নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিউনিখের কড়চা.....তৃতীয় পর্বঃ মানবতার নির্বাসন-কাল – ২

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪


আগের পর্বগুলো:
মিউনিখের কড়চা.....প্রথম পর্বঃ হোম অফ দ্য মঙ্কস
মিউনিখের কড়চা.....দ্বিতীয় পর্বঃ মানবতার নির্বাসন-কাল – ১

বহুদিন হলো কোন পোষ্ট দেয়া হয় না। কয়দিন ব্যস্ততা একটু কম, তো ভাবলাম একটা পোষ্টানো যাক। মিউনিখের ২য় বিশ্বযুদ্ধের কনসেন্ট্রেশান ক্যাম্পের একটা পোষ্ট বেশ আগে প্রায়-রেডি করে রেখেছিলাম। ভাবলাম, একটু ঠিকঠাক করে ওটাই ঝেড়ে দেই। কিন্তু গত শনিবার সকালে ল্যাপটপের কোনাকাঞ্চি খুজেও হদিস বের করতে পারছিলাম না। ওদিকে রান্নাঘর থেকে হাড়ি-পাতিল পেটানোর জোরদার আওয়াজ ভেসে আসছিল। ''জোরদার'' কারন আমার বিবি সাহেবা গতকাল বলেছিল ফেরার সময় ডিম নিয়ে আসতে, স্টক খালি। আমি গিয়েছি ভুলে। এদিকে সকালে ডিম না খেলে ওনার নাস্তা ইনকমপ্লিট থেকে যায়। ফলে, ''ঝিকে মেরে বউকে শেখানো''র স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে।

ইজ্জতের উপর আসন্ন হামলা আচ করতে পেরে আমিই আগে আক্রমণ শানানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। উঠে গিয়ে বললাম, একদিন ডিম না খেলে কি হয়? ধরো এখন মুরগীরা সবাই হঠাৎ ডিম পারা বন্ধ করলো…...কি করবা? আর হাড়ি-পাতিলের উপর এতো অত্যাচারেরই বা মানে কি? ২য় বিশ্বযুদ্ধের একটা পোষ্ট খুজছি, তোমার শব্দের ঠ্যালায় তো মনোযোগই দিতে পারছি না!!

আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টি হেনে বললো, এখ্খনই যদি ডিম না পাই তাহলে ৩য় বিশ্বযুদ্ধ কেউ ঠেকাতে পারবে না।

ওর খুণে দৃষ্টি দেখে আর কথা না বাড়িয়ে গাড়ির চাবিটা নিয়ে বের হলাম। ছুটির দিনে সকাল সকাল ৩য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার কোন মানেই নাই। যেই যুদ্ধে জিততেই পারবো না, সেই যুদ্ধে নামে কোন বেকুব?

ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আগেই ওয়াকিবহাল ছিলাম। এবার অন্যরকমের গুণেরও প্রমাণ পেলাম। ডিম দিয়ে নাশতা করে ল্যাপটপে বসতে না বসতেই পোষ্টটা খুজে পাওয়া গেল!!!


চলেন তাহলে, মিউনিখের দাহাউ কনসেন্ট্রেশান ক্যাম্পের দিকে দৃষ্টি ফেরানো যাক। আগের পর্বে ক্যাম্প সম্পর্কে বেশ খানিকটা ইন্ট্রো দিয়েছিলাম, তাই আর বিস্তারিত বিশেষ কিছু বলছি না।

সেই ১৯৪৫ সালে আমেরিকান ৪২তম রেইনবো ডিভিশনের সৈন্যরা যখন এই ক্যাম্পে পৌছায়, তখন পর্যন্ত তাদের পরিস্কার কোন ধারনাই ছিল না, কনসেন্ট্রেশান ক্যাম্প জিনিসটা আসলে কি! কিন্তু ক্যাম্পের জায়গায় জায়গায় ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহের স্তুপ, ডজন ডজন ট্রেনের বগি ভর্তি গলিত, কাদা হয়ে যাওয়া মানবদেহের অবশিষ্টাংশ আর হাজারো দন্ডায়মান কঙ্কালসার আদমসন্তানকে তারা যখন সামনে দেখতে পেল; তখন তারা আক্ষরিক অর্থেই বাকরুদ্ধ হয়ে গেল। এটা ভাষায় বর্ণনাতীত…….বলেছেন সেই সময়ের সাক্ষী এক আমেরিকান আর্মি অফিসার।

২৯শে এপ্রিল, ১৯৪৫ সাল। হিটলারের আত্মহত্যার ঠিক আগের দিন দাহাউ ক্যাম্পের পতন ঘটে। তখন পর্যন্ত এই ক্যাম্পের রেজিস্টার্ড বন্দীসংখ্যা ছিল ৬৭,৬৬৫ যার তিনভাগের একভাগই ছিল ইহুদি। আর মুক্তির দিন জীবিত বন্দী পাওয়া যায় ৩২,০০০।


নিরাপত্তা পরিখা পার হয়ে একটা গেইট। এটা হলো, ''নরকের প্রবেশদ্বার''।

এই সেই গেইট, যেটা দিয়ে সেই সময়ে একবার যেই বন্দী গিয়েছে, সে আর কখনও ফিরে আসেনি। ঢোকার সময়ে ভাবছিলাম, আমি ঢুকছি……..ফিরেও আসবো; কিন্তু কতো হাজার হাজার আদম সন্তান আর কোনদিন পৃথিবীর আলো দেখে নাই। কেমন ছিল তাদের সেই অন্তিম যাত্রা? ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো, তারা জানতোও না যে, এটাই তাদের অন্তিম যাত্রা। খুশীমনেই তারা এই গেইট পার হতো। বুঝেন নাই? বলছি; চলেন, ভিতরে ঢুকি আগে।


এই গেইট দিয়ে একটা পাথরের খোয়া বিছানো রাস্তা চলে গিয়েছে। সেটা ধরে একটু আগালেই এই বিল্ডিংটা নজরে আসবে। এটাই সেই গ্যাস চেম্বার আর ক্রিমেটোরিয়াম ভবন। তাহলে এবার চলেন, আপনাদেরকে হিটলারের কুখ্যাত গ্যাস চেম্বার আর ক্রিমেটোরিয়াম ঘুরিয়ে দেখাই। এটার কথা এতো শুনেছি যে, এই গ্যাস চেম্বারের দিকে যাওয়ার সময় আমি ভীষণ রকমের উত্তেজিত আর একই সঙ্গে নার্ভাস ছিলাম।

ভবনের প্রথম ঘরটা ছিল ওয়েটিং রুম। একেবারেই সাদা-মাটা একটা ঘর। সেটার ছবি তোলা হয় নাই। কয়েদিরা সেখানে খুশীমনেই অপেক্ষা করতো। তখন একেকটা রুমে কয়েদিদেরকে গাদাগাদি করে বছরের পর বছর রাখা হতো। গোসল না করা পুষ্টিহীনতায় কাতর শরীরগুলো ছিল খোস-পাচড়ায় ভরা। মাথা ভর্তি থাকতো উকুন। যাদেরকে মেরে ফেলা হবে, তাদেরকে বলা হতো একটা বিশেষ গোসলের মাধ্যমে তাদের শরীর জীবাণুমুক্ত করা হবে, ফলে তারা আরাম পাবে। এই মিথ্যা আশ্বাসে তারা খুশীমনে এখানে চলে আসতো।


এটা হলো, তাদের কাপড়-চোপড় খুলে উলঙ্গ করার ঘর। গোসলের পূর্ব-প্রস্তুতি হিসাবে এখানে তাদের সমস্ত কাপড়-চোপড় খুলে স্তূপ করে রাখা হতো। খেয়াল করে দেখেন, পরের ঘরের দরজার উপরে জার্মান ভাষায় লেখা আছে BRAUSEBAD, অর্থাৎ Shower বা Bath। এটাই আসলে গ্যাস চেম্বারে ঢোকার দরজা। কি নিদারুণ রসিকতা……...কি বলেন!!!




গ্যাস চেম্বার। দেয়ালের আর ছাদের ঝাঝরিগুলো দিয়ে জাইক্লন বি নামের মারণ গ্যাস ছেড়ে দেয়া হতো। চেম্বারের জানালাগুলো ছিল বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণের জন্য।


গ্যাসের প্রভাবে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর বন্দীরা পেশাব-পায়খানা করে দিতো। অনেকে রক্তবমিও করতো। সেসব ধুয়ে ফেলার জন্য মেঝের এই ড্রেইনেজের ব্যবস্থা ছিল।


ডেথ চেম্বার ১। গ্যাস চেম্বার থেকে মৃতদেহগুলো পোড়ানোর জন্য এখানে এনে রাখা হতো।






ক্রিমেটোরিয়াম। এখানে সর্বমোট চারটা চুল্লী মৃতদেহ পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হতো। আড়কাঠ মানে যে কপিকল দেখছেন, সেগুলো দিয়ে মৃতদেহ ঝোলানো হতো। কেন ঝোলানো হতো, আল্লাহ মালুম। নাৎসীদের কাজ-কারবারই ছিল অন্য মাত্রার। সাক্ষাৎ শয়তানের দোসর ছিল একেকটা!!!


ডেথ চেম্বার ২। বাইরের অন্যান্য জায়গা থেকে পোড়ানোর জন্য মৃতদেহ এনে এখানে রাখা হতো।

এই কম্পাউন্ডের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় অনেকগুলো গণসমাধিক্ষেত্র আর সৌধ আছে। কয়েকটা দেখেন।


ইংরেজি আর জার্মান ভাষায় লেখা….....…GRAVE OF THOUSANDS UNKNOWN.


ASH GRAVE…………..এখানে শুধু ছাই কবর দেয়া হয়েছিল।




PISTOL RANGE FOR EXECUTION…………….পিছনে যেই সাদা দেয়ালটা দেখছেন, সেখানে বন্দীদেরকে দাড় করিয়ে শুধু পিস্তল দিয়ে গুলি করে মারা হতো। জংলা অবস্থার জন্য দেয়ালের কাছে যাওয়া যায় না। শুনেছি, দেয়ালে কিছু বুলেটের চিহ্ন এখনও রেখে দেয়া হয়েছে।


EXECUTION RANGE WITH BLOOD DITCH……………...বাকীগুলোতে কি এই সুবিধা ছিল না? বিষয়টা ঠিক পরিস্কার না।


GRAVE OF MANY THOUSANDS UNKNOWN…………..সারা কম্পাউন্ডে এই একটাই খৃষ্টানদের গণকবর দেখেছি। বাকী সব সৌধ/কবর ইহুদীদের।


ASHES WERE STORED HERE………...আরেকটা ছাইয়ের গণকবর।

মোটামুটি এই হলো আজকের আয়োজন।

পুরো কম্পাউন্ডটা ঘুরে দেখতে দেখতে যে কারো বুক চিরে অনেকগুলো দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসবে। আশ্চর্য লাগে, যে ইহুদীরা একসময়ে এতো নির্যাতন, নিপীড়ন আর গণহত্যার শিকার হয়েছিল, আজ সেটাই তারা চালিয়ে যাচ্ছে প্যালেস্টাইনে। এই ক্যাম্প, এই গণকবরগুলো দেখেও কি তাদের বুক কাপে না? নেতানিয়াহু আর হিটলারে কি আদৌ কোন পার্থক্য আছে? হিটলার আর তার সাধের জার্মানীর যেভাবে পতন হয়েছিল, নেতানিয়াহু আর তার ইজরায়েলের নিশ্চিত পতনও একদিন সেভাবেই হবে। মাঝখান দিয়ে লক্ষ লক্ষ আদম সন্তান বেহুদা জীবন হারালো। অত্যাচারীর পতন অবশ্যম্ভাবী, এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, এই শিক্ষাটাই কেউ নেয় না। ফলে, পৃথিবীর ইতিহাসে বার বার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।

এই ভিশাস সার্কেল থেকে মুক্তির কোন উপায় কি আদৌ আছে? আমার তো মনে হয় না।


শিরোনামের ছবিটা নিয়েছি উইকিপিডিয়া থেকে। আমেরিকান সৈন্যদের হাতে ক্যাম্পের পতন।
বাকী ছবিসূত্রঃ আমার কমদামী মোবাইল।
তথ্যসূত্রঃ বিভিন্ন ট্যুরিষ্ট গাইডবুক আর লোকেশানের ইনফরমেশান বোর্ড।

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

বিজন রয় বলেছেন: বহুদিন পর পোস্ট দিলেন!!

ভালো আছেন নিশ্চয়ই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলেই..........বেশকিছুদিন পর দিলাম। ওপরওয়ালার ইচ্ছায় বেচে আছি। :)

আপনার খবর কি?

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ভালোই তো ঘুরাঘুরি করে বেড়াচ্ছেন।
আছেন বেশ।
তবে পোস্ট দিলেন অনেক দিন পর।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই ঘোরাঘুরিটা আগের। এরপরের আরো ঘোরাঘুরি জমে আছে। সময় করতে পারি না, পোষ্টাইতেও পারি না। আফসোস!!! বড়ই আফসোস!!!! ;)

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: চমৎকার সব তথ্য ও ছবি। অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে পোষ্টে আসার জন্য। :)

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্ট পড়তে পড়তে আমিও বার বার শিউরে উঠছিলাম - কী ভয়ঙ্কর এবং নিষ্ঠুর কিলিং প্রসেস !!!

আপনি ঠিকই বলেছেন, হিটলার আর নেতানিয়াহুর মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। ওসব ইতিহাস পড়ে এবং চিহ্ন দেখে ইহুদিদের কোনোদিন বুক কাঁপবে বলে মনে হয় না, অধিকন্তু প্রতিশোধের আগুন আরো বেশি করে জ্বলে উঠতে থাকবে। তবে, প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মে ক্ষমতা শিফট হবেই, একজন থেকে আরেকজন। ইসরায়েলেরও পতন হবে। অত্যাচারীরা বহুদিন টিকে থাকতে পারে না।

সরেজমিন ঘুরে এসে একটা মূল্যবান পোস্ট লিখেছেন। দীর্ঘ পোস্ট খুব কম পাঠকই পুরোটা পড়েন, কমেন্ট থেকেই বোঝা যায় :) ব্যাপার না, এমন পোস্টের মূল্য সব সময়ই থাকবে।

শুভেচ্ছা রইল।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নাৎসীরা নিষ্ঠুরতার জন্য কুখ্যাত ছিল ঠিকই, কিন্তু তাদের চেয়েও বহুগুনে নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে অনেক সাম্রাজ্য আর তার শাসকেরা। ইতিহাস সাক্ষী। যখন যার সুযোগ আসে আর কি!! বেশীরভাগই তো আমরা সুযোগের অভাবে ভিজা বিড়াল!!! :P

আজকের ইজরায়েলের ব্যাপারটা ইতিহাসের চিরাচরিত নিয়মেই আবর্তিত হবে। তবে, সময় যখন আসবে........এদেরকে সম্ভবতঃ আরো ভয়াবহ পরিণতি বরন করতে হবে। অবশ্য সন্ত্রাসী রাষ্ট্র আমেরিকা না থাকলে এদের এতো বাড়ও বাড়তো না। বাকী বিশ্বের সবাই কমবেশী এদের উপর বিরক্ত।

পোষ্ট আসলে বেশী বড় না, ছবির কারনে বড় মনে হচ্ছে। আমার পোষ্টগুলো সাধারনতঃ এর চাইতেও বড় হয়। যারা ইন্টারেস্ট পাবে, পড়বে। সবার তো আর সব বিষয়ে ইন্টারেস্ট নাই.......কি বলেন!!! :)

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮

প্রামানিক বলেছেন: নিষ্ঠুর ইতিহাস। এতো কিছু জানা ছিল না।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নিষ্ঠুর ইতিহাস নিয়ে নাড়াচাড়া করে মজা পাই না। তারপরেও করতে হয়। :)

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৩

রাফখাতা- অপু তানভীর বলেছেন: এটা অবশ্য ঠিকই বলেছেন। যে যুদ্ধে জয়ের সম্ভবনা নাই সেই যুদ্ধে না নামাই ভাল । :D

ডেথ চেম্বারের ঘর আর চুল্লি গুলো দেখে কিন্তু এতো পুরানো মনে হচ্ছে না। ১৯৪০ সাল যদি ধরি তাহলে আজকের দিনে ৮০ বছরের বেশি পুরানো !

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা অবশ্য ঠিকই বলেছেন। যে যুদ্ধে জয়ের সম্ভবনা নাই সেই যুদ্ধে না নামাই ভাল । :D এই জ্ঞান দুনিয়াতে কয়জনের আছে? বেশীরভাগই তো কোমরে কাছা দিয়ে নেমে পড়ে.........কিছু না বুঝেই!! ;)

ঠিকমতো মেইনটেইন করলে ৮০ বছর কোন বিষয়ই না। আমাদের আহসান মন্জিলই দ্যাখেন, কিরাম নতুনের মতো লাগে!!! B-)

এই নিকে হাজির হইলেন যে বড়...........আসলটা কই? :-B

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১০

ঢাবিয়ান বলেছেন: অত্যাচারীর আসলে কোন জাত নাই। তা হোক সে হিটলার, নেতানিয়াহু কিংবা আমাদের গুম বিশারদরা ---

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ.............হাচাই কইছেন!!!! :P

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

শায়মা বলেছেন: কি কষ্টকর! মেরে ফেলার জন্য গ্যাস চেম্বারে ঢুকাতে হবে কেনো? তাও আবার মিথ্যা বলে বলে। আসলেই শুধু সাক্ষাৎ শয়তান না উন্মাদ ছিলো মনে হয়।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: উন্মাদ তো খানিকটা ছিলই। সব অত্যাচারীরাই কম-বেশী সাইকোপ্যাথ। এরা মারার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি এপ্লাই করে দেখে কোনটা বেশী আনন্দদায়ক। মনে করো, পেট ভরানোর জন্য মানুষ যেমন বিভিন্ন ধরনের খানা-খাদ্য খায়.........ব্যাপার অনেকটা সেই রকমের। :P

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫১

শায়মা বলেছেন: এখন সেই পূর্বপুরুষদের উপর অভিশাপের কারনেই হয়ত আজকের এই অবস্থা। :(

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কাদের পূর্বপুরুষ? ইহুদী নাকি জার্মানদের? বুঝি নাই। B:-)

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০১

শায়মা বলেছেন: ইহুদীরা অত্যাচারিত হয়ে প্রেতাত্মা হয়ে নেমে এসেছে প্যালেস্টাইনের উপরে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইগুলি দুই নাম্বার প্রেতাত্মা। অত্যাচার করলো হিটলারের জার্মানী আর এরা নাজিল হলো প্যালেস্টাইনে। কোন কথা হলো? এখন বুঝো, এরা কতোটা ফাজিল। এদেরকে টাইট দেওয়াই উচিত!!! X(

১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

শায়মা বলেছেন: দুই নাম্বারী প্রেতাত্মা! :P ঠিক ঠিক জার্মানীতে না গিয়ে প্যালেস্টাইনে এসেছে কেনো? সে যাইহোক তাদের উপরে করা অত্যাচার আর প্যালেস্টাইনে করা অত্যাচার এমন সব খুন একেবারেই কাম্য না। অত্যাচার যেই করুক না কেনো দুই ঘৃন্য।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অত্যাচার যেই করুক না কেনো দুই ঘৃন্য। কথা ঠিক, তবে যারা নিজেরাই এই লেভেলের অত্যাচার সহ্য করেছে একসময়ে; তারাই যদি সেইসব ভুলে গিয়ে অন্যদের উপর সেই একই কাজই করে তাহলে ধরে নিতে হবে.........এরা আসলেই খারাপ। এদের সাথে যা হয়েছিল একসময়ে, ঠিকই হয়েছিল। মানুষ এদের প্রতি যেমন সহানুভূতিশীল ছিল, তেমনটা আর থাকবে না। বলবে......হিটলার এদের সাথে উচিত কাজটাই করেছিল।

চিল্লায়া বলো..........ঠিক কিনা!!!! :-B

১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

শায়মা বলেছেন: হিটলারও ভুল করেছিলো। এত কষ্টের কথা পড়ে হিটলারকে অমানুষ মনে হয়েছে। তবে হ্যাঁ এমনই হয় হয়ত অত্যাচারিত হলে মানুষ অত্যাচারই শিখে। যেমন যেই বাচ্চারা ছোটবেলা অত্যাচারিত হয় বড় হয়ে নিজের বাচ্চার উপর একই কাজ করে। বাংলাদেশের বউ এর সাথে শ্বাশুড়িরা যা করে সেই বউ একদিন শ্বাশুড়ি হয়ে একই কাজ করে। ঠিক এইভাবেই ইহুদীরাও এই কাজ করেছে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুই ধরনের মানুষ আছে।

এক ধরন ভাবে, আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছে, তা আমি অন্যের সাথে হতে দেবো না। এরা সুস্থ চিন্তার মানুষ।
আরেক ধরন ভাবে, আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছে, তাই আমি অন্যের সাথে করবো। এরা অসুস্থ চিন্তার মানুষ। সাইকোপ্যাথ।

যেমন যেই বাচ্চারা ছোটবেলা অত্যাচারিত হয় বড় হয়ে নিজের বাচ্চার উপর একই কাজ করে। বাংলাদেশের বউ এর সাথে শ্বাশুড়িরা যা করে সেই বউ একদিন শ্বাশুড়ি হয়ে একই কাজ করে। তোমার কথার সূত্র ধরেই বলি, পৃথিবীতে এমন অনেক বাবা বা শ্বাশুড়ি আছে, যারা ভাবে আমার সাথে যা হয়েছে তা যেন আমার বাচ্চা বা বউয়ের সাথে না হয়। ভালো করে দেখো, তোমার চারপাশেই এমন মানুষ পাবে।

কিছু জিনিস আমরা চারপাশ থেকে শিখি, আর কিছু আমাদের রক্তের মধ্যে থাকে। যারা ক্রিমিনাল মাইন্ডের, তারা খারাপটাই তুলে নেয় বা প্রয়োগ করে। সাধারনভাবে ইহুদিদের রক্তেই দোষ আছে। তাই তারা সুস্থ চিন্তা করতে পারে না। নয়তো অতীত চিন্তা করে তারা প্যালেস্টাইনীদের সাথে মিলেমিশে থাকতো।

আজকাল ''ইজরায়েলড (Israeled)'' নামে একটা নতুন শব্দ ইংরেজিতে চালু হয়েছে.......শুনেছো আশা করি!!! :)

১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মিরোরডডল বলেছেন:




ভয়ঙ্কর নৃশংসতা!!!
পড়তে পড়তে আমার গা গুলিয়ে আসছিলো।
এরা মানুষ না।

ওয়ার মুভিস আমার খুব পছন্দ, মুভিগুলো সত্য ঘটনা অবলম্বনে।
খুবই ভালো মুভি হয় কিন্তু কিছু কিছু দৃশ্য আমি নিতে পারিনা।
এই লেখা পড়ার সময় সেরকম লাগছিলো।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নৃশংসতা দেখে গা গুলালেও বাস্তবতাকে তো দর্শণ করতেই হয়, আর কোন অপশান তো নাই..........তাই না!!

ওয়ার মুভিজ সব তো আর সত্য ঘটনার উপরে না। প্রয়োজক, পরিচালক আর স্ক্রীপ্ট রাইটাররা মনের মাধুরী মিশিয়ে কতো ওয়ার মুভিইতো বানায়। তবে, সত্য ঘটনা নিয়ে করা মুভিগুলো আমি সত্যিই খুব পছন্দ করি। এখন ওয়ার মানেই নৃশংসতা। সেখানে তো আর নায়ক-নায়িকা ফুল নিয়ে লম্ফ-ঝম্ফ করবে না। তেমনিভাবেই এই ক্যাম্পগুলোও নৃশংস কার্যকলাপের জন্য হলেও ইতিহাসের অংশ।

ভাবছি.........মিড এমন কোন ক্যাম্প পরিদর্শনে গেলে সেটাকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখতে হবে আগেই!! =p~

১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০০

মিরোরডডল বলেছেন:




উলঙ্গ করার ঘরে ব্যাকপ্যাক মেরুন টিশার্ট কি আমাদের ভূম?
ভুমের নাকি পা সুন্দর, ভাবলাম পা প্রদর্শন করছে কিনা :)





০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: উলঙ্গ করার ঘরে ব্যাকপ্যাক মেরুন টিশার্ট কি আমাদের ভূম? ইয়েস!! এই প্রদর্শন শুধুমাত্র তাদের জন্য; যারা সুন্দর, ফর্সা আর আকর্ষনীয় পা পছন্দ করে!!! :P

১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২১

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ভাবতেছি 'ডিম'টা না খাইলে কই হইত???
এইরকম একটা পোস্ট মিস করতাম!!!! ভাবিসাবরে থ্যাঙ্কু- এইরকম তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রত্যেকদিন যেন লাগায় :)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আচ্ছা...............তাইলে সব কৃতিত্ব আপনের ভাবীসাবের! আমি যে কষ্ট কইরা সাত সকালে ডিম আইনা দিলাম সেইটা কিছুই না!!! X(

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ও........কইতে ভুইলা গেছি..........বিভ্ন্নি পোষ্টে আজকাল খালি আপনের প্রশংসা দেখতে পাই!! এই যে এতো এতো প্রশংসাপত্র পাইতেছেন, এইটা নিয়া একটা কৃতজ্ঞতা পোষ্ট দেওয়ার অনুরোধ থাকলো। =p~

১৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: শুধু কি আমার- ফাঁকে ফুকে আপনিও থাকেন!
আপনি মিয়া রেগুলার হন দেইখেন আপনারও প্রশংসার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে দিব :)
ফুর্তিতে মাঝে মধ্যে আউলাইয়া গেলে মিরোর আফায় আইস্যা মাথায় বরফ পানি ঢালে :) ;)
আমার শেষ কৃতজ্ঞতা পোস্টে এত বেশি কৃতজ্ঞতা ঝড়ে পড়েছিল যে, কতৃপক্ষ সইতে না পেরে আবেগে সেই পোস্ট ব্যন করে দিয়েছিল। ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আহা........বুঝেন না কেন, ফাকে-ফুকে যারা থাকে তারা দুধভাত। তাদের গুরুত্ব কম। আপনার নাম তো মনে হয় দিনরাত তছবি টিপে টিপে জপে। কি লাভ হইলো মুরুব্বীরে এতো সন্মান দিয়া? অবশ্য সে আমার বড়ভাই, তারে সন্মান দিলে আমারও সন্মান বাড়ে বৈ কমে না।

আপনি মিয়া রেগুলার হন দেইখেন আপনারও প্রশংসার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে দিব :) আমি গরীব ব্লগার। আমার কি আর সেই সৌভাগ্য আছে? :P

কর্তৃপক্ষের আসলে আবেগ বেশী। আবেগে মাঝে মধ্যেই 'পাগল মুক্ত দিবস' পালন করে। :-B

১৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মূল কারণ মনে হয় হয় অতি অস্বাভাবিক জাতীয়তাবাদ। এই কথা তৎকালীন জার্মান জাতি এবং বর্তমান ইসরাইল রাষ্ট্র উভয়ের ক্ষেত্রেই মনে হয় প্রযোজ্য। নিষ্ঠুরতা যখন ব্যক্তি পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে সংক্রমিত হয় তখন আর মানুষের মধ্যে বিবেক, দয়া, মায়া বলে কিছু থাকে না। আমাদের দেশে এই মাত্রার নিষ্ঠুরতা নিকট অতীতে হয়তো দেখা যায় নাই। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষমতাশালী দলের লোকেরা অনেকে দলীয় ভাবে মনে হয় এই ধরণের সংক্রমণে আক্রান্ত। একই সাথে বাংলাদেশের কিছু গোয়েন্দা সংস্থা এমন কিছু নিষ্ঠুর আচরণ করে যেটা কল্পনাও করা যায় না। এই ধরণের আচরণ করে এরা বাসায় গিয়ে স্ত্রী সন্তানের সাথে এক টেবিলে বসে খায় কিভাবে এটা নিয়ে আমি অনেক সময় ভাবি। বন্দি মানুষের উপর নিপীড়ন করার মধ্যে কি বীরত্ব এটা আমার মাথায় আসে না।

কোয়েল পাখির ডিম সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে নাকি শক্তিও বাড়ে। খাঁচায় মুরগী না হলেও কয়েকটা কোয়েল পাখি পুষলে ডিম সরবরাহের সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবেন।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথমেই ডিমের কথায় আসি। কোয়েল পাখির ডিম বেশী ছোট। পোষাবে না। আমার আসলে উটপাখির ডিম দরকার। উহা কি খাচায় পালন করা যাবে? বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়েন। ;)

অতি অস্বাভাবিক জাতীয়তাবাদ হিটলারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। জায়নবাদের ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য না। উগ্র জাতীয়তাবাদের যে বৈশিষ্ট্য, তা ইহুদীবাদে ততটা প্রকট না। এরা আসলে তস্কর মনোভাবাসম্পন্ন। ছলে-বলে-কৌশলে অন্যের সম্পত্তি লুটে পুটে কিভাবে খাওয়া যায়, সেই ধান্ধায় থাকে। হিটলারের তাও একটা নীতি ছিল, এদের ধান্ধাবাজি ছাড়া কিছুই নাই। আশাকরি, ঠিকমতো বুঝাইতে পারলাম। না পারলে আমারই ব্যর্থতা। :)

১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:




লুক, আমি কিন্তু দেখেই চিনতে পেরেছি:)
হাইট কত, দেখেতো ভালোই মনে হচ্ছে probably 178cm or more.
তার কম হবে না।

লেখক বলেছেন: ইয়েস!! এই প্রদর্শন শুধুমাত্র তাদের জন্য; যারা সুন্দর, ফর্সা আর আকর্ষনীয় পা পছন্দ করে!!

হা হা হা
ভুম নির্বাচনে দাঁড়ালে ভালো করবে, প্রচারণা ভালো পারে :)


ভাবছি.........মিড এমন কোন ক্যাম্প পরিদর্শনে গেলে সেটাকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখতে হবে আগেই!!

আরেহ নাহ ফুল দিয়ে সাজাতে হবে না, ভুম সঙ্গে থাকলেই হবে ;)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুম হচ্ছে ক্রোড়মে এক, না চিনার কোনই কারন নাই। সেলেব্রেটি হওয়ার এই এক সুবিধা; ভিড়ের মধ্যে সহজেই আলাদা করা যায়!!! =p~

আরেহ নাহ ফুল দিয়ে সাজাতে হবে না, ভুম সঙ্গে থাকলেই হবে ;) অবশ্যই, মাই প্লেজার! শুধু দিন-তারিখ-সময় জানিয়ে দিলেই হবে। বান্দা হাজির!!! :-B

১৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:




ওয়ার মুভিজ সব তো আর সত্য ঘটনার উপরে না।

তা না কিন্তু আমি পছন্দ করি ট্রু স্টোরি বেইজড ওয়ার মুভিজ দেখতে।
শুধু তাই না, যেকোন ধরনের মুভি স্পেশালি ক্রাইম থ্রিলার, ফিকশনের চেয়ে নন-ফিকশন সত্যি ঘটনার ওপর মুভিগুলো আমার ভালো লাগে, বেশি দেখা হয়।

The Pianist, এই মুভি আমি একাধিকবার দেখেছি, you won't believe, যতবার দেখি আমার চোখে পানি চলে আসে :(





০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি পছন্দ করি ট্রু স্টোরি বেইজড ওয়ার মুভিজ দেখতে। শুধু তাই না, যেকোন ধরনের মুভি স্পেশালি ক্রাইম থ্রিলার, ফিকশনের চেয়ে নন-ফিকশন সত্যি ঘটনার ওপর মুভিগুলো আমার ভালো লাগে, বেশি দেখা হয়। পছন্দে মিল আছে। আসলে যে কোনও জ্ঞানী মানুষের পছন্দ এমনটাই হবে। :P

The Pianist একটা চমৎকার মুভি। বার বার দেখার মতো।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: Will Smith এর Pursuit of Happiness এমনই বারে বারে দেখার মতো মুভি।

২০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




কি ব্যাপার হাইটের বিষয়টা চেপে গেলো কেনো? তারমানে আমার অনুমান ঠিক হয়নি? #:-S

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার হাইট তো আসলে অতোটা না, এইজন্য লজ্জায় কিছু বলি নাই!! আমার আবার লজ্জা খুবই বেশী!!! :``>>

২১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৭

মিরোরডডল বলেছেন:




Will Smith এর Pursuit of Happiness

এটাও আমি একধিকবার দেখেছি।
এই মুভি দেখেও চোখে পানি আসে, কি জ্বালা :)



০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই মুভি দেখেও চোখে পানি আসে, কি জ্বালা :) আসলে আমাদের মতো মানুষের মন খুবই নরম প্রকৃতির। অন্যের দু্ঃখ আমরা সহ্য করতে পারি না। সেইজন্যই সবাই আমাদের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলে!!! :-B

২২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:০৮

কোলড বলেছেন: Nice write up. Nazis conducted many useful medical experiment on the prisoners in Dachau. Most infamous was the high altitude and malaria vaccine experiment. Dr. Claus Schlling, one of the most brilliant doctors on tropical medicine conducted numerous malaria vaccine trials on the prisoners causing hundreds of death. High altitude test where prisoners were subjected to de-pressurized environment proved useful later in aviation. Some good always come out of the evil deeds!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: Some good always come out of the evil deeds! চমৎকার বলেছেন, শুধু always এর জায়গায় also বললে আরো যুৎসই হতো। এই বিভিন্ন রকমের এক্সপেরিমেন্ট এর বিষয়টা আমার তৃতীয় এবং শেষপর্বে আছে। বেশ আগে লিখে রেখেছি, আপনি যেগুলো বলেছেন, সেগুলো চেক করে দেখবো আছে কিনা। :)

পড়া আর মন্তব্য...........দু'টার জন্যই অনেক ধন্যবাদ।

২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মানুষের এইসব নিষ্ঠুরতা মানবতাকে বলি দিয়েছে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নিষ্ঠুরতাও মানবসৃষ্ট, মানবতাও মানবসৃষ্ট...........আমাদের কি করার আছে? ;)

২৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: বহুদিন পর ফিরলেন, তাও এমন একটা পোস্ট নিয়ে... :|

মনে পড়লো, একসময় মা. হাসান আর জুন আপনার পোস্টে দাওয়াতি কার্যক্রম চালাতেন, আপনি পোস্ট দিলেই মা. হাসান তাড়াতাড়ি জুনের পোস্টে গিয়ে আপনার পোস্টে আসার আমন্ত্রণ জানাতেন। এবারের এই পোস্ট দেখলে হয়তো মা. হাসান দাওয়াতি কার্যক্রম স্থগিত করতেন।

আমি ভ্রমণ কাহিনী পড়তে সবসময়ই পছন্দ করি, ছবিগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি (দ্রষ্টব্য আপনার ইস্টার আইল্যান্ডের পোস্ট)। কিন্তু এবারের পোষ্টের ছবিগুলো দেখতে একেবারেই উৎসাহ পেলাম না। তাহলে এবার চলেন, আপনাদেরকে হিটলারের কুখ্যাত গ্যাস চেম্বার আর ক্রিমেটোরিয়াম ঘুরিয়ে দেখাই। এইসব মৃতদেহ পোড়ানোর চুল্লি আর আড়কাঠে ঝোলানোর কপিকলের ছবি না দেখলেও আমার জীবনে তেমন কোন ক্ষতি হতো বলে মনে হচ্ছে না। :(

আজ থেকে ৪০, ৫০ কিংবা ৮০ বছর পর হয়তো কোন পর্যটক ফিলিস্তিনে গিয়ে এমনিভাবেই ঘুরে ঘুরে দেখবে, কোথায় কিভাবে অসহায় ফিলিস্তিনিদের নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

আপনার পরের পোস্টে প্লাস দেবার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো, এই কথা বলে বিদায় নেয়ার আগে ডিম সমস্যার সমাধানমূলক একটা কথা বলে যাই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডিম যখন সস্তা থাকে তখন ডিম সিদ্ধ করে ফ্রিজ ভরে ডিম রাখতে, আর যখন ডিমের দাম বেশি হবে তখন ফ্রিজ থেকে বের করে সেই সেদ্ধ ডিম খেতে। এই বুদ্ধিটা কাজে লাগাতে পারেন, দরকার হলে নতুন একটা ফ্রিজ কিনে সিদ্ধ ডিম ভরে রাখেন। অবশ্য যদি বলেন আপনি ডিম পোচ খেতে চান, তাহলে কি করবেন সেটা আমি জানি না। দেখি পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কি বুদ্ধি দেন...

ভালো থাকুন। :D

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বহুদিন পর ফিরলেন, তাও এমন একটা পোস্ট নিয়ে... :| হে হে হে..........কি করবো বলেন, হিটলার ওস্তাদের কাজ-কামের একটু বর্ণনা না দিলে কেমন দেখা যায়? বেচারা এতো কষ্ট করেছিল!!!

মা. হাসানের কথা বলে আর কি হবে? সে তো আমাদেরকে ভুলেই গিয়েছে। মা. হাসানের কার্যক্রমটা বরং আপনি কন্টিনিউ করেন। দারুন হবে। পোষ্ট দেখে আপনি যতোটা দুঃখ পেয়েছেন, ব্যাপারটা সেরকম না। সব সময়ে শুধু ভালো দিকগুলোই দেখতে হবে কেন? লাভ-ক্ষতির বিষয়টা খতিয়ে দেখলেই বুঝবেন, শুধু একটু গভীরে যেতে হবে। যেমন মনে করেন, অন্ধকার না দেখলে আলোর মর্যাদা কি বোঝা যায়? ব্লগে কিছু বজ্জাত আছে বলেই না আপনি আমার মতো একজন চমৎকার ব্লগারের মুল্য বুঝতে পারছেন। ঠিক না? =p~

ইতিহাস যতো কঠোর আর নৃশংসই হোক না কেন, আমাদের জানতে হবে। আর কঠোরতা আর নৃশংসতা ইতিহাসের সাথে এমন ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে যে, আপনি এদেরকে আলাদা করলে ইতিহাসই মুল্যহীন হয়ে পড়বে। এখন কি করবেন, আপনার বিবেচনা। এই দু'টাকে বাদ দিয়ে ফেইক সুন্দর আর ফ্যান্টাসীর জগতে বসবাস করার মানেই হলো নিজের সাথে প্রতারণা করা।

আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্কলমার্কা চালাকী কথাবার্তা শুনেই বরং সময় নষ্ট করা হয়। আপনি সেসব না শুনে বরং ইতিহাস পর্যলোচনা করেন.............সেটা যতো বিভৎসই হোক না কেন!! সময়টাকে কাজে লাগান। :-B

২৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: খুবই বাজে অবস্থার আর মানবিকতার বিপর্যয় ছিল এই ঘটনাগুলো। এখন শুনলে বা পড়লে গল্প মনে হয়। কিন্তু এগুলো আসলেই ঘটেছে মানুষের সাথে, আর এগুলো মানুষই করেছে।
খুবই ঘৃণিত আর জঘন্য ঘটনা।

এপার্ট ফ্রম দিস, ডিম খাওয়া তে আসলেই বুদ্ধির জট খুলে আর কম্পিউটারের ফাইলও খুলে গেলো বটে !

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ভাবতেছি 'ডিম'টা না খাইলে কই হইত???
এইরকম একটা পোস্ট মিস করতাম!!!! ভাবিসাবরে থ্যাঙ্কু- এইরকম তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রত্যেকদিন যেন লাগায় :)
-- সহমত ভাই। সহমত ভাই।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পৃথিবীর ইতিহাস যেদিন থেকে সংরক্ষণ করা শুরু হয়েছে, তার বহু আগে থেকেই ঘৃণিত, জঘন্য আর মানবিকতার জন্য বিপর্যয়কর বহু ইভেন্ট ঘটেছে। ইন ফ্যাক্ট, আজও ঘটছে আর পৃথিবী যতোদিন টিকে থাকবে, ততোদিন ঘটতেই থাকবে। বলা হয়ে থাকে, এইসব বিপর্যয় থেকে মানুষ শিক্ষা গ্রহন করবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলে। এই ক্যাম্পেই লাখো ইহুদী ঘুরতে যায়, ব্যথিত হয়, হিটলারকে গালি দেয়, তারপরে বাসায় ফিরে গিয়ে এসব বেমালুম ভুলে গিয়ে প্যালেস্টাইনীদের উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অত্যাচার শুরু করে।

ডিম অত্যন্ত উপাদেয় খাবার। আমার খুবই পছন্দ। আমার বউয়ের আরো বেশী পছন্দ। ভাবছি, ওকে একটা ডায়নোসরের ডিম উপহার দিবো। কোথায় পাওয়া যাবে? আপনার কাছে কোন খোজ থাকলে জানাবেন। :-B

২৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১

রোকসানা লেইস বলেছেন: এটা শেষ পর্ব এতদিন পরে?
নাকি আরো আছে?
মানুষকে কত বিভৎস ভাবে অত্যাচার করা যায় তার যেন প্রতিযোগীতা করত এক একজন কমান্ডার। এবছর জার্মান গেলাম ওহ না, দেখছেন এক বছর পার হয়ে গেছে, গত এপ্রিলে মিউনিখে গেলে ভেবেছিলাম এখানে যাব। আপনার লেখাটা মনে পরেছিল।
কিন্তু আমার আর মানুষের মৃত্যু লেগে থাকা জায়গাগুলোতে যেতে ইচ্ছা করে না। এক সময় অনেক ঘুরেছি।
এখনও তো যুদ্ধ শেষ হয় নাই। প্যালেস্টাইন ইসরাইল, ইউক্রেন রাশার মানুষদের দেখি কাছ থেকে প্রিয়জনের জন্য তাদের কষ্ট দেখি তখন আর এই দুঃসহ ইতিহাসের কাছে যেতে চাই না।
SOPHIE'S CHOICE, The Boy In the Striped Pajamas, এমন আরো মুভি দেখার পর স্তব্ধ হয়ে বসে থাকি। তাই এগুলোও আর বেশি দেখি না।
কিন্তু চোখ বন্ধ করে রাখলেও সব খবর মগজে চলে আসে। আসে পাশের বাড়ির মানুষের কান্না।
কেন যে এত সহিংসতা পৃথিবীতে। ভালোলাগে না।
জানি আপনার পোষ্ট কি বিষয়ে তিনদিন এড়িয়ে গিয়েও চলে আসলাম।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নাহ্..............কোন অর্থেই শেষ পর্ব না। দাহাউ ক্যাম্পের আরো একটা পোষ্ট আছে। আর ওভারঅল মিউনিখের আরো কয়েকটা পোষ্ট হবে। তবে, ছবি পোষ্ট করতে বিরক্ত লাগে; তাই দেয়া হয় না আসলে। ব্যস্ততাও একটা বড় কারন। আজকাল ব্লগেই আসা হয় খুব কম।

পরেরবার মিউনিখে গেলে অবশ্যই দাহাউ ক্যাম্পে যাবেন। শুধু ভালো ভালো জিনিস দেখবেন, সেটা ঠিক না। ইতিহাসের কুৎসিৎ দিকটাও দেখা উচিত, নয়তো ভালোর ভালোত্ব ঠিকভাবে বোঝা যায় না। আর আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, আমরা যারা নিজেদেরকে ভালো মনে করি, তারা বেশীরভাগই সুযোগের অভাবে ভালো। পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে, আর হাতে ক্ষমতা থাকলে সবাই দূর্বলের উপর অত্যাচার চালাবে। এটাই মানব চরিত্র। :)

কিন্তু চোখ বন্ধ করে রাখলেও সব খবর মগজে চলে আসে। আসে পাশের বাড়ির মানুষের কান্না। ঠিক। আমরা অন্ধ হলে কি আর প্রলয় বন্ধ হবে?

২৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: করুনাধারাপু বলেছেন,
অবশ্য যদি বলেন আপনি ডিম পোচ খেতে চান, তাহলে কি করবেন সেটা আমি জানি না।

~ খুব সহজ; কাঁচা ডিম ডিপ ফ্রিজে রেখে দিবেন। পরে খোসা কেমনে ভেঙ্গে পোচ করবেন সেইটা আপনার ব্যাপার! দুনিয়াতে আসছেন নিজে কিছু বুদ্ধি খাটান- সব বুদ্ধি কি প্রধানমন্ত্রী দিয়ে দিবে নাকি!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এতো এতো ডিম রাখার জন্য রেফ্রিজারেটর/ফ্রিজার কিননের ট্যাকা কি পেদানমন্তি দিবো? আমাগো পেদানমন্তির বুদ্ধিতে চলতে গেলে হাস-মুরগীর ডিম তো বহুত দূরের কথা, টিকটিকির ডিমও কপালে জুটতো না। B:-/

২৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার পারফরমেন্স দেখে আমি গর্বিত। কংগ্রাচুলেশানস!!! =p~

২৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টটাকে ভালো বললে খুবই কম ভালো বলা হবে। এতোক্ষণ যেন একটা ঘোরের মধ্যে দিয়ে গেলাম।মনটা একদম খারাপ হয়ে গেল যে ঠিক গুছিয়ে কমেন্ট করতে পারছিনা।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আশা করছি এতোক্ষণে ঘোর কেটে গিয়েছে। এখন মনে হয় গুছিয়ে কমেন্ট করতে পারবেন। :P

৩০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনের প্রতিমন্তব্য দেখ্যা আবার না আসিয়া পারলুম না। এমনিতেই আপনের শীতঘুম ব্লগ পাড়ায় বিখ্যাত। এবারের শীতঘুম না বর্ষশেষে গিয়ে ঠেকে কিনা চিন্তায় ছিলাম :) । সেখানে কয়েকমাস বাকি থাকতেই চলে আসাতেই ঘুমের কোনো ব্যঘাত ঘটিয়াছে কিনা সন্দেহ আছি :)
তবে আমাগো অবশ্য ভালোই লাগতেছে আপনাকে দেইখ্যা।পুরানো সাথিকে দেইখা পেলে মন খুশিতে ভরে ওঠে কিনা...
পোস্টে আপনার শুরুতে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা নিয়ে খেলা জমবে বলে আশা করতে না করতেই দেখলাম খেলাটা শুরুই হলো না।কী নিদারুণ পরিহাস! কোথায় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে বলে দামামা বেজে উঠলো এক পক্ষ মহা ডংকারে হুঙ্কার দিয়ে উঠলো আর অপর পক্ষ গাড়ির চাবি নিয়ে নিঃশব্দে পড়িমড়ি করে যুদ্ধস্থান ত্যাগ পলায়নের নামান্তর বৈকি।তবে শেষ রক্ষা যে অশ্বডিম্ব প্রশব না করে শেষ পর্যন্ত মুরগি ডিম্বের সাক্ষাতের মধ্যে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটলো। তবে মধুর কিনা সে প্রশ্নে নাই বা গেলাম :)

অবাক হয়েছি আপনার সর্বক্ষণের সাথী :) জ্যাক স্মিথ এবং খান্ডব দাহন করার প্রসঙ্গ না আনাতে। অবশ্য শুনেছি ভালো বিড়ি খাদকরা নাকি গাড়ির সাইলেন্সারে তামাক দিয়ে সেবন করে থাকেন :) আপনের গাড়ি নিয়ে বের হবার সময় তেমন কিছু হয়তো হয়েছে।সব কিছু বিস্তারিত করার সত্যিই দরকার কি :) ।আর তেমন হলে অবশ্য আলাদা কথা।

পোস্ট সম্পর্কে- হিটলারের বিভৎসতার বর্ননা ভাষাতীত।কী নিদারুণ নিষ্ঠুরতা নির্দয়তা পোষ্টে তুলে ধরেছেন। হিটলারের কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্প সম্পর্কে আগে থেকেই একটা ধারণা ছিল। কিন্তু ছবিগুলো দেখার পর সেই ধারণা একেবারে পোক্ত হয়ে গেল। তবে পৃথিবীতে সর্বকালেই এমন নরখাদক তার অপকম্ম তুলে ধরে।এই কালে হিটলারের সেই নারকীয় তাণ্ডব তুলে ধরছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।


১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা কোন ব্যাপার না, ঘুম আমার সব সময়েই প্রিয়। এই ঘুমের কারনে জীবনে কিছুই করতে পারলাম না। নুবেল প্রাইজটাও ছুইটা গেল!! X(

তবে আমারে দেইখা আপনের মন খুশীতে ভইরা উঠছে জাইনা আমিও খুশীতে একটা ফাল দিলাম। আমি আসলে সেই সময়ে ২য় বিশ্বযুদ্ধ নিয়া ব্যস্ত ছিলাম; ৩য় বিশ্বযুদ্ধের দিকে মন দেওয়ার টাইম ছিল না। আপনেরে হতাশ কইরা দুঃখিত। তবে মাঝে-মধ্যে পলায়ন কিন্তু যুদ্ধ কৌশলেরই অংশ। ;)

আপনে কি ক্রিসরে 'জ্যাক স্মিথ' আর বিড়িরে 'খান্ডব দাহন' কইলেন? সত্যি হইলে বিড়ির এমন খাতারনাক সিনোনিম আমি জন্মেও শুনি নাই। বিড়ির প্রসঙ্গ করুণাধারা আপার ভয়ে আনি নাই, তবে সে আমার সাথেই ছিল। অবশ্য শুনেছি ভালো বিড়ি খাদকরা নাকি গাড়ির সাইলেন্সারে তামাক দিয়ে সেবন করে থাকেন :) হইতে পারে, তয় আমার গাড়ির কোন অঙ্গের এমন বেইজ্জতি আমি একেবারেই সহ্য করবো না। স্যরি!! B-)

আমার মতে, নেতানিয়াহু হিটলারের চাইতেও জঘন্য। হিটলারের একটা সুনির্দিষ্ট নীতি ছিল, বাট এই হালার পুতের ছ্যাচরামী ছাড়া কিছুই নাই। ওর নিজের দেশের বেশীরভাগ মানুষই ওরে দেখতে পারে না।

৩১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:২৯

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: Schindler's List দেখে গ্যাস চেম্বারের ভয়াবহতা দেখেছিলাম। আপনার পোস্টে সেসব ইতিহাসের প্রামাণ্যচিত্র দেখলাম।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমারও গ্যাস চেম্বারের ভয়াবহতা বিভিন্ন মুভি আর বই থেকেই জানা। নিজের চর্ম-চউক্ষে এই প্রথম দর্শন করলাম। অভিজ্ঞতা মন্দ না একেবারে!! :)

৩২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৬

আরোগ্য বলেছেন: মানবজাতির এতসব নৃশংসতা দেখে মাঝে ফেরেশতাদের ওই প্রশ্নটা মনে পড়ে যায়,"আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে তাতে ফাসাদ করবে এবং রক্ত প্রবাহিত করবে?। " কিন্তু উত্তর তো একটাই আল্লাহ যা জানেন তা কেউ জানেনা।

ফেরাউনও তো কিন্তু বনী ঈসরায়েলের ছোট বাচ্চাদের নিধন করতো। নিজেদের উপর কৃত জুলুমের পুনরাবৃত্তি কিন্তু তারা ফিলিস্তিনিদের উপর একইভাবে করছে। ওই যে আমার এনালিটিকাল পোস্টে তুলে ধরেছিলাম তো, আমরা লোকের কাছ থেকে যে ব্যবহারটা শিখি সেটাই মনের অজান্তে অপরের বেলায় করি। মানবজাতি অনুকরণপ্রিয়।

আপনেতো ভালাই সাহসী। এমন ডেঞ্জারাস এলাকায় যায়া বিচরণ কইরা আইসেন। একটা ভিডিও বিসরাইতে যায়া আপনের পোস্টে আইতে দেরি হয়া গেলো। কালকা ও বুহুত বিসরাইসি। দেইখা লয়েন নিচে লিংক দিলাম। মিরোরডডলের মত কইরা চেষ্টা করসিলাম পারিনাই।
এক ইহুদি বালকের সাথে সমবয়সী খ্রিষ্টান বালকের নির্মম পরিণতি

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আল্লাহ যা জানেন তা কেউ জানেনা এইটাই আসল কথা। আমাগো এতো টেনশান লওনের কাম কি?

বেসিক হইলো, সাধারনভাবে মানুষ নিজের স্বার্থ আর ক্ষমতার জন্য পারে না, হেন কাজ নাই। যুগে যুগে যতো জুলুমের ঘটনা ঘটছে, সব এই কারনেই। এখন যার ক্ষমতা নাই, সে নিরুপায় হওনের কারনে ভালো। আজকে আপনেরে যদি একটা এ-কে ৪৭ হাতে ধরায়া দেওয়া হয়, আর যা খুশী করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাইলেই তো দূর্বলের উপ্রে অত্যাচার শুরু কইরা দিবেন। =p~

আমার সাহসের দেখছেন কি? গভীর রাইতে যদি আমারে একলা ওইখানে ছাইড়া দেওয়া হয়, তাইলেই প্রমান পাইবেন। আমার কাপড় নষ্ট করা কেউ ঠেকাইতে পারবো না। :P

The Boy in the Striped Pajamas মুভিটা দেখছি। এর এই শেষের সীনে একটা সাধারন সমস্যা আছে। কন দেহি কি?

৩৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

আরোগ্য বলেছেন: এর এই শেষের সীনে একটা সাধারন সমস্যা আছে। কি জানি কেমনে কমু, আমি আপনের মতন এত বিচক্ষণ না। আপনেই কয়া দেন।

আপনের তো আন্ডাকাল থেইকাই সাহস। ওই যে ফরিদ চাচারে যে সাদা কাপড় পেচায়া ডর দেহাইসিলেন। ওহন তো ইট্টু বুইড়া হইসেন তাই যে কোন টাইম কাপড় নষ্ট অইতে পারে। মাগার আমি কইলাম একলা রাইতে ঘুমাইতে ডরাই। কেউ না হইলে মিকুরে (আমগো পোষা বিড়াল) লয়া লই। ২০২১ এর সেপ্টেম্বরে এক দিন ভোরে কোন খবিশ জানি আমারে ঘুম থেইকা পিঠে হাত দিয়া ডাক দিসে, আমি মনে করসি আমার বইন, যেই উঠতে লইসি দিসে এক যাতা। ওই যে জ্বর আইসে এক টেস্টে কভিড পজিটিভ। :(

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আন্ডা কালে আসলে পরিণতি নিয়া কেউ চিন্তা করে না, যেইটা বুইড়া কালে করে। তহন দৌড় দিতাম খিচ্চা, এহন চিন্তা করি যদি হাড্ডি-মাংসে টান লাগে!!! দৌড়াইতে পারি না, ডর লাগে। আগে উড়াধুরা গাড়ি চালাইতাম। এহন ভাবি যদি সামনে হঠাৎ কোন গাড়ি, কুত্তা-বিলাই বা বাচ্চা-পুলাপাইন আয়া পড়ে!!! ডরে আস্তে চালাই, উড়াধুরা চালাইতে পারি না। বুড়া হওনের অনেক জ্বালা। মনে শান্তি থাকে না। :((

পান্চলাইন হইলো, আন্ডাকালে মাইনসে কেয়ারলেস থাকে, ভয়-ডরও কম থাকে; বুইড়া হইলে মনের জোর কমে, ফলে ডর প্রোপোরশনেটলী বাড়তে থাকে। :)

খবিশটা মনে হয় দুষ্ট জ্বীন আছিলো। করোনার রুপ ধইরা আইছিলো। নাইলে ডাক দিয়া আবার উঠনের কালে যাতা দিবো ক্যালা? মাগার ঘটনা কি হাচা নি? হাচাই যাতা দিছিলো?

মুভিঃ ব্রুনো যে আর বাইচা নাই, এইটা অর বাপে এতো দ্রুত নিশ্চিত হইলো ক্যামনে? আর হ্যার এক চিক্কুরে ব্রুনোর মা'ই বা জানলো ক্যামনে যে ব্রুনো আর নাই? ওইটা খুজনের চিক্কুইরওতো হইতে পারতো!! এইটারে আরেকটু সিনেমাটিকভাবে ফুটায়া তুলার সুযোগ আছিলো। সুন্দর মুভির একটা দূর্বল সমাপ্তি। স্ক্রীপ্ট রাইটার বা পরিচালক মনে অয় শেষের দিকে আর ধৈর্য রাখতে পারে নাইক্কা!!! B-)

৩৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:১১

আরোগ্য বলেছেন: আবার আইলাম আপনের প্রশ্নের উত্তর দিবার। হ রে ভাই হাচাই যাতা দিসিলো। বোবায় ধরে চিৎ অয়া হুইলে মাগার আমি তো উপতা অয়া আছিলাম। তারপর যহন আমার হুশ অইসে আমি ভাবলাম আম্মুর ঘরে সোফায় যায়া থাকি। যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়। গেটের সামনে যায়া দেহি আমার ভাইটা ওর ঘর তে আয়া সোফা দখল কইরা রাখসে।আর কি করুম মিকুনিরে ধইরা আবার আমার ঘরে গেলাম। এরপর আরেকদিন ডিসটার্ব করসে, আরেকদিন স্বপ্নের মধ্যে মুখ ত্যাড়া কইরা দিসে। স্বপ্নে কইলাম আবার বাস্তব মনে কইরেন না B:-/। আরে ভাই আর কয়েন না আগে ছাদের উপরে যে টানাটানি আর বাটাবাটির আওয়াজ আইতো। এক ফ্ল্যাটের মানুষ আরেক ফ্ল্যাটের মানুষরে দোষ দিত আর কইতো ওগো আর কাজকাম নাই রাইতের বেলা ফার্নিচার টানে আর মশলা বাটে। ওহন মাঝে মইধ্যে পাওয়া যায়। ছাদে আগে দোলনা আছিলো, বেশি রাইতে দোল খাইতো, বুঝেনই তো পুরান ঢাকার পুরান বড় বাড়ি। B:-) আচ্ছা এহন ঘুমাই। মাঝে মইধ্যে মন চায় মগজের কলিং বেলটা অফ কইরা লম্বা একটা ঘুম দেই। |-)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বোবায় ধরে চিৎ অয়া হুইলে মাগার আমি তো উপতা অয়া আছিলাম। চিৎ-উপ্তা ব্যাপার না, বোবায় যে কোন সময়ই হামলা চালাইতে পারে। তয় কথা হইলো গিয়া বোবারওতো কাম-কাইজ আছে। হুদাই আপনেরে ধইরা টাইম খারাপ করবো ক্যালা? =p~ এইটা আসলে স্লিপ প্যারালাইসিস। ঘন ঘন না হইলে টেনশানের কিছু নাইক্কা।

দ্যাশে থাকলে মিকুরে ধার লইতাম কয়দিনের লাইগা। আইজকাইল সাহস কেমুন জানি কমতির দিকে যাইতাছে। :P

পুরান ঢাকায় বান্দরেও রাইত-বিরাইতে উৎপাত করে। অবশ্য জ্বীন-ভুত হইলেই বা কি? কায়দামতোন পাইলে দুই/একটারে বোতলে ঢুকায়েন, কামে লাগবো। আমিও সময়ে সময়ে হাওলাত নিমুনে!!! ;)

মাঝে মইধ্যে মন চায় মগজের কলিং বেলটা অফ কইরা লম্বা একটা ঘুম দেই। আমি এই কাম প্রায়ই করি।


৩৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৭

সোহানী বলেছেন: ভয়ংকর। ইতিহাস থেকে কেউই শিক্ষা নেয় না........................

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইতিহাস থেকে কেউই শিক্ষা নেয় না........................ সত্যিই। আসলে আজকাল মানুষ লেখাপড়া কমায় দিছে, শিক্ষা নিবো কেমনে? বহুদিন পরে আপনের চেহারা.......থুক্কু নিক-মোবারক দেখলাম। আশাকরি, ঠান্ডার মধ্যেও শরীরের কল-কব্জা ঠিকঠাক আছে। :P

৩৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৪

মিরোরডডল বলেছেন:




আরোগ্য আর ভুমের মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়ে আমার শের শায়রীকে মনে পড়ছে।
শায়রী আর ভুম এমন মজা করে কথা বলতো।
শায়রী কেনো যে চলে গেলো!
নীলের কাছে শুনেছি ফেইসবুকে একটিভ আছে, কিন্তু আমি আবার এফবিতে একটিভ না।
তাই শায়রীকে মিস করি।


১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শের শায়েরী আর মা.হাসান...........এই দুইজনকেই খুব মিস করি।

আজ একটু পর পরই একটা গান শুনছি। মাঝে-মধ্যে আমার এমন হয়, একই গান বারে বারে শুনি। গানটা এই দুইজন আর মিডের উদ্দেশ্যে নিবেদন করলাম। :)
view this link

৩৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:




রাইট! মাহাকেও মিস করি, বিশেষ করে মাহার কমেন্ট এতো এতো ফানি!
মন ভালো না থাকলে বিভিন্ন পোষ্টে মাহার কমেন্ট পড়তাম, কিছুক্ষনের মধ্যেই মন ভালো :)

থ্যাংকস ফর নিবেদন :)
গানটা সুন্দর, লিরিক ভালো কিন্তু গান শেষে সাপুরের মিউজিক কেনো!

ভুমের জন্যও একটা গান।





১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সাপুরে...........সাপুড়ে।

এটা আসলে ১৯৫৪ সালে মুক্তি পাওয়া ''নাগীন'' মুভির গান। মুভিতে সাপের কাজ-কারবার আছে, সেইজন্য সাপুড়ে মিউজিক। এটা অরিজিনালী গেয়েছিল লতা মুঙ্গেশকার। আর এই ভার্সানটা বিখ্যাত কাওয়ালী শিল্পী মারাতাব আলী খানের গাওয়া।

রোহান রাঠোরের গানটা শুনলাম, চমৎকার!! এমন মেলোডিয়াস গানই আমার পছন্দ। থ্যাঙ্কস মিড!!! :)

৩৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:১৯

সোহানী বলেছেন: "আসলে আজকাল মানুষ লেখাপড়া কমায় দিছে, শিক্ষা নিবো কেমনে? "

হাহাহাহা.............. ভাইজান, ইদানিং ফেসবুকে হাতি ঘোড়া মারছি সর্টকাটে। ব্লগে আবার সর্টকাট রাস্তা নাই কিনা, তাই লেখাপড়া কম করছি :P

"বহুদিন পরে আপনের চেহারা.......থুক্কু নিক-মোবারক দেখলাম। আশাকরি, ঠান্ডার মধ্যেও শরীরের কল-কব্জা ঠিকঠাক আছে!!"

শরীরের কল-কব্জা এমনভাবে কয়েক স্তরের সিমেন্ট সুরকির প্রলেপ দেই যে শীতই পালায়। B-))

তবে সত্যটা হলো, আমরা শেরজা তপন ভাইদের ইনুইতদের মতো শীতই বেশী পছন্দ করি। বরফ এ কয়দিন পড়ে নাই বলে আমাদের মাথা আউলা ঝাউলা ছিল। এখন একটু শান্তি লাগছে।

আজ ওয়েদার মারাত্বক খারাপ। কাল থেকে বরফ, বৃষ্টি, প্রচন্ড বাতাশ...... কোন কাজ ছিল না বাইরে তারপরও বেড়িয়ে পড়লাম ধুম করে। এ ওয়েদারে প্রায় ৪৫ মিনিট এখানে সেখানে ড্রাইভ করে, এক প্যাকেট দুধ, দই কিনে বাসায় ফিরলাম। B-)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই এক সমস্যা। লোকজন আজকাল ফেবুতে সময় বেশী দেয়, এদিকে ব্লগ ভইরা গেছে আগাছায়!! তার উপ্রে ব্যস্ততা। সব মিলায়ে আমিও খুব একটা আসি না। আপনের মতোই হঠাৎ হঠাৎ উকি-ঝুকি মারি আর কি!!! :)

আপনেগো কয়েক স্তরের সিমেন্ট সুরকির প্রলেপ না দিয়া উপায় কি? যেই ঠান্ডা! আমাগো এইখানে মাইনাস দশের নীচে সাধারনতঃ নামে না। কালে-ভদ্রে নামে। আমি মাইনাস ষোলএর নীচে নামতে দেখি নাই কোনদিন। তবে, চাইরদিকে সমুদ্র.......সমুদ্র থিকা যেই বাতাসটা উইঠা আসে.........এক্কেরে হাড্ডিতে হাড্ডিতে বারি খাওয়ায়। আসলে বুড়া হইতাছি তো...........আজকাল ঠান্ডাটা বেশীই লাগে। :(

কামের দিনে বরফ পড়লে মেজাজটা খিচরায়া যায়। ছুটির দিনে মজা। জানালার ধারে বইসা কফির মগ হাতে স্নো-ফল দেখা। আহ্ শান্তি। জীবনটা যদি এমনই হইতো!!!! :-B

৩৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কেমন আছেন ভাই?লেখাটি আগেই কিছুটা পড়েছিলাম।তবে সময়ের অভাবে মন্তব্য করা হয়নি।
আপনার কম দামি মোবাইলের দামটা জাতী জানতে চায় ;)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আছি ভালো, আলহামদুলিল্লাহ। আপনার খবর কি?

লেখাটি আগেই কিছুটা পড়েছিলাম।তবে সময়ের অভাবে মন্তব্য করা হয়নি। খুবই মুল্যবান কথা বলেছেন। সময় আসলেই একটা বিশাল ফ্যাক্টর। আর এই জিনিসটাই আল্লাহ আমাদেরকে যথেষ্ট পরিমানে দেন নাই। দেখতে দেখতে মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসছে। :((

আমি বর্তমানে কমদামী আইফোন ১৫ ব্যবহার করছি। দাম বলতে শরম লাগে!!! :P

৪০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার লেখাটা খুবই নান্দনিকভাবে ডিম দিয়ে শুরু করেছেন---তারমানে সহজ হতে কঠিনের দিকে যেয়ে বিভিন্ন তথ্য ও ছবি উপস্থাপন করেছেন। নীচের প্যারায় শিক্ষনীয় দিকের উপস্থাপনা জ্বলজ্বল করছে। অসাধারণ--অসাধারণ।
ইতিহাস হতে কেউ শিক্ষা নেয় না বলেই কষ্ট ও যন্ত্রনাদায়ক ঘটনা বার বার ঘটতে থাকে--।
লেখকের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো----------

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার ব্লগবাড়িতে এসে পোষ্ট পড়েছেন, প্রশংসা করে মন্তব্যও করলেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বাসায় না থাকায় ঠিকমতো আপ্যায়ন করতে পারলাম না। কিছু মনে করবেন না প্লিজ!! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.