নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব রাজনীতিতে পরিবর্তনের সূরঃ একটা পর্যবেক্ষণ

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০১



আমার একটা অভ্যাস আছে। সময়-সুযোগ পেলেই আমি আমার পুরানো পোষ্টগুলোতে চোখ বুলাই। বিশেষ করে পোষ্টের মন্তব্যগুলো পড়ি। ঈদের ছুটিতে তেমনই কিছু চোখ বুলালাম। ২০২০ এর মাঝামাঝি আর ২০২১ এর শুরুর দিকে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আর বিশ্বমঞ্চে আমাদের সাধের আম্রিকার মোড়লগিরি নিয়ে দু‘টা পোষ্টে আর মন্তব্যে কিছু কথা বলেছিলাম। আশা করি নাই যে, এতো তাড়াতাড়ি কিছু নমুনা দেখতে পারবো। সেসব নিয়েই আজকের পোষ্টের অবতারনা।

বিশ্ব রাজনীতিতে বড় বড় দু'টা ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে। দু'টাই চলমান এখনও এবং আরো বহুদিন চলমান থাকবে নিঃসন্দেহে। আমি খুবই আগ্রহ নিয়ে বিষয়গুলো লক্ষ্য করছি। একটা এই দশকের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা, আরেকটা সম্ভবতঃ এই শতকের সবচাইতে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হতে চলেছে। আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, এই দুই বিষয়ে ব্লগে কোন পোষ্টই নাই। অপেক্ষা করলাম, ভাবলাম কেউ না কেউ তো অবশ্যই দিবেন এই সূদুঢ়প্রসারী বিষয় দু'টা নিয়ে পোষ্ট। নিজে লেখার চাইতে সেখানে গিয়ে খানিকটা বাৎচিৎ করা আমার জন্য সুবিধাজনক। কিন্তু হা হতোস্মী! শেষে নিজেই কলম…….থুক্কু…….কি বোর্ড ধরলাম। না, রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে না। আগেই ইঙ্গিত দিয়েছি। ইয়েস…...মধ্যপ্রাচ্যে পট পরিবর্তন এবং বিশ্বে আমেরিকার আধিপত্য খর্ব নিয়ে। এবং অতি-অবশ্যই এই দু'টা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত।

আমেরিকার সুপার পাওয়ার হওয়ার পিছনে প্রধান নিয়ামক দুইটা। একটা হলো তাদের ডলার, অন্যটা তাদের অস্ত্র। অবশ্য ডলারকেও তারা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। তবে, সেটাতে পরে আসছি। আগে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে খানিকটা কচলা-কচলি করে নেই!

মধ্যপ্রাচ্যে সব সময়েই আমেরিকা সবচাইতে বড় খেলোয়াড়। তাদের আঙ্গুলী হেলনেই এতোদিন হয়ে এসেছে সব ঘটনা-দুর্ঘটনা। কিন্তু এবার সৌদি আরব আর ইরান তাদের দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে, আর সেটা করছে আমেরিকার অনুপস্থিতিতে চীনের মধ্যস্থতায়। দারুন না বিষয়টা!!!

চলেন তাহলে দৃষ্টি ফেরাই মধ্যপ্রাচ্যে।

সাত বছর আগে সৌদি আরব আর ইরানের মধ্যে যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল, তার অবসান হয়েছে চীনের মধ্যস্থতায়। তারা আবার দূতাবাস খোলার প্রক্রিয়ায় আছে। দু'দেশের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু করছে; ফলে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যালেন্স অফ পাওয়ারে বেশ বড় একটা পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আসলে এতোদিন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া কোন বিকল্প ছিল না। ফলে মার্কিন খবরদারী তারা পছন্দ করুক আর না করুক, মানতে বাধ্য ছিল। এখন দিন পাল্টাচ্ছে আর তার প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা আমেরিকার কুটনৈতিক ব্যর্থতা। তারা চীনকে ভু-রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করে তাইওয়ান ইস্যুতে শুধু নাক না, গোটা শরীর গলিয়ে দিয়ে তাদের ফোকাস মধ্যপ্রাচ্য থেকে এতোটাই সরিয়েছে যে, সেটা চীনকে এখানে প্রভাব বিস্তার করার একটা সূবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। আমেরিকার ইলিনয় স্টেট ইউনিভিার্সিটির রাজনীতির অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, অতীতের তুলনায় মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার নিস্ক্রিয়তা আর চীনের সক্রিয়তা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পরিবর্তিত চিন্তাধারা এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে।

যুক্তরাষ্ট্র এখন মূল ভূমিকা পালন করছে বাহুবলীর, অপরদিকে চীন যেহেতু জানে এইক্ষেত্রে তারা সহসা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কুলিয়ে উঠতে পারবে না, তাই তারা মনোযোগ দিয়েছে অর্থনীতি আর কূটনীতির দিকে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সরাসরি গ্যান্জামে না গিয়ে পরোক্ষভাবে তাদের প্রভাব কমানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে। এখানেই বাইডেন ধরা খাচ্ছে শি জিনপিংয়ের কূটনীতির কাছে। এভাবেই বিশ্বমঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রকে দূর্বল করার মিশনে নেমেছে চীন।

ওদিকে ওমানের মধ্যস্থতায় সৌদি-ইয়েমেনের দীর্ঘ আট বছরের যুদ্ধ বন্ধ হচ্ছে। যদিও ওমান লাইম লাইটে, কিন্তু পেছন থেকে তাকে শক্তি যোগাচ্ছে ইরান। কারন কে না জানে, সৌদিদের ঘুম হারাম করে দেয়া হুথিদের মূল শক্তি হলো ইরান। ইতোমধ্যেই যুদ্ধবিরতী হয়েছে। আলোচনা চলছে ইয়েমেনের সমুদ্র বন্দরগুলো থেকে সৌদি অবরোধ তুলে নেয়ার।

কাতারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে বাহরাইন। ইরানের সাথে দহরম মহরমের কারনে জিসিসি'র দেশগুলোর মধ্যে যে তিক্ততা হয়েছিল সেটা অবসানের সর্বশেষ পর্দা উঠছে এবার। সিরিয়াও শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে।

সম্প্রতি চীন-সৌদির তিন হাজার কোটি ডলারের চুক্তি, বাইডেনের বিগত সৌদি সফরে লাল গালিচা সম্বর্ধনা না দেয়া, অথচ শি জিনপিংকে সৌদি সফরে লাল গালিচা সম্বর্ধনা দেয়া, এসবই মধ্যপ্রাচ্য তথা আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের নজর কেড়েছে। এগুলো কিসের ইঙ্গিত? আপনারা হয়তো জানেন যে, সৌদি অপরিশোধিত তেলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ চীন একাই আমদানী করে। অপরদিকে চীন পৃথিবীতে যতো বিনিয়োগ করেছে, তার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ সৌদিতে করেছে। একেবারে উইন উইন সিচুয়েশান, কি বলেন!!

মধ্যপ্রাচ্যের এহেন পরিস্থিতি মহা চিন্তায় ফেলেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোড়া ইজরায়েলকে। ওস্তাদের মতো শিষ্যও ঘরে আর বাইরে বহুমুখী সমস্যায়। ওস্তাদের ঘরের সমস্যার উপরে আলোকপাত পরে করছি, আগে শিষ্যের ব্যাপারটা বলি। হামাস-ফাতাহ সমঝোতার কথাবার্তা চলছে। ইজরায়েল ভাবছে, এতোদিন শুধু হামাস রকেট মারতো, এখন হামাস আর ফাতাহ যদি একসাথে রকেট মারা শুরু করে তাহলে উপায়? আর তার সাথে লেবানন থেকে হেজবুল্লাহ যদি যোগ দেয়? ওদিকে সিরিয়ার সাথে তিউনিসিয়া আর সৌদির সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে। আরব দেশগুলোকে ইরানের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দিয়ে আর ওস্তাদের মাধ্যমে আরবদের মধ্যে বিভক্তির কার্যক্রম চালু রাখার যেই ফায়দা তারা এতোদিন নিচ্ছিল বা নিতে চাচ্ছিল তা ভেস্তে যেতে বসেছে। দশের লাঠি একের বোঝা হয়ে তাদের কাধে চাপে কিনা তা নিয়ে টেনশান; তার উপরে আবার আভ্যন্তরীণ তুমুল সরকার বিরোধী আন্দোলন! মাথার ঘায়ে একেবারে কুত্তা পাগল অবস্থা!!!

এর সাথে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরের আরেকটা বিষয় না বললেই না। আমেরিকার বিশ্বাসঘাতকতায় মুগ্ধ তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র ফ্রান্স এখন সূর বদলাচ্ছে। ফরাসী প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইউরোপকে আমেরিকার বলয় থেকে বেড়িয়ে এসে নিজেদেরটা নিজেদেরই বোঝা উচিত। ইউরোপের উচিত হবে না তাইওয়ানের ব্যাপারে নাক গলানো। তিনি আরো বলেন, ফ্রান্স ক্রীতদাসের মতো মার্কিন নীতি অনুসরণ করবে না।

এবার আসি ডলার প্রসঙ্গে। আমেরিকার সুপার পাওয়ার হওয়ার পেছনে যে ডলারের ভূমিকা অনস্বীকার্য, সেটাও আজ হুমকির মুখে। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য পাতা গর্তে নিজেরাই পড়ে গিয়েছে আমেরিকা আর মিত্ররা। রাশিয়ার উপর বিভিন্ন অর্থনৈতিক অবরোধের কারনে শক্তিশালী হয়েছে রাশান রুবল আর চীনা ইউয়ান। যতোই দিন যাচ্ছে, আরো নতুন নতুন দেশ ডলার বাদ দিয়ে রুবল আর ইউয়ানের দিকে ঝুকছে। ফলে দিনে দিনে ডলারের গুরুত্ব কমছে, আর ইউয়ান আর রুবলের গুরুত্ব বাড়ছে।

বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চীন, দক্ষিন আফ্রিকা নিয়ে গঠিত জোট) এ যোগদানের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত বছর সৌদি তেলের উৎপাদন দুই শতাংশ কমানোর ঘোষণায় আমেরিকা কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই সৌদির এই আগ্রহ। তুরস্ক, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, আর্জেন্টিনাসহ আরো অনেক দেশও এই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সৌদি আরব যদি ব্রিকসে যোগ দিয়েই ফেলে তাহলে মার্কিন অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে পড়বে মোটামুটি সুনিশ্চিত। যদি তাই হয়, আর ব্রিকস মুদ্রা বাজারে চলেই আসে তাহলে বলতে গেলে পুরো বিশ্বকেই ডলারের বদলে ব্রিকস মুদ্রায় জ্বালানীর জন্য লেনদেন করতে হবে। আমরিকান ডলারের এই সম্ভাব্য পতনকে বলা হচ্ছে ডি-ডলারাইজেশান, যা ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা এটার জন্য বাইডেনের বেকুবীকে দায়ী করছেন। তাদের বক্তব্য হলো, একজন দূরদর্শী বিশ্বনেতাকে তার কাজের ইম্প্যাক্ট আগেই বুঝতে হবে। বাইডেন আর তার মিত্ররা যে বড় গলায় হাক-ডাক করে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক অবরোধ জারী করেছিল; যতোই দিন যাচ্ছে, ততোই সেটা তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দাড়াচ্ছে। বাইডেনকে বাফুন (buffoon…..a ridiculous but amusing person; a clown) বলা হচ্ছে খোদ আমেরিকায়। অবরোধের ফলে রাশান রুবল যুদ্ধ শুরুর আগের চাইতে এখন বেশী শক্তিশালী হয়েছে। আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আমেরিকা কিছু হলেই যেভাবে তাদের ডলার-অস্ত্র দিয়ে বিভিন্ন বৈরী সরকারগুলোকে সাইজ করার ধান্ধা করে, ফেডারেল রিজার্ভে রাখা বিভিন্ন দেশের ডলার নিয়ে ব্ল্যাক মেইলিং করে; তাতে রাষ্ট্রগুলো তাদের রিজার্ভ কারেন্সীর ক্ষেত্রে ডলার বাদ দিয়ে বিকল্প খোজার প্রবণতা দিন কে দিন বাড়াচ্ছে। এটাও আমেরিকার মিডিয়ারই বক্তব্য। আর এসব কিন্তু বিশ্বের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশ না…….ব্রাজিল, ভারত, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, চায়নার মতো বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোও করছে।

এই ডামাডোলে আমাদের বাংলাদেশের কি অবস্থা? রাশিয়ার ঋণ চীনা মুদ্রায় শোধ করার সাহস সঞ্চয় করতে পারলেও রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কেনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। যেটা সম্প্রতি পাকিস্তান গ্রহন করার সাহস দেখিয়েছে। বাংলাদেশের এই ধীরে চলা নীতি কি একটু বেশীই ধীর না? ভারত তো আগে থেকেই রাশান তেল কিনছে। ফ্রান্স পর্যন্ত তরল গ্যাস বানিজ্যের ক্ষেত্রে চীনা মুদ্রা ব্যবহার করছে। এমনকি জাপানও রাশান তেল কিনছে। তাহলে?

আভ্যন্তরীণ সমস্যায়ও যুক্তরাষ্ট্র জর্জরিত। বিগত সরকারের বিদায়ের সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ব্যাঙ্কিং খাতে ধ্বস (এই বিষয়ে ব্লগার আমি তুমি আমরা চমৎকার একটা পোষ্ট দিয়েছেন), পেন্টাগনের গোপণ নথি ফাস জনগনের আস্থায় চিড় ধরিয়েছে। শেষ করছি আমেরিকান থিঙ্কট্যাঙ্ক ব্রাউনস্টোন ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট জেমস টাকারের আশংকা দিয়ে, ''আমেরিকানরা তাদের দেশের ঐতিহ্যগত মুল্যবোধ হারিয়ে ফেলছে। ফলে পৃথিবী জুড়ে তাদের আধিপত্যের সমাপ্তি দেখা দিতে পারে।'' এই ঐতিহ্যগত মুল্যবোধ বিষয়টা কি? সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়াল স্ট্রীট জার্নালের এক জরীপে দেখা যাচ্ছে, দেশপ্রেম, ধর্ম এবং সন্তানধারনের মতো মুল্যবোধগুলোর গুরুত্ব ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। গত ২৫ বছরে দেশপ্রেমকে গুরুত্ব দেয়া নাগরিকের সংখ্যা ৭০% থেকে ৩৮% এ নেমে এসেছে। ধর্মকে আগে গুরুত্ব দিতো ৬২ শতাংশ আমেরিকান। এখন দেয় ৩৯ শতাংশ। আর শিশুদেরকে লালন-পালন করাকে অগ্রাধিকার দিতো ৫৯% মানুষ, যা এখন নেমে দাড়িয়েছে ৩০% এ। টাকারের মতে, মুল্যবোধের এই পরিবর্তন যদি অব্যাহত থাকে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগের গৌরব আর ফিরে পাবে না।

যতোটা সম্ভব সংক্ষেপে বর্তমানের পুরো চিত্রটা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম, তারপরেও পোস্ট বড় হয়ে গেল। বিশ্বের ভু-রাজনৈতিক এই পট পরিবর্তন কতোটা দীর্ঘস্থায়ী অথবা টেকসই হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে। কাজেই আপাততঃ গ্যালারীতে বসে খেলা দেখা আর পপকর্ণ চিবানো ছাড়া কোন গতি নাই। দেখতে থাকেন, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়!!!

ছবিসূত্র।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

জটিল ভাই বলেছেন:
আমেরিকার সুপার পাওয়ার হওয়ার পিছনে প্রধান নিয়ামক দুইটা। একটা হলো তাদের ডলার, অন্যটা তাদের অস্ত্র। অবশ্য ডলারকেও তারা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে।

দ্বিমত করছি। নিয়ামক হবে তিনটি। ডলার, অস্ত্র, এবং আপনার বড় ভাই। যাকে ব্লগীয় অস্ত্র হিসেবে আমেরিকা ব্যবহার করে থাকে =p~

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দ্বিমত করছি। নিয়ামক হবে তিনটি। ডলার, অস্ত্র, এবং আপনার বড় ভাই। যাকে ব্লগীয় অস্ত্র হিসেবে আমেরিকা ব্যবহার করে থাকে =p~ ভুল পর্যবেক্ষণ। আমার বড়ভাই ডলারের কারনেই আমেরিকা কর্তৃক ব্লগীয় অস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়!!! :P

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

বাহুবলি মুভি না বের হলে আমেরিকার ভুমিকা কিভাবে তুলনা করতেন?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুন্য সারমর্ম হিসাবে তুলনা করতাম। =p~

জোকস এপার্ট। আপনার জানার জন্য বলি, হিন্দিতে বাহুবলী মানে শক্তিশালী ব্যক্তি। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা বা মাফিয়া ডনদের প্রধান সহচরকে বাহুবলী বলা হয়। এটা এই মুভি মুক্তি পাওয়ার বহু আগে থেকেই প্রচলিত একটা টার্ম।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

জটিল ভাই বলেছেন:
ওস্তাদের মতো শিষ্যও ঘরে আর বাইরে বহুমুখী সমস্যায়।
সার্বিক বিষয়টা অন্য এ্যাংগেল থেকেও কেমন যেনো মিল পাচ্ছি। =p~ তারসঙ্গে লিয়াজোর বিষয়গুলোও :P
আশা করছি অন্য এ্যাংগেলের লিয়াজোর মতো করে আরব বিশ্বের লিয়াজোও খুব একটা টিকসই হবে না =p~

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নাহ.........আপনেরে নিয়া আর পারি না। কিসের সাথে কিসেরে মিলান!!! ;)

তারপরেও অভজার্ভেশান একেবারে মন্দ না। শান্তির জন্য যে কোনও লিয়াজোকেই ওয়েলকাম। ভালো জিনিস টেকসই হোক, খারাপগুলি দুরে গিয়া মরুক!!! :-B

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ডলারের দিন শেষ,আপনার অনুমান সঠিক বলে মনে হচ্ছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘটনা প্রবাহ সেইদিকেই যাচ্ছে। সময় লাগবে, তবে ডলারের শণির দশা শুরু হয়ে গিয়েছে, এটা নিশ্চিত।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমেরিকারে যে রোগে ধরছে কোনো প্রেসিডেন্ট আইসা তার চিকিৎসা করতে পারবো বলে তো মনে হয় না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খারাপ দিন যখন শুরু হয়, তখন চতুর্দিক থেকেই শুরু হয়। আমেরিকা যেই কমপ্লেসেনসিতে ভুগছে দীর্ঘদিন ধরে, সেখান থেকে বের হয়ে আসা মুশকিলই হবে। বিশ্বে আমেরিকার মাস্তানীর দিন শেষ হয়ে আসছে ধীরে ধীরে। :)

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: পোস্ট পড়ে তো মনে হচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যেই আমেরিকার পতন হচ্ছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই রকম কিছু কি পোষ্টে আছে? পোষ্ট পুরাটা পড়েছেন বলে তো মনে হচ্ছে না। তবে এটাও ঠিক, কারো কারো কল্পনা শক্তি এতোটাই প্রখর যে, কড়া রোদের মধ্যেও পূর্ণিমার চাদ দেখতে পায়!! =p~

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯

আমি সাজিদ বলেছেন: পড়েছি। আমি পোস্টে একটা তাড়া খুঁজে পাচ্ছি। এই জন্যই বললাম, কালকেই পতন হচ্ছে নাকি? #:-S

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোষ্টে কোন তাড়া নাই। ঘটমান বর্তমানকে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বের একটা বৃহৎ পরিসরের বিভিন্ন ঘটনা-প্রবাহকে ছোট্ট এক পাতার একটা পোষ্টে সীমাবদ্ধ করলে কারো কারো এমনটা মনে হতেই পারে। আসলে এটা হলো মনের ভ্রম। সে'জন্যেই বলেছি, প্রখর কল্পনাশক্তি থাকলে কেউ কেউ কড়া রোদে পূর্ণিমার চাদ দেখতে পায়। :-B

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪১

জ্যাকেল বলেছেন: একটু আলো দেন ভাইসাহেব, পেন্টাগনের কোন গোপন নথি ফাস হইয়ােছে?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বহু..........কোনটার কথা কমু? চোখ-কান খোলা রাখলেই জানিতে পারিবেন। ইউক্রেইনে যে ন্যাটো সরাসরি যুদ্ধ করিতেছে তার জনবল দিয়া, সেই ধরনের কিছুও ফাস হইয়াছে। ;)

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। অনেক কিছু জানতে পারলাম।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকে জানাতে পেরে শান্তি পাচ্ছি। :)

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্বল্প পরিসরে একটা কম্প্রিহেনসিভ অ্যাসেসমেন্ট তুলে ধরেছেন। নিজেকে আপডেট করা গেল। এর সাথে একমতও পোষণ করলাম।

বাইডেন ভাইয়ুর ভবিষ্যত খুব ভালো মনে হচ্ছে না, ঘরেও তার দিন শেষ, আর বাইরের মোড়লগিরি তো কবেই শেষ, যেদিন যুদ্ধ লেগে গেছে সেদিন থেকেই।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলেই...........আরো অনেক কিছুই বলার ছিল। সবটা বলতে গেলে কমপক্ষে আরো একটা পোষ্ট লাগতো। কাজেই এটাকে একটা কনডেন্সড পোষ্টও বলতে পারেন।

ইউক্রেইন যুদ্ধের আগে পট পরিবর্তন মোটামুটি ধীর-স্থিরই ছিল। কিন্তু এই যুদ্ধ বহু হিসাব নিকাশ উল্টে দিয়েছে। আমেরিকা আর তার পশ্চিমা মিত্রদের নীতি-নির্ধারকদের কদর্য আসল চেহারাও মানুষ দেখতে শুরু করেছে। এসবই আসলে পরিবর্তনকে বেশ একটা গতি এনে দিয়েছে। এখন ছোট-বড় সব অর্থনীতির দেশগুলোই ইউক্রেইন যুদ্ধকে একটা পরিবর্তনের, নতুন ভাবে চিন্তা-ভাবনা শুরু করার একটা ট্রিগার হিসাবে দেখছে। বলাই বাহুল্য, এটা দিনকে দিন আরো জোড়ালো হবে।

বাইডেন তার কাজ-কারবারের জন্য ঘরে তো বটেই, বাইরেও ট্রলের শিকার হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়া তো প্রায়ই তাকে নিয়ে মজা করে। আসলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে যে ধরনের দূরদৃষ্টির দরকার, সেখানে তার ঘাটতি আছে। বয়সও তাকে ঠিকভাবে সাপোর্ট করছে না। আগামী নির্বাচনে তাকে দলীয় মনোনয়ন না দিলে আমি অবাক হবো না। আর যদি দেয়, সেটা হবে একটা বেকুবী পদক্ষেপ।

অ.টঃ কৌতুকের নিয়ে আমার তিনটা পর্ব আছে। আপনাকে লিঙ্ক দিতে ভুলে যাই। আজকে দিলাম। বয়স হয়েছে। আমার অবস্থাও বাইডেনের চাইতে খুব একটা ভালো না। :P

একটা লিঙ্ক দিলাম। বাকীগুলো পোষ্টের শেষেই পাবেন। আশাকরি, সব না হলেও কয়েকটা আপনার ভালো লাগবে। view this link

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

আরোগ্য বলেছেন: পুরান ঢাকার পাবলিক খাসলতে মিল আছে। আমারও পুরান পোস্টের মন্তব্য পড়তে খুব ভালো লাগে। জটিল বিষয়ে পোস্ট দিছেন, মনোযোগ দিয়া পড়ন লাগবো। ভালোমত পইড়া মাথা খাটায়া মন্তব্য করতে হইবো। B:-)

অনেক দিন পর আইলাম কিমুন আছেন? রমজান আর ঈদ কিমুন গেল?

আইতাসি পরে আবার পইড়া।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খাসলতের মিল থাকাটাই তো স্বাভাবিক। :)

অকে.........মনোযোগ দিয়া পড়েন। আপনের মাথা খাটাইন্না মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।

হ...........আপনেরেও অনেকদিন পরে দেখলাম। আছি, আলহামদুলিল্লাহ। রমজান আর ঈদ কিমুন যাইবো আর এই বুইড়া বয়সে। সেই একই!!!

আপনেগো কি খবর? সব ঠিক-ঠাক আছেনি?

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি যত সহজে মধ্যপ্রাচ্যের আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে সরলীকরণ করেছেন আমার মনে হয় বাস্তবটা এত সরল হবে না। তবে আমেরিকার ডলার পতনের সুফল ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে।শুনছি এবার যারা হজ করতে যাবেন তারা কাছে ভারতীয় টাকা নিয়ে যেতে পারবেন।
যাইহোক বিষয়টি খুব ইন্টারেস্টিং।দেখা যাক ঘটনা কোন দিকে গড়ায়.।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সরলীকরণ বা জটিলীকরণ আমার কাজ না। করিও নাই। যা যেইভাবে ঘটছে, সেইটাই বলেছি। আর যে কোনও বিষয়ই সরল না জটিল হবে, সেটা বহু এক্সটার্নাল আর ইন্টারনাল ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। বিশেষ করে রাজনীতিতে এটা আরো বেশী সত্যি। আজ যেটা সরল বা জটিল, কাল সেটা সেই রকমের নাও থাকতে পারে। সবাই দিন শেষে নিজের নিজের স্বার্থ দেখবে। তবে এই মুহুর্তে রাজনৈতিক মেরুকরণের জন্য অনেকের স্বার্থই মিলে যাচ্ছে। কাজেই পরিবর্তনটাও সেটার উপর ভিত্তি করেই হচ্ছে।

ডলারের এখনই পতন হয়েছে বলা যাবে না। তবে পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কোন সন্দেহ নাই।

দেখা যাক ঘটনা কোন দিকে গড়ায়। হ............কঠিন নজর রাইখেন। বেতালা কিছু নজরে পড়লে লগে লগে জানাইবেন!!! বোঝেনই তো, বৃটেইন চালাইতে গিয়া অনেক ইনফর্মারের উপ্রে নির্ভর করতে হয়। তাছাড়া গুপ্তচর হিসাবেও আপনের সুখ্যাতি আছে!!! :P

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

আরোগ্য বলেছেন: আপনেগো কি খবর? সব ঠিক-ঠাক আছেনি? আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল। :)

আপনের পোস্ট খুব মনোযোগ দিয়া পড়লাম। তয় বর্তমানে যা দেহা যায় তা অইছে মুদ্রার এক পিঠ। নাটের গুরু লোকচক্ষুর আড়ালে। আম্রিকার কাম শেষ, এইবার তার অবসরে যাওনের টাইম অইছে। ওস্তাদরে খাড়া করনের লেইগা বহুত খাটসে। একটা লিংক দেই, এটার বাংলা, হিন্দি, উর্দু অনেক তাফসির পাইবেন।

সমঝদার কে লিয়ে ইশারা হি কাফি হে

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এনিমেশান ভিডিওটা দেখলাম। চমৎকার কাজ। আমি খুব একটা বড় সমঝদার না। যতটুকু বুঝলাম, এটাতে ফ্রী ম্যাসন বা ইল্যুমিনাতিদের ব্যাপার-স্যাপার বোঝাতে চেয়েছে। প্রচুর মেটাফোরের ব্যবহার আছে। পারলে বাংলা বা ইংরেজি তাফসিরের ২/১টা লিঙ্ক দিয়েন। ইন্টারেস্টিং মনে হইতেছে!!

১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: সৌদিরা ধর্মকে সহজ করার চেষ্টা করছে,ইরান কিন্তু তা করছে না।আমেরিকা তেল উত্তোলন বাড়ানোতে সৌদির সাথে কিছুটা সংঘাত।চীন আবার তেলের প্রধান আমদানি কারক।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সৌদিরা ধর্মকে সহজ করার চেষ্টা করছে,ইরান কিন্তু তা করছে না। এই পোষ্টে ধর্ম নিয়ে কোন কথাই নাই। শুধু শুধু সবকিছুতে ধর্মকে টানেন কেন? আগের দুইটা নিক আপনার বাতিল হয়েছে শুধু এই কারনে। একটু তো শরম করেন!!! B:-/

বাকী যা বললেন, তাতে তথ্যগত ভুল আছে মনে হচ্ছে। কি বলতে চাচ্ছেন পরিস্কার করেন। দেখি, আপনার সাথে আলাপ চালানো যায় কিনা।

১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বুজলাম ডলারের পতন, বাইডেন পতন আম্রিকার পতন, হামাছি রকেট ইসরাইলের পতন।
মাগার বারতের পতনের কতা কিছু পাইলাম নাইক্বা।
বাংলাদেশের প্রসঙ্গ কয়েক বার আসলেও পাকিস্তানের সুখবর কুখবর কিচ্ছু নাই।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ।

ভারত বা পাকিস্তানের উত্থান-পতন নিয়া কিছু কইলে আপনের দুঃখে বা খুশীতে ইসটোরক হইতে পারে। এই জন্য কিছু কই নাই। আপনের ভালো-মন্দ কিছু হয়া গেলে ব্লগে আজিব আজিব তথ্য কিংবা তত্ব দিয়া আমাগো বিনোদন দিবো ক্যাঠায়!!! =p~

১৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এসবের পরেও যদিও বিশ্বে শান্তি প্রতষ্ঠিত হয়, বারুদের গন্ধ যদি ওড়ে যায় তবেই শান্তি সবার। শান্তি ফিরে আসুক।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শান্তি ফিরে আসুক। বিশ্বে শান্তি ছিল কবে, আর সে গেলই বা কবে যে ফিরে আসবে? ;)

বিশ্বে মানুষ যতোদিন আছে, স্বার্থের হানাহানিও ততোদিন থাকবে। শান্তি শুধুই কল্পনার বস্তু। এটাই হলো বাস্তবতা।

১৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মত গুছিয়ে এমন চুলচেরা বিশ্লেষন আর কেউ করতে পারত না বলে লিখেনি ;)
কিংবা অন্য কেউ লিখলে এমন চমৎকার একটা বিশ্লেষন্ধর্মী নিবন্ধ থেকে আমরা বঞ্চিত হতাম!

সুযোগ পেলে ফের আসব মন্তব্যে

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মত গুছিয়ে এমন চুলচেরা বিশ্লেষন আর কেউ করতে পারত না বলে লিখেনি ;)
কিংবা অন্য কেউ লিখলে এমন চমৎকার একটা বিশ্লেষন্ধর্মী নিবন্ধ থেকে আমরা বঞ্চিত হতাম!


মজা নেন? নেন নেন, কি আর করা..........আপনেদেরই দিন এখন।

মহান সৃষ্টিকর্তা আপনারে আবার মন্তব্যে ফের আসার তৌফিক দান করুন। আমিন। :-B

১৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:৪৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লিখার মূল সারমর্ম ঠিক আছে বলে আমার মনে হয়েছে তবে আমার ধারনা আমেরিকা বা ডলারের পতন বলতে আপনি যা বোঝাতে চাইছেন ব্যাপারটা ততটা সহজ বা তাৎক্ষণিক কোন বিষয় হবে না। বৈশ্বিক বাণিজ্যে ডলারের পাশাপাশি দ্বিতীয় কোন কারেন্সির প্রাধান্য বেড়ে যাওয়া বা উদ্ভব হওয়াও অসম্ভব বলে মনে করি না, অনেক দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে সেটার জণ্য। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে লোকাল কারেন্সি এসেছে আর আসবেও আগামীতে। তবে দিন শেষে আপনি আমেরিকার সাথে ব্যবসা করতে চাইলে ডলারেই আসতে হবে, এর অন্যথা হওয়ার কোন সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না। সে ক্ষেত্রে আমেরিকা নতুন কোন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেও আমি অবাক হবো না। একজন আমেরিকান হিসেবেও আমি চাইনা বিশ্বব্যাপী বড় আকারে ডলারের মূল্য পতন ঘটুক, তেমনটা না ঘটার সম্ভাবনাই বেশী বলে আমার ধারনা।

আমি স্লিপি বাইডেন সমর্থক নই, তবে আমেরিকার স্বার্থে রিপাবলিকান কোন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমি ডি সান্টিস-কেই এগিয়ে রাখবো। আমেরিকার স্বার্থে এটা হওয়া জরুরী হয়ে গেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থার জন্য আমেরিকার বর্তমান দুর্বল প্রশাসন দায়ী। ইউক্রেন আমেরিকার স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র বলেও মনে করি না। ইউরোপ রাশিয়াকে নিয়ে ভয়ে আছে, আর আমেরিকার অদূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য এ পরিস্থিতির অনেকটাই নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে আমার ধারনা। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অনেক ক্ষতি হলেও রাশিয়ার প্রভাব বলয় থেকে ইউক্রেন খুব সহজে বের হতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। আর হলেও দেশের বিরাট একটা অংশকে চিরদিনের জন্য বিদায় দিয়ে আসতে হবে। তবুও এ যুদ্ধের দ্রুত অবসান প্রয়োজন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তবে আমার ধারনা আমেরিকা বা ডলারের পতন বলতে আপনি যা বোঝাতে চাইছেন ব্যাপারটা ততটা সহজ বা তাৎক্ষণিক কোন বিষয় হবে না। আপনি যদি পোষ্টটা ঠিকমতো পড়ে থাকেন, তবে দেখবেন আমি দ্বিতীয় প্যারাতে বলেছি, বিশ্ব রাজনীতিতে বড় বড় দু‘টা ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে। দু‘টাই চলমান এখনও এবং আরো বহুদিন চলমান থাকবে নিঃসন্দেহে। কাজেই সহজ বা তাৎক্ষনিক বিষয় হওয়ার প্রশ্নই আসে না। :)

বৈশ্বিক বাণিজ্যে ডলারের পাশাপাশি ইউয়ানের প্রাধান্য ইতোমধ্যেই দেখা দিতে শুরু করেছে। ব্রিকস মুদ্রা চলে আসলে ডলারের হালুয়া আরো টাইট হবে। সেক্ষেত্রে ডলার অনেকটা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে লোকাল কারেন্সির ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। তবে সেই অবস্থায় যেতে অনেক ধাপ পার হতে হবে। সময়ও লাগবে প্রচুর। তাই একজন আমেরিকান হিসাবে আপনার টেনশানের কিছু নাই। তবে, একজন বৃটিশ হিসাবে আমি টেনশানে আছি। কারন, রাশিয়া পারমানবিক হামলা চালালে প্রথমেই বৃটেনের উপর চালাবে। :((

বাইডেন দেখলাম দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। রানিং মেইটও বদলাচ্ছে না। এটাও আমেরিকা তথা বিশ্বের জন্য একটা অশনি সংকেত। সে আবার আসলে ডলার যতো দূর্বল হবে, বিশ্বে ততোই নতুন নতুন যুদ্ধের সূত্রপাত হবে। এমনিতেই যুদ্ধপ্রবণ এলাকা মধ্যপ্রাচ্যও এর বাইরে থাকতে পারবে না।

দিন শেষে ইউক্রেইন যুদ্ধ থেকে সাদা চোখে আমেরিকারই লাভ। ইউরোপের ঘন্টাও মিলবে না। ইউরোপের জনগন যেটা বুঝতে পারছে, চেয়ারে বসে থাকা ইউরোপিয়ান বলদগুলো তা বুঝতে পারছে না। আফসোস!!!

১৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:০৩

অপু তানভীর বলেছেন: আরব রাজনীতির আসলে যতটা সহজ করে আপনি বলেছেন ব্যাপারটা এতোটা সরলীকরন হলে তো হতই । ব্যাপারটা একবার চিন্তা করে দেখেন যদি কেবল আরব দেশ গুলো একজোট হয়ে কাজ করতে পারতো বিশ্বের বুকে তাদের অবস্থানটা কোথায় গিয়ে দাড়াতো! কিন্তু তাই কি হয়েছে ?

তবে যে ব্যাপারটা সব থেকে ইন্টারেস্টিং সেটা হচ্ছে ডলারের বিকল্প কারেন্সী সাস্টেইন করতে পারবে কিনা ! যদি সত্যি সাস্টেইন করে যায় তাহলে বলা যায় আমেরিকার মোড়লীর দিন শেষ হওয়ার পথে । কিন্তু এই যে বড় ''যদি'' আছে !

কিন্তু এতো কথার শেষ কথা এতোদিন হামাস কেনু রকেম মারে এই প্রশ্নের একজনের ঘুম হারাম হয়ে আছে এখন যদি হামাস ফাতাহ হিজবুল্লাহ যদি একসাথে রকেম মারে তাইলে উপায় আছে !! :D

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরব রাজনীতির আসলে যতটা সহজ করে আপনি বলেছেন ব্যাপারটা এতোটা সরলীকরন হলে তো হতই। এই ব্যাপারে ১২ নং প্রতি-মন্তব্য দেখেন। নতুন করে বলার কিছু নাই।

ডলারের বিকল্প সাস্টেইন করার সব রকমের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বিস্তারিত বলতে গেলে শুধু এটা নিয়েই একটা বিশাল পোষ্ট হয়ে যাবে। আপনি ডি-ডলারাইজেশানের উপ্রে সার্চ দিলেই জানতে পারবেন।

কিন্তু এতো কথার শেষ কথা এতোদিন হামাস কেনু রকেম মারে এই প্রশ্নের একজনের ঘুম হারাম হয়ে আছে এখন যদি হামাস ফাতাহ হিজবুল্লাহ যদি একসাথে রকেম মারে তাইলে উপায় আছে !! :D পোষ্টের ওই অংশে এইটাই বুঝাইতে চাইছি। =p~

২০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫৮

আরোগ্য বলেছেন: পর্ব ১
পর্ব ২

বাংলাতে এই explanation টাই ভালো লাগছিলো। তবে উর্দুতে একটা খ্রিষ্টানের explanation টা বেশি ভালো লাগছে। ওইটা একটু বড় তিন পর্বের, লিংক দিয়ে দেই, সময় পাইলে দেখতে পারবেন। simpson cartoon এ কিন্তু Secret society এর অনেক preplanned operation দেখানো হইসে। এসব বিষয়গুলি আমার কাছে দারুন লাগে ঘাটাঘাটি করতে কিন্তু ব্লগে এহন এগুলি নিয়া কোন পোস্ট আসে না,। তবে কয়েক মাস আগে পিরামিডের রহস্য উদঘাটন করতে অনেক ভিডিও আর আর্টিকেল পড়ি, অবশেষে সামুর একটা সিরিজ পড়ে পিপাসা মিটে। that's why I love সামু B-)

part 1
Part 2
Part 3

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুইটা লিঙ্ক দেখলাম, তাড়াহুড়া কইরা। সময় নিয়া সবগুলা দেখন লাগবো। ইন্টারেস্টিং লাগলো খুব। ফ্রি-টাইমে মনোযোগ দিয়া দেখুম।

simpson cartoon এর বিষয়টা জানি। টেরাম্পের সময় এইটা বেশী ফোকাস পাইছিলো। পিরামিড লয়া এক টাইমে প্রচুর পড়ালেখা করছি। এর উপ্রে যাই পাইতাম, দেখতাম। আপনে কি কি জ্ঞানার্জন করলেন, একটা পোষ্ট দিয়া জানান দেন। আমরাও জ্ঞানী হই!!! ;)

২১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: পড়া শেষ করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। ভয় দেখায় দিলেন। :(

তবে খাটাখাটনি করে লিখা পোস্ট, লাইক না দিলে অন্যায় হয়। তাই লাইক দিলাম।

০১ লা মে, ২০২৩ রাত ১০:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার টেনশান বুঝতে পারছি। তবে, যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নাই, সেটা নিয়ে ভেবে লাভ নাই। আমেরিকা আসলেই বিপদে পড়তে যাচ্ছে। যতোই দিন যাচ্ছে, ততোই নতুন নতুন খারাপ খবর পাচ্ছি ওদের জন্য। যারা আমেরিকাকে নিয়ে আত্মপ্রসাদে ভোগে, তাদের আসলে বিশ্ব-রাজনীতি কিংবা অর্থনীতির ইতিহাস সম্পর্কে কোন ধারনা নাই।

তবে বেশী টেনশান নিয়েন না। রাতারাতি তো কিছু ঘটছে না। :)

তবে খাটাখাটনি করে লিখা পোস্ট, লাইক না দিলে অন্যায় হয়। তাই লাইক দিলাম। আমাকে খুশী করার আপনার এই চেষ্টা ভবিষ্যতেও চলমান থাকুক!!! =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.