নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর দশটা সাধারন আলসের মতোই ঘুম আমার খুব প্রিয়। দিবা নিদ্রাও। তবে দিনে ঘুমালে রাতে একেবারেই ঘুম হয় না। ঘুম আসে একেবারে ভোরের দিকে। ঘুমের চক্রও নষ্ট হয়ে যায়। তাই পারতঃপক্ষে আমি দিনে ঘুমাতে চাই না। শনিবার আমার দিবানিদ্রার জন্য মোক্ষম দিন। গত শনিবারের আগের শনিবারেও ঘুমিয়েছি আর রাতে যথারীতি জেগে। ভাবলাম একটা বই পড়ি, তাতে করে যদি ঘুম আসে; তবে কোন লাভ হচ্ছিল না। রাত তিনটার দিকে বের হলাম একটা বিড়ি খাওয়ার জন্য। বের হয়েই হার্টবিট মিস করলাম। ড্রাইভওয়েতে পার্ক করে রাখা আমার গাড়িটা নাই। আধা ঘন্টা আগেও একবার বিড়ি খেতে বের হয়ে দেখেছি ওটাকে। এখন নাই! বিষয়টা বুঝলাম না। গাড়ি তো আমাকে ছাড়া কোথাও যায় না!!!
কাপতে কাপতে ৯৯৯তে ফোন দিলাম পুলিশকে। কথোপকথন নিম্নরুপঃ
আমি কাদো কাদো স্বরে বললাম, ও মামু, আমার গাড়ি ড্রাইভওয়েতে আছিলো, এহন তো দেহি নাই!
ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বললো, কস কি ভাইগনা!! ড্রাইভওয়েতে রাখছিলি নিশ্চিত, নাকি রাস্তায়…..চেক কইরা দেখ! গাড়িতে ট্র্যাকার লাগাইছিলি?
না না, ড্রাইভওয়েতেই রাখছিলাম। এই আধাঘন্টা আগেও দেখছি। হ…..ট্র্যাকার আছে।
তোর গাড়ির সব ডিটেইলস দে। অক্ষনই আমি সবকয়টা ইউনিটরে লাগায়া দিতাছি আর রেডিও স্টেশানেও খবর দিতাছি। চৌরা হালারা মনে কয় বেশীদূরে যাইতে পারে নাই।
নির্ঘুম সারারাত পার করলাম আকাশ-পাতাল চিন্তা করে আর ঘন্টায় ঘন্টায় বিড়ি ফুকে। গাড়ি সংক্রান্ত যতো স্মৃতি এ'যাবৎকাল পর্যন্ত মগজে সংরক্ষিত আছে সব সিনেমার মতো চোখে ভাসতে লাগলো। সকাল আটটার দিকে ফোন পেলাম, গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। চোর কান্ট্রিসাইডে রেখে ভেগেছে। আমাকে গাড়ির ফব (চাবির মতো) নিয়ে পুলিশ স্টেশানে যেতে বললো। গেলাম। কাদা মাখা গাড়িটা আমাকে দেখে আবেগতাড়িত হলো, আমিও হলাম। চার চক্ষুর মিলন শেষ করে মামুকে বললাম, তয় আর কি? নিয়া যাই আমার ফিরা পাওয়া হারানো মানিকরে, কি কও! ব্যাটা বলে, না। গাড়ি কাইলকা দিমু। কি সব ফরেনসিক টেস্ট ফেস্ট করবে, অদেখা চোরদেরকে ধরার জন্য।
আচ্ছা…….ওরা টেষ্ট করতে থাকুক। ততোক্ষণে আমি একটু স্মৃতি রোমন্থন করি। তবে এবার একা না, আপনাদেরকে সাথে নিয়ে।
আমরা পাচ ভাইবোন। আমার বড় তিনজনই বোন। আম্মা পর পর তিন মেয়ের জন্ম দেয়াতে দাদা-দাদিসহ সবাই পড়ে গেল টেনশানে। আব্বা পরিবারের বড় ছেলে, তার একটা ছেলে নাই…...এটা কেমন কথা? যে সময়ের কথা বলছি, তখন বিষয়টা এমনই ছিল। ফ্যামিলি ট্রি ঠিক রাখতে ছেলে দরকার! আম্মা যখন চতুর্থবারের মতো অন্তঃসত্ত্বা হলেন, তখন দাদাজান ঘোষণা দিলেন, ছেলে হলেই উনি গাড়ি কিনবেন আর সেই গাড়িতে করেই বংশের বাত্তি বাইত্তে আসবে। এখানে উল্লেখ্য, আমার জন্ম হাসপাতালে হয়েছিল। আমার ধারনা, মায়ের পেটে আমি প্রথমে মেয়েই ছিলাম। তবে আল্লাহর দরবারে আম্মার কান্নাকাটি আর দাদাজানের ঘোষণার কারনেই মনে হয় ছেলেতে রুপান্তরিত হই। এই রুপান্তর প্রক্রিয়ায় সম্ভবতঃ কোন সমস্যা দেখা দিয়েছিল। জন্মের পর আমাকে প্রায় মাসখানেক হাসপাতালে থাকতে হয়। দাদাজান উনার কথা রেখেছিলেন। আমাদের প্রথম গাড়িটা ছিল ফক্সওয়াগেন…….কচ্ছপমার্কা, বিটলস যার পোষাকী নাম। আমি নতুন কেনা গাড়িতে করেই বাসায় আসি। এভাবেই গাড়ি জিনিসটার সাথে আমার একটা নিবিড় আত্মার সম্পর্ক গড়ে ওঠে!
গাড়ি আব্বার খুবই পছন্দের একটা জিনিস ছিল। ওটা উনার শুধু শখই না, উনি এই ব্যাপারে ওবসেসড ছিলেন। পৈতৃক সূত্র ধরে আমিও গাড়ির ব্যাপারে ওবসেসড। শিশুকালে আমাকে দুধ খাওয়ানো নাকি খুবই কষ্টকর ছিল, তবে সামনে একটা খেলনা গাড়ি থাকলে আর কোন সমস্যা হতো না। এভাবে আমার গাড়িপ্রীতি আত্মীয় এবং পরিচিত মহলে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে, জন্মদিন বা যে কোনও অনুষ্ঠানে আমার জন্য সবাই গাড়ি আনা শুরু করলো। চারদিক থেকে জলের মতো গাড়ি এসে আমার দোলনা মোটামুটি গাড়িময় হয়ে যায়। যাকগে, এসবই আমার শোনা কথা। আমার স্মৃতিতে এ'সংক্রান্ত কোন তথ্য জমা নাই।
তিন মেয়ের পরে প্রথম ছেলেসন্তান। আমার প্রতি আদরটা ছিল বাড়াবাড়ি রকমের। অতি আদরে বাদর হওয়া একটা স্বাভাবিক পরিণতি। আমিও এর বাইরে ছিলাম না। আমার বড়খালা আমাকে দেখলেই বলতেন, কি রে তোর লেজ গজায় নাই এখনও? প্রত্যেকদিন সকালে উঠে চেক করবি। আর গজালে খবরটা সর্বপ্রথম আমাকে দিবি। তাহলে আমি তোকে চাবি দেয়া একটা গাড়ি কিনে দিবো। সেই গাড়ির লোভে আমিও প্রতিদিন সকালে উঠেই লেজ অনুভবের চেষ্টা করতাম।
একদিকে বাদর-স্বভাব আর অন্যদিকে গাড়ির প্রতি টান! সেই কারনেই আমাদের প্রথম ড্রাইভার আঙ্কেলকে (উনার নাম মনে নাই) আব্বার কড়া নির্দেশ ছিল, আমাকে ড্রাইভিং সিটের ধারে-কাছে যেন যেতে না দেয়া হয়। আর ওই বজ্জাৎ আঙ্কেল আমার শত অনুনয়-বিনয়েও কান দিতেন না। কপাল ভালো, সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় ওনার রিপ্লেসমেন্ট হিসাবে আসেন তৌফিক আঙ্কেল। উনি আমাকে আদর দিয়ে প্রায় মাথায় তুলে ফেলেন (যতোদূর মনে পড়ে, ওনার দুইটা মেয়ে ছিল, কোন ছেলে ছিল না)। প্রায়ই আমার জন্য উনার সাধ্যমতো এটা সেটা নিয়ে আসতেন। ওনার আশকারা পেয়েই আস্তে আস্তে আমি আমার এতোদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হই। স্কুল থেকে ফেরার সময়ে ধানমন্ডি মাঠে আমার স্টিয়ারিংয়ে বসা শুরু।
একদিনের ঘটনা বলি। তখন আমি নাইনে পড়ি। মাঠে গাড়ি চালানোর সময় রিভার্স করতে গিয়ে সামনে স্তুপ করে রাখা ইটের উপর গাড়ি তুলে দিয়েছিলাম (যাদের ফক্সওয়াগেনের এই মডেলটা চালানোর অভিজ্ঞতা আছে, তারা জানেন এটার রিভার্স গিয়ারটা অন্যরকম)। গাড়িতে বেশ খানিকটা ডেন্ট হয়ে যায়। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, তৌফিক আঙ্কেল আব্বাকে জানান, এটা উনার ভুলে হয়েছে। রাস্তায় পার্ক করতে গিয়ে ইটের স্তুপ খেয়াল করেন নাই। উনার বেতন থেকে যেন রিপেয়ারের টাকা কেটে রাখা হয়। সেদিন রাতে খেতে বসে আব্বা আমাকে বলেছিলেন, তৌফিক কিভাবে গাড়ি চালায় আমি জানি। আর আমি এটাও জানি যে, এটা তোমারই কাজ। কলেজে ওঠার আগে আমি যেন আর না শুনি যে, তুমি স্টিয়ারিংয়ে হাত দিয়েছো। আব্বাকে বাঘের মতো ভয় করতাম। তবে সেটা আমাকে কোন অকাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারতো না। কিন্তু তৌফিক আঙ্কেলের আমার প্রতি এহেন ত্যাগের মানসিকতা দেখে আর কোনদিন ওনার কাছে ড্রাইভিংয়ের আব্দার করি নাই।
কলেজে ওঠার পরে হাত একেবারে পাকিয়ে ফেলি। কলেজে পড়ার শেষের দিকে ঘটে আমার জীবনের একটা অন্যতম স্মরনীয় ঘটনা। এক ছুটির দিনে আব্বা আমার হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিয়ে বলেন, চলো বাজার করে আসি। আর দেখি, কেমন গাড়ি চালানো শিখেছো তুমি! আব্বাকে পাশে বসিয়ে সেদিনের গাড়ি চালানোর কথা কোন দিন ভুলবো না। শুধু বলি, টেনশানের কারনে গ্যারাজ থেকে একবারে গাড়ি বের করতে পারি নাই!!
গাড়ি ছিল আমার ধ্যান-জ্ঞান। এমনকি স্বপ্নেও গাড়ি চালাতাম। জীবনের এই পর্যায়ে এসেও সেসব একটুও কমে নাই। ড্রাইভিং সিটে বসলেই আমি অন্যরকমের আনন্দ পাই। ব্লগে আমার প্রথম পোষ্ট যারা পড়েছেন, তারা সেখানে আমার গাড়িপ্রীতির কিছুটা নমুনা পেয়ে থাকবেন। গাড়ি নিয়ে আমি সারাদিন বকর বকর করতে পারি। তবে সেসব করে আপনাদের উপর মানসিক অত্যাচার করার কোন মানে নাই। তাই আপাততঃ এখানেই থামলাম। সময়-সুযোগ হলে আবার কোন একদিন কিছু কথা নিয়ে হাজির হলেও হতে পারি! তাছাড়া, এই খুশী উপলক্ষে আজ সুমনা ভাবীদেরকে দাওয়াত দিয়েছি। অনেক কাজ বাকী!!
আপনাদের কারো গাড়ি চুরি যাওয়ার কোন অভিজ্ঞতা হয়েছে? হলে জানাবেন। চাইলে আলাদা পোষ্টও দিতে পারেন। আমার জন্য এটা ছিল কইলজাতে টান পড়া একটা লাইফ টাইম অভিজ্ঞতা। তবে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আর হতে চাই না ভবিষ্যতে। সেজন্যে পুলিশ স্টেশান থেকে আমার সাথীকে বাসায় নিয়ে আসার পথে একটা স্টিয়ারিং লকও কিনে নিয়ে এসেছি। ডাবল সিকিউরিটিতে থাকুক আমার পথচলার সার্বক্ষনিক সাথী!!
শিরোনামের ছবিটা আমার হারিয়ে ফিরে পাওয়া মানিকের! এখন পর্যন্ত আমি যতোগুলো গাড়ি ব্যবহার করেছি, তার মধ্যে এটাই আমার সবচেয়ে প্রিয়। পুলিশের ছাড় পাওয়ার পর তাকে গোসল করিয়ে ছবিটা তুলেছি।
ক্যামেরাঃ আমার নয়া আইফোন ১২ প্রো!!!
১৪ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: আমার গাড়ি কখনও চোরে নিতে পারে নাই আর আমি কখনই আমার আইফোন দিয়ে আমার গাড়ির ছবি তুলে ব্লগে পোস্ট করি না ।
কারণ আমার আইফোন নাই ।
আমার গাড়িও নাই !
১৪ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দরকার নাই দেইখা কিনেন নাই। দরকার থাকলে অবশ্যই কিনতেন!!
অবশ্য জিনিস যতো কম, ঝামেলাও ততো কম।
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০২
কল্পদ্রুম বলেছেন: ব্রিটেনের চোর তো দেখি খুব একটা দক্ষ না।
১৪ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চোর বেশী সময় পায় নাই। তাছাড়া এখানকার সিস্টেম দক্ষ হওয়াতে চোররা খুব বেশী সুবিধা করতে পারে না।
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১৩
ইসিয়াক বলেছেন: পোস্ট কিছু পড়ি নাই তবে পোস্টের ছবিটা দেখে মনে হয় এইটা আপনার গাড়ি। রংটা সুন্দর।
এখন ঘুমাবো তারপর টিউশনিতে যাবো তারপর বাসায় এসে আপনার পোস্ট পড়ব।
এখন ঘুমাই।
১৪ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোষ্ট না পইড়া লাইক দিছেন! আপনের নামে তো মামলা হবে।
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: গাড়ি আর আইফোন। তাও আইফোন আবার নতুন কেনা। ভালো।
ক্লাশ নাইনের একটা বাচ্চা ছেলে কেন গাড়ি চালাবে? মনে হয় পাকনা বাচ্চা।
১৪ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ক্লাশ নাইনের ছেলে বাচ্চা? আপনি না ঢাকায় ঘুরে বেড়ান!
ঢাকার কতগুলো মিনিবাস, টেম্পু, হিউম্যান হলার ইত্যাদির ড্রাইভাররা এই বয়সের, আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে!!
৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
চুরি হওয়াতে ব্লগারেরা আপনার গাড়ী দেখার সুযোগ পেলেন; শীঘ্রই আপনার ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক হবে ও টাকাটা উদ্ধার হবে, ভুলে হীরার আংটিটা কাজের ডেস্কে ফেলে বাড়ী চলে আসবেন ও রাতে ঘুমানোর আগে মনে পড়বে, ও ঝড়ে আপনার বাড়ীটার সামান্য ক্ষতি হবে।
১৪ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিপদ তো মানুষের জীবনে আসেই। আপনের আশির্বাদে দেখি সব বিপদ থিকাই উদ্ধার পামু!! আপনের মুখে ফুল আর চন্দন একসাথে পড়ুক। আবর্জনার গন্ধ কাটানোর জন্য এইটা খুবই উপযোগী!!
৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " বিপদ তো মানুষের জীবনে আসেই। আপনের আশির্বাদে দেখি সব বিপদ থিকাই উদ্ধার পামু!! আপনের মুখে ফুল আর চন্দন একসাথে পড়ুক। আবর্জনার গন্ধ কাটানোর জন্য এইটা খুবই উপযোগী!! "
-আপনার নিকে ১টা মাত্র বিশেষণ, "ভুয়া" যোগ করেছেন, মনে হয়, আরো ২/১ টা যোগ করা সম্ভব।
১৪ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে মুরুব্বী মানুষ, সাজেশান দ্যান......চিন্তা কইরা দেখি!!
৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৭
ইসিয়াক বলেছেন: রুদ্ধ শ্বাস অভিজ্ঞতা।
ভালো লাগছে আপনার পছন্দের গাড়ীটি ফিরে পাওয়াতে। আশা করি এই উপলক্ষে শুধু সুমনা ভাবি না সম্মানিত ব্লগারবৃন্দ একটা ভোজের নেমন্তন্ন পাওয়ার দাবি রাখে। এত কষ্ট করে আপনার ব্লগ পড়ি,মন্তব্য করি, আমাদের অগ্রাধিকার আগে কিনা কন ।
১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগারদেরকে দাওয়াত দিতে হবে কেন? আমার বাড়ি ব্লগারদের জন্য অলটাইম খোলা। যে কেউ যে কোনও সময়ে আসতে পারে। আমার বাড়িকে নিজের বাড়ি মনে করবেন। কবে আসবেন, শুধু জানাবেন।
অগ্রাধিকার আগে কিনা কন । আবার জিগায়!!!
৯| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৯
ইসিয়াক বলেছেন: আজকে ব্লগের সবাই কোথায় গেছে? কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে ।
১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোথাও কোন অনুষ্ঠান আছে নাকি? আসলে ব্লগটা দিন দিন কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে..........আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি আস্তে আস্তে!
১০| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: এইভাবে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে থাকুন। ভবিষ্যতে হয়তো এই ''অভিজ্ঞতা'' আপনাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখা যাক, সামনে নাকি পিছনে নেয়! সময়েই বলে দিবে।
১১| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:৫৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা ভাল লাগল। গাড়িটা সুন্দর , কি মডেলের এটা?
১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা ওয়ান সিরিজের।
১২| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ২:৪৩
সোহানী বলেছেন: ওই মিয়া, চোর গাড়ি নিসে তো কি হইসে!!! লেটেস্ট মডেল কিনবেন। এরপর অটো গাড়ি কিনবেন যাতে চাবি লক ট্রাকারের দরকার হয় না। গাড়ির পাশে আসলেই বাড়ির পাহাড়াদার কুত্তার মতো ঘেউ ঘেই কইরা উঠবো।
লন্ডনের চোর শুইনাতো আমার মাথায় হাত। বাড়ির ড্রাইভওয়ে থেইকা গাড়ি নেয়.......... হায় আল্লাহ। এইখানে তো সাইধা দিলেও কেউ চুরি করে না। আর করলেই কি!! ইন্সুরেন্স আছে না। নেক্সট হবে নতুন গাড়ি
তবে ভাইজান, এবার বলি মাঝে মাঝে লেজ চেক চালায়ে যান। জানেনইতো, লেজ গজানোর কোন বয়স নাই
(অফ দা রেকর্ড: গাড়ি চালানোর মতো বাজে কাজ আর নাই। তার চাইতে পাশের সিটে বইসা সেলফি মেলফি তোলা অনেক আনন্দের । কিন্তু আমার কপাল পোড়া.......)
১৫ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের মতোন গাড়ি চালাইন্যা জ্ঞানী ব্লগার যদি এই রকমের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়, তাইলে আমার মতোন বাচ্চা ব্লগারেরা কি শিখবো?
গাড়ি চুরির পরে এই চুরির সিস্টেম নিয়া অনেক ইস্টাডি করছি। আপনের মন্তব্য পইড়াও ইকটু করলাম।
এরপর অটো গাড়ি কিনবেন যাতে চাবি লক ট্রাকারের দরকার হয় না। গাড়ির পাশে আসলেই বাড়ির পাহাড়াদার কুত্তার মতো ঘেউ ঘেই কইরা উঠবো। আমার গাড়িতে চাবি নাই, ফব আছে (এইটা পোষ্টেই কইছি। মনোযোগ দিয়া পড়েন নাই!!!)। ফব ছাড়া গাড়ির দরজা খুললে ঘেউ ঘেউই করে (এলার্ম ফিটেড)। এখন চোর ফবের কোড ডিকোড কইরা যে দরজা খুলতে পারে, এইটা আপনে না জানলে আমি কি করতাম? এই ডিকোডের কারনে গাড়ির কম্পিউটার বুঝে না যে চোরে দরজা খুলছে, হের লাইগা এলার্মও বাজে না। আর ট্র্যাকার এক্সট্রা সিকিউরিটি। এইটা বিল্ট ইন থাকে না। আপনে চাইলে লাগাইতে পারেন। আমি আলাদা কিন্যা লাগাইছি।
লন্ডনের চোর শুইনাতো আমার মাথায় হাত। বাড়ির ড্রাইভওয়ে থেইকা গাড়ি নেয়.......... হায় আল্লাহ। এইখানে তো সাইধা দিলেও কেউ চুরি করে না। ভুল তথ্য দিছেন। http://www.statista.com অনুসারে ২০১৯-২০২০ কানাডাতে প্রতি এক লাখ গাড়ির মধ্যে ২৩২টা গাড়ি চুরি হইছে। এইটা রিপোর্টেড। আনরিপোর্টেডও আছে।
ইন্সুরেন্স আছে না। নেক্সট হবে নতুন গাড়ি ইন্স্যুরেন্স তো আপনেরে নতুন গাড়ির ট্যাকা দিবো না। চুরি হওয়া গাড়ির মার্কেট প্রাইসের উপ্রে ভিত্তি কইরা একটা এমাউন্ট দিবো। সেইটার লগে আরও অনেক ভরতে হইবো নতুন গাড়ির জন্য। উপরন্তু একটা ক্লেইম করনের কারনে আপনের আপকামিং গাড়ির প্রিমিয়ামের রেট বাইরা যাইবো। তো লাভ দেহেন কুনহানে?
তবে ভাইজান, এবার বলি মাঝে মাঝে লেজ চেক চালায়ে যান। জানেনইতো, লেজ গজানোর কোন বয়স নাই ) আর চান্স নাই। বডির গ্রোথ চল্লিশের পরে থাইমা যায়! নতুন কইরা আর কিছু গজাইবো না!!
আমি সেলফি মেলফি তুলি না। গাড়ি চালানোতেই আমার আনন্দ!!!
১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:৫৯
কোলড বলেছেন: Nice color! BMW (X5) is fun to drive but not to ride. Mercedez (GL450) was like Toyota to drive but riding was best so far.
Try Porache Macan GTS. Its mind blowing to drive.
১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা X5 না, ওয়ান সিরিজের E87. সব গাড়ি তো আর এই জীবনে ট্রাই করা সম্ভব না। আমার কাছে এটাই ভালো লাগে। ব্র্যান্ড হিসাবে মার্সেইডিস বলেন, আর পোর্শে, কোনটাই পছন্দ না। আমি বিএমডাব্লিউ এর একজন ডাই হার্ড ভক্ত!
১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:২৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: মজা লাগল পড়তে লেখাটা।
গাড়ি নিয়ে আমার বেশ কিছু লেখা আছে। মনে হয় ব্লগে পোষ্ট দেই নাই কখনো।
গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে থাকলে বেশ অন্যরকম লাগে। গাড়ি চুরির অভিজ্ঞতাও আছে।
১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
গাড়ি নিয়ে আমার বেশ কিছু লেখা আছে। মনে হয় ব্লগে পোষ্ট দেই নাই কখনো। কোথায় দিলেন তাহলে? এমনিতেই আপনি সব কঠিন কঠিন লেখা দেন, পড়ে সুবিধা করতে পারি না। বরং ওই লেখাগুলো ব্লগেও দিয়ে দেন।
গাড়ি চুরির অভিজ্ঞতাও আছে। এটাই বরং লিখে ফেলুন।
১৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১১
আমি সাজিদ বলেছেন: দারুন লাগলো। জলদিই কিনবো কয়েকবছরের মধ্যে ইনশাআল্লাহ। তখন ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা কেমন লাগে নিজে বুঝতে পারবো।
১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিনে ফেলেন। গাড়ি এখন আর কোন বিলাস দ্রব্য না, দরকারী জিনিস। ড্রাইভিং পারেন নিশ্চয়ই!
দেশে আমি খুব রাফ ড্রাইভ করতাম। এখানে এসে সিধা হয়ে গিয়েছি!!
১৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: দুনিয়ার অন্যতম ধূর্ত জাতি বৃটিশ। কিন্তু বৃটিশ চোরটা বোকার হদ্দ!
১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাইজান, পোষ্টটা মনযোগ দিয়ে পড়লেই বুঝতে পারতেন, চোরটা বোকার হদ্দ না। ওর ভাগ্যটা স্রেফ খারাপ ছিল।
১৭| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনি গাড়ি প্রেমিকও বটে।
১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হয়........ঠিকই কইছেন!!
১৮| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সব কথা আমি বিশ্বাস করতে চাই। কিন্তু আপনার ভূয়া মফিজ নামটার জন্য খটকা লাগে।
১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সমস্যা মনে করলেই সমস্যা।
আমিও আপনার সব কথা বিশ্বাস করতে চাই। কিন্তু সকাল-বিকাল একেক কথা বলেই তো ঝামেলা পাকান। আর আপনার সব পোষ্টেই ''শাড়ি পরা, চোখে মোটা করে কাজল দেয়া, দু'হাত ভর্তি কাচের চুড়ি পড়া মায়াবতী চেহারার একটা মেয়ে'' এসে হাজির হয়। আর আপনাকে কোক-বার্গার খাওয়ায়!!! কেমনে কি?
১৯| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
অসাধারণ মুন্সিয়ানায় লাইফটাইম অভিজ্ঞতার স্কেচ এঁকেছেন। সাথে দারুন কিছু স্মৃতিচারণ! একটানে পড়লাম। +
শুভকামনাসহ।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রিয়জনদের কাছে স্মৃতিচারণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে আপনার করা প্রশংসা বেশী বেশী হয়ে গিয়েছে।
আপনার জন্যও শুভ কামনা।
২০| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ১- আপনি যে রুপান্তরিত- বিষয়টি অকপটে স্বীকার করায় আপনার সত্যবাদিতাকে সম্মান জানাই। যদিও নিন্দুকরা আবার আপনার ভূয়া নামে খোঁচা দেবেন। তবে আপনি এসবে ডরাবেননা বলে আমার বিশ্বাস। যদিও আপনি তো জানেন আমার সাদা মনে কাঁদা নেই।
২-বড়খালা এখনও লেজ চেক করার কথা জিজ্ঞেস করেন? আমরা এমন বলতে যে শরম পাই। না আজ কষ্ট করে হাসি চেপে রেখেছি। আপনি তো আবার হেহেহে করে হাসলে সহ্য করতে পারেননা।
৩-গাড়ি চুরির কথা জানতে চেয়েছেন।দুচাকার সাইকেল কি এর মধ্যে পড়ে? গাড়ি বলতে আমার এটাই ছিল। যাইহোক প্রকৃতি বান্ধব এই দুই চাকার বাহনের উপর লক্ষ্য গেল এক চোরের। শুক্রবার হাটে রেখে হাট করে এসে দেখি সাইকেল নেই। আমি শুরুতে একটু খুঁজলেও বুঝতে পারি ঘটনা কি।চুরি গেছে বুঝে মজা পেয়েছিলাম, ব্যাটা আজ বুঝবে এই সাইকেল চুরির মজা। উল্লেখ্য আমার সাইকেলের কোন ব্রেক স্যু,বেল, প্যাডেল, লক নেই।যে একবার হাত দেয় সে আর কখনও নাম নেয়না। বিষয়টি নিয়ে মনে মনে বেশ গর্ব লাগতো। দুটি টায়ারে বেশ কয়েকটি গ্যাটিশ থাকায় হাওয়া কম রাখতে বাধ্য ছিলাম। পাশের গ্রামে স্লো সাইকেল প্রতিযোগিতায় আমার এই গাড়িকে ওরা অ্যালাও করেনি। সেদিন অবশ্য বেশ খারাপ লেগেছিল। ওদের বাহানাক্কা ছিল সাইকেল হতে হবে।অথচ আমারটা যেন সাইকেল নয়; আপনার কথায় রুপান্তরিত ভ্যান বা এই জাতীয়। যাইহোক মনে হতো এমন সাইকেল কখনও চুরি হবেনা। কিন্তু বাস্তবে সেটাই হলো একদিন। ঘটনার পরের দিন হাতে গোনা যেকটি টিউশনি ছিল তাদের বাবা-মাকে বললাম যদি মাসের টাকাটা কটা দিন আগে দেন তাহলে পুরানো একটা সাইকেল কিনতে পারি।গ্রামের অভিভাবকরা কেউ রাজি হলোনা।উল্টে পাট বিক্রি না হওয়ায় এমাসের টাকা দিতে দেরি হবার কথা একজন অভিভাবক জানালো।মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। কয়েকদিন হেঁটে হেঁটে সব কাজ সারলাম। শিক্ষা পেলাম যত খারাপই হোক কোনো কিছু ফেলনা নয়। পরের সোমবার নেহাত আগ্রহ বশত সন্ধ্যা বেলায় হাট থেকে ফেরার সময় একই স্থানে গেলাম। গিয়ে দেখি আমার সাইকেল ঠিক একই ভাবে একটা পরিত্যক্ত দেওয়ালে ঠেস দেওয়া আছে। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। যাইহোক সেই কঠিন সময়ে ঐ ভাঙাচোরা সাইকেলকে ফেরৎ পাওয়া আমার কাছে লাখ টাকার লটারি জেতার সমান ছিল।
চলে যাওয়ার আগে একটা প্রশ্ন না করে পারছি না। জনৈক ব্লগার আপনার পোস্টটিকে লাইক করেছেন। আমি অবশ্য বেশ কয়েকবার চেক করে দেখেছি লাইকটি জেনুইন। আপনার আইডিতে পরিচিত ব্লগারের আঙ্গুলস্খলনটি জেনুইন কিনা চেক করার অনুরোধ রইলো।আর যদি ভুয়া লাইক না হয় তাহলে এতদিন আপনাদের গট আপ কেস প্রকাশ্যে আসায় আপনাদের নয়া অভিসন্ধি নিয়ে জাতির মনে ব্লাকহোলের ন্যায় প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিতে পারে আগাম জানিয়ে রাখলাম। হুঁ...
১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ১। আমি নিজেকে রাজীব নূরের মতো সত্যবাদী বলে দাবী করি না। মিথ্যা আমি অবশ্যই বলি; তবে যেখানে না বললে বিপদে পড়বো, সেখানে। শখের বশে আজাইরা মিথ্যা বলা আমার সিস্টেমে নাই। আর নিন্দুকদেরকে আমি ততোটাই গুরুত্ব দেই, যতোটা বাঘ পাচমিশালী সব্জিকে দেয়!
২। বড়খালা বর্তমানে আমার লেজের চাইতে উনার স্বাস্থ্য নিয়ে বেশী চিন্তিত!!
৩। দেশে দেখেছি রিক্সাওয়ালারা তাদের রিক্সাকে অনেক সময়ে গাড়ি বলে। সেই হিসাবে সাইকেলকে আপনি গাড়ি বলতেই পারেন। আবার সেই হিসাবে এটা আমার দ্বিতীয় গাড়ি চুরি। কারন, এর আগে আমার ব্যাকইয়ার্ড থেকে আমার সাইকেল চুরি গিয়েছিল। সেটা অবশ্য ফেরত পাই নাই।
আপনার সাইকেল চুরির অভিজ্ঞতাটা দারুন। সেই সময়ের জন্য ওটা ছিল দুঃখের, আর বর্তমান সময়ের জন্য আনন্দময় স্মৃতির। এই জন্য হাসবো, নাকি কাদবো বুঝতে পারছি না। কনফিউজড!!!
আপনার সাইকেলে ব্রেক স্যু, বেল, লক ইত্যাদি নাই থাকতে পারে, কিন্তু প্যাডেল থাকবে না কেন? মশকরা করেন?
জনৈক ব্লগারের লাইকের ঘটনাটা আপনার সাইকেল চুরির চাইতেও আশ্চর্যজনক নিঃসন্দেহে। এখন আমরা চাইলে অনেক কিছুই ধারনা বা অনুমান করতে পারি, প্রফেসর হাওলাদার (জ্যোতিষী) সাজতে পারি; তবে এতোকিছু করে কি লাভ? শুধু শুধু সময় নষ্ট। আপনার কি নষ্ট করার মতো সময় আছে? আমার নাই......কারন আমাকে গোটা বৃটেন চালাতে হয়। তবে একটা কথা কিন্তু ঠিক.....উনি আমাকে ছোটভাই হিসাবে অত্যন্ত স্নেহ করেন! সেটার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে দেখলে কিন্তু আর কোন সমস্যা থাকে না, কি বলেন!!
আপনে কি শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রাইভেট গোয়েন্দাগিরির সাইড ব্যবসা করেন?
২১| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩০
জুন বলেছেন: আসতে আসতে সময় লাগলো, আমার গাড়ি আবার গরুর গাড়ি কিনা
চোর সবদেশেই হয় বদনাম শুধু বাংলাদেশের আর দোলাই খালের ইঞ্জিনিয়ারদের
কারন তারা নাকি ৫ মিনিটেই গাড়ির বডি পার্টস সব আলাদা কইরা ফেলতে পারে! কি ট্যালেন্ট
আপনার মত অভিজ্ঞতা আমারও আছে তবে ছেলের স্কুলে থাকতেই ড্রাইভারের কাছ থেকে চাবি নিয়ে বাসায় ফিরতো। পরে বাবা জানতে পেরে ছেলের জেলে যাওয়া রুখতে বাধ্য হয়ে ১৮ বছর না হতেই লাইসেন্স বানিয়ে দিয়েছিল। কি এক অবস্থা। তার আপনার মত অসম্ভব গাড়ি প্রীতি। এই ব্যাপারে তার অসীম গিয়ান।
যাই হোক আপনার গাড়ি ফেরত পাওয়া এবং সেই উপলক্ষ করে লুকজন দাওয়াত দেয়া ভালোই সিস্টেম আমার তো সন্দেহ হয় আপনেই রাতের বেলায় কান্ট্রি সাইডে গাড়ি রাইখা আসছিলেন যাতে উনাদের দাওয়াত দেয়া যায়
নইলে এত সেফটি মেজার নেয়ার পর আর ছবিটা দেইখা মনের মধ্যে উকি দিল "আরে আমার খোদা এই গাড়িও বিদ্যাশে চুরি হয়"
১৬ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঢাকায় যেই জ্যাম, গাড়ি আর আপনের গরুর গাড়িতে কোন তফাৎ নাই। বরং আপনের গরুর গাড়িই ভালো। পরিবেশ-বান্ধব! আপনের সচেতনতা দেইখা আমি মুগ্ধ!!!
আমাগো ধোলাই খালের এন্জিনিয়াররা আসলেই ট্যালেন্ট, কোন সন্দেহ নাই। আপনার মত অভিজ্ঞতা আমারও আছে তবে ছেলের স্কুলে থাকতেই ড্রাইভারের কাছ থেকে চাবি নিয়ে বাসায় ফিরতো। যাক, তাইলে আমার মতোন একজন পাওয়া গেল!! বাংলাদেশে ১৮ বছরের নীচের কেউ গাড়ি চালাইলে জেল হয় নাকি? কন কি? তাইলে কতো পিচ্চি পিচ্চি যে দেখি মিনিবাস, টেম্পু চালায়!! ঘটনা তো বুঝলাম না।
আমার তো সন্দেহ হয় আপনেই রাতের বেলায় কান্ট্রি সাইডে গাড়ি রাইখা আসছিলেন যাতে উনাদের দাওয়াত দেয়া যায়
নইলে এত সেফটি মেজার নেয়ার পর সেফটি মেজার নিতে কই দেখলেন? এইটাও বুঝলাম না। ইদানীং আপনে উচ্চ-মার্গীয় কথা-বার্তা বেশী কন......বুঝতে কষ্ট হয়!!
আর ছবিটা দেইখা মনের মধ্যে উকি দিল "আরে আমার খোদা এই গাড়িও বিদ্যাশে চুরি হয়" তাইলে এহন বুঝেন অবস্থা!! চোররাও আইজ কাইল কত্তো নীচে নামতে পারে!!!
২২| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বিদেশ তো তাও গাড়ীটা ফেরত পাইছেন আলহামদুলিল্লাহ
কবে যে গাড়ীর মালিক হইমু কেডা জানে। তাসীনের বাপরে কইলে কয় অফিসের কাছে বাসা
১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিদেশেও যে সব সময়ে গাড়ি ফেরত পাওন যায়, বিষয়টা এমন না। কপাল খারাপ থাকলে ভিন্ন কিছুও ঘটে। আমার ক্ষেত্রে আমার কপাল ভালো ছিল, আর চোরের খারাপ!!
তাসীনের বাপে ঠিকই কইছে। দরকার না থাকলে গাড়ির কাম কি? দ্যাশে যানজট বাড়ায়া লাভ আছে কোন?
২৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৭
ওমেরা বলেছেন: দেখতে আসলাম ব্লগ চেয়ারম্যান নাকি আপনার আর আমার পোষ্টে লাইক দিয়ে আমাদের উৎসাহিত করতেছে।
ভাগ্য ভালো আপনার গাড়ি পুড়িয়ে দেয়নি।
১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি আমার পোষ্টে এসেছেন লাইক দেখতে.......পোষ্ট পড়তে আর লাইক দিতে না!! বিষয়টা হতাশাজনক, আর একই সঙ্গে দুঃখজনক!!!
২৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: আগেই পড়েছি, কিন্তু ভয়ে আমার এমন গলা শুকায়ে গেল যে আর মন্তব্য করতে পারলাম না! এখন ভয় একটু কমলেও আপনার কাহিনির কিছু অংশ মনে পড়লে এখনো আৎকে উঠি। আর গাড়ি... আমারও একখান আছে কিন্তু ওটা চুরির কোন ভয় নাই আমার। এখন বলেন:
১) গল্পে ভয়ের কী আছে?
২) আমার গাড়ি চুরি যাবার ভয় নাই কেন?
প্রশ্ন ফাঁস করলাম, উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। না পারলে সঠিক উত্তর বলে দেব।
১৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুতের গল্প তো লিখি নাই, ভয়ে গলা শুকায়ে গেল কেন আপা? ভয়ের একটা ব্যাপার হতে পারে, আমি যদি সত্যি সত্যিই মেয়ে হয়ে জন্মাতাম, তাহলে তো আর 'ভুয়া মফিজ' নিক নিতাম না, হয়তো ব্লগিংও করতাম না!
তবে, এটাতে ভয়ের কিছু নাই, কিছুটা টেনশানের ব্যাপার আছে। ঝামেলায় ফেললেন, আমার আবার এসব ধাধা টাধা সলভ করায় ভীষণ অলসতা। যাই হোক, একটু চেষ্টা করি।
১। এটা অবশ্য আমার বউ বলার পরে আমি ভেবেছি। সেটা হলো, ঠিক চুরির সময়টাতে যদি আমি বিড়ি ফুকতে বের হতাম, তাহলে শারিরীক হামলার খুব ভালো সম্ভাবনা ছিল। মাথায় কোপ বা লাঠির বাড়ি দিলেও দিতে পারতো।
২। আপনার গাড়ির সাথে সব সময় একজন ড্রাইভার থাকে, যেটা দেশে খুব সাধারন একটা প্র্যাকটিস!!
এর চাইতে বেশী কিছু আমার মাথা থেকে বের হবে না। ''সঠিক উত্তর'' বলার আবেদন রইলো।
২৫| ২০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০১
করুণাধারা বলেছেন: ভয় আপনার গাড়ির জন্য না, অন্য কথা ভেবে... ধরেন, আপনি যদি মেয়ে হয়ে জন্মাতেন, তাহলে অবস্থাটা কি হতো বুঝতে পারছেন!! একেতো আমরা ভুয়া মফিজকে পেতাম না, তারপর আপনার জীবন যে কী কষ্টময় হতো... ভয় এসব ভেবে। তিন কন্যা পর্যন্ত যাও বা চলে, চার নাম্বারের বেলায় মনে হয় মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়ে মহা অপরাধ হয়ে গেছে, মায়ের মনঃকষ্টের কথা আর বললাম না! আপনি ছেলে হওয়ায় আপনার মা যে খুশি হয়েছিলেন, সেই তুলনায় লেজবিহীন বাঁদর আপনাকে মানুষ করা উনার জন্য তেমন কোন কষ্টদায়ক হয়েছিল বলে মনে হয়না।
আপনার হুমায়ূন ভাইয়ের ভাগ্যিস তিন কন্যার পর ছেলে হয়েছিল...
আপনার গল্প গাড়ি নিয়ে, কিন্তু আমার চেনাজানা সব মায়েদের কথা মনে পড়লো, যাদের কারো কারো পরপর সাতটা মেয়েও হয়েছে, এক পুত্রসন্তানের জন্য!!
যাকগে, এটা এক নম্বর উত্তর। দুই নম্বরের উত্তর খুবই সোজা, আমার গাড়িটা এতোই ভাঙ্গা যে ঠেলে নিয়ে যেতে হবে ভেবে ওই গাড়ি কেউ চুরি করে না, করবে না।
২৪ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক.....আল্লাহ যাহা করেন, ভালোর জন্যই করেন। তবে এখন চিন্তা করি, মেয়ে হলেও খারাপ হতো না!! না হয় ভুয়া মফিজা-ই হতাম!!
নাহ্, আম্মা আমার অনেক বাদরামী সহ্য করেছেন। তবে এটা ঠিক, আমার পরে আরেকটা ভাই হওয়াতে আমার মনোপলি মার্কেট একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও পরিবারের বড় ছেলে.......ভাবসাবই আলাদা, কি বলেন!!
একের পর এক মেয়ে হওয়ার পরেও পুত্র সন্তানের জন্য চেষ্টা করা এখন আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়। তবে সেই সময়ে এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপারই ছিল।
আমার গাড়িটা এতোই ভাঙ্গা যে ঠেলে নিয়ে যেতে হবে ভেবে ওই গাড়ি কেউ চুরি করে না, করবে না। আপনার এই চাপাবাজি বিশ্বাস করলাম না। স্যরি!!!
২৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৫৮
ঢুকিচেপা বলেছেন: বাহ্ আপনি তো খুব সুন্দর বৃটেন চালাচ্ছেন!!!! নিজের গাড়ী চুরিও হচ্ছে আবার ফেরতও পাচ্ছেন।
২৭ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি চালাচ্ছি বলেই তো ফেরত পাচ্ছি, অন্য কেউ চালালে কি আর পেতাম? নেতৃত্ব একেই বলে!!!
২৭| ২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০৫
শায়মা বলেছেন: আহারে ভাইয়া। গাড়ি হারানোর দুস্ক আমার জানা আছে। একবার গাড়ি নিয়ে চোর বেশিদূর যেতে পারেনি। ফেলে রেখে পালিয়েছিলো। আবার ফিরেও পেয়েছিলাম। আরেকবার ফিরে পাইনি ! আহা সেই দুখ মরমে বাজে.......
তোমার গাড়ি ফিরে পাওয়ার অভিনন্দন........ !!!!
২৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাহ.....তোমার তো দেখি ডাবল অভিজ্ঞতা আছে এই ব্যাপারে!!
প্রথম চোরটা তোমাকে চিনতে পেরেছিল, দ্বিতীয়টা বোধহয় চিনে নাই!!!
২৮| ২৭ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
কাপতে কাপতে ? সিরিয়াসলি ???? ভুমও তাহলে কাপে হোক সেটা গাড়ির শোকে !
আমি ভেবেছিলাম ভুম মানে নো কাপাকাপি
তিন বোনের পর ভুমের আগমন, এখন বোঝা গেছে শাখামৃগ হবার পেছনের রহস্যটা কি
যাক, পরিশেষে গাড়ি পাওয়া গেছে এর চেয়ে আনন্দ আর কি হতে পারে । গাড়িকথন মজা লেগেছে ।
নাহ আমার এরকম অভিজ্ঞতা নেই কিন্তু ফ্রেন্ডেরটা চুরি হয়েছিলো ।
পরে পাওয়া গেছে , রাস্তার পাশেই রেখে গেছে কিন্তু ভেতরে রাখা সব মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টগুলো নিয়ে গেছে ।
বাই দ্যা ওয়ে, গোসল দেয়া ভুমের সোনা মানিক বাচ্চাটাকে কিন্তু দারুণ লাগছে
৩০ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা রাগের কাপা কাপি, শোকের না। চোর ব্যাটাকে ধরতে পারলে তো চাবায়ে খেয়ে ফেলতাম!!
রাস্তার পাশেই রেখে গেছে কিন্তু ভেতরে রাখা সব মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টগুলো নিয়ে গেছে । হ্যা, এটাও গাড়ি চুরির একটা ধরন......পারসোন্যাল বিলোংগিংস নিয়ে যাওয়া। এই চান্সে ইন্সু্রেন্স কোম্পানীগুলোও ব্যবসা ফেদে বসেছে, গাড়ির ভিতরের জিনিসপত্রের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য, আলাদা প্রিমিয়াম চার্জের মাধ্যমে!
বাই দ্যা ওয়ে, গোসল দেয়া ভুমের সোনা মানিক বাচ্চাটাকে কিন্তু দারুণ লাগছে থ্যাঙ্কু.....থ্যাঙ্কু!!! এটা আমি বলি নাই, আমার সোনামানিক বাচ্চাটা বলেছে!!
২৯| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরার গাড়ী্ও নাই! অভিজ্ঞতাও নাই! পদাতিক ভায়া মতন সাইকেল গাড়ী অবশ্য ছেল
হা হা হা
আফনেগোডা পইড়া পইড়া গিয়ান বাড়াই !
প্রিয় জিনিষ হারানোর জ্বালা আর ফিরে পাবার আনন্দ- দুটোই দারুন ফুটেছে।
লাইফ টাইম অভিজ্ঞতায় কত্ত কিছু জানা হলো।
ফুল চন্দনে গন্ধ ঢাকার বুদ্ধিটা জুশ থুরি জোস হইছে হা হা হা
+++++
৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঢাকার এখন যা অবস্থা, তাতে পেরাইভেট ব্যবহার না করনই ভালা। আপনেগো সরকার যেমন উপ্রে-নীচে টেরেন লাইন বসাইতাছে......গাড়ি কিনে কুন হালায়! তয় আমাগো এইখানে গাড়ি ছাড়া এক পা'ও চলা যায় না। অতীব দরকারী একটা বস্তু!
ফুল চন্দনে গন্ধ ঢাকার বুদ্ধিটা জুশ থুরি জোস হইছে হে হে হে.........!!!
৩০| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৪৩
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ চোর বেটা আমাকে চিনলে কি আর সাহস পেত!!!
আহারে বেচারা আমি!!!!!
৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি তো আগের মন্তব্যেই বলেছি, গাড়ি নেয়ার পরপরই প্রথম চোরটা যেভাবেই হোক, এটা কার গাড়ি জানতে পেরেছিল। তখন তার অবস্থা হয়েছিল, ভিক্ষা চাই না মা, কুত্তা সামলা এর মতো। ফলে, এখন আমাকে কে বাচাবে চিন্তা করেই গাড়ি ফেলে ভেগে গিয়েছিল।
আর দ্বিতীয় চোরটা চিনে নাই দেখেই এই দুঃসাহস করেছিল!!!
৩১| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৫
শায়মা বলেছেন: আহারে দ্বিতীয় চোরটা আমাকে এখনও চিনলো না কেনো???
কেনো কেনো কেনো!!!!!!!!!!!!!!
৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দ্বিতীয় চোরটার বুদ্ধিশুদ্ধি কম ছিল। বেকুব হলে যা হয় আর কি!! আমি নিশ্চিত......সেই গাড়ির গতি করতে গিয়েই ওর বিরাট শিক্ষা হয়েছিল।
৩২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৩
মা.হাসান বলেছেন: আপনার আরেক জন সবার চেয়ে বড় ভাই ছিলেন, ছোটো বেলায় মেলায় হারিয়ে গিয়েছিলেন, প্রায় পঞ্চাশ বছর পর ফিরে পেয়েছেন, সেই কথা গোপন করে গেলেন।
সাদা মেমের জন্য সাদা গাড়ি, নীল চোখের মেমের জন্য মনে হয় নীল গাড়ি।
ফিট ফেটিশ শুনেছি, ফুড ফেটিশ শুনেছি, এবার কার ফেটিশ দেখলাম । জগৎ কতই না বৈচিত্রময়।
৯৯৯তো ইমার্জেন্সির জন্য। চোর ড্রাইভওয়েতে থাকলে ইমার্জেন্সি হিসাবে গন্য করা যায়। গাড়ি বের হয়ে গেলে এর পরে আর ইমার্জেন্সি থাকার কথা না, ৯৯৯এ ডায়াল না করে লোকাল পুলিশ স্টেশনের নাম্বারে ডায়াল করার কথা। ৯৯৯এ ডায়াল করলে অপারেটরের প্যাদানি খাবার কথা।
কি ফোব যখন ডিকোড করতে পেরেছে তখন ছিচকে চোর না, প্রফেশনাল বলে মনে হয়। এদের কাছে পুলিশ ব্যান্ডের রেডিও থাকার কথা। আধা ঘন্টার মাঝে রিপোর্ট করেছেন, পুলিশ পাত্তা লাগিয়েছে, চোরেরা রেডিওতে কথা শুনে টের পেয়ে পালিয়েছে; গাড়ি পাওয়া গেছে। দেরি হলে পাওয়া নাও যেতে পারতো।
সিগারেট ভালো অভ্যাস। আধা ঘন্টা পর পর বিড়ি খেলে চোরাই গাড়ি ফিরে পেতে সাহায্য করে। সিগারেটের জন্য বের না হলেতো গাড়ি হাপিশ হয়ে যেতো। আপনি সিগারেট কোম্পানিগুলোর সাথে কথা বলে বিজ্ঞাপনের জন্য আপনার গল্পটা বেঁচতে পারেন, মডেলও হয়ে যেতে পারেন, কিছু পয়সা আসবে, বড় ভাইয়ের মতো সেলিব্রেটিও হয়ে যেতে পার্বেন।
বাংলাদেশের পুরাতন কালচার হলো চোরেরা চুরি শেষ করে গৃহস্বামীর জন্য উপহার স্বরূপ বাসায় পটি করে রেখে যায়। বিলাতি চোর কিছু উপহার রেখে যায় নি?
আরেকটা কথা। ফরেনসিক রিপোর্টে নতুন প্রিন্ট না আসলে সন্দেহ কিন্তু রয়েই যায়, অনেকদিন ...ভাবিদেরকে দাওয়াত দেয়া হয়নি, দাওয়াত দেয়ার অজুহাত খুঁজতে নিজেই কিছু করে বসেন নি তো?
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইটা দেশাতো বড় ভাই। ফিরা পাওনের কিছু নাই.......হারাইলে না পাওনের প্রশ্ন। তয় এই জিনিস হারায়া যাওনই ভালা।
ফিট ফেটিশ শুনেছি, ফুড ফেটিশ শুনেছি, এবার কার ফেটিশ দেখলাম এইটারে ম্যানিয়া বা ফেটিশ না বইলা অবসেশান কওনই ভালা।
৯৯৯এ ডায়াল না করে লোকাল পুলিশ স্টেশনের নাম্বারে ডায়াল করার কথা। ৯৯৯এ ডায়াল করলে অপারেটরের প্যাদানি খাবার কথা। আপনে কোন আমলে বিলাতবাসী ছিলেন, আল্লাহ মালুম। এখন সবই নেটওয়ার্কের খেলা। পোষ্ট কোড দিয়া দিলে এইটা লোকালে তারাই পাঠায়া দেয়, জনগনের কাম খালি একটা নাম্বারে কল করা।
কি ফোব যখন ডিকোড করতে পেরেছে তখন ছিচকে চোর না, প্রফেশনাল বলে মনে হয়। এদের কাছে পুলিশ ব্যান্ডের রেডিও থাকার কথা। আধা ঘন্টার মাঝে রিপোর্ট করেছেন, পুলিশ পাত্তা লাগিয়েছে, চোরেরা রেডিওতে কথা শুনে টের পেয়ে পালিয়েছে; গাড়ি পাওয়া গেছে। দেরি হলে পাওয়া নাও যেতে পারতো। এই তো! আপনে আসল ঘটনা প্রায় ধরতে পারছেন। দ্যাহেন, উপ্রে লোকজন কইছে, চোরটা বেকুব ছিল.......আসলে তার কপাল খারাপ ছিল। আর লোকাল রেডিও স্টেশানে জানানো চোর ধরতে কতো কামে দেয়, এইটা যারা এই দেশে থাকে না, তারা বুঝবো না।
সিগারেটের জন্যই তো ফেরত পাইলাম। নয়তো সকালে জানতে জানতে ততোক্ষণে গাড়ি আর গাড়ি থাকতো না। জয়তু সিগ্রেট!!!
শেষের দুই প্যারায় যা কইছেন, সেরাম কিছু ঘটে নাই। কাজেই এইগুলা নিয়া কিছু কওনের নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০৩
রেজওয়ান ইসলাম বলেছেন: দারুন মজা করে লিখেছেন।ভাল লাগলো।