নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বউ জানে যে, আমি কবিতা পড়ি না। তারপরেও আজ সকালে অফিসে ফোন করে মেইল চেক করতে বললো। বললো, ''একটা কবিতা আর কবিতার লিঙ্ক পাঠিয়েছি। কবিতা না পড়তে চাইলে যাতে শুনতে পারো''। কবিতাটা শুনতে শুনতে কেন যেন চোখে পানি চলে এলো। আপনারা ইতোমধ্যে অনেকেই নিশ্চয়ই পড়ে ফেলেছেন বা শুনেছেন। তবুও ভাবলাম ব্লগে শেয়ার করি। সবারই নিশ্চয়ই পড়া বা শোনা হয় নাই!!!!
গোল্ডফিশের কান্না
লেখা: রওশন আরা মুক্তা
একটা বিল্ডিং-এর মূল্য
তোমার ছেলের জীবনের চেয়ে অনেক বেশি।
একটা ওভারব্রিজের দাম
তোমার হাজার ছেলের লাশ দিয়েও কি চুকাতে পারবে?
একটা মেট্রোস্টেশন কি গর্ভে ধরতে পারবে তুমি?
...
যেদিন তোমার পেটে ধরতে পারবে
আস্ত একটা মেট্রোরেল,
যেদিন তোমাদের কোলে দোলাতে পারবে
একটা গোটা দেশের ডেটা সেন্টার,
যেদিন তোমার স্তন থেকে দুধ না
ঝরবে বিটিভির বাম্পার ফলনের সংবাদ,
যেদিন তোমরা মানুষের বাচ্চা না,
জন্ম দিবে বাস-ট্রাক, ওভারব্রীজ
সেদিন বুঝতে পারবে,
একটা বিল্ডিংয়ের মূল্য
তোমার রক্ত-মাংসের সন্তানের চেয়ে
আসলেই অনেক বেশি।
তখন চুমু খেয়ো ঐ ইট সিমেন্টের শরীরে
গাড়িগুলোকে পাশে শুইয়ে দিও হাত বুলিয়ে
পদ্মাসেতুটাকে পাঠিও ভার্সিটিতে,
পাবলিকে নাহয় প্রাইভেটে
আর রাতে ঘরে ফেরার অপেক্ষা করো
প্রিয় ওভারব্রীজ-টার, স্টেশন-টার।
মুখে ভাত তুলে খাইয়ে দিও বিটিভি-টাকে।
'বাবা' বলে ডেকো শখের মেট্রোরেল-টাকে।
আর ভুলে যেও, সব ভুলে যেও।
রক্ত মাংসের কোনো ছেলে ছিল তোমার
পেটে ছিল পিঠে ছিল কোলে ছিল
ভুলে যেও, তুচ্ছ নগণ্য ঐ মনুষ্য সন্তান
কখনও তোমাকে মা ডেকেছিল
তোমার ঘরে এখন বিটিভি,
তোমার বিছানায় এক্সপ্রেসওয়ে
তোমার আচল ধরে আছে মেট্রোরেল
আর কী চাই তোমার?
যাও চুমু খেয়ে নাও ভবনটাকে, চেয়ারটাকে, হেলিকপ্টার-টাকে!
তারপর ঘুমিয়ে যাও
সকালে আবার তোমার বিল্ডিংগুলোর ক্লাস আছে।
শুনতে পারেন এখানে।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার উপলব্ধি আপনার!!!!
২| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯
পাইকার ১.১.২ বলেছেন: পিটিশন ওয়ালা পোস্টটা কি মঠু মুছছে?
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: না। আমি ড্রাফটে নিয়েছি।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বলার কোনো ভাষা নাই আসলে। কোনো মানবহত্যা বা গণহত্যা ব্যতীত কোনো দুর্বিপাকে এ মেট্রোরেল বা মূল্যবান সম্পদ ধ্বংস হলে সারাদেশের মানুষই আফসোসে ফেটে পড়তো। কিন্তু মানুষের বুকে পাখির মতো গুলি চালিয়ে মেরে ফেলার পর সেই মানুষের জন্য চোখের পানি না ফেলে মেট্রোরেলের জন্য কান্না করা খুবই নিষ্টুরতার পরিচয় প্রকাশ করে।
এই নির্মম বিষাদের মধ্যেও কবিতাটার একটু সমালোচনা করি। কবিতার ভাব বোঝা গেছে নিঃসন্দেহে, কিন্তু কিছু অংশে ভুল উপমা ব্যবহার করা হয়েছে।
...
যেদিন তোমার পেটে ধরতে পারবে
আস্ত একটা মেট্রোরেল,
যেদিন তোমাদের কোলে দোলাতে পারবে
একটা গোটা দেশের ডেটা সেন্টার,
যেদিন তোমার স্তন থেকে দুধ না
ঝরবে বিটিভির বাম্পার ফলনের সংবাদ,
যেদিন তোমরা মানুষের বাচ্চা না,
জন্ম দিবে বাস-ট্রাক, ওভারব্রীজ
সেদিন বুঝতে পারবে,
গোল্ডফিশের কান্না
মানুষের পেটে মানবশিশু ধারণ করা সম্ভব, কিন্তু মেট্রোরেল, ডেটা সেন্টার, ইত্যাদি ধারণ করা সম্ভব না। এই অর্থে মানুষের চেয়ে মেট্রোরেল, ডাটা সেন্টার বা অন্যান্য সম্পদের মূল্য বেশি হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাপারটা তো তা না। মানুষের জীবনের চাইতে অধিক মূল্যবান আর কিছুই হতে পারে না।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যিনি লিখেছেন, তিনিই বিষয়টা ব্যাখ্যা করতে পারবেন।
মাথায় এই যে কনফিউশান তৈরী হয়, সেইজন্যই আমি কবিতার ধারে-কাছে যাই না।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১
জটিল ভাই বলেছেন:
সোনাগাজী বলেছেন: জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংগালীদের না'নেয়ার জন্য পিটিশনে সিগনেচার সংগ্রহ করে ক্লান্ত হয়ে গেছেন? দেখন, কবিতা সাহায্য করে কিনা!
এমন ক্রান্তিলগ্নে এমন রসিকতা! আবার মুক্তিযোদ্ধা দাবীদার! মাঝেমাঝে উহাকে তাহার সাথে মিশাইয়া বুঝি না উহারা বয়সের ভারে এমন নাকি জিনগতভাবেই!
স্যাড অপসন না থাকায় প্লাস দিতে হলো
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দাবী করলেই যে কেউ মুক্তিযোদ্ধা হয় না, এই বিষয়টা আবালদের পক্ষে বোঝা সম্ভব না।
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪
পাইকার ১.১.২ বলেছেন: মন খারাপ করে দেয়া কবিতা। ব্লগের স্বৈরাচারের দোসররাএমন গণহত্যার পরও নির্বিকার। কিছু নির্লজ্জ কুলাঙ্গার এখনো গণহত্যাকারীদের পক্ষে সাফাই গায়।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নির্লজ্জ এবং কুলাঙ্গার দেখেই সাফাই গায়।
৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯
জটিল ভাই বলেছেন:
সোনাগাজী বলেছেন: আমি ব্লগে কখনো নিজকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবী করিনি, ব্লগে নিজকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবী করার মতো বেকুব মানুষ আমি নই
তাহলে আপনি মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধা দাবীদার নন।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মিছা কথা বলা ওইটার স্বভাব!!!!
৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২২
কাঁউটাল বলেছেন:
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখি নাই, তবে শুনলাম পুরোটা ফেইসবুক নাকি লালে লাল। সরকারী কালো নাটকের উপর চপেটাঘাৎ!!!!
৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮
রাফখাতা- অপু তানভীর বলেছেন: Click This Link
বলদ এবং মিথ্যাবাদীর প্রমান রইলো।
বলেন তো আলাদা ভাবে পোস্ট দেওয়া যায়।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই দেওয়া উচিত, তবে খুব একটা লাভ নাই। উহা বহু আগেই লজ্জা-শরমের মাথা খাইছে।
৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০
আরোগ্য বলেছেন: ধন্যবাদ ভুয়া ভাই শেয়ার করার জন্য। আমার ফেসবুক নাই তাই আপনার পোস্টের সুবাদে পড়া হল।
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেইজন্যই তো শেয়ার দিলাম।
১০| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
জটিল ভাই বলেছেন:
সোনাগাজী বলেছেন: অপু, আপনি, জিকোব্লগ, জটিল ভাই, প্রমুখ'এর কথার কোন মুল্য নেই।
ডলার-ডুলারেতো সোনা গংদের কোনো নাম-নিশানা দেখি না!
১১| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ, চমৎকারীর কবিতাটা শেয়ারের জন্য। গোল্ড ফিসের কান্না অথবা গ্লিসারিনের কান্না। এই যে দেখেন নমুনা view this link
দয়া করে সোনাগাজীকে ইগনোর করেন। নেগেটিভ কাজে সময় ক্ষেপণ করবেন কেন!!
৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গ্লিসারিনের কান্না দেখলে মুখ দিয়ে অটোম্যাটিক গালি বের হয়ে আসে। তাই দেখি না।
সার্কাসের জোকারকে ইগনোর করলে বিনোদনের কি হবে?
১২| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২২
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: মা বলতেন বিপদের দিনে নাকি মানুষের আসল চেহারা বের হয়ে যায়। ব্লগের কথিত মুক্তিযোদ্ধার আসল চেহারা এখন সবার সামনে।
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগের তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধার আসল চেহারা এখন না, আরো বহু আগে থেকেই সবার সামনে। যারা দেখতে চায়, তারা দেখে। যাদের বিবেক চেতনাবদ্ধ, তারা দেখতে পায় না।
১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:০০
শেরজা তপন বলেছেন: আজকে অনেকগুলো কবিতা পড়েছি। তাঁর মধ্যে সেরার একটা এইটে ছিল।
*যেদিন তোমার স্তন থেকে দুধ না ( এখানে মনে হয় 'দুধ না ঝরে' হবে)
ঝরবে বিটিভির বাম্পার ফলনের সংবাদ,
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কবিতায় যেটা লেখা আছে, সেটা ঠিকই আছে। আপনে যেইটা বলছেন, সেইটা হলো গদ্যের ভাষা। গদ্য আর পদ্যের ভাষাগত তফাৎ আছে। পদ্যের ভাষা প্রধানতঃ ইমপ্লিসিট হয়, যেখানে গদ্যের ভাষা এক্সপ্লিসিট। আপনেরে বুঝাইতে পারলাম কিনা জানি না।
১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: ও একটা কথা না বললেই নয়; দেশের সব হেঁশেলে এখন ভিপিএন ঢুকে গেছে! ফেসবুক ও ইউটিউবের সুবাদে স্ত্রী কন্যা মারফর
অন্দরমহলে ব্যাপক আন্দোলন দানা বেঁধে উঠছে। ব্যাপক উত্তেজিত তারা- পুলিশ ছাত্রলীগ আর হাসিনার পক্ষে একটা কথা বলেছেন কি রক্ষে নেই! বিশ্বাস করেন প্রায় সব ঘরেই এই অবস্থা!
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যখন কোথাও ব্রাউজিং রেস্ট্রিকশান থাকে, তখন ভিপিএনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মনে অসন্তোষ দানা বাধবে, এটাই স্বাভাবিক। সাহসের অভাবে বেশীরভাগই মুখ খুলে না, কথা বলতেই ভয় পায়। দালালদের কাহিনী অবশ্য ভিন্ন।
একটা ভিডিওর লিঙ্ক দিলাম। সাহস কাহাকে বলে, কতো প্রকার ও কি কি দেখেন। view this link
১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৪২
পাইকার ১.১.২ বলেছেন: গাজীকাগুর লুঙ্গি বাঁচাইতে মঠুর তৎপরতায় আমি মুগ্ধ। আশাকরি তিনি এবার কাগু ও তার চামুচদের মন পাবেন।
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে না.............আপনি যেইভাবে দেখছেন, বিষয়টা তেমন না।
আপনি যদি পুরানো ব্লগার হয়ে থাকেন, তাহলে কিছু বলার নাই; তবে নতুন হলে আরেকটু গভীরভাবে আপনাকে দেখতে হবে।
১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫০
ধুলো মেঘ বলেছেন: ভাই, আপনি যখন এই কবিতা শেয়ার দিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তা সবার মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে। খুব কম মানুষই আছে এই কবিতাটা পড়েনি। একজন মায়ের কষ্ট এই কবিতায় চরমভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সোনাবীজ মশাই, একজন মায়ের কাছে মেট্রোরেলের কোন দাম নেই, যদি তার সন্তান বেঁচে না থাকে। মেট্রো রেলের ধ্বংসযজ্ঞ দেখে এক মারাণীর মায়াকান্না দেখে একজন স্তম্ভিত মায়ের কষ্টের সার্থক প্রকাশ হয়েছে এই কবিতায়।
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি আসলে দেশে যেহেতু থাকি না, ফেইসবুকেও নাই; তাই কোনটা কতোটুকু ছড়াচ্ছে ধারনা নাই। ভালো কিছু ওয়েল-সার্কুলেটেড হলেই ভালো। আমিও ব্লগে দিয়ে তাতে অংশগ্রহন করলাম। ক্ষতি তো নাই কোন, তাই না!!! মন্তব্যেই দেখা যাচ্ছে, অন্ততঃ কয়েকজন হলেও কবিতাটা পড়ে নাই।
১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭
ধুলো মেঘ বলেছেন: এই কবিতাটি মুখস্ত করে রাখুন। এক সময়ে বাংলাদেশের পাঠ্য বইতে দেখতে পাবেন।
কে পুড়েছে মেট্রো আমার, কে তুলেছে ছাল;
তাই তো আমি রাগ করেছি, ভাত খাইনি কাল।
রাগ করেছি ভাতের সাথে, ভাতের সাথে আড়ি;
তখন থেকে খাচ্ছি পোলাও, সঙ্গে মাটন কারি।
রাতের বেলায় পিৎজা খাব, সকালবেলায় সুশি;
গাঁটের টাকায় বাংলাদেশে কেমন মানুষ পুষি!
আমার চোখে অশ্রু যখন, মানুষ হাসে— ফিক;
এইটা, খোদা, কেমন বিচার; জিনিশটা কি ঠিক!
আবার যখন অট্ট হাসি, মানুষ তখন খ্যাপে;
দিচ্ছি না আর জায়গা ওদের বাংলাদেশের ম্যাপে।
আমায় নিয়ে তামশা করো, আমায় নিয়ে মিম;
এখন থেকে কঠোর হব, যেমন কঠোর কিম।
উন্নয়নের শত্রু যত— অল্পবয়স মিমার;
ধরব তোদের, ভরব তোদের— বিবেকবিহীন শিমার।
মিমার নামের বিমার যত, দেখব কত তেজ;
কাটব এবার পাঙ্খা তোদের, ছাঁটব তোদের লেজ।
কে দিয়েছে, নেমকহারাম, সবার হাতে ফোন?
কে দিয়েছে ব্যালেন্স-শেষে পঁচিশ টাকা লোন?
কে দিয়েছে অমুক-তমুক, কে দিয়েছে সমুক?
বন্ধ করে থাকব বসে? খানিকটা বিষ কমুক?
গেঞ্জি-পরা জেন-জি যত— আমার খেয়ে-পরে;
আমার নামে কুৎসা রটাস, সাহস কত, ও রে!
দিচ্ছি না আর মোবাইল ডাটা, কোথায় গেলি, পলক;
আমিই হলাম ধ্রুবক এবং অন্য সবাই চলক।
মেট্রো রেলের শত্রু ওরা— কোমলমতি কিলার;
কেমন করে নাড়ল ওরা মেট্রোরেলের পিলার!
বক্ষে কি নাই দরদ ওদের, চক্ষে কি নাই হায়া;
সাহস কত— নাড়ায় আমার শাহেনশাহির পায়া!
পায়ার শপথ, হায়ার শপথ, শপথ আমার টিশুর—
গড়ব এ-দেশ যোগ্য করে ভবিষ্যতের শিশুর।
জন্ম দেব এমন শিশুর— ভাববে আমার মতোন;
ডাকবে আমায় 'শান্তি দাদু', বলবে 'দেশের রতন'।
এখন যারা কিশোর-শিশু— গোশতে-হাড়ে বদ;
চায় কী ওরা, খায় কী ওরা— বোতল-বোতল মদ?
মেট্রো আমার পরানপিয়ো, মেট্রো আমার স্বজন;
স্বজন-হারা দুঃখ বোঝে আমার চেয়ে ক'জন!
মানুষ, নাকি মেট্রো আগে— শুধায় আবার কে রে;
রাষ্ট্রে এত মূর্খ নিয়ে উঠছি না আর পেরে!
আর কতকাল থাকবি নাদান, দালাল কত হবি;
মেট্রো নিয়ে কী বলেছেন আদিম যুগের কবি?
কবির বচন সত্য বচন, বলুক যারা যা-ই—
'সবার ওপর মেট্রো বড়, তাহার উপর নাই।'
পেট্রোডলার খরচ করে মেট্রো বানাই আমি;
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ি, সমস্তদিন ঘামি।
কান্না এল হঠাৎ আবার, অশ্রু চোখের কোণায়;
স্বপ্ন ছিল— ভরব এ-দেশ হীরায়-রুপায়-সোনায়।
কাঁদব এখন জাপটে ধরে মেট্রোরেলের বগি,
তৈরি আছে আগের মতোন বৈঠা এবং লগি।
এবার হব কঠোর—
কোন সে মায়ের জন্ম ওরা, দেখব সবার জঠর।
মরল নাহয় আড়াইশো লোক— সমস্যা কী, শুনি;
দিতেই হবে জবাব, যারা মেট্রোরেলের খুনি।
রেলের গায়ে আগুন কেন, অত্যাধুনিক রেল;
আড়াইশোটা মরল বলেই এত্ত-এত তেল!
এবার নেব তেলের হিশাব, দেখব কত রস;
দেখব— তোরা কেমন করে বিপ্লবী চে হস!
দেশটা তোদের বাপের-চাচার? দেশটা তোদের দাদার?
দেশটা হলো আমার একার— মেট্রোরেলের মাদার।
রেলের ক্ষতির মাত্রা জানিস? তিনশো কোটি পুরো;
গুনতে জানিস তিনশো কোটি, এই যে গরিবগুঁড়ো?
আমি হলাম বাংলাদেশের জিয়নকাঠি— জিয়ন,
তিনশো কোটি গুনতে জানে আমার বাড়ির পিওন।
মালিক ছিল চারশো কোটির, রাজার ওপর রাজা;
যখন আমি জানতে পেলাম, দিইনি তাকে সাজা?
এমন সাজা দিলাম তাকে, সাজার ভয়ে শেষে;
বেগমপাড়ায় ভাগল পিওন, পিওন নাই আর দেশে।
পিওন সাহেব ফেরত এলে বলব আমি ডেকে—
'তিনশো কোটি যায় না দেওয়া একশো কোটি রেখে?'
ভেবেই মরি অহর্নিশি— দেশের কী যে গতি,
পিওন ডেকে 'তিনশো' নিয়ে পুষব রেলের ক্ষতি।
আড়াইশোটা লাশেই যদি আগুন দিবি রেলে;
মরণকালেও জুটবে না জল, দেশবিরোধী ছেলে।
স্মরণ রাখিস, পুড়লি যারা ডাব্লুবিএম-অডি—
পড়বে আবার নতুন বডি।
আখতারুজ্জামান আজাদ
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এতোবড় কবিতা মুখস্থ করে আমার কি লাভ? বরং পাঠ্যবইয়েই আসুক। তরুণ প্রজন্ম মুখস্থ করুক, তাতে দেশ ও জাতির লাভ।
১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহা কি বেদার পরশ কবিতায় , কি কষ্টের কান্না, হৃদয় নিংরানো কাথা। +++
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন খারাপ করে দেয়া একটা কবিতা। দেশটা স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ার পর এইসব লেখাগুলো গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে থাকবে।
১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩
জুন বলেছেন: কবিতাটি পড়ে বুকটা মুচড়ে উঠলো ভুয়া। অসাধারণ। +
তবে
অচিরেই আপনাকে ডাইনিং টেবিলে দেখা যাবে।
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অসাধারণ। + সত্যিই। এই রকমের কবিতা লেখা খুবই কঠিন!!!
তবে অচিরেই আপনাকে ডাইনিং টেবিলে দেখা যাবে। এই কথাটার মানে বুঝি নাই। আমাকে কি কাবাব বানানো হবে?
২০| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩৭
মিরোরডডল বলেছেন:
থ্যাংকস কবিতা শেয়ার করার জন্য। আমি ফেসবুকে একটিভ না, তাই আগে পড়া হয়নি।
লাস্ট ফিউ উইক্স ঢাকায় থেকে যেসব ঘটনার সাক্ষী হয়ে এলাম, আমি স্পিচলেস ভুম!
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ফেইসবুকে আমিও একটিভ না, তাছাড়া কবিতা এমনিতেই পড়ি না। আমি বেশ ভালোই শক্ত মনের মানুষ, কিন্তু গত কয়েকটা দিন সব কাজ মোটামুটি বাদ দিয়ে শুধু বিভিন্ন নিউজ আর ইউটিউবে ভিডিও দেখেছি। মন এমনিতেই খুব আর্দ্র হয়ে আছে তার মধ্যে এই আবৃতি শুনে আবেগ ধরে রাখা বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছিল।
গত পরশু আমাদের এখানের একজন দেশ থেকে এসেছে। ভয়াবহ তার অভিজ্ঞতা। বলেছে, একটা দেশের সরকার এমন একটা ছোট্ট বিষয়কে শুধুমাত্র ইগোর কারনে সমাধান না করে এতোদূর নিয়ে গিয়ে নির্বিচারে নাগরিক হত্যা করতে পারে........নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন!!!
মিড যে দেশে গিয়েছিল, জানতাম না। ভেবেছিলাম অস্ট্রেলিয়ার ভেতরেই ছুটি কাটাচ্ছে।
২১| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৩১
মিরোরডডল বলেছেন:
মা বাসায় একা ছিলো, তাই আমি ঢাকা গিয়েছিলাম কমপ্লিট শাট-ডাউনের কিছুদিন আগে।
ওখান থেকে রিমোট অফিস করছিলাম। তারপরতো সম্পূর্ণ ডিজকানেক্টেড আর গৃহবন্দী হয়ে গেলাম।
ক্ষমতার অপব্যবহার খুবই খারাপ জিনিস, ঠিক একজাক্টলি যেটা এখন হচ্ছে।
তথ্য প্রমাণ ছাড়া যাকে খুশি ধরে নিয়ে যাচ্ছে আর মানুষ মারছে পোকামাকড়ের মতো।
জীবনের মূল্য যে এতো কম সত্যি জানা ছিলো না!!!
বাংলাদেশে যখন যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা নিজেরা রাজা মনে করে লুটেরা হয়ে যায় আর সাধারণ জনগণকে মনে করে প্রজা তাই অত্যাচারী হয়ে উঠে। এ যাবত এটা সবাই করেছে।
কিন্তু এবার যা হচ্ছে এটা রীতিমতো বর্বরোচিত!!!!
সাধারণ মানুষেরা নির্মম কষ্টের শিকার হচ্ছে।
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশে যাওয়াটা সব সময়েই আনন্দের। ৩/৪ মাস আগে থেকে প্ল্যান-প্রোগ্রাম চলতে থাকে। সেখানে দেশে গিয়ে এই রকমের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া ভয়ংকর ব্যাপার। উন্নত বিশ্বের মুক্ত হাওয়ায় থেকে দেশের মানুষ কিসের মধ্যে দিয়ে দিন যাপন করছে ভাবলেই গা শিউরে উঠে!!!
এই অত্যাচার যারা করছে, তারাই হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবীদার একটা দল। এই চেতনার জন্য নিশ্চয়ই দেশের মানুষ জীবন দেয় নাই!!! চেতনা বিক্রি করে খাওয়া দলটা যতো তাড়াতাড়ি বিদায় নেয়, ততোই মঙ্গল। সমস্যা হলো, সামনে আরো কঠিন দিন আসছে। এই স্বৈরাচার থেকে খুব সহসা মুক্তি পাওয়া যাবে না।
২২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯
মিরোরডডল বলেছেন:
তানভী পোষ্ট সরিয়ে নিয়েছে।
ভুম কি লিখেছিলো লাস্ট কমেন্ট, পড়তে পারিনি।
০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লিখেছিলাম যে বাংলাদেশ সময় বিকাল ২:৩০ এই খবর পেয়েছিলাম শেখ হাসিনা ভাগছে। তখন ব্লগে এসে সামনে তানভীর জুমারের পোষ্ট পেয়ে সেখানেই জানিয়েছিলাম। আর বলেছিলাম, অপু খুবই পেসিমিস্ট টাইপের মানুষ। আরো কনফিডেন্স থাকা উচিত।
২৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন:
২:৩০ কি বিকাল নাকি বোকা!
দুপুর
আমিও সেরকম সময় জেনেছি।
If I'm not wrong, অফিশিয়ালি পদত্যাগ করেনি কিন্তু চলে গেছে।
But now what ভুম?
এখন কি হতে যাচ্ছে?
God bless Bangladesh!
ভালো কিছু যেন হয়।
০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে..........১২ টার পরেই অফিশিয়ালী বিকাল শুরু হয় বলেই তো জানতাম। আপদ বিদায় হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ; যেভাবেই হোক। আমার মনে হয় এখন প্রফেসর ইউনুস লাইম লাইটে আসবে। জাতীয় সরকার হবে.........মনে হয় না, সেনাবাহিনী খুব একটা ইন্টারফেয়ার করবে। দেখা যাক।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:২১
মায়াস্পর্শ বলেছেন: আপনি আমি অনুধাবন করেই চোখে পানি চলে আসছে, আর যে পরিবারের মানুষটি বীভৎস ভাবে খুন হয়েছে তাদের কি হচ্ছে তা ভাবতেই আমার শরীরের পশম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।
তবু ঘুরে দাঁড়াতে হবে আমাদের। স্বৈরাচারের পতন অতি নিকটে।