নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যৎসামান্য টক-ঝাল-মিষ্টি বয়ান

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪



আমার এক সহজ সরল বন্ধু আছে। আম্রিকার ফ্লোরিডায় থাকে, ট্যাম্পা শহরে। অশিক্ষিত না মোটেও, একটা ব্যাঙ্কে মোটামুটি ভালো পদে চাকুরী করে। এয়ারলাইনগুলো ফ্লাইট চলাকালীন যেই খাবার দেয় সেসব ওর খুবই প্রিয়। কারন জিজ্ঞেস করাতে বললো, ওইগুলা খাইতে তো টাকা লাগে না, সেইজন্য প্রিয়। আমি বললাম, আরে বেকুব! ওইগুলার টাকা তো টিকেট কেনার সময়েই নিয়ে নেয়, ফ্রি হইলো কেমনে? ও বললো, খাবার সার্ভ করার সময় তো নেয় না! এইজন্য গায়েও লাগে না। ফ্রি ফ্রি লাগে; একই সাথে খুশী খুশীও লাগে। দ্যাখেন, কেমন বেকুব!!!

বন্ধুর কথা শুনে কেন জানি ব্লগের কিছু সহজ সরল ব্লগারের কথা মনে পড়ে গেল। সত্যি কথা বলতে, আমাদের সরকার কতো কিছু বানিয়ে দিচ্ছে জনগনের জন্য। জনগন সেগুলোতে চড়ে/ব্যবহার করে খুশীতে বগল বাজাচ্ছে আর সরকারের গুনগান গাচ্ছে। হাউ সুইট!! আসলে এমন জনগনই তো আমাদের সরকারের দরকার। ''মাছের তেলে মাছ ভেজে'' জনগনকে খাওয়াবে আর বলবে, এই লও…….তোমাগো ফ্রিতে ফিস ফ্রাই খাওয়াইলাম, অহন আমারে সেলাম করো। আর জনগনও হাততালি দিয়ে বলবে ক্যায়া বাত, ক্যায়া বাত! তবে যারা একটু গভীরভাবে চিন্তা করতে পারে তারা ভাববে, এটাতো বড়ই আচানক কথা!! কি আফসোস!!!

বাদ দেন এইসব আজাইরা প্যাচাল। ধন-ধান্যে পুস্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা (বসুন্ধরা গ্রুপ না কিন্তু!!)। তাহার মাঝে আছে দেশ এক, সকল দেশের সেরা। দেশটার নাম বাংলাদেশ। আচ্ছা বলেন দেখি, বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে? সোজাসাপ্টা উত্তর হলো………..না, নাই। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের খুব কি দরকার আছে? না, তাও নাই। তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র একটা দেশের জন্য যেটা সবচাইতে বেশী দরকার, সেটা হলো জনগনের মৌলিক চাহিদা পূরণ। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের সদিচ্ছা আছে, এমন একটা সরকার। একটা ক্ষমতাশ্রয়ী দেশপ্রেমিক সরকার। সেটা তথাকথিত গণতান্ত্রিকই যে হতে হবে, এমনটা না। একনায়িকাতান্ত্রিক হলেও ক্ষতি নাই কোন, কি বলেন? তবে দেশটা যারা চালাবে, তাদের সততার একটা মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড আর গ্রহনযোগ্যতা থাকা দরকার। বিষয়টা যেন এমন না হয়…………

এক ছিনতাইকারী সান্ধ্যকালীন হন্টনরত এক লোককে পিস্তল উচিয়ে বললো, তোমার সব ট্যাকা ভালোয় ভালোয় দিয়া দেও।

হন্টনরত ব্যক্তি বললো, তোমার সাহস তো কম না! জানো আমি কে?

লও ঠ্যালা, আমারে জিগায়! তুমি নিজে জানো না তুমি কে? পিস্তল দেইখা ভুইলা গেছো?

আমি এই এলাকার আম্লীগের একজন নেতা…….হন্টনরত ব্যক্তি ক্ষেপে গিয়ে বললো।

তাইলে……...ছিনতাইকারী বললো………..আমার সব ট্যাকা আমারে ফেরত দেও!!

ক'দিন আগেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেল। তথাকথিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন!! এই আজব আর অদ্ভুতুড়ে নির্বাচনে সরকারী দল বোঝা যায়, কিন্তু বিরোধী দল কুয়াশাচ্ছন্ন, অস্পষ্ট! গণতন্ত্রের একেবারে মায়েরে বাপ করে দিয়েছে এইবারের নির্বাচন। আমরা জানি, নির্বাচনের ইংরেজি হলো ইলেকশান, তবে এটা আসলে হয়েছে মূলতঃ সিলেকশান। জনগনের কষ্টার্জিত টাকার হুদাই শ্রাদ্ধ করার এর চাইতে ভালো উপায় খুব কমই আছে। এর আসলে কি কোন দরকার ছিল? এতো নাটক না করে সরাসরি ঘোষণা দিলেই তো হতো। সে যাই হোক, নতুন মন্ত্রীসভা ঘোষিত হয়েছে। নতুন সরকার কাজও শুরু করেছে। আপাততঃ কয়েকটা ভালো দিক আমার নজরে এসেছে। যেমন……….মোটামুটি প্রতিবারই শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন যে, ''আমার চাওয়া-পাওয়ার আর কিছুই অবশিষ্ট নাই। এটাই আমার শেষ টার্ম। এরপরে রিটায়ারমেন্টে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি।'' এইবার এমন কিছু তিনি বলেন নাই। বুঝে গিয়েছেন, জনগন এইসব স্ট্যান্টবাজিমার্কা কথাবার্তা আর বিশ্বাস করে না। উনার এই বোধোদয় অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। তাছাড়া মন্ত্রীসভার দুইটা বিয়োজন……..মোস্তফা জব্বার (বিজয় চোর) এবং এ কে আব্দুল মোমেন (স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ); আর সংযোজন……….ডা. সামন্ত লাল সেন এবং সাবের হোসেন চৌধুরী আমার খুবই পছন্দ হয়েছে।

সরকার গঠনের পর গত বুধবার সকালে পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রথম মিটিংয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনসাধারনের 'লাভ বিবেচনা'য় প্রকল্প গ্রহন করতে হবে। শুনে আমার হার্টের একটা বিট মিস করলাম তৎক্ষনাৎ। প্রধানমন্ত্রীর এই কথায় আমি আসলেই মর্মাহত। তাহলে মন্ত্রী, এমপিদের কি হবে? দীর্ঘদিনের ইনভেস্টমেন্টের পর যারা এই পদ-পদবী পেয়েছেন, তারা যদি এর ফলাফল সূদাসলে ঘরে তুলতে না পারেন তাহলে? না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এতোটা কঠোর হবেন না। জানেন তো, কারো মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গা সমান কথা!! মন্ত্রী, এমপিদের 'লাভ বিবেচনা' প্রায়োরিটি পাওয়া উচিত। সত্য / মিথ্যা জানি না, শুনেছি প্রধানমন্ত্রী নাকি উনার এক উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেছিলেন, আচ্ছা, জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য আমার কি আরো অগ্নিগর্ভ বক্তব্য দেয়া উচিত? উপদেষ্টার পরামর্শ ছিল, না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বরং আপনার বেশীরভাগ বক্তব্যই অগ্নিগর্ভে ফেলা উচিত!!

তবে প্রধানমন্ত্রীর এবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা হওয়া উচিত দেশের রপ্তানীখাতকে বহুমুখীকরণ। যথাযথভাবে এক্সপোর্ট ডাইভার্সিফিকেশান করা গেলে একই সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিস্ক ডাইভার্সিফিকেশানও হয়ে যায়। আমাদের অর্থনীতি মূলতঃ যেই দু‘টা খাতের উপর নির্ভরশীল, সেগুলোর উপর থেকে চাপ কমানো দরকার। শ্রীলংকার শুয়ে পড়া কিংবা আফগানিস্থানের উঠে দাড়ানো, দুই ধরনের উদাহরনই আমাদের সামনে আছে। অন্যদেশগুলোর অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া খুবই জরুরী। শুনতে কেমন কেমন লাগলেও উদাহরন হিসাবে বলি…….শুধুমাত্র নাড়িকেল-নির্ভর বিভিন্ন রকমের শিল্প-কারখানা দেশে গড়ে উঠতে পারে; আর পশ্চিমা বিশ্বে এর চাহিদাও অত্যাধিক। এই বাজারের অনেকটাই বর্তমানে ভারত, শ্রীলংকা আর ক্যারিবিয়ান দ্বীপগুলোর দখলে। তবে আমি মনে করি, বাংলাদেশের সুযোগ এই খাতে অনেক বেশী। পরিকল্পনা কমিশন বা রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো আগ্রহী হলে এই বিষয়ে আমি একটা বিশদ পোষ্ট লিখতে পারি!!!

গত সরকার নিঃসন্দেহে বেশকিছু ভালো ভালো কাজ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই সরকারও করবে। কিন্তু লাভের গুড় বেশীরভাগই খেয়ে ফেলছে কতিপয় হারামী পিপড়া। এই হারামী পিপড়া কারা তা প্রধানমন্ত্রী খুব ভালো করেই জানেন, কিন্তু তিনি এদেরকে থামাচ্ছেন না। ফলে সাধারন মানুষ ভাবতে বাধ্য হচ্ছে এই গুড়ের ভাগ কি শেখ হাসিনাও পাচ্ছেন? ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআইয়ের তথ্যানুযায়ী আন্তর্জাতিক বানিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরে গড়ে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়। এই বিপুল পরিমান টাকা কি প্রধানমন্ত্রীর অজ্ঞাতসারে পাচার হওয়া সম্ভব? না, সম্ভব না। এই পাচার বন্ধ করতে পারলে পরিকল্পনায় স্বচ্ছতা আসবে, গতি আসবে আর যৌক্তিকতা আসবে। সাধারন মানুষ সত্যিকারভাবেই সরকারের কর্মসূচীর সাথে একাত্ম হতে পারবে।

ছড়াকার আবু সালেহ লিখেছিলেন,
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এমন স্বাধীনতা!

দুর্মুখেরা বলে, ইংরেজি Politics শব্দটা এসেছে দু‘টা শব্দ থেকে। Poly অর্থাৎ বহু/অনেক, Ticks অর্থাৎ রক্তচোষা প্যারাসাইট। দেশবাসীর আশা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এইবার এই ছড়া আর দুষ্টলোকদের ব্যাখ্যা করা ''পলিটিক্স'' এর অন্তনির্হিত বক্তব্যকে মিথ্যা প্রমানীত করবেন। বিষয়টা কঠিন, তবে অসম্ভব না মোটেও। চেষ্টা করতে দোষ কি?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ছোটমুখে কিছু বড় কথা বলি। আপনি শোনেন আর না শোনেন, ঠিক করেছি এইবার আমি আপনাকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে কিছু কিছু আইডিয়া দিবো। তবে সবার আগে পুরানো একটা ছোট্ট গল্প শোনাই…...কোন এক রেস্টুরেন্টের টেবিলে এক পলিটিশিয়ান আর এক প্রস্টিটিউট একসাথে বসেছে। পলিটিশিয়ান তার পরিচয় দিয়ে বলছে, আমি অমুক, একজন সৎ পলিটিশিয়ান; শুনে প্রস্টিটিউট চোখ টিপে বললো, রিয়েলি! তাহলে, আমি একজন ভার্জিন প্রস্টিটিউট।

আপনাকে অন্ততঃ বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে এমন ধারনা মুছে ফেলার চেষ্টা করতে হবে।

কে বলতে পারে……..এটাই হয়তো আপনার প্রধানমন্ত্রীত্বের শেষ টার্ম। কাজ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটা অনূকরনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকার এখনও যথেষ্ট সময় আপনার হাতে আছে। আপনার বাবা যেটা করে যেতে পারেন নাই, আপনি সেটাই করে দেখাতে পারেন। মহান সৃষ্টিকর্তার দেয়া এই সুযোগ হেলায় হারানো ঠিক না। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারন আপনার কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশা করে।

আপনি কি জনগনের সেই প্রত্যাশা পূরণ করবেন? নাকি বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাবেন। সিদ্ধান্ত একান্তই আপনার।



শিরোনামের ছবিটা নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানের, উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া।

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৭

এম ডি মুসা বলেছেন: শিরোনাম দেখে বাংলা ভিষন টিভির টক ঝাল মিষ্টি কথা মনে পড়ে গেছে ছড়া কার আবু সালেহ আমি তাকে নুতন জানলাম

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশে ''বাংলা ভিষন'' নামেও টিভি চ্যানেল আছে নাকি? এরা সরকারী নাকি বিরোধী শিবিরের? ছড়া কার আবু সালেহ সম্পর্কে আপনাকে জানাতে পেরে ভালো লাগছে। :)

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমি সেই সহজ সরল ব্লগারদের একজন! সমস্যা নেই নিজেকে সহজ সরল ভাবতে ভালই লাগে :)
আপনি দৌড়ায় আসেন -বাকি মন্তব্যে পরে আসছি...

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি সেই সহজ সরল ব্লগারদের একজন! ক্যাডায় কইলো এই কথা? আপনের পেটে যে অনেক প্যাচ, সেইটা কি আমি জানি না মনে করছেন!! :P

দেখতে যেটা সোজা, সেটা আসলে মোটেই সোজা না। ;)

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আসল ব্যফার হইল গিয়া ক্ষমতা। সেইটারে বজায় রাখতে যা যা করা দরকার বিগত দুই টার্মেও করা হইসে , এবারো হইবে। এই বিষয়ে গাজী সাহেবের আপামনি একান্তুই মোদিজির পরামর্শের উপড় নির্ভরশীল , অন্য আর কারোরই নহে । দৃষ্যমান কিছু উন্নয়ন হইতেসে সভ্যতার পজিটিভ ইম্প্যক্ট। চীন জাপান এই পৃথীবির বুকে যতদিন থাকিবে ততদিন দেশে দেশে ধর্না দিয়া , লোন দিয়া ব্রীজ, কালভার্ট, রেল বানাইবেই। :-B

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মোদি হালায় হইলো প্রধান উপদেষ্টা। আর ক্ষমতার জন্য যা যা করা দরকার তা তা করা তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলার ট্রেন্ড। এইখান থিকা বাইর হওয়া সহজ বিষয় না। বাইর হইতে পারলে তো উন্নত বিশ্বেই অন্তর্ভূক্ত হইতো। সেইটা বৃহত্তর জনগনের স্বার্থে মাইনা নেওয়া যায়। কিন্তু এই যে ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মূলা দেখায়া জনগনের মাথায় লবন রাইখা বড়ই খাওয়া.........এইটা তো মানা যায় না। X(

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯

আরোগ্য বলেছেন: ইশ্ ১ম মন্তব্য করতে চাইসিলাম। পারলাম না।

আচ্ছা পরে আমুনি খাতিরজমা, এহন ফ্রি টাইম নাই।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আইয়েন কইলাম.............দ্যাশ লয়া দুই চাইরটা টক-ঝাল-মিষ্টি খোশ-আলাপ করুম নে!!! :-B

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১১

শেরজা তপন বলেছেন: এইবার কে যেন কইছিল ডেঙ্গু হইলে ডাব খাইলে উপকার হয়। শুরু হইল বাঙ্গালীর ডাব খাওয়া- শেষমেশ ডাবের দাম কন্ট্রোলের জন্য ভোক্তা অধিকারের মাঠে নামতে হইল, মোবাইল কোর্ট বসল। ডাব বিক্রেতারা ডাবের ভ্যান ফেলায় পাগাড় পার, সে কত কেচ্ছা! ফল সরূপ; নারকেলের বাজারে আকাল! দেড়শ টাকায় নারকেল পাওয়া যাচ্ছে না- নারকেলে দিয়ে যারা তেল বানায় তাদের মাথায় হাত। সব গাছে নারকেল হবার আগেই ডাব থাকতেই বিক্রি হয়ে গেছে। একটা ডাব যদি ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হয় তবে কার এত দায় পড়েছে নারকেল করার!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নাড়িকেল দিয়া খালি তেলই বানায় না। আরো কমপক্ষে ২০/২৫টা পন্য তৈরী হয়, আর এগুলার দামও অনেক। সব ট্যাকা অন্য দেশগুলি লয়া যাইতেছে.........আর আপনে আছেন খালি তেল আর ডাবের পানি লয়া। B:-/

হুজুগে বাঙ্গালী ভিন্ন জিনিস, তবে ঠিকমতো প্রসেস করতে পারলে এই নাড়িকেল হবে বিরাট ফরেন এক্সচেন্জ আয়ের মাধ্যম। এইটা একটা উদাহরন আর কি, এমন আরো আছে যেইটা সরকার খানিকটা কষ্ট করলেই দাড়া করাইতে পারে।

আপনেও নামতে পারেন এই নাড়িকেল শিল্পে।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা দেশের উন্নয়নের জন্য একটা কঠিন ও কঠোর এবং সর্বোপরি সৎ ও সাহসী একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসকের দরকার, যিনি একটানা ৫০ বছর ক্ষমতায় আসীন থেকে দেশকে সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড বানিয়ে ফেলতে পারবেন। তবে, একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, বাংলাদেশে এখন কোনো সরকারই কোনো বিরোধী দলকে 'স্বৈরশাসক' বলে গালি দিতে পারবে না :)

পোস্ট ভালো লেগেছে। আমিন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি প্রথমে যা বলেছেন, সেটাই মূলতঃ এই পোষ্টের বক্তব্য খলিল ভাই। সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড না বানাক, বাংলাদেশই বানাক......কোন অসুবিধা নাই। সাধারন জনগনের মৌলিক চাহিদা ভালোভাবে পূরণ হলেই হলো।

তবে, একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, বাংলাদেশে এখন কোনো সরকারই কোনো বিরোধী দলকে 'স্বৈরশাসক' বলে গালি দিতে পারবে না অবশ্যই, সম্পূর্ণ একমত।

পোষ্ট ভালো লাগাতে শান্তি পাইলাম। :)

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



পোষ্টের শেষের দিকে আপনি শেখ হাসিনাকে উদ্দশ্য করে বলেছেন (আপনার ধারণা, উনি এই পোষ্ট পড়বেন; ইহা ১টি ভুল ধারণা! ) যে, উনার বাবা যা করে যেতে পারেননি, সেটা করে দেখিয়ে দিতে!

আপনার কাছে প্রশ্ন, উনার বাবা কি করে যেতে পারেননি বলে আপনার ধারণা?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শেখ হাসিনারে উদ্দেশ্য কইরা আমরা চিঠি লেখি, কতো চিল্লাফাল্লা করি............সব কি হ্যায় পড়ে, নাকি শোনে? কাজেই এইখানে ''ইহা ভুল ধারনা''র কিছু নাই। উনি পড়বেন, এই চিন্তায় আমরা পোষ্ট লেখি না। অবশ্য আপনে শেখ হাসিনারে উদ্দেশ্য কইরা যা যা কন, সবই হ্যায় পড়ে, শোনে!! =p~

আপনার কাছে প্রশ্ন, উনার বাবা কি করে যেতে পারেননি বলে আপনার ধারণা? আপনে আউলিয়া মানুষ, আপনেই কন দেখি, উনার বাবা কি কইরা যাইতে পারেন নাই!!! ;)

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এত্ত সুন্দর একটি নির্বাচনকে আপনি আপনার লেখার মাধ্যমে খারাপ বলতে চাইছেন।আপনাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে এনে বিচার করার জোন দাবি জানাচ্ছি :P

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নির্বাচন আবার হলো কবে? আসলে এসবের কোন দরকারই বাংলাদেশে নাই। শুধু শুধু জনগনের ট্যাকের টাকা নষ্ট করার মানে আছে?

আপনাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে এনে বিচার করার জোন দাবি জানাচ্ছি :P ডর দেখান কেন? সরকার ডাকলে আমি এমনেই দেশে চলে আসবো। কে বলতে পারে........কোন পদ-পদবী যদি পাই!!! =p~

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:




উফ!!! মরে গেলাম ভুম!!!
মরে গেলাম!
খোঁচাটা কিন্তু ভীষণ লেগেছে।
এখন দাওয়াই দিবে :)

এ আমি ছাড়া আর কে? বাংলাদেশ থেকে এসে এতো এতো প্রশংসা করেছি!!!
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, mind-blowing!!
এয়ারপোর্ট থেকে নেমেই এতো ভালো ইম্প্রেশন হবে ভাবিনি :)

পদ্মা সেতুতে গেলাম, এক কথায় fantabulous!!!
যাবার সময় যে মাওয়া হাইওয়ে সেটাও মাথা নষ্ট সুন্দর!

মেট্রোতে চড়া হয়নি, কিন্তু বন্ধুরা যারা রেগুলার ইউজ করে খুব পজিটিভ ফিডব্যাক পেয়েছি।

পূর্বাচল ৩০০ ফিট আগেও ভালো ছিলো, আর এখনতো সেইরকমের করেছে!
২০১৩-১৪ যখন প্রথম কাজ শুরু হয়, লাল মাটির ছোট ছোট টিলা, তখন থেকেই ওটা আমার সন্ধ্যাকালীন আড্ডার জায়গা।
Both day and night views are amazing!!!

ভালোকে আমি ভালো বলবোই।

আবার এটাও সত্যি, ইলেকশনের সময় ঢাকায় থাকা সত্ত্বেও পরিবারের কেউ ভোট দেয়নি।
দুটো কারণ, আমাদের এলাকায় যিনি দাঁড়িয়েছেন উনি একজন চোর, যেটা সবাই জানে।

সেকেন্ড কারণ, গতবার আমাদের ফ্যামিলি থেকে ভোট দিতে গিয়ে দেখে ভোট দেয়া হয়ে গেছে, তাই এবার কেউ ইনিশিয়েটিভ নেয়নি।

সো, ভালো মন্দ দুটোই দেখে আসছি ভুম।
এনিওয়ে, দাওয়াই দিতে ভুলবে না, বেশি ব্যথা পেয়েছি কিন্তু :)


২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি কাউকে খোচা-টোচা দেই নাই। সেই ক্ষমতা কি আমার আছে? কেউ যদি ক্ষেপে গিয়ে আমাকে স্বপ্নে দেখা শুরু করে.......তাহলেই তো আমার দফা-রফা সারা। আমার ঘাড়ে কয়টা মাথা? :P

ভালো-মন্দ সব দেশেই আছে। মন্দের পাল্লা যখন একদিকে হেলে পড়ে, তখনই সেটা নিয়ে কথা হয়। দেশে উন্নত ইনফ্রাস্ট্রাকচারের দরকার আছে। তবে এসব চাকচিক্যের আড়ালে ভুখা-নাঙ্গা, আশ্রয়হীন মানুষদেরকে ভুলে গেলে চলবে না। উন্নয়ন মানে সম্পদের সুষম বন্টন। সব নাগরিকের জন্য অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা নিশ্চিত করা। সেটা কি হয়েছে? তাহলে এসব উন্নয়ন হলো আই ওয়াশ।

আর আমি প্রমান করে দিতে পারি, দেশে যেসব মেগা প্রজেক্ট নেয়া হচ্ছে, তার অর্ধেকই অপ্রয়োজনীয়। এসবের সমাধানের অন্য ভালো উপায় আছে। শুধুমাত্র চুরি করার জন্য এসব মেগা প্রজেক্ট নেয়া হয়।

দাওয়াই হলো, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একগ্লাস চিরতার পানি পান করা। আশা করি, ব্যথা-বেদনার উপশম হবে। ;)

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আফসোস!
তাহলে কি মেট্রোরেল পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ে টানেল এই সমস্ত ব্যবহার করব না।!?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বানাইছে যখন, অবশ্যই ব্যবহার করবেন। এর মধ্যে আপনার টাকাও তো আছে। কাজেই আপনার দাবীও আছে। শুধু চিন্তা করেন....................!!!! এইটাই আমি বলতে চাচ্ছি!! কি বুঝলেন? ;)

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: লগ ইন না কইরা পইড়া লগ ইন কইরা একটা লাইক দিলাম।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অত্যন্ত উৎসাহপ্রদানমূলক কাম করছেন সনেট কবি ভাই সাহেব। এই কাম সব সময়ে জারী রাখবেন..........এই আশাই ভুয়া মফিজ সকল সময়ে করে!! আল্লাহ আপনেরে আরো লাইক দেওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন!!! ;)

১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: খোঁচা খুঁচি করতে হয় না ,কিছু মানুষের হৃদয় ক্ষরণ হয়।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিছু মানুষের হৃদয় ক্ষরণ হয়। কিছু মানুষের হৃদয় ক্ষরণ কেন হয় বলে আপনার ধারনা? ;)

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "... আপনে আউলিয়া মানুষ, আপনেই কন দেখি, উনার বাবা কি কইরা যাইতে পারেন নাই!!! "-

-আমি ঠিকই জানি, শেখ সাহেব কি করে যেতে পারেননি; সংক্ষেপে বলতে হয়, উনি "বাকশাল" প্রোগ্রামটি কার্যকরী করে যেতে পারেননি। আপনার মাথায় এই সঠিক উত্তরটি ছিলো না বলেই, আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হননি।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: উনি "বাকশাল" প্রোগ্রামটি কার্যকরী করে যেতে পারেননি। ব্যাস............এই আপনের জানাশোনার দৌড়? হতাশ করলেন আউলিয়াসাব। আপনের মাথা থিকা এইটুকুনই বাইর হবে, আশা করি নাই!! শকড!!! B:-/

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:




লিখতে চান, লেখেন! তবে, বিষয়বস্তু না'জানলে এই অবস্হা হবে সব সময়।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কথা ঘুরান ক্যান? আরেকটু আলোচনা করলে আপনের পর্দা ফাস হয়া যাবে, এইজন্য? ;)

তবে, বিষয়বস্তু না'জানলে এই অবস্হা হবে সব সময়। একজন টং দোকানের আলোচকের পক্ষে আমার সাথে সঠিক ট্র্যাকে থাইকা আলোচনা করা সম্ভব না। এই জন্য যেই পড়ালেখা, জানাশোনা দরকার সেইটাই আপনের নাই।

এইবার আপনেরে আসল বিষয়টা বলি, শোনেন।

উনার বাবার মূল সমস্যা ছিল, শেষের দিকে এসে উনি আপামর জনসাধারনের আস্থা আর ধরে রাখতে পারেন নাই; একেবারে জন-বিচ্ছিন্ন একজন শাসকে রুপান্তরিত হয়ে গিয়েছিলেন। অথচ উনার শুরুটা ছিল অপার সম্ভাবনা দিয়ে, আর এটাই ছিল উনার পতনের সবচাইতে বড় কারন। এই একই সমস্যা শেখ হাসিনারও আছে, সেটাই বলেছি।

দিনরাত এতো এতো লম্বা-চওড়া বক্তৃতা করেন আর দেশের রাজনীতির শুরুর এই মূল সূরটা ধরতে পারলেন না। আফসোস!!!

১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: @লেখক বলেছেন: কিছু মানুষের হৃদয় ক্ষরণ কেন হয় বলে আপনার ধারনা?


- নির্বাচন,গণতন্ত্র এই সব ফালতু বিষয় নিয়ে কটু কথা তীক্ষ্ণ কাঁটা হয়ে বেঁধে অনেকের হৃদয়ে। নির্বাচন,গণতন্ত্র এই সব ফালতু বিষয় নিয়ে কটু কথা তীক্ষ্ণ কাঁটা হয়ে বেঁধে অনেকের হৃদয়ে। জনগণের আবার কিসের টাকা ? সব পৈতৃক জায়গীরদারির টাকা ! তো সেই টাকা উনার লাঠিয়াল বাহিনীর কেউ কেউ ভিন্নদেশে পাঠালে তাতে কেন যে আপনার মতো কিছু মানুষের এতো জলে , আফসোস !

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাচা কথা কইছেন। আমার কেন, কারোরই জ্বলা ঠিক না।

জনগণের আবার কিসের টাকা ? ঠিক কথা...........দেশে এখন খালি ফর্ম্যালি রাজতন্ত্র কায়েম করা বাকী। তাইলে আর এইসব নিয়া কথা বলার কেউ থাকবে না। রাজা-রানীর পাইক পেয়াদারা যা খুশী করার লাইসেন্স পায়া যাবে তাইলে, বিদেশে টাকা পাঠানো তো কোন ব্যাপারই না, কি কন!!! B-)

১৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আরোগ্য বলেছেন: এরে কি পোস্ট দিসেন, এহন তো কতজনের শইল্যে মরিচ পোড়া লাগবো। :P

কেলা মোমিনরে বাদ দেওনে খুশি হইসেন ক্যা? ওর ডায়লগটি তো আমার মজাই লাগতো B-) । কাউয়ারে উড়ায়া দিলে খুশি হইতাম। হালায় নাড় গাইরা বইসে X(


পোস্ট পইড়া ছোটকালের কথা মনে পইড়া গেল। রমজানে বাড়িতে প্রতিবেশীর আনাগোনা বাইরা গেত। আয়া নানুরে কইতো, আপনের কথা মনে হইতাসে, কিমুন আছেন, দেখবার আইসি, :D । আমগো বাড়িত তে ভালা কালেকশন হইতো। ঈদের দিন পোলাপান লয়া সালাম দিতে আবার আইতো। যেই কাপড় লাগায়া আইতো নিজে গো ওগো সামনে ফকির মনে হইতো। কালেকশনের ট্যাকা ইনভেস্টে না রাইখা সব বাইলা ফুটানিতে লুটাইতো। খাইসলত এহনো এগো বদলায় নাই, পরিস্থিতি যদিও বদলাইসে। আমগো পর্ধানমন্ত্রীর বি একই অবস্থা। উপ্রের তে ড্রোন দিয়া যহন ভিডিও করবো তহন তো সব বিরিজ মেট্রো ফেলাই অভার এইসব কাভার দ্যাহা যাইবো, কাভারের নিচে গ্যাসের চুলায় গ্যাস ছাড়া খালি পাইপ, পানির লাইনে মিনারেল ওয়াটার, এক ট্যাকার সদাই দশ ট্যাকা, দিনমজুরের খালি পেট, টুন্ডা লুলা শিক্ষা ব্যবস্থা, সোনার ডিম পাড়া হাসের রহম চাকরির বাজার এইসব তো আর দ্যাহা যাইবো না।

বিদেশ থেইকা বাইলা ফুটানির লেইগা ফকির সাইজা যেই ট্যাকা ধার লইসে ওই ট্যাকার দায়ভার আমার অনাগত পোলাপান নাতি পুতিরও বুঝি বাইতে অইবো। কি জ্বালায় পরলাম। এক তো মাইনসেরে কর্জ দিয়া টাইম মতন ফিরত পাইনা, এদিকে বিনা দোষে আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুদ টানবো। :(( এ পাপের দায়ভার আমি লইতে পারুম না :(

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কেলা মোমিনরে বাদ দেওনে খুশি হইসেন ক্যা? মজা দেওনের লাইগা হালায় সার্কাসে যোগ দিলেই পারে? ফরেন মিনিস্ট্রিতে থাকবো ক্যালা? ওইডা কি সার্কাসের জায়গা নিহি?

''খালি কলস বাজে বেশী'' এই অবস্থা হইছে সরকারের আর তাগো চেলা-চামুন্ডাগো। কি কমু? কওনের কিছু নাইক্কা। পোষ্টাইলাম, কারন আমাগো ব্লগাররা শিক্ষিত মানুষ। চিন্তা-ভাবনায় হ্যাগো বহুত এডভান্স থাকনের কথা। হ্যারা যদি এই হগল আইওয়াশ দেইখা ভচকায়া যায়, তাইলে কেমুনডা লাগে কন দেহি? ভাবখান এমুন, রেস্টুরেন্টে সুন্দর কইরা সাজাইন্যা পচা খাওন খায়া কওন......ওয়াও!!! ;)

এ পাপের দায়ভার আমি লইতে পারুম না লইতে হইবো গোলাম হোসেন.........উপায় নাই। :(

১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

কথামৃত বলেছেন: আগামি পোস্টে কমেন্ট করবো

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আচ্ছা।

১৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

আরোগ্য বলেছেন: আবার আইলাম একটা কথা কইতে ভুইলা গেসিলাম। এই দেশে চোর বাটপার ছ্যাচ্চর খচ্চর দিয়া ভইরা গেসেগা। এসব পাবলিকের লেইগা ভালা কি আশা করেন? মার্টিন লুথার কিং আইবো? । যা আছে এ্যার চে ভালা পাইবেন কইত্তে? :(

কোরআনের কথা, জনগণ খারাপ থাকলে তা গো শাসন (শোষণ) এর লেইগা জালিম সরকার চাপায়া দেয়া হয়। জালুতের ঘটনা তাই প্রমাণ করে। :((

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শেখ হাসিনা চাইলে মার্টিন লুথার কিং হইতে পারে। সেইটাই কইছি পোষ্টে। হইবো কি হইবো না, হ্যার ইচ্ছা।

কোরআনের কথা, জনগণ খারাপ থাকলে তা গো শাসন (শোষণ) এর লেইগা জালিম সরকার চাপায়া দেয়া হয়। এই আয়াতের কনটেক্সটটা দেখনের দরকার। আমি তো বুঝি, সরকার যদি জালিম হয়, তাইলেই জনগন খারাপ হয়। এই নিয়া একটা পোষ্ট দিছিলাম বহুত আগে.....লিঙ্ক দিলাম, পইড়া দ্যাখেন ঠিক কইছি, নাকি ভুল!!view this link

১৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১১

বাকপ্রবাস বলেছেন: বুবু যতদিন বেঁচে আছেন কিংবা লীগের বৈঠা যতদিন ধইরা আছেন ততদিন রাজনীতি নিয়া আর চিন্তা করুমনা। যেমনে চালায়, কেমনে চালায় শুধু দেইখা যামু। পিতার মর্মান্তিক পরিনতিতে একটা পর্ব এর সমাপ্ত হল। কন্যার সমাপ্তি তেমনটা হবেনা। তবে কেমন হয় সেইটা দেখার আশায় আছি, আল্লাহ যেন ততদিন হায়াত দেয়।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেইখা যাওয়ার চেয়ে ভালো স্ট্র্যাটেজি আর নাই। খালি খেয়াল কইরা..........দেখতে দেখতে চোখে আন্ধার না দেখেন আবার। পিতার মতো পরিণতি কন্যার দেখতে চাই না। ইনফ্যাক্ট, কারোরই এমন পরিণতি চাই না।

আল্লাহ সবার সুমতি দেউক.........তাইলেই আলহামদুলিল্লাহ। :)

২০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৩

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: এখন এই লেখা জায়গা মত পড়লেই হয়...

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চান্স কম...........তবে মানুষ আশায় বাচে!!! :P

২১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: কলা বিজ্ঞানী ও কালবৈশাখীর যুগান্তকারী কমেন্টের অপেক্কায় আছি। নাইলে পোস্ট জমতেসে না। =p~ গাজী সাহেবের ক্রাই বেবীমার্কা কমেন্টের এখন আর ভাত নাই =p~

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আইলে খারাপ হয় না। তোতাপাখীদের ডায়লগ শুনলে বড়ই আনন্দ পাই। তাছাড়া কালবৈশাখী আমার অন্যতম প্রিয় একজন ব্লগার। আতাগাছে তোতাপাখী কমু, নাকি কলাগাছে তোতাপাখী কমু? =p~

আউলিয়া সাবে শ্যাষ, আইজকাইল হ্যার অন্যরে আউলানোর আর ক্ষমতা নাই। :-B

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে তো দেখি আমার বড়ভাই, মানে আপনের প্রিয় ব্লগাররে চেতায়া দিছেন! হ্যায় চেইতা একটা পোষ্টও দিয়া ফালাইছে। কামটা কি ঠিক করছেন? আপনের কাছ থিকা তো এইটা আশা করি নাই!!! :-B

২২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২০

করুণাধারা বলেছেন: যৎসামান্যই ভালো। তাতে বিপদের আশঙ্কা কম থাকে।

একটা উন্নয়ন কাজ শেষ হলে এতটাই মাতামাতি করে তার উদ্ধোধন হয়, তাতে জনদুর্ভোগ এতটাই হয় যে সে কথা মন থেকে মুছে যায় না। যেদিন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন ছিল, সেদিন আমার ডাক্তারের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। ‌তাই হাতে সময় নিয়ে বের হয়ে দেখি রাস্তায় সব থেমে আছে, কয়েকটা এম্বুলেন্সও। রাস্তার একপাশে সারি বেঁধে বাস রাখা, সেগুলোতে বিভিন্ন জেলার ব্যানার লাগানো, কর্মীরা সারা দেশ থেকে এসেছেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ করতে! "এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন ঘিরে যানজট, দুর্ভোগ" লিখে গুগলে সার্চ দিলে সেদিনের দুর্ভোগের বিবরণ পেয়ে যাবেন।‌

আমার সেদিন ডাক্তার দেখানো হয়নি। তবু খুশি মনে সেদিন বাসায় ফিরেছিলাম, কারণ এম্বুলেন্সে থাকলে তো আর বেঁচে ফিরতেই হতো না!! কিন্তু মাথায় প্রশ্ন ঘুরঘুর করতে লাগলো, উন্নয়ন করে দিলেই কি এভাবে কষ্ট দেয়া জায়েয হয়ে যায়!! কার টাকায় উন্নয়ন সেই হিসাব নাই করলাম!!

তবে মেট্রো রেল নিঃসন্দেহে খুবই স্বস্তিদায়ক। এটা নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ঘটনাটা নিঃসন্দেহে খুবই দুঃখজনক। আমাদের নেতানেত্রীরা তৈলমর্দন খুবই পছন্দ করে। নিজেরা তাদের দায়িত্ব পালন করাকেও বিশাল কিছু করা হিসাবে দেখাতে চায়। কাজেই কর্মীবাহিনী ততোধিক উৎসাহে তৈলমর্দনে ঝাপিয়ে পড়ে। জনদূর্ভোগ এদের কাছে কোন বিষয় না। আপনি তো জানেনই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বাদ, এমনকি সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও এই ধরনের কাজে উৎসাহ দেয়। যেমন, স্কুল ভিজিটে গেলে স্কুলের শিশুদেরকে অভ্যর্থনার নামে রোদে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড় করিয়ে রাখা।

সব দোষ মাথার। মাথা যা পছন্দ করে, গুড়ারাও তাই পছন্দ করবে। সে আপনি দেশে থাকেন আর বিদেশে, শিক্ষিত হন কিংবা অশিক্ষিত; রুচির কোন পরিবর্তন নাই। B:-)

তবে মেট্রো রেল নিঃসন্দেহে খুবই স্বস্তিদায়ক। এটা নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। পোষ্ট অবশ্যই দিবেন। আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম। :)

২৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছি না।
প্রথমে বলি আমার আশঙ্কার কথা-
নির্বাচন কমিশনের হিসেবে শেখ হাসিনা প্রায় ৪২ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছেন। আমি ধরেই নিচ্ছি এই ভোটগুলো পিওর মানে কোনো জল মেশানো নেই। তাহলে যারা ভোট দিলেন না অর্থাৎ ৫৮ শতাংশ মানুষেরা হয় বয়কট নতুবা আগ্রহী না থাকায় ভোট দেননি। তাহলে অতিবড় আওয়ামী লীগ সমর্থক অস্বীকার করবেন না যে বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের সরকার। এখানে একটি ফরাসী বিপ্লবের মতো আরেকটা শাহবাগের ঢেও এমন দুর্বল নৌকাকে আগামীতে যে কোন সময় ডুবিয়ে মারলে অবাক হবো না বা তারাও আবাক হবেন না। বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো অপেক্ষাকৃত ছোট আয়তনের দেশ গুলিতে সামরিক অভ্যুত্থান যেখানে অতীতে হয়েছে আগামীতেও এরকম যদি কিছু ঘটে তাতে অবাক হওয়ার কিছু দেখি নেই।আর এইজন্যই বলা যায় এবারের সরকারের ভীত অত্যন্ত দুর্বল।যারা ভোট দিলেন না এরা যে সঙ্গতকারণেই ভারতবিদ্বেষী সেকথা বলাবাহুল্য। কাজেই অনতিবিলম্বে মালদ্বীপের মতো ভারত বিদ্বেষী কোনো একটা পদক্ষেপ এই মূহুর্তে সংখ্যা গরিষ্ঠ বাঙালি জাতি সাদরে গ্রহণ করলে হাসিনা সরকারের পক্ষে ভয়ানক বিপদ হতেই পারে।

এবার আসি শেখ হাসিনার বিচক্ষণতার কথা-
বেশ কয়েকমাস আগে প্রেসিডেন্ট বায়ডেনের সঙ্গে শেখ হাসিনা সকন্যা সেলফি তুলেছিলেন। সেখানে বায়ডেন সাহেব কিন্তু যথেষ্ট আন্তরিক ছিলেন বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি। কিন্তু পরবর্তীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে ভাবে নিজেরা অলিখিত পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের বিগত নির্বাচনকে দোষী সাব্যস্ত করলেন এবং বর্তমানের নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করলেন সেটা একজন স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে অসম্মানের বৈকি।তাই একতরফা নির্বাচন বলে যতোই গালমন্দ করা হোক না কেন নিজ বাসভবনে প্রথম প্রেস ব্রিফিংয়ে ১১ দেশের প্রতিনিধিদের সামনে মার্কিন প্রতিনিধি তথা নির্বাচনী পর্যবেক্ষককে প্রশ্ন করেন,
- কেমন ভোট দেখলেন? লোকে ভোট দিতে বাধা পেয়েছেন?
পর্যবেক্ষকের জবাব,
- বাংলাদেশের ভোট নিয়ে অনেক বেশি প্রশ্ন উঠেছিল।
হাসিনার পাল্টা উত্তর,
আপনারা বড় দেশ, শক্তি বেশি বলে কেউ আপনাদের বিপক্ষে কথা বলার সাহস পায় না। কিন্তু আমরা ছোট হলেও আমাদেরো সার্বভৌমত্ব আছে। অপপ্রচারে শুনতে আমাদেরো ভালো লাগেনা।

এই হাসিনাই শাহবাগের গণজাগরণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজাকার আলবদরের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করতে পদক্ষেপ নিলে তৎকালীন মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টনের অনুরোধকে উপেক্ষা করে পাল্টা প্রশ্ন করেন,
-বিচারবিভাগের উপর সরকারের হস্তক্ষেপ মেনে নেবেন তো?
উল্লেখ্য সেদিন হিলারি আর কিছু বলতে পারেননি।
উপরের ঘটনাগুলো থেকে প্রধানমন্ত্রী যে প্রখর বুদ্ধিমত্তার সাথে আমেরিকার মতো বৃহৎ শক্তির সামনে নিজের তথা দেশের সম্মানকে অক্ষুন্ন রাখতে সমর্থ হয়েছেন সেকথা বলাই যায়।

পদ্মা সেতু নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি আছে। ভোটের আগে পক্ষে বিপক্ষে উভয় উভয়ের মতো করে জনমত তৈরি করবে এটাই স্বাভাবিক।এই জন্য শুরুতে আপনার ফ্লোরিডার বন্ধুর বিমানের ফ্রি টিফিনের গল্পটি মনে ধরেছে। কিন্তু এটা কি অস্বীকার করা যাবে যে হাসিনা বাংলাদেশকে নিম্ন আয়ের একটি দেশ থেকে মধ্য আয়ের একটি দেশে পৌঁছে দিয়েছেন? হাজার সমালোচনা সত্ত্বেও দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি যথেষ্ট সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বা শেষ দশবছরে ভারতের টাকার মানের তুলনায় বাংলাদেশের টাকার মান বেড়েছে বৈ কমেনি?

এবার আসি আবেগের জায়গায় -
শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী জয়ী হয়ে একদিকে বিশ্বে দীর্ঘতম কালের নেত্রী অপরদিকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন ইন্দিরা গান্ধী, বন্ধননায়েকে, মার্গারেট থ্যাচার, বেনজির ভুট্টোর মত মহিলা প্রধানমন্ত্রীদেরকে। আজ উনি যে বাঙালির গর্ব সেটা অস্বীকার করি কেমনে।

বাই দ্যা ওয়ে আমি কিন্তু এখন মোদীজি বন্দনায় নেমেছি। মোদিজী রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে একদিকে দেবতাদের দেবতা বা কিংবদন্তি দেবতায় পরিণত হয়েছেন। খুব শিগগিরই গোটা দেশে মোদিজীর বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা ও মন্দির প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। আগামীতে মোদিজী জ্ঞানবাপী ,মথুরা মসজিদ সহ আরো অনেক মসজিদকে মন্দিরে পরিণত করে অপার রামরাজত্ব বলবৎ করে টাইম মেশিনে রামায়নের যুগকে ফিরিয়ে আনতে চলেছেন। এখানে মোদিজী যেমন অমরত্ব লাভ করেছেন আমার দৃঢ় বিশ্বাস শেখ হাসিনাও তেমনি মোদিজীর কাজ থেকে এরকম কিছু টোটকা নিয়ে অমরত্ব পেতে চলেছেন। কীভাবে প্রয়োগ করবেন সেটা দুই ভাইবোন মিলে ঠিক করবেন।টপ সিক্রেট কিনা।
তবে শেষে এসে বদহজম হয়ে গেছে।ভারতের মিডিয়াতে পড়ে বাংলাদেশকে কভার করার ঘটনাটাকে আপনি সৎ পলিটিশিয়ান ও ভার্জিন প্রস্টিটিউটের মতো করে ব্যাখ্যা করবেন ভাবতেই পারিনি :) ভাবছি ভারতময় ম ম করা মোদিজীর মিডিয়ার রহস্য আপনে জানলেন কেমনে?


২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোথা থেকে শুরু করবেন না বোঝার ফলে মন্তব্যের যেই সাইজ, বুঝলে না জানি কি হইতো!! ডরাইছি!!! B:-)

গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের হিসাব বিভিন্নভাবে হয়। একেক দেশ একেক রকমের পদ্ধতি গ্রহন করে। আমাদের দেশের পদ্ধতি অনুসারে যে বেশী ভোট পাবে, সেই জয়ী। মোট কতো % ভোট কাস্ট হলো, সেটা ধর্তব্যের মধ্যে নেয়া হয় না। তবে, এসব কথার কোন মানে নাই, কারন আপনি ধরে নিলেও বাস্তবে ৪২% ভোট কাস্টই হয় নাই; সেসব নিয়ে আমাদের দৃশ্যমান তেমন একটা মাথাব্যথাও নাই। কারন, সবাই আগে থেকেই জানে ভোটের ফলাফল কি হবে।

আর নৌকাডুবিতে এমনিতেই আমাদের দেশে বহু মানুষ মারা যায়, কাজেই কোন নৌকাডুবিতেই কেউ ভীত না। না মাঝি, না যাত্রীরা। তাছাড়া আপনি তো জানেনই, আমরা বীরের জাতি, সকল ভয়-ভীতির উর্ধে। কাজেই ফরাসী বিপ্লবের মতো আরেকটা বিপ্লব, শাহবাগের মতো আন্দোলন অথবা পাকিস্তানের মতো সামরিক অভ্যুত্থান, কোন কিছুকেই আমরা (আমরা মানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ইংরেজিতে সংক্ষেপে বাল!!!) পরোয়া করি না। কোন কিছুই আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। =p~

আপনি মাত্র দু'টা ঘটনা বলেছেন; তবে, শেখ হাসিনার বিচক্ষণতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। এই নিয়ে বলতে থাকলে আমার আঙ্গুল ব্যথার চোটে একসময়ে টাইপ করা বন্ধ করে দিবে, কিন্তু বলা শেষ হবে না। তাই সেদিকে আর না যাই। বরং পরের প্যারাতে আপনি কি বলতে চেয়েছেন, সেটার দিকে নজর দেই।

পরের প্যারাতে আপনি যেই লাভের কথা বলেছেন, তার গুড় কে খাচ্ছে? আপনি কি জানেন, প্রতিদিনের খাদ্য কিনতে দেশের মানুষ কতোটা স্ট্রাগল করছে? চিকিৎসা সেবা নিতে কেন প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ সবাইকে বিদেশে দৌড়াতে হয়? কেন আমাদের শিক্ষার মান প্রতিদিন নিম্নমুখী? কেন লক্ষ লক্ষ বেকারের চাকুরী নাই অথচ ভারত বাংলাদেশ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স নিয়ে যায়? শেখ হাসিনার পঞ্চমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ না, গুরুত্বপূর্ণ হলো উপরে যা বললাম, তার সমাধান। আবেগ দিয়ে পেট ভরে না।

মোদির কথায় মনে হলো, Thinking of the devil and here he is............তা ভারতের কোটি মানুষের দেবতা মোদির মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা কবে হবে? শয়তানের পূজা কিন্তু দেশে দেশে এখন বেশ জনপ্রিয়!! দাওয়াত দিয়েন। মোদির প্রান প্রতিষ্ঠায় আপনার সহযোগী হতে এসে পড়বো। =p~

এখানে মোদিজী যেমন অমরত্ব লাভ করেছেন আমার দৃঢ় বিশ্বাস শেখ হাসিনাও তেমনি মোদিজীর কাজ থেকে এরকম কিছু টোটকা নিয়ে অমরত্ব পেতে চলেছেন। কীভাবে প্রয়োগ করবেন সেটা দুই ভাইবোন মিলে ঠিক করবেন।টপ সিক্রেট কিনা। কবি এখানে নিরব।

ভারতের মিডিয়াতে পড়ে বাংলাদেশকে কভার করার ঘটনাটাকে আপনি সৎ পলিটিশিয়ান ও ভার্জিন প্রস্টিটিউটের মতো করে ব্যাখ্যা করবেন ভাবতেই পারিনি :) ভাবছি ভারতময় ম ম করা মোদিজীর মিডিয়ার রহস্য আপনে জানলেন কেমনে? আর এখানে ভুয়া মফিজ নিরব!!! :P

২৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরকারের যথার্থ গঠনমূলক একটা সমালোচনা হয়েছে আপনার লেখাটা। আসলে পাবলিক যদি বোকা হয় তাদের মাথায় কাঁঠাল কেন ভাঙ্গা হবে না। মানুষ সাধারণ একটা বিষয় বোঝে না যে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প যদি হয় ২০ বা ২৫ হাজার কোটি টাকায় হয় সেই ক্ষেত্রে এই বাড়তি টাকা কারা পাচ্ছে। এই প্রকল্পের টাকা যে পাবলিকের এটা আমাদের পাবলিক বোঝে না। দেশের জনগণ ঠিক না হলে যেমন শাসক ঠিক হয় না আবার উল্টা বলা যায় শাসকের জুলুমের শাসনের কারণে সব কিছু খারাপদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ভেড়ার পালের মত তখন পাবলিকের একটা বড় অংশ এই খারাপদের পক্ষে চলে যায়।

আরেকটা ভালো কথা বলেছেন যে এই মেগা প্রকল্পগুলির বিকল্প ছিল। কিন্তু সেগুলি করলে টাকা কামানো যেত না। আর এই মেগা প্রকল্পগুলি তো বাংলাদেশে আরও ৩০ বছর আগে হওয়ার কথা ছিল। এই দেরির জন্য শাসকরাই দায়ী। শুধু বড় নগর ভিত্তিক কিছু মেগা প্রকল্প দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব না। দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গবেষণা, শিল্পায়ন, সুশাসন এগুলির প্রতি কারও নজর নাই।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি আসলে কোন দল বুঝি না, দেশ বুঝি। যে ভালো কাজ করবে, তার সাথেই আমি আছি। আওয়ামী লীগ যেহেতু সরকার গঠন করেই ফেলেছে, আর তারা দাবী করে তারা মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক.........তারা সেটা প্রমাণ করে দেখাক। তবেই না মানুষ তাদের উপর আস্থা রাখবে। চোরের উপরে কি আস্থা রাখা যায়?

আপনি মন্তব্যে যেই কথাগুলো বললেন, এগুলো বোঝা কি খুবই কঠিন? যে কোন শিক্ষিত মানুষেরই তো এসব বুঝতে পারার কথা। অবশ্য বিভিন্ন কারনে অনেকে বুঝেও না বোঝার ভান করে। এখানে অনেক লাভ-লসের ব্যাপারও আছে। তাছাড়া অভিনয় বাঙ্গালীর একটা সহজাত গুণ। খুবই ভালো গুণ, কি কন!!! =p~

২৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ওই সমস্ত জিনিসপত্র বানানোর যে টাকা খরচ হয়েছে সেখানে আমার টাকা নাই ১ টাও।
কেননা আমি ট্যাক্স দেই না ।
আমি যদি ট্যাক্স নাই দিই তাহলে সেখানে আমার টাকা গেল কি করে?!
আমি হাউ কাউ করি হুদাই।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই যে দেখেন, আপনের মতো নাদান মানুষদেরকেই আমি ''সুইট'' বলছি। টাকা কেমনে দেন, নিজেও জানেন না। অবশ্যই আপনে হুদাই হাউ কাউ করেন না। নীচের মন্তব্যেই আপনের জন্য একটা বানী আছে। :)

আরেকটা উদাহরন দেই। মনে করেন, আপনের নিজের বাড়ি আছে.........হোল্ডিং ট্যাক্স দেন না? আর নিজের বাড়ি না থাকলে বাড়িভাড়ার মধ্যে ওইটা ইনক্লুডেড থাকে। এমনিভাবে, বিভিন্ন রকমের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর প্রত্যেকেই দেয়।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার কি এখনও মনে হয় যে, আপনি হুদাই হাউ কাউ করেন?

২৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: @করুণাধারা আপু মেট্রোরেলের উদ্ভোধনটা ভাল হয়েছে; ধীরে ধীরে গা সওয়া করে। প্রথম থেকেই উপচে পড়া ভীড় হয়ে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা হয়নি, পদ্মা ব্রিজের মত।

@মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন আপনি কিন্তু প্রায় প্রতিটি পণ্যের সাথে ভ্যালু এডেড ট্যাক্স দিচ্ছেন

@পদাতিক চৌধুরি - ভাই, চমৎকার বলেছেন। আপনার কি মনে হয় মোদিজী কোন কারনে চলে গেলে হাসিনা বড্ড বেকায়দায় পড়বেন?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার কাজ খানিকটা কমায়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। :)

২৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে দেশের উন্নয়নের যে কথাই আমরা বলিনা কেন , দেশের খাদ্য - স্বাস্থ্য - শিক্ষা - গৃহায়ন - শিল্পায়ন - সুশাসন এগুলি সহ দেশের সাধারণ মানুষের সর্বাঙ্গীন উন্নতি না হলে কোনও উন্নতিই দেশের উন্নতি নয়।
এই সত্য বোঝার জন্যে মেট্রিক পাশ করতেই হবে এমন কোনও কথা নেই ! অবশ্য আপনার মেট্রিক পাশ করা উচিৎ ছিলো কারন, কাহাকে কি বলিলেন
তা বুঝতে পারতেন! :#)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে দেশের উন্নয়নের যে কথাই আমরা বলিনা কেন , দেশের খাদ্য - স্বাস্থ্য - শিক্ষা - গৃহায়ন - শিল্পায়ন - সুশাসন এগুলি সহ দেশের সাধারণ মানুষের সর্বাঙ্গীন উন্নতি না হলে কোনও উন্নতিই দেশের উন্নতি নয়। এই কথা কে কারে বোঝাবে? বলতে বলতে তো মুখে ফেনা উঠে গেল!! :(

এই একটা ভুল জীবনে করলাম জী এস ভাই। মেট্রিক পাশ না করেই অন্যান্য ডিগ্রী নিয়ে ফেলেছি। এই ভুল শোধরানোর জন্য কি এখন আমাকে মেট্রিক পরীক্ষায় বসতে হবে? :P

২৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: শিরোনাম দেখে পোস্ট পড়তে শুরু করলাম। পড়তে পড়তে ভাবছিলাম যে আসলেও গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কি ভারত মাতা আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বদলাতে হবে, নাকি এইভাবেই চলতেই থাকবে আবহমানকাল ! মাঝখান দিয়ে এখন জনগনের যে অবস্থা তা হলো, “আরে দূর ! যা হবার তাই হবে, আমার কাজ আমাকেই করতেই হবে, এটা নিয়ে না ভাবলেই হলো।”----
তবে পোস্ট কিন্তু দারুন পছন্দ হয়েছে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের বেশীরভাগ দেশেই গনতন্ত্রের সংজ্ঞা কেতাবে সংরক্ষিত; এটাকে যে যার সুবিধামতো বোঝে আর ব্যাখ্যা করে। এমনকি দেখবেন, সরকারী সমর্থক যারা উন্নত বিশ্বে থাকে, এনারাও সেই ফেব্রিকেটেড গনতন্ত্রকে মেনে চলে। দলীয় আনুগত্য আর বিবেক বন্ধক রাখার এমনই মাহাত্ম্য!!! :)

“আরে দূর ! যা হবার তাই হবে, আমার কাজ আমাকেই করতেই হবে, এটা নিয়ে না ভাবলেই হলো।” সেটাই। দেশের মানুষের জন্য এখন ভালোভাবে বেচে থাকার সংগ্রাম করাটাই জরুরী। গনতন্ত্র-রাজতন্ত্র নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কই?

২৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: উনি আপনার কথা শুনবেন কেন?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: উনি আমার কথা কেন শুনবেন সেটা ওনাকেই জিজ্ঞেস করা ভালো, তাই না!!! ;)

৩০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়তে দেরী করে ফেললাম।
আসলে গতকাল সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম। যাইহোক আজ আপনার লেখা পড়লাম। সকলের মন্তব্য গুলো পড়লাম।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করেছেন। B-)

৩১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

মিরোরডডল বলেছেন:





কেউ যদি ক্ষেপে গিয়ে আমাকে স্বপ্নে দেখা শুরু করে.......তাহলেই তো আমার দফা-রফা সারা। আমার ঘাড়ে কয়টা মাথা? :P

এখনতো রিস্ক আরও বেশি।
লাস্ট লেখায় ভুমকে দেখে ফেলেছিতো!
উলঙ্গ করার ঘরে ব্যাকপ্যাক মেরুন টিশার্ট ভূমকে ভিজুয়ালাইজ করা ইজি। :)


০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মিথ্যে আশা কুহকিনী!!! =p~

৩২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:




You never know :)






০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: Sooooo true! মহিলা যাদুকরের পক্ষে সবই সম্ভব। ;)

৩৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:




মহিলা যাদুকর অবশ্যই না কিন্তু কিছু একটা অশুভ আছে, সেটা কি আমি জানি না।
আর এই অশুভটা ঘটে শুধু সেই পুরুষদের জন্য যারা সান্নিধ্যে আসে বা আসতে চায়।

ভুমের ভয় নেই, ভুম সেইদিক থেকে সেইফ :)
বন্ধুদের সাথে কিছু হয়না।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অশুভ হবে কেন? শুভও তো হতে পারে! এমন একটা শক্তি যেটা মিডকে যে কোনও বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করতে চায়। ভাবছি এটা নিয়ে একটা গল্প লিখে ফেলবো; তবে এই ব্যাপারে বেস্ট এলিজেবল পারসন হলো, আমাদের অপু। ইদানীং সে নিজেও ব্যস্ত মনে হয়।

ভুমের ভয় নেই, ভুম সেইদিক থেকে সেইফ :) বন্ধুদের সাথে কিছু হয়না। তারপরেও সাবধান থাকা ভালো। খোচায় ব্যথা বেশী লাগলে সেই অদেখা ওস্তাদ আবার ক্ষেপে গিয়ে আমার উপর চড়াও হতে পারে। ভাবতে পারে, ভুয়াটা বেশী উজাইছে। যাই, একটু প্যাদানী দিয়ে আসি!!! :((

স্যরি, হঠাৎ ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। অফিস থেকে ব্লগিংয়ে এই একটা অসুবিধা। ব্যক্তি অধিকার, স্বাধীনতা এইসব নাই। ;)

৩৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৬

মিরোরডডল বলেছেন:




ভাবছি এটা নিয়ে একটা গল্প লিখে ফেলবো;

তবে তাই হোক :)

খোচায় ব্যথা বেশী লাগলে সেই অদেখা ওস্তাদ আবার ক্ষেপে গিয়ে আমার উপর চড়াও হতে পারে। ভাবতে পারে, ভুয়াটা বেশী উজাইছে। যাই, একটু প্যাদানী দিয়ে আসি!!! :((

অফিসে ছিলাম তখন, এটা পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ :)

অশুভ হবে কেন? শুভও তো হতে পারে! এমন একটা শক্তি যেটা মিডকে যে কোনও বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করতে চায়।

এভাবে ভাবিনি কখনও, তবে ঘটনা সত্যি। ঈশ্বর আমার পাশে স্বয়ং তাকে ছাড়া অন্য কাউকে দেখতে চায় না, তাই যেই আসে তাকে সমূলে উৎপাটন করে :)


০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অফিসে ছিলাম তখন, এটা পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ হাসি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ক্যালোরী বার্ন হয়। আমি চেষ্টা করি আমার কাছে-দূরের পরিচিতজনরা সবাই সব সময়ে হাসি-খুশী থাকুক। খুব কঠিন একটা কাজ, তবে আমার আন্তরিকতার কোন কমতি নাই। :)

এভাবে ভাবিনি কখনও, তবে ঘটনা সত্যি। ঈশ্বর আমার পাশে স্বয়ং তাকে ছাড়া অন্য কাউকে দেখতে চায় না, তাই যেই আসে তাকে সমূলে উৎপাটন করে ওয়াও........সাউন্ডস মিস্টিরিয়াস এন্ড এক্সোটিক!! ওস্তাদের নাম কি লুসিফার!!! :-B

৩৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: পোষ্ট হিট হয়েছে। দেশে যারা নিজেদের জীবন-সম্পদ নিরাপদ মনে করে না, “তারা তৃপ্তি ভরে খাচ্ছে”।
জনগনের সমর্থন আছে, বর্তমান বাংলাদেশের সরকারের প্রতি। উন্নতি আপনি চাইলেও হবে, না চাইলেও হবে। মানুষের ক্ষুধা আাল্লাহ প্রদত্ত, কচু-ঘেচু খেয়ে হলেও জীবন প্রবাহ অব্যাহত রাখবে। ছেলে-মেয়ে বড়ো করবে, সংসার বাড়াবে। কেউ সাহাজ্য করলে নেবে, না করলেও কোনো অভিযোগ নাই। সরকার সম্পর্কে ৬০% বাঙ্গালী মাথা ঘামায় না। আগেও ঘামায়নি। ভোটের সময় হাটে কেউ চা-খাওয়ানোর জন্য হাত ধরে টানা-টানি করলে - “টের পায়” ভোট এসেছে। ৪২% শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে ক্যানডিডেটদের টাকায় সকালের নাস্তা খেয়ে। সরকারকে অবৈধ, অগনতান্ত্রিক বলার কোন উপায় নাই। যারা দেশের মানুষকে খায়-খাতির না করে, দেশের পাচার করা টাকায় বিদেশে বসে জাবর কাটে তাদেরকে মানুষ পছন্দ করে না।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সরকার সম্পর্কে ৬০% বাঙ্গালী মাথা ঘামায় না। আগেও ঘামায়নি। ভুল কথা। আগে ঘামাতো, এখন ঘামায় না। কারন সবগুলো চোর.........এটা প্রমানীত। আপনার বাকী কথা নিয়ে আমার বলার কিছু নাই। তোতাপাখীর বুলির মতো শোনাচ্ছে।

ফ্যাক্টস-ফিগারস আর ফ্যান্টাসীর মধ্যে পার্থক্য আছে। যারা ফ্যান্টাসীর জগতে বাস করে তাদের সুখ-শান্তি আমি নষ্ট করতে চাই না।

৩৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩

মিরোরডডল বলেছেন:




ওস্তাদের নাম কি লুসিফার!!! :-B

সম্প্রতি আরও একজনকে ছিনিয়ে নিলো।
ওস্তাদ কাজটা ঠিক করছে না X((

ঈশ্বরও কেমন হিংসা পরায়ন হতে পারে!


০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি ওস্তাদ বললাম লুসিফারকে, এখানে ইশ্বর আসলো কোত্থেকে? ইশ্বর হিংসা পরায়ন না। আমরা, মানুষরা তার কাজ-কারবার বোঝার মতো যথেষ্ট জ্ঞানী না। সেইজন্যেই এই মিসকনসেপশান। সব কিছুরই একটা ফ্লিপ সাইড আছে। এভরি ক্লাউড হ্যাজ এ সিলভার লাইনিং।

যার যাওয়ার সময় হবে, সে যাবে। এটা খারাপ লাগা দেয় অবশ্যই, কিন্তু সেইসাথে একসময়ে ঠিকও করে দেয়। একজন হাসিখুশী মানুষের প্লাস পয়েন্ট হলো, সে এইধরনের সাময়িক ডিপ্রেশানকে খুব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারে।

হারানোর কষ্ট পায় নাই, এমন মানুষ কি এই ইউনিভার্সে আছে? সো, টেইক ইট ইজি!!! :)

৩৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২০

জুন বলেছেন: আমিও সহজ সরল। এ দেশে ছিদ্র খুজতে গেলে একটা চালুনি জুটবে, তাই সেই চেষ্টা করি না। মরুভূমিতে এক বিন্দু শিশির পেলেই আমরা খুশী হই ভুয়া। ভালো থাকুন সব সময়।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এ দেশে ছিদ্র খুজতে গেলে একটা চালুনি জুটবে, তাই সেই চেষ্টা করি না। হে হে হে.........সে আর বলতে!! :-B

সহজ সরল হওয়াই ভালো। তবে সমস্যা হলো, সহজ সরলদের সাফারিং অনেক বেশী হয়। অল্পতে খুশী হওয়ার ফর্মুলা আসলে সাধু-সন্তুদের জন্য প্রযোজ্য। এই এক বিন্দু শিশিরে সন্তুষ্ট হওয়াই কিন্তু দিনশেষে চোরদেরকে উস্কে দেয়। তারা আরো বিপুল উৎসাহে নতুন চুরির ফন্দি আটে। কারন তারা জানে, মানুষ যখন অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়, তখন কোন কিছু বেশীদূর খতিয়ে দেখে না। এটাই তাদের জন্য রক্ষা-কবচ হিসাবে কাজ করে।

৩৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৬

জুন বলেছেন: আমি যে খোলা হাওয়ায় বইসা দুইটা ভাত খাইতেছি এইটা কি আপনার সহ্য হইতেছে না ভুয়া!! খতিয়ে দেখতে গেলেই আমারে জেলের ভাত খাইতে হবে। আগামী দুই মাস পরে যখন বিদেশ যাবো তখন একটা জ্বালাময়ী লেখা দিবো =p~

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খতিয়ে দেখতে গেলেই আমারে জেলের ভাত খাইতে হবে। আরে..........কি বলেন এইসব! আপনে তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মতাদর্শের বিপরীতে কথা বলতেছেন। উনি বলেছেন, উনার এবং সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা যাবে। সেই ভরসাতেই তো আমি দুই চাইরটা লেখা ব্লগে দেই। ;)

আগামী দুই মাস পরে যখন বিদেশ যাবো তখন একটা জ্বালাময়ী লেখা দিবো =p~ আপনের ভাবখানা এমন যে, কানাডা থিকা আর দেশে ফিরবেন না!! এইসব আসলে কোন কথা না। যে কোনও খান থিকাই লিখতে পারেন। নো টেনশান। মানে রাখবেন, আমাগো প্রধানমন্ত্রী এক কথার মানুষ!!! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.