নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ
ছবি ইন্টারনেট।
১৯৮৮ সালে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে। এখানে কিন্তু কোন ধর্ম রাষ্ট্র পালনে বাধা প্রদান করে নাই বরং অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করবে। এবং বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেদেশে স্বীকৃত সকল ধর্মের মর্যাদা রক্ষায় প্রজাতন্ত্র ধর্মীয় ছুটি পালন করে। তাহলে ধর্ম নিয়ে এত টানাহেঁচড়া কেন? কারণ রাজনীতি মানে নোংরা রাজনীতি। দেশের মানুষের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ তৈরি করতে হবে। এটা হতে পারে ধর্মীয়, সংস্কৃতিক ও সামাজিক আচার নিষ্ঠার মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের কি তা আছে? ধর্মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ মনোভাব প্রকাশ করি। আসলে এই দু-ই দেশ,জাতি,সমাজ, বিশ্ব এমনকি নিজ নিজ ধর্মের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সবার উচিৎ মধ্যপন্থা অবলম্বন করা। একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। একজন বিশ্বাসী, হোক সে ইসলাম, হিন্দু, খ্রিষ্টান অথবা বৌদ্ধ প্রতিটি সম্প্রদায়ের উচিৎ একে অপরের প্রতি সম্মানীয় ও শ্রদ্ধাশীল। প্রতিটি বিশ্বাসী মানুষের উচিৎ সৎ ও মহৎ কাজ এবং সুন্দর চরিত্র অর্জনের মাধম্যে নিজের ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করা। কিন্তু তা কি কেউ করেছে? বলা হচ্ছে বাংলাদেশে ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান তাই বাংলাদেশে রাষ্ট্র ধর্ম হবে ইসলাম। আমিও তাই মানি এবং দাবী করি। আমি খুশি যে আদালত বাস্তবতা উপলব্ধি করে ন্যায় সংগত একটি রায় দিয়েছেন। কিন্তু কথা হল ৯০ ভাগ মানুষ যদি মুসলমান হয় তাহলে সে দেশে কেন এতো পাপাচার হবে? কেন সুদ, ঘুষ, যৌতুক, জিনা, বৈষম্য থাকবে? এ কিসের মুসলমান? শুধু গরু খাওয়া মুসলমান আর মুরগী খাওয়া বাংলাদেশী আমরা। জানি সুদ, ঘুষ, যৌতুক, জিনা, বৈষম্য থাকবে কিন্তু তার বিচার হবেনা কেন? এত এত ধর্মের ভিড়ে আছে নাস্তিক ফ্যারকা। কোনটা যে নাস্তিক আর কোনটা যে ধর্ম বিদ্বেষী তাও আমরা বিচার করতে পারিনা। এখন এমন ধারণা বাঙ্গালীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে যে যারা ব্লগ লিখে তাঁরা নাস্তিক অতএব ব্লগার হত্যা জায়েজ! নাস্তিক হল যে কোন ধর্ম বিশ্বাস করেনা এবং অন্য কেউ ধর্ম পালন করলে তাঁদের জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না। কিন্তু কিছু ফাসেক নিজেদের নাস্তিক বলে দাবী করে আর অন্য দিকে বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসকে আঘাত করে। আসলে এরা হল ধর্ম বিদ্বেষী।
আমি ইসলাম ধর্মের রাষ্ট্র চাই যেখানে সকল ধর্ম বর্ণ গোত্র নিরাপদে থাকবে থাকবে আনন্দ চিত্ত পরিবেশে ,আমি তথাকথিত রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম চাই না যেখানে সবাই অনিরাপদ। আমার কথা পরিষ্কার রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম আর ইসলাম মানবেনা তা হবে না। আজ থেকে বাংলার মুসলমানদের ইসলামের সব আকিদা অনুসরণ করে চলতে হবে। না হলে এই রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হওয়ার কোন মানেই থাকবে না।
রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম এর চেয়ে ইসলাম ধর্মের রাষ্ট্র জরুরী। জানি আমরা অনেকেই ইসলাম ধর্মের রাষ্ট্র চাইব না কারণ ইসলাম ধর্মের রাষ্ট্র হলে যে আমাদের হাত আগে কাটা পরবে, অনেকের গর্দান যাবে। আর ইসলাম ধর্মের রাষ্ট্র হলেই সুদী কারবার,জিনা বেবিচার, ঘুষ, যৌতুক, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণ-হত্যা’র ন্যায় বিচার হওয়া সম্ভব।
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২২
বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ তট রেখা। অবশ্যই ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রে সর্বত্র বাস্তবায়ন চায় আমরা।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
বেলায়েত হােসেন ইমন বলেছেন: অবশ্যই জরুরী। এটাই এক মাত্র মুক্তির পথ। এখন প্রশ্ন হলো, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র গুলো তা কি চাইবে ?
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৭
বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ বেলায়েত হোসেন ইমন ভাই। প্রথমতঃ আমি আপনি সত্যিকারে চাই কিনা? আমাদের চাওয়া এবং বন্ধু রাষ্ট্রদের চাওয়া এক নাও হতে পারে। আবার এমন একটি মৌলিক চাওয়ার সাথে যদি মিল না থাকে তারা আবার বন্ধু হয় কেমনে? বন্ধু নয় আমাদের কাজ আমরা করি সাথে বন্ধু পেলে ভাল তবে না পেলে কোন সমস্যা নেই।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৫
তট রেখা বলেছেন: @ বেলায়েত হোসেন ইমন। যারা এ গুলো চায়বে না, তারা ক আসলেও বন্ধু রাস্ট্র। মুসলমানদের বন্ধুত্ব শুধু মাত্র আল্লাহরই জন্য হয়ে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১১
তট রেখা বলেছেন: অবশ্যই, ইসলামের প্রায়োগিক বাস্তবায়ন চায়।