নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরুর ৩৮ দিন!!!!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫



পতিতা হাসিনাকে লাথি মেরে দেশ থেকে ভাগিয়ে দেয়ার পর মেঘে মেঘে খানিকটা বেলা হলো। ইচ্ছা ছিল, ড. ইউনুস সরকারের একমাস পূর্তিতে একটা রিভিউ পোষ্ট দিবো। কিন্তু এ্যাজ ইউজ্যুয়াল, ইচ্ছাটা ঠিক রাখতে পারলাম না। তবে খুব বেশী দেরি করি নাই মনে হয়, পাচ সপ্তাহের মাথায় দিতে পারলাম। এই সময়টাতে খুব বেশী কিছু যে প্রত্যাশা ছিল, বিষয়টা তা নয়; কারন প্রত্যাশা পূরণের জন্য সময়টা যথেষ্ট না। ১৬ বছরের জন্জাল পরিস্কার করা কি চাট্টিখানি কথা? কিন্তু তারপরেও মর্ণিং শো'জ দ্য ডে এর মতো একটা বিষয় তো থাকেই, তাই না!!!

সামগ্রিকভাবে সবগুলো মন্ত্রণালয়ের কাজকামের ব্যাপারে আমার ততোটা আগ্রহ নাই, সেটা বাস্তবসম্মতও না। আসলে এই সময়টাতে আমি বিশেষ করে ৬টা মন্ত্রণালয়ের দিকে নজর রাখার চেষ্টা করেছি। সেগুলো হলো, অর্থ (সালেহউদ্দিন আহমেদ), স্বরাষ্ট্র (লে. জে. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী), জন প্রশাসন (ড. মুহাম্মদ ইউনূস), আইন ও বিচার (ড. আসিফ নজরুল), শিক্ষা (ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ) আর স্বাস্থ্য (নূরজাহান বেগম)।

প্রথমেই আসি সালেহউদ্দিন সাহেবের কাজকর্মে। একটা তথ্য দেখলেই উনার কাজ যে কতোটা চ্যালেন্জিং সেটা বুঝতে পারবেন। সেটা হলো, ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার সরকারি ঋণ রেখে দেশ থেকে পালিয়েছে পতিতা হাসিনা। দেশী ও বিদেশী উৎস থেকে এ ঋণ নেয়া হয়েছে। অথচ ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখন সরকারের ঋণ স্থিতি ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। সে হিসাবে আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলেই সরকারের ঋণ স্থিতি ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ২০৬ কোটি টাকা বেড়েছে, যা সরকারের মোট ঋণের প্রায় ৮৫ শতাংশ। অন্যদিকে, বিদেশে পাচার হয়ে গিয়েছে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার!!!

বিগত সরকার শুধুমাত্র লুটপাটের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছিল যার ফলে দেশে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে, ফলশ্রুতিতে অবধারিতভাবেই দেশে মুল্যস্ফীতি দেখা দেয়। তাছাড়া ডলার সংকট, বিদেশে বিপুল পরিমান অর্থ পাচার, ঋণের নামে ব্যাঙ্ক লুটপাট......এইসব তো ছিলোই। ফ্যাসিস্ট সরকারের সহায়তায় এস আলমের উপর্যুপরি ধর্ষণে ইসলামী ব্যাঙ্কের মতো শক্তিশালী ব্যাঙ্ক আজ ইজ্জৎ হারিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় ধুকছে। লুটপাটের জন্য দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে একই দিনে ভিনদেশী নাগরিক হিসাবে স্থায়ীভাবে দেশে বসবাসের অনুমতি পাওয়ার বিরল ঘটনাও ঘটিয়েছে এস আলম পরিবার!!!! লুটপাটের আরেক নজির হলো কর্নফুলি টানেল, যার প্রতিদিনের আয়ের থেকে ব্যয় অনেক অনেক বেশী।

বর্তমানে ব্লগের কতিপয় অর্ধ-শিক্ষিত নব্য রাজাকারের কথা বাদ; আশ্চর্যের বিষয় হলো কিছু উচ্চ শিক্ষিত ব্লগারও কয়েকটা চাকচিক্যময় ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মোহে পড়ে দেশের অর্থনীতিকে ঝাঝরা করে দেয়া বিগত সরকারের উন্নয়নের গুণগান গেয়েছিলো একটা সময়ে!!! কিভাবে সম্ভব? যাই হোক, বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের নতুন গভর্ণর আর অর্থ উপদেষ্টার মিলিত চেষ্টা এখন পর্যন্ত যথেষ্টই আশা জাগানিয়া।

সার্বিকভাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাজকামে আমি পুরাই হতাশ। উনি কি কাজ করছেন? আদৌ বলার মতো কিছু করছেন কিনা আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। হাসিনার খাস চামচা বসুন্ধরার ভূমিখেকো শাহ আলম বহাল তবিয়তে। তার ছেলে, মুনিয়া হত্যা মামলার আসামী আনভীরের অবস্থাও তথৈবচ। যেসব পুলিশ কর্মকর্তার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ রয়েছে, তারাও তেমন কোন বিপদে আছে বলে মনে হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র সচিবও নিরুপদ্রব অবস্থায় আছে। পুলিশ যথারীতি আগের মতোই নির্দিষ্ট অপরাধের মামলা না করে ঢালাওভাবে এবং গায়েবী মামলা করছে। পুলিশের বদলী বানিজ্যেও কোটি কোটি টাকা হাত বদল হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। মব-চাদাবাজি-দখলবাজি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কঠোর হওয়ার কোন নজীর দেখা যাচ্ছে না। ফ্যাক্টরী পোড়ানোর ষড়যন্ত্র যথারীতি চালু রয়েছে; এটার দিকেও নজর দেয়া প্রয়োজন। কথিত এতো কঠোর নজরদারীর মধ্যে হাসান মাহমুদসহ আরো বেশ কিছু ক্রিমিনাল দেশ থেকে পালিয়ে গেলো!! অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আগের উপদেষ্টাই ভালো ছিলেন। যদিও কিছু বেফাস মন্তব্য উনি করেছিলেন, তবে উনি কাজের মানুষ ছিলেন। স্যরি টু সে, এখনকারটাকে আমার কাছে কিঞ্চিৎ অপদার্থ বলেই মনে হচ্ছে!!!

জন প্রশাসন যেহেতু ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেখছেন, এবং একই সঙ্গে যেহেতু উনি আরো বেশকিছু মন্ত্রণালয়ও দেখছেন তাই বেশী কিছু বলতে চাই না। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন জেলার ডিসি নিয়োগে যে ভজঘট অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল এবং আট জেলার নিয়োগ বাতিল করতে হয়েছিল সেটা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা উনার হেল্পিং-হ্যান্ডদের ব্যর্থতা এবং গভীরভাবে খতিয়ে না দেখার কারনে বলেই আমি মনে করি। আশা করি, উনি উনার হ্যান্ডদের স্ক্রু যথাযথভাবে টাইট দিবেন। এখানেই প্রশ্ন আসে, উনার বিশেষ সহকারী আলী ইমাম মজুমদারের কামটা কি?

আইন ও বিচার বিভাগে বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের ব্যাপারেও আমি পুরাপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না। উপদেষ্টা হওয়ার আগে উনার যে সকল বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ছিল, উপদেষ্টা হওয়ার পরে সেসব অনেক কিছুরই তীব্রতা কমেছে বলে মনে হচ্ছে। উদাহরন হিসাবে বসুন্ধরা গ্রুপের পিতা-পুত্র নিয়ে উনার পূর্বেকার কঠোর স্ট্যান্সের প্রসঙ্গ টানা যায়। তেজ কমে যাওয়ার কারন কি? টাকার কাছে উনি বিক্রি হয়ে গেলেন নাতো?

শিক্ষাতে জনাব ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সকল ভিসিগণের নিয়োগ বাতিল করে নতুন নিয়োগ দিয়েছেন আর আগের শিক্ষাক্রম বাতিল করেছেন বটে, তবে এ'ছাড়া আর তেমন কিছু নজরে আসে নাই। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র-শিক্ষকদের লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে উনার নির্দিষ্ট চিন্তাধারা জানাটা জরুরী। উনি কি বুঝতে পারছেন যে, এই লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করতে না পারলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করা প্রায় অসম্ভব?

স্বাস্থ্যখাতে নূরজাহান বেগম একেবারেই ডায়নামিক নন। আন্দোলনে আহতদের সরকারী খরচে সুচিকিৎসার ব্যাপারে ওনার কোন হেলদোল আছে বলে তো মনে হচ্ছে না। চিকিৎসার খরচ মেটানোর জন্য সদ্যোজাত সন্তানকে বিক্রির ঘটনাও ঘটছে। এদিকে সবার সুচিকিৎসা কি দেশেই সম্ভব হচ্ছে? ক্রিটিকাল কাউকে বিদেশে পাঠানোর কোন সংবাদ তো শুনি নাই, নাকি কেউ ক্রিটিকাল কন্ডিশানে নাই!! দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে রাখার পেছনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আর বিএনপি সমর্থিত ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) বহুলাংশে দায়ী। চিকিৎসকদের লেজুড়ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ করাটাও জরুরী। এই খাতে যতো দূর্নীতি, অনিয়ম আর টেন্ডারবাজী হয়, তার পেছনের কারন এই লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি। মানুষের জীবন-মৃত্যু নিয়ে কাজ করা এই সেবা খাতের সত্যিকারের উন্নতি নিশ্চিত করতে চাইলে এসব বন্ধ করার কোন বিকল্প নাই।

যথাযথ শিক্ষা জাতির মোরাল মেরুদন্ড আর যথাযথ স্বাস্থ্য ফিজিওলজিকাল মেরুদন্ড শক্ত করে। দু'টাই স্বৈরাচারের অবহেলার লিস্টে থাকে কারন জাতির এই দুই মেরুদন্ড দূর্বল হলেই তাদের শাসন করা সহজ হয়ে যায়। তারা দেশের মানুষের এই দুই মেরুদন্ড দূর্বল রেখে নিজেদেরটা উন্নত বিশ্বের সহায়তায় ঠিক রাখে। ফলে আমরা দেখি, এরা চিকিৎসা আর তাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য বিদেশমুখীতা বা বিদেশ নির্ভরতা গড়ে তোলে। স্বাভাবিকভাবেই দেশে সাধারন মানুষের জন্য এই দু'টা সেবা অবহেলিত রয়ে যায়। তাই এই সরকারের প্রায়োরিটির তালিকায়, অর্থাৎ ৬টা সংস্কার কমিশনের মধ্যে এই দু'টা নাই দেখে চরম হতাশ হয়েছি। যদিও আশার কথা, ড. ইউনুস উনার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া সর্বশেষ ভাষণে এই দুই খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন।

সমস্যা হলো, ড. ইউনুস বা তার উপদেষ্টারা কেউই পেশাদার রাজনীতিবিদ না। তারা রাজনীতির মারপ্যাচও খুব একটা বুঝতে পারছে বলে মনে হচ্ছে না। কাজেই তাদের এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মতামত শোনা দরকার। গোয়েন্দাদের তথ্য পর্যালোচনা করা দরকার। দেশে-বিদেশে দেশ বিরোধী যেসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেগুলো যাচাই-বাছাইও করা দরকার। সামনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দূর্গাপূজার উৎসব আসছে। ভারতের বিজেপি সরকার তাদের আওয়ামী দালালদের মাধ্যমে হিন্দুদের উপর হামলা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার আরেকটা প্রচেষ্টা চালাবে। মোদ্দাকথা, তাদেরকে আরো সাবধানী আর স্মার্ট হতে হবে। যতোদিন যাবে, সাবধানতা ততোই বাড়াতে হবে। ভাবে মনে হচ্ছে, উনারা দিনে দিনে বিপদ কমছে মনে করে কিছুটা রিল্যাক্স মুডে চলে যাচ্ছেন। সত্যিই যদি তাই হয়, তাহলে সেটা হবে উনাদের জন্য আর দেশের জন্য এক অনাগত ভয়ঙ্কর বিপদের সূচনা মাত্র।

মনে রাখতে হবে যে, ভারতের সহায়তায় দেশে ষড়যন্ত্র শুধু আওয়ামী লীগই করবে না; বিএনপি'র লুটপাটে বাধা দিলে তারাও করবে। জামায়াত যদিও লুটপাটে শামিল হবে না, তবে যদি তারা দেখে যে এই সরকার দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকবে, তাহলে তাদেরও ধৈর্যচ্যুতি ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে তারাও ষড়যন্ত্রে শামিল হতে পারে; নাথিং আনলাইকলি। কোনকিছুকেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। এখন পর্যন্ত সরকারের কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে না সরকার এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তিত। তাদেরকে এইদিক দিয়ে বেশ নির্ভার মনে হচ্ছে। ওদিকে সেনাবাহিনীর কাজকামে মনে হচ্ছে তারা যেন একটা প্যারালাল ছায়া সরকার পরিচালনা করতে চাচ্ছে। তাই প্রচুর চ্যালেন্জ সরকারের সামনে।

এখন পর্যন্ত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বিশেষভাবে নজরে এসেছেন। উনাকে যথেষ্ট একটিভ মনে হচ্ছে। খুবই ভালো, উনাকে অভিনন্দন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সারজিস, হাসনাতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে বলবো, রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে নজর দেয়ার সাথে সাথে আহত-নিহতদের দিকেও জরুরী ভিত্তিতে নজর দেন। শুধুমাত্র লিস্টি করাই যথেষ্ট না। আহতদের, তাদের পরিবারের পাশে দাড়ান। আহত-নিহতরা অনেক পরিবারেই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল। তাদের সংসার কিভাবে চলছে, সেই খোজ-খবর নেন। এগুলো আপনাদের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটিতে থাকা উচিত। সরকারকে এই ব্যাপারে অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রেশার গ্রুপের ভূমিকা পালন করেন। মিডিয়াতে অনেক খবরই আসছে যেগুলো সুখকর না। এই কাজে যতো দেরী করবেন, আপনাদের চেহারায় একধরনের ক্ষমতালোভী বেঈমানের ছাপ ততোই প্রকট হবে। সরকারে দুই ছাত্র উপদেষ্টার জন্য এই কথাগুলো আরো বেশী করে প্রযোজ্য। মনে রাখবেন, সরকারী কাজের চাইতে এই কাজগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ না।

এই সরকারের পথচলা মাত্র শুরু। তবে কাজে কোন ঢিলেমী দেয়া ঠিক হবে না। এটা বুঝতে হবে যে, আপনাদের হাতে অঢেল সময় নাই। যেই উদ্দেশ্য নিয়ে আপনাদের পথচলা শুরু, তাতে যতো দ্রুত সম্ভব দৃশ্যমান সফলতা আনা খুবই জরুরী। জাতি আপনাদের পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে; তবে এটা আনকন্ডিশনাল না। এটা অব্যাহত থাকবে কিনা তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনাদেরই। এখন পর্যন্ত ভাবসাবে মনে হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর বেশীরভাগ উপদেষ্টাই হানিমুন মুড থেকে বের হতে পারেন নাই। ওয়েক আপ গাইজ!! টাইম ইজ রানিং আউট!!!

আইশ এ্যলেন এ্যলেস গুটে!!! :)


ছবিসূত্রঃ আরটিভি।

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৮

আরোগ্য বলেছেন: সময় কইরা আইতাসি, শরীরটা অসুস্থ দোয়া করবেন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হায় হায়, কন কি? আইজকাইল কেউ অসুস্থ হুনলে টেনশানে পইড়া যাই। আশাকরি, সিরিয়াস কিছু না। জলদি সুস্থ হন, এই ক্রান্তিকালে জাতির আপনেরে দরকার!!! :)

অবশ্যই দোয়া করমু।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আমি মনে করি, গত একমাসে যা হয়েছে আলহামদুল্লিাহ। দেশ তিনজনের পরিবার নয় এক ঘন্টায় সবকিছু আলোচনা করে ঠিকঠাক করে ফেললাম। ১৮ কোটি জনগনের মধ্যে সাড়ে ১৮ কোটি মতের দেশ একটু সময় লাগবে তাছাড়া খুনি স্বৈরাচার হাসিনা পালালেও তার রেখে যাওয়া আর্বজনাগুলো প্রতিনিয়িত কোথাও না কোথাও ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানুষের আশার কোন শেষ নাই। যা হয়েছে তাতে ''আলহামদুল্লিাহ'' বলতে চাইলে তো বলাই যায়। একেবারেই কিছু যদি নাও হয়, তবুও আলহামদুল্লিাহ বলা যায়। হাসিনাকে ভাগানো হয়েছে, এর চাইতে বড় আর কি?

কিন্তু বিষয়টা দেশ আর সরকার নিয়ে। সময়ের প্রতিটা ক্ষণই মুল্যবান। এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। যাদের হাতে এই দায়িত্ব, তাদের সময় নষ্ট করার কোন এক্তিয়ার নাই। হয় কাজ করো, নয়তো সরে যাও........অন্যকে সুযোগ দাও। ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখার দিন শেষ। :)

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গুড এনালাইসিস।
জামাতকে বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত করা ছাড়া এই সরকারের কাজকর্মে বিপ্লবের ও দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছেনা।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখনই আশাহত হওয়া যাচ্ছে না, তবে এটা ঠিক যে এদের কাছ থেকে আরো কর্ম-তৎপরতা আশা করেছিলাম। জামাত হলো দাগের মতো...........দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়, তাহলে দাগই ভালো।

অন্যদেরকে এখন প্রমাণ করতে হবে যে, তারা জামাত থেকে ভালো। বিনাযুদ্ধে কেউ এখন মেদিনীর সুচাগ্রও দিবে না। ;)

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫০

জটিল ভাই বলেছেন:
বিশ্লেষণ ভালা হইছে। তবে বন্যা আর ইলিশের বিষয়টা বাদ পরছে। যদিও ঐ ২টা আপনার কনসার্ন না।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিশ্লেষণ আপনের পছন্দ হইছে জাইনা আনন্দ পাইলাম।

ইলিশেরা বহু আগেই আমারে জানাইছিল যে তারা ভারতে যাইতে চায় না। তাদের স্বপ্ন পূরণ হওয়াতে কিছু কই নাই। বন্যা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই, তবে সবকিছু নিয়াই যদি আমি কথা কই তাইলে ব্লগে আপনেগো কাম কি? :-B

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ অবজারভেশনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সংক্ষিপ্ত সাফল্য ব্যার্থতা উল্লেখ করেছে! আমা দৃষ্টিতেও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সম্পুর্ণ ব্যার্থ এবং অথর্বও বটে। অন্যদিকে, আলী ইমাম মজুমদারের আওয়ামী প্রীতিতে প্রশাসনে বিশৃঙ্খল অবস্থা।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান। আমার মনে হয় এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে একটা ওয়ার্নিং দেয়ার সময় এসেছে। এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা মন্ত্রণালয়ে এমন লোক থাকাটা বেশ ঝুকিপূর্ণ। আলী ইমাম মজুমদারের ব্যাপারেও খানিকটা চিন্তা-ভাবনার দরকার আছে।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: শিক্ষা উপদেষ্টাও ৯৮% ব্যার্থ। গত ষোলো বছর অন্যসব সেক্টরের মতো শিক্ষকরাও ছিলেন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সকল কু কামের বিশ্বস্ত সহযোগী... তারা প্রায় সবাই এখনো আগের অবস্থানেই আছে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: উপদেষ্টারা আসলে তাদের পেশাগত জীবনে যোগ্যতার ছাপ রেখেছিল, কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু রিফর্ম করা আর প্রশাসন চালানো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। ড. ইউনুস যদি উপদেষ্টা সিলেকশানে আরেকটু খোজ-খবর নিতেন, ভালো হতো। তবে এনারা আরেকটু স্মার্ট হলে এনাদের দিয়েও কাজ চলবে। আর একেবারেই না হলে সাখাওয়াত সাহেবের উদাহরন তো সামনে আছেই।

গত ষোলো বছর অন্যসব সেক্টরের মতো শিক্ষকরাও ছিলেন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সকল কু কামের বিশ্বস্ত সহযোগী... তারা প্রায় সবাই এখনো আগের অবস্থানেই আছে। একমত।

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই সরকার ১৬ বছরের সব জঞ্জাল পরিষ্কার করতে পারবে তেমন আশাও করি না। তারা যদি মৌলিক কিছু সংস্কার করে তাহলেই আমি খুশি। বৈদেশিক ঋণ অনেক বেশী হলেও আমার কাছে তেমন বিপদজনক মনে হয়নি কারণ অনেক দেশেরই বৈদেশিক ঋণ এর চেয়েও বেশী আছে। আমরা এই ঋণ শোধ করতে পারবো। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। ঋণ সঠিকভাবে ব্যবহার করে জিডিপি বাড়াতে পারলে সমস্যা হয় না। কিন্ত বাংলাদেশে সেটাই চ্যালেঞ্জ। এই ঋণের অর্ধেক বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এটাই বিপদের কথা। দেশের অর্থনীতিতে কাজে লাগে নাই।

কর্ণফুলী টানেলের মত কিছু প্রকল্প করা হয়েছে টাকা বানানোর জন্য আর মানুষকে দেখানোর জন্য। দেশের মানুষের টাকা দিয়ে ১১৭ কোটি টাকার মুরাল না কী যেন বানিয়েছে শেখ হাসিনা, তার পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এগুলি পরিষ্কার অপচয়। অবশ্য ওনার পিওনও ৪০০ কোটি টাকার মালিক, সেখানে এই ১১৭ কোটি টাকা তো ওনার পিয়নের জন্যও কিছু না। :)

এই দেশের অনেক শিক্ষিত মানুষও আসলে প্রকৃত উন্নয়ন কী সেটা বোঝে না। বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের নামে যে বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে এটা অনেক শিক্ষিত লোকও মনে হয় বোঝে না। আসলে এই জাতির পিছিয়ে থাকার আরেকটা কারণ হল আমাদের শিক্ষা আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে পাড়ছে না। এই শিক্ষা থেকে আমরা ভালো আর মন্দের পার্থক্য করতে পাড়ছি না। আমার ধারণা অর্থ উপদেষ্টা যথেষ্ট যোগ্য একজন লোক। অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থা উনি সামলাতে পারবেন আশা করি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিয়ে আমারও একটু সন্দেহ আছে। উনি শক্ত কোন কথা বলতে পারবে বলে মনে হয় না। আর কি কোন যোগ্য লোক পাওয়া গেল না। মুনিয়া হত্যার মামলার সাহায্যেই আনভী ও তার পিতাকে টাইট দেয়া সম্ভব। এছাড়া বসুন্ধরার অনেক বে আইনি কর্মকাণ্ড আছে। এদেরকে ধরা সহজ। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না। এই ধরণের ব্যবসায়ীর দরকার নাই বাংলাদেশে। কেউ যদি ভাবে এরা চলে গেলে দেশের অনেক বড় অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে তারা আসলে বোকা।

আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত পুলিশ এবং ছাত্রলীগের অপরাধীদের বিচারকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত ছিল। এই নমনীয়তার কারণেই এখনও গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের হাতে খুন হচ্ছে মানুষ। অভ্যুত্থানকে সজিব রাখার জন্য এবং অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য সরকারকে কঠোর হতে হবে। সেটা করছে না বলেই আওয়ামী লীগ ধরে নিয়েছে যে এই সরকার ভিতু এবং দুর্বল। আওয়ামী লীগ কিন্তু বসে নাই। এদের মত ভয়ংকর ষড়যন্ত্রকারী বিশ্বের ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া বিরল। সরকার সতর্ক না হলে বিপদে পড়বে। ভদ্রলোক দিয়ে এই সরকার চালাতে গেলে চলবে না। শক্ত এবং কঠোর লোক প্রয়োজন। সেটা দেখা যাচ্ছে না।

বেশ কিছু অপরাধী পালিয়ে গেল। আসলে পালিয়ে গেলো না তাদেরকে পালিয়ে যেতে দেয়া হয়েছে। এটা ভালো লক্ষণ না। হাসিনা পালিয়ে না গিয়ে ধরা পড়লে আওয়ামী লীগ এতো লাফাতে পারতো না। হাসিনাকে পালিয়ে যেতে দেয়াটাও কোন ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না। এরশাদের মত গ্রেফতার করা উচিত ছিল। তার পরে মামলা দিয়ে ১০ বছরের জন্য জেলে পাঠিয়ে দিলে এতো কথা বলতে পারতো না। খারাপ লোকের সাথে দয়া দেখিয়ে কোন লাভ নেই। ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার চেয়ে যোগ্য বেশী ছিলেন। আর্মিতেও ওনার ভালো প্রভাব ছিল।

আসিফ নজরুলকে নিয়ে সাবধানে থাকতে হবে। উনি আসলে যে কোন পক্ষের বোঝা মুশকিল।

শিক্ষা ক্ষেত্রে লেজুর বৃত্তির রাজনীতি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আসলে এটার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই যথেষ্ট। তারাই বন্ধ করে দিতে পারে। কয়েকটা মেডিক্যাল কলেজ ইতিমধ্যে এই ধরনের লেজুর বৃত্তির রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে বা আইন ক'রে বন্ধ করলে সেটা আরও জোরালো হবে।

আমার মতে শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা উচিত। এটা হচ্ছে না। আহতদের চিকিৎসা খরচ নিয়েও মনে হয় বিশৃঙ্খল তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রিওভাবে কিছু করা হয় নাই মনে হচ্ছে। শুধু আবেগ দেখালে তো হবে না আর্থিক বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সময় মত এদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নিলে পরবর্তীতে এগুলি পুঞ্জিভুত ক্ষোভের সঞ্চার করবে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের মত অবস্থা হবে। যে সব পরিবার এই আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ব্যাপারে দায়সারা ভাবে কাজ করলে চলবে না। কয়েকশো ছাত্র অন্ধ হয়ে গেছে। আরও কয়েকশো বা হাজার পঙ্গু হয়েছে।

আমার মতে জন প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে তাদের এবং তাদের পরিবারের জন্য দেশের বাইরে লেখাপড়া বা চিকিৎসার উপর কঠিন শর্ত আরোপ করা উচিত। এই দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, এমপি হাচ্চি দিলেও সিংগাপুর যায়। এরা দেশের শিক্ষা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ইচ্ছে করে দুর্বল করে রাখে কারণ তারা চায় না এই দেশের মানুষের মগজ এবং মেরুদণ্ড শক্ত হউক। শিক্ষা, গবেষণা এবং স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আরও অনেক বাড়াতে হবে। এটা সম্ভব। ৬৪ টা জেলায় ৬৪ টা উন্নত মানের হাসপাতাল করতে বড় জোর ৬৪ হাজার কোটি লাগবে। এটা বাংলাদেশের বাজেটের ১০% ও না। ৫ বছরে করলেও এটা করা সম্ভব।

ইতিমধ্যে হিন্দুরা আবার আন্দোলন শুরু করেছে। এগুলি ভালো লক্ষণ না। দুর্গা পুজা কাছে। এটা নিয়ে একটা ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা হবে। গোয়েন্দা
বিভাগে এখনও আওয়ামী প্রাধান্য আছে কি না জানি না। সঠিক গোয়েন্দা তথ্য না পাওয়া গেলে এই সরকার বিপদে পড়বে। ইউটিউবে কয়েকজন সামরিক অফিসার নিরপেক্ষভাবে দেশের শত্রুদের সম্পর্কে বক্তব্য রাখছেন। তাদের সব কথা সত্যি না হলেও অনেক কথাই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে।

গার্মেন্টস সেক্টরের আন্দোলন এখনও থামেনি। এটাকে স্মার্টলি ম্যানেজ না করতে পারলে দেশের আর্থিক ক্ষতি হবে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই দেশে এখন গার্মেন্টস বাদ দিয়ে অন্য শিল্পে মনোযোগ দেয়া উচিত। এই এক সেক্টরের উপরে ভরসা করে চললে দেশ আগাবে না। তাই এই সেক্টরের উপরে বিপদ আসাটা শাপে বড় হতে পারে। এই দেশে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে অনেক সুযোগ আছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। মাথায় বুদ্ধি থাকলে সম্ভব।

শেখ হাসিনা ও তার দল এখনও দমেনি। এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু এই সরকারের মধ্যে সেই রকম কঠোরতা দেখা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক বন্ধুতাও স্থায়ী কোন জিনিস না। বিশ্ব রাজনীতির ফাঁদে যেন আমরা না পড়ে যাই। চিনের প্রতিপক্ষ হল ভারত এবং অ্যামেরিকা। তারা তাদের প্রয়োজনে অনেক কিছুই করতে পারে। অ্যামেরিকা বিশ্বাস করার মত কোন দেশ না। তাই তাদের আশায় না থেকে নিজেদের মেরুদণ্ড শক্ত করতে হবে। যেন কারও সাহায্য ছাড়াই শেখ হাসিনা গংকে শাস্তি দেয়া যায়। শাস্তি দিতে দেরী করলে সামনে বিপদ আছে। সরকার এখন হানিমুন পিরিয়ড পার করছে। এই সুসময় শেষ হয়ে যাবে। এই সরকারের বর্তমান অবস্থা অনেকটা কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের ছেলে মেয়েদের মত মনে হচ্ছে। কিন্তু পরীক্ষা কিন্তু অতি নিকটে। তখন ফেলে আসা সময় নিয়ে আফসোস করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। অ্যামেরিকার নিরঙ্কুশ সমর্থন সব সময় নাও থাকতে পারে। তাই জনগণ ঝিমিয়ে যাওয়ার আগেই কঠোর হাতে দ্রুত একশনে যেতে হবে। দেরী করলে এই সরকারের লোক জনও কঠিন বিপদে পড়বে। শয়তানের সাথে ভালো মানুষী দেখিয়ে কোন লাভ হবে না। এটা তাদের মনে রাখতে হবে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খাইছে আমারে!! মন্তব্য দেইখা ডরাইছি!!! B:-)

এখন খানিকটা দৌড়ের উপ্রে আছি। এই সময়ে এইটা পড়ে মন্তব্য করা মুশকিল। পরে আসছি। :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ১৬ বছরের সব জঞ্জাল পরিস্কার করা আসলে এই সরকারের দায়িত্বও না। এই সরকার মূলতঃ বেশকিছু প্রয়োজনীয় রিফর্ম করবে আর দেশকে মোটামুটি একটা পর্যায়ে নিয়ে এসে নির্বাচন দিবে। পরের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সেই নির্বাচিত সরকারও সব জঞ্জাল পরিস্কার করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না, কারন সম্ভবতঃ তারা নিজেরাই বেশ কিছু জঞ্জাল উৎপন্ন করবে!!! :P

বৈদেশিক ঋণ অনেক বেশী হলেও আমার কাছে তেমন বিপদজনক মনে হয়নি কারণ অনেক দেশেরই বৈদেশিক ঋণ এর চেয়েও বেশী আছে। আপনার এই কথায় সমস্যা আছে কইলাম!! অনেক দেশেরই আমাদের চেয়ে বেশী ঋণ আছে সত্য, তবে তারা সেই ঋণ দিয়ে ঘি খায় নাই। এমন খাতে ইনভেস্ট করেছে যেখান থেকে ভালো রিটার্ণ আসে। ফলে তাদের সমস্যা নাই। আমাদের ঋণের টাকার একটা বড় অংশ দেশেই নাই, বাকীটা কর্ণফুলি টানেলের মতো কাজে ব্যয় করেছে, যেখান থেকে খরচই উঠবে না, লাভ তো দুরের কথা। তো ঋণ শোধ করবে কিভাবে? জনগনের গলা কাটা ছাড়া কোন উপায় রাখছে বিগত রাজাকার আওয়ামী সরকার? বিষয়টা কি বুঝাইতে পারলাম?

কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। ঋণ সঠিকভাবে ব্যবহার করে জিডিপি বাড়াতে পারলে সমস্যা হয় না। কিন্ত বাংলাদেশে সেটাই চ্যালেঞ্জ। এই ঋণের অর্ধেক বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এটাই বিপদের কথা। দেশের অর্থনীতিতে কাজে লাগে নাই। এইতো লাইনে আসছেন!!! :P

এই দেশের অনেক শিক্ষিত মানুষও আসলে প্রকৃত উন্নয়ন কী সেটা বোঝে না। ঠিক!!! ডিপ্লোমা এন্জিনিয়াররাও শিক্ষিত মানুষ, কিন্তু তাদের তো মাইক্রো আর ম্যাক্রো ইকোনোমিক্স এবং ফাইনান্স বোঝার চান্স কম। তাই না!! আরেক ধরনের শিক্ষিত আছে, যারা জেগে ঘুমায়, এরাও বুঝবে না। আর হালুয়া-রুটির ভাগ পাওয়া শিক্ষিতদের কথা আর নাই বা বলি!! ''বিবেক''কে ''চেতনা'' দিয়ে ঘুম পাড়ায়ে রাখলে জাগ্রত হবে কিভাবে? :-B

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে খুব বেশী সময় দেয়া ঠিক হবে না। হাসান মাহমুদকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়া হলো। সে কিভাবে বিদেশে যায়? ভাতের হোটেলের হারুণকে সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেয়া হলো। সে কোথায়? বিপ্লব কিভাবে ভারতে ভেগে গেলো? মনিরুল কোথায়? এসব প্রশ্নের উত্তর তো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দিতে হবে। যতোক্ষণ সে পরিস্কার করে কিছু না বলবে, মানুষ সন্দেহ করবে। বলবে, হালায় ট্যাকাটুকা খাইছে। এটা নিশ্চয়ই ইউনুস সরকারের ক্লিন ইমেজের জন্য সুখকর না। আওয়ামী লীগ এখন গর্তে, কিন্তু তাদের হারামীপনা করার ক্ষমতাকে ইগনোর করলে এই সরকারের / জনগনের কপালে দুর্ভোগ আছে। গোপালগন্জ একটা বার্তা দিচ্ছে, সরকার কি সেটা বুঝতে পারছে? আমার তো মনে হয় না।

হাসিনাকে পালিয়ে যেতে দেয়াটাও কোন ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না। এরশাদের মত গ্রেফতার করা উচিত ছিল। এরশাদকেও তৎকালীন সেনাপ্রধান পালিয়ে যাওয়ার অপশান দিয়েছিল। সে পালায় নাই। আসলে হাসিনার হারামীপনার কাছে এরশাদ ছিল দুধের বাচ্চা। প্রথম সুযোগেই পতিতা হাসিনা তার দলের সবাইকে বিপদে ফেলে পালিয়েছে। শালী একটা বেইমান!!!! ;)

এই সরকারকে অবশ্যই লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ডাক্তারদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এইটা এই সরকার না করলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার কখনও করবে না।

প্রতিটা শহীদ এবং আহতদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা অতি জরুরী ভিত্তিতে এ্যসেস করে পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকার ইতোমধ্যেই অনেক দেরী করে ফেলেছে। এরা ব্যস্ত সময় পার করছে লিস্ট নিয়ে। এরা কি প্রায়োরিটি বোঝে না? আর আহত যাদের বিদেশে নিলে সুস্থ্য করে তোলা সম্ভব, তাদেরকেও দ্রুত এই সেবা দিতে হবে। অনেক চিকিৎসা আছে, যেটা সময়ে করলে শতভাগ না হলেও কাছাকাছি সুস্থতা সম্ভব। সময়ের সাথে সাথে সেই হার কমতে থাকে।

৬৪ টা জেলায় ৬৪ টা উন্নত মানের হাসপাতাল করতে বড় জোর ৬৪ হাজার কোটি লাগবে। এটা বাংলাদেশের বাজেটের ১০% ও না। ৫ বছরে করলেও এটা করা সম্ভব। সম্পূর্ণ একমত। আসলে আমাদের শিক্ষা আর স্বাস্থ্যখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। ড. ইউনুস নিজে একজন শিক্ষাবিদ হয়ে এই দুটার রিফর্মকে অগ্রাধিকার কেন দিলেন না, বুঝলাম না!!! ঘটনা কি? :(

গোয়েন্দা বিভাগে এখনও আওয়ামী প্রাধান্য আছে কি না জানি না। আওয়ামী প্রাধান্য সবখানেই আছে। এটাই বড় সমস্যা। তবে একটু সজাগ হলেই এসব সমস্যাকে ট্যাকেল দেয়া সম্ভব। ইউনুস ভাইজানের অন্যতম প্রধান সুবিধা হইলো, তার আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যতা। দেশে তো আছেই। এইগুলাকে পূজি করে তার পক্ষে সব সমস্যারই স্বল্পমেয়াদী আর দীর্ঘমেয়াদী সমাধান সম্ভব। এখন কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে এসব বাস্তবায়িত করাটাই চ্যালেন্জ। উনাকে কঠোর হতে হবে। সাঙ্গপাঙ্গদেরকে দৌড়ের উপর রাখতে হবে। বাঙ্গালী জাতি এতো সোজা জিনিস না, এই জাতিকে ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুতিনের মতো লোক দরকার। উনার মধ্যে পুতিনের তেজ ইনজেক্ট না করতে পারলে বিপদ আছে!!!

ছাত্ররা যদি ঠিকমতো প্রেশারগ্রুপের দায়িত্ব পালন করে, তাহলে অনেক কাজই উনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। সমন্বয়করা কি সেটা বুঝতে পারছে? এখনই দল গঠনের প্রায়োরিটি থেকে তাদের পুরাপুরি না হলেও আংশিক সরে আসা উচিত।

একবসায় এই পরিমান টাইপ করে এখন জিহ্বা বের করে হাপাচ্ছি। আপনে মানুষটা বেশী সুবিধার না!!!!! X(

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: এই পোস্ট আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ায় এই পোস্ট কপি করে ফেসবুকে শেয়ার করেছি আপনার সৌজন্যে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সমস্যা নাই........ধন্যবাদ। আমার অবশ্য ফেইসবুকে আনাগোনা নাই; তারপরেও পারলে লিঙ্কটা দিয়েন। ফেইসবুকারদের রিয়্যাকশান দেখবো নে সময় করে!!! :)

৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আশা করার মত তেমন কিছু এখনো ঘটেনি। অনেক কিছুই পছন্দ হচ্ছে না। না স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, না বাকি দুয়েকজন।
মাত্র ৩৮ দিন। আশাহত হচ্ছি না এখনই ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এতো তাড়াতাড়ি আশাহত হওয়া ঠিক হবে না। ড. ইউনুস সরকারকে সফল হতেই হবে। আর কোন অপশান নাই।

১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১

অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: শেষ পর্যন্ত ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস স্যার সন্মান নিয়ে নামতে পারলে আল্লাহুর লক্ষ লক্ষ সুকরিয়া। কারন ওনার পাশে থাকা
বদ লোকজনের অভাব নাই।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বদ লোকজন আর ধান্ধাবাজদের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। উনি সহজ-সরল মানুষ, কাজেই উনার শুভান্যুধায়ীদের দায়িত্ব অনেক বেশী। উনি যদি ব্যর্থ হন তাহলে আমাদের কপালে শণি আছে। কাজেই উনাকে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।

আল্লাহ ভরসা।

১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক কিছুই বুঝি না তাই যারা বুঝেন লিখেন তাদের লেখাগুলো মন দিয়ে পড়ি। তবে আমি আর একটু ধৈর্য ধরার পক্ষে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক কিছুই বুঝি না তাই যারা বুঝেন লিখেন তাদের লেখাগুলো মন দিয়ে পড়ি। চাপা মাইরেন না। :)

তবে আমি আর একটু ধৈর্য ধরার পক্ষে। ''আর একটু'' মানে কি? পলিটিশিয়ানদের মতো কইলে হবে না। বিষয়টা পরিস্কার করেন!!! :-B

১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪১

ঢাবিয়ান বলেছেন: চারদিকে এত শত্রু পরিবেষ্টিত হয়ে এখনও যে এই সরকার টিকে আছে তা কেবলই ডক্টর ইউনুসের জন্য। উনি খুব ভাল করেই বুঝতে পারছেন যে , কিসের সাথে উনি লড়াই করছেন। এই মুহুর্তে সবচেয়ে যেটা জরুরী সেটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মিত্র বাড়ানো। উনি সেটাই করছেন। উনার ব্যক্তিগত কানেকশন ব্যবহার করে উনি আমেরিকার সাথে ভাল সম্পর্ক গড়তে চাচ্ছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এখন ঢাকায়। এছাড়া তিনি সাউথ ইস্ট এশিয়ার শক্তিশালী জোট ASEAN এ বাংলাদেশকে ঢোকানর চেষ্টা করছেন। সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছেন। সেখানে ভারত না আসলে নাই । সার্কভুক্ত বা্কি দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক জোড়দার করা জরুরী।

এখন ডঃ ইউনুসের দরকার জোড়ালো জনসমর্থন। ভুল ত্রুটি থাকলেও কড়া সমালোচনা না করে জাস্ট ভুল ধরিয়ে দেয়া। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, মাত্র ৩৮ দিন আগেও এই দেশের কি ভয়ঙ্কর হাল ছিল। এই কারনেই আপনার রিভিউ খুব ভাল হয়েছে। বর্তমান স্বরাস্ট্র উপদেষ্টা একেবারেই অযোগ্য। এই পদে প্রয়োজন একজন রাফ এন্ড টাফ ব্যক্তি। যাই হোক সব কিছুর পরেও আলহামদুলিল্লাহ খুব ভাল আছে দেশ। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললে মন ভাল হয়ে যায়। ডক্টর ইউনুসের একেকটা বানী শুনলে গর্বে ভরে উঠে বুক।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই মুহুর্তে সবচেয়ে যেটা জরুরী সেটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মিত্র বাড়ানো। উনি সেটাই করছেন। শোনেন, প্রাসাদ যড়যন্ত্র বড় ভয়ঙ্কর জিনিস। ঘর ঠিক না থাকলে বাইরে ঠিক রাইখা লাভ নাই। এই জন্যই আমি সব সময়ে আমার বউরে খুশী রাখি। সমস্যা হইলো, উনার বউ নাই বহুদিন। সেইজন্য উনি বিষয়টা বুঝতে পারতেছেন না, যেইটা আমি বুঝতেছি!!!!

আপনেরে বুঝাইতে পারলাম? :P

১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার সেই হরলিক্সের এডটা মনে আছে???

আমি তো এমনি এমনিই খাই! :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই মনে আছে। আমিও তো এমনি এমনিই খাই!!!! :-B

১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আল্লাহ কান ধরছি চাপা না ব্রাদার!

আরেয়ে ধুর পলিটিক্স আর আমি আবার জন্মাইতে হইব :|

আমি বলতে চাইলাম, এই যেমন ধরেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা - উনি কেমন বড়শীতে মাছ গেঁথে খেলিয়ে খেলিয়ে তুলে আনতে চাইছেন বলে মনে হচ্ছে। আমি বর্ডারে উনার হাঁকডাক দেখেই খুশি। তেমন সব সেক্টরে সমালোচনা বা রেজাল্ট দেখতে আর একটু সময় তো দরকার।

আর একটা কথা জামায়াত যদিও লুটপাটে শামিল হবে না, এই তথ্য কই পাইলেন ? ব্যাংক গুলি জবর দখল কারা করল ? তাছাড়া জিন্দগিতে ক্ষমতায় না বসে , যা যা করছে দেশে পরিচালনার দায়িত্ব পেলে না জানি কি করে ?


১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরেয়ে ধুর পলিটিক্স আর আমি আবার জন্মাইতে হইব :| ভোলাভালা ভাব ধইরেন না। আমাগো দেশের একজন রিকশাওয়ালাও পলিটিক্স বোঝে। সেইখানে একজন প্রাক্তন ঢাবি'র ছাত্রী পলিটিক্স বোঝে না। মজা লন!!!! :-B

আমি বলতে চাইলাম, এই যেমন ধরেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা - উনি কেমন বড়শীতে মাছ গেঁথে খেলিয়ে খেলিয়ে তুলে আনতে চাইছেন বলে মনে হচ্ছে। আমি বর্ডারে উনার হাঁকডাক দেখেই খুশি। সীমান্তে বিজিবি আর পিঠ দেখাবে না.......স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই মন্তব্যের কথা কন? এইটা ১৩ই অগাষ্ট আগের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বয়ান। এইটারই কপি/পেষ্ট করছে বর্তমান উপদেষ্টা ৭ই সেপ্টেম্বরে। হালায় নিজের থিকা কথাও বলতে পারে না!!! B:-/

আর একটা কথা জামায়াত যদিও লুটপাটে শামিল হবে না, এই তথ্য কই পাইলেন ? ব্যাংক গুলি জবর দখল কারা করল ? আচ্ছা, আমি কিছু কমু না। আপনে বরং আমাদেরই আরেক ব্লগারের এই আর্টিকেলটা পড়েন। view this link

তাছাড়া জিন্দগিতে ক্ষমতায় না বসে , যা যা করছে দেশে পরিচালনার দায়িত্ব পেলে না জানি কি করে ? আম্লীগ/বিম্পি তো দেখলাম। এখন জনগন যদি তাদের সুযোগ দেয়, দেখতে অসুবিধা কি? তারা তো আর ইলেকশান এন্জিনীয়ারিং কইরা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। নাকি কন?

১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: আদানি রাশিয়াকে কি বলে থামাবেন।আইএমএফ থেকে লোন নিয়ে।যেটা আমেরিকার প্রস্তাব।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনারা অকাম করে গিয়েছেন, দেশের স্বার্থে কোন না কোন ভাবে তো সেটা সামলাতে হবে, নাকি? কিভাবে সামলাবো সেটা কি আপনার মতো ভারতীয় দালাল নব্য রাজাকারের কাছে সবিস্তারে ব্যাখ্যা করতে হবে?


১৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৪

মিরোরডডল বলেছেন:





আরোগ্য বলেছেন: শরীরটা অসুস্থ দোয়া করবেন।

Get well soon আরোগ্য।
জীবনে সুস্থ থাকাটা সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট।
তারপর সবকিছু।

১৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: Click This Link

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান। দেখলাম আমাকে ''ভুইয়া মফিজ'' বানান নাই। সেইজন্য আরেকপ্রস্থ ধন্যবাদ। :)



১৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৫

মিরোরডডল বলেছেন:





কয়েকটা চাকচিক্যময় ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মোহে পড়ে দেশের অর্থনীতিকে ঝাঝরা করে দেয়া বিগত সরকারের উন্নয়নের গুণগান গেয়েছিলো একটা সময়ে!!!

আমাকে বলা হয়েছে তো?? এর আগেও এই নিয়ে কথা হয়েছে ভুমের সাথে।
একটা সময়ে না, এখনো যে কারো ভালো কাজের প্রশংসা করি। তার মানেই এই সরকারের খারাপ কাজকে সমর্থন করা না।
ভুমের এই এক বাক্যে অনেকগুলো কথা বলার আছে। কারণ ইদানিং আরও কয়েকজনের কাছ থেকে এরকম কথা শুনতে হচ্ছে যেটা খুবই আপত্তিজনক!

If I say I like you, that doesn't mean I love you.
There's a difference between like & love.
Similarly, appreciation and infatuation are not same.
কিছু কাজের প্রশংসা করেছি মানে মোহে পড়ে গেছি? তাদের খারাপ কাজ সম্পর্কে অবগত নই?

একটা দেশের ইন্ফ্রাস্ট্রাকচারের উন্নয়ন করা সেই সরকারের দায়িত্ব।
এখন এই কাজের পেছনে যে হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে সেটা অবশ্যই নিন্দনীয়, যেটা সব সময় বলেছি, এখনো বলি।
শুধু এই সেক্টরে না, সরকারের প্রতিটি সেক্টরে রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি যেটা আমাদের দেশের সকল সমস্যার মূল, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, এক কথায় আমরা সবাই কমবেশি ভুক্তভোগী।
এই সরকার সবচেয়ে বেশি সময় ছিলো, তাই তাদের অপকর্ম এবং করাপশনের ভাণ্ডারও বেশি।

হ্যাঁ এখনো বলবো, এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে, মেট্রো রেই্‌ল, পদ্মা সেতু, এই কাজগুলো প্রশংসার দাবি রাখে।
কারণ লাখো লাখো এন্ড ইউজার এতে প্রতিনিয়ত বেনিফিটেড হচ্ছে।
দেশের বয়স ৫৩ বছর, এই ডেভেলপমেন্ট আরও অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিলো।
এটা বলার অর্থ এই নয় যে তাদের অনৈতিক কাজগুলোকে সমর্থন করা।

I'm not justifying them but it's my statement what I like and what I don't.


১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাকে বলা হয়েছে তো? আরে না। ওটা উচ্চ শিক্ষিত ব্লগারদেরকে বলা। মিড কি নিজেকে উচ্চ শিক্ষিত মনে করে? =p~
ওকে, জোকস এপার্ট। আমার পছন্দের মানুষদেরকে খোচাতে আমি খুবই পছন্দ করি, সেটা ঠিক; বাট ওইটার টার্গেট যাহারা, উহাদেরকে এখন আর ব্লগে স্বনামে দেখি না। সোওওও নোওওও হার্ড ফিলিংস!!! :)

হ্যাঁ এখনো বলবো, এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে, মেট্রো রেই্‌ল, পদ্মা সেতু, এই কাজগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। কারণ লাখো লাখো এন্ড ইউজার এতে প্রতিনিয়ত বেনিফিটেড হচ্ছে। দেশের বয়স ৫৩ বছর, এই ডেভেলপমেন্ট আরও অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিলো। এটা বলার অর্থ এই নয় যে তাদের অনৈতিক কাজগুলোকে সমর্থন করা। এই কথাগুলোতে যে ঘাপলা আছে, তা আমি যুক্তি সহকারে ব্যাখ্যা করতে পারি। কিন্তু মানুষ যখন যুক্তি বাদ দিয়ে আবেগ দ্বারা পরিচালিত হয়, তখন কোন যুক্তিই তার কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না। কাজেই সময় নষ্ট করে কি লাভ?

মিড ব্লগে নিজেকে যতোই বাস্তববাদী হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করুক না কেন, আবেগতাড়িত হওয়া এড়াতে পারলো না। :P

১৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৫০

আহরণ বলেছেন: ভাইয়া, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকার যা করেছে, নতুন বাংলার সুদ সরকার ১৫ দিনেই তারচেয়ে ঢের বেশি করে ফেলেছে।

১। রাতারাতি ফারাক্কা বাঁধের বিকল্প ২৯,০০০ ফুট উচু বাঁধ নির্মান করে ফেলেছে, এখন বন্যার পানিতে ভারত ডুবে যাবে।

২। ইলিশ বন্ধ, ভারতের মানুষ সব না খেয়ে মরবে।

৩। ভারতের সেভেন সিস্টার বাঙ্গু মুসলমানদের দখলে চলে গেছে।

৪। সীমান্তে গরুচোর গুলি খেয়ে মরবে না, ঝুলেও থাকবে না।

৫। হিরো আলমের কথা, সুর ও কন্ঠে নতুন জাতীয় সংগীত এসেছে।

৬। ফ্রী ভিসায় ফাঁকিস্তান ভ্রমন করা যাবে।

আর কী লাগবে, @ ভাইয়া? ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পতিতা হাসিনাকে একটা ব্যাপারে ক্রেডিট দিতেই হয়, সেটা হলো.........সে শুধুমাত্র দেশেই বহু পা-চাটা কুত্তা তৈরী করে নাই, ভারতেও তৈরী করতে পেরেছে। আর এইসব ভারতীয় কুত্তাগুলো এতোটাই নির্লজ্জ যে, লাথি দিয়ে ব্লগ থেকে বের করে দিলেও আরেক নামে এসে আবার ল্যাদাইতে থাকে।

২০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১

আরোগ্য বলেছেন: গতকাল বিকালে ডাক্তারের কাছে রিপোর্ট দেহাইতে গেছিলাম, হরেক রহম টেস্টে তেমন কোন সমস্যা নাই। সমস্যা একটাই বয়স আর ওজন একই সংখ্যার ঘরে, গতানুগতিক ডাক্তারের একটাই কথা খাবার বাড়াও।

এবার আপনের পোস্ট প্রসঙ্গে আহি। মাথা ব্যথার লেইগা পোস্ট কালকা এক চোখ বন কইরা আরেক চোখ দিয়া পড়সি কিন্তু মন্তব্য করি নাই। আপনে তো বড় মাপের বিশ্লেষণ করসেন। আমার ছোট মাথায় আমি বুঝি একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে সবার আগে আমার কাছে জান মালের নিরাপত্তা ও দ্রব্যমূল্যের সহনশীলতা। কিন্তু এই দুই জায়গায় আমি কোন উন্নতি দেখতাসিনা। আপনের কথায় পয়েন্ট আছে। বর্তমানে যে স্বরাষ্ট্র পদে আছে তারে দেইহা মনে হয় ধমকি দিয়া বহায়া দেহন যাইবো কিন্তু সাখাওয়াতের পারসোনালিটি পদের লেইগা মানানসই আছিলো খালি একটু টাইট দিয়া রাখলে হইতো,যেটা আপনেও কইসেন। আমার মনে হয় পোলাপানগুলি এহন একটু বাড়াবাড়ি কইরা ফালাইতাসে। লীগের কথা বাদই দিলাম। বিএনপির এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসীরা ভালাই মাথাচাড়া দিয়া উঠসে। এর প্রভাব আমগো জীবনেও পড়সে। যদিও গত দুই বছরে দুই বার বাসা বদলের চেষ্টা করসি কিন্তু বাড়ির ভিতরের সন্ত্রাসীর কাজকর্ম দেইখা তড়িঘড়ি একমাসের মধ্যে ভাড়া বাসায় উঠসি। বাড়ির ছাদে মদ আর জুয়ার আড্ডা তার উপর কহন কারে বাড়িত আইনা মাইরধইর করে তার কোন ইস্টিশন নাই। একটা আতঙ্কে থাকন লাগতো। আমার জীবনের একমাত্র ভোটটা আমি ধানেই মারতে পারসিলাম কিন্তু এহন আর ইচ্ছা নাই। আর নৌকা তো আজীবন দেখতেই পারতাম না। ইউনুসরে সবাই কন রাজনীতির মানুষ না, ভাষণ হুইনা সবাই মুগ্ধ কিন্তু আমার এরে গভীর জলের মাছ মনে হয়।
মরাল অব দ্য স্টোরি, এই দেশের জনগণ ভালা না। এহন কেউ সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে নাই। কার ঘাড়ে পারা দিয়া কে উচা হয়া পারবো ওই ধান্দা। আসিফ মাহমুদ কইসে কেউ তারে দুর্নীতির মহাসমুদ্রে ছাইরা দিসে। ট্রু ফ্যাক্ট।

সবচেয়ে জরুরি কথা যার নিহত তাদের কথা নাইলে পড়ে কই কিন্তু যারা আহত তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ওহনও সরকার করতাসে না। অথচ আসসুন্নাহ এর মত বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান আহতদের চিকিৎসা খরচ সহ বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অল্প সময়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানলাম সরকারি প্রসেসে টাইম লাগে কিন্তু সর্বাগ্রে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত ছিলো। আমি এই সরকাররে নিয়া আশাবাদী ছিলাম কিন্তু এহন কিছুই কইতে পারতাসিনা। আর আসিফ নজরুল, এরে কেমন জানি এহন সুবিধাবাদী মনে হইতাসে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সমস্যা একটাই বয়স আর ওজন একই সংখ্যার ঘরে এতে কি সমস্যা তা তো বুঝলাম না। :(
গতানুগতিক ডাক্তারের একটাই কথা খাবার বাড়াও। হালার কপাল!!! আমারে কয় খাওন কমাও!! পোলাও, কোর্মা, বিরিয়ানী কম খাও!!! আমিও কইছি..........তার চেয়ে আমারে মাইরা ফালাও!!!! X(

জান মালের নিরাপত্তা ও দ্রব্যমূল্যের সহনশীলতা। কিন্তু এই দুই জায়গায় আমি কোন উন্নতি দেখতাসিনা। এতো তাড়াতাড়ি দেখবেনও না। টাইম লাগবো। পুলিশ অহনতরি রাইতে থানার বাইরে যাইতে ডরায়। আর পোষ্টেই তো কইছি, মুদ্রাস্ফীতির কারনে (৬০ হাজার কোটি ট্যাকা ছাপানো) যে মুল্যস্ফীতি হইছে, এইটা দ্রুত কমানের কোন ম্যাজিক নাই। এইসব কামে আরো বহুত ফ্যাক্টর জড়িত। সবকিছু ঠিক থাকলে আস্তে আস্তে দাম নিয়ন্ত্রণে আইবো।

ইউনুসরে সবাই কন রাজনীতির মানুষ না, ভাষণ হুইনা সবাই মুগ্ধ কিন্তু আমার এরে গভীর জলের মাছ মনে হয়। হ্যায় তো বেকুব না, তয় রাজনীতিবিদ গো লাহান ধূর্তও না। এইটাই সমস্যা।

বিএনপি'র কথা আর কইতে মন চায় না। কেউ যদি অতীত থিকা কিছু না শিখতে চায়..........কি আর করা। পোলাপাইন / আসিফ নজরুলরে নিয়া শ্যাষ কথা কওনের টাইম অহনও হয় নাইক্কা। আমি অহনও আশাবাদী। দেখা যাক। আর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশান আসলেই দারুন কাম করতাছে। তাগো আরো বড় বড় পরিকল্পনা আছে। আল্লাহ হ্যাগো সফল হওনের তৈাফিক দান করুন।

২১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৮

আরোগ্য বলেছেন: @মিরোরডডল
অনেক ধন্যবাদ। ১০/১২ দিন যাবৎ এতো দুর্বল ছিলাম যে মনে হত এ যাত্রায় চলে গেলে বেঁচে যেতাম। সাইনাসের সমস্যা, কাশি, বিপি ৭০/৬০, শরীরে প্রচণ্ড অবসাদ গেছে, শুধু শুয়ে বসে সময় পার করতাম আর ইউটিউব দেখতাম। আজ বেশ ভালো আছি গতকাল রাত থেকে এন্টিবায়োটিক চলছে। যদিও UTI ছাড়া মেডিকেল রিপোর্টে কোন সমস্যা ধরা পড়ে নি। আলহামদুলিল্লাহ। মানসিক চাপ আমি নিতে পারি কিন্তু শারীরিক দুর্বলতা অনেক ভারী বোধ হয়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশ্যই ডাক্তারের লগে কথা কইবেন, তারপরেও প্রিভেনটিভ মেডিসিন নিয়া নাড়াচাড়া করার সুবাদে আপনেরে কিছু উপদেশ দেই।
UTI ছাড়া মেডিকেল রিপোর্টে কোন সমস্যা ধরা পড়ে নি। ক্যান..........হাইপোটেনশানরে (বিপি ৭০/৬০) কি আপনের সমস্যা মনে হয় না?

বাংলাদেশে কি ক্র্যানবেরী পাওয়া যায়? তাজা না হইলেও ড্রাইটা তো পাওয়া যাইতে পারে। ক্র্যানবেরীর জুসও খাইতে পারেন। এইটা UTI এর জন্য খুবই উপকারী। যতো পারেন, ফ্লুইড খান (পানি, জুস, স্যুপ ইত্যাদি)। এইটা হাইপোটেনশান আর UTI, দুইটার জন্যই ভালো। সাইট্রাস ফল (কমলা, লেবু ইত্যাদি) কম খাইবেন। মিষ্টি, বেশী মশলাদার খাবার আর ক্যাফেইন (চা/কফি) যতো কম খাইবেন, ততো ভালো।

বিড়ি আর এ্যালকোহল একদমই বাদ!!!!! :-B

২২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৬

আমি সাজিদ বলেছেন: আরোগ্য এর বিপি মেশিনে সমস্যা আছে মনে হচ্ছে! ৭০/৬০ বিপিতে বাসায় বসে থাকা উচিত নয়।

যাই হোক, মফিজ ভাই, পোস্ট পড়েছি। মন্তব্য করলাম দেরীতে। পোস্ট পরবর্তী অনেকের মন্তব্যগুলোও বেশ চমৎকারভাবে উঠে এসেছে।

এই ছেলেটার কথা শুনেন : আরিফ সোহেল

এরা পরিবর্তন না আনতে পারলে কেউই পারবে না৷ হ্যাটস অফ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোষ্ট আর মন্তব্যগুলো পড়ার জন্য ধন্যবাদ। দেরী সমস্যা না, অল্পকিছু ব্লগার বাদে আমরা সবাই কর্মজীবনে ব্যস্ততার ফাকে ফাকেই ব্লগিং করি।

আরিফ সোহেলের কথাগুলো শুনলাম। চমৎকার বলেছে। সমস্যা হলো, সাধারন মানুষ এখন কথার চেয়ে কাজ বেশী দেখতে চায়। এদের কাছে সবার প্রত্যাশাও বেশী। সেটা পূরণ করতে না পারলে এদের অর্জন এরাই নষ্ট করবে। :(

২৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন:





লেখক বলেছেন: ওটা উচ্চ শিক্ষিত ব্লগারদেরকে বলা। মিড কি নিজেকে উচ্চ শিক্ষিত মনে করে? =p~

আমার মন্তব্যে উচ্চ শিক্ষিত কথাটা কিন্তু নেই :-) উন্নয়নের চাকচিক্য নিয়ে ভুমের সাথে আগের পোষ্টে যে কথা হয়েছিলো, সেই রেফারেন্স থেকে আমি বলেছি। নো ওয়ান নোজ, বাট ইউ নো মাই ডিয়ার।

বাট ওইটার টার্গেট যাহারা, উহাদেরকে এখন আর ব্লগে স্বনামে দেখি না।

Of course I know them.
রাজনীতির বিষয়ে যদি না যাই, apart from that, ওরা দুজনেই আমার প্রিয় ব্লগার।
I knew, তাদেরকেও মিন করা হয়েছে, না বোঝার কি আছে!

মিড ব্লগে নিজেকে যতোই বাস্তববাদী হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করুক না কেন, আবেগতাড়িত হওয়া এড়াতে পারলো না। :P

বিষয়টা আবেগের না, আমি মানুষটা স্বভাবে এমন।
এই যে ব্লগে সমালোচিত ব্লগারদের খারাপ আচরণকে যেমন নিন্দা জানাই, সেইম ব্লগারের কোনকিছু যদি ভালো লাগে সেটাও ওপেনলি বলতে পছন্দ করি। কারণ আমি বিলিভ করি সবাই দোষে গুণে মানুষ, none of us perfect.
তাই ভালোমন্দ দুটোই বলি।

ব্লগের বাইরেও তাই, যে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো, সেই এখন আমার সবচেয়ে বড় এনেমি :)
কিন্তু এখনো আমি তার ভালো দিক মেনশন করে এপ্রিশিয়েট করি, though we're no longer friends, and we won't be. ভালো থাকবে ভুম।


১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার মন্তব্যে উচ্চ শিক্ষিত কথাটা কিন্তু নেই তা নাই, কিন্তু পোষ্টে আমি কি বলেছি? বলেছি........কিছু উচ্চ শিক্ষিত ব্লগারও কয়েকটা চাকচিক্যময় ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মোহে পড়ে দেশের অর্থনীতিকে ঝাঝরা করে দেয়া বিগত সরকারের উন্নয়নের গুণগান গেয়েছিলো একটা সময়ে!!! এখন মিড কি আমার প্রতি-মন্তব্য রিলেইট করতে পারছে? এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে আগে কথা হয়েছে সত্যি, কিন্তু সবকিছু নিজের উপরে নিলে হবে? মিড এই পোষ্টে আমাদের মধ্যে যেই কনভারসেশান হয়েছে সেটা আরেকবার রিভিউ করলেই বিষয়টা বুঝতে পারবে আশা করছি। :)

Of course I know them. রাজনীতির বিষয়ে যদি না যাই, apart from that, ওরা দুজনেই আমার প্রিয় ব্লগার। I knew, তাদেরকেও মিন করা হয়েছে, না বোঝার কি আছে! হিয়ার ইউ আর!!!তাহলে তো হয়েই গেলো। নিজের উপরে নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কোন অবকাশ দেখছি না।

বিষয়টা আবেগের না, আমি মানুষটা স্বভাবে এমন। আমি সেটাই বলছি। মানুষটা স্বভাবগতভাবেই আবেগী!!! :-B
আমিও অনেকটা এমন ছিলাম আগে। অনেক কসরৎ করে স্বভাবে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। আচার আচরনে খানিকটা ডিপ্লোমেটিক হয়েছি। সম্পর্কের খাতিরে অনেক সময়ে 'না'কে খানিকটা 'হ্যা' এর সূরে বলার প্রয়োজন পড়ে অনেক সময়ে।

একটা উদাহরন দেই........ব্লগে আগে কোথাও বলেছি সম্ভবতঃ। আমি যখন এমবিএ করি, তখন একটা মিনি এসাইনমেন্ট ছিল এমন যে............চাকুরী প্রার্থী একজন ক্যান্ডিডেটকে একটা রিগ্রেট লেটার দিতে হবে, যেটাতে কোন না-সূচক শব্দ বা ভাব প্রকাশ করা যাবে না। পুরাই পজিটিভ একটা ভাইব দিতে হবে। আমার চিঠিটা সবচেয়ে ভালো হয়েছিল!!! ইউ নো হোয়াট আই মিন!!! ;)

২৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৮ দিনের কার্যকালাপ নিয়ে আপনার যুক্তি দর্শন ও সব বিষয়ে আলোকপাত ঠিকঠাক আছে।
খালেদ মহিউদ্দিনের 'ঠিকানা' র লেটেস্ট প্রোগ্রামে ডঃ আনু মোহাম্মদ ও উপদেষ্টা রেজওয়ানা'র সাক্ষাতকারটা দেখতে পারেন- বেশ অনেককিছুর উত্তর আছে।
আজকে সকালে হলুদ সাংবাদিকতার নাটের দুই গুরু শ্যামল দত্ত আর মোজাম্মেল বাবু বর্ডারে কট খাইছেন। আহারে কি ফেরেশতার মত দুইজন মানুষ- যখন টক শো-তে কথা কইতেন তখন মনে হইত কামেলে দরবেশ।
তবে 'বাকের ভাই'রে ধরায় আমি একটু কষ্ট পাইছি। :(

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খালেদ মহিউদ্দিনের 'ঠিকানা' র লেটেস্ট প্রোগ্রামে ডঃ আনু মোহাম্মদ ও উপদেষ্টা রেজওয়ানা'র সাক্ষাতকারটা দেখতে পারেন- বেশ অনেককিছুর উত্তর আছে। লিঙ্ক প্লিজ!!! :)

তিনটাই বদমাইশ!! ভালো হইছে, কট খাইছে। নূরের স্বভাব-চরিত্র আমি খুব ভালো জানি। ইবলিশ। জানেন তো, সেও একসময়ে ফেরেশতা আছিলো!!! ;)

২৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিকানা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখলাম। থ্যাঙ্কু। তিনজনই আমার পছন্দের মানুষ। :)

২৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আশা করে বসে আছি দেশে ভাল কিছু হবে।
তবে এটা বাংলাদেশ ভুলে গেলে হবে না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আশায়ই মানুষ বাচে। আশাহীন মানুষ মানে জীবন্মৃত একটা অবস্থা।

৫৩ বছরের জন্জাল, বিশেষ করে গত ১৬ বছরের জন্জাল দূর করা ছেলেখেলার বিষয় না। সময় লাগবে। আমি আশাবাদী। এই সরকার যদি ২৫% ও ঠিক করতে পারে...........অনেক বড় কাজ হবে।

২৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: প্রত্যাশিত ভালুবাসা না পেয়ে কোন এক গায়ক গেয়েছিল -

''ভালবেসে গেলাম শুধু ভালবাসা পেলাম না,
আশায় আশায় দিন যে গেল, আশা পূরণ হলনা'' -


সেই গায়ক হয়ত ভালবাসার আশায় অনেক দিন-সময় দিয়ে তার কাংখিত ভালুবাসা না পেয়েই এ বিরহের গান গেয়েছিল।

অন্যদিকে মুদি বলেছিল- ''আচছে (ভাল) দিন আয়েগা'' সেই আচছে দিনের আশায় আমজনতা আপা'নি রে মুদির কাছে পাঠাইছে সঠিক ভাবে তালিম নেবার জন্য । আর এদিকে আমরা আমজনতা ৪০ দিন কাডাইছি আপনা'নিরে ছাড়া হাপানি রোগী বেড়ে যাওয়া নোবেল ম্যানের দেশে।

নোবেল ম্যান ও তাহার গুটিকয়েক (২১ জন) সহযোগী যে খুব বেশী কিছু করছে যাতে করে আমরা শতভাগ খুশী ঐতে পারি এমনডা নয়,তবে কিছু কিছু কাজ করছে যাতে আপা'নি পালাইছে ও তাহার সাংগ-পাংগরা হাপানি রোগীর মত শ্বাস টানা শুরু করছে এবং হান্দানের লাইগ্যা গাতা (গর্ত) খুজতাছে ইডাও কমনা :((

নোবেল ম্যান ও তাহার সহযোগীরা ভাল কিছু করবে ও সফল হবে এবং আমরা একটি আপা'নি-হাপানি ও খাওনি ( দূর্নীতি) মুক্ত ভিন্ন ধারার দেশ পাব এই আশায়ই আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.