নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিলেটের বন্যার জন্য দায়ী কে?

২০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:৫৩



আমার বার্মিংহাম-নিবাসী এক বন্ধু ইউটিউবের এই ভিডিওটার লিঙ্ক পাঠিয়েছেন আজ। সিলেটের বন্যার জন্য দায়ী কে? ভিডিওটা দেখলাম। আপনারাও দেখতে পারেন, যারা যারা দেখেন নাই। এই ভদ্রলোকের নাম আমার ওই বন্ধুর মুখে অনেকবার শুনেছি, কিন্তু উনার কোন ভিডিও অদ্যাবধি দেখা হয় নাই, এটাই প্রথম।

ভদ্রলোকের যুক্তিগুলো আমার কাছে বেশ শক্তিশালী মনে হয়েছে। আমি কোন বন্যা বা পানি বিশেষজ্ঞ না। তবে ব্লগে যারা এই পর্যায়ের বা সর্ব-পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ আছেন কিংবা লীগের পুচ্ছ-নাচানো সমর্থক, তারা চাইলে লজিক্যাল আলোচনা করতে পারেন; উনার বক্তব্যের পয়েন্ট ধরে ধরে। বক্তব্যে যদি কোন অতিরন্জিত বিষয় কিংবা অসত্য কোন তথ্য থাকে, সেটাও তুলে ধরতে পারেন……..খন্ডাতে পারেন।

আমার এই ভিডিওটা দেয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো, বিষয়টা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা। সেইসাথে অন্যরা যারা আমার মতো বিশেষভাবে অজ্ঞ, তাদেরও জানাতে সাহায্য করা। অতিরিক্ত ব্যস্ততা থাকার জন্যই এই সংক্ষিপ্ত পোষ্ট। আমি হয়তো আলোচনাতে তেমন একটা অংশ গ্রহন করতে পারবো না, তবে সবার আলোচনা অবশ্যই দেখবো। মাঝে-মধ্যে দু-একটা ফুটুস ফাটুস প্রতি-মন্তব্য দিলেও দিতে পারি। তবে, আমার প্রতি-মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ না; গুরুত্বপূর্ণ হলো, বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের মতামত।

হ্যাপী আলোচনা!!!

ছবিসূত্রঃ প্রবাস জার্নাল।

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৪২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অফিসের কম্পিতে সাউন্ড নাই :(

২০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সাউন্ড নাই নাকি অফ? ইউটিউবের অন্য কোন ভিডিও চালিয়ে দেখেন দেখি সাউন্ড পান কিনা? আমার এখানে তো আমি সাউন্ড পাই। দেখি, আর কেউ ফিডব্যাক দেয় কিনা!!

২| ২০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৫

রবিন.হুড বলেছেন: আমার অফিসের কম্পিউটারে ইউটিউব লক। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভিডিওটা দেখতে পারলাম না। তবে বন্যা নিয়ন্ত্রণে নদী খনন করা জরুরী।

২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার কপাল তো দেখি কাজী ফাতেমা ছবি‘র চাইতেও খারাপ। শুধু নদী খনন না, আরো কিছু করাও জরুরী। ভিডিওটা দেখলে জানতে পারতেন!! :)

৩| ২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০০

খাঁজা বাবা বলেছেন: উন্নয়নের বন্যা।

২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি কি দেখতে পেরেছেন? উন্নয়নের বন্যা, জোয়ার বহুকিছুতেই আমরা ভেসে যাচ্ছি!!! ;)

৪| ২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি একটা ২০১০ সালের পিসি পাইছি নতুন ডিপার্টমেন্টে এসে :( কিছুই নাই সাউন্ডই অফ মনে হয়

২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের কপাল তো দেখি ফাটা!!! :(

৫| ২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এসব কথা শুনতে মানা
শুনলে হবেন ক্রসফায়ারের নিশানা।

২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওকে! হাজিরা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫

নতুন বলেছেন:

মিঠামইন অস্টগ্রামের রাস্তা বন্যার ১০০টা কারনের ১ টা মাত্র... আপনি গুগুলে দেখছেই বুঝতে পারবেন যে ঐ রাস্তা সিলেটের আক্রান্ত এলাকার উপরে কতটুকু প্রভাব ফেলেছে।

যেহেতু এটা শেখ হাসিনা করেছে আর পিনাকির এটাই সমস্যা।

আমরাদের দেশে সবাই ঘর পোড়ার ভেতরে আলু পোড়া দিতে চায়। :(

এখন পদ্মা সেতুর উদ্ভোদন তাই এই বন্যা নিয়ে চিন্তা কম, সেটা হবার কথা না। আগে মানুষ তারপরে উন্নয়ন।

২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি এসব কম বুঝি। ছবি দেখে কিছুই বুঝি নাই। শেখ হাসিনা করলেই পিনাকীর সমস্যা হবে কেন? পদ্মা সেতু নিয়ে কি সে কোন কথা বলেছে? কথা সেটা না, সে যেই যুক্তি দিয়েছে, সেটাই মুখ্য। ১০০টা কারন বাদ, আপনি বন্যার প্রধানতম কারন কি বলে মনে করেন?

বন্যা থেকে ফোকাস কমানোর কথাও সে বলেছে। এটা আপনার কাছে কেমন মনে হয়? ফোকাস কেন সরাতে চাচ্ছে? স্মরনকালে সিলেটের মানুষ এমন বন্যা দেখে নাই। তাহলে এটা তো কোন সাধারন ব্যাপার না। এর জন্য তাহলে দায়ী কে?

৭| ২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮

নতুন বলেছেন: ছবির বাদিকে গোল জায়গাতে মিঠামইন সড়ক আর ডান দিকে আগে হবিগন্জ, ফেন্চুগনজ, মৌলভিবাজার তার উপরে উত্তরে সিলেট,

২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুঝলাম, তবে কিছুই বুঝি নাই। :-B

ভেঙ্গে বলেন।

৮| ২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পরিবেশ বান্ধব টেকসই উন্নয়ন প্রয়োজন। অন্যথা হলে ক্ষতি হতে পারে।

২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হক কথা সেলিম ভাই!!

৯| ২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




ভিডিওটি দেখেছি।
পিনাকী ভট্টাচার্য্য একজন বিতর্কিত ইউটিউবার। তারপরেও বলবো, সিলেট এলাকায় বন্যার কারন সম্পর্কে ওনার তথ্য ঠিক আছে। দেশের সিলেট অঞ্চল আর তার উত্তর পূর্বে ভারতের সুউচ্চ ভূমি, আর পৃথিবীর সবচেয়ে বৃষ্টি প্রধান এলাকা চেরাপুঞ্জিই
এখানে বন্যার প্রধান অনুঘটক। আর জলাবদ্ধতা আমাদের তৈরী। কিন্তু "সিলেটের বন্যার জন্য দায়ী কে?" বলতে গিয়ে তিনি সমস্যাগুলো কোথায় , সমাধান কি, সে সম্পর্কে যতো না বলেছেন তারচেয়ে বেশি নিন্দা গেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে। যেটা তার উদ্দেশ্য কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে নিঃসন্দেহে।

বলে রাখি, আমি কোনও ধরনের রাজনীতির সাথে জড়িত নই। একজন "মহা বেকুব" মাত্র। আমার ঘটে যেটুকু বুদ্ধি তাতে বুঝি, আমাদের মতো সমতলের দেশে বন্যায় পানিবদ্ধতার প্রধান কারন, সমুদ্রপৃষ্ঠের সাথে কম উচ্চতা আর যা পানি জমে যায় তা সরতে না পারা। সরতে না পারার প্রধান কারন নদ-নদী-জলাশয়ে অপরিকল্পিত বাঁধ-স্লুইস গেট নির্মান, নদীর নাব্যতা রক্ষা না করা ইত্যাদি। আমরা আম পাবলিকরাও তো খাল-বিল-নদী-নালা- হাওর -বাওর ভরাট করছি অনবরত। এসব মিলিয়ে পানি নেমে যাবার পথ তো আমরা সবাই মিলেই বন্ধ করে এসেছি এবং আসছি প্রতিদিন, না কি ?
এই যে চট্টগাম শহরও ( আজকের খবর) ভেসে যাচ্ছে বন্যার পানিতে, ঢাকা শহর ডুবে যায় একটুখানি বৃষ্টিতেই তাও কি প্রধানমন্ত্রীর দোষ ? নাকি দোষ , নগরবিদ আর সড়ক-বাঁধ নির্মানে মহাবেকুব পরিকল্পনাকারীদের ? এরা কি "লিলিপুটিয়ান" মগজের ? না কি "প্রশ্নফাঁস" জেনারেশন ? পিনাকীর ভাষনে তাদের দোষ দেয়া হয়নি, এমনকি ইঙ্গিতও। মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নিজে ঐসব বাঁধ-রাস্তা নির্মানের পরিকল্পনা করেছেন!
তার দোষ একটাই, তিনি ঐসব অশিক্ষিত, আনাড়ি সো-কলড পরিকল্পনাবিদদের ফাঁসিতে ঝোলাচ্ছেন না কেন! তোষামোদকারীদের বারোশিকের পেছনে নিচ্ছেন না কেন!

দেশের অ-পরিকল্পনা আর কু-পরিকল্পনা, অব্যবস্থাপনার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আজকেই ইব্‌রাহীম আই কে এই পোস্টখানা দিয়েছেন -স্বেচ্ছাসেবা ও ত্রাণের নাটক বন্ধ হবে কবে? তিনি ঐসব লিলিপুটিয়ান মগজধারীদের বিরূদ্ধে আওয়াজ তুলতে বলেছেন।

আপনার দেয়া ভিডিওটি দেখে, জেনে সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের আলোচনা চেয়েছেন বলেই, মহাবেকুবীয় এই আলোচনাটি করতে হলো যাতে আপনি সহ সবাই সঠিক ভাবে জানতে এবং বুঝতে পারেন!

২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পিনাকী কেমন ইউটিউবার, সেটা বিষয় না বড়ভাই। সে কি বলেছে, সেটাই বিষয়। আপনার আলোচনা ভালো লাগলো। তবে, উন্নয়নের নামে সব ক্রেডিট যদি শেখ হাসিনা নিতে চায়, দুর্ভেোগের দায়ও উনার উপরেই বর্তায়। সব সমস্যার সমাধান উনাকেই করতে হবে, সেটা যোগ্য লোক নিয়োগ করেই হোক, আর সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমেই হোক।

আপনার বক্তব্যে কিন্তু আলোচিত রাস্তাটার দায়বদ্ধতাও চলে আসছে বেশ ভালোভাবেই!! পানি আসবে, কিন্তু পানিকে নেমে যাওয়ার রাস্তা তো তৈরী রাখতে হবে, তাই না!! সেটা করার দায় তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরই, নাকি!!!

১০| ২০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: যেহেতু আমার ঘরে এখনও পানি ঢুকেনি, আমি এ নিয়ে তেমন চিন্তা করছি না। - বাণীতে দেশবাসী

২০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের বাংলাদেশের ঘরে পানি ঢুকে নাই, তাই আপনে নিচ্চিন্ত! আমার ইংল্যান্ডের ঘরেও পানি ঢুকে নাই। তাইলে আমি তো ডাবল নিচ্চিন্ত!!! তাইলে এই পুষ্টটা কেন দিলাম?

আমি তো দেখি মহা বেকুবের থিকাও বড় বেকুব!!! :((

১১| ২০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

কে কেমন ইউটিউবার, সেটাও একটা বিষয় কারন তিনি যেমন তার কথাও হবে তেমন।

সে কি বলেছে, সেটাই বিষয়।
সে বিষয়ে তো বলেছি - "সিলেট এলাকায় বন্যার কারন সম্পর্কে ওনার তথ্য ঠিক আছে।"

পানি আসবে, কিন্তু পানিকে নেমে যাওয়ার রাস্তা তো তৈরী রাখতে হবে, তাই না!! সেটা করার দায় তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরই, নাকি!!!
মনে হয় দায়টা তার একার নয়, পুরো দায়টা পরিকল্পনাবিদদের। তাদের জানা ও বোঝা উচিৎ ছিলো রাস্তার কারনে বন্যায় জলাবদ্ধতা হলে তা সরানোর উপায় কি ! রাস্তার পরিকল্পনায় সে উপায়ের জন্যে ব্যবস্থা রাখার কথা তাদেরই। নইলে তারা কিসের, কেমন পরিকল্পনাবিদ ? যে কথা আমি আগের মন্তব্যেও বলেছি। প্রধানমন্ত্রী হাওর এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে রাস্তা নির্মান করার নির্দেশ ও অনুমোদন দিতেই পারেন। সে নির্দেশ প্রকৌশল, কারিগরী, আর্থিক, উপযোগিতার দিক থেকে যথাযথ হবে কিনা তা ভেবে পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করার দায় তো সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধঃস্তনদের।
এই যে, সামু ব্লগ থেকে সিলেটের বন্যার্তদের জন্যে ত্রান বিতরণের লক্ষ্যে সাহায্য চাওয়া হয়েছে আর ব্লগাররা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন কোনও কারনে যদি ত্রান বিতরণে ত্রুটি বা অব্যবস্থাপনা ( আল্লাহ না করুন ) হয় তবে তার দায়িত্ব কি
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া ব্লগারদের ? নিশ্চয়ই নয়।

উন্নয়নের নামে সব ক্রেডিট যদি শেখ হাসিনা নিতে চায়.....
দেশের উন্নয়ন সরকার প্রধানের নৈতিক এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব। এটা তার দয়া নয়।
কিন্তু সব ক্রেডিট শেখ হাসিনাকে দেয়া হয় তোষামোদকারীদের পক্ষ থেকে সোচ্চার গলায় যাতে শেখ হাসিনার নেকনজরে থাকা যায় আর হালুয়া-রুটির ভাগ পাওয়া যায়। আর এদের সম্পর্কে আমি তো বলেছি - "তোষামোদকারীদের বারোশিকের পেছনে নিচ্ছেন না কেন!"
তবে ঐ যে, তোষামোদকারীদের তোষামোদে ভেসে যেতে ইচ্ছে করে সব মানুষেরই, এমনকি আমার-আপনারও। এবং আমাদের রাজনীতিবিদ আর দেশ পরিচালনাকারীদের এটাই মূল এবং প্রধান সমস্যা যা সমস্ত অর্জনকে মুখ থুবড়ে পড়তে দেয়!

শুভেচ্ছান্তে।

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কে কেমন ইউটিউবার, সেটাও একটা বিষয় কারন তিনি যেমন তার কথাও হবে তেমন। বিষয় না জী এস ভাই। কেউ তিক্ত সত্য কথা মধু লাগিয়ে বলে, কেউ আরো তিক্ত করে বলে। একেক জনের স্টাইল একেক রকমের। তবে, দিন শেষে যে যেভাবেই বলুক না কেন, আমি বক্তব্যের মূল অংশটাই গণায় ধরি। আমার মতামত দিলাম! :)

মনে হয় দায়টা তার একার নয়, পুরো দায়টা পরিকল্পনাবিদদের। টপ-ডাউন এ্যপ্রোচ বলে একটা কথা আছে ব্যবস্থাপনায়। বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থায় সেটাই ফলো করা হয়। ফলে সব দায় টপে বসে থাকা ব্যক্তির। খেয়াল করে দেখবেন, আমাদের একটা মন্ত্রীও নিজেরা কোন বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। হা করে প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকে। ক্ষমতাকে যদি বিকেন্দ্রিকরণ করা হয়, তাহলে এই সমস্যা হয় না। কিন্তু স্বৈরতন্ত্রে এটা ঘটে না। স্বৈরতন্ত্রে চাপরাশি থেকে মন্ত্রী......সবাইকে তেল বিশেষজ্ঞ হতে হয় আর পকেটের চিন্তা করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে পরিকল্পনাবিদরা সঠিক, নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে কিভাবে? তাদের নিয়োগটাই যে যোগ্যতার ভিত্তিতে হয় না! এই পরিস্থিতি কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরই সৃষ্টি। কাজেই দায়টা যতোটা না পরিকল্পনাবিদদের, তার চেয়েও বেশী টপে বসে থাকা ব্যক্তির।

এই সংক্রান্ত আপনার বাকী কথা মেনে নিয়ে বলছি, এই যে কু-পরিকল্পনা তথা পরিকল্পনাহীনতার একটা কালচার বাংলাদেশে চলছে, এটার মূল কারন কাজের জবাবদিহীতা, দায়বদ্ধতা আর স্বচ্ছতা না থাকা। এই কালচার তৈরীর প্রধান কারিগর কে? এসব তো একদিনে হয় না। বর্তমানে একজন কর্মকর্তার দায়িত্ব পাওয়ার প্রধান যোগ্যতা হলো তোষামোদিতা। তাহলে তার কাছ থেকে আপনি কি আশা করবেন?

দেশের উন্নয়ন সরকার প্রধানের নৈতিক এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব। এটা তার দয়া নয়। শতভাগ সত্যি কথা। কিন্তু তোষামোদিরা সব কৃতিত্ব শেখ হাসিনাকে দিতে চায়, কারন তারা জানে এই চাওয়াটা নেত্রী পছন্দ করেন। আমি-আপনি তোষামোদে ভাসলে কোন ইতর-ভেদ হবে না, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ভাসলে দেশও ভেসে যাবে। তাই তো যাচ্ছে!!!! ;)

তোষামোদকারীদের বারোশিকের পেছনে নিচ্ছেন না কেন! নিবে কেন? এটা তো উনার পছন্দের বিষয়!!!

আবার সেই টপ-ডাউন ব্যবস্থাপনায় আসি। কি মনে হয়? সব দায় কেন প্রধানমন্ত্রীর এটা কি ব্যাখ্যা করতে পেরেছি? :-B

১২| ২০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭

নতুন বলেছেন: উনার ভিডিওতে যতটুকু সিলেটের বন্যার জন্য কে দায়ী তার চেয়ে হাসিনার প্রতি তার সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।

সিলেট কেন আমাদের দেশের বন্যার পেছনে কারন জনগন সবাই।

যেখানে পারছে খাল ভরাট করছে, রাজনিতিক দলের নেতারা নদী খননের ঠিকাদারি নিয়ে কাজ না করে পয়ষা পকেটে ঢুকাচ্ছে। আমলারা সেই কাজে সাহাজ্য করছে এবং নিজেদের % নিচ্ছে।
পরিকল্পনাবিদরা বসে বসে াল ছিড়ছে, বন্যা চলে গেলেই তারা আর পরিকল্পনা করেনা।

আমার ২/৩ ধাপ নিজের কর্মচারী ঠিক মতন কাজ না করলেও তার জবাবদিতা আমাকেই করতে হয়। তাদের ট্রেনিং না পাওয়ার জন্য কাজে গাফলতি হলে আমাকেই দায় নিতে হয়, কিভাবে ঠিক হবে সেটার কর্মপন্হা আমাকেই বানাতে হয়।

সরকারী বা বেসরকারী কাজে জবাবদিহিতা নাই বলেই কোন কাজই ঠিক মতন হয় না।

কিন্তু পিনাকির শেখ হাসিনা পিনিক ভালো লাগেনাই ভিডিওতে....

চাটুকারীরা নিজেদের সার্থেই তোশামদি করতে আসবে কিন্তু বিচক্ষন নেতার কাজ হলো নিজের মতন এগিয়ে যাওয়া। সেই গুন আমাদের দেশের নেতাদের মাঝে নাই। শেখ হাসিনারও নাই। তিনিও অনেক কথা ভুল বলেন করেন কারন তাকে সেটাই বোঝানো হয়। কিন্তু নেতা হিসেবে সত্যটা খুজে নেবার দায়ীত্বটাও তারই।

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সিলেট কেন আমাদের দেশের বন্যার পেছনে কারন জনগন সবাই। অত্যন্ত ভুল কথা বললেন। দেশে আপনি ক্ষমতাবান না হলে সরকারী জায়গা-জমি, জলাশয় ইত্যাদি দখল করা তো দুরের কথা, একটা সুতাও নাড়তে পারবেন না। ঠিকাদারী পাবেন না, দূর্নীতিও করতে পারবেন না। কিছুই করতে পারবেন না। বর্তমানে দেশে আওয়ামী লীগ করলেই আপনি ক্ষমতাবান। ''জনগন'' পাইলেন কোথায়? দেশে জনগন আছে শুধুমাত্র মারা খাওয়ার জন্য, এদের আর কোন উপায় নাই।

আপনার বাকী সব কথার ব্যাখ্যা আগের মন্তব্যে জী এস ভাইকে দিয়েছি। তাই নতুন করে ব্লগার নতুনকে আর কিছু বললাম না। আশা করি, কিছু মনে করবেন না!!! =p~

১৩| ২০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:


পিনাকী তো দেখছি আপনার চেয়েও বেশী জানে; পিনাকী যা জানে, একজন সাধারণ ব্লগার এসব টেকনিক্যাল বিষয় অনেক অনেক বেশী বুঝেন।

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পিনাকী যা জানে, একজন সাধারণ ব্লগার এসব টেকনিক্যাল বিষয় অনেক অনেক বেশী বুঝেন। ভুল কইলেন। ব্লগে সবজান্তা শমসের একজনই। শুধুমাত্র সেই সব জানে। পিনাকী কিংবা সাধারন ব্লগার কোন চ্যা.....বা.....?

১৪| ২০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: দায়ী আমার কপাল!

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে..........কথা মন্দ বলেন নাই!!!

১৫| ২০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দায় যদি নিতেই হয়, তবে তা সরকারকেই নিতে হবে কারন দেশটা আমাদের আর এর দায়িত্বে যারা আছেন তারা সেটাকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। মগজহীন, তৈল মর্দনকারী চামচা জাতীয় লোকজন দিয়ে সার্কাস পরিচালনা করা সম্ভব হলেও দেশ চালানোর মতো গুরু দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। নদী-মাতৃক দেশে যদি নদী-নালার নাব্যতা ঠিক না রেখে, আগ-পিছ না ভেবে শুধু রাস্তা-ঘাট নির্মান করলেই প্রকৃত উন্নয়ন যে অর্জন হয় না সেটা বুঝতে কিছু জ্ঞানের দরকার হয়। আর তার সাথে যদি যোগ হয় দুর্নীতিবাজ প্রশাসন, তাহলে তো আর কথাই নেই।

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার পুরোটা মন্তব্য ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখেও দ্বিমত করার মতো কিছুই খুজে পেলাম না। মন্তব্যের সাথে দুইশত ভাগ সহমত!!! :)

১৬| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: সিলেটের বন্যার জন্য দায়ী কে?

সুইস ব্যাংক এবং কানাডা আম্রিকার বেগম পাড়ায় টাকা পাচারকারীরা।

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে বিম্পি করেন, নাকি রাজাকার? =p~

১৭| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টের চেয়ে আপনার মন্তব্য গুলো ভালো হয়েছে।

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা কোন পোষ্টের জাতই না। শুধু আলোচনা করাই উদ্দেশ্য ছিল।

১৮| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৩

ঈশ্বরকণা বলেছেন: @ নতুন,
আমি হাইড্রোলজিস্ট না । কিন্তু নদী আর সাগর তীরে বড় হয়েছি ।তাই বন্যার ব্যাপারে সাধারণ কিছু ধারণা আছে । ভাটি অঞ্চল হিসেবে (শুধু এই বন্যার ক্ষেত্রে) ইটনা মিঠা মইন আর এর সংশ্লিষ্ট এলাকার হাওর অঞ্চলের ৭৭ কিলোমিটার এলাকায় রাস্তা করে যদি পানির প্রবাহ বন্ধ করা হয় আর মাত্র এক দুই কিলোমিটার খোলা রাখা হয় পানি প্রবাহের জন্য তাহলে পানি প্রবাহের এই মারাত্মক বাধার জন্যইতো উজান সংশ্লিষ্ট সিলেট এলাকাতেই বন্যা হবার কথা আগে । আর সেটাইতো সিলেট অঞ্চলে হয়েছে এবার । উজানের বৃষ্টিপাতের কারণে হাওর সংশ্লিষ্ট এই ৭৭ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারতো বাধাহীনভাবে অনেক বেশি আর সেজন্যই ১৯৮৪ আর ২০০০ (?)সালে (যেই দু বছরের কথা ভিডিওতে বলা হয়েছে) চেরাপুঞ্জি এলাকায় বৃষ্টিপাত এবারের থেকে বেশি হলেও এতো মারাত্মক বন্যা হয়নি। চেরাপুঞ্জি এলাকায় বৃষ্টিপাতকমে আসলে ধীরে ধীরে সেই পানি প্রথমে সিলেট এলাকায় কমবে আর তখন বন্যার প্রকোপ আরো বাড়বে ইটনা মিঠামইনের হাওর এলাকায়। আমি ১৯৮৪ সালে সুনামগঞ্জে থাকার সময় ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়িয়া অঞ্চল দিয়ে বৃষ্টির পানি এসে শান্ত সুরমা নদীর অবস্থা মুহূর্তেই কি রকম বদলে দিতে পারে সেটা নিজের চোখেই দেখেছি। ব্যাপারটাতেতো ভুল কোনো কিছুটা বলা হয়নি ! তিক্ত হলেও সরকার প্রধানের অদূরদর্শিতার সমালোচনা এখানে করতেই হবে। পিনাকী কোন পন্থী এসব বলে ব্যাপার হালকা করার কোনো সুযোগ নেই এখানে । বন্যার কঠিন সময়ে এই নিয়ে এখন আর বেশি কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না । পরে কখনো বলা যাবে ।

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য!!!

অন্য ব্লগারকে উদ্দেশ্য করে বলা মন্তব্যে আমি সাধারনতঃ মন্তব্য করি না। তবে, এক্ষেত্রে না করে পারলাম না। আপনার বিষদভাবে বলা বিষয়টাই অনেক ব্লগার ঠিকভাবে বুঝতে পারছেন না কিংবা নিতে পারছেন না। এখানে পিনাকীর ব্যাকগ্রাউন্ড দেখার কোন মানেই নাই। তার বক্তব্যের দিকেই সবার ফোকাস করা দরকার।

১৯| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:০৫

আরইউ বলেছেন:



সিলেটের বন্যার জন্য কে দায়ী? পিনাকীর বক্তব্য অতি-সরলীকরণ দোষে দুষ্ট।

সিলেটের এই ভয়াবহ বন্যার জন্য দায়ী আমাদের লোভ। এই বন্যার জন্য দায়ী আমি, আপনি, আমরা, আমাদের সরকার, বিশ্বের বড়লোক দেশগুলো (ইউএসএ, কানাডা, জাপান, পশ্চিম ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ যেগুলো ৫০-৭০% গ্রিনহাউজ গ্যাস এমিশনের দায়ী)। শুধু বাংলাদেশ না গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের অনেক দেশ এক্সট্রিম ওয়েদার ইভেন্ট এক্সপেরিয়েন্স করছে, এবং বছর বছর এর সংখ্যা বাড়ছে।

এনায়েত চৌধুরি (উনি একজন শিক্ষক, গবেষক) সিলেটের বন্যার সম্ভাব্য কারণ সমূহ এই ভিডিওতে চমৎকার করে ব্যাখ্যা করেছেন। আশাকরি ওনার ব্যাখ্যা আপনার ভালো লাগবে।

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভিডিওটা দেখলাম।

আমি উত্তর লিখতে লিখতেই করুণাধারা আপার কমেন্ট পড়ে আর তেমন কিছু লেখার দরকার মনে করছি না। সেটা দেখতে অনুরোধ করছি। শুধু দু'টা কথা আপনাকে বলি।

১. জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বেশী কিছু বলার মানে নাই। এটা যদি বিরাট ইস্যু হবে, তাহলে ১৯৮৪ আর ২০০০ সালে ভয়াবহ বন্যা কেন হয় নাই? জলবায়ু পরিবর্তন অবশ্যই একটা ইস্যু, তবে এটা গ্লোবাল ইস্যু। আপনার-আমার তেমন কিছু করার নাই। আমাদের সরকার যেটা করছে, সেটা হলো পরিবেশের উপর মাতবরী। পরিবেশ তো আর লীগ করে না, সে সেটা মানবে কি কারনে? B-)

২. হাওর এলাকার বেড লেভেলের উচ্চতা বৃদ্ধির কথা এনায়েত চৌধুরী বলেছেন। সেটা কেন? শুধুমাত্র ওই নান্দনিক (???) রাস্তাটার কারনে, নয় কি?

পিনাকী খুব সরলভাবে কিছু কঠিন কথা বলেছে। সেটা আমরা, কম জ্ঞানের মানুষরা ঠিকই বুঝেছি কিন্তু!!! :P

সিলেটের এই ভয়াবহ বন্যার জন্য দায়ী আমাদের লোভ। দ্বি-মত পোষণ করছি। প্রশাসনের লোভের সাথে ''আমাদের''কে অর্থাৎ জনগনকে গুলিয়ে ফেলা কি ঠিক হচ্ছে? এই ব্যাপারে ১২ নং মন্তব্যে আমার প্রতি-মন্তব্যটা দেখতে অনুরোধ করছি। আর আমি এই বন্যার জন্য কোনভাবেই দায়ী না, এই নিশ্চয়তা আপনাকে দিতে পারি!!! :-B

২০| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:১২

করুণাধারা বলেছেন: আমি ভিডিওটি ভালোভাবে দেখতে আর শুনতে পেয়েছি। ভিডিওতে প্রথমে আলোচনা করা হয়েছে-

১) সিলেটের ভৌগলিক অবস্থান বরাক ভ্যালির সমতল অংশে এবং মেঘালয়ের উচ্চ ভূমির বৃষ্টির পানি সিলেটের নদীতে এসে পড়ে।

২) চেরাপুঞ্জিতে প্রবল বৃষ্টিপাত সিলেটের বন্যার একমাত্র কারণ নয় এটা তিনি বলেছেন। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, এবার তিনদিনে চেরাপুঞ্জিতে ২০৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত যদি এই বন্যার কারণ হয়, তবে ১৯৯৫ সালে ২৬৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে এবং ১৯৮৪ সালের ২০৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও বন্যা হয়নি।

৩) নদীর অতিরিক্ত পানি হাওরের সাতাত্তর কিমি দীর্ঘ চ্যানেল দিয়ে আগে প্রবাহিত হতে পারত, কিন্তু ইটনা- মিঠামাইন- অষ্টগ্রাম অল ওয়েদার সড়ক নির্মাণের ফলে এখন মাত্র পানি প্রবাহ চ্যানেলের দৈর্ঘ্য মাত্র ১.৭ কিমিতে। এটাই বন্যার কারণ।

৪) দেশের পানি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত সিলেটের বন্যার একমাত্র কারণ, মিথ্যা বলেছেন।

৫) অন্তত ৪১ জন মারা গেছেন, এ খবর দেশী মিডিয়ায় অনুপস্থিত।

আপনার কথা মতো ভিডিও নিয়ে আলোচনা করি-
(১) এটা স্কুলের ভূগোলে পড়েছি, আর (৪),(৫) সম্বন্ধে কিছু বলব না।

(২) নম্বর, গুগল খুঁজে দেখেছি, তথ্য সত্যি।

(৩) নম্বরে যা বলেছেন সে সম্পর্কে আমার কিছু বলার আছে। কারণ অনেকেই এটাকে প্রধান কারণ মনে করছেন না। আমার মতে এটাই প্রধান কারণ।

ঢাকার উদাহরণ দিলে হয়তো এটা বোঝা যাবে। ঢাকায় একটানা কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই এলাকাকে এলাকা ডুবে যায়। এমন একটানা বৃষ্টি হয়েছে আগেও, তাহলে তখন কেন ঢাকা এভাবে ডুবতো না? উত্তর আমরা সবাই জানি:
১) খাল দখল করে ভরাট ২) অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং ৩) ঢাকার আশপাশের নিম্ন ভূমি ভরাট করে ফেলা।

এই নিম্ন ভূমিকে বলে flood flow zone যেখানে ঢাকা নগরে জমা হওয়া পানি নেমে গিয়ে জলাবদ্ধতা থেকে টাকা নগরকে রক্ষা করার জন্য রাখার কথা, অথচ ভূমি ব্যবসায়ীরা নিম্ন ভূমি ভরাট করে নানা নামের "সিটি" বানাচ্ছে, তা না হলে দুঘন্টা বৃষ্টিতে ঢাকা ডোবার কথা না!

সিলেটের flood flow zone হচ্ছে হাওর গুলো, তাই হাওরে অবকাঠামো নির্মাণ করার ফলে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে যে অতিরিক্ত পানি নদীবাহিত হয়ে হাওরে যাচ্ছে তা হাওরে আটকে গিয়ে বন্যা হচ্ছে। আগে সিলেটের সবগুলো নদীর পানি হাওর থেকে মেঘনা ব্রহ্মপুত্র হয়ে বঙ্গোপসাগরে চলে যেত, ফলে এবছরের চাইতে বেশি বৃষ্টি হলেও আগে এমন বন্যা হয়নি।

অবশ্য অনেকেই মনে করতে পারেন বিশাল হাওরের মাঝে মাত্র একখানা রাস্তা নির্মাণে কোন ক্ষতি নেই, যেমন অনেকে মনে করেন সুন্দরবনের অতি কাছে একখানা মাত্র তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের কোনো ক্ষতিই করবে না!

অথচ যদি তড়িঘড়ি না করে, সবরকম ক্ষতির সম্ভাব্যতা যাচাই করা হতো, তাহলে রাস্তাও হতো কিন্তু বন্যা হতো না এমন। যেমন ১) রাস্তা যদি হতো খুঁটির উপর সেতু, পিলারের মাঝে দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারত ২) একটানা সেতু না করে কিছু রাস্তা কিছু সেতু, এবং ৩) রাস্তা নিচু করে নির্মাণ করা যাতে বন্যার সময় উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে। চলন বিলে এমন রাস্তা তৈরি হয়েছে।

সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনার বিস্তৃত এলাকা জুড়ে হাওড়, শীতে শুকিয়ে গেলে তাতে বোরো ধানের আবাদ হয়, বর্ষায় কেবল দ্বীপের মত কিছু বসতভিটা জেগে থাকে... সেগুলো সব এখন ডুবে গেছে! যদি বলেন, অল ওয়েদার সড়ক তো কবছর আগে হয়েছে, এতদিন কেন এমন বন্যা হয়নি, তবে বসে ঢাকার কথা ভাবুন। ঢাকাতেও মাঝেমাঝে বেশি বৃষ্টি আগেও হয়েছে, কিন্তু পানিতে ডোবা শুরু হয়েছে বিগত বিশ বাইশ বছর থেকে, যখন ঢাকার আশপাশের নিচু এলাকাতে স্থাপনা তৈরি শুরু হয়েছে তখন থেকে।

অনেক বোদ্ধা সিলেটের বন্যার কারণ হিসেবে বলেছেন সিলেট নগরীর নদী খনন হয়নি, বিভিন্ন খাল বা ছড়া ভরাট করা হয়েছে, এ অবস্থায় চেরাপুঞ্জিতে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ইত্যাদি ইত্যাদি, অল ওয়েদার নয় কিছুতেই...

তাঁরা ঠিক বলছেন না! সিলেট শহরের মাঝ দিয়ে ছোট ছোট খাল বয়ে গেছে, এগুলোকে ছড়া বলে, অনেক এমন ছড়া সমৃদ্ধ একটা এলাকাই আছে সিলেটে যার নাম ছড়ার পাড়। এই ছড়াগুলো বৃষ্টির পানি সুরমা নদীতে নিয়ে যায়। এসব ছড়ার কিছু ভরাট হতে পারে, কিন্তু সিলেট শহরের অনেক খাল খনন করা হয়েছে যাতে নগরের বৃষ্টির পানি সুরমা নদীতে নিয়ে যেতে পারে, সুতরাং খাল ভরাটের জন্য বন্যা হয়নি।

আর সুরমা- কুশিয়ারা নদীর নাব্যতা দেশের অন্য নদীর তুলনায় হ্রাস পায় কম, কারণ এই নদী দুটোতে sedimentation কম তুলনামূলক ভাবে।

তাই পুরো সিলেট বিভাগ জুড়ে এই বন্যার প্রধান কারণ চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি নয়, ভিডিও বাণীর সাথে আমি একমত। এখন বলা হচ্ছে বৃষ্টি হলেই সিলেটে বন্যা হবে।

সিলেট ধ্বংস হচ্ছে। দেখে যাই...


২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হোয়াট এ্য সারপ্রাইজ!!!

আপনাকে এতোদিন পরে আমার পোষ্টে দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আপা। বলার মতো কিছুই খুজে পাচ্ছি না........শুধুমাত্র ''সহমত'' বলা ছাড়া। আশা করছি, আপনার এই মন্তব্য অনেকেরই দিব্যদৃষ্টি খুলে দিবে।

২১| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৩

আরইউ বলেছেন:



বিবিসি বাংলার এই ভিডিওটিতে সম্ভাব্য কারণগুলো পয়েন্ট-বাই-পয়েন্ট আলোচনা করা হয়েছে। সবগুলো পয়েন্টই একজন লে পারসন হিসেবে যৌক্তিক বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।

বন্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা দু‘টো এক্সট্রিম ভিউপয়েন্ট পাচ্ছিঃ একদিকে একদল পরিকল্পনাহীন ইনফাস্ট্রাকচারের দায় মানতেই চাইছেনা আরেকদিকে অন্যদল সেটাকেই বলছে মূল (ক্ষেত্রবিশেষে একমাত্র) কারণ।

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখলাম। সেই পুরানো চর্বিত-চর্বন। এসব কারনে হঠাৎ করে এই পরিমান বৃষ্টিতে এমন ভয়াবহ বন্যা হয় না। ধীরে ধীরে প্রতিবছর বন্যার প্রকোপ বাড়ে।

দেখেন......এনায়েত চৌধুরী তার ভিডিওতে বলেছেন, বন্যার পানি যখন দ্রুতবেগে নামে তখন তলদেশে খুব একটা সেডিমেন্ট ফর্মেশান হয় না। সেটা করুণাধারা আপাও বলেছেন। আমি যেটা জানি, এ'ক্ষেত্রে একেবারে বঙ্গোপসাগরের মোহনাতে নতুন চর বা দ্বীপের সৃষ্টি হয়, কারন সেখানে পানির গতি সবচেয়ে ধীর থাকে। কিন্তু এখন আমরা মোহনাতে যেমন নতুন দ্বীপ দেখছি, তেমনি ভয়াবহ বন্যাও দেখছি।

একটা বিশাল এলাকা জুড়ে, যেখান দিয়ে মূলতঃ বৃষ্টির পানি বের হয়ে যেত, সেটা বন্ধ করে দিলে কি হতে পারে সেটা বোঝার জন্য হাইড্রোলজিস্ট হওয়ার প্রয়োজন নাই।

করুণাধারা আপা নিজে একজন প্রকৌশলী। যতোদূর জানি, পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেই উনি কাজ করেছেন। আপনি বরং উনার মন্তব্যটা আরেকবার পড়েন।

২২| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৫৭

আরইউ বলেছেন:




এনায়েত কিন্তু ওনার ভিডিওতে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে কেন এবারের রেইন ইভেন্ট এর ইফেক্ট আগেরবারের চেয়ে আলাদা। বৃষ্টির পানির একটি অংশ ধরে রাখে গাছ কিন্তু বর্তমান সময়ে মেঘালয় সরকার বন ধংস করছে। এর একটা এড অন ইফেক্ট আছে।

লোভের বিষয়টা একটু ফিলসফিকাল, ঠিক লিটারাল নয়।

“এ সিরিজ অফ আনফরচুনেট ইভেন্ট“ বলে একটা কথা আছে। সিলেটের বন্যার দায় কোন একক কারণের নয়। এর পিছনে অনেকগুলো কারণ আছে এবং কোনটাকেই ফেলে দেয়া যাবেনা, ইনক্লুডিং হাওরে অপরিকল্পিত স্থাপনা!

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আবারও বলি, ওই অন্চলে হঠাৎ করে এমন ভয়াবহ বন্যার কারন একাধিক হলেও মূল কারন একটাই। সবগুলো ভিডিওতে, এখানে আলোচনায় যেসব কারনের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো যুগ যুগ ধরে আস্তে আস্তে হয়ে আসছে। তার রিপারকেশান হলো, প্রতি বছর বর্ধিত আকারে বন্যা। আর বেশী বৃষ্টি হলে বেশী বন্যা। কিন্তু ফ্লাশ ফ্লাডের মতো এমন মারাত্মক বন্যা না।

এখানে ছাড়া ছাড়া ভাবে আলোচনা হয়েছে। কেউ যদি সবগুলো ভিডিও আর এখানের আলোচনাগুলোকে পর্যালোচনা করে একটা পোষ্ট দিতে পারতো, বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যেত। আমি এখন পরিস্কার বুঝতে পারছি, ব্যাখ্যাও করতে পারবো। তবে, সেই বিশদ পোষ্ট লেখার মতো সময় আমার হাতে একেবারেই নাই। আফসোস!!!

লোভের বিষয়টা একটু ফিলসফিকাল, ঠিক লিটারাল নয়। বুঝতে পেরেছি। আমি ওটা মজা করেই বলেছি!!

২৩| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:



সেফুদা কোন ব্যাখ্যা দিলে, সেই ভিডিওটাও দেবেন।

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেফুদা কোন ভিডিও এখনও পোষ্ট করে নাই। তবে, একজনের মাধ্যমে উহার একটা মন্তব্য পেয়েছি। সেটা হলো, এবারের বন্যায় কাঠাল গাছগুলো খুবই পুষ্ট হবে। ছাগলদের জন্য এটা একটা সুসংবাদ। আপনের খাদ্য সমস্যার একটা সমাধান হতে যাচ্ছে!!! =p~

২৪| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৩১

অপু তানভীর বলেছেন: পিনাকী সাহেবের মূল সমস্যা হচ্ছে উনি অতি মাত্রায় সরকার বিরোধী । তার বক্তব্যের মুল ভাষাই হচ্ছে বাংলাদের যা কিছু খারাপ সব দোষ শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের । বিশেষ করে তিনি দেশ ছাড়া হওয়ার পরে এই মনভাব আরও তীব্র থেকে তীব্র হয়েছে । এই ভিডিওর প্রধান সমস্যা হচ্ছে তিনি বন্যার আসল কারণ অনুসন্ধান করতে ভিডিও তৈরি করেন নি, তিনি ভিডিও তৈরি করেছেন দোষ আওয়ামীলীগের দেওয়ার জন্য । এখানেই আসলে এই ভিডিও গ্রহনযোগ্যটা প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় ! আপনি যেহেতু তার ভিডিও, পোস্ট আগে পড়েন নি তাই হয়তো তার মনভাব সম্পর্কে জানেন না ।

সিলেটের এই বন্যার একটা কারণ যে অপরিকল্পিত উন্নয়ন এবং এর ফলে পানি নেমে যেতে বাঁধা প্রাপ্ত হওয়া এটা কোন ভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই । প্রথম আলোতে একটা রিপোর্ট পড়লাম এটা নিয়ে ।

সব চেয়ে বেশি পরিতাপের ব্যাপার হচ্ছে যথাযত সময়ে কোন প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয় নি । এই প্রবল বৃষ্টি শুরু হল ভারতে, এক্সপার্টরা সেই পূর্বাভাশ দেওয়া সত্ত্বেও কোন প্রকার আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয় নি । কেবল মাত্র এক সেতুর উদ্বোধনের জন্য অন্য কোন দিকে কোন প্রকার খেয়াল দেওয়া হয় নি । এমন কি যখন সব ভেসে গিয়েছে তারপরেও কারো কোন দিকে খেয়াল হয় নি । তখনও তারা সেই সেতু নিয়েই পড়ে আছে । যেদিন পুরো সিলেট আর সুনামগঞ্জ ডুবে গেল সেদিন রাতের বেলাও কোন সংবাদ মাধ্যমে কোন খবর নেই । কারো কোন খবর নেই ।

২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি তো জানেন, ইউটিউবে কারো একটা ভিডিও দেখলে আরো কিছু সাজেশান আকারে চলে আসে। সেভাবেই আরো কয়েকটা দেখেছি। সে অতিমাত্রায় সরকার বিরোধী, ঠিকই বলেছেন। তবে তাতে আমার কোন সমস্যা নাই, যদি সেখানে তথ্যনির্ভর আর যথাযথ রেফারেন্সসহ যুক্তিনির্ভর বক্তব্য থাকে। সে প্রচুর তথ্য আর রেফারেন্স দিয়েই কথা বলে।

এই ভিডিওতে তার উদ্দেশ্য যাই থাক, সে তো ভুল কিছু বলে নাই। কেউ কি তার যুক্তি খন্ডাতে পেরেছে?

এখন কেউ যদি চুরি করে, আর তাকে আপনি চোর বলেন, তাতে করে কি চোরের সন্মানহানী করা হয়? নাকি যে চোর বললো, তার অপরাধ হয়ে যায়? চোর তো চোরই.......নাকি ভুল বললাম!! আমি ব্লগারদের এই বিষয়টাকেই বুঝি না। অনেকেই তার ব্যাকগ্রাউন্ড আর ইনটেনশান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। কিন্তু সে কি বললো, সেটা কতোটুকু ঠিক বা বেঠিক আর সেসবের পিছনের লজিক ব্যাখ্যা করা কি ব্লগারদের কর্তব্য না?

আপনি যেসব কথা বললেন, তার সবই সে তার ভিডিওতে বলেছে। সেটাই তো আলোচনার মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত, নয় কি?

২৫| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৫

লেখার খাতা বলেছেন: আলোচনা জমে উঠছে। উপভোগ করছি।

২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও অংশ গ্রহন করতে পারেন। :)

২৬| ২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:



পিনাকী, সেফুদা, এরা ক্রিমিনাল, এদের নিয়ে কেন নাচছেন? ব্লগারেরা এসব বিষয়ে অনেক জ্ঞান রাখেন।

২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে একটু পর পর আমার এখানে এসে নাচেন কেন? এই যাত্রায় আপনের রামছাগল হিসাবে প্রোমোশন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাতেই খুশী থাকেন না!!!! ;)

২৭| ২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:


লন্ডের লোকজন জ্ঞানী, এসে হাজিরা দিতে হয়, ২ কলম লেখার সময় পিনাকী, মিনাকী ভাঁড়দের আনতে হয়।

২১ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের মতে পিনাকী ভাড়, ক্রিমিনাল; কিন্তু এই কথার ব্যাখ্যা চাইলে আপনের জবান বন্ধ হয়ে যাবে। কারন, এইটার সঠিক ব্যাখ্যা আপনের কাছে নাই। পিনাকীর যে বিশ্লেষনী ক্ষমতা, তার নখের যোগ্যতাও নাই আপনের। প্রতিটা গ্রামে যেমন একটা পাগল থাকে, তেমনি ব্লগেও একটা প্রধান ছাগল থাকা জরুরী। সে'জন্যেই ব্লগ কর্তৃপক্ষ আপনারে পোষে। যাতে সার্কাসের জোকারের মতো লম্ফ-ঝম্ফ দিয়া আমাদেরকে কিছু বিনোদন দিতে পারেন। আপনের ক্রিয়া-কর্ম চলুক!!! =p~

২৮| ২১ শে জুন, ২০২২ রাত ২:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কিছু বলতাম, কিন্তু পিনাকির নামটা দেখে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল।
সে একটা জামাতের ভাড়াটে লেখক। একটু সুযোগ পেলেই জামাতে সাফাই গায়।
সে গতকাল ফেবুতে কি লিখেছে দেখুন -

দেখলাম বানের পানি ঠেলে জামায়াতে ইসলামীর আমীর পায়ে হেটে ত্রাণ নিয়ে সিলেটের দুর্গম এলাকায় যাচ্ছেন।
ভদ্রলোক অনেক বয়ষ্ক পানির স্রোত ঠেলে ঠিমমতো হাটতেও পারছেন না, তাও তিনি নিজেই নেমেছেন।
পোগতিশিল বঙ্গবাসীর কাছে জামায়াত তো যুদ্ধাপরাধীদের দল তাই তারা কলজেটা কেটে রান্না করে দিলেও বঙ্গ পোগিতিশীলেরা বলবে, লবন কম হইছে।


জামাতের চামচা পিনাকি বাদ।
বরং আপনি কিছু লিখুন। ভিন্নমত থাকলেও আপনার লেখা আমি পছন্দ করি। আপনার লেখা পিনাকির চেয়ে শতগুন উন্নত।

২১ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একজন হিন্দু নামধারী ব্যক্তি জামাতের লোক, এইটা আমি বিশ্বাস করি না। তবে হ্যা, কেউ জামাত-বিএনপি'র পক্ষে কথা বললে আপনাদের জ্বলে সন্দেহ নাই। সে যেহেতু আওয়ামী লীগ দেখতে পারে না, আর আপনাদেরকে জ্বালাইতে চায়, তাই সে এই স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে। আপনাদের জ্বলুনী দেখেই বোঝা যায়, তার এই কৌশল কতোটা সঠিক!!! =p~

আপনে আমার লেখা পছন্দ করেন জাইনা খুবই আনন্দিত হইলাম। যদিও আমার বেশীরভাগ লেখায় আপনার চেহারা মোবারক দেখি না!!! :P

২৯| ২১ শে জুন, ২০২২ সকাল ৭:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: বহুদিন পরে ব্লগে করুনাধারা আপাকে দেখে খুব ভাল লাগল। একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে উনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর পরে আর কোন আলোচনার দরকার নাই। তারপরেও যারা ভিন্নরকম কিছু বক্তব্য দিচ্ছেন তা শুনে মনে হচ্ছে -

'' আমার বাসায় ১০ হাজার টাকা দিয়ে একজন কাজের লোক রাখলাম যার দ্বায়িত্ব হচ্ছে বাসার সকল কাজ সুচারুরুপে করা । কিন্ত আমার কাজের লোক কোন কাজ ঠিকমত করছে না, উল্টো টাকা পয়সা চুরি চামারি করছে । ফলাফল স্বরুপ বাসার সদস্যরা/ বাচ্চারা নিদারুন দুঃখ কষ্টের মধ্যে আছে। তারপরেও আমি এই কাজের লোককে বেতন দিচ্ছি এবং তাড়িয়েও দিচ্ছি না। কিন্ত এত কিছুর পরও আমার পরিবারের সদস্যদের কষ্টের জন্য আমি বা ঐ কাজের লোক কোনভাবেই দায়ী না, দায়ী হচ্ছে আমার পরিবারের সদস্যরা!!!!!

২১ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে...........আপনের উদাহরন চমৎকার হইছে।

করুণাধারা আপারে বহুতদিন পরে দেইখা আসলেই খুব শান্তি পাইছি। অনেকদিন পরে পরে হইলেও আপায় যদি আমাদের মতোন কম জানাদের একটু দর্শন দেন, জ্ঞান বিতরণ করেন...... তাও মন্দ কি? ;)

৩১ নাম্বার মন্তব্যে আমার প্রতি-মন্তব্যটা দেখেন। কোন কিছু ব্যাখ্যা করা কি বাদ পড়লো? কিছু নজরে পড়লে জানায়েন।

৩০| ২১ শে জুন, ২০২২ সকাল ৭:৩২

ঢাবিয়ান বলেছেন: [link||https://www.somewhereinblog.net/blog/Tajhabibi/30337094 ]

সিলেটের বন্যায় সরাসরি জড়িত এক ব্লগারের পোস্ট এসেছে ব্লগে।বন্যার কারনে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উক্ত ব্লগার পরিবারের কোন খবরাখবর পাচ্ছেন না। পোস্ট ও কমেন্টে তিনি তুলে ধরেছেন সিলেটের বর্তমান ভয়াবহ চিত্র। কিন্ত দুঃখজনক যে সেই পোস্টে এই ব্লগের ব্লগারদের উপস্থিতি নাই!!

২১ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি যদি এই ব্যাপারে আমাকে দোষ দেন, তাইলে বলবো.....আমি এমনিতেই আজকাল ব্লগে আসি খুবই কম। কিছুটা ব্যস্ততা আর কিছুটা বহুবিধ কারনে। কাজেই আমার নজর থেকে অনেক কিছুই এড়ায়। আর ব্লগে একটা অলিখিত নিয়ম তো আছেই, শুধুমাত্র যার বা যাদের সঙ্গে বাতচিৎ বেশী হয়, ব্লগারদের যোগাযোগও সেই অনুযায়ী ঘটে।

কিছু কিছু ব্যাপার আছে, আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কিছুই করার নাই। সব সঠিক কাজ কি আমরা সব সময়ে করতে পারি?

৩১| ২১ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪৪

নতুন বলেছেন: বন্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা দু‘টো এক্সট্রিম ভিউপয়েন্ট পাচ্ছিঃ একদিকে একদল পরিকল্পনাহীন ইনফাস্ট্রাকচারের দায় মানতেই চাইছেনা আরেকদিকে অন্যদল সেটাকেই বলছে মূল (ক্ষেত্রবিশেষে একমাত্র) কারণ।

এটাই আসল কারন, কিছু মানুষ এই পন্য়েন্টেই শেখ হাসিনাকে দোষ দিতে চাইছে।

শেখ হাসিনা অবশ্যই ঠিক মতন আমলা, কামলাদের চালাতে পারছেন না। কিন্তু এই সময়ে শুধু এটা নিয়ে হাউকাউের দরকার নাই। পিনাকের এক্সট্রিম আয়ামীবিরোধিতার কারনে তার কথার অর্থ হারিয়ে ফেলে।

২১ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার এই বিস্তারিত মন্তব্যটা আপনি, আরইউসহ আরো যারা এই পয়েন্টে সংশয়বাদী তাদের জন্য।

প্রতিটা ঘটনার......আই রিপিট.........প্রতিটা ঘটনার একটা মূল কারন আর কিছু অণুঘটক বা পার্শ্ব-কারন থাকে। মূল কারন একটা হয়, আর পার্শ্ব-কারন একাধিক হয়। উদাহরন দেই। একজন মানুষ হার্ট এ্যটাকে মারা গেল। এখানে মৃত্যুর মূল কারন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া। পার্শ্ব-কারনের মধ্যে হতে পারে, সে ধুমপান করতো, চর্বিযুক্ত খাবার খেতো, ব্যায়াম বা কোন ফিজিকাল এক্টিভিটি করতো না, অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করতো, ইত্যাদি। লক্ষ্য করেন, পার্শ্ব-কারনগুলো সবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলেই তার হার্ট আস্তে আস্তে ফেইলিয়র এর দিকে গিয়েছে।

এবার আসেন, একটা এক্সক্লুশানের গেইম খেলি। এনালাইটিক্যাল রিজনিং। সিলেটে বন্যা হওয়ার কারনগুলো কি কি এসেছে।

১. আসাম ও মেঘালয়ের অতি-বৃষ্টিঃ তাহলে ১৯৮৪ বা ১৯৯৫ সালে এমন বন্যা হয় নাই কেন? কাজেই এটা মূল কারন না।

২. পলি জমে ওয়াটার বেডগুলোর পানি ধারন ক্ষমতা কমে যাওয়াঃ এটা বহুদিন ধরেই ধীরে ধীরে হচ্ছে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে। কিন্তু এর ফলে কি অতীতে এমন বন্যা হয়েছে? হয় নাই। কাজেই এটাও বাদ।

৩. হাওর এলাকায় শহর রক্ষা বাধ না থাকাঃ খেয়াল করেন, আগে কিন্তু এই বাধের দরকারই হতো না। এমনিতেই স্বাভাবিক বন্যা হতো। এখন হাওর এলাকার সর্বনাশ করে যতো উচু বাধই দেয়া হোক না কেন, এক পর্যায়ে না এক পর্যায়ে এটা কাজ করবে না। কাজেই এটাও বাদ।

৪. জলবায়ু পরিবর্তনঃ এটা একটা গ্লোবাল ইস্যু। এই জন্য অতিবৃষ্টি, অতিক্ষরা, ঝড়-জলোচ্ছাস হচ্ছে ঠিকই, তবে এটা যুগ যুগ ধরে আস্তে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে। এটা নিয়ে গরীব দেশগুলোর করার কিছু নাইও। এখানে আবার '৮৪ আর '৯৫ সালের কথা চলে আসে। তখন কিন্তু এই ইস্যু সামনে আসে নাই, কারন, উন্নয়নের জোয়ার তখনও শুরু হয় নাই। কাজেই এটাও বাদ।

৫. অপরিকল্পিত উন্নয়নের জোয়ারঃ এটারই ফলশ্রুতি ওই ইটনা-মিঠামাইন-অষ্টগ্রাম অল ওয়েদার সড়ক। এই সড়কের ফলে ওই এলাকার পানি প্রবাহ প্রবলভাবে বাধাগ্রস্থ হয়েছে। পানি গতি হারানোর ফলে হাওর এলাকায় পলি জমে বেড লেভেল উচু হয়েছে ফলে পানি ধারন এবং একই সঙ্গে নির্গমন ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ফলে পানি কুল ছাপিয়ে জনপদে ঢুকে পড়েছে। তাই এটাই মূল কারন। নদী গবেষক মমিনুল হকও আরইউ এর দেয়া ভিডিওতে বলেছেন, হাওরের অপরিকল্পিত রাস্তা পানি চলাচলে মূল বাধা তৈরী করেছে।

উপরের ১-৪ হলো পার্শ্ব-কারন। আর ৫ হলো মূল কারন। পার্শ্ব-কারনগুলোর ক্ষতিকারক প্রভাব তো আছেই তবে এই সব কিছুতে পেরেক ঠুকে দিয়েছে হাওর এলাকার অপরিকল্পিত রাস্তাসমূহ।

এখন এর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই জন্য দায়ী, কারন উনার আঙ্গুলি-হেলন ছাড়া মন্ত্রীরা বায়ুও নির্গত করতে পারে না। আর কোন ব্যাখ্যার কি দরকার আছে? এটা নিয়ে আরো প্রচুর কথা উপরে অন্যান্য মন্তব্যে বলেছি। বারে বারে একই কথা বলতে বিরক্ত লাগে।

রইলো বাকী......পিনাকী। এটা নিয়েও বারে বারে ব্যাখ্যা দিয়েছি। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা আর যুক্তিহীন সরকার-বিরোধিতা এক না। এই দু'টোকে গুলিয়ে ফেলে একমাত্র চামচারাই, যাদের পরিস্থিতির দু'কলম ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা নাই। খেয়াল করলে দেখবেন, এদের কথা-বার্তা রেকর্ডেড ভয়েসের মতো। আপনি যাই বলবেন, এরা সেই একই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাবে। আমি আবারও বলি, পিনাকী হাফপ্যান্ট পড়ে নাকি ফুল প্যান্ট পড়ে এটা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নাই। জামাত-বিএনপি করে আর আওয়ামী লীগকে গালি দেয় কিনা, তাতেও আমার আগ্রহ নাই। তবে, সে যুক্তি আর রেফারেন্সের সফল প্রয়োগ ঘটিয়ে যদি কোন আলোচনা করে........তাতে আমার আগ্রহ আছে। কারন, কারও দালালী করে আমি আমার চিন্তা করার, বোঝার ক্ষমতাকে নষ্ট করি নাই, কারো কাছে আমার ব্যক্তিত্বকে বন্ধকও রাখি নাই। সেজন্যেই হাসান কালবৈশাখী যখন হাস্যকর কথা বলে, আমি সমালোচনা করি। যখন যুক্তি দিয়ে কথা বলে, একমত হই।

আমার কাছে হাসান কালবৈশাখী যা, পিনাকীও তা। এটা একটা উদাহরন দিলাম। :P

৩২| ২১ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৩

নতুন বলেছেন: আমার কাছে হাসান কালবৈশাখী যা, পিনাকীও তা। এটা একটা উদাহরন দিলাম। :P


আপনার এই কথার সাথে ১০০% সহমত B-))

আপনি যেই অর্থ বলেছেন সেই অর্থে অবশ্যই শেখ হাসিনা রাস্টপ্রধান হিসেবে তার সময়ের নেওয়া সিদ্ধান্ত এবং কাজের জন্য জবাবদিহি করার জন্যই তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যদি কেউ দায়ীত্ব নিয়ে বলে যে আমি জানিনা সেটা মেনে নেওয়া যায় না।

এই কারনে বিভিন্ন দেশে বড় অঘটন ঘটলে তার দায়ীত্বে থাকা মানুষকে দায় স্বীকার করে সরে যেতে দেখা যায়।

এই যে আমি আপনার পোস্টে কমেন্ট করছি অফিস সময়ে, এই সময়ে আমার অধিনস্ত কেউ কোন আকাম করলে তার জন্য আমাদেই জবাবদিহি করতে হবে। B-)

আমাদের দেশে এই জবাবদিহিতা শব্দটা নেতারা জানেনা। মানেও না।

২১ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সহমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। সবাই সবকিছু সহজে বুঝতে পারে না।

আমিও আপনার মন্তব্যের প্রতি-মন্তব্য দিচ্ছি অফিসে বসেই। দেখেন, আমি এখানে একটা টিম লীড করি। আমার টিমের কাজের জন্য আমাকেই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব দিতে হয়। আমি আমার টিমের কাকে দিয়ে কি কাজ করাচ্ছি, তা নিয়ে আমার বসের কোন মাথাব্যাথা নাই। আমি অফিসে বসে ব্লগিং কেন করছি, এটা নিয়েও তার কোন প্রতিক্রিয়া নাই। কিন্তু কোন ভজঘট হলে সেই কাজ যে করেছে তাকে ধরবে না, ধরবে আমাকে। তখন ব্লগিংয়ের ব্যাপারটাও সামনে চলে আসবে। আমার আর কি কি দোষ আছে, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে। এটাই ম্যানেজমেন্টের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

একটা দেশের ক্ষেত্রে মূল কর্তৃপক্ষ সেই দেশের জনগণ। তাদের কাছেই সবাইকে জবাব দিতে হয়। এখন কাজ যারা করে তাদের টিম লিডার হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তো, সব কিছুর জন্য তাকেই তো জনগন দুষবে। এটা আরো সত্যি আমাদের দেশের জন্য; কারন, দেশের সবাই জানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কোন কাজের মূল সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা আর কারো নাই।

আমাদের দেশে এই জবাবদিহিতা শব্দটা নেতারা জানেনা। মানেও না। ঠিক বলেছেন। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা সম্পর্কে এদের কিছু জিজ্ঞেস করলেই বুঝতে পারবেন এদের দৌড় কতদূর!!!

৩৩| ২১ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১২

জুন বলেছেন: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন, নজরদারিহীন নির্মাণ ও দ্রুত শিল্পায়নের মতো কারণগুলো চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়াজনিত দুর্যোগের তীব্রতা ও পরিমাণ বাড়াচ্ছে, বলছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও গাছ কেটে ফেলা যাতে পানি ধরে রাখতে না পারাও আছে বইকি।
আমি আসাম, মেঘালয় পুরো ঘুরে দেখেছি ভুয়া মফিজ। সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের এলাকা বলে পরিচিত চেরাপুঞ্জিতে দেখেছি পুরোটাই পাহাড়ি এলাকা যার গায়ে আছে মসৃন ছোট ছোট ঘাস, বড় কোন গাছ নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের দিকে ঢালু সেই চেরাপুঞ্জি পাহাড়ের গা ঘেষে একেবারে হাজার হাজার ফুট নীচে আমাদের অসহায় বাংলাদেশ। চেরাপুঞ্জি থেকে পাচ ছটা পয়েন্ট আছে বাংলাদেশ দেখার। রেলিং ধরে অনেক নীচে পানিতে ডুবে থাকা আমাদের সুনামগঞ্জ হাওর দেখে কলকাতার এক দিদি বলে উঠেছিল "এ কোন দেশ! এ দেখি জলের নীচে ডুবে আচে "! সত্যি আজ এক সময়ের পুরো সিলেট বিভাগ পানির নীচেই হাবুডুবু খাচ্ছে।
+
উপরের প্যারাটি বিডিনিউজ ২৪ ডট কম থেকে নেয়া।

২১ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা তাদের মতো করে বলেছে আপা। তাদের বলা কমন বিষয়গুলো আমাদের সাথে মিলবে, কোন সন্দেহ নাই; তবে, আমাদের সমস্যা কিছুটা ভিন্নতর এবং আরো জটিল। বিশেষ করে এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয়, যেটা হলো এবারের এই ভয়াবহ বন্যার মূল কারনটা কি?

ভারতে ওদের দরকারে ওরা যদি পাহাড়ের গাছ কাটে, আমাদের সমস্যা হলেও তারা তা বন্ধ করবে না। প্রতিবেশী নিয়ে ওদের অতোটা মাথাব্যথা নাই, যেটা রাজনৈতিক দলগতভাবে আমাদের আছে। আমরা নিজেরাই আমাদের কি সর্বনাশটা করছি, সেটাই আমাদের দেখতে হবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক তো আমরাই বানিয়েছি, তাই না!! :P

কলকাতার ওই বেকুব দিদি কি জানে না, যে ওটা বাংলাদেশ!!! X(

৩৪| ২১ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪

নতুন বলেছেন: কিন্তু কোন ভজঘট হলে সেই কাজ যে করেছে তাকে ধরবে না, ধরবে আমাকে। তখন ব্লগিংয়ের ব্যাপারটাও সামনে চলে আসবে। আমার আর কি কি দোষ আছে, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে। এটাই ম্যানেজমেন্টের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

একটা দেশের ক্ষেত্রে মূল কর্তৃপক্ষ সেই দেশের জনগণ। তাদের কাছেই সবাইকে জবাব দিতে হয়। এখন কাজ যারা করে তাদের টিম লিডার হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তো, সব কিছুর জন্য তাকেই তো জনগন দুষবে। এটা আরো সত্যি আমাদের দেশের জন্য; কারন, দেশের সবাই জানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কোন কাজের মূল সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা আর কারো নাই।


এই জিনিসটা কিন্তু আমাদের সমাজের মানুষ বোঝে না। তারা প্রধানমন্ত্রীকে তেল দিতে প্রস্তুত।

ফ্রান্স, কানাডা, ইউকের প্রধানমন্ত্রী কাজের জবাবদিহিতা করতে অস্থির।

২১ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই জিনিসটা কিন্তু আমাদের সমাজের মানুষ বোঝে না। তারা প্রধানমন্ত্রীকে তেল দিতে প্রস্তুত। অশিক্ষা আর কুশিক্ষা এই জন্য দায়ী। দেশের লোকজনের প্রচলিত ধারনা, প্রধানমন্ত্রী হলো রাজা/রাণীর মতো। জনগন হলো প্রজা। নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কেই সচেতন না। তাই ক্ষমতাসীনদের তেল দেয়। এর জন্য রাজনৈতিক দল আর তাদের বিশাল চামচা বাহিনীর বিরাট দায় আছে। আমাদের জনগন দেয়ালে পিঠ ঠেকলেই শুধুমাত্র প্রতিক্রিয়া দেখায়; কিন্তু যে কোনও সময়েই প্রতিক্রিয়া দেখানো যে তাদের অধিকার, সেটাই বোঝে না। যাই হোক, এটা অন্য আলোচনা। এসব নিয়ে কথা বলতে শুরু করলে বহুকিছু সামনে চলে আসবে।

ফ্রান্স, কানাডা, ইউকের প্রধানমন্ত্রী কাজের জবাবদিহিতা করতে অস্থির। এখানে প্রধানমন্ত্রী/প্রেসিডেন্টরা সব সময়ে দৌড়ের উপরে থাকে। সব সময়ে আতংক, কখন কোথায় কোন ভুল করে বসে, আর জনগন সেটা ধরে প্যান্ট খুলে নেয়!!! সেজন্যেই এখানে কাজের স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতা আছে। সেজন্যেই এরা উন্নত। উন্নতি নিয়ে আমাদের মন্ত্রীদের মতো বাগাড়ম্বর এরা করে না, সেই সুযোগও নাই। একটা ফালতু কথা বললে তার পরদিনই এদেরকে জনগন আর মিডিয়া এমন তুলোধুনো করে যে এরা বাপের নাম পর্যন্ত ভুলে যায়!! :)

৩৫| ২২ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২২

ঢুকিচেপা বলেছেন: “সিলেটের বন্যার জন্য দায়ী কে?”

আমি না। আমি কখনো সিলেট যাইনি।

তবে ভিডিওতে দেয়া তথ্যগুলো যুক্তিযুক্ত এবং আরইউ ভাইয়ের ভিডিওতে গাছ সংক্রান্ত যে তথ্য রয়েছে সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।

২২ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার প্রথম থেকেই সন্দেহের তীর ছিল আপনার দিকে। সিলেট না গেলেও দুর থেকে কলকাঠি নাড়া সম্ভব। আপনার কথা শুনে ''ঠাকুর ঘরে কে রে........আমি কলা খাই নাই'' প্রবাদটার কথা মনে পড়ে গেল!! :-B

সবগুলো ভিডিও'র সবগুলো পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূল কারনটা বের করে তার সমাধান করা।

৩৬| ২২ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৩

জুন বলেছেন: উজানের সব নদীর বাধ খুলে দেয়া হয়েছে তারপরও আমরা দিদিকে কত হাজার কেজি আম যেন গিফট করেছি। তবে পানি ছাড়ার সময়টা ঠিক করতে পারেনি দিদি। গরম কালের ওয়াজ -------

২২ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুধু কি আম? ইলিশ, শাড়ি আরো কতো কি!!! আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো অলরেডি বলেছেনই, আমাদের আত্মা বড়। আমরা দিতে জানি। বিনিময়ে কিছুই চাই না!!! B:-/

আসলে কি জানেন আপা.......পাগলেও নিজের বুঝ বোঝে। শুধু আমাদের ভারতপ্রেমী কর্তাব্যক্তিরা বোঝে না। এটাই দিনশেষে দুঃখ।

৩৭| ২৩ শে জুন, ২০২২ রাত ২:৫২

মামুনুর রহমান খাঁন বলেছেন: ২০ নং মন্তব্যে ব্লগার @করুণাধারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন আমি তার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আমি বরং সাথে কিছু যোগ করতে চাই।

৬ নং মন্তব্যে ব্লগার @নতুন গুগল আর্থ থেকে একটি ছবি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন যেহেতু মিঠামইন সড়ক সিলেট থেকে বহু দূরে তাই বন্যায় এই সড়কের কোন প্রভাব নেই। তার ভাষায় - ”ছবির বাদিকে গোল জায়গাতে মিঠামইন সড়ক আর ডান দিকে আগে হবিগন্জ, ফেন্চুগনজ, মৌলভিবাজার তার উপরে উত্তরে সিলেট”।
আমিও গুগল আর্থ থেকে অনুরূপ একটি ছবি দিচ্ছি যেখানে সুরমা নদীর পানির প্রবাহ পথ হলুদ রঙে এবং ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক লাল রঙে মার্ক করে দিয়েছি। এই ছবি থেকে ধারনা করতে পারবেন সিলেটের বন্যায় এই সড়কের প্রভাব কতটা মূখ্য। কেননা এই সড়ক পানির প্রবাহকে আড়াআড়ি ভাবে বাধা দিচ্ছে।



সিলেট থেকে প্রায় ৯০ কি.মি দূরের এই সড়ককে কেন বন্যার প্রধান কারন হিসেবে আমি বিবেচনা করছি? কারন হচ্ছে এলিভেশন। সিলেটের কীন ব্রিজ পয়েন্টে সুরমা নদীর এলিভেশন আর ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক যেখানে অবস্থিত সেখানকার এলিভেশন অলমোস্ট একই (পার্থক্য ১ মিটারেরও কম)। কাজেই পানি প্রবাহ বাধা পেলে উল্টো দিকেই প্রবাহিত হবে।

অনেক বিশেষজ্ঞ সুরমা নদীর নাব্যতার প্রশ্ন তুলেছেন যা খুবই হাস্যকর। সুরমা নদীকে আমি খুব ভাল করেই চিনি। কারন আমার বাল্যকাল, শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য সুরমার পাড়েই কেটেছে। আমাদের বাসা ছিল সুরমা নদীর পাড়ে। নদীর পাড় থেকে বাসার দূরত্ব ছিল প্রায় ১৫০ মিটার। সুরমার মত এমন খরস্রোতা নদীর নাব্যতা কখনো চিন্তার কারন হতে পারেনা। যারা নাব্যতা নিয়ে কথা বলছেন তাদের অনুরোধ করবো শীতকালে যখন নদী শুকিয়ে যায় তখন একবার গিয়ে দেখে আসবেন এই নদী কত গভীর। আমি এখানে সুরমা নদীর শীতকালের দুটি ছবি দিলাম বোঝার সুবিধার্থে যখন লিটারেলি হাটু-জল থাকে।
১.

২.


বর্ষায় এই নদী পানিতে টইটুম্বুর থাকে। সেই সাথে প্রচন্ড খরস্রোতা। কিন্তু ১ম ছবিতে যে রাস্তা দেখতে পাচ্ছেন সেই রাস্তা উপচে কখনো ডান পাশে পানি ঢোকেনি। আমার এ জীবনে কখনো দেখিনি। কিন্তু এবার তাই হয়েছে।

এ তো মাত্র শুরু। পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় এই পানি সরে যেতে সময় লাগবে। সেই সুযোগে হাওড়ে পলি পড়বে। হাওড়ের উচ্চতা বাড়বে। ফলে যেসব এলাকায় এবার পানি উঠেনি কয়েক বছর পরে ঠিকই উঠবে। আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে। এমনকি কিছু এলাকা দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতারও শিকার হবে।

রাস্তা তৈরির সময় কি কি বিষয় বিবেচনায় নিলে আজ এই সমস্যা হতো না তা ব্লগার @করুণাধারা বলেছেন। কিন্তু রাস্তা যখন করেই ফেলেছে এখন তাহলে সমাধান কি? রাস্তা ভেঙ্গে ফেলবেন? সেটা আরেক অপচয় হবে। রাস্তা না ভেঙ্গে আমার মতে একটি সমাধান হতে পারে। আর তা হলো প্রতি ১ বা ২ কি.মি পর পর পাম্প স্টেশন। ঘুর্নিঝড় কিংবা হেভি রেইনফলের প্লাবন থেকে শহরকে রক্ষা করার জন্য জাপান, নেদারল্যান্ড এ ধরনের পাম্প ব্যবহার করে থাকে। তবে নিঃসন্দেহে এটি ব্যয়বহুল। অবশ্য ব্যয় বেশি হলেই এদেশে প্রোজেক্ট পাশ হয় আবার পাশ হওয়ার পরও ব্যয় বাড়ে :P

২৩ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি আমার পোষ্টের ট্রেন্ড যদি দেখেন, তাহলে বুঝবেন এটা আসলে সেই অর্থে কোন পোষ্ট না। আমার উদ্দেশ্যই ছিল একটা গঠনমূলক আলোচনা করা। আপনার বিস্তারিত আর চমৎকার মন্তব্যটা সেই আলোচনায় একটা গুরুত্বপূর্ণ পালক যোগ করলো। আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে এই রাস্তা বিভিন্ন জায়গাতে ভবিষ্যতে কাটা হবে। আমাদের এলজিইডি মন্ত্রনালয় এই সুযোগ হাতছাড়া করবে বলে মনে হয় না। কোন কিছু পরিকল্পনা করে তৈরী করাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর যতোটা না আগ্রহ, তার চাইতেও হাজার গুন বেশী আগ্রহ তৈরী করে আবার ভাঙ্গা আর আবার গড়ার মধ্যে। কারনটা সহজেই অনুমেয়।

যেসব পরিকল্পনাবিদদের উর্বর মস্তিস্ক থেকে এই পরিকল্পনা বের হয়েছিল, তাদের জবাবদিহিতার মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। একটা নিরপেক্ষ তদন্তও হওয়া উচিত। সেটা কি সম্ভব হবে? একটা ভিডিওর লিঙ্ক দিলাম। দেখতে পারেন। বলদদের ঘুম ভাঙ্গছে মনে হয়! নতুন মালপানির আশায় এরা এখন নতুন করে বুক বাধছে!!! =p~

৩৮| ০৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ‘কিশোরগঞ্জের অল ওয়েদার সড়ক’ যে সমস্যা সৃষ্টি করছে, এমন একটি বিষয় নিয়ে সরকারের কাছে আগে থেকেই সতর্কবার্তা ছিল। মন্ত্রীপরিষদ সচিব এ তথ্যও দিয়েছিলেন-
“ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপ্রিলেই নির্দেশ দিয়েছিলেন হাওরে আর ‘অপরিকল্পিত সড়ক’ নয়। সড়ক করতে হলে উড়াল সড়কের পরিকল্পনা করতে হবে। একনেকের ওই সভা শেষে মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সিলেটের (অঞ্চল) পানিটা মূলত নামে অষ্টগ্রামের দিক দিয়ে। এখানে যে রাস্তাটা করা হয়েছে মিঠামইন থেকে অষ্টগ্রাম, সেটাতে কোনো অ্যাফেক্ট হলো কিনা- এটাও দেখতে বলা হয়েছে’। পাশাপাশি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে এ বিষয়ে সমীক্ষা চালাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘প্রতি আধা কিলোমিটার পর পর দেড়শ থেকে দুই শ মিটার ব্রিজ করে দেয়া যায় কিনা সেটিও দেখতে বলা হয়েছে।’

ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে নামা ঢলের পানি সিলেট অঞ্চলের নদী ও হাওর হয়ে কিশোরগঞ্জে মেঘনা নদীতে গিয়ে মেশে। ‘অল ওয়েদার সড়কে’র কারণে হাওরের উজানের থেকে নেমে আসা পানি নদীতে নামতে পারছে না- এ সংক্রান্ত অভিযোগটি তাহলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অন্ধ সরকার ভক্তরা কি বলেন?

এছাড়া মূল কারণের মধ্যে অন্যতম ভারতের ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একতরফা বাঁধ নির্মান। যার ফলে নদীমাতৃক বাংলাদেশ আজ বিপন্ন। ভারতের পরিবেশ কর্মী আব্দুল করিম কিম সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন- ভারতের মেঘালয়, মিজোরাম, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডে বরাক নদীর বিভিন্ন উপনদীকে কেন্দ্র করে প্রায় ৪০টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে।
তার মতে, “একের পর এক ড্যাম ও ওয়াটার স্টোরেজ নির্মাণের মাধ্যমে বরাকের বিভিন্ন উপনদীকে নিয়ন্ত্রণ করায় শুষ্ক মওসুমে সুরমা-মেঘনা অববাহিকা পানিশূন্য হয়ে যাচ্ছে। আবার উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রবল বৃষ্টিপাতে প্রবহমান পানির চাপ তৈরি হলে আটকে রাখা পানি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে আকস্মিক প্লাবনে সুরমা-মেঘনা অববাহিকা প্লাবিত হচ্ছে।”

অথচ আমাদের বিশেষজ্ঞদের মূখে রা’টি নেই। যেন ভাসুরের নাম মুখে নেয়া মানা!!!!!

পিনাকী জামাতি, বামাতি বা অচ্ছুৎ ধরেই নিলাম। পয়েন্টগুলো তো মিথ্যে নয়? আমার বাজার থেকে ৭০০ টাকা গরুর গোস্ত ২১০০ টাকায় কিনে এনে যদি বলি দেখেছো সংসারের কি উন্নয়ন করেছি। মনে রেখো, এ শুধু আমার দ্বারাই সম্ভব! নিজের কামাইর টাকায়- আমিই স্বপ্নদ্রষ্টা! আমিই পারি।
তখন তার বাবার অবস্থা কল্পনা করুন? এমনু আকাইম্যা পোলারে মারবে? না ধরবে? না ত্যাজ্য করবে?

ম্যা’ভাই কি যে করেন না? কেন ইমুন লেখা দেন। আফনে তো বৈদেশে নিরাপদে আছেন থাকেনও দোয়া করি। আমরার কি হাল? ইট্টু ভাইবেন! পড়লে না পারি সইতে না পারি কইতে! কুন সুম আবার জুলভার্ণ ভাইর মতো কষ্টে পড়তি হয়! ভুই লাগে!!!


১২ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার কথা খুব সিম্পল। অসুখ হওয়ার পর চিকিৎসা করার চাইতে অসুখ যাতে না হয় সেদিকে নজর দেয়াটাই যুক্তিযুক্ত। যেসব বিশেষজ্ঞ এই সড়ক তৈরীতে প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছে, তাদেরকে ধরে ধরে হাওরের পানিতে চুবানো উচিত। এখন রাস্তা কেটে উড়াল সড়ক বা ব্রিজ-কালভার্ট যদি নির্মান করতে হয়, এর খরচ কে দিবে? আর সড়ক তৈরীতে জনগনের যে সম্পদের অপচয় হলো, তারই বা কি হবে? আর বন্যার কারনে যে জানমালের ক্ষতি হলো, তার কি হবে?

যে কোনও দেশের উন্নয়নের সাথে যথাযথ পরিকল্পনা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। যখন যা মনে আসলো, কোন জরীপ না করে বাস্তবায়ন করা কে তো উন্নয়ন বলে না। এটা গর্দভ বিশেষজ্ঞদের বোঝাবে কে?

অন্ধ সরকার ভক্তদের দলের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা আছে, দেশের প্রতি নাই। কাজেই রেকর্ডেড ভয়েস চালু রাখা ছাড়া এরা আর কি করবে? যে ভাবেই হোক, একটা কিছু বলে দিলেই হলো আর কি!!

আর ভারতের যতোই গুনগান করা হোক না কেন, তারা আমাদের স্বার্থ দেখে নিজেদের স্বার্থকে জলান্জলী দিবে না। সে স্ত্রী অথবা প্রতিবেশী, যাই বলেন না কেন। ভারত আদপেই সেইরকমের কোন সুপ্রতিবেশীসুলভ দেশ না। ফলে আমাদের দেখতে হবে, আমরা নিজেরা কি করছি।

পিনাকী জামাতি, বামাতি বা অচ্ছুৎ ধরেই নিলাম। পয়েন্টগুলো তো মিথ্যে নয়? আমার পয়েন্টও এটাই। তার তোলা পয়েন্টগুলো নিয়ে কথা না বলে তার ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে যারা কথা বলবে, নিঃসন্দেহে তাদের ভাবনা-চিন্তার পরিপক্কতার অভাব আছে। কিংবা তারা তাদের ব্যক্তিত্ব একটা দলের কাছে বন্ধক রেখেছে।

আসলে এমুন লেহা আমি লেখতে চাই না। এইজন্যই তো দেখলেন, এই পুষ্টে আমি কিছুই লিখি নাই। খালি তার ভিডিওটা দিছি আলোচনার লাইগা। আইচ্ছা, আপনের কথা মনে থাকবো। আর লেহুম না!! :P

৩৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আলোচনা সমালোচনা পড়ে খুবই ভালো লাগলো সেই সংগে কিছু দালালের দালালীও দেখলাম।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আলোচনা সব সময়েই ভালো; আর সমালোচনা ক্ষেত্র বিশেষে, যদি গঠন মূলক হয়। তবে দালাল শ্রেণী সব সময়ে সব যুগেই পাবেন। এদেরকে নিয়েই আমাদের চলতে হয়। কিছুই করার নাই। নির্মম বাস্তবতা!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.