![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন লেখক হবার। মানুষের মনের গভীরে পৌছাবার
-ধীরে ধীরে আমি বুঝতে পারিলাম আমি সাইকোর মত হয়ে যাচ্ছি। মৃত্যু দখে এত আনন্দ সাইকো ছাড়া আর কারো তো হতে পারে না! আরো কারণ আছে তার পিছনে; প্রতিদিন যে আমি এমন মৃত্যুর স্বপ্ন দেখি তা কিন্তু না। কিন্তু যেদিন দেখি না সেদিন মন খুব খারাপ থাকে। ভাল লাগে না- ক্ষুধা লাগে না, কিছু করতে ইচ্ছা করে না। একদিন খুব দৃঢ়ভাবেই মনে হল সাইকোই বোধয় হয়ে যাচ্ছি। রাস্তায় কেউ এক্সিডেন্ট করলে বেশ ভাল লাগে দেখতে, কিন্তু মরলে যেন আরো খুব ভাল লাগত- এমন মনে হয়। এসব কারণেই আপনার কাছে আসা।
সাইকিয়াট্রিস্ট জোয়ানের দিকে তাকালাম। তার চেহারার বর্ণনাটা জানিয়ে রাখি। ফর্সা চাহারা, ঝাড়ুর শলার মত কালো মোচ, মোটা চশমা পড়া, তিকালো নাক আর কানের আশেপাশের চুলে পাক ধরা তিনি তখনো কাচের চশমার উপর থেকে আমাকে দেখছে আর আমার কথা শুনছে। তারপর পেড খুলে কিছু ওষুধ লিখে দিল। তার হাবভাব দেখে মনে হল এটা যেন জটিল কোন ঘটনা না। আমার ভ্রু কুচকানো দেখে সে উঠে আমার চোখ মাথা এসব টিপে টুপে পরীক্ষা করে দেখল। তারপর হাত ধুতে কোনায় রাখা বেসিনে গেল। আমি তার পিছন দিকে তাকিয়ে ছিলাম একদৃষ্টিতে, একটু রাগি ভংগিতেই কেননা সে আমাকে ঘুম আর মাইগ্রেনের ওষুধ সাজেস্ট করেছে। যখন তার পিছনে দিকে তাকিয়ে ছিলাম ঠিক তখনই ঘটনাটা ঘটল।
সবকিছু কেমন যেন অন্যরকম হয়ে গেল, পরিবেশ পরিস্থিতি সবকিছু। মনে হল আমি ডাক্তারের খুব কাছে চলে গেলাম, ঠিক পিছনটাই। আমার হাতে একটা ভারি কিছু। হঠাৎই সেই ভারী বস্তুটা দিয়ে জোয়ানকে আঘাত করতে লাগলাম। সে সামনে ঢলে পড়ল। মাথা ফেটে রক্ত বের হতে লাগল। এরপরই কে যেন আমার গলা চেপে ধরল পিছনে দিক থেকে, আসলে চেইনের মত বড় কিছু যেন! আমার গলায় চেপে বসত্ব লাগল- আমি আতংকিত বোধ করতে লাগলাম, আমার শ্বাস বন্ধ হতে যেতে লাগল। তারপর হঠাৎ ই সংবত ফিরে পেলাম। দরদর করে ঘাম ছুটছে আমার। তাকিয়ে দেখলাম জোয়ান আমার সামনে, আমাকে জিজ্ঞেস করছে - কি হয়েছে ভাই, কি হল? ঘামছেন কেন এত?
কিছুক্ষণ পর পানি খেয়ে একটু শান্ত হলাম। এই ঘটনা শেয়ার করব কিনা ভাবছিলাম তাকে। তারপর বলেই ফেললাম। তিনি চুপ করে শুনলেন, তারপর প্রেসক্রিপশনে কিছু কাটাছেড়া করে সেটা আমাকে দিয়ে ফিস নিয়ে রুম থেকে বের হবার পথ দেখিয়ে দিলেন। বাইরে তারা আরো অনেক রোগী বসে আছে। আমি বেশি সময় নিয়ে নিয়েছি তার। রুম থেকে বের হয়ে প্রেসক্রিপশনের দিকে তাকালাম। দেখে মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেল। সে শুধু ওষুধ গুলো ঠিক রেখে ডোজ বাড়িয়ে দিয়েছে। বাইরে বের হতেই ওষুধের রিপ্রেজেনটেটিভ কয়েকজন আমাকে ধরল। বলল, তারা ওষুধগুলো কি দিয়ে ডাক্তার দেখতে চায়। মেজাজটা আরো গরম হয়ে গেল। কাগজটা ছিড়ে দলা পাকিয়ে ছুড়ে ফেলে দিলাম। তারপর চিৎকার করে বল্লাম- যা, ওখান থেকে তুলে নিয়ে খুলে দেখ!
তারপর গটগট করে হাটতে লাগলাম। ওরা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকল।
ডাক্তারের ঘরে ঐ ঘটনাটার পর থেকে আমার রাগ যেন বেড়ে গেছে। এর আগে এমন রাগ আমার উঠত না।
পরের দিন রাতে আমার বাসায় পুলিশ এল। আমার সাথে তারা কথা বলতে চায় বলে ঘরে ঢুকে গেল। জানাল ডাক্তার জোয়ান নাকি মারা গেছে। তাকে কেউ পিছন থেক্ব ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে। কথাটা শুনে আমি অবাক হলাম অনেক তারচেয়ে বেশি হলাম আতংকিত। ডাক্তারের রুমে ঐ ঘটনাটার কথা মনে পরে গেল্ম
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ........