নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন \'\'বিলাতি সারাহ\'\'র গল্প!!!

১৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৪



এই মাসের ১ তারিখ, শুক্রবার।

অফিসে গিয়েছি সকাল ১০টায়। ডেস্কে স্টিকি প্যাডের পাতায় বসের একটা নোট সাটানো; তার মানে সে এসে একবার ঘুরে গিয়েছে। লেখা, ''দেখা করো, যখন তোমার সময় হয়!'' নোটের ভাষায় একটু খোচার আভাস আছে, তবে আমি ভড়কালাম না। আমাদের অফিস শুরু হয় সকাল ৯টায়, শেষ হয় বিকাল ৫টায়। আগেরদিন কিছু জরুরী কাজ শেষ করে অফিস থেকে বের হয়েছি বিকাল ৮টায়। এ'রকমটা ইদানিং প্রায়ই হয়, কাজেই এক ঘন্টা দেরীতে আসার রাইট আমার আছে। এটা আমার বসও জানে! তারপরেও টিপিক্যাল বস মেন্টালিটি; খুব একটা পছন্দ না হওয়ারই কথা। হু কেয়ার্স!!!

তৎক্ষনাৎ গেলাম বসের রুমে। জানলাম যে, আগামী মঙ্গলবার আমাকে জার্মানীর মিউনিখ যেতে হবে। এইচআরডি'র সারাহও যাবে। আমার চোখে-মুখে প্রতিবাদের ছায়া দেখে বস জানালো, আমি জানি, তোমরা অনেকেই ওকে পছন্দ করো না। তবে তুমি তো আর ওর সাথে হানিমুনে যাচ্ছো না, অফিসের কামে যাচ্ছো। কাম সেরে পরদিন চলে আসবা। কিচ্ছা খতম!! বলে চশমার উপর দিয়ে এমনভাবে আমার দিকে তাকালো, ঠিক যেভাবে বুড়া রাহাত খান মাসুদ রানার দিকে তাকাতো! ফলে, প্রতিবাদকে বাক্যে পরিণত করার শক্তি আর সঞ্চয় করে উঠতে পারলাম না। বললাম, পড়েছি মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে!! তুমি যখন ইনসিস্ট করছো, কি আর করা! তবে, তুমি তো জানো, আমার কিঞ্চিৎ বেড়ানোর অভ্যাস আছে। বৃহসপতি আর শুক্রবারটা আমাকে ছুটি দাও। কোভিডের কারনে বসে থেকে থেকে শরীরে যে জং ধরেছে, সেটা খানিকটা ছুটায়ে আসি।

আমি জানতাম, তুমি এই প্রোপোজাল দিবা। ওকে যাও, ডান। তবে, মোগল নিয়া কি জানি বললা, বুঝি নাই। বুঝায়ে বলো! সরু চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বসের আব্দার।

আমি চওড়া একটা হাসি দিয়ে বললাম, এর মানে হলো, হাতি গর্তে পড়লে চামচিকাও……….বাদ দাও। এইসব কথার কথা! তোমার প্রেশার বাড়ানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু না।


ডেস্কে এসে দেখি সন্দেহজনক একটা হাসি ঠোটের কোণে ঝুলিয়ে অনেকটা রিসিপশান কমিটির ভঙ্গিমায় ক্রিস দাড়িয়ে। ব্যাটা খবর আগেই পেয়েছে! ওকে দেখে মনে পড়লো, প্রতিদিন সকালের কফির মগ হাতে বিড়ি টানার গুরুত্বপূর্ণ কাজটা এখনও বাকী! বাইরে এসে ক্রিস বললো, দেইখো, সারাহ'র লগে আবার কাইজ্জা লাগায়ে দিও না। বস কিন্তু হ্যারে আইজকাল খুব ভালা পায়। তয় বস তোমাগো দুইজনরে একলগে ক্যান পাঠাইতাছে, এইটা বুঝলাম না।

আমি বললাম, সেইটা তোর বুঝনের কাম নাই। বসে কইছে, মফিজ……..তুমি আর সারাহ, দুইজনে মিলমিশ কইরা কাম সাইরা আসবা। আমি কোন ঝামেলা শুনতে চাই না। মনে করো, তোমরা দুইজন হানিমুনে যাইতাছো!!!

ক্রিস একটা মাঝারী স্পন্জের রসগোল্লা সাইজের হা করে খানিকক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে তোৎলাতে তোৎলাতে বললো, কও কি! বসে কইছে এই কথা!! আমি কথার উত্তর না দিয়ে একটা রহস্যময় হাসি ছুড়ে দিলাম ওর মুখের উপরে!!!


বৃটিশ এয়ারওয়েজের বিমানের চাকাগুলো যখন মিউনিখ এয়ারপোর্টের টারমাক স্পর্শ করলো, তখন ঘড়িতে মিউনিখ সময় বিকাল ৫:২০। বিমান থেকে নেমে সারাহকে আমি পিঙ্কি অর্থাৎ কেনে আঙ্গুল দেখিয়ে বললাম, তুমি এগোও, আমি কাজ-কাম সেরে আসি। ওয়াশ রুমে ইচ্ছা করেই একটু সময় নিলাম। উদ্দেশ্য, পাথর-মুখের একজনের পাশাপাশি হেটে ইমিগ্রেশানের দিকের দীর্ঘ পথ যেন পাড়ি না দিতে হয়! কিন্তু হা হতোস্মি! বের হয়ে দেখি সে বিরক্তমুখে ওখানেই দাড়িয়ে। আমি বললাম, ঘটনা কি? তোমাকে না বললাম এগুতে? সে ততোধিক বিরক্তমুখে ঘোষণা দিল, একসাথেই যাই!!

হোটেলে এসে ফ্রেশ ট্রেশ হয়ে ভাবছি, আশাপাশের কোন টার্কিশ রেস্টুরেন্টে গিয়ে কাবাব মেরে দিয়ে আসবো কিনা! পৌনে সাতটার দিকে হঠাৎ হোটেলের ফোন বেজে উঠলো। চমকে উঠে ভাবলাম, কি ব্যাপার? মিউনিখে তো আমার কেউ থাকে না। এরই মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়লো নাকি যে, ব্লগার ভুয়া মফিজ এখন মিউনিখে? সাত-পাচ ভাবতে ভাবতে রিসিভার তুললাম।

সারাহ ফোন করেছে। বললো, আমার ডিনারের টাইম পার হয়ে যাচ্ছে। চলো, হোটেলের রেস্টুরেন্টে গিয়ে ডিনার সেরে আসি। মনে মনে বললাম, তুমি তো খাইবা ঘাস-লতা-পাতা। তোমার সাথে গিয়া আমার পোষাবে না। মুখে বললাম, আমি ভাবছি, কাবাব খাবো। তুমি তো এসব খাও না। এড়ানোর শেষ চেষ্টা হিসাবে বললাম, বরং তুমি নীচে গিয়ে ডিনার সেরে আসো। আমি বাইরে কাবাব খেতে যাবো।

তুমি যেখানে কাবাব খাবা, সেখানে নিশ্চয়ই স্যালাড-ট্যালাডও পাওয়া যাবে, তাই না!

এতো দেখি নাছোড়বান্দা!! বললাম, যাওয়া তো উচিত, কিন্তু ইন কেইস যদি না পাওয়া যায়?

চেষ্টা করতে তো কোন ক্ষতি নাই!!

অগত্যা কি আর করা। ঘাস-পাতা সব রেস্টুরেন্টেই পাওয়া যায়; কাজেই এড়ানোর খুব একটা উপায়ও নাই। কাছের একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে বললাম, একবার কাবাব ট্রাই করে দেখবে নাকি? পাল্টা ত্যাড়া প্রশ্ন ধেয়ে এলো, তুমি কি আমার মতো করে একবার খেয়ে দেখবে নাকি?

হাসতে হাসতে বললাম, আমি কি পাগল? মুখ ফস্কে বলেই ভাবলাম মহিলা আবার চেইতা যায় কিনা! আড়চোখে তাকিয়ে দেখলাম, না আমার কথা নিয়ে কোন হেলদোল নাই। সে মনোযোগ দিয়ে রেস্টেুরেন্টের টার্কিশ ইন্টেরিয়র দেখছে। যাক বাবা! নিজেকে নিজেই বললাম, ভুয়া মফিজ…….সাবধান! কথাবার্তা বুঝে-সুঝে বলো! তুমি কিন্তু সত্যিকারের হানিমুনে নাই!!!

জার্মান ভাষার মেন্যু ঠিকমতো বুঝি নাই। রুটি দিয়ে মোড়ানো ডোনার কাবাবের বিশাল সাইজ দেখে ঢোক গিললাম…...ভয়ে। দেখে সারাহ'র চোখ কপালে উঠলো। বললো, এটা পুরাটাই তুমি এখন খাবে? আমি একটু ভাব দেখিয়ে বললাম, এতো কিছুই না। এ'রকম দুইটা খাওয়া আমার কাছে ডাল-ভাত।

যার যার মতো খাওয়া শুরু করলাম।

একজন ভদ্রমহিলা, বিশেষ করে সারাহ'র মতো প্রচন্ড রকমের ফর্মাল একজনের সামনে বসে বোয়াল মাছের মতো বিশাল হা করে খাওয়াটা একটা বিশাল দিগদারী ব্যাপার। কিন্তু কিছুই করার নাই। কায়দা-কানুন করে সাইডে কামড় দিয়ে খাচ্ছি। কিন্তু একি সেই জিনিস? এতো সাবধানতার পরেও ঠোটের এদিক-ওদিক সস লেগে যাচ্ছে। মহা ঝামেলা। এক পর্যায়ে দেখলাম, সারাহ তার খাবার স্রেফ নাড়াচাড়া করছে। তেমন একটা খাচ্ছে না। আমি বললাম, কি ব্যাপার খাচ্ছো না যে! টেস্ট ভালো না? অবশ্য এই চীজের টেস্ট ভালো হওয়ার কোন কারনও নাই।

সারাহ আমার কথার জবাব না দিয়ে খাবার নাড়াচাড়া করতে করতে বললো, আমি জানি, তোমরা অফিসে কেউ আমাকে বিশেষ পছন্দ করো না। অনেকে তো আমাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টাও করে। কেউ কেউ এমনকি লেসবি-ও বলে। তোমরা সবাই মিলে অনেক মজা করো, কাজের ফাকে ফাকে আড্ডা দাও। একসাথে চা-বিড়ি খাও। আমি পার্টিসিপেইট করি না। আসলে করতে পারি না, আমারই সীমাবদ্ধতা। এটা ভালো কিছু না। কলিগদের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক থাকা, ভালো কাজের পরিবেশের জন্য খুবই দরকারী। এটা সবচেয়ে বেশী আমারই বোঝার কথা। এই ব্যাপারে উপর লেভেল থেকে আমার উপর চাপও আছে। কিন্তু জানো, আমার আজকের এই অবস্থার জন্য আমি দায়ী না।

আমি মুখভর্তি কাবাব চিবাতে চিবাতে কোন রকমে বললাম, আই এ্যাম লিসনিং!

এরপরে সারাহ তার জীবনের গল্প বলা শুরু করলো। আমি কিছুটা সংক্ষেপে বলি।

আমার ১৬ বছর বয়সে বাবা-মা'র মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। কিছুদিন পরেই মা আরেকটা বিয়ে করে। আমি মা'র সাথে থাকতাম। প্রথম থেকেই আমার নতুন বাবার ভাবসাব আমার কাছে ভালো ঠেকতো না। কেমন করে জানি তাকাতো। একদিন আমি বাসায়, মা তখনও কাজ থেকে ফিরে নাই। বাবাও বাসায় ছিল। হঠাৎ করে সে আমার রুমে ঢুকে পড়ে। আমার গায়ে হাত দেয়ার চেষ্টা করে। আমি কোন রকমে বাসা থেকে বের হয়ে এক নেইবারের বাসায় চলে যাই। পরে মা সবকিছু শুনে আমাকে এক খালার বাসায় পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকেই আমি পড়ালেখা শেষ করি। ওই ঘটনা এরপরে সারা জীবন আমাকে তাড়া করে ফিরেছে। আমি প্রচন্ড রকমের ইন্ট্রোভার্ট স্বভাবের হয়ে যাই। কারো সাথেই, বিশেষ করে ছেলেদের সাথে মিশতে পারতাম না। এখনও, এই পরিণত বয়সেও সবাইকে আমার একই রকমের মনে হয়। সেই থেকে আমি একা। বাসায় বিড়াল-কুকুর আছে। ওদেরকেই আমি একমাত্র বিশ্বাস করি। ওদের সাথেই কথা বলি, আড্ডা দেই, সময় কাটাই। আমি জানি, পৃথিবীর সব পুরুষ এক রকমের না। কিন্তু কে কেমন, আমি বুঝবো কিভাবে? তাই সবাইকেই এড়িয়ে চলি। এই বিষয়ে অফিসে আমি কাউকে কখনও কিছু বলি নাই। তোমাকেই প্রথম বললাম। কেন বললাম, জানি না। আশা করি, তুমি এটা কারো সাথে শেয়ার করবে না।

সবটা শুনে আমি বাকরুদ্ধ! খাওয়ার রুচি নষ্ট হয়ে গেল আমার। এই ধরনের ঘটনা পত্রিকাতে পড়েছি; টিভিতে, সিনেমায় দেখেছি। কিন্তু চোখের সামনে এমন ঘটনার একজন ভিক্টিমকে এই প্রথম দেখলাম। কিছু হারামজাদার জন্য গোটা পুরুষ জাতিকেই অনেকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে দেয়, আর সেজন্যে তাদেরকে দোষও দেয়া যায় না। পুরুষ জাতির একজন প্রতিনিধি হিসাবে আমার কি সারাহ'র কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাওয়া উচিত? বললাম, এটা নিয়ে তুমি একেবারেই চিন্তা কোরো না। আমার পেটে বোমা মারলেও কেউ জানবে না; অন্ততঃ যারা তোমাকে চিনে।

সারাহ মুখ তুলে একটা বিষন্ন হাসি দিল। দেখি, ওর চোখের কোন চিক চিক করছে। বললো, আমি জানি। এ'টুকু বিশ্বাস তো তোমাকে আমি করতেই পারি!

কোন সুন্দরী মেয়ের চোখের জল আমি আবার সহ্য করতে পারি না। দেখলে মুছে দিতে ইচ্ছা করে। কিন্তু ওরটা মোছা কি সঠিক সিদ্ধান্ত হবে? সাত-পাচ ভাবতে ভাবতে টিস্যুর বক্সটা এগিয়ে দিলাম।


বেয়ারাকে বিলের জন্য ইশারা করতেই এসে বললো, আমাদের রেস্টুরেন্টের বাকলাভা আর আইসক্রিমের কম্বিনেশানের সুনাম সারা মিউনিখ জুড়ে। দিব?

মনে মনে বললাম, ভাগ ব্যাটা। আমাকে জ্যান্ত বাসায় ফিরতে হবে তো, নাকি?


পুনশ্চঃ এটা একজন বিলাতি সারাহ'র জীবনের অপ্রকাশিত গল্প। এই অপ্রকাশিত গল্প সে কেন আমার কাছেই প্রকাশ করলো, সেটা আমি অনুমান করতে পারি। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করা হয়ে ওঠে নাই। সেটা ঠিকও হতো না। আমি জানি, বিলাতি কিংবা অ-বিলাতি, এমন সারাহ পৃথিবীব্যাপী অনেক আছে। তাদের প্রত্যেকেরই এমন অপ্রকাশিত গল্পও আছে। তারা তাদের জীবনের কোন একটা সময়ে কিছু বিকৃতমনস্ক ''পুরুষ'' নামক কামুক পশুর সংস্পর্শে এসেছে, জীবন সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ হয়েছে আর এর ফলশ্রুতিতে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে; তাদের সকলের প্রতি একজন মানুষ হিসাবে আমার সহমর্মিতা। এর বাইরে একজন সাধারনের আর কিছুই করার নাই।

ছবি সূত্র

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

রানার ব্লগ বলেছেন: গল্পটা কি আগেও শেয়ার করেছেন? কেমন যেনো শোনা শোনা লাগছে !!!!!

১৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুরুতেই তো তারিখ দেয়া আছে। আগে কিভাবে শেয়ার করবো? আমার তো টাইম মেশিন নাই!! =p~

২| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: কি সুন্দর পরিণত লেখা! +

১৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চেষ্টা করি ভাইজান। আপনার মতো তো লিখতে পারি না। ভুয়া মানুষ, কোন রকম লেখি আর কি!! :)

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আয় হায় ভবিষ্যতে যাবার ক্ষমতা পেয়ে গেলাম নাকি !!!

১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাবে তো তাই মনে হচ্ছে! :P

লেখার শুরুতেই তারিখ দিয়েছি, সেটা খেয়াল করেন নাই বোধহয়। মাত্রই ঘুরে আসলাম মিউনিখ থেকে।

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যি বলতে কি এই গল্প গুলো আমার কেন জানি মেনে নিতে কষ্ট হয় । এমন কথা শুনলে বুকের ভেতরে একটা আলাদা চাপা কষ্ট এসে জড় হয় ! বাবা আর মেয়ে স্থানীয় সম্পর্ক গুলো আমার কাছে সব থেকে পবিত্র একটা সম্পর্ক । কিভাবে একজন পুরুষ এই কাজটা করতে পারে ! আমার আজও এই ব্যাপারটা মাথায় ঢোকে না ।
সম্ভবত আমি যখন ক্লাস এইট কি নাইনে পড়ি তখন এমন কিছু প্রথম আমি শুনতে পাই । তাই আবার বাড়ির পাশের একজনের ক্ষেত্রে ! সেই কুলাঙ্গার তার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ের সাথে এমন কিছু করার চেষ্টা করেছিলো । ক্ষমতা থাকলে বেটাকে কে ইংজেকশন দিয়ে নংপুশক বানিয়ে দিতাম !

১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলেই। সামনে একজনকে এমন ঘটনা বলতে শুনলে কেমন লাগে, এখন জানি। পেপারে-টিভিতে কিংবা সিনেমায় দেখা এক জিনিস, আর ভিক্টিমের সামনে বসে শোনা আরেক জিনিস। খুবই কষ্টের ব্যাপার। ওর চোখের পানি দেখে আমার চোখেও পানি চলে এসেছিল প্রায়। ওর দিকে তাকাতে পারছিলাম না। মানুষ কতোটা নিকৃষ্ট হতে পারে, কল্পনা করা কঠিন।

এই ধরনের পুরুষদের নপুংশক বানানো ছাড়া আর কোন বেটার শাস্তি হতেই পারে না।

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বিলাতি কিংবা অ-বিলাতি, এমন সারাহ পৃথিবীব্যাপী অনেক আছে। তাদের প্রত্যেকেরই এমন অপ্রকাশিত গল্পও আছে। তারা তাদের জীবনের কোন একটা সময়ে কিছু বিকৃতমনস্ক ''পুরুষ'' নামক কামুক পশুর সংস্পর্শে এসেছে, জীবন সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ হয়েছে আর এর ফলশ্রুতিতে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে;

খুব ই সত্যি !

১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই! শুধু শুধু মিথ্যা কথা কেন লিখবো? :D

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: শেষের কথাগুলোয় শতভাগ সহমত।
আসলে এখানে সমবেদনা বা সহমর্মীতা জানানো যায় না। নিজের কাছে নিজেকে ঘেন্না লাগে!
আপনার লেখাগুলো এত বেশি গতিশীল-পড়ার আগেই শেষ হয়ে যায়! সেই বিলেতি সারাহ কিংবা দেশি কিংবা অন্য কোথাকার কেউ -সবার কাছে পুরুষ হিসেবে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে এখানে সমবেদনা বা সহমর্মীতা জানানো যায় না। নিজের কাছে নিজেকে ঘেন্না লাগে! ওর মুখ থেকে যখন ঘটনা শুনছিলাম, তখন ওর দিকে তাকাতে লজ্জা লাগছিল। কিছু মানুষ যে কতো নীচে নামতে পারে!!!

আসলে এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটায়, তাদের জায়গা হওয়া উচিত জেলখানায়। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা থাকা উচিত। সবচেয়ে কষ্ট লাগে এটা ভেবে যে, এরা পুরুষ মানুষ। আমাদের সমগোত্রিয়!!! X(

৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৭

মোগল সম্রাট বলেছেন: +++

১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এভাবে বহু নারীর জীবন নষ্ট হয়ে যায়।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেটাই। মানুষের জীবন একটাই। কিছু কিছু মানুষ শুধুমাত্র নিজের বিকৃত ইচ্ছা চরিতার্থ করার জন্য অন্যের জীবন নষ্ট করে। এদের কাছে অন্যের জীবনের কোন মুল্য নাই।

৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০০

ইসিয়াক বলেছেন: মানুষ হয়ে মানুষকে কষ্ট দেয় তারপর সেই মানুষটা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।একা থাকে..... কেউ জানতে চায় না তার কষ্ট দুঃখগুলো কোথায়। দুর থেকে খোঁচাখুঁচি হাসাহাসি নানান কমেন্ট করার আগে একটু ভাবা উচিত। আসলে কারো সম্পর্কে না জেনে শুধু মজা নেবার জন্য তাকে নিয়ে অযাচিত আলাপ করা কখনোই উচিত নয়। ভুক্তভোগী জানে কষ্টটা কোনখানে।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খুবই সত্যি কথা বলছেন। আপনের মন্তব্যটা আমার দেয়া ছবিটার কথার সাথে মিলে। সারাহ'র কলিগদের সাথে শীতল ইন্টারেকশানের কারনে ওকে সবাই ভুল বুঝে। অবস্থার এখনও কোন পরিবর্তন হয় নাই। আসলে ওর ব্যাপারটা তো আমি কাউকে বলতেও পারি না, সে নিজে যদি না বলে। তবে, ওকে নিয়ে আমাদের মধ্যে যেসব আলোচনা হতো, তাতে আমি এখন নিজেই লজ্জা পাচ্ছি।

সারাহ এক অর্থে আমাকে বিপদে ফেলেছে। আমি জানি, ভবিষ্যতে ওকে নিয়ে যেসব কথাবার্তা হবে, আমি সেসবে যোগ দিতে পারবো না। ফলে অনেকেই জানতে চাইবে, মিউনিখ থেকে ঘুরে আসার পর আমার এই পরিবর্তনের কারন কি? যাই হোক, কিছু কিছু ব্যাপার থাকে, যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। দেখা যাক, এই সমস্যা কিভাবে হ্যান্ডেল করতে পারি!! :(

১০| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২০

আখেনাটেন বলেছেন: বিলাতি কিংবা অ-বিলাতি, এমন সারাহ পৃথিবীব্যাপী অনেক আছে। তাদের প্রত্যেকেরই এমন অপ্রকাশিত গল্পও আছে। তারা তাদের জীবনের কোন একটা সময়ে কিছু বিকৃতমনস্ক ''পুরুষ'' নামক কামুক পশুর সংস্পর্শে এসেছে, জীবন সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ হয়েছে আর এর ফলশ্রুতিতে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে; তাদের সকলের প্রতি একজন মানুষ হিসাবে আমার সহমর্মিতা। -- সহমর্মিতা রইল...সাথে এই কুলাঙ্গারদের সাজা নিশ্চিত করা গেলে ভালো হতো...

সুখী হোক দেশি-বিদেশী সারাহ'রা....

আপনার অভিজ্ঞতার ভান্ডার থেকে বিচ্ছুরিত এসব চমৎকার লেখা পড়ে ভালো লাগে।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিছু কিছু কুলাঙ্গারের সাজা তো হয়, তবে বেশীরভাগই ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যায়। দুঃখটা এখানেই। এদের সাজাটা হওয়া উচিত দৃষ্টান্তমূলক। তবে ভিক্টিমরা বেশীরভাগই নিজেরাই জ্বলে পুড়ে মরে কারন, অভিযোগ করা, আর অভিযোগ প্রমাণ করা বেশ কঠিন। উন্নত বলেন, আর অনুন্নত; দেশভেদে এর খুব একটা রকমফের নাই।

সুখী হোক দেশি-বিদেশী সারাহ'রা সেটাই চাই কিন্তু বাস্তবতা হলো, এরা বেশীরভাগই শতভাগ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে না। আপাতঃদৃষ্টিতে সমাজে এদের সারাহ'র মতো স্বাভাবিক দেখালেও বাস্তবতা ভিন্ন।

আপনার অভিজ্ঞতার ভান্ডার থেকে বিচ্ছুরিত এসব চমৎকার লেখা পড়ে ভালো লাগে। থ্যাঙ্কু.....থ্যাঙ্কু......আপনের এই ধরনের প্রশংসার ইমপ্যাক্ট কিন্তু খুবই বিশাল। এইটা কি আপনে বুঝতে পারেন? ;)

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম, সারাহ বাংলাদেশের এক মেয়ে, যার আচরণ এমন কাঠখোট্টা টাইপের। সারাহ বিদেশিনী হওয়ায় মনক্ষুণ্ণ হই নি, তবে অবাক হয়েছি - কামুক ও লোভী পুরুষের কোনো নির্দিষ্ট দেশ এবং সম্পর্ক নাই - তা না হলে উন্নত জগতের একজন সৎবাবা তার সৎমেয়ের প্রতি এরূপ কুপ্রবৃত্তির হাত বাড়াবে কেন? মেয়েটা সেই থেকে জ্বলছে এবং আজীবন জ্বলবে, যার কোনো উপশম আছে বলে মনে হয় না।

যথারীতি নিজস্ব স্যাটায়ারিক স্টাইলে শুরু করেছেন এবং অসাধারণ এক মেসেজের মাধ্যমে লেখাটা শেষ করেছেন। অনেক ভালো লেগেছে।

শুভেচ্ছা রইল।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: উন্নত জগতের একজন সৎবাবা তার সৎমেয়ের প্রতি এরূপ কুপ্রবৃত্তির হাত বাড়াবে কেন? পশুশ্রেণীর মানুষের তো আর উন্নত-অনুন্নত নাই। পশু সব দেশেই পশু। এদের কাছে মেয়েরা শুধুই ভোগের বস্তু। অন্যদিকে নজর দেয়ার কোন সদিচ্ছাই নাই এদের।

যথারীতি নিজস্ব স্যাটায়ারিক স্টাইলে শুরু করেছেন এবং অসাধারণ এক মেসেজের মাধ্যমে লেখাটা শেষ করেছেন। ঘটনা যেভাবে ঘটেছে, সেভাবেই লিখেছি মোটামুটিভাবে। তবে, লিখতে গেলে নিজের সহজাত স্টাইল তো চলেই আসে। কি করবো বলেন!!! :)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

১২| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩০

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: আপনার কি মনে আছে ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে নিজের ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে এক রিকশাচালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। এমন সাইকো পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। একজন ইহুদীর চেয়েও একজন মুসলিম যখন এমন নোংরা কাজ করে তা আরও বেশি দুঃখজনক।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: না, মনে নাই। হয়তো পড়েছিলাম পত্রিকায়, ভুলে গিয়েছি। এই ধরনের ঘটনার কথা তো আরো অনেক জানি। আরো ভয়াবহ ঘটনাও আছে। বলতে রুচিতে বাধে। আপনি হয়তো পড়েছেন। বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না।

আসলে যেগুলো ধরা পড়ে, তাদেরকে অপুর কথামতো সোজা নপুংশক করে দেয়া উচিত। তারপরে জেল-জরিমানার প্রশ্ন।

সন্ত্রাসীদের যেমন কোন ধর্ম নাই, তেমনি এদেরও কোন ধর্ম নাই। এরা ইহুদি-খৃষ্টান-মুসলমান শুধু নামেই। এদেরকে ইহুদি কিংবা মুসলমান বলা মানে ধর্মের অবমাননা।

১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩১

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার লেখা!
কিছু অমানুষের জন্য সকল পুরুষরা কাঠগড়ায়!!

১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিছু অমানুষের জন্য সকল পুরুষরা কাঠগড়ায়!! সেটাই। অপ্রিয় বাস্তবতা! নির্যাতিতাদের মানসিক অবস্থা আসলে বাছ-বিচার করার পর্যায়ে থাকে না। কি আর করা!!!

১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রীতিমতো জীবনের গল্প!
দুঃখিত সারার জন্য। তবে আপনার জন্যে সমবেদনা রইলো :) । আর যাই হোক ব্লগার হিসেবে পাশে না দাঁড়িয়ে করি কি :)

১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সারাহ'র জন্য দুঃখিত হইলেন, ঠিক আছে; তবে আমারে সমবেদনা জানাইলেন কেন বুঝলাম না। আর ব্লগার হিসাবে আপনে তো সব সময়েই পাশে। নতুন কইরা আর কি দাড়াইবেন?:P

আমার পাশে না দাড়ায়া পারলে সারাহ'র পাশে দাড়ান।;)

তারপরে? দিনকাল কেমন যায়?

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কসম? :-B

১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পশ্চিমে নাকি এরকম হয়। আমাদের দেশে হতে পারে। তবে খুবই বিরল ঘটনা মনে হয়।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পূর্ব-পশ্চিম কি আসলেই খুব একটা ম্যাটার করে? বিকৃত মানসিকতার কামুক পুরুষ সব জায়গাতেই আছে। কতোটা আছে, বা তাদের কর্মকান্ড কি কি সেসব নিয়ে খুব একটা সঠিক পরিসংখ্যান কোথাও আছে বলে মনে হয় না। থাকলেও অসম্পূর্ণ, কারন যৌনতা পৃথিবীর সবখানেই কম-বেশী একটা সামাজিক ট্যাবু। এদের সাথে জড়িতরা স্টিগমাটাইজেশানের শিকার হয়, ফলে অনেকেই মুখ খুলতে চায় না। এটা আমাদের দেশে বা এই অংশে আরো বেশী করে সত্য।

পশ্চিমের মানুষেরা যেহেতু এইসব ব্যাপারে খোলামেলা, তাই সেখানে এসব ঘটনা জানা যায় বেশী। আমাদের দেশে যৌনতা সামাজিক বা ধর্মীয় কারনে এমনিতেই একটা গোপনীয় বিষয়। তার উপরে এই ধরনের ঘটনাগুলো তো আরো বেশী। তাই এগুলো প্রকাশ্যে আসে খুবই কম। তারপরেও ৪ আর ১২ নং মন্তব্যে আমাদের দেশেরই দু'টা ঘটনার উল্লেখ আছে দেখেন।

১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,



রঙ্গ-ব্যাঙ্গ দিয়ে শুরু করে জীবনের কুৎসিত একটি দিক টেনে নিয়ে এলেন যা নাড়া দিয়ে যাবার মতোই।

বিলাতি "সারাহ" নয়, এ যেন আমাদেরই অগনিত "সারাহ"দের গল্প।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: রঙ্গ-ব্যাঙ্গ দিয়ে শুরু করে জীবনের কুৎসিত একটি দিক টেনে নিয়ে এলেন যা নাড়া দিয়ে যাবার মতোই। এইটারেই সম্ভবতঃ হট এন্ড কোল্ড ট্রিটমেন্ট বলে! :P

বিলাতি সারাহ একটা স্যাম্পল। আসলে এটা অগনিত সারাহদের ফোকাস করেই লেখার চেষ্টা ছিল। একজন বিকৃত মানুষের কয়েক মিনিটের কর্মকান্ড একজন অসহায় সারাহ'র জীবনকে সারা জীবনের জন্য কিভাবে পঙ্গু করে দেয়, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এসব সাইকোরা পরিপূর্ণ সুস্থ মানুষের বেশে আমাদেরই চারপাশে ঘোরাফেরা করে, চিন্তা করতেই অসুস্থ বোধ করি।

সমাজের এসব ওৎ পেতে থাকা ক্যান্সার নিরাময়ের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা কি আছে? একজন চিকিৎসক হিসাবে এটা আপনি ভালো বলতে পারবেন জী এস ভাই।

১৮| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: খুব সুন্দর পড়ে যাচ্ছিলাম লেখাটা কিন্তু মেয়েটার বাস্তবতা যখন সামনে এলো তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। আশা করি ট্যুরের পর আপনাদের রেষারেষি সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কি আর করবো বলেন! প্রথমেই আপনাদের মন খারাপ করে দিতে চাই নাই। :)

আসলে সারাহ'র সাথে আমার কোন রেষারেষি কখনওই ছিল না। ও আমার একেবারেই ফর্মাল সম্পর্কের একজন কলিগ। অফিসে সামনা-সামনি পড়ে গেলে বানিজ্যিক হাসি আর কথা ছাড়া আর কোন কিছুই বিনিময় হতো না। আমার এই লেখাটা দেখেন, সারাহ সম্পর্কে আমাদের মনোভাব কেমন জানতে পারবেন। ওয়েলস রাজ্যে গমন, ভ্রমন এবং একটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা

১৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:২৭

জগতারন বলেছেন:
আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকে লিখছি;
এ রকম ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে হরহামেশাই পাওয়া যায়।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এ রকম ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে হরহামেশাই পাওয়া যায়। ১৬ নং মন্তব্যে এর কারনটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। দেখেন, মিলে কিনা।

২০| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সারাহ'র বিষটি ভাবতেই কষ্ট লাগছে, কতটা কষ্ট পেলে মানুষ নিজেকে নিজের মধ্যেই লুকিয়ে ফেলে!!

১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এই কষ্টের কোন সীমারেখা নাই। কিছু মানুষ মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাসটাকেই নষ্ট করে দেয়।

২১| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:




মুভিতে দেখেছি, অনেক সময় নিউজ পড়েছি ।
সারাহদের জীবনের গল্প । যে মেয়েরা এরকম পরিস্থিতির স্বীকার হয়, খুব স্বাভাবিকভাবেই বাকি জীবনটা তারা একটা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যায় । পুরুষদের প্রতি একটা বিদ্বেষ, কিছুটা সংকোচ, কিছুটা ভয় । অথচ তারা কোন অপরাধ না করেও বিনা অপরাধেই নিজেকে একরকম শাস্তি দিয়ে থাকে ।
সবার মাঝে থেকেও একা ।

ভুমের মাঝে সারাহ যে নির্ভরতা পেয়েছে, আই উইশ সেটা যেন কনটিনিউ হয় ।
মেয়েটার ভালো বন্ধু দরকার যেখানে মন খুলে কথা বলতে পারবে ।
মানুষ নামের এই পশুগুলোকে জনসম্মুখে শূলে চড়ানো উচিৎ । X((
এমন শিক্ষা দেয়া উচিৎ যেন সবাই মনে রাখে ।
অন্যরা যেন দেখে শিখে ।




১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে খুব অল্প সংখ্যক মেয়েই এই ট্রমা থেকে শতভাগ বেড়িয়ে আসতে পারে। ফলে, আপাতঃদৃষ্টিতে সমাজে এদেরকে সুস্থ, স্বাভাবিক মনে হলেও এটা সত্যিকার অর্থে একটা খোলস। অনেকে আবার খোলসটাকে শক্ত করে ফেলে; যেমনটা সারাহ করেছে।

আমার মাঝে সারাহ নির্ভরতা পেয়েছে বলে মনে হয় না। এই কথা আমার বউ শুনলে খবরই আছে! বলবে, বুড়া বয়সে আমার ভিমরতি হয়েছে!!!=p~

আসলে পরিস্থিতিগত কারনে ওর ভিতরে একটা চাপ, একটা তাগাদার সৃষ্টি হয়েছে। এই চাপটা বের করার একটা মোক্ষম সময় সে পেয়েছিল মিউনিখে গিয়ে। আমার জায়গায় আমার মতো অন্য কোন সহজ, সরল, নিরীহ প্রাণী গেলে একই ঘটনা হতো বলেই মনে হয়। :-B

তবে, স্বাভাবিকভাবেই ওর প্রতি আমার মনোভাব আগের মতো থাকবে না।

মানুষ নামের এই পশুগুলোকে জনসম্মুখে শূলে চড়ানো উচিৎ । এই শাস্তিটা মাইল্ড হয়ে গিয়েছে। :)

২২| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০১

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ভেবেছিলাম কোনো ফানি গল্প হবে।

পড়তে পড়তেও তাই মনে হচ্ছিলো পরে শেষে এসে বুঝলাম এটা মোটেও ফানি না বরং অনেকের সাথেই ঘটে যাওয়া অপ্রকাশিত গল্প।

সারাহকে নিয়ে বা কাউকে নিয়েই হাসি ঠাট্টা করার আগে আমাদের আসলে ভাবা উচিৎ। :(

২০ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অপ্রকাশিত গল্পই বটে। ব্লগের কাউকে সারাহ চিনে না, তাই ভাবলাম তোমাদের সাথে গল্পটা শেয়ার করি। :)

আসলে সারাহকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করার কারন আছে। অফিসে সে উদ্ধত, রাগী আর রগচটা। কোন কিছু পছন্দ না হলে যখন-তখন তার ভ্রু কুচকে যায়। এই ধরনের মানুষকে সাধারনতঃ অন্যরা পছন্দ করে না। এখন তার ভিতরের খবর সে নিজে প্রকাশ না করলে তো কেউ জানবে না, তাই না!! মানুষ মানুষকে সাধারনভাবে তার উপরের চেহারা দিয়েই বিচার করে।

এখন আমি জানি, তাই আমি সারাহকে দোষ দেই না, আবার যারা ওকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে, তাদেরকেও দোষ দিতে পারি না। বিষয়টা কি তোমারে কিলিয়ার করতে পারলাম? :-B

২৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: শুরুতে ভাবছিলাম রোমান্টিক ঘটনা। পরেতো পুরাই বাক্ রুদ্ধ। সারার জন্য শুভকামনা।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: রোমান্টিক ঘটনা মানে কি? সারাহ'র সাথে আমার রোমান্টিকতা!!! সেই আশার গুড়ে বালি। :P

২৪| ২০ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:৫৩

মিরোরডডল বলেছেন:




তানভী যে শাস্তির কথা বলেছে, আমিও তারসাথে একমত, লাজুকতো তাই বলতে পারছিলাম না :)
ওটাই এই ষ্টুপিডগুলোর জন্য একমাত্র উপযুক্ত শাস্তি ।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লাজুকতার কিছু নাই। আগে ইনজেকশান। একটা সময় ধরে ওই অবস্থায় জেলে রাখা। তারপরে অন্য কোন শাস্তি। আর এটা টিভিতে লাইভ সম্প্রচার করতে হবে। তাহলে যদি ইডিয়েটগুলোর হুশ ফেরে!!! X(

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লাজুকতো তাই বলতে পারছিলাম না এই কথাটা কৌতুক মনে হচ্ছে! একজন লাজুক মানুষ এইসব জোক অফিসে শেয়ার করে? =p~

২৫| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:




আরেকটা কথা ।
অফিসে এতো মানুষ থাকতে ভুমকেই শেয়ার করলো,
তারপরেও বলবে নির্ভরতা না !
নো ম্যান, নো ।

You know what?
She needs a shoulder to lean.
Why not you be the volunteer? :)

ভুমতো ভূমিকে ভয় পাবার মানুষ না ।
আর উত্তরতো রেডি আছে ।
সোশ্যাল ওয়ার্ক ম্যান !
You’re supporting a traumatized vulnerable woman for her wellbeing :)

ভূমি যদি বলে এই সোশ্যাল ওয়ার্ক করতে কে বলেছে ।
আমি কিন্তু তখন আর ভুমকে চিনি না । #:-S

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: She needs a shoulder to lean. আমার শোল্ডারে জায়গা নাই। নো ভেকেন্সি!!! =p~

ভুমিকে ভয় পাই না, আবার পাইও। এতোদিন প্রেমের পর বিয়ে, সে আমার নাড়ি-নক্ষত্র সব জানে। কাজেই একটু আধটু ভয় পেলে আমাকে দোষ দেয়া যায় না।

ভূমি যদি বলে এই সোশ্যাল ওয়ার্ক করতে কে বলেছে ।
আমি কিন্তু তখন আর ভুমকে চিনি না ।
প্রমাণ থাকলো। নো ওয়ে আউট!!!! :-B

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অফিসে এতো মানুষ থাকতে ভুমকেই শেয়ার করলো,
তারপরেও বলবে নির্ভরতা না !


এই ব্যাপারে আমার ধারনা হলো, সারাহ ভেবেছে, এইটা বাদামী চামড়ার একটা সাদাসিদা হার্মলেস প্রানী। এইটার সাথে দুঃখের কথা শেয়ার করা যায়। :)

দেখি, একদিন কায়দামতো জিজ্ঞেস করতে হবে, আমার সাথে শেয়ার করার কারনটা।

২৬| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:২২

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: লাজুকতো তাই বলতে পারছিলাম না এই কথাটা কৌতুক মনে হচ্ছে! একজন লাজুক মানুষ এইসব জোক অফিসে শেয়ার করে? =p~

আরেহ বাংলাদেশী হলেতো আমি কখনই শেয়ার করতাম না ।
আমার অফিসে কোন বাংলাদেশী নেই ।
ওম শান্তি নমঃ শিবা !!!



তাছাড়া এরা যা বলতে পারে, সেটার কাছে আমার জোকস হচ্ছে আবায়া পড়া জোকস :)


২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরেহ বাংলাদেশী হলেতো আমি কখনই শেয়ার করতাম না । দ্যাটস দ্য পয়েন্ট!! সারাহও এটা ভেবেই আমার সাথে শেয়ার করেছে!! ও ওর দেশী ভাই-বেরাদারদের সাথে শেয়ার করলে আমার কাছ থেকে যেই সহানুভূতি পেয়েছে, সেটা পেত না। যদিও আমি মনে করি না, ওর এসব সহানুভূতির দরকার আছে........তারপরেও কথা থাকে!

তাছাড়া এরা যা বলতে পারে, সেটার কাছে আমার জোকস হচ্ছে আবায়া পড়া জোকস গুড ওয়ান!! :-B

২৭| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:




সারাহ ভেবেছে, এইটা বাদামী চামড়ার একটা সাদাসিদা হার্মলেস প্রানী। এইটার সাথে দুঃখের কথা শেয়ার করা যায়।

How did you know what she thought???
You started thinking about her and claiming you can read her mind :)
Who knows !

এরা যে বাদামী চামড়ার ছেলেদের অনেক হ্যান্ডসাম বলে ভুম কি শোনেনি কখনও ।
সমসময় ক্রিস কাবাব মে হাড্ডি থাকেই । এবার ছিলোনা ।
আর এসময়ই সে তার ইমোশোনাল স্টোরিটা শেয়ার করলো ।
ভুমকে সাদাসিদা মনে করে ?
নো ওয়ে !! :)

দেখি, একদিন কায়দামতো জিজ্ঞেস করতে হবে, আমার সাথে শেয়ার করার কারনটা।

জেনে আমাদের জানাতে ভুলবে না যেনো ।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: How did you know what she thought??? আরে.....এইটা আমার অনুমান। তাছাড়া আমি যে বাদামী চামড়ার আর সাদাসিদা প্রানী, তাতে তো কোন সন্দেহ নাই। তাই না!!! :-B

You started thinking about her and claiming you can read her mind :)
Who knows !
ইটস নট লাইক দ্যাট! ইয়্যু আর গোয়িং টু ফার!! =p~

সবাই তো আর বাদামী চামড়াকে হ্যান্ডসাম বলে না!! আর আমি হ্যান্ডসাম হওয়ার প্রশ্নই আসে না। এর চামড়া ছাড়াও আরো কিছু এলিমেন্ট আছে, সবটা তো আমার নাই। :((

ক্রিস যদি কোনদিন এই ঘটনা শোনে তাহলে দিনরাত আমাকে পচাবে। আর ভুমির কানে এটা-ওটা যোগ করে তুলতে এক মুহুর্তও দেরী করবে না। ওই ব্যাটা আসলেই কাবাব মে হাড্ডি!

২৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৭

যাযাবর চখা বলেছেন: ''জুল ভার্ন বলেছেন: কি সুন্দর পরিণত লেখা!''

সহমত।

২৬ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

২৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৩

জটিল ভাই বলেছেন:
গল্প না জীবনের কাহীণি সেই জটিল এনালাইসিসে গেলাম না। তবে আপনার কাবাব মারতে গিয়ে যে বিশাল সাইজেরটা দেখে ঝাঁকুনি লেগেছিলো সেটা বুঝি আজো ভুলতে পারেন নাই =p~ তাই পাঠককেও সেই টাইপের একটা ঝাঁকুনি দিলেন শুরুতে রঙ্গরসে চুবিয়ে শেষে এসে তপ্ত রোদে শুকিয়ে :(
পড়া শুরুর আগে আপনার মত আরেকজন টেক্সটবুক লাভরকে কারা নাকি ইভটিজিং থুক্কু নেটটিজিং করেছে তার কাহিণী পড়ে চোখের পানিতে বালিশ ভিজে যাচ্ছিলো। বেচারার ছেলেটা কারাবন্দী থাকায় আজ এই বয়সে তাকেই ইমোসনালি এই নেটটিজিং-এর প্রতিবাদ করতে দেখে খুব খারাপ লাগলো। মানুষ এতো দুষ্টু কি করে হয়? তখনি আপনার লিখা পড়তে এসে শুরুটাতে কাবাব মারার মত আনন্দ পেলেও শেষে এসে বাকরূদ্ধ হয়ে গেছি।
ভেবেছিলাম ইমোসনালি ব্ল্যাকমেলার টেক্সটবুক লাভার বাবুটার পক্ষে কিছু লিখি চলে যাবার আগে। কিন্তু এখন সারাহ্'র কাহীণি পড়ে দ্বন্দে পড়ে গেলাম যে কার জন্য লিখবো। কিংবা আদৌ লিখবো কিনা!
পরসমাচার, লিখা ভূয়া হয়নি তবে জটিলও হয়নি। ঐ আপনার কাবাব মারার মতই হয়েছে। জটিলবাদ প্রিয় ভাই :)

২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে জটিল, সেইজন্য এনালাইসিস কিন্তু জটিল হয় না। সব গল্পই জীবন কাহিনী থেকে আসে আবার জীবন কাহিনী নিয়েই গল্প লেখা হয়। কি বুঝলেন? :P

কে কারে কবে নেট টিজিং করছে, তার আমি কি জানি? আমি সাদাসিদা নিরীহ কিসিমের একজন মানুষ। আমারে এইসব বলার মানে কি? :(( আপনে কি আমারে দুষ্টু কইলেন!!! B:-)

আপনের সর্বশেষ পোষ্টে একটা বিশাল মন্তব্য করার প্রস্তুতি নিতেছি। আপাততঃ শক্তি সন্চয়ের জন্য বুকডন পর্ব চালু আছে। ২/৪ দিনের মধ্যেই করবো। নজর রাইখেন!! :)

৩০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৮

আরোগ্য বলেছেন: এই পোস্ট আগেই পড়েছিলাম। দুঃখের বিষয় নারীরা সব যুগেই ভোগের সামগ্রী হিসেবে রইলো।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখছেন নি, কুন চিপা দিয়া এইহানে দুইটা মন্তব্য করছেন, এইগুলানও দেহি নাইক্কা। আগেই পড়ছিলেন তো টাইম মতোন চিক্কুইর পাড়েন নাই ক্যালা? হুদাই আমারে পেরেশানী দ্যান!!! :(

দুঃখের বিষয় নারীরা সব যুগেই ভোগের সামগ্রী হিসেবে রইলো। হাচা কথা। আমি আর কি কমু!!!

৩১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১০

আরোগ্য বলেছেন: আবার আহন লাগলো। ১৫ নং প্রতিমন্তব্য ওয়ার্ল্ড ক্লাস, না হাইসা পারলাম না। B-))

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ্যায় আমার পেয়ারের আদমি, বড়ই মোহব্বত করি; তাই সুমায় সুমায় ইকটু মজা লই আর কি!!! :-B

৩২| ০১ লা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার অনেক গুলো লেখা মিস করে ফেলেছি!অথচ আমি ভাবি আপনি অনেক দিন পোষ্ট করেন না।
সুন্দর ঝরঝরে একটা লেখা পড়লাম।রম্য ঘরনায় শুরু করে শেষে এসে মন খারাপ করে দেওয়া লেখা।
প্লাস+++

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ফাকে-ফুকে সময় পেলে লিখি। আপনিও আমার সব লেখা পড়ার সময় করে উঠতে পারেন না। আসলে আমাদের সবারই সময়ের ভীষণ টানাটানি, ব্লগের দু-একজন বাদে!!! :-B

লেখাটা আপনার ভালো লাগলো দেখে আনন্দ পেলাম। সময় করে বাকী না পড়া গুলোও পড়ে ফেলেন। :)

৩৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১

আমি সাজিদ বলেছেন: ক্ষোভের আগুন ও সারাহের প্রতি ভালোবাসার সমন্বয়ে একটানে লেখাটি পড়ে শেষ করলাম। মিউনিখ ভ্রমনের ব্লগ থেকে ঘুরে এখানে এসেছি।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মিউনিখ ভ্রমনের ব্লগ থেকে ঘুরে এখানে এসেছি। ধন্যবাদ। বিশ্বে ঘোরাঘুরিই যথেষ্ট না, ব্লগে ঘোরাঘুরিরও প্রয়োজন আছে। আপনার মন্তব্য থেকে এটাই বুঝলাম। :P

ক্ষোভের আগুন ও সারাহের প্রতি ভালোবাসার সমন্বয়ে একটানে লেখাটি পড়ে শেষ করলাম। আপনার অনুভূতি তো জানলাম না। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.