নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দু'টা কারনে গত কয়েকদিন ধরে মন খুবই খারাপ।
প্রথমতঃ দেশে আমার বন্ধু, একজন অতুলনীয় সুহৃদ, ভার্সেটাইল অভিনেতা আহমেদ রুবেলের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আকস্মিক মহাপ্রয়াণ। আর দ্বিতীয়তঃ, বিদেশে অর্থাৎ এখানে আমার আরেক সুহৃদ রাশেদভাইয়ের (অনেক পোষ্টেই সুমনাভাবীর কথা বলেছি, উনার পতিদেব) হৃদযন্ত্রে আক্রমণ এবং ফলাফল Coronary Artery Bypass Grafting (CABG) এর সম্মুখীন হওয়া, যেটাকে সহজভাবে হার্টের বাইপাস সার্জারী বলা হয়। রাশেদভাইয়ের ক্ষেত্রে এক্সট্রা টেনশান, কারন সমস্যাটার কেতাবী নাম Triple Vessel Disease…...হার্টের সিরিয়াস টাইপের একটা সমস্যা। সোজা করে বললে, যেই তিনটা মূল ভেসেল বা চ্যানেলের মাধ্যমে আমাদের হার্ট রক্ত পরিবহন করে, সেগুলো ব্লক হয়ে যাওয়া। ভয়াবহতার মাত্রা আমার জন্য আরো বেশী কারন, আড্ডারত অবস্থায় আমার সামনেই তার এ্যটাক হওয়া; তারপরে আমার গাড়িতে করেই তুরন্ত তাকে নিকটস্থ হাসপাতালের এ এন্ড ই'তে নিয়ে যাওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটা অভিজ্ঞতা; তবে অতি অবশ্যই এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন দ্বিতীয়বার আর হতে চাই না।
হাজার মাইল দূরে থাকার আর দু‘জনেরই অত্যাধিক ব্যস্ত জীবনের কারনে রুবেলের সব খবর আমার নিয়মিত রাখা হয়ে উঠে নাই। আর এখন তো সে সবকিছুর উর্ধে চলে গিয়েছে। মহান সৃষ্টিকর্তা তাকে ক্ষমা করে দিবেন, এই কামনা এবং দোয়াই করি। এদিকে একই শহরে কাছাকাছি থাকার সুবাদে রাশেদভাইয়ের সব খবরই আমি রাখি। তাকে একজন 'মেডিক্যাল টেস্ট ফ্রিক' বলা যায়। এখানে সীমিত সুযোগের মধ্যেও যখনই সুযোগ পায়, বিভিন্ন টেস্ট করায়। আর দেশে গেলে তো কথাই নাই, যতো ধরনের টেস্ট আছে সবই করিয়ে আসে। তার লিপিড প্রোফাইল সব সময়েই চমৎকার। ইসিজি, ইটিটি, ব্লাড প্রেশার……..সবই স্বাভাবিক। অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া করে না, শারীরিককভাবে প্রচন্ড একটিভ একজন মানুষ। তার এই অবস্থা!! ভাবাই যায় না।
উনার এই অবস্থার জন্য আমি মনে করি, ডাক্তাররাই (দেশের এবং এইখানকার) দায়ী। কারন বলছি। যখনই সে হার্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন টেস্ট করিয়েছে, সেসব রিপোর্ট দেখে ডাক্তার বলেছে, আরে…...আপনার হার্টের অবস্থা তো চমৎকার! কোন টেনশান করবেন না। এনজয় ইয়োর লাইফ!! এই মিসইনফরমেশানের কারনে কোন খারাপ চিন্তাই তার মনে কখনও আসে নাই। নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়িয়েছে। আর এখন, হসপিটালে শুয়ে আছে। এই হলো এনজয়মেন্টের নমুনা!!!
হার্টের বিভিন্ন রকমের অসুখ আছে। তবে যেটার কারনে মানুষ সবচেয়ে বেশী ভোগে কিংবা মারা যায়, সেটা হলো হার্ট এ্যটাক। আর এই হার্ট এ্যটাক হয় আর্টারী কিংবা ব্লাড ভেসেলগুলোতে ব্লক হওয়ার কারনে। ব্লক হয় আর্টারী বা ধমনীগুলোর ভিতরের দেয়ালে প্লাক (প্রধানতঃ চর্বি, কোলেস্টেরল, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি) জমা হওয়ার কারনে। ভয়াবহতা আর অধিক মৃত্যুহারের কারনে এটাকে একসময়ে ''উইডো-মেইকার'' বলা হতো; তবে মহিলাদের অধিকহারে এই অসুখে আক্রান্ত হওয়া আর এর চিকিৎসায় প্রভূত উন্নতি হওয়ার কারনে এটা এখন আর ততোটা প্রচলিত শব্দ না।
রাশেদভাইয়ের সমস্যার জন্য ডাক্তারদেরকে কেন দায়ী করছি তা একটা উদাহরনের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করি। বাড়ি তৈরীর সময়ে পানির সাপ্লাইয়ের জন্য যে পাইপগুলো লাগানো হয়, সেগুলোর মাধ্যমে নতুন অবস্থায় যে পরিমান পানি প্রবাহিত হতে পারে, যতোদিন যায় প্রবাহ বিভিন্ন কারনে (যেমন, আয়রন, বিভিন্ন রকমের ময়লা ইত্যাদি জমা হওয়া) আস্তে আস্তে কমে আসে। এই সমস্যা কেন হচ্ছে, এটা কিন্তু বাইরে থেকে দেখে বোঝা সম্ভব না। পাইপের এই সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হয়তো একেবারে সম্ভব না, তবে সাবধান হলে ক্ষতি কমানো সম্ভব। আমি যেই টেস্টগুলোর কথা উপরে বলেছি, সেগুলো হলো পাইপকে বাইরে থেকে দেখার মতো। ওই টেস্টগুলো অবশ্যই দরকারী, কিন্তু সেইসাথে আরো কিছু টেস্টও দরকারী যেগুলো পাইপের ভিতরটাও দেখতে পারে, নয়তো রাশেদভাইয়ের মতো সর্বনাশ হতে পারে যে কোনও সময়েই।
কবি-সাহিত্যিকদের বর্ণিত হৃদয় বা আমাদের শরীরে স্থাপিত বায়োলজিক্যাল যন্ত্র, হৃদযন্ত্র বা হৃদপিন্ড হচ্ছে একমাত্র যন্ত্র যেটা মানবশিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার আগে মায়ের গর্ভ থেকেই কাজ শুরু করে, আর একেবারে মৃত্যুর সাথে সাথেই কাজ বন্ধ করে। মাঝের এই সময়টুকুতে কোন একটা ভগ্নাংশের জন্যও এটা কাজ বন্ধ করে না। মুহুর্তের জন্যও বিশ্রাম নেয় না। এহেন যন্ত্রের একটা বিকল্প শরীরের ভিতরে থাকা খুবই জরুরী ছিল। কিন্তু নাই যেহেতু, এটার মঙ্গলের আর সুস্থতার সর্বোচ্চ চেষ্টা আমাদের করা উচিত, আমাদের নিজেদেরই স্বার্থে। মনে রাখতে হবে, এটার কর্তব্যপরায়নতার কারনেই আমাদের শরীরের প্রতিটা কোষ রক্তের মাধ্যমে খাদ্য আর অক্সিজেনের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ পায়। এটা কাজ করা বন্ধ করার সাথে সাথেই আমাদের আজরাইল-দর্শন হয়ে যায় তৎক্ষনাৎ। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, এমন একটা মহা গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র বিভিন্নভাবে আমাদের বেকুবী আর অবহেলার শিকার হয় প্রতিটা পদে।
আমরা কিভাবে আমাদের হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করছি? তার আগে বুঝতে হবে, হৃদযন্ত্রের অসুখগুলোর ধরন আসলে কেমন। মোটাদাগে মানব শরীরের অসুখগুলো দুই ধরনের। জীবাণুঘটিত আর লাইফ স্টাইল সম্পর্কিত। হৃদযন্ত্রের যে কোনও অসুখই লাইফ স্টাইল সম্পর্কিত। এই লাইফ স্টাইলের বিষয়টা আবার দুই ধরনের। একটা ধরনকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি অর্থাৎ আমরা যেভাবে দৈনন্দিন জীবন-যাপন করি এবং খানা-খাদ্য খাই। উদাহরন হিসাবে বলা যায়…….ধুমপান করা, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট, তৈলাক্ত আর তেলেভাজা খাবার, প্রোসেসড খাবার, ফাস্টফুড (জাঙ্ক ফুড), চিনি, লবন ইত্যাদি খাওয়া, কায়িক পরিশ্রম না করা, শাক-সব্জী ফল-মূল কম খাওয়া, আমাদের খাওয়া আর ঘুমের মধ্যে একটা সমন্বয় করা ইত্যাদি। আরেকটা যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেমন, আমাদের পারিপার্শ্বিকতা, পরিবারের সদস্যদের হৃদরোগের ইতিহাস, ভৌগলিক অবস্থান, সামাজিক ও জাতিগত অভ্যাস ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখানে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হৃদরোগের আক্রমণ সম্পর্কিত কিছু জরুরী বিষয় জানা এবং মনে রাখা; আর বয়স ৩০ এর বেশী হলে কিছু পরীক্ষা নিয়মিত করানো। ৪০ এর বেশী হলে আরো কিছু পরীক্ষা এবং ৫০ এর বেশী হলে আরো কিছু পরীক্ষা নিয়মিত করানো।
কমিউনিটি বা প্রিভেনটিভ মেডিসিনে একটা কথা খুবই প্রচলিত। সেটা হলো, Prevention is better than cure. অর্থাৎ কোন একটা অসুখ হয়ে যাওয়ার আগেই সেটা যাতে করে না হয়, তার পদক্ষেপ নেয়া। এটা সব রোগের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তবে লাইফ স্টাইল রোগ যেমন হৃদরোগ, ডায়াবিটিস ইত্যাদির জন্য আরো বেশী করে প্রযোজ্য। কিছু বোকামী আর ছন্নছাড়া জীবন-যাপনের জন্য একজন আপাতঃ সুস্থ মানুষ কিভাবে চট করে দীর্ঘদিনের জন্য অসুস্থ হয়ে যায়, চর্মচোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। আপনাদের যাদের হার্ট বাইপাস সার্জারীর রোগীর আদ্যোপান্ত দেখার সুযোগ হয়েছে, তারা বুঝবেন আমি কি বলতে চাচ্ছি। চোখের সামনে এমন একজনকে দেখে আমি সিগারেট ছেড়ে দিয়েছি। জীবন-যাপনে বেশ কিছু পরিবর্তনও এনেছি। দোয়া রাইখেন।
আমি মানছি, চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক এগিয়েছে। তবে, বাড়ির কাছে দমকল বাহিনীর অফিস আছে বলেই আমরা যেমন নিজের বাড়িতে আগুন ধরাই না; তেমনি, ভালো চিকিৎসা আছে বলেই অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করে খাল কেটে কুমীর আনাটাও কোন বুদ্ধিমানের কাজ না। চল্লিশ বছর ধরে বিড়ি ফুকছি। নিজের কি সর্বনাশ করেছি জানি, আর না। এবার রিটায়ারমেন্টের সময় হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি রাশেদভাই এবং রুবেল, দু'জনেই চরমমাত্রায় বিড়ি খেতো।
অনেক বছর ধরেই আমার মাথায় Prevention is better than cure নামে একটা সিরিজ লেখার আইডিয়া ঘুরপাক খাচ্ছে। আমি বহুকিছুই চিন্তা করি, কিন্তু বেশীরভাগের বাস্তবায়নই সম্ভব হয় না। বাস্তবায়নের জন্য আমার একটা যথাযথ ধাক্কা বা ট্রিগারের দরকার হয়। এমনিভাবেই এর আগে লিখেছিলাম ডিমেনশিয়া নিয়ে। তারপরে ভাবছিলাম হার্ট নিয়ে লিখবো। তবে আমার ক্ষেত্রে যা হয়, করবো করবো করে করা হয় না; লিখবো লিখবো করে লেখা হয় না, যতোক্ষণ পর্যন্ত একটা ধাক্কা বা ট্রিগারের উদ্ভব না ঘটে। এবার এটা লেখার ক্ষেত্রে মনখারাপের বিষয়টা ট্রিগার হিসাবে কাজ করছে। তবে হৃদয়ঘটিত সমস্যার গুরুত্ব আর বিষয়বস্তুর বিশালত্ব এতোটাই যে, এটা এক পর্বে লেখা সম্ভব না। কাজেই আপনারা চাইলে চেষ্টা থাকবে সহজ ভাষায় আরো বিস্তারিত কিছু একটা দাড় করানোর। সেই চেষ্টার অংশ হিসাবেই আজ খানিকটা স্যাম্পল দিলাম।
হৃদয় নিয়ে সবাই যত্নবান হবেন, এটাই আশা।
শেষ কথাঃ ফ্যামিলি হিস্ট্রি থাকলে বয়স ৩০ এর উপরে হলেই চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দেয়া উচিত। একটা খুব দরকারী ভিডিওর লিঙ্ক দিলাম। কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত দেখবেন। হার্ট এ্যটাকের পরে ভুল চিন্তা থেকে মানুষ কিভাবে সময় নষ্ট করে, বুঝতে পারবেন। হার্ট এ্যটাক হলে শরীর আপনাকে বেশ আগে থেকেই সংকেত দিবে। দিবেই। রাশেদভাইকে দিয়েছিল এবং আমি শত-সহস্রভাগ নিশ্চিত, রুবেলকেও দিয়েছিল। কিন্তু নতুন মুভি মুক্তির উত্তেজনায় সে সেটাকে ইগনোর করেছিল। কে জানে, হয়তো ভেবেছিল মুভির প্রিমিয়ারটা হয়ে যাক আগে। তারপরে না হয় ডাক্তারের কাছ থেকে ঘুরে আসা যাবে!!! এই ইগনোরটা না করলে ও হয়তো আজ আমাদের মাঝে বেচে থাকতো…….কে বলতে পারে!!!
Photo by Khadeeja Yasser on Unsplash.
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একজন চমৎকার অভিনেতা। ওর গলার স্বর অভিনয়কে সব সময়েই অন্য মাত্রা দিতো। রুবেলের অভিনয় আপনার পছন্দ, জেনে ভালো লাগলো।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১২
নতুন বলেছেন: মা এবং নানাকে cardiac arrest এ হারিয়েছি।
আমার কার্ডিওলজিস্ট গত বছর ct angiography করিয়েছি। তিনি অবশ্য বললেন যে ব্লক জাতীয় সমস্যা নাই।
তবুও এসপ্রিন খেতে বললেন ঝুকি কমাতে।
বয়সও তো কম হইলো না, কবে যে হার্ট রেস্ট নিতে চায় বলতে পারিনা...
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: CT angiogram এ কোন সমস্যা দেখা দেয় নাই, এটা একটা চমৎকার খবর। আপনাকে অভিনন্দন!!
আপনার বয়স জানি না, তবে যেহেতু ফ্যামেলি হিস্ট্রি আছে; অধিকতর সুরক্ষার জন্য এ্যসপিরিনের সাথে স্বল্পমাত্রার Clopidogrel নিতে পারেন। অবশ্যই কার্ডিওলজিস্টকে জিজ্ঞেস করে।
হৃদরোগের জন্য আজকাল বয়স খুব একটা বড় ফ্যাক্টর না। যে কারো যে কোন সময়েই আক্রমণ হতে পারে। আমাদের সবার সচেতন থাকা জরুরী।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৭
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলাম। অনেক বিষয়ে আজ জানলাম। একসময় আমি প্রচুর স্মোক করতাম। মাত্রাতিরিক্ত যাকে বলে, হঠাৎ করে একদিন আমার বউ আর মা জোর করে নিয়মিত রসুন খাওয়াতে থাকলেন। যেদিন না রসুন না খেতাম, সেদিন দুজনের কী পরিমাণ যে রেগে থাকতেন, তা বলার মত না। সেদিন কেউই ঠিকমত কথা বলতো না। আমার কোন কথাকে পাত্তা দিতো না...
তো বাধ্য হয়ে নিয়মিত রসুন খেতে থাকলাম। নিয়মিত রসুন খাওয়ার ফলে, একসময় আমার এমন অবস্থা হয়েছিলো যে, আমি আর সিগারেটে ফুঁ দিতে পারতাম না। অনবরত কাঁশতাম। পরে এখন এমন অবস্থা, আমি সিগারেটের ধোঁয়াও সহ্য করতে পারিনা। পরে দুইজনকে অনেক ধন্যবাদ দিয়েছি। কারণ, আমাকে স্মোক ছাড়ানো সহজ বিষয় ছিলো না। কিন্তু এই রসুন যে সিগারেট ছাড়ার সহায়ক হয়ে কাজ করবে, তা জানতাম না।
আপনার এই লেখা থেকে অনেক কিছু জানলাম। এই ধারা অব্যাহত রাখেন। তবে পার্ট সিস্টেম করে পোষ্ট দিয়েন। এতে সুবিধা হয় কী, লেখা পড়তে বিরক্ত লাগবে না। দরকার হলে, ৩/৪ পর্ব হোক, লেখা ছোট হোক, সমস্যা নাই...
ধন্যবাদ এমন লেখার জন্য...
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নিয়মিত কাচা রসুন খাওয়া খুবই ভালো অভ্যাস। আপনার বউ আর মা বিশাল একটা কাজ করেছে। তবে এটার কৃতিত্ব আপনারও কম না। আমার বউ আর মা'ও কম চেষ্টা করে নাই। কিন্তু আমাকে আর বিড়িকে আলাদা করতে পারে নাই। শেষে হাল ছেড়ে দিয়েছে বহু আগেই।
তবে এবার আমি নিজেই ডিটারমিন্ড, দেখা যাক। বিড়ি কয়েকদিন না খাওয়াতেই আমি বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করছি। আশা করি, কন্টিনিউ করতে পারবো। সিগারেট ছাড়ার ব্যাপারে তো দেখছি আপনাকে ওস্তাদ মানতে হবে!!
আপনার এই লেখা থেকে অনেক কিছু জানলাম। এই ধারা অব্যাহত রাখেন। তবে পার্ট সিস্টেম করে পোষ্ট দিয়েন। চেষ্টা করবো। আমার লেখাগুলো মোটামুটি এই সাইজেরই হয়। আশা করি এতে তেমন একটা বিরক্ত লাগে না।
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: টাইপোঃ
*বলেছেন
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুঝেছি।
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
রুবেলের এভাবে চলে যাওয়া এখনও মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ভীষণ ভালোলাগার একজন। মনে হয় কাছের কেউ চলে গেলো।
৭ মাস আগে আমার বড় ভাই ঠিক একইভাবে চলে গেলো, হার্ট এ্যটাকে আকস্মিক মৃত্যু। আগে কিছুই বোঝেনি, প্রথম এ্যটাকেই সব শেষ। সেইম এজ রুবেল, পাঁচ মিনিট আগেও যে সম্পূর্ণ সুস্থ, আর এ্যটাকের সাথে সাথেই হসপিটালে নিলে, বলে দিলো he is no more. অন স্পটেই নাকি চলে গেছে। বয়সেও কাছাকাছি, বড় ভাই ৫২ আর রুবেল ৫৫।
আজকাল অনেকেই এই বয়সে হুট হাট করে চলে যাচ্ছে। খুবই শকিং!
ভুম কেমন আছে। যেহেতু সচেতন, আশা করি সব ঠিকঠাক।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: রুবেলের খবরটা শোনার পর থেকে বেশ অনেকটা সময় থম মেরে গিয়েছিলাম। আসলে আজকাল সব সময়েই ভয়ে থাকি, কখন দেশ থেকে কোন খারাপ খবর চলে আসে। ও আসলে একাকী জীবনের কারনে সিগারেট বেশী খেতো। যদিও বলতো না, তবে মনে হয় স্ট্রেস আর ফ্রাস্টেশানও কাজ করতো খানিকটা। যাই হোক, এখন আর দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই করার নাই।
আসলে হার্ট এ্যটাক হঠাৎ করে হয় না। শরীর কিন্তু বেশ আগে থেকেই সংকেত দিতে থাকে। সমস্যা হলো, আমরা হয় বুঝি না কিংবা ইগনোর করি। এটাই শেষ পর্যন্ত মারাত্মক ফল বয়ে আনে।
৭ মাস আগে আমার বড় ভাই ঠিক একইভাবে চলে গেলো, হার্ট এ্যটাকে আকস্মিক মৃত্যু। সান্তনা দেয়ার ভাষা জানা নাই। দোয়া করি, ওপারে ভালো থাকুক।
ভুম কেমন আছে। যেহেতু সচেতন, আশা করি সব ঠিকঠাক। আছি মোটামুটি। ৪০ বছর বিড়ি খাওয়ার কিছু মুল্য তো চুকাতেই হবে, তাই না!!
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
ও আসলে একাকী জীবনের কারনে সিগারেট বেশী খেতো। যদিও বলতো না, তবে মনে হয় স্ট্রেস আর ফ্রাস্টেশানও কাজ করতো খানিকটা।
বড় ভাইয়াও তাই। একা থাকতো। একটা হিডেন স্ট্রেস থেকেই যায়, ওটা নিজেকেই দিয়েই বুঝি।
অভিনেতা এবং ব্যক্তি রুবেলকে খুব লাইক করতাম। আরও একটা কারণ আছে।
কিছুদিন আগে সেই ডিলিট কমেন্টে বলেছিলাম পাগলা গারদে যাবার কথা!
সেই বন্ধু পরবর্তীতে মারা যায়, ইয়াং বয়সে এভাবে চলে যাওয়া খুব কষ্টের।
সে ছিলো একদম রুবেলের কপি, হাইট, ভোকাল, এতো সুন্দর কবিতা আবৃতি করতো!
রুবেল কে দেখলেই তাকে মনে পড়তো, এখন রুবেলও চলে গেলো!
৪০ বছর বিড়ি খাওয়ার কিছু মুল্য তো চুকাতেই হবে, তাই না!
এখনও কি চলে নাকি ছাড়া হয়েছে? টেইক কেয়ার ভুম।
চলেতো যাবো সবাই কিন্তু যে কটা দিন সবাই মিলে একসাথে ভালো থাকা যায়!
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে আমরা জীবনে অনেক কিছুই করি, যার রিপার্কেশান নিয়ে খুব একটা ভাবি না। আমাদের ছোট ছোট জীবনাচারগুলোই এক সময়ে বড় ক্ষতি করে ফেলে। অথচ একটু সচেতন হলেই অনেক কিছু এড়ানো যায়।
যে বা যারা চলে গিয়েছে তাদের নিয়ে ভেবে মন খারাপ করার কোন মানে নাই। বরং যারা বেচে আছে/আছি, তাদের নিয়েই ভাবা উচিত। একটু মেন্টাল সাপোর্ট যে কাউকে বিরাট রিলিফ দিতে পারে। একটু সহানুভূতি যে কোনও হাই ডোজের অষুধের থেকেও ভালো কাজ করে অনেক সময়ে।
গত এক সপ্তাহ ধরে বিড়িতে কোন হাত লাগাই নাই। দেখা যাক, কোথাকার ধোয়া কোথায় যায়!!
চলেতো যাবো সবাই কিন্তু যে কটা দিন সবাই মিলে একসাথে ভালো থাকা যায়! তা তো বটেই। সেইজন্যই তো এতো ঝামেলার পরও সময় পেলেই ব্লগে আসি, মন্তব্য করি আর পোষ্টাই!!!
বাই দ্য ওয়ে........ভিডিওটা কেমন লাগলো?
৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ভাবে ব্লাড প্রেশার নাই তাই হয়তো হার্ট ভালো আছে। কথাটা সব ক্ষেত্রে ঠিক না। আমার মায়ের উচ্চরক্ত চাপ ছিল বহু বছর কিন্তু মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তার কোন হার্টের রোগ ধরা পড়েনি। আবার আমার আব্বার প্রেশার সব সময় স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু হার্টের রোগে মারা যান। রক্তনালীতে চর্বি পড়া শুরু হয় কম বয়স থেকেই। তাই আগে থাকতেই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া উচিত এবং জীবনধারা স্বাস্থ্যের অনুকুল রাখা উচিত। ৪০ বছর এবং তার ২/৩ বছর আগের বা পরের বয়সটা বেশী বিপদজনক কারণ এই বয়সে অনেকেরই মাথায় আসে না যে তার হৃদপিণ্ডে সমস্যা হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ কথা হল প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর।
ধূমপান হৃদরোগীর জন্য বিষ।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে...........ব্লাড প্রেশার তো সবারই আছে। থাকা উচিতও, নাইলে তো অক্কা পেতে সময় লাগবে না। কথা হলো প্রেশারটা রেফারেন্স ভ্যালু'র চাইতে উচ্চ নাকি নিম্ন।
উচ্চ রক্তচাপ হলেই যে হার্টে সমস্যা হবে, এমন কোন কথা নাই। তবে, সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কিডনিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আসলে বিষয়টা হলো, লাইফ স্টাইল অসুখগুলো একটা নির্দিষ্ট ফ্যাক্টরের কারনে ঘটে না। অনেক অনেক ফ্যাক্টর একসাথে কাজ করে। জীবাণুঘটিত রোগগুলো এই ব্যাপারে অনেক সরল। শরীরে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা প্রোটোজোয়া কায়দামতো ঢুকলেই কম্মো কাবার! সিম্পল!!!
আজকাল ২৫/২৬ বছরের পোলাপাইনরাও হৃদরোগের আক্রমনের শিকার হচ্ছে। আমাদের নাগরিক জীবনধারা এখন এতোটাই ভয়াবহ।
ধূমপান হৃদরোগীর জন্য বিষ। তা তো বটেই। তবে শুধু হৃদরোগী না, সবার জন্যই বিষপান।
৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮
করুণাধারা বলেছেন: ভালো বিষয়ে পোস্ট দিয়েছেন। হৃদ যন্ত্র নিয়ে বড় ভাবনায় আছি।
যে চলে যাবার সে তো চলে গেছে, কিন্তু আপনার যে বন্ধু অসুস্থ তার সুস্থতা কামনা করছি। আমি বুঝতে পারছি না সব রিপোর্ট ভালো থাকার পরও একজন মানুষের কি করে হার্টের তিনটা আরটারিতে এমন ব্লক থাকে যে এ্যাটাক হবার পরে ভয়াবহতা বোঝা গেল। তারমানে এইসব লিপিড প্রোফাইল টেস্ট, ই সি জি, ইকো, ইটিটি সব অর্থহীন? তাহলে কি এমন কোন টেস্ট আছে যা আমাদের হার্টের সঠিক অবস্থা বোঝাবে? কী সেটা? আপনি কি বলবেন এনজিওগ্রাম? এনজিওগ্রাম এর ও সাইডএফেক্ট আছে। কিছুদিন আগে ঢাকার এক নামী হাসপাতালে একজন ডাক্তার এনজিওগ্রামের সময় মারা গেছেন। এনজিওগ্রাম বা সিটি এনজিওগ্রাম করার জন্য যে ডাই ব্যবহার করা হয়, সেটা আবার কিডনির ক্ষতি করে।
আমার মনে হয় হৃদ যন্ত্র বড় জটিল জিনিস। আমার এক সহপাঠীর লাইফ স্টাইল খুব ভালো, পরিমিত আহার, প্রচুর ব্যায়াম ইত্যাদি। তারও লিপিড প্রোফাইল ইত্যাদি ভালো। একদিন জগিং করার সময় তার হঠাৎ একটু বুকে ব্যথা হয় এবং কিছুক্ষণ পর কমে যায়। সে এটা ইগনোর করতে পারতো কিন্তু তার এক ডাক্তার বন্ধুর সাথে আলাপ করে। সেই ডাক্তার বন্ধু তাকে বলে এনজিওগ্রাম করতে। এনজিওগ্রাম করে দেখা যায় এমন ব্লক যে শীঘ্রই বাইপাস করতে হবে।
এইসব নিয়ে মাঝে মাঝে ভাবি। আমার অবশ্য একটা প্লাস পয়েন্ট আছে, আমি সিগারেট খাইনা। আচ্ছা আপনি কতবার সিগারেট খাওয়া ছেড়েছেন?
পরের পর্বে আশা করি ভালো ভালো বিষয় আলোচনা করবেন।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তরে সময় লাগবে। এখন দোকানে যাচ্ছি একটু।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি বুঝতে পারছি না সব রিপোর্ট ভালো থাকার পরও একজন মানুষের কি করে হার্টের তিনটা আরটারিতে এমন ব্লক থাকে যে এ্যাটাক হবার পরে ভয়াবহতা বোঝা গেল। তারমানে এইসব লিপিড প্রোফাইল টেস্ট, ই সি জি, ইকো, ইটিটি সব অর্থহীন? এইসব টেস্ট অর্থহীন না, তবে এগুলোর কোনটাই আর্টারীতে প্লাক জমে কি পরিমান ব্লক হয়েছে, সেটা পরিস্কার করে জানায় না। আমার মনে হয়, পোষ্টে বিষয়টা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি।
স্ট্যান্ডার্ড এনজিওগ্রাম ব্লকের ব্যাপারটা প্রায় শতভাগ সঠিকভাবে জানায়। তবে সেটা রেগুলার বা রুটিন টেস্টের মধ্যে পড়ে না। এনজিওগ্রাম করতে গিয়ে মারা যাওয়া একেবারেই আনইউজ্যুয়াল একটা ব্যাপার। অন্য কোন কারন আছে মনে হয়। তাছাড়া মরন কপালে থাকলে সাতার জানা মানুষও হাটু পানিতে ডুবে মরে। তাই না!!!
তবে সিটি এনজিওগ্রাম রুটিন চেকআপের জন্য ভালো। আর এটাতো আপনি ঘন ঘন করবেন না, ২/১ বছরে একবার। সেই হিসাবে ডাই ততোটা ক্ষতি করতে পারে না। আর সেভাবে চিন্তা করলে এক্সরেও তো ক্ষতিকর, সেটা কি আমরা করি না!! আমি তো প্রায়ই করি বিভিন্ন কারনে।
আমার মনে হয় হৃদ যন্ত্র বড় জটিল জিনিস। অবশ্যই। আমাদের শরীরে দুইটা জটিলতম জিনিস আছে। ব্রেইন আর হৃদপিন্ড। চিন্তা করে দেখেন, দুটাকেই আল্লাহ ওয়েল প্রোটেক্টেড অবস্থায় রেখেছে। ব্রেইন আছে খুলির ভিতরে, আর হৃদপিন্ডের জন্য বুকের খাচা!!!
আমার এক সহপাঠীর লাইফ স্টাইল খুব ভালো, পরিমিত আহার, প্রচুর ব্যায়াম ইত্যাদি। তারও লিপিড প্রোফাইল ইত্যাদি ভালো। একদিন জগিং করার সময় তার হঠাৎ একটু বুকে ব্যথা হয় এবং কিছুক্ষণ পর কমে যায়। সে এটা ইগনোর করতে পারতো কিন্তু তার এক ডাক্তার বন্ধুর সাথে আলাপ করে। সেই ডাক্তার বন্ধু তাকে বলে এনজিওগ্রাম করতে। এনজিওগ্রাম করে দেখা যায় এমন ব্লক যে শীঘ্রই বাইপাস করতে হবে। বর্তমানে এটা খুবই কমন একটা সিনারিও। এটার কারন সংক্ষেপে বলা মুশকিল। আমি যখন বিস্তারিত পোষ্ট দিবো, আশা করি তখন বিষয়টা আপনার কাছে আরো পরিস্কার হবে।
আপনি সিগারেট খান না এটা তেমন একটা ভালো কিছু না। আমার মতে সবার সব ধরনের অভিজ্ঞতা (যতোটা সম্ভব) নেয়া উচিত। জীবনে আর আছে কি..........খ্যাতা আর বালিশ!!!
আচ্ছা আপনি কতবার সিগারেট খাওয়া ছেড়েছেন? এই ব্যাপারে আমার পারফরমেন্স বেশ ভালো। বহুবার ছেড়েছি। তবে এইবার মনে হচ্ছে ছাড়াটা সাক্সেসফুল হবে। দোয়া রাইখেন।
আর কোন কিছু নিয়ে বেশী চিন্তা-ভাবনা করাও ভালো না, স্ট্রেস বাড়ায়। যেটা হৃদযন্ত্রের জন্য সুখের বিষয় না। তার চাইতে জীবনটাকে একটা সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসেন, বাকীটা আল্লাহ ভরসা।
৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন:
করুণাধারা বলেছেন:আমার অবশ্য একটা প্লাস পয়েন্ট আছে, আমি সিগারেট খাইনা।
ধারাপুর কমেন্টে মজা পেলাম
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মেয়েদেরও সিগারেট খাওয়া উচিত। না খাওয়া মানে একটা বিরাট অভিজ্ঞতা মিস করা!!!
১০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: আহমেদ রুবেলের খবরটা দেখে আসলেই চমকে গিয়েছিলাম। কি অকস্মাৎ মৃত্যূ ! তবে মনে মনে আমার এমন মৃৃত্যূই কাম্য। ভরা সংসার থেকে টুপ করে হারিয়ে যাওয়া। ভাগ্যবানদের কপালেই এমন মৃত্যূ জোটে। দুনিয়াতো একদিন ছাড়তে হবেই তবে রোগে ভুগে মরতে চাই না।
তয় বাইঁচা থাকলে সচেতনতার বিকল্প নাই।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবাইকেই একদিন যেতে হবে। তবে ধুকে ধুকে মরার চাইতে এমন মৃত্যু ভালো.........কোন সন্দেহ নাই। তবে চাইলেই কি আর পাওয়া যায়? সেইজন্য কপাল লাগে। রুবেল সেইঅর্থে অবশ্যই ভাগ্যবান।
সচেতন থাকলে ভোগান্তি খানিকটা হইলেও কমে।
১১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: আহমেদ রুবেল কি তারানা হালিমকে বিয়ে করেছিল? এমন একটা খবর আমাদের তারুন্যে শুনেছিলাম মনে পড়ে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুল শোনেন নাই। খবর ঠিক আছে।
১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
অনেক ভালো লেগেছে।
পোষ্ট ভিডিও লিংক অল গুড ইনফো। থ্যাংকস ভুম।
গত এক সপ্তাহ ধরে বিড়িতে কোন হাত লাগাই নাই। দেখা যাক, কোথাকার ধোয়া কোথায় যায়!!
That's like my goody-goody friend
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধোয়াতে দম না দিয়ে কতোদিন থাকা যায় দেখি।
১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪
সোনাগাজী বলেছেন:
রুবেল ও রাশেদের বয়স কত যথাক্রমে?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই তথ্য দিয়া আপনের কাম টা কি? আপনে কি আমার বয়স বাইর করার ধান্ধা করতাছেন? কমু না।
১৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি সিগারেট খায় না। মাঝে মাঝে বুকে ব্যাথা লাগে
। তখন গ্যাস্ট্রিক এর ঔষধ খেয়ে ফেলি।
আহমেদ রুবেল ভালো অভিনেতা ছিলেন। গড্ডালিকায় গা ভাসাননি।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সিগারেট খান না ভালো কথা কিন্তু বুকে ব্যথা হলে সব সময়ে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাওয়া খারাপ অভ্যাস।
রুবেল ভালো অভিনেতা ছিল সন্দেহ নাই, তবে গড্ডালিকায় গা ভাসাননি বলতে কি বুঝিয়েছেন, বুঝি নাই।
১৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার মন খারাপের কথা শুনে মনে করেছিলাম, রাজার ( চার্লস ) অসুস্হতা খারাপের দিকে গেলো কিনা!
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চার্লসের শরীর অবশ্য খারাপ, তয় সেইটা নিয়া আমার ততো দুশ্চিন্তা নাই। তারে দেখনের লোকজন আছে। আমি বেশী চিন্তা করি আপনের শরীর স্বাস্থ্য নিয়া। আপনের ভালো-মন্দ কিছু হয়া গেলে এই ব্লগের কি হইবে!!!!?
১৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮
এম ডি মুসা বলেছেন: কবি-সাহিত্যিকদের বর্ণিত হৃদয় বা আমাদের শরীরে স্থাপিত বায়োলজিক্যাল যন্ত্র, হৃদযন্ত্র বা হৃদপিন্ড হচ্ছে একমাত্র যন্ত্র যেটা মানবশিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার আগে মায়ের গর্ভ থেকেই কাজ শুরু করে, কবি সাহিত্যিকের কি সব কিছু কল্পনার নাকি? মানব হার্ট আর কবিদের হার্ট কি ভিন্ন?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানব হার্ট আর কবিদের হার্ট কি ভিন্ন? কবিদেরকে যদি মানব মনে করেন তাহলে ভিন্ন না।
তবে কবি-সাহিত্যিকরা হৃদয়কে যেভাবে উপস্থাপন করে, সেটাকে হৃদযন্ত্রের আসলিয়াতের সাথে তুলনা দিলে অবশ্যই ভিন্ন।
১৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনেই খুব স্বাস্থ্য সচেতন। আমি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা পেশেন্ট (৭ বছর হবে মে মাসে), আমার স্ত্রী ব্রেস্ট ক্যান্সারের পেশেন্ট (মাস্টেক্টমি করানো) (৬ বছর)। নিয়মিত এক্সারসাইজ করি। দুজনেই স্ট্যাবল। আমাকেও বলতে পারেন 'টেস্ট ফ্রিক' - কিছুদিন পর পরই কমপক্ষে ৪টা টেস্ট করাই - ক্রিয়েটিনিন, শুগার/হরমোন (৩টা)। আমাদের রিপোর্ট ভালো, অর্থাৎ সব উপাদানই সেইফ রেঞ্জের ভেতর।
কিন্তু ---
এতকিছুর পরও মাঝে মাঝেই খুব হতাশ হয়ে পড়ি। কারণ, সম্পূর্ণ সুস্থ, নিয়মিত এক্সারসাইজ করা, টেস্ট রেজাল্ট ভালো, এরকম কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তির আকস্মিক মৃত্যু আমাদেরকে খুব অবাক করে দিয়েছে - এত সচেতন থেকে লাভটা কী, যদি মাঝরাতে নিজের অজান্তেই হার্ট অ্যাটাকে মারা যাই
তারপর নিজে নিজেই মোটিভেটেড হয়ে আবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মনোযোগী হই স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। দু-একজন 'সুস্থ' মানুষ হয়ত মারা যাবেন, আক্রান্ত হবেন, কিন্তু সবাই লাগামহীন হয়ে পড়লে তখন আক্রান্তদের সংখ্যাও লাগামহীন হয়ে পড়বে শরীরের সব রোগই তো জানা যাবে না।
আহমেদ রুবেল একজন জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। তার হঠাৎ মৃত্যুতে দুঃখ পেয়েছি।
নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দিলাম - অবশ্য এর আগে বেশ কিছু জায়াগায়ই এগুলো উল্লেখ করেছি, আজ নতুন নয়।
রাশেদ ভাইয়ের জন্য শুভ কামনা থাকলো।
আপনার জন্যও শুভ কামনা। সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
ভালো পোস্ট।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন:
টেস্ট ফ্রিক হওয়াটাকে আমি পজিটিভলিই দেখি খলিলভাই। তবে সমস্যা হলো, ডাক্তাররা অনেক সময়ে টেস্ট রিপোর্ট দেখে খুব বেশী চিন্তা-ভাবনা না করেই একটা জাজমেন্ট দিয়ে ফেলে, যার কারনে মানুষ অনেক সময়ে মিসগাইডেড হয়। এখন যে কোনও তথ্য চাইলেই জানা সম্ভব। তাই আমার মতে, প্রত্যেককেই যতোটা ডিটেইলসে সম্ভব তাদের এরিয়া অফ ইন্টারেস্ট সম্মন্ধে জানা উচিত আর সেটা পরিচিত ডাক্তারদের সাথে ক্রশ চেক করে নেয়া উচিত। অবশ্য আমার ধারনা, আপনি এসব করেন।
হার্টের ব্যাপারে আমাদের সমস্যা হলো, আমরা কোন কিছুই পরিপূর্ণভাবে জানি না, কিংবা জানার চেষ্টা করি না। তাছাড়া বিষয়টার বিস্তৃতি অনেক অনেক বেশী আর কমপ্লিকেটেড। আরেকটা সমস্যা হলো, এটা নিয়ে এতো বেশী রিসার্চ হয় যে, আমাদের জানার পরিধিও দ্রুত পরিবর্তিত হয়। আমি এসব মাথায় রেখেই চেষ্টা করবো আগামী পোষ্টগুলো লিখতে।
আসলে একজন মানুষ নিজে সচেতন থাকার পরেও, সবকিছু মেইনটেইন করার পরেও আক্রান্ত হতে পারে, যদি তার স্ট্রং ফ্যামিলি হিস্ট্রি থাকে। এমনি আরো অনেক ব্যাপার আছে। তবে এটাও ঠিক যে, সচেতন থাকলে রিস্ক মিনিমাইজেশান অনেকটাই করা যায়। সেইজন্যেই সচেতনতার বিকল্প নাই। আপনি সঠিক লাইনেই আছেন। বাকীটা আল্লাহ ভরসা। সব কিছু তো আর আমাদের হাতে নাই, তাই না!!!
যে কোনও মৃত্যুই আমাদেরকে দুঃখ দেয়। প্রিয়জনদের মৃত্যু আরো বেশী দেয়। তারপরেও আমাদের জীবন থেমে থাকে না, এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। এটাই আমাদের নিয়তি। আপনিও নিরাপদে আর সুস্থতার সাথে থাকেন, এটাই কামনা।
১৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
হৃদয়ঘটিত ব্যাপারে সচেতনতার তাগিদ দেয়া পোস্ট। ++++++
হৃদয়ের অসুখ রুখে দিতে যে সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বলেছেন, দেখা যায় তা লাইন বাই লাইন মেনে চলার পরেও করুণাধারা ও সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাইএর মন্তব্যে করা বিষয়ের মতো ঘটনা ঘটে যায়। হৃদয় ঘটিত ব্যাপার-স্যাপারে কখনই জড়াবেন না, এমন পণ করলেও কারো কারো বেলায় যেমন সেই হৃদয় ঘটিত ব্যাপারটি আচমকা ঘটেই যায়, অনেকটা সেইরকম!
মনে রাখতে হবে, মানুষ একটি জৈবিক যন্ত্র। ঠিকঠাক যত্ন নিলে এ যন্ত্রটার বেশ বেশিকাল সার্ভিস দিতে পারার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু সার্ভিস যে দেবেই এমন ওয়ারেন্টি / গ্যারান্টি না থাকার কারনে ভরসা কতোদিন ? তবুও সচেতন হয়ে সেই যন্ত্রে একটু তেল-মবিল-পানি দিয়ে নিয়ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে বলা যায়না দেহ যন্ত্রটা, না চাইতেও বেশিদিন ভালো সার্ভিস দিয়ে যেতে পারে।
সুস্থ্য ভাবে বেঁচে থাকতে হলে তাই সচেতনার বিকল্প নেই।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগে আমার জানামতে দুইজন ডাক্তার আছে। আপনি আর ব্লগার আমি সাজিদ। চিকিৎসা সংক্রান্ত পোষ্ট দিলে আপনাদের দুইজনকে নিয়ে টেনশানে থাকি, কোন চিপা দিয়া আবার কি ভুল ধরে বসেন। যাক, সেরকম কিছু হয় নাই, শান্তি পাইলাম।
হৃদয়ের অসুখ রুখে দিতে যে সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বলেছেন, দেখা যায় তা লাইন বাই লাইন মেনে চলার পরেও করুণাধারা ও সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাইএর মন্তব্যে করা বিষয়ের মতো ঘটনা ঘটে যায়। পোষ্টে লেখা আমার পরিচিত রাশেদভাইও কিন্তু সাধারন মানুষের চাইতে বেশীই সবকিছু মেনে চলে। তারপরেও এখন হাসপাতালে শুয়ে আছে। আজকেও দেখতে গিয়েছিলাম। ওনার অবস্থা যতো দেখি, ততো টেনশান হয়। আমি উনার অর্ধেকও মেনে চলি না।
দেশে গেলে দেখি, আমার পরিচিতরা কিভাবে চলাফেরা করে, খাওয়া-দাওয়া করে। কারো কোন টেনশান নাই। সব দেখে-শুনে ভয় পাই। দেশে হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার আর ওষুধের দোকানের সংখ্যা আর রমরমা ব্যবসা দেখলে আসলেই ভয় লাগে। সাধারন মানুষ যে কিভাবে বেচে আছে!!!
সুস্থ্য ভাবে বেঁচে থাকতে হলে তাই সচেতনার বিকল্প নেই। হক কথা। সেইজন্যই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
১৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: আমার মনে হয় ডাক্তার ভালো না।আমি এক সরদারজী ডাক্তার দেখাতাম।আমার এক বন্ধুর পরামর্শে।সেও সর্দার।মানে পাঞ্জাবী শিখ।ইসিজি ছাড়া আর কোন টেষ্ট করাতো না।সেটাও সে নিজের হাতে করতো।তার চেম্বার কলকাতায়।প্রত্যেক বার প্রেসকিপশনের নিচে দুই এক লাইন লিখে দিতো ভিসা পেতে সমস্যা হতো না।২০০০সালে দেখে বললো আর দেরি না।কোন হসপিটালে ভর্তি হয়ে যাও।বন্ধুর মতো সস্পর্ক ছিলো।শেঠির কাছে যেয়ে বাই পাস করিয়ে নিলাম।
কানাডায় এসে একবার এনজিওগ্রাম করালাম।ডাক্তার বললো,এই বয়সে আর সার্জারি করিয়ে লাভ নাই।সাবধানে চলবেন।তার পর থেকে আজিমপুরের কেয়ারফে আছি।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আর কোন টেস্ট নাই, শুধুমাত্র ইসিজি'র উপর ভিত্তি করে বাইপাস? সর্দারজী তো দেখা যায় খুবই কামিলদার আদমী!! তা দেবী শেঠিও কি ইসিজি'র উপর ভিত্তি করেই বাইপাস করেছিল?
এরপরে কানাডায় এনজিওগ্রাম করার পর দ্বিতীয় বাইপাসের সম্ভাবনা..........আপনার অবস্থা তো দেখি গুরুচরণ!! কানাডা থেকে আজিমপুর অনেক দূর হয়ে যায়, কাছাকাছি কোথাও ব্যবস্থা দেখেন।
২০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৬
জুন বলেছেন: হৃদরোগে আপনার দুই বন্ধু হারানোর কথায় ব্যাথিত হোলাম ভুয়া। রুবেল প্রিয় অভিনেতা ছিলেন। কি মর্মান্তিক মৃত্যু এত অল্প বয়সে। একজন অভিনেতার জন্য ৫৬ কিই বা বয়স।
আমি তো একবার এক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের হাত ছুটে পালিয়ে এসেছি। অবশ্য এরপরও অনেকবার পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হয়েছে। কিন্ত বর্তমানে গ্যাস্ট্রিক বেদনায় কষ্ট পাচ্ছি আর ডাক্তারের দরবারে দৌড়াদৌড়ি করছি। আমার জন্য দোয়া করবেন।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হৃদরোগে আপনার দুই বন্ধু হারানোর কথায় ব্যাথিত হোলাম ভুয়া। গ্যাস্ট্রিকের বেদনা মনে হয় খুব বেশী হচ্ছে আপা।
রুবেলের বয়স বলে দিয়ে আপনের প্রিয় ব্লগারকে যে সাহায্য করলেন, ওর বয়স তো আসলে ৫৬ হয় নাই। আর এর থেকে আমার বয়স বের করাও কঠিন, কারন রুবেল আমার থেকে কয়েক বছরের বড় ছিল।
যাক গে, গ্যাস্ট্রিক নিয়ে যতো চিন্তা করবেন, ততোই পেয়ে বসবে। কাজেই নো টেনশান। অচিরেই ফিটফাট হয়ে যাইবেন ইন শা আল্লাহ!!
২১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩
মিরোরডডল বলেছেন:
জুন বলেছেন: হৃদরোগে আপনার দুই বন্ধু হারানোর কথায় ব্যাথিত হোলাম ভুয়া।
জুনাপু, ভুম দুজন বন্ধু হারায়নি, একজন।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গ্যাস্ট্রিকের বেদনায় আফায় পোষ্ট ঠিকমতোন পড়তে পারে নাই।
২২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাবছি পোস্টের বিষয়বস্তু অনুযায়ী সিরিয়াস কমেন্ট করবো কিনা..
রুবেল আহমেদ আপনার বন্ধু! শুনে তো অবাক হয়ে গেলাম। যাইহোক কারো না কারোর তো বন্ধু আপনজন হবেন। কিন্তু বড্ড কম সময়ে চলে গেলেন।। আচ্ছা কমেন্টে গাজিসাব আপনাকে বয়স জানতে চেয়েছেন। আচ্ছা উনি কি রুবেল আহমেদের নাম শোনেননি? ওনার চেহারা দেখলেই তো আপনার বয়স এস্টিমেট করতে পারতেন।
পড়তে পড়তে মনে হলো কোনো ভূয়া ডাক্তারের সতর্কতার পোস্ট নয় তো? কারণ ডাক্তারবাবু অত্যধিক বিড়ি খান। এখন প্রিয় এক বন্ধুকে হারিয়েছেন, আরেকজন সমস্যায় আছেন। এমতাবস্থায় পোস্টদাতা যথার্থ নিজে বিড়ি ছাড়ার প্রতিশ্রুতি না দিয়ে সঠিক ভূয়াগিরি করেছেন। পোস্ট পড়ে ব্লগপাড়ার সকলে চিন্তিত হলেও এমন নন ভূয়া ডাক্তারবাবু আহমেদ জী এস ভাই পর্যন্ত কমেন্টে উদ্বেগের কথা জানালেও পোস্টদাতা ভূয়া ডাক্তারের অন্তরে প্রবল ইচ্ছা জেগেছে করুনাধারা আপুর কমেন্টের উত্তর দিতে উনি এখন দোকানে ঢুকলেন পুরুষ সিংহের ন্যায়।
তবু শেষে একটু উল্টো পথে হাঁটি।রাসেদ ভাইকে নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন নিয়ে নিজের ওজন এতো দিন জিরো রেখেছেন বলে দুম করে বাড়িয়ে কাজ নেই।শুধু দোকানে যাওয়াটা বন্ধ করেছেন রাসেদ ভাই শুনলে দেখবেন খুশি হবে।এতে সুহৃদ রাসেদ ভাই খুশি পাশাপাশি আমাদের ভাবিজিও খুশি হবেন। আপনিও যে সামনাসামনি কম খুশি দেখাবেন না তা নয়। কাজেই ট্রিপল খুশি নিশ্চিত
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে আজকাল আউলিয়া সাবের চারপাশে ঘোরাফেরা বেশী করেন। সেইজন্য মন্তব্যও হইছে খানিকটা আউলানো। আউলানোর কয়েকটা উদাহরন দেই............
রুবেল আহমেদ আপনার বন্ধু! শুনে তো অবাক হয়ে গেলাম। তারপরে হুশ আসায় নিজেই উত্তর দিলেন।
আচ্ছা উনি কি রুবেল আহমেদের নাম শোনেননি? ওনার চেহারা দেখলেই তো আপনার বয়স এস্টিমেট করতে পারতেন। রুবেলের চেহারা দেখে আমার বয়স কিভাবে এস্টিমেট করবে? আমরা কি টুইন?
এমতাবস্থায় পোস্টদাতা যথার্থ নিজে বিড়ি ছাড়ার প্রতিশ্রুতি না দিয়ে সঠিক ভূয়াগিরি করেছেন। হলি কাউ! পোষ্টেই বলছি যে বিড়ি খাওয়া বন্ধ করছি!!
আরো কিছু আছে.........তবে আঙ্গুলের ব্যথার কারনে ক্ষ্যান্ত দিলাম। ভালো চান তো আউলিয়ার সঙ্গ ছাড়েন, যতো তাড়াতাড়ি পারেন।
২৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আহাম্মেদ রুবেলের কিছু কিছু নাটক আমি দেখেছি, তাকে আমার ভালোই লাগতো কিন্তু তার নাম জানতাম না, তার মৃত্যুর পরই তার নাম এবং তার সমন্ধে অনেক কিছু জানতে পারলাম। তার অভিনিত শেষ মুভিটি অবশ্যই অবশ্যই দেখতে হবে। আসলে মানুষ জীবিত থাকা অবস্থায় যথাযথ সম্মান পায় না, যা খুবই দুঃখজনক।
সিগারেট খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভালো , যতদিন মন চায় টানতে থাকেন শুধু শুধু মনকে এত কষ্ট দিয়ে লাভ কি? কি লাভ জোড় করে কয়েক বছর বেশি বেঁচে?
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে মানুষ জীবিত থাকা অবস্থায় যথাযথ সম্মান পায় না, যা খুবই দুঃখজনক। ওর জনপ্রিয়তা ছিল একটা নির্দিষ্ট গন্ডির দর্শক/বোদ্ধাদের মধ্যে। ললিপপ নায়ক না হওয়াতে ঢালাও জনপ্রিয়তা বা পরিচিতি ওর ছিল না। খানিকটা ইন্ট্রোভার্ট হওয়ার কারনে সেটা ও চাইতোও না। ওর শেষ মুভিটা অবশ্যই দেখবেন।
সিগারেট খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভালো , যতদিন মন চায় টানতে থাকেন শুধু শুধু মনকে এত কষ্ট দিয়ে লাভ কি? কি লাভ জোড় করে কয়েক বছর বেশি বেঁচে? আপনি পোষ্ট থেকে আমার পয়েন্টটা সম্ভবতঃ ধরতে পারেন নাই। কয়েক বছর বেশী বাচা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নাই। আমার মাথাব্যথা হলো, শেষ বয়সে ধুকে ধুকে মরা নিয়ে। আপনি সম্ভবতঃ বাইপাস সার্জারীর বা COPD'র পেশেন্ট চোখের সামনে দেখেন নাই। আমি দেখেছি, কষ্টটাও চোখের সামনে দেখেছি। সেইজন্যেই ছেড়ে দেয়ার এই উদ্যোগ। সিগারেট ছেড়ে দেয়া আমার জন্য খুবই কঠিন, তবে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে মানুষ সবই পারে।
আপনার দেয়া এই ছবি আমার জন্য প্রযোজ্য না।
২৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:২২
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন আমি আসলে নিজের অসুস্থতা নিয়ে এত ব্যাস্ত যে দুই বন্ধুর কথা বলে ফেলেছি। আমিই আন্তরিক দু:খ প্রকাশ করছি আপনার কাছে। আর আমার কোন বন্ধুকে আপনার বয়স জানাতে যাবো বলুন তো! ব্লগে আমার কোন বন্ধু নেই, ব্লগের কারো সাথে আমার ফেসবুকে যোগাযোগ নেই। কারো মন্তব্য পড়ার ও আমার সময় নেই। আর রুবেলের বয়স জন্মসাল তো বিভিন্ন পেপারেই দিয়ে দিয়েছে সেখানে আমার বলা না বলা তো কোন ব্যাপার না। এখান থেকে আপনার বয়স বের করার অপচেষ্টা তো আমার মাথাতেই আসে নি। আর পেপারেই লিখেছে ওই লাইনটা যে একজন শিল্পীর চলে যাওয়ার জন্য (--) কিই বা বয়স।
আবার দু:খ প্রকাশ করছি ভুয়া।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি আসলে নিজের অসুস্থতা নিয়ে এত ব্যাস্ত যে দুই বন্ধুর কথা বলে ফেলেছি। আমিই আন্তরিক দু:খ প্রকাশ করছি আপনার কাছে। আরে সর্বনাশ..........আপনে তো দেখি সিরিয়াস হয়া গেছেন! আপনের আগের মন্তব্যের উত্তরে আমি যে একটা ইমো ব্যবহার করছি, খেয়াল করেন নাই বোধহয়। আমার যা কিছু বলা, মজা করেই বলা।
আর আমার কোন বন্ধুকে আপনার বয়স জানাতে যাবো বলুন তো! ব্লগে আমার কোন বন্ধু নেই, ব্লগের কারো সাথে আমার ফেসবুকে যোগাযোগ নেই। বন্ধু বলি নাই তো, প্রিয় ব্লগার বলছি।
যাক গে, শরীর খারাপের কারনে আপনের মনও খানিকটা বিক্ষিপ্ত অবস্থায় আছে। নয়তো আমার ফান আপনের না বোঝার কথা না।
২৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আহমেদ রুবেল একজন গ্রেট অভিনেতা।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
২৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: স্ট্রোক করে আমার মৃত্যু হোক সেটা আমি চাই না।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেক্ষেত্রে হার্ট এ্যটাক কেমন মনে হয়?
২৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আয় মিয়া আপনাকে না পাইয়া আউলিয়ার কাছে মুরিদ হয়েছি।তাই বলি কী আউলিয়া তুলে আছাড় মারবেন না
এখন চুপিচুপি একটি অভূয়া কথা কহেন দেখি একজন লোক দশজনের সঙ্গে দশবার বলেছেন যে তিনি ধুমপান ছাইড়া দিয়েছেন।পরে আরও দশজনের সঙ্গে বলেছেন ধুমপান ছাইড়া দিয়েছেন। তাহলে পাকাপোক্ত ভাবে ছাড়তে গেলে ওনাকে আর কতজনের সঙ্গে বলে কনফার্ম করতে হবে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখন চুপিচুপি একটি অভূয়া কথা কহেন দেখি একজন লোক দশজনের সঙ্গে দশবার বলেছেন যে তিনি ধুমপান ছাইড়া দিয়েছেন।পরে আরও দশজনের সঙ্গে বলেছেন ধুমপান ছাইড়া দিয়েছেন। তাহলে পাকাপোক্ত ভাবে ছাড়তে গেলে ওনাকে আর কতজনের সঙ্গে বলে কনফার্ম করতে হবে। আরো দশজন!!
২৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৯
আরোগ্য বলেছেন: প্রথম দিন আলাঝিলা পোস্ট পড়ছিলাম। টাইম করবার পারি নাই। চোখে পরসিলো ধুমপান ছাড়সেন। পরে পদাতিক ভাইটির প্রথম মন্তব্য পইড়া দেখলাম ভুয়া পোস্ট করসেন। ভাবসিলাম, ভুতের মুখে রাম নাম ' লিখা মন্তব্য করুম। কিন্তু পুরাটা ভালোমতো পইড়া দেখলাম যা, অসাধ্য সাধন করসেন। দেহায়া দিসেন, কিসমে কিতনা হে দাম, পুরান ঢাকার পাবলিক কম না। ।
কি পোস্ট দিসেন আর মাইনসে কই টান দিসে! মুরুব্বি খায়া না খায়া আপনের বয়সের পিছে পরলো কেলা, কাহিনি কী? ১৫ নং প্রতিমন্তব্য ঠিক কইসেন। এর কিছু অইলে আমি বি মিস করুম। এর লগে শয়তানি করতে ভালাই লাগে।
আমগো জাতে হৃদরোগের ইতিহাস নাই, আছে কলিজা ক্ষতের ইতিহাস। দাদা, ফুপু, আব্বু তিনজনই লিভারের সমস্যায় গেছে। আম্মুও একই রোগে আক্রান্ত। সারাক্ষণ আমরা ভাই বোন আম্মুকে নিয়া দুশ্চিন্তায় থাকি। কয় মাস আগে যহন আম্মু হসপিটাল ছিলো সব আত্মীয়রা ধরে নিয়েছিলো শেষটা। কিন্তু আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো, এখনো সবচেয়ে বড় চাওয়া আম্মুর সার্বিক সুস্থতা। আল্লাহ চাইলে কি না হয়!
আপনের ধূয়া খাওন বাদ দেওনের ঘটনা হুইনা দুইটা ঘটনা মনে পড়লো। একটা আমরা কাজিনের। উনি ৪৩ বছর বয়সে চার ছেলেমেয়ে রাইখা পরপারে পাড়ি দেয়। ইয়া মোটা আছিল, তার মোটা বডির লেইখা বাংলা নাটক আর ছবিতেও কাম করে। ধোলাইখালের নামকরা ব্যবসায়ী আছিলো, কামাইসে আর ইচ্ছা মত খাওন খাইতো। ভাইয়া এক সময় ছোটকালে অভাবে বড় হয় তাই মাথায় আছিলো ট্যাকা যহন কামাইসি খায়া মরুম। ভাবীর কাছে শুনছিলাম টেনশনে থাকলে রাইতে ইচ্ছা মত সিগারেট খাইতো। একদিন ভোরবেলা ফজরের আগ মুহূর্তে শুনি ভাইয়া নাই। তার আগের দিনও শুটিং করসে। স্ট্রোক করসিলো নাকি, এহন আমি শিওর না ব্রেইন স্ট্রোক না হার্ট অ্যাটাক। ভাইয়ার দশ বছর পর ভাবিও হার্ট ফেল করে বিদায়, তার আরো সমস্যা ছিলো। ওই ভাইয়ার মৃত্যুতে ভয় পায়া আমার ছোট মামু স্বাস্থ্য কমায়া পাংকু হয়া যায়, বিড়ির খবর জানিনা। সে ভাইয়ার ছয় মাসের ছোট এবং একদিন হুনি পাংকু হওনের পর কইতাসে ৯৫ বছর বাচনের আশা রাখে।
আরেকটা ঘটনা অইসে আমার যক্ষ্মা অহনের, আপনে মনে করসিলেন আমি বিড়ি ফুকি। আর আমি ওগো কইতাম সিগারেট খাইনা কিছুনা আমার কেলা যক্ষ্মা অইলো। কত রঙ্গের যে ওষুধ খাওন লাগছে।
Prevention is better than cure. হুনেন সিগারেট ছারসেন ভালা কথা এইবার আরেকটা কাম করেন। ডেইলি এক আয়াত অইলেও তিলাওয়াত করবেন, মোবাইলে ওজু লাগে না। একটা গ্যারান্টি, আসলে আমার বুঝ কিংবা ব্যাখ্যা কইতে পারেন। আল্লাহ কোরআন কে বলেছেন, شفاء لما في الصدور. ( a recovery whatever is in the chest/ heart). বক্ষে যা আছে তার আরোগ্য। যেহেতু হৃদপিণ্ড বক্ষে বসাইনা তা হৃদরোগে মরবেন না আশা করি। আর যদি হৃদরোগে মরেন ফেরেশতা প্রশ্ন করবার আইলে আপনে সাহস কইরা আগে জিগাইবেন এই আয়াতের ব্যাখ্যা কী, আমি সিগারেট ছাইড়া ডেইলি তো কোরআন পড়তাম।
আপনেরে মন্তব্য করনের আগে আমার এক ডাক্তার বইনরে শিওর অহনের লেইগা জিগাইলাম লিভার কি বক্ষে নাকি। কইলো না পেটে। জাতের ধারা কই যামু আল্লাহ মালুম।
বেশি বড় মন্তব্য কইরা ফালাইলাম, বিরক্ত অয়েন না।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পদাতিক মিয়া রশিরে সাপ মনে করছে। হ্যার আমাগো সম্মন্ধে কোন আইডিয়াই নাইক্কা। অহনতরি বিড়িতে একটা টানও দেই নাই।
কুনহানে জানি পড়ছিলাম, ওয়ান পিস মেড, কারিগর ডেড। আমার বড়ভাই হইলো হেই পিস। এমুন মাল আর তৈরী হইবো না।
আপনেগো যেহেুতু পারিবারিকভাবে লিভারের সমস্যা আছে, লিভার-উপকারী খাওন খাওয়ার চেষ্টা করেন। একই খাবার হার্টের জন্যও ভালো। সমস্যা হইলো, আমাগো পুরান ঢাকার খাবার-দাবার হার্ট-লিভার দুইটার জন্যই চরম মাত্রার ক্ষতিকর। আমার পরের পোষ্টে এগুলি নিয়া কথা কমু। এগুলি খাওন বাদ দেওয়া.........মুশকিল, কিন্তু জরুরী। নিজেরা ঠিক না হইলে কিন্তু আল্লাহ বেশীদিন সাহায্য করে না।
আপনের কাজিন একদিক দিয়া ভাগ্যবান। হঠাৎ মরছে। তিল তিল কইরা কষ্ট পায়া মরার থিকা বহুত ভালো। আমি একসময়ে ভাবতাম, সব কিছু খাওন ছাড়ুম, মাগার বিড়ি ছাড়ুম না। তয় এইবার ডরাইছি। দেহি, ডর কতোদিন থাকে। মাঝে-মইদ্দে মনে হয় লৌড় দিয়া দোকানে যাই, বিড়ি কিন্না লয়া আহি। বিড়ি নাই, বড় কষ্টে আছি। আপনের ভাবী বাইত্তে না থাকলেও এতো কষ্ট লাগে না।
যক্ষা লয়া টেনশান কইরেন না। নেট ঘাইটা যক্ষার যতো প্রিকশ্যান আছে (লাইফ স্টাইল, খাবার, ব্যায়াম ইত্যাদি ইত্যাদি), সব বাইর কইরা লন। এই জিনিস য্যান আর ফেরত না আহে।
ডেইলি এক আয়াত অইলেও তিলাওয়াত করবেন। এইটা একটা ভালো কথা কইছেন। তয় শয়তান বহুত হারামী। আমারে খালি ডিস্টার্ব করে। আপনেরে একখান উদাহরন দেই..........আমি গাড়ি চালাইতে চালাইতে সব সময়ে গান হুনি। আইজ বহু বছর হইছে, কোরান শরীফের একটা এমপি থ্রি সিডি আনছি, গাড়িতে হুননের লাইগা। আইজ পর্যন্ত হেইডা গাড়িতেও লইতে পারি নাই। যখনই গাড়ি স্টার্ট দেই, গান শুরু হয়, তহনই মনে পড়ে........হায় হায়, ওই সিডিটা তো আনা হয় নাই!!!! এই হইলো আমার অবস্থা।
লিভার যেহেতু বুকের খাচার মধ্যে, সেই হিসাবে বক্ষে। তয়, বক্ষ আর পেটের মাঝখানে.......টু বি মোর প্রিসাইস!!
২৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩৭
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সেদিন একবার পড়েছি পোস্টটা, আজকে আবার পোস্টটা স্ত্রীকে পড়িয়ে শুনালাম। স্ত্রীকে বললাম, চলো কাল থেকে এক্সারসাইজ শুরু করি।
কোনো উত্তর না পেয়ে দেখি, স্ত্রী ঘুমিয়ে গেছে।
সে যাই হোক, সচেতন হওয়া উচিত। আপনার এই পোস্ট পড়ে আবার মনে হলো, আরও সচেতন হওয়া দরকার। আমি যথেষ্ট পরিশ্রমের ভিতরেই থাকার চেষ্টা করি সারাদিন। তবু সময় পেলেই কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া, মাঝে মধ্যে সিগারেট ফুঁকা, সকালে না খেয়ে একেবারে দুপুরে খাওয়া, কম ঘুমানো অনেকগুলো অভ্যাস মনে হলো পরিবর্তন করা দরকার।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এক্সারসাইজ আসলেই খুব জরুরী, তবে বাস্তবতা হলো ওভারনাইট কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু শুরু করলে সাধারনতঃ এই উৎসাহ বেশীদিন থাকে না। তাছাড়া এক্সারসাইজ ছাড়াও আরো এতো এতো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আছে যেগুলোও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পলোয়ান হতে না চাইলে সাধারনভাবে এক্সারসাইজের মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের ইনটেইককৃত ক্যালোরী বার্ন করা। কিন্তু তিক্ত সত্য হলো, আমাদের স্বাভাবিক নিয়েমে আমরা যে পরিমান ক্যালোরী দৈনিক ইনটেইক করি, সেটা সম্পূর্ণ বার্ন করা সম্ভব না। সুতরাং এক্সারসাইজের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ হলো, ইনটেইককে নিয়ন্ত্রণ করা।
তবু সময় পেলেই কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া, মাঝে মধ্যে সিগারেট ফুঁকা, সকালে না খেয়ে একেবারে দুপুরে খাওয়া, কম ঘুমানো অনেকগুলো অভ্যাস মনে হলো পরিবর্তন করা দরকার। এই সবগুলোই একেকটা টিকিং টাইম বোম্ব। এগুলো যদি আপনি বাদ না দেন, সারাদিন পরিশ্রম করলেও খুব বেশী লাভ নাই।
৩০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৫৩
আলামিন১০৪ বলেছেন: মফিজ ভাই, যেদিন ডাক আসবে, হাজার বৈদ্যিও কিছু করতে পারবেনা! কস্টটা বাড়াবে শুধু! রুবেলের মতো শান্তির মৃত্যু অনেকের আকাঙ্খা। আল্রাহ তাঁকে ক্ষমা করুক।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যেদিন ডাক আসবে, হাজার বৈদ্যিও কিছু করতে পারবেনা! এটা তো আমরা সবাই জানি। আমি এটা নিয়ে একেবারেই কনসার্ন না। আমার পয়েন্ট হলো, যে ক'দিন বাচবো, কারো উপর নির্ভরশীল না হয়ে বাচবো।
রুবেলের মতো শান্তির মৃত্যু অনেকের আকাঙ্খা। আল্রাহ তাঁকে ক্ষমা করুক। আসলেই। আমীন।
৩১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:১৬
মিরোরডডল বলেছেন:
আরোগ্য বলেছেন: আমগো জাতে হৃদরোগের ইতিহাস নাই, আছে কলিজা ক্ষতের ইতিহাস।
ওই ভাইয়ার মৃত্যুতে ভয় পায়া আমার ছোট মামু স্বাস্থ্য কমায়া পাংকু হয়া যায়, বিড়ির খবর জানিনা। সে ভাইয়ার ছয় মাসের ছোট এবং একদিন হুনি পাংকু হওনের পর কইতাসে ৯৫ বছর বাচনের আশা রাখে।
লেখক বলেছেন: মাঝে-মইদ্দে মনে হয় লৌড় দিয়া দোকানে যাই, বিড়ি কিন্না লয়া আহি। বিড়ি নাই, বড় কষ্টে আছি। আপনের ভাবী বাইত্তে না থাকলেও এতো কষ্ট লাগে না।
সত্যিটা বলবে, ভুমি বাসায় না থাকলে কোন কষ্টই লাগে না, বরং উল্টো হয় ঈদ আনন্দ
আরোগ্য আর ভুমের কমেন্ট পড়ে হাসলাম।
দুজনেই অনেক অনেক ভালো থাকবে আর এভাবে আনন্দ দিবে
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সত্যিটা বলবে, ভুমি বাসায় না থাকলে কোন কষ্টই লাগে না, বরং উল্টো হয় ঈদ আনন্দ সব সত্যি মুখে বলা মানা!! শেষে ৯৯৯ এ ফোন করে ফায়ার ফাইটারদেরকে ডাকতে হবে আবার!!!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাঝে মাঝে কোন এক বিশেষ কারনে কোন একটা গান আমার মাথায় ঘুরতেই থাকে, ঘুরতেই থাকে। তখন বারে বারে শুনি। আরো প্রায় ঘন্টাখানেক অফিসে থাকতে হবে। ফ্লোর প্রায় ফাকা। লো ভলিয়্যুমে বারে বারে এই গানটা শুনছি view this link
৩২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১০
আরোগ্য বলেছেন: আবার আইলাম।
মিরোরডডল কি আমগো গোপাল ভাঁড় পাইসে সিরিয়াস কথাও ভাঁড়ামি ভাবে। । কি দিনকাল আইলো দুঃখের কথায় মাইনসের হাসন আহে
আর আপনে যে কইলেন ত্রিশ বছর গেলেই টেস্টের উপ্রে টেস্ট করন লাগবো। কেলা ট্যাকা কি গাবায়? রক্তরে কি পানি মনে করসেন যে হুদা কামে সিরিঞ্জ ভইরা কয়দিন বাদে বাদে ফালামু।
একটা মজার কথা মনে পড়লো। গত শুক্রবার এক ভাতিজা বাসায় আইসিলো, যে ভাই ভাবি মরসে তাগো ছোট ছেলে। কথায় কথায় ভাতিজা কয় রক্ত লাগলে আমারে কইবা লাশের তে গেলান ভইরা রক্ত আইনা দিমু, আর আমার বউর ডেলিভারিতে লাগলে ডাক্তারের পেট কাইটা ডাইরেক্ট বউর পেটে রক্ত সাপ্লাই কইরা দিমু। ভাতিজার বিয়া হয়নি, শয়তানি করসে।
ভাবি বাইত না থাকলেও আপনের কষ্ট লাগে না। বড়ই নিদারুণ কথা। আমার এক বন্ধু বউরে কয় "মাথা ব্যথা", ডিসটার্ব '। বউ বাইত না থাকলে নিজেরে সুখী মনে করে। একবার জিগাইলাম ভাবি কেমন আছে, কইলো ভাবির কথা জিগায়া আমি তার স্বাধীনতার ব্যঘাত ঘটাইসি।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মিরোরডডল কি আমগো গোপাল ভাঁড় পাইসে সিরিয়াস কথাও ভাঁড়ামি ভাবে। ( । কি দিনকাল আইলো দুঃখের কথায় মাইনসের হাসন আহে | আরে........আমাদের মিড সেইরকম মানুষই না। আসলে আমাদের ঢাকাইয়া ভাষায় কথা বলাটা সে এনজয় করে।
ট্যাকা না থাকলে টেস্ট কইরেন না। মামলা ডিসমিস। করলেও ভালা, না করলেও ভালা। তয় এইডা কন......আকাইম্যা রক্ত শইল্যের ভিত্তে রাইখ্যা কি উল্টায়া ফেলাইবেন?
আমি আসলে বউ বাইত থাকলেও খুশী, না থাকলেও খুশী। দুইটারই ভালো-খারাপ দিক আছে। যেমন, ব্রেক্সিটের সুমায় আমি ভোটই দেই নাইক্কা। কারন, ইউকে ইইউতে থাকলেও আমি খুশী, না থাকলেও খুশী। দুইটারই ভালো-মন্দ আছিল!!
একবার জিগাইলাম ভাবি কেমন আছে, কইলো ভাবির কথা জিগায়া আমি তার স্বাধীনতার ব্যঘাত ঘটাইসি। হুইনা মজা পাইলাম।
৩৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৪
মিরোরডডল বলেছেন:
ভুমের দেয়া গানটা সুন্দর, একসময় অনেক শোনা হতো। থ্যাংকস।
মাথায় কোন গান ঢুকে গেলে সেটা অটো রিপিট বার বার শোনার অভ্যাস আমারও আছে।
আমিও ইয়ার ফোন হেড ফোন দিয়ে না, ল্যাপটপ স্পিকারেই গান চলে আর অফিস করি।
আজ অনেকবার শুনেছি আমার ভীষণ প্রিয় এই গানটি।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেই স্কুল জীবন থেকেই এই ব্যান্ড আমার ওয়ান অফ দ্য ফেভরেটস!!
সে যাই হোক.........A night without you, seems like a lost dream!!! এই আকুতি কাহার জন্য গো কইন্যা!!!
৩৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আহমেদ রুবেল আমার একজন প্রিয় অভিনেতা ছিলেন।তিনার মৃত্যুতে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি।আমার মনে হচ্ছিল কাছের কাউকেই হারিয়েছি।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলেই। সঠিক বলেছেন।
আমার সাথে ব্যস্ততার কারনে যোগাযোগ অনেক কমে গেলেও চমৎকার একজন অভিনেতা........সর্বোপরি মানুষ ছিল।
৩৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৬
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: সেই স্কুল জীবন থেকেই এই ব্যান্ড আমার ওয়ান অফ দ্য ফেভরেটস!!
Scorpions আমার সবচেয়ে প্রিয় রক ব্যান্ড।
সে যাই হোক.........A night without you, seems like a lost dream!!! এই আকুতি কাহার জন্য গো কইন্যা!!!
তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা, মন, জানো না ............
God knows, তখন যে কোন জনা কে মিস করছিলাম, এখনতো আর মনে পড়ছে না
১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা, মন, জানো না ............
God knows, তখন যে কোন জনা কে মিস করছিলাম, এখনতো আর মনে পড়ছে না
বহু জনা থাকলে এই এক অসুবিধা। কখন যে কোন জনা ক্লিক করে সেটা মন আসলেই জানে না। আমার অবশ্য এই সমস্যা নাই। আমার জনা একাই একশো!!!
বিশাল ব্যস্ততার মধ্যে আছি। উত্তর দিতে দেরী হওয়ার জন্য শরমিন্দা হইলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আহমেদ রুবেলের অভিনয় আমি পছন্দ করতাম। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদ এর নাটকে।