নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমেই বলে নেই, এটা আমার মিউনিখের কোনা-কাঞ্চিতে যতটুকু ভ্রমন করতে পেরেছি, তার কাহিনী। প্রথমদিকের কিছু কথা ছাড়া এর সাথে আমার আগের পোষ্টের খুব একটা সম্পর্ক নাই। কাজেই মিসিং লিঙ্ক জোড়া লাগানোর জন্য কারো আগের পোষ্ট পড়া না থাকলে পড়তে পারেন। না পড়লেও নো প্রবলেমো।
যা বলতে শুরু করেছিলাম……...আমি আর সারাহ মিউনিখ পৌছলাম মঙ্গলবার (৫ই জুলাই) বিকালে। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজ সারলাম। যেই প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে আমাদের আগমন, তাদের একটা অফিসিয়াল লান্চে এটেন্ড করে কাম শেষ। এরপর সারাহ‘র লন্ডন ফিরে যাওয়া আর আমার মিউনিখ দেখার দৌড়ঝাপ শুরু। খাবার টেবিলে সারাহ খুব আগ্রহ নিয়ে আমার ট্যুর আইটিনিরারী জানতে চাইলো। মনোযোগ দিয়ে আমার বক্তৃতা শুনলো; বক্তৃতার এক পর্যায়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ হলো, ওরও মিউনিখ ঘুরে দেখার ইচ্ছা জাগ্রত হয়েছে। সাধিলেই দেখিবে। কিন্তু খাল কেটে কুমীর আনার কি কোন দরকার আছে?
এই পর্যায়ে আপনাদের সাথে একজনের পরিচয় করিয়ে দেই। মহাশয়ের কেতাবী নাম মার্কাস ফ্রিডম্যান, সংক্ষেপে মার্ক। আমাদের জার্মান পক্ষের লিয়াজো অফিসার। বেচারা আক্ষরিক অর্থেই বুধবার সকাল থেকে আমাদের সাথে চুম্বকের মতো লেগে ছিল। এটা যদিও ওর এসাইনমেন্ট, তবুও আমাকে স্বীকার করতেই হবে, সে তার দায়িত্ব দুইশতভাগ পালন করেছে। এক সময়ে তো আমার মনে হয়েছিল, টয়লেটে যাওয়া ছাড়া ওকে ছুটানো মোটামুটি অসম্ভব একটা ব্যাপার। জার্মান প্রফেশনালিজমের একটা জলজ্যান্ত উদাহরন এই মার্ক! হাসি-খুশী আর প্রানচান্চল্যে ভরপুর একজন প্রানবন্ত মানুষ।
তো আমি যখন সারাহকে বক্তৃতা দিচ্ছিলাম, তখন মার্কের উশখুশ দেখে আমার সন্দেহ হচ্ছিল, সে বামহাত ঢুকাবে। ফলে আমি সবিশেষ চেষ্টা করছিলাম যেন মার্ক হাত ঢুকানোর কোন সুযোগ না পায়! কিন্তু বিধিবাম! উশখুশ করতে করতে মার্ক বলেই ফেললো, তুমিও থেকে যাও না….তিনজনে মজা করে ঘুরবো!! সারাহ মিনমিন করে বললো, না……..আমার কাজ আছে। আমি আর ভয়ে সারাহ'র দিকে না তাকিয়ে সিলিংয়ে ঝুলন্ত ঝাড়বাতির দিকে তাকিয়ে গুনগুন করে গান ধরলাম, আমায় ভাসাইলিরে আমায় ডুবাইলিরে……...অকুল দরিয়ার বুঝি কুল নাইরে!!!
যাই হোক, আমাকে না ডুবিয়ে সারাহ যথাসময়ে বিদায় নিলো। আমিও তল্পি-তল্পা গুটিয়ে পাচ-তারকা হোটেল ছেড়ে আমার আগে থেকে বুক করে রাখা বেড এন্ড ব্রেকফাস্ট হোটেলে গিয়ে উঠলাম। বেড়ানোর জন্য কোন তারকা-চিহ্নিত হোটেলে থাকার মতো বেকুব তো আমি না!! এখানে বলে রাখা ভালো, বেড এন্ড ব্রেকফাস্ট হোটেলগুলোকে অনেকে চিৎ-কাইৎ হোটেল মনে করে। ভুল। অনেক তারকা-চিহ্নিত হোটেলও বুকিং ডট কমের মতো সাইটগুলোতে বিভিন্ন অফার নিয়ে হাজির হয়। সে যাই হোক, আমার এই হোটেলটাও চমৎকার ছিল। কেউ মিউনিখ ঘুরতে গেলে চাইলে ওটাতে উঠতে পারেন। বেড়ানোর গল্প শুরু করার আগে জার্মান সরকারকে একটা বিষয়ে ধন্যবাদ না দিলে অন্যায় হবে। তারা জুন, জুলাই আর অগাষ্ট এই তিন মাস একটা পরীক্ষামূলক মাসিক ট্রাভেল পাস চালু করেছে। ৯ ইউরো দিয়ে একটা টিকেট করলে আপনি পুরোটা মাস অল্পকিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সম্পূর্ণ জার্মানীতে যে কোনও বাস, ট্রাম এবং ট্রেনে ভ্রমন করতে পারবেন। আমি অল্প কয়েকটা দিনে যেই পরিমান ভ্রমন করেছি, একমাস থাকলে তো পুরো দেশটাই ছ্যাড়াভ্যাড়া করে দিতাম!!!
এই সেই টিকেট, এর নাম ''৯ ইউরো টিকেট''
হোটেলে তল্পি-তল্পা রেখে সময় নষ্ট না করে বেড়িয়ে পড়লাম, কারন টাইম ইজ মানি…...থুক্কু ঘোরাঘুরি! প্রথম গন্তব্য মারিয়েনপ্লাৎজ। তার আগে ছোট্ট করে দু'টা কথা বলি। মিউনিখ হচ্ছে বাভারিয়া রাজ্যের রাজধানী। এই বাভারিয়াতে আল্পস পর্বতমালার একটা অংশ পড়েছে, যেটাকে বাভারিয়ান আল্পস বলা হয়। এটা জার্মানীর তৃতীয় বৃহত্তম নগরী। ও ভালো কথা, জার্মানরা কিন্তু মিউনিখ বলে না, তারা বলে ম্যুনশেন। ম্যুনশেন মানে মঙ্কস বা সন্নাসীদের আবাসস্থল। এই নগরীটার গোড়াপত্তন হয়েছিল সন্নাসীদের হাতে, সেই জন্যই এই নাম। ম্যুনশেনের কোট অফ আর্মস এও সন্নাসীদের ছবি আছে। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন, বাভারিয়ান বিয়ার বিশ্বখ্যাত। এখানে অক্টোবর মাসে ''অক্টোবারফেস্ট'' নামে একটা বিয়ার পানের উৎসব হয়, যেখানে সারা বিশ্বের বিয়ারখেকোরা এসে জড়ো হয়। আমি যেহেতু শরাব পান বহু আগেই ছেড়ে দিয়েছি, তাই এটা নিয়ে আর কিছু বললাম না। আগ্রহীরা গুগল করে জেনে নিয়েন!!
মারিয়েনপ্লাৎজ সেই ১১৫৮ সাল থেকে মিউনিখের প্রধান স্কয়ার। এখানে অবস্থিত নয়া টাউন হল একটা দেখার মতো স্থাপত্য। ১৯০৫ সালে এটার নির্মানকাজ শেষ হয়। কয়েকটা ছবি দেখেন,
মারিয়েনপ্লাৎজের আশেপাশে বেশকিছু কারুকার্যময় বিল্ডিং আছে। একটা নমুনা দেখাই,
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতোই এই কবুতরগুলোরও কোন ভয়ডর নাই। খাবার দেখলে এরা দলবেধে মানুষের গায়েও চড়াও হয়।
৬ ইউরো খরচ করে টাউন হলের টাওয়ারে উঠলাম। সিড়ি ভাংতে হয় না, লিফট আছে। উঠার আগে শুনেছিলাম, মিউনিখের অতি মনোরম প্যানারোমিক ভিউ পাওয়া যায় ওখান থেকে। দেখলাম, তেমন আহামরি কিছু না। তারপরেও ট্যাকা খরচা করে যেহেতু উঠলামই, কয়েকটা ছবি দেখাই,
প্রথম ছবিটাতে দুরে, স্কাই লাইনে বাভারিয়ান আল্পস এর পর্বতমালা। দেখা যায়?
দুইটা এমনি এমনি ছবি,
স্কয়ারের একাংশ
এই ছবিটা ইন্টারেস্টিং। লিফটের বাটনগুলো না থাকলে এটাকে কেউ লিফটের দরজা বলেই মানতো না। আগে এটা ছিল সিড়িঘরের দরজা। প্রাচীনতা আর আধুনিকতার চমৎকার মিশেল, কি বলেন!!
এর পরের যাত্রা ১০ মিনিটের হাটাপথে একটা ক্যাথেড্রালের দিকে। ইউরোপের প্রাচীন ক্যাথেড্রালগুলো দেখে আমি আনন্দ পাই এর ভিতরের অঙ্গসজ্জার জন্য। তবে, এটা দেখতে গিয়েছিলাম একটা বিশেষ কারনে। পরে বলছি। ফ্রাউয়ানকির্শা বা দ্য ক্যাথেড্রাল অফ আওয়ার লেডি‘র নির্মান শেষ হয় ১৪৬৮ সালে। এর ১০৯ মিটার লম্বা ক্লক টাওয়ার দু'টা দেখার মতো।
সদর দরজা
চলেন, ভিতরে ঢুকে বেদীর দিকে যাই,
বেদীর উল্টাদিকে এই চমৎকার নক্সা করা অর্গান (পুরানোটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংস করা হয়, পরে ১৯৯৩ সালে এটা তৈরী করা হয়)
সম্রাট চতুর্থ লুইস এর সেনোটাফ (খালি কবর)
এবার বলি, কেন বিশেষ করে এই ক্যাথেড্রালটা দেখতে গেলাম। ছবিগুলো দেখেন।
একটা পায়ের ছাপ। তাই না!! এটা হলো, ডেভিল'স ফুটপ্রিন্ট (শয়তানের পায়ের ছাপ)। বুঝতেই পারছেন, এটা একটা মিথ! গল্পটা বলি তাহলে।
এই ক্যাথেড্রালটা তৈরী করতে গিয়ে এর নির্মাতা জর্গ ভন হালসবাচ টাকার অভাবে পড়ে যায়। সেই অভাব পূরণে তখন শয়তান এগিয়ে আসে। তার শর্ত ছিল, প্রয়োজনীয় টাকা সে দিবে, কিন্তু ক্যাথেড্রালে কোন জানালা থাকতে পারবে না। শয়তানের উদ্দেশ্য ছিল, যেখানে প্রার্থনা হবে সেই জায়গাটা যেন ঘন কালো অন্ধকার থাকে। সেই অন্ধকারে শয়তান কি শয়তানী করবে, সেটা অবশ্য খোলাসা করে নাই। যাই হোক, উপায় না দেখে জর্গ সেই শর্তে রাজি হয়ে যায়, কিন্তু একটা চালাকী করে। জানালাগুলো পিলারের আড়ালে এমনভাবে বসায়, যেন কেউ ঢোকার পরপরই সেগুলো তার নজরে না আসে। তো, তৈরী শেষ হওয়ার পরে শয়তান সরেজমিনে তদন্ত করতে আসে। এসে কোন জানালা না দেখে খুবই খুশী হয়, কিন্তু অচিরেই তার এই খুশী ক্রোধে রুপান্তরিত হয়, যখন সে আরো কয়েক পা এগিয়ে যায়! জানালাগুলো নজরে আসার পরে সে রাগে এমন জোরে মেঝেতে পা ঠোকে যে, ফ্লোরের মার্বেল পাথরে তার পায়ের ছাপ পড়ে যায়।
এই গল্প থেকে আমরা যেটা জানতে পারি তা হলো, ''চোরের উপর বাটপারী'' বলে যে একটা বাগধারা বাংলায় প্রচলিত আছে, সেটা শয়তানের জানা ছিল না। শয়তানও জুতা পরিধান করে; আর আইএমএফ বা ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের মতো বিভিন্ন প্রোজেক্টে শর্তসাপেক্ষে লোন দিয়ে থাকে। আমাদের দেশের ছোট-বড় শয়তানেরা চেষ্টা করে দেখতে পারেন; প্রধান শয়তানকে বোকা বানানোতে উনাদের খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না।
ক্যাথেড্রালের সামনে স্থাপিত এই শিল্পকর্মটা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। পাথর খোদাই করে বানানো এটাতে ক্যাথেড্রাল, মারিয়েনপ্লাৎজসহ আশেপাশের পুরো এলাকাটা নিখুতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এবার পরিবেশ রক্ষায় জার্মান সরকারের একটা চমৎকার উদ্যোগের কথা বলি। এই ছবিটা দেখেন।
REWE CITY নামের একটা সুপার স্টোর থেকে ৬২ সেন্ট দিয়ে এক বোতল পানি কিনেছিলাম, তার রশিদ। রশিদে ৬২ সেন্ট নাই; ৩৭ সেন্ট আর ২৫ সেন্ট আছে। ৩৭ সেন্ট হলো পানির দাম। আন্ডারলাইন করা ২৫ সেন্ট প্লাস্টিকের বোতলের দাম। পানি খেয়ে বোতল ফেরত দিলে ওরা ২৫ সেন্ট ফেরত দিয়ে দেবে!!! যত্রতত্র প্লাস্টিকের বোতল ফেলা বন্ধ করার কি অভিনব কিন্তু কার্যকর পন্থা, তাইনা!!!
বৃটিশ বা বাংলাদেশ সরকার এই সিস্টেম চালু করে না কেন…...আমার মাথায় ঢোকে না। ভালো জিনিস শিখতে অসুবিধা কি?
আমি পাবলিক প্লেস গুলোতে অনেককে এই বোতল সংগ্রহ করতে দেখেছি। ৪টা বোতল হলেই এক ইউরো! মন্দ কি!! আরেকবার গেলে ভাবছি আমিও কিছু বোতল কুড়াবো। পার্ট-টাইম পেশা হিসাবে ভালোই, কি বলেন?
এই পর্ব এখানেই শেষ করি। পরের পর্বে আপনাদেরকে একটা বিশেষ জায়গায় ঘোরাবো। আচ্ছা…….এটা একটা কুইজ হিসাবে থাকুক। কোথায় ঘোরাবো যিনি প্রথম বলতে পারবেন, তার জন্য থাকবে আকর্ষনীয় পুরস্কার। পুরস্কার সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে পেয়ে যাবেন। ব্লগে যারা আমার বেড়ানোর পছন্দ জানেন, তাদের জন্য খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা না। আলেস গুটে!!!
শিারোনামের ছবি সূত্র। বাকী ছবিগুলোর কৃতিত্ব আমার মোবাইলের।
০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশে তো আপনেরে কেউ ৯৭ টাকা দিবে না। বরং মিউনিখ চইলা যান। দেশে বড়লোক হইলে বিভিন্ন ঝামেলাও আছে; মাস্তানেরা চান্দা চাইতে পারে। তারচেয়ে মিউনিখ যাওয়া ভালো না!!!
বাসায় খালি বোতল জমাচ্ছেন কেন? কোন কিছু করার প্ল্যান আছে?
২| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: প্রথম সব ছবি তো খালি কৃত্রিম বিল্ডিং । প্রকৃতি কই । ক্যাথোড্রালটা অবশ্য বেশ চমৎকার লাগলো । বিশেষ করে শয়তানের পায়ের ছাপ আর তার পেছনের গল্প ।
আগামীকাল কই নিয়া যাইবেন? পাহাড় পর্বতে নিয়া যাইয়েন । অথবা পুরান প্রাসাদে ।
০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিল্ডিং তো কৃত্রিমই হবে, প্রাকৃতিক বিল্ডিং পাবেন কোথায়?
শয়তানের পায়ের ছাপ আর তার পেছনের গল্প জানার পরেই ওইটা দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি আসলে প্রকৃতি দেখার জন্য বেড়াই না, ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখার জন্য বেড়াই। সেটার কারনে ফাও যা প্রকৃতি দেখা হয়, দেখি আর কি!!
পাহাড় পর্বতে নিয়া যাইয়েন । অথবা পুরান প্রাসাদে। দেখি, সামনে আপনের এই দুই আব্দারই পূরণ করার চেষ্টা করা হবে।
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৮
ইসিয়াক বলেছেন: বোতলের ব্যবসা মন্দ না।
আপনি তো বেশ আনরোমান্টিক সারাহকে তাড়িয়ে ছাড়লেন।বেচারা মনে কষ্ট নিয়ে ফিরে গেছে। আমি শিওর।
#ধারাবাহিক গল্পটা লেখা চলছে। আমিও জানি দেরি হলে আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাবে।কি করবো কাজের এত চাপ।বাসায় ফিরলে দুচোখ জুড়ে শুধু ঘুম আসে।ব্লগ পড়ার সময় পাই না।অজুহাত দেখানো আমার পছন্দ না তবুও দিলাম গল্প তাড়াতাড়ি ই পোস্ট দেবো।
০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অপাত্রে রোমান্টিকতা ঢেলে দিলে যেই কালবৈশাখীর মুখোমুখি হতে হবে, সেটা ঠেকানোর সময় তো আপনাকে ধারে কাছে পাওয়া যাবে না। আপনে তো ঢোলে বাড়ি দিয়েই হাওয়া, তাই না!!! বেচারীর দুঃখ পেল কি পেল না, সেটা দেখার ঠিকাদারী কি আমার!!!
বোতলের ব্যবসাটা ভালো, তবে সেটা করতে হবে জার্মানীতে। এখন চিন্তা করেন, কি করবেন।
অজুহাতের দরকার নাই। ফোকাসড থাকাটা জরুরী। বিভিন্ন দিকে কলম চালাইলে পাঠকদের যে অসুবিধা হয়, সেটা লেখককে বুঝতে হবে।
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৫
জাদিদ বলেছেন: দারুন সব ছবি! ভ্রমন কাহিনীর সাথে আছি। আমি ভোজন রসিক মানুষ। খানা পিনার ছবি না দেখলে আনন্দ পাই না। খাঁটি জার্মান ব্রেকফাস্ট দেখাবেন হা হা হা। অনেক আগে বাংলাদেশে এক ব্রিটিশ আর জার্মানের ক্লায়েন্টের সাথে কর্মসুত্রে পরিচয় ছিলো। ব্রিটিশদের নাক উঁচু, সেটা তাদের কথা বার্তায় বুঝা যায়। এক নাস্তা মিটিং এ আমাকে বলল, তোমরা কি সকালে এত খাবার খেয়ে অভ্যস্ত! মেজাজ খারাপ বললাম - আমাদের গ্রামের লোকরা তোমাদের চেয়ে আরো বেশি খায়! আমার তো ধারনা এই জিনিস পুব থেকে পশ্চিমে গেছে।
ব্রিটিশ ভদ্রলোক কিছুটা হকচকিয়ে বলল - জিনিসটা কি?
আমি বললাম, পান্তাভাত আর কাচামরিচ। মোটামুটি দেড় দুই কেজি সকালে পেটে চালান করে কৃষকরা।
ব্রিটিশদের মনে হয় বাঙালী রসিকতার সাথে পরিচিত হতে আরো খানিকটা সময় লাগবে তা বেচারা লাল চোখ মুখ দেখেই বুঝলাম। তবে জোকস এ পার্ট - আমি ব্রিটিশ ব্রেকফাস্টকে পছন্দ করি।
এইভাবে বিদেশ ভুঁইয়ে আপনি বাসার লোক ছাড়া ঘুরতে যান, সাথে থাকে সুন্দরী কলিগ। ভ্রমন কাহিনী শেষ বাসার পরিস্থিতি সম্পর্কে বলবেন!
আর বোতল কুড়ানোর এই কাজটি সরকার করতে পারতো - যদি পেট ফ্লেক্সকে সরকার আরো বেশি মুল্যায়ন করত। তাহলে আমাদের রপ্তানীও বাড়ত। এখনও যারা পেট ফ্লেক্সিং এর কাজ করছেন তারা মোটামুটি ফাঁকা মাঠেই গোল দিচ্ছেন।
০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি আসলে যে হোটেলটাতে ছিলাম, সেটাতে কন্টিনেন্টাল সার্ভ করা হতো। খাটি জার্মান ব্রেকফাস্ট যে কি, আমি কায়দামতো জানি না, মানে ভাসা ভাসা জানি আর কি! আমিও খাদ্যরসিক, তবে পরিমানে খুব কম খাই। তার মধ্যে হালাল-হারাম বাছতে গিয়ে খুব বেশী অপশান থাকে না, সেই জন্যই আমার বিদেশে কন্টিনেন্টালই পছন্দ। আর ব্রেকফাস্টের ছবি তোলার কোন মানে হয়? পরেরবার আপনার কথা চিন্তা করে তুলে রাখবো!!
ইংলিশ ব্রেকফাস্ট হিউজ, এরা সারাদিনের ৬০ শতাংশ খাবার সকালেই খায়। আর আইটেম এতো বেশী যে, আমি জুইৎ পাই না। আমার সকালে পরোটা-ভাজিই পছন্দ। সাথে ওমলেট। বাসায় এটাই খাই। জগাখিচুড়ীর ইংলিশ ব্রেকফাস্ট খাই কদাচিৎ।
সাধারনভাবে বৃটিশদের নাকউচু ভাব তাদের অতীত আভিজাত্যের কারনে। তবে বর্তমান জেনারেশানের যারা, তারা অনেকটাই পরিবর্তিত। এই ভাব বুড়াদের মধ্যে বেশী।
এইভাবে বিদেশ ভুঁইয়ে আপনি বাসার লোক ছাড়া ঘুরতে যান, সাথে থাকে সুন্দরী কলিগ। ভ্রমন কাহিনী শেষ বাসার পরিস্থিতি সম্পর্কে বলবেন! আপনার ''ঘুরতে যান'' কথাটা প্যাচ লাগানোর মতো কথা। ঘুরতে যাই নাই, কাজে গিয়েছি।
সারাহ যদি ঘোরার জন্য থেকে যেত, তাহলে বাসায় কেয়ামত নজদিকের অবস্থা হতো। সেই চিন্তা থেকেই আমি পালে বাতাস দেই নাই, কাজেই পূর্ব রণাঙ্গনের পরিবেশটা এখন শান্ত। কোথাও কোন ঝামেলা নাই।
৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৭
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ব্লগের প্রতি অবিরাম ভালোবাসা না থাকলে এবং ব্লগ থেকে মনস্তাত্ত্বিক প্রশান্তি না মিললে এতো ব্যস্ততার মধ্যেও ব্লগকে মাসের প্রথম দিনে এত সুন্দর পোস্ট উপহার দেয়া সম্ভব হতো না।
মডারবটর সাহেবের সাথে সহমত। ভোজনরসিক মানুষের কথা মাথায় রেখে কটা খানাপিনার ছবি প্রত্যাশা রহিল ২য় পর্বে।
সুন্দর পোস্ট।
০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: খানাপিনার ছবি তুলিই নাই, দিব কোত্থেকে? আপনাদের কথা শুনে এখন মনে হচ্ছে, খানাপিনার ছবি না তুলে ভুলই করলাম!! তবে, সেসব কোন আহামরি খাবার না। অবশ্য টার্কিশ কাবাবের ছবি তোলা যেত, তুলি নাই.......কি আর করা!!!
ব্লগের প্রতি ভালোবাসা তো আছেই। সেজন্যেই অফিসে বসে আপনার মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছি!
গত সাতদিন ধরে একটু একটু করে ছবি ঠিক করে এই পোষ্টটা তৈরী করেছি। পরের পোষ্ট কবে রেডি হবে, কোন ঠিক-ঠিকানা নাই। সময় আসলেই পাই না। আমি জানি, অনেকেই আমার উপর খাপ্পা, উনাদের পোষ্টে মন্তব্য করি না দেখে। কিন্তু আমার আসলেই কোন উপায় নাই। অনেকগুলো পোষ্ট শুধু দেখে রেখেছি, পড়ারই সময় পাচ্ছি না।
অবশ্য না পড়েও কপি-পেষ্ট মন্তব্য করা যায়, তবে সেটা আমার দ্বারা সম্ভব না। সহ-ব্লগারদের সাথে প্রতারণা হয়ে যায়।
৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: আপনি রেমিট্যান্স যুদ্ধা। আগে দেশের জন্য যুদ্ধ পরে ব্লগ।
০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি আসলে সেই অর্থে যোদ্ধা টোদ্ধা না। আসল যোদ্ধাদেরকে আমি অনেক সন্মান করি, আমাকে সেই কাতারে ফেলা ঠিক হবে না। সত্যি বলতে, আমার টাকার উপর নির্ভর করার মতো কেউ নাই দেশে। বছরে ৩/৪ বার হয়তো পাঠানো হয়, অকেশনালী!! দ্যাটস ইট!!!
এইটাকে কি আপনি যোদ্ধার কর্ম বলবেন?
৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪২
মিরোরডডল বলেছেন:
বক্তৃতার এক পর্যায়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ হলো, ওরও মিউনিখ ঘুরে দেখার ইচ্ছা জাগ্রত হয়েছে।
আসলে ভুমই মনে মনে চাচ্ছিলো সারাহ বায়না ধরুক সাথে যাবার ।
ভুমের মনের চাওয়া থেকেই এই অহেতুক সন্দেহ
অকুল দরিয়ার বুঝি কুল নাইরে!!!
সি, সারাহ যায়নি বলে ভুমের কি বেহাল অবস্থা !!!
বিশাল দরিয়ায় সারাহ যেন একটা ভেসে থাকা খড়কুটো, সে নেই বলে ভুমের দরিয়ায় কুল কিনার নেই
ডেভিল'স ফুটপ্রিন্ট (শয়তানের পায়ের ছাপ)।
জটিল ভাই আবার কবে মিউনিখ গেলো !!!!
Oops!! বলে ফেলেছি ??? ইগ্নর করবে প্লীজ
আরেকবার গেলে ভাবছি আমিও কিছু বোতল কুড়াবো।
অবশ্যই সাথে থাকবে সারাহ ।
ও সাথে থাকলে বিষয়টা রোম্যান্টিক হবে ।
বোতল কুড়াতে মনে হবে যেন দুজনে একসাথে ঝিনুক কুড়াচ্ছে
ব্লগে যারা আমার বেড়ানোর পছন্দ জানেন, তাদের জন্য খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা না।
ভুমের ভ্রমণ পোষ্ট খুব বেশী পড়া হয়নি আমার, তাই বলা কঠিন ।
BMW Museum ??? অথবা ক্যাসেল ।
০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাকে পচানোর অপচেষ্টা সফল হবে না। আমি সারা শরীরে এন্টিসেপটিক ক্রীম মেখেই এই পোষ্ট দিয়েছি। তবে, এরপরের বার গেলে বোতল কুড়ানোর সাথী হিসাবে ভুমিকে নিয়ে যাবো। ওর নজর খুব তীক্ষ্ণ.......বোতল যেখানেই থাকুক, দেখে ফেলবে। রোমান্টিকতাও হবে, ইওরো ইনকামও হবে!
জটিল ভাই আবার কবে মিউনিখ গেলো !!!! Oops!! বলে ফেলেছি ??? ইগ্নর করবে প্লীজ কোন ব্যাপার না। কোনটা মজা করে বলা আর কোনটা সিরিয়াসলি, সেটা জটিল ভাই খুব ভালো বোঝে।
BMW Museum ??? অথবা ক্যাসেল এক্সক্লুশানের সুযোগ দেয়া যাবে না কাউকে, তাই এই ব্যাপারে কিছু বলবো না। দেখি, আর কারো কোন অনুমান আছে কিনা।
৮| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪০
কলাবাগান১ বলেছেন: গতকাল আমেরিকার ডিউক চ্যাপেল যেটা নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্হিত সেটা দেখতে গিয়েছিলাম। সব চ্যাপেল কি একই আর্কিটেকচারে তৈরী? পাইপ অর্গান থেকে মেইন স্টেজ, গ্লাস স্টেইন ডিজাইন সব দেখতে এরকম।
০২ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রতিটা ধর্মের ধর্মীয় উপাসনালয়গুলি একটা বেসিক মডেল ফলো করে। সেই কারনেই মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ইত্যাদির স্থাপত্য বা ইন্টেরিয়রে মোটামুটি একটা মিল থাকে। তবে আপনার দেয়া ছবিগুলোর সাথে আমার দেখা ক্যাথেড্রালের ইন্টেরিয়রের আশ্চর্য রকমের মিল দেখতে পেলাম। মিউনিখের ওটা তৈরী শেষ হয়েছে ১৪৬৮ সালে। কাজেই ভালো সম্ভাবনা আছে যে, আপনার দেখা গীর্জার স্থাপত্যবিদ হয়তো মিউনিখের ওই ক্যাথেড্রালের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েই এটা করেছে। অন্ততঃ ছবিগুলো দেখে আমার তাই মনে হলো।
আরেকটা বিষয় জানতে চাইছি। আপনি বলেছেন, ''নর্থ ক্যারোলাইনা'', আমিও এটাই জানি........বিভিন্ন গানে কিংবা মুভিতে ক্যারোলাইনা বলতেই শুনেছি; কিন্তু কেউ কেউ এটা ''ক্যারোলিনা'' বলে। দু'টাই কি সঠিক উচ্চারণ?
চমৎকার ছবিগুলো আর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
৯| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১:১২
অপু তানভীর বলেছেন: পানির বোতল জমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে আমাদের এখানে গ্যাসের চাপ থাকে অনেক কম । পানি গরম হতে চায় না একদম । আগে কেবল শীতকালে গ্যাসের চাপ থাকতো কম কিন্তু সারা বছরই এমন । তাই পানি কিনে খেতে হয় প্রায়ই । সেই বোতল জমে যাচ্ছে দিনের পর দিন !
০২ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক, বোতল জমার ঘটনা জানলাম। আমি তো ভেবেছিলাম, বোতল গলানো প্লাস্টিক দিয়ে কোন ব্যবসা চালু করার কথা ভাবছেন। সবচেয়ে ভালো হয়, ওই বোতলগুলি কুরিয়ার করে জার্মানী পাঠায়ে দিলে। আপনার জার্মান ব্যবসায়িক পার্টনার টাকা.....থুক্কু ইউরো তুলো অর্ধেকটা আপনাকে পাঠিয়ে দিবে। আইডিয়াটা কেমন দিলাম?
১০| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমি কিন্তু কালকে পুরোটা পড়েই লাইক দিয়েছি।
এই মেয়েটার কষ্টের কাহিনী গত লেখায় ছুঁয়ে গিয়েছিল মন। তাকে নিতে পারতেন সেই খাতিরে
০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি কিন্তু কালকে পুরোটা পড়েই লাইক দিয়েছি। আপনার কোন কথায় আমি কোনদিন কি সন্দেহ প্রকাশ করেছি?
এই মেয়েটার কষ্টের কাহিনী গত লেখায় ছুঁয়ে গিয়েছিল মন। তাকে নিতে পারতেন সেই খাতিরে আপনে তো দেখি আমার সংসারে আগুন লাগানোর পায়তারা করতেছেন!! এই ঘটনা যদি ঘটাইতাম, তাইলে এর কনসিকোয়েন্স কতদূর গড়াইতো সেই সম্মন্ধে আপনের কি কোন ধারনা আছে? আমি আমার বউরে নিয়া বেড়াই না, তার বিভিন্ন বায়নাক্কার জন্য। মেয়েদের তাদের স্বামীদের সব হিস্ট্রি নখদর্পনে থাকে। কোনদিক দিয়া আমারে কোন আক্রমন করবে তার কোন ঠিক-ঠিকানা নাই, তখন তো আমারে বাচাইতে আপনার টিকিটাও দেখা যাবে না। কথা কি ভুল কইলাম?
১১| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: শয়তানের পায়ের ছাপ ও কাহিনী ভাললাগলো। ছবিগুলো সুন্দর।
আলটি পিনাকোথক যাবেন হয়তো।
০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আলটি পিনাকোথক যাবেন হয়তো দেখা যাক, যথা সময়েই বিষয়টা পরিস্কার হবে।
১২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: না ভুল কোন নাই
আপনি জগতের ৯৯.৯ ভাগ পুরুষের দলে আছেন। যারা বউরে ডরায়
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি সব সময়েই সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠির দিকে থাকার চেষ্টা করি। আপনার বর্ণিত ৯৯.৯ ভাগ পুরুষের বাইরে যেই .১ ভাগ বাকী, তারা পুরুষ নামের কলঙ্ক!!!
আমার খুব প্রিয় একটা ছবি আপনার সাথে শেয়ার করতে মন চাইলো,
১৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৩
আরোগ্য বলেছেন: আপাতত খালি ছবিগুলি দেইখা লাইক মারলাম। কবুতর আর আসমানের ছবিগুলি সবচেয়ে বালা লাগছে। ওচা ওচা বিল্লিং দেখলে আমার ডর করে। মনে হয় ঠাস কইরা মাথায় পড়বো। তার উপর আবার চার্চের ভিতরে ইয়া লাম্বা লাম্বা পিলার দেইখা আমার কলিজা উইরা গেছে। সহি সালামাত বাড়ি ফিরবার পারসেন তাই আল্লাহর দরবারে শুকুর।
০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওচা ওচা বিল্লিং দেখলে আমার ডর করে না, তয় ওচা থিকা নীচে দেখলে ডর করে।
আপনেরে বহুদিন পরে দেখলাম, আর আপনের মন্তব্যও বহুদিন পড়ে নজরে আসলো। এর লাইগা আবার চেইতেন না। বড় ঝামেলার জীবন পার করতাছি!!!
১৪| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: শয়তানের পায়ের ছাপের গল্প পড়ে মজাই পেলাম। শয়তান প্রতিশোধ নেয় নি?
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চেষ্টা করেছিল। প্রতারিত হওয়ার পর শয়তান নিজেকে বাতাসে রুপান্তরিত করে আর ক্যাথেড্রালের টাওয়ার দু'টাকে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ওরই টাকায় বানানো টাওয়ারগুলো এতোটাই শক্ত ছিল যে, সে কিছুই করতে পারে নাই। কথিত আছে, শয়তান আজও রাগ নিয়ে ওখানে বাতাস হয়ে ঘুরে বেড়ায়। সেজন্যে গোটা মিউনিখেও যদি কখনও বাতাস না থাকে, তাহলে ক্যাথেড্রালের সামনে গেলেই বাতাস অনুভব করা যায়।
গল্পটা বললাম। আশাকরি, এতে করে দেরীতে উত্তর দেয়ার অপরাধ মার্জনা করিবেন। একেতো আপনার মন্তব্য দেখলাম খানিকটা দেরীতে, বাকীটা আমার গাফিলতি। আজ দিবো, কাল দিবো করে করে দেরী করে ফেললাম। এখানে জীবনধারন দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে!
১৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
দারাশিকো বলেছেন: এই পোস্টটাও পড়ে গেলাম। এইটা বেশি ভালো লেগেছে। আগের পর্বগুলোও পড়বো আশা করছি।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ। ভ্রমন পোষ্ট পড়তে ভালো লাগলে আমার আরো প্রচুর আছে। সেসবও পড়তে পারেন।
১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ছবি সুন্দর !
শয়তানের পায়ের ছাপ দেখানোর জন্যে ধন্যবাদ।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শয়তানের পায়ের ছাপ দেইখা আপনের অনুভূতি কি? শয়তানের আকার-আকৃতি সম্পর্কে কোন ধারনা পাইলেন?
১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৮
অধীতি বলেছেন: শয়তান বোকামি করেছে দুটো
১। দাগ রেখে গেছে ২। তদন্তের আগেই টাকা দিছে।
আমাদের দেশের শয়তানেরা তার থেকে অধিক চালাক। তদন্তের জন্যও আলাদা টাকা নেয় আবার বুড়ো বয়সে হজ্ব করে এসে পাপ মোচন করে। যাই হোক জার্মানিতে ভ্রমনের শখ আছে। আপনার সাবলীল ভ্রমন কাহিনি পড়ে শখের দাম ১৬ আনায় পৌছালো।
০১ লা মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শিষ্যরা অনেক সময়ে ওস্তাদকে টেক্কা দিতে পারে। আমাদের দেশের শয়তানগুলোকে আমার সেরকমটাই মনে হয়। আর এখানে ফাইনান্স করা শয়তানকে আমার সত্যিকার অর্থে বেশ বোকাই মনে হয়েছে। সম্ভবতঃ এটা মূল শয়তান না; এখনও শিক্ষানবিসের পর্যায়ে আছে।
সময় করে জার্মানী ঘুরে আসেন। পারলে বাভারিয়ান আল্পস রিজিয়নটা ঘুরবেন, অবশ্য যদি পাহাড়-পর্বত পছন্দ করেন।
১৮| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখা আর ছবি মিলে দারুন পোষ্ট।+++
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জানান দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে সব সময় দেখা যায় না, হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায়!!
১৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫
আমি সাজিদ বলেছেন: ছবিগুলো চমৎকার এসেছে। নয় ইউরোর টিকেট দিয়ে একমাস ইচ্ছে মতো ভ্রমন অথচ মারিয়েনপ্লাজৎ টাউল হল টাওয়ারে উঠতে ছয় ইউরোর টিকেট, দ্বিতীয় টিকেটটি বেশ এক্সপেন্সিভ। বাভারিয়ান আল্পসে প্রথম ছবিটায় আবছামতো দেখা যায়। মিউনিখের প্যানোরোমিক ভিউ চমৎকার এসেছে। ক্যাথেড্রালে শিক্ষানবিস(!) শয়তানের পায়ের ছাপের নকশা ও পেছনের প্রচলিত মিথ জেনে অবাক হলাম। হালসবাচের মতো মহৎ উদ্দেশ্য আমাদের এইদিকের ছোট-বড় শয়তানের কি আছে? পরিশেষে জার্মানির রিসাইক্লিং ব্যবস্থার একটা ছোট অংশের সাথে পানির বোতলের মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। সাতের কমেন্ট পড়ে মনে হলো.......তাহলে...... থাক! কলাবাগান ভাইয়ের নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক চ্যাপেলের ছবি দেখেও মুগ্ধ হলাম। পরের পর্বে যাচ্ছি।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নয় ইউরোর টিকেটটা ওদের একটা এক্সপেরিমেন্ট ছিল। এখন আর নাই। মারিয়েনপ্লাৎজসহ অন্যগুলো রেগুলার প্রাইস। দু'টাকে তুলনামূলক বিচার করলে হবে না। আমাদের ছোট-বড় শয়তানদের গুণকীর্তন করার জন্য এই পরিসর অত্যন্ত ক্ষুদ্র, এতে হবে না। আরো বড় জায়গা লাগবে!
জার্মানির রিসাইক্লিং ব্যবস্থা থেকে শেখার যে ব্যাপারটা আছে, সেটা কেউ শিখবে না। কারন আমাদের নেতা-নেত্রীদের একটা এপয়েন্টমেন্টের জন্য দুনিয়ার তাবৎ নেতারা লাইন দিয়ে থাকে।
২০| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার ভ্রমণ গল্প আগে পড়া হয় নাই, কেন জানিনা। হয়তো ব্লগে আমার অনিয়মিত থাকা এবং খুব বেশি পোস্ট না পড়ার মত সময় দিতে না পারাই কারণ। গতকাল থেকে এই সিরিজটি পড়ার প্ল্যান করেছি, আজ শুরু করলাম। শুরুর পর্বে আপনার অফিস বস এবং সহকর্মীদের গল্প যেমন ভালো লেগেছে, সারার অল্প বয়সের কষ্টদায়ক ঘটনা ব্যথিত করেছে। তবে পশ্চিমে সৎবাবাদের কাছ থেকে পাওয়া এমন ঘটনা অনেক লেখা এবং সিনেমার কল্যাণে জেনেছিলাম। ভাবতেই খারাপ লাগে।
ঝরঝরে লেখা, পড়তে ভালো লেগেছে। ০৯ ইউরোর পাসটি খুব ইন্টেরেস্টিং, কত জায়গায় ঘোরা যাবে। শয়তানের পায়ের ছাপের কাহিনী পড়ে মনে হল ধর্মীয় বিষয়গুলোতে মিথ এর মিশ্রণ মনে হয় স্থান, কাল, পাত্র, ধর্ম ভেদে সব জায়গাতেই হয়।
পাঠকের মন্তব্য এবং আপনার প্রতি মন্তব্যগুলোও পড়ে মজা পেলাম।
ভালো থাকুন সব সময়। পরের পর্বে কথা হবে...
১১ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বেড়ানো আমার নেশা। একসময়ে দুনিয়ার আনাচে-কানাচে প্রচুর ঘুরে বেড়িয়েছি, তবে কাকতালীয়ভাবে ব্লগিং শুরু করার পর পেশাগত চাপে বেড়ানো কমে গিয়েছে। সেই একই কারনে ব্লগে অনেকের লেখাই পড়া হয় না। তবে আপনার কিছু লেখা আমি পড়েছি, খুজলে আমার মন্তব্যও পাবেন পুরানো কোন কোন লেখায়। এখনও অফলাইনে সময় পেলেই পড়ি। কয়েকদিন আগে আপনার কোদাইকানাল সিরিজ পড়া শুরু করেছি।
আমার সমস্যা হলো, বাসায় বসে ব্লগিং করার সময় আমি বলতে গেলে একেবারেই পাই না। যতোটুকু করি, অফিসে কাজের ফাকে ফাকে। তাই চাইলেও বেশিরভাগ সময়ে মন্তব্য করা আমার হয়ে ওঠে না। আমার এই অপরাধ মার্জনীয়। যতোটুকু সুযোগ পাই তাতে ব্লগে যাদের সাথে আমার ইন্টারএকশান বেশী, তাদের সাথে বাতচিৎ করতে করতেই চলে যায়।
সারার অল্প বয়সের কষ্টদায়ক ঘটনা ব্যথিত করেছে। তবে পশ্চিমে সৎবাবাদের কাছ থেকে পাওয়া এমন ঘটনা অনেক লেখা এবং সিনেমার কল্যাণে জেনেছিলাম। ভাবতেই খারাপ লাগে। ওটা খারাপ লাগার মতোই একটা বিষয়!!!
আশা করছি, এখন থেকে আপনার সাথেও সময় সুযোগ মতো বাতচিৎ হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: চার বোতলে এক ইউরো মানে প্রায় ৯৭ টাকা । আমার নিজের ঘরেই এখন যত খালি পানির বোতল আছে আমি তো অনেক বড় লোক হয়ে যেতাম !