নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ভাবনাঃ সমস্যা এবং উত্তোরণের উপায়

১৬ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:২৯



কি-বোর্ড কাছে টেনে নিয়েছিলাম নতুন প্রস্তাবিত কালা-কানুনের খসড়া নিয়ে দু'চারটা মনের কথা বলার জন্য। লিখতে শুরু করে মনে হলো, এটা নিয়ে অনেকেই লিখছেন। সামনেও লিখবেন। আমি বরং বিষয়টাকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে দেখার চেষ্টা করি।

যে কারো যে কোনও সিদ্ধান্তের পিছনে একটা কার্যকারণ থাকে। শাসক গোষ্ঠির জন্য এটা আরো বড় সত্য। সেটা সমস্যা না। সমস্যা হলো, স্বৈরশাসকদের নিয়ে। স্বৈরশাসকগন যা কিছু করে, দিন শেষে এটা বেশীরভাগ সময়েই জনগনের বিপক্ষে যায়। এদের করা যে কোনও আইন-কানুন সবই পরিচালিত হয় বিরোধী মত ও পথ দমনে, সে যতোই সঠিক আর যুক্তিনির্ভরই হোক না কেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি স্বৈরশাসনের বিপক্ষে না, যদি সেটা জনকল্যানমূলক লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। পৃথিবীতে এর অনেক উদাহরন খুজলে পাওয়া যাবে। যে কোনও শাসক, সে স্বৈরশাসকই হোক......জনগণের মৌলিক চাহিদা যদি পূরণ করতে পারে, তাহলে মন্দ কি? অনেকে বলবেন, স্বৈরশাসকদের ভালো দিক দু'চারটা থাকলেও এটার মন্দ দিকই অনেক বেশী। সেটা অবশ্য অন্য বিতর্ক। সেটা এড়িয়ে বরং আমি আমার বিষয়ে ফোকাসড থাকি।

হ্যা, যেটা বলতে চেয়েছিলাম! সাধারন জনগণ ক্ষমতার মার-প্যাচ নিয়ে অতোটা মাথা ঘামায় না। কে ক্ষমতায় আসলো, আর কে গেল…...সেটা তাদের চিন্তা-ভাবনার মূল বিষয়বস্তু না। তারা যদি খাওয়া-পড়া ঠিকমতো পায়, সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তাটা যদি পায়, আর বাকী মৌলিক চাহিদাগুলো ঠিকঠাক মতো পূরণ করতে পারে, তাহলেই খুশী থাকে। খুবই সাধারন চাহিদা, তাই না!! এটা নিশ্চিত করা কিন্তু খুব কঠিন কিছু না, সে যে কোনও ধরনের শাসকই হোক না কেন। এর ব্যত্যয় হলেই তারা ফুসে ওঠে, প্রতিবাদ জানায় আর দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে রাস্তায় নেমে আসে।

আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল ২০১৮ সালে, নির্বাচনের আগে। এবার ২০২২ সালে আবার নতুন আইন করার পায়তাড়া হচ্ছে ২০২৩ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলানো কি খুবই কঠিন? সাধারন, নিরীহ নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়ার সদিচ্ছা যদি সরকারের থাকে, তাহলে কিন্তু বিদ্যমান আইনের সঠিক আর যথাযথ প্রয়োগই যথেষ্ট। এর জন্য প্রতিটা নির্বাচনের আগে কঠিনতর আইন বানানোর প্রয়োজন পড়ে না, যদি না দমন-পীড়নের ধান্ধা সরকারের থাকে! এর একটাই মানে দাড়ায়, সরকার জানে যে তারা যা করছে বা করতে যাচ্ছে, সেটা ঠিক না। বেঠিক জিনিসের প্রতিবাদ সমাজে হবেই। সেটাকে ঠান্ডা করার জন্য ডান্ডা আগের থেকেই তৈরী রাখার এই যে নীতি, এটা কোন জনকল্যানমুখী সরকারের নীতি হতে পারে না।

আরেকটা বিষয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। আধুনিক এবং সমসাময়িক ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, যে কোনও আন্দোলন সংগঠিত এবং সংঘটিত করার জন্য অনলাইন এখন একটা কার্যকর মাধ্যম। কাজেই এটাকে কব্জায় রাখাটা শাসকদের জন্য খুবই জরুরী। সরকার কেন আন্দোলনের ভয় করছে? করছে, কারন শ্রীলঙ্কান সরকারের পরিণতি তাদের চোখের সামনে। পতিত সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী গণপিটুনি খেয়ে যেভাবে অন্তর্বাস পড়ে পাগলের মতো রাস্তায় হাটছে, ভেজা পশ্চাদ্দেশ যেভাবে প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে, তাতে যে কোনও অপকর্ম করা শাসকের অন্তরাত্মা কাপতে বাধ্য। জনতার পিটুনি আর ধাওয়া খেয়ে একজন সাংসদ যদি পানিতে ঝাপিয়ে পড়তে বাধ্য হয় কিংবা বাধ্য হয় আত্মহত্যা করতে; আর সেসব দেখে আমাদের দেশের শাসকগোষ্ঠির মধ্যে যারা অপকর্ম করে লাল হয়ে গিয়েছে, তারা কাপড় নষ্ট করে ফেললে কিন্তু আপনি দোষ দিতে পারেন না। তবে কথা হলো, একটা জনবান্ধব সরকার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সরকারে যেসকল ব্যক্তিবর্গ আছে, তারা এমন ভয় পাবে কেন? বিষয়টা ''চোরের মন পুলিশ পুলিশ'' এর মতো হয়ে গেল না!!! সেইজন্য আগেভাগেই জনগণের কন্ঠরোধ করার এই পরিকল্পনা।

যে যতো যাই বলুক না কেন, পাচ-দশ বছর আগের শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির সাথে বর্তমান আমাদের অনেক মিল আছে। এক সময়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দক্ষিন এশিয়ার রোল মডেল ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সেটা এখন সুখ-স্মৃতি। স্বজন-প্রীতি, দূর্ণীতি আর নেতাদের অদূরদর্শী নীতির কারনে দেউলিয়া তারা। ''স্বজন-প্রীতি, দূর্ণীতি আর নেতাদের অদূরদর্শী নীতি'' শব্দগুলো কেমন পরিচিত মনে হয় না? মনে করেন, আজ থেকে ৫ বছর আগে কেউ যদি শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীকে তাদের ভবিষ্যত সমস্যার কথা বলতো (শুনেছি, কেউ কেউ বলেছিলেনও), তাদের উত্তর কি হতো? ঠিক বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর মতো, তাই না? শ্রীলঙ্কান জনতা প্রথমে কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ করছিল। কিন্তু সরকারের সমর্থকরা যখন তাদের উপরে হামলা করলো, তখনই তারা মারমুখী হয়ে গেল। আমাদের হেলমেট বাহিনীর সাথে মিল আছে না!!! এই যে, সরকারের সমালোচনাকে, তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে অন্যায়কে দমন-পীড়নের জন্য কালা-কানুন আর সন্ত্রাসী বাহিনীর ব্যবহার করতে হয়…...কেন? অপকর্ম না করলেই তো হয়!!

আমাদের রাজনীতিবিদদের বুঝতে হবে, আমলাতান্ত্রিক সরকার কখনও জনবান্ধব সরকার হতে পারে না। আমলারা সাধারন জনগনকে নীচু জাতের মনে করে; সহজভাবে বললে, প্রজা মনে করে। কাজেই পরিস্থিতিকে সঠিক ধারায় পরিচালনা করার জন্য রাজনীতিবিদদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

তাহলে রাজনীতিবিদদের করণীয় কি? সেটাই বলার চেষ্টা করি খানিকটা। আগামী নির্বাচনে (???) আওয়ামী লীগই আবার ক্ষমতায় আসবে, সেটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। সেটা মাথায় রেখে তাদের অনতিবিলম্বে কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত। একজন দক্ষ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানারের কাজ হলো, সবচেয়ে খারাপ অবস্থাটা বিবেচনায় এনে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করা। কাজেই সরকারকে ধরে নিতে হবে, আগামী পাচ বছরের মধ্যে আমরা শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছি। সেটা রোধ করার জন্য একটা নতুন দমন-মূলক আইন করার দিকে মনোযোগ না দিয়ে তাদের মনোযোগ দিতে হবে একটা কার্যকর পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পরিকল্পনা প্রণয়নের দিকে।

সেই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পরিকল্পনাতে কি কি বিষয় সরকারের মাথায় রাখতে হবে? একে একে বলার চেষ্টা করি। কোন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বাদ পড়লে আপনারা তো আছেনই।

১. জনগণের কন্ঠরোধ না করা, গঠনমূলক সমালোচনাকে পজিটিভলি নেয়া। ২০২০ এর ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশান স্কোরে পাকিস্তানের অবস্থান আমাদের চাইতে ভালো। এমনকি ব্লগে বহুল আলোচিত উগান্ডাও আমাদের উপরে। এখন এই প্রস্তাবিত নতুন আইনের লক্ষ্য সম্ভবতঃ নীচের দিক থেকে এক নাম্বারে থাকা উত্তর কোরিয়ার স্থান দখল করা। কে না জানে, এক নাম্বার অবস্থানের প্রতি আমাদের মন্ত্রী-আমলাদের একটা ফ্যাসিনেশান আছে!! তবে, এই জাতীয় মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে।

২. দূর্ণীতি বন্ধে সত্যিকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে। দূর্ণীতির মাধ্যমে হাতানো হাজার হাজার কোটি টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে প্রতি নিয়ত, সেটা ঠেকানো অত্যন্ত জরুরী। তথ্য মতে, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে গড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে যা দিয়ে আমরা প্রতি বছরে কোন রকমের বৈদেশিক ঋণ ছাড়া সম্পূর্ণ নিজেদের টাকায় দুই দুইটা পদ্মা সেতু করার পরও আরও ৪ হাজার কোটি টাকা হাতে থাকে!!! ভয়াবহতা বোঝানোর জন্য আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে?

৩. শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাতগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করা। দেশের টেকসই উন্নয়নে 'কু' নয়, সু-শিক্ষিত জনগোষ্ঠির কোন বিকল্প নাই। তাছাড়া, সবার জন্য সার্টিফিকেট-নির্ভর উচ্চ শিক্ষার কথা না ভেবে ডিপ্লোমা-নির্ভর স্কিলড ফোর্স তৈরী করতে হবে; যার জন্য প্রতিটা জেলায় একটা করে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বহুমুখী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা জরুরী। মনে রাখতে হবে, উন্নত বিশ্বে আগামী দিনগুলোতে তরুণ জনশক্তি ক্রমাগত হ্রাস পাবে। সেই সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য এখনই তৈরী হওয়া দরকার। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি। দেশে আসতে আমি সব সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে ট্রানজিট নেই। সেখানকার এয়ারপোর্টগুলোতে ক্লিনার পদে প্রচুর বাংলাদেশী দেখি। অথচ ভারতীয়দের দেখি বিভিন্ন বিমান সংস্থায় বা এয়ারপোর্টের অন্যান্য ভালো ভালো কাজে। সরকারকে বুঝতে হবে, একজন দক্ষ কর্মী একজন অদক্ষ কর্মীর চাইতে কমপক্ষে পাচ গুন বেশী রেমিটেন্স দেশে পাঠাতে পারে।

৪. নতুন, কম প্রয়োজনীয় মেগা প্রজেক্ট অনতিবিলম্বে বন্ধ করা। একটা উদাহরন দেই। ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ঢাকায় মেট্রো রেল প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষের পথে। এটা শেষ না হতেই ভাবা হচ্ছে পাতাল রেলের কথা। তিন ধাপে এই মেগা'র বাপ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার প্রস্তাবনায় প্রথম ধাপেই খরচ হবে সাড়ে ৩ লক্ষ কোটি টাকা। আর মোট ব্যয় হবে, ৯ লক্ষ কোটি টাকা। কাজ শুরু হলে ব্যয় বৃদ্ধি হয়ে কতো লক্ষ কোটিতে গিয়ে ঠেকবে সেটা উপরে মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আপাততঃ কেউ জানে না। অথচ এখন পর্যন্ত যা করা হয়েছে তার সাথে যদি নিয়ম-শৃংখলার যথাযথ প্রয়োগের মিশ্রণ হয়, তাহলেই ঢাকার যানজট বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরনের একটা সমন্বিত পরিকল্পনার বাস্তবায়নও খুবই কার্যকর এই ব্যাপারে। নীচে এটা নিয়ে আরো আলাপ করেছি।

৫. ঝুকি এড়াতে দেশ হিসাবে বাংলাদেশের পোর্টফোলিও ডাইভার্সিফিকেশান জরুরী। শ্রীলঙ্কার মূল নির্ভরতা ছিল পর্যটন খাত। সেটা ধ্বসে পড়া তাদের এই দূর্গতির অন্যতম কারন। আমাদের মূল নির্ভরতা গার্মেন্টস আর রেমিট্যান্স। এই দু'টার উপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে পাট, চামড়া, চা, আউটসোর্সিং, পর্যটন, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ইত্যাদি খাতগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া আর নতুন নতুন সম্ভাবনাময় খাতকে সনাক্ত করে প্রণোদনা দেয়া......এই দিকে সরকারকে নজর দিতে হবে।

৬. চিকিৎসা খাত অত্যন্ত হতাশাজনক অবস্থায় আছে। যথাযথ চিকিৎসাহীন অসুস্থ একটা জাতির কাছ থেকে বেশী কিছু আশা করা যায় না। এই বিষয়ে সরকারকে কোন মেগা প্রজেক্ট নিতেও দেখা যায় না। যে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সক্ষম জনগোষ্ঠি দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থা রাখতে পারে না; সেখানে আম-জনতার কি দূর্গতি, তা তো বলাই বাহুল্য! অথচ সু-চিকিৎসার নিশ্চয়তা পাওয়া জনগনের মৌলিক অধিকার।

৭. ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ। এই নিয়ে বেশী কিছু না বলে একটা উদাহরন দেই। বৃটেনের সুপারমার্কেট চেইন টেসকো'র অবস্থান বিশ্বের ৬ নাম্বারে। এই সুবিশাল কোম্পানীর হেড অফিস ইংল্যান্ডের ওয়েলিন গার্ডেন সিটিতে। আমি মোটামুটি নিশ্চিত, আপনারা অনেকেই এই শহরের নাম এই প্রথম শুনলেন। কেন? তাদের কি লন্ডনে প্রধান কার্যালয় করার সামর্থ্য নাই? দেশ ডিজিটাল হলে যে কোনও জায়গা থেকেই কাজ করা সম্ভব। ডিজিটাল বাংলাদেশে কেন সবকিছু ঢাকায় হতে হবে? বিশেষজ্ঞদের মতামত, ঢাকা ইতোমধ্যেই বসবাসের অযোগ্য নগরীতে পরিনত হয়েছে। এর উপর থেকে চাপ কমানোর কোন বিকল্প নাই। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করলে ঢাকা-কেন্দ্রিক অনেক মেগা প্রোজেক্ট হাতে নেয়ারই প্রয়োজন পড়তো না।

বর্তমানে আমাদের দেশে একদিকে আমদানির চাপ বাড়ছে, মেগা-প্রোজেক্টের কারনে ঋণ বাড়ছে, অন্যদিকে কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।। এটা একটা অশণি সংকেত। আমাদের সরকারের নেয়া বিভিন্ন ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময় যখন আসবে, পরিস্থিতি আরো প্রকট আকার ধারণ করার সমূহ সম্ভাবনা আছে। এর থেকে উত্তোরনের জন্য এই ৭ দফা'র বাস্তবায়নে দ্রুততম সময়ে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই।

কলম্বো-ভিত্তিক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক এডভোক্যাটা ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান মুর্তাজা জাফারজি বলেছেন, শ্রীলঙ্কার এই পরিণতির জন্য দায়ী ৩০ শতাংশ দূর্ভাগ্য আর ৭০ ভাগ অব্যবস্থাপনা। বিগত বছরগুলোতে বিদেশী ঋণদাতাদের কাছ থেকে বিশাল পরিমান ঋণ করা হয়েছে, কোন রকমের চিন্তা-ভাবনা না করেই।

আমি বলবো, রাজনৈতিক নেতাদের দূরদর্শীতা থাকলে এই ৩০ ভাগকেও মোকাবেলা করা যায়। ৭০ ভাগের কথা তো বাদই দিলাম!!

রাজনীতিবিদ আর আমলাদের বলছি। দেশকে, দেশের জনগনকে ভালোবাসুন। নিশ্চিত থাকেন, জনগন সেই ভালোবাসা শতগুনে আপনাদের ফিরিয়ে দিবে। আপনাদের অবস্থা কখনও শ্রীলঙ্কার শাসকদের মতো হবে না। নয়তো বিশ্বাস করেন……..আপনাদের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

মহাকালের ধর্মই হলো, মহাকাল কখনও কাউকে ক্ষমা করে না।


ছবিঃ ভোরের কাগজের সৌজন্যে।

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:৩৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন পত্রিকা অবলম্বনে। সুন্দর পর্যবেক্ষন

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ, তবে পত্রিকা অবলম্বনে কথাটার মানে বুঝি নাই। বুঝায়ে বললে কৃতার্থ হতুম!!! :)

২| ১৬ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ভালো লেখা।
দেশ জনতার।
জনতা সরকারের ,এটা মানতে সমস্যা কোথায় !?
সমস্যা নেই ,সমাধা।

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশ জনতার, ঠিক আছে; তবে বর্তমানে জনতা কি সরকারের?

৩| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:০৫

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: কিছু বললে আদারা আলুপোড়া খেতে বলে। উগান্ডা চলে যেতে বলে।

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এসব না বললে আদা'দের আদা নামের সার্থকতা কোথায়? ;)

৪| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:২২

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: রেমিট্যান্স এ বাংলাদেশ ৭ম এবার,গার্মেন্টস সুবিধাজনক অবস্থায় আছে,
মোট জাতীয় আয়ের সিংহভাগ কৃষি থেকে আসে, বাজারে ৭০% ভারতীয় পন্য তাই কৃষি হুমকির মুখে।
১৯১ কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণের বোঝা। মেগা প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের পর যা অনেক বেড়ে যাবে।
মিডল ইস্টে অর্ধেক বাংদেশীর কাজ নেই, দুবাইয়ের ভিসা ১০ বছর ধরে বন্ধ।
সরকার কখনো ভিসা চালু করার চেষ্টা করছে কিনা আমার জানা নেই।
সুতরাং রেমিট্যান্স ও হুমকির মুখে।
বাকি থাকে গার্মেন্টস। এটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে।
আমরা কৃষি আর রেমিট্যান্স দিয়ে করোনার ভয়ংকর ইফেক্ট অতিক্রম করেছি ঠিক কিন্তু বিপুলসংখ্যক বৈদেশিক ঋণের বোঝা, দুর্নীতি, অনিয়ম, ভাইরাল হলে ন্যায় বিচার নাহলে মারা খাও এগুলো অবশ্যই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার পথে হাটছে কিনা ভাবাবে।

পেটে খুদা। ভাত দেন। খালি পেটে উন্নয়ন এর সুর কণ্ঠে আসেনা।

৩ হাজার কোটি টাকার স্যাটেলাইট থেকে ৩ বছরে ইনকাম শূন্য (০)। না আমি আর ভাবতে পারছিনা।
সব বিএনপির ষড়যন্ত্র।
শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতি ও তেল সহ সব কিছুর দাম বৃদ্ধি রাজাকারদের চক্রান্ত।

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সমস্যার আসলে শেষ নাই। কিন্তু সমস্যাকে সমস্যা হিসাবে যাদের দেখার কথা, তারা না দেখলে আপনি-আমি কি করতে পারি? বড়জোর ব্লগে একটা পোষ্ট দিতে পারি। তাই দিচ্ছি। :P

গার্মেন্টস সুবিধাজনক অবস্থায় আছে ঠিকই, তবে দৈব-দুর্বিপাক বলেও একটা কথা আছে। সরকারের যে কোনও দুর্যোগে যদি ওয়ে আউট প্ল্যান না থাকে, তাহলে যে কোনও সময়ে প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হতে পারে। রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন থেকে ৪১ বিলিয়নে নেমে এসেছে। এটা দিয়ে ৬ মাসের আমদানী ব্যয় মেটানো যাবে। খোদা-না-খাস্তা যদি কোন না-দেখা সমস্যা সামনে এসে দাড়ায় তাহলে সরকারের কোন পরিকল্পনা আছে কি? তার চেয়েও বড় কথা, সমস্যা একবার আসা শুরু করলে আসতেই থাকবে। সেই পরিস্থিতি সামাল দেয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ।

সেজন্যেই বলেছি, একজন ভালো পরিকল্পনাবিদ সবচাইতে খারাপ পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবেলা করবে, সেই প্রস্তুতিও নিয়ে রাখে।

চমৎকার মন্তব্য করেছেন। :)

৫| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: সকল সমস্যা থেকে উত্তোরণে প্রধান উপায়- প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতাদের অনৈতিক চরিত্রের উত্তোরণ।

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুধু এ'টুকুই যথেষ্ট না। সমস্যা সঠিকভাবে বুঝতে পারা আর তার থেকে উত্তোরণের উপায় বের করার মতো মেধা থাকাটাও জরুরী।

৬| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬

রবিন.হুড বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষন। সরকারকে দেশ ও দেশের জনগণকে নিয়ে ভাবতে হবে।

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৭| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:১৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কে ক্ষমতায় আসলো, আর কে গেল…...সেটা তাদের চিন্তা-ভাবনার মূল বিষয়বস্তু না। তারা যদি খাওয়া-পড়া ঠিকমতো পায়, সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তাটা যদি পায়, আর বাকী মৌলিক চাহিদাগুলো ঠিকঠাক মতো পূরণ করতে পারে, তাহলেই খুশী থাকে।

এই সাধারণ সহজ সত্যটি ক্ষমতায় থাকা লোকেরা বুঝতে চায় না।

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুধু চায় না, তা না; বোঝার চেষ্টাও করে না। সদিচ্ছার অভাব!!!

৮| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টের বিষয়ে কমেন্ট পরে করব। আহে হোরাস আই এর ব্যবস্থা করেন অর্থাৎ ব্লক করেন জনৈক ব্লগারকে পোস্টের বারোটা বাজানোর আগেই।

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হোরাসের আই সরিয়ে রেখেছি। লেট হিম কাম!! :-B

৯| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন যে, আপনি ব্যক্তিগতভাবে স্বৈরশাসনের বিপক্ষে নন, যদি উহা জনকল্যাণমুলক লক্ষ্যে পরিচালিত হয়; ভালো, আপনার ব্যক্তিগত পছন্দটা খুবই ভালো।

আমাদের ইতিহাসে স্বৈরশাসক হিসেবে নাম এসেছে: আইয়ুব খান, জে: জিয়া, জেনারেল এরশাদের; এ'ছাড়া আওয়ামী লীগ-বিরোধীতা শেখ হাসিনাকে স্বৈরশাসক বলতেছে; এই ৪ জনের মাঝে কে কে আপনার পছন্দের?

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবাই.........খুশী?

১০| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



বর্তমানে মিশর, বার্মা, রাশিয়া, পাকিস্তানে (পেছনে সেনাবাহিনী আছে) সেনাশাসন ও স্বৈরশাসন চলছে; এগুলোর মাঝে কোন কোন দেশের স্বৈরশাসন আপনার পছন্দ?

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মূল বিষয়ে কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন। নয়তো ভালোয় ভালোয় রাস্তা মাপেন!

১১| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:১২

আখেনাটেন বলেছেন: যাহ...দিলেন তো মেরে.....অনেক খেটে খুটে তথ্য-উপাত্ত জড় করে জজবাসহ প্রায় একই ধরনের একটি স্যাটাইরিক্যাল লেখা ইদি আমিনের চেলা-চামুন্ডা ও নেংটিমুক্ত-নেংটিযুক্ত প্রজাদের জন্য দাঁড় করেছিলুম। এখন তো আর... X(

যাক আসল কথায় আসি। ইদি আমিনের দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয় শ্রীলংকার মতো হবে না এত তাড়াতাড়ি কারণ অভ্যন্তরীণ ভোগ। ক্রেডিট রেটিং এ এখনও ভালো অবস্থানে...। তবে অ-টেকসই উন্নয়নের চরম অব্যবস্থাপনার ধারা এভাবে চলতে থাকলে আর আগপাছ না ভেবে রামপাল, রূপপুরের মতো শ্বেত-হস্তি প্রকল্প ক্রেডিটের মূলায় নিতে থাকলে--যখন গ্রেস পিরিয়ড শেষে এগুলোর কিস্তি/প্রিমিয়াম টানতে হবে (২০২৫ সালের পর) তখন জাতি টের পাবে...ইদি আমিনরা করছেটা কী? ইদি আমিনের চেলারা দেখতে পায় না, যে সিনো হাইড্রো ঢাকা-চট্রগ্রাম রাস্তার কাজ ফেলে পালিয়ে গেল...বিশ্বব্যাংক কর্তৃক ব্লাক লিস্টেট হলো....সে একই ফার্ম দু-বছর পরে কীভাবে পদ্মা সেতুর তীর সংরক্ষণ কাজ পায়? জাদুর চেরাগ। প্রতি কিলোমিটার রিভার প্রটেকশন খরচ ৮০০ কোটি টাকার উপর। ভাবা যায়।

প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিদ্যুৎ খাতে লুটেরারা লুটে নিচ্ছে। এরপরও দেশে লার্জ স্কেলে কলকারখানা গড়ে না উঠলেও বিদ্যুতের চাহিদা না থাকলেও নয়া নয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে হিড়িক পড়ে গেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত আমলা ও দেশের লুটেরা শ্রেণি জানে প্রকল্প না হলে টাকা বের হবে না, তাই যত প্রকল্প তত মজা, তত বেগমপাড়ায় মৌজ-মাস্তি। একদল খাম্বা পুঁতে বিলাতে মাস্তি করছে, আরেকদল তারের আধিক্যে আমড়িকায় মাস্তি করছে।

এদিকে কৃষকেরা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছে আর ফায়দা লুটছে ফড়িয়ারা। তের মণ শশা বিক্রি করে এক কেজি গরুর মাংস। আলুচাষীরা সর্বশান্ত। পেয়াঁজ চাষীরাও তাই। ধানচাষীরা বিপর্যয়ে বরাবরের মতো। দু টাকায় কেনা বগুড়ার মোকামতলার ফুলকপি কীভাবে ঢাকায় ৪০ টাকায় বিক্রি হয় কিংবা ৫টাকা কেজির তরমুজ ৪০ টাকা। বিশ্বের আর কোনো দেশে এরকম ফড়িয়া আছে। এগুলো কন্ট্রোল কারা করবে?
বছরে লাখ তিনেক লোক শুধু চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছে। দেশে তথাকথিত উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমলা নামক কেরানিগিরি ছাড়া যোগ্যতা অনুযায়ী টেকনিক্যাল জব পাওয়া যায় না। এগুলো নিয়ে ভাবনার লোক উপরতলায় আছে।

দেশের সবগুলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ভেতর থেকে খেয়ে ফেলেছে। জবাবদিহিতা শব্দটা এখন খেলো। এগুলো জাতির ভবিষ্যতের জন্য কোনো ভাবেই ভালো কিছু হতে পারে না। দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এগুলো সমালোচনা করতে হবে। যদিও চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠিটাকেও এখন গলাটিপে ধরার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করার পায়ঁতারা চলছে। বিশ বছর আগে খাম্বা বাবারা কতটা অন্যায় করেছিল, এর উপর ইমান রেখে যদি ১৪ বছরের অন্যায়কে জায়েজ করার খায়েস থাকে তাহলে সাধারণ খেটে খাওয়া জনগণ-- কে ইদি আমিন আর পাতি আমিন তা বিবেচনা করার দায়ে আছে? অন্যায় করলে সমালোচনার তীরে বিঁধতে হবে? চেলাদের বঙ্গবন্ধুর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' ও 'কারাগারের রোজনামচা' বইগুলো গুলে খাওয়ানো দরকার। সারাজীবন কীভানে মহান এই নেতা অন্যায়ের তৎকালীন ইদি আমিনরা তথা মুসলিম লীগ ও আইয়ুবী গ্যাংদের নোংরামীর সমালোচনা করেছেন? আইয়ুব খানও তৎকালীন মেগা প্রজেক্টের কারিগর ছিলেন। গণতন্ত্রকে উন্নয়নের মাইনকা চিপায় রেখেছিলেন। এখন ইতিহাস। ভাবি, বঙ্গবন্ধু এখন বেঁচে থাকলে কীভাবে দেখতেন এযুগের শাসন যখন কারো কেউ সন্ত্রাসীদের হাতে মারা পড়লেও চিৎকার করে বলে, 'আমার এ দেশে বিচার দরকার নাই'।

অ-টেকসই উন্নয়নের এই শিকল না ভাঙতে পারলে যতই রাম সেতু, রহিম কালভার্ট বানানো হোক জনগণ অখুশিই থেকে যাবে। আল্টিমেইটলি জনগণ চায় মৌলিক চাহিদাগুলো--খাদ্য-বস্ত্র-আবাস-স্বাস্থ্য-শিক্ষা যথাযথভাবে পেতে। এগুলো কত শতাংশ দেশের আপামর জনগণ যথাযথ পাচ্ছে? নেতারা এগুলো পূরণ করতে না পারলে কোনো এক সময় কাউকে পানিতে চুবান খেতে হবে, দোতলা থেকে পড়ে কোমর ভেঙে বিলাত যাবে, কেউ বোমাবাজীতে কানে কম শুনবে, কেউ দু-টাকার চুরিতে জেলে পচবে, কেউ ধর্ম ব্যবসায়ী হয়ে ফাঁসির কাষ্ঠে লটকাবে। এটাই ভবিতব্য। তাই সাধু সময় থাকতে সাবধান!

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে.......চ্যাতেন ক্যান? আপনেরটাও পোষ্টান না, অসুবিধা কি? আপনের স্যাটাইরিক্যাল লেখা জাতি পড়তে চায়!! :)

অফিসে খানিকটা ব্যস্ত। বাকী অংশ নিয়ে আলোচনা একটু পরে করছি। যেই লম্বা মন্তব্য করছেন.....টাইম লাগবো। B-)

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা দেশের জন্য পাচ দশ বছর যদিও খুব অল্প সময়, তবুও এর মধ্যেই বহুকিছু ঘটতে পারে। অপরিনামদর্শী কার্যকলাপ ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে খুব বেশী সময় নিবে না। আপনার সাথে একমত, বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশের অনুকূলে। কিন্তু যে অবস্থা চলছে (পোষ্টে বলাতে আর নতুন করে কিছু বললাম না) তাতে খুব কি ভরসা করা যায়? অর্থ পাচার, অপরিকল্পিত মেগা প্রোজেক্ট, দূর্ণীতি না কমালে অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

প্রোজেক্ট একটা দেশের জন্য ইনভেস্টমেন্ট। এর রিটার্ন ঠিকমতো না আসলে সেই প্রোজেক্ট গলার কাটা হয়ে দাড়াবে। এখন, যে কোনও ভালো প্রোজেক্টে যদি মূল খরচের কয়েক গুন বেশী খরচ করা হয়, তাতে রিটার্ন তো সেই বর্ধিত গুন অনুসারে আসবে না, মূল খরচ অনুসারেই আসবে। সেই প্রোজেক্ট কি আর ভালো থাকলো? একটা ভালো, জনকল্যানমূখী প্রকল্পের সর্বনাশ করার জন্য ফেব্রিকেটেড এক্সপেন্ডিচারই যথেষ্ট, কি বলেন?

বিশ বছর আগে খাম্বা বাবারা কতটা অন্যায় করেছিল, এর উপর ইমান রেখে যদি ১৪ বছরের অন্যায়কে জায়েজ করার খায়েস থাকে একটা অন্যায়কে যে আরেকটা অন্যায় দিয়ে জাস্টিফাই করা যায় না, সেটা চেলাদেরকে কে বোঝাবে? তারা তো একেকজন সবজান্তা শমসের। কিছু বললেই কতগুলো গৎবাধা কথা বলে। বিরক্ত লাগে শুনতে। এরা প্রকৃত উন্নয়নের মানেই বোঝে না। প্রকৃত উন্নয়ন হতে হয় সমতার ভিত্তিতে, যা বাংলাদেশে একেবারেই অনুপস্থিত। ধনী আর গরীবে তফাৎ হলো আকাশ আর পাতালের।

রামপাল, রূপপুরের মতো শ্বেত-হস্তি প্রকল্প স্যাটেলাইট বাদ দিলেন কেন? আচ্ছা, আমাদের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ২ এর খবর কি? :P

বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২২ হাজার মেগাওয়াটের বেশী, কিন্তু সন্চালন লাইন তৈরী না। ফলে, আরো প্রায় তিন বছর উচ্চ মুল্যে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। আমার প্রশ্ন হলো, এই সক্ষমতা কি হঠাৎ আকাশ থেকে পড়লো? উৎপাদন সক্ষমতার সাথে সাথে সন্চালন লাইন প্রস্তুত করা হলো না কেন? কাকে সুবিধা দেয়ার জন্য? নয়তো সরকার স্বীকার করে নিক তাদের পরিকল্পনাহীনতা আর অদক্ষতা!! এমন চিত্র আপনি কিছু তুলে ধরেছেন, আরো বহু আছে। কতো আর বলবেন?

উন্নত বিশ্বে কৃষকরা ধনীক শ্রেণীর মধ্যে পড়ে। স্কুল শিক্ষকদের বেতন ইর্ষা করার মতো। আর আমাদের দেশে উল্টা চিত্র। অথচ কিছু হলেই আমাদের নেতারা দেশকে তুলনা করে সিঙ্গাপুর আর প্যারিসের সাথে।

দেশের সাধারন মানুষকে এই ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মুলা দেখানো আর কতো? এরা না পারে কিছু বলতে, না পারে সইতে। যেদিন পয়েন্ট অফ নো রিটার্নে চলে যাবে, সেদিন ক্ষমতাসীনরা পাছা চাপড়ালেও লাভ হবে না।

১২| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি বলেছেন যে, আপনি ব্যক্তিগতভাবে স্বৈরশাসনের বিপক্ষে নন, যদি উহা জনকল্যাণমুলক লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। সঠিক রাজনৈতিক ধারণা না'থাকলে এসব আজগুবি কথা বেরিয়ে আসে; স্বৈরশাসন আমাদের ক্ষতি করে চলছে, বার্মা, পাকিস্তান, মিশরকে ডুবায়ে দিচ্ছে। পুটিনের স্বৈরশাসন আজকের বিশ্বকে ৩য় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে; আর আপনি স্বৈরশাসনের মাঝে "জনকল্যাণমুলক" স্বৈরশাসনের পক্ষে; আজগুবি রাজনৈতিক ধারণা আপনার!

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে বুইড়া গাধা.........লী কুয়ান ইয়ু'র নাম শুনছেন? সিঙ্গাপুরের ডিক্টেটর? প্রায় ৩২ বছর ক্ষমতায় ছিল। যার হাত ধরে আজকের সিঙ্গাপুর। কিংবা পার্ক চুং হি, একজন আর্মি জেনারেল, দক্ষিন কোরিয়ান ডিক্টেটর যে ১৮ বছর ক্ষমতায় ছিল? তাদের উন্নতির সূচনা যার হাত ধরে হয়েছিল?

রাম ছাগলের মতো না লাফায়া ইতিহাস পড়েন আর পোষ্টে ওই কথা দিয়া কি বুঝাইতে চাইছি মাথায় ঢোকানোর চেষ্টা করেন। ব্যাক্কল কোথাকার!!!

১৩| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:৩৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


দেশ শ্রীলঙ্কা হলেও রাস্তাঘাটে তিন ভাগের এক ভাগ নেতাও পাবো না ক্ষোভ মেটানোর জন্য।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তিন ভাগের এক ভাগ অনেক বড় সংখ্যা। এখন পর্যন্ত জানামতে ওরা পেয়েছে মাত্র পাচ জন। আমরা নিশ্চিতভাবেই আরো বেশী পাবো। একেবারেই টেনশান করবেন না। :-B

১৪| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত গভীর ভাবনার বিষয়। শুধু সমালোচনা নয় চাই যুক্তি যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ সমালোচকেরও শ্রদ্ধা আদায় করতে বাধ্য। গত কয়েকদিনে ব্লগে শ্রীলংকার বর্তমান অচলাবস্থার আলোকে বাংলাদেশের তুল্যমূল্য আলোচনার প্রবণতা ধর্মী যে পোস্টগুলো দেখেছি তারমধ্যে এখনো পর্যন্ত এই পোস্টটিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং যথাযথ তথ্য-উপাত্ত যুক্ত বলে মনে হয়েছে। সম্ভাবনাময় বিকল্প গুলোকে খুব যথার্থ বলে মনে হয়েছে।++

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গভীর ভাবনার বিষয় তো বটেই। কিন্তু যাদের ভাবাটা জরুরী, তাদের ভাবনা সদা ভিন্ন খাতে বহমান!!!

শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতিকে একটা শিক্ষা হিসাবে নেয়া দরকার। আজ বিরিয়ানী খাচ্ছি বলে যে সব সময়ে খেতে পারবো, তার কোন নিশ্চয়তা কি আছে? বিরিয়ানীর বন্দোবস্তটাও তো করতে হবে, কি তাই না? আমি ভুয়া মফিজ.........যতোটা পারি আমার ভাবনা-চিন্তা তুলে ধরলাম। মফিজের ভুয়া কথন আপনের ভালো লাগাতে আমি সন্মানীত বোধ করছি। B-)

স্কিপ করে মন্তব্যের উত্তর দেয়াটা আমার পছন্দ না, এটা ভালো কিছুও না। কিন্তু বিশেষ কারনে বাধ্য হয়েছি। আশাকরি, নিজগুনে ক্ষমা করে দিবেন। :)

১৫| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:



লি কুয়ান ডিক্টেটর ছিলেন না, তিনি নিজ দেশের "চীনা মাফিয়া"কে শক্ত হাতে দমন করেছিলেন; তাঁর লেখা "From Third World to First" বইটি পৃথিবীর রাজনীতিবিদদের জন্য বিখ্যাত বই। "মাফিয়া দমন"এর জন্য উনাকে স্বৈরশাসক বলেছে আপনার মতো কিছু লোকজন।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্বৈরশাসকের সংজ্ঞা কি পন্ডিতজি?

১৬| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি ডিক্টেটরশীপের মাঝে "জনকল্যাণ" খুঁজে পেয়ে প্রমাণ করলেন যে, আপনি রাজনীতি বুঝেন না।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইংরেজি পড়তে পারেন তো ঠিকমতো? সবচাইতে রেস্পেক্টেড বৃটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের একটা আর্টিকেল দিলাম।view this link

পইড়া জ্ঞানার্জন করেন। আর বারে বারে আইসেন না। আপনের লজ্জা-শরম না থাকতে পারে, আমার আছে। বারে বারে আপনেরে ছাগল-পাগল কইতে ইচ্ছা করে না।

আর আমি ''রাজনীতি বুঝি না'' মনে কইরা যদি অর্গাজমের সুখ পান, তাইলে যান, বুঝি না। খুশী থাকেন। বুইড়া বয়সে একটু সুখ পাওয়া দোষের না। =p~

১৭| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:০৪

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: বর্তমানের উল্লেখযোগ্য সমস্যা এবং সমাধানের উপায় নিয়ে লেখা বিশ্লেষণমূলক তথ্যসমৃদ্ধ পোস্টটি অল্প কিছু সময়ের জন্যে হলেও স্টিকি করা যেতে পারে।

১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে না না, আমার মতোন ভুয়া'র পোষ্ট স্টিকি করনের কাম নাই। তার মধ্যে দেখলেন তো, পন্ডিতজি কইছে, আমি রাজনীতিও বুঝি না.........কিয়েক্টা অবস্থা!!! =p~

১৮| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫১

আরইউ বলেছেন:




বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ইনফাস্ট্রাকচারগত আনপ্রেসিডেনটেড উন্নতি হয়েছে (এবং হচ্ছে)। এটা বর্তমান সরকারের একটা অসাধারণ সাফল্য। বৈদেশিক রিসার্ভ বেড়েছে, খাদ্য নিরাপত্তা বেড়েছে, স্বাস্থ্য খাতে আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে, এগুলো কেউ সম্ভবত অস্বীকার করবেন না। কিন্তু, মানুষের ভালো থাকা শুধু কিছু ম্যাক্রো ইনডেক্স, চারলেনের হাইওয়ে, সেতু, রেললাইন এসবের মাঝে সীমাবদ্ধ নয় - এই বিষয়টাই অনেকে বুঝতে পারেননা। অনেকে বলেন দেশে অভাব নেই, মানুষ না খেয়ে মরছেনা। কিন্তু, ভালো থাকা শুধু খেয়ে পরে বেচেঁ থাকাই যে নয় সেটা অনেকে বুঝতে চায়না।

ব্যক্তির চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে বড় রাষ্ট্র এটা যতদিন কথার কথা থেকে যাবে ততদিন কোন সমস্যার উত্তোরণের কোন উপায় দেখছিনা।

অফ টপিকঃ এই ব্লগে রাজনীতি, বিশ্বনীতি এসব বোঝে মাত্র একজন। আপনার এসব বিষয় নিয়ে লেখার দুঃসাহসের তেব্ব নিন্দা জানাচ্ছি।

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ইনফাস্ট্রাকচারগত আনপ্রেসিডেনটেড উন্নতি হয়েছে মানছি, কিছু জিনিস চোখে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু পর্দার পেছনের অবস্থা কেমন? সিস্টেমের কতোটা উন্নতি হয়েছে? এইসব মেগা প্রোজেক্টে কতোটা দূর্ণীতি হয়েছে? কতো টাকা বেগমপাড়াতে মুভ করার জন্য বিনিয়োগ করা হয়েছে? উত্তরগুলো তলিয়ে দেখলে কি আশাবাদী হওয়া যায়? তবুও আমি আপনার মতোই আশাবাদী হতে চাই।

বর্তমান সরকারের সাফল্য তো অবশ্যই আছে; কিন্তু লাভের গুড় যদি পিপড়া খেয়ে ফেলে, তাহলে লাভ করে কতোটা লাভ হবে?

অনেকে বলেন দেশে অভাব নেই, মানুষ না খেয়ে মরছেনা। কিন্তু, ভালো থাকা শুধু খেয়ে পরে বেচেঁ থাকাই যে নয় সেটা অনেকে বুঝতে চায়না। এটাই হচ্ছে আসল কথা। আমাদের উন্নয়নের যে ফিরিস্তি দেয়া হয় প্রতিনিয়ত, তার সাথে ম্যাচ করে কতোটা বেনিফিসিয়ারী দেশের সাধারন মানুষ?

এই ব্লগে রাজনীতি, বিশ্বনীতি এসব বোঝে মাত্র একজন। সে আর বলতে!!! =p~
দুঃসাহস আসলে ভালো কিছু না। আপনার তেব্ব নিন্দা মাথা পেতে নিলাম। ভবিষ্যতে এই ভুল আর কব্বো না। :-B

১৯| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

মিরোরডডল বলেছেন:




সবগুলো প্রপোজাল ভালো, তারমধ্যে ২ আর ৭ হচ্ছে প্রায়োরিটি ।
এই দুটো বড় সমস্যার সমাধান হলে, অন্যান্য অনেক প্রবলেম সল্ভড হয়ে যায় ।
ভালো লিখেছে ভুম ।

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবগুলো প্রোপোজালই আসলে ইন্টারলিঙ্কড। সবগুলোই দরকারী। ২,৭ ভালো। ৩ যেহেতু জাতির মেরুদন্ডের সাথে সম্পৃক্ত, সেটাও ভালো। মূল কথা হলো, কামান চাইলে যদি বন্দুক পাওয়া যায়........সেটাও ভালো! খাবোই যেহেতু, পান্তাভাত খাবো কেন, বিরিয়ানীই খাই!!! :P

ভালো লিখেছে ভুম । থ্যাঙ্কু! থ্যাঙ্কু!! ভুম খুশ হুয়া!! :-B

২০| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




দেশপোযোগী লেখা।
আখেনাটেন এর মন্তব্য আর আপনার বিশ্লেষনের পরে বুঝতে বাকী থাকেনা নৌকার পাল বাতাসের উল্টোদিকে খাঁটানো হয়েছে! এই উল্টো হাওয়ায় চলেও শেষতক ঘাটে পৌঁছানো সম্ভবপর হতে পারে যদি সমস্যা উত্তরনে আপনার প্রস্তাবনার "গুন" গুলো নৌকার মাস্তুলের সাথে বেঁধে দিয়ে নৌকাটি টানা যায়।

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই উল্টো হাওয়ায় চলেও শেষতক ঘাটে পৌঁছানো সম্ভবপর হতে পারে যদি সমস্যা উত্তরনে আপনার প্রস্তাবনার "গুন" গুলো নৌকার মাস্তুলের সাথে বেঁধে দিয়ে নৌকাটি টানা যায়। যথার্থ বলেছেন। আশাই যদি না থাকে, তাহলে তো দুনিয়া আন্ধার!! আমিও চাই নৌকা যেন ভেসে থাকে। নিরাপদে তীরে পৌছাতে পারে, আর যাত্রীরা নিরাপদ থাকে।

২১| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আশিকি ৪ বলেছেন: বেবহারে বংসের পড়িচয়। গাজীকে কড়া আপনাড় নোংড়া ভাষা প্রুমান কড়চে আফনি বস্তি তেখে ওঠি আসিচেন। ছিঃ।
মুই মাল্ডি হজ্ঞলে জানে। মাল্টিটেঘ দি ফায়দা নাহি।

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাল্টি-ফাল্টির পিছনে আমি সাধারনতঃ সময় নষ্ট করি না। তারপরেও আপনাকে কিছু কথা বলি।

আপনার বা আপনার ওস্তাদের কাছে আমার বংশ-পরিচয় প্রমাণের কোন বাধ্যবাধকতা নাই। নিজের সম্পর্কে আমার পরিস্কার ধারনা আছে। আমি কোন সময়েই আপনার ওস্তাদকে শুরুতে কটু কথা বলি না। উল্টা-পাল্টা কথা বললেই শুধু ডান্ডা ব্যবহার করি। এখানেও শুরু থেকে আমার উত্তর ফলো করলেই বিষয়টা বুঝবেন, যদি বুঝতে চান।

আপনার ওস্তাদ একজন বিকৃত-মস্তিস্কের মানুষ। কটু কথা না শোনা পর্যন্ত তার তৃপ্তি আসে না। এখানেও দেখেন, ডান্ডা খাওয়ার পরে বিদায় নিয়েছে। এই বিদায়টা আগে নিলে আমার অযথাই এনার্জি নষ্ট করা লাগতো না। যাই হোক, বুঝলে বুঝপাতা, না বুঝলে.......!!

আপনার পিছনে যথেষ্ট সময় নষ্ট করলাম। আর না। এরপরে ফালতু মন্তব্য করলে মন্তব্য মুছে দেয়া হবে। আশা করি, কথা পরিস্কার হয়েছে।

২২| ১৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯

জোবাইর বলেছেন: নিজের দেশকে উগান্ডা/বুগান্ডা বলে ব্যঙ্গ বা কটাক্ষ না করেও যে সরকারের দমনমূলক রাজনীতি ও ভুল পরিকল্পনার সমালোচনা করা যায় তার সুন্দর দৃষ্টান্ত আপনার এই লেখাটি। তাছাড়া "দেশ উগান্ডা হয়ে গেছে এবং শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে" - ধরনের নেতিবাচক কথার পরিবর্তে দেশের বর্তমান সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে তা উত্তরণে গণতান্ত্রিক ও সময়োচিত সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে ইতিবাচক আলোচনাও ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।

১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার হতাশার জায়গাটা বুঝতে পারছি। আসলে "দেশ উগান্ডা হয়ে গেছে এবং শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে" এই ধরনের কথাগুলো এক ধরনের কষ্ট থেকে ব্লগাররা বলেন। দেশকে তো আমরা সবাই ভালবাসি, তাই দেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়াটা স্বাভাবিক। একেকজনের প্রকাশভঙ্গি একেক রকমের। আপনারটাও ঠিক আছে। এটা অবশ্য আমার ব্যক্তিগত ধারনা।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন। :)

২৩| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩২

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: জোবাইর বলেছেন: নিজের দেশকে উগান্ডা/বুগান্ডা বলে ব্যঙ্গ বা কটাক্ষ না করেও যে সরকারের দমনমূলক রাজনীতি ও ভুল পরিকল্পনার সমালোচনা করা যায় তার সুন্দর দৃষ্টান্ত আপনার এই লেখাটি। তাছাড়া "দেশ উগান্ডা হয়ে গেছে এবং শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে" - ধরনের নেতিবাচক কথার পরিবর্তে দেশের বর্তমান সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে তা উত্তরণে গণতান্ত্রিক ও সময়োচিত সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে ইতিবাচক আলোচনাও ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।


জোবাইর দেশকে কেউ কটাক্ষ করেনি। দেশে একটি কালো আইন নিয়ে পুরা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কিছদিন আগেও ব্লগ পরাধীন ছিল, ছিল হায়েনাদের থাবায়। পোস্ট না পড়ে শুধু শিরোনাম দিয়ে কোন ব্লগার কে পিন্স করে কথা বলা ১৩ বছরের পুরনো একজন ব্লগারের কাছে খুবই অপ্রত্যাশিত। দেশে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি কেন আসতে পারে তার যৌক্তিক ব্যাখ্যা অসংখ্য অর্থনীতি স্পেশালিষ্ট দিয়েছেন।

দেশ নিয়ে কটাক্ষ কেউ কোনদিন এই ব্লগে করেনি। ভবিষ্যতে করার সুযোগ নেই। না জেনে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।

২৪| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সময়ের নোনাজলে
ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় বালির প্রাসাদ
যত বেশি চেষ্টা ততই তলিয়ে যায়
চোরাবালীর এইতো ঘাত।।

বিপন্ন সময়ে বিষন্ন স্বপ্নরা
নিরুপায় শীতনিদ্রায় বালিতে লুকায়
ঝড়ের মুখে উটের মতোন;
ভেসে যায় প্লাবন জলে - অসহায়।।

জাগো বাহে
কুনঠে সবাই? কেউ ডাকে না আর
টেটা বল্লম জং ধরে গেছে
চেতনায় আফিম নেশা কাটেনা তার।।

সময়ের প্রয়োজনে
জাগবেই প্রাণ, ফিনিক্স চেতনায়
লংকা কান্ডে দু’ধারী দহন
শোষিতের শিহরন; শোষকের কাঁপে প্রাণ।।

আপনার দারুন সন্দর্ভে পাঠ প্রতিক্রিয়া। ইট্টু ভিন্ন আর কি! ;) হা হা হা

১৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনেরা কবি মানুষ, বিশেষ প্রজাতির মানুষ.............আপনাদের প্রকাশভঙ্গিও বিশেষায়িত ধরনের। কবিতার মাধ্যমে ভাব-প্রকাশ আমার মতো আম-আদমী করতেও পারে না, ততোটা বুঝতেও পারে না। চোখ বুলায়ে যতোটুকু বুঝলাম, তাতে শব্দের যথাযথ বুননে খুব তুখোড় কবিতা বলেই মনে হচ্ছে। তবে, হজম করা আমার জন্য বেশ কঠিন!!! =p~

ভিন্নধর্মী পাঠ-প্রতিক্রিয়া ভিন্ন স্বাদের হয়েছে ভাইজান। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। :)

২৫| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১০:১০

গরল বলেছেন: আপনার দাবিগুলো আসলে কার কাছে, সরকারের কাছে নাকি অন্য কেউ যে সরকারকে বাধ্য করতে পারবে? কারণ সরকার কারো দাবি নিয়ে মাথা ঘামানোর মত সময় আছে বলে মনে হয় না। জনগণতো ঠিকই কাওমি মাদ্রাসার স্বিকৃতিকরণের দাবি সরকারে কাছ থেকে আদায় করতে পারল তাহলে অন্য দাবি কেন পারে না? তার মানে জনগণ এসব দাবির সাথে একমত না বা তারা চায় না।

১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সরকার কারো দাবী নিয়ে মাথা ঘামাবে কি ঘামাবে না, সেটা সরকারের বিষয়; তবে এই চিন্তা করে কেউ ব্লগে পোষ্ট দেয় জানা ছিল না। অদ্ভুদ ধরনের কথা জানলাম আজকে!! আর কাওমি মাদ্রাসার স্বিকৃতিকরণের দাবি একটা বিশেষ গোষ্ঠীর দাবী, এটাকে জনগনের দাবীর সাথে গুলিয়ে ফেলার কোন যৌক্তিকতা নাই।

প্রায় এগারো বছর ব্লগিং করেছেন........এসব তো আপনার জানার কথা!!!

২৬| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: আসলে যত সময়ে না দেওয়ালে পিঠ না ঠেকবে ততক্ষণ কিছু হবে না । এই যে এখন একটু একটু ঠেকেছে বলেই বিদেশ ভ্রমনের উপরে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, কম জরূরী প্রোজেক্ট না হাতে নেওয়ার আলাপ এসেছে !

তবে আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় যে যত সময়ে বাংলাদেশে সস্তা লেবারের যোগান থাকবে ততসময়ে বড় রকমের ঝামেলা আসবে না !

আর অবস্থা এমন যদি হয় যে যখন আর ফেরৎ আসার উপায় না থাকে তখন সাফারার হব আমরা আম জনতা । তাদের প্রত্যেকের তো সেকন্ড হোম আছেই । এখানে উপায় না থাকলে সেখানে আছে । আমরা যাবো কই !

১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সরকার যেইভাবে দেশ চালাচ্ছে, তাতে সস্তা লেবারের কমতি কখনও হবে না। লেবারদের বড়লোক হওয়ার কোন সুযোগই সরকার রাখে নাই!!! :P

দেশের আমলা-রাজনীতিবিদদের কথা বাদই দেই; কেরানী, ড্রাইভার, পিয়নরাও তো দেখি কোটি কোটি টাকার মালিক!! স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোন এক পিয়ন না ড্রাইভারের নাম সম্ভবতঃ পেপারে এসেছিল, যার অস্ট্রেলিয়াতে বাড়ি আছে! আপনার মনে আছে নাকি?

এই যে এখন একটু একটু ঠেকেছে বলেই বিদেশ ভ্রমনের উপরে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, কম জরূরী প্রোজেক্ট না হাতে নেওয়ার আলাপ এসেছে ! দেখা যাক, সময়ই বলবে এটা বাস্তবায়নে সরকার কতোটা আন্তরিক। তবে ইতোমধ্যেই বেশকিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যা তেমন একটা সুবিধার মনে হচ্ছে না।

নিজের দেশের জনগনের পিঠ দেয়ালে ঠেকায় যেই সরকার, সেই সরকারের বোধ একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জাগ্রত করতে পারে। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, সেই দিন যেন আমাদের না দেখতে হয়।

২৭| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেক লম্বা পোষ্ট, অনেক কিছুই পজিটিভলি নিয়েছেন, আগামী নির্বাচন এখনো বহুদিন বাকি, এরপরও একজন কট্টর বিরোধি হয়েও বর্তমান সরকার আরো এক টার্ম থাকবে ধরে নিয়ে ৭ দফা পরামর্শ দিয়েছেন। যার সবগুলোই সমর্থন যোগ্য।
বাকী অংশ নিয়ে আলোচনা একটু পরে করছি।

তবে একটা কথা না বললেই নয়, আপনাকে বলছিনা, সবার জন্য।

শ্রীলংকার প্রসংগ টেনে আওয়ামী লীগকে ল্যাংটা করে মারপিটের ভয় দেখানো হচ্ছে প্রায়ই, এসব বোকামি ছাড়া আর কিছু না।

পাকিস্তান আমল থেকে শাসকদল কখনোই জনগণের জুতাপেটার থেকে বাঁচতে পারে নাই।
আইয়ুব খান মোনায়েম খান ধাওয়া খাইছে জুতাপেটা খাইছে জিয়াউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুতাপেটা ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এরশাদ ৯ বছরেও বইমেলার সময়টায় বাংলা একাডেমিতে ঢুকতে পারেনি পাবলিকের গগনবিদারি গণ দুয়োর কারনে।
গোলাম আজম জিয়ার আমলে পরে এরশাদ আমলেো বাইতুল মুকাররমে জুতাপিটার শিকার হয়েছিল। মৃত্যুর পর কফিনও জুতার হাত থেকে রক্ষা পায় নি।

আওয়ামীলীগ গণমানুষের দল।
আওয়ামী লীগ অবশ্য সারাজীবন মার খেয়ে এসেছে সামরিক জান্তার কামানের মুখে পুলিশের বন্দুকের গুলি, জংগিদের গ্রেনেড হামলায় পুলিশের বৃষ্টির মত গুলিবর্ষনের মুখে সমর্থকরা ঘিরে মানব বর্ম তৈরি করে নেত্রীকে বাচিয়েছে। টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড খাইছে শত শত মার খেয়েছে পুলিশের হাতে লাঠিপেটা তো আছেই। মার খেয়েই বড় হয়েছে আওয়ামী লীগ।

তবে আওয়ামী লীগ আজীবন শত মার খেলেও অন্তত কখনোই কোনকালেই জনগণের হাতে মার খায় নাই ।
মুজিব ও হাসিনাকে গায়ে হাত তোলা তো দুরের কথা কখনোই জনগণ দূুয়ো পর্যন্ত দেয়নি।
বিএনপি জামাতের দালাল ও রাজাকার শিবির ছানাপোনারা প্রায়ই বলে থাকে যে আওয়ামী লীগ পুলিশ বাদে একবার আসুক তারপর দেখায় দিব।
সেটাও এত সহজ না। আওয়ামীলীগ দেশের একমাত্র তৃণমূলের দল জনমানুষের দল , ইতিহাস বলে আওয়ামী লীগ গণপিটুনি খায় না গণপিটূনি দিয়ে অভ্যস্ত।

২৮সে অক্টোবর ২০০৬ সেই ১ দিন দেশে কোন সরকার ছিল না।
প্রবল বিতর্কের কারনে কে এম হাসান সেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে পারে নাই পুলিশের অনেকটা নিষ্ক্রিয়। তখন বিএনপি মাত্রই ক্ষমতা ছেড়েছে। লাঠিয়াল জড় করে প্রস্তুত। বিএনপির রাষ্ট্রপতি তখনো চেয়ারে, বিএনপি প্রশাসন ও পুলিশ রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রনে রেখেছে, কিন্তু তত্ত্বাবধায় সরকার তখনো গঠিত হতে পারে নাই।

সেদিন বিএনপি দিনব্যাপি পল্টনে সমাবেশ ডাকে, আওয়ামী লীগও সমাবেশ ডাকে দলীয় অফিসে সামনে। বিএনপি-জামাত একত্র ভাবে পল্টনে সমাবেশ থাকার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারনে জামাত আলাদাভাবে বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশ শুরু করে এরপর কিন্তু পল্টনে বিএনপি'র অনেক লোক জড় করলেও দুপুরের পর মানুষ কমতে থাকে, বড় বড় নেতারা সকালে আসলেও দুপুরে ভাষন দেয়ার মত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিকেলে পল্টন খালী।

এদিকে মানুষ দলে দলে আওয়ামী লীগের ব্যানার নিয়ে আসছে তো আসছেই। আওয়ামীলীগ অফিসের দিকে ততক্ষনে পুরো ঢাকার সব রাস্তা আওয়ামী লীগের দখলে। রাস্তাঘাটে সমাবেশ গান-বাজনার তালে নৃত্য এমনকি পথনাটক পর্যন্ত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের একটি খন্ড মিছিল বায়তুল মোকাররমের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সিপিবির অফিস বায়তুল মোকাররমের সামনেই, সিপিবির ছোট একটা মিছিল ছিল দলীয় অফিসে যাওয়ার দিকে জামাতিদের ইট-পাটকেল এবং গুলি বর্শনের শিকার হয়। আওয়ামী লীগের ছোট মিছিলটিও ক্ষেপে আছে বাইতুলমোকারম থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপের কারনে। এরপর আওয়ামী লীগও সিপিবির সমর্থকরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে বাইতুল মোকাররমের দিকে ধাওয়া করে, লাঠিবৈঠার পিটুনিতে ১০ জন নিহত হয়েছিল।

তখন পুলিশের ব্যাকিং ছাড়াই আওয়ামীলীগ ঢাকা ও বাংলাদেশের রাজপথ ১-১১র আগের দিন পর্যন্ত একটানা ৩ মাস দখলে রেখেছিল। লীগ ও লীগের শিল্পিরা রাস্তাঘাটে সমাবেশ গান-বাজনার আসর যেমন খুসি তেমন সাজো এমনকি পথনাটক করে মাতিয়ে রেখেছিল। তখন রাস্তায় বিএনপি-জামাতের টিকিও খুজে পাওয়া যায় নি।

১৮ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা কথা আপনাকে বুঝতে হবে, জুতাপেটা অতীতে খায় নাই দেখে ভবিষ্যতেও কেউ খাবে না এমন কোন নিশ্চয়তা কি আছে? জুতাপেটা খাওয়ার কাজ করলে সেই সম্ভাবনা থাকেই, আগে আর পরে। এটা অস্বীকার করার উপায় নাই যে, অন্যান্য দলের চাইতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো অনেক শক্তিশালী, কিন্তু এই গর্বে বলীয়ান হয়ে বীর-বিক্রমে অকাম-কুকাম চালিয়ে গেলে সেই পরিস্থিতি আসতে কতোক্ষণ?

আওয়ামী লীগ যদি সত্যিকারের গণমানুষের দল হয়েই থাকে, তাহলে গণমানুষের জন্য কাজ করুক। আমিসহ সারা দেশবাসী বাহবা দিবে। চাই কি, আমিও আওয়ামী লীগার হয়ে যেতে পারি!! :P

কিন্তু পোষ্টে যেই ৭ দফার কথা বলেছি, সেগুলো বাস্তবায়ন না করলে কি আ. লীগকে গণমানুষের দল বলা যায়? আর এসব নিয়ে আলোচনা করা লাগে? এসব তো বাই ডিফল্ট একটা গনমানুষের দলের বাস্তবায়ন করার কথা। ভুল বললাম কি? যেসব কালা-কানুন আ.লীগ করছে, তাতে মানুষ দুয়ো দিতেও ভয় পায়। এটা কি একটা গণমানুষের দলের লক্ষণ? আওয়ামী লীগ যদি এতোই কনফিডেন্ট থাকে, তাহলে মধ্যরাতের নির্বাচনের নামে প্রহসন করার দরকার পড়ে না। গাটস থাকলে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করুক!! এটা তো একসময়ে লীগেরই দাবী ছিল। নিজেরা ক্ষমতায় এসে সেটা রদ করার দরকার পড়লো কেন? আপনি আবজাব বহুকিছুই বলতে পারেন, কিন্তু আমি জানি, এর সঠিক জবাব কোন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী বা সমর্থকের কাছে নাই।

একজন কট্টর বিরোধি হয়েও বর্তমান সরকার আরো এক টার্ম থাকবে ধরে নিয়ে ৭ দফা পরামর্শ দিয়েছেন। সঠিক বলেছেন। কথায় আছে না, ধর্ষণ যখন অবধারিত, তখন তাকে উপভোগ করাই শ্রেয়!!! =p~

শোনেন, আপনাকে আজ একটা কথা বলি। আমি কোন দল বুঝি না। দেশ বুঝি। দেশের জন্য যে ভালো কাজ করবে, আমার সমর্থন তার প্রতি থাকবে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, আমি তাদের মন্দ কাজেরও সমালোচনা করতাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় যেহেতু ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম, আমার বন্ধুরা আমার মুখে সেইসব সমালোচনা শুনলে আৎকে উঠতো। কেউ কেউ বেইমানও বলতো। তাতে আমার কোন হেলদোল হতো না। আসলে আপনার মতো সমর্থকের অভাব বিএনপিতেও নাই!! তখন ব্লগ ছিল না, থাকলে আমার সেইসব সমালোচনা নিশ্চিতভাবেই ব্লগেও দেখতে পেতেন।

আওয়ামী লীগ যেহেতু অনেক বছর ধরে ক্ষমতায় আছে, তাদের সামনে সুযোগ আছে ভালো কিছু করে নিজেদের সত্যিকারের গণমানুষের দলে পরিনত করার। নয়তো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে যেতে পারে যে কোনও সময়ে। হিন্দিতে একটা কথা আছে, কাল কিছনে দেখা?

আওয়ামী লীগের জন্য শুভকামনা থাকলো। দেশের মানুষের জন্য সত্যিকারের কাজ করে ইতিহাসে নাম লেখানোর সুযোগ তাদের সামনে আছে। সেই সুযোগ হেলায় হাতছাড়া করা কোন বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না।

২৮| ১৭ ই মে, ২০২২ ভোর ৪:৫১

বলেছেন: নতুন কিছু না!! হুদাই পেছাল।।।

দেশ এগিয়ে গেছে এটাই সইত্য।।

১৮ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যুগান্তকারী মন্তব্য করেছেন। আপনার জন্য উপহার একটা আলমের এক নং পচা সাবান। ঠিকানা দিলে পোষ্ট করে দিব!!! :-B

২৯| ১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি গালি দেয়ার পর ও বিশ্রী কথা বলার পর আমি বিদায় নিইনি; আমি দেখছি, আপনি কি কি বলতেছেন।

১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কনগ্র্যাচুলেশানস!!!

৩০| ১৭ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:৪৯

শাহ আজিজ বলেছেন: সময় উপযোগী পোস্ট । পড়ছি কাল থেকে---------

একটি জটিল বিষয় এটি বা এই আলোচনা । আমি আজকাল সেসব বিষয় বাদ দেই যাতে হাইপারটেনশন চাগিয়ে ওঠে । তবুও পুরাতন পাপী আমি , এড়িয়ে যেতে পারি না । খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা সময় উপযোগী বিষয়ের অবতারনা করেছেন । সরকার অতি সজাগ রাশিয়া- ইউক্রেন সঙ্ঘাতে নিত্য পন্যের মুল্য বৃদ্ধি নিয়ে । আরও সজাগ করেছে শ্রীলঙ্কার গন অভ্যুথান । আমরা আতঙ্কে থাকি আমাদের দোকানিদের নিয়ে যারা রাষ্ট্রকে পর্যন্ত মানছে না বা লক্ষন নেই মানার । সবচে উল্লেখযোগ্য এদের প্রতি সরকারের নরম অবস্থান । এতে ক্ষতির মুখে পড়ছে সাধারন জনগন । যাই থাকুক সামনে আমরা লড়বো , এই বাঙ্গালরা ।

১৮ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোন অবস্থাতেই হাইপারটেনশানকে চাগিয়ে তোলা যাবে না। আপনাকে এখন ধীর-স্থির, শান্ত-শিষ্ট থাকতে হবে। লেজের আগায় অবশিষ্ট বসাতে গেলে বিপদ হতে পারে! :P

আসল কথা হচ্ছে, দেশের যে কোনও অনাচার-অবিচারের মূল নিয়ন্ত্রক হলো দেশের সরকার। তারা তাদের দায়িত্ব যদি ঠিক ভাবে পালন করে, অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেয়, আর অন্যায়কারীদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে.........তাহলে যে কোনও সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।

তাহলে আম-জনতার কোন টেনশান নিতে হয় না।

৩১| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ৯:২৯

আশিকি ৪ বলেছেন: লেকক আফনের ফূষ্টে কমন্ট কড়ার ঠেকা পরেনায়।আফনে ওনার সাথে অহিতুক কারাপ বেবহার করেচেন।একানে এট নামি দামি ব্লঘার মন্টব্য কড়চে কেহ পতিবাদ কড়ল না। শেম অন দোজ স্বার্টপড় ভ্লগাড় শেম।

আগনার সাথে আমাডের কুনো বিরোড নেয়। সম্মান ডিলে সম্মান পাভেন। কারাপ বেবহার করলে মন্টব্য কড়ে পতিবাদ করব। আপনাড় ব্লগ। মন্টব্য মুছা কেনু সুধু? আফনি যা ইচ্চা কড়তে পাড়েন।

১৮ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বারে বারে পোষ্টে আসলে ঠ্যাকা যে পড়ে নাই, বুঝি কেমনে!!

আগের মন্তব্যে যা বলেছি, তা মনে হয় আপনার কান দিয়ে ঢুকে মগজ পর্যন্ত পৌছায় নাই। সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়, এটা সবার জন্যই সত্য। এই কথাটা আপনার ওস্তাদকে বোঝান গিয়ে।

৩২| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: একটা গল্প তো শুনেছেন । এক নাস্তিক একবার এই দেশে এসে হাজির হল এবং এই দেশে এসেই সাথে সাথে আস্তিক হয়ে গেল । তাকে কারণ জানতে চাইলে সে বলল, উপরওয়ালা অবশ্যই আছেন নয়তো এই দেশ কিভাবে এতোদিন টিকে আছে !

সত্যি কথা কি দেশের অর্থনীতি এখনও টিকে আছে কেবল মাত্র এই সস্তা লেবার আর প্রবাসীদের পাঠানো দের কিছু জালালী কবুতরের কথা শুনলে মনে হবে যে দেশে কিনা কি হয়ে যাচ্ছে ! আমাদের অর্থনীতি থেকে এই সস্তা লেবার আর প্রবাসীদের আয় সরে যায় তাহলে শ্রীলংঙ্কা থেকে দ্রুত ধ্বংশের দিকে যাবে ! দেশের প্রতিটা সেক্টর দুর্নীতির কারণে কি বেহাল দশা সেটা এই জালালী কবুতরেরা চোখে দেখে না ।

সাধারন জনগনের পিঠ অনেক আগেই দেওয়ালে ঠেকে গেছে । আমাদের আসলে সহ্য না করে আর কোন উপায় নেই । এবং এই কথাটা সরকার খুব ভাল করেই জানে । তাদের মনে এটা দৃঢ় ভাবে বসে গেছে যে আমরা যা করি তা এরা মেনে নিবেই । এতো কেয়ার করে লাভ কি !

১৮ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পটা জানি, তবে যতোবার শুনি, ততোবারই আনন্দ পাই!! ;)

রেমিট্যান্স আর গার্মেন্টস......শুধু দুইটা মূল খাতের উপরে যে অর্থনীতি দাড়িয়ে থাকে, তার ভিত্তি কখনোই মজবুত হয় না, আর তার সাথে যদি চুরি-চামারি যোগ হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা!

তাদের মনে এটা দৃঢ় ভাবে বসে গেছে যে আমরা যা করি তা এরা মেনে নিবেই । এতো কেয়ার করে লাভ কি ! এটা স্বৈরশাসকদের একটা কমন ভাবনা। এই বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে হবে। খাবোই যখন, তখন পোলাওই খাবো। তেমনি, স্বৈরশাসক হবোই যদি তাহলে লী কুয়ান ইয়ু কিংবা পার্ক চুং হি'র মতোই হবো! এভাবে ভাবলে আর কাজ করলেই কিন্তু সমস্যা মিটে যায়।

৩৩| ১৮ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:৫২

রেজাউল৯৬ বলেছেন: মূল্যস্ফীতির চাপ নানাভাবে পড়তে শুরু করেছে যুক্তরাজ্যে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে আগামী বছর দেশটির প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য পরিশোধ করতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর বিবিসির

জানা গেছে, মূল্যস্ফীতির চাপে আগামী বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যে দারিদ্র্য বাড়বে। প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার পরিবার অভাবের মধ্যে পড়বে এবং অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১২ লাখে উঠবে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিকস অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ।
...
২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। আর ২০২৪ সাল পর্যন্ত তা ৩ শতাংশের ওপরে থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো, যদিও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ শতাংশের ওপরে। একই সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস পাবে বলেও শঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিকস অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চের
(এনআইইএসআর) পূর্বাভাস ছিল, ২০২২ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু এখন তারা বলছে, বছরের শেষ দুই ত্রৈমাসিকে ব্রিটিশ অর্থনীতি সংকুচিত হবে। অর্থাৎ আবার মন্দার কবলে পড়বে যুক্তরাজ্য।


national institute of economic and social research এবং বিবিসির লেখা অবলম্বনে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত লেখা থেকে কোট করে হয়েছে।

প্রথম আলোর খবরের লিংক: https://www.prothomalo.com/business/world-business/যুক্তরাজ্যে-মানুষের-দুর্গতি-সরকারি-সহযোগিতা-বৃদ্ধির-আহ্বান
ইংল্যন্ডেতো স্বৈরাচারি সরকার ক্ষমতায় নাই, পরিবার তন্ত্র কায়েম করা হয় নাই, মন্ত্রী-এমপি-নেতারা চুরি করে বিদেশে টাকা পাচার করছে না, মেগা প্রজেক্টের নামে পুকুর চুরি হইতেছে না, কালা কানুন দ্বারা মানুষের মুখ জোর করে বন্ধ করে দেয়া হতেছে না, অব্যবস্থাপনা নাই, মধ্য রাতে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলা হয় না, তাহা হলে ইংল্যান্ডে এই সমস্যা কেন দেখা দিল?

আপনার ইনকাম ট্যাক্স বিলাত সরকারের কোষাগারে জমা হয় অনুমান করি। বিলাত সরকারকে উপদেশ দিয়া ওখানকার কোন ব্লগে কোন লেখা দিয়াছিলেন কি? এই দেশের সরকারের তো কানে তুলা, ঔ দেশের গন বান্ধব সরকার নিশ্চয় আপনার অমূল্য উপদেশ কাজে লাগাইবে।

১৮ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বৃটেনের অর্থনীতি নিয়ে আমি চিন্তিত না। যে কোনও সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার সক্ষমতা এদের আছে। যেই সমস্যা হচ্ছে, সেটা সাময়িক। মূলতঃ ব্রেক্সিট আর ইউক্রেন যুদ্ধ এর মূলে। আর কিছু আভ্যন্তরীণ কারন আছে, যেটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। আমি মনে করি, রাজনীতিবিদদের দেশপ্রেম থাকলে যে কোনও সমস্যা থেকেই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। বিস্তারিত আলাপ করছি না, কারন এটা এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় না। তাছাড়া কে বলতে পারে, আপনি হয়তো যুক্তরাজ্যেই থাকেন.....সেক্ষেত্রে আপনার জানার কথা। :P

বেশী ইন্টারেস্টেড হইলে একটা পোষ্ট দেন আপনের বৃটেনের অর্থনীতি সংক্রান্ত টেনশান নিয়া। সেইখানেই বিস্তারিত আলাপ করবো, কথা দিলাম।

আমার ইনকাম ট্যাক্স আমি দেই না, আমার অফিস দেয়। সেইটা কই যায়, তা নিয়া আমার কোন মাথাব্যথা নাই। আর ইংরাজি ভাষায় কিন্চিৎ দূর্বল হওয়ার কারনে এইখানের কোন ব্লগে লেখার দুঃসাহস দেখাই না। আশাকরি, আপনের কৌতুহল মিটাইতে পারলাম। :-B

৩৪| ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৩১

গরল বলেছেন: লেখক বলেছেন: সরকার কারো দাবী নিয়ে মাথা ঘামাবে কি ঘামাবে না, সেটা সরকারের বিষয়; তবে এই চিন্তা করে কেউ ব্লগে পোষ্ট দেয় জানা ছিল না। অদ্ভুদ ধরনের কথা জানলাম আজকে!!
ভুল বুঝে রাগ করবেন না, আসলে সরকার দেশের মানুষের দাবিকে কোন কেয়ারই করে যদি না সেটা কোন ধর্মিয় ব্যাপার হয়, তাই খেদের কারণে বলেছিলাম। আপনার পোষ্ট বা দাবি যথেষ্ট ন্যায়সঙ্গত কিন্তু এগুলো সরকারকে বুঝাবে কে? আর কাওমি মাদ্রাসার স্বিকৃতিকরণের দাবি একটা গুষ্ঠির হলে এতে দেশের উল্লেখসংখক মানুষের সমর্থন ছিল। এমনি এমনি সরকার এই দাবি মেনেছে বলে আপনার মনে হয়? সরকার ধর্ম নিয়ে ঠিকই জনগণরে ভয় পায়, অন্য কোন বিষয়ে পায় না কেন? একটু চিন্তা করলেই বুঝবেন, কারণ এই একটা কারণে জনগণ জীবন দিতেও পিছপা হবে না। তবে নিশ্চিত থাকেন, আপনার দাবিগুলো নিয়ে জনগন কোনদিন জীবন দিবে না। আর তাই এরশাদকে নামাতে দশ বছর লাগলেও তসলিমা নাসরিণকে দেশ ছাড়া করতে কিন্তু তিন দিনের বেশি লাগে নাই।

২৩ শে মে, ২০২২ রাত ১:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে দেশীয় রাজনীতির একটা বিষয় বুঝতে হবে। কাওমি মাদ্রাসার স্বিকৃতিকরণের দাবি কোন গণমানুষের দাবী না। কওমি মাদ্রাসা আসলে কি জিনিস, অন্যান্য মাদ্রাসা থেকে তাদের পার্থক্য কি কিংবা তারা কিভাবে আলাদা সেটার ব্যাপারে বেশীরভাগ সাধারন মানুষেরই পরিস্কার কোন ধারনা নাই। আমারই নাই। এটা সম্পূর্ণই একটা রাজনৈতিক ব্যাপার। দেশের বেশীরভাগ মানুষের ধারনা যে আওয়ামী লীগ কিছুটা এন্টি-ইসলাম মনোভাবাপন্ন দল। ফলে, ইসলামের ব্যাপারে তাদের ইনভল্বমেন্ট বা সিরিয়াসনেস বোঝানোর জন্য এটা লীগ মেনে নিয়েছে। এটা দেশের ইসলামী দলগুলোর একাংশকে কাছে টানার একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।

সরকার ধর্ম নিয়ে ঠিকই জনগণরে ভয় পায়, অন্য কোন বিষয়ে পায় না কেন? যেই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন একটা ধর্মের অনুসারী, সেখানে এটাই কি স্বাভাবিক নয় কি? অন্য বিষয়ে পায় না, কারন সেখানে জনগনের সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু একটা ধর্মীয় ইস্যুতে ইসলামী দলগুলো আন্দোলনের ডাক দিলে সাধারন জনতা বুঝে কিংবা না বুঝে তাদের সাপোর্ট করে। এখানে গণমানুষের আবেগ জড়িত। আর এটাকেই আওয়ামী লীগ ভয় পায়।

তবে নিশ্চিত থাকেন, আপনার দাবিগুলো নিয়ে জনগন কোনদিন জীবন দিবে না। কোনদিন কথাটা ভূল। দেয়ালে যেদিন পিঠ ঠেকে যাবে, সেদিন দিবে। এরশাদকে নামাতে দশ বছর লাগলেও সময়ে কিন্তু ঠিকই নামিয়েছে। এরশাদকে নামানোর জন্য আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম এবং একটা পর্যায়ে সেখানে গণ-মানুষের সম্পৃক্ততাও ঘটেছিল, আর সে জন্যে অনেকে জীবনও দিয়েছে। কাজেই অসম্ভব বলে কোন কথা নাই।

আর তসলিমা নাসরিনকে দেশছাড়া করতে তিনদিনও লাগে নাই, কারন ক্ষমতা, গুরুত্ব আর স্রোতের বিপক্ষে সাতার কাটার ব্যাপারে তসলিমা আর এরশাদের পার্থক্য আকাশ আর পাতালের। তসলিমাকে দেশছাড়া করানোতে ঝামেলা সহজেই মেটানো গিয়েছিল, আর যেহেতু সেটার রিপার্কেশান সমাজে সেভাবে ছিল না.........কাজেই কাজটা খুবই দ্রুত করা সম্ভব হয়েছিল।

আপনার কথায় রাগ করি নাই, তবে খানিকটা আশ্চর্য হয়েছিলাম বলাই বাহুল্য! নো ওয়ারিজ!!! :)

৩৫| ২৪ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এত্ত বড় লেখা পড়ার জন্য কোন পুরষ্কার নাই :P
আমার মনে হয়না আমাদের দেশের সরকার সঠিক বুঝটা বুঝতে পারবেন।দেশ বিক্রি করে হলেও তাদের ক্ষমতা দরকার।
দেশের সাধারন মানুষের পিঠ দেওয়ালে অলরেডি ঠেকে গেছে!

২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সরকারের লোকজন তাদের সঠিক বুঝটা ঠিকই বোঝে। তাদের বুঝ হলো, বেগমপাড়ায় বাড়ি আর সুইস ব্যাঙ্কে ডলারের পাহাড়। এখনও সাধারন মানুষের পিঠ দেয়ালে পুরাপুরি ঠেকে নাই। অবস্থা এমন চলতে থাকলে ঠেকতে খুব বেশী সময় নিবে না।

দুঃখটা বড়, তাই এসব নিয়ে লিখতে গেলে লেখাও বড় হয়ে যায়। আপনি ধৈর্য ধরে পড়েছেন, পুরস্কার তো অবশ্যই প্রাপ্য। কিভাবে দেয়া যায়, জানায়েন!!! ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.