নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কোন 'আলোড়ন সৃষ্টিকারী' এবং 'ছেলেবিটি' বলগার না, একেবারেই সাদাসিধা নিরীহ একজন ব্লগার। ব্লগে যারা আমাকে চিনেন, তারা আমার এই কথা অবশ্যই মানবেন। ব্লগিং শুরুর আগে আমি ভাবতাম যে আমি অনেক কিছু জানি। কিন্তু হায়, ব্লগে আসার পরে এত্তো এত্তো গেয়ানী-গুনীদের ভীড়ে বুঝতে পারলাম, আমি আসলে কিছুই জানি না। এই না জানার ধারাবাহিকতায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার মনে অনেক প্রশ্নের উদয় হয়েছে, যেগুলোর উত্তরও জানি না কিংবা খুজে পাচ্ছি না। উত্তরগুলো পেলে কোটা আন্দোলনের অনেক হিসাব-নিকাশ মিলাতে পারতাম।। আমার মনের এই ধোয়াশা ভাব কাটানোর জন্য আশাকরি বিজ্ঞ ব্লগারগণ আমার সাহায্যে এগিয়ে আসবেন।
আর কথা না বাড়িয়ে চলেন মূল প্রসঙ্গে যাই।
একটা সোজাসাপ্টা প্রশ্ন করি। মুক্তিযোদ্ধা কে বা কারা? আশ্চর্যের ব্যাপার হলো বর্তমানে আপনি এই ব্যাপারে কোন সহজ-সরল সংজ্ঞা পাবেন না। আমরা জানি, যারা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করেছে, অনাহারে-অর্ধাহারে থেকে নিজের জীবনকে বাজি রেখেছে, তারাই মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুও ১৯৭২ সালে এমনই একটি সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছিলেন। ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল এভাবে, freedom fighter means any person who had served as a member of liberation force engaged in the war of liberation. Dictionary of Britanica-তে মুক্তিযোদ্ধা বা ইংরেজিতে Freedom Fighter-এর অর্থ লেখা রয়েছে এভাবে, a person who is part of an organised group fighting against a cruel and unfair government or system. অর্থাৎ যারা প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তারাই মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে পরিগণিত হবেন।
এই সহজ-সরল বিষয়টাকে বিতর্কিত করার জন্যই বর্তমান তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ৬ নভেম্বর ২০১৬ প্রকাশিত গেজেটে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করে। এই সংজ্ঞানুযায়ী পুরানো সংজ্ঞা পরিবর্তন করে মুজিবনগর কর্মচারী, শিল্পী, খেলোয়াড়সহ নানা ক্যাটাগরির সবাইকেই মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গণ্য করার ফরমান জারি করে। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ''১৯৭২-এর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন'' যুগোপযোগী আখ্যা দিয়ে জাতীয় সংসদে সংশোধন করা হয়। ২০১৮-এর আইনে বলা হয়েছে, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হইবেন, যথা-(ক) যে সকল ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করিয়া ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে তাহাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করিয়াছিলেন। (খ) যে সকল বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রাখিয়াছিলেন এবং যে সকল বাংলাদেশি নাগরিক বিশ্ব জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করিয়াছিলেন। (গ) যাহারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। (ঘ) মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সহিত সম্পৃক্ত সকল এমএনএ বা এমপিএ, যাহারা পরবর্তীকালে গণপরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হইয়াছিলেন। (ঙ) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাহাদের সহযোগী কর্তৃক নির্যাতিতা সকল নারী (বীরাঙ্গনা)। (চ) স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের সকল শিল্পী ও কলা-কুশলী এবং দেশ ও দেশের বাহিরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সকল বাংলাদেশি সাংবাদিক। (ছ) স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সকল খেলোয়াড় এবং (জ) মুক্তিযুদ্ধকালে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী মেডিক্যাল টিমের সকল ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সহকারী।’ মুক্তিযুদ্ধ একটি সামগ্রিক বিষয়। এখানে নানা ধরনের মানুষের নানা রকমের ভুমিকা ছিল, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারও বা কোনো দলের একক প্রচেষ্টায় এ দেশ স্বাধীন হয়নি, এটাও সত্য। কারও ভূমিকাকেই এক্ষেত্রে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। তাই মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই-সরকারের এই সংজ্ঞায়ন অবিবেচনাপ্রসূত ও অবৈজ্ঞানিক। সরকার চাইলে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত সবাইকে সম্মানিত করতে ও স্বীকৃতি দিতে পারে। কিন্তু সবাইকে ''মুক্তিযোদ্ধা'' আখ্যায়িত করতে হবে কেন? (যুগান্তর, মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় অসংগতি, সায়েদুল ইসলাম মিঠু, ০৭ জুলাই ২০২২)।
আমার প্রশ্ন, তাহলে যারা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে খাবার, তথ্য, আশ্রয় ইত্যাদি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছে, তারা কি মুক্তিযোদ্ধা না? যারা মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছে কিন্তু বিভিন্ন কারনে যুদ্ধ করতে পারে নাই, তারা কি মুক্তিযোদ্ধা না?
এবার আসি, রাজাকার কি বা কারা? আমি যা জানি তা হলো, আমাদের মু্ক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী 'ইস্ট-পাকিস্তানী রাজাকার অরডিন্যান্স' এবং 'মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স অরডিন্যান্স' এর মাধ্যমে রাজাকার বাহিনী গঠন করে। অখন্ড পাকিস্তানের সমর্থক বাঙ্গালী আর উর্দুভাষী বিহারীদের নিয়ে এই বাহিনী গঠন করা হয়। রাজাকাররা পাকিস্তানী আর্মীর অংশ ছিল এবং লাইট ইনফ্যান্ট্রি অস্ত্র পেতো। এছাড়া একাত্তরে শান্তি কমিটি, আল-বদর, আল-শামসও গঠন করা হয় পাক-বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য। এদের সবাইকে অন্তর্ভূক্ত করে সাধারনভাবে ''রাজাকার'' শব্দের উৎপত্তি।
আমার প্রশ্ন, রাজাকারের আত্মীয় স্বজন এবং সমর্থকদেরকে কি রাজাকার বলা যায়? আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা সুযোগ না পেলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?' তার মানে রাজাকারের নাতিপুতি তথা আত্মীয়স্বজনরাও পরিত্যাজ্য। তাছাড়া এই ব্লগেই শত শত মন্তব্য পাওয়া যাবে যেগুলোর মূল বক্তব্য হলো, বিএনপি-জামায়াত সমর্থন করা, আর রাজাকার সমর্থন করা সমার্থক। রাজাকারের আত্মীয়স্বজনরাও রাজাকার.........ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমার প্রশ্ন, রাজাকার আসলে কারা? তথাকথিত চেতনাবাজরা উত্তর দিতে চাইলে সাবধানে দিবেন কারন এরপরে আমি যা বলতে যাচ্ছি তাতে আপনাদের অসুবিধা হতে পারে!!!!
গত সরকারের ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেশের বহুল পরিচিত একজন নেতা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভূমিকা কি ছিল সেটা সবার জানা। তিনি শান্তি বাহিনী গঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হানাদার বাহিনীকে প্ররোচিত করতেন। ''দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ'' বইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন। এই রাজাকার খন্দকার মোশাররফের ছেলে মাশরুর হোসেন মিতুই হলো পুতুলের স্বামী। এই দম্পতির তিন কন্যা এবং এক ছেলে রয়েছে। তো, রাজাকারের এই নাতিপুতিদের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কি? এই চারজন কি সরকারী কোন দায়িত্ব পাওয়ার যোগ্য?
জামায়াত-বিএনপির সমর্থক, রাজাকারের নাতিপুতিদেরকে নিয়ে যাদের এলার্জি আছে, তারাই দেখি এদের সাথে আত্মীয়তা করে। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে। এই ব্লগেও বহু নমুনা পাবেন। সকাল-বিকাল রাজাকার ধরে নাস্তা করা, দিন-রাত লম্বা-চওড়া কথা বলা এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্লগার এরকম একজনের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নেয়, বিভিন্ন ছেলেবিটি ব্লগার এবং তাদের খাস সহযোগীবৃন্দ এই ব্লগারের সাথে ঘোরাঘুরি করাসহ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে, ব্লগে মন্তব্যের আদান-প্রদান করে। আহা, কি প্রেম!!! পর্দার অন্তরালে আরো যে কি কি ঘটনা ঘটে তা একমাত্র আল্লাহ মা'বুদই বলতে পারবে।
আমার প্রশ্ন হলো, এই হিপোক্রেসীর উৎস কি? এদের কি লজ্জা করে না? কেন সচেতনভাবে এই ধরনের দ্বি-চারিতা করা হয়?
আমি জানি, ধরা খাওয়ার ভয়ে আমার এই পোষ্টে আওয়ামী চেতনাবাজদের আসার সম্ভাবনা কম। তবে এই চেতনাবাজদের বাইরে যারা আম-ব্লগার আছেন তারা চেতনাবাজদেরকে বাগে পেলেই এই প্রশ্নগুলো করবেন!!!!!!
ছবিসূত্র।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিছু তিক্ত সত্য কথা বলেছেন। চেতনাবাজদের সত্যিকারের চেতনা জাগ্রত হউক..............এ'ছাড়া আর কি কামনা করতে পারি?
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদ পরিবার কি কি সুবিধা পায়? ~ এটাও একটা প্রশ্ন থাকা উচিৎ ছিল।
আমি মোশারফ হোসেনের নিজের কথা শুনেছি; উনি স্বীকার করেছেন তাঁর বাবা শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন কিন্তু তাঁর বিষয়টা অস্বীকার করেছেন, যদিও ফরিদপুরবাসীরা সত্য ঘটনা জানেন। পুতুলের বিয়ের সময়ে তাঁর মাতা বোঝেননি একসময় 'রাজাকারে'র বিষয়টা এতদুর গড়াবে -তবে বঙ্গবন্ধু কণ্যা কোন ভুল করতে পারে না এই বিশ্বাস এখনো উঁনার মধ্যে দৃড়ভাবে আছে। সব কামে ভ্যাজাল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলাপাইন। যদিও বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে বলে শুনেছি।
আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বয়স হয়েছে সেটা বুঝতে হবে- এরকম একটা মহা গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থাকার জন্য নির্দিষ্ট একটা বয়সের সীমা নির্ধারণ করা জরুরী। একজন শিক্ষক যদি ৬৩ বছর (সরকারী চাকুরির বয়সসীমা) বয়সের পরে অবসর গ্রহন করতে বাধ্য হন তবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থাকা ব্যক্তি কেন নন?
প্রধানমন্ত্রীর সাত মিনিটের ভাষন শুনলামঃ থোড় বড়ি খাঁড়া -খাঁড়া বড়ি থোড়!!!! ~ কইছিলাম বয়স হৈসে।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদ পরিবার কি কি সুবিধা পায়? ~ এটাও একটা প্রশ্ন থাকা উচিৎ ছিল। সব প্রশ্নই কি আমার মতোন বেকুব করবে? অন্যান্য বেকুবদের কি কোন দায়-দায়িত্ব নাই?
যদিও বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে বলে শুনেছি। সেটা কোন বিষয় না। এই দম্পতির ৪ সন্তান তো রাজাকারের নাতি, তাই না!!! এই সম্পর্ক তো ডিভোর্স দিয়া কাটানো যাবে না।
আমাদের দেশের কালচার অনুযায়ী ঘাড়ধাক্কা না দিলে কেউ পদ-পদবী ছাড়ে না। ইতিহাস সাক্ষী। উনি কি ব্যতিক্রমী কিছু করবেন বলে আপনার মনে হয়? আরেকটা বেকুবীয় প্রশ্ন করলাম।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
জুন বলেছেন: আমার মামা ১৮ বছর বয়সের একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, পানি বা খবর পৌছানো না। তার নাম বললে অনেকেই চিনবেন। স্বাধীনতার অল্পদিন আগে ধরা পরে ফাসীর আসামি হিসেবে কনডেম সেলে ছিলেন। ১৬ ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে উনি সহ আরো সবাই জেলের দরজা ভেংগে বের হয়ে এসেছিলেন সন্ধ্যার অন্ধকারে বলে শুনেছি। তার একটা পেইজ ছিল তার শিরোনামে এই লেখাটি লিখে রেখেছিলেন ইংরেজিতে Freedom fighters don't cry, when time comes they silently go into the night
৬২ বছর বয়সে তার আকস্মিক মৃত্যু হয়েছিল, এবং সত্যি তিনি নি:শব্দে চলে গিয়েছেন। তার ভেতর কোন হামবড়া ভাবও কেউ দেখেনি, দেখেনি কোন সুযোগ সুবিধা নিতে। তার ছেলেরাও না।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার মামা-চাচাদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ব্লগে একটা পোষ্টও দিয়েছিলাম। উনাদের কারো মধ্যেই আমি কোন হামবড়া ভাব দেখি নাই। আসলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা মূলতঃ আড়ালে থাকতেই পছন্দ করতেন। ঢাক-ঢোল যারা পেটায় তাদের বেশীরভাগই দেখবেন সার্টিফিকেট সর্বস্ব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা।
সকল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা ওপারে শান্তিতে থাকুক, এই দোয়াই করি সব সময়ে।
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: @জুন আপু~ আমার দুর্ভাগ্য সম্ভবত আপনি আমার এই লেখাটি পড়েননি কিংবা পড়লেও মন্তব্য করেননি
একজন মজুমদার ও তার দ্যা গেরিলা
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২১
ঢাবিয়ান বলেছেন:
হিপোক্রেসীর উৎস উপড়ে। কষ্ট কইরা নিজ দ্বায়িত্ব ব্লগে, চারপাশে সর্বত্র এইসব হিপোক্রেটদের চিন্যা লন।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এরা সবাই হিপোক্রেট? লাইন তো দেখি বিরাট লম্বা। সবাই কি ব্লগার?
৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমার বাবাও ট্রেনিং করেছেন। কিন্তু সম্মুখযুদ্ধ করার মত সুযোগ পান নি। মুক্তিযোদ্ধাদের নানা ভাবে সহযোগিতা করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিলো বিহারী আর পাক হানাদার। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের যে ক্ষতি হয়েছিলো সেটা পুষিয়ে নিতে প্রায় ৩ দশক লেগেছিল। আমার বাবা কোন সার্টিফিকেট নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন নাই।
কিন্তু অনেক অনগ্রসর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রয়েছে যাদের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন আছে এবং কোটারও দরকার আছে।
আপনাদের মনে রাখা উচিত প্রায় ২ দশক মুক্তিযোদ্ধা কোটা বন্ধ ছিলো। মুক্তিযোদ্ধারা নানাভাবে অবহেলিত ছিলো।
আমি নিজে রাজাকারদের ঘৃণা করি। জামায়াত শিবিরের আদর্শদ্বারীদের ঘৃণা করি। তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার বাবার জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের যে ক্ষতি হয়েছিলো সেটা পুষিয়ে নিতে প্রায় ৩ দশক লেগেছিল। আপনারা ভাগ্যবান, তিন দশকে হলেও ক্ষতি পোষাতে পেরেছেন। কেউ কেউ সারা জীবনেও পারে নাই।
মুক্তিযোদ্ধার ছেলেমেয়ে পর্যন্ত ঠিক আছে, নাতী-পুতিদের জন্য কোটার দরকার নাই। যাদের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন আছে, তাদেরটা সরকার দেখবে। এটা সরকারের দায়িত্ব। তবে বিতর্ককে উস্কে দিয়ে তাদের কোন কিছু দেয়া সমর্থনযোগ্য না যেখানে সরকার পুরো বিষয়টাকেই লেজে-গোবরে করে ফেলেছে।
৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২৮
শায়মা বলেছেন: আমি বেশ অনেক বছর হলো স্কুলে কাজ করছি। আমরা যে সময় টিচিং শুরু করেছিলাম তখন এক রকম বাচ্চাদেরকে পড়িয়েছি তারা কিছুটা সহজবোধ্য ছিলো। আমরা যেভাবে মা যদি বলতো চুপ বেয়াদপ! চুপ হয়ে যেতাম। ভাবতাম ছি ছি আমি বেয়াদপ। লোকে কি বলবে? চুপ থাকি।
কিন্তু যুগ পাল্টেছে। এই জেনেরেশন জি কে চুপ বেয়াদপ বলে আটকানো যায় না। তারা ওপেন থিংকার। তারা ভয় পায় না। তারা নিজেরা চিন্তা করতে জানে। নিজেদের ব্রেইন দিয়ে কাজ করে। নিজেদের পদক্ষেপ নিজেরাই নিতে পছন্দ করে এবং একই সাথে অকুতভয়।
আমাদেরকে প্রায়ই ট্রেনিং করতে হয় নিউ জেনারেশনের সাথে তাল মিলিয়ে তাদের মন জুগিয়ে কি করে পড়ালেখা গিলিয়ে দেবো, সেই বিষয়ে।
সময় এসেছে পলিটিকাল দলগুলোকেও সেই ট্রেনিং দেবার। কি করে নিউ জেনারেশনের সাথে চলতে হবে বলতে হবে এবং একই সাথে নিজের আয়ত্বে রেখে পলিটিক্স করতে হবে। ঠিক ক্লাস ম্যানেজমেন্টের মতই দেশ ম্যানাজমেন্টও শিখতে হবে।
জেনারেশন গ্যাপ এত সহজ নহে।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদেরকে প্রায়ই ট্রেনিং করতে হয় নিউ জেনারেশনের সাথে তাল মিলিয়ে তাদের মন জুগিয়ে কি করে পড়ালেখা গিলিয়ে দেবো, সেই বিষয়ে। বর্তমান জেনারেশানকে বোঝা আর তাদের মতো করে বিষয়বস্তুকে হ্যান্ডেল করার জন্য এই ট্রেনিংটা খুবই জরুরী। এখানেই আমাদের নেতা-নেত্রীদের বিরাট কমতি আছে। তারা মনে করে, সবাই তাদের পদলেহিদের মতো আচরণ করবে।
জেনারেশন গ্যাপ এত সহজ নহে। এটা বোঝার মতো মেধা বা যোগ্যতাই তো এদের নাই। এদের ট্রেনিং দিয়েও খুব একটা লাভ হবে না। এদের জন্য ''শ্রীলংকা ট্রিটমেন্ট'' খুবই জরুরী, তাতে যদি কারো কারো কোন হুশ আসে!!!!
৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৩১
মিরোরডডল বলেছেন:
কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখেছি।
তিনি তার শোক প্রকাশ করতে একটি কালো শাড়ি পরে এসেছেন।
কি লাভ এখন এসব করে!!
যে মানুষগুলো চলে গেছে তারা কি ফিরে আসবে???
শিক্ষার্থীদের বয়স কম, তাদের বোঝার ভুল হতে পারে।
তাই বলে মেরে ফেলবে!!!! তরুণ প্রানগুলোর কোন মূল্য নেই!!!
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কালো শাড়ি পড়ে ভং চং করা উনার পক্ষেই মানায়।
শিক্ষার্থীদের বয়স কম, তাদের বোঝার ভুল হতে পারে। তাই বলে মেরে ফেলবে!!!! তরুণ প্রানগুলোর কোন মূল্য নেই!!! শিক্ষার্থীরা এখনও ভুল কিছু করে নাই। তারা যা বলতে চাচ্ছে তা বোঝার মতো মগজ থাকলে না বুঝবে!!!! কবে কোন স্বৈরাচারের কাছে প্রাণের মুল্য ছিল? স্বৈরাচার শুধু চিনে চেয়ার।
৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৩৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: হেলমেটলীগরে শায়মা আপুর কাছে ট্রেইনিং নিতে পাঠানি দরকার ।তাইলেই সব সমস্যার সমাধান !!!!!!
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওগোরে ঠেললেও শায়মার কাছে ট্রেনিং লইতে যাবে না।
১০| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখেছেন সেটার উপর অনেক কিছু বলা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে গত ১৫ বছর ধরে বিরাজমান অবস্থায় অনেকে কিছুই বলার থাকলেও বলা মুশকিল। তারপরেও বলার চেষ্টা করছি।
মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা পরবর্তীতে তৈরি করা হয়েছে সেভাবে চিন্তা করলে এই দেশের ৯৫% লোক মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কথা। যারা নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল চেতনার রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে কথা বলার একমাত্র হকদার দল বাংলাদেশে একটাই আছে। গত ৫৩ বছর ধরে এই দল চেতনার ব্যবসা এবং অপরাজনীতি অত্যন্ত সফলতার সাথে করেও গেছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় থেকেই সেই দলের সমর্থক ভিন্ন অন্য কোন দলের তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং এ নেয়া হতো না। এই দলের কতিপয় নেতা কর্তৃক একটা বিশেষ বাহিনী তৈরি করা হয় ঐ সময়েই যারা তাজউদ্দীন আহমদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। অনেক মুক্তিযোদ্ধাই জানতে চান যে এরা ১৯৭১ সালে কোথায় যুদ্ধ করেছিল বা আদৌ যুদ্ধ করেছিল কি না। শোনা যায় এরা সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা দলের উপরেও অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়েছে। মুলত এদেরকে নিয়েই পরবর্তীতে নাৎসি বাহিনীর মত একটা বাহিনী তৈরি করা হয় যাদের গুরুত্ব এবং ক্ষমতা তৎকালীন সামরিক বাহিনীর চেয়েও বেশী ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে দলাদলি তখন থেকেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় করা হয়েছে। অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যেও কুলিন শ্রেণী তৈরি করা হয়।
এই দলের প্রধান নেতা এক সময় রাজনীতির নামে রাজাকার দলের সাথে ওঠা বসা করেছে এবং প্রয়োজনে রাজাকার প্রধানের দোয়াও নিয়েছে। তবে সম্ভবত রাজাকারের দোয়া নিলে রাজাকার হয় না। মেয়ের বিয়ে দিলেও মনে হয় রাজাকার হয় না। মেয়ের দিক থেকে রাজাকারের নাতিপুতিদের জন্য আসলে বিশেষ ছাড় দিয়ে কোন আইন তৈরি করা উচিত বলে আমি মনে করি। যে আইনে বলা থাকবে যে রাজাকারের নাতি অবশ্যই রাজাকার তবে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ওনারা রাজাকারের নাতি বলে পরিগনিত হবে না। তার মধ্যে উল্লেখ থাকবে যে, দেশের একটি বিশেষ পরিবারের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের কারণে ওনাদের পরিবারের মেয়েদের বা ছেলেদের বিয়ে রাজাকারের সাথে হলেও ঐ ঘরের সন্তানদের রাজাকার বলা যাবে না।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কামের ফাকে ফাকে মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছি। বিরাট মন্তব্য। ভালো ভাবে পড়ে তারপর কিছু বলার চেষ্টা করবো।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তৎকালীন দেশের জনসংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি ধরলে শতকরা বড় জোর ২/১ ভাগ সক্রিয় বা মনমানসিকতায় রাজাকার ছিল। বাকী সবাই-ই তো এক অর্থে মুক্তিযোদ্ধা। হয় সবাইকেই সেই মর্যাদা দেয়া উচিত, নয়তো এই স্ট্যাটাসটাকে ১৯৭২ সালের মতো সীমিত রাখাই যুক্তিযুক্ত ছিল। এটাকে প্রসারিত করাই হয়েছে ধান্ধাবাজির জন্য। আর এটা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষাকরনের দাবীদার চেতনা লীগের কল্যানে। আজকের এই অবস্থার জন্য এই অসৎ উদ্দেশ্যই দায়ী।
মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে দলাদলি তখন থেকেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় করা হয়েছে। অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যেও কুলিন শ্রেণী তৈরি করা হয়। সঠিক বলেছেন। যুদ্ধের সময়ে মুজিব বাহিনীসহ এমন আরো কিছু বাহিনীর নাম শোনা যায়, আর রক্ষীবাহিনী তো ছিল মার্কামারা!!! স্বাধীনতার সময় থেকেই যে ভেদাভেদ তৈরীর চেষ্টা করা হয়েছে, তার মোটামুটি একটা পূর্ণতা পেয়েছে এই সরকারের আমলে।
আপনার শেষের প্যারার প্রতিটা কথার সাথে আমি একমত। এই ব্যাপারে আমরা একটা পিটিশানের পেইজ খুলতে পারি। তবে সেই পেইজ যদি কেউ খাইয়া দেয়, তাইলেই বিপদ। খুব ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
১১| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪৮
শায়মা বলেছেন: আমি শুধু আবু সায়িদের ভিডিওটা দেখেছিলাম। তারপর থেকে আমার সারাদিন নিরানন্দ এবং বিষাদে ভরে গেছে। আহারে বোকা ছেলেটা। কখনই ভাবেনি পুলিশ ওকে গুলি করতে পারবে।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তারপর থেকে আমার সারাদিন নিরানন্দ এবং বিষাদে ভরে গেছে। সেইম হিয়ার। গতকাল যখন এই ভিডিওটা দেখি, বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল যে, এটাই আমাদের বাংলাদেশ।
ছেলেটা অবশ্যই বোকা। নাহলে স্বৈরাচারের পুলিশ সম্পর্কে তার একটা ন্যুনতম ধারনা থাকতো। তবে এই বোকাদের বোকামী থেকেই এক সময়ে দেশ, দেশের মানুষ জেগে ওঠে। ইতিহাস সাক্ষী।
১২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
একটা দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথা বলার সময় আরো সংযত হওয়া উচিত।
আজকের আগের যে দুইটা স্পিচ, ওগুলো দেখে আমি শকড হয়েছি!!!
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথা বলার সময় আরো সংযত হওয়া উচিত। কর্ম আর সত্যকথন দিয়ে সন্মান অর্জন করতে হয়, কেউ হাতে ধরে সন্মান করবে না।
১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০১
শায়মা বলেছেন: ৯. ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৩৩০
ঢাবিয়ান বলেছেন: হেলমেটলীগরে শায়মা আপুর কাছে ট্রেইনিং নিতে পাঠানি দরকার ।তাইলেই সব সমস্যার সমাধান !!!!!!
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪৮০
লেখক বলেছেন: ওগোরে ঠেললেও শায়মার কাছে ট্রেনিং লইতে যাবে না।
সব দেখতেসি কিন্তু। শুধু মনটা বেশি খারাপ তাই চুপ আছি।
তবে যাই বলো আর তাই বলো আজকালকার ছেলেমেয়েদের সাথে যা খুশি তাই বলে দিলেই হয় না। সমঝে কথা বলা উচিৎ। মোট কথা ওদেরকে তুচ্ছ করে যা খুশি তাই বলে দিলাম আর মেনে নিলো আগের দিনের মত এটা ভাবাও ভুল। এখনকার ছেলেমেয়েরা নিজেদের ব্রেইন ইউজ করতে জানে। নিজের স্বার্থে যা খুশি বুঝাই দিলেই বুঝবে এটা ভাবাই বৃথা। ট্রেইনিং সত্যিই দরকার ভাইয়া। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে অভিভাবক, শিক্ষক আর যারা ছাত্র রাজনীতি চালায় তাদেরকে তো বটেই শিখতে হবে জানতে হবে, প্রয়োজনে ট্রেইনিং করতে হবে। এটা হাসো আর ফান করো আসলেও সত্য কথা।
আমি সেদিন থেকেই ভাবছিলাম এই ছেলেদের মনস্তত্ব নিয়ে। ঠিক এমনই হবার কথা ছিলো কারণ এটা যুগের পরিবর্তন। মান্ধান্তার আমলের বুদ্ধি দিয়ে এদেরকে চালানো যাবে না। ভয় দেখানো তো যাবেই না। যুগে যুগে এমনই দেখা গেছে আর এখনকার ক্লাস টেনের ছেলের যে চিন্তা চেতনা বুদ্ধিমত্তা তা আগের দিনের মাস্টার্সেরও ছিলো না।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখনকার ছেলেমেয়েরা সম্পূর্ণ বিশ্বকে দেখছে হাতের তালুর মতো করে। এদেরকে ললিপপ দিয়ে বুঝ দেয়া যে সম্ভব না, সেটা বুঝতেও তো কিছু জ্ঞান দরকার। সেটা আমাদের তথাকথিত নেতা-নেতৃদের মধ্যে কোথায়? এদের ট্রেইনিং দিয়ে খুব একটা লাভ হবে বলে মনে হয় না। মানুষ স্বভাবগত ভাবেই খারাপ জিনিসটা দ্রুত এডাপ্ট করতে পারে। ভালো জিনিস শেখার জন্য শেখার মানসিকতা থাকতে হবে। সারাজীবন মিথ্যা বলা আর প্রতারণা করার মধ্য দিয়ে যারা গড়ে উঠেছে, তাদেরকে বদলানো মুখের কথা না। আমাদের দরকার নতুন জেনারেশান থেকে নতুন নেতৃত্ব, যারা চিন্তা চেতনায় ডায়নামিক।
মন আমারও খুবই খারাপ। কিন্তু স্বভাবগত কারনেই আমি সেটা প্রকাশ কম করি। একেক জনের মেন্টাল বিল্ড-আপ একেক রকমের। তোমারটা নিয়ে এই জন্যই বেশী ফান করছি না। প্রত্যেকটা মানুষের মনোজগতকে আমাদের সন্মান জানাতে হবে।
১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৮
মিরোরডডল বলেছেন:
সাঈদের মৃত্যুও আছেই, প্রত্যেকটা মৃত্যুই খারাপ লেগেছে।
আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত না, নিরীহ মানুষও মারা গেছে।
পুরো বিষয়টাই এতো ব্রুটাল!!!!
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রতিটা মৃত্যুই অগ্রহনযোগ্য। কিন্তু কিছু মৃত্যু আছে যেগুলো সদিচ্ছা থাকলে এড়ানো যায়। শাসকরা যদি ব্রুটালিটি প্র্যকটিস করে, তাহলে এমন ব্রুটাল মৃত্যু আমাদের আরো দেখতে হবে। সবার তৈরী থাকা উচিত।
১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৬
আমি সাজিদ বলেছেন: রঙ হেডেড - এর মুখ ফসকে কথা বের হয়ে যাওয়া নতুন কিছু তো না৷ এখন পিয়ন মিয়নকে মুখ ফসকে ধমক দিলেই তো আর চারশত কোটি চুরি করতো না!
এক শ্রেণীর লেখা পড়ে মজা পাচ্ছি এখন। এরা এখানে মায়াকান্না জুড়ে দিয়েছে যে, কেন অমুকরা নিজেদের রাজাকার বললো!
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ''সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক তিরস্কৃত''................তারপরেও যদি লজ্জা না হয়, তাহলে আপনি আমি কি করতে পারি?
ব্লগে জোকারের অভাব নাই। সার্কাস চলছে আনলিমিটেড। আমি বুঝি না, মানুষ নিজের বিবেককে বিক্রি করে কিভাবে? এরা কোন জাতের মানুষ?
১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৩৪
মিরোরডডল বলেছেন:
কিন্তু কিছু মৃত্যু আছে যেগুলো সদিচ্ছা থাকলে এড়ানো যায়।
absolutely agree.
এই পুলিশকে বিচারের আওতায় আনা দরকার।
প্রথমত, মেরে ফেলার মতো সাঈদ কোন অপরাধ করেনি।
যদি কেউ অপরাধীও হয়, তাকেও এভাবে মারতে হয়না।
এক্সট্রিম লেভেলের অমানবিকতা!!!
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: absolutely agree. এই পুলিশকে বিচারের আওতায় আনা দরকার। এখানেই তো সমস্যা। এই পুলিশের পুলিশ পদক পাওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না।
প্রথমত, মেরে ফেলার মতো সাঈদ কোন অপরাধ করেনি। যদি কেউ অপরাধীও হয়, তাকেও এভাবে মারতে হয়না। এক্সট্রিম লেভেলের অমানবিকতা!!! সাঈদ কোন অপরাধই করে নাই। কেউ দেখাক...........কি তার অপরাধ? আমি যদি ডিফেন্ড করতে না পারি, মেনে নিবো। মানবতা........মানবাধিকার হলো স্বৈরাচারদের কাছে অপাংক্তেয় সাবজেক্ট। স্যরি, আবার স্বৈরাচার বলে ফেললাম। এই শব্দটাকে ব্লগে ব্যান কের দিলে কেমন হয়?
১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক কিছু লিখে অনেকক্ষণ দ্বিধায় ছিলাম, সাবমিট করবো কিনা। স্থির সিদ্ধান্ত এখনই নিলাম, সাবমিট করবো না। তবে আমার কথাগুলো দুটো কমেন্টে ফুটে উঠেছে, সেটা পড়ে ভালো লাগলো।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নো প্রবলেম। সবার সব কিছু না বললেও চলবে। কিছু কথা অব্যক্তই থাক!!!!
১৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৩৮
মিরোরডডল বলেছেন:
@আমি সাজিদ
কেমন আছে সাজিদ?
অনেকদিন পর দেখছি।
Hope everything is alright.
১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪০
আমি সাজিদ বলেছেন: এই রাজনীতি আমাদের জাতি হিসেবে অনেকটা পিছিয়ে নিয়ে গেছে। সরকারি চাকরির জন্য আন্দোলনের প্রশ্নই আসতো না যদি সারা দেশের সুষম চাকরির সুযোগ থাকতো।
আন্দোলনের বিষয় হবে সারা দেশে একই মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দাবীতে, শিক্ষাব্যবস্থাকে নড়বড়ে করার প্রতিবাদে, দেশ বিক্রি করে দেওয়ার প্রতিবাদে, সরকারী রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় অবৈধ দখলদারের আস্ফালনের বিরুদ্ধে, ক্ষমতা চুরি/ ভোট চুরির বিরুদ্ধে।
সরকারি চাকরি নিয়ে কেন আন্দোলন হয়? এর পেছনে, বিগত এক যুগে দেশের আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক পরিবেশের সাম্যাবস্থা নষ্ট হওয়াটাও বড় ফ্যাক্টর নয় কি? নাকি এই আন্দোলন সব ক্ষোভের একটা বহিঃপ্রকাশ মাত্র?
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মূল বিষয়টা হলো দূর্ণীতি। এর ইমিডেয়েট বাই প্রোডাক্ট হলো, দেশপ্রেমের অভাব আর নিজের আখের গোছানো। এই পর্যন্ত হলে বাকীসব একে একে হাত ধরাধরি করে আসতে থাকবে।
বর্তমানে আন্দোলন করার মতো বিষয়বস্তুর অভাব নাই। যে কোনও সময়ে যে কোনওটা সামনে আসতে পারে। ফুটন্ত কড়াই রেডি, শুধু কোন একটা ট্রিগার পেলেই...............!!!!
২০| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৩
আমি সাজিদ বলেছেন: হ্যালো মিরোর, এমনিতে সব ভালো। দেশের খবর দেখে মন খারাপ।
২১| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমাদের জেলার মুক্তিযুদ্ধার আহ্বায়ক ওনি আমার ফ্যামিলী মেম্বার। ওনার জন্য আমাদের পরিবারের বেশ কয়েকজন মুক্তি যুদ্ধা এমন কি আমার বাবা চাচারা ৭ ভাই তাদের ৫ জনই মুক্তি যুদ্ধা। কথা হলো আমাদের এক দাদা আমাদের এলাকার একজন রাজাকার ছিলেন। যে কিনা মুক্তিযুদ্ধার আহ্বায়ক চাচার আপন বড় চাচা। মুক্তিযুদ্ধার নিকটতমরাও রাজাকার ছিলেন। এখন এইসব হয়ে গেছে দেশে রাজনৈতিক ট্রেন্ডিং। আমাদের বলার কিছু নেই , বলতে পারবো না। বললেই মূখ চেপে ধরা হবে!
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইজন্যই দেশে মিশ্র প্রজাতী বলে একটা টার্ম চালু হয়েছে। যে যার স্বার্থ অনুযায়ী রিয়্যাক্ট করে। আপনার মতো পরিস্কার করে কয়জন বলে? খুবই কম।
২২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫১
জটিল ভাই বলেছেন:
আপনার এই কে বা কারা পোস্ট পড়িয়া সুবর্ণ জয়ন্তির শ্রেষ্ঠ ব্লগার নির্বাচন(!) সময়কাল হতে আমার মনের সাথে যুদ্ধ করা সেই অবান্তর প্রশ্নটিই শুধু মাথায় আসছে, "ব্লগার কে কা কাহারা???"
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: "ব্লগার কে কা কাহারা???" এই কথার মানে কি? কেকা চৌধুরীর কথা কন নাকি? তাইলে মাঝখানে একটা স্পেস পড়ছে!!!!
২৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫২
মিরোরডডল বলেছেন:
সাঈদ কোন অপরাধই করে নাই। কেউ দেখাক...........কি তার অপরাধ? আমি যদি ডিফেন্ড করতে না পারি, মেনে নিবো
ভুমেরও মনে হয় আমার কথা বুঝতে প্রব্লেম হয়।
এতদিন জানতাম শুধু জটিলের আমার কথা বুঝতে সমস্যা হয়।
আমি বলেছি সাঈদ কোন অপরাধ করেনি যে তাকে মেরে ফেলতে হবে।
যদি কেউ অপরাধীও হয়, তাকেও এভাবে মারতে হয়না।
এর মানে হচ্ছে যে মানুষ অপরাধ করে, তাকেও এভাবে মরতে হয়না।
এভাবে মানুষকে মারাটা ব্রুটাল, এটাই বলতে চেয়েছি।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথমত, মেরে ফেলার মতো সাঈদ কোন অপরাধ করেনি। এটা ছিল মন্তব্য, তাই না!!! এর মানে হলো, সাঈদ খানিকটা অপরাধ করেছে, তবে মেরে ফেলার মতো অপরাধ করেনি। এটাই বুঝেছি আমি। অবশ্য আমি একটু বেকুব কিসিমের। আমার বোঝার ভুল হতেই পারে।
এর মানে হচ্ছে যে মানুষ অপরাধ করে, তাকেও এভাবে মরতে হয়না। এভাবে মানুষকে মারাটা ব্রুটাল, এটাই বলতে চেয়েছি। এটা মনে হয় ঠিকঠাক বুঝেছি।
২৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৩
মিরোরডডল বলেছেন:
টাইপো **মারতে হয়না**
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটাও ঠিকঠাক বুঝেছি।
২৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি সাজিদ বলেছেন: হ্যালো মিরোর, এমনিতে সব ভালো। দেশের খবর দেখে মন খারাপ।
হুম, দেশের অবস্থা এক কথায় ভয়াবহ!
মাঝে মাঝে আসবে।
অনেকদিন প্রিয় ব্লগারদের না দেখলে ভালো লাগে না।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সাজিদকে আমিও বহুদিন পরে দেখলাম। পুরানো ব্লগারদের দেখলে ভালো লাগে। পুরানো অনেক ক্যাচাল, অনেক কথা মনে পড়ে যায়!!!!!
২৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০৬
ধূসর সন্ধ্যা বলেছেন: চেতনার ফেরিওয়ালা মুহাম্মাদ জাফর ইকবালের নানা সেই সময়ে পিচ কমিটির চেয়ারম্যান ছিল ।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মুহাম্মাদ জাফর ইকবালের নানা সেই সময়ে পিচ কমিটির চেয়ারম্যান ছিল। এমনটাই শুনেছি। জাফর ইকবাল যুদ্ধে কেন যায় নাই সেটা কি কোথাও ক্লিয়ার করেছে?
২৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: তাহলে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামীলীগ ২০১৬ সালে মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা তৈরি করে, মুক্তিযোদ্ধা নাম দিয়ে কাউকে নানা ধরনের সুবিধা পাইয়ে দেবার জন্য!!!
তাই মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, সরকারের এই সংজ্ঞায়ন অবিবেচনা প্রসূত ও অবৈজ্ঞানিক। সরকার চাইলে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত সবাইকে সম্মানীত করতে ও স্বীকৃতি দিতে পারে কিন্তু সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা আখ্যায়িত করতে হবে কেন?
এই কথাগুলো যেখান থেকে নিয়েছেন আপনি সেটার লিংক দিয়ে দিয়েছেন, ধন্যবাদ।
আমিও একমত এই কথায়। সরকার সকলকে পদক দিতে পারতো, মাথাপিছু কোটি টাকা দিতে পারতো, আরও অনেক কিছু দিতে পারতো, কিন্তু কেন তবে এদের মুক্তি যোদ্ধা বানাতে গেল!! কারণ মুক্তিযোদ্ধা বানালে এদের পুরুষানুক্রমে নানা সুবিধা দেয়া হবে, বিনিময়ে এরা সরকারের সব অন্যায়কে জায়েজ করার কাজ করবে!! শুধু চাকরি কোটা কেন, মুক্তিযোদ্ধারা আরও অনেক কোটা পান যেমন অতি লাভজনক রাজউকের প্লটে যে বারো ক্যাটাগরি আছে (অর্থাৎ ১২ শ্রেণীর কোটা) তার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংখ্যার দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে। রাজউকের প্লটের আবেদন পত্রে একটা ছবি দিলাম মুক্তিযোদ্ধা কোটা দ্যাখেন তৃতীয় সর্বোচ্চ!!
যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় খাবার তথ্য আশ্রয় ইত্যাদি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছে তারা কি মুক্তিযোদ্ধা না?
এদের মুক্তিযোদ্ধা বলতে গেলে একটু সমস্যা আছে কারণ দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ মানুষ এই শ্রেণীতে পড়ে।
আপনার রাজাকারের নাতির সমস্যা দেখে চিন্তায় পড়লাম। এটা এই পোস্টে না দিয়ে আলাদা একটা পোস্ট দিতে পারতেন... ব্লগের জোকারদের মন্তব্য দেখে বিনোদিত হতে পারতাম!
অনেক খাটাখাটনি করে বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন, +++++
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আওয়ামীলীগ ২০১৬ সালে মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা তৈরি করে, মুক্তিযোদ্ধা নাম দিয়ে কাউকে নানা ধরনের সুবিধা পাইয়ে দেবার জন্য!!! একটা সহজ বিষয়কে জটিল করে তোলার পিছনে অবশ্যই কোন কুটিল মোটিভ কাজ করবে।
সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য যে কোনও কিছুই করতে পারতো। সেসব নিয়ে কেউ কোন আপত্তিও করতো না। কিন্তু একটা বিষয়, যেটা নিয়ে আগেও ঝামেলা হয়েছে, সেটাকে উস্কে দেয়ার একটাই কারন হতে পারে..........অন্য কোন ঘটনাপ্রবাহ থেকে জনগনের মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া।
ব্লগের জোকারদের মন্তব্য দেখে বিনোদিত হতে পারতাম! আরেকটা পোষ্ট!!!! এটাই দিতাম না। খুবই কাজের চাপে আছি। এই পোষ্ট দেয়ার ফলে চাপ আরো বাড়লো। তারপরেও দিলাম। ছাত্ররা তাদের জীবন বিপন্ন করছে, সেখানে আমার এই সমস্যা কিছুই না।
বাই দ্য ওয়ে, ব্লগের জোকাররা সাধারনতঃ আমার পোষ্টের ধারে-কাছে আসে না। এপ্রিশিয়েট করার জন্য ধন্যবাদ আপা।
২৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: যারা স্বাধীনতাবিরোধী তারাই রাজাকার।
আওয়ামী লীগ আর কখনো জামায়াতের সাথে একই প্লাটফর্মে এসে রাজনীতি করতে পারবে না।
খন্দকার মোশাররফ এর ছেলের সাথে যখন পুতুলের বিয়ে হয় তখন হয়তো শেখ হাসিনা এতো কিছু মাথায় রাখেন নি। একজন রাজনীতিবিদকে অনেক দূরদর্শী হতে হয় কিন্তু আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা তার ব্যতিক্রম। তারা নগদ নারায়ণে বিশ্বাসী।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে আর ছাত্রদের আন্দোলন বলে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। এটা স্পষ্ট সরকারবিরোধী।
মুক্তিযুদ্ধ কোটা নিয়ে অনেক মানুষের এলার্জি থাকা স্বাভাবিক। কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকে পরিবারই বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি।
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আওয়ামী লীগ আর কখনো জামায়াতের সাথে একই প্লাটফর্মে এসে রাজনীতি করতে পারবে না। ক্ষমতায় থাকার জন্য আবার যদি দরকার পড়ে, অবশ্যই করবে। হালুয়া-রুটির মজা একবার যে পায়; সে সেটা না খেয়ে থাকতে পারে না।
খন্দকার মোশাররফ এর ছেলের সাথে যখন পুতুলের বিয়ে হয় তখন হয়তো শেখ হাসিনা এতো কিছু মাথায় রাখেন নি। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, এন্টি-রাজাকারিজম, মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধা যাদের ব্যবসার মূলধন, তেমন একটা রাজনৈতিক দলের কর্ণধার সম্পর্কে আপনার ধারনা খুবই দূর্বল প্রকৃতির।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে আর ছাত্রদের আন্দোলন বলে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। এটা স্পষ্ট সরকারবিরোধী। হয় আপনি ঘটনার পর্যায়ক্রম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না; অথবা জেনেশুনেই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। আপনার কি জানা নাই যে শুরুতে এটা শুধুমাত্র কোটার বাতিলও না, পরিবর্তন চেয়ে আন্দোলন ছিল; সরকারই পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে বাধ্য করেছে ছাত্রদেরকে প্রতিক্রিয়া দেখাতে?
মুক্তিযুদ্ধ কোটা নিয়ে অনেক মানুষের এলার্জি থাকা স্বাভাবিক। কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকে পরিবারই বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। আপনি সম্ভবতঃ মনোযোগ দিয়ে পোষ্টটা পড়েন নাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে শতকরা কতো ভাগ স্বাধীনতা চায়নি বলে আপনার মনে হয়?
২৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:২৫
ধুলো মেঘ বলেছেন: শাহবাগের সেই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের গর্বিত মুক্তিযুদ্দারা এখন কই? তাদের জন্য কোন কুটা কাটা নাই? ইমরান দা কই? লাকি দি কই? এরা কই ভেগেছে? আন্দোলনে/প্রতিআন্দোলনে এরা নেই কেন?
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরেকটা যুদ্ধে তাদের আর কোন ইন্টারেস্ট নাই। যেখানে ইন্টারেস্ট নাই, সেখানে তারাও নাই। সোজা হিসাব।
৩০| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪
দি এমপেরর বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। তবে মাথা ঠাণ্ডা না রাখলে যে কী হতে পারে তার উদাহরণ তৈরী হয়ে গেল সারাজীবনের জন্য।
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রশ্নগুলো কি বেশী কঠিন হয়ে গিয়েছে?
তবে মাথা ঠাণ্ডা না রাখলে যে কী হতে পারে তার উদাহরণ তৈরী হয়ে গেল সারাজীবনের জন্য। এটা কি কোন নির্দিষ্ট পরিপ্রেক্ষিতে বলা?
৩১| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৪১
দি এমপেরর বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রশ্নগুলো কি বেশী কঠিন হয়ে গিয়েছে?
তবে মাথা ঠাণ্ডা না রাখলে যে কী হতে পারে তার উদাহরণ তৈরী হয়ে গেল সারাজীবনের জন্য। এটা কি কোন নির্দিষ্ট পরিপ্রেক্ষিতে বলা?
প্রশ্নের উত্তর আমি একরকম দিলেও অন্য কেউ আবার বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে আমার উল্টোটাও দিতে পারে। আর মাথা ঠাণ্ডা রাখার ব্যাপারটা অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিপ্রেক্ষিতে বলা। এই যেমন এখন কিছুটা ঠাণ্ডা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন https://www.prothomalo.com/politics/k7gdkm5cpd
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রত্যেকেই যার যার বিচার-বুদ্ধি-বিবেচনা থেকেই কথা বলে। যুক্তি-পাল্টা যুক্তি দেয়। আরেকজন কি বলবে সেটা চিন্তা করে তো আমরা আমাদের চিন্তা-ভাবনায় প্রতিবন্ধকতা আনতে পারি না।
এতো এতো রক্ত ঝরানোর পর সরকার আলোচনায় আসছে? গাধা যেভাবে ঘোলা করে পানি খায়, তেমন আচরণ যদি একটা সরকারে বসে থাকা ইতরের দল করে, তাহলে বিষয়টা কেমন দেখায়? এখনকার প্রেক্ষিত আর শুরুর প্রেক্ষিত এক না। সরকারকে তার প্রতিটা কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে আগে।
৩২| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:১২
আরোগ্য বলেছেন: সেদিন তো মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা রচিত হয়েই গেল। যারা রাক্ষসীর দল ছাত্রলীগ করে তারাই মুক্তিযোদ্ধা আর বাকি আমরা সব রাজাকার। তবে এই মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য অবশ্য হিংস্র আর নির্লজ্জ হতে হবে। ব্লগেও এমন নরপিশাচ সদর্পে ঘুরে ফিরে। আসুন এদের বয়কট করি।
২০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুধু মুক্তিযোদ্ধা কেন, আওয়ামী লীগের লোকজন তাদের নিজেদেরে সুবিধার জন্য আপন পিতৃপরিচয়ই বদলে দিতে পারে। এতোটা নীচে যারা নামতে পারে, তাদের পক্ষে যে কোনও কিছুই সম্ভব। ব্লগের গুলো কি এর বাইরের কিছু হতে পারে? একেবারেই না। আপনি খেয়াল করেছেন কিনা জানি না, এদের সাথে আমি কোন আলোচনাতেই যাই না। কারন, ফালতু লোকজনের সাথে ফালতু কথা বলে নষ্ট করার মতো সময় আমার একদম নাই।
৩৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে বর্তমানে আওয়ামীলীগের চেতনার ফিল্টারে যারা উত্তীর্ণ উনারাই।
২০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে বর্তমানে আওয়ামীলীগের চেতনার ফিল্টারে যারা উত্তীর্ণ উনারাই। অবস্থাদৃষ্টে তাই তো মনে হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি যে কোনও সময়েই বদলাতে পারে।
৩৪| ২০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:০৯
আমি সাজিদ বলেছেন: বিবিসির আপডেট বলছে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে৷ ত্রিশ মিনিট আগের আপডেট। ফেসবুক এই কয়দিন চালু করেছি আপডেট পেতে, কোনটা গুজব কোনটা ঠিক বুঝার উপায় নাই। কি হচ্ছে দেশে? আমি যোগাযোগ করতে পারি নাই। আপনার কাছে লেটেস্ট সলিড কোন আপডেট আছে?
২০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নাগরিক টিভি'র একটা লাইভ হচ্ছে। যেটা আমি দেখছি। আমার এনালাইসিস আর পূর্ব অভিজ্ঞতা বলছে পোষ্টে আমি লিঙ্ক দিয়েছি। এখন থেকেই দেখতে পারেন অথবা পেছনদিকে টেনেও দেখতে পারেন।
২০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার ৫নং মন্তব্য দেখেন
২০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটার মধ্যে প্রচুর লেটেস্ট ইনফো আর ভিডিও আছে। আমি এটা চালু রেখেছি। আলোচনার ফাকে ফাকে যখনই তারা কোন কিছু পায়, শেয়ার করছে।
৩৫| ২০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৩২
নব অভিযান বলেছেন: নির্বাচনী সংস্কৃতি চালু হোক!
২১ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এর কোন বিকল্প নাই।
৩৬| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৫৯
রবিন_২০২০ বলেছেন: লেখাটি ভালো লেগেছে। লাইক দিলাম।
২১ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ। লাইকানোর জন্য এক্সট্রা ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
নতুন বলেছেন: বাঙ্গালী আবেগী জাতী। চেতনা বিক্রির ব্যাবসা খুবই ভালো চলছে।
জিয়ার কোটায় খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর কোটায় শেখ হাসিনা প্রাধানমন্ত্রী।
দুই দলেই কিন্তু কোন নির্বাচন হয় না, এই দুই পুতুল সামনে রেখে যদি ক্ষমতায় আসা যায় তবে কোটি কোটি টাকা পকেটে আসে।
আসল ধান্দাটা এই খানে। মাঝ খানে খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা মনে করে আমি কি হনু রে।
তাকে যে পুতুল হিসেবে উপরে রেখে সবাই সর তুলে খাচ্ছে সেটা তারা বুঝতে পারবেন যদি দলের দূনিতি নিয়ে চাপ দেয় তখন।
আমরাও জনগন বোকা, নতুবা এই দলের চেতনা বিক্রির ব্যাবসা বাড়াতে সাহাজ্য করি।
ব্লগেও কিছু আছে যারা সব কিছুতেই জামাত./শিবির দেখে। কিন্তু এটা দেখে না যে চেতনা বিক্রি করে দেশের কোটি কোটি টাকা লুটে খাচ্ছে কারা??? নেতারা রক্তগরম করা ভাষন দেবে... ৭১ এর রাজাকারের আত্নাদের প্রতিহত কর, আর অন্ধ ভক্তরা জনগনের উপরে ঝাপিয়ে পরবে।
আরে যদি দেশ প্রেমই থাকতো তবে নেতারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয় কি ভাবে??????