নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কৈশোরকালীন কর্মকান্ড থেকে একটা উদাহরন!!!

২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:২৫



ছোটবেলায় আমি নাকি বান্দর জাতীয় প্রাণী ছিলাম।

বলেন দেখি, কি আচানক কথা! যারা এমনটা বলতেন তাদের সাথে আমি কোনদিনই সহমত পোষণ করি নাই, তবে প্রতিবাদও করি নাই। কারন, যারা বলতেন তারা সবাই আমার দৃষ্টিতে নমস্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। নিজেকে আমি অত্যন্ত ভদ্রগোছের নিরীহ প্রাণী হিসাবেই জানতাম, এখনও তাই জানি। তবে আমার বড়খালা একেবারেই নিশ্চিত ছিলেন এই বিষয়ে, মানে বান্দরের ব্যাপারে আর কি! আমার ব্যাপারে উনার মতামত ছিল, আমি ভুলক্রমে মনুষ্য সমাজে চলে এসেছি। আর সবসময় প্যান্ট পড়ে থাকায় আমার লেজ দৃষ্টিগোচর হয় না, তবে ওই অঙ্গটা আমার অতি অবশ্যই আছে।

যাক গে, ভূমিকা দিলাম। এবার আমার কৈশোরের একটা ঘটনা সবিস্তার বর্ণনা করি। আপনারাই না হয় সিদ্ধান্ত নেন!!

ক্লাশ সেভেনের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে সাময়িক অবসরে আছি। তখন আমরা লালবাগ রোডের একটা বাসায় বিশেষ কারনে বেশ কিছুদিনের জন্য ভাড়া ছিলাম। সেই দেড়তলা বাড়িতে আমরাসহ আরো দু'টা পরিবার থাকতো। আগে থেকেই আমরা ওই এলাকার বাসিন্দা হওয়াতে পরিবার দু‘টা আমাদের পূর্ব পরিচিত। আমরা ছিলাম নীচতলায়। আমাদের পাশে আরেকটা পরিবার। সেই পরিবারের একমাত্র ছেলে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধূ এবং আমার তৎকালীন সকল কর্মকান্ডের সাথী। সে এখন মোটামুটি বিখ্যাত ব্যক্তি, কাজেই তার নাম না বলি। ধরে নেই রুবেল তার নাম। দোতলায় এক অংশে থাকতেন ফরিদ চাচা (এটাও ছদ্মনাম) আর চাচী। উনারা নিঃসন্তান ছিলেন। বাকী অংশটা ছিল প্রায়-খোলা ছাদ। প্রায়-খোলার কারন ছিলো, দু/তিন ইট পরিমান দেয়াল হওয়া আর পিলারের রডগুলো বের হওয়া। বাড়িওয়ালা চাচা কাজ শুরু করে হঠাৎ বন্ধ করে দেয়াতে এই অবস্থা।

ফরিদ চাচা এই ঘটনার প্রধান চরিত্র, কাজেই উনার কিঞ্চিৎ বর্ণনা দেয়া অতীব জরুরী। এই চাচার ছেলেসন্তানদের প্রতি ছিল দুর্নিবার আগ্রহ। এলাকার তাবৎ ছেলে বিশেষ করে আমার আর রুবেলের প্রতি উনার খবরদারী ছিল মাত্রাতিরিক্ত, অনেকটা সেরের উপর সোয়া সেরের মতো। সেই সময়ে মাগরিবের পর পরই ইলেক্ট্রিসিটি চলে যেতো; আসতো ন'টা নাগাদ। এটা মোটামুটি নিয়মিত ঘটনাই ছিল। তো, পরীক্ষা শেষ; আমরা হয়তো সন্ধায় ছাদে বসে গল্প করছি, উনি এসে বলতেন…..পরীক্ষা শেষ তো কি হয়েছে? এইটের বৃত্তি পরীক্ষার জন্য এখন থেকেই তোদের তৈয়ারী শুরু করা উচিত। কারেন্ট নাই তো কি, হ্যারিকেন আছে না? আমরা তো সারাজীবন হ্যারিকেনের আলোতেই পড়ালেখা করেছি……ইত্যাদি ইতং বিতং মাথা ধরানো কথাবার্তা!!

উনি আমাদেরকে এসব বলে থামলে ভালো ছিল। তা না; থামাথামি উনার ডিকশনারীতে ছিল না। এসব কথা আমাদের সুযোগ্য পিতামাতাকেও উনি নিয়মিত বলতেন, ফলে লোডশেডিংয়ের মধ্যেও আমরা মাঝে-মধ্যেই পড়তে বসতাম; বরং বলা ভালো, ঘাড় ধরে আমাদেরকে বসতে বাধ্য করা হতো। উনার সৃষ্ট এমন বহুবিধ জ্বালা-যন্ত্রণার কারনে আমাদের সুখের জীবন প্রায়শঃই বিষাক্ত হয়ে উঠতো।

তো, একদিন নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেলাম যে অভিসার হলে একটা নতুন ''এক টিকেটে দুই ছবি'' এসেছে; ইংরেজি বলাই বাহুল্য! এই ইংরেজি ''এক টিকেটে দুই ছবি''র বিষয়টা যারা জানেন, তাদেরকে নতুন করে বলার দুঃসাহস না দেখাই; আর যারা জানেন না, তাদের জেনে কাজ নাই। সেই সময়ে অভিসার, শাবিস্তানসহ আরো কয়েকটা হলে মাঝেমধ্যেই এমনতরো সুপার-ডুপার হিট সিনেমা দেখানো হতো। যা বলছিলাম, সেই নির্ভরযোগ্য সূত্রের রস উপচে পড়া বর্ণনা শুনে আমাদের দু'জনের চোখই মাঝারী সাইজের রসগোল্লার মতো বড় হয়ে গেল। রুবেলের ঢোক গেলার ধরন দেখে বুঝতে বাকী রইলো না যে, রসে টইটুম্বুর একের পর এক রসগোল্লা সে পেটে চালান দিয়ে চলছে। জায়গায় দাড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম, এইটা দেখতেই হবে। না দেখলে এই যৈবন….থুড়ি…... জেবন থাকা না থাকা সমান!!! ''বাঙ্গালীর এক কথা'' প্রবচনকে সত্যে পরিণত করতে পরদিনই গিয়ে হাজির হলাম দুর্ঘটনাস্থলে। দুর্ঘটনাস্থল এই জন্য যে, সিনেমা দেখে হল থেকে বের হয়েই আমরা দু'জন বেমক্কাভাবে কট হলাম ফরিদচাচার হাতে। উনার অফিস কাছাকাছিই ছিল, কিন্তু কোন অবস্থাতেই তখন তার বাইরে থাকার কথা না। হয় উনিও ফজা মিয়া হয়ে ''এক টিকেটে দুই ছবি''র মজা লুটতে এসেছিলেন, অথবা আমাদেরকে ধরার জন্যই ওৎ পেতে ছিলেন……….আসল ঘটনা কি ছিল আল্লাহ মালুম! অবশ্য পরিবেশ তখন সে‘সব ভাবার অনুকূলে ছিল না। আসন্ন কালবৈশাখীর তান্ডবের কথা ভেবে ততক্ষণে আমাদের রসগোল্লার মতো চোখগুলো স্বাভাবিকের চেয়েও ছোট হয়ে গিয়েছে!!!

চারদিন পরের কথা।

চোরকে ধরতে পারলে যেভাবে মুগুর দিয়ে হাত-পায়ের গিট ছ্যাচা হয়, অনেকটা সেভাবেই আমাদেরকে ছ্যাচা হয়েছিল সেই দূর্যোগময় রাতে। রুবেলের বাবা পেটাইয়ের সময়ে কি বলেছিলেন জানি না, আমার আব্বা বলেছিলেন, এই বান্দরটার পড়ালেখার জন্য টাকা-পয়সা অপচয় করার দরকার নাই। সিনেমা হলের টিকেট ব্ল্যাক করেই নিজের সংসার চালাতে পারবে। কি ভয়ানক কথা!! পরবর্তীতে ১৪৪ ধারার কারনে আর পড়ার টেবিল ছেড়ে ওঠার ফুরসৎ হয় নাই। পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত হওয়াতে আমরা আবার হাফ-ছাদে মিলিত হলাম সন্ধায়। গিটে গিটে ব্যাথার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তখনও তরতাজা। আর আমাদের চোখে তখন প্রতিশোধের আগুন। এই অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না; একটা বিহিত করতেই হবে। এই কয়টা দিন টেবিলে বসে পড়ার ফাকে ফাকে শুধু এই নিয়েই ভেবেছি। আরেকটা কাজও করেছি। তা হলো, পাঠ্যবইয়ের নীচে রেখে একটা ভুতের গল্পের বই শেষ করেছি।

সেই গল্পের নায়ক একদিন গভীর রাতে বসার ঘরের আধো-অন্ধকারে বসে বই পড়ছিল, হঠাৎ জানালায় চোখ পড়তে দ্যাখে বাইরে আপাদমস্তক সাদা পোষাকে কেউ একজন দাড়িয়ে আছে, যার কোন চোখ-মুখ নাই। প্রচন্ড ভয় পেয়ে সে উঠে দাড়িয়ে বাড়ির ভিতরের দিকে দৌড় দেয়ার জন্য ঘুরতেই দ্যাখে সেই চোখ-মুখহীন ভুতটা ঘরের ভিতরে, তার সামনেই দাড়িয়ে…….এই হলো সংক্ষেপে গল্প। গল্পটা মাথায় এমনভাবে গেথে ছিল যে, এটাকে কিভাবে বাস্তবে রুপ দেয়া যায়, এই কয়টা দিন শয়নে-স্বপনে আমি শুধু সেই চিন্তাই করেছি। রুবেলের অকুন্ঠ সমর্থনে সেটা আরো ফুলে ফেপে উঠলো।

আমি কুট্টিকাল থেকেই পারফেকশনিস্ট কিসিমের মানুষ। কোন প্ল্যান যখন করি, খুটিনাটি সবকিছু মাথায় রাখি। আমার বউকে একদিন কথায় কথায় বলেছিলাম, আমি যদি কোনদিন কাউকে খুন করি, এতো নিখুত প্ল্যানিংয়ে করবো যে, কোন পুলিশের বাপেরও ক্ষমতা নাই যে, আমাকে ধরবে। আমার বউ চোখ নাচিয়ে বলেছিল, হঠাৎ খুনের চিন্তা যে? কাকে করবা? তবে সিরিয়াল কিলার না হওয়াই ভালো। তাইলে একদিন না একদিন অবশ্যই ধরা খাবা। অন্য কথায় চলে গেলাম, আসল কথায় আসি।

ক'দিন আগে পড়া গল্পটা মঞ্চস্থ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

আপনাদের জানিয়ে রাখি, সন্ধায় ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলেই চাচা সেই অর্ধ-ছাদে হাটাহাটি করতেন। আর উনি কিছুটা ভীতু প্রকৃতির ছিলেন। জ্বীনে তো বিশ্বাস করতেনই, ভুত-প্রেতেও করতেন। উনার কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন কিসিমের ভুতের বিভিন্ন কেচ্ছা-কাহিনী বহুতই শুনেছি।

প্ল্যানটা ছিল এই রকমের। রুবেল নিজেকে সাদা কাপড়ে মুড়ে ছাদের উত্তর দিকের কোণায় আগে থেকেই দাড়িয়ে থাকবে। কোনায় দাড়ানোর কারন তিনটা। ওইদিকে একটা বড় আমগাছ ছিল। ডালপালার কিয়দংশ আমাদের ছাদে আসাতে ভুতের জন্য আদর্শ জায়গা। কোনাটা পাশের বাসার পেছন দিক, আর বেকায়দা দেখলে ওখান দিয়ে সহজেই চওড়া কার্নিশে নেমে ভেগে যাওয়া যায়। অবশ্য বেকায়দায় না পড়লেও ও ওইখান দিয়েই ভাগবে। চাচা ওকে দেখে ভয় পেয়ে বাসায় ঢুকতে যাবে, সেইসময়ে আমি দাড়ানো থাকবো সিড়ির ল্যান্ডিংয়ে, একই রকমের সাদা কাপড়ে নিজেকে মুড়ে। চাচা বের হওয়ার আগেই দু'জন অবস্থান নিবো, তবে আমাকে বের হওয়ার সময় উনি দেখবেন না। লুকিয়ে থাকবো। সহজ হিসাব। আমাদের বাসার পাশেই একটা দোকানে ক্যারাম খেলা হতো (পুরানো ঢাকা সম্পর্কে যাদের ধারনা আছে, তারা জানবেন)। সেখানে সন্ধ্যার পর গরম গরম পুরিও ভাজা হতো। কাজ শেষ করে দু'জনে সেখানে মিলিত হবো, তারপরে পুরি হাতে খেলা দেখার ভান করবো। কারন, এই ঘটনার পরে অবধারিতভাবেই আমাদের খোজা হবে, তখন একটা যুক্তিসঙ্গত শক্ত এ্যলিবাইয়ের দরকার হবে।

কাপড় কোথাও ফেলে আসা যাবে না। শীতকাল হওয়াতে জ্যাকেটে ঢুকিয়ে ফেলতে সুবিধা হবে। আর সপ্তাহ তিনেক পড়ে অপারেশানটা করার সিদ্ধান্ত নিলাম, কারন তখুনি করলে আমাদের উপর সন্দেহ জোড়ালো হবে। আরো বেশকিছু খুটিনাটি ব্যাপারও মাথায় রাখলাম, বিস্তারিত বলতে গেলে পোষ্ট বড় হয়ে যাবে, তাই সেদিকে যাচ্ছি না।

দেখতে দেখতে দিনক্ষণ ঘনিয়ে এলো। ধারে কাছেই পরিচিত ডেকোরেটর ছিল, কিন্তু আমরা লালবাগ কেল্লার কাছের এক ডেকরেটর থেকে দু'টা মাঝারী আকৃতির সাদা টেবিল ক্লথ নিয়ে এলাম। আর্ট পেপার কেটে একই রকমের দু'টা মুখোশ বানালাম, যাতে নাক-মুখ নাই, শুধু চোখের জন্য ফুটো করা।

এরপরের কাহিনী খুবই সংক্ষিপ্ত।

ঘটনার দিন যথারীতি মাগরিবের পর পরই সব বাত্তি নিভে গেলো। আমরা যার যার জায়গায় অধীর অপেক্ষায়। কাঙ্খিত টার্গেট দরজা খুলে বেড়িয়ে এলেন, হাতে একটা চার্জার ল্যাম্প। সেটাকে দরজার কাছে রেখে ছাদে গেলেন, প্রায় সাথে সাথেই ফিরেও এলেন। আমি ততক্ষণে জায়গামতো উদয় হয়েছি। আমাকে শুধু দেখতে দেরী, বিকট স্বরে আ আ শব্দ করে ল্যাম্প ট্যাম্প নিয়ে হুড়মুড়িয়ে পড়ে গেলেন। সেই শব্দে ভড়কে গিয়ে আমি ভুতের দায়িত্ব কর্তব্য ভুলে ঝেড়ে নীচের দিকে দৌড় দিয়ে পগার পার!!

আমাদের দুজনকে খুজতে কেউ অবশ্য আসে নাই সেদিন। সবাই চাচাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। আমরা ক্যারাম খেলে যতোটা ময়দা আর বরিক পাউডারের মিশ্রণ হাতে-শরীরে লাগে, তার চাইতে বেশী লাগিয়ে ঘন্টা দুয়েক পড়ে বাসায় ফিরলাম।

পরে চাচা আব্বাকে বলেছিলেন, ''ভুতটা প্রথমে ছাদে একহাত উপরে ভাসছিল। আর যেই না আমি তাড়াতাড়ি ভিতরে আসলাম, দেখি সেটা আমার আগেই সিড়িতে এসে দাড়িয়েছে, আর আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।'' বলাই বাহুল্য এমন কিছুই ঘটে নাই। পুরাটাই চাচার আলো-আধারীতে ভুত দর্শন সম্পর্কিত মনের মাধুরী মেশানো কল্পনা! আব্বা উনাকে যতোই বোঝাতে চেষ্টা করেছিল যে, ভুত টুত কিছু না। কেউ তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য এসব করেছে। কে শোনে কার কথা!! উনি শতভাগ নিশ্চিত যে, ওটা একটা ভুতই ছিল।

আমাদের উপরে সবার সন্দেহ তো ছিলই। পরে বহুভাবে, বিভিন্নভাবে সবাই চেষ্টার কমতি রাখে নাই আমাদের পেটের ভিতর থেকে কথা বের করার জন্য। তাতে কোন লাভ অবশ্য হয় নাই। ওই ঘটনার পরে চাচা আর কোনদিন সন্ধ্যার পরে ছাদে যান নাই। আজ প্রায় তিরিশ বছরের উপরে হয়ে গিয়েছে, চাচাদের সাথে কোন যোগাযোগ নাই। উনি আছেন কি নাই, তাও জানি না। যদি, বাই এনি চান্স, এই লেখা চাচা বা চাচীর নজরে আসে, করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। অপরিনত বয়সের দু'টা ছেলের কর্মকান্ডকে উনারা যেন পিতা-মাতাসূলভ মনোভাব নিয়ে মাফ করে দেন।

সেই সময়ে এই ঘটনা নিয়ে আমরা দু'জনে মিলে খুব হাসাহাসি করতাম। এখন মনে পড়লেই খানিকটা অপরাধবোধে ভুগি।

ছবিসূত্র।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

জটিল ভাই বলেছেন:
ডরউইন কি আপনাদের পরিবারের কেউ? নাকি আপনারা ডারউইনের পরিবারের? =p~

২৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একবার লেখছেন ডরউইন, আরেকবার ডারউইন!!! আগে ঠিক করেন, কার কথা কন। B:-/

২| ২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

মোগল সম্রাট বলেছেন:
ভালো লিখেছেন।

২৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। :)

৩| ২৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পড়বাম কিন্তু

২৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইটা আবার কোন দেশী কথা? কুনসুম পড়বাইন?? :(

৪| ২৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

আমি সাজিদ বলেছেন: ফরিদ চাচাকে ভূত দেখিয়েই কি পারফেকশনিস্টের পারফেকশনের শুরু হয়েছিলো? এক টিকেটে দুই সিনেমা পরেও কি দেখা হয়েছে কিনা জানার আগ্রহ থাকলো।

২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: না না........আমি তার আগে থেকেই পারফেকশনিস্ট!!!

অবশ্যই! এক টিকিটে দুই ছবি দেখা একটা সময় নেশা থেকে পেশায় পরিণত হয়েছিল। :P

৫| ২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভূয়া ভাই , আমার মনে ছোট কালে (শৈশবে) আমরা সবাই এক একটা শাখামৃগ (বানর) ই ছিলাম বিশেষ করে গ্রামের ছাওয়াল-পাওয়াল যারা, তারা আরকি।

আমাদের কুমিল্লার রূপকথা সিনেমা হলেও এক সময় এক টিকেটে দুই ছবি (একটি খাজা, আরেকটি গজা -ব্যাফোক রসে ভরপুর) দেখাত। আহা কি চমতকার ছিল সেই দিনগুলি ।

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে বান্দর হইতে চাইলে হন, আমি এইসবের মধ্যে নাই। আমি সিধাসাধা আদমী ছিলাম, ঠিক এখনকার মতোন!! B-)

আমাদের কুমিল্লার রূপকথা সিনেমা হলেও এক সময় এক টিকেটে দুই ছবি (একটি খাজা, আরেকটি গজা -ব্যাফোক রসে ভরপুর) দেখাত। আহা, আপনে তো দেখি অভিজ্ঞ ব্যক্তি!!!! =p~

৬| ২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:



ছোটবেলায় আমি নাকি বান্দর জাতীয় প্রাণী ছিলাম।

ছিলাম মানে? এখনও তাই।
বান্দর জাতীয় প্রাণী আবার কি? সাক্ষাৎ বান্দর!

বড়খালার সাথে সহমত, ভুলক্রমে মনুষ্য সমাজে এবং তাদের ব্লগেও চলে এসেছে :)


২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছিলাম মানে? এখনও তাই।
বান্দর জাতীয় প্রাণী আবার কি? সাক্ষাৎ বান্দর!
নমস্য ব্যক্তিদের কথার সাথে একমত না হলেও আমি কিন্তু প্রতিবাদ করি না। :P

৭| ২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

মিরোরডডল বলেছেন:



সেই শব্দে ভড়কে গিয়ে আমি ভুতের দায়িত্ব কর্তব্য ভুলে ঝেড়ে নীচের দিকে দৌড় দিয়ে পগার পার!!

এই আমাদের পারফেকশনিস্ট ভুম :)

ভুমের শৈশবের রম্য মজার ছিলো কিন্তু

ওই ঘটনার পরে চাচা আর কোনদিন সন্ধ্যার পরে ছাদে যান নাই।

আহা! এখন আমার চাচার জন্য মায়া লাগছে।
এটা কিন্তু অন্যায় হয়েছে, ওনাকে একসময় বলে দেয়া উচিৎ ছিলো।
মানুষ যে কাজটা করতে পছন্দ করে, সেটার ওপর নিষেধাজ্ঞা হলে বা করতে না পারলে অনেক কষ্ট লাগে।
আফটার অল মুরুব্বী মানুষ :(

তিরিশ বছর পর এখন আর ক্ষমা চেয়ে কি হবে!
সময়ের কাজ সময়ে করতে হয় রে পাগলা!
ওহ! শব্দটা বান্দর হবে :)

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চাচার জন্য আমারও এখন মায়াই লাগে। শুধু ছাদে যাওয়া না, উনাকে আরো সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। সবটা এখানে বলি নাই, পোষ্ট বড় হয়ে যাবে বলে। এখন আর যোগাযোগের কোন উপায় নাই। থাকলে সামনাসামনিই মাফ চাইতাম। ওনাকে বললে সেটা আব্বাও শুনতো, আর তাহলে মাইর একটাও মাটিতে পড়তো না। সে কি ভয়াবহ মাইর!!!! :((

সব সময়ের কাজ কি আর সময়ে করা যায় রে পাগলা!!! ওহ.......শব্দটা পাগলা না, পাগলি হবে। =p~

৮| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:১৭

শাওন আহমাদ বলেছেন: আহা স্মৃতি! আপনার দেই বন্ধুর সাথে যোগাযোগ আছে এখনো? আর এক টিকেটে দুই ছবির বিষয়টি জানতে কি গুগল মামার সাহায্য নিতে হবে? :|

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্লিজ........গুগলমামার সাহায্য নেন। দেখেন কি বলে!!! তারপরে আমি তো আছিই। :-B

৯| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: এই ইংরেজি ''এক টিকেটে দুই ছবি''র বিষয়টা যারা জানেন, তাদেরকে নতুন করে বলার দুঃসাহস না দেখাই; আর যারা জানেন না, তাদের জেনে কাজ নাই।
কি সুন্দর ধ্রুপদী লেখা তা কি না সবাই এইটারেই ধরল। সব ইঁচড়ে পাকা লোকজন ব্লগে আসছে।
যাইহোক বান্দরেরা এমন শৈল্পিক কাজ করতে পারে না- বান্দর এর মত লেজযুক্ত প্রাণির সাথে তুলনা করে আপনার এমন ক্রিয়েটিভিটিকে ধুলিস্যাত করার জন্য ততকালীন সবাইকে বিশেষ করে আপনার প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করিতেছি।
লিঙ্ক দেখুন; ( বান্দর অতীব বোকা আর সরল প্রাণী)
[link|https://www.facebook.com/MetDaanTips/videos/3251588781798558/?vh=e This Monkey's reaction to magic tricks is priceless!

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কি সুন্দর ধ্রুপদী লেখা তা কি না সবাই এইটারেই ধরল। ধ্রুপদী লেখা..........!!! চাপা মাইরেন না। আমারে কি আপনেদের মতোন সেলেব লেখোয়াড় পাইছেন!!! :``>>

বান্দর কি, তা জেনে আমার কি লাভ? আমি তো আর সেইটা না। বান্দর থাকুক বান্দরের মতো। আমি থাকি আমার মতো। আপনি কি আকারে-ইঙ্গিতে আমাদের নমস্য মিডকে ইচড়ে পাকা বলার দুঃসাহস দেখাচ্ছেন? তাইলে কিন্তু পরতিবাদ অতি তেব্র হবে। :-B

লিঙ্ক পরে দেখবো। এখন না। :)

১০| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৪

আরোগ্য বলেছেন: পুরান ঢাকার পোলাপানের সামনে ডারউইনও ডরে পলাইবো। মানুষরে হুট কইরা ডর দেহাইতে আমারও অনেক মজা লাগে কিন্তু গুনাহের ডরে এহন এটি করিনা,। ছোটকালে কেউ আসার শব্দ পাইলে, আড়াল হয়া দাড়াইতাম আর মুখোমুখি হইলে দুই হাত উচা কইরা জোরে ভাউ কয়া ভয় দেখাইতাম। আগন্তুক আচমকা ডরায়া চিল্লায়া উঠতো। আরেকটা স্বভাব আছে, মাঝে মাঝে অনেক রাতে জানালার সামনে যায়া ভদ্রভাবে দাড়ায়ে থাকি আর রাতের বেলা হঠাৎ জানালার সামনে আমারে দেখে আমার ভাই বোন ভয় পায়া যায় আর কয় আমার এই বদ অভ্যাস মানুষের হার্ট ফেইল করার জন্য যথেষ্ট। :( ।। সত্যি বলতে এহনও ছোটকালের মত ভাউ কইরা ভয় দেখাইতে মন চায় কিন্তু যদি কেউ হার্ট ফেইল করে তাই করি না। ভাবতাসি একবার ট্রাই করুম কিনা #:-S

পরীক্ষা দিয়া দুদিন যাবৎ এত ক্লান্ত যে, ভাবতাসিলাম আপনার একখান পোস্ট আইলে ভালাই হতো। এই নিয়তে ব্লগে আহি। আর আয়া দেহি এই পোস্ট। ফরিদ আমার মরহুম চাচার নাম। চাচার ভুত দিদারের কাহিনি পইড়া হাসতে হাসতে আমার ক্লান্তি পালাইসে। দুঃ্খিত এমুন স্বভাবের লেইগা কি করুম আমিও তো পুরান ঢাকার পাবলিক। !:#P

missing childhood a lot and pity for digital children |-)

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিকই কইছেন। ছোটকালে আমরা না জাইনা বুইঝা নির্বিকারভাবে বহুত কিছুই করছি, যা বড় হয়া করন সম্ভব না। আসলে সেই সময়টাই ছিল এমন, কিছু করনের লাইগা আগপাছ কেউ চিন্তাই করতো না। করনের দরকার, কইরা ফালাইলাম। এর রিপার্কেশান কি হইবো, কে কি কইবো, নিজের কোন বেইজ্জতি হইতে পারে কিনা......এইসব মাথায়ই লইতাম না। এই যে, এহন আপনের মাথায় হার্ট ফেইলের চিন্তা আইলো, ছোটকালে এই চিন্তা কেউ করতোই না। এহন টেরাই মারলেও জুইৎ করতে পারবেন না। গেয়ান, অভিজ্ঞতা বাড়লে মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে না। এই ব্যাপারে ''বাঙ্গালীর হাসির গল্প'' নামে একটা বইতে এক নাপিতের গল্প আছে। পড়ছেন নি?

কি পরীক্ষা দিলেন আবার.......অবশ্য এহন আমাগো জীবনটাই একটা পরীক্ষা। দিন-রাইত খালি দিতেইয়াছি, মাগার থামাথামির নামই লয় না!!! :(

যাক, আপনের ক্লান্তির সময়টাতে ইকটু হাসাইতে পারলাম, এইটাই কম কি? :)

আজকালকার ডিজিটাল পোলাপাইনের কথা আর কয়া লাভ নাই। এরা যহন বড় হইবো, এগো চারণ করনের মতোন তেমন কোন স্মৃতিই থাকবো না। আর আমরা যেইরহমের জীবন কাটাইছি, লাইফে যেই থ্রিল আর রোমাঞ্চ আছিল, এইগুলা হ্যারা কল্পনাও করতে পারবো না।

১১| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: =p~ =p~ =p~ সরকারী কোয়ার্টারে কেটেছে আমার শৈশব। এই মার্কা দুষ্টামি/বাদরামি খুব হইত সেই সময়ে। শবে বরাতের রাতে মনে আছে মরিচ বাত্তি , তারাবাত্তি জ্বালাতে দেখলেই যেসব চাচারা ধমক দিতেন, দুষ্টের দল সেই চাচাদের কাছে গিয়ে বেশি করে মরিচ বোম্ব ফুটাইতো যাতে উনারা দৌড় মারেন। নিজে এখন সেই বয়সে পৌছায়া বুঝি যে, এসব করা আসলে ঠিক না :`>

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সরকারী কোয়ার্টারের পোলাপান কি চীজ, সেইটা আমার খুব ভালোই জানা আছে। আমার নিজেরই বেশ বড়সড় একটা অভিজ্ঞতা আছে আজিমপুর সরকারী কলোনি নিয়া। আর শবে-বরাতের দুষ্টামী-বাদরামীর কথা আর কি কমু। লিখতে থাকলে উপন্যাস হয়া যাইবো। কোয়ার্টারের দিনগুলি নিয়া আপনে কিছু লেইখা ফালান না কেন? :)

বয়সের কারনে অনেক কিছু ঝাপসা হয়া গেছে। আপনের বলা মরিচ বাত্তি কি ওইটা, যেইটাতে আগুন দিলে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করতো; কোনদিকে যাইবো কেউ বুঝতে পারতো না?

১২| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার সেই চাচার জন্য আমার খারাপ লাগছে বেচারা হয়ত এই স্মৃতি নিয়ে সারাজীবন অন্ধকারে ছাদে যাওয়া থেকে বিরত থেকেছে!

আজ্ঞে এক টিকিটে দুই ছবির শানেনজুল যদি একটু বিশদভাবে তরজমা করতেন ব্লগারদের উপকার হতো আরকি!

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খারাপ তো আমারও লাগে। কিন্তু ওই বয়সে কি আর কেউ ভেবে-চিন্তে কাজ করে? যা মনে আসে, সেটা করে ফেলারই বয়স ছিল ওটা। যাকে এখন আমরা, বড়রা বলি ''বয়সের দোষ''।

''এক টিকিটে দুই ছবি''র শানেনজুল যারা জানে না, তাদের বাল্যকাল আসলেই খুব নিরীহ প্রকৃতির। যাইহোক, বিস্তারিত না বলে একটা লিঙ্ক দিলাম। প্রথম প্যারাটাই রেলেভেন্ট।view this link

১৩| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৩

:) :) :) :) :) বলেছেন:

৩০ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: :P :P :P

১৪| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ।

৩০ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বেশ!!! B-)

১৫| ০১ লা জুন, ২০২৩ সকাল ৮:০২

অপু তানভীর বলেছেন: আমার স্মৃতিটা পড়ে কেন জানি খুব বেশি আরাম লাগলো । এবং আপনি যে দুঃখিত হচ্ছেন এটা মনে হয় কোন দরকার নেই । একেবারে উচিৎ কাজটা করেছেন । আমাদের জীবনে এই সব অযাচিত মানুষের নাক গলানোর অভাব নেই । এদের এই রকম ভাবে শিক্ষা দিতে পারলে ভাল লাগতো বড় ।

বস শেষে ব্রেভো জানাই । আর এই স্মৃতি নিয়ে একটা ভুতের গল্প লেখার আইডিয়া মাথায় এসেছে । যদি লিখতে পারি আপনাকে লিংক দিয়ে যাবো নে ।

০৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখন দুঃখ পাচ্ছি, কারন বুড়া হয়েছি। যারা শৈশব পার করছে, তাদের অনেক কিছুই এখন আর পছন্দ হয় না। তবে, তাদের কিছু বলতেও যাই না। উনি যে বলতেন, সেটাকেও এখন আর ততোটা খারাপ মনে হয় না।

গল্প তৈরী হয়ে গেলে লিঙ্ক অবশ্যই দিবেন।

১৬| ০৬ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহা হাড়ে হাড্ডিতে বজ্জাত ছিলেন
দুষ্টের শিরোমণি লংকার রাজা

০৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'হাড়ে হাড্ডিতে বজ্জাত' বিষয়টা কি? সময় পাইলে একটু ব্যাখ্যা কইরেন তো!!! B:-)

১৭| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: একদম মিস্টার পারফেক্ট ভুত, অসাধারন ছিল চিত্রনাট্য, পরিচালনা এবং অভিনয়!

০৭ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: থ্যাঙ্কু! থ্যাঙ্কু!! মোগাম্বো খুশ হুয়া!!! :-B

১৮| ০৭ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬

আরোগ্য বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই ব্যাপারে ''বাঙ্গালীর হাসির গল্প'' নামে একটা বইতে এক নাপিতের গল্প আছে। পড়ছেন নি?

পাঠ্যবই ছাড়া আমি হাতে গোনা কয়েকটা বই পড়সি। ক্লাসে ফোর/ ফাইভে থাকতে এক বান্ধবী একটা হাসির গল্পের বই গিফট করসিলো, নাম মনে নাই। নাপিতের গল্পের কথা পড়সি বইলা মনে নাই।

কি পরীক্ষা দিলেন আবার.......অবশ্য এহন আমাগো জীবনটাই একটা পরীক্ষা। দিন-রাইত খালি দিতেইয়াছি, মাগার থামাথামির নামই লয় না!!! :(


আপনি মনে হয় কওয়া হয় নাই, আপনেগো ভার্সিটির আইএমএল এ আরবী ভাষার কোর্স করতাসি। জুনিয়র ফার্স্ট ডিভিশন পাইসিলাম। কয়দিন আগে সিনিয়র সেকেন্ড টার্ম পরীক্ষা দিলাম। নিজে পড়তে এত খাটতে হয় না, আরো দুই তিনজনরে বুঝাইয়া আমি পুরা ক্লাব স্যান্ডউইচ হয়া গেসিলাম। :( । দোয়া কইরেন যাতে এইবার ফার্স্ট ডিভিশন পাই। !:#P । ঠিকই কইসেন জীবনটাই একটা পরীক্ষা। তবে ছাত্রজীবনের মজাই আলাদা। গতানুগতিক জীবনের কামকাজ আর দায়িত্ব থেইকা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস পাই পড়ালেখার মাঝে। ওই ঘোরাফেরা আড্ডাফাড্ডা আমার আবার বেশি ভালা লাগে না।

আপনের প্রশ্নের উত্তর আগেই দিতাম কিন্তু ব্লগ কয়দিন একটু জিরায়া লইলো। গরমের প্রভাব সামুরে কাবু করসিলো। |-)

০৮ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাঙ্গালির হাসির গল্প বইয়ের নাপিতের গল্প এইহানে পাইবেন....view this link. পড়লেই বুজবার পারবেন, এইটার কথা ক্যান কইলাম!!

হ........এই কোর্সের কথা আগে কইছিলেন। ভুইলা গেছি গা। আসলে বুড়া হয়া গেছি, বহুত কিছু আইজকাইল মনে থাহে না!!! :(

তয় আরবী শিখতাছেন কিল্লেইগা, সৌদি যাইবেন নি? আমিও পারলে শিখ্যা ফালাইতাম, তয় অহন আর নতুন কিছু শিখনের টাইম নাইক্কা। যা শিখছি, তাও ভুইলা যাই!! দোয়া তো অবশ্যই করি। আল্লাহ আপনের জ্ঞান-বুদ্ধি আরো বাড়ায়া দেক। হ.....হুনছি, দ্যাশে বহুত গরম, আর এইহানে আমাগো এই সামারেও সূর্য ডুবলেই জ্যাকেট পিন্ধন লাগে। কন দেহি, কেমুনটা লাগে? আইজ দেখলাম ঢাকায় বৃষ্টি হইতাছে। এই একটা জিনিস বহুতই মিস করি।

আল্লাহ পাক আপনের মনের সব আশা পূরণ করুন। আমিন।

১৯| ২০ শে জুন, ২০২৩ রাত ২:১৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সত্যিই লেজটা...

২৪ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ...............খুজে পাই নাই আসলে!!! =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.