নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বলতে চাই

বিদ্রোহী কণ্ঠ

বিদ্রোহী কণ্ঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়ের সাথে বিলীন এক সাম্রাজ্য

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৩


পৃথিবীটা বড়ই অদ্ভুত। সময়ের সাথে বিশালতা আবার সময়ের সাথেই হারিয়ে যাওয়া। শুধুমাত্র কালের সাক্ষী হয়ে বেঁচে থাকা। এমনই এক কালের সাক্ষী আজ মৌর্য্য সাম্রাজ্য। আজ থেকে প্রায় তেইশ শত বছর পূর্বে প্রাচীন ভারতে সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের হাত ধরে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের সূচনা হয়। আজকের বিশাল ভারতবর্ষ, হিমালয়ের পাদদেশ, পাকিস্তানের দক্ষিনাঞ্চল, ইরান, আফগানিস্তানের অধিকাংশ অঞ্চল এ সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল।

মৌর্য্য সাম্রাজ্যের ব্যাপ্তিকাল ছিল খিষ্টপূর্ব ৩২১ হতে খিষ্টপূর্ব ১৮০ সাল পর্যন্ত। সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত থেকে সম্রাট বৃহদ্রথ পর্যন্ত, মোট নয়জন সম্রাটের স্বাসনকাল এই মৌর্য্য সাম্রাজ্যে বিস্তার লাভ করেছিলে।

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য
চন্দ্রগুপ্ত গ্রিকদের কাছে সান্দোকোত্তোস নামে পরিচিত ছিলেন। তিনিই ছিলেন মৌর্য্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সম্রাট যিনি বৃহত্তর ভারতবর্ষের অধিকাংশকে এক শাসনে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। চন্দ্রগুপ্তের জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ৩৪০ সালে। এ সময় ভারত উপমহাদেশ কয়েকটি জনপদে বিভক্ত ছিল। এদের মধ্যে নন্দ রাজবংশ দ্বারা ভারতের সিন্ধু-গঙ্গা সমতল ভূমি শাসিত হতো। নন্দরাজ্যের রাণীর মুরা নামের এক দাসী ছিল। একদা নন্দরাজ মুরার প্রতি আর্কষিত হয়ে তাকে ধর্ষণ করে তার গর্ভসঞ্চার করে। লোকলজ্জার ভয়ে নন্দরাজ মুরা ও তার সন্তানকে অস্বীকার করে। এ শিশু সন্তানই বড় হয়ে মহান সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত নামে পরিচিত হন।

বড় হয়ে চন্দ্রগুপ্ত চাণকের সহায়তায় নন্দবংশ উৎখাত করে মৌর্য্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। অবশ্য প্রথমদিকে চন্দ্রগুপ্ত নন্দ সাম্রাজ্য কতৃক পরাজিত হন। কিন্তু পরে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে চন্দ্রগুপ্ত, নন্দ সাম্রাজ্যকে পরাজিত করতে সক্ষম হন। অবশেষে ৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে পাটলিপুত্র নগরী দখল করে নন্দ সাম্রাজ্যকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে এবং পাটলিপুত্রকে ( বর্তমান ভারতের পাটনা) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য সাম্রাজ্যের রাজধানী ঘোষণা করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ এ আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পরে ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত রাজ্যগুলো অনেকটা দূর্বল হয়ে পড়ে। তখন চন্দ্রগুপ্ত এই দুর্বল রাজ্যগুলো জয়ের দিকে মনোয়োগ দেন এবং একই সাথে দক্ষিন ভারতের দিকেও অগ্রসর হন।

তিনি বিন্ধ্য পর্বত পেরিয়ে দাক্ষিণাত্য মালভূমির সিংহভাগ দখল করতে সক্ষম হন। চন্দ্রগুপ্ত তার শ্বাসনামলে পূর্বে বাংলা, উত্তরে কাশ্মীর, দাক্ষিণে দাক্ষিণাত্য মালভূমি এবং পশ্চিমে আফগানিস্থান ও বেলুচিস্থান পর্যন্ত তার শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। তামিল ও কলিঙ্গ ব্যাতিত আর কোনো সম্রাট এ উপমহাদেশে পূর্বে এতো বিশাল সাম্রাজ্য নির্মাণ করতে পারেনি। খ্রিস্টপূর্ব ২৯৮ এ বিয়াল্লিশ বছর বয়সে তিনি সিংহাসন ত্যাগ করেন এবং পরে তাঁর পুত্র বিন্দুুসার সিংহাসনে আরোহণ করেন। জৈন প্রবাদানুসারে, পরবর্তীতে চন্দ্রগুপ্ত জৈন ধর্ম গ্রহন করে দক্ষিনে যাত্রা করেন।

বিন্দুুসার মৌর্য্য
সম্রাট বিন্দুুসার ছিলেন মৌর্য্য সাম্রাজ্যেও দ্বিতীয় শাসাক। তিনি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের পর ২৯৮ খ্রিস্টপূর্বে সিংহাসন লাভ করেন। জন্মের পর থেকে তিনি সিংহসেন নামেও পরিচিত ছিলেন। বিন্দুুসার গ্রিকদের কাছে আমিএোখাতেস নামে পরিচিত ছিলেন যার সংস্কৃত অর্থ শত্রু বিনাসকারী। খ্রিস্টপূর্ব ৩২০ হতে খ্রিস্টপূর্ব ২৭২ পর্যন্ত তিনি শাসন কার্য পরিচালনা করেন। বিন্দুুসার ছিলেন রাণী দুর্ধরার পুত্র।

কথিত আছে, চন্দ্রগুপ্তকে শত্রু পক্ষ দ্বারা বিষ প্রয়োগে হত্যা থেকে বাচাঁনোর উদ্দেশ্যে চাণক্য প্রতিদিন অল্প অল্প করে রাজাকে বিষ পান করাতেন যেন তা রাজার শরীরে প্রতিষেধক তৈরী করে। এ বিষয় সর্ম্পকে চন্দ্রগুপ্ত অবিহিত ছিল না। একদা অন্তসত্তা রাণী দুর্ধরা রাজার খাবার ভাগাভাগি করে খেলে রাণী দুর্ধরার মৃত্য হয়। সন্তান বিন্দুুসারকে বাচাঁনোর জন্য দুর্ধরার মৃত্যুর পূর্বে মাতৃ পেট কেটে বিন্দুসারকে বের করে আনা হয়।

সম্রাট বিন্দুুসারের আমলে তিনি সাম্রাজ্যকে দক্ষিন দিকে প্রসারণে বেশি মনোনিবেস করেন এবং কলিঙ্গ, চের, পান্ড্য ও চোল ব্যতিত সমগ্র দক্ষিন ভারত মৌর্য্য সাম্রাজ্যের অর্ন্তগত করতে সক্ষম হন।

সম্রাট অশোক
মৌর্য্য সাম্রাজ্যের সব চেয়ে ক্ষমতাধর সম্রাট ছিলেন অশোক। তিনি ছিলেন তৃতীয় মৌর্য্য সম্রাট। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ২৬৯ সালে সিংহাসন লাভ করেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই সম্রাট দাক্ষিণের কিছু অংশ বাদ দিয়ে ভারতবর্ষের অধিকাংশ অঞ্চল শাসন করেন। আজ অবধি ভারতবর্ষের ইতিহাসে এত বিশাল এলাকার শাসন কার্য আর কোন সম্রাট দ্বারা পরিচালিত হয়নি।

সিংহাসন লাভ ২২৭২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বিন্দুসারের মৃত্য হলে সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিয়ে ভাইদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়। বিন্দুসার পুত্র সুসীমকে পরবর্তী সম্রাট হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সুসীম মানুষ হিসেবে ভালো না হওয়ায় বিন্দুসারের মন্ত্রীরা অশোককে সমর্থন করেন। পরবর্তীতে অশোক শত্রুতা করে সুসীমকে হত্যা করে এবং বীতাশোক নামক একজন ভাইকে বাদ দিয়ে বাকি নিরানব্বইজন ভাইকে হত্যা করে, কিন্ত এই ঘটনার সঠিক কোন ঐতিহাসিক প্রমান কোথাও পাওয়া যায়নি।

অশোক প্রথম জীবনে খুব নিষ্টুর মানসিকতার একজন সম্রাট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার নিষ্ঠূরতার কারণে তাকে চন্ড অশোকও বলা হতো। কিন্তু কলিঙ্গ যুদ্ধে অপূরণীয় ক্ষতি অশোককে একজন দয়াবান ও শান্তিকামী রাজাতে পরিণত করে। এ জন্য ইতিহাসের পাতায় কলিঙ্গ যুদ্ধ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।

কলিঙ্গ যুদ্ধ
প্রাচীন ভারতের একটি ছোট্ট রাজ্য কলিঙ্গ, যা বর্তমান উড়িষ্যা ও মধ্যপ্রদেশের কিছু অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে ছিল। রাজ্য ছোট্ট হলেও সামরিক দিক দিয়ে কলিঙ্গ অনেক শক্তিশালী ছিল। বিশেষ করে কলিঙ্গের কাছে এত বিশাল সেনা ও হস্তীবাহিনী ছিল যে এর পূর্বে আর কোন বাহিনীর কাছে কলিঙ্গ পরাজিত হয়নি।

সম্রাট অশোকেরও এটা খুব ভালোভাবেই জানা ছিল যে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের সাথে একমাত্র কলিঙ্গ বাহিনীই সমান তালে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে। কারন ইতিপূর্বে অশোকের পিতামহ সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য একবার কলিঙ্গকে জয় করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। অখন্ড ভারতবর্ষের যে স্বপ্ন সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত দেখেছিলেন তা সম্রাট অশোক পূরণ করেন। খ্রিষ্টপূর্ব ২৬১ সালে অশোকের রাজত্বের অষ্টম বছরে কলিঙ্গ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধের কারন সম্পর্কে সঠিক কনো তথ্য জানা যায়নি তবে ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া য়ায। অশোকের এক ভাইকে কলিঙ্গে আশ্রয় প্রাদান ও দক্ষিনে সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ এ যুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারন হিসাবে দেখা হয়।

ইতিপূর্বে কলিঙ্গের কাছে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্রাট অশোক যথেষ্ট শক্তি সঞ্চারণ করেন এবং কলিঙ্গের কাছে অনুগত্য শিকারের বার্তা পাঠান। কলিঙ্গ রাজা আনন্দ পদ্মানাভান সগৈীরবে এ বার্তা প্রত্যাখ্যান করেন। অবশেষে সম্রাট অশোক তার বিশাল শক্তি নিয়ে কলিঙ্গ জয়ের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হন। কলিঙ্গ যুদ্ধ এমন একটি যুদ্ধ যেখানে সম্রাট অশোক সশরীরে উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেন। কলিঙ্গ বাহিনীও পূর্ব থেকে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু বর্তমান মৌর্য্য সাম্রাজ্যের শক্তি সম্পর্কে কলিঙ্গের রাজার ধারনাটা কিছুটা ভুল ছিল। কলিঙ্গ রাজ্যের পাশ ঘেষে বয়ে চলা দায়া নদীর পটভূমিতে এই যুদ্ধ এক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। প্রথম দিকে দুই বাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। যুদ্ধ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে যুদ্ধ ক্ষেত্র একটি লাশের স্তুপে পরিনত হয়েছিল। লাশ গুলো যখন পাশ ঘেষে বয়ে চলা দায়া নদীতে ফেলে দেওয়া হয় তখন পুরো নদীর পানি লাল বর্ণ ধারণ করে।

গোটা ভারতবর্ষ জানতে পারে এ যুদ্ধের ভয়াবহতা। ধীরে ধীরে কলিঙ্গ বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সম্রাট অশোক জয়ের খুব কাছে চলে আসেন, ঠিক ঐ মুহূর্তে কলিঙ্গের সাধারণ জনগণ এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে। এ থেকে কলিঙ্গের সাধারণ জনগনের দেশ প্রেম সর্ম্পকে এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হয় ও সারা কলিঙ্গ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। কলিঙ্গের প্রতিটি পুরুষ জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু অবশেষে তারা শক্তিশালী মৌর্য্য বাহিনীর কাছে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়।

বলা হয়ে থাকে যুদ্ধ পরবর্তী কলিঙ্গে শ্রম খাটানোর মতো কোনো পুরুষ মানুষ পাওয়া যায়নি। এই যুদ্ধের ফলাফল এতটাই ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল যে, কলিঙ্গ বাহিনীর ১৫০,০০০ সৈন্য ও মৌর্য্য বাহিনীর ১০০,০০০ সৈন্য এ যুদ্ধে মারা যায় এবং অনেক কলিঙ্গ বেসামরিক মানুষ মারা যায়। ১৫০,০০০ এরও বেশি লোক গৃহহারা হয়েছিল।

অশোক যুদ্ধের পর কলিঙ্গ এলাকায় তাঁর বিজয় উদযাপন করার জন্য যখন ঘুরে বেড়ান, তখন তাঁকে বিভিন্ন মৃতদেহের উপর দিয়ে যেতে হয় এবং তিনি অসংখ্য পরিবারকে মৃতদেহের পাশে বসে শোক প্রকাশ করতে দেখেন। এই ভয়ঙ্কর দৃশ্যটি দেখে, তার মন বিভ্রান্ত হয়ে ওঠে এবং একান্তে বলে ” এ আমি কি করেছি? এই যদি বিজয় হয়, তাহলে পরাজয় কী? কেউ তার স্বামী হারিয়েছে, কেউ হারিয়েছে বাবা আর কেউ তার সন্তান।

এটিই কি বিজয়? আমি কি করে পারলাম নিজের সাম্রাজ্যের বিস্তার এবং সমৃদ্ধির জন্য এতগুলা প্রাণীর বিনাস করতে” লোক মুখে প্রচলিত আছে যে, যুদ্ধের পরে এক বৃদ্ধা সম্রাট অশোকের দরবারে এসে বলে ‘যুদ্ধে আমি আমার স্বামী, সন্তান পরিবার সব কিছু হারিয়েছি, এখন আমি কি নিয়ে বাচঁবো।’ এ কথা গুলো সম্রাট অশোকের মনকে ব্যাথিত করে তোলে......

শব্দ সল্পতার কারণে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি ব্লগে পোস্ট দেয়া সম্ভব হলোনা
সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়তে: Rare বাংলা

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: ইতিহাস আমার প্রিয় বিষয়।


সুন্দর পোষ্ট।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

বিদ্রোহী কণ্ঠ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

রুরু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরার জন্য।
অনেক কিছু জানলাম।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

বিদ্রোহী কণ্ঠ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০০

পরাধিন বলেছেন: দারুন ভাই।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

বিদ্রোহী কণ্ঠ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.