নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বদ লোকের জন্য দোয়া করলে বদ-দোয়া হয়ে যায়!!!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩০


মরক্কোর তান্জিয়ার থেকে আমার মোবাইলে তোলা ছবিটা স্ট্রেইট অফ জিব্রাল্টার বা জিব্রাল্টার প্রণালীর। ওইপাড়ে স্পেন। এই প্রণালী স্পেন আর মরক্কোকে আলাদা করেছে। কিংবা বলা যায়, ইউরোপ মহাদেশ থেকে আফ্রিকা মহাদেশকে আলাদা করেছে আর আটলান্টিক মহাসাগর আর ভু-মধ্য সাগর বা মেডিটেরিয়ান সী কে সংযুক্ত করেছে।


এই মাসের শুরুর দিকের ঘটনা।

এক সকালে আমার অর্ধাঙ্গিনীর সাথে তুমুল ঝগড়া হলো। ঝগড়া হলে সাধারনতঃ আমার কথা বলার সুযোগ থাকে কম। বিশদ পরিসংখ্যান কেমন যেন ভোজবাজীর মতো আমার বউয়ের মানসচক্ষে চলে আসে। সেখান থেকে যুৎসই তথ্য বের করে আমার দিকে একের পর এক তীর ছুড়তে থাকে, আর আমি ঘায়েল হতে থাকি। ঝগড়ার শেষে, ফ্রন্ট যখন শান্ত হয় তখনই মনে পড়ে………. আরে! এই কথাটা তো আমি বলতে পারতাম!! কিন্তু তখন সময় শেষ। টাইম ইজ ওভার। দরকারের সময়ে প্রয়োজনীয় পরিসংখ্যান আমার চোখে ভাসে না, কিন্তু ওর চোখে সবসময়েই কেন ভাসে, এটা ভেবে কোন কূল-কিনারা পাই না। মহান সৃষ্টিকর্তার এ কেমন অবিচার!!!

বিষয়টা খুলেই বলি তাহলে। ওর এক ঘনিষ্ঠজনের বিয়ে। কার্ডিফে। সেই বিয়েতে আমাকে সপরিবারে উপস্থিত থাকতে হবে। এই ধরনের সোশ্যাল গ্যাদারিংয়ে সশরীরে থাকা আমার খুব একটা পছন্দ না হলেও বেশীরভাগ সময়েই যাই কিংবা বলা ভালো, যেতে বাধ্য হই। কিন্তু আলোচ্য বিয়েতে এমন কিছু মানুষ থাকবে, যাদেরকে আমি এক চক্ষেও দেখতে পারি না। কিছু মানুষ আছে না, আশেপাশে থাকলেও গা চুলকায়, সেই রকমের। আমার আবার পছন্দ বা অপছন্দ, দু'টাই খুব তীব্র। আর এসব ক্ষেত্রে আমি পারতে কম্প্রোমাইজ করি না। তো আমি বীর বিক্রমে বলে দিলাম, আমি যেতে পারবো না। তোমরা যাও।

আমার কথা মাটিতে পড়ার আগেই পাল্টা আক্রমন শুরু হয়ে গেল। কয়েকটা নমুনা দেই…….

এমন বদ এবং অথর্ব স্বামী আল্লাহ যেন আর কাউকে না দেয়।
আমার জীবনটা ফানা ফানা হয়ে গেল এই লোকের সাথে থাকতে থাকতে।
এই বদ লোকের জন্য কোন সামাজিকতা করা যায় না। হে আল্লাহ! এমন অসামাজিক জীব আমার কপালেই কেন জুটলো!!…...........ইত্যাদি ইত্যাদি।

সেই সাথে কবে আমার লোকজন,আত্মীয়-স্বজনের জন্য সে কি কি স্যাক্রিফাইস করেছে তার বিশদ বিবরণ!! কই যাবো? একেবারে কোনঠাসা অবস্থা। আপনারা কুকুর-বিড়ালের ঝগড়ার সাথে নিশ্চয়ই পরিচিত! কুকুরের আক্রমনের মুখে বিলাইয়ের ধান্ধা থাকে কোন এক চিপা দিয়া কিভাবে পিঠটান দেয়া যায়। কিন্তু যখন দেখে পালানোর কোন পথ খোলা নাই, তখন ঘুরে দাড়িয়ে ফোস করে উঠে। তো আমিও কোন দিশা-মিশা না পেয়ে ফোস করে উঠলাম। বললাম, যাবো না। যা পারো করো গিয়া! আমারে হাতী দিয়া বাইন্ধাও নিতে পারবা না। ইন ফ্যাক্ট, আমি ওই সময়ে দেশেই (মানে ইংল্যান্ডে আর কি!!) থাকবো না। এইটা আমার অনেক আগের করা প্ল্যান। এইটুকু বলে মহিলা হিটলারকে নব উদ্যোমে আক্রমণের সুযোগ না দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম।

আমাদের বাসার কাছে একটা পার্ক আছে। সেখানে আমি প্রায়ই সময় পেলে যাই। কবুতর, কাঠ বিড়ালী আর খরগোশদের সাথে খানা-খাদ্য ভাগাভাগি করে খাই, দুই-চারটা সুখ-দুঃখের কথা শেয়ার করি। আমার ক্রিয়েটিভ কাজ বা কোন পরিকল্পনা ফাইনাল শেইপে আসে প্রধানতঃ তিনটা জায়গায়। টয়লেট, বাথরুম আর এই পার্কে। পার্কে বসে বসে ভাবছি, তেজের চোটে বলে তো আসলাম ইংল্যান্ডেই থাকবো না, কিন্তু দু'দিনের জন্য যাবোটা কোথায়? হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকের মতো আইডিয়া খেলে গেল। মরোক্কোর তান্জিয়ারে যাবো। ইয়েস!!!

এই ট্যুর প্ল্যানটা অনেকদিন ধরেই আমার মাথায় ঘুরছে; বরং বলা ভালো সেই বাল্যকাল থেকেই। চমকাবেন না, সত্যিই। সেই যখন স্কুলে পড়ি, তখন থেকে। পরে বিস্তারিত বলবো, আপাততঃ এইটুকুনই থাক। বিভিন্ন কারনে সেটা এতোদিনেও আলোর মুখ না দেখলেও আমার মাথায় একটা যন্ত্রণা হয়েই ছিল এতোদিন। তো, পরিকল্পনাটা মাথায় আসার সাথে সাথে দেরী না করে কাজে নেমে পড়লাম। পার্কে বসেই মোবাইল বের করে প্লেনের টিকেট করলাম। হোটেল বুক করলাম, তারপরে খুশীর চোটে সূর্যের হাসি মার্কা একটা হাসি ঠোটের কোনে ঝুলিয়ে বাসায় ফিরলাম। শনি/রবি সাপ্তাহিক ছুটি; শুধু শুক্রবারটা ছুটি নিতে হবে। সেটা ম্যানেজ করে ফেলবো। কিভাবে করবো, তার একটা টাইট প্ল্যানও করে ফেললাম। তখন কি জানতাম, আমার খুশী দেখে সৃষ্টিকর্তা অলক্ষ্যে বিদ্রুপের হাসি হাসছেন? কে-ই বা জানতো যে, আমার সামনে একগাদা দূর্ভোগ অপেক্ষা করছে!!

চলেন, একে একে আমার সেই দূর্ভোগগুলো আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে হাল্কা হই।

৯ই সেপ্টেম্বর, শুক্রবার দুপুর বারোটা দশ মিনিটে আমার ফ্লাইট। স্ট্যানস্টেড এয়ারপোর্ট থেকে। ন্যাশনাল এক্সপ্রেসের টিকেট করলাম। আমার শহর থেকে কোচ ছাড়বে সকাল ৭:৫০এ। আমার বাসা থেকে বাস স্ট্যান্ড গাড়িতে যেতে লাগে দশ মিনিট। হিসাব করে উবার কল করলাম। দেখালো ৫ মিনিটে চলে আসবে। সেই উবার আসলো ১৫ মিনিট পরে। বাস স্ট্যান্ডে পৌছাতে পৌছাতে আমার চোখের সামনে দিয়ে কোচটা আমাকে না নিয়ে বের হয়ে গেল। আমার তো মাথায় হাত! পরের কোচ প্রায় তিন ঘন্টা পরে। উপায় না দেখে আবার উবার নিলাম এয়ারপোর্ট পর্যন্ত একগাদা টাকা খরচা করে। মনের মধ্যে কেমন যেন একটা কু-ডাক দিল। ডাকটা ঠিকই ছিল। কারন, ভোগান্তির সেটা ছিল শুরু মাত্র।

যাই হোক, তান্জিয়ারে ঠিক-ঠাক মতো পৌছলাম। আফ্রিকা মহাদেশে এটাই আমার প্রথম পদধূলি; ফলে স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা এক্সাইটেড! হোটেলে গিয়ে দেখি হোটেল বুকিং একদিনের। আমি করলাম দুইদিনের জন্য, হয়ে আছে একদিন! ঘটনাটা কি? দোষ কি আমার নাকি বুকিং ডট কমের বুঝলাম না। ভরা সিজনে এডভান্স বুকিং না থাকলে কায়দামতো হোটেল পাওয়া মুশকিল; পেলেও ভাড়া অনেক বেশী। কি আর করা! করলাম আরেকটা হোটেল বুকিং আরো একদিনের জন্য। হুদাই খসে গেল আরো কিছু অতিরিক্ত টাকা।

বিশেষ করে যেই স্থান দর্শনে আসা, গিয়ে দেখি সেটা সাময়িকভাবে বন্ধ (আপাততঃ বিষয়টা খোলাসা করছি না।) উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের জন্য। মনকে প্রবোধ দিলাম, ব্যাপারটা ঘ্রানে অর্ধভোজনের মতো হলেও ভোজন তো করতে পারলাম অবশেষে!!!

আড়াই দিনে মরক্কোর তান্জিয়ার শহরটা ভাজা ভাজা করে ফেললাম। ভু-মধ্য সাগর আর আটলান্টিক মহাসাগরের মিলনস্থলে অবস্থিত এই নগরী বেড়ানোর জন্য চমৎকার একটা জায়গা, কোন রকমের সন্দেহ ছাড়াই বলা যায়।

ফেরার দিনে বেশ আগেই এয়ারপোর্ট পৌছে গেলাম কোচ মিসের কথা মনে করে। কিন্তু পোড়া কপাল, ডিপারচার বোর্ডে দেখি আমার ফ্লাইটটাই নাই। এমন ভৌতিক কান্ড কস্মিনকালেও দেখি নাই। ইনফরমেশান ডেস্কে গিয়েও ফ্লাইটের কোন হদিস পেলাম না। আমার ইউকে'র সিম মরক্কোতে কাজ করে না। ব্যবহার করছিলাম লোকাল সিম, সেটা দিয়ে আবার ইন্টারন্যাশনাল কল করা যায় না। ফলে আমার ট্রাভেল এজেন্টকেও কন্টাক্ট করতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত ইমেইল আর মেসেজের মাধ্যমে কন্টাক্ট করতে পারলাম। এয়ারপোর্টে পৌছেছিলাম সকাল সাড়ে ছয়টায়, আর প্রচুর কথোপকথনের পর দুপুর ১২টার সময়ে তারা আমাকে যে ফ্লাইট অফার করলো, সেটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য না। এয়ারপোর্টে বসেই নিয়ার-বাই এয়ারপোর্টের লন্ডনগামী ফ্লাইট সার্চ করে যেটা পছন্দ হলো, সেটা ছাড়বে স্পেনের মালাগা এয়ারপোর্ট থেকে রাত ১১:৫০এ। কি আর করা, সেটা ধরাই মনস্থ করলাম।

এইবার নতুন যাত্রা শুরু। তান্জিয়ার এয়ারপোর্ট শহর থেকে বেশ বাইরে। ট্যাক্সি নিয়ে গেলাম তান্জিয়ার ফেরী পোর্টে। সেখান থেকে ফেরী ধরে জিব্রাল্টার প্রণালী পার হয়ে স্পেনের টারিফা। টারিফা থেকে বাসে আলজেসিয়ারাস। সেখান থেকে ডাইরেক্ট কোচ ধরে মালাগা। এখানে বলে রাখি, রাতের ফ্লাইট তখনও কনফার্ম করি নাই, পাছে এই দীর্ঘ যাত্রায় আবার কোন ফ্যাসাদে পড়ি সেই ভয়ে। কোচ ছাড়লো, নিশ্চিত হলাম যে সময় মতো মালাগা পৌছাতে পারবো। চলন্ত কোন কিছুতে আমি পড়া বা মোবাইল টেপাটিপি করতে পারি না, মাথা ঘোরানো শুরু হয়, আর সেটা শেষ হয় বমি দিয়ে; কিন্তু উপায় না থাকায় কোচে বসেই টিকেট প্রসেসিং শুরু করলাম। শেষে যা হওয়ার তাই হলো। একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ ভরে ফেললাম বমি করে!! মরক্কোর খাবার সব উগরে দিলাম স্পেনে!!!

বমি করে যখন নেতিয়ে পড়েছি, তখন আমাদের কোচটা থেমে গেল। শো আসলে তখনও বাকী ছিল; কোচ থেমে যাওয়ার কারন ছিল যান্ত্রিক গোলযোগ। শেষ পর্যন্ত রিকোভারী কল করে অল্টারনেটিভ কোচ দিয়ে মালাগা পৌছলাম।

ক্লান্ত, বিধ্বস্ত এবং পর্যদুস্ত আমি যখন কোচ থেকে নেমে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে এয়ারপোর্টে পৌছলাম, ঘড়িতে তখন জ্বলজ্বল করছে রাত সাড়ে এগারোটা। ফ্লাইট মিস সুনিশ্চিত!!!

আবার ফ্লাইট খোজাখুজি। শেষ পর্যন্ত যেটা পছন্দ হলো, সেটা সকাল সাড়ে নয়টায়। শরীর একেবারেই আর চলতে চাইছিল না, কোন এক সফেদ বিছানা আমাকে যেন মোহনীয় স্বরে ডাকছিল……..আয়! আয়!! তারপরেও হোটেলে যাওয়ার রিস্ক নিলাম না। এককাপ কড়া করে কফি বিড়ি সহযোগে মেরে দিয়ে এলার্ম সেট করে এয়ারপোর্টেরই এক বেঞ্চে লম্বা হলাম।

আমি বলতে গেলে সারাটা জীবনই ঘুরে বেড়িয়েছি; দেশে-বিদেশে যখন যেভাবে পেরেছি। তবে একটা নির্দিষ্ট ট্যুরে গিয়ে এই পরিমান দূর্ভোগের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা আমার জীবনে এই প্রথম। আপনাদেরকে সবটা বললাম না, লেখা বড় হয়ে যাচ্ছে। আরো কিছু ছোট-মাঝারী দূর্ভোগ ফেইস করতে হয়েছে এই যাত্রায়। ট্যুরটাতে যেমন টাকার শ্রাদ্ধ হয়েছে অজস্র, তেমনি সময়ের অপচয়ও হয়েছে; প্রচুর ঝামেলার শিকারও হয়েছি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আনন্দও করেছি প্রচুর। আর আপনারা তো জানেনই, ট্যাকা আমার কাছে ত্যাজপাতা! কাজেই ওইদিক দিয়ে নো টেনশান!! সর্বোপরি ....... নতুন দেশ, নতুন সংস্কৃতি আর ভিন্ন স্বাদের খানাদানার সাথে নতুন মহাদেশের ভ্রমনটা সার্থকই বলা যায় এক প্রকারের।

যাই হোক, বাসায় ফিরে সবকিছু বউয়ের কাছে সবিস্তারে বর্ণনা করে বললাম, তুমি কি আজকাল কালা যাদু জাতীয় কিছুর প্র্যাক্টিস করছো নাকি? তোমার সাথে ঝগড়া করে বের হয়েছিলাম, মানছি। কিন্তু তোমার বদদোয়া না করে দোয়া করা উচিত ছিল। তাহলে আমার ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমতো! একজন নিরীহ গোবেচারা স্বামীর প্রতি স্ত্রীর এমন ব্যবহার কিন্তু আল্লাহপাক সহ্য করবে না।

সে মুখে একটা অর্থপূর্ণ হাসির ঝিলিক দেখিয়ে বললো, বদ মানুষের জন্য দোয়া করলে সেটা অনেক সময়ে বদ দোয়া হয়ে যায়!!! B:-)

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: আপনের উপর ভাল ঝড় বয়ে গেছে দেখা যাচ্ছে । এই কারণেই বউয়ের কথার বিপরীত দিকে যাইতে নাই । বিবাহ না করেও আমি এই চরম সত্য কথা জানি খুব ভাল করেই । :D


ছবি সমেত আরও বিস্তারিত পোস্ট আসবে আশা করি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছবি সমেত আরও বিস্তারিত পোস্ট আসবে আশা করি। অবশ্যই। এইটাতো তবলার টুকটাক। আসল পোষ্ট হলো বেড়ানোর পোষ্ট।

আমি সাধারনতঃ বউয়ের আদেশের বিরুদ্ধাচারন করি না। তবে মাঝে-মধ্যে হয়ে যায় আর কি!! ম্যান ইজ মর্টাল, তাই না? তবে পোষ্টে ওই যে চুলকানীর কথা বললাম না................ওইটাই আসল কারন। ;)

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৯

বিষন্ন পথিক বলেছেন: ইনফ্লেশনের ভয়াবহতায় গিফট দিতে চাননি, তাই যেতে চাননি বিয়েতে
ঝেড়ে কাশুন :D

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুল বললেন জনাব। বাকী সবাই গিয়েছে। আর আপনে বোধহয় জানেন না........ট্যাকা আমার কাছে ত্যাজপাতা!!! :P

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫০

সোনালি কাবিন বলেছেন: এক সকালে আমার অর্ধাঙ্গিনীর সাথে তুমুল ঝগড়া হলো। ঝগড়া হলে সাধারনতঃ আমার কথা বলার সুযোগ থাকে কম। বিশদ পরিসংখ্যান কেমন যেন ভোজবাজীর মতো আমার বউয়ের মানসচক্ষে চলে আসে।

# আপ্নে রসিক আছেন বটে । সিরিয়াস বিষয়েও হিউমার যোগ করতে ভুলেন না ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপ্নে রসিক আছেন বটে দেশে ''রস'' নামের একটা মিষ্টির দোকান আছে না!! ওরাই আমার প্রধান সাপ্লায়ার। আর এখানে আলাউদ্দিনের একটা দোকান আছে। সেটা দিয়ে মাঝে সাঝে ঠ্যাকার কাজ চালাই আর কি!! :-B

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৩

রবিন.হুড বলেছেন: কঠিন বাস্তব। বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, বাস্তবধর্মী মন্তব্যের জন্য। :)

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনিতো "মহা ফেসিলিটি"র মধ্যে পরছিলেন!

ভাই, স্বামী স্ত্রী'র ঝগড়াঝাটি স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে আমার স্ত্রী'র সাথে যখনই টুকটাক ঝগড়া লেগে যায়- তখন ৩৬ বছরের বিবাহিত জীবনে কোথায়, কোন দিন, কি বার, কয়টার সময় আমি কি কি বলেছিলাম- সব মুখস্ত বলে আমাকে মনে করিয়ে দেয়! :P সব দোষই আমার! আমি আমার নাম দোষ মিয়া কি আর এমনি এমনিই রেখেছি! =p~

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার নাম দোষ মিয়া তো জানতাম না। এখন থেকে দোষ ভাই বললে কেমন হয়? =p~

৩৬ বছরের বিবাহিত জীবনে কোথায়, কোন দিন, কি বার, কয়টার সময় আমি কি কি বলেছিলাম- সব মুখস্ত বলে আমাকে মনে করিয়ে দেয়! সেইটাই বিষয়। ক্যামনে পারে? কি অদ্ভুদ পৈশাচিক ক্ষমতা উনাদের!!! তবে ঝগড়ার সময় যখন বলে, বিয়া তো একটা করলা। সারা জীবনে বউকে কি দিলা? তখন যখন মনে করায়ে দেই, কি কি দিলাম; তখন এমন একটা মুখ বানায় যেন, আমার চেয়ে মিথ্যাবাদী দুইন্নায় আরেকটা দ্বিতীয় নাই।

আমি মাঝে-মধ্যে একটা নোট বুকে কিছু পয়েন্ট টুকে রাখি, যেন ঝগড়ার সময়ে ব্যাকআপ হিসাবে কাজ করে। কিন্তু আসল সময়ে সেইটাও খুজে পাই না। :((

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


আহহারে! নারীদেবী রুদ্র রূপ ধারণ করলে যে পালিয়েও উপায় থাকেনা তার একটা তাঁজা ঘটনার সাক্ষী হতে হলো আপনাকে!! ভবিষ্যতে আশাকরি অতিঅবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন। আর আমরা যারা নিরীহ বেচারীরা আছি তারা বিষয়টি থেকে শিক্ষা লাভ করে নিজেদের শান্তিপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করবো।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবই কালা যাদুর খেলা বলে মনে হয় আমার। ওনাদের সবার কাছে মনে হয় সেই যাদুর আয়না আছে, যেটা দিয়ে অতীত-ভবিষ্যৎ সব দেখা যায়। সময়ে সময়ে আমি বাস্তবিকই আশ্চর্য হই, কিভাবে এতোসব মনে রাখে!!!

আর আমরা যারা নিরীহ বেচারীরা আছি তারা বিষয়টি থেকে শিক্ষা লাভ করে নিজেদের শান্তিপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করবো। এইখান থেকে কিছুই শিখতে পারবেন না। আক্রমন যে কোন চিপা দিয়ে কিভাবে আসবে, আপনে টেরও পাবেন না। :P

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০১

শেরজা তপন বলেছেন: 'বাঙ্গালী মুসলমান নারীর মন' নিবন্ধ পড়ুন। সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে :) আর কেউ বেকায়দায় ফেলতে পারবে না।
~বাকি মন্তব্য ফিরে এসে করছি

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নিবন্ধটা কই পাবো? লিঙ্কটা দ্যান, পইড়া দেখি। :)

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৫

ইসিয়াক বলেছেন: মন্তব্য করবো রাতে বাসায় ফিরে। আপাতত লাইক B-))

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দোয়া করি, রাত পর্যন্ত যেন সহি-সালামতে থাকেন। B-)

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯

রানার ব্লগ বলেছেন: এর পর থেকে বউয়ের সাথে ঝগড়াঝাটি একটু কম করবেন আর করলেও বুঝেশুনে হ্যাং করেঙ্গা ব্যাং মারেঙ্গা ডায়লগ দেবেন ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার ঘাড়ে মাথা একটাই, তাই ঝগড়া তেমন একটা করি না। তাছাড়া, ঝগড়া করে খুব বেশী সুবিধাও করতে পারি না।
কোন ডায়লগেই কাজ হয় না রে ভাই! কলিকাল বোধহয় এরেই কয়!! :((

১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১

আরোগ্য বলেছেন: নিশ্চিত ভাবীর হাই লাগছে। তাই আপনার ভ্রমণে এত উত্থান পতন ওহ্ সরি ভ্রমনে না ভোজনে। যে রাস্তা দিয়া খাবার গেছে ঐ রাস্তা দিয়া ইউটার্ন মারছে :-P । এর পর থেইকা ভাবীর লগে মিথ্যা কওয়ার আগে চিন্তা ভাবনা কইরা লইবেন।

কয়দিন যাবৎ ব্লগে যে ক্যাচক্যাচ চলতাসে বিরক্ত হয়া পলাইবার উপক্রম। |-) আপনের দুর্দশাগ্রস্ত ভ্রমণ কাহিনি ভালা লাগলো। ঐ যে কথায় আছে, " কারো পৌষমাস, কারো সর্বনাশ " :||

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নিশ্চিত ভাবীর হাই লাগছে তা তো লাগছেই, নয়তো এমন দূর্দশা হয়? তাও ভালো, খাবার যেই রাস্তা দিয়া গেছে, সেইখান দিয়াই বাইর হইছে। অন্য দিক দিয়া বাইর হইলে যে কি হইতো, ভাবলেই বুক কাপে!!! ;)

আপনের ভাবীর লগে মিথ্যা কওয়া ছাড়তে পারুম না। ও-ই আমারে বাধ্য করে মিথ্যা কইতে। আমার কোন দোষ নাই।

ব্লগে আর তেমন একটা ক্যাচ ক্যাচ কই, ঠিকই তো আছে! এইটুকুও যদি না লাগে তাইলে ব্লগ তো পাইনসা হয়া যাইবো গিয়া। টেনশানের কিছু নাইক্কা। আপনেরে বহুত দিন পরে দেইখা দিল খুশ হুয়া। :)

১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান একটা কথা জানবার :(( মুনচায়,

বউ'রা কি সব এমনই হয়?
দেশ কিংবা বিদেশ বা ধনী কিংবা গরীব - যাই হোক না কেন।

সব বউগো কাছেই , " জামাই হইলো দুনিয়ার সবচেয়ে বদ লোক, যার জন্য দোয়া ত দূর কি বাত - বদ দোয়া করার জন্য যে যোগ্যতা লাগে সেটাও নাকি জামাইগো থাহেনা " - কি কমু ভাই কইনছেন দেহি?

আর সময় সুযোগে মিললে একটু দেহা দিয়েন। আমনের লগে একটু বুকের সাথে বুকটা মিলাইয়া দুইডা কথা কওনের লাইগা (একই রোগের রোগী কিনা)।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বউ'রা কি সব এমনই হয়? আপনে এইসব কি কন? আমি সুফী মানুষ। পরস্ত্রীর দিকে নজর দেই না। কাজেই হ্যারা কি করে না করে, আমি জানমু কেমনে? নিজেরটা সামলায়াই কুল-কিনারা পাই না!!! :(

সব বউগো কাছেই , " জামাই হইলো দুনিয়ার সবচেয়ে বদ লোক, যার জন্য দোয়া ত দূর কি বাত - বদ দোয়া করার জন্য যে যোগ্যতা লাগে সেটাও নাকি জামাইগো থাহেনা " - কি কমু ভাই কইনছেন দেহি? আপনের কিছু কওনের দরকার নাই, আমিও কিছু কমু না। বিপদ আবার কোনদিক দিয়া আইবো, কওন যায় না।

ইংল্যান্ডে আয়া পড়েন। দুই ভাই কোলাকুলি কইরা সুখ-দুখের আলাপ করুম নে। B-)

১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০২

ইসিয়াক বলেছেন:
"সে মুখে একটা অর্থপূর্ণ হাসির ঝিলিক দেখিয়ে বললো, বদ মানুষের জন্য দোয়া করলে সেটা অনেক সময়ে বদ দোয়া হয়ে যায়!!! " :-P

হা হা হা...... আমি কিন্তু ভাবির পক্ষে তবে আপনি চাইলে পয়েন্টে পয়েন্টে কিভাবে বাতচিৎ করতে হয় আমার কাছ থেকে ট্রেনিং নিতে পারেন। :-B
# দোয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো প্রিয় ব্লগার। পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায়।
অঃ টঃ গতকালের গল্পটিতে লাইক দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। একটা নাটকের প্রোডাকশন হাউস গল্পটিকে মনোনীত করার কারণে পোস্ট সরিয়ে নিয়েছি।সেজন্য পরের টুকুও পোস্ট দেওয়া হয় নি। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
শুভকামনা।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পয়েন্টে পয়েন্টে বাতচিতের ট্রেনিং দিবেন? সত্যিই? দিয়া দ্যান, খুবই দরকার। তবে ভাবীর পক্ষে থাইকা কি ট্রেনিং দিবেন, সেই ব্যাপারে আমি সন্দিহান। আপনের মতিগতি সুবিধার ঠেকতেছে না। X(

গল্প পড়ি নাই, শুধু লাইক দিয়েছিলাম। পুরাটা আসলে পরে পড়ার ইচ্ছা ছিল। একটা নাটকের প্রোডাকশন হাউস গল্পটিকে মনোনীত করার কারণে পোস্ট সরিয়ে নিয়েছি। কনগ্রাচুলেশান্স। আপনার কয়টা গল্প এখন পর্যন্ত এভাবে মনোনীত হয়েছে?

১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৮

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হা হা ভাইয়া ভাবীজী দেখছি তোমার থেকেও মানুষকে কথায় ঘায়েল করার এক্সপার্ট!!!!!!!!!!! হা হা হা

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাকে দেখে দেখেই শিখেছে, এখন আমার উপরেই প্রয়োগ করে। গুরু মারা বিদ্যা............শেখানোই ঠিক হয় নাই। দিনে দিনে এখন কথার এমন ধার হয়েছে যে, ওর সাথে তর্ক করতেই ভয় পাই।

ভাইয়ার জন্য দোয়া করবা, শুধু খেয়াল রাখবা, সেইটা যেন আবার বদ দোয়া না হয়ে যায়!!! :P

১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: হায় হায় কন কি!!! আমার ব্লগ বাড়িতে গিয়ে যে একটা 'লাভ লেটার' দিয়া আইলেন :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লাভ লেটার? এইটা কি কন? এইসব শুইনা অন্য ব্লগাররা আবার কি মনে করে না করে, কোন ঠিক-ঠিকানা নাই। =p~

যাই হোক, আপনের ব্লগ বাড়ী ঘুইরা তো 'বাঙ্গালী মুসলমান নারীর মন' শিরোনামের কোন নিবন্ধ পাইলাম না। বিষয়টা কি?

১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাবীজি ঘুড়ির সুতোটা অনেক দূর ছেড়ে দিয়েছেন। মাঝে মাঝ আকাশে একটু খেলিয়ে নিলেন।ফল যা হবার তাই হয়েছে। শূন্য হাতে একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে।তাই বলি কি এসব বিপ্লবী টিপ্লবী না হয়ে বর্তমান অভিভাবিকাকে মেনে ওনার নির্দেশ মেনে সকাল বিকাল চলুন। শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
আমিও তাহলে আপনাকে মনের কথা বলি। একসময় ব্লগিং করা নিয়ে হোম মিনিস্টির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় নিরম করে একদেড় ঘন্টা বাইরে বাজারে দাঁড়িয়ে ব্লগিং করে মনের খায়েশ মিটিয়ে বাসায় ফিরতাম। মনের শান্তিতে ব্লগিং করে আমার রাগ কমলেও উনি অপেক্ষা করতেন নাটকের পরবর্তী পর্ব আমাকে শোনাবেন বলে। বলাবাহুল্য আমাকে হাতের নাগালে না পেয়ে মনের চাপা আগুন কখনোবা অগ্নিবরষণে পরিনত হতো। আমি শুধু নিরব থেকে সেই আগুনকে প্রতিহত করতে পেরেছি। হঠাৎ একদিন দেখি উনি বাজারে আমাকে মশার কামড় খাওয়া অবস্থায় ব্লগিং করা হাতে নাতে ধরে ফেললেন। ব্যস সেই যে ধরে বাসায় নিয়ে গেলেন তারপর থেকে আর সুযোগ নেই। নেই ব্লগিং করারও সুযোগ।ব্যাস তখন থেকে ব্লগিং আমার কাছে ইতিহাস হয়ে গেছে।কি আর করার... গৃহপালিত প্রাণী হয়েই আপাতত নিজেকে সঁপে দিয়েছি :)


২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাবীজি ঘুড়ির সুতোটা অনেক দূর ছেড়ে দিয়েছেন। অত্যন্ত অপমানজনক কথা। তাও ভালো, ''খুটিতে বাধা গরু'' বলেন নাই যেটা কিনা একটা নির্দিষ্ট গন্ডিতে ঘুরে ঘুরে ঘাস খায়!!! =p~

আপনার ঘটনা জানলাম। দুঃখজনক। পড়ে, সেই লেজকাটা শিয়ালের গল্পটা আবার নতুন করে মনে পড়লো। ব্যস সেই যে ধরে বাসায় নিয়ে গেলেন তারপর থেকে আর সুযোগ নেই। অবাধ্য ছেলেদেরকে অভিভাবকরা এমন ক্ষেত্রে কানে ধরে বাসায় নিয়ে আসে, তারপরে বেতের ভয় দেখিয়ে বশে রাখে। আবার বলবেন না যেন, আপনার ক্ষেত্রে তেমনটাই হয়েছে। অবশ্য বললেও আমি বিশ্বাস করবো না। :P

জোকস এপার্ট। নির্যাতিত স্বামীদের একটা সিন্ডিকেট করা উচিত, কি কন? আপনারে প্রেসিডেন্ট বানায়া দিমু নে, উদ্যোগ নেন। অপু তানভীররে এডভাইজার কইরেন! সে আবার সিন্ডিকেট ভালো বুঝে। তাইলে আমরা একটু শান্তিতে ব্লগিংটা করতে পারি। ;)

১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৮

পোড়া বেগুন বলেছেন:
ভূয়া ভাই বউয়ের কথার অবাধ্য হবেন না;
গোয়ালের গরু গোয়ালে ফিরতেই হবে।
পদাতিক দাদার পরিণতিতো শুনলেন।
বিড়াল হয়ে সারা দিন মিউ মিউ করেন
লাভ ছড়া ক্ষতি হবে না।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভূয়া ভাই বউয়ের কথার অবাধ্য হবেন না; ওকে। আপনার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে।

সারাদিন মিউ মিউ-ই করি। দেখা যায় বাঘের মতো, আসলে তো বিড়ালই তো!! ;)

১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:৫০

শাহিন-৯৯ বলেছেন:

প্রথম পর্ব আর শেষের লাইন পড়ে খুব হাসলাম, বাকিটুকু পড়ে একটু কষ্ট হলো আপনার জন্য।

টাকা যার কাছে তেজপাতা তাকে জল্লাদ বউও তেমন ঘায়েল করতে পারে না আর আমাদের ভাবী খুবই ভাল মনের মানুষ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক, তাও একজনকে পেলাম যার আমার জন্য কষ্ট হচ্ছে। আপনাদের ভাবী আসলেই খুব ভালো মনের মানুষ। তবে কন্ডিশান একটাই............কথার অবাধ্য হওয়া যাবে না। :-B

১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: সেই ঝামেলা তো আপনার বউএর কথা না শুনে।

পড়তে ভালো লেগেছে। দারুণ! বিস্তারিত ভ্রমন ব্লগও পড়বো আশা করছি। পোষ্টে প্লাসসস !

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে যেই পরিমান ঝামেলা পোহাতে হয়েছে, তাতে এখন মনে হচ্ছে, পোষা স্বামী হওয়াই নিরাপদ।

আসলে মিউনিখের পোষ্টগুলো দেওয়াই এখনও শেষ করতে পারি নাই। এরই মধ্যে হঠাৎ করে এই ট্যুরটা দিলাম। এখন ভাবছি, জার্মানীরটা শেষ করবো আগে, নাকি এটা দিব। নাকি দু'টা সিমুলটেনিয়াসলি চালাবো। আপনি কি বলেন?

বহুদিন পড়ে দেখলাম আপনাকে। কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছেন নাকি? যদিও কবিতা থেকে ভয়ে আমি শতহস্ত দূরে থাকি, তবুও ভদ্রতা করে জিজ্ঞেস করলাম আর কি!!! :)

১৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কাশ মে বি এয়সে ডাট সাক্তিহো মেরে পতিদেবকো হাহাহাহা

আমারটা তো দেখি উল্টা আমি কিছুই কইতে পারি না

তবে এমন দুর্ভোগের জার্নি সফল কেমনে বুঝলাম না

শনি কপালে দেখা দিয়েছিল যাবার বেলাতেই তখনও ভাবীর কথা শুনলেই পারতেন। বেশী ঘাড়ত্যাড়ামি করলে এমন মজাই খাইতে হয় হাহাহা

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে তো দেখি এক্সাইটেড হয়া হিন্দি কওয়া শুরু করছেন। তবে যতো যাই করেন, আপনেরে দিয়া এইসব ডাটাডাটি হবে না। নাকি ঠিকই ডাটেন, আমাদের কাছে সাধু সাজতেছেন, কে জানে? =p~

তবে এমন দুর্ভোগের জার্নি সফল কেমনে বুঝলাম না আপনেরে নিয়া এই হইল সমস্যা। সবকিছু ভাইঙ্গা না কইলে বুঝতে চান না। বেড়াইতে গেছি। পরান ভইরা নতুন দেশ দেখলাম, নতুন মানুষ-সংস্কৃতি দেখলাম। আর আমি সেইখানে যা যা দেখার টার্গেট করছিলাম, সব দেখলাম। তো, সফল হইলো না? মেইন দূর্ভোগ তো হইলো আসার সময়। সেইটাতো বেড়ানো শেষ করার পরে। কি বুঝলেন? :)

বেশী ঘাড়ত্যাড়ামি করলে এমন মজাই খাইতে হয় ঠিকই কইছেন। আর করুম না। প্রমিস!! ;)

২০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তাইলে তো উলটাটাও হতে পারে - সৎ মানুষের জন্য কেউ বদ্‌দোয়া করলে সেটা সৎ দোয়া হইয়া যায় :)

জগত দেখুক, বউয়ের কথা না মানলে কীরকম ফ্যাসাদে পড়তে হয় :) বিয়েতে গেলে টাকাগুলোও বাঁচতো, এই কষ্টও এড়াইতে পারতেন :)

যাই হোক, বরাবরের মতোই সাবলীল, ঝরঝরে লেখা - হাসিকান্নায় ভরপুর (পাঠকের হাসি, আপনার কান্না আর কী)।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সৎ-দোয়া বইলা তো কোন শব্দ নাই, খলিল ভাই। কিন্তু বদ-দোয়া আছে। অবশ্য সেইরকম শব্দ থাকলেও লাভ হইতো না। আমার বউ তো আমারে সৎই মনে করে না, বদ মনে করে!! :-B

জগৎ দেখলো কি না দেখলো, তাতে কি আসে যায়? আমি যেই পেরেশানী পোহাইলাম সেটা কি জগৎ দেখলে কমবে? বিয়েতে গেলে টাকাগুলোও বাঁচতো, এই কষ্টও এড়াইতে পারতেন কথা সত্যি। আমার বউ যে কালাযাদু জানে, সেইটা যদি আগে জানতাম, তাইলে কি আর মরতে মরক্কো যাই? :((

পাঠকের হাসি, আপনার কান্না B:-)

দোয়া রাইখেন। মুরুব্বীদের দোয়া আমার জন্য এখন খুবই জরুরী। :)

২১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যাক সামনে আর সংসারে ক্যাচাল করে ভ্রমণে বেড় হবেন না।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দোয়া রাইখেন। :)

২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৩

মিরোরডডল বলেছেন:




ভুমিতো পুরোই রক !
ভুমের এই নাজেহাল অবস্থার কাহিনী পড়ে খুবই মজা পেলাম :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুমিতো পুরোই রক ! তাই তো দেখছি!

কারো নাজেহাল অবস্থা দেখে মজা পাওয়া ঠিক না, সমবেদনা জানানো উচিত! আমি মানুষটা কিন্তু খুব একটা খারাপ না। :P

২৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০০

অপ্‌সরা বলেছেন: না না না ভইয়ার জন্য কেউ বদদোয়া করে!!!!

ভাইয়ারা তো লক্ষি হয়! শুধু ভাবীদের কাছেই বদ আর তাই ভাবীজী আরও আরও বদদোয়া দিক! :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ''ভাইয়া''র জায়গায় ইচ্ছা করে ''ভইয়া'' বললে কিনা বুঝতে পারলাম না। আমার মনোঃজগতে বড় রকমের ভূমিকম্প হয়েছে। আজকাল রজ্জুকে সাপ মনে হয়!! ভইয়া বলতে কি ভুইয়া নাকি ভাইয়া, নাকি ভইয়াই বুঝাচ্ছো? অবশ্য ভইয়া মানে জানি না। আশা করি, ভালো কিছুই হবে। :-B

ঠিক ঠিক..........ভাইয়ারা লক্ষীই হয়। ভাবছি আমার বউকে বলবো, এখন থেকে আমাকে ভাইয়া ডাকবা। তাইলে যদি বদ বদলে গিয়ে পরিস্থিতির কিঞ্চিৎ উন্নতি হয়!!! =p~

২৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১৩

সোহানী বলেছেন: আমি কস্মিককালেও শুনি নাই রিটার্ন টিকেটের প্লেনই গায়েব হইতে... B-)) । আসলে আপনি কি করছেন কনতো ভাইজান? ভাবীর ভয়ে কুকাম করতে যাইয়া সব হজবরল করছেন!!

হোটেলের বুকিং এর ঝামেলা ঠিকাছে !! ওরা যেটা করে, পিক সিজনে ইচ্ছা কইরা কম বুকিং দেয়। যাতে আপনি বাধ্য হোন টাকা গচ্ছা দিয়ে বেশী দামে বুকিং দিতে। এ ঝামেলায় একবার আমিও পড়ছিলাম। আর সেইবারেই আমার সাথে ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সব আমলারা। আমারে ফালা ফালা কইরা ফালাইছিল তাহারা :((

আর জার্নিতে বমি..........। কন কি ভাইজান!!!

এইবার বুঝেন, ভাবীগো কত ক্ষমতা B-)) । ভবিষ্যতের লাইগা সাবধান হোন!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি কস্মিককালেও শুনি নাই রিটার্ন টিকেটের প্লেনই গায়েব হইতে... B-)) । আসলে আপনি কি করছেন কনতো ভাইজান? ভাবীর ভয়ে কুকাম করতে যাইয়া সব হজবরল করছেন!!

আপনে আজকাল আমার সবকিছুতেই প্যাচ ধরেন। আমি আপনের কি ক্ষতিটা করছি? :P

আপনেরে অহন ভাইঙ্গা কইতে হইবো? আচ্ছা, কই। ইজি জেট, রায়ান এয়ারের মতোন বাজেট এয়ারলাইন্সগুলি নেয় সস্তায়। ফেরত আনার সময় সিজনে বা শর্ট টাইমের রিটার্নে (বা তাগো অন্য কোন হিসাব-কিতাব আছে) দাম বাড়ায়ে দেয়। সেইজন্য অনেক সময়ে ওয়ানওয়ে জার্নি সস্তা পড়ে। আমি কি কুনো হানে কইছি, আমার একই এয়ারলাইন্সে রিটার্ন আছিল? আমারটা রিটার্ন ফ্লাইট আছিল না। গেছি রায়ান এয়ারে, আসারটা ছিল ভলোটিয়া'র (Volotea) ফ্লাইট। ওই হালার হালারা গ্যান্জামটা লাগাইছে। বিষয়টা কি কিলিয়ার? না হইলে আওয়াজ দিয়েন।

আর জার্নিতে বমি..........। কন কি ভাইজান!!! এই দ্যাখেন, আবার আপনেরে ভাইঙ্গা কইতে হইবো। আমি তো পুষ্টে কইছিই, এমনে কোন সমস্যা হয় না। চলন্ত অবস্থায় কিছু পড়লে সমস্যা হয়। এই জন্য আমি চলন্ত অবস্থায় বাইরে তাকায়া থাকি; আকাশ-বাতাস দেখি। পরিস্থিতির কারনে বাধ্য হয়া মোবাইল টিপাটিপি করতে হইছে। আর চলন্ত অবস্থায় মোবাইলে কিছু লিখতে গেলে গাড়ির দুলুনিতে প্রায়ই আসল কি-তে চাপ না পইড়া আশে-পাশে পড়ে। ডিলিট কইরা আবার লিখন লাগে। এই করতে করতে মোবাইলের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকায় থাকতে হইছে। একটা টিকেট করার জন্য, পেমেন্ট আর পারসোনাল ইনফো দিতে কতো সময় চলন্ত অবস্থায় মোবাইলে লাগতে পারে, অহন আপনের বিবেচনা।

এইবার বুঝেন, ভাবীগো কত ক্ষমতা B-)) । ভবিষ্যতের লাইগা সাবধান হোন! হ বুজছি, সাবধান হওনের চেষ্টাও নিতাছি। এখন কন, পারিবারিক কাইজ্জায় আপনের পারফরমেন্স কেমন? ভাইজানের জন্য সহানুভূতি আর দোয়া রইলো। =p~

২৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১১

ইসিয়াক বলেছেন:










দুইটা।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দারুনস!!!

২৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৯

ইসিয়াক বলেছেন: নতুন গল্প " গ্যাড়াকল" পোস্ট দিয়েছি ভাইয়া। আমন্ত্রণ রইলো।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়লাম গল্পটা। লাইকও দিয়ে এসেছি, তবে গোস্বা করে মন্তব্য করি নাই। কারন, আপনার একটা গল্পে শেষবার যে মন্তব্য করেছিলাম, তার উত্তর এখনও দেন নাই। এটা আমার দৃষ্টিতে একটা ক্রিমিনাল অফেন্স। অন্য কেউ হলে পড়তামই না। আপনাকে আমি যেহেতু বেশ পছন্দ করি, তাই এই ছাড়! :)

২৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখাটা পড়ার সময় মনে হয়েছে কোন কমেডি মুভি দেখছি :)
আচ্ছা ভুম যে একটা লেখা পাঠকদের প্রতি প্রশ্ন রেখে পরের পর্বে আসবে বলে গেলো, সেই পোষ্ট কোথায় ?
মিলিয়ে দেখবো নাহ অনুমান সঠিক হয়েছে কিনা #:-S


২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখাটা পড়ার সময় মনে হয়েছে কোন কমেডি মুভি দেখছি B:-)

সেটা তো ছিল মিউনিখ ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্ব। সেই লেখাটা মোটামুটি শেষ, কিন্তু এর মধ্যে ফাকতালে মরক্কো গিয়ে ফোকাস সরে গিয়েছে। এখন কনফিউশানের মধ্যে আছি। মিউনিখেরটা দিব নাকি এই লেটেস্ট তান্জিয়ারেরটা। মিডের মুল্যবান মতামতটা জানলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। :)

২৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫২

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হা এসেছিলাম তোমার সাপের ছোবল দেখতে.......

তারপর তোমার জবাব পড়ে হাসতে হাসতে আমি শেষ!!!!!!!!!!!!!!!!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৮০

লেখক বলেছেন: ''ভাইয়া''র জায়গায় ইচ্ছা করে ''ভইয়া'' বললে কিনা বুঝতে পারলাম না।
না না ইচ্ছা করে বলিনি। ভুল করে বলেছি ভইয়া!!!!!!!!! :P


আমার মনোঃজগতে বড় রকমের ভূমিকম্প হয়েছে। আজকাল রজ্জুকে সাপ মনে হয়!! ভইয়া বলতে কি ভুইয়া নাকি ভাইয়া, নাকি ভইয়াই বুঝাচ্ছো? অবশ্য ভইয়া মানে জানি না। আশা করি, ভালো কিছুই হবে। :-B

ভইয়া মানে হলো ভাইয়ার থেকেও বড় কিছু আমি ছোটবেলায় শ্রীকান্ত পড়বার সময় দেখেছিলাম লেখা আছে মহামারীতে মরা একটি ছোট বাচ্চা ছেলেকে শ্রীকান্ত দুঃসাহসী বালক যখন পোড়াতে না পেরে জলে ভাসিয়ে দিচ্ছিলো। জলে নামাবার সময় তার মনে হলো ছেলেটা বলে উঠলো " ভইয়া" হয়ত ছাপার ভুল বা ওমন করেই লেখা ছিলো। সেই বাক্যটা আমার মনে গেঁথে আছে আজও। কি নিদারুন কষ্ট লাগে মনে হয় যেন দেখতে পাচ্ছি সেই রাত আর ঐ ছোট্ট বাচ্চাটার মৃতদেহ। ওমন করে কি ফেলে দেওয়া যায় বলো? :(
মনটা খারাপ হয়ে গেলো।

ঠিক ঠিক..........ভাইয়ারা লক্ষীই হয়। ভাবছি আমার বউকে বলবো, এখন থেকে আমাকে ভাইয়া ডাকবা। তাইলে যদি বদ বদলে গিয়ে পরিস্থিতির কিঞ্চিৎ উন্নতি হয়!!! =p~


আর এটা কি বললে !!!!!!!!!!!! বউকেও ভাইয়া ডাকতে বলবা!!!!!!!!!! ভাইয়া তোমার কপালে আজ কি আছে তাই নিয়েও একটা লেখা লিখে দিও ওকে!!!!!!!!!!!!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভইয়া মানে হলো ভাইয়ার থেকেও বড় কিছু যাক, শুনে আশ্বস্থ হলুম! তবে ভাইয়াটাই অনেক সুইট। একেবারে আইসিং সুগারের প্রলেপ দেয়া।

বাল্যকালে শ্রীকান্তের ওই ঘটনাটা রাতে পড়লে ভয় পেতাম। তারপরেও কি এক আকর্ষণে বার বার পড়তাম। আর শ্রীকান্তের ওই ভাইকে কুত্তা তাড়া করে পানিতে ফেলার ঘটনা পড়ে হেসে কুটি কুটি হতাম।

তোমার ভাবীকে এখনও ভাইয়া বলার প্রপোজাল দেই নাই। আপাততঃ সাহস সঞ্চয়ের মিশনে আছি। :P

২৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭

মিরোরডডল বলেছেন:




এটা যখন শুরু করেছে, শেষ করুক ।
তারপর নতুন লেখা শুরু করার আগে, মিউনিখের পরের পর্ব শেষ করবে ।
বেশি লেইট করলে ভুলে যাই কি পড়েছিলাম :(

ভুম জানতে চেয়েছে বলে বললাম কিন্তু :)



২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে পুতুল মানবী............তবে, তাই হবে!!! :P

৩০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: জিব্রাল্টার প্রনালী দেখে ভাল লাগল। সেই ক্লাস নাইন টেনের ভুগোলে মনে হয় এসব নাম পড়তাম। দুরাবস্থার কাহানী =p~

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: জিব্রাল্টার প্রণালী দেইখা ভালো লাগলো, ভালো কথা। কিন্তু ''দুরবস্থার কাহানী'' বইলা যেই রকমের লম্বা-চওড়া হাসি দিলেন, এইটা কি ঠিক হইলো? B:-)

৩১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: অবশেষে একটা লেখা শেষ হল মনে হচ্ছে । পড়িয়া দেখেন ।

০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সময়ের ভীষণ টানাটানিতে আছি। তার মধ্যে একটা পোষ্ট দিয়া ফাইসা গেছি। যাই হোক, সময় নিয়া মনোযোগ দিয়া পড়তে হবে। গল্পটা লেখার জন্য পড়ার আগেই অগ্রীম ধন্যবাদ। :)

০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পটা পড়ার পরে কি ফিডব্যাক দিতে হবে? কোথায় দিবো? মেইলে?

৩২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: সামুতে যখন পোস্ট করবো তখন সেখানে ফিডব্যাক দিলেই চলবে ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওকে! :)

৩৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বদ লোকের জন্য দোয়া করলে বদ-দোয়া হয়ে যায়!!!

চিল্লাইয়া বলেন ঠিক কিনা ??

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চিল্লাইতে পারুম না। ''সন্দেহজনক ঠিক''!!! :P

৩৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: বহুদিন পড়ে দেখলাম আপনাকে। কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছেন নাকি? যদিও কবিতা থেকে ভয়ে আমি শতহস্ত দূরে থাকি, তবুও ভদ্রতা করে জিজ্ঞেস করলাম আর কি!!! হা হা হা। অনেক দিন পরে আপনার মন্তব্য পড়ে হাসলাম

১০ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাসি শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাধিক উপকারী!!! ;)

৩৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮

আমি সাজিদ বলেছেন: আমারও পছন্দ- অপছন্দের বিষয়টা কিছুটা এমন। সাতাশ বসন্ত পার করে এখন আমি অপছন্দের মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকা শিখছি। আগে ভাবতাম, মানিয়ে চলা উচিত, আমারও ভুল, সবার সাথে মৈত্রী আর কারও সাথে বৈরিতা নয়। এখন ভাবি, আমি সাধু সন্ত নই। লেখা প্রসঙ্গে আবার আসি, সফররত অবস্থায় জু'মার নামাযের নিয়ম কি আমার জানা নাই। তাঞ্জিয়ারের বর্ণনা আরেকটু বিশদ দিলে ভালো লাগতো পাঠকের। ফেরি দিয়ে জিব্রাল্টার পার হওয়ার অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আনন্দময় ছিল ( যদিও ফ্লাইট ধরার চিন্তাটা ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজে ছিল)। তাঞ্জিয়ারের খাবার স্যুট করে নাই জেনে খারাপ লাগলো। বর্ণনা যথারীতি চমৎকার ও সাবলীল।

আমি পাঁচ ছয় মাস আগে বাইরের এক রিসোর্টে লোকাম ডাক্তার হিসেবে একমাস কাজ করার সুযোগ নিয়েছিলাম, অভিজ্ঞতা আর রিল্যাক্সের জন্যই বলতে পারেন। ওখানে একটা ভিলা আইল্যান্ডের ম্যানেজার ছিল এক মরোক্কান মেয়ে, নাম মাজদা। বেশ সুন্দরী, ক্যাফেতে লাঞ্চ করতে করতে অমিতাভ বচ্চনের সিনেমার নামও বলে অবাক করে দিয়েছিল। ইচ্ছা ছিল নীল সমুদ্রের পারে বসে একসাথে আড্ডা দিবো, আমার ইন্ডিয়ান নার্স মাঝে প্ল্যানটা গোলমাল করে দিল! মাজদার কথা মনে পড়ে গেল, এতদিনে ওই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা!

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সাতাশ বসন্ত!!! আপনি দেখা যাচ্ছে অল্প বয়সেই প্রচুর ম্যাচিওরড!!! আপনার বয়সে আমি এতোটা ছিলাম না। ;)

সবার সাথে মানিয়ে চলা আসলে বাস্তবে সম্ভব না।

লেখা প্রসঙ্গে আবার আসি, সফররত অবস্থায় জু'মার নামাযের নিয়ম কি আমার জানা নাই। এটা কোথায় পেলেন? আমার পোষ্টে তো এই নিয়ে কিছু বলি নাই! B:-)

তাঞ্জিয়ারের বর্ণনা আরেকটু বিশদ দিলে ভালো লাগতো পাঠকের। হবে হবে। অপেক্ষা করেন।

তাঞ্জিয়ারের খাবার স্যুট করে নাই জেনে খারাপ লাগলো। এটাই বা কোথায় পেলেন? খাবার স্যুট করেছে তো!!! B:-)

আপনার অভিজ্ঞতা জানলাম। বিস্তারিত লিখে পোষ্টান। জনগনও জানুক আপনার মাজদা গাড়ির অভিজ্ঞতা!!! মরক্কোর মেয়েদের সৌন্দর্যের খ্যাতি আছে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.