভাবে বাইরে রিযিকদাতা দেশের ও জন্মদাতা দেশের প্রতিনিধিত্ব সমান ভাবে করতে না পারলেও বৃথা সব। এই ক্ষেত্রে ব্লগে প্রবাসী যারা আছেন তারা দূর প্রবাসে থেকেও যে দেশকে মনে রেখেছে, দেশের খবর নিয়ে ভাবে, বাংলায় লিখে এটাই অনেক বড় পাওয়া।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানব ইতিহাস যেদিন থেকে শুরু, সেদিন থেকেই মাইগ্রেশান শুরু; এটা মানব জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। একে অস্বীকার করা বোকামীর লক্ষণ। যারা সারাদিন দেশপ্রেম দেশপ্রেম বলে রাজা-উজির মারে, তাদের দেশপ্রেম নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে। পৃথিবীর যে অংশেই থাকুক, দেশকে যে ভুলে যায় কিংবা দেশকে গালাগালি করে.......তার মতো হতভাগা এই দুনিয়াতে নাই। এটাই আমার উপলব্ধি।

আবার আমাদের এটাও বুঝতে হবে, দেশের ক্ষমতাসীনদের গঠনমূলক সমালোচনা করা মানে দেশের বদনাম করা না। দেশে থেকে কেউ যদি এটা করে তো সমস্যা নাই, বিদেশে থেকে করলেই সমস্যা? কেন এমন? দেশ তো কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি না। দেশটা আমাদের সবার, যেখানেই আমরা থাকি না কেন!

এই ক্ষেত্রে ব্লগে প্রবাসী যারা আছেন তারা দূর প্রবাসে থেকেও যে দেশকে মনে রেখেছে, দেশের খবর নিয়ে ভাবে, বাংলায় লিখে এটাই অনেক বড় পাওয়া। খুবই মুল্যবান কথা। এই যে বাংলা ব্লগে ব্লগিং করছি, দেশকে....মাতৃভাষাকে ভালোবাসি বলেই তো করছি। এখনও ল্যাপটপ খুলে প্রথমেই দেখি দেশের সংবাদ। আমাদের এই অনুভূতি / আবেগকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করে, তাদের বয়স যতোই হোক, আমার কাছে অপরিপক্ক মনে হয়। কিছু মানুষ বয়সের সাথে সাথে বিজ্ঞ হয়, আর কিছু মানুষ........বুঝে নেন!!!

৪৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১২

আমি সাজিদ বলেছেন: আমলারা বলেন কানাডার বেগম পাড়ায় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের লোকদের অবস্থান বেশী আবার রাজনৈতিক নেতারা দোষ দেন প্রথম শ্রেনীর সরকারী কর্মকর্তাদের। এদিকে সাধারন কানাডিয়ান বাংলাদেশীরা কিন্তু কানাডার রাস্তায় নেমে বেগমপাড়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। খেয়াল করে দেখেন।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যের গভীরতা অনেক বেশী। চিন্তাশীলদের জন্য এখানে বিরাট চিন্তার খোরাক রয়েছে। এটা নিয়ে বরং একটা পোষ্ট দেন। চলেন, আমরা সবাই আলোচনা করি। দেখা যাক, কি বেরিয়ে আসে!!! :)

৪৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: দেশে যারা সরকার বিরোধী কোন দলের রাজনীতি করেন, কিংবা ক্ষমতাসীন দলকে সমর্থন করেন না, তারাও তো এক ধরণের 'তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক" হিসেবেই স্বদেশে বসবাস করেন। যোগ্যতা থাকলেও কোথাও তাদের জায়গা হয় না। অথচ বিদেশে যোগ্যতা থাকলে ব্যতিক্রম বাদে যে কেউ উচ্চতর সোপানে আরোহণ করতে পারেন।
রাগ বা ক্ষোভ থেকে আপনি এ পোস্ট লিখেছেন, এ কথাটা অনেকেই বলেছেন। আমি বলবো, যে কারণেই লিখে থাকেন না কেন, এটি একটি উত্তম পোস্ট। প্রচুর ভাল ভাল মন্তব্য এসেছে, অনেকেই একাধিক মন্তব্যও করেছেন। প্রতিমন্তব্যও অনেক ভাল হয়েছে। আপনার মত আমারও কিছু 'কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড' হলো। তাই পোস্টে ২২তম ভাল লাগা রেখে গেলাম। + +

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোষ্টে অনেক কথা বলতে চেয়েছিলাম খায়রুল ভাই। পোষ্ট অনেক বড় হয়ে যাবে বলে লেখা হয় নাই। আপনি আমার বিস্তারিতভাবে না বলা একটা বিষয় তুলে ধরেছেন..........দেশে 'তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক' এর বিষয়টা। সত্যি বলতে, এই রকমের শ্রেণী বিভাজন আমাদের দেশে বহু আছে। আপনি একটা উদাহরন দিয়েছেন, আমরা আরও অনেক দিতে পারি। আপনি নিজেই জানেন, এ'ধরনের বিভাজন উন্নত দেশগুলোতে প্রায় অনুপস্থিত। ১৩ নং প্রতি-মন্তব্যে আমি একটা উদাহরন দিয়েছি।

আমার খুব রাগ হয় ব্লগারদের মধ্যে যখন এ'ধরনের মানসিকতার লোক দেখি। ধরা খেলে এনারা বিভিন্ন রকমের আবজাব বলে মূল বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এনাদের বোঝা উচিত, এ'ধরনের বিদ্বেষ ব্লগে ছড়িয়ে পার পাওয়া মুশকিল। অনেকেই ঝামেলার জন্য এসব বিষয় স্কিপ করে, আমিও করি। তবে সব সময়ে পারা যায় না।

আমার এই লেখা থেকে একজনও যদি সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে, তাহলেই এই পোষ্টের সার্থকতা।

এই পোষ্টে আপনাকে যেহেতু পেলামই, আপনাকে আরেকটা পোষ্ট পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সময় না পেলে মন্তব্য না করলেও চলবে, শুধু কষ্ট করে পোষ্ট আর মন্তব্যগুলো পড়বেন প্লিজ।জাতীয় অর্থনীতি এবং প্রবাসীদের মুল্যায়ন

অনেক কথা বলে ফেললাম। ভালো থাকবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ রাত ৩:২৬

পারফিউম৫৪০ বলেছেন: আমরা সবাই জানি আমাগো বহুত সমস্যা... বিদেশে আমাদের ইমেজ শুন্য এর কোটায়ই নয় প্রায় নেগেটিভ। কিন্তু বিদেশে গেলে সবসময় একটা ভাব ধরে রাখার চেস্টা করি..... দেশের সব পজিটিভ কাজ কর্ম ঢাল পিটাই। (যদিও আমাগো নেতা -নেত্রীরাই তা করেন না।) যাহোক যা বলছিলাম, সকালে উঠেই পেপারে বাংলাদেশীর ছবি দেখে মন ভরে গেলো তাই আগ্রহ ভরে পড়তে যেয়ে ধাক্কা খেলাম। নিউজটা পড়েন-


[link|http://www.thestar.com/news/immigration/2016/03/11/environmental-migrants-breathing-easier-in-canada.htmlhttp://www.thestar.com/news/immigration/2016/03/11/environmental-migrants-breathing-easier-in-canada.html]

তাই আইরিন পারভিন আপা আপনাকে কিছু কথা বলি.....,

আপনি বলেছেন, For Irene Parvin, it meant leaving behind her family’s huge mansion in Bangladesh, two cars, two drivers, a cleaner, the nanny for their two boys, and successful careers — she was a university professor and her husband, a pediatrician.

আমাগো দেশে মোটামুটি মিডিয়াম ইনকামের ফ্যামিলি থেকে সবারই কাজের লোক, ড্রাইভার, বুয়া (যারে এখানে ন্যানি বলে) থাকে যা কানাডায় হয়তো বিশাল কিছু কারন এটি হাই পেইড কান্ট্রি। তাই এইটা ঢোল বাজায়ে কি বলতে চাইছেন... আপনি দেশে কেউকাটা ছিলেন? কানাডা সরকার যাদেরকে এখানে আনে তারা সবাই-ই দেশে কেউকাটা .... বিশেষ কিছু। আপনি ও এসেছেন সন্তান আর নিজের ভবিষ্যত + পাসপোর্ট এর জন্য। শুধু শুধু দেশরে পঁচান কেন?

আফা কি কয় শুনেন.................. দেশে নাকি আকাশ দেখবার পারেন না এমনিই ধোয়াচ্ছন্ন তাই আকাশ দেখবার পারেন না এটা এমনি রেয়ার!!!!!! আর শরীর স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা কইরাই কানাডা আইছেন!!!!!!!!!!!!!!

“It’s a real concrete jungle there . . . It’s so smoggy you can’t even see the sky,” says Parvin. “We decided to start over again in Canada only for my health.”

For Irene Parvin, clear blue sky is a rarity in her birth country of Bangladesh. The former university professor was plagued by chronic asthma in Bangladesh, but it has virtually disappeared since she moved to Canada

এইটা কি কইলে আফা, কনকিটের জাংগাল বুঝলাম বাট আকাশ কেন দেখবার পারেন নাই। আপনি কি দিন কানা? ভালো কথা .....আপনি আসছেন হেলথের জন্য ....... আপনার এজমার ট্রিটমেন্ট কি দেশে হয় নাই, অার শুধু এয়ার পলিউশান এর জন্য আপনার এ এজমা????? আপনি কি শুধু এয়ার পলিউশান এর জন্য এখানে আসছেন???????? কানাডা পাসপোর্ট+ সন্তানের ভবিষ্যত + নিজের ভবিষ্যত এর কথাতো বললেন না !!!!!!!! ..... পলিটিকেল পলিউশান, খাবার পলিউশান, ঘাটে ঘাটে দূর্নীতির পলিউশান ............ এগুলাতো বলেন নাই !!!!!!!!!!! বলতে হলে সবটাই বলেন........ অর্ধেক বলেন কেন?

যাকগা... আপনার লিখা যেহেতু এখানের ওয়েল রিডিং ডেইলি নিউজ পেপারে এসেছে তাই সবাই আবার নতুন করে বাংলাদেশকে চিনলো আপনার কল্যাণে তবে নেগেটিভ নিউজ হিসেবে। তাই দু:খ, আমার কলিগ সকালেই কইলো, ইজ দিস ফার্স্ট টাইম ইউ সি স্কাই ইন কানাডা?? হেইরে কি কমু কন.... আমার দেশের এতো সুন্দর আকাশ, পাহাড়, নদী আছে..... কিন্তু শুধু কিছু স্বার্থপর মানুষের কারনে আজ অন্ধকারে .......................

যাক আরেকদিন আপনাদের মতো মানুষদের নিয়া লিখুম এখন টাইম নাই, যারা নিজের দেশের সন্মান রাখতে পারে না বিদেশ গিয়া.... কাক হয়ে ময়ুর সাঁজতে চান........ ভালো থাকেন.........

০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অন্যের পোষ্ট কপি করে কমেন্টে দেয়ার মানে কি? আপনার নিজস্ব কোন বক্তব্য নাই? :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.