নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্যাটায়ার এবং কিছু বিরক্তিকর (!!!) কচকচানি

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৯



গতমাসে ব্লগের জন্য একটা পোষ্ট লেখা শুরু করেছিলাম। স্যাটায়ার আর হিউমার নিয়ে। এ'দুটোর বাংলা সম্ভবতঃ ব্যঙ্গ এবং হাস্যরস। আমার কাছে বঙ্গানুবাদটা খুব বেশী পোক্ত মনে হয় নাই। ইংরেজি শব্দ দু'টার ভাবার্থতে যে ব্যাপকত্ব আর বিশালত্ব রয়েছে, বাংলা শব্দ দু'টাকে সেই তুলনায় ততোটা পরিপূর্ন মনে হয় না; মনটা কেমন খুত খুত করে। হতে পারে, এটা আমার বোঝার ভুল। যাই হোক, আমি এই লেখায় তাই স্যাটায়ার আর হিউমার শব্দ দু'টাই ব্যবহার করবো। আশা করছি, এটা কারো মনোবেদনার কারন হবে না। তো যা বলছিলাম, কেন জানি লেখাটাকে এগিয়ে নিতে পারছিলাম না। বারে বারে কিছুটা লেখি, ক'দিন পরে পড়তে গিয়ে আর পছন্দ হয় না। একটা পর্যায়ে হঠাৎ মনে হলো, আচ্ছা……..সন্মানীত ব্লগারগন স্যাটায়ার আর হিউমার জিনিস দু'টা কতোটা বোঝে? অর্থাৎ কিনা এদের অন্তর্নিহিত অর্থ, পার্থক্য, কখন আর কি কি পরিস্থিতিতে এদের ব্যবহার হয় ইত্যাদি কতোটা বোঝে?

দেশে থাকতে আমি দীর্ঘদিন বাজার ও সামাজিক গবেষণার সাথে পেশাগত কারনেই জড়িত ছিলাম। ভাবলাম, ব্লগে এমন একটা জরীপ চালালে কেমন হয়? ব্লগে কোয়ান্টিটেটিভ রিসার্চ সম্ভব না, তবে কোয়ালিটেটিভ সম্ভব। আর এটার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, নিজে একটা স্যাটিরিক্যাল লেখা পোষ্ট করে প্রতিক্রিয়া দেখা, অনেকটা ফোকাসড গ্রুপ ডিসকাশান (এফজিডি) এর মতো। স্যাটিরিক্যাল লেখা এই জন্য যে, হিউমারাস লেখা তো সবাই বোঝে। দেখার বিষয় হলো অন্যটার কি অবস্থা!! ভাবনা তো ভাবলাম, সমস্যা হয়ে গেল অন্য জায়গায়। আমার ব্লগীয় বয়স প্রায় পাচ বছর। বিভিন্ন ধরনের লেখা লিখেছি, ক্যাটাগোরিক্যালী দেখলে এক ডজনেরও বেশী হবে। তবে স্যাটায়ারধর্মী কোন লেখা দেয়া হয় নাই। এই ধরনের লেখা যদিও আমার খুবই পছন্দের, কিন্তু একই সঙ্গে এ'ধরনের লেখা আমার কাছে বরাবরই অত্যন্ত কঠিন মনে হয়। তাই ভয়ে ও'মুখো হই নাই কখনও।

সত্যি বলতে, ঠিক এই মূহুর্তে যতোটা মনে করতে পারছি; ব্লগার মিরোরডডলের সৌজন্যে ''মাহা'' নামে খ্যাত ব্লগার মা.হাসান, আর ''বনের রাজা'' হিসাবে খ্যাত ব্লগার টারজান ০০০৭ ছাড়া আর কারো এই ধরনের লেখা আমার মনে হয় চোখে পড়ে নাই। আরো অনেকে নিশ্চয়ই আছেন, কিন্তু মনে পড়ছে না। কেউ মনে করিয়ে দিলে বাধিত হতাম। মাহা'কে আজকাল হঠাৎ হঠাৎ ধুমকেতুর মতো যদিও বা দেখা যায়, বনের রাজা পুরাই নিখোজ! উনার একটা বিশেষ অঙ্গের প্রতি অত্যন্ত আসক্তি ছিল। সম্ভবতঃ বনের লতা-পাতা ধরে ঝুল খেতে গিয়ে সেটা খোয়া গিয়েছে, তাই খোজাখুজিতে ব্যস্ত; অন্যদিকে নজর দেয়ার সময় নাই। অথবা জেন-ঘটিত কোন সমস্যা হলেও হতে পারে!!

তো, আমার উদ্দেশ্য খোলাসা না করে একটা লেখা পোষ্ট করলাম, আল জাজিরার ফাসি চাই!!!। আমার কাছে পক্ষপাত-মুক্ত প্রতিক্রিয়া দেখার এটাই সবচেয়ে মোক্ষম উপায় বলে মনে হয়েছে। এটা লিখতে গিয়ে এবার প্র্যাকটিক্যালী টের পেয়েছি, এ'ধরনের লেখা গুছানো কতোটা কঠিন। আপনাদেরকে ফাইন্ডিংস নিয়ে কিছু কথা বলবো, তার আগে স্যাটায়ার আর হিউমার নিয়ে কিছু কথা বলে নেই।

সংজ্ঞানুযায়ী দেখতে গেলে, স্যাটায়ার হলো (উইকিডিফ) এমন একটা সাহিত্যের ধরন বা শিল্প যেটার উদ্দেশ্যই হলো এর সাবজেক্টকে সমালোচনা করা। তবে সেটা চিরাচরিত নিয়মে না করে সাহায্য নেয়া হয় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ কিংবা উপহাসের। বিশেষ করে সমসাময়িক রাজনীতি এবং অন্যান্য সাম্প্রতিক বিষয়াদি প্রসঙ্গে সাধারন বা সংশ্লিষ্ট লোকজনের ছাগলামীপূর্ণ কথা, কাজ বা আচরণের ব্যাপারগুলোই এই মাধ্যমে তীর্যকভাবে উঠে আসে। সোজা কথায়, সাবজেক্টকে জ্বালানো; আরো সোজা বাংলায় বললে, সাবজেক্টের গায়ে আগুন (আক্ষরিক অর্থ না) ধরিয়ে দেওয়া। যেহেতু এটাতে হিউমারের মিশেল থাকে, তাই এর প্রকাশভঙ্গির কারনেই মানুষ একে হিউমারের সাথে গুলিয়ে ফেলে। অপরদিকে হিউমার হলো অনেক স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড; এর মূল লক্ষ্যই হলো অডিয়েন্সকে বিশুদ্ধ বিনোদন দেয়া।

উদাহরন হিসাবে আমাদের সিনেমা জগতের কথা যদি বলি, একসময়ের কমেডিয়ান হাসমত, টেলি সামাদ, দিলদার, রবিউল প্রমুখদের নাম চলে আসবে সর্বাগ্রে। তবে উনারা কথার চাইতে অঙ্গভঙ্গি দিয়ে লোক হাসানোতে পারদর্শী ছিলেন। অবশ্য এটা ওনাদের সমস্যা ছিল না। উনাদেরকে পরিচালিতই করা হতো সেভাবে! আমাদের দেশে হুমায়ূন আহমেদই সর্বপ্রথম ডায়লগ দিয়ে দর্শক হাসানো শুরু করেন। দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের সিনেমা জগত এখনও সেই গোলকধাধাতেই ঘুরপাক খাচ্ছে, যেখানে বলিউড যোজন যোজন এগিয়ে গিয়েছে। ভিলেইন থেকে কমেডিয়ান বনে যাওয়া পরেশ রাওয়াল এর প্রকৃষ্ট উদাহরন। বৃটেনে মিস্টার বীনও হিউমার নিয়েই আছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, চার্লী চ্যাপলিন মূলতঃ নির্বাক চলচিত্র যুগের লোক ছিলেন, নয়তো হিউমারের সাথে সাথে স্যাটায়ারধর্মী কাজ করার অসাধারন ক্ষমতা উনার ছিল। তবে বর্তমানে আমেরিকায় বসবাসরত সাউথ আফ্রিকান স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান ট্রেভর নোয়াহ হলো আমার কাছে সমকালীন সবচেয়ে প্রতিভাবান স্যাটারিস্ট। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো; হিউমার সহজ-সরল এবং সরাসরি একটা ব্যাপার। কিন্তু স্যাটায়ার বুঝতে আপনাকে কনটেক্সট বুঝতে হবে। সে'জন্যেই ট্রেভর নোয়াহ যখন একটা কৌতুক বলে, পুরো অডিয়েন্স হাসিতে ফেটে পড়ে কিন্তু সে যখন বলে, ''ট্রাম্প আসলে ইমিগ্র্যান্টদের সাথে যুদ্ধ তার ঘর থেকেই শুরু করেছে…….'' তখন অডিয়েন্সের কিছু মানুষ কিন্তু হাসে না, কারন তারা এই কথার কনটেক্সটটা চট করে বুঝতে পারে না। কাজেই স্যাটায়ার বোঝার জন্য আলোচিত বিষয় সম্পর্কে ধারনা অর্থাৎ কনটেক্সট, এর সাথে বলা বা লেখার গভীরে প্রোথিত বা লুক্কায়িত যোগসূত্র বোঝা এবং সর্বোপরি, সেন্স অফ হিউমার; এই সবগুলোর যথাযথ ব্লেন্ডিং দরকার। এই সবগুলো যখন একসাথে আপনার মনের ভিতরে ক্লিক করবে, তখনই এবং কেবলমাত্র তখনই আপনি একটা স্যাটায়ারের আসল রস আস্বাদন করতে পারবেন। ব্যাপারটা পরিস্কার করতে পেরেছি? উদাহরন দিতে গেলে পোষ্ট অনেক বড় হয়ে যাবে।

আগেই বলেছি, হিউমারধর্মী সাহিত্য বা শিল্প শুধুই বিনোদনের জন্য। কিন্তু স্যাটায়ারের একটা বড় এবং প্রধানতম উদ্দেশ্য হলো, সামাজিক পরিবর্তন। এটা প্রভাবশালী ব্যক্তি, গোষ্ঠি বা প্রতিষ্ঠানের দূর্বল বা অসুস্থ দিকগুলো নিয়ে মজা করার মাধ্যমে তাদেরকে পরিশোধিত করে তোলে। অবশ্য যাদের একেবারেই লজ্জা-শরম নাই, তাদের কথা ভিন্ন। তবে তারাও সমাজে উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেক সময়ে বাধ্য হয় পরিশেধিত কিংবা পরিশীলিত হতে। স্যাটায়ারের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো, এটা বিশাল আকারের টার্গেট অডিয়েন্সকে আকর্ষণ বা প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে। তাই ক্ষমতার বলয়ে থাকা মানুষ বা প্রতিষ্ঠানগুলো একে একেবারেই অবহেলা করতে পারে না। এটা একটা পরীক্ষিত সত্য।

সত্যি বলতে, আমার তথাকথিত স্যাটায়ারধর্মী পোষ্টের ফাইন্ডিংস খুব বেশী আশাব্যন্জক না। অনুভূতিটা মিশ্র! বিস্তারিততে যাবো না, তাছাড়া বেশী ডিটেইলসে গেলে পোষ্টও অনেক বড় হয়ে যাবে। তবে, সামগ্রিকভাবে ব্লগারদের মেধাশক্তি বিবেচনা করে আমার আশা অনেক বেশী ছিল। কিছু মন্তব্যে তো আমি দারুনভাবে হতাশ হয়েছি। মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ব্লগারদেরকে তিন ভাগে ভাগ করতে পারি।

কেউ কেউ বোঝেনই নাই যে, এটা একটা স্যাটায়ার। লেখার বিষয়বস্তুকে খুবই সিরিয়াসলি নিয়েছেন। একটা উদাহরন দিলে সিরিয়াসনেসের মাত্রা বোঝা যাবে। মনে করেন আপনি বললেন, আমি কচুগাছে ঝুলে আত্মহত্যা করবো। শুনে একজন আৎকে উঠে বললো, ''না, না! এটা করবেন না। দূর্বল লোকেরাই আত্মহত্যা করে। জানেন তো, আত্মহত্যা মহাপাপ!!!'' এখানে কনটেক্সট হলো কচুগাছ। তবে হ্যা…...কেউ যদি কচুগাছ না চিনেন, আর এটাকে ঝুলে পড়ার মতো বৃহদাকার কোন গাছ ভেবে থাকেন, তাহলে আৎকে উঠতেই পারেন। সেটা ভিন্ন ব্যাপার। আরো বিষয় আছে, বিতং করে বলতে চাই না। অনেকে আবার মন খারাপ করতে পারেন। আমি আবার কারো দুঃখী চেহারা দেখতে পারি না!

কেউ কেউ এটাকে বিশুদ্ধ রম্যই ভেবেছেন। সেটা ঠিক আছে। কারন দিনশেষে স্যাটায়ারের একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো রম্য। এটা আমার কাছে অনেকটা হাটু পানিতে নেমে গোসল করার মতো। ডুব দিতে নাই বা পারলাম, অন্ততঃ গোসলটাতো হলো!!

তবে আশার কথা হলো, অনেকেই লেখার স্যাটিরিক টোনটা ধরতে পেরেছেন। তাদেরকে ধন্যবাদ। উনাদের ব্লেন্ডিংটা খুবই পরিপক্ক অবস্থায় আছে। তাদেরকে অনুরোধ, ব্লগার হিসাবে আপনারাও যেহেতু লিখতে পারেন, চমৎকার চমৎকার স্যাটায়ারধর্মী লেখা আমাদেরকে উপহার দিন। আসলে স্যাটায়ারধর্মী লেখা ব্লগে প্রচুর আসা উচিত। সাহিত্যের এই আকর্ষনীয় দিকটাকে ব্লগে বেশ খানিকটা অপাংতেয়ই মনে হচ্ছে। কারনটা সুপ্রিয় ব্লগারদের ভাবতে অনুরোধ করছি।

পরিশেষে বলি, আইরিশ লেখক জোনাথন সুইফ্ট এর স্যাটায়ারধর্মী গল্প 'গ্যালিভার্স ট্রাভেল' পড়েন নাই, এমন শিক্ষিত মানুষ এই পৃথিবীতে খুব কমই আছেন। তবে, আমার সবচেয়ে পছন্দের স্যাটারিস্ট হলেন জর্জ অরওয়েল। সম্ভব হলে, উনার ''এনিমেল ফার্ম'' বই অবলম্বন করে বানানো মুভিটা দেখতে পারেন।


ছবিঃ উইকিপিডিয়া। ইংরেজ সাহিত্যিক এরিক আরথার ব্লেয়ার (ছদ্মনামঃ জর্জ অরওয়েল)।

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: স্যাটায়ার হলেও জীবন ও সমাজ ঘেষা।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্যাটায়ারকে তো জীবন আর সমাজ ঘেষা হতেই হবে ভাইজান, সেটা ফ্যান্টাসীর মাধ্যমে হলেও। প্রথম মন্তব্যের জন্য স্পেশাল ধন্যবাদ। :)

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭

তাশমিন নূর বলেছেন: চমৎকার লেখা। তবে, চার্লিকে কেউ স্যাটায়ারিস্ট না বললে আমি মানব না। নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগেও চার্লির বিপক্ষে সমাজের অনেক ক্ষমতাবানরা ছিলেন, যদিও চার্লি বলতেন-"আমি তো কেবল মজা করেছি"। বিশুদ্ধ হিউমার ডেলিভার করার পাশাপাশি তিনি অনেক অসঙ্গতিকে সামনে এনেও অভিনয় করেছেন। 'দ্য গ্রেইট ডিক্টেটর' কিংবা 'মডার্ন টাইমস' তো স্যাটায়ারই!

একটি সার্থক স্যাটায়ার লেখার জন্য তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং গভীরভাবে চিন্তা করতে পারার সামর্থ্য থাকার প্রয়োজন আছে। সেজন্যেই হয়তো স্যাটায়ারিস্ট কম, কিন্তু হিউমারসমৃদ্ধ লেখা প্রচুর। হিউমারগুলোকেও অত উন্নত কিছু মনে হয় না। জাস্ট 'ফান পোস্ট'। কজনের সময় আছে অত? আমি নিজেও তো তাই। :P

স্যাটায়ারের উদ্দেশ্য রেক্টিফাই করা। যাদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়, তারা কি আসলে রেক্টিফাইড হয়?? মাঝে মাঝেই ভাবি এটা।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নির্বাক যুগের না হয়ে সবাক যুগের হলে চার্লি কি করতে পারতেন, সেটা নিয়েই আমি আফসোস করেছি। ওনার মেধা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করার তো কোন সুযোগই নাই।

একটি সার্থক স্যাটায়ার লেখার জন্য তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং গভীরভাবে চিন্তা করতে পারার সামর্থ্য থাকার প্রয়োজন আছে। অতি সত্যি কথা; তবে আমার মনে হয়, এ'ধরনের ক্ষমতাসম্পন্ন ব্লগার যথেষ্টই আছেন। শুধু একটু চেষ্টা করলেই হবে। আপনিও লিখুন.......চাইলেই হবে।

চমৎকার মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৩

কল্পদ্রুম বলেছেন: আগের পোস্ট কিন্তু আমার কাছে ভালো লেগেছে। আপনিও মাঝে সাঝে এক্সপেরিমেন্টাল স্যাটায়ারিক লেখা দিতে পারেন৷স্যাটায়ারিক লেখা বিপদজনক। এখানে তো ঠাট্টার আড়ালে বাস্তবতাটাই থাকে। যারা বুঝেন না তারা একদল। তবে যারা বুঝেন তাদের সমস্যা তৈরি হয় ঐ বাস্তব অংশটুকু নিয়ে। কিছু দিন আগে বর্তমানে অভিজাত এলাকার মসজিদগুলোতে নামাজিদের নিয়ে একটা চমৎকার একটা স্যাটায়ার পড়েছিলাম৷মূলত লেখাটি ছিলো মসজিদেও শো অফ করতে আসা এক শ্রেণীর শৌখিন নামাজিদের বিচিত্র স্বভাব নিয়ে। দেখা গেল ঐ লেখা পড়ে আমার এক বন্ধুর মেজাজ খারাপ। কারণটা অনুমান করতে পারেন। বাই দা রাস্তা, আমার কাছে কিন্তু মনে হয় চার্লি চ্যাপলিনের কাজগুলোতে স্যাটায়ারিক্যাল টোন প্রবল। উপরের একটি মন্তব্যে যেগুলো এসেছে সেগুলো ছাড়াও 'দ্য ইমিগ্রান্ট', 'গোল্ড রাশ'। হিমু নিয়ে লেখা হুমায়ূন আহমেদের সব লেখাই আমার সামাজিক স্যাটায়ার মনে হয়। জর্জ অরওয়েল যেমন অসাধারণ স্যাটায়ার লিখেছেন। আধুনিক বাংলায় পলিটিক্যাল স্যাটায়ার লেখাতে আবুল মনসুর আহমেদ আমার কাছে অগ্র গণ্য।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো। কিন্তু ওই যে বললাম, এ'ধরনের লেখা আমার কাছে বেশ কঠিন মনে হয়। আপনিও চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দেন। আপনার লেখার হাতও কিন্তু বেশ ভালো।

কিছু কিছু লেখার পদ্ধতিগত কারনেই সমস্যা তৈরী হতে পারে, কিছু কিছু মানুষের কাছে। কিন্তু তাই বলে লেখা কি আর বন্ধ থাকবে? পোষ্টে তো বলেইছি, এ'ধরনের লেখা অনেকের গায়েই জ্বলুনি সৃষ্টি করতে পারে। হু কেয়ার্স!!

আপনি অনেক কিছুতেই স্যাটিরিক টোন হয়তো খুজে পাবেন, তবে বিশুদ্ধ স্যাটিরিক লেখাগুলোর ভাবসাবই অন্যরকমের। সেই দিক দিয়ে দেখতে গেলে হিমু চরিত্র আমার কাছে স্যাটায়ারধর্মী ততোটা মনে হয় না। অবশ্য আমার বোঝার ভুলও থাকতে পারে, অস্বীকার করছি না।

আবুল মনসুর আহমেদের এ'ধরনের বইগুলোর নাম বলতে পারেন? সংগ্রহ করার চেষ্টা করবো। লেখকের নাম রেফার করার জন্য ধন্যবাদ। :)

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৮

তাশমিন নূর বলেছেন: আবুল মনসুর আহমেদ অসাধারণ স্যাটায়ারিস্ট। 'ফুড কনফারেন্স' দিয়ে শুরু করতে পারেন। @ভুয়া মফিজ

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নেটে দেখলাম, পিডিএফ পাওয়া যাচ্ছে। পড়া শুরু করবো, অচিরেই। :)

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: স্যাটায়ার লিখতে শ্রম দিতে হয় অনেক। বিশুদ্ধ স্যাটায়ার লেখা আলাদা দক্ষতার ব্যাপার। সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যাক্তিক সমালোচনা এর অন্তর্ভুক্ত থাকে বলে এতে লেখকের প্রচুর জ্ঞান থাকতে হয় এসব ব্যাপারে।

আপনার ঐ পোস্টে আপনি আল-জাজিরার রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছিলেন। সময় ছিলো না বলে সেখানে মন্তব্য করতে পারি নি তখন।।

আবুল মনসুর আহমেদের আয়না,ফুড কনফারেন্স ও গালিভারের সফরনামা পড়ে দেখতে পারেন।

আমি একটা স্যাটায়ার লেখার চেষ্টা করেছিলাম।কিন্তু সেটা স্যাটায়ার,উইট,হিউমারে খিচুড়ি পাঁকিয়ে গেছে।
আষাঢ়ে গপ্পো

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্যাটায়ার লিখতে শ্রম দিতে হয় অনেক। বিশুদ্ধ স্যাটায়ার লেখা আলাদা দক্ষতার ব্যাপার। আমি অলস টাইপের মানুষ, দক্ষতাও কম; আর জ্ঞান তো আরোও!! সেইজন্যই এ'ধরনের লেখা আমার জন্য কষ্টকর। B-)

আবুল মনসুর আহমেদের বইগুলোর নামের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার ''আষাঢ়ে গপ্পো'' পড়ে ফেলবো অতি শীঘ্র। সময় আমার জন্যও একটা বিরাট ফ্যাক্টর!

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো আলোচনা করেছেন। বিরক্তকর লাগে নি।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যে কোনও অঅলোচনাই কিছুটা বিরক্তিকর। আপনার বিরক্ত লাগে নাই জেনে আনন্দ পাচ্ছি!! :)

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০২

সামিয়া বলেছেন: আমার একটা স্যাটায়ার পোষ্ট আছে ভাইয়া, আমার নিজের কাছেই সেটা অনেক ভালো লাগে এখনো।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লিঙ্কটা দিয়েন। পড়ে দেখবো, কেমন হয়েছে। :)

৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: স্যটা্যার , হিউমার বা ব্যাঙ্গ , রম্যের সংজ্ঞা যাহাই হোক না কেন মুখ্য উদ্দেশ্য বিনোদন। তাই এই ক্যটাগরীতে এই ব্লগে সেরা হচ্ছেন ব্লগার হাসান কালবৈশাখি। তার ধারে কাছে আর কেউ না =p~

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এরাম করলে কিন্তু আপনের লগে খেলমু না!!! =p~

৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: কেন জানি এসব বিষয় মাথার ওপর দিয়ে যায়। এন্টেনাটা বোধহয় ছোট ও নীচে লাগানো B:-/

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এন্টেনা বেশী নীচে হলে এল্যুমিনিয়ামের ঢাকনা লাগিয়ে দেখতে পারেন। :P

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: অত্যন্ত বিরক্তিকর কচকচানি |-) :-<

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইবার তাইলে ঘুমায়া পড়েন!! :-B

১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: “কেউ কেউ বুঝেন নাই এইটা একটা স্যাটায়ার। লিখার বিষয়বস্তুকে সিরিয়াসলি নিয়েন। ” কারণ রাজনৈতিক গন্ধ। কিন্ত লেখাটার শিরোনাম ছিলো মজা করার মত। সত্যিই ্যাটায়ার সাহিত্যের একটা আকর্ষণী দিক। তবে সবাইকে দিয়ে এইকাজ সম্ভব না।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক........সবাইকে দিয়ে এই কাজ সম্ভব না। তবে, অনেক ব্লগারই এই ক্ষমতা রাখে। কেউ যদি দয়া করে লিখেন, তাইলে আমরা একটু আনন্দ করে পড়তে পারি। কি বলেন!!! B-)

১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০০

ওমেরা বলেছেন: ব্যাঙ্গ- বিদ্রপ হাসি তামাশার মাইর যত পারেন দিতে সমস্যা নেই —— ভাষা সংযত রেখে ! :D
একটু কথা বলি, ব্লগে হাতেগোনা আপনারা কয়েকজন ভালো লিখেন, আপনাদের লিখা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি। এই আপনাদের লিখায় যখন কোন বাজে শব্দ দেখি আমার খুব খারাপ লাগে। আশাকরি আমার কথাটা বুঝবেন, আর রেগে যাবেন না আমার উপর।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খাবারে মশলার পরিমান সবার জন্য এক রকমের না। কেউ প্রচুর মশলাদার খাবার খেতে পারে, আবার কেউ বিন্দু পরিমানও সহ্য করতে পারে না। আপনি সম্ভবতঃ আমার আগের পোষ্টের কিছু শব্দ সহ্য করতে পারেন নাই। কোন অসুবিধা নাই। সেজন্যে সেখানে মন্তব্যও তো করেন নাই। এভাবেই এড়িয়ে যাবেন। B-)

আপনার কথায় রাগ করার কিছু নাই। বরং আপনি যে আপনার মনের কথা খোলা মনে বলতে পেরেছেন, সেজন্যেই আপনাকে সাধুবাদ জানাই। কিপ ইট আপ!!!

পুনশ্চঃ আসেলেই রাগ করি নাই। আমি এতো অল্পতে রাগ করি না। :)

১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৫

সামিয়া বলেছেন: লেখালিখিতে সমালোচনা ভালো যদি তা উপকারী হয়

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই পড়বো। ধন্যবাদ।

১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



গার্বেজ জমা করার জন্য ব্লগই ভালো যায়গা?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেইটাতো আপনেরে দেখলেই বুঝন যায়!!!! =p~

১৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



বই মেলাতে গার্বেজ বাড়ানোর প্ল্যান আছে?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার প্ল্যানের দরকার কি? আপনে বইমেলাতে আইলেই তো কাম হয়া যায়!!! :P =p~

১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:




ভুমের লাস্ট পোষ্টের শিরোনাম পড়েইতো বোঝা গেছে ওটা স্যাটায়ার পোষ্ট । তারপর কন্টেন্টও তাই ।
হাসি বিদ্রূপের মধ্যে দিয়ে অপ্রিয় সত্যভাষণ তুলে ধরাই স্যাটায়ার ।
প্রবাদ আছে ঝিকে মেরে বউকে শেখানো, অনেকটা সেরকম ।
আর ওই যে শেষের কথাটা সাপও ভাঙ্গলো, আর লাঠিও মরলো না । এখনও হাসলাম মনে করে :)
যারা বোঝেনি, হয়তো ঠিকমত পড়েনি !

কিছুদিন আগে আমিও একটা রম্য পোষ্টে অন পারপাস এই টাইপ একটা কমেন্ট করতেই কেউ একজন ( পোষ্টদাতা না ) ব্যক্তি আক্রমন করায় বুঝেছি যে অনেকেই আছে যাদের শুধু যে সেন্স অভ হিউমার নেই, তাই না , অন্যদের সেন্স অভ হিউমারও ধরতে না পেরে এভাবে রিয়্যাক্ট করে । আমার উদ্দেশ্য কিন্তু ওটাই ছিল সেই সাপ লাঠি :)

স্ট্যান্ড–আপ কমেডি আমারও খুবই প্রিয় । প্রায়ই দেখা হয় ।
ওরা রাজনীতি নিয়েই স্যাটায়ার সবচেয়ে বেশী করে । তারপর হয় রিলিজন নিয়ে ।
এ নিয়ে কিন্তু নো মারামারি কাটাকাটি, সবাই এনজয় করে :)

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লিঙ্কটা দেখলাম। আগে দেখি নাই। মন্তব্য নিস্প্রয়োজন। সময়ের অভাবে আজকাল ব্লগের অনেক কিছুই মিস হয়ে যায়। এই কথায় সেই কথা মনে পড়লো। ''আমাকে তো আবার গোটা বৃটেন...............!!! =p~

যাদের নিজেদেরই সেন্স অফ হিউমার নাই, তারা অন্যদের হিউমার ধরবে কিভাবে? :-B

এ নিয়ে কিন্তু নো মারামারি কাটাকাটি, সবাই এনজয় করে সেটাই তো করা উচিত। মারামারি কাটাকাটিতে তো কোন রেজল্ট পাওয়া যায় না। যায় কি?

আচ্ছা......এইসব কচকচানি বাদ। একটা গান শোনাই। আজ বার বার কেন জানি এই গানটা শুনছি!!view this link

১৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:




খুব শান্ত সৌম্য একটা গান । থ্যাংক ইউ ভুম ।

Lady Gaga কখনোই আমার পছন্দের লিস্টে ছিলো না ।
লাস্ট থ্রি ইয়ারস ব্যাক A star is Born মুভির গানগুলো শুনে আমি ভক্ত হয়ে গেছি । স্পেশালি দিজ ওয়ান ।
গত কয়দিন ধরে এটা আবারও অনেক শোনা হচ্ছে । আই’ম সিওর ভুম শুনেছে অলরেডি ।
লিরিক ও মিউজিক ওয়ান্ডারফুল !







১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেডি গাগা, নামটাই আমার পছন্দ না। সেজন্যে তার কোন গান শোনা হয় নাই। এটা অবশ্যই শুনবো। এখনই শুনবো!! :)

গানটার জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হিউমারঃ গোপাল ভাঁড়ের কিসসা।
স্যাটায়ারঃ হীরক রাজার দেশে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দারুন উদাহরন দিয়েছেন। হীরক রাজার দেশে একটা বিশুদ্ধ স্যাটায়ার।
তবে গোপাল ভাড়ের কিসসার মধ্যেও অনেকে স্যাটায়ার খুজে পায়!!! :(

১৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম দুটো পোস্ট পড়ে দুটো মন্তব্য রেখে এসেছি।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখেছি......আপনার মুল্যবান মন্তব্যের প্রতি-মন্তব্যও করেছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন। :)

২০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আবার এলাম।
কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আবার আসবেন। ততোক্ষনে আরো বেশ মন্তব্যও জমা হবে!! ;)

২১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৯

শায়মা বলেছেন: শিবরামকে তোমার কেমন লাগে ভাইয়া???

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই ভালো লাগে। :)

২২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪১

রামিসা রোজা বলেছেন:

আপনার স্যাটায়ার লেখাগুলো পড়ে আমার ভালো লাগে
এই ভাবে লেখায় পরিশ্রমের পরিমাণ অনেক বেশি কিন্তু
এই নির্মল আনন্দ কে কয় জনকে দিতে পারে ?

সামনে আরো লিখবেন এই আশা রাখি ধন্যবাদ
আপনাকে ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পরিশ্রমের কথা আর বলবেন না। আমার যাপিত জীবনের লেখাগুলো এক বসাতেই লিখে পোষ্ট করে ফেলতে পারি। কিন্তু এই ধরনের লেখাগুলোতে প্রচুর চিন্তা-ভাবনা করতে হয়। বারে বারে নিজেকে পাঠকের আসনে বসিয়ে যাচাই-বাছাই করতে হয়। কিন্তু এধরনের লেখার গ্লুমি দিকটা হলো, এর পাঠক প্রিয়তা কম। :(

আপনাদের মতো কয়েকজনের অণুপ্রেরনায় অবশ্যই চেষ্টা থাকবে। তবে, লেখালেখিতে ইদানিং কেমন জানি একটা অলসতা, অনিচ্ছা জাকিয়ে বসছে। জানি না, এটা আমাকে কোনদিকে নিয়ে যায়! দেখা যাক.......দোয়া করবেন।

২৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: হলিউডে সবচেয়ে বেশী বিদ্রুপাত্মক ছবি হয়েছে। এটা নিয়ে লিখেছিও।হলিউডের বিদ্রুপাত্মক,বর্ণবাদ ও আগ্রাসনবিরোধী চলচ্চিত্র-১
জহির রায়হান পরিচালিত জীবন থেকে নেয়া ছিলো এরকম ছবি।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হলিউডে সব জানরার মুভিই বেশী হয়েছে। কারন, এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। জহির রায়হান একজন লেজেন্ড। উনি আমাদের মাঝে আরো কিছুদিন থাকলে আমাদের সাহিত্য, চলচ্চিত্র আরো অনেক উন্নত হতো নিঃসন্দেহে।

২৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৫০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই খুব কম কথাতেই হিউমার আর স্যাটায়ারের পার্থক্য বুঝিয়ে দেয়ার জন্য।

অনেকের রসবোধ প্রখর হলেও নিজেকে নিয়ে অন্য কেউ রসিকতা করলে সহ্য করতে পারেন না। এই ধরণের একপেশে রসিকের সংখ্যা আমাদের সমাজে কম নয়। আমাদের রাজনৈতিক শীর্ষ নেতৃত্বও প্রতিপক্ষকে নিয়ে যথেষ্ট ঠাট্টা মস্করা করতে কার্পণ্য করেন না - কিন্তু খোদ শীর্ষ নেতৃত্বের কাউকে নিয়ে কোনো ব্যাঙ্গাত্মক লেখা বা কার্টুনের জন্য হাজতে সাইজ হয়ে যাওয়ার (এমনকি খরচা হয়ে যাওয়ার) সম্ভাবনা থাকে ৯৫%। একই সম্ভাবনা আমাদের ওয়াজি হুজুরদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য - সারারাত ধরে ওয়াজমাহফিলে রঙ্গ-রসিকতা কম হয় না, কিন্তু তাদের নিয়ে কেউ ব্যঙ্গ করলে - কল্লাটা ধড়ে থাকার সম্ভাবনা অতীব ক্ষীণ।

তাই রসিকতা করার পূর্বে অন্যের রসিকতা সহ্য করার মতো সহিঞ্চুতা অর্জন প্রয়োজন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেকের রসবোধ প্রখর হলেও নিজেকে নিয়ে অন্য কেউ রসিকতা করলে সহ্য করতে পারেন না। আপনি তো একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলেন দেখি। ভালো পয়েন্ট। ব্যাপার অনেকটা এরকম, শুধু আমিই পোলাও-কোর্মা খাবো। অন্য কেউ খেতে পারবে না। :P

দেশের রাজনীতিবিদ বলেন, ওয়াজি হুজুর বলেন কিংবা আম-আদমী, সবার মধ্যেই সহিঞ্চুতার অভাব আছে।

২৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:১১

কাছের-মানুষ বলেছেন: সরাসরি প্রতিবাদ করা যখন কঠিন হয়ে উঠে তখন স্যাটায়ারই একমাত্র ভরসা! সাপও মরে আবার লাঠিও ভাঙ্গে না! মানুষ বিভিন্ন সমস্যা সরাসরি প্রতিবাদ করতে না পেরে হাসি ঠাট্টার ছলে সব কিছু তুলে ধরে! স্যাটায়ার পড়তে ভাল লাগে, বাংলাদেশের ম্যাগাজিন অনুষ্টান ইত্যাদিতে প্রায় স্যাটায়ারের দেখা যায়!

লেখা ভাল লাগল।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: উপরে স্বামীজি একটা ভালো পয়েন্ট দিয়েছেন। আমাদের দেশের প্রতিবাদের ভাষা হাসি-ঠাট্টা হলে সেটাও অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। তবে এটা ঠিক, স্যাটায়ার বা রম্য যাই হোক, পড়তে খুবই ভালো লাগে।

ইত্যাদি'র হানিফ সংকেত প্রয়াত ফজলে লোহানীর শিষ্য ছিলেন। এই ব্যাপারে ওনার ''যদি কিছু মনে না করেন'' ছিল সে'সময়ের অদ্বিতীয় এবং অতুলনীয় অনুষ্ঠান।

২৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: নির্বাক যুগের না হয়ে সবাক যুগের হলে চার্লি কি করতে পারতেন, সেটা নিয়েই আমি আফসোস করেছি The Great Dictator (1940)
Monsieur Verdoux (1947)
Limelight (1952)
A King in New York (1957)
A Countess from Hong Kong (1967) -তার বিখ্যাত কয়েকটা ছবিই সবাক।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শোনেন, কয়েকটা ছবির নাম দিয়ে ''বিখ্যাত'' তকমা লাগালেই বিখ্যাত হয় না। তার greatest films of all time এর তকমা পাওয়া ছবিগুলো হলো, The Gold Rush, City Lights, Modern Times আর The Great Dictator. এর মধ্যে একমাত্র The Great Dictator-ই সবাক, বাকি সবই নির্বাক। চালির উত্থান, জনপ্রিয়তা সবই হয়েছে নির্বাক যুগে। বরং ১৯৪০ সালের পর থেকে তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েতে থাকে। The Great Dictator ছাড়া বাকী যে ছবিগুলোর নাম আপনি দিয়েছেন, সেগুলো বক্স অফিসে তেমন একটা সাফল্যের মুখই দেখে নাই।

চালী চ্যাপলিনকে নিয়ে আরো পড়ালেখা করেন। B-)

২৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: আমি তো ভাবলাম ফাঁসি চেয়ে যে পোস্ট দিয়েছিলেন তারা হয়তো আপনার বাসায় হামলা করেছে তাই ভয়ে এই পোস্ট দিলেন।
যাকগে, ভয়েই হোক আর নির্ভয়েই হোক বৃটেন চালানোর পাশাপাশি এরকম ২/১ টা পোস্ট দিলে খারাপ হয় না।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো কথা মনে করিয়ে দিলেন। আপনাকে একটা গোপন কথা বলি। ক'দিন আগে কে একজন আল জাজিরার থেকে ফোন করে আমাকে বেদম গালাগালি করলো। বললো, ব্যাটা ছাগল! আল জাজিরা কি মানুষ, যে ফাসি দিবি? ওর রাগ দেখে বুঝলাম, ঠিক জায়গাতেই খোচা দিয়েছি। ভাবছি, জাজিরাকে নিয়ে আরো কয়েকটা পোষ্ট দিয়ে ওদের গায়ে একেবারে আক্ষরিক অর্থেেই আগুন ধরিয়ে দিবো। কি বলেন!!! :-B

বৃটেন চালানোর পাশাপাশি এরকম ২/১ টা পোস্ট দিলে খারাপ হয় না। এইতো দিলেন মনটা খারাপ করে। যেদিন থেকে বড়ভাই বৃটেন চালানোর আইডিয়া মাথায় ঢুকালো, অন্য কোন কাজের জন্য সময়ই বের করতে পারি না। পোষ্ট দিবো কখন!!! :((

২৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১২

সোহানী বলেছেন: ধুর মিয়া। কই একটু ফান টান গান গাইবেন না তা না পোস্টে আজাইরা প্যাচাল। বুঝলাম হাতে কাইম কাইজ কম। গাজি ভাইরে খবর দেওন লাগবো।

শুনেন ভাই, ব্লগেতো দেখি এক ভাইয়ের ফান বুঝতেই অনেকের অবস্থা কাহিল সেখানে আপনি স্যাটায়ার বোঝানোর ধান্দায় আছেন।

স্যাটায়ার বোঝার মতো জ্ঞান, পরিবেশ, শিক্ষা অরেক কিছুই পূর্বশর্ত। তারউপর পরিবেশও অনেক কিছু। যেমন একটি ঘটনা না জানলে আপনি তার স্যাটায়ার কোনভাবেই বুঝবেন না। যেমন ধরেন মি:বিন এর স্যাটায়ার ও ফান। আমাদের মতো পরিবেশে তার ফানটা সবাই ধরতে পারলেও স্যাটায়ার কি সবাই বুঝতে পারে? বা ধরেন টাইমস্ এর স্যাটায়ার কার্টুনগুলো। সবাইকে বোঝে? যে ঘটনা বা রটনার উপর তা আঁকা হয় সেটা কি সবাই বোঝে?

তাই মোদ্দা কথা, এই নিয়া ভাবাভাবির কোন দরকার নাই। কে বুঝলো কে ক্যাচাল লাগালো তা একান্তই তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। তা নিয়া আমি অন্তত চিন্তিত হবার কোন কারন দেখি না।

আর আপনি যেমন অনেক সুক্ষ স্যাটায়ার বোঝেন সেরকম অনেকেই বোঝে। কেউ মুখ খোলে কেউ খোলে না।.........আপনার লেখা আপনি লিখবেন। কে কি ভাবলো, কি মন্তব্য করলো, কে বুঝলো......... এইসব নিয়া ভাবা ছাইড়া দিয়া নিজের মতো করে লিখেন। খালি খেয়াল রাইখেন কি যেন এক আইন এর প্যাচ আছে! কারন অনেকের আবার হজমের সমস্যা আছে।

ভালো থাকেন। ম্যালা ঝামেলায় আছি। অলরেডি ৩০-৩৫ সেমি বরফের মাঝে ঢুইবা আছি :(( । এরকম চলবে আরো সাপ্তাহ......

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে না জানলেও গাজীভাই জানে আমার গোটা বৃটেন চালাইতে হয়, আর সেইজন্যই আমার টাইম কতো কম। :P

কার গিয়ান কতটা কম, সেইটা নিয়া আমার কোন টেনশান নাই। টেনশান হইতাছে আপনেরে নিয়া। ৩০-৩৫ সেমি বরফে ডুইবা থাকলে ফেটিগ আর ভার্টিগো হওনের কথা। আপনের মন্তব্যে তার লক্ষণ দেখন যাইতাছে!! =p~

২৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১২

অনল চৌধুরী বলেছেন: চলচ্চিত্রে এমএ ডিগ্রিধারী একজনকে চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করতে বলে নিজেকে আসল না ভূয়া প্রমাণ করছেন !!!!!!
এছাড়াও আমি নিজে চলচ্চিত্র গবেষক- লেখক,প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা এবং থিয়েটার করা অভিনেতা।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রমাণ করার কিছু নাই, আমি তো স্ব-ঘোষিত ভুয়া। তবে আমি চিন্তিত আপনাকে নিয়ে। বৃটিশ বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটনের নাম তো নিশ্চয়ই শুনেছেন। উনার একটা বিখ্যাত উক্তি আছে, তুলে দিলাম,

To myself I am only a child playing on the beach, while vast oceans of truth lie undiscovered before me.

উনার মতো প্রচন্ড ডায়নামিক আর জ্ঞানী একজন মানুষ এই কথা বলেছেন। আর আপনি এক এম এ ডিগ্রী নিয়ে, আর কিছু অন্যান্য কাজ করে ভাবছেন, আপনার শেখার আর কিছু নাই!! হলি কাউ!!!! অবশ্য আইজাক নিউটনের এম এ ডিগ্রী ছিল কিনা, আমার জানা নাই। =p~

মনে রাখবেন, প্রকৃত জ্ঞান মানুষকে বিনয়ী করে।

চার্লি চ্যাপালিনকে নিয়ে আপনার আরো পড়ালেখা করা উচিত……..এই দাবী থেকে কিন্তু আমি পিছু হটি নাই। অবশ্যই পড়ালেখা করবেন। এটাকে আমার একটা অনুরোধই না হয় মনে করলেন!!! :P

৩০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১৫

মা.হাসান বলেছেন: অডিয়েন্স একটা বড় ফ্যাক্টর। ব্রুস স্প্রিংস্টিন তার বর্ন ইন দি ইউএসএ লিখেছিলেন ভিয়েতনাম যুদ্ধ ফেরৎদের দুর্দশার প্রতিবাদে স্যাটায়ার হিসেবে। আম্রিকানরা এইটাকে দেশপ্রেমের গান হিসেবে নিয়ে নিলো। ব্লগেও এরকম ঘটনা আছে। উদাহরণ হিসেবে আমাদের আখেনাটেন ভাইয়ের এই পোস্ট খানা দিলাম:
চিরতার রস: সুখে থাকলে ভূতে কিলায়???
আপনি গালিভার্স ট্টাভেলসের কথা বলেছেন। বহু বছর আগে উপমা ডাইজেস্টে পড়েছিলাম- এই বই ছাপা হবার পর একজন সুইফটকে চিঠি লিখেছিলেন- এই বইয়ে যা লিখেছেন তার এক বর্ণও আমি বিশ্বাস করি না। (আপনি জর্জ অরওয়েলের কথা লিখেছেন। অরওয়েল কিন্তু অ্যানিম্যাল ফার্মের অনুপ্রেরণা অনেকটাই সুইফটের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন।)

আবার সময়ের সাথে সাথে কিন্তু একটা ক্লাসিক লেখাও স্যাটায়ার হয়ে যেতে পারে। লেজে হোমো এরশাদ কাকুর আমলে বিটিভিতে মঞ্চ নাটকে হ্যামলেট দেখানো হয়েছিলো । (আলী যাকের অভিনয়ে ছিলেন, তবে তখনো মনে হয় উনি ডিরেক্টর হন নি)। ঐখানে এরকম ডায়ালগ আছে- অল দি পারফিউমস অব অ্যারাবিয়া উইল নট সুইটেন দিস হ্যান্ড। কাকুর সময়ে এটা স্যাটায়ার ছিলো। তবে এখন আর স্বাভাবিক ভাবেই সেই আবেদন থাকবে না । (কাকুর টলারেন্স লেভেল তার পরের লোকদের চেয়ে বেশি ছিলো)।

সুইফটের লেখার বড় আকর্ষন হলো যারা স্যাটায়ার বোঝেন না তারাও কমেডি হিসেবে মজা নিতে পারবেন। এরকম লেখা বাংলায়ও আছে। শিবরামের ' আমার সম্পাদক শিকার' পড়তে পারেন, ভাল লাগার কথা।


স্ট্যান্ড আপ কমেডিতে সহজ ফর্মুলা হলো - পলিটিক্স, রিলিজিয়ন আর সেক্স। এর মধ্যে পলিটিক্সে এভারেজ পশ্চিমাদের আগ্রহ কম। রিলিজিয়নেও তুলনামূলক আগ্রহ কম, কিছু ঝুকিও থাকে। বাকি যেটা থাকে সেটাকে বেজ করেই বেশিরভাগ কমেডিয়ান লাফাঝাপা করে। কালোদের সুবিধা হলো রেসিয়াল জোক এরা বলতে পারে, সাদাদের জন্য এটা রিস্কি। আমার কাছে সাইনফেল্ড আর হাসান মিনহাজ বেশ লাগে। আমাদেরর দেশে সেক্স আর রিলিজিয়ন ট্যাবু, পলিটিক্স নিয়ে বলা কঠিন।

কালচার, পলিটিক্স, অর্থনীতি অনেক কিছুই কিন্তু সাহিত্যের এই শাখার শেপিঙে ভূমিকা রাখে । আমেরিকানরা ব্রিটিশদের চেয়ে বেশি ফ্রেন্ডলি, সরল হলেও কমেডি বা স্যাটায়ারের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে বলে মনে হয়। মন্টিপাইথন, ফল্টি টাওয়ার, ক্যাথেরিন টেট শো , ইয়েস মিনিস্টার, ইয়েস প্রাইম মিনিস্টার, আলি জি, ফুল মন্টি - এগুলোর মতো টিভি সিরিজ/মুভি আমেরিকায় মনে হয় কম আছে। ক্যাথেরিন টেট কে আমার মিস্টার বিনের চেয়ে শক্তিশালি মনে হয়। রিকি জারভেইস বা ব্যারন সাশা কোহেনের সমতুল্য কাউকে আটলান্টিকের ওপারে দেখি না।

ঢাবিয়ানের মন্তব্যে প্লাস তবে আপনার বড় ভাইয়ের নাম উল্লেখ করাটাও অন্যায় হবে।

দেশে দেশে কালচারের ভিন্নতার কথা যখন উঠলোই, আরেকটা কথা বলে যাই। বিলাতে রিসাইকেলেবল আর ননরিসাইকেলেবল ওয়েস্টেজের জন্য আলাদা গার্বেজ বিন দিলেও কেউ রিসাইকেলেবেল গার্বেজ ভুল বিনে রাখলে জরিমানা হয় না বা কেউ পরীক্ষা করে দেখে না। আম্রিকাতে নাকি এসব পরীক্ষা করার জন্য গার্বেজ ইনসপেকটার আছে। ব্লগের কল্যানে কত কিছু যে জানা হলো।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই লেখাটা লেখার সময় মহামান্য ফারাওয়ের কথা মনে ছিল। আমি জানি, উনার স্যাটায়ার লেখার অতুলনীয় ক্ষমতা আছে, লিখেছেনও। কিন্তু কোন নির্দিষ্ট পোষ্টের কথা মনে আসছিল না। যাই হোক, আপনার উল্লেখিত পোষ্টে আমার মন্তব্যও কিন্তু আছে। তখনই আমি বলেছিলাম, এই ধরনের লেখা পড়ে বোঝার মতো মানুষ ব্লগে খুব বেশী নাই। আর কিছু মানুষ বোঝে না, তাও ঠিক আছে; কিন্তু পোষ্টে এসে আসল কথার বাইরে আজাইরা কথা বলে পোষ্টদাতার মাথা খেয়ে ফেলাও ভালো কিছু না। উদাহরন দেখলাম জ্বলজ্বল করছে ওই পোষ্টে!!! B-)

আবার সময়ের সাথে সাথে কিন্তু একটা ক্লাসিক লেখাও স্যাটায়ার হয়ে যেতে পারে। অবশ্যই। সম্পূর্ণ সহমত। স্থান-কাল-পাত্রের পরিবর্তন অনেক পরিবর্তনেরই সহায়ক।

স্যাটায়ারের প্রধান উপাদান যেহেতু হাস্যরস, মজা নিতে অসুবিধা নাই। কনটেক্সট না বুঝলে সেটা ঠিকও আছে। কিন্তু কনটেক্সটটা যদি দুর্বোধ্য না হয়, তাহলে যাদের বোঝা উচিত, তারা না বুঝলে কি বলা যায়? সেন্স অফ হিউমারের অভাব নাকি ক্ষেত্রবিশেষে ভয়? যেটাই হোক, হতেই পারে। অসুবিধা নাই। তবে মানুষের আচরনগত ব্যাপারগুলোতে সামন্জস্যতা থাকাটা কাম্য।

শিবরামের লেখা অনেক আগে পড়েছি। নির্দিষ্ট করে আপনার বলাটা পড়েছি কিনা মনে নাই। বাইরে থাকার সমস্যা হলো, কোন কিছু চাইলেই পড়া যায় না। তবে মাথায় জমা করে রাখলাম। সুযোগ যদি আসে, পড়ে ফেলবো। সাইনফেল্ড দেখি নাই। হাসান মিনহাজ দেখেছি। তবে সময় যতটুকু পাই, নোয়াহ-ই দেখি। কিছুটা বায়াসড বলতে পারেন। আম্রিকানদের কোন ব্যাপারে মন্তব্য করার জন্য জাতে উঠা জরুরী। তাই ওটা আপনাদের মুখেই মানায়। আমি শুধু বলতে পারি, আপনার দেয়া ব্রিটিশ কমেডি বা স্যাটায়ারগুলোর মধ্যে সুবিখ্যাত Jeeves and Wooster বাদ পড়ে গিয়েছে। অবশ্য পড়তেই পারে। আপনি জাতে উঠলেও সীমিত জ্ঞানসম্পন্ন একজন মানুষ…….সেটা তো জানাই আছে। :-B

ঢাবিয়ানের মন্তব্যে প্লাস তবে আপনার বড় ভাইয়ের নাম উল্লেখ করাটাও অন্যায় হবে। ব্লগে আমার পরিবারের সুরক্ষায় আমি সদা সচেষ্ট থাকি। আপনার সহায়তা না পেলে সেটা মেইনটেইন করা আমার একার পক্ষে একটু কষ্টকরই। এর (সক্রিয় সহায়তা) একটা কারন হতে পারে বড়ভাই আপনাকে অত্যাধিক স্নেহ করেন। =p~

বিলাতে রিসাইকেলেবল আর ননরিসাইকেলেবল ওয়েস্টেজের জন্য আলাদা গার্বেজ বিন দিলেও কেউ রিসাইকেলেবেল গার্বেজ ভুল বিনে রাখলে জরিমানা হয় না বা কেউ পরীক্ষা করে দেখে না। আপনার বিলাতবাসের দিন এখন আর নাই। এখন র‌্যান্ডম পরীক্ষা হয়। নীল আর কালো বিনে গন্ডগোল করলে ফাইন করে না ঠিকই, তবে বদমাশগুলো বিন খালি না করে একটা নোটিশ ঝুলিয়ে যায়। আবার দু'সপ্তাহের ধাক্কা। ময়লার ব্যাগ রাখাটাই তখন একটা মানসিক অত্যাচার হয়ে দাড়ায়!!

৩১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:২২

মা.হাসান বলেছেন: টারজান ব্লগে এবং ব্লগের বাইরে এমন কিছু অভিযোগ তুলেছিলেন যা চ্যালেঞ্জ করা হলে প্রমান করতে পারেন নি। এর পর মনের দুঃখে বনে গেছেন নাকি ব্যান খেয়েছেন জানা নেই। তবে ওনার লেখা মিস করি।

আমাকে হুমকি দেয়া হয়েছে ব্লগে থাকতে গেলে ম্যাট্টিক ফেলের সনদ আনতে হবে। ৭২ সালে এটা কোনো ব্যাপার ছিলো না, কিন্তু এখন এর চেয়ে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট যোগাড় করা সহজ। এই জন্য চাপে আছি।

আরেকদিন বলেছিলাম, আবার দেখছি- আপনার পরিবার আসলেই দুই অর্থেই অনেক বড়। গর্ভে আমাদের বুক ভরে যাচ্ছে কিন্তু B-))

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বনের রাজা টারজানের ব্যাপারটা দেখি দুঃখজনক! মনের দুঃখে জঙ্গলে জঙ্গলে ঘোরা খুবই বিড়ম্বনার!! :(

যে কোনও পেপারওয়ার্কের জন্য নীলক্ষেতের বাকুশাহ মার্কেটে যান। ওরা চাইলে আপনার ডেথ সার্টিফিকেটও বানিয়ে দিবে। নো টেনশান! আর আমার পরিবার ছোট হোক, কিংবা বড় হোক; গর্ভে বুক ভরার বিষয়টা বুঝি নাই। বুঝায়ে বলার অনুরোধ রইলো। :-B

৩২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

জুন বলেছেন: একটি সার্থক স্যাটায়ার লেখার জন্য তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং গভীরভাবে চিন্তা করতে পারার সামর্থ্য থাকার প্রয়োজন আছে। সেজন্যেই হয়তো স্যাটায়ারিস্ট কম, কিন্তু হিউমারসমৃদ্ধ লেখা প্রচুর। তাশমিন নুরের বক্তব্যের সাথে সহমত । স্যাটায়ার বোঝার মত ক্ষমতাও অনেক কম লোকেরই আছে যা আমি নিজের জীবনে প্রচুর দেখেছি । সবকিছুকে সিরিয়াস হিসেবে নেয়া এবং তা থেকে বিতর্ক যা আমার ভীষব ভাবেই না পছন্দ ভুয়া ।
বিদেশী অনেক স্যাটায়ারিষ্টের নাম বললেন আমি একজন বাংগালী লেখকের নাম বলি তাঁর বইটি পেলে পড়তে অনুরোধ করছি । প্রমথনাথ বিশীর নিকৃষ্ট গল্প এই নামে তাঁর কতগুলো ছোটগল্প আছে ।

আপনি মানুষের পড়ালেখাকে সন্মান করেন্না দেখতেছি /:)
:`>

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবকিছুরে সিরিয়াসলি নেওয়াটা একধরনের মানসিক বৈকল্য। জীবনে রস-কষ, হাসি-ঠাট্টা সবকিছুরই দরকার আছে। হুতুম পেচা হয়া বইসা থাকার কোন মানে নাই।

প্রমথনাথ বিশী'র নাম শুনছি, কোন লেখা পড়া হয় নাই। এইখানে বইসা তো আর বই জোগাড় করতে পারুম না। দেখি, নেটে কোন পিডিএফ পাই কিনা।

আপনি মানুষের পড়ালেখাকে সন্মান করেন্না দেখতেছি সন্মান করছি তো, উপ্রে দেখেন! :P

৩৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: বাংলায়ও শক্তিশালী শব্দ আছে: পরিহাস/প্রহসন।
স্যাটায়ার পোস্ট ব্যাখ্যা করতে পোস্ট নিশ্চয়ই বড় স্যাটায়ার: ভুয়া অন ফায়ার! :)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলা শব্দ দুইটার জন্য ধন্যবাদ।

স্যাটায়ার পোস্ট ব্যাখ্যা করতে পোস্ট নিশ্চয়ই বড় স্যাটায়ার :-B

৩৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:০১

অনল চৌধুরী বলেছেন: যে নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রতিষ্ঠানিক পড়াশোনা করে, স্বাভাবিকভাবেই সেই বিষয়ে তার জ্ঞান অন্যান্য বিষয়ে পড়াদের চেয়ে বেশী থাকবে।
এখানে যারা বিজ্ঞান, বাণিজ্য বা অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, তাদের তাত্ত্বিক জ্ঞান স্বাভাবিকভাবেই এসব বিষয়ে যারা পড়েনি, তাদের চেয়ে বেশী।
এজন্যই বলেছি, আমি দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছি, তাই এটা সম্পর্কে আমার ধারণা অনেক। আপনি যে বিষয় নিয়ে পড়েছেন, সেটা নিয়ে আমার ততোটা ততোটা ধারণা না থাকারই কথা।

তাই চলচ্চিত্র নিয়ে আমাকে পড়তে বলায় ডিগ্রির কথা বলেছি। কিন্ত আপনি অপ্রয়োজনে এখানে নিউটনের কথা এনেছেন।
সবসময়ই মনে করি, ডিগ্রি আর জ্ঞান দুই আলাদা জিনিস। কিন্ত আর আপনি এক এম এ ডিগ্রী নিয়ে,.. যখন বলেছেন , তখন সত্য জানাতে হচ্ছে যে আমার এমএ্ ডিগ্রি ১ টা না, ২ টা আর সাথে ১ টা এলএলবি ডিগ্রিও আছে।

লেখক-ব্লগার-সবাইকেই অনেক পড়াশোনা করতে হয়, কারণ না পড়লে কিছুই লেখা যায় না। আর আমার পেশাই লেখা-পড়া-যেসব করে আয় করি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যে নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রতিষ্ঠানিক পড়াশোনা করে, স্বাভাবিকভাবেই সেই বিষয়ে তার জ্ঞান অন্যান্য বিষয়ে পড়াদের চেয়ে বেশী থাকবে। মোটামুটি ঠিক আছে। তবে, এর মানে এই না যে, সে সেই বিষয়ে শতভাগ জ্ঞান অর্জন করে একেবারে সবজান্তা শমশের হয়ে গিয়েছে………. এটা আপনাকে বুঝতে হবে সর্বাগ্রে। আপনার বিষয়ে আপনি যতোই জ্ঞানী হন না কেন, আজকের এই গুগলের যুগে উল্টাপাল্টা তথ্য দিয়ে আপনি পার পাবেন না। সেজন্যেই আবার বলছি, চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে আরো পড়ালেখা অবশ্যই করবেন। B-)

নিউটনের কথা অপ্রয়োজনে আসে নাই। জ্ঞানী মানুষের বিনয়ের উদাহরন হিসাবে এসেছে। আপনি যদি জ্ঞানী হন, তাহলে বিনয়ীও হবেন। এর অন্যথায় ব্লগে হাস্যরসের খোরাক হবেন। জলজ্যান্ত উদাহরন এই ব্লগেই কিন্তু আপনার চোখের সামনে রয়েছে।

সবসময়ই মনে করি, ডিগ্রি আর জ্ঞান দুই আলাদা জিনিস। ভুল মনে করেন। এটা জেনারালাইজড কোন ব্যাপার না। ডিগ্রি আর জ্ঞান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যার ডিগ্রি বেশী, তার জ্ঞান বেশী। বিষয়টা সমানুপাতিক। তবে প্রশ্নফাস করলে আলাদা ব্যাপার। :P

লেখক-ব্লগার-সবাইকেই অনেক পড়াশোনা করতে হয়, কারণ না পড়লে কিছুই লেখা যায় না। আমি কিন্তু সেজন্যেই আপনাকে চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে পড়াশোনা করতে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি। পড়লে আপনার জ্ঞান বাড়বে। এই নিয়ে লেখতে পারবেন। অবশ্য দিন শেষে সিদ্ধান্ত আপনার। আমার দৌড় আপনাকে উৎসাহ দেয়াতেই সীমাবদ্ধ!!! ;)

৩৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:



:) :P =p~


২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সাংকেতিক ভাষা (শুধু ইমো দিয়ে) বোঝার মতো জ্ঞান এখনও অর্জন করতে পারি নাই। আফসোস!!! :((

৩৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: নাম জানতে চেয়েছিলেন। ইতোমধ্যে নাম পেয়ে গেছেন দেখতে পেলাম। উপরে মা হাসান ভাইয়ের কমেন্ট অনেকগুলো টিভি শোয়ের নাম চলে এসছে দেখি। স্যাটায়ার/কমেডির এটাও একটা শক্তিশালী মাধ্যম।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ্যা.....বেশকিছু নাম পেয়েছি। আরো কোন নাম মনে পড়লে জানায়েন। এই বিষয়ে আমার আগ্রহ অনেক।

মা হাসান ভাইয়ের কমেন্ট অনেকগুলো টিভি শোয়ের নাম চলে এসছে দেখি। উনি অতিরিক্ত জ্ঞানী মানুষ। দুনিয়ার সব ধরনের জ্ঞানই উনার কাছে পাওয়া যায়। ;)

৩৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:




তিনটা ইমো দিয়েছিতো !
এর মানে হচ্ছে সামুতে ভুমের মতো ব্লগারদের চাই ।
সত্যভাষী
লজিক্যাল
ফান লাভিং

এবার শানে নুযূল বোঝা গেছে ? :)


২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইমো'র এমন ডায়নামিক ব্যবহার জানা ছিল না। সেজন্যেই বলে, জানার কোন শেষ নাই। ;)

৩৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০০

অনল চৌধুরী বলেছেন:
সবসময়ই মনে করি, ডিগ্রি আর জ্ঞান দুই আলাদা জিনিস। ভুল মনে করেন। এটা জেনারালাইজড কোন ব্যাপার না। ডিগ্রি আর জ্ঞান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যার ডিগ্রি বেশী, তার জ্ঞান বেশী।
- আপনি বা যেকোনো ব্যাক্তি কয়টা বিষয়ে প্রতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নিতে পারবেন? ২, ৪ বা ৫টা। এর বেশী তো না। কিন্ত এজন্য কি ডিগ্রি না নেয়া বিষয়গুলি সম্পর্কে নিজে পড়ে সে কোনো জ্ঞান অর্জন করতে পারবে না?
এখানে বা অন্য কোনো মাধ্যমে যারা লেখেন, তাদেরই বেশীরভাগই নিজের ডিগ্রি বা্ইরের বিষয়গুলি নিয়ে বেশী লেখেন। আপনিও ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি তো দেখছি আলোচনার বিষয়বস্তুর প্যাটার্ন ১৮০ ডিগ্রী ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। যাকগে, আপনি সন্মানীত মানুষ। চার্লী চ্যাপলিনের প্রসঙ্গ না হয় আপনার সন্মানে বাদই দিলাম। তবে, সময় করে পড়তে ভুলবেন না। ;)

এবার আসি আপনার এই মন্তব্যে। কিন্ত এজন্য কি ডিগ্রি না নেয়া বিষয়গুলি সম্পর্কে নিজে পড়ে সে কোনো জ্ঞান অর্জন করতে পারবে না? অবশ্যই পারবে। আমি কি কোথাও বলেছি যে, পারবে না! ডিগ্রি প্রসঙ্গের অবতারনা কিন্তু আপনি করেছেন। মনে আছে নিশ্চয়ই!! ডিগ্রি নিতে পড়াশুনা করতে হয়, স্বাভাবিকভাবেই জ্ঞান বাড়ে। এটা হলো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যাপার। কিন্তু আবারও বলছি.......…..এর মানে এই না যে সেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শতভাগ জ্ঞানার্জন সম্ভব। আরো উন্নতির দ্বার সব সময়েই খোলা থাকে। এর বাইরে ব্যক্তিগত আগ্রহের কারনে যে কেউ যে কোনও বিষয়ে পড়ালেখা করতেই পারে। আর এটা কে না জানে যে, পড়ালেখা করলেই জ্ঞান বাড়ে!!

আমিও আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে অনেক বিষয় নিয়েই পড়ালেখা করি। এটা ব্লগে আমাদের অনেকের জন্যই একটা স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার। কাজেই এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নাই। আমাদের আলোচনা শুরুতে এই কেন্দ্রিকও ছিল না।

এনিওয়ে, ভালো থাকবেন। :)

৩৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৩

জুন বলেছেন: মাহার তো খবরই নাই তাই আমিই আসলাম দাওয়াত দিতে :(
শেষ লাইনের উপরের লাইন্টা পইড়েন ভালোমত :)

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোষ্ট না পইড়া খালি শিরোনাম দেইখা মন্তব্য করনের টেকনিক শিখছি আপনের কাছ থিকা। ভাবছিলাম, এই নয়া টেরনিংটা কামে লাগামু। আমি আবার গুরুজনগো ফলো করতে পছন্দ করি! :P

কিন্তু শেষ লাইনের উপরের লাইন্টা পইড়েন ভালোমত দেইখা আর কৌতুহল রাখতে পারি নাই।

দাওয়াতের লাইগা ধন্যবাদ। :)

৪০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: ও! পরীক্ষা নিছিলেন বুঝি!

আমাকে মনে হয় আপনার পাঠকদের তিন ভাগের প্রথম ভাগে ফেললেন, কেউ কেউ বোঝেনই নাই যে, এটা একটা স্যাটায়ার
আপনার জাজিরা পড়ে যদি সিকিভাগও বুঝতাম, তাহলে অবশ্যই বুঝতাম জাজিরা মানে স্যাটায়ার... কেন বুঝবো না! গল্প কবিতা নাটক নভেল স্যাটায়ার- সব কিছুর সংজ্ঞা আমার মুখস্থ আছে!! সমস্যা করল আপনার পরীক্ষামূলক রচনার ভাষা। এই ভাষা আমার একেবারেই পছন্দ না, রাজকন্যার লেখা হলেও না! প্রমাণ দেখেন, রাজকন্যা এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে অবশেষে এক রচনাতেই ক্ষ্যান্ত!! কংকাবতী

এই রচনা ভালোই লিখছেন, পড়ার পর ভাবতে বসলাম এই জীবনে স্যাটায়ার কী কী পড়েছি! আবুল মনসুর আহমেদের লেখা, মুজতবা আলীর কিছু লেখাও কি স্যাটায়ার না??

তবে যাই বলেন, আপনার মন্তব্য অংশে দারুন রম্যের দেখা মিলল। নিয়মিত ফলো করছি- রম্য আনলিমিটেড।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: জ্বী না। ব্লগারদের পরীক্ষা নেয়ার যোগ্যতা এখনও অর্জন করতে পারি নাই। তাছাড়া, এই ধরনের 'ক্ষেমতা' এই ব্লগে একজনেরই আছে। তার জ্ঞানের ধারে কাছে কি আমরা যেতে পারি? ;)

আগের পোষ্টেই আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম, উত্তরটা এই পোষ্টে পেলাম। ভাষাটা ছিল একটা এক্সপেরিমেন্ট। ইচ্ছা ছিল, একেবারে খাটি ঢাকাইয়া কুট্টিদের ভাষায় লেখার। ভাগ্যিস লেখি নাই। তাইলে আপনাকে আর খুজে পাওয়া যেত না। আমার আবার এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালো লাগে। এখন বুঝলাম, ভাষার কারনেই আপনার এই সমস্যা। রাজকন্যার এক্সপেরিমেন্টটা আগে দেখি নাই। আপনার সৌজন্যে দেখা হলো।

আপনার জানার কথা। তরপরেও বলি, এটা ছিল আসলে একটা নির্দিষ্ট ডেমোগ্রাফিক জনগোষ্ঠির উপরে করা একটা অনানুষ্ঠানিক সামাজিক সমীক্ষা। এ'ধরনের সমীক্ষা অনেক হয়। একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে সেই জনগোষ্ঠির ধারনা, চিন্তা-ভাবনা, সেই চিন্তা-ভাবনা ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক ইত্যাদি ইত্যাদি। কোয়ান্টিটেটিভে নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্র থাকে, যেটা কোয়ালিটেটিভে সব সময়ে থাকে না। শুধু একটা বিষয়বস্তু থাকে।

মুজতবা আলীর অনেক লেখাই স্যাটায়ার। তবে উনার লেখার সাথে সবাই কমবেশী পরিচিত। তাই উনার প্রসঙ্গ আনি নাই। আবুল মনসুর আহমেদের লেখা সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানা নাই। এই পোষ্ট দেয়ার কারনেই জানার সুযোগ হবে।

তবে যাই বলেন, আপনার মন্তব্য অংশে দারুন রম্যের দেখা মিলল। নিয়মিত ফলো করছি- রম্য আনলিমিটেড। =p~

৪১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ ,




পড়েছিলুম পোস্ট প্রসবের পরে পরেই। কিন্তু হাতে কিছু নগদ নগদ ছিলোনা বলে প্রসূতকে তৎক্ষনাত কিছু না দিতে পেরে শুধু মুখ দর্শন করেই চলে গেছি।
এখন ভেবে বসবেন না যে, প্রসূতের জন্যে বেবী অয়েল, ন্যাপি, ফিডার নিয়ে এসেছি ! :P

একটি সার্থক স্যাটায়ার লেখার জন্য তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং গভীরভাবে চিন্তা করতে পারার সামর্থ্য থাকার প্রয়োজন আছে।
তেমন গভীরভাবে চিন্তা করতে পারার সামর্থ্য নেই বলেই পোস্টের মুখদর্শনই করে গেছি । প্রসূত পোস্টটি হাসায় কিনা , নিজেও বা হাসে কিনা সেটা পরখ করে দেখতে গিয়ে গলদঘর্ম । হাস্যরসেও যেমন ব্যঙ্গ থাকে , ব্যঙ্গেও থাকে হাস্যরস। ব্যঙ্গে সামাজিক একটা দায়বদ্ধতা থাকে । হাস্যরসে থাকে হাসি যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারী । এটাও এক ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানুষকে হাসিখুশিতে রাখা। :|
তবে দায়বদ্ধতা থেকে কেউ হাস্যরস যোগায় না। দায়বদ্ধতার যোগান দেয়- ব্যঙ্গ।

দেরীতে এসে এমন মন্তব্যে আবার আপনাদের হাসিয়ে গেলুম কিনা ................. :(

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সব সময়েই প্রসূতকে কিছু দিতে হবে......বিষয়টা এমন না। এখন যেমন খালি হাতে এসেছেন, এভাবেই দেখতে আসবেন। কোন অসুবিধা নাই। চাচা-মামাদের দোয়াও অনেক বড় ব্যাপার!! :-B

আপনের মন্তব্যের মূল অংশ পড়তে গিয়া মাথামুথা গেল আউলায়া। যা কইলেন, তা আমার কাছে মনে হইলো........আমার বউয়ের বড় ভাইয়ের ছোটমেয়ের শ্বাশুড়ীর মেজভাইয়ের ছেলের..........!!!!! শুরুতে কি বোঝাইতে চাইলেন, তা শেষে আইসা পুরাই গিট্টু লাইগা গ্যাছে গা! হাসুম না কান্দুম বুজতাছি না!!! B:-)

বরং এই ভুয়ারে মাফ কইরা দোয়া দিয়া দ্যান। :P

৪২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১১

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু লিখবো ভেবে নীচে আসতেই দেখি-
চাঁদগাজী বলেছেন: গার্বেজ জমা করার জন্য ব্লগই ভালো যায়গা?
পেটে বেশি গ্যাস জমলে নাকি ভুটভাট করে অটোমাটিক বের হয়, আর সত্য বেশি চাপা দিয়ে রাখলে এইরকম কিছু আউট বাস্ট হবেই। বেকুব কাহুর এই লাইন পড়ার পর কি লিখবো ভুলে গেছি।

ব্লগে একবার অনেক আগে চেষ্টা করেছিলাম স্যাটায়ার জাতীয় লেখার। কিন্তু বেশিরভাগ ব্লগারই বুঝে নি। আমি কাকে কাকে কি মীন করেছি। মনের দুঃখে আর এইসব লিখি না।
ব্লগে হিট হতে চান - গামলা ভর্তি মন্তব্য চান – নিন সহী তরীকা সমাহার!
আল জাজিরার পরের নয় পর্বের অপেক্ষা আতংকে আছি। কোনদিন যে ইউটিউবও ব্যান খায় দেশে!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিছু মানুষ থাকে, যাদের পিছনে সময় নষ্ট না করাই ভালো। এদেরকে গুরুত্ব দেয়ার কিছু নাই।

আপনার লেখাটা পড়বো। গল্প দিয়েছেন দেখলাম, সেটাও পড়তে হবে। কিছুটা প্যারার মধ্যে আছি। সময় বের করতে পারছি না। আল জাজিরাকে নিয়ে বেশী ভয়ের কিছু নাই। টাকা খেয়ে আর কতোটুকুই কি করতে পারবে? :P

৪৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১১

জুন বলেছেন: কুমির নিয়ে আমার আর একটি মাত্রই লেখা আছে, এই লেখাটি আপনাকে উৎসর্গ করলে আপনি হয়তো মাইন্ড করতেন কারন এটা শিশুদের জন্য আমার অনুবাদ ;)
লিংক দিলাম পইড়া নাতি নাতকুড়দের শুনাইয়েন #:-S
এক যে ছিল ছেয়ে খরগোশ আর এক ছিল হোৎকা কুমীর (থাইল্যন্ডের উপকথা )

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি খুব সহজে মাইন্ড করি না, আবার একবার কইরা ফালাইলে থামতেও পারি না। যাই হোক, আপনের লেখা অবশ্যই পড়ুম। ইকটু টাইম লাগবো। তয় আমার মেমোরী শার্প, আপনের মতোন ভুইলা যাই না!! কাজেই পড়ুম নিশ্চিত!!! ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.