নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশকে নিয়ে আমেরিকা আর চীন নাকি টানাহ্যাচড়া করছে! আপনাদের কি মনে হয়, ঘটনা সত্যি? পরিস্থিতি দেখে তো মনে হচ্ছে, বিশ্ব-মোড়ল আমেরিকা বাংলাদেশকে চাপে রাখতে চাচ্ছে। কেন? চলেন তো কিছু ঘটনা বিচার বিশ্লেষণ করে বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করি!
কিছুদিন আগে (ডিসেম্বরের ৯-১০ তারিখে) বাইডেন ভাইয়া ১১০টা দেশকে নিয়ে একটা গণতান্ত্রিক সম্মেলন করেছিল। বস্তুতঃ তিনটা বিষয়ের উপর সেখানে ফোকাস করা হয়। একটা দেশে কোন সরকারের জোরপূর্বক ক্ষমতায় থাকা, দূর্ণীতি আর মানবাধিকার লঙ্ঘন। আপনাদের অনেকের কাছেই আমেরিকার ধার্যকৃত এই বিষয়গুলি মাছের মায়ের পুত্রশোকের মতো শোনাতে পারে…...বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টা। যেই দেশটায় কালোরা অহরহ নির্যাতিত হয়; ভিয়েতনাম থেকে শুরু করে ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্থানে সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে যেই দেশটা জড়িত; ইয়েমেনে সৌদিদের আর ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনে এইভাবে কিংবা ওইভাবে যারা মদদদাতা, তাদের মুখে একি শুনি! যেন কোন শরাবখোর শরাবের বোতল হাতে বলছে…….ভাইসব, শরাব খাওয়া খুবই খারাপ! আপনারা খাবেন না। মাঝেমধ্যে শুধু আমি চেখে দেখবো। মজার না ব্যাপারটা!!
এই সম্মেলন টেইক অফ করার আগেই ঘটে যায় একটা মর্মান্তিক ঘটনা। আমি এমনিতেই আম্রিকার উপর নাখোশ; এই ঘটনায় আমি একদম বজ্রাহত। ঝেড়ে কাশি…….উক্ত সম্মেলনে বাংলাদেশকে ডাকা হয় নাই। কোন কথা হলো!!! এর সোজা অর্থ, আমেরিকার মতে বাংলাদেশে উল্লেখিত উপাদানগুলো বিদ্যমান। সে আমরা, বাংলাদেশের যদু-মধু'রা সবাই বহু আগে থেকেই জানি; কিন্তু এতোদিন পরে এই বিষয়গুলোর সাথে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গার কারন কি? কি কারনে হঠাৎ ওয়ান ফাইন মর্নিং চোখ খুলে তাদের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল! ও মাগো! বাংলাদেশে তো দেখছি সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে!! বিষয়টা সন্দেহজনক, তাই না! যতোদূর জানি, আমেরিকা ইতোপূর্বে খুব সিরিয়াসলি বাংলাদেশের এসব নিয়ে তেমন একটা উচ্চবাচ্চ্য করে নাই, রুটিন স্টেইটমেন্ট দেয়া ছাড়া। ভুল বললাম কি?
আরেকটু পিছনে যাই।
গত ১৫-১৬ জুলাই তাসখন্দে অুনষ্ঠিত হয়ে গেল ''মধ্য ও দক্ষিন এশিয়া আন্চলিক যোগাযোগ চ্যালেন্জ ও সম্ভাবনা'' শিরোনামে একটা সম্মেলন। সেই সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতি চীনের সবরকমের সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। সেটা তারা সবসময়েই বলে কিন্তু সেবারের ভাষাটা ছিল একটু অন্যরকমের। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের উপরে জোর দেয়। তার কিছুদিন আগে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের রাস্ট্রপতি আর সেনা প্রধানের সাথে বৈঠক করেন। সেখানেও চীনামন্ত্রী একই কথা বলেছিলেন। বারে বারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার এই বার্তা দেয়া কিন্তু কাকতালীয় না। চীন মনে করে, বাংলাদেশ সরকারের কোন ভুল পদক্ষেপের কারনে তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হতে পারে। কি সেই ভুল পদক্ষেপ? সেটা হলো ''কোয়াড'', অর্থাৎ বাংলাদেশ যদি কোয়াডে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেয়। এটা নিয়ে ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত তো রীতিমতো হুমকিই দিয়ে দিল বাংলাদেশকে।
এশিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে গুরুত্ব দেয়া আমেরিকার আফগানিস্থান থেকে তার রিসোর্স মবিলাইজ করার অন্যতম প্রধান কারন, সে আমেরিকানরা যতোই তাদের সৈন্যদের ঘরে ফেরানোর কথা বলুক না কেন। বিভিন্ন জায়গাতে ফ্রন্ট খুলে রাখার বিলাসিতা আমেরিকানদের বর্তমানে আর নাই। ওদিকে চীনকে ঠেকানোর জন্যও তারা এখন মরিয়া। কি আর করা…...অগত্যা!! এদিকে আমেরিকা বাংলাদেশকে কোয়াডে পাওয়ার জন্যও মরিয়া। সেজন্যে যেই আমেরিকা এক সময়ে বাংলাদেশের কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমরাস্র বিক্রি করতে ততোটা উৎসাহী ছিল না, তারাও এখন দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাইছে। কে না জানে, বাংলাদেশ সমরাস্রের জন্য মূলতঃ চীনের উপর নির্ভরশীল; সেই নির্ভরতা তারা কমাতে চাইছে এখন। সেজন্যে আমেরিকাও বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের দোহাই দিচ্ছে। কি তামাশা, তাই না? তাছাড়া, চীন বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান আর শ্রীলংকাকে নিয়ে যে দু'টি সহযোগিতামূলক এলায়েন্স গড়ে তুলছে; যেটাকে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সার্ক কিংবা বিমসটেকের বিকল্প হিসাবে দেখছে…...সেটার প্রতিও নজর রাখছে আমেরিকা। তাই প্রলোভনের সাথে সাথে তারা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে এই বার্তাও দিচ্ছে…….খবরদার, বেশী বাড়াবাড়ি কইরো না কইলাম। ১/১১ এর কথা মনে আছে তো!!! তাই প্রতিষ্ঠান হিসাবে র্যাব আর তার বর্তমান ও সাবেক ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্যাঙ্কশান দিয়ে তারা সেই সাবধানবানী মনে করিয়ে দিচ্ছে।
আমরা যদি ১/১১ এর ঘটনাবলীতে একটু সংক্ষেপে চোখ বুলাই তাহলে দেখবো, ভারতকে সাথে নিয়ে আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশে পট-পরিবর্তন হয়েছিল। আমেরিকা যদি তখন এটা করতে পারে, এখন পারবে না কেন? র্যাবের এই স্যাঙ্কশানের ফলে বাংলাদেশের সেনা-পুলিশদের বিদেশে মিশনে যাওয়াও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ফলে এই বাহিনীগুলোর মধ্যে অসন্তোষ বাড়বে। তখন তারা রাজনৈতিক দলগুলোর দমন-পীড়নে আর সরকারের হাতের পুতুল হয়ে কাজ করতে নাও চাইতে পারে। আরও কতো কিছুই তো হতে পারে, তাই না! আম্রিকার চাওয়া বলে কথা।
বাংলাদেশ যতো চীনের দিকে ঝুকবে, তারা ততোই বিভিন্ন রকমের চাল চালতে থাকবে। কে বলতে পারে, শেষ পযন্ত তারা আবার ১/১১ এর মতো শেষ চালটাও চেলে ফেলে কিনা!! কে না জানে, স্বার্থে অন্ধ হলে আমেরিকার পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব।
বলা বাহুল্য, আমেরিকা হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে ঝোকের মাথায় এই নিষেধাজ্ঞা দেয় নাই। তাদের একটা সূদুঢ়প্রসারী চিন্তা-ভাবনা এবং লক্ষ্য রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে প্রথম পদক্ষেপ বলা যেতে পারে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলার সামর্থ সরকারের রয়েছে। অতি উত্তম কথা। কিন্তু কথার পরেও কথা থাকে। সেই কথা হলো, আমেরিকা কি এখানেই থামবে? আমেরিকার কথা না শুনলে পরবর্তী ধাক্কা রিখটার স্কেলে কতো মাত্রায় হতে পারে কিংবা সেই ধাক্কা সামলানোর ক্ষমতা সরকারের কতোটা রয়েছে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। নতুন ধাক্কা সামলানোর মতো চানক্যীয় দক্ষতা আমাদের রাজনীতিবিদদের যে নাই, সেটা জানা কথা। এরা আদপে কুয়ার ব্যাঙয়ের মতো; কুয়াটাকেই দুনিয়া ধরে নিয়ে হুদাই লাফালাফি করে। তবে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সামলানো আমলাদের কতোটা আছে, সেটাই দেখার বিষয়।
কথায় বলে, আম্রিকার কামড় কচ্ছপের কামড়ের মতো। যাকে একবার কামড় দিয়ে ধরে, তাকে নাকি আর ছাড়ে না। কিংবা যখন ছাড়ে, তখন একেবারে ছ্যাড়াবেড়া করে ছাড়ে। তো সেই কামড়কালীন সময়ে আমাদের বর্তমান সময়ের মিত্রদেরকে কি বাংলাদেশ পাশে পাবে? না পেলে কোন প্ল্যান বি কর্তাব্যক্তিদের মাথায় আছে? মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন!!!
আপনারা কি বলেন?
এই প্রসঙ্গে বহুল আলোচিত একটা লাইন মনে পড়ে গেল। কোন একটা দেয়ালে লেখা ছিল, এখানে প্রস্রাব করিবেন না করিলে জরিমানা করা হইবে। এখন কেউ যদি জরিমানা দেয়ার ভয়ে সেখানে প্রস্রাব করে, তাকে কি দোষ দেয়া যায়? শুধু একটা কমা'র অভাবে মানে কিভাবে বদলে যায়, তাই না!! জায়গামতো থামতে পারাটাও একটা যোগ্যতা। এই লাইনটা যার শিল্পকর্ম, তার মতো এই জাতিও কমা, ফুলস্টপ সম্পর্কে ঠিকমতো জ্ঞান রাখে না। ফলে জনসংখ্যা অতিমাত্রায় শুধু বৃদ্ধিই পেতে থাকে। কিন্তু চানক্যশাস্ত্র বোঝার মতো মাথার আবির্ভাব ঘটে না। আফসোস!!!
ছবি
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাবলাম, অপেক্ষা করতে করতে একটু আলোচনা করি.........কি বলেন!
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৬
সাজিদ! বলেছেন: 'কোয়াড' নামটার মধ্যে কই বাংলাদেশ আছে এইটা আমার জিজ্ঞাসা এক। এত জলদি কোয়াডে যোগদানের জন্য বাংলাদেশকে বলার কথা কি আমেরিকার? অন্য কোন দেশকে কি বাংলাদেশের মতো কোয়াডে যোগদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে? ( যেমনটা আমাদের অনেকেই বলছে) । আগে এই বিষয়টা ক্লিয়ার করেন। 'কোয়াডে বাংলাদেশের যোগদান', - এই খানে প্রথমে থামলাম, বিষয়টা আমার কাছে স্পষ্ট না।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে 'কোয়াড' নামাটার মধ্যে বাংলাদেশ কেন, কোন দেশেরই নাম নাই। এটা কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়লগের সংক্ষেপ। আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া আর ভারত আপাততঃ এর মধ্যে আছে। এই পর্যন্ত আপনার জানার কথা। আপনি পোষ্টটা যদি ঠিকমতো পড়ে থাকেন, তাহলে দেখবেন, কারো কোন নির্দিষ্ট অনুরোধের কথা কোথাও বলা নাই। তাহলে চীন আগ বাড়িয়ে কেন বলছে? চীনের এসপায়োনেজ নেটওয়ার্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য না পেলে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন কথা বলে না। আশা করি বোঝাতে পেরেছি। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ''ভিতরের কথা'' বলে একটা কথা আছে। সব কথা সরকারগুলো কৌশলগত কারনে স্বীকার করে না। সেটা বাংলাদেশ আর আমেরিকার জন্যও প্রযোজ্য।
আর ''জলদি'' বলতে কি বোঝাচ্ছেন? চীন অলরেডি অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে। তাদের ঠেকানো এখন আমেরিকা আর তার মিত্রদের টপ প্রায়োরিটি।
অন্য কোন দেশকে কি বাংলাদেশের মতো কোয়াডে যোগদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে? আর কারো নাম নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন আলোচনা আমার নজরে আসে নাই।
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০০
জাদিদ বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। যদিও এত অল্প সময়ে এই বিষয়ে আলোচনা করা কঠিন। তবুও আশা করি এখানে সবাই যৌক্তিকভাবে তর্ক ও বির্তক করবেন। কেউ অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তি আক্রমন বা অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করলে আশা করি ব্লগ টিম সেই ব্যাপারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
ভু রাজনৈতিক গুরত্ব নির্ধারিত হয় একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াতে। সহজ ভাষায় বললে দুরবর্তী দুইটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ লাগলে মধ্যবর্তী যে স্থান থেকে সহজে নিজ নিজ সৈন্যদের রসদ, অস্ত্র গোলা বারুদ ইত্যাদি পৌছানো যাবে সেটাই হচ্ছে ঐ দেশটির জন্য ভু রাজনৈতিক গুরুত্ব নির্নয়ের মাপকাঠি।
চায়না এই অঞ্চলে তাদের বিখ্যাত সেই স্ট্রিং অব পার্লস এপ্লাই করতে মরীয়া হয়ে উঠেছে। যেখানে বঙ্গোপসাগর বা বাংলাদেশ একটা গুরুত্বপূর্ন জায়গা। আর এখানেই আমেরিকার সাথে কনফ্লিক্ট। আমেরিকার প্রভাব এশিয়াতে আগের মত নেই। কিন্তু বাইডেন প্রশাসন সম্ভবত এখানে প্রভাব বিস্তার করতে খুবই আগ্রহী। আমেরিকার যদিও দক্ষিন চীন সাগর বা ঐ অঞ্চলে কিছু সামরিক ঘাটি বা মিত্র আছে কিন্তু সেখানে শক্তিশালী চাইনিজ মিলিটারি ডেপ্লয়মেন্ট আছে। ফলে ব্যাপারটা খুব একটা সুবিধাজনক হবে না। অন্য দিকে আপনি দেখেন চট্রগ্রাম থেকে হোক বা আমাদের বরিশাল বা পায়রা বন্দর থেকে হোক চায়না খুবই কাছে। সম্ভবত ৫০০/ ৫৫০ কিলোমিটার। ফলে আশা করি বুঝতে পারছেন কেন দুই পার্টি এখানে কামড়াকামড়ি করছে।
বাংলাদেশের বিরোধী দল হিসাবে বিএনপি খুবই দুর্বল রাজনৈতিক জ্ঞান রাখে। আমি তাদের রাজনৈতিক সততা বা প্রজ্ঞা নিয়ে আলাপে যেতে চাইছি না। তাদের রাজনৈতিক জ্ঞান আওয়ামীলীগের চাইতে দুর্বল। ফলে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দল হয়েও আজকে তাদের এই কোনঠাসা অবস্থা। ফলে বাজারে যতই বলা হোক আমেরিকার এই সব পদক্ষেপে সরকার কোন ঠাসা, বাস্তব কিন্তু তা নয়।
সরকার নিজের ক্ষমতা এবং তারপর দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজনে চীনের সাথে হাত মেলাবে। এখানেই হচ্ছে ভারত ও আমেরিকার আপত্তি। এবং আপনি লক্ষ্য করবেন চায়না আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছে তারা বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তাদের সহযোগিতা অব্যহত থাকবে। ফলে যদি বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে কোন সংকট দেখা দেয় সেটা নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক একটি সংকটে পরিনত হবে। এবং আমেরিকা এখানে মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে 'আমরা শান্তি চাই' নামক কোন যুদ্ধ বাধাতে পারবে না।
বাংলাদেশের উচিত এই মুহুর্তে বাস্তবসম্মত এবং ভারসাম্যমূলক একটি স্ট্রেটেজি অনুসরন করা। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্তরায় ভারত ও তাদের এই দেশীয় সুশীল দোসররা।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি আমার কাজ কমিয়ে দিয়েছেন, জাদিদ ভাই। মাথায় অনেক কিছু থাকলেও টাইপ করতে আমার প্রচন্ড আলস্য। তাই ধান্ধা থাকে সংক্ষেপে কাজ সারার। আপনার বিস্তারিত মন্তব্য আমার পোষ্টের একটা পরিপূরক বলা যায়।
বাংলাদেশ ভূ-রাজনৈতিক কারনে এখন যেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে, সেটা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে সন্দেহ নাই। চীনের সাথে তাইওয়ানের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিও আমেরিকার মাথা-ব্যথার অন্যতম কারন হয়ে দাড়িয়েছে। এদিকে চীন যেভাবে এশিয়াতে তার শক্তি বৃদ্ধি করছে, সেটা ভারত তো বটেই, আমেরিকা, জাপান আর অস্ট্রেলিয়ার জন্য সমান হুমকি। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত হলো, আগামী বিশ্ব কাজ-কারবার হবে বহুলাংশে এশিয়া-ভিত্তিক। ফলে এশিয়া.......বিশেষকরে ইন্দো-প্যাসিফিক অন্চলটা যার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সেই ক্ষমতাধর হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশের বড় সমস্যা হলো, সরকারের ভারত-মুখিতা। ভারত-আমেরিকাকে না ক্ষেপিয়ে চীনের সাথে সম্পর্ক রাখার জন্য যে ভারসাম্য দরকার, সেটা আমাদের ডিপ্লোম্যাটদের কতোটুকু আছে, সন্দেহ। কারন, দিনশেষে এদের লক্ষ্য দেশ না, নিজেদের পকেট। ফলে, যে কোনও ধরনের বেকায়দা পদক্ষেপ দেশের জন্য বিরাট বিপদের কারন হয়ে উঠতে পারে।
আপাততঃ এইটুকু। সুস্থ আর গঠনমূলক আলোচনাকে স্বাগতম।
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৯
জাদিদ বলেছেন: @সাজিদঃ কোয়াডে বাংলাদেশকে কেন লাগবে আমেরিকায় সেটা উপরের কমেন্টটা পড়লে আশা করি বুঝা যাবে। এই সংক্রান্ত যে কয়টি আর্টিকেল পড়েছি তাতে বাংলাদেশকে দরকার কোয়াডের কেন্দ্র হিসাবে। আর সেই কারনেই এই ভূ রাজনীতির আলাপ।
৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভারত আমেরিকা মিলে ১/১১ ঘটায়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় বসাইছে!
একটা ভুয়া কথা কইলেন।
১/১১ ওয়ালাদের নির্বাচন দেয়ার কোন ইচ্ছাই ছিলনা।
১/১১র উপদেষ্টারা ব্যারিষ্টার মইলুল, জেনারেল মতিন সব বেশিরভাগ উপদেষ্টা ছিল কট্টর বিনপি-জামাত পন্থি। জামাত নেতা মোজাহিদ ও বিএনপি নেতা মাহামুদুর রহমান অবাধে সেক্রেটারিয়েটে ঘোরাফেরা করতো। আর আওয়ামী নেতারা ক্রসফায়ারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াতো।
১/১১ ওয়ালাদের মুল কাজ ছিল হাসিনা কে গ্রেফতার করে কোনঠাসা করে বিএনপি পন্থি ইউনুস ও ফেরদৌস আহাম্মদ কোরেশীকে প্রমট করে খালেদা-তারেক বিহীন নতুন আরেকটি বিএনপি তৈরি করা।
খালেদাকে বিপদজনক মনে করে নাই। সে অনেক পরে গ্রেফতার হয়েছে।
১/১১ ওয়ালারা দেড় বছর পর্যাপ্ত সাপোর্ট দিয়া চেষ্টা কইরা ইউনুসকে বা ফেরদৈসকে ঠ্যাং সিধা কইরা দাড় করাতে পারে নাই।
ইতিমধ্যে সেনা কর্তারা দুর্নিতীতে জরিত হয়ে পরছিল, ব্যাবসায়িদের ধরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি, ময়নামতি ও বরেন্দ্র যাদুঘরের বড় বড় অসীম মুল্যবান মুর্তি ফ্রান্সে বিক্রি করে দেয়া, ডেভেলপারের জমি দখল। ইত্যাদি দুর্নিতি প্রকাশ হওয়াতে ১/১১ ওয়ালারা দুর্বল হয়ে যায়।
এরপর মড়ার উপর খাড়ার ঘা। ঢাবি খেলার মাঠে সেনা ক্যাম্পের এক সৈনিক ঢাবি ছাত্রকে তুই বলায় তুমুল বচসা।
মারধরের পর পরিস্থিতি ভয়ানক উত্তপ্ত। দিনের পর দিন সেনাবাহিনী বিরোধি বিক্ষোভে উত্তাল। সবচে খারাপ অবস্থা যেটা একটি সেনা জিপ থামিয়ে নিরস্ত্র সৈনিকদের মারধর করা, ইউনিফর্ম পরিহিত এক সৈনিকের পিঠে লাথি দেয়ার একটি স্থির চিত্র ভাইরাল হয়েছিল।
ফুটপাতের হকারদের বিক্ষোবে ঢাকার বাকি অংশও অচলবস্থা।
ছাত্রদের মূল দাবি ছিল ঢাবি এলাকার সব সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার। অবশেষে সেটাই হয়েছিল।
সেনা ট্রাকগুলো বাক্সপোট্রা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় ছাত্রজনতার নজিরবিহীন গগনবিদারি দুয়ো ধ্বনিতে ১/১১ ওয়ালাদের বিদায় ঘন্টা বেজে উঠে। তার কিছুদিন পরেই নির্বাচনের ঘোষনা দিতে বাধ্য হয়।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি ভুয়া কথা বলি, আপনার কেন মনে হইলো? নিকে ভুয়া আছে বইলা? আপনে টুইসডে ক্লাবের নাম শুনছেন? তার নেতৃত্বে কে ছিল? বাকী যা বললেন, তা হইলো আপনের মনের মাধূরী মিশানো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটা আমার জানা আছে। এইটা এই পোষ্টের আলোচনায় অপ্রাসঙ্গিক একটা বিষয়। ওই কারনে ১/১১ ওয়ালাদের কোন ব্যত্যয় ঘটে নাই। ১/১১ এর একজন উপদেষ্টার একটা বিস্তারিত ভিডিও আছে। দেখি, পাইলে আপনেরে লিঙ্ক দিমু নে।
৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩২
জটিল ভাই বলেছেন:
না পড়েই ভালবাসা দিলাম কারণ রাজনীতি কম বুঝি আর রাজনৈতিক আলাপে কেন জানিনা কোনো টুইস্ট পাইনা। তবে আপনার ধীরে ধীরে ব্লগে স্বাভাবিক হবার চেষ্টা দেখে ভীষণ ভাল লাগছে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: রাজনীতি কম বোঝেন, এইটা মানতে না পারলেও রাজনৈতিক আলাপে কেন জানিনা কোনো টুইস্ট পাইনা এইটা মানছি। আসলে সবাই সবকিছুতে ইন্টারেস্টেড হবে, এর কোন মানে নাই। আপনার ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা। হ্যা.......স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টার এটা একটা পদক্ষেপ। জীবন তো আর থেমে থাকে না, তাই না! আমাদের সবাইকেই একটা না একটা সময় বাস্তবতার কাছে নতি স্বীকার করতেই হয়।
৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৫
সোবুজ বলেছেন: আমার ধারনা বাংলাদেশকে যতটুকু নিয়ন্ত্রন করা প্রয়োজন সেটা আমেরিকা করবে ভারতের মাধ্যমে।ভারতের সমস্যা হলো চীনের সাথে তার দীর্ঘ সীমান্ত।বাংলাদেশের সমস্যা হলো,চীনের দীর্ঘ দিনের বন্ধু মিয়ানমারের সীমান্ত।সমস্যা জটিল।সাবধানে পা ফেলতে হবে।এদিক সেদিক হলেই বিপদ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ধারনা একটা পর্যায় পর্যন্ত ঠিকই আছে; তবে আমেরিকা আস্তে আস্তে বুঝতে শুরু করেছে যে, ভারত আসলে এই কাজে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। আমেরিকা এখন না পারছে ভারতকে ফেলতে, না পারছে সব দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে। এই অন্চলে ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতা যে শুন্যের কোঠায়, সেটা অনুধাবন করে আমেরিকা এখন বিপদেই আছে।
মিয়ানমার সম্পর্কে চীন-ভারত মোটামুটি একই অবস্থানে আছে। কাজেই, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোন বিশেষ চয়েস নাই।
তবে সমস্যা জটিল।সাবধানে পা ফেলতে হবে।এদিক সেদিক হলেই বিপদ। এটার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩১
জ্যাকেল বলেছেন: আপনার পোস্ট এই মুহুর্তে সামুর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ পোস্ট। (আমার মত)
ব্লগারদের মধ্যে যারা আসলেই ব্লগিং সিস্টেম এর সাথে জড়িত বিশেষ বাংলা ভাষাভাষী তাদের অংশগ্রহণ খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার হইবার কথা এখানে কিন্তু আমি দেখতে পাইতেছি খা খা মরুভুমি।
এই মুহুর্তে বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নির্ধারণের একটা পর্ব চলতেছে যেইটা অনেকটা বোঝা যাইতেছে সরকারের দ্বায়িত্বশীল লোকদের আচরণে এবং আন্তর্জাতিক দিক থেকে বাংলাদেশের ব্যাপারে কি চলতেছে সেইসব দেখে।
রাষ্ট্র পরিচালনার বর্তমান কালচার হইতেছে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা মহা গুরুত্বপুর্ণ বিষয় এবং ইহা লংঘন কল্লা কেটে নেওয়া শাস্তির মতই একটা অপরাধ। জনগনকে আন্ধার ঘরে রেখে সকল কাজ করা হয় এবং আমরা ইহা নিয়েও কেয়ার করা দরকার মনে করি না।
যাক, বিএনপি/জামাত/ডানের লোকেরা আশার পালে হাওয়া লাগতেছে। মানে শকুনের দল মরা গরুর ভাসা ভাসা গন্ধ পাইতেছে। আওয়ামীলীগ ভাবতেছে বাংলাদেশ গোল্লায় যাক আমাদের দল ক্ষমতায় থাকলেই আর মুশকিল নাই।
লোকাল সমীকরণঃ
জামাত/বিম্পি ক্ষমতায় আসলে ভারতের সমস্যা, আওয়ামীলীগের কাঁধে খড়গ। হিন্দুত্ব্বাদী ভারত মহাভারত বানাইতে চায় বাংলাদেশকে পাকিস্তানকে জোর করে ভেতরে ঢুকাইতে চায়। এই কাজে দরকার অভ্যন্তরীন শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি যেমন সিকিমে ছিল। কিন্তু আওয়ামীলীগ তেমন দল নহে, এরা চায় বাংলাদেশ আলাদা থাকবে, চেলারা যা পারে খাবে ছোবড়া থাকবে আমপাবলিকের জন্য। আর বিম্পি/জামাত চায় দেশের যা মালামাল আছে তা ক্ষুরে ক্ষুরে নিজেরা খাবে আর আমপাবলিকের জন্য থাকবে বাকল। ভিন্ন কোন রাজনৈতিক শক্তি সমীকরণে আসে না।
১/১১ ছিল আমেরিকা কর্তৃক বাংলাদেশকে লিজ দেওয়া ভারতের কাছে এইটা অপেন সিক্রেট। এর পর থেকে আমরা দেখেছি ভারতের ক্রমাগত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ যেখানে চীন, আমেরিকার নিস্তর নিরবতা। ইয়াজ, মইন ফখরুদ্দীনকে কি পরিমান প্রেশার দেওয়া হইয়াছিল তা অনেকটা আঁচ করা যায় বাইরে থেকেই। এখন শকুনের দল হয়ত সরকারে যাওয়ার আরেক মওকার গন্ধ শুকতেছে কিন্তু ইহা মোটামুটি অসম্ভব তা কনক মনক ইলিয়াস এরা না জানার ভান করতেছে।
ইন্টারন্যাশনাল সমীকরণঃ
চীনের দরকার আমেরিকা ঠেকানো বিশেষত তার চতুর্দিকে যেন আমেরিকা ছড়ি না ঘুরায়। আর আমেরিকার দরকার চীনকে বাগে রাখা। চীন তালে তালে ভালই ঠেক্কর দিতে শিখেগেছে এবং আমেরিকাকে সাপের মত আষ্টেপৃষ্টে ধরে ফেলেছে। আমেরিকা চীনের পণ্য ছাড়া অচল, শুধু আমেরিকা কেন, পুরো বিশ্বই। এদিকে চীনের দরকার পরিকল্পনামত বিশ্বের দেশে দেশে তার প্রজেক্ট বসানো। চীন তার ডানা এমনভাবে মেলতেছে যে পশ্চিমা বিশ্ব ভয় পাইতেছে। অতএব চীন ঠেকাও। বানাও কোয়াড।
এখন ধরেন মাইর শুরু হইল। অস্ট্রেলিয়ার ঐদিকে চায়না যে পরিমাণ শক্তি রেখেছে তাতে ঐদিকে তাদের সাথে লাগা মানে নিজের বিপর্যয় ডেকে আনা। অতএব এক কাজ করা যায়, চায়না থেকে খুব কাছে কোন কোন ভৌগিলিক পয়েন্ট আছে?
ভারত দরকষাকষি করে না হয় দিল আর্মি বেজ বানানোর মত জায়গা কিন্তু বাংলাদেশের চিটাগাং, ভোলার ঐদিকে সুবিধা হয় ভালই। অতএব এইগুলা হস্তগত কর।
চায়না কি তার চোখের সামনে এইভাবে নিজের খালে কুমির আসতে দিবে?
অতএব এই একটা জায়গায় লাগতেছে ঝামেলা।
বাংলাদেশ সরকার/হাসিনাকে চাপে ফেলতে সরকারি বাহিনীর ভবিষ্যতে আঘাত কর, তাতে বাহিনী চিফ গুলা মানে মানে হাসিনাকে চাপ দিবে। হিউমান রাইটস অয়াচ দিয়ে একেবারে তামা তামা কইরা দাও যাতে আন্তর্জাতিক লেভেলে বাংলাদেশের মুখ না থাকে। ইহা বিশাল চাপ, সামলানো সহজ কর্ম না।
আপনার বিশ্লেষণ আমার সাথে মিলে যায়, বলা চলে নির্মোহ বাস্তবতার মিশ্রণ। আমেরিকা বুঝতে পেরেছে ভারতের মত হাতে বাংলাদেশকে তুলে দেওয়া সঠিক ছিল সেই সময়ের কংগ্রেস সরকারের সাথে কিন্তু এখন ভারতে যে সরকার আছে এরা আমেরিকার এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে কিছুটা বাধা। এমনকি ডিপ্লোমেসিতে অনেক ম্যানপাওয়ার রদবদল করে আমেরিকার হিসাবই ওলট পালট করে দিয়েছে। তাই সরাসরি নিজের কাছেই গলুই ফেরত আনতে কাজ করতেছে। আমেরিকার যে দালালি ভারত করার কথা আপাত দেখা যায় ভারত তা করতে পারেনি। চীনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ঘাটি গড়তে বাংলাদেশকে রাজি করাতে পারেনি এত বড় পাওয়ার থাকা সত্বেও। ভারতের এই ব্যর্থতাই বাংলাদেশের মানবাধিকার লংঘন, নিষেধাজ্ঞা এইসবের আসল কারন। আম্রিকা এখন নিজের হাতেই বাছুর নাগালে নিতে চায়।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে দেশের জনগন এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না, কারন তারা জানে, রসুনের কোয়াগুলোর গোড়া এক জায়গায়। আম্লীগ, বিম্পি, জামাত, বাম-ডান, উত্তর-দক্ষিন-পূর্ব-পশ্চিম সব দলই এক। এদের মূল লক্ষ্য ক্ষমতা আর নিজেদের পকেট ভারি করা। বাকী সব সেকেন্ডারী ইস্যু তাদের কাছে। তাছাড়া, বাক-স্বাধীনতা না থাকলে কয়জনেই বা মন খুলে কথা বলবে! আবরারের উদাহরন তো এখনও তাজা!!!
বিদেশে সম্পদ পাচার হলো আমাদের আমলা আর রাজনীতিবিদদের প্রধান লক্ষ্য, সেটা যে দলেরই হোক না কেন। তবে, দেশ না থাকলে লুটপাট করবে কিভাবে? তাই কোন দলই সিকিমের মতো দেশকে অন্যের হাতে তুলে দিবে না। এদের কাছে দেশটা এখন সোনার ডিম পারা হাস।
১/১১ ছিল আমেরিকা কর্তৃক বাংলাদেশকে লিজ দেওয়া ভারতের কাছে এইটা অপেন সিক্রেট। এই ওপেন সিক্রেটটাই অনেকের কাছে গায়ে জ্বালা ধরানোর বিষয়। স্বীকার করতে অনেক কষ্ট হয়। অবশ্য সেই সময়ে ক্ষমতায় আসার জন্য আম্লীগের আর কোন রাস্তাও খোলা ছিল না। ১/১১এর কুশীলবদের সামনে একটা সুযোগ ছিল দেশকে ডিক্টেটরশীপের আদলে সিঙ্গাপুর বা দক্ষিন কোরিয়ার মতো করে গড়ে তোলার। কিন্তু সেই বেকুবগুলোর সেই দূরদর্শিতা না থাকায়, আর ধান্ধাবাজীর কারনে সেটাও হাতছাড়া হয়ে যায়।
আমার মতে, চীনের চাইতে আমেরিকা ভালো অপশান বাংলাদেশের জন্য। দু'টাই খারাপ কোন সন্দেহ নাই, তবে আমেরিকা হলো, বেস্ট অফ দ্য ওয়ার্স্ট! সমস্যা হলো, আমেরিকা এমন একটা দেশের উপরে এই অন্চলে নির্ভর করে আছে, যাকে কোন একটা প্রতিবেশীও বিশ্বাস করে না। আমেরিকা ভারতকে বাদ দিয়ে চেষ্টা করলে ভালো, যদি সে এই অন্চলে সত্যি সত্যিই কর্তৃত্ব করতে চায়। ভারতের কাছে ঠোকর খেতে খেতে হাসিনার খানিকটা বোধদয় হয়েছে তবে আমেরিকার বোঝা উচিত, বর্তমানে সরকারের একাংশের চেয়েও বাংলাদেশের সাধারন জনগন বেশী ভারত-বিদ্বেষী। বুঝলে বুঝপাতা, না বুঝলে তেজপাতা। তবে দৃশ্যপট থেকে ভারতকে অপসারন করা আমেরিকার জন্য কঠিনই হবে।
ভারত-চীন-আমেরিকা..........এখানে ব্যালেন্সটা খুবই সতর্কতার সাথে করা দরকার। সেই যোগ্যতা বা সদিচ্ছা কি আমাদের রাজনীতিবিদ বা আমলাদের আছে? আমেরিকা দীর্ঘকাল অপেক্ষা করবে না। পরবর্তী ছোবল দেয়ার আগেই আমাদের দর কষাকষিতে যাওয়া খুবই জরুরী।
আপনার আলোচনা চমৎকার লাগলো।
৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫২
সাজিদ! বলেছেন: আমার মন্তব্যের প্রতিউত্তরের উত্তরে -
ভাই, চায়নিজ এসপিওনাজরা যে আপনার বন্ধু জানা ছিল না এবং এরা সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েও রাষ্ট্রইয় ভাবে তারা কথা বলেছে।
+
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চীনারা কারো বন্ধু না। আমার তো না-ই! তাছাড়া গুপ্তচরদের সাথে আমি বন্ধুত্ব করি না।
ইনফ্যাক্ট, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কেউ কারো স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু না; কিছু কিছু বিষয় বোঝার জন্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণই যথেষ্ট। আপনার সেই গুন আছে বলেই আমার ধারনা।
১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমেরিকা বাংলাদেশের ভিতর থেকেই খবর পেয়ে এই ব্যাবস্থা নিয়েছে।
এই খবর কারা দিলো?
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমেরিকা বাংলাদেশের ভিতর থেকেই খবর পেয়ে এই ব্যাবস্থা নিয়েছে। এই লাইনটা কি আমার পোষ্টে কোথাও বলা আছে? এটা তো আপনার মন্তব্য। সুতরাং উত্তর দেয়ার দায়ও আপনার। আপনিই না হয় উত্তরটা দিয়ে দেন।
১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আমেরিকা বাংলাদেশের ভিতর থেকেই খবর পেয়ে এই ব্যাবস্থা নিয়েছে। এই লাইনটা কি আমার পোষ্টে কোথাও বলা আছে? এটা তো আপনার মন্তব্য। সুতরাং উত্তর দেয়ার দায়ও আপনার। আপনিই না হয় উত্তরটা দিয়ে দেন।
এমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিশ্চয়ই বাংলাদেশে এসে খবর নিয়ে এমন ব্যাবস্থা নেননি। কেউ না কেউ ভিতর থেকে খবর সেদেশে পৌছাইছে। তারা কারা? কিভাবে দেশ থেকে খবর পাচার করলো? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করুন।
ষর্ষেতে ভূত।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নিজেই মন্তব্য করে, সেই মন্তব্যের উপরে নিজেই প্রশ্ন করে আমাকে বলছেন...........এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করুন। আপনি ঠিক আছেন তো! সন্দেহ হচ্ছে আমার।
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনিই খুঁজে বের করুন, তারপরে আমাদেরকে জানান।
১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:০০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকার কথা আলাদা।
চীন ও ভারতকে নিয়া বাংলাদেশে বেশী মাতামাতি হইতেছে।
আমার জানা মতে চীন বা ভারত কখনোই ভিন দেশের রাজনীতিতে ৯০পুর্ব আমেরিকার মত হস্তক্ষেপ করেনি, চামচা গেরিলা দল বানায় নি, চামচা রাজনৈতিক দল বানায় নি। এমনকি মাওসেতুঙ্গের আমলেও না।
৭১ এ ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ঢাকা দখল ঠেকাতে কিসিঞ্জার চীনকে ব্যাপক অনুরোধ করেছিল অন্তত কিছু ট্রুপস পাঠিয়ে ঢাকার পতন ঠেকাতে, তখন সুযোগ পেয়েও কিছু করা হয় নাই।
চীন ও ভারত কখনো ভিন দেশে আগ্রাসি আচরন করেনি। অন্য কোন দেশে সামরিক ঘাটি বানায় নি। সামরিক হস্তক্ষেপ করেনি।
১৯৮৮ সালে মালয় ও সেশেলসের জলদস্যুরা মালদিপ দখল করে ফেলে সরকারগঠন শুরু করে দিয়েছিল। মালদিপ সারা পৃথিবীতে সাহায্যের আবেদন জানায়। তখন কাছের ভারত ১৬০০ প্যারাট্রুপার নামিয়ে ও ৩ জাহাজ ভারি অস্ত্রসত্র সহ সেনা পাঠিয়ে মালদিপ দখলমুক্ত করেছিল।
ভারত ইচ্ছে করলে নিরাপত্তার অযুহাত দিয়ে মালদিপে থেকে যেতে পারতো বছরের পর বছর, তখন ভংগুর মালদিপে সেই পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু কয়েকসপ্তাহ পরেই ভারত লটবহর নিয়ে ফিরে যায়।
ভুটানের ডোকলাম মালভূমিতে ভারত ও চীনা সীমান্তরক্ষীদের সাথে কিছু সংঘর্ষ হয়।
২০১৯র দিকে ভারত-নিয়ন্ত্রিত পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের একটি সড়ক নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের হাতাহাতি যুদ্ধ কিলাকিলি খরশ্রোতা নদীতে পড়ে অনেকে হতাহত হয়েছিল।
এরপর সংঘাত এড়াতে উভয় দেশের সেনারা কমান্ডার পর্যায়ে অন্তত ১২টি বৈঠক করেছেন। তাজিকিস্তানে বৈঠক হয়েছে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও ওয়াং ইর মধ্যে। এতে সীমান্ত এলাকাগুলোতে উত্তেজনা সম্পুর্ন বন্ধ হয়।
এরপরেই ভারত চীন উভয় দেশই সৈন্য সীমান্ত থেকে বহুদুরে সরিয়ে নিয়েছে। ডোকলাম ও লাদাখ সীমান্তে দখলকৃত জমি উভয় দেশ ছেড়ে দিয়ে উভয় পক্ষ জমির দাবি পরিত্যাগ করেছে। এরপর গত দুতিন বছর সীমান্তে আর কোন উত্তেজনা দেখা যায় নি। কোন সভ্যদেশ যুদ্ধ চায় না, ১৯৭৩ এ মিশর ইসরাইল যুদ্ধের পর পৃথিবীতে আর কোন যুদ্ধ হয় নি।
বর্তমান যুগ হচ্ছে যুদ্ধ করে ঘাটি করে দখল নয়। অর্থনীতি দখল বাজার দখল করা, সেটা করতে লাগে মার্কেটিং প্ল্যান। সেটা যার যার স্ট্রেটিজি অনুযায়ী সবাই যে যার মত করে যাচ্ছে। সামরিক হস্তক্ষেপ চিন্তা কেউ করছে না। কেউ বিদেশে ঘাটি বানিয়ে রকেট কামান ফিট করতেছে না।
পৃথিবীতে একমাত্র পাকিস্তান গায়ে পড়ে চীনের ভৃত্য হয়েছে,
নিজের জমিজমা চীনকে ছেড়ে দিয়েছে। কাশ্মিরের পাকিস্তানি অংশের বড় অংশ চিনের কাছে বিক্রি করেছে। এরপরেও চীনের কাছে অকারন বিশাল অংকের ঋন নিয়া বর্তমানে দেউলিয়া হওয়ার পথে। পাকিদের মাথাপিছু ঋন জিডিপির ৪৬%। এটা ৪০ শতাংশের বেশি হয়ে গেলে তখন তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলাহয়। পাকিদের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ থেকেও খারাপ।
বাংলাদেশে এত চুরি এত পাচারের পরও নাগরিকদের মাথাপিছু বিদেশি ঋণের পরিমাণ মাত্র ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা। জিডিপির ১৫% মাত্র। বাংলাদেশের পায়ের মাটি এখন অনেক শক্ত।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোন মার্কিন এম্বাসেডরকে তলব করে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে।
আমেরিকার সাথে চীনের বড় কোন বিরোধ নেই আমেরিকা তাদের ৯০% প্রডাক্ট চীন থেকে তৈরি করে আনে। চীনেরও বিশাল বাজার আমেরিকায়।
ধন্যবাদ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চীন আর ভারতকে নিয়ে বাংলাদেশে বেশী মাতামাতি তে হওয়ারই কথা নাকি? আমেরিকার কথাই বা আলাদা হবে কেন? তারা তো এখনও এই বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলোয়াড়; কাজেই তাদের দুই নাম্বারী কাজ-কারবার নিয়েও মাতামাতি হতেই পারে।
আপনার বেশীরভাগ কথাগুলো খুবই ফ্ল্যাট আর শ্যালো চিন্তা-ভাবনা থেকে করা। উদাহরন দেই, মাও সে তুংয়ের আমলে চীন তাদের আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়েই বেশী ব্যতিব্যস্ত ছিল। তাদের বাইরে তেমন করে নজর দেয়ার আদৌ কি কোন সুযোগ ছিল? কথাটা ভারতের জন্যও প্রযোজ্য। তবে ভারত তার ছোট প্রতিবেশীদের উপর খবরদারী কখনও বন্ধ করে নাই। কাজেই তাদের চেষ্টার কমতি ছিল না, ছিল সীমাবদ্ধতা। চীন ঘর সামলে তারপরে বাইরে নজর দিয়েছে। পক্ষান্তরে, ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর পরাশক্তি হিসাবে আমেরিকার আবির্ভাব আর শীতল যুদ্ধের অবতারনা হওয়ার পর আমেরিকার কাজগুলো অবধারিতই ছিল, নয় কি? এখন আপনি যদি বলেন, আমেরিকা এই করেছিল; ভারত বা চীন ওই করে নাই..........এভাবে না বলে কনটেক্সট বোঝাটা জরুরী, তাই না! আপনি বড়লোক হলে টাকার গরম দেখাবেন, এটাই স্বাভাবিক। না দেখালে সেটা হবে খবর। দেখালে সেটা খবর হবে না, হবে স্বাভাবিক আচরণ।
চীন ও ভারত কখনো ভিন দেশে আগ্রাসি আচরন করেনি। অন্য কোন দেশে সামরিক ঘাটি বানায় নি। আগেই বলেছি, সুযোগের অভাবে সাধু, এটা কোন ক্রেডিট না। ভারতের বর্তমান অবস্থা কি? তাজিকিস্থানে ভারতের একটা সামরিক ঘাটি আছে। মরিশাস, সিশেলিস আর ওমানে তাদের ঘাটি আছে। এছাড়া সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা আর মাদাগাস্কারে তাদের সামরিক উপস্থিতি আছে, যেটা যে কোন সময়ে পূর্ণমাত্রার ঘাটিতে রুপ নিতে পারে। চায়নার লিস্ট তো আরো লম্বা। এখন বোঝেন, আপনের কথা বলার ভিত্তি কি!!!
ভারত ইচ্ছে করলে নিরাপত্তার অযুহাত দিয়ে মালদিপে থেকে যেতে পারতো বছরের পর বছর, তখন ভংগুর মালদিপে সেই পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু কয়েকসপ্তাহ পরেই ভারত লটবহর নিয়ে ফিরে যায়। সাধু সাধু! বিজেপি'র ভারত মহান আপনার কাছে নতুন রুপ পেয়েছে। ভারত ইচ্ছা করলেই থাকতে পারতো! সেই যুগ এখন আর নাই; তবে সেইটা আপনার বোঝার কথা না।
১৯৭৩ এ মিশর ইসরাইল যুদ্ধের পর পৃথিবীতে আর কোন যুদ্ধ হয় নি। এই কথার মানে উপরে আল্লাহ আর নীচে আপনেই শুধুমাত্র বুঝবেন, আমি তো কোন ছাড়..........তাই আর চেষ্টা করলাম না।
বর্তমান যুগ হচ্ছে যুদ্ধ করে ঘাটি করে দখল নয়। অর্থনীতি দখল বাজার দখল করা, সেটা করতে লাগে মার্কেটিং প্ল্যান। সেটা যার যার স্ট্রেটিজি অনুযায়ী সবাই যে যার মত করে যাচ্ছে। সামরিক হস্তক্ষেপ চিন্তা কেউ করছে না। কেউ বিদেশে ঘাটি বানিয়ে রকেট কামান ফিট করতেছে না। আপনের এই কথা আংশিক সত্য। এটা নিয়ে কথা বলতে গেলে তো আমাকে আলাদা পোষ্ট দিতে হবে। আপনে বরং চোখ খুলেন, দীর্ঘনিদ্রা স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর।
পাকিস্তান নিয়ে কথা বলা আমার কাছে সময়ের অপচয়, তাই সে দিকে গেলাম না। রাষ্ট্রদূত তলব একটা স্বাভাবিক কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। এর মধ্যে কোন ক্রেডিট কিংবা ডিসক্রেডিট নাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৮
জ্যাকেল বলেছেন:
আমাদের আওয়ামী সমর্থকদের একটা দলকানা ব্যাপার আছে যা লাইক দিস-
লেঞ্জা ইজ দিফিকাল্ত তু হাইদ
চীন, ভারত নিয়ে তেমন মাতামাতি এই দেশে হইতেছে না, হইতেছে নুন্যতম বুদ্ধি রাখেন এইরকম বাংলাদেশিদের মধ্যে। চীন তাইওয়ান দখল করতে চায় এ নিয়ে সারা বিশ্ব উৎকন্ঠায় আছে। চীন তিব্বত সীমান্তের ঐদিকে ভারতের বিশাল এলাকা নিজের বলে দাবি করে। চীন সমুদ্রে নিজের আন্তর্জাতিক সীমা থেকে বহু দুরে ফিলিপিন, অস্ট্রেলিয়া, জাপানের সমুদ্রসীমায় জবর দখল করে তেল/গ্যাস অনুসন্ধান/উত্তোলন করতেছে।
ভারতের সো কলড সিকিউরিটি চিফরা বাংলাদেশকে নিজেদের ডিটেকটিভ সিস্টেমের প্রাকটিস এরিয়া বলে মনে করে থাকে। অনেকটা বাড়ির সবজি ফলানোর মত জায়গা বলে ভাবে। তাই নগ্ন হস্তক্ষেপ করে থাকে যা কিছুদিন পরপরই দেখা যায়। ভারত স্বাধীন হায়দারাবাদ, গোয়া, সিকিম নিজের পেটে পুরে ফেলল পুরো বিশ্বের সামনে কেউ কিছু করতে পারেনি। বাংলাদেশের ব্যাপারে কি প্লান আছে তা আরো পরিস্কার হওয়া দরকার যদিও।
শ্রীলংকায় ভারত তার আধিপত্য খুইয়ে ফেলেছে, নেপালে এমনকি ভুটানেও। তাদের আধিপত্য বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশেই বহাল আছে। তারা এটা খোয়াতে চাইতেছে না তাই চীনের টাকার বন্যার সামনে এক ফোঁটা শিশির ঢেলে দিয়ে বলতেছে দিলেম এক ফোঁটা, লিখে রেখো।
তাই বাস্তবে চীনের টাকার বন্যায় নিজেকে অন্তত ভেসে দেখাতে ফাও ঋণ চুক্তি করে তো দিরাম দিচ্ছি করে এই হইল জাত ছোটলোক ভারতের কাহিনী।
আপাতঃদৃষ্টিতে মনে হইতেছে ভারতই খারাপ কিন্তু কাহিনী তো সবে শুরু। বাংলাদেশ যদি চায়না বলয়ে যায় তবে কিন্তু বিরাট খারাপ খবর আছে। চায়না সম্প্রতি উগান্ডার একটা এয়ারপোর্ট ছিনিয়ে নিতেছে। কেন? ঋণের বোঝা বহিতে পারতেছে না।
ইহা মাত্র একখানা ঝিলিক। আসল রুপ দেখা বাকি আছে। আল্লাহ না করুক এই চায়নার হাতে বিশ্ব যদি যায় তবে দুনিয়ায় সায়েন্স ফিকশনের মত অবস্থা হইবে। মানে পয়সাওলা লোকেরা বিশাল রকমের ইমারতে আরাম আয়েসে থাকবে আর গরিবেরা হোমলেস হয়ে পথে ঘাটে মরবে। আম্রিকার হাতে বিশ্বে বর্তমানে যা হইতেছে এইগুলা বলা চলে ট্রেলার মুল ফিলিম দেখা যাইবে চায়নার হাতে গেলে।
চায়না যুদ্ধ করবে না ইরাক/আফগানিস্তানের মত তবে শুষে শুষে খাবে। তাই চায়নার ব্লকে গেলে বিশাল বিশাল হিসাব ক্ষা জানতে হবে। কথা হইতেছে এইসব হিসাবের কয় অংক আমাদের ডিপ্লোমেট/পররাস্ট্র বিভাগ জানে?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাস্তবতা হলো, ল্যান্জা বেশীদিন লুকিয়ে রাখা যায় না, তাই অনেকে আজকাল সেই চেষ্টাটাও করে না।
চীন-ভারত-আমেরিকা নিয়ে মাতামাতি হওয়া আমার কাছে পজিটিভ সাইন মনে হয়। অন্ততঃ কিছু মানুষতো আন্তর্জাতিক রাজনীতির খবরাখবর রাখছে, নিদেনপক্ষে চেষ্টা করছে! ভারত যে সময়ে হায়দারাবাদ, গোয়া, সিকিম, কাশ্মির নিজেদের পকেটে পুরেছে সেই প্রেক্ষাপট আর এখনকার প্রেক্ষাপট আলাদা। চাইলেই বাংলাদেশের সাথে তারা এটা এখন করতে পারবে না। বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের প্ল্যান পরিস্কার। এটাকে একটা তাবেদারী রাষ্ট্র বানিয়ে রাখা। সেজন্যে তারা একটা দালাল শ্রেণী এদেশে বানিয়ে রেখেছে, যারা কিছুদিন পর পর বিভিন্ন ইস্যুতে লাফালাফি করে, আর তাদের প্রভুর বন্দনা গায়। এরা তেমন একটা সমস্যা না, সমস্যা হলো এমন কিছু মানুষ যারা দেশের রাজনীতি বা সরকার পরিচালনায় আছে।
ভারত যে একটা ইতরশ্রেণীর ছোটলোক সরকার দ্বারা পরিচালিত দেশ, এটা বাংলাদেশের সাধারন জনগন জানে। এদের ছোটলোকি চেহারা অন্যান্য প্রতিবেশীদেশগুলোর কাছেও প্রকাশিত। তাই ভারত খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না। ভবিষ্যতে এদের অবস্থা আরো করুণ হবে।
আর চীনের সাথে খুবই হিসাব-নিকাশ করে পা ফেলতে হবে। ভারত আর আমেরিকাকে ঠেকানোর জন্য এরা এখন অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলবে সন্দেহ নাই, তবে সেসব শুনে পুলকিত বোধ করারও কোন কারন নাই।
নিরাপত্তাখাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নিয়ে দেশে এখন সরগরম অবস্থা। ৩১ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশকে জবাব দিতে হবে। আমেরিকা বিষয়টাতে বেশ সিরিয়াস এখন। এটাকে একটা আলোচনার উইন্ডো হিসাবে কাজে লাগানো যায় কিনা, এটা সরকারের ভেবে দেখা উচিত।
আমেরিকা-চায়না-ভারতের চেয়ে আমার মূল ভয় আমাদের রাজনীতিবিদ আর আমলাদেরকে। দেশপ্রেম সঠিক মাত্রায় না থাকার কারনে এদের খুব সহজেই কিনে ফেলা যায়। দেখা যাক।
১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কেমন আছেন ভাই?অনেক দিন পরে আপনার লেখা পড়লাম।
রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে ভাল লাগেনা।এদেশের রাজনীতি কেমন তাতো জানেনই,বিচার মানি তাল গাছ আমার।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন তেমন একটা ভালো না, তবে শরীর আল্লাহর রহমতে ভালোই আছে। আপনাকেও আমার পোষ্টে অনেকদিন পরে দেখলাম। আশা করি, ভালোই আছেন।
আসলে এটা যতোটা না বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন রাজনীতি, তার চাইতে বেশী বৈশ্বিক রাজনীতি। বাংলাদেশের তালগাছে পরিণত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।
১৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৪
বংগল কক বলেছেন:
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: রুপক অর্থে ছবিটা ভালো, অর্থবোধক। তবে কিং কং মুভিতে নাওমী যতোটা অসহায় অবস্থায় ছিল, বাংলাদেশ তার চাইতে ভালো অবস্থায় আছে, এখন পর্যন্ত।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরেকটা কথা। পান্ডাকে চীনের প্রতীক হিসাবে দেখানো ঠিক আছে, তবে এই ছবিতে সেটা মানানসই না। পান্ডা খুবই খুবই নাদুস-নুদুস, নিরীহ আর কিউট একটা প্রাণী। এরা অন্য হিংস্র প্রজাতির সাথে মারামারি করায় একেবারেই পারদর্শী না।
১৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান , আমার মনে হয় আম্রিকা এখনো বাংলাদেশকে কচচপ কামড় দেয়নি তবে কামড়ের মহড়া দেখিয়েছে। আসল কামড় (পিকচার) দিবে আরো কিছুদিন পরে মহড়ার ফলাফল দেখে। যদি আম্রিকার কথামত চলে তবে তা হতে পারে বন্ধুত্বপূর্ণ কামড় আর তা না হলে তা পরিবর্তন হতে পারে মরণ কামড়ে । যার ফলে হতে পারে ছ্যাড়াবেড়া সরকারের সাথে আমজনতারও।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কামড়ের মহড়াও হতে পারে, অসম্ভব কিছু না। পৃথিবীর অনেক বড় বড় অর্থনীতির দেশও আমেরিকার কামড়ে ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে যাওয়ার উদাহরন আছে। এখন আমাদের সরকার কি দ্বিতীয় কামড়ের জন্য অপেক্ষা করবে, নাকি দ্বিতীয় কামড় দেয়ার আগেই কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করবে? দরকষাকষি আজকালকার দুনিয়ায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটা সময় ছিল পেশীশক্তির যুগ, এখন চলছে দরকষাকষির যুগ। আমাদের সরকারযন্ত্র সেটাতে কতোটা দক্ষ?
১৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২০
টারজান০০০০৭ বলেছেন: যে সরকারই আসুক ব্যালান্সড গেমই নিরাপদ হইবে ! সবচেয়ে ভালো হয় , বাংলাদেশকে এশিয়ায় নিরেপেক্ষ ঘোষণা করিলে ! সবার সাথেই ভালো সম্পর্ক থাকিবে , কোন পক্ষে যাইবে না !
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্যালান্সড গেম অবশ্যই নিরাপদ, কিন্তু আমাদের আমলাদের কি সেই সক্ষমতা আছে? সবার সাথেই ভালো সম্পর্ক থাকিবে, কোন পক্ষে যাইবে না! এটাতো এমনিতেই আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র। কিন্তু বর্তমানে এই মন্ত্র জপলে কোন লাভ নাই। কাজে দেখাতে হবে।
১৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৪৮
ইমরান আশফাক বলেছেন: ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোন পোষ্ট আমি খুবই আগ্রহ নিয়ে পড়ি। আপনি যে ও খুবই আগ্রহী সেটা আপনার পোষ্টগুলি দেখলেই বুঝা যায়।
যাহোক, আমাদের বাংলাদেশকে নিয়ে এখন যে আর আগের মত হেলেফেলা করা যাবে না সেটা বিশ্বশক্তিগুলি বুঝতে পেরেছে। আমাদের ও খুব সতর্কভাবে পা ফেলতে হবে আন্তর্জাতিক অংগনে এবং আপাতত: কোন সামরিক জোটে ঢুকা যাবে না। বরং আলাদাভাবে জোটভুক্ত দেশগুলির সাথে সামরিক চূক্তি করতে হবে নিজেদের স্বার্থ বজায় রেখে উন্নতমানের সামরিক সরন্জাম ও প্রশিক্ষনের জন্য। তাছাড়া এখন আর বিপুল পরিমান সৈন্য, যুদ্ধ সরন্জাম, নৌ ও বিমানশক্তি নিয়ে অন্য দেশ আক্রমন না করে বরং স্পেশাল ফোর্স দিয়ে তড়িৎ গতিতে কয়েকটি কি পয়েন্টে আক্রমন করে দেশটিকে পর্যদূস্ত করে ফায়দা নেয়া যায়। আগামী যু্দ্ধগুলি এভাবেই হবে, এক্ষেত্রে দ্রোন প্রযুক্তি বিশাল ভূমিকা রাখবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আগেরমত বিপুল সৈন্য, টাংক, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ নিয়ে যুদ্ধ করতে গেলে দেউলিয়া হয়ে যেতে হবে। এখানে জিতলেও ক্ষতিগ্রস্থ আর হারলে তো কথাই নেই।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি, উত্তর দিতে দেরী হওয়ার জন্য। আসলে একটু এলোমলো অবস্থায় আছি; জীবনটা তেমন একটা স্বাভাবিক নিয়মে চলছে না আজকাল।
যাই হোক, আসি আপনার মন্তব্যে।
কবিতা বাদে মোটামুটি সব বিষয়েই আমার অনেক আগ্রহ। আর ভূ-রাজনৈতিক বিষয় তার মধ্যে উপরের দিকে নিঃসন্দেহে। এ'ধরনের যে কোনও খবর আমি খুবই আগ্রহ নিয়ে দেখি। একটা কথা আপনি ঠিক বলেছেন, প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীলতা। যতো দিন যাবে, এটা বাড়তেই থাকবে। ড্রোন-প্রযুক্তি একটা যুদ্ধের মোড় কিভাবে ঘুরিয়ে দেয়, সেটা আমরা দেখেছি নগোর্ন-কারাবাখ যুদ্ধে। আর কোন নির্দিষ্ট সামরিক জোটে বাংলাদেশের ঢোকার তো প্রশ্নই আসে না। সেটা হবে একটা আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। তবে একটা বিষয় আমাদের নীতি-নির্ধারকদের মাথায় রাখতে হবে। কোন দেশ যখন যে কারনেই হোক, একটা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকে, তখন দর-কষাকষিকে নিজেদের ফেভারে নিয়ে আসার অনেক দরজা খুলে যায়। বাংলাদেশকে সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে হবে। আজকালকার দুনিয়ায় কেউ দিনের পর দিন একটা বিষয় নিয়ে ঝুলে থাকে না, বিকল্প খুজে নেয়। কাজেই সিদ্ধান্তের দীর্ঘ-সূত্রিতায় না গিয়ে আমাদের সরকারকে দ্রুত একশানে নামতে হবে।
তবে শেষ কথা হলো........আমাদের কর্তাদের দেশ প্রেমের বদলে আত্মপ্রেম জাগ্রত থাকলে কোন পলিসিই দেশের উপকারে আসবে না। নিখাদ দেশপ্রেম হলো এসব সুযোগ কাজে লাগানোর একমাত্র পূর্বশর্ত।
১৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে। এখন কথা হচ্ছে, উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী আমেরিকার ঐ নিষেধাজ্ঞাকে বিএনপির শক্তি জ্ঞান করে এরকম মন্তব্য করেছে কিনা! কারণ, বিএনপি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তারা কিন্তু দেশে একপ্রকারের আমেরিকার সহযোগী তৈরি করে রেখে দিয়েছে৷তবে নিজেকে শান্তনা দিতে গেলে উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করে নিতে হবে।
আর আমলা বা আমাদের মন্ত্রীদের উপর আস্থা রাখার যে কথাটা বলছেন তা আসলেই সন্দেহ করার মত। দেখুন গিয়ে, তারা হয়তো প্রত্যেকেই চাচ্ছে ফ্যামিলি সহ আমেরিকা চলে যেতে। অনেকের হয়তো আমারিকাতে বসতবাড়ি কেনা হয়েগেছে।
সবশেষে ভয় থেকেই যায়! তবে প্রধানমন্ত্রীর শান্তনার বাণীতেই কেবল আমাদের আশ্রয়।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: উগান্ডাতেও বিএনপি আছে? এতো সর্বনাশা কথা শোনালেন! বিএনপি কি মাল্টিন্যাশনাল হয়ে গেল?
আমাদের আমলা / গামলাদের (রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ) প্রধান লক্ষ্যই হলো, বিদেশে টাকা পাচার করে সম্পত্তি কেনা। কারন এরা জানে, একদিন না একদিন এদের পাততাড়ি গোটাতেই হবে।
তবে, যাই বলেন.........আমাদের প্রধানমন্ত্রী আর অন্যান্য মন্ত্রীরা আসলেই ক্যারিশম্যাটিক। সাধে কি আর উন্নত বিশ্বের নীতি-নির্ধারকরা উনাদের একটা এপয়েন্টমেন্টের জন্য হন্যে হয়ে ঘোরে???
২০| ২১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
ভুম কেমন আছে ? সব ঠিকঠাক ?
অনেকদিন দেখিনা !
এ পোষ্টে গিয়ে ভুমকে মনে পড়লো
২৬ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুম এখন ঠিক আছে মনে হয়, কিন্তু মিড কি ঠিক আছে? আমার পোষ্টে এসে পোষ্ট সংক্রান্ত কোন কথা নাই, লাইক-মন্তব্য নাই.......পোষ্ট সংক্রান্ত কোন ফিডব্যাকই পেলাম না। পোষ্ট ভালো না লাগলে কেন লাগলো না.........সেসব নিয়েও কোন কথা নাই। তার বদলে অন্য আরেক পোষ্টের লিঙ্ক!!!
মিডের এহেন কর্মকান্ডের কোন ব্যাখ্যা খুজে পেলাম না। বড়ই রহস্যজনক আচরণ!!
২১| ২১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
নতুন বলেছেন: আমেরিকান সম্রাজ্য সামনে আর কতদিন চলতে পারে?
চাইনিজ সম্রাজ্য অবশ্যই অনেক খারাপ হবে আমাদের জন্য। কারন চীনা পন্যের বাজার হয়ে দাড়াবে আমাদের দেশ ( যদিও এখনই চীনা পন্যেই আমরা ব্যবহার করি) তখন বাজারের নিয়ন্ত্রন তাদের হাতে থাকবে, চীনা বড় ব্যবসায়ীরা দেশে বসে বাজার নিয়ন্ত্রন করবে।
আমেরিকা কি চেস্টা করলে চাইনিজ সম্রাজের উত্থান রোধ করতে পারবে?
২৬ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমেরিকান সম্রাজ্য সামনে আর কতদিন চলতে পারে? দিন-তারিখ বলা মুশকিল, তবে পৃথিবীর ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কোন সাম্রাজ্যই চিরস্থায়ী হয় নাই। আমেরিকারও পতন হবে, যার নমুনা কিছু দেখা যাচ্ছে। শুধু চীনা কেন.....এটা নিপাতনে সিদ্ধ একটা ব্যাপার যে, কোন সাম্রাজ্যই দূর্বল বা অধীনস্থদের জন্য ভালো হয় না।
আমেরিকা কি চেস্টা করলে চাইনিজ সম্রাজের উত্থান রোধ করতে পারবে? না, পারবে না। কোন উত্থান একদিনে তো হয় না; অনেক আস্তে-ধীরে হয়। আর সেটা যখন হয়, তখন অনেক ফ্যাক্টর এর উপর ভিত্তি করে হয়। আমেরিকা কয়টা রোধ করবে? এটা দেখেন,view this link কিছু আইডিয়া পাবেন।
২২| ২১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:১২
সোবুজ বলেছেন: জাদিদ সাহেব দৃষ্টি রাখছেন।এবং প্রচ্ছন্ন সাবধান বানী দিয়েছেন।কি বলতে কি বলবো তাই বিরত থাকলাম।
২৭ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জাদিদ ভাই বেফাস কথা বলতে নিষেধ করেছেন। আপনার ভাবে মনে হয়, বেফাস কিছুই বলতে চাচ্ছিলেন......নয়তো বিরত থাকার প্রশ্ন আসে কেন? আর আমার পোষ্টে বেফাস কথা বললে আর কারো দরকার নাই, আমিই যথেষ্ট।
আগের দুই দুইটা নিক ব্যান হয়েছে আপনার, ভুলে যাবেন না যেন!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: "কি হইত কি হইলো/হইবে"- সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে।